নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাওয়াত ও তাবলীগ কেন করবেন ? তাবলীগ করে যা শিখলাম -১

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বর্তমান ফেতনা ফাসাদের যুগে দাওয়াত ও তাবলীগের গুরুত্ব অপরিসীম । আজ মুসলমানের ঘরে ঘরে ঈমান ধ্বংসকারী উপাদান পৈাছিয়া গিয়াছে কিন্তু সেই তুলনায় ঈমান ঠিক রাখার জন্য - ঈমানকে মজবুত ও তাজা রাখার জন্য সেই রকম প্রচেষ্টা চালু নাই । যার ফলশ্রুতিতে মুসলমান দিন দিন ইসলাম থেকে দূর সরিয়া যাইতেছে । ইসলাম মানুষকে যেই আইয়ামে জাহেলিয়াত থেকে সরিয়ে নিয়ে যে সুন্দর সমাজ ব্যবস্হা এনে দিয়েছিলো - মুসলমান আজ না বুঝে, শয়তানের খপ্পরে পড়ে , বিধর্মীদের ফাদে পা দিয়ে ইসলামকে ত্যাগ করে মদ ও জেনায় আকন্ড ডুবে যাচ্ছে । ঘরের শত্রু বিভিষণের মত মুসলমানের সন্তানগণ ইসলামের শত্রুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে । যদি এতটুকু খারাপ নাও হয় - নামাজ ও রোজা নামকাওয়াস্তে পালন করছে এবং জীবনে ইসলাম একটি সংস্কৃতির মতই অবস্হান করছে ।



তাবলীগ মূলতঃ বর্তমানে প্রচলিত বেদ্বীন পরিবেশ এর বিরুদ্ধে বিশাল এক সংগ্রাম । যা মুসলমানদের মধ্যে আবার সাহাবী আজমাঈনদের মত ঈমান চালু করার এক বিশাল মেহনত । বর্তমানে আলেম সমাজ এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই কাজকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী সমস্ত মুসলমানদের মধ্যে আজ এই কাজ ছড়িয়ে পড়ছে । এই কাজের বদৈালতে অনেক সাধারণ মুসলমান ঈমানের স্বাদ পেয়ে খাটি মুসলমানে পরিণত হচ্ছে ।



পূর্বে দাওয়াতের ফলেই সারা বিশ্বে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছিলো আর আজ দাওয়াত না থাকায় মুসলমান নামাজ ছাড়িয়া দিয়াছে । অথচ নামাজ হলো কুফর এবং ঈমানের পার্থক্যকারী । যে জানিয়া শুনিয়া নামাজ ত্যাগ করে - নামাজ না পড়ে সে ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরিয়া যায় । তারপর আস্তে আস্তে ঈমান হারা হয়ে ধ্বংসের মুখে পতিত হয় ।



মুসলমানদের মধ্যে ঈমানকে তাজা করার জন্য আর নামাজকে চালু করার জন্যই দাওয়াতে তাবলীগ এর মেহনত । দেখা যায় পিতা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু সন্তানকে নামাজ পড়তে বলতে পারেনা বা বললেও কার্যকরী হচ্ছে না । এরকম অনেক অল্পবয়সী মুসলমান পরিবার থেকে নামাজ শিখতে না পারলেও তাবলীগের মেহনতের মাধ্যমে আজ নামাজী হয়ে উঠছে ।



তাবলীগের মূল কথাই হলো ঈমানকে ঠিক করা । যে ব্যাক্তির ঈমান ঠিক হয়ে যাবে তার বাকী আমলও আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে । ঈমানদার ব্যক্তিকে নামায ও রোজার জন্য বলতে হবে না । সে নিজ আগ্রহেই তা করবে । অন্যপক্ষে ঈমান ঠিক না থাকলে সে ইসলামী পরিবেশেও থেকেও নামাজ পড়বেনা ।



আপনি যখন তাবলীগে বের হবেন তখন আপনি আপনার প্রতিদিনের পরিবেশ থেকে বের হয়ে মসজিদের পরিবেশে যাবেন । আপনার প্রতিদিনের পরিবেশ আপনার দ্বীন বুঝার জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে । তাই আপনি যখন নিজের ঘর ত্যাগ করে অন্য পরিবেশে গিয়ে যে স্যাক্রিফাইস বা আত্নত্যাগ করবেন তার বদৈালতে আল্লাহ আপনাকে ঈমানের নূর দান করবেন । আত্নত্যাগ ব্যতীত কোন কিছুই হাসিল হয় না । সাহাবীরাও উনাদের জীবন ও সম্পদ আত্নত্যাগের বিনিময়ে ঈমানকে হাসিল করেছিলেন । আমাদেরকেও তাই করতে হবে ।



খুবই সহজভাবে আপনি যদি আপনার প্রতিবেশীকে নামাজের জন্য না ডাকেন - তাকে ঈমানের দাওয়াত না দেন তার বেঈমানী কাজ আপনার উপরও এসে পড়তে পারে । আর আপনার দাওয়াতে সে ঈমানদের ও সাচ্চা মুসলমান হলে আপনিও তার সূফল ভোগ করবেন । এটা সমগ্র মুসলিম জগতের জন্যই প্রযোজ্য । সমগ্র মুসলমান ভাই ভাই । সমস্ত মুসলমান যখন তা সত্যিকারভাবে উপলব্ধি করবে - ইসলামের দুর্দিন আপনি আপনি চলে যাবে ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিপ্লবী পথিক বলেছেন: অনেকে তো, ইলিয়াসওয়ালা তাবলীগ জামাতকে বিদয়াত বলে, ওদের সথে নাকি ইসলামের তাবলীগের অনেক ফারাক?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০২

েশখসাদী বলেছেন: আল্লাহপাক ইলিয়াস (রহঃ) এর মাধ্যমে তার চালূ করেছেন - এই যা । এ কাজে অনেক আলেমের প্রচুর অবদান ।

হাদিস ও কুরআন অনুসারেই তা চালু আছে ।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৫

বিপ্লবী পথিক বলেছেন: কিন্তু ইলিয়াস সাহেব নাকি বিদয়াত পন্থায় তাবলীগ শুরু করেছেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

েশখসাদী বলেছেন: তাবলীগে কোন বিদআত নেই । ধন্যবাদ ।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০

বাংলার হাসান বলেছেন: তাবলীগ একটি সঠিক পথ। তবে কিছু লোক সব জায়গায়ই থাকে যাদের খামখেয়ালীর জন্য পুরা একটি সংগঠনের বদনাম নয়। আর এটা সেখানেও আছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: +++++++++++++++++++
তাবলীগ কোন সংগঠন নয়। সবাই যার যার পজিসন থেকে তাবলীগ করে।
BNP, BAL,JP,,,sob doler e lok ache ekhane.
এই উম্মতকে অন্যান্য নবীদের উম্মতের থেকে আগে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি/অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এই কারনে যে, তারা তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলাম পৌছাবে যা আগে নবী-রসুলগন করতেন।
সুন্দর পোস্ট।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.