নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজে প্রচলিত ফেতনা , পাপাচার এবং দূষিত পরিবেশের কারণে মানুষ এর মন মগজ এবং চিন্তা চেতনার পরিবর্তন ঘটে । যার ফলশ্রুতিতে মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় পরে তার ঈমানকে ত্যাগ করে ।
শয়তান খুব সূক্ষভাবে মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করে এবং তাকে খারাপ কাজ করতে উৎসাহিত করতে করতে পাপ কর্মের প্রতি আসক্ত বানিয়ে দেয় । এক সময় এই রকম আসক্ত মানুষ যখন তার পাপাচার করতে কোন বাধাপ্রাপ্ত হলে তা থেকে মুক্তি খুজে এবং যা কিছুই তার পাপাচারের বাধা হয়ে দাড়ায় তার বিরুদ্ধে মনে মনে ফুসে উঠে । অনেকটা মাদকাশক্ত ব্যাক্তির ন্যায় ।
মাদকাসক্ত ব্যক্তি তার মাদক গ্রহণের যে কোন বাধাতেই ফুসে উঠে এবং সেসব বাধার বিরুদ্ধে সহিংস মনোভাব পোষণ করে । আর সেসব বাধা তার আপন মানুষের কাছ থেকে আসলেও তা তার বুঝে আসেনা - মাথায় ঢুকেনা। সে তখন তার বাবা-মার বিরুদ্ধেও দাড়াতে কুন্ঠাবোধ করেনা - যদিও তারা তার ভালোই চান। কারণ সে তখন নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং কোনটা ভালো এবং কোনটা মন্দ তা নির্ণয় করতে অক্ষম হয়ে দাড়ায় । অতি আপন ব্যক্তিরাও তার তখন পর হয়ে দাড়ায় । সে হিতাহিত জ্ঞান হরিয়ে ফেলে । এটা হলো খারাপ কাজের অবধারিত ফল ।
ঠিক একই অবস্হা ঘটে পাপাচারী ব্যাক্তির । পাপ করতে করতে সে পাপাচারে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তার ফলে তার মন মানসিকতারও ব্যাপক পরিবর্তন হয় । কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস এবং অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ । যে যে এলাকায় থাকে এবং যেই পরিবেশে থাকে তার উপর তার প্রভাব পড়ে । মানুষ যার সাধে উঠা বসা করে তার মন মগজ চিন্তা চেতনা তার উপর প্রভাব ফেলে । কারণ মানুষের হৃদয় বা মন মগজ সে রকম করে গঠিত । এটা আল্লাহর এক হেকমত ।
কিছু বুদ্ধিমান মানুষ ব্যতীত যারা ধরতে পারে , তারা বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করেনা বা সমাজের অধঃপতনে গা ভাসিয়ে দেয়না । তারা ছাড়া প্রায় সবাই সাধারণ জনগণ পরিবেশে প্রভাবে প্রভাবিত হয় । এজন্য মহানবী (সাঃ) সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করতে বলেছেন । না হয় খারাপ ও দূষিত পাপের আবহওয়ায় সবাই পতিত হয় যদিনা তা দূর করতে সৎ বান্দারা সচেস্ট হয় ।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ
'অন্ধকার রাত্রির ন্যায় ক্রমাগত ফেতনা আসার আগেই যা আমল করার করে ফেলো । মানুষ তখন সকালে মুমিন থাকবে , বিকালে কাফের হয়ে যাবে । বিকালে মুমিন থাকবে , সকালে কাফের হয়ে যাবে । দুনিয়ার তুচ্ছ লাভের আশায় নিজের ঈমানকে সে বিক্রি করে দেবে । ' (বুখারী)
মহানবী (সাঃ) উপরোক্ত ভবিষ্যত বাণী আজ ফলতে শুরু করেছে কারণ বর্তমানে সমাজ পাপাচারে ছেয়ে গেছে আর তার ফল অবশ্যই খারাপ হবে । এর থেকে মুক্তির উপায় হলো - পাপ থেকে দূরে থাকা এবং তা দূর করতে সচেষ্ট হওয়া । না হয় দেশে বন্যা আসলে তা কোন যাচাই বাছাই করেনা - সবার ঘরেই পানি প্রবেশ করে ।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২
েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আল্লাহ সকলকেই ইসলাম পরিপূর্ণ রুপে বুঝে চলার তৌফিক দান করুন আমিন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
েশখসাদী বলেছেন:
আমিন ।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
রাতুল রেজা বলেছেন: এটা তো অনেকদিন আগে থেকেই টের পাউয়া যাচ্ছে যে কোরআনের প্রতিটি ভবিষ্যতবানী ফলতে শুরু করেছে। সুরা বাক্বারায় প্রথঅমেই আছে যে কিছু মানুষ আছে যারা মুমিনের ভান করবে কিন্তু তারা মুমিন নয়। এই কথার সত্যতা সম্প্রতি প্রতিদিন ই দেখা যাচ্ছে
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: পাপ থেকে দুরে থাকতে সৃষ্টিকর্তাকে আকড়ে ধরতে হবে! এছাড়া পথ নাই!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৩০
েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ । সহমত পোষণ করলাম ।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
ইণ কোযেসট অব ট্রুথ বলেছেন: ভালো লাগলো।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
সরদার হারুন বলেছেন: ভাই কি খুব অয়না দেখেন ?
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
লাবনী আক্তার বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগা রইল।