নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যা কথা বলা মুনাফিকের কাজ । মুনাফিকের শাস্তি জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে - তথা সর্বাপেক্ষা কঠিন

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩









যে ব্যক্তি অন্তরে কুফর অর্থাৎ অবিশ্বাস লুকিয়ে রেখে যবান দ্বারা ইসলাম প্রকাশ করে তাকে মুনাফিক বলে । (আল মুনজিদ -পৃঃ১০৩৮) ।



আজ মিথ্যা আমাদের জীবনে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যেরূপভাবে রক্ত আমাদের শিরা উপশিরায় ছড়িয়ে আছে । চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে যবান থেকে মিথ্যা কথা বের হয়ে যায় । কোন কোন সময় শুধুমাত্র কৈাতুক করে, কোন কোন সময় নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, কোন কোন সময় নিজের বড়ত্ব প্রকাশের জন্য মিথ্যা বলা হয়ে থাকে । আজকাল মিথ্যা বলাটা একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে । লোকেরা এখন আর মিথ্যা বলাকে না-জায়িজ বা গোনাহ মনে করেনা বরং অকেনের ধারণা যে, মিথ্যা বললে আমাদের নেকীতে কোন আছর হবে না । অথচ মহানবী (সাঃ) মিথ্যা বলাকে মুনাফিকের কাজ বলেছেন । কোন মুসলমান মিথ্যা বলতে পারে না ।



হযরত আবু হরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) বলেছেন, মুনাফিকের তিনটি নিদর্শন (অর্থাৎ কোন মুসলমানের দ্বারা এমন কাজ সম্ভব নয় । যদি কারো মধ্যে এগুলো পাওয়া যায়, তাহলে মনে করতে হবে সে মুনাফিক) - আর তা হলো



১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে ।

২. যখন ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করে ।

৩. আর যখন তার নিকট কোন কিছু আমানত রাখা হয় , তখন সে খিয়ানত করে ।



কোন কোন বর্ণনায় একথাও আছে যে, যদিও সে নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং একথার দাবী করে যে সে মুসলমান । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে মুসলমান নয়, কেননা মুসলমান হওয়ার জন্য যে মৌলিক গুণাবলীর প্রয়োজন সেগুলো সে ছেড়ে বসে আছ ।







যুগে যুগে ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি মুনাফিকদের দ্বারাই হয়েছে । মহানবী (সাঃ) কে মুনাফিক সম্প্রদায়ই সবচেয়ে বেশী কষ্ট দিয়েছে । কারণ কাফির সম্প্রদায় যেহেতু প্রকাশ্য মুসলমানদের বিরোধিতা করত, তাই তাদের অনিষ্ট থেকে বেচে থাকা সহজ ছিলো । পক্ষান্তরে মুনাফিক সম্প্রদায় মুসলমান পরিচয় দিয়ে মুসলমানদের ধোকায় ফেলে তাদের বিরুদ্ধে গোপন যড়যন্ত্রে লিপ্ত হতো ।



মুনাফিকদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ



নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না । (সূরা- নিসা/১৪৫)



"ইহা তোমার প্রতিপালকের অপরিহার্য নির্ধারিত সিদ্ধান্ত । অতঃপর আমি মুত্তাকীদিগকে মুক্তি দান করিব আর জালেমদিগকে অধঃমুখ করিয়া ইহাতে ছাড়িয়া দিব ।" (সূরা মারইয়াম ৭১-৭২)



হাশরের ময়দানে জাহান্নামের ফেরেশ্তাদের মধ্য হইতে এক ফিরিশ্তা উচ্চ স্বরে ঘোষণা দিতে থাকিবে যে, অমুকের পুত্র অমুক কোথায় ? সে তো দুনিয়াতে থাকা অবস্হায় দীর্ঘ আশা পোষণ করিত । আখেরাতের অবস্হা সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করিত । অবৈধ কার্যে নিজের জীবনটি ধ্বংস করিয়াছে । অতঃপর ফিরিশ্তা লোহার গুর্জ্জ লইয়া তাহার উপর আক্রমণ করিবে ।



তাহাকে ধমক দিয়ে অধঃমুখ করিয়া জাহান্নামে নিক্ষেপ করিবে আর তিরস্কারের সহিত বলিতে থাকিবে যে, তুমি তো দুনিয়াতে নিজেকে সম্মানিত ও মর্যাদাবান মনে করিতে । এখন একটি সংকীর্ণ, অন্ধকার ও ধ্বংসাত্নক ঘরে পড়িয়া থাক । এই ঘরে যে প্রবেশ করে সে চিরদিন এই ঘরেই থাকে এবং আগুনে পুড়িতে থাকে ।ইহাতে বন্দীদিগকে গরম ফুটন্ত পানি পান করিতে দেওয়া হয় । এরপর আগুনের ফেরেশ্তারা তাহাকে পৃথকভাবে গুর্জ্জ মারিতে থাকে এবং আগুন তাহাকে জড়াইয়া ধরে ।







সে মৃত্যু কামনা করিতে থাকে । কিন্তু কোথায় মৃত্যু ? তাহার পদদ্বয় মাথার কেশের দ্বারা বাধিয়া রাখা হইবে । গোনাহের অন্ধকারে তাহার মুখ মন্ডল কৃষ্ঞ হইয়া যাইবে ।অ্গ্নির জিজ্নিজির গলায় পরিয়া দেওয়া হইবে । সামনে, পিছনে, ডানে, বামে শুধু আগুন আর আগুন ।খাদ্য হইবে আগুন, পানীয় হইবে আগুন এবং পোশাক হইবে আগুন । হাতে পায়ে ভারী বেড়ী থাকিবে । জাহান্নামের সংকীর্ণ রাস্তাতে চিৎকার করিতে করিতে দৈাড়াইতে থাকিবে । মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢালিয়া দেওয়া হইবে । তাহার নাড়ী-ভুড়ি চামড়া গলিয়া গলিয়া পড়িতে থাকিবে । পিপাসার কারণে কলিজা ফাটিয়া চৈাচির হইয়া যাইবে । তাহার শুধু মৃত্যু কামনা করিবে কন্তিু মৃত্যু হইবেনা । আল্লাহ যত দিন চান ততদিন তার এরূপ শাস্তি হইতে থাকিবে ।



সূত্রঃ



আখিরাত- ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ),



মুমিন ও মুনাফেক - মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

মেহেদীহাসানসুমন বলেছেন: দারুণ লেখা। আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

েশখসাদী বলেছেন:
ধন্যবাদ ।

২| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

আস্তবাবা বলেছেন: ++++++++++++

৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

নস্টালজিক বলেছেন: মুনাফিক রা ভয়ঙ্কর! মিথ্যা সর্বত্র পরিত্যাজ্য!


আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আমাদের মিথ্যা আর মুনাফেকি থেকে মুক্ত হবার তওফিক দান করুন! আমিন!



শুভেচ্ছা, সাদী ভাই!

৪| ১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

আমিভূত বলেছেন: :( :(

অনেক অনেক মাফ চাইতে হবে :(

১৭ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

েশখসাদী বলেছেন:
যতটুকু পারুন মাফ চেয়ে নিন আর তওবা করুন ।

আর আমি একজন আলেমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম - তিনি বলেছেন কারো বর্ণিত তিনটি দোষ থাকলেই তাকে মুনাফিক বলা যাবেনা - বরং তার মধ্যে মুনাফেকির দোষ আছে সেটা বলা যাবে ।

মুনাফিক হলো সেই - যে আসলে আল্লাহ -রাসূল (সাঃ) কে বিশ্বাস করে না - ভালোবাসেনা - ঘৃণা করে কিন্তু প্রকাশ্যে সেটা প্রকাশ না করে মুসলমানের মত অভিনয় করে ।

ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.