নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহাবীদের নিকট মহানবী (সাঃ) এর প্রশ্ন- তোমাদের কি লজ্জ্বা হয় না ?

১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

হযরত উমর (রাঃ) এর কন্যা উম্মে অলীদ (রাঃ) বলেন, একদিন সন্ধ্যা বেলায় হুজুর (সাঃ) ঘর হইতে বাহিরে তাশরীফ আনিয়া এরশাদ ফরমাইলেন- তোমাদের কি লজ্জ্বা হয় না ?



সাহাবারা আরজ করিলেন, ব্যাপার কি ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ) ?



হুজুর (সাঃ) এরশাদ করিলেন, এত বেশী (ধন-সম্পদ) জমা কর যে যাহা তোমরা উপভোগ বা খাইতে পার না , এত বেশী বাড়ী তৈরী কর যে যেখানে তোমরা বসবাস কর না । এত বেশী আশা পোষণ কর যে যাহা পূরণ করিতে পার না ।



(বর্তমানে ইহা আমাদের জন্য বড় বেশী প্রযোজ্য - প্রকৃতপক্ষে আমাদের কোন লাজ -শরম এবং আখেরাতের কোন ভয় আছে বলে মনে হয় না ।)



-> একবার হুজুরে পাক (সাঃ) একটি চর্তুভুজ রচনা করেন এবং মধ্য ভাগে একটি সরল রেখা অংকন করেন যাহার মাথা চর্তুভুজের রেখা অতিক্রম করিয়া চলিয়া যায় আবার চর্তুভুজের ভিতরে অনেকগুলি ছোট ছোট রেখা টানেন । অতঃপর হুজুর (সাঃ) বলেন - মধ্য ভাগের সরল রেখা হইল মানুষ, চারিদিকের রেখা অর্থাৎ চতুভূজের রেখা হইল মানুষের মৃত্যু (যাহা তাহাকে সব সময় ঘিরিয়া রাখিয়াছে), মধ্য রেখা বাহিরে চলিয়া যাওয়ার অর্থ হইল মানুষের আশা যাহা মৃত্যু কে অতিক্রম করিয়া যায় । দুই পাশের ছোট ছোট রেখার অর্থ হইল মানব জীবনের বালা মছিবত, যাহার একটি হইতে বাচিলেই অপরটা আসিয়া চাপিয়া ধরে ।



-> একদিন হুজুর (সাঃ) আপন মাথা মোবারকর পিছন দিকে একটি হাত রাখিয়া বলিলেন, ইহা হইল মানুষের মওত , অন্য হাত পাশেল দিকে লম্বা করিয়া বলিলেন, এতটুকু লম্বা হইল মানুষের আশা । হুজুর (সাঃ) আরো এরশাদ করেন, এই উম্মতের ভাল হওয়ার শুরু হইল আখেরাতের এক্বীন ও দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির দ্বারা , আর এই উম্মত নষ্ট হইবার শুরু হইল কৃপণতা ও লম্বা আশা আকাংখা দ্বারা । অন্যত্র ফরমাইয়েছন, এই উম্মতের প্রথম অংশ নাজাত পাইয়াছে আখেরাতের এক্বীন ও দুনিয়া ত্যাগের দ্বারা আর শেষাংশ ধ্বংস হইয়াছে বখিলী অর্থাৎ কৃপণতা এবং লম্বা চওড়া আশার দ্বারা ।



-> একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, হুজুরে পাক (সাঃ) এরশাদ করেন- অতি সত্বর এমন জমানা আসিতেছে ভিন্ন জাতি তোমাদিগকে খাইয়া ফেলার জন্য আপোষে একে অপরকে এই ভাবে দাওয়াত করিবে যেমন দস্তরখানে একরাম করা হয় । অর্থাৎ মুসলমানকে ধ্বংস করার জন্য আপোষে শলা পরামর্শ হইবে । সাহাবার আরজ করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তখন কি আমাদের সংখ্যা খুব কম হইবে ? এরশাদ হইল , না বরং তোমাদের সংখ্যা তখন অনেক বেশী হইবে । কিন্তু শত্রুদের অন্তরে তোমাদের ভয় থাকিবে না, তোমাদের অন্তরে 'অহান' পয়দা হইয়া যাইবে । সাহাবারা জিজ্ঞেস করিলেন, হুজুর ! 'অহান' কি জিনিস ? এরশাদ হইল- দুনিয়ার মহব্বত এবং মৃত্যুর ভয় ।



সূত্রঃ ফাজায়েলে ছাদাকাত । দ্বিতীয় খন্ড । মোহাম্মদ জাকারিয়া ছাহারানপুরী (রহঃ)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

মাহিরাহি বলেছেন: সংখ্যায় আমরা দিনদিন বাড়তেছি, কিন্ত...............

২০ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

েশখসাদী বলেছেন: কিন্তু দুনিয়ার মহব্বত এবং মৃত্যুর ভয়ে ভীত হইয়া আছি ।

২| ১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: জরুরি হাদিস। ধন্যবাদ ভাই

৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:২৭

আমিভূত বলেছেন: মাহিরাহি বলেছেন: সংখ্যায় আমরা দিনদিন বাড়তেছি, কিন্ত..............:(

৪| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র ভাই...

আমরা সবাই ঈমান ও আ'মাল সহীহ করার জন্য বেশী বেশী চেষ্টা করতে থাকি। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন, আমিন।

২৩ শে মে, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

েশখসাদী বলেছেন:
আমিন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.