নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা মুসলমানরা বর্তমানে খুব খারাপ এক সময়ে বাস করছি । যেখানে মুসলমানদের থাকার কথা ছিলো সবার উপরে , সেখানে আজ মুসলমানরা আছে মাথা নিচু করে । মুসলমানদের সমস্যা, কষ্ট আর বিপদের কোন অন্ত নাই । সবাই মুসলমানদের শত্রু । প্রায় সব মুসলিম বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে - মুসলমানদের শাসকদের দুর্নীতি আর স্বেচ্চ্ছাচারিতা । মুসলমান শাসকদের মত এত দুর্নিতীবাজ আর কেহ মনে হয় না্ই ।
অমুসলমানরা তো সব দিকে দিয়ে মুসলমানদের ঘিরে রেখেছে । অনেকে জানেওনা কিভাবে তারা অমুসলমানদের ফাদে পা দিয়ে ধ্বংস হচ্ছে ।
এক সময় মুসলমানরা ছিলো জ্ঞান ও বিজ্ঞানে সবার উপরে । ইউরোপ যখন অন্ধকারে নিবধ্দ ছিলো তখন মুসলমানরা ছিলো জ্ঞানে -বিজ্ঞানে এগিয়ে । কিন্তু আজ এসব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে । মুসলিম বি্শ্বের কয়জন মুসলমান জানে মুসলমানদের ইতিহাস । মুসলমানরা বড় হয় ডারউনেরে গাজা খুরী খিওড়ী পড়ে । বর্তমান আলেম সমাজও বিজ্ঞান চর্চ্চা থেকে দূরে - যেন কুরআন ও হাদিস পড়লে বিজ্ঞান থেকে দূরে থাকতে হবে । অথচ মুসলমানদের অগ্রগতি হয়েছিলোও কুরআন ও হাদিসের আলোকে জ্ঞান চর্চ্চা করে । আজকে বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান খুজে পাওয়া মুশকিল । অমুসলমানরা এগুলো মুছে ফেলেছে । মুসলমান শাসকরাও স্বার্থপর ও অথর্ব । অথচ মুসলমানদের আল্লাহ যে সম্পদ দিয়েছিলেন - তা দিয়ে সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানরা অভাব মুক্ত থাকতে পারে, জ্ঞান -বিজ্ঞানের চর্চ্চা করতে পারে - কিন্তু তারা এতটাই নীচ যে - নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝেনা ।
আজকের মিডিয়া বলেন - পেপার পত্রিকা, পাঠ্য পুস্তক সমূহ, ইন্টারনেট, রেডিও -টিভি সব অমুসলমানদের দখলে । আর এগুলো দিয়ে তারা ইসলামের ও মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে । যার ফলে - মুসলমান ছেলে মেয়েরা বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় । তাদের কাছে অসত্য ও ভূল তথ্য এমন ভাবে উপস্হাপন করা হয় - তারা না পারে সঠিক মুসলমান হতে না পারে সঠিক ইসলামকে জানতে । কারণ মুসলমান আলেম সমাজ একটিভ নয় অথবা তাদেরকে লাইম লাইটে আসতে দেয়া হয় না । অমুসলমানরা কখনই মুসলমানদের প্রতি সদয় আচরণ করেনা । তারা বরাবরই মুসলমানদের সাথে অন্যায় আচরণ করে থাকে । যার উদাহরণ হলো - মিশরে মুরসীর প্রতি - গণাতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ, বার্মার প্রতি - রোহিঙ্গাদের প্রতি যে অন্যায় হচ্ছে - তা মিডিয়াতে আসেইনা - তাদেরকে পুড়িয়ে মারা হয়, কাশ্মির, চীনে , বসনিয়া ইত্যাদি । অথচ অন্যদিকে অমুসলমানদের প্রতি এর উল্টো হয় । আজকে ইরাকের এ অবস্হা কেন ? কারা সাদ্দামকে সরিয়েছে ? কারা আফগানিস্হান আক্রমণ করেছে ? এগুলো বলে শেষ করা যাবেনা । কিন্তু পেপার পত্রিকায় এগুলো আসবেনা ।
আমরা আমুসলমানদের দেয়া কুরআনের ভুলের সমালোচনা পড়ি - যে কুরআনে এই এই ভুল আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা কি আসলে কুরআন পড়ি বা বুঝি ? আমরা কি করে আশা করি যে আমাদের শত্রুরা আমাদেরকে কুরআন সম্পর্কে সত্য কথা বলবে ? আর আমাদের কতটুকুইবা কুরআনের জ্ঞান আছে যে তাদের কথার উত্তর দিবো । এটা অনেকটা এমন- বাইরের লোক আমাকে বলছে - আপনার ছেলে তো খারাপ । সে তো মিথ্যাবাদী । এখন আমি যদি আমার ছেলেকে না জানি- তখন তো আমি দ্বিধায় পড়ে যাবো । কারণ আমার তো খবর নাই আমার ছেলে কি করে বা কিরকম । আমার সময় নাই তার খোজ খবর রাখার । অনুরূপ আমরা কুরআন পড়িনা , জানিনা, আরবীও জানিনা । ছোটবেলা থেকে ইংরেজী শিখি আর বিজ্ঞান পড়ি ডারউইনের বান্দর থিওড়ী , ইন্টারনেট ও মিডিয়াতে যার পক্ষে প্রতিনিয়ত প্রচার হচ্ছে । অপরপক্ষের কোন প্রচারণা নাই । আর আছে অন্যান্য অশ্লীলতার প্রচার । যার ফলে চারিদিক দিয়ে তারা মুসলমান ছেলে মেয়েদের তৈরী করছে অমুসলমান হিসেবে । মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে- শেষ যমানায় ঈমান রাখা হাতে আগুন রাখার মতই কষ্ট হবে । আজকে একজন মুসলমান ছেলেকে জিজ্ঞেস করুন - সে একটা কুরআনের সুরার পুরো বাংলা বলুক বা কয়টা হাদিস জানে - জি্জ্ঞেস করুন । একমাত্র মাদ্রাসার ছাত্র ছাড়া অন্যরা বলতে পারবেনা । আমিও পারবনা - কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হায় এটা নাই আর আমাদের সময় কোখাও । পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট আর চাকুরী পিছনে ছুটতে ছুটতে তারপর চাকুরী আর সংসারে এত ব্যস্ত - জীবন ও সময় এভাবেই পার হয়ে যাচ্ছে । আর কবরে যাচ্ছি অবিশ্বাস ও অর্ধ বিশ্বাস নিয়ে - প্রবেশ করছি অনন্ত কালের জী্বনে কোন মুলধন ছাড়াই । আর মা্দ্রার ছাত্ররা পড়েনা বিজ্ঞান। কি আজব অবস্হা ।
ডারউইনের থিওড়ীটা কিভাবে সত্য হয় ? এটা তো একটা সম্পূর্ণ খাজাখুরী কথা । ডিএনএ টা কি এটা বুঝলেই বুঝা হয়ে যায় - ডারউইন থিউরী কত ভাওতাবাজী অথচ আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছি - যেমন খ্রিষ্টানরা এই আধুনিক যুগেও তিন খোদায় বিশ্বাস করে আর না্স্তিকরা রোবোকপ ছবি দেখেও বুঝেনা - আমিও একটা মেশিন -যাকে কেউ তৈরী করেছে ।
একটা আ্ঙুর কেন লাল - আরেকটা কেন সবুজ ? কেন একই ফল এত রকমের ? বা্ইরে থেকে দেখে মনে হয় পার্থক্যটা তো শুধু সামান্য রঙে বা একটু অন্যরকম - কিন্তু এটা কি আসলে সামান্য ? কোন কিছু কি এমনি এমনি হয় ? যে কোন কিছু তৈরী করতে কারো কারো না কারো হাত লাগে ? এমনি এমনি জিনিষ ধ্বংস হয় তৈরী হয়না - ময়লা পড়ে - ঘুণে ধরে । মিষ্টার ষ্টিফেন হকিং বলেছেন- মহাবিশ্ব তৈরীতে নাকি স্রষ্টার কোন হাত নাই । এই সব বিজ্ঞানীরা অমুসলমানদের প্রপাগান্ডা হিসেবে কাজ করে । তারা সত্যটাকে ঘুরিয়ে মিথ্যা আকারে বলে । মানুষকে বিভ্রান্ত করে - মূল টার্গেট হলো স্রষ্টাকে অস্বীকার করা । আরে জনাব - স্রষ্টা কি এতই সামান্য যে উনাকে হাতে ধরে মহাবিশ্ব তৈরী করতে হবে ? স্রষ্টা কি জিনিষ সেটা মানুষের চিন্তা বা বুঝার ক্ষমতার বাইরে । কুরআনে আল্লাহ বলেছেন- সমগ্র সৃষ্টি উনার আয়ত্বের মধ্যে । সৃষ্টির যত অণূ পরমাণূ আছে - তার সবই স্রষ্টার ইচ্চাধীন । একটা কিছু নড়েনা স্রষ্টার ইচ্ছা ছাড়া । তার মানে কি - তিনি তো হাত দিয়ে কিছু নাড়াচ্ছেন না বা করছেন না । উনার ইচ্ছাতেই সব হয়ে যায় । এই যে মহাবিশ্ব তৈরী হলো এবং তা চালূ আছে - এর জন্য যে সব Physics Law আছে - তা কি এমনি এমনি হয়ে গেল ? এই Physics Law গুলো কি খুবই সাধারণ । আমাদের শরীরের যেসব অঙ-প্রতঙ্গ - লিভার - ফুসফুস, রক্তের কাজ, সুপার কম্পিউটার ব্রেন , চোখ - এই সব সূক্ষ ডিভাইস কি কেউ ডিজাইন করেনি - কেউ চিন্তা করেনি - এমনি হয়ে গেছে ? অবশ্যই না , তিনি চিন্তা করেছেন আর বলেছেন হও । প্রতিটা প্রাণী - প্রজাতি আলাদা । কেউ কারো থেকে আসেনি । সবই স্বতন্ত্র সৃষ্টি । আছে কি কোন মধ্যবর্তী প্রাণী - যা না মানুষ না বন-মানুষ ? হয় সবাই মানুষ - হয়তো গায়ের রঙ বা চেহারা ভিন্ন কিন্তু সব মানুষ - না হয় এক প্রকার বন মানুষ । কোন প্রাণী নাই যা দুইটার মাঝামাঝি । মুরগীও পাখি আর শালিকও পাখি - কত মিল। কিন্তু দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা ।
For many years, Francis Crick believed in the theory of molecular evolution, but eventually even he had to admit to himself that such a complex molecule could not have emerged spontaneously by coincidence, as the result of an evolutionary process:
An honest man, armed with all the knowledge available to us now, could only state that, in some sense, the origin of life appears at the moment to be almost a miracle.
Research has revealed that the mere combination of all the materials essential for life is not enough for life to get started. Even if all the essential proteins for life were collected and put in a test tube, these efforts would not result with producing a living cell. All the experiments conducted on this subject have proved to be unsuccessful. All observations and experiments indicate that life can only originate from life. The assertion that life evolved from non-living things, in other words, "abiogenesis", is a tale only existing in the dreams of the evolutionists and completely at variance with the results of every experiment and observation.
যারা ডারউইনে বিশ্বাস করে - তারা একটা ধোকার মধ্যে আছে । এটা এমন একটা থিওড়ী - যার মধ্যে সত্যের লেশ মাত্র নাই কিন্তু আছে ব্যাপক প্রচারণা । যারা প্রচার করে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিথ্যা বলে - এমনও আছে বানরের কংকালকে মানুষের পূর্বপুরুষ বলে চালিয়ে দেয় । মাটি খুড়ে কিছু কংকাল বের করে বলে এটা হলো আমাদের পূবপুরুষের কংকাল , পরে দেখে যে এটা আসলে বানরের । আবার কৃত্রিমভাবে কংকালকে পরিবর্তন করেও এরা মিডিয়াতে ছাড়ে । একটা মিথ্যা কে প্রতিস্ঠিত করার জন্য এরা প্রতিনিয়ত কতে যে মিথ্য বলে যাচ্ছে - তার কোন ইয়াত্তা নাই । অপারপক্ষে - কুরআনে ও হাদিসে কোন মিথ্যা নাই । কেউ প্রমাণ করতে পারবেনা - কুরআন ও হাদিসের কোন ভবিষ্যবাণী মিথ্যা হয়েছে । স্রষ্টি তত্ত্ব নিয়ে যা বলা হয়েছে - তা আংশিক এবং ততটুকুই যথেষ্ট । মানুষ সত্যবাদী হলে, পরি্শ্রমী হলে - সে ঠিকই সবটুকু জেনে নিবে । কোন কিছু নলা দিয়ে খাইয়ে দিলে এর মজা পাওয়া যায়না, মর্ম বুঝা যায় না - কস্ট করে জানলে বা বুঝলেই এর মর্ম বুঝা যায় ।
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান। (২ঃ২২)
আমাদের সোলার সিষ্টেমে আর কো পৃথিবী নাই কেন ? শুধুমাত্র পৃথিবী-ই কেন বাসযোগ্য ? সব কিছু স্রষ্টার ইচ্ছা ছাড়া হলে হাজার হাজার পৃথিবী আমাদের সামনে থাকত, নাই । কুরআনে আল্লাহ বলেছেন -
আমি সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে। অতঃপর কেন তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস কর না ? তোমরা কি ভেবে দেখেছ, তোমাদের বীর্যপাত সম্পর্কে। তোমরা তাকে সৃষ্টি কর, না আমি সৃষ্টি করি ? আমি তোমাদের মৃত্যুকাল নির্ধারিত করেছি এবং আমি অক্ষম নই।......অতঃপর যখন কারও প্রাণ কন্ঠাগত হয় এবং তোমরা তাকিয়ে থাক, তখন আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটে থাকি; কিন্তু তোমরা দেখ না। যদি তোমাদের হিসাব-কিতাব না হওয়াই ঠিক হয়, তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ? (সুরা ওয়াকিয়া)
তবে শেষ যমানায় দজ্জালের ফেতনা ভয়ংকর হবে । সে মানুষকে জীবিত করে দেখাবে - যা অনুমান করা যায় কিছু কিছু ইংলিশ মুভি দেখে । দুর্বল ঈমানের মানুষ ঈমান হারায়ে ফেলবে । আর যারা সঠিক ঈমানদার তারা ঈমানকে ধরে রাখবে আর যারা জানে যে - এটা ধোকা -কোলনিং করছে তারা তার ধোকায় পড়বেনা । সুতরাং সাবধান - ঈমান হারাবেন না , অমুসলমানদের ধোকায় পড়বেন না । একটু হলেও সময় দিন কুরআন ও হাদিসে । অপরকে বিশ্বাস করার আগে নিজেদেরকে জানুন ও বিশ্বাস করুন । যে আপন পর চিনেনা - সেই সবার আগে ধোকা খায় আর পরে পস্তায় ।
©somewhere in net ltd.