নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাদিস অনুসারে আমরা জানতে পারি যে - আল্লাহ সুবহানাতায়ালা প্রত্যেক বান্দার জীবন ও মৃত্যুর সময় তার জন্মের আগেই ঠিক করে দিয়েছেন।
'হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বান্দার পাচঁটি বিষয় লিখিয়া অবসর হইয়া গিয়াছেন - তাহার মৃত্যুর সময়, তাহার আমল, তাহার দাফন হওয়ার স্হান, তাহার বয়স ও তাহার রিযিক ।' (মুসনাদে আহমাদ)
সুতরাং তিনি যদি কোন ব্যক্তির জন্ম ১৯৭০ সালে এবং মৃত্যু ২০১৮ সালে লিখে থাকেন - তাহলে সে ব্যক্তির আর এক বছর আয়ু আছে ।
যে জানে যে সে আর এক বছর বাচবে সে কি ২০১৭ সালের আগমণে আনন্দিত থাকবে ?
আমাদের স্রষ্টা আমাদের মৃত্যুর সময়টা লুকিয়ে রেখেছেন- তিনি যদি তিনি তা না করতেন , তাহলে আমরা হিসাব করতাম আমাদের আয়ু আর কতদিন আছে আর আতংকিত থাকতাম ।
কারো শরীরে যখন ক্যান্সার ধরা পড়ে আর এটা যখন মারাত্নক আকার ধারণ করে তখন তাকে ডাক্তার বলে দেন সে আর কতদিন বাচবে । সেই ব্যক্তি প্রতিদিন হিসাব করে আর কতদিন বাচবে । আমাদের অবস্হাটাও অনেকটা এমন হত যদি আমরা জানতাম আমাদের শেষ দিন টা কবে, জানিনা বলে মনে এত আনন্দ ।
আবার মৃত্যু মানেই যে বেদনা - তা কিন্তু ঠিক নয় । এটা নির্ভর করে আপনি কি রকম জীবন পালন করছেন । মৃত্যু এমন এক কঠিন সত্য এবং অমোঘ যে এর থেকে কেউই পালাতে পারবেনা বরং এটাকে মনে রেখে যারা স্রষ্টার নির্দেশিত নিয়মতান্ত্রিক জীবন পালন করে তাদের জন্য মৃত্যুটা অতটা বেদনা দায়ক বা ভীতিকর নয় বরং তাদের জন্যই ভীতিকর যারা এর থেকে পালাতে চায় এবং জীবন থাকা অবস্হায় মৃত্যুর পরবর্তী জীবনটা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে । মৃত্যু তাদের জন্য এক বিভীষীকা হয়ে আসে ।
আমরা সবাই আনন্দে থাকতে চাই, সুখে থাকতে চাই , হ্যাপি থাকতে চাই । তাই আমরা বলি হ্যপি নিউ ইয়ার । কিন্তু আমাদের সুখী থাকাটা সম্পুর্ণ নির্ভর করে আমাদের স্রষ্টা স্সরণ করার মাধ্যমে এবং উনার নির্দেশিত জীবন চলার মাধ্যমে । নাহলে আমরা চাইলেও সুখী হতে পারবনা । তাই আমাদের বলা উচিত - আল্লাহ যেন আমাদের জীবন এবং সবার জীবন আনন্দে ভরে দেয় । এভাবে বলে দোয়া করার মাধ্যমে - আল্লাহর কাছে চাওয়ার মাধ্যমে এবং এর জন্য কাজ করার মাধ্যমেই আমরা জীবনকে সুন্দর করতে পারি । শুধু মুখে বললেই জীবন কখনো সুন্দর হয় না । কোন কিছুই হয় না ।
আল-কুরআনে মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ
'হে মানুষ ! কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালন কর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল ? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যাস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন । যিনি তোমাকে তার ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন । ' (সুরা আল-ইনফিতারঃ৬-৮) ।
'তোমরা কি দেখ না আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছেন এবং তোমাদের প্রতি তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহ পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন ? এমন লোকও আছে - যারা জ্ঞান , পথ নির্দেশ ও উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বাক বিতন্ডা করে ?
হে মানব জাতি ! তোমরা তোমাদের পালন কর্তাকে ভয় কর এবং ভয় কর এমন এক দিবসকে, যখন পিতা পুত্রের কোন কাজে আসবেনা এবং পুত্রও তার পিতার কোন উপকার করতে পারবেনা । নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওয়াদা সত্য । এতএব, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে ধোকা না দেয় এবং আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারক শয়তানও যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে ।
(সূরা-লোকমানঃ২০ এবং ৩৩)
©somewhere in net ltd.