নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেলিনা জাহান প্রিয়া , জন্ম পুরান ঢাকা, নাজিরা বাজার , নানা বাড়িতে ।বাবার বাড়ি মুন্সী গঞ্জ , বড় হয়েছি ঢাকা ।স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ ।ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে , কবিতা , গল্প , উপন্যাস পড়তে অজানাকে জানতে । ধর্ম বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্ম অন্ধ না ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া

পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শুরু আছে শেষ নাই শুধু। আমার লিখা কবিতার সাথে গল্পের সাথে আমার জিবনের কোন মিল নেই , আমি লিখি লিখিকা হবার জন্য নয় । ভাল লাগে তাই । অনেকই মনে করে আমি ব্যক্তি জীবনে খুব কষ্টে আছি । আসলে সুখ দুঃখ নিয়েই জীবন ।, অন্য ১০ জন মানুষের মতেই আমার জীবন ।

সেলিনা জাহান প্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক গল্প @ অ-মানব # ২৪ তম পর্ব

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৮



ট্রাক চালকের নাম সাবু । আসার পথে হেল্পার চলে যাই রাগ করে । সাবু মিয়ার তখন জ্বর । মহাজন কে বলে। কিন্তু মহাজন বলে জত জ্বরেই থাক তাকে আসতে হবে । তারাতারি করতে জেয়ে এই টিলার রাস্তা দিয়ে আসে ।হটাত তার বমি আর জর বেরে যায় । বমি করার জন্য সে ট্রাক থেকে নামে । তার পর আর কিছু মনে নাই । মুসা মিয়া বলল ভাগ্য ভাল এই মানুষ টা ছিল ।পাগল চালকে বলল জিবনে যা আপনার অধিনে না তাকে কন দিন বিশ্বাস করতে নেই যেমন অসুখ । মানুষের জিবনে মৃত আর রোগ না বলে প্রবেশ করে । মুসা মিয়া বলে – বাবাজি ঠিক বলেছেন ।সাবু বলে ভাই আপনএ না আসলে আজ কি জানি হত ।— পাগল বলে সব কিছু একটা অজানা নকশায় হচ্ছে । কেউ এই নকসা দেখতে পায় । আর কেউ পায় না। সব জিবন নিয়ে স্বপ্ন দেখে আর জিবন কি সেটা নিয়ে কেউ কন চিন্তা করে না।— মুসা মিয়ার মেয়ে পাগলের কথা গুলো আড়াল থেকে শুনে । বেদেনা ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পরেছে । সে তার বাবা কে ডেকে বলে বাবা আত মানুষ ঘরে তো চাউল নাই । দুপুরে কি রান্না করব । যে চাউল আছে তা দিয়ে তো সবার হবে না। মুসা মিয়া মেয়ে কে বলে আল্লাহর মেহেমান আল্লাহ্‌ একটা ব্যবস্তা করবে । ঘরে আসতেই সাবু বলে চাচজান একটাকথা বললে মনে কিছু নিবেন না।— কি কথা আর বলবেন আপনি আমি তো কেউ কারো চিনা জানা না।— আমার মায়ের সাথে আমার একটা পাচ বছরের মেয়ে আছে সে আসবে । আমি কিছু টাকা দিচ্ছি । আপনি আমাদের সবার জন্য কিছু বাজার করেন । এই বলে সাবু মিয়া দুই হাজার টাকা বের করে দিল ।ডাঃ জিবন আর দিলরুবা হোটেল খুব আরাম করে ঘুমাচ্ছে । ডাঃ জীবনের ঘুম দেখেদিলরুবা বলে কি উঠবে না ।— আরে উঠতে মনে চায় না ।— তাহলে ঘুমাও ।— হা একটু ঘুমিয়ে নেই । বিকেলে আমরা সাভার যাব ।— সাভার কেন ।— আমার এক বন্ধুর বাড়ি । দাওয়াত আছে ।— না আমি সাভার যাব না। তুমি যাও ।— কেন গেলে কি হবে ।— কি আবার হবে । আমি কি তোমার বিয়ে করা বউ ।— না বিয়ে করা বউ না হলে কি সমস্যা ।— তোমার সমস্যা না থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে । আমি মেয়ে মানুষ । কেউদেখলে বা জানতে চাইলে মিথ্যা বলতে হয় । তোমার জন্য আমি যে কত মিথ্যা বলি । আমার বান্ধবি ঠিক বলত মানুষ প্রেমে পড়ে শয়তানের জন্য । এই প্রেম মানুষ কেমিথ্যা বাদী বানায় ।— ডাঃ জিবন চিন্তা পড়ে গেল । এবার বলল – ঠিক আছে আশুলিয়া যাব ওকে— ঠিক আছে । আমি গোসল করতে গেলাম ।— ডাঃ জিবন দিলরুবার ফোন ম্যাসেজ সব চেক করে দেখল । না। কিছুই নাই ।সে একটা ফোন দিল তার লোকের কাছে বলল আশুলিয়া ।— দিলরুবা গোসল শেষ করে বলল -একটা কথা আমাকে বিয়ে করছকবে।— দিলরুবা আমি বিয়ে করলে তোমাকেই করব । বাড়ির ঝামেলা টা শেষ করি ।তার পর ।— প্রেম করার সময় তো পা ধরে বলেছিলে দিলরুবা তুমি আমার জিবন । জখন চাইবে বিয়ে করব । আসলে তোমরা পুরুষ মানুষরা একবার একটা মেয়ের জিবনভোগ করলে অন্য একটা মেয়ের জন্য প্রেম জেগে উঠে । তোমাদের প্রেম শরীর আর কিছু না। তবে আমি দিলরুবা আমারশরীর আমি হাটে তুলব না। আমি বিক্রি একবার হইছি । আর বিক্রি হব না। বাচি আর মরি । তুমি মেয়ে মানুষ দেখছ কিন্তুআমাকে দেখ নাই ।— তুমি কি বলতে চাও ।— জীবন তোমার ফোন রেকট হয় । তুমি জান । আমার সব কিছু তুমি জান না ।তুমি কখন কার সাথে কি কথা বল । তোমার মোবাইল থেকে সব কিছু এখনরেকট ।— জীবন ভয় পেয়ে বলে । এটা কি তুমি ইচ্ছা করে করছ ।— দেখ প্রেম করছ আমার সাথে । রাতের পর রাত থাকছ আমার সাথে । আর বিয়েকরবা অন্য মেয়ে । তাহলে তুমি কি ?— আমি কি মানে ?— তুমি একটা লোফার ।— আমি লোফার ?— ডাঃ। জীবন ভুইয়া তুমি নিজেকে খুব চালাক মনে কর তাই না।— দিলরুবা কোন চালাকি না ।— তাহলে এখন বিয়ে কর ।— বিয়েই কি জীবনের সব ।— না বিয়েই সব না মিঃ জীবন । মেয়ে মানুষ নিয়ে খেলা সব ।— আমি তোমার সাথে ঝগড়া করব না।— তোমাকে তো ভাল মানুষ জন্ম দেই নাই । কাপুরুষ জন্ম দিয়েছে ।— ছিঃ দিলরুবা ।— ঘুম থেকে উঠ । আমাকে নিয়ে একটু নিউ মার্কেটে যাও । আর আমি কোন পিলখাব না। আমি চাই তোমার মত একটা কাপুরুষ আমার গর্ভে জন্ম নেক ।ডাঃ জীবন অবাক হয়ে দিলরুবার দিকে চেয়ে থাকে কি শান্ত মেয়ে ছিল আজ দেখি পুরা কাল নাগিনী রে বাবা । কোন কথা না বাড়িয়ে সে তার ফোন টা অফ করে দেয় । কারন কথা যদি সত্যি রেকট হয় । তাহলে তো সব পরিকল্পনা ফাস হয়ে যাবে ।বিকেলে বের হয় ডাঃ জীবন এর দিলরুবা । ডাঃ জীবন তাকে বুঝতে চায় যেতার পক্ষে এখন কোন ভাবেই বিয়ে করা সম্ভব না। দিলরুবা কে একটা ফাস্ট ফুডের দোকানে বসিয়ে বাহিরে আসে । তার সাথে দুই জন কথা বলে । একজন বলে আমি আপনাকে আমার বোনেরজন্ম দিনের কথা বলে হোটেল থেকে নিতে আসব । খুব কাছের কথা বলে আমি আর আপনি ঐ মেয়ে সহ রওনা দিব । তার পর ঐ মেয়ে কে তুলে নিব ।ডাক্তার জীবন বলে এখন আর সম্ভব না। অ খুব চালাক । হোটেল এ সে তার আসল নাম ঠিকানা ব্যবহার করেছে । আমার সাথে ঢাকা এসেছে এটাও তার বন্ধু জানে । আমরা ছুটি শেষ করে চলে যাব । পড়ে তাকে আমি ঢাকা আবার নিয়ে আসব । এই নাও কিছু টাকা রাখ । ডাঃ জীবন এখন নতুন পরিকল্পনা করছে দেশের বাহিরে চলে যাবে । দিলরুবা কে নিয়ে হোটেলেফিরে আসে । মনে মনে ভাবতে থাকে কি করা যায় । এমন সময় হোটেলে পুলিশ আসে । সবার রুমে রুমে চেক করছে । এখন ডাঃজীবনের রুমে পুলিশ । ডাঃ জীবন পরিচয় দেয় সে ডাক্তার । সাথে তার স্ত্রী । পুলিশ বলে আপনি ডাক্তার ঠিক আছে আপনার স্ত্রী ঠিক আছে । তবে আমরা আপনাদের সম্মান করি । এই নিন দুইটা সাদা কাগজ । আপনারা শিক্ষিত মানুষ । দুইজন দুই দিকে যান । আমি যা বলব তাই লিখবেন ।ডাক্তার বলল এটা কেমন কথা । পুলিশ বলল- জিবনে অনেক পরীক্ষা দিয়েছেন স্যার কিন্তু পুলিশের পরীক্ষায় পাস করলে বুঝতে হবে আপনি ভাল ছাত্র । দিলরুবা কিছুটা ভয় পেল । ডাক্তার বলল কি লিখতে হবে ।পুলিশ হেসে বলল স্যার আপনারা দু জন আপনাদের নাম কে কি করেন লিখেন । দুই জন লিখলো । পুলিশ বলল – কেউ কারো দিকেদেখবেন না। এখনআপনারা আপনাদের বিয়ের তারিখ লিখেন । এবং কোথায় কোন জেলায় বিয়ে হয়েছে লিখেন । কত দিন বিয়ে হয়েছে ? হানিমুন কোথায় করলেন? শ্বশুরের নাম লিখেন ? দু জন দুজানার অভিবাবকের নাম ও ফোন নাম্বার লিখেন ।পুলিশ বলল- লিখা শেষ দারুন । কাগজ হাতে নিয়ে দেখল । কোন মিল নাই ।ডাক্তার বলল- সরি ও আমার বান্ধবি । আমারা দু জন দুজন কে ভালবাসি । এখনো বিয়ে করি নাই । মানে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করব । পুলিশ হেসে বলেপুলিশের পরীক্ষা বি সি এস থেকে জটিল যারা পাস করে তারা কিন্তু পুলিশের মাথায় কাঁঠাল ভাংতে পারে । আপনারা শিক্ষিত মানুষ যদি আপনারা সমাজ কে নোংরা করেন তাহলে এই সমাজ শিখবে কার কাছ থেকে । দেখুন পুলিশের চোখ ফাকি দেয়া যায় না। আমরা মানুষের চোখের ভাষা দেখেইবুঝে নেই ।ডাঃ জীবন কে বলল- আপনি সরকারি চাকুরি করেন । আপনার সম্মান আছে ,আপনার কিছুই হবে না। কিন্তু এই মেয়েটা সমাজে কি হবে । আপনারা সমাজে মুখোশ পড়ে সব আকাম করেন আর সব দোষ একজন নারি কে সহ্য করতে হয় । আপনি যত বড় অফিসার হন তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। আমি আপনাকে অসামজিক কাজের জন্য গ্রেফতার করলাম । আগে থানায় তার পর অন্য সব । পুলিশ তাদের গাড়িতে তুলে নিল ।চলমান——–

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.