![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে বিরোধীজোট বিএনপি ও জামায়াতরে এক ডজন নেতার বিচার করছে
আওয়ামী লীগ সরকার। তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে এ বিচার করলেও তাদের দলে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নিরব। এ
দলটিতেও রয়েছে, কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগাকরীসহ অসংখ্য স্বাধীনতাবিরোধী। কিন্তু তারা রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় বক্তৃতায় বলেছেন, আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলে দেখিয়ে দেন-আমরা তাদের বিচার করব। আমাদের অনুসন্ধানে নিচে ২৩ আওয়ামী রাজাকারের তালিকা তুলে ধরা হলো।
আওয়ামী লীগের এই ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী বা তাদের পরিবার কোন না কোনভাবে ৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। মক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের এসব নেতা ঘৃণিত ভূমিকা পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বনে গিয়েছে। ১৯৭১ সালে মক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন তারা।
নিচে আওয়ামী লীগের এসব যুদ্বাপরাধীর নাম ও তাদের কর্মকাণ্ডের কিছু তথ্য দেয়া হলো:
১. অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শাসম বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মজিবুর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার
পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে 'মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল' শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
২. লে.কর্ণেল (অব) ফারুক খান: পর্যটন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ধ” বই।
৩. ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
৪. অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও
শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত বছরের ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্ধাপরাধের তালিকায় (ক্রমিক নং-৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
৫. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপনেতা ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ মেম্বার অব ন্যাশনাল
এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে।
জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের
বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য উল্লেখ আছে।
৬. সৈয়দ জাফরউল্লাহ: আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। মাসিক “সহজকথা” আয়োজিত যুদ্ধাপরাধের বিচার:বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য
দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। “মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান ” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
৭. মুসা বিন শমসের: গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেউ
বলছেন না কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্দ্ধাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।
৮. মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা গোলাম আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদরদের গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে
নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধ ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম।
৯. এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৬
ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘
মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব
পাকিস্তানে কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। ৯ জানুয়ারি রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, রাজাকার আশিকুর রহমান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বলে তার বিচার করবেন না তা হয় না। আমরা সব রাজাকারের বিচার চাই। মন্ত্রীসভায় রাজাকার রেখে রাজাকারের বিচার করা যায় না।
১০. মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাদপুর-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশারক পদে কর্মরত ছিলেন।
তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ সময় আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্ঠার মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙালি অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তাকে চিহ্নিত রাজাকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি তার বিচার দাবি করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
১১. মাওলানা নুরুল ইসলাম: জামালপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সরিষা বাড়ী এলাকার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশ্যপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” গ্রন্থের ৪৫ পৃষ্ঠায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এ ছাড়া গত ২৮ এগ্রিল দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১২. মজিবর রহামান হাওলাদার: কুটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার সশস্ত্র রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায়
বসতবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটানোসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১ নম্বরে । এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকায়ও যুদ্বাপরাধী হিসেব তার নাম আছে।
১৩. আবদুল বারেক হাওলাদার: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের পিতা আবদুল বারেক হাওলাদার ৭১ এ দালাল
ছিলেন। গোপালগঞ্জের কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪১ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট । দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সে তালিকাতেও তার নাম আছে। বারেক হাওলাদার মুক্তিযুদ্ধের সময় নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত ছিলেন।
১৪. আজিজুল হক: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের ভাই আজিজুল হক কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গোপালগঞ্জের
কোটলীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বপরাধীর তালিকায় তার নাম ৪৯ নম্বরে। এ তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট। দ্বিতীয় বার গত ১ এপ্রিল যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানেও তার নাম রয়েছে।
১৫. মালেক দাড়িয়া: আওয়ামী লীগ নেতা ও গোপালগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি ছিলেন আল বদরের একনিষ্ঠ সহযোগী। গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন তিনি। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম ১৪০ নম্বরে। তালিকা প্রকাশ করা হয় ২০০৮ সালের ১ আগষ্ট।
১৬. মোহন মিয়া: গোপালগঞ্জ কোটারিপাড়া উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি আমির হোসেনের পিতা মোহন মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার
ছিলেন। স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করেছেন। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হক স্বাক্ষরিত গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ছিল ১৫৭ নম্বরে।
১৭. মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া: উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার বাবা মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া রাজাকার ছিলেন। যুদ্বাপরাধীর তালিকায় তার নাম আছে। তিনি পাকিস্তানীদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ
করতেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের গোপন খবর পাকবাহিনীকে পৌঁছে দিতেন।
১৮. রেজাউল হাওলাদারঃ কোটালিপাড়া পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদের নাম ২০৩ জন রাজাকার, আল বদর, আলশামসসহ গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি আল বদর সদস্য হিসেব স্থানীয় মু্ক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
১৯. বাহাদুর হাজরাঃ কোটালিপাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র এইচ এম অহেদুল ইসলামের পিতা বাহাদুর হাজরার নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন সক্রিয় রাজাকার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন।
২০. আ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারঃ গোপালগঞ্জের এ পি পি ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের নাম গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত কোটালিপাড়ার যুদ্বাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি পাকিস্তানীদের দোসর ও আল বদর বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। আল বদর বাহিনীর সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করতেন তিনি।
২১. হাসেম সরদার: অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদারের পিতা হাসেম সরদারের নাম কোটালীপাড়ার যুদ্ধাপরাধীর তালিকায় রয়েছে। তিনি একজন রাজাকার ছিলেন। ৭১ সালে তার নেতৃত্বে অনেক সাধারণ বাঙালির বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল।
২২. আবদুল কাইয়ুম মুন্সি: জামালপুর বকশিগঞ্জ আওয়ামী লীগ সভাপতি অবুল কালাম আজাদের পিতা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহয়তা ও মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল জামালপুর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মালিচর নয়াপাড়া গ্রামের সিদ্দিক আলী এ মামলা দায়ের করেন। আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত বলে জানা গেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আবদুল কাউয়ুম মুন্সী পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করার জন্য বকশিগঞ্জে আল বদর বাহিনী গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাক বাহিনীর
সাথে থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেন।
২৩. নুরুল ইসলাম-নুরু মিয়া: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুরুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তারা মন্ত্রী ও তার ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, তার বাবা নূরু মিয়া মু্ক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকর ছিলেন। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফরিদপুরের রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম থাকলেও তিনি যুদ্বাপরাধী ছিলেন না। পরের দিন ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় এ খবরটি প্রকাশিত হয়। নুরু মিয়ার অপকর্মের বিষয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির
অবস্থান’ বইয়ে বিস্তারিত বলা আছে। জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন প্রতিনিধি হয়েও আওয়ামী লীগের ২৭ নেতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন। তারা কেউ ছিলেন (এম এন এ) জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ ছিলেন (এম
পি এ) প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। মুক্তিযুদ্ধে তারা হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। দেশের মুক্তিযোদ্বাদের হত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ এবং বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ নানা ধনের মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথেও তারা যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুজিবনগরের সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, যুদ্ধাপরাধের সংক্রান্ত কিছু বই থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ সব নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এবার দেখা যাক মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গাহীন-চেতনা বাস্তবায়নে ব্যস্ত আমাদের বাআল সরকার কি ব্যবস্থা নেয়! নিশ্চয়ই নিজের ঘর আওয়ামী লীগকে রাজাকার মুক্ত করতে বাআলের মধ্যে থাকা রাজাকারগুলোর বিচার করবে তারা। তো আর দেরি কেন-প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই মোশাররফকে দিয়েই শুরু হোক...
উত্স : Click This Link
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
আবু তাশফীন বলেছেন: দল-মত নির্বিশেষে সব রাজাকারের বিচার চাই।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
আহলান বলেছেন: এসব কথা বলার সময় কি এখন?
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: বিএনপি আসলে করবে? তখন এই সব রাজাকারের বিচার চেয়ে মগবাজারে মিছিল করবেন না করছে? বিএনপি লিগে গু ছাফ করে দিবে তখন আর এখন লীগ বিএনপি জামায়তের গু ছাফ করে দিচ্ছে।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
রুথলেস রাস্টস বলেছেন: সাজেদা চৌধুরী রাজাকার!
ওই মিয়া! পানি খাইসেন??
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
বিডি আমিনুর বলেছেন: সব রাজাকারের বিচার চাই।
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
অজানাবন্ধু বলেছেন: আমরা সব রাজাকারের বিচার চাই।
আপনার লিংকটা হচ্ছে একটা ফেসবুক আইডি, প্রশ্ন হচ্ছে এটা কতটুকু বিশ্বাস যোগ্য?
৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
ShusthoChinta বলেছেন: শাহবাগীরা শুধু যে কয়জন রাজাকার গ্রেফতার হয়েছে সেগুলোর ই শুধু ফাঁসি চাইতেছে,অথচ বাকিদের ব্যাপারে নিরব! মনে হয় রাজাকার এই কয়জন ই,সারাদেশে এদের বাইরে আর রাজাকার নেই! এই কজনকে ফাঁসি দিলেই মনে হয় দেশ কলংকমুক্ত হয়ে যাবে! যুক্তিতে বেশি প্যাঁচে পড়লে শাহবাগীর পাবলিক বলে ওঠে,বেশ তো আওয়ামিলীগের রাজাকারগুলোর বিচার বিএনপি করবে! তাইলে বলতে হয় তোমরা কি ফালাইতে শাহবাগে গেছো? খালি জামাতি রাজাকারদের বিচার করতে? এইজন্য ই তো বলা হয়,এই আন্দোলন আওয়ামী সমর্থনপুষ্ট একটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়!
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
ওরে ওরে ওরে
এতো দেখি হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দেবার মতন অবস্থা।
আউয়ামী বাকশালীরা কিভাবে এই পোষ্টের জবাব দেয় দেখি।
১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
এস দেওয়ান বলেছেন: যেই রাজাকাররা এখনও ৭১-এর সুরে কথা বলছে বিচার শুধু তাদেরই হচ্ছে । বিএনপি তো কখনই রাজাকারদের বিচার করেনি আর আগামীতেও করার সুযোগ নেই । কারণ, বিএনপি সব সময় বলে এসেছে যে রাজাকারদের ব্যাপারটা নাকি অনেক আগেই নিস্পত্তি হয়ে গেছে তাই নতুন করে বিচারের দরনেই ।
১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
গেদু চাচা বলেছেন: শাহবাগের আওয়ামী প্রজন্ম একবারো এদের কথা কয়না কেন?
১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
অেসন বলেছেন: এই সরকার বিচার না করলে পরবর্তীতে অন্য সরকার করবে।
আইনতো কোন নির্দিষ্ট সরকারের জন্য না।
তবে অনেকেই তখন পাকিস্তান সরকারের অধীনে সামরিক/ বেসামরিক পদে চাকুরীরত ছিলেন। আপনি কি বলতে চান, এরা কি সবাই রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী ? উনারা রাজনীতি করতেন না, উনারা মুক্তিযোদ্ধা না তাই বলে যুদ্ধাপরাধী !
কাদের সিদ্দীকির কথার উদাহরন দেন, যখন উনি আওয়ামী লীগার ছিলেন তখন উনার এই কথাগুলো কোথায় ছিল ?
১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
গেদু চাচা বলেছেন: তথ্য: বি বাড়িয়ার আওয়ামিলীগ নেতা মোবারক হোসেন। এখন চিহ্নিত রাজাকার। ত্রাইবুনালের মামলায় একমাত্র জামিন পাওয়া আসামী। যুদ্ধাপরাধের ৫ টা মামলা আছে তার বিরুদ্ধে
১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
গেদু চাচা বলেছেন: এস দেওয়ান .। তার মানে সুর বদলে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়।
আপনারা পারেন মানুষকে হাসাতে।
অেসন: মুক্তিযুদ্ধ কি শুধু রাজনীতিবিদরা করেছে? আপনাদের কাছে নতুন ইতিহাস শিখতে হবে। আওয়ামিলীগ বলে কথা। এদেশের শত শত মুক্তিযোদ্ধা পাকি চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। ইতিহাসটা বোধ হয় জানেন না
১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
কেএসরথি বলেছেন: স্বাধীনচেতা দলের দেশ প্রেমিক নেতা দের রাজাকার বলার জন্য আমি, দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই লেখকের ব্যান চাচ্ছি!!!
আশা করি সামু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন!!
১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
সজিব ইসলাম বলেছেন: কেমনে কয়বো সাহবাগিরা ওদের খায় ওদের পরে ওদের টাকায় মোজ ফুর্তি করলে কি ওদের কথা বলা যায়।
১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
নরাধম বলেছেন:
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে করবে, তখন তাদের সাথে থাকব। এখন বিএনপি-জামাতের রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, তাই আ'লীগের সাথে আছি।
১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
চলতি নিয়ম বলেছেন: আপনারও শাহাবাগী দের মতো মাঠে নেমে পড়ুন না। সাথে আছি।
না পারলে চুপচাপ বৈসা থাকেন। একটা একটা করে শেষ হতে দেন। ত্যানা পেচায়য়েন না।
১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: এটা কি শুনলাম.
২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
মিজান আফতাব বলেছেন: নুরু মিয়া ছাড়া বাকিগুলোর নামে কোন প্রকার অভিযোগই তো নেই। হত্যার নির্যাতনের সাক্ষী প্রমান দুরের কথা। আছে নাকি ? সাক্ষী প্রমান পেলে জানাইয়েন ...
২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমি মনে প্রানে চাই যেগুলার বিচার চলছে এগুলাকে আওয়ামীলীগ ফাঁসি দিয়ে যাক যতে করে কোন দিন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে হাসিনার দুই বেয়াইরে ফাঁসি দেবার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।
২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০
ফায়ারম্যান বলেছেন: মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালে ছিলেন পাকিস্থান সরকারের জেলার অতিরিক্ত ডিসি ।
আর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সাংসদ এমকে আনোয়ারের পদবী তো ছিল এদের থেকে আরও একধাপ উপরে !! সূতরাং এমকে আনোয়ার এদের থেকেও বড় রাজকার ছিলেন !!!!!!!
বিএনপির জ্যেষ্ঠ সাংসদ এমকে আনোয়ার মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্থানীদের পক্ষে ঢাকা জেলার ডিসি হিসেবে কাজ করেছেন ।এমন কি তার পাকিস্থান প্রীতি ও কওমের সেবাতে মুগ্ধ হয়ে পাকিস্থান সরকার তাকে তঘমায়ে পাকিস্তানের উপাধিতে ভূষিত করে।
বর্তমানে শী্র্ষস্হানীয় দোষর বাহিনীর শী্র্ষস্হানীয় কেন্দ্রীয় লিডার রাজাকারদের বিচার চলছে ।আমি আশাকরি দল মত নির্বিশেষে শী্র্ষস্হানীয় রাজাকার থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের সকল রাজাকারের বিচার ধারাবাহিকভাবে থাকবে ।
২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১
শয়ন কুমার বলেছেন: প্রথমেই বলিঃ আমি লীগ বিম্পি জামাত সবদলেরই রাজাকারের বিচার চাই ।লীগ বিম্পিতে লুকিয়ে থাকা সব রাজাকাররে কতল করা হোক । আগামী ২ -৩ টার্মের সব সরকারেই যদি আন্তরিক হয় তাইলে ১১ হাজার রাজাকারেরও বিচার সম্ভব । অফটপিকঃ এই ১১ হাজার শিষ্য কিন্তু এখন সবদলেই লুকায়া আছে
পোষ্টের মেইন বিষয়ে ফিরে আসিঃ
মিথ্যেবাদীরা যেমন বিশ্বাস করে ধৃত ব্যক্তিরা ৭১ এ রাজাকারদের সাথে ছিল না , তেমনি এরা আরও বিশ্বাস করে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদা চৌধুরীও একজন রাজাকার !!! বেগম সাজেদা চৌধুরী চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম-নোয়াখালী-চাঁদপুর অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন, তার আসন এন,ই ১৬৫, মহিলা আসন-৩। মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারে তার পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং ছিলো ১৮২২, পদবী ছিলো ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা্ এবং দায়িত্বস্থল ছিলো আগরতলা মহিলা শরণার্থী শিবির, পরে তাকে আগরতলা নার্সিং প্রশিক্ষণ শিবিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুজিবনগর সরকারের দলিলপত্রে মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় সাজেদা চৌধুরীর নাম তিন নম্বরে আছে।(সূত্র: মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান: এএসএম সামছুল আরেফিন, পৃষ্টা-১৩৩ ও ৩২৩)
৩)এমনকি সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের কমার্স সেক্রেটারী। যার স্বামী মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের সদস্য তার ঘরের বউ রাজাকার দাবিটা হাস্যকর হয়ে যায় না !!!!!!!!!এই তো মাত্র কয়দিন আগে মোনাফেক ছাগুদের মোনাফেকির প্রমাণ দিলাম। তবে তারা কি থামে, নিত্যনতুন মিথ্যাচার, গিবত আর অপপ্রচারে তারা মশগুল। যাহোক স্বল্প কথায় দেখি তাদের নতুন কাহিনী। আলহামদুলিল্লাহ, এইবার তাদের টার্গেট বেগম সাজেদা চৌধুরী। আর মানুষ পাইলো নারে ভাই, একটা অট্টহাসি আগে হাইসা নিই।
তো ছাগুদের বক্তব্য হইতেছে বর্তমান সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীসহ ১৯৭০এর নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে ৮৮ জন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও তার গভর্নর টিক্কা খানের সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তাদের সদস্যপদ বহাল করেছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ওই ৮৮ জন এমপির নাম, পিতার নাম, ঠিকানা ও সংসদীয় এলাকার উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করেছিলো। ব্লা ব্লা ব্লা…
তো ঠিকাছে দেখা যাক তাইলে গেজেট নোটিফিকেশনে কি আছে। আরে তাইতো সাজেদা চৌধুরীর নাম দেখা যায় দেখি! তো ৭ আগস্ট প্রকাশিত গেজেট নোটিফিকেশন দেওয়া হইছে ঠিকাছে। এই সংক্রান্ত প্রেসনোট কি বলে?
৮ আগস্ট দৈনিক পাকিস্তানে এই সংক্রান্ত প্রেসনোটের ভাষা হইতেছে: বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের ৮৮ জন জাতীয় পরিষদ সদস্যের আসন বহাল থাকবে এবং অন্যান্যদের তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খন্ডনের সুযোগ দেওয়া হবে। আজ এখানে এক সরকারী প্রেসনোটে এ কথা ঘোষণা করা হয়।
প্রেসনোটে বলা হয়: এখানে উল্লেখযোগ্য ১৯৭১ সালের ২৮ জুন তারিখে প্রেসিডেন্ট তার বেতার ভাষণে বলেন যে তিনি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তবে যারা অপরাধমূলক কাজ করেছেন, তারা ব্যতীত এ বিলুপ্ত পার্টির অপর এমএনএ ও এমপিএগন ব্যক্তিগতভাবে তাদের আসনে বহাল থাকবেন (অর্থাৎ স্বতন্ত্র স্ট্যাটাস দেওয়া হইবো তাগোরে)। সেইহেতু পাকিস্তান সরকার আজ বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের যেসব নির্বাচিত এমএনএ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্য হিসেবে তাদের আসনে বহাল থাকবেন, তাদের তালিকা ঘোষণা করেছেন। বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের অপর সকল এমএনএ যাদের নাম এ তালিকায় উল্লিখিত হয়নি, তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে তাদেরকে দন্ডনীয় অপরাধমূলক কাজ সংক্রান্ত তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিজেদের খন্ডনের সুযোগ দেওয়া হবে। নবনির্বাচিত এমপিএদের ব্যাপারে পরে ঘোষণা দেওয়া হবে।…
জেনারেল রাও ফরমান আলীর নির্দেশিত এই প্রেসনোটে কোথায় বলা হইছে আওয়ামী লীগের ৮৮ জন আনুগত্য স্বীকার কইরা আসন বজায় রাখছে! কাডাল পাতা খাইয়া যা ইচ্ছা তাই লিখলেই তো হইবো না মামুরা। একদম উপরে দেওয়া মর্নিং নিউজের খবরে ইংরেজিতেও একই কথা লিখা। প্রেসনোটের টেক্সট হাই রেজুলেশনে দিলাম পইড়া নিও মামুরা।
মজার ব্যাপার হইলো কয়দিন পর আরো ছয়জনরে মাফ কইরা সংখ্যাটা ৯৪ বানানো হইছে। কারণ কি, বাকি আসনগুলাতে জামাত-পিডিপি-নেজামে ইসলামীর নেতা পাওয়া যাইতেছিলো না নাকি? যাইবো না কেনো, তারা তো নতুন গভর্নর মালিকের অধীনে মন্ত্রীসভা পর্যন্ত গঠন কইরা ফেলছে একমাস পরই। কিন্তু কই আওয়ামী লীগের একজন সদস্যও তো সেই মন্ত্রীসভায় যোগ দিলো না। কেম্নে কি মামুরা?
আওয়ামী লীগের কোন ঠ্যাকা পড়ছে? এই ঘোষণা পাকিস্তান সরকারের। বঙ্গবন্ধূ শেখ মুজিবুর রহমানরে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা কইরা নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়া আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করছে ১২ এপ্রিল এবং তারা ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করছেন। ওই ঘোষণার পরই তো পূর্ব পাকিস্তান বইলা কোনো কিছুর অস্তিত্ব নাই। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান হইয়া গেছে যুদ্ধটা। তাইলে ইয়াহিয়ার ঘোষণায় ঠ্যাং দিয়াও পোছার কথা না আওয়ামী লীগের। তো ইয়াহিয়া এই চালটা দিয়া কি করতে চাইছে! এই ব্যাপারে ৫ সেপ্টেম্বর এক বেতার ভাষণে ক্লিয়ার করে দিছেন বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ:
জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের কিছু সংখ্যক প্রতিনিধির আসন বাতিল করে আর কিছু সংখ্যকের আসন বজায় রেখে ইয়াহিয়া কাকে ধোকা দিতে চাইছেন? তিনি এমনতর ভান করছেন যে, যাদের আসন বাতিল হয়নি, তারা বুঝি তার চক্রান্তের সমর্থক। জনসাধারণের সুস্পষ্ট অভিপ্রায়ই জাতির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতার উৎস। তারা কোনো ক্ষমতা দখলকারীর আজ্ঞাবহ নন এবং তার উদ্ভাবিত ফন্দি-ফিকিরে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। গত জুলাই মাসের সম্মেলনে এমএনএ ও এমপি এরা বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধীনতার জন্য অবিরাম সংগ্রামের প্রতিজ্ঞা পুনরায় ঘোষণা করেন। জনপ্রতিনিধিদের বিচার করার হাস্যকর প্রচেষ্টা কিংবা তাদের বিষয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রয়াস তাদের প্রতিজ্ঞা থেকে টলাতে পারবে না।
এইবার আসি বেগম সাজেদা চৌধুরীর অবস্থানে। বেগম সাজেদা চৌধুরী চট্টগ্রাম-পার্বত্য চট্টগ্রাম-নোয়াখালী-চাঁদপুর অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন, তার আসন এন,ই ১৬৫, মহিলা আসন-৩। মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারে তার পেশাভিত্তিক ক্রমিক নং ছিলো ১৮২২, পদবী ছিলো ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা্ এবং দায়িত্বস্থল ছিলো আগরতলা মহিলা শরণার্থী শিবির, পরে তাকে আগরতলা নার্সিং প্রশিক্ষণ শিবিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুজিবনগর সরকারের দলিলপত্রে মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় সাজেদা চৌধুরীর নাম তিন নম্বরে আছে।
(সূত্র: মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান: এএসএম সামছুল আরেফিন, পৃষ্টা-১৩৩ ও ৩২৩)
মুক্তিযুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্থা নারীদের পুনর্বাসনের জন্য একটি কমিশন করে বাংলাদেশ সরকার, সেখানে সাজেদাও ছিলেন। As the scope of the problem became ever more apparent and relief funds poured in from the largest UN-led relief operation ever organised up to then, the new government of Sheikh Mujibur Rahman, urged on by Ministers Budrunnessa Ahmad and Nurjahan Murshed,- set up a government structure to address not only the plight of raped women, but also that of the numerous women left destitute without family support -- in a society where independent women were practically unknown.
The Bangladesh Women's Rehabilitation Board (subsequently to become the Women's Rehabilitation and Welfare Foundation) was formed on February 18, 1972 as a semi-autonomous organisation affiliated with the Ministry of Social Welfare. The 13-member governing board was headed by Justice K.M. Sobhan, a sitting Supreme Court judge, and consisted of prominent women political leaders and war widows.-
The board members were: Justice K.M. Sobhan, Budrunnessa Ahmad, Nurjahan Murshed, Sajeda Chowdhury, Momtaz Begum, Rafia Akhtar Dolly, Nilima Ibrahim, Sufia Kamal, Jahanara Rabbi, Lily Chowdhury, Basanti Guhathakurta, Mushfequa Mahmud and Abdul Awal (executive director), Bangaldesh Observer, "High Powered Body to Rehabilitate Women Victims," February 24, 1972,.
প্রসঙ্গত ফেসবুকে বন্ধু লীনা দিলরুবা বেগম সাজেদা চৌধুরীর মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ঠতা নিয়া মন্তব্য করছিলেন:
১) সাজেদা চৌধুরী নিজে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। জোবরা ক্যাম্পে উনি যাদের সাথে ট্রেনিং নিয়েছিলেন তাদের কাছে সব গল্প শুনতে পারবেন।
২) উনার চাচাতো বোন, ফেরদৌসি প্রিয়ভাসিনী। আশাকরি উনার নামই উনাকে চেনাতে যথেষ্ট।
৩) সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের কমার্স সেক্রেটারী।
৪) লে. সামাদ (বীর বিক্রম) উনার ফুপাতো ভাই।
৫) উনার খালাতো ভাই মেজর জিয়াউদ্দিন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
৬) বড় ছেলে আয়মান আকবর মুক্তিযোদ্ধা
৭) মেজ ছেলে সাজেদ আকবর মুক্তিযোদ্ধা।
লিস্ট একশ পর্যন্ত যাবে। আর লাগলে বইলেন।
এইবার একটা ছবি দেখাই। ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশরে স্বীকৃতি দেয়। তখন মুজিব নগর সরকারে রীতিমতো ঈদের আনন্দ। তিন মন্ত্রী কামরুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক এবং মনসুর আলীরে মালা দিয়া বরণ করা হয়। সেই ছবির ডান দিকের মহিলাটা হচ্ছেন বেগম সাজেদা চৌধুরী। এর দশদিন পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
আফসোস!! মিথ্যে প্রচারনাকারী ছাগুর দল আবার ধরা খাইয়া গেল ।
২৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
শামীম 776 বলেছেন: আফসোস মন্ত্রী সভায় রাজাকার থাকলেতো রাজাকারের সঠিক বিচার হবে না।
২৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪১
২০১৩ বলেছেন: শাহবাগীরা শুধু যে কয়জন রাজাকার গ্রেফতার হয়েছে সেগুলোর ই শুধু ফাঁসি চাইতেছে,অথচ বাকিদের ব্যাপারে নিরব! মনে হয় রাজাকার এই কয়জন ই,সারাদেশে এদের বাইরে আর রাজাকার নেই! এই কজনকে ফাঁসি দিলেই মনে হয় দেশ কলংকমুক্ত হয়ে যাবে! যুক্তিতে বেশি প্যাঁচে পড়লে শাহবাগীর পাবলিক বলে ওঠে,বেশ তো আওয়ামিলীগের রাজাকারগুলোর বিচার বিএনপি করবে! তাইলে বলতে হয় তোমরা কি ফালাইতে শাহবাগে গেছো? খালি জামাতি রাজাকারদের বিচার করতে? এইজন্য ই তো বলা হয়,এই আন্দোলন আওয়ামী সমর্থনপুষ্ট একটা নাটক ছাড়া আর কিছু নয়!
২৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
অেসন বলেছেন: @গেদু চাচা , আপনি আমার কথা বুঝতে পারেন নাই।আমি পাকি চাকরি
করা যাদেরকে রাজাকার বলা হয়েছে তাদের ব্যাপারেই শুধু বলেছি।
এদেশের শত শত মুক্তিযোদ্ধা পাকি চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে।
এটা সত্যি। কিন্তু যারা যোগ দেয়নি তারা সবাই রাজাকার- এটা নুতন ইতিহাস জানা হলো।
আওয়ামিলীগ শব্দ শুনলেই কারো কারো গা জ্বলে। আশায় আছি গেদু চাচার কাছে নুতন নুতন ইতিহাস শুনবো গোলাম আযমের জামাতে ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমরা সব রাজাকারের বিচার চাই। আমরা ৭১ এর বিপক্ষ শক্তি জামাতের নিষেধাজ্ঞা চাই।