নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাগদা তো-ভ রাশিয়া-৪

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

সে হেসে বলল ‘নাঃ সত্যি কথা বললে কিছু বলব না । ..তোমার বাসায় কফি আছে?’
আচমকা তার এই সহজ স্বাভাবিক ব্যাবহারে আমি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম! বেশ উৎফুল্ল হয়ে বললাম ‘হ্যাঁ আছে। তোমাকে বানিয়ে খাওয়াব?(মনে মনে ভাবছিলাম-এই সুযোগে যদি হাতকড়াটা খুলে দেয়।)
কিন্তু সে বেশ আন্তরিকতার সাথে আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলল,‘না দেখিয়ে দাও-আমি নিজেই বানিয়ে নিতে পারব।'
স্বভাবই আমি খানিকটা আশাহত হলাম! অগত্যা আমি তাকে সাথে করে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে কফির কৌটা দেখিয়ে দিলাম।
ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, সিগারেট আছে কিনা?
আমি আমার ডান ট্রাউজারের পকেট দেখিয়ে বললাম, বের করে নিতে । কি ভেবে যেন সে আমার পকেটে হাত না দিয়ে নিজের কোর্তা হাতরেই অতি নিন্ম মানের রুশ সিগারেট বের করে ঠোটে গুজে আগুন ধরাল!
কফি খাওয়া শেষ হলে আমাকে নিয়ে বসাল আবার সেই ছোট্ট রুমটাতে যেখানে আমার বন্ধু বসে আছে। এ রুমটাতে এখনো তল্লাশি চালায় নি। আমাকে সোফায় বসতে বলে দুজন মিলে তখন শুরু করল রুম তল্লাশি। আমার বন্ধুর সাথে চোখাচোখি হতেই সে ইশারায় জিজ্ঞেস করল ‘ব্যাপারটা কি?’
তার ভাবখানা এমন যে তারা আমাদের ভাষা বুঝে ফেলবে তবে সেও যে ভীষণ ভয় পেয়েছে এব্যাপারে সন্দেহ নেই!
প্রতিউত্তরে আমিও নিঃশব্দে ঘাড় নাচিয়ে জানালাম ‘কিছুই বুঝতে পারছিনা।
আগের মতই তন্ন তন্ন করে রুম তল্লাশি অবশেষে খুঁজে পাওয়া আমাদের টেলিফোন বিল আর বাড়ি ভাড়ার জন্য রাখা ডলার ও রুবলগুলি এনে আমাদের সামনে টেবিলের উপর রাখল।
এবার তথাকথিত পুলিশ অফিসার তার অধস্তনকে অর্ডার করল ওঘর থেকে বাকি টাকা পয়সাগুলো নিয়ে আসতে।
সে দ্রুত দু'পা এগুতেই তাকে থামিয়ে অফিসার নিজেই গেল। নিশ্চিত এবার সে অন্য কোন মতলব আঁটছে।
সন্দেহ অমূলক নয়;একটু পরেই ফিরে এসে আমাদের চমকে দিয়ে বলল
‘আরে ও ঘরের কার্পেটের ভাজে দেখি এক তোড়া ডলার-ওগুলো কি তোমাদের?
আমি প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও পরক্ষণেই সামলে নিয়ে মুচকি হাসলাম। বন্ধু আমার দিকে তাকিয়ে আছে বিস্ফোরিত নেত্রে- সে চোখে বিস্ময় ও আতংক!
মনে মনে হয়তো সে ভাবছে ‘বাহরে পার্টনার মাসে দু'য়েকশ ডলার বেশী খরচ হয়ে গেল হাপিত্যেশ কর আর আমাকে লুকিয়ে কার্পেটের খাঁজে ‘একতোড়া ডলার লুকিয়ে রেখেছ!’
আমি তার থেকে চোখ ঘুড়িয়ে পুলিশ অফিসারের দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘আমার মনে হয় তুমি মিথ্যে কথা বলছ। ঠিক আছে যদি তুমি পেয়েও থাক তবে সেগুলোর উপরে আমাদের কোন দাবি নেই। তুমি নির্দিধায় নিয়ে নিতে পার।’
পুলিশ অফিসার হেসে আমার কাছে এসে বলল‘ভেরী স্মার্ট।’
আমি ততক্ষনে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নিয়েছি অনেকটা। মনে মনে ভাবছি তখন কি করে এদের মন গলানো যায়। মনে হচ্ছে এরা সত্যিকারেই পুলিশ-সুযোগ বুঝে ডাকাতি করছে।‘ভীষন আন্তরিকতার সাথে বললাম, গান শুনবে ভারতীয় হিন্দি। ভাল লাগবে ।’
সে নিরস কন্ঠে বলল ‘শোনাও।’
আমি হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় ক্যাসেটের বোতাম চেপে গান বাজালাম । সে মিনিট পাঁচেক ভীষণ ধৈর্য ধরে আমার সঙ্গীতের অত্যাচার সহ্য করল!' ক্যাসেটের ভ্যলিউম কমাতে বলে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের কাছে চওড়া আঠালো টেপ আছে ? সঙ্গে সঙ্গে আমার বন্ধু হয়ে ঘাড় নাড়াল ‘হ্যা আছে। তোমার লাগবে ?’
-'কোথায় রেখেছ ?’
আমি বললাম,
‘প্যাসেজের ধারে রাখা ওয়্যার ড্রবের উপরে।’
স্বভাবতই আমাদের তখন বোধগম্যই হচ্ছিল না হঠাৎ করে ওদের স্কচ টেপের দরকার পরল কেন ?
অফিসার নিজেই টেপটা এনে সেপাইকে বলল, এটা দিয়ে আমাদের হাত ভাল করে মুড়ে হ্যান্ডকাপ খুলে নিতে। এবার আমাদের সত্যিকার অর্থেই আতঙ্কিত হবার পালা! এতক্ষন ভেবেছিলাম ওদের উদ্দেশ্য কিছুটা অসৎ হলেও যা নেবার আমাদের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে নিয়ে যাবে। এখন মনে হয় ঘটনা ঘটবে অন্য রকম!
আঠালো টেপ দিয়ে হাত বাধার পরে আচমকা দুজনে চেপে ধরে আমাদের মুখ বেধে ফেলল। প্রতিরোধের সুযোগ, ইচ্ছে বা ক্ষমতা কোনটাই আমাদের ছিলনা-ভাগ্যের হাতে নিজেকে ছেড়ে দেয়া ছাড়া।
হাত মুখ বাধা শেষে ফের সোফায় বসতে বলে সেই অফিসার আবার ছোটখাটো একটা বক্তৃতা দিল-
এবার বলার ধরন ও সারমর্ম কিছুটা ভিন্ন হলেও ধারনা করতে পেরেছিলাম এমন কিছু একটাই ঘটতে যাচ্ছে!
‘তোমাদের মুখ বেধেছি যাতে তোমরা কোন প্রতিবাদ করার সুযোগ না পাও।’ আঃ কি ভদ্রতা!'
-এখন থেকে আমি যা বলব তাই করবে। কোন রকম টু ফা করলে ..’ নিঃশ্বংস হেসে ব্যাটনটা আমার মুখের খুব কাছে এনে আবার চাপ দিল মুহুর্তে তার মাথায় একটা সাদা বিদ্যুৎ চমকে উঠে আমাদের আতংক বাড়িয়ে দিল।
‘এখানে তোমাদের যা টাকা পয়সা আছে তার থেকে কিছু অংশ আমরা নিয়ে যাব। আর তোমাদের গায়ের সোনা দানা গুলো। ’
গয়না গাটি টাকা পয়সার চেয়ে জীবনের মুল্য অনেক বেশী। আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম। আর আমার বন্ধু কি যেন বলতে চাইল কিন্তু আতঙ্কিত চোখে ‘বো বো ছাড়া অন্য কোন শব্দ বেরুলনা।’
পরে শুনেছিলাম ও বলেছিল,- পাসপোর্টটা রেখে যেও ।’
পুলিশ অফিসার রুপী ডাকাতের কথা বলার ফাঁকে আমি দু'হাত বাধা অবস্থায় অতি কস্টে বাম হাতের অনামিকা থেকে আমার প্রেমিকার দেয়া চরমতম মুল্যবান আংটিটা খুলে ডান হাতের দু'আঙ্গুলের ভাজে আনতেই- সে আমার নড়াচড়া দেখে কিছু একটা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাড়াতে বলল। আমি মুহুর্তকাল বিলম্ব না করে সেটা সোফার ফাকে সেধিয়ে দিয়ে এক সেকেন্ডর মধ্যে একদম নিরেট ভাল মানুষটির মত উঠে দাড়ালাম!
এবার সে আমার কাছে এসে বেশ আলতো হাতে গলার থেকে চেইনটা খুলে কাধ ধরে উল্টো দিকে ঘুড়িয়ে দিয়ে ব্রেসলেটটা খুলল। হাতে নিয়ে তার মনে হয় সন্দেহ হল আদৌ এটা সোনা কিনা। আমার চোখের সামনে এনে দুলিয়ে জিজ্ঞেস করল ‘সোনার’? আমার ভীষন কস্ট হচ্ছিল ওটা দেখে!
বছর পাঁচেক আগে দেশে ফেরার পথে ওটা কিনেছিলাম শারজাহ এয়াপোর্ট ডিউটি ফ্রি সপ(নিস্কর দোকান) থেকে। তিন রঙ্গের সোনা দিয়ে তৈরী ছিল সেটা- সাদা লাল ও সোনালী।
ডিজাইনটা আমার ভীষন প্রিয় ছিল। কত কিছুর সাক্ষী ওটা কত ছেলে মেয়ে বন্ধুর হাতে ঘুরেছে তার ইয়ত্তা নেই। অনেকেই ডেটিং করতে গিয়ে ফ্যাশন করতে গিয়ে ওটাআমার থেকে দু'চারদিনের জন্য ধার নিয়েছে। দু'তিনবার হারিয়ে ফেলেও অলৌকিকভাবে পেয়ে গেছি!
একবার স্কুটারে করে রাত এগারটার দিকে এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিলাম। তার বাসার সামনে স্কুটার থেকে নামতেই বা কব্জির দিকে নজর যেতেই লক্ষ করলাম ব্রেসলেটটা নেই।
স্কুটারের ভিতরে তন্ন তন্ন করে খুজে না পেয়ে স্কুটার চালককে বেশী টাকার লোভ দেখিয়ে রাজী করালাম ফিরতি পথে যেতে হয়তো রাস্তায় কোথাও পড়ে আছে। বন্ধুরা সবাই হেসে গড়িয়ে পড়ে ‘এতরাতে তুই এই অন্ধকার রাস্তায় কিভাবে খুজে বের করবি তোর ওই ছোট্ট ব্রেসলেট।’
আমিও ধন্ধে পড়েছিলাম- তবুও এত প্রিয় একটা জিনিস একটু চেস্টা করে দেখতে আপত্তি কি? উল্টোদিকে সারাপথ অনেক খুজে সেটা না পেয়ে যখন বিষন্ন মনে ফিরে আসছি ঠিক তখুনি স্কুটারের হেডলাইটের আলোয় কিযেন রাস্তার চকমক করে উঠল। তাড়াতাড়ি স্কুটার থামিয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখি আমার সেই প্রিয় ব্রেসলেট।
আরেকবার গোসল করতে করতে সুমুদ্র সৈকতে হারিয়ে উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে অগভীর পানি হাতরে পেয়েছি।
সেই ব্রেসলেটটা আজ আমার চোখের সামনে থেকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি-অনুরোধ বা প্রতিরোধ করার উপায় নেই।
আমি মাথা নেড়ে তাকে বোঝাতে চেস্টা করলাম যে ওটা সোনা না বাবা ফিরিয়ে দিয়ে যা । সে হেসে বলল সোনা না হোক কিন্তু জিনিসটা সুন্দর ।
সে আমাকে খালি করে এবার বন্ধুর দিকে হাত বাড়াল । বন্ধু আমার শান্ত সুবোধ বালকের মত হাত গলা বাড়িয়ে দিল।
আমাদের দু'জনকে আবার বসতে বলে এবার ওরা একটু বাইরে গেল শলা-পরামর্শ করার জন্য বোধ হয়?
আমারা দু'জনে দুজনের দিকে বোবা দৃস্টিতে চেয়ে রইলাম সেই ক্ষনটুকুতে-আর কি-ইবা করার আছে?
৪র্থ পর্ব শেষ
আগের পর্বের জন্য; Click This Link
প্রথম পর্বের জন্য; Click This Link

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

বইয়ের পোকা বলেছেন: প্রথম পাঠক :) এবং প্রথম ভালো লাগা। এইবারের পোস্টের সাইজ ঠিক আছে।

কি যে হবে আপনাদের এখনো বুঝতে পারছি না!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে বারবার বাধার সম্মুখিন হচ্ছি!
এই নিয়ে তৃতিয়বার চেষ্টা করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ- প্রথমবার পড়া ও প্রথমবার মন্তব্যের জন্য।
আমিও ভীষন আতংকে আছি !! :)

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ভয়ানক ! কি ভয়ানক!!!!!!!!!!!!!


তারপর?

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: তাই কি? সত্যিই ভয় পেয়েছেন নাকি মজা করছেন?

এরপরেরটা আসছে শীঘ্রিই...

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

এক্সপেরিয়া বলেছেন: পড়লাম । আস্তে আস্তে যেন আরও ভয়াবহ হচ্ছে । ব্রেসলেটটা কি এখনও আছে । :P

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: নারে ভাই ব্রেসলেটটা সেদিনই ছিনতাই হয়েছে। ওটার সাথে আমার এত বেশী স্মৃতি জড়িত যে, ব্রেসলেটটার কথা মনে হলেই মনটা ভীষন খারাপ হয়ে যায়!
শেষ দিকে আরো খানিকটা কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারনা :)

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

শিপু ভাই বলেছেন:
মনে হচ্ছে আমারই হাতদুটো টেপ দিয়ে বাধা!!! উফ!!!


তাত্তাড়ি তারপর.......

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: দিচ্ছিরে ভাই- একটু অপেক্ষা করেন :)
হাতকড়ার থেকে আঠালো টেপ উত্তম- একটু চেষ্টা করলে এটা খুলে ফেলা সম্ভব।
ধন্যবাদ ভাই শিপু- বরাররের মত। ভাল থাকুন

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১১

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভ্য়াবহ ঘটনা। উত্তেজনা সহকারে প্লাস।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: চরম উত্তেজনা সহকারে ধন্যবাদ :)
ভাল থাকুন সবসময়।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেকটা মাসুদ রানা সিরিজের মত লাগলো,,,,,,,,,, ভীষণ ভাল লাগলো

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: তাই? বিস্মিত হলাম শুনে! অনেক বড় কমপ্লিমেন্ট-অনেকদিন বাদে আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

জেনো বলেছেন: আবারও রাস্তার মাঝে গাড়ি নষ্ট হল..।
ভাই, তাড়াতাড়ি ........

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ স্যরি ব্রাদার!এরপরে আর গাড়ি নষ্ট হবে না-সামনের পর্বেই শেষ করার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ ফের

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার। ভাল লাগল জেনে।
ভাল থাকুন সবসময়।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: Хорошо написано. В ожидании следующей части.

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২২

শেরজা তপন বলেছেন: বাপরে! আপনি দেখি রুশ ভাষারও পন্ডিত :)
দেখে বিমোহিত হলাম। অপেক্ষা করার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ...

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

এক্সপেরিয়া বলেছেন: হাতকরা থেকে আঠালো টেপ ভালো । চেষ্টা করলে খোলা যায় । মনে হচ্ছে সামনে একটা বিশেষ কিছু হবে ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্! ধরে ফেলেছেন!এরপর থেকে দেখিআর কোন ক্লু দেয়া যাবেনা:( তাহলে যে আর কোন ট্যুইস্ট থাকবেনা :)

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০০

ঝটিকা বলেছেন: হায় হায় কি অবস্থা!!! আমি তো রুশ পুলিশদের এহেন কাহিনী পড়ে যার পর নাই অবাকই হচ্ছি। ওরা বিশাল সোভিয়েত সাম্রাজ্যই শুধু হারায়নি, সেই সাথে অনেক কিছু যে হারিয়েছিল তা বোঝা যায়। এতটা সামাজিক অবক্ষয়!!!

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই সোভিয়েত সাম্রাজ্য লুপ্ত হবার সাথে সাথে ওদের যে চরম সামাজিক অবক্ষয় শুরু হয়েছিল তার রেশ এখনো খানিকটা রয়ে গেছে!
প্রথমদিকে আমরাও যে রুশ পুলিশকে দেখে যে সম্ভ্রম জেগেছিল -পেরোস্ত্রোইকার বেশ খানিক সময় পরে তা সম্পূনর্রুপে তিরোহিত হয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে ফের। ভাল থাকুন।

১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৫

একাকী বালক বলেছেন: তপন ভাই, আমার বিশ্বাস এইবারও আপনার ব্রেসলেটটা হারাবে না। যদি হারায় তাইলে আগে থেকেই বলেন। আমরা "বাকের ভাইকে" বাচানোর মত মিছিল করুম আপনার ব্রেসলেটের জন্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: ব্রেসলেটটা নিয়ে আরোকটা ঘটনা ছিল,কিছু বন্ধুদের আমন্ত্রনে তাদের অস্থায়ী আড্ডাস্থল একটা নির্মানরত আবাসিক ভবনে পাটি পেতে সারাদিন কার্ড খেলে ছিলাম।বাসায় এসে বুঝলাম ব্রেসলেটটা হারিয়েছি। কোথায় কখন হারালাম কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না। তিনদিন পরে সেই বাড়িটাতই সিড়ির কোনে আবর্জনার মাঝে সেইটা খুজে পেয়েছিলাম। কি আশ্চর্য! সেই বাড়িটাতে প্রতিদিন কত দিন মজুর কাজ করে প্রতিদিন- কারোই নজরে পড়েনি একবারও।
তবে ভাই সত্যিই সেবার সেটা খোয়া গেছিল!
'বাকের ভাই'কে বাঁচানোর মত মিছিল? ভালই বলেছেন :)
পারেনও বটে!!

১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: তন্ময় হয়ে পড়া বলতে যা বোঝায় তাই হয়েছে আমার ক্ষেত্রে.........

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২০

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে দারুন আনন্দিত হলাম। আপনাকে বিধাতা ধৈর্য্য শক্তি দিয়েছেন অসীম!
ধন্যবাদ আর নাই-বা দিলাম। এটা 'বাই ডিফল্ট' রয়ে গেল ...:)

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২২

অনীনদিতা বলেছেন: ব্রেসলেটটা নেই:(
আবারও অনেক অনেক ভালোলাগা:)
আবারও অপেক্ষায় রইলাম:)

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: এইবারও ছোট হয়ে গেল সেইটা বললেন না যে?
আহা ওই ব্রেসলেটটার কথা মনে করিয়ে আর কষ্টটা বাড়াবেন না :)

ধন্যবাদ ফের-আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে পরের পর্বে মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম...

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০২

সোডিয়াম ক্লোরাইড বলেছেন: রাশিয়ার পুলিশ দেখি বা ংগালী পুলিশের চাইতেও ভয়াবহ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটা সঠিক-তারপরেও বাংগালী পুলিশ অন্য কোন দেশের পুলিশের সাথে তুলনীয় নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ে মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

মুহিব বলেছেন: কি জটিল সমস্যার ভিতর দিয়ে গেলেন। তারপর কি হল?

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: যাক আপনাকে অবশেষে দেখতে পেলাম! ভেবেছিলাম এই গল্পে আপনাকে আর পাব না :(
আগে থেকে অনেকটুকু লেখা থাকায় খুব তাড়াতাড়ি বাকি পর্বগুলো দিতে পারব বলে আশা করছি।
ভাল থাকুন সবসময়।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১০

রবিউল ৮১ বলেছেন: এমনি তে তো পোষ্ট দিতে দেরি করেন।যেই মাত্র চার দিন ছিলাম না অমনি দিলেন দুটি পোষ্ট ছেড়ে!!!যাক চার দিন পরে ব্লগে এসেই আপনার পর পর দূটো পোষ্ট পেলাম।খুব ভালো লাগলো পড়ে।আশা করি পরের পর্বটাও তাড়াতাড়িই দিবেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: :) আমি বুঝেছিলাম আপনি নাই-সেই ফাঁকে দিলাম দু-দুটো পোষ্ট ছেড়ে!
সফট্ সারপ্রাইজ বলতে পারেন!
আপনাকে মিস করছিলাম এই দু-পর্বে। দেখে ভাল লাগল।
ভাল থাকুন

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

অদৃশ্য বলেছেন:




তপন ভাই

জমেছে.... ওই দু'জনের কার্যকলাম দেখেই সন্ধেহ হচ্ছিলো, এখন তা বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে...

যদিও বলা যায় না পরবর্তী অংশে কি হতে যাচ্ছে.... অনেক ধারনা তৈরী করছি....

শুভকামনা...

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই অদৃশ্য,সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ধারনার সাথে বাস্তব মিলে যাবে অনেকাংশে-ঘটনাটা ভিন্নতর হলেও ডাকাতির ব্যাপারটা সরল।
আপনার প্রতিও রইল শুভকামনা। বাকি পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ধানের চাষী বলেছেন: ২,৩,৪ একটানা পড়লাম, অনেক তাড়াতাড়ি পোস্ট দিয়ে দিয়েছেন ... :)

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্ দারুন ধৈর্য্য আপনার!
আপনাকে বেশ কিছুদিনের বিরতির পরে আমার ব্লগে দেখতে পেয়ে ভাল লাগল।
হ্যা বরাবরের ধারা ভেঙ্গে এবার বেশ তাড়াতাড়িই পর্বগুলো দিলাম।:)ভাল থাকুন সর্বক্ষন

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভ্রাতা তাহার পরে কি হইলো?? :( :( :(

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এবার একটু দেরিতে আসলেন যে? এখানে কি বলা ঠিক হবে?আর মাত্র একটা পর্ব এই খন্ডের - কষ্ট হলেও পড়বেন আশা করি।
সবসময়ের জন্য ভাল থাকুন...

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫২

কালোপরী বলেছেন: ভয় পাইসি

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন এইটুকুতেই ভয় পাইলেন! দেখেননা সামনে আরো কি হয়... :)
চাঁদের আলোয় ডানাওয়ালা 'কালোপরী' দেখে আমিও ভয় পাইছি :)
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সর্বদা...

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খাইছে মিশু ভাই আপ্নেগো লাইফ তো পুরাই কুইট হয়া যাইতাছে :-& ...
আচ্ছা এটা আবার কোন ধরনের টুইস্ট এর আগের আই ওয়াস নাতো ?



বাই দিফল্ট দিয়া গেলাম ;)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০০

শেরজা তপন বলেছেন: এবার বেশ খানিকটা দেরিতে দেখতে পেলাম আপনাকে...
মিশু ভাই আলকাশের পার্শ্ব চরিত্র! আর এইটাআমার স্বয়ং 'শেরজা তপনে'র কাহিনী :)।আপনিও দেখি আমাকেই মিশু ভই ঠাউরেলেন?
'আই ওয়াস' হতে পারে..আমিও বাই ডিফল্ট ধন্যবাদ দিলাম :)
ভাল থাকুন।

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

তূর্য হাসান বলেছেন: বরাবরের মত ভাললাগা।
‍এরপর কি আলকাশ?তো হয়ে যাক...

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: না ভাই 'তূর্য হাসান' কাগদা তো-ভ রাশিয়ার এই কাহিনীটা পুরো ঘটনার একটা খন্ডিত অংশ মাত্র! এখনো অনেক কথা বলা বাকি...
তারপরে না হয় 'আলকাশ' নিয়ে ভাবা যাবে?আশা করি কাগদা তো-ভ রাশিয়ার সবগুলো খন্ডের সাথে আপনাকে পাব।
বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য কৃতজ্ঞতাও ধন্যবাদ।

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

ঘাসফুল বলেছেন: Впечатляет!

ожидание следующей сессии.

২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্ অনেক রুশভাষী ব্লগারদের সাথে পরিচয় হচ্ছে ইদানিং!
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকবার জন্য ধন্যবাদ।

২৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

সবুজ সাথী বলেছেন: টান টান উত্তেজনা। সাথে আছি। চলুক। :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ পর্ব দিয়ে দিয়েছি এতক্ষনে-আশা করি উত্তেজনা প্রশমন হবে :)
ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকুন।
পরের পর্বে মন্তব্যের প্রত্যাশায়...

২৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৩

জুন বলেছেন: খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি শেরজা, হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। ব্রেসলেটের কি হলো :((
আপনি কি ইচ্ছে করেই এটা লিখছেন...।
পুলিশ অফিসার রুপী ডাকাতের কথা বলার ফাঁকে
কারণ থ্রিলারে তো পরিচয় দেয় একদম শেষে।
যাক শেষ পর্বে চলে এসেছি।
+

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: সব ঘটনা জেনে গেছেন নিশ্চয়ই এতক্ষনে?
সব গিয়েছিল-শুধু পাসপোর্ট জোড়া আর আমরা দু'জন ছিলাম। এর পরের খন্ডে খানিকটা উল্টো।
ব্রেসলেটটার কথা আর মনে করিয়ে দিয়েন না :(

২৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পরের পর্বে যাই......

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে যান। আমিও আসছি পিছে পিছে... :)

২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

লিখেছেন বলেছেন: পরলাম।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.