নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাগদা তো-ভ রাশিয়া-৮

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

ক্লান্ত পায়ে এগিয়ে গিয়ে উপরে টেলিফোন করে বন্ধুদের নীচে আসতে বললাম। ভেবেছিলাম সারপ্রাইজ দিব- তা আর হল কই?

পরক্ষনেই অতি পুরাতন লিফটে চড়ে চার পাঁচজন হাজির!

কই ‘হাই দোস্ত’ হ্যালো দোস্ত’ বলে গলায় জড়িয়ে ধরবে তা না তার বদলে শুরু হল জেরা।

কোথায় হারাল?’ ক্যামনে হারাল?’ আমি এমন অপদার্থ কিংবা বেকুবের মত কাজ কি করে করলাম? ’

আমি নিজেই জানিনা অঘটনটা কি করে ঘটল? এদের এত প্রশ্নের উত্তর দেই কেমনে?

কথাচ্ছলে মনে পড়ল গত রাতের ঘটনা; ইমিগ্রেশন অফিসারক গভীর রাতে পাসপোর্ট দেখিয়েছিলাম। তারপর ....ওয়েস্ট ব্যাগখানা কি ট্রাভেল ব্যাগে না রেখে ঘুমের ঘোরে অন্য কোথাও?

ওদের বলতেই ওরা বলল,এখুনি ফের স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের সেই বগি খুজতে?

কথা মাটিতে পরার আগেই একজন দৌড়ে গেল ট্যাক্সি ডাকতে। কি আর করার খড় কুটো আকড়ে ধরার মত ফিরে চললাম স্টেশন অভিমুখে সাথে হোটেলের বোর্ডার দুই বন্ধু।

রাত তখন দেড়টার মত বাজে।

কিয়েভেস্কি বোখজাল-যারা দেখেননি তাদের ভাবতে কষ্ট হবে কি বিশাল এই রেল স্টেশনখানা!১৯১৮ সালে স্থাপিত এই রেল স্টেশনে সাকুল্যে এগারখানা প্লাটফর্ম আর বারোটা রেল ট্রাক আছে।কিষিনেভ আর কিয়েভ ছাড়াও এ রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন বহুসংখ্যক ট্রেন বুখারেষ্ট, প্রাগ, ভিয়েনা, ভেনিস সহ ইউরোপের বিখ্যাত সব শহরগুলোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

আমি তখন উম্মাদ পাগল দিশেহারা!বিশাল রেল স্টেশনের এমাথা ওমাথা কোথাও খুঁজে ট্রেনখানা পেলাম না।

অগত্যা অফিস রুমে গিয়ে রেল ওয়ের এক বড়কর্তাকে পেড়ে ধরলাম। সব খুলে বলে তাকে সেই ট্রেনের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি গভীর দুঃখের সাথে জানালেন ‘সে ট্রেনখানা মাত্র ঘন্টা খানেক আগে ফের কিষিনেভের অভিমুখে রওনা দিয়েছে। ওটা ফিরে আসতে দিন পাঁচেক সময় লাগবে।

তদ্দিনে সেই ওয়েস্ট ব্যাগের কোন হদিস না থাকারই কথা।’ তবুও কেউ যদি খুঁজে পেয়ে দয়াপরবশত; হয়ে সেটা তার প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিতে চায় সেজন্য নাম ঠিকানা রেখে দিলেন ।

দু’দুটো দিন জার্নির ধকল প্রচন্ড শীতের কামড় আর পাসপোর্ট হারানোর টেনশনে আমি তখন বিধ্বস্ত। চিন্তুা শক্তি স্থবির হয়ে গেছে- কাল কি হবে এই নিয়ে ভাববার মত মানসিক শক্তি তখন হারিয়ে ফেলেছি।

সব কিছু ছাপিয়ে এখন আমার মুল চিন্তুা আজকের রাতটা কিভাবে কাটাব? কেননা পাসপোর্টছাড়া এই বেওয়ারিশকে কোন হোটেলেই এত রাতে থাকতে দিবে না।

আমরা বরাবর যে হোটেলে থাকি সেখানটায় আগে এমনতর কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু ইদানিং অভৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাছাড়া আদম ব্যাবসায়ীদের ইউরোপে আদম পাচারের মুল রুট হিসেবে মস্কোকে বেছে নেয়ায় পুলিশের উৎপাত বেড়েছে।

সাধারন বাসা বাড়িতো বটেই প্রায়শই তারা বিদশী ছাত্রদের মুল আবাস স্থল এসব মাঝারি মানের হোটেল রেড দিচ্ছে।

সে কারনে ইচ্ছে থাকলেও আইনের যাতাকলে পিষ্ঠ হবার ভয়ে ওরা থাকতে দিতে চায়না ।

বন্ধু দুজন পরামর্শ দিল রাতটা কোনমতে স্টেশনে কাটিয়ে দিয়ে কাল সকালে ম্যানেজার চেঞ্জ হলে তখন অথিতি হিসেবে অন্য কারো রুমে গিয়ে আশ্রয় নিতে।

ব্যাগটা না হয় আপাতত হোটেলে রেখে আসা সেই বন্ধুর তত্বাবধানে থাকবে।

তাদের সেই পরামর্শ তেমন মনপুতঃ নাহলেও মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। অনুভুতি শক্তি হয়তো সে মুহুর্তে কিছুটা ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল কেননা সেই মুহুর্তে উপলদ্ধি করতে পারিনি ওদের সহানুভুতি বন্ধুর প্রতি বন্ধুর অকৃত্তিম ভালবাসা ওরা দুজনও সদোপ্রনিত হয়ে এমন নির্মম শীতের রাতে নিজেদের গরম ঘর ছেড়ে আমার সাথে স্টেশনের এই উৎকট গন্ধে ভরা আধা উষ্ণ বিশ্রামাগারের চেয়ারে বসে রাত কাটাবে বলে মনস্থির করল। এমন বন্ধু পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার! ব্যাপারটা সে সেইভাবে অনুধাবন করতে পারবে না যে ডিসেম্বরে মস্কোর শীত দেখেনি।

রাতে স্টেশনের ক্যাফেতে কালোরুটি কালভাসা (সালামি) আর কালো কফি খেয়ে বিশ্রামাগারের সেই চেয়ারে গুঁটিসুটি মেরে বসে রইলাম।

ভোর হতেই ক্লান্ত বিধ্বস্ত শরীরটাকে টেনে নিয়ে ছুটলাম সেই হোটেলের উদ্দেশ্যে।

আমার ভাগ্যের বিপর্যয় শুরু হয়েছিল হয়তো সে রাত থেকেই যে রাতে পাসপোর্ট হারালাম ! কেননা একটা দিন কোনমতে কাটাতেই পরদিন ভোরে পড়লাম পুলিশের খপ্পরে!

কাঁক ডাকা ভোরে পুরো মস্কো যখন আড়মোর ভাঙ্গেনি- আর আমরা যারা লেট রাইজার তাদের ঘুম ভাঙ্গার তো প্রশ্নই ওঠেনা।

ঠিক তখুনি পুলিশ পুরো হোটেল ঘেরাও করে অনুসন্ধান শুরু করল। অত ভোরে দরজা নক হতেই রুমমেট বন্ধু রাগী গলায় লেপের নিচ থেকেই শুধাল ‘কে ?

প্রতিউত্তর এল গুরুগম্ভীর রুশ ভাষায় ‘ মিলিশিয়া দরজা খোল।’

আ‘…দুজনের কন্ঠ চিড়ে একসঙ্গে বেরিয়ে এল চাপা আর্তনাদ!হুড়মুড় করে বিছানা থেকে উঠে সে প্রায় দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলল।

‘ শুভ সকাল । ...ক্ষমা কোর তোমাদের ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য । তাড়াতাড়ি কাগজপত্র গুলো বের কর?’

বিশাল দেহী দুই পুলিশ অফিসারের পিছনে সেদিনের সেই ম্যানেজার মহিলা। আমাকে দেখে বড় বড় চোখ করে কিছুক্ষন চেয়ে রইল! পরক্ষনেই আমার দিকে ইঙ্গিত করে পুলিশ অফিসার দ্বয়কে বলল ‘ওআমাদের বোর্ডার নয় মনে হয় এর গেস্ট।’

অফিসার অমায়িক হেসে আমার মুখোমুখি দাড়িয়ে মিস্টি স্বরে শুধোল ‘বাছা তোমার পাসপোর্ট খানা দেখাও দিকিনি?’

ভীষন ভাবে কেঁপে উঠে আমি আমতা আমতা করে বললাম ‘পা -পাসপোর্ট ? নেই। হারিয়ে ফেলেছি।’

‘কিভাবে?’

‘ট্রেনে। মলদোভিয়া থেকে আসার পথে।’

‘তাই। চল আমাদের সাথে… ’

‘কোথায়?’

‘থানায়।’

অতিরিক্ত আর কোন বাক্য ব্যায় না করে সে আমার ডান হাত খানা পিছন দিকে মুড়ে লম্বা প্যাসেজ দিয়ে সদর্পে এগিয়ে নিয়ে গেল লিফটের দিকে।

অপরাধী মুখে মাথা নিচু করে নিজেকে নিজের আড়াল করে শতজোরা চক্ষুর সামনে দিয়ে দ্বীধাভরা পদক্ষেপে আমি তাদের সাথে চললাম।

পুলিশ ভ্যানে এর আগে বেশ ক'বার চড়েছি তবে প্রতিবারই সন্মানিত বিদেশী হিসেবে লিফট পেয়ে।

এই প্রথম অপরাধী সেজে।

পুলিশ ভ্যানের গন্তব্য যথারীতি গেটে। পাসপোট হারিয়ে ফেলা কত বড়ই না অপরাধ! সেই কুকর্মের জন্য অদৃষ্টে কি আছে কে জানে?

অবশেষে থানায় নিয়ে পুলিশদ্বয় আরো ক’জন বাঙ্গালী আজারবাইজানীদের সাথে অপরিসর এক হাজত ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বলল, এখানে আরাম করে ঘুমাও…

-দ্বীতিয় খন্ড তৃতিয় পর্ব শেষ



আগের পর্বের জন্য;

Click This Link

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

সাাজ্জাাদ বলেছেন: as usual chomotkar.

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: মোবাইল থেকে? :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ।ভাল থাকুন।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: তারা তারি পরের পর্ব দেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাদের এমন আগ্রহ থাকলে অবশ্যই দিব। অনুপ্রেরনার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

ভুং ভাং বলেছেন: এমন বন্ধুরা আছে বলেই তো জীবনটা এতো সুন্দর । পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই। সত্যিই সেজন্য জীবনটা এমন সুন্দর।
অনেক ধন্যবাদ- ভাল থাকবেন সব সময়ের জন্য...

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: অপেক্ষায় থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সর্বক্ষন..

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: বরাবরের মতই কৌতুহল সৃষ্টি করতে পেরেছেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য অবশ্যই আমাকে সবসময় দারুন উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করে-ধন্যবাদ। পরের পর্বে মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব..

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার সাথে আমাদের কেও রাখলেন হাজতে ???? ...

আর কেউ না আপনি ই পারেন আমাদের কে এই কারা থেকে মুক্ত করতে ......
পরের পর্বে র অপেক্ষায় ......

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: :) হাঃ যা বললেন!!ই সময়ের অনুভুতিআর কষ্টটা অনুভব করার চেষ্টা করেন। কত অল্পতে সবটুকু লিখে দিলাম...
করলেনই না হয়আমার সাথে খানিকক্ষন হাজতবাস-:)
পরেরটুকু লেখা শেষ-দু-চারদিন এর অপেক্ষা মাত্র-ততক্ষন ভাল থাকুন।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

হািসব্ের্ জা বলেছেন: নেক্সট প্লিজ....

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: ওয়েট প্লিজ ...:)
ধন্যবাদ বরারবরের মত সঙ্গ দেবার জন্য। ভাল থাকুন নিরন্তর...

৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগা রেগে গেলাম লেখনীতে

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে বরাবরের মত আমাকে উৎসাহিত্ও অনুপ্রাণিত করার জন্য। ভাল থাকুন প্রত্যাশায়...

৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

অদৃশ্য বলেছেন:
তপন ভাই

অপেক্ষায় ছিলাম.... পেয়ে গেলাম... পড়ে আরাম পেলাম...

আপনার গল্পের কিয়েভেস্কি বোখজাল টা চোখে দেখিনি বলেই ভাবছি এতোবড় একটি ষ্টেশন কতবড় হতে পারে ! ভাবছি কোন্‌ ছোট শহড়ের সাথে তার তুলনা যেতে পারে....

ডিসেম্বরের মস্কোর শীতটা কেমন তা জানিনা.... তবে কোন এক সময়ে কোন এক তীব্র বাংলা শীতের রাতে বলতে গেলে শুধুমাত্র একটি পাতলা জামা গায়ে মোটামুটি সারারাত ট্রেন জার্নি করবার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের শীতানুভূতিটা অনুভব করবার চেষ্টা করছি... কেননা সেই রাতের শীতের মতো শীত এখন পর্যন্ত আর কখনো আমার শরীর অনুভব করেনি.... যদিও জানি ওখানকার শীতের কাছে এই শীত কিছুই না...

আগের পার্টে আমার মনে হয়েছিলো... পাসপোর্টগুলো আপনাদের পেছনেই আসছে... ভেবেছিলাম সেই পুলিশরা পাসপোর্ট আর থলেটা তাদের সাথে রেখেই চলে গিয়েছিলো, ওরাই হয়তি তা পাঠাবার ব্যবস্থা করবে....

আনন্দের সাথে পাঠ করছি.... আপনাদের সেই সময়ের জীবন যুদ্ধের ঘটনাগুলো আনন্দদুঃখ মিলিয়ে হলেও তা আমরা আনন্দের সাথেই উপভোগ করছি...

শুভকামনা...

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি- বরাবরের মআমার সঙ্গে থাকার জন্য।
মন্তব্যটা আরেকটু দীর্ঘ করলে আমার লেখার সমান হয়ে যেত মনে হয় :)
দারুন ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। লেখার অতি সুক্ষাতিসুক্ষ বিষয় যে আপনার চোখ এড়ায় না সেটার প্রমান বরাবরই আপনার মন্তব্যে মেলে।
আমাদের দেশের ছোট খাট জৌলুসহীন রেল স্টেশনের তুলনায় কিয়েভেস্কি আসলেই অনেক বড় কারুকার্যময় স্টেশন।

রাশিয়ার শীতের কথা মনে পড়লএখনোই গরমে শীত লাগে! :) তবেএখনো সেই তীব্র শীতের দেশটাকে ভীষন মিস করি ...

সামন আরো কিছু ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলব- সাথে থাকবেন নিশ্চয়ই।
ভাল থাকুন।

১০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

আরজু পনি বলেছেন:

ভালো লাগা রইল...

ঘুম থেকে উঠে তারপর...??

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ-আপনার ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষায় রইলাম... :)

১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

টেকনিসিয়ান বলেছেন: তপন ভাই,
অনেক দিন পর ৮পর্ব পেলাম.....

৯ম পর্ব একটু সহসা ডেলিভারী দিবেন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভা্ই 'টেকনিসিয়ানই পর্বটা দিতে্ একটু দেরি হয়ে গেল। দুঃখিত সেজন্য।
এর পরের পর্ব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন বলে আশা রাখছি।
অনেক ধন্যবাদ বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

মুনসী১৬১২ বলেছেন: চলছে ভালোই...টান টান

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল। ঘটনাটা মনে হয় আরো বেশী টানটান ছিল আমি একটু ঢিলা করে ফেলেছি। ধন্যবাদ ফের

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

এক্সপেরিয়া বলেছেন: ভাই নবম পর্বটা বেশিদিন ড্রাফটে রাইখেন না ।এই পর্বটা আরেকটু বড় করতে পারতেন । পর্বটা পড়তে মোটে মিনিট তিনেক লাগল ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিকাছে- ড্রাফটেই রাখবনা-ডাইরেক্ট ডেলিভারি :)
মাত্র তিন মিনিট! তাহলে আমার লিখতে এত সময় লাগল কেন? :(

ধন্যবাদ- ভাল থাকুন সঙ্গে থাকুন।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৫

ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ বলেছেন: ৬ষ্ঠ ভাল লাগা ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে স্বাগতম। ভাল থাকুন

১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১১

ধানের চাষী বলেছেন: উফফ, কি যন্ত্রণা !

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার কষ্টটা অনুভব করার জন্য কৃতজ্ঞ। বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য ধন্যবাদ। পরের পর্বে মন্তব্যের প্রত্যাশায়...

১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৮

নীল জানালা বলেছেন: পরে কি হৈল আমি কয়া দেই। জরিমানা কৈরা হাতে একটা রিসিট ধরায়া ছাইরা দিল থানা থেইকা, আর কৈল এই রিসিট দিয়া তিনদিন মস্কো থাকতে পারবা। পরেরবার ধরতে পারলে আবার জরিমানা আবার ৩ দিন... এইভাবে চলতে থাকবে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আরে আপনারও কি রাশিয়ায় পাসপোর্ট হারানোর ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আছে নাকি?
আমার অভিজ্ঞতাও অনেকটা সেরকম-ই ছিল, তবে খানিকটা ব্যতিক্রম। পরের পর্বে মিলিয়ে দেখবেন।
ভাল থাকুন

১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু আছি আপনার সাথে বন্দী কারাগারে .........।।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২২

শেরজা তপন বলেছেন: :) যাক একজন সমব্যথী সঙ্গী মিলল অবশেষে। অনেক ধন্যবাদ

১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

জুন বলেছেন: একি কথা :-& :-&
পাসপোর্ট হারানো বিদেশে বড়ই মর্মান্তিক ঘটনা। যার ঘটেনি সে কখোনো বুঝবে না এর সিকিভাগ তপন।
যাক ফিরে এসে যখন এসব লিখছো তার মানে হাজতবাস শেষে বের হয়ে আসতে পারছো :!>
+

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই যার এমন অভিজ্ঞতা হয়নি সে অনুভব করতে পারবে না তেমন করে।
:) খুন খারাপিতো করি নাই তাই সেবার অল্পতে বেচে গিয়েছিলাম!
দোয়া কইরেন আর যেন এরকম অভিজ্ঞতা না হয়।
অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

ঝটিকা বলেছেন: একটা দেশে না থাকলে সে দেশ সম্পর্কে কখনোই তেমন কিছু জানা যায় না। আপনার লেখা গুলো থেকে রাশিয়া সম্পর্কে নতুন ভাবে জানছি, ওদের আর্থ-সামাজিক অবস্থাও উঠে আসছে আপনার লেখায়। পড়ে বেশ মজা পাই। যত জানছি ভিষণ অবাক হচ্ছি।

আর একটা কথা, আপনি সেইসব দিন গুলোর কথা ডাইরী থেকে লিখেন নাকি স্মৃতি রোমন্থন করে লেখেন?

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: এই ঘটনা আর পরের কিছু দূর্ঘটনায় রাশিয়ার যাবতীয় সঞ্চিত স্মৃতি চিহ্ন আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম। কমবেশী ডায়েরি লেখা শুরু করি রাশিয়া থেকে ফিরে আসার পরে। তবে সেখানে রাশিয়ার স্মৃতিকথা লিখিনি। রাশিয়অর ঘটনা অল্প বিস্তর লিপিব্দ্ধ শুরু করি ২০০২ এর পরবর্তী থেকে। সেখান থেকেই কিছু টুকে আর বাকিটা স্মৃতি থেকে লিখছি।
আপনার মন্তব্যে আমি বরাবরই অভিভুত ও অনুপ্রাণিত হই। আশা করি সবসময়েই এমন করে আপনার সঙ্গ পাব।
ভাল থাকুন সবসময়।

২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪২

বাতিস্তা বলেছেন: সাথেই আছি। চালিয়ে যান।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ বাতিস্তা। আপনি ভাল থাকুন

২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪১

জেনো বলেছেন: আহা ...... তারপর......

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: কষ্টটা অনুভব করার জন্য ফের সবিশেষ ধন্যবাদ।পরের পর্বগুলোতে সাথে থাকার আমন্ত্রন রইল।

২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

শিপু ভাই বলেছেন:
তারপর তারপর?????????????????

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল লাগল। একটু অপেক্ষা করুন বলছি :)

২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

তূর্য হাসান বলেছেন: মর্মান্তিক! সঙ্গে আছি? ধন্যবাদ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বরাবরের মত সঙ্গে থাকবার জন্য। ভাল থাকুন সব সময়ের জন্য।

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ঘাসফুল বলেছেন: ওয়েটিং...


১০...

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: এইতো দিচ্ছি- কিছুটা এলোমেলো কথাকে গুছিয়ে নিচ্ছি।
অপেক্ষার জন্য ধন্যবাদ ফের

২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

রবিউল ৮১ বলেছেন: এখানে আরাম করে ঘুমাও B:-/ B:-/

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম হাজতে কি আর ঘুম আসেরে ভাই! এইরকম দূর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা যেন আপনাদের না হয়। ভাল থাকুন

২৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

একাকী বালক বলেছেন: আমাকে এক লোক কইছিল " যে পুরুষ মানুষ কোনদিন জেল খাটে নাই, সে পুরুষ মানুষই না।" যাক তাইলে আপনি পুরুষ মানুষ। :P

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: তাইলে আমি পুরুষ মানুষ... কারে যে জিগাই...:)

২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: তপন ভাই! গল্প এত ছোট !! এইটা দিতে দেরি করছেন তারুপর মারাত্মক ছোট! পরেরটা তাড়াতাড়ি দিবেন আর সাইজ বড় চাই :|| :||
ভালো থাকেন এই পর্ব পড়ে তৃপ্তি পেলুম না! :( :|
ও হা! গল্প ছোট হইলে কিন্তু আপনার আরেকটা ছবি টাঙ্গাই দিব :#) :#)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি? খুব বেশী ছোট হয়ে গেছে? ঠিক আছে পরেরবার অনেক বড় করে দিব তখন আবার পড়তে পড়ে ক্লান্ত না হয়ে পড়েন?
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন

২৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬

আমি রুবেল বলেছেন: সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: তপন ভাই! গল্প এত ছোট !! এইটা দিতে দেরি করছেন তারুপর মারাত্মক ছোট! পরেরটা তাড়াতাড়ি দিবেন আর সাইজ বড় চাই
ভালো থাকেন এই পর্ব পড়ে তৃপ্তি পেলুম না!
ও হা! গল্প ছোট হইলে কিন্তু আপনার আরেকটা ছবি টাঙ্গাই দিব

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কালেকশনেও কি আমার ছবি আছে? তাইলেতো আমি বিখ্যাত হয়ে যাইতেছি :)

ধন্যবাদ -ভাল থাকুন

২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৯

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: শেষ পর্যন্ত হাজতও খাটলেন? আরো যে কত কি আছে আপনার কপালে!

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: কপালে আরো অনেক দূর্দশা আছেরে ভাই - পড়তে থাকেন জানবেন।
ধন্যবাদ আপনার সহমর্মীতার জন্য।

৩০| ০১ লা মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

রবিউল ৮১ বলেছেন: ঘটনা কি আপনার ঘুম ভা ংতে এত দেরি কেন?

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষ ভাংল ঘুম- কিন্তু এবার যে আপনি ঘুমিয়ে পড়লেন মশায়!!!

৩১| ০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

কালোপরী বলেছেন: :)

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আবার হাসছেন কেন ? কি হইল? :)

৩২| ১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

শোভন শামস বলেছেন: বই বের করে ফেলুন

রাশিয়ার ব্যাপারে আমরা অনেক কম জানি

ভাল থাকবেন, সিরিজ থামাবেন না

ধন্যবাদ

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: হাতটা আরেকটু পাকিয়ে নিই- তারপরে না হয় ভাবব।
আপনাকে মনে হয় এই প্রথম আমার ব্লগে দেখলাম- ঠিক?

ধন্যবাদ ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।

৩৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: থাকেন আপনে জেলখানায় :P
আমি পরের পর্বে দৌড় লাগাই ;)

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কি বললেন! আমাকে একা জেলখানায় রেখে আপনি দৌড়ে পালাচ্ছেন? :)
ঠিক আছে আমিও আসছি আপনার পিছনে...

৩৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: এতো ঝামেলা ওই দেশে....... পরের পর্বে যাই

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

শেরজা তপন বলেছেন: যেমন ঝামেলা তেমনই মজার রে ভাই :)

৩৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

লিখেছেন বলেছেন: আপনি ssc কোন ব্যাচ?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: মিড এইটি....

৩৬| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: কাজের চাপ নেই। নীরবে বসে পড়ছিলাম। এই পর্ব পড়ে মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম।

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: সবগুলো পড়ছেন নাকি ????
বেশ চাপ কম থাকলে- মন্তব্য করলে কৃতার্থ হব ভ্রাতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.