নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাগদা তো-ভ রাশিয়া-৯

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১০

আমার প্রথম হাজতবাস অত মন্দ হয়নি! দু'দিকে ছাদ উঁচু বেশ মোটা শিক দিয়ে ঘেরা অল্প পরিসরের বেশ খোলামেলা হাজতখানা। শীতের দিনে বাতাসের দরকার কার-ইবা আছে, তবে প্রচুর আলো ছিল সেখানটায়। হাজতের মধ্যে আমার সাথে জনা ছয়েক বাংলাদেশী আর দুজন মাত্র আজেরবাইজানী যুবক।

আমাদের সবার চোখে মুখে অসহায়ত্ব আর ভয়ের ছায়া থাকলেও ওদের ভয়হীন চেহারা ভীষন বিরক্ত মনে হচ্ছিল! অনুচ্চস্বরে রাশিয়ার পুলিশের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে গালিগালাজ করছিল। আজেরবাইজানে আমার অনেক বন্ধুরা থাকলেও আমার কখনো যাবার সৌভাগ্য হয়নি। আমি রাশিয়ার ও উক্রাইনে যেসব আজেরবাইজানী পুরুষদের দেখেছি(পাঠক চাইলে আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন; ওসমান-আজেরবাইজানী যুবকের কথা; Click This Link )

তাদের বেশীরভাগের-ই যেন কথার ফাঁকে দু'চারটে অশ্লীল শব্দ না বললে যেন খাবার হজম হয়না। ওরা ইচ্ছে করেই যেন রুশ ভাষাটা গাপ-গুপ করে কিছুটা বিকৃত করে বলে! বেশীরভাগ আজেরবাইজানী পুরুষদের রাশিয়ানদের সাথে যেন ঠিক সাপে-নেউলে সম্পর্ক! সল্প-বসনা কোন রুশ তরুণীকে দেখলে বেশ স-শব্দেই টিজ করে।

রাশিয়ানরা সভ্য জাতি-ওদের পছন্দ না করলেও মুখ ফুটে প্রকাশ করেনা- কপাল কুঁচকে কিংবা হাত বাতাসে ঘুরিয়ে তাচ্ছিল্য করে! কিন্তু ওদের সেই লাজ শরম নেই!

আমাদের হাজতের গা ঘেষেই জনা চারেক পুলিশ আড্ডায় মশগুল। আজেরবাইজানী দুই যুবকদের নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই-মাঝে মধ্যে হেসে হেসে আমাদের সাথে গল্প করছে। এখানে আমি ছাড়া বাকি সবাই সদ্য আসা আদম(এরা অন্যদেশে ডাঙ্কি দেবার ধান্দায় এদেশে এসেছে)। ব্যাপারী সময় মতো পার্সেল করতে পারেনি বলে ওদের পাসপোর্ট এর ভিসা শেষ হয়ে গেছে! স্বভাবতই তাদের ভাষা জ্ঞান শুধুমাত্র দা- নিয়েত এ সীমাবদ্ধ!

গল্প গুজব যা হচ্ছে মুলত আমার সাথে। আমার পাসপোর্ট হারানোর গল্প শুনে তারাও মনে হল বেশ ব্যাথিত!

কিন্তু আইন বলে কথা; চাইলেও আমাকে কিংবা আমার মত অন্যদেরকে এ মূহুর্তে ছেড়ে দিতে পারছে না।

রাশিয়ার শীতকালে সন্ধ্যেতো সারাদিন-ই। তবুও দীর্ঘ আট ঘন্টা হাজতবাসের পরে ছাড়া পেলাম সময় হিসেবে সন্ধ্যে নাগাদ! বন্ধুদের দেন দরবার আর কিছু উৎকোচ দিয়ে অবশেষে মুক্তি মিলল।

ফিরে আসার সময় একগাদা ধন্যবাদ দিয়ে অনেক বিনয় করে ওদের অনুরোধ করলাম, এখানে সপ্তাখানেক থাকার অনুমতি সাপেক্ষে একটা একটু খানি কাগজে টুকে একখানা টোকেন দিতে? কেননা পাসপোর্ট পেতেতো নিদেন পক্ষে সপ্তা খানেক সময় লাগবেই তদ্দিন যেন ‘খোলা হাওয়ায় ঘুরতে পারি।'

ওরা হেসে বলল‘আমাদের আইন বড় সাংঘাতিক হে ভায়া! টোকেন ফোকেন দেয়ার কোন সিস্টেম নেই। ভিসা ছাড়া তুমি এখানে থাকতে পারবে না বের হতেও পারবে না--বোঝ ঠ্যালা! এখান থেকে বের হয়ে রাস্তায় আবার আরেক পুলিশের খপ্পরে পড়লে ফিরে এই হাজতেই ঢুকতে হবে আল্লা-খোদার নাম নিতে নিতে যাও যাতে অন্য পুলিশের খপ্পরে না পড়!

পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ ভেবেছিলাম তার থেকেও দেখি কয়েকগুন খারাপ!

পরে অনেক ঘুরেছি ওদেশ থেকে বেরিয়ে আসার একটা ছাড়পত্র পেতে কিন্তু সে চেস্টা ছিল নিস্ফলা!

আবার সেই হোটেলেই ফিরে আসলাম। রিসেপশন কাউন্টার থেকে ফোন করলাম মস্কোর এক প্রভাবশালী বড় ভাইকে(তিনি এখানকার অনেকেরই গড ফাদার ছিলেন তখন)।

তিনি আমাকে সবিশেষ স্নেহ করতেন। খবর পেতেই তিনি ছুটে আসলেন।

ভদ্রলোক তার তার প্রভাব খাটিয়ে সপ্তাখানেকের মধ্যে পাসপোর্ট পাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ম্যানেজার মহিলাকে রাজী করালেন। অবশ্য রাজী না হয়ে মহিলার উপায় ছিলনা কেননা এই হোটেলের শতাধিক বাঙ্গালীর প্রায় সবাই ইঁনার বিশেষ ভক্ত। ইনি অনুরোধ তার অনুরোধ আদেশের মত ছিল)করলে একঘন্টার মধ্যে সবাই রুম ছেড়ে অন্য ঠিকানা খুজে নিবে।

সিঙ্গেল বেডের একটা রুম অবশেষে ম্যানেজ হল।

মালদোভিয়া বেড়াতে যাবার সময় আমার কয়েক বন্ধুর রুমে বিশাল লটবহর ভাগ করে রেখে গিয়েছিলাম ।

তন্মধ্যে একটা রাশিয়ার বিখ্যাত বেগা ডেকসেট ছিল- যার দুটো স্পিকারের ওজনই ছিল প্রায় ষাট কেজির মত। এছাড়া অনুবিক্ষন যন্ত্র টেলিস্কোপ, প্রজেক্টর সহ পোষাক আশাক ভর্তি তালামারা এক বিশাল স্যুটকেস এনে জড় করলাম সেই রুমটায়।

নিজের আলাদা একখানা রুম পেয়ে অবসরে একেলা আমার পরবর্তী কর্মযজ্ঞ নিয়ে ভাবতে বসলাম;

পুরোনো পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার কোন আশা নেই বললেই চলে সেহেতু নতুন একটা পাসপোর্ট করতে হবে।আমি এমন মহা আহাম্মুক যে, পাসপোর্ট থেকে শুরু করে অন্য কোন ডকুমেন্টের-ই কপি রাখিনি! হয়তো ভেবেছিলাম আমি না হারালে এইগুলো হারানোর কোন শংকা নেই।

মলদোভিয়া যাবার আগে বেশ বড় একটা ক্যাচাল হয়েছিল আমার পুরনো ভার্সিটির সাথে।সেই প্রসংগে দুটো কথা না বললেই নয়;আমাদের প্রথম ও দ্বীতিয় বর্ষের যে টিউশন ফি ছিল তৃতিয় বর্ষে এসে সেটা আচমকা চার গুন বেড়ে গেল! অতি অল্প খরচে উচ্চশিক্ষার লোভে কিংবা অতি সহজ লভ্য রুশীয় নারী আর মদের আকর্ষনে বিভিন্ন দেশ থেকে বানের জলের মত শিক্ষার্থীরা ঢুকছিল রাশিয়াতে। তাদের অনেকেই মস্কো কিংবা পিতারবূর্গে সুযোগ না পেয়ে ছুটছিল মফস্বলের ভাল ভার্সিটিগুলোতে। সেইসব ছাত্র কিংবা অ-ছাত্রদের পকেটে কড়কড়ে নগদ ডলার! সেই ডলারের লোভ সংবরন করতে পারেনি অনেক ভার্সিটি কতৃপক্ষ। আমাদের তাম্বুভ ভার্সিটি কতৃপক্ষের লোভের জিভেও আঠালো জারক রস।

বাধ্য হয়ে আমরা গেলাম আন্দোলনে-তারাও আমাদের হুমকি দিল হয় বর্ধিত এই টিউশন ফি দিয়ে পড় নাহলে নতুন ফি এর হিসেবে এই কয় মাসের টাকা দিয়ে ভাগো! তাদের সাথে আমাদের সেই ঠান্ডা লড়াই চলেছিল মাস চারেক। শেষ মেষ ওরা পুলিশের সরনাপন্ন হয়-আমাদের সবগুলো ছাত্রের বিরুদ্ধে কেস করে।পুলিশের ভয়ে আমরা সবাই রণে ভঙ্গ দিয়ে তল্পি-তল্পা নিয়ে ভেগে গেলাম!

ওখানে যাবার পথ রুদ্ধ! আমি যে এখানে ছাত্র ছিলাম তার কোন প্রমান পত্র নেই আমার কাছে।

বাংলাদেশ এ্যম্বাসী যদি কোন কাগজ পত্র চায়-তাহলেতো গ্যাড়াকলে পড়ে যাব।

তবে সান্তনা যে, নিজের দেশের এ্যম্বাসী। নিজের ভাষায় চরম মর্মস্পর্শী কাহিনী ফেঁদে হাতে পায়ে ধরলে হয়তো একটা সুরাহা হয়ে যাবে। তাছাড়া আমাদের সেই বড় ভায়ের যে দাপট সারা মস্কো জুড়ে-তার প্রভাবে হয়তো বাধ্য হবে পাসপোর্ট দিতে।

কিন্তু ইতিহাস বলে অন্য কথা! এদেশে জন্মই হয়তো আমাদের আজন্ম পাপ। ডিসেম্বরের কঠিন বরফের আস্তরে ডুবে থাকা সেই বাংলাদেশ এ্যম্বাসীর কর্ম-কর্তাদের হৃদয় যেন ভয়ানক কঠিন।কাজকর্মতো বটেই -কথা বলতেও তাদের ভীষন অনীহা।

ও হরি! এ দেখি আরেক তেলেসমাতি। আমার পুরো গপ্পো না শুনেই প্রথমে তারা বললেন, বৎস তুমি যে বাংলাদেশী তার প্রমান কি?

আমি গড় গড় আউড়ে যাই বাপ দাদার চৌদ্দ গুষ্টির নাম ঠিকানা আর পদবী।জলজ্যান্ত প্রমান এনে হাজির করি-নবী রাসুল আর ধর্মের দোহাই দিয়ে আর কিরা কসম কেটে যত বোঝাতে চেষ্টা করি ততই তারা কঠিন চেহারায় বলেন, ডকুমেন্ট চাই ডকুমেন্ট! ...এই পর্ব শেষ

আগের পর্বের জন্য;

Click This Link

প্রথম পর্বের জন্য;

Click This Link

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

কালোপরী বলেছেন: :)

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমার এমন ভয়াবহ কষ্টে হাসছেন!!! বেশ ভাল... :)

২| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর মস্কোভিত্তিক পোস্ট ।বিড়ম্বণা..বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি ভাল লাগলো । আর লেখাও ভাল হয়েছে।

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য। পুরো লেখাটা পড়ে মন্তব্য করেছেন বোঝা যায় :)
ভাল থাকুন সবসময়।

৩| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

কালোপরী বলেছেন: কষ্টে হাসি না, আলসেমিতে হাসি

কমেন্ট করতে ইচ্ছে করে কিন্তু কি লিখব খুজে পাই না তাই

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন একটা কথা বলেছেনতো, 'কষ্টে হাসি না, আলসেমীতে হাসি!'
কোট করে রাখলাম :)

৪| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

কালোপরী বলেছেন: কাগদা তো-ভ এই কথাটার মানে কি??

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম পর্বেই বলেছিলাম;'Once upon a time ...

৫| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

কালোপরী বলেছেন: মনে থাকে না :(

দিন দিন মেমরির বারোটা বাজতেছে

একসময় হয়ত আলঝেইমার হয়ে যাবে, কে জানে!!!

১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: কি যে বলেন? বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবারই এই রকমটা মনে হয়...

৬| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: জীবনটাই একটা যুদ্ধ ।

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: সেই রকম-ই! একেকজন একেক রকম যুদ্ধে অবতীর্ণ!
ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।

৭| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: এটা কি সত্য কাহিনী নাকি গল্প ?

১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যারে ভাই পুরোপুরি সত্যি!

৮| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

তূর্য হাসান বলেছেন: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।
পরের পর্ব আশাকরি এ মাসেই পাবো। :P :P :P ভালো থাকুন।

১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত আপনাকে দেখে ভাল লাগল। আশা তো করছি- দেখি দিতে পারি কিনা?
ভাল থাকুন সর্বক্ষন...

৯| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

নক্‌শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ভয়ঙ্কর বিপদ দেখি!

১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: তা আর বলতে রে ভাই! আমি বুঝেছিলাম হাড়ে হাড়ে-
আমার সেই কষ্ট অনুভবের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১০| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

ধানের চাষী বলেছেন: অনেক দেরি করে পোস্ট দিলেন এইবার।
আপনার তাহলে গডফাদারদের সাথেও পরিচয় ছিল! বাংলাদেশি প্রমাণ করলেন কি ভাবে ?

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: গত মাসের মাঝামাঝি এইটে ড্রাফটে রেখেছিলাম! পর পর ঘটে যাওয়া দেশের ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনার কারনে ব্লগে প্রকাশ করা হয়নি।
:) তা ছিল বৈকি অল্প বিস্তর! তবে দেশী গডফাদার।
বলছি অপেক্ষা করুন।
বরাবরের মত ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।

১১| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

সবুজ সাথী বলেছেন: ৬নং লাইক। পরেরটার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে দেখে প্রীত হলাম! ফের ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য-
ভাল থাকুন।

১২| ১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মুনসী১৬১২ বলেছেন: বাংলাদেশের অ্যাম্বাসি সেইরাম মাল......................

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: :) তা আর বলতে...ওদের তুলনা ওরাই। যে ঘোল খাইয়েছিল সেবার আমাকে।তবে আমরাই সাধারনরা কম যাই কিসে!

১৩| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২৯

বইয়ের পোকা বলেছেন: কত্তদিন পর লিখলেন আবার।

:D :D :D :D
বাংলাদেশী পাসপোর্ট যখন দিতেই চায় না,তখন রাশিয়ার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে ফেলতে পারতেন।

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল একটা পরামর্শ দিলেন ভাই- তবে একটু দেরি হয়ে গেল! :)
হ্যা বেশ কিছুদিন গ্যাপ হয়ে গেল।
বরাবরের মত সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ অনেক।

১৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

ইয়ার শরীফ বলেছেন: রাশিয়ান কারাগার নিয়ে যে সব ভয়ঙ্কর চিত্র দেখি মুভিগুলোতে, আর আপনি তো নিজেই থেকে এলেন।
ভাবতেই গায়ে কাটা দেয়।

লুবিয়াস্কা নামে এক কারাগারের নাকি খুব নাম ডাক? আপনার মতামত কি

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০২

শেরজা তপন বলেছেন: কারাগারে আর থাকার সৌভাগ্য আর হইল কই-ছিলামতো হাজতে!
সেইরকম অভিজ্ঞতা আর হইল না :(

আমি ওখানে কারো মুখে এর নাম শুনেছি কিনা মনে করতে পারছিনা।
বরাবরের মত অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

১৫| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১৫

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আগের গল্পগুলোর মতো।

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমার এইরকম ভয়াবহ কষ্টের কথা শুনে ভাল লেগেছে জেনে কিঞ্চিৎ বিমর্ষ হলাম :)
জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ ফের...

১৬| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: দশম ভালো লাগা। লেখার মাঝে বেশি গ্যাপ পড়ে যাচ্ছে।

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: দেশের যে অবস্থা! এর মধ্যে এইসব গল্পগুজব করি ক্যামনে?
এইবার ইচ্ছে করেই দেরি করলাম- ধন্যবাদ আপনাকে সবসময় সাথে থাকবার জন্য।

১৭| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ২:১৭

শিপু ভাই বলেছেন:
বরাবরের মতই ভালোলাগা।

বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কোনটা সম্পর্কে আজ পর্যন্ত ভাল কিছু শুনলাম না। আফসোস!!!


পরের পর্বের অপেক্ষায়!!!


এত বড় গ্যাপ ভাল না!!! :(

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ওই একবারই গিয়ে ছিলাম- কারো যেন ভাই এইরকম দুরবস্থায় পড়তে না হয় ।
সাভার ট্রাজেডির পরে আপনাদের মত কিছু ব্লগারদের ত্রান কার্যে অংশ গ্রহন ও স্বত:ফূর্তভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য এখন নিজেকে ব্লগার হিসেবে গর্ববোধ করতে পারি।
ভাল থাকুন সবসময়।

১৮| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

এক্সপেরিয়া বলেছেন: বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্টির নাম আওড়ানোর অংশটুকু পড়ে এত কিছুর মধ্যেও হাসি পেয়ে গেল । ইশ যদি এই অংশটুকু সচক্ষে দেখতে পারতাম ।

১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: তাই? মন খারাপ করার অনেক সময় আছে এখনো-পরের পর্বগুলোতে শুধু কষ্টের স্মৃতিকথা! এই ফাঁকে না হয় একটু হেসে নিন...:)
ফের ধন্যবাদ অনেক -ভাল থাকুন সারাক্ষন।

১৯| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

টেকনিসিয়ান বলেছেন: সাথে ছিলাম, সাথে আছি
তবে শিপুভাইও বললেন... এত বড় গ্যাপ ভাল না!!! :(

১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: সাথে আছেন বলেইতো মাঝে মধ্যে ফিরে আসার লোভ সামলাতে পারিনা-না হলে কবে ভেগে যেতাম!
শিপু ভাই পড়া-পাগল মানুষ। উঁনার চাহিদা পূরন করতে হলে লেখালেখিকে আমার পেশা হিসেবে নিতে হবে কিন্তু সেই যোগ্যতার ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশ-ও বিধাতা আমাকে দেননি।
ভাল থাকুন সবসময়।পরের পর্বগুলোতে সাথে পাব এই প্রত্যাশায় রইলাম...

২০| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

শিপু ভাই বলেছেন:
আপনি যদি পেশাদার লেখালেখিতে আসেন তাহলে আমি অন্তত নিশ্চিত আপনি সফল হবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে ভাল সাহিত্যিকের খুব অভাব। লেখক অনেক কিন্তু সুলেখক নাই।

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০১

শেরজা তপন বলেছেন: সত্যিকার অর্থে আমি কোন প্রতিভাবান লেখক নই সেটা আমি নিশ্চিতভাবে জানি। 'গাইতে গাইতে গায়েন' এর মত আমি 'লিখতে লিখতে লিখেন' হয়েছি-এর বেশী কিছু নয়।
একজন লেখকের কল্পনা শক্তি, ধৈর্য্য, মানসিক দৃঢ়তা, সবকিছুকে তুচ্ছজ্ঞান করার ক্ষমতা তার চারপাশকে একদম অন্যরকমভাবে পর্যবেক্ষন করার ক্ষমতা, সর্বোপরি লেখালেখির প্রতি দূর্দম ইচ্ছে থাকা উচিৎ যার কোনটাই তেমনভাবে আমার নেই।
আপনি আমাকে ভালবাসেন বলে এমনটা বলেছেন। আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ আমাকে তেমন যোগ্য মনে করার জন্য। আর কিছু বলার নেই...

২১| ১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার এক সময় এ রাশিয়া পড়ে যেমন ভালোবেসে ছিলাম রাশিয়া কে , তেমনি আপনার হাজত বাস পড়ে ভীষণ রাগ হচ্ছে ...।
ভাগ্যিস এটা বর্তমান কাল না ............... (উফ হাফ ছেড়ে বাচার ইমু )

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: .......হাঁফ ছাড়ার ইমো-টা সাংঘাতিক হয়েছে :)
রাশিয়ার ভয়ংকর সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে উঠি। সেই দুঃসময়ের দু-য়েকটা স্মৃতিচিহ্ন আজো শরিরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।
রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক! তবুও আমি রাশিয়াকে ভালবাসি-প্রচন্ডভাবে ভালবাসি...(নিজের জন্মভুমির কথা ভিন্ন)
বাই ডিফল্ট ধন্যবাদ রইল। ভাল থাকুন।

২২| ১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

ঘাসফুল বলেছেন: তারপর. তারপর.. তারপর...?

১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: তারপর যে কি হইল... মনে পড়ছে না এখন :)
মনে পড়লে বলব।
আপনাকে বরাবরের মত সাথে পেয়ে অনেক ভাল লাগল। ভাল থাকুন

২৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

মধুমিতা বলেছেন: +++ পরের পর্ব কবে?

১৪ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: এত দেরি করে আসলে পরের পর্ব দিতে আমারও দেরি হবে :)

অনেক ধন্যবাদ- ভাল থাকুন সবসময়। আশা রাখছি এ সপ্তাহেই পরের পর্ব পোষ্ট করতে পারব।

২৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আয় হায় !! শেষ মেস নিজেরে বাংলাদেশি প্রমাণ করতে হবে ?? এটাই বোধহয় বাকি ছিল !! না ভাই, খুব কষ্ট লাগছে :(

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: বোঝেন তাহলে- কি মহা পেঁজগীতেই না পড়েছিলাম!

আরো অনেক অঘটন বাকি আছেরে ভাই -এইসবতো অতি ক্ষুদ্র সমস্যা!
ধন্যবাদ আপনাকে একসাথে এতগুলো পর্ব পড়ে মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন

২৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

অদৃশ্য বলেছেন:




তপন ভাই

বুঝতে পারছি কি চরম পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন সেই সময়... যাক সামনের দিকে এগুতে থাকি দেখি আপনারদের এই পাসপোর্টের ঝামেলা কিভাবে সুরাহা হয় !

বাংলাদেশের এম্বাসি নিয়ে যা লিখলেন তা সত্যই হতাশার কথা... যদিও আমরা সেইসব হতাশা নিয়েই প্রতিটা সময় পার করছি...

অপেক্ষায় থাকলাম পরেরটার...

শুভকামনা...

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের একবার উত্তর দিয়েছিলাম- কিন্তু সেটা কেন পোষ্ট হলনা বুঝতে পারলাম না!
রাশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ এ্যম্বাসীর কর্মকর্তারা অতটা রুঢ় নন যতটা সেই সময়টা ছিলেন। আসলে আমার ভাগ্যটা তখন সুপ্রসন্ন ছিলনা, তাই সবখানেই ঝামেলা হয়েছে। বাংলাদেশ এ্যম্বাসীর এহেন ব্যবহারের বিশেষ একটা কারন আমি পরের পর্বে বলার চেষ্টা করেছি।
আশাকরি বরাবরের মত আপনাকে সাথে পাব। পরের পর্বে আপনার সদয় উপস্থিতি আর মুল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন।

২৬| ১৬ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

মুহিব বলেছেন: প্রবাসী স্টুডেন্টদের অনেক কষ্ট করতে হয় তা আগেও শুনেছি।

১৭ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যে, অনেকদিন বাদে? আপনার দার্জিলিং ভ্রমন নিয়ে লেখা কাহিনীটা কেমন চলছে?
আমার ব্লগে আপনাকে দেখে ভাল লাগল। ভাল থাকুন সবসময়।

২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: খুব ঝরঝরে লেখা

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: খুব ঝরঝরে মন্তব্যও :)

২৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: খুব ঝরঝরে মন্তব্যও :)

২৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হাজতও বাকি আছে!!!!!!!!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা ওইটেই বাকি ছিল- একেবারে ষোলকলা পূর্ণ যাকে বলে :)

৩০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

জুন বলেছেন: খুব ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তপন :-&
এতো দেখি জলে কুমীর ডাঙ্গায় বাঘ এর অবস্থা।
আগেও লিখেছিলাম বিদেশে পাসপোর্ট হারানোর মত এমন দুর্যোগ আর নেই।
আর বাংলাদেশ হাই কমিশন তো আমাদের টাকায় খেয়ে দেয়ে আমাদের অসহযোগিতা করার জন্য নিযুক্ত :P
+

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: বহু দেরিতে উত্তর দেবার জন্য আমি জোড়হাতে ক্ষমাপ্রার্থী জুন আপু।
ঠিক সহমত আপনার সাথে।
ভাল থাকবেন আর উত্তর দেবার দেরির জন্য -রাগ করবেন না প্লিজ।

৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

লিখেছেন বলেছেন: পরলাম

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: হুম জানলাম...

৩২| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১০:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: কি একটা অবস্থা! এমন সময়ে নিজেকে সামলেছেন কিভাবে ভাবতেই অবাক হতে হয়।

২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই সিরিজটা আমি বই আকারে প্রকাশ করতে চাচ্ছি- কেমন হবে বলুনতো?

৩৩| ২৬ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার হবে৷ প্লিজ প্রকাশ করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.