নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাগদা তো-ভ রাশিয়া-১২

১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

আমি এই সর্বনাশের খবর পেয়ে ছুটে গেলাম বড় ভায়ের কাছে ‘দাদা আপনি কি সত্যিই আমার টাকা গুলো তার হাতে তুলে দিয়েছেন ?’

প্রতিউত্তরে বড়ভাই লজ্জায় আরক্ত হয়ে চোখ নামিয়ে ফোৎ ফোৎ নিঃশ্বাস ছাড়লেন!

‘আমার এখন কি হবে?’প্রশ্নটা করে তার দিকে এমন ভাবে চাইলাম যে, যেন এর উত্তরেই আমার জীবন মরন নির্ভর করছে?

তিনি হতাশায় দুদিকে মাথা ঝাকিয়ে বললেন ‘আমি জানিনা।’পরক্ষনেই কিভেবে বললেন ‘রেডি হয়ে এসো । আমার সাথে বাইরে যাবে।’

আমি বিনা বাক্য ব্যায়ে আমার ফিরে এলাম আমার রুমে। পোষাক আশাক পড়ে দরজা খুলতেই দেখি তিনি আমসে মুখে প্যাসেজে পায়চারী করছেন।



দুজনে বের হয়ে ট্যাক্সি করে সোজা গেলাম গুরুর বাসায়।

দরজা নক করার অনেক্ষন বাদে মাতাল একজন দরজা খুলে আগুন্তকদ্বয়ের দিকে একটিবার মাত্র দৃস্টি নাদিয়ে টলায়মান পায়ে উল্টো দিকে ফিরে গেল। ভিতরে ঢুকতে গিয়েই ক্ষনিকের তরে থমকে গেলাম- কেমন বিষন্ন থমথমে পরিবেশ! আগের সেই হাসি উচ্ছলতার ঠিক যেন বিপরিত চিত্র!



ধোঁয়ায় ঢাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন দ্বীতিয় ঘরটাতে ঢুকে দেখি এককোনে উস্ক খুস্ক চুলে বিস্ত্রস্ত বসনে মাথা নিচুকরে বসে গভীর চিন্তায় মগ্ন তিনি। ঠিক আগেরই মত এক হাতে ধরা মদের গ্লাস আর অন্য হাতে জলন্ত সিগারেট কিংবা গাঁজার স্টিক কোলের উপর বালিশ রেখে বুক দিয়ে চেপে ধরে আছেন। আমাদের পদশব্দে ধ্যান ভেঙে তিনি চোখ তুলে তাকালেন। তার রক্ত জবা চোখের বিষন্ন দৃস্টি দেখে আমার করুনা হল। সে দৃস্টি বলে দেয় যে তিনি প্রতারক নন!

আমাকে দেখেই তেমনি করে মোহনীয় হাসি দিয়ে সম্ভাষন করতে চাইলেন;

'আরে তপন! আসো বসো।'

'তুমিতো ড্রিংক করো না কি খাবে বল, জুস আছে খাবা?

আমার ভিতরে তখন হাতুরি পেটা হচ্ছে মদ খাওয়ার সময় চলে এসেছে-জুস যাবে ভাগাড়ে!' গলার কাছে দলা পাকিয়ে থাকা কষ্টগুলো এক ঢোকে গিলে বললাম,'না ভাই লাগবেনা।'

'লাগবেনা মানে;ঝুট-ঝামেলা নিয়ে আলাপ হবে পরে।কথাগুলো খানিকটা আন্তরিকতা মেশানো হুকুমের সাথে বলে নিজের মদের গ্লাসটা আমার দিকে বাড়িয়ে ধরে বললেন,' আজকে না হয় এটাই খাও?'

খানিকট ইচ্ছে তখন হয়েছিল, 'হাত বাড়াতে গিয়ে নিজেকে সংবরন করে সবিনয়ে প্রত্যাখান করলাম!'

লোকটার দিকে তাকিয়ে আমি ভাবছিলাম, আমার ক'টা টাকা যেটা একান্ত নিজের- কেন খোয়ালাম সেটা নিয়ে নিজের বড় ভাই আর বাবা ছাড়া কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবেনা-সেই চিন্তায় আমি কেলিয়ে পড়েছি। আর এই লোকটা কম পক্ষে পঞ্চাশ হাজার ডলার ধরা খেয়েছে যার এক চতূর্থাংশও তার নিজের নয়। প্রায় পুরো টাকাটাই ধার করা কিংবা আদমদের। কি করে সে এদের দেনা শোধ করবে? আর এতগুলো লোকের ভরন পোষনের দায়িত্ব , জবাবদিহিতা, সন্দেহ অবিশ্বাস ওফ ভয়ংকর!!

কিছুক্ষন চুপচাপ সবাই। শোকাবহ পরিবেশ!

নিরবতা ভাংলেন বড় ভাই - গুরুর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলল, গুরু কোন ভাবেই কি ওর টাকাটা ফেরত দেয়া যায় না?

তিনি এবার ফের সেই দৃস্টি মেলে আমার দিকে তাকালেন , তখনো যেন ঠোটের কোনে সেই হাসিটি ঝুলে আছে। কোন কথা না বলে খালি ভারী মদের বোতলটা আমার দিকে এগিয়ে ধরে বললেন ‘ধর।’আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দুসেকেন্ড তার দিকে চেয়ে রইলাম!

তিনি মুচকি হেসে বোতলটা আমার আরো কাছে এগিয়ে ধরে বললেন ‘কি হোল ধর?’

আমি বোতলটা হাতে নিতেই তিনি তার কোঁকড়ানে চুলেভর্তি মাথাটা নুয়ে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন ‘এখানে একটা কষে বাড়ি মারো।’ আমি তার কথা বুঝতে না পেরে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বোতল হাতে নিয়ে বসে রইলাম।

তিনি সামান্যক্ষন পরে মুখ তুলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন ‘কি মারলা না ?...ভাইরে আমারে এখন খুন করে ফেললেও একটা টাকা দিতে পারবনা। তোমার খুব বেশী রাগ হলে আমারে খুন করে যাইও । আমি মাইন্ড করব না।’বলেই আবার হাসলেন নিস্পাপ হাসি ।

এই লোকের উপর রাগ করে থাকা যায়না। অল্পক্ষনের মধ্যেই আমরা দুঃখ বিষন্নতা ভুলে খোশ গল্পে মগ্ন হলাম! কথা প্রসঙ্গে তিনি ওয়াদা করলেন যে, যেমন করেই হোক মাস তিনেকের মধ্যে আমার পুরো টাকা দিয়ে দিবেন। আর যদ্দিন আমি টাকা না পাই তদ্দিন খরচের সবটা তিনি বহন করবেন।

আবার জমল মেলা সেই বটতা হাটতলায়...কিন্তু সেই সুর নেই-তাল লয়েরও ঘাটতি অনেক;তবুও প্রায় সব হারানো কিছু মানুষের আড্ডা মন্দ নয়।

ডকুমেন্ট হারানোর বেদনা অর্থ বিয়েগের কষ্ট! ওই বয়সে এদুটো চাপ আমাকে মানসিকভাবে খানিকটা বেসামাল করে ফেলেছিল। সান্তনা ছিল একটা প্রেম! আমার প্রথম প্রেম-কচি বয়সের সেই দুরন্ত প্রেমের কি মোহ সেটা এই বয়সে অনুভব করতে চাওয়া বোকামি!

পরিচয় ছিল আগেই কিন্তু রাশিয়া যাবার মাত্র সপ্তা খানেক আগেই ঘনিষ্ঠতা ও প্রেম। শুধু একবার মাত্র হাত ধরেছিলাম তার- সেই স্পর্শের মাদকতায় এতবেশী মাতাল ছিলাম যে,রুশীয় প্রেয়সী পানীয় ভদকাকে বারবার প্রত্যখান করেছি ।দুর্দান্ত সুন্দরী,মোহনীয়, চরম আবেদনময়ী রুশীয় নারীদের দিকে ঝাপসা আর ঘোলা চোখে তাকিয়েছি।

রাশিয়ায় সেই চরম দুঃসময়ে সব দুঃখ কষ্ট ছাপিয়ে আমার মনের অতি সুক্ষ কোনে জমানো ভাললাগা অহংকার মোহ আর ভাবাবেগ আমাকে পরম শান্তি দিত।

দেশে ফোন করা তখন বিরাট ঝামেলার ব্যাপার ছিল! গুটিকতক বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাসায় ফোন। রাশিয়ার এনালগ ফোন থেকে লাইন পাওয়া ভীষন কষ্ট! বাংলাদেশে তখনো এনালগের যুগ থাকলেও অবস্থা ওদের থেকে খানিকটা ভাল ছিল। ডায়াল টিপতে টিপতে আঙ্গূলে কড়া পড়ে যেত তবুও সংযোগ মিলত না। সংযোগ মিললে তখন এখানে গভীর রাত কিংবা যাকে খুজছি সে বাসায় নেই- অথবা ভুল নম্বরে চলে যাওয়অ বিচিত্র ছিল না।তাই সস্তা হলেও চরম অবসর কিংবা বিশেষ প্রয়োজন না হলে কেউ ওভারসিজ ফোন করত না।

কিভেবে আমার ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে ফোন করেছিলাম। ভেবেছিলাম দু-য়েকটা সুখ(!) দুঃখের কাহন গাইব।সে আমার ফোন পেয়ে লাফিয়ে উঠল হাত দশেক! এরপর গল্প-কথা ফুরোতেই চায়না!

সেদিন যে কেন ফোনটা করেছিলাম জানিনা? আমার নিয়তি হয়তো আমাকে বাধ্য করেছিল!

কথার ফাঁকে আমার প্রেমিকার কথা জিজ্ঞেস করতেই আচমকা সে থমকে গেল;-আমতা আমতা করে কি যেত বলতে চাইল, বলল না। প্রসঙ্গ পাল্টাতে চাইল, আমিও নাছোড় বান্দা! কেমন একটা রহস্যের আভাস পেলাম। চরম কোন দুঃসংবাদের আভাস পেয়ে বুকের মাঝখানটা ফাকা হয়ে গেল-হৃদয় বলল, আমার এখানে আরো কষ্ট নেবার জায়গা আছে-গো তুমি ভয় পেয়ো না।

সে যতই প্রসঙ্গ পাল্টাতে চায় না কেন আমি ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন আউড়ে যাই?

বন্ধু আমার বলে শুধু- থাক। বাদ দাও। মনে হয় আমার দেখার ভুল!

বেশ খানিক্ষন তালবাহানা করে অবশেষে খোলসা করল;

আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হবার উপক্রম-মস্তিস্কের ভয়ঙ্কর জটিল এক খেলায় আমি চারপাশের জাগতিক সবকিছুকে ভুলে গেলাম কয়েক মুহুর্তের জন্য। যেন ভেসে যাচ্ছিলাম তুলোর মত হালকা শরির নিয়ে অজানায় অন্য কোন ভুবনে... ১২ তম পর্ব শেষ

আগের পর্বের জন্য ;

Click This Link

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

আরজু পনি বলেছেন:

পরিচয় ছিল আগেই কিন্তু রাশিয়া যাবার মাত্র সপ্তা খানেক আগেই ঘনিষ্ঠতা ও প্রেম। শুধু একবার মাত্র হাত ধরেছিলাম তার- সেই স্পর্শের মাদকতায় এতবেশী মাতাল ছিলাম যে,রুশীয় প্রেয়সী পানীয় ভদকাকে বারবার প্রত্যখান করেছি ।দুর্দান্ত সুন্দরী,মোহনীয়, চরম আবেদনময়ী রুশীয় নারীদের দিকে ঝাপসা আর ঘোলা চোখে তাকিয়েছি। ...........এই অংশটুকু পড়ে যখন লজ্জার ইমো খুঁজছিলাম তখন শেষে এসে এ কি শোনালেন ! :( :((

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: লজ্জা শরম মরম সব আমার জন্য! আপনি কেন?:)
বাস্তবতা তো এমনই- শুরু হয় অনেক কষ্টে কিন্তু শেষটা হুট করে আচমকাই হয়ে যায়। নাকি বলেন?
প্রথম মন্তব্যের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সবসময়।

২| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

ঘাসফুল বলেছেন: অনেক টাফ টাইম কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি...

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এখনো কোন সন্দেহ আছে নাকি ...:)
বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। ভাল থাকুন এই প্রত্যাশায়...

৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

মেদভেদ বলেছেন: তা ব্রাত কোন সালের কাহিনী??? গুরুর নামকি?? চিনতেও পারি!

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: নব্বুয়ের দশকের। গুরু তখন মস্কোতে একজনই ছিলেন- তার চেহারা চালচলনের বর্ণনায় চিনে ফেলাটা কষ্টকর নয়।সরাসরি নামটা বলা ঠিক হবেনা।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

মেদভেদ বলেছেন: কাগদা তো ভে রাছিয়ি Я тоже быль.

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: সেটা আপনার আগের মন্তব্যেই বুঝে ফেলেছি। যদিও আমি মোটেও কেউকেটা কেউ নই -তবুও কথায় কথায় আমাকেও চিনে ফেলতে পারেন।
হয়তো কখনো পরিচয় হয়েছে :)
এখন কোথায় আছেন? ত সালে ছিলেন আপনি? কোথায় ছিলেন জানালে কৃতজ্ঞ হব।
ভাল থাকুন

৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সে দৃস্টি বলে দেয় যে তিনি প্রতারক নন! ...।
এইটুকুই আশার কথা , ক্ষতি মেনে নেয়া যায় কিন্তু প্রতারণা জ্বালা ......?
আশায় থাকলাম কঠিন সময় শেষ এর দ্বার প্রান্তে ... :(

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আর মাত্র কয়েকট পর্ব বাকি... তারপরেই তেনারা সুখে শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করিবেন:)
কষ্টের সময়গুলোর অপ্রয়োজনীয় নিরস পর্বগুলোতে আপনার সরব উপস্থিতি আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
ভাল থাকুন।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম.....

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু হুমম... আর কিছু বলবেন না? :(
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। আপনি মনে হয় আমার ব্লগে প্রথম আসলেন-কি?
তাহলে স্বাগতম আমার ব্লগে।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

ফ্রুলিংক্স বলেছেন: অফলাইলে সব সময় ফলো করি। তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন।

আলকাশ সিরিজটি বন্ধ হলো কেনো?? তাড়াতাড়ি আলকাশ সিরিজটিও চালু করুন। না হলে কর্তৃপক্ষকে বিচার দিলাম ;)

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: অফলাইনে কেন ফলো করেন-অনলাইনে আসতে সমস্যা কি? :)
আলকাশ পর্ব আবার শুরু হবে নিশ্চিত। এইটা আগে শেষ করি-আলকাশের প্রতি ভাল বাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত।
ভাল থাকুন।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

তূর্য হাসান বলেছেন: অন্যের কষ্টের অনুভূতি পুরোপুরি কারো পক্ষেই অনুভব করা সম্ভব নয়। বুঝতে পারছি আপনার ওই সময়টা খুব খারাপ গেছে। তবে স্বস্তির ব্যাপার আমরা অতীতের কথা শুনছি। আশাকরি সব কষ্টের অনুভুতি জয় করে এখনকার এই আপনি। ভালো থাকুন সব সময়।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: সবিশেষ ধন্যবাদ আমার তখনকার মানসিক অবস্থা খানিকটা হলেও অনুভব করার জন্য।ঠিক খুব-ই খারাপ গেছে। এখন সেসব কথা ভাবলে মনে হয়- সপ্ন দেখেছি! হুম-আপনাদের আশির্বাদে ভালই আছি।
আপনিও ভাল থাকুন-সব সময়ের জন্য।

৯| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চরম অবস্থায় শেষ করসেন!

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: চরমের আর খানিকটা বাকি আছে :)
পরের পর্বগুলোতেও সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম।
ভাল থাকুন।

১০| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আগের পর্ব পড়া হয় নাই । তবে এটা পড়ে আগের গুলো পড়ার ইচ্ছে জাগলো ।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য।
অপেক্ষায় রইলাম আগের পর্বগুলো পড়ে ফেলবেন ঝটপট....
ভাল থাকুন সবসময়।

১১| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শেষ করে ফেললেন এত দ্রুত। :(

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আরো বেশী প‌্যাচাতে গেলে পাঠকের বিরক্তির কারন হতে পারি সেই ভয়ে অল্প কথায় অনেক ঘটনা বলার চেষ্টা করছি। বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঝটিকা বলেছেন: নতুন দিকে মোড় নিল দেখছি।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঘটনার এই মোড়ের এখানেই ইতি। পরের পর্বে নতুন ঘটনা আনছি:)
ফের ধন্যবাদ- ভাল থাকুন

১৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৯

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: অসাধারণ !!! এই জন্যেই আপনার লেখা পর্ব গুলোর অপেক্ষায় থাকি আমি।

১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১১

শেরজা তপন বলেছেন: :) বিশেষ প্রীত হলাম জেনে-যদিও ধারনা করছি সাধারনকে অসাধারন বলার দারুন মানসিকতা আছে আপনার।
আমিও অপেক্ষায় থাকি আপনার মত ব্লগারদের মন্তব্যের।

১৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

শিপু ভাই বলেছেন:
শুরুর আগেই শেষ!!! এইটা হইল!!! :(


১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: :)এর শুরুও না শেষ ও নাই অন্য কাহিনীতে যাচ্ছি।
পরের পর্বে অপেক্ষায় থাকব আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

ধানের চাষী বলেছেন: মজার কাহিনী আছে মনে হয় :D

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: এর মধ্যে খুব একটা মজা নেই- ঘটনাটা সংক্ষেপে সারছি। পরে কখনো প্রেম কাহিনী লিখতে বসলে পুরোটা লিখব না হয়।
ধন্যবাদ বরাবরের মত সঙ্গ দেবার জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।

১৬| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

অদৃশ্য বলেছেন:




তপন ভাই

লিখাটি পরে এসে পড়ে যার... মন্তব্যে মনে হচ্ছে ভেতরে জমজমাট কিছু আছে !!



শুভকামনা...

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম- না তেমন কিছু নয় একটা কাঁচা প্রেমের ছ্যাকা খাবার আভাস আছে মাত্র! :)

১৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

কালোপরী বলেছেন: :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: ফের সেই হাসি!!!
এত দুঃখের কথা শুনেও হাসি পায় আপনার :)

১৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বিপদ নাকি কখনো একা আসে না ?? আপনার পোস্ট পড়ে আরও বদ্ধমূল ধারণা হল। পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক- বাচ্চা কাচ্চা আত্মীয় স্বজন সব নিয়ে আসে যে সেইটা প্রমানিত হইল :)
অনেক ধন্যবাদ 'মহামহোপাধ্যায়'। বরাবরের মত আপনার সঙ্গ পেয়ে ধন্য হলাম।
ভাল থাকুন সবসময়। পরের পর্বে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

কালোপরী বলেছেন: আমার কাছে সেই লেখাটাই ভাল লাগে যা পড়লে চোখের সামনে ছবি হয়ে ভেসে উঠে

তাই আনন্দে হাসি

১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১২

শেরজা তপন বলেছেন: মজার যুক্তি-শুনে মজা পেলাম :)

২০| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

এক্সপেরিয়া বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম....

১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: সবিশেষ ধন্যবাদ 'এক্সপেরিয়া' বরাবরের মত সঙ্গ দেবার জন্য। ভাল থাকবেন এই প্রত্যাশায়...

২১| ১৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

অদৃশ্য বলেছেন:




তপন ভাই

শুরু থেকে শেষ একেবারে জমজমাট হয়েছে গল্পের এই অংশ... এবং শান্তি পাচ্ছি এই ভেবে যে পরের পর্বটা আপনি অলরেডি প্রকাশ করে ফেলেছেন...

দারুন লাগলো... হতাশার ভেতরে যে শেষ সম্বলটুকু ছিলো তারও হারিয়ে যাবার আশঙ্কায় হতবিহ্বল আপনার অবস্থার সুচারু বর্ননা...


শুভকামনা...

১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো আমার লেখার থেকে অনেক ভালমানের মন্তব্য করলেন! আমি এখন মাথা চুলকাচ্ছি-প্রতিউত্তরে কি লেখা যায় তাই ভাবছি।
এমন মন্তব্যে সকল জাগতিক ব্যাপারে উদাসীন লেখকেরও মন ভাল হয়ে যাবে আর আমিতো কোন ছাড়-:)

২২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

আল ইফরান বলেছেন: আমার খুব কাছের এক বন্ধুর ঠিক আপনার মতই শুরু। সেও একটা লম্বা সময় রাশিয়াতে থেকে পরে সময়ের প্রয়োজনে নরওয়ে পাড়ি দিয়েছে।
তবে আপনার সাথে তার এই শেষের দিকটাতেই পার্থক্য। যে মেয়ের হাত ছেড়ে সে বহুদুর পাড়ি দিয়েছে, সে আজও তার প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেনি। ৬/৬.৫ বছর ধরে হাজার মাইল দূরে থেকে, একে অন্যকে না দেখেও ঘর বাধার স্বপ্ন দেখে দুজনেই।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। :) :) :)

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম তিনি অতি ভাগ্যবান! নাকি আমি? কে জানে -জীবনের দুটো পর্বই দেখতে পারলে ভাল হত।
ধন্যবাদ আপনার বন্ধুর ব্যাপারটা শেয়ার করার জন্য।
রাশিয়অর জীবন আমাকে একটা বিষয় বেশ ভালভাবেই মাথার মধ্যে পুশ করে দিয়েছে' যত সম্ভব নিজেকে নিয়ে ভাব'! কেউ আমাকে ভাল না বাসলে সেটা তার সমস্যা। তাকে ভেবে কোন বিনিদ্র রজনী কাটানোর মত অত বেশী ফালতু সময় আমার নেই। স্বার্থপর ভাবছেন? হতে পারি তবে অতবেশী নই। যে আমাকে ভাল বাসে কাছে টানে তার জন্য 'এক'শ আটটি নীল পদ্ম এনে দিতে রাজি আছি।' :)
আপনার প্রতিও রইল শুভ কামনা। ভাল থাকুন সবসময়।

২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫

জুন বলেছেন: তপন যদিও অনেক পুরোনো ঘটনা তুমিও কাটিয়ে উঠেছো সমস্ত শোক। তবুও এখন এই কাহিনী পড়ে অনেক খারাপ লাগছে সব কিছু হারানোর বিদেশ বিভুইএ এক অসহায় যুবকের ডায়রী পড়ে।
+

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে নিচ্ছি প্রথমেই।
ঠিক বলেছেন অনেকটা ভুলেই গেছি সেইসব দুঃস দিনের স্মৃতি! তবুও সবকিছু মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইলেই পারা যায় না। আমার প্রতি বিশেষ সহানুভুতি প্রকাশ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা! এমন সুন্দর মন নিয়ে আজীবন ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.