নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
অনেকেই নিয়তি বা ভাগ্যকে বিশ্বাস করেননা- তার পিছনে অবশ্যই তাদের বিশেষ যুক্তি আছে।আমার রাশিয়ার জীবনে কিন্তু দূর্ভাগ্যের এই সময়টুকু আমাকে নিয়তি বা ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল।একেরপর এক ঘটনাগুলো কেন যেন সাজানো নাটকের মত মনে হচ্ছিল। কোন এক অদৃশ্য শক্তি আমাকে যেন সম্পূর্নরুপে-রিক্ত নিঃস করে দিতে চাচ্ছে। কেন কি জন্য কে জানে -হয়তো ভবিতব্যই বলে দিবে? ঠিক হল তাই-এর পরের আঘাতটা আমাকে যেন ভিখেরী বানিয়ে ফেলল;
শীতের শেষ বাইরে বরফ গলতে শুরু করেছে। নিজের ভারী বুট জুতোটা রেখে পাশের রুমের এক বন্ধুর কেড্স খানা ধার করলাম ভেজা রাস্তায় হাটতে সুবিধা হবে ভেবে। হোটেলের অনতি দুরেই এক বাসায় দাওয়াত ছিল।
গল্প খাওয়া দাওয়া নাচ গান শেষে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হল। হোটেলের মুল দরজা খুলে ভিতরে উকিইদয়ে দেখি ম্যানেজার মহিলা কান্টারেরর উপর মাথা রেখে ঘুমুচ্ছেন ।
যাক বাঁচা গেল! উনি জেগে থাকলে একগাদা প্রশ্নের উত্তর দিতে হোত?
যদিও সেগুলো জেরা নয়; বন্ধু সুলভ , কোথায় গিয়েছিলে? কেমন আড্ডা হোল? এত রাতে ফিরতে সমস্যা হয়নিতো?
এইসব। তবুও ভাল লাগছিলনা এত রাতে ভ্যাজর ভ্যাজর করতে।ক্লান্তিতে চোখ বুজে আসছে । কোমতে রুমে গিয়ে শুতে পারলেই বাঁচি। পা টিপে টিপে লিফটের কাছে এগিয়ে গিয়ে লিফটের বোতাম চাপলাম।
রুমের বন্ধ দরজার সামনের আধো অন্ধকার প্যাসেজে দাড়িয়ে পকেট হাতরে চাবি বের করে কি হোলে লাগাতে গিয়েই বুকের ভিতরে ছ্যাত করে উঠল ‘আরে এখানে দেখি বড় একটা গর্ত বা হাত দিয়ে দরজাটা আলতো করে চাপ দিতেই হাট করে খুলে গেল!’
দ্রুত রুমে ঢুকে কাঁপা হাতে লাইট অন করতেই ভীষন রকম চমকে উঠলাম!
কিচ্ছু নেই- সব নিয়ে গেছে! হায় দামি জিনিসপত্রতো গেছেই এমনকি অন্তর্বাস, মোজা থেকে শুরু করে বাংলা গানের ক্যাসেট পর্যন্ত ।’
ঠিক তখনকার অনুভুতি এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শুধু এটুকই বলতে পারি বিধ্বস্ত ক্লান্ত বিষন্ন বিস্মিত হতাশ কোন চিৎকার চেঁচামেচি করলাম না-কাউকে ডেকে তুললামনা। কোন অনুযোগ নয় কোন অভিযোগ ক্লান্ত পায়ে ধীরে ধীরে বিছানার দিকে এগিয়ে কোন মতে সেখানে বসে দু'হাতে মুখ ঢেকে বসেছিলাম ভোর অব্দি! কি ভয়ানক নিঃসঙ্গ বিষন্ন সে রাত!
ভাগ্যের কি নির্মম করুন পরিহাস! সব-সবকিছুই হারালাম আমি।
পায়ের জুতাখানাও ধার করা।
বন্ধুদের একাংশ পরামর্শ দিল; পুলিশের কাছে যেতে আরেক অংশ নিষেধ করল কেন,না আমার নতুন পাসপোর্ট পেলেও এখনও ভিসা লাগেনি, উল্টো আমিই হয়রানির স্বীকার হব।
অগত্যা হোটেল কতৃপক্ষকে ধরে অন্য বোর্ডারের নাম করে পুলিশ ডাকানোর ব্যাবস্থা হল। পুলিশ এলে তারা বলবে যে ঐ রুমের বোর্ডার রুম তালা মেরে কিছু দিনের জন্য অন্য শহরে গেছে-এই ফাকে তস্কররা চুরি করে পালিয়েছে।
পুলিশ ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই প্রকৃত অপরাধীদের না পেলেও দোসরদের বের করে ফেলল । ওরা এ হোটেলেই থাকে জাতিতে ‘গ্রুজিন ’মানে জর্জিয়ান। মারের চোটে তারা স্বীকার করল তাদের বন্ধুরা সব মালপত্র নিয়ে এতক্ষনে ট্রেনে করে জর্জিয়া চলে গেছে!
অনেক দেনদরবার শেষে তারা রাজি হল বন্ধুদের পক্ষ হয়ে কিছু ক্ষতি পুরন দিতে।
কে দিল কত দিল আর কে নিল কত নিল তা আমি জানিনা। সব হয়েছিল পর্দার আড়ালে তবে আমার ভাগে সর্বসাকুল্যে পরেছিল শ’খানেক ডলার! টাকাটা হাতে পেয়ে আমার চোখে জল এসে গেল এটা দিয়ে আমি কি করব? বর্তমান রাশিয়ায় অবিশ্বাস্য উর্ধ্বমুখী এই আকড়ার বাজারে একপ্রস্ত জামা জুতো কিনতেই এই টাকা বেরিয়ে যাবে! থাকা খাওয়ার খরচ তখনও সহনসীল পর্যায়ে কিন্তু পোষাকের দাম সে তুলনায় আকাশচুম্বী! ‘ও গসপেদী’...(ও ঈশ্বর)!!!
তখন আমার মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল অবস্থা! নিঃস্ব তো হয়েইছি নিজেকে আরো বেশী নিঃস্ব করার অভিপ্রায় একরাতে সে টাকা উড়িয়ে দিলাম। সেই ভয়ঙ্কর রাতেই প্রথম এলকোহলের স্বাদ গ্রহন।ভদকা গিলতে চেষ্টা করেছিলাম - উরে বাবা! গন্ধে নাড়িভুড়ি বের হয়ে আসতে চায়! আর বিয়ার ছ্যাঃ কি তেতো-এই পানীয় মানুষ কেমনে খায়?
অগত্যা বাকি সবার তাচ্ছিল্য আর বক্র হাসিকে তুচ্ছ করে দু'বোতল শ্যাম্পেন সন্ধ্যা থেকে মাঝ রাত অবধি একাই পান করেছিলাম। মাতাল হয়েছিলাম কি না বলতে পারিনা-তবে শান্তি পেয়েছিলাম। একরাতে সবগুলো টাকা উড়িয়ে দিয়ে -কি ভীষন হালকা বোধ হচ্ছিল-গায়ের পোষাক খুলে দিগম্বর হয়ে ঘুরতে পারলে মনে হয় আরেকটু মজা পেতাম...
সেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা পরে অনেক ভেবেছি কিন্তু কোন কুল পাইনি । সেই চুরির ঘটনাটা ছিলকি কোন ফ্লুক না সাজানো ? কেননা আমাদের ফ্লোরটাতে শুধু আমরা বাঙালীরা আর সবার থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকতাম । এই ফ্লোরে অন্যান্য বোর্ডাররা প্রায় আসেনা বললেই চলে । শুধু দু পাচজন আজারবাইজানী যারা আগ বাড়িয়ে আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করে। অনেকটা আব্দার করেই রুমে আসে খেতে চায় কিন্তু কোন জর্জিয়ানের সাথে এখানে কারো বন্ধুত্ব হয়েছে বলে শুনিনি ।
সমগ্র রাশিয়ায় দুটো জাতির দুর্নাম বেশী বিশেষ করে এধরনের ছোট অপরাধে তারা শীর্ষে । এক জিপসী বেহেমিয়ান যাযাবর জাতি(সেগান) যাদের চেহারার আদল ভারতীয়দের মত ‘আমাদের দেশের বেদেনীদের মত তারা বিভিন্ন ছলাকলা হাতসাফাইয়ে পারদর্শী। দুই -আজারবাইজানী ।
সেই তুলনায় জর্জিয়ানদের কোন বদনাম নেই বললেই চলে । ওরা যদি চুরি করবেই তবে আগে ভাগে কি করে জানবে আমার ওই ছোট্ট রুমটাতেই সবচেয়ে বেশী মালপত্তর আছে -আর আমি সেই রাতে বাইরে যাব আসতে দেরী হবে?
ওরা নিশ্চই রাতের প্রথম প্রহরে চুরি করেনি- কেননা পুরো হোটেল তখন জেগেছিল । কাজ সেরেছে আমি আসার কিছু আগে। তবুও এতগুলো ছেলের কি কেউই তখন জেগে ছিলনা?ক'দিন আগেই আমার এক বন্ধু জার্মানীতে বেড়াতে যাবার আগে তার পোষাক আষাক শুদ্ধ ভারি দুটো স্যুটকেস রেখে গিয়েছিল আমার জিম্মায়। কাপড় চোপড় সহ অন্যান্য জিনিসের কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু আমার সেই দৈতাকৃতির প্রায় তিনমন ওজনের ভারী দুটো স্পিকার নিয়ে তারা কিভাবে পালাল?
এমনও হতে পারে এসব হয়েছে যোগ সাজসে,যার মুল হোতা আমারই দেশী ভাই আর চুরি করেছে আজারবাইজানীরা। যেই জর্জিয়ান গুলোকে পুলিশ ধরেছে তাদের নিশ্চই কাগজ পত্রে কোন সমস্যা ছিল সেজন্যই বড় বিপদের হাত থেকে বাচার জন্য কল্পিত মাতাল বন্ধুদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দুয়েকশ ডলার জরিমানা দিয়ে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে
এখনও সেই ঘটনাটা রহস্যই থেকে গেছে! কাকে দোষী কর?ব সবার দিকে তাকিয়েই মনে হত না না এ একাজ করতে পারেনা এতো আমার সবচেয়ে সত্যিকারে শুভাকাঙ্খী বন্ধু... দ্বীতিয় খন্ড শেষ পর্ব।
আগের পর্বের জন্য; Click This Link
১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: যাক অবশেষে কেউ একজন মন্তব্য করল!
ফের ধন্যবাদ-আমার দুঃখে সমব্যাথি হবার জন্য। আমি সবসময়ই সবাই ভাল থাকুক এই প্রার্থনা করি।
২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: ‘ও গসপেদী’ :-<
১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
শেরজা তপন বলেছেন:
৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: এই হয়, বিপদ যখন আসে তখন চারদিক থেকেই আসতে থাকে। স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় আমারও কিভাবে যেন একবার হয়েছিলো এরকম, পকেটের সবগুলো টাকা শেষ, এক টাকাও নেই। ঐ দিন কেন যেন হঠাৎ খুব মজা লাগলো ব্যাপারটা, মনটা হালকা হয়ে গেল, এক টাকাও নেই, কি আনন্দ!
আপনার এই বিপদ সামলালেন কিভাবে সেটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম। অল্প মন্তব্য নিয়ে ওরিড হয়েননা, ব্লগে ধর-পাকড় শুরু হবার পর থেকে মন্তব্য খুবই কমে গেছে, তবে পাঠক আছে।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: সবকিছু হারানোর মধ্যেও একধরনের মাদকতা থাকে- তবে সেটা খুব সল্পস্থায়ী।
কাগদা তোভ রাশিয়ার পুরোটাই শুধু অঘটনের গল্প! কিভাবে সামলে উঠলাম সে গল্প বলব অন্য কোদিন অন্য কোন খানে।
ব্লগের ধর-পাকড়ের ব্যাপারটা কিন্তু আমি একদম-ই জানিনা ভাই। না জানাটা আমার জন্য লজ্জা জনক!
ধন্যবাদ আপনাকে অনেক এভাবে উৎসাহিত করবার জন্য। ভাল থাকুন।
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
ইয়ার শরীফ বলেছেন: নানা জাতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন, хорошо। এত কষ্টের প্রবাস জীবন।
আপনার লেখার ভক্ত হয়ে উঠছি দিন দিন
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: সে এক বিচিত্র ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা!( এটা আমার এখনকার কথা )
ধ্যাৎ শালা-কেন মানুষের জীবনে এমন ঘটে?( এটা ছিল তখনকার মনের কথা )
জেনে প্রীত হলাম। সবিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা ...
সর্বনাশ এর অতলান্তিক দেখা মনে হয় একেই বলে
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: হুমম এই লেখাতো শেষ হইয়াও হয় নাই। অতলান্তিকের আরো গভীরে যাওয়া বাকি আছে।
সাথে থাকলে তৃতীয় খন্ডে যাবার ইচ্ছে রইল।
বাই ডিফল্ট ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
সবুজ সাথী বলেছেন: একেই বলে সুসময়ে এক ফোঁড় আর অসময়ে দশ ফোঁড়।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: দশটারও অধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে- অতএব দশ ফোঁড় এর বেশী হতে পারে...
ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০১
সবুজ সাথী বলেছেন: ১২ পর্বের প্রেম কাহিনির বিস্তারিত জানতে চাই। ঐটা নিয়া একটা পর্ব করেন।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার প্রেম কাহিনীতো বারো পর্বে হবেনা। সেটা একশত বিশ পর্বে চলে যাবে। আপনারা পড়তে পড়তে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে যাবেন! তার থেকে না লেখাই ভাল কি বলেন ?
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
তূর্য হাসান বলেছেন: কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না। আমি হলে মনে হয় পাগল হয়ে যেতাম।
@ প্রথম মন্তব্য- আমি কিন্তু আপনার লেখার অপেক্ষা করি সব সময়। হতাশ হওয়ার কিছু নাই। লিখে যান। ভালো থাকুন।
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমাকে দারুন ভাবে উজ্জীবিত করে নতুন কতিছু লেখার জন্য।
কি আপনার লেখা এত কম পাই কেন?
জেনে চরম আনন্দিত হলাম। আপনার প্রতি রইল শুভ কামনা।
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: জীবনটা এমন হয় ক্যানো ? কষ্টগুলি ক্যানজানি একসাথেই চলাচল করে....
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন সুখগুলো অনেক ভেঙ্গেচুড়ে কায়ক্লেশে আসে- কিন্তু কষ্ট আসে অবিরামভাবে! বড়ই বিচিত্র এ জীবন!
সবসময় সাথে থাকবার জন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১০| ১৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
সোহাগ সকাল বলেছেন: গল্পের শিরোনাম দেখেই মন খারাপ হয়ে গেল। শেষ পর্ব মানে কি!
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: দ্বীতিয় খন্ডের শেষ পর্ব আপনারা চাই তৃতিয় খন্ড আসবে।
আপনার মন খারাপ হলেও আমার ভাল লাগল-হয়তো আপনি আমার লেখা পছন্দ করেন।
বরাবরের মত ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
১১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
ঘাসফুল বলেছেন: কি সাংঘাতিক অবস্থা...!
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিউত্তরে কি বলা উচিৎ ভাবতে পারছি না!
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন সবসময়ের জন্য।
১২| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
কালোপরী বলেছেন:
১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আরে পরীর মুখ গুমড়া কেন? উঁহু আপনাকে মোটেই ভাল লাগছে না। হাসির' ইমো' তেই আমি আপ্লুত হতাম বেশী।
সবসময় হাসি খুশী থাকুন ভাল থাকুন।
১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: মন খারাপ হইলো।
১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০০
শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত আপনার মনটা খারাপ করারনোর জন্য।
সেই কষ্টগুলো আমি এখন সামলে উঠেছি। ভাল-ই আছি।
ভাল থাকুন আপনিও।
১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুনেছি- নিঃস্ব হয় নাকি নতুন করে পূর্ন হবার জণ্য!!!
আপনি নিশ্চয়ই পূর্ণ হয়েছেন। আগের চেয়ে বেশী।
অতএব শোনা কথা সত্য ! প্রমাণীত।
১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: পূর্ণ হয়েছি কিনা এখনো বলার সময় আসেনি- তবে এখন মনে হয় সেই ভয়ঙ্কর সময়ের বিরুদ্ধে লড়াইটা আমার বাকি জীবনের পথচলায় বেশ কাজে দিবে।
ঠিক তেমনই প্রমান করে। ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন সবসময়।
১৫| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১২
রমিত বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!
১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই 'রমিত'। একটু ব্যস্ততার জন্য আর কারো ব্লগ পড়া হচ্ছে না সময় পেলে আপনার লেখাগুলো পড়ে নিব।
১৬| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সিট বেল্ট বেঁধে তৈরি থাকলাম ভাইয়া ...
আপনার ওই একরাতে সব টাকা উড়িয়ে দেয়ার মত ।
ভাল্লাগা বাই ডিফল্ট ...
১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২০
শেরজা তপন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এরপরের সময়গুলো আরোকটু কঠিন-সত্যিকারে মন খারাপ করে দেয়ার মত। এত দুঃখের কথা লিখতে ভাল লাগেনা
তবুও আপনারা চাইলে অবশ্যই লিখব। ফের ধন্যবাদ
১৭| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হায় !! হায়!! বিপদ দেখি শুধু আত্মীয় স্বজন না, আগে পিছের কয়েক প্রজন্ম নিয়ে এসেছে
কি করে উদ্ধার পেলেন এই বিপদ থেকে ?? জানতে ইচ্ছে করছে।
১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২২
শেরজা তপন বলেছেন: উদ্ধার পাওয়ার গল্প এখানে হয়তো থাকবেনা- তবে আরো দুঃখ কষ্টের গল্প আছে
প্রার্থনা করি কারো জীবনেই যেন এরকম ঘটনা না ঘটে! বরাবরের মত সঙ্গ দেবার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
১৮| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের পর্ব যেখান থেকে শেষ করেছিলেন সেখান থেকে তো শুরু করলেন না! শ্যাম্পেন খেতে কেমন? একবার খায়া দেখুম।
১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আগের পর্বটা একটু রহস্যের মধ্যেই রেখে দিলাম! ইচ্ছে করেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করিনি।
শ্যাম্পেনের স্বাদ আমিও ভুলে গেছি তবে মনে হয় একটু টক মিষ্টি ঝাঁঝালো আর খানিকটা এলকোহলের কটু গন্ধ মেশানো!
ভাল থাকুন।
১৯| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
তুষার আহাসান বলেছেন: ১০ নং ভাল লাগা।
১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পরে দেখলাম। ভাল আছেনতো?
লেখাটা পড়ে ভাললাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।
২০| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
হািসব্ের্ জা বলেছেন: চমৎকার, আগের গুলোর মতই। এবার কিসের জন্য অপেক্ষা?
১৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: শারিরিকভাবে নির্যাতনের ওই একটাইতো বাকি আছে নাকি বলেন?
ধন্যবাদ-ভাল থাকুন।
২১| ১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
এক্সপেরিয়া বলেছেন: অনেক দুঃসময়ে ধৈর্য্য ধরে রাখাটাই কষ্টকর....মনে তিন মন ওজনের স্পিকারগুলো পাশেই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে....পরের পর্বকে অনুধাবনের চেষ্টায়...
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে-এই নিয়ে আর তেমন ঘাটাঘটি করিনি! ভীষন কষ্টকর সহমত।
পরের পর্বে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
ভাল থাকুন সবসময় এই প্রত্যাশায়...
২২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০১
কালোপরী বলেছেন:
১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১১
শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে শান্তি পেলুম!
২৩| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২
কালোপরী বলেছেন: কষ্ট ভাল লাগেনা
১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: ওরকম কষ্ট পেয়েছি বলেইতো প্রতি মূহুর্তে সামান্য আনন্দ অতি যত্নে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করি ...
২৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮
কালোপরী বলেছেন: শুভ কামনা
১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: এবারও ধন্যবাদ- আপনার প্রতিও রইল শুভকামনা-
২৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৬
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুবি করুণ কাহিনী। মন খারাপ হয়ে গেল।
২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: দেরি করে উত্তর দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভাল থাকুন।
২৬| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মন খারাপ করা পোস্ট ।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সেলিম আনোয়ার। উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল বলে দুঃখিত। ভাল থাকুন সর্বক্ষন।
২৭| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কখনো সময় আসে জীবন মুচকি হাসে, ঠিক যেন পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা--
০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: হুমম... সার্থক উক্তিই বটে!
ধন্যবাদ আপনাকে ভাল থাকুন নিরন্তর।
২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
আল ইফরান বলেছেন: বিপদ যখন আসে, তখন মনে হয় একেবারে লাইন ধরে আসতে শুরু করে। মার্ফিস ল' তো মনে হয় আপনার ক্ষেত্রে একেবারে ১০০% মিলে গেছে
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি? নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি
হ্যা আর সেই সময়টা বেশ কষ্টের। কিন্তু পরে অপার শান্তিরও সুযোগ আছে।
ধন্যভাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।
২৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
অসীম বেস্ট বলেছেন: আজকেই সবগুলো পর্ব পড়ে শেষ করলাম। এক টানে। রাশিয়ায় জীবনে ভালই ঝড়ের মোকাবিলা করেছেন টিকে থাকার লড়াই এ । ভাবতে চেষ্টা করছিলাম সেই মুহুর্তে আপনার পরিস্থিতি। খারাপ-ভাল দুটোই লাগল। খারাপ এই জন্য যে সেই সময় অসহায় ছিলেন, ভাল লাগল কারণ সেই সময়টাকে সাহসিকতা আর মনের জোর দিয়ে কাটিয়েছেন।
পরের পর্বের জন্য.....
ভাল থাকবেন।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আনন্দিত অভিভুত ও বিমোহিত! এতগুলো পর্ব একসাথে নেটে পড়া বিরাট ধৈর্যের ব্যাপার!! এতটুকু কষ্ট করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
ঝড় আরো এসেছিল- সব ঝড়ের কথাই বলিনি বা বলা যায়না।কিছু অতি গোপন কথা চিরদিনই মনের মধ্যে রাখতে হয়-যা কাউকে বলা উচিৎ নয় বলে মনে করি(এটা একান্তই আমার নিজের ভাবনা)।
তেমন সাহসী বা উদ্যোমী লোক নই আমি তবুও আমি বাধ্য হয়েছি সেইসব ঝড়ের মোকাবিলা করতে।বাস্তবতা থেকে পালাতে চেয়েছি বারবার-কিন্তু 'আমি কম্বল ছেড়ে দিলে কি হবে কম্বল আমাকে ছাড়েনি।'
আরো বড় বিপদ এসে আমাকে নাস্তানাবুদ করেছে।সারভাইভের জন্যই এক সময় সেই ঝড়ের বিপরিতে বুক চেতিয়ে দাড়ালাম।
পরের পর্বগুলোতেও এমনি করে সঙ্গ দিবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম। ভাল থাকুন সর্বক্ষন।
৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
অদৃশ্য বলেছেন:
এইটাও পড়া হলো... সেই কবে থেকেই ভাবছি যে আপনার শনির আছর কবে থে কাটা শুরু করবে... কাটেনা কাটেনা... শনি+শনি = মহাশনি চলছে এখন আপনার গল্পের সময়ে...
বরাবরের মতো চমৎকার বর্ণনায় আরাম পেয়েছি...
পরের পর্বে আশছি...
শুভকামনা...
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: কাগদা তো-ভ রাশিয়ার শেষ পর্ব পর্যন্ত সেই মহাশনির আছর ছাড়বে নারে ভাই!
আপনার মন্তব্য পড়েও বেশ আরামবোধ করি।
ধন্যবাদ ফের-ভাল থাকুন।
৩১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
চিমা মস্তকে হুল হুল বলেছেন: আপনার লেখা পরার জন্য অপেক্ষা করে থাকি
তবে রুক্সাই ব্লুদা ভালো লেগেছিল
তো আপনি যাওয়ার পর দেশ ভাগ হয়েছিল নাকি যাওয়ার আগেই??
মানে লেখায় আমি নিজে খেই হারিয়ে ফেলি
কিছু মনে করবেন না
তবে আগের সামু নেই ......
যে কয়েকজনের জন্য আমি এখনো সামু আসি সেই কয়েকজনের মধ্যে আমি অন্যতম।
আপনি এই লেখাগুলো একটি পরিমার্জন করে বই ছাপিয়ে ফেলছেন না কেন???
সবাইতো ব্লগ পড়ে না ...... তাদের কেন বঞ্চিত করবেন??
আমাকে দ্বায়িত্ব দিতে পারেন বই ছাপানোর......
ভালো কথা দেশে এখন কি করছেন?? চাকরী নাকি ব্যবসা?? নাকি অন্যকিছু ??
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: রুস্কাইয়া ব্লুদা আমারও প্রিয় একটা সিরিজ। ভবিষ্যতে আরো কয়েকটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে।
জেনে চরম পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ।
আহা আমিতো এমন একজনকেই খুজছি মনে মনে
আপনার মত এমন পরোপকারী মানুষ সত্যিই বিরল এখন।
দেশে এখন নিতান্তই অতি ক্ষুদ্র একটা ব্যাবসার সাথে জড়িত।আমার জিনে ব্যাবসার রক্ত-চাকুরি করার সৌভাগ্য আর হলনা কখনো!
'চিমা মস্তক হুল হুল' এটা কেমন ধারার নিক ভাই? শুনলেই মনে হয় হুল ফোটাবেন...
৩২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
শিপু ভাই বলেছেন:
প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি ভাই।
নানা রকম ঝামেলার কারনে অনেকদিন ব্লগে আসি নাই। ব্লগিং করার মানসিকতা ছিল না। এখন থেকে আবার নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করবো।
পোস্ট বরাবরের মতই চমৎকার হয়েছে। আপনার ঐ নিঃস্ব অবস্থার অনুভুতি আমি টের পাচ্ছি!!!
+++++++++++++
৩৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
লিখেছেন বলেছেন: Я тоже быль
৩৪| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে কোন বাঙ্গালি জড়িত ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
আরজু পনি বলেছেন:
পড়তে পড়তে মন খারাপ হয়ে গেল