নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাগদা তো-ভ রাশিয়া-১৬

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

আমাদের স্টেশনে যেতে প্রায় ঘন্টাখানেক লাগবে। চোখ বুজে কিছু একটা ভাবতে ভাবতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম! ঘুম ভাঙল এক সহৃদ যাত্রীর ধাক্কায়। ‘এই তোমরা কোথায় নামবে?’

অ্যাঃ! চমকে উঠে চোখ রগড়ে দেখি আমাদের ষ্টেশনে এসে গেছি। ঘুমন্ত শিশিরকে জাগানোর সময় ছিলনা।তার হাত ধরে কোন মতে টেনে নামাতেই ট্রেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

চলন্ত সিড়ি বেয়ে যখন ভু-গর্ভস্ত মেট্রো ষ্টেশন থেকে উপরে উঠছি তখনও মনে হয় ঘুমের ঘোরে ঢলে পরছিলাম!

ষ্টেশনের দরজা দিয়ে বের হয়ে আন্ডারপাস দিয়ে উল্টো দিকে বের হবার সময় মনে হল আমরা ভুল ষ্টেশনে নেমেছি। এই ট্রেন ষ্টেশনটা দেখতে অবিকল আমাদের ষ্টেশনের (অরিয়েখবা) মত।

মস্কোতে একই ধরনের দুটো মেট্রো ষ্টেশন আমাদের এযাবৎ চোখে পড়েনি। ওদের প্রত্যেকটা স্টেশন একটার সাথে আরেকটার এত বেশী পার্থক্য যে, সদ্যাগত কোন পর্যটকেরও ভুল হবার কথা নয়।

যাহোক ভ্রম ভাঙলে স্মরন হল আমরা অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছি । আমাদের গন্তব্য দু-ষ্টেশন আগে! যেপথ দিয়ে বর হয়েছি সেপথ দিয়ে আর ঢোকা যাবেন, পেরেখদ বা আন্ডার পাস দিয়ে কিছুটা ঘুর পথে এগিয়ে গিয়ে প্রবেশ পথ দিয়ে ভিতরে ঢুকতে হবে। আন্ডারপাসের মধ্যিখানে প্রায় পুরো জায়গাটা দখল করে অনেকগুলো ছেলে-মেয়ে জটলা করে আড্ডা দিচ্ছিল। শীতের দিনে এতরাতে এরকম দৃশ্য অস্বাভাবিক! কিন্তু আমাদের এসব নিয়ে ভাববার অবকাশ নেই।শুধু ছেলে ছোকড়া হলে কথা ছিল কিন্তু সে আড্ডায় মেয়েদের উপস্থিতি খানিকটা স্বস্তি-ই পেয়েছিলাম।

ওদের কাছাকাছি গিয়ে অনুরোধের স্বরে একটু খানি রাস্তা ছাড়ার জন্য বললাম ‘দয়া করে কি আমাদের যেতে দিবে’?

‘অবশ্যই’বলে কয়েকজন একসাথে হো হো করে হেসে উঠল!

রাস্তা ছেড়ে দেবার জন্য অনুরোধ করার প্রতি উত্তরে এভাবে উচ্চস্বরে হাসির কারন বুঝলাম না?ওদের এই আচমকা উচ্চকিত হাসি আর রহস্যপূর্ন চাহনীতে আমরা বেশ ঘাবড়ে গেলাম! দু তিনটে ছেলে ততক্ষনে দেয়ালের পাশ থেকে একটু খানি সরে দাড়িয়ে আমাদের হেটে যাবার পথ করে দিয়েছে।

প্রকম্পিত পদক্ষেপে দুপা এগুতেই ছেলেগুলো চারপাশ থেকে আমাদের ঘিরে ধরল। ওদের মধ্যে থেকে সাস্থ্যবান ও দীর্ঘদেহী দু’জন এগিয়ে এসে আমাদের দু'জনকে হাত দিয়ে মৃদু ধাক্কা মেরে দেয়ালের দিকে আরো খানিকটা চেপে ধরে হাসি হাসি মুখে কঠিন স্বরে বলল ‘কোন রকম চেল্লা হল্লা করবা না। ভাব দেখাবে যে, তোমরা আমাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছ । ঠিক আছে?’

কাষ্ঠ হেসে শুকনো ঠোটে জ্বিহ্বা ছুইয়ে বললাম ‘যথা আজ্ঞা!’

আমাদের ঘিরে দাড়িয়ে আছে চারজন আর ওদিকে মুখ ঘুরিয়ে আড্ডা দিচ্ছে দুটো মেয়ে আর তিনটে ছেলে। এদিকে ওদের কোন ভ্রুক্ষেপ-ই নেই। কি নিখুত অভিনয়!

ওদের কাছে অস্ত্র ছিল কিনা জানিনা। তবে আমাদের মত দু'জন ভেঁতো বাঙ্গালীকে পিটিয়ে মোরাব্বা বানানোর জন্য অমন দু'চারখানা পেশী বহুল হাত-ই কাফি। কোন রকম টু ফ্যা করলে চিরতরে নুলা-ন্যাংড়া হয়ে যাবার সমুহ সম্ভবনা। কি আর করার অগত্যা হাসি হাসি মুখেই ওদের সাথে গল্প জুড়লাম!

-‘কোত্থেকে এসেছ?’

-‘বন্ধুর হোটেলে দাওয়াত খেয়ে ।’

-‘বাঃ বেশ। মালটাল খেয়েছ?’

-‘ন্ না।’সঙ্গে সঙ্গে দু -তিনজন খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠল!

একজন ব্যাঙ্গাত্বক স্বরে বিশ্রী হলুদ দাতগুলো( বেশীরভাগ রাশানদের দাত-ই কিছুটা হলদেটে- আর জিহ্বা কালচে) বের করে হাসতে হাসতে বলল, -‘তাহলে কি বাবু-এখনও জুস খাও?’

পাশের কঠিন চেহারার দানব আকৃতির ছেলেটি গম্ভীর কন্ঠে বলল ‘আমরা বন্ধুরা মিলে বেরিয়েছি ড্রিঙ্ক করার জন্য। কাছে টাকা পয়সা নেই। পকেটে যা আছে বের কর?’

মনে মনে প্রমাদ গুনলাম, 'এত কস্টের টাকা কয়টা এক ঝটকায় বেরিয়ে যাবে?’তখুনি দু’জন মাঝ বয়েসি লোক গল্প করতে করতে আন্ডার পাস দিয়ে এগিয়ে আসছিল । ওদেরকে দেখেই ছেলেগুলো ,যেন অনেকদিন পরে পুরোনো বন্ধুকে ফিরে পেয়েছে,তেমনি আবেগ ভরা কন্ঠে চরম উচ্ছাসে আবোল-তাবোল গল্প জুড়ে দিল।

লোকগুলো কাছে এগিয়ে আসতেই ওরা সম্ভ্রমে পথ ছেড়ে দিল । ভদ্রলোক দুজন আমাদের এই উচ্ছল আড্ডার অন্তরালে অন্যকোন উদ্দেশ্য কাজ করছে এ সন্মন্ধে বিন্দু মাত্র সন্দেহ না করে নিজেদের মাঝে গল্প করতে করতে ধীর পদক্ষেপে হেটে হেটে এগিয়ে গেলেন।

ও পাশ দিয়ে ওরা বেরিয়ে যেতেই আমাদের সেই ভন্ড বন্ধুদের নকল মুখোশ খুলে পড়ল।

‘পকেটে কি আছে বের কর?’সেই দানবটা হিস হিস করে বলল।

কোন ঝামেলার দরকার নাই রে বাপ! অতিদ্রুত আমরা দুজন পকেট হাতড়ে সবকিছু বের করে তাদের সামনে মেলে ধরলাম । ... শুধু আমার কাছে অল্প কিছু টাকা দেখে হয়তো ওরা সন্তুস্ট হলনা।

‘আর কিছু নেই?’বলেই আমাদের দুজনের হাত থেকে পাসপোর্ট দুখানা নিয়ে মেলে ধওে চোখ নাচিয়ে বলল ‘কি আছে কিছু।’

তারপর আমাদের দিকে সরাসরি চোখের দিকে চেয়ে দু হাত দিয়ে সে'দুটো টেনে ধরে ছেড়ার ভঙ্গী করল।

তখুনি শিশির ভীষন ভাবে আঁতকে উঠে চিৎকার করে বলে উঠল ‘প্লিজ পাসপোট ছিড় ..’কথা শেষ না হতেই ‘ধাপ’করে ভোঁতা শব্দে কেঁপে উঠল পুরো দেয়াল!! সেই সাথে শিশিরের ভয়ঙ্কর আর্ত চিৎকার ‘আঃ!

ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হা হয়ে গেলাম! এদের কাছ থেকে এত নিঃশংসতা আমি আশা করিনি ।

আমি প্রচন্ড বিস্ময় ও আতঙ্ক নিয়ে তাকালাম শিশিরের দিকে ! সামনে দাড়ানো ছেলেটার ঘুষির তোড়ে তার মাথাটা প্রচন্ড জোরে দেয়ালে ঠুকে এখন গর্দানের উপর উবু হয়ে ঝুলছে। পাথরের মেঝেতে ঝড়ে পড়ছে ফোটা ফোটা রক্ত!

এবার মনে হয় আমার পালা‘ভাবতেই ফের আতঙ্কে সারা শরীর হিম হয়ে গেল! মরিয়া হয়ে ক্ষীন কন্ঠে ওদেরকে বললাম ‘দয়া করে অযথা মের না । আমাদের কাছে আর একটা টাকাও নেই। নিজের হাত মেলে ধরে বললাম আমাদের কাছে যা আছে সবকিছু নিয়ে যাও। পাসপোর্ট ফেলে দাও ছিড়ে ফেল যা খুশী কর কিন্তু আঘাত কোর না।’

আমার অসহায়ত্ব ও করুনা ভিক্ষার সর্ব্বোত্তম প্রকাশ দেখে ওরা হয়তো মনে মনে খুশী হল। কিংবা শিশিরের আঘাতটা এত মারাত্বক হবে ওরা হয়তো ভাবতে পারেনি সে কারনেই খানিকটা নরম হল কি? কে জানে?

আমাকে বলল ‘বেশ! দু হাত উপরে তোল।’আমি হাত তুলতেই ওরা একজন চরম ক্ষিপ্রতায় পুরো শরীর চেক করে নিল।একই ভাবে শিশিরের চেক করা শেষে হতাশ হয়ে পাসপোর্ট দুটো আমার হাতে ফেরত দিয়ে বলল‘ঠিক আছে ওই টাকা গুলোই দাও।’

আমি টাকাটা তার হাতে দিয়ে নিচু স্বরে ভয়ে ভয়ে বললাম, যদি কিছু মনে না কর একটা কথা বলি?’

‘কি কথা?’

‘আমাদের বাসায় ফিরে যাবার ভাড়া নেই। এত রাতে মেট্রোও পাবনা। যদি...’

ছেলেটার কঠিন মুখ সরল হল। ঠোটের কোনে এক চিলতে হাসি ফুটল। পকেট হাতড়াতে হাতড়াতে নিজের মনেই বলল‘বেদনী বিল্ল্যাত(অসহায় বা ভিখেরী)’। দু’শ রুবলের একটা নোট বের করে আমার হাতে দিয়ে বলল ‘যা ফোট!’

টাকাটা হাতে নিয়ে আমি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে শিশিরের একহাত আমার কাধের উপর দিয়ে ডান হাত দিয়ে ওকে বেস্টন করে কোন মতে টেনে টেনে বাইরে নিয়ে এলাম ট্যাক্সি ধরব বলে ।

......

এই পর্ব শেষ

আগের পর্বের জন্য;

Click This Link

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইটা বসাইলাম । আমি মনে হয় ফাস্টু

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: তাইতো মনে হইতেছে :) ঠিকাছে মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পড়লাম । কি দিন কাটিয়েছেন আল্লাহ !!
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
ভাল থাকবেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাশিয়াতে যেমন সুখের দিন কাটিয়েছি -কষ্টাটাও ছিল তদ্রুপ! মিলেমিশে কাটাকাটি :)
ফের ধন্যবাদ পুরোটা পড়ে মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

লাবনী আক্তার বলেছেন: পড়ে ফেললাম। ভাইয়া কেমন আছেন?

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ- ইদানিং বেশ গ্যাপ দিয়ে আসছেন যে- ব্যস্ত নাকি?
ভাল থাকুন সর্বক্ষন।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

একাকী বালক বলেছেন: খাইসে রে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: ভয় পাইলেন নাকি?:)
অপেক্ষা করেন আরো ভয়ঙ্কর কিছু বাকি আছে।
ধন্যবাদ বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বদমাইশগুলা আপনাদের ধরার জন্য আর দিন পাইলো না !! X( X( আবার ভিখারি বলে গালিও দিলো X(( X((

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: সবই কপালের ফের-রে ভাই! হুমম ওই গালিটাতে খানিকটা কষ্ট পেয়েছিলাম :(
সহানুভুতির জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

লাবনী আক্তার বলেছেন: হুম! ব্যস্ততাতো আছেই। তাছাড়া ইচ্ছে করেই আসিনা। কোন কিছুতেই ভালো লাগা কাজ করেনা এখন। :(

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: এই রকম কেন হল? খুব বেশী বিষন্নতা আর হতাশায় ভুগছেন নাকি?
নিজেকে আরো আরো বেশী ভাল বাসুন-ভাবুন মানব জনম একবারই। মন খারাপ করে সময় কাটানোর কোন মানেই হয় না।
আপনাকে না হয় সান্তনা দিলাম- কিন্তু ওই সমস্যাটাতো আমারও হচ্ছে- কি করি বলুনতো ? :)

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

বোকামন বলেছেন:
৪র্থ ভালোলাগা, সিরিজের সাথেই থাকার চেষ্টা করবো ভাইজান :-)
ভালো থাকবেন।।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ফের অনেক ধন্যবাদ বোকামন'। পরের পর্বগুলোতেও সাথে থাকবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম...

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

এক্সপেরিয়া বলেছেন: সকল গজব কি খালি আপনার উপরই পড়ে.........? মনের ডাইরীতে কি খালি কষ্টের স্মৃতিগুলো আছে.....? প্রত্যেকবার পড়ে খালি কষ্টই পাই....... প্লিজ একবার কিছুটা সুখের স্মৃতিগুলো হাতড়ে বের করুন.....!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: সেইটা আমিও ভাবি। আমি এমন কি কুতুব ব্যক্তি যে, আমার ঘাড়েই সব গজব আসে! এগুলা শুনে অনেকে ভাববে চাপাবাজি করছি-আসলে কিন্তু কাগদা তো-ভ রাশিয়অর সব কথাই শতভাগ সত্য!
বেশ অতীতের কথা - কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই।
অবশ্যই বলব- অনেক সুখের গল্প আছে... অপেক্ষা করুন।

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: ভাইয়া মানুষের মনের রঙটা সবসময় একরকম থাকেনা। এটা অবশ্য আমার কথা। আমি অনুভব করি এটা।

ইদানিং ব্লগের বড় বড় লেখা আমার পরতেই ইচ্ছে করেনা। জানিনা এমন কেন হচ্ছে। :( :(

তারপরও ভালো ভালো লেখাগুলো পড়তে চেষ্টা করি। ভালো থাকবেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই-সেটা থাকার কথাও না।
বড় লেখা পড়তে ইচ্ছে না কলে পড়বেন না-ছোট ছোট লেখা পড়েন, না হলে ব্লগ পড়া থেকেই কিছুদিন একদম দুরে থাকুন।
ভাল লাগা ব্যাপারটাই মুখ্য।
সব সময় ভাল থাকুন-আপনার দারুন সুন্দর আগামী দিনের প্রত্যাশায়...

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

কালোপরী বলেছেন: :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম ...এত কষ্টের মধ্যেও মন্দ নয়!
মনের সুখে হাসতে থাকুন....

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

ঘাসফুল বলেছেন: মনে হচ্ছে মুভি দেখতে বসছি...

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি! তাহলে একটা মুভি বানিয়ে ফেলি কি বলেন?:)
ধন্যবাদ আপনাকে বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য। ভাল থাকুন সর্বক্ষন।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী ভয়ংকর!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সহমর্মীতার জন্য। আর একটা মাত্র পর্ব বাকি আছে -তারপরেই এই দুঃখ কষ্টের কাহিনী শেষ...
পোষ্টে ঢুকতে তখন আর ভয় পাবেন না। :)

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

দূর্যোধন বলেছেন: প্লাসানি দিলাম । আগের গুলা পড়াই হয় নাই :(

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: সেইতো...বহুদিন আপনার দেখা পাইনা আমার ব্লগে! দেখে প্রীত হলাম। সুযোগ পেলে কষ্ট করে আগের পর্বগুলো পড়ে নিয়েন।
ভাল থাকুন-সবসময়।

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

মাক্স বলেছেন: ভয়ংকর!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম-উত্তর দেবার শব্দ খুজে পাচ্ছি না...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য।
আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

কালোপরী বলেছেন: সুখেরই পৃথিবী
সুখেরই অভিনয়
যত আড়াল রাখো
আসলে কেউ সুখী নয়

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: গানের কথা মিলে গেছে পুরোপুরি নাকি? :)

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫

বইয়ের পোকা বলেছেন: ভাই,আপনে এখনো বাংলাদেশে যান না কেন??? এই পোড়ার দেশে থাকতে থাকতে তো শেষ হ্ইয়া গেলেন!!!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো দেশেই রে-ভাই! সেই কবে চলে এসেছি- এখন পুরনো স্মৃতির জাবর কাটছি।
...তবুও আমার বার বার রাশিয়ায় ফিরে যেতে মন চায় :)
সহমর্মীতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

রাসেল মাহমুদ মাসুম বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে শেষ করলাম । যদি এক মলাটে আপনার সব গল্প পেতাম সন্তানকে দিতাম ভবিস্বতে ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সন্তানের এই গল্প পড়ার বয়স হলে আমি না হয় ছাপিয়েই দিব- কি বলেন? :)
দারুন আপ্লুত ও প্রীত হলাম আপনার মন্তব্যে। ভাল থাকুন

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

ইয়ার শরীফ বলেছেন: শিশির এর কি অবস্থা হয়েছিল?
আরও কত বাধা আছে সামনে? সুখের দিনলিপি কবে থেকে পরতে পারব?
ধন্যবাদ এমন সুন্দর সিরিজটি নিয়মিত লিখার জন্য।
আপনার মঙ্গল কামনা করি

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: এই পর্ব এখানেই শেষ! শিশির খুব ধৈর্য্যশীল ছেলে ছিল। ও এই আঘাতটা কাটিয়ে উঠেছিল বেশ তাড়াতাড়ি। তবে এর থেকেও বড় আঘাত এসেছিল পরে। এর পরের বা শেষ পর্বে তার সন্মন্ধে কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য আছে- পড়বেন প্রত্যাশা রইল। শিশিরের প্রতি সমবেদনার জন্য ওর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।শুভ কামনা রইল।

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

জীবনের খুব কাছকাছি চলে যেতে পারছি আপনার এই সিরিজটিতে । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শিশিরের অবস্থা না জানা পর্যন্ত অস্থির থাকতে হবে। :(

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিটা পর্বেই আপনাকে সাথে পেয়েছি বলে আমি কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত। শিশিরকে নিয়ে এর পরের পর্বে কিছু তথ্য আছে। আর মাত্র একখানা পর্ব বাকি! আপাত কষ্টের শেষ ওখানেই :)
পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রন রইল। ভাল থাকুন সর্বক্ষন।

২০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রবাস জীবন ... :(

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভালো আছেন আপনি? আপনাদের মত শুভাকাঙ্খী ব্লগারদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি। প্রবাসী মানুষগুলোর জন্য সহমর্মীতার জন্য ধন্যভাদ।
সবসময় ভাল থাকুন এই প্রত্যাশায়।

২১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বইয়ের পোকা বলেছেন: আমি কিন্তু ভাই আপনার গল্পের সময়ের কথা বলেছি। মানে তখনো দেশে আসেন না কেন???

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের টোন-টা বুঝতে পারিনি বলে ভীষন দুঃখিত।

২২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভাল আছি মিশু ভাই থুক্কু শেরজা তপন ভাইয়া ;)

আমরা ও আপনার পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকি :)
আপাতত অপেক্ষায় আছি কবে চমৎকার কিছু সু-খবর বা নিদেনপক্ষে স্বস্তির কিছু গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করবেন

ভাই আমিও এক অভাগিনী প্রবাসী :(

আপনার জন্য শুভকামনা রইল ...
লেখায় বাই ডিফল্ট ...

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: বুঝতে পেরেছি 'আলকাশ' এর বাকি পর্বগুলো আর লেখা যাবেনা।:)

'কাগদা তো-ভ রাশিয়া'য় স্বস্তির কোন খবর যে নেই! আর মাত্র খানিকটা বড় কলেবরে লেখা একখানা পর্ব বাকি আছে। তার পরে দুঃখের কাহিনী শেষ- অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে বাস করিতে লাগিল....:)

প্রবাসী হলে অভাগিনী হবেন কেন? নিশ্চয়ই বেশ ভাল আছেন?
ধন্যবাদ অনেক বেশ বড় মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

২৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

অদৃশ্য বলেছেন:





অভাগা যেদিকে চায়... এতো কষ্ট করে কিছু টাকা আনলেও আর সেটাও অন্যকে দিয়ে দিতে হলো প্রচন্ড অপমানিত হয়ে... আহা, এটা ভাবতেই অনেক কষ্ট হচ্ছে, বাস্তবটা কতোটাই না কঠিন ছিলো সেই সময় আপনার...


পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম...

শুভকামনা...

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) :( ঠিক খুব বেশী কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলাম! আমার সে সময়কার পরিস্থিতি অন্তর দিয়ে অনুভব করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পরের পর্ব মানে শেষ পর্ব-তে আমিও প্রতিক্ষায় থাকব আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন -শুভকামনা আপনাকেও

২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

তূর্য হাসান বলেছেন: দেখি আরও কত ভয়ংকর ঘটনা বাকি আছে?...

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আর মাত্র একখানা ঘটনা বাকি- ওইটেউ ছিল সম্ভবত আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভয়ংকর!
শেষ পর্বে অপেক্ষায় রইলাম আপনার মন্তব্যের।

২৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১২

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুবি করুণ কাহিনী। পড়ে কষ্ট লাগলো।

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত আপনার সঙ্গ পেয়ে দারুন প্রীত হলাম।
কষ্ট দেবার জন্য দুঃখিত। ভাল থাকুন সবসময়ের জন্য।

২৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

মুহিব বলেছেন: কি দরকার বাছা এই বিদেশ বিভূইয়ে মার খাওয়ার?

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) ঠিক বলেছেন- এখন ভাবি বসে কি দরকার ছিল?!
ধন্যবাদ।

২৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

রবিউল ৮১ বলেছেন: ৯-১৬ টানা সব পর্ব পড়লাম আজ।এত দিন আগের ঘটনা গুলো কিভাবে আপনার এত মনে থাকে?সব গুলো পর্বই দূর্দশার গল্প।কবে এই দূর্দশা কাটবে?

২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: আগের মন্তব্যগুলোর জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
আসলেই এত পুরোনো ঘটনা পুরোপুরি মনে না থাকার-ই কথা। আমি ২০০১-২০০২ সালের দিকে রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর চুম্বক অংশগুলো ডায়েরিতে আর কম্পিউটারে টুকে রেখেছিলাম। সেই লেখাগুলোই এখন আমাকে সবিস্তারে লিখতে সাহায্য করছে।
পরের পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রন রইল- ভাল থাকুন সবসময়।

২৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

জুন বলেছেন: কোন পর্যন্ত পড়েছিলাম ভুলে গেছি তপন :(
কিন্ত আবার ট্রেনে মনে হলো ।
যাক এখন ধীরে সুস্থে এক এক করে পড়বো প্রতিটি পর্ব।
+

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে সমস্যা নেই পড়তে থাকুন অতি ধীরে অতি সুস্থে:)
পড়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন এই বা কম কিসে। অপেক্ষায় রইলাম।

২৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

এক্সপেরিয়া বলেছেন: আজকে কি জন্মদিন..? ফেবুতে দেখলাম জন্মদিন...!! যাউকগা জন্মদিনের হাজারো শুভেচ্ছা (কেক না খাওয়ালে শুভেচ্ছা ফেরতযোগ্য :P ).....

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আজকেইতো জন্মদিন! :)
সেখানে আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছি। কেক অবশ্যই খাওয়াব- কিন্তু কি উপায়ে?

৩০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

এক্সপেরিয়া বলেছেন: বলা উচিত না.... তবুও বললাম... একটা কেকের ফটো কমেন্টে দিয়ে দিলেও হত... তবে খাওয়াতে চাইলে আরেক কথা...!! রোজার মাস বেশি বলতেও পারি না... :P

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ফেক কেক খেতে চাইলে লাখানেক মজার কেকের ছবি দিতে পারি :)
কিন্তু আমিতো রিয়েল কেক খাওয়াতে চাই....

৩১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

এক্সপেরিয়া বলেছেন: পার্টি দেন ব্লগারদের নিয়ে...

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় কি বলেন?এত লোকের খাওয়াইতে গেলে আমি পুরা ফকির!! :)

৩২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

এক্সপেরিয়া বলেছেন: হাহাহা.....

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১১

শেরজা তপন বলেছেন: :)

৩৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আগের সবকিছু তো ভুইলাই গেছি......

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১১

শেরজা তপন বলেছেন: :(

৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: কিছুই তো মনে নাই আগের..........

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১১

শেরজা তপন বলেছেন: শুনে ভীষন বিমর্ষ হলাম.....:)

৩৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ভিখারি কইল! 8-| 8-| 8-|

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

শেরজা তপন বলেছেন: :( বড় ভয়াবহ সেইদিনগুলি...
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.