নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
পূর্ব কথাঃ ‘সৈয়দ মুজতবা আলী ও শান্তি নিকেতন’ নিয়ে একটা নিবন্ধ লেখার জন্য তথ্য উপাত্ত ঘাঁটছিলাম।মুজতবা আলী যখন শান্তি নিকেতনের ছাত্র,সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তি নিকেতনের ‘বিশ্ব-ভারতীকে’ বিশ্বের অন্যতম বিদ্যাপীঠের রুপ দেবার জন্য পৃথিবীর সেরা সেরা পণ্ডিতদের আমন্ত্রন জানান সেখানে শিক্ষকতা করার জন্য। ইঊরোপের বাঘা বাঘা পণ্ডিতদের সথে ‘বাগদানভ’ নামে এক রুশীয় পন্ডিত ও এসেছিলেন সে সময়ে। তার আরবি ভাষা ও ইসলামের ইতিহাস সন্মন্ধে ভাল জ্ঞান থাকার জন্য তাকে অন্য বিষয়ের পাশাপাশি ছাত্রদের ইসলামিক স্টাটিজ, ভাষাতত্ব ও ইতিহাস ও সংস্কৃতি সন্মন্ধে পাঠদানে নিযুক্ত করেন। কিন্তু মাত্র তিন বছর বাদে তিনি মুজতবা আলীর সাথে চলে গেলেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে-তখন রবি ঠাকুর ধরে আনলেন হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত জার্মানে জন্মগ্রহণকারী পন্ডিত গিউলা জার্মানাস’কে। আমার খটকা লাগল এইখানে; জার্মানি’তে জন্ম-গ্রহনকারী একজন ইহুদি ভদ্রলোক’কে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন ধরে নিয়ে আসলেন শান্তি নিকেতনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে পাঠদানের জন্য?
গিউলা জার্মানাস’কে জানার জন্য অর্ন্তজালে বেশ কয়েকদিন ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। যত জানছিলাম তত বেশী অবাক হচ্ছিলাম- তত বেশী জানার আগ্রহ বাড়ছিল তাকে নিয়ে। আমি কোন তথ্য পাইনি কত সালে কখন, তবে তিনি একবার ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়েও ভাষন দিয়ে গেছেন।
ইচ্ছে হলে আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি তার বিশাল কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত রুপ;(তথ্যগত ভুল মার্জনীয়)
গিউলা জার্মানাস জন্ম: বুদাপেস্টে ১৮ নভেম্বর ১৮৮৪
গিউলা জার্মানাস ওরফে জুলিয়াস আবদুল কারিম জার্মানাস প্রাচ্য গবেষণার অধ্যাপক ছিলেন,হাঙ্গেরিয়ান লেখক ও ইসলামোলজিস্ট,হাঙ্গেরিয়ান সংসদের সদস্য এবং একাধিক আরবি বিজ্ঞানের একাডেমীর সদস্য ছিলেন। আরবি ভাষা অধ্যয়ন, ভাষার ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তিনি বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ স্যর আরমিন ভার্বব্রীর অনুগামী ছিলেন এবং বিশ্ব খ্যাতির পণ্ডিত হয়েছিলেন।
জার্মানাস ১৯১২ সাল থেকে হাঙ্গেরিয়ান রয়েল ইস্টার্ন একাডেমীর ভাষার অধ্যাপক এবং ১৯১৫ সাল থেকে তুর্কি ও আরবি ভাষার শিক্ষক ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি তুরস্কে বেশ কয়েকটি গোপন মিশন করেছিলেন। ১৯১৫ সালে তিনি তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের সদস্য হিসাবে ছিলেন এবং দার্দানেলেসের যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।
শৈশব-কৈশর এবং পড়াশোনা
জুলিয়াস জার্মানাস বুদাপেস্টে ১৮৮৪ সালের ৬ই নভেম্বর এক ইহুদি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।তাঁর পিতা ও পিতামহ দুজনেই ১৮৪৮-৪৯ সালের হাঙ্গেরীয় বিপ্লবে সৈনিক ছিলেন। তাঁর পিতা আলেকজান্ডার জার্মানাস (১৮৫২-১৯৪০) ছিলেন চামড়া ব্যবসায়ী এবং জুতো প্রস্ততকারক; তাঁর মা রোজালিয়া জোবেল ছিলেন জিপজার ( উত্তরপূর্ব স্লোভাকিয়া- ১৯২০ সালে হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত হয়। ভাষা মূলত হাঙ্গেরিয়ান ) জার্মান বংশোদ্ভূত। জুলিয়াসের এক ভাই ফ্রান্সিস এবং এক বোন জোহানা ছিল।
কিশোর জুলিয়াস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথমদিকে ভাল করতে পারেনি এবং মাঝে মধ্যে বেশ কম নম্বর পেত। তা সত্ত্বেও তিনি ১৯০২ সালে স্নাতকে দুর্দান্ত রেজাল্ট করেন। তাঁর মা হাঙ্গেরিয়ানদের চেয়ে জার্মান ভাষায় বেশি কথা বলতেন। তবুও,হাঙ্গেরিয়ান তার মাতৃভাষায় পরিণত হয়েছিল। সম্ভবত এই বিভ্রান্তি তাকে নতুন নতুন ভাষা শিক্ষার দিকে পরিচালিত করেছিল,এবং তার বিশাল মনের শক্তি সহ বহুভাষিকতায়ও নিয়েছিল। উচ্চ বিদ্যালয় শেষ করার পরে তিনি গ্রীক এবং লাতিন ভাষায় পরীক্ষার জন্য বসেছিলেন,যা এই অঞ্চলে বুদ্ধিজীবীদের ভাষা হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। শাস্ত্রীয় ও বিদেশী ভাষা পড়ার পাশাপাশি ইতিহাস সাহিত্য ও সংগীতের এবং ইতিহাস নিয়ে বই লেখা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।সময় পেলেই জার্মানাস মূল ফরাসি এবং জার্মান ভাষায় ঐতিহাসিক বই গোগ্রাসে গিলতেন। তাঁর প্রথম রচনা, দ্য আর্টিলারি লেফটেন্যান্ট (A tüzérhadnagy) শিরোনামে,যে বইটিতে মূলত; ১৮৭০-৭১ সালে ‘স্টারসবার্গে’র অবরোধের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল,সেই রচনা টুয়েন্টি হাঙ্গেরীয় ক্রাউন এর প্রথম পুরষ্কার পেয়েছিল।
শৈশবকাল থেকেই তিনি দারুণ বেহালা বাজাতেন,তবে একই সাথে তিনি পিয়ানোতে অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন। তাঁর পিতামাতারা এমনিতেই পিয়ানো কিনে দেবার সামর্থ্য ছিল না এবং তারপরে তারা কোনভাবেই চান নি যে তাদের পুত্র শখের বশে একটি সংগীত শিখে সময় নষ্ট করুক। জুলিয়াস নিজেকে পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়েছিলেন এবং নিজেই স্ট্র-বোর্ড দিয়ে একটা কীবোর্ড তৈরি করে চরম গোপনীয়তার সাথে অনুশীলন শুরু করেন। তিনি সংগীতে খুব মেধাবী ছিলেন না,তবে তার জেদ ও দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি সেবেস্তিয়ান বাখ এবং মোজার্টের কয়েকটি সুর তুলতে সক্ষম হন।
একজন মহান পূর্বসূরির অনুসরণ করছেন
প্রাপ্তবয়স্ক জার্মানাস ইতিহাসের প্রতি পুরোপুরি অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং বিশেষ করে প্রাচ্যের শিল্প ও সাহিত্যের ইতিহাস। প্রাচ্যের প্রতি তাঁর প্রথম গভীর ধারণা ‘গার্টেনলাউব’ নামে একটি জার্মান পত্রিকা পড়ে- সেখানে ‘প্রাচ্যের কোন এক অচেনা শহরের ঐন্দ্রজালিক দৃশ্যের একটি কাঠের মুদ্রণের ছবি ছিল। এই সেই মুহূর্তটি যখন প্রাচ্যের প্রতি তাঁর আকর্ষণের জন্ম হয়েছিল।
সেই চিত্রকর্ম সম্বন্ধে তিনি বলেছেন; আমি কিছুক্ষণের জন্য উদাসীনতার সাথে পাতাগুলি উলটচ্ছিলাম…হঠাৎ করে একটা কাঠের চিত্রকর্ম চোখে পড়ল। ছবিটি সমতল-ছাদযুক্ত ঘরগুলির প্রতিনিধিত্ব করে যার মধ্যে থেকে এখানে এবং সেখানে গোলাকার কপোলগুলি অন্ধকার আকাশে আলতোভাবে উঠা অর্ধচন্দ্রের দ্বারা আলোকিত। রহস্যজনক লাইনে প্রসারিত চমৎকার পোশাক পরিহিত ছাদে বসে থাকা পুরুষদের ছায়া। ছবিটি আমার কল্পনাকে ধরে ফেলেছিল। এটি সাধারণ ইউরোপীয় ভূ-দৃশ্যগুলির থেকে অনেক আলাদা ছিল: এটি একটি প্রাচ্য দৃশ্য ছিল, আরব প্রাচ্যের কোথাও, যেখানে একটি গল্প-বর্ণনাকারী তার দুরন্ত গল্পগুলিকে চরম উত্তেজিত শ্রোতাদের কাছে বলেছিলেন। এটি এত বাস্তববাদী ছিল যে আমি তাঁর সুরেলা কণ্ঠ শুনতে পেলাম…
এর খুব শীঘ্রই,জুলিয়াস কারো সাহায্য ছাড়াই নিজেই তুর্কি ভাষা শিখতে শুরু করেন। রচনা করলেন তার অতুলনীয় সাহিত্যকর্ম , যা প্রকাশিত হল, আল্লাহু আকবর’ শিরোনামে! যেমনটি তিনি তাঁর রচনাতে লিখেছিলেন; আরবের ভাষাগুলি ছিল পূর্ব সংস্কৃতি,শিল্প ও সাহিত্যের প্রবেশের মাধ্যম,তাই তিনি বিদেশী ভাষাগুলির প্রতি ভালবাসার কারণেই বেশ কয়েকটি ভাষা অর্জন করেছিলেন। তবে তার সর্বোচ্চ গুরুত্ব ছিল উচ্চারণে যেন ইউরোপিয়ান টান না থাকে- তিনি চমৎকারভাবে প্রাচ্যের উচ্চারণে প্রাচ্যের ভাষা শিখেছিলেন। ইতিহাসের তুর্কি লেখকরা হাঙ্গেরির উপরে তুর্কি আধিপত্যকে কীভাবে দেখেছিলেন প্রথম থেকেই তিনি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী ছিলেন। তবে তিনি শীঘ্রই দেখতে পেলেন যে ফারসি এবং আরবি না জেনে অনেক মুল উৎস সন্মন্ধে সঠিক ভাবে জানা যায় না। তিনি দুটো ভাষাই আত্মস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন,তবে ফারসি নিয়ে তার খানিকটা সমস্যা ছিল।
তৎকালীন অন্যতম স্বীকৃত প্রাচ্যবিদ ও ভাষাতত্ত্ববিদ,স্যর ‘আরমিন ভম্বারি’ তাঁর সহায়তায় এসেছিলেন। বাবা আলেকজান্ডার জার্মানাসে’র ধারনা ছিল তার সন্তান ভাল পথে পরিচালিত হচ্ছে-তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, জুলিয়াস খারাপ পথে যেতে পারে। তবে ‘ভম্বরি’ তাঁর প্রিয় অ্যাকোলিটের পক্ষে দাঁড়ালেন।‘মিঃ জার্মানাস,আমি আপনার পুত্রের দুর্দান্ত ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি-দয়া করে তাঁর কেরিয়ারে বাধা দেবেন না; তাঁকে পড়াশোনা করতে দিন ভাষার প্রয়োজনীয়তাটিকে বোকামি হিসাবে বিবেচনা করবেন না!দয়া করে,তাকে সহায়তা করুন;আমি গ্যারান্টি দিয়েছি যে, আপনি হতাশ হবেন না’।
বসনিয়া, তার প্রথম যাত্রা
হাই স্কুল থেকে স্নাতক হয়ে যাওয়ার পরে, জার্মানাস হাঙ্গেরির নিকটতম ইসলামী দেশ বসনিয়াতে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটি ছিল মুসলমানদের সাথে তাঁর সত্যিকারে প্রথম সাক্ষাৎ। বসনিয়া সফর প্রাচ্য সংক্রান্ত পড়াশোনা করার তার সিদ্ধান্তকে আরও জোরদার করেছিল!
তার বাবা-মা চেয়েছিলেন তিনি ইঞ্জিনিয়ার হন।কিন্তু দেশে আসার পরে, জার্মানাস বুদাপেস্টের বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন লাতিন এবং ইতিহাস পড়তে। তাঁর অধ্যাপকদের মধ্যে ছিলেন ‘ইগনেক গোল্ড জিহর’ আধুনিক ইসলামী গবেষণার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচিত.(ইগ্নেক (ইয়েজহাক ইয়াহুদা)গোল্ড-জিহর(২২ জুন ১৮৫০-১৩ নভেম্বর ১৯২১),তিনি ছিলেন একজন হাঙ্গেরিয়ান পণ্ডিত। জার্মান ‘থিওডর নাদেকে এবং ডাচ ক্রিশ্চিয়ান ‘স্নুক হুরগ্রোনজি’র পাশাপাশি তিনি ইউরোপে আধুনিক ইসলামী গবেষণার প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচিত হন।
সিরিয়া,প্যালেস্টাইন এবং মিশর ভ্রমণ শেষে তিনি সেই ভ্রমণ কাহিনী তার ডায়েরিতে জার্মান ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছিলেন, "এই সপ্তাহগুলিতে,আমি সত্যিকার অর্থেই ইসলামের চেতনায় প্রবেশ করেছি যে শেষ পর্যন্ত আমি অভ্যন্তরীণ-ভাবে নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে আমি নিজেই একজন মুসলমান, এবং ন্যায়বিচারের সাথে আবিষ্কার করেছি যে এটিই একমাত্র ধর্ম যা এমনকি তাত্ত্বিক এবং বাস্তব গঠনমূলক ও দার্শনিক মনকেও সন্তুষ্ট করে। আমার আদর্শ ছিল ইহুদি ধর্মকে একই ধরণের যৌক্তিক স্তরে উন্নীত করা। আমার অভিজ্ঞতা হিসাবে ইসলাম আমাকে শিখিয়েছে যে,ইসলামই একমাত্র ধর্ম,যেখানে কুসংস্কারবাদ এবং বর্বরতাকে শুধু যুক্তি দ্বারা ধ্বংস করা হয়নি,ধর্ম উপদেশের মাধ্যমেও এর মুল উৎপাটনের চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রথম পর্ব শেষ
২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ -কিন্তু মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছেনা!! তা ও ভাল আপনি একটা মন্তব্য করলেন নাহলে সামু'তে আমার ১২ বছরে এই প্রথম মন্তব্য ছাড়া কোন পোস্ট থাকত
২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২২
রাশিয়া বলেছেন: অনেকটা জাকির নায়েকের মত হয়ে গেল। তারা ভাষায়, "আমি ১৯ বছর পর্যন্ত উত্তরাধিকার সূত্রে মুসলিম ছিলাম। তারপর আমি তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা শুরু করার পর আমি নিজ বিবেচনায় মুসলিমে পরিণত হলাম। আমি এখন মুসলিম, কারণ আমি এখন পরিষ্কারভাবে জানি ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্ম নেই, যেটি আমাকে উদয়াস্ত পরিচালনা করতে পারে - সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারে। কেউ যদি আমার সামনে যুক্তি প্রমাণ দিয়ে ইসলামের চেয়ে উত্তম কোন জীবন ব্যবস্থার কথা ব্যাখ্যা করতে পারে - আমি এই মূহুর্তে সেই ধর্ম গ্রহণ করতে রাজী আছি।"
২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ব্রো। আমি জানি না কার মত তিনি- তার জীবনী পড়ে মনে হল এমন একজন পন্ডিতকে বাংলা ভাষা-ভাষি পাঠকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিত তাই খেটে খুটে দু-চার পাতা লিখেছি আর-কি।
ভাল থকুন সুন্দর -থাকুন সবসময়
৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো বিষয়ের উপর লিখছেন। মন্তব্য কম থাকলেও চালিয়ে যান। সবার সব কিছুতে আগ্রহ থাকে না। বেশীরভাগ মানুষ হালকা জিনিস পছন্দ করে। তবে ইসলাম সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত উনি কি বললেন এটা জানার আগ্রহ আমার রয়ে গেল। আশা করি আপনি পরবর্তী পোস্টে (বা পোস্তগুলি) আরও বিস্তারিত লিখবেন।
২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল বলেছেন, রুশীয় উচ্চারনে 'পোস্তগুলি'
প্রথমদিকে পোস্টে মন্তব্য না পেলে- ভীষন হতাশ হতাম। এখন হইনা- ধীরে ধীরে সয়ে গেছে। তবে মন্তব্য পেলে অবশ্যই ভাল লাগে।
ওঁনার জীবনে কিছু আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমার নিশ্চিত ধারনা এই মানের পন্ডিত ব্যাক্তিত্ত্ব নিজের সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এমন কাল্পনিক গল্প ফাঁদবেন না। সাথে থাকুন- পরের কয়েকটি পোষ্টে(পোস্তে)সব কিছুই জানতে পারবেন। তবে এই পোস্ট-কে অবশ্যই শুধু ধর্মীয় হিসেবে ট্যাগ দিবেন না।
৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মীয় ট্যাগ দেয়াকে ভয় পাচ্ছেন কেন?
২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: গত ১২ বছরে এই নিয়ে ব্লগে অনেক ক্যাচাল দেখেছি। এটা ভয় নয় সাবধানতা। লেখালেখি করি মনের আনন্দে -শিক্ষা দীক্ষা অনেক কম। বরাবরই এসব আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। যদি বলেন ভিতু, তাহলে ভিতু। যদি বলেন আলু-পটল, তাহলে আলু পটোল
৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: এই ব্যাপারে কিছুই জানা ছিল না শেরজা ভাই। নতুন করে জানলাম। অশেষ ধন্যবাদ পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২২
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ 'শের শায়রী' লেখাটা পড়ার জন্য। পরের পর্ব কি পড়েছেন? আশা রাখছি শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।
ভাল থাকুন
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: জেনে আনন্দ পেলাম।
৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।সেই সাথে আপনাকে আনন্দ দিতে পারার জন্য আমি আমোদিত বোধ করছি
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: অতি চমতকার একটা পোষ্ট।