নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হলোদোমোর~ ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৪


Голодомо́р- হলোদোমোর
The Classes and the races too weak to master the new condition of life must give way.
They must perish in the revolutionary holocaust. -Karl Marx April 16 1858
মি তখন আট বছরের কিশোরী। মায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার বাবা চাকুরী থেকে অবসরের পরে তার গ্রামে ফিরে এলেন-সেখানে ছোট্ট একটা স্কুলে মাস্টারি করার পাশাপাশি কৃষিকাজ করে বাকি জীবনটা কাটাবেন বলে।
গত কয়েকদিন তিনি বেশ বিরক্ত ও রাগান্বিত ছিলেন! মাঝে মধ্যেও উচ্চস্বরে মাকে বলছিলেন তার ক্ষোভের কথা। মায়ের কাছে পরে জেনেছি; তার ক্ষোভ ছিল বলশেভিক পার্টির(অল ইউনিয়ন কম্যুনিস্ট পার্টি) রাষ্ট্রীয়-করনের বিরুদ্ধে- তিনি কোন মতেই মেনে নিতে পারছেন না জনগণের কাছ থেকে সব জমি কেড়ে সরকার তার কুক্ষিগত (কোল্কজ) করবে। সরকার শ্রমিকের, এ সরকার খেটে খাওয়া মজুরের। তারা কেন শ্রমিক আর মজুরের শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিবে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~আমি প্রতিদিন রাতের খাবারের পর বাবার কাছে শুয়ে রূপকথার গল্প শুনতাম। সেদিন রাতেও আমি বাবাকে বললাম,- বাবা আমাকে গল্প শোনাও। অবশ্য সে রাতেও বাবার থমথমে চেহারা দেখে আমি বুঝলাম তিনি বেশ রেগে আছেন- তাকে কেমন বিক্ষিপ্ত বিধ্বস্ত মনে হচ্ছিল। আমি তার কাছে গিয়ে একটু ভয়ে ভয়ে গল্প শোনানোর জন্য আবদার করলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু খানি হেসে আমাকে কোলে তুলে রূপকথার গল্প শোনাতে শুরু করলেন। আচমকা ভারি কিছু দিয়ে দরজায় করাঘাতের শব্দে আমরা চমকে উঠলাম।
বাবা দরজা খুলতেই; কয়েকজন ‘অগপু(পরবর্তীতে কেজিবি)’র সদস্য হুড়মুড় করা আমাদের ঘরে ঢুকে পড়ল। তারা কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমাদের পুরো বাড়ি তল্লাশি শুরু করল। তল্লাশি শেষে কিছু না পেয়ে আমার বাবাকে বলল, তাদের সাথে থানায় যেতে হবে- সামান্য কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। আমার বাবা ভারী পোশাকটা গায়ে জড়াতে জড়াতে আমাকে কাছে ডেকে গভীর একটা চুমু খেয়ে বললেন; দিয়ানা সোনা, আমি বাকি গল্পটা এসে বলব- তুমি কিন্তু ঘুমিয়ে পড় না।
আমি আজও বাবার সেই বাকি গল্পটা শোনার অপেক্ষায় আছি...
‘গল্পটা করতে করতে দিয়ানার নীলাভ চোখের কোন গড়িয়ে শ্বেতশুভ্র কুঞ্চিত গণ্ড বেয়ে নোনা জল গড়িয়ে পড়ল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিয়ানার( ছদ্ম নাম) সাথে যখন গল্প করছিলাম-তখন তার বয়স ৯৬! সুদীর্ঘ ৮৮ বছর পরেও এখন তার বাবাকে খুঁজে ফিরে। ১৯৮০ সালে চাকুরী থেকে অবসরের পরে সে তার আরেক বান্ধবী, যে সেই ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় হলোদোমোরে তার পরিবারের বাকি চার সদস্যকেই হারিয়ে অনাথাশ্রমে বড় হয়েছে- তারা দু’জনে মিলে নিজেদের জীবনের তোয়াক্কা না করে তখনও জীবিত সেইসব মানুষগুলো যারা ‘হলোদোমোরে’র ভয়ঙ্কর থাবার সাক্ষী ছিলেন তাদের স্মৃতিকথা লিপিবদ্ধ করেছেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল সারা বিশ্বকে জানানো সেই বিংশ শতাব্দীতে সভ্য সমাজে ঘটে যাওয়া সেই ভয়াবহতম গল্পগুলো যা পৃথিবীর মানুষ কখনো শোনেনি।
সব মিলিয়ে তিনশ পঞ্চাশ জন মানুষের স্মৃতিচারণ আমরা নথিভুক্ত করেছিলাম। প্রথমে কেউ বলতে চায়নি- তারা আমাদের আগে তারা সন্তান বা নাতিদের কাছেও সেই গল্পগুলো কখনো বলেনি। তারা স্মৃতিপট থেকে একেবারে মুছে ফেলতে চাইত ১৯৩৩ সালের সেই দিনগুলোর কথা! তারা যে বেঁচে আছে এইতো ঢের!

~আমরা ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলাম – পুরো শহর জুড়ে কারো বাড়িতেই হয়তো সামান্য শস্যদানা নেই যা দিয়ে অন্তত একবেলা গ্রাসাচ্ছাদন হবে।আমরা সব ক্ষুধার্ত শিশুরা দলবেঁধে সময়মতো স্কুলে যেতাম- আর কিছু নয়, একে অপরের দিকে চেয়ে থাকার জন্য, সময় কাটানোর জন্য, হয়তো ঈশ্বরের অসীম কৃপায় কিছু একটা মিলবে এই দুরাশায়!
কিন্তু ঈশ্বর আমাদের কৃপা দেখায়নি। কখনো কখনো মানুষ ঈশ্বরের থেকেও শক্তিশালী হয়ে যায় সেটা আমরা সচক্ষেই দেখেছি। আমরা যাবার পথে মাথা নিচু করে অতি ধীরে প্রতিটা পদক্ষেপ গুনে গুনে যেতাম।
ক্লাসে যেন কবরের নিস্তব্ধতা! সবাই আমরা ফ্যাঁকাসে দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম প্লাস্টার ওঠা দেয়াল বা ব্লাকবোর্ডের দিকে। কথা বলার সব শক্তি আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। টেবিলে যে একটু আঁকিবুঁকি কাটব সেটুকু শক্তিও আমাদের ছিলনা।
আমাদের ক্লাস শিক্ষক তার চেয়ারটিতে এসে অসীমের পানে প্রাণহীন ঘোলা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতেন মূর্তির মত বসে। মাঝে মধ্যে মনে হোত- তিনি হয়তো আর বেঁচে নেই। কোন একদিন ক্লাসে কেউ অনুপস্থিত থাকলে অবশ্য -আমাদের মধ্যে চাঞ্চল্যতা বিরাজ করত। আমরা তখন তার ভীষণ অমঙ্গল চিন্তায় ফিসফাঁস করতাম।
ক্লাসের সবচেয়ে দুরন্ত ও সুদর্শন সাশা যেদিন আসল না আমরা সবাই ভীষণ অবাক হলাম। ক্লাসের মাঝপথেই আমরা কয়েকজন অভুক্ত ক্লান্ত দেহে-ই বেড়িয়ে পড়লাম সাশার খোঁজে। ওর বাড়ির কাছাকাছি যেতেই কেউ একজন পথ আটকাল- সে জানালো যে, সাশার বাবা-মার মাথা খারাপ হয়ে গেছে! গতরাত্রে তারা নাকি সাশাকে হত্যা করে তার মাংস রেঁধে খেয়েছে। বাকি মাংস নাকি ফ্রিজে রেখে হাড়গোড় ওই পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
তোমরা নিশ্চয়ই মানুষের মাংস মানুষের খাবার গল্প শুনেছ? কতগুলো শুনেছ? অনেক অনেক শুনেছ- নিশ্চয়ই নয়?

~দিনগুলো কেটে যেত কোনমতে আমাদের রাতগুলো ছিল আরো ভয়ঙ্কর ! এ কান ও কান করে সারা গ্রামে ভেসে বেড়াচ্ছিল ভয়ঙ্কর সব গল্প; কোন কোন গ্রাম থেকে তাদের পাশেরই বা দুরের গ্রামে গভীর রাতে অতর্কিতে অস্ত্রহাতে কিছু মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ছিল। তারা কোন সম্পদ লুণ্ঠন করতে আসত না –প্রথমে ঘর , ভাড়ার, ছাদ , মেঝে কিংবা উঠোন খুঁড়ে( সেটা ঠিক খোঁড়া নয়- এক ধরনের লম্বা সূচালো লোহার দণ্ড দিয়ে মাটিতে গেঁথে দেখত) কিছু না পেলে তারা হাতের সামনে যাকে পেত তাকেই হত্যা কর। সে পুরুষ কিংবা নারী, কিশোর অথবা শিশু। অবশেষে আগে থেকেই অনাহারে থাকা অর্ধ মৃত আর হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হওয়া মৃত মানুষগুলোকে খাবারের জন্য নিয়ে যেত। আমাদের গ্রামেও যেকোনো সময়ে এমন আক্রমণ হতে পারে ভেবে অজানা-অদৃশ্য সেই শত্রুকে ঠেকাতে আমাদের শহরের পুরুষ আর নারীরা সারারাত অস্ত্র হাতে বসে থাকত।
অবস্থা আরও যখন ভয়াবহ হোল- অনেকেই তাদের নিকটজনের মাংস খেতে শুরু;
হলোদোমোরের সময় ব্যাপক নরমাংসের প্রমাণ নথিভুক্ত করা হয়েছিল:
বেঁচে থাকা ছিল নৈতিকতার পাশাপাশি শারীরিক সংগ্রাম। একজন মহিলা ডাক্তার ১৯৩৩ সালের জুন মাসে একটি বন্ধুকে লিখেছিলেন যে তিনি এখনও নরখাদক হননি, কিন্তু "আমার চিঠি আপনার কাছে পৌঁছানোর সময় আমি নিশ্চিত হব না যে আমি নিশ্চিত নই।" ভালো মানুষ আগে মারা যায়। যারা চুরি বা পতিতাবৃত্তি করতে অস্বীকার করেছিল তারা মারা গেছে। যারা অন্যদের খাবার দিয়েছে তারা মারা গেছে। যারা লাশ খেতে অস্বীকার করেছিল তারা মারা গেছে। যারা তাদের সহকর্মীকে হত্যা করতে অস্বীকার করেছিল তারা মারা গেছে। পিতা -মাতা যারা নরমাংস খাদককে প্রতিরোধ করেছিল তাদের সন্তানরা মারা যাওয়ার আগেই মারা গিয়েছিল।
তারাই আগেভাগে মরে গিয়ে বেঁচেছিল। কত মা-বাবা যে তার মৃত সন্তানের কিংবা মৃতপ্রায় শিশু সন্তানকে হত্যা করে মাংস খেয়েছে তার ইয়ত্তা নেই!!
সোভিয়েত শাসক পোস্টার ছাপিয়ে ঘোষণা করে: "আপনার নিজের সন্তানদের খাওয়া একটি বর্বর কাজ।
কত মা তার মৃতপ্রায় সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে আত্মহত্যা করার আগে বলে গিয়েছে—বাছারে তুই আমার শরীরটা টুকরো টুকরো করা খাস।‘
হলোদোমোর চলাকালীন ২৫০০এরও বেশি লোককে নরমাংসের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। হিউম্যান ফ্লেশে’র কয়েক হাজার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল!
কটা লাশ নিয়ে ‘গোরে’ ফেলে মাটিচাপা দিতে পারলে দু’খানা পাউরুটি মিলবে! কিছু লোক সারাদিন মহল্লা গলি আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাশ নিয়ে গিয়ে গর্তে ফেলে মাটিচাপা দিত। কখনো দুটো কখনো দশটা কখনো পঞ্চাশ জনকে এক গর্তে মাটিচাপা দেয়া হোত।
আরো বেশী রুটির লোভে শুধু মৃত নয় অর্ধমৃত মনুষদেরকেও তারা ধরে নিয়ে যেতে শুরু করল।
সে ব্যক্তি বা নারী শরীরের সমস্ত শক্তি দিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করত- চীৎকার করত’- আমিতো মরি নাই- আমাকে কেন নিয়ে যাচ্ছ? আমি বাঁচতে চাই-ঈশ্বরের দোহাই লাগে আমাকে বাঁচতে দাও।‘ লাশ সংগ্রহকারীরা হেসে হেসে হেসে বলত, তোমার মরার দেরি নেই গোরস্থানে নিতে নিতে মরে যাবে।
~তোমরা হয়তো বিশ্বাস করবে না; ২০ কিংবা পঞ্চাশ জনকে মাটিচাপা দেয়া সেই কবরখানা আমি পরেরদিনও ভীষণভাবে নড়তে দেখেছি। মাটিতে কান পেতে আমি ভয়াবহ চাপা আর্ত চীৎকার শুনেছি...।
কত লক্ষ মৃত-অর্ধমৃত মানুষকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল তার হিসাব কেউ কোনদিন জানবে না। ধারনা করা হয় ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি বিশ লক্ষ।
---------------------------------------------------------
ইংরেজি উচ্চারণটা ‘হলোদোমোর’ হলে উক্রাইন ভাষায় উচ্চারণ হবে ‘হলোদোমোর’ আর রাশান ‘গলোদোমোর’ গলোদ বা হলোদ অর্থ ক্ষুধা আর মোর অর্থ-মৃত্যু। 'মোর' শব্দটার অর্থ স্বাভাবিক মৃত্যু নয়-অস্বাভাবিক মৃত্যু বা হত্যা 'to kill by starvation'
রুশ ভাষায়‘মোর’ শব্দের অর্থ অভিশপ্ত মহামারী হিসেবেও ব্যাবহার হয় ( এর আরেক অর্থ সমুদ্র)। প্লেগ রোগে মৃত্যুতে এই শব্দটা বেশী ব্যবহৃত হয়েছে।
গলোদোমোর যা সন্ত্রাস-দুর্ভিক্ষ-বা যাকে মস্কো-ভিত্তিক সোভিয়েত নেতারা একে ‘মহা দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
হলোদোমোর-শব্দটি ইচ্ছাকৃত বা মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ যা বাইরের সাহায্য প্রত্যাখ্যান,গৃহ অভ্যন্তর ও বাজার থেকে সংরক্ষিত সমস্ত খাদ্যদ্রব্য তুলে নেয়া বা বাজেয়াপ্ত করা এবং জনগণকে খাদ্যের সন্ধানে অন্যত্র যাবার চেষ্টায় বাঁধা দেয়া হয়।
সবে ২০০৬ সালে মানবসৃষ্ট সেই ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতি পায়!

তিন পর্বের(সম্ভবত) প্রথম পর্ব সমাপ্ত

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না, মানুষ এত নৃসংস হয় কি করে?????

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই বিশ্বাস করা কষ্ট- কিছু মানুষের নিষ্ঠুরতা কল্পনাতীত নি:শ্বংস!
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: অত্যন্ত মর্মান্তিক একটা বিষয় নিয়ে চমৎকার লিখেছেন!
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হিটলারের নাৎসি জার্মানি কর্তৃক সংগঠিত হলোকাস্ট বা ইহুদি নিধনযজ্ঞের ব্যাপারে সকলেই অবগত আছেন। কিন্তু এর ঠিক আগের দশকেই, ১৯৩২-৩৩ সালে ইউক্রেনে সংগঠিত হলোদোমোরের ব্যাপারে জানেন খুব কম মানুষই। শুধু হলোকাস্টের সাথে নামগত মিলই নয়, ভয়াবহতায়ও প্রচন্ড মিল রয়েছে হলোদোমোরের। পৃথিবীর ইতিহাসের নৃশংসতম মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি, যাতে প্রাণ হারিয়েছিল অন্তত ৭০ লক্ষ ইউক্রেনিয়ান নাগরিক।

অথচ মজার ব্যাপার কী, জানেন? সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে এমনকি ইউক্রেন সরকারও হলোদোমোরকে স্বীকৃতি দেয়নি একটি গণহত্যা হিসেবে। প্রায় ৭৩ বছর পর, ২০০৬ সালে ইউক্রেনে প্রথম স্বীকৃতি পায় এটি। সেই সাথে আরো ১৫টি দেশ একে আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়েছে গণহত্যার স্বীকৃতি। এই গণহত্যার নেপথ্যে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার। আর সবচেয়ে বেশি দায় বর্তায় যে মানুষটির কাঁধে, তিনি হলেন জোসেফ স্ট্যালিন।

ধন্যবাদ এবং ভালো লাগা।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার জানার পরিধি নিঃসন্দেহে আমার থেকে বহুগুন বেশী!
আমি ভীষন অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে, আপনি হলোদোমোরের বিষয়ে বেশ আগে থেকেই অনেক কিছু জানেন।

এর পরের পর্বগুলোতে আমি এই বিষয়গুলোই একের পর এক তুলে ধরব।

* আমার কেন যেন মনে হয় স্তালিনের চেয়ে ত্রোতস্কি আরো বেশী বুদ্ধিমান কিন্তু নিঃশ্বংস ছিল!এই ভয়ঙ্করতম ঘটনার পেছনে স্তালিনের স্বেচ্ছাচারিতা আর সরাসরি নির্দেশোনা থাকলেও মস্কোর কম্যুনিষ্ট পার্টির জাঁদরেল নেতাদের উস্কানিও কম ছিলনা। তারা চাইলে স্তালিনের একার পক্ষে সম্ভব ছিলনা এমন ভয়াবহ কান্ড ঘটানোর।

সামনের পর্বগুলোতেও আপনার মুল্যবান মতামতের অপেক্ষায় থাকব? সাথে থাকবেন -ভাল থাকবেন

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ঈশ্বর কাউকে কৃপা করে না।পৃথীবিতে এমন কোন প্রমান নেই যে ঈশ্বর কৃপা করেছে।এর পর আর পড়া হয় নি।পড়ে আবার আসবো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে- বাকি লেখাটুকু পড়ে মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

হাবিব বলেছেন: কি নিশংস!

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কোথায় হারাইলেন ভাই???বেশ অনিয়মিত পড়েছেন যে?
হ্যা এমন ভয়াবহতম নি:শ্বংসতা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যদিও ঘটনাটা জানা ছিল কিন্তু এত বিস্তারিত নয়। কি ভয়াবহ, ভাবা জায়না। পৃথিবীতে আর এমন দিন না আসুক সেই কামনা করি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: নিদারুন কষ্টের ও ভয়াবহতম মানবসৃষ্ট ঘটনা!
ভাবতেই ভয়ে শিউড়ে ওঠি। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য মাইদুল ভাই।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: কি ভয়ংকর অবস্থা । মনটা ভীষণ দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো। পোস্টটি পড়ার পর অনেকক্ষণ চুপ করে বসেছিলাম। এমনদিন পৃথিবীতে আর না ফিরুক।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও প্রথম যখন বিষয়টা জানলাম তখন বিস্ময়ে কষ্টে হতবাক বিমুঢ় হয়ে গিয়েছিলাম!
আপনার মত! জিনগত ভাবেই হয়ত মানুষ এমন নিষ্ঠুর!
ভাবুন একজন না হয় আদেশ করে- কিন্তু যারা এক্সিকিউট করে তারাও কোন অংশে কম নিষ্ঠুর নয়- বরংচ অনেক সময় আরো বেশী ভয়ংকর!!!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,





ষ্টালিন লাখো মানুষ মেরেছেন এটা জানা ছিলো, জানা ছিলোনা কেমন করে। এবারে সেই নির্মম একটি ইতিহাস নতুন করে জানলুম।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই
ফের আমার পোষ্টে এসে মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করার ধন্যবাদ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
ব্লগের অনেকের ধারনা আমি শুধু সমাজতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার গুনগান গাই।
আসলে আমি চেষ্টা করি নিরপেক্ষ ভাবে সবকিছু তুলে ধরতে।
হ্যা স্তালিনকে অনেকেই খুব ভালো মানুষ ও নির্দোষ সাজানোর চেষ্টা করেন আর বলেন এসব পশ্চিমের প্রোপাগান্ডা কিন্তু আমি এই তথ্যগুলোর সিংহভাগ নিয়েছি রুশ মিডিয়া ও তথ্যচিত্র থেকে। এ কাহিনীর সিংহভাগ সত্য।
অপেক্ষায় রইলাম বাকি পর্বগুলোতে আপনার মন্তব্যের। ভাল থাকবেন

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এর নাম কখনো শুনিনি, এই কাজ কেনো করা হয়েছিলো জানার ইচ্ছে রইলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

শেরজা তপন বলেছেন: ইতিহাস নিয়েতো বরাবরই আপনি দারুন আগ্রহী।
খানিকটা অবাক হলাম এ বিষয়ে আপনি কিছু জানেন না শুনে।
আরো দেখুন পরিবেশ আশা করছি এ সন্মন্ধে বেশ একটা ধারনা দিতে পারব।
ভাল থাকবেন ধন্যবাদ!

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউক্রেন ছিলো সোভি্যেত ইউনিয়নের শস্যভান্ডার, সেখানে কেন ও কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো, সেটা তো আপনি লিখেননি; কত সালে ইউক্রেন সোভিয়েতে যোগ দেয়, কারা যোগ দিতে চাহেনি, কালেটিভ ফার্ম কি, জমি কেড়ে নিয়ে কি করা হয়েছে, ১৯৩২-৩৩ সালে জমিতে উৎপাদন কেন কম হলো, স্টালিন কেন অন্য অন্চল থেকে খাবার আনতে দিলো না, রাশিয়ান ও ইউক্রেনের মানুষ তো সেই সময়ে বেকুব ছিলো না; আসল ঘটনা কি?

একই সময়ে (১৯৩১-১৯৩৩) সোভিয়েতে দুর্ভিক্ষ চলছিলো, সেটা সাথে এটার সম্পর্ক ছিলো কিনা?

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনার মন্তব্য পেলাম!!

আপনার সবগুলো প্রশ্নের ঊওর পাবেন সামনের দুটো পরিবেশ আশা করছি।
আপনি মনে হয় লক্ষ্য করেননি এটা সবে তিন পর্বের প্রথম পর্ব।
উক্রাইনানদের সাথে বরাবরই রুশদের একটা জাতিগত সংঘাত বিদ্যমান। যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। সোভিয়েত সমাজতন্ত্র নিয়ে বহিঃবিশ্বের নেতিবাচক ধারনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিল।
উক্রাইনের বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ বরাবরই পশ্চিমাদের হয়ে কাজ করেছে।
তবে হলোদোমোর যে কারনেই হোক এ মানবজাতির জন্য ভয়ংকর কলংকজনক অধ্যায়। ক্ষমার অযোগ্য

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকে ইউক্রেন কেন পশ্চিমমুখী? আজকে ইউক্রেনে চাষবাস কেমন হচ্ছে? আজকের ইউক্রেনের কোন তরুণ তরুনীকে জিজ্ঞাসা করলে, তুমি কোথায় থাকতে চাও, শতকরা ৬০ ভাগ উত্তর আসবে, আমেরিকা কিংবা ইউরোপে! কানাডার গম উৎপাদনের এলাকা ইউক্রেনের ইমিগ্রেন্টদের হাতে কেন?

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: প্রাক্তন সোভিয়েতের যারা অনগ্রসর দেশ তারা আমেরিকা কানাডাকে সপ্নের ভুমি হিসেবে ভাবে।
ওদিকে ওরাও বিশেষ করে উক্রাইনানদের একটু আলাদা প্রিভিলেজ দেয়।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: ইশশ, কি প্যাথেটিক! আগে এ সম্পর্কে একদমই জানা ছিল না। ধন্যবাদ নতুন কিছু জানানোর জন্য।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই ভাবনার থেকেও অনেক বেশী মর্মান্তিক!!!

আশা রাখছি সামনের পর্বগুলোতে সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: @শেরজা তপন ভাই, এই পোস্টে সবার মন্তব্যের জবাব দিলেন কিন্তু আমার মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়ার কারণ কি? আমি কি অপ্রসাংগিক কোনো মন্তব্য করেছি?

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি বুঝলাম না - এর আগেও একদিন এমন হোল
সেলফোনে আপনার মন্তব্যের উত্তর দেবার পরেও কোন লেখা আসছে না!!
বিরক্ত লাগছে!
আপনার মন্তব্য আমার কাছে মহা মুল্যবান!
এমন দারুন তথ্যবহুল একটা মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
কম্পিউটারে বসে আরাম করে উত্তর দিব।

*আপনার এই মন্তব্যের ঠিক এখন মিনিট আগে একটা নোট দিয়েছিলাম - খেয়াল করেননি

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কি সব ভয়ঙ্কর কথা লিখলেন। বিশ্বাস হতে চাচ্ছে না।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: বিলিভ ইট অর নট- এমনটাই হয়েছিল
হয়তো এর থেকে আরো ভয়ঙ্কর কিছু হয়েছিল! এর বেশীরভাগ ইতিহাস অতি সুকৌশলে মুছে ফেলা হয়েছে।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এত খাদ্যাভাব, সন্তানকে খুন করে তার মাংস খেয়েছে,

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: চেপে রাখা ইতিহাস থেকে এমনইতো জানা যায়।
লেখার শেহশ একিছু ডকুমেন্টারি ও ফিল্ম এর রেফারেন্স দিব- সেগুলো দেখলে বিশ্বাস হবে। সাথে থাকুন - ভাল থাকুন ভ্রাতা।


* ব্লগে ইদানিং একটু অনিয়মিত হয়ে গেছেন আপনি- ব্যস্ততা?

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

সোহানী বলেছেন: বাবার মুখে এটি শুনেছিলাম কিন্তু নিজে কিছু পড়িনি। আপনার লিখায় বিশদভাবে জানলাম।

সোভিয়েট তাদের পাপকাজ কিন্তু এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের আমার এক বন্ধু আছে সে বলছিল কিভাবে তাদের সম্পত্তি একে এক দখল করে নিয়ে তাদেরকে পথের ফকির বানিয়েছে। এমন কি এখনো চলছে ধ্বংসযজ্ঞ কিন্তু কিছুই নাকি আসে না মিডিয়ায়। কারো তেমন সাহস নেই এর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বাবা জেনেছিলেন কেমনে?

উক্রাইনান ও রুশীয়দের জাতিগত দ্বন্দ রয়েছে শত শত বছর ধরে। দু-পক্ষই নিজেদের সেরা ভাবে, কিন্তু ভৌগলিক কারনে উক্রাইন বাধ্য হয়ে রাশীয়ার মুখাপেক্ষি হতে হয়েছে, বার বার সমোঝোতা করতে হয়েছে।সোভিয়েতের শুরুতে উক্রাইনান ভাষাটাকেই ধ্বংস করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, যেমন আমদের ভাষাকে পাকিস্থানীরা।
শৌর্য বীর্য ক্ষমতায় রাশিয়া এগিয়ে আছে যোজন যোজন- তাইতো বরাবরের মত দুর্বলের উপরে সবলের অত্যাচার চলছে।

আমার পরের লেখায় সেসময়ে ইউরোপ আমেরিকার হলুদ সাংবাদিকতার কথাও আসবে।
সাথে থাকুন- ভাল থাকুন। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশা করি ব্যস্ততা দ্রুত কমে যাবে এবং ঠাণ্ডা মাথায় ব্লগিং করতে পারবো। দোয়া প্রার্থী।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: সেই প্রত্যাশায় অপেক্ষায় রই্লাম...
আপনি ভাল থাকুন সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন- ফিরে আসুন স্বমহিমায়।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি না পড়লেই ভালো করতাম।
এখন খারাপ লাগছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এমনিতেই একটু নরম মনের মানুষ- এমন ভয়াবহ ঘটনার কথা পড়ে খারাপ লাগা স্বাভাবিক।
তবুও পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।


* এখনো কি জেনারেল আছেন?

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩৮

কালো যাদুকর বলেছেন: এত দেখি ভযাবহ ঘটনা ৷ মানব জাতীর ইতিহাস আসলে খুবই ভযাবহ | এগুলো সামনে কেউ আনে না। করনা খুব ফুটে উঠেছে ৷

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: শেষের লাইনটা বুঝি নাই?

হ্যা কেন যেন কেউ খুব একটা সামনে আনতে চায় না। শুধু এক আধজনকেই নিয়ে ঘন ঘন চর্চা হয়। তবে হ্লোদোমোর নিয়ে বেশী চর্চা হলে তৎকালীন পশ্চিমা মিডিয়ার অনেকেই ফেঁসে যাবে। তারা জেনেও না জানার ভান করে ছিল। ইয়েলো জার্নালিজম হয়েছিল।

ধন্যবাদ ভাই ফের। ভাল থাকুন

১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইটা পড়ে মনে পড়লো আমাদের দেশে অভাবে কেনো মানুষ আত্মহত্যা করে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এত রাত জেগে থাকেন কেন?

হ্যা অভাবে অনেকে আত্মহত্যা করে, তবে অভাবের সাথে লজ্জা ও অপমানের বিষয়টাও কাজ করে- কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যা করা কোনভাবেই বুদ্ধিমত্বার কাজ নয়।

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০৫

কালো যাদুকর বলেছেন: বলতে চেয়েছি, ভয়াবহ করুন অবস্থা তুলে ধরেছেন। আমি গুগোল করে কিছু আরর্টিকেল পরলাম। খহুবই বাজে অবস্থা ছিল।

মাইনরিটিরা সব সময়ই রিস্কে থাকেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: এমন ভয়ঙ্করতম পরিস্থিতিতে মানব্জাতি কখনো পড়েনি বলে আমার বিশ্বাস- অবশ্য সত্যিকার ইতিহাস আমরা ক'জনই বা জানি!

শেষের কথাটা ঠিক বলেছেন। ভাল থাকুন- পরের পর্বগুলোতে আসবেন ফের।

২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ আমি নিজ চোখে দেখেছি। সঙ্গত কারণে তা আপাতঃ লেখা সম্ভব নয়। আপনি লিখুন দুর্ভিক্ষের কথা, আমরা পড়ছি।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার অবস্থান থেকে চাইলেও অনেককিছু আপনি বলতে পারেননা -সেটা অনুধাবন করতে পারছি।
তবে আপনি নিশ্চিতভাবে 'হলোদোমোর' নিয়ে বলছেন না সেটা নিশ্চিত!
সে বিষয়ে জানার আগ্রহ রইল।

২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একবার চোখ বুলিয়ে গেলাম। খুব ই ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
সময় নিয়ে আবার আসছি...

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: কোথায় ছিলেন এ'কদিন ভাই আপনি?? মিস করেছিলাম!

অপেক্ষায় রইলাম আপনার মন্তব্যের...

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুর্ভিক্ষের চেয়ে ভয়াবহ আর কিছুই হতে পারে না।


এখানে ভুল করে একটা চোখ টিপির ইমোজি চলে এসেছে। ওটা মুছে দিয়েন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বড় ভয়ঙ্কর সে মৃত্যু!!

অনেকদিন বাদে আমার ব্লগবাড়িতে আপনার দেখা পেলাম। দারুন আপ্লুত হলাম।


* ঠিক করে দিয়েছি- ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য।

২৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৫

হাবিব বলেছেন: বেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি , ইনশাআল্লাহ আবার নিয়মিত হবো

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১০

শেরজা তপন বলেছেন: সব ঝামেলা কাটিয়ে ফিরে আসুন আগের ছন্দে।

সেই অপেক্ষায় রইলাম...

২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উফ কী ভয়ংকর !

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: যাক এসেছেন তাহলে!!
ইদানিং ব্লগএ আপনার দেখা মেলা ভার। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা- ভাল থাকুন

২৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

আশাকরি ভাল আছেন। কথা দিয়েছিলাম আবার আসবো। এসেছিলাম পরেরদিন। কিন্তু এতো খারাপ লেগেছিল যে কমেন্ট করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। কল্পনা করা যায় না মানুষ এতোটা নির্মম নিষ্ঠুর কি করে হতে পারে... ঠিকই তো জেনোসাইডই বটে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, আপনাকে ফের পেয়ে আমিও দারুন আপ্লুত ও আনন্দিত হলাম
ভাল আছি , কিন্তু ব্লগে বসার সময় একদম পাইনা-সেজন্য মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
কিছু মানুষের নিষ্ঠুরতা দেখে নিজেকে মানুষ ভাবতে লজ্জা লাগে! সত্যিই এধরনের নিষ্ঠুরতা আমাদের নির্বাক করে দেয়।

আপনার ধারাবাহিক লেখাটা বড্ড ঢিমেতালে এগুচ্ছে- আরেকটু এক্টিভ হউন।

ভাল থাকুন ভাই।

২৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪

জ্যাকেল বলেছেন:
কি খারাপ! ছি ছি! মানুষ এত নীচে নামতে পারে?
উক্রেনের এক মেয়ের সাথে বেশ আগে পরিচয় হইয়াছিল। ও কি করে সেইটা জিজ্ঞেস করাতে বলেছিল সে স্ট্রিপার। তখন তাদের দেশের আর্থ সামাজিক বিষয় নিয়ে কিছু আলাপ হয় ত বুঝি ওদের অবস্থা আমাদের চেয়ে খুব ভাল না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জ্যাকেল।

বহু ভয়ানক নিষ্ঠুর মানুষও এই নিষ্ঠুরতার গল্প শুনে কষ্ট পাবে!
তা ঠিক ওদের আর্থ সামাজিক অবস্থা আমাদের থেকে খুব বেশী ভাল নয়, কোন কোন সুচকে অনেক বেশী খারাপ বরংচ।
ভাল থাকুন-সাথে থাকুন।

২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন নৃশংস নিষ্ঠুরতার কথা আগে জানা ছিল না। পোস্ট পড়ে মনটা ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। তাই আপাততঃ লগ-অফ করছি। তবে যাবার আগে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এমন একটি অজানা বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য। ঘটনা নিষ্ঠুর হলেও, এ নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে জানা এবং বিশ্ববাসীকে জানানো উচিত, শতনর্ষ পরে হলেও।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে নিয়মিত বসা হচ্ছে না দেখে মন্তব্যের উত্তর দিতে একটু দেরি হয়ে গেল।
এ বিষয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ও ফিল্ম দেখে আমিও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত- ইচ্ছে ছিল কয়েক পর্বে বিস্তারিত লেখার কিন্তু সামনের পর্বে এর পেছনের কারন ও কারিগর এবং ভু-রাজনৈতিক খেলার ইতিহাস বর্ণনা করে শেষ করে দিচ্ছি।
গত কয়েকদিনে বহুবার বসেছি লেখার জন্য, কিন্তু মানসিক অস্থিরতায় কিছুই লিখতে পারিনি।
আমি নিজেকে বিচার করে আপনার মানসিক অবস্থার বিষয়ে অনুমান করতে পারছি।

আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। ভাল থাকুন সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন সর্বদা।

২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: উফ কী ভয়াবহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.