নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
শুভ দিন! আমার নাম নাসরেদ্দিন-আপনারা হয়তো আমার নাম শুনে থাকবেন; আপনাদের দেশে এসে আমার নাম হয়েছে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা। কি আশ্চর্য এই মুহূর্তে আমি আমার বাপ দাদার দেয়া নামটাই মনে করতে পারছি না!
আমার জন্ম উজবেকের সমরখান্দে। নাহ, আরবের কোন এক বেদুইনের ঘরে ... এটি অনেক আগে ছিল ... আমার জন্ম মিশরের কায়রোতেও হতে পারে। আসলে,আমি মনে করি সেটা ছিল চীনের উইঘুরে। যদিও আমার চাচা দাবি করেছেন যে আসলে আমি জন্মেছিলাম তুরস্কে! কিন্তু আমার জন্ম সনদপত্রটি বলছে; আমি নাকি আজারবাইজানের বাকুতে জন্মেছি।
প্রিয় ব্লগার, নাসরেদ্দিন হোদজাকে নিয়ে এই লেখাটা এক্সপেরিমেন্টাল দীর্ঘ ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে থাকবে নাসরেদ্দিনকে নিয়ে মিথ, ইতিহাস, রাজনীতি, ধর্মযুদ্ধ, গল্প, কৌতুক সহ আরো নানান বিষয়। করোনাকালীন দীর্ঘ অবসরে আমি প্রায় একুশটা ভাষা থেকে(যার বেশীরভাগ ভাষাই আমার অজানা) গুগল অনুবাদকের সাহায্য ও নিজের কিছু ভাষাজ্ঞান দিয়ে এই সুদীর্ঘ বিশ্লেষণধর্মী লেখাটা লিখতে চেষ্টা করেছি- যা এখনো অসমাপ্ত! আশা করছি আমার ঋদ্ধ লেখক সাহিত্যমনা ব্লগারদের সমালোচনা ও সহযোগীতায় লেখাটা শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নিতে পারব। লেখায় ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
---------------------------------------------------
যাইহোক, আমি যে সত্যিকারে জন্মেছি তার প্রমাণ হিসাবে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। আমি আমার বন্ধু টেক্কার সাথে দেখা করতে এসেছি- আমি সেই গল্পটাই আজকে বলতে চাই। আমি যখন যুবক ছিলাম তখন তার সাথে আমার শেষবার দেখা হয়েছিল, তবে সেই সাক্ষাতের গল্পটা আমি আপনাদের আরেকদিন শোনাব- সেটা সম্পূর্ণরূপে অন্য গল্প।সেবার আমি আমার বন্ধু টেক্কার বাড়িতে প্রথমবার পদ্মার ইলিশ খেয়েছিলাম। কি যে স্বাদ সে মাছের এখনো মুখে লেগে আছে। সেই মাছের লোভে সুদূর বংগ দেশে পদ্মার পাড়ে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। ও হ্যাঁ আপনারা হয়তো বহুবার সে গল্প শুনেছেন; নাসিরুদ্দিন হোজ্জা ও ইলিশ মাছ।
আমি তখন রিক্ত নিঃস্ব- এতদূর পথ আসতে গিয়ে বহুবার জিন্দা পীর, কাপালীক সন্ন্যাসী, ঠগ আর লুণ্ঠনকারীর হাতে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিলাম। একখানা ইলিশ মাছ কিনব সেই পয়সাটুকু আমার কাছে ছিল না। কি করব অবশেষে একটা ইলিশের চারটা টুকরো মাত্র কিনে নিয়ে আমি রাস্তা দিয়ে ফিরছিলাম। কোত্থেকে এক বেঙ্গল ক্রো এসে সেই মাছের থলেটা ছোঁ মেরে আমার হাত থেকে নিয়ে উড়াল দিল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি পুরা তব্ধা মেরে গিয়েছিলাম। আসার পথে এক বোবা পীর আমাকে কাক পক্ষীর ভাষা শিখিয়েছিলেন। আমি মনের দুঃখে কাককে বললাম, কুৎসিত পক্ষী, তুইতো ইলিশ মাছ রাঁধতে জানিস না – কাঁচা ইলিশ নিয়ে কি করবি!
কাকটা এমন একটা বিটকেলে হাসি দিল; সে বলে হোজ্জা- এটা-তো পদ্মার ইলিশ কাঁচাও খেতে বেশ মজা।
আমার চাচা বলেছিলেন তুর্কিতে নাকি আমি মক্তবের শিক্ষক ছিলাম তাই সবাই আমাকে শ্রদ্ধাভরে ‘হোদজা’ বলে ডাকত। সেই হোদজা এখানে এসে হয়ে গেছে হোজ্জা। এ পদবীর মানে আমি জানিনা। এই দেশে এসে বাপ ঠাকুর্দার নাম পদবী সব হারাইলাম- তারপরে এদেশে পশু পাখি কীট পতঙ্গ সবাই ইলিশ ভক্ত। আমার মত কপর্দকশূন্য এক মানুষের ইলিশ খাওয়ার কোন উপায় নাই। তাই মনের দুঃখে ফিরে গেলাম আফগানস্থান।
আমি এখন একটা বিশাল এক জঙ্গলের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। এই জঙ্গলটা পার হলেই টেক্কার নিজের গ্রাম,বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের মাঝে শুধু একটা বিশাল ঊষর মরুভূমি আর এই জঙ্গলটা ছিল।
মরুভূমি ভ্রমণটা বেশ সহজ ছিল। বারো দিন একটানা জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের ভেতর দিয়ে হেটে এসেছি ... সেটা কোন ব্যাপার নয়- সেখানে ঘাম নেই।
ঠিক আছে,তবে গল্পে ফিরতে আমি জঙ্গলে এসেছি। আপনি যদি কখনও সুন্দরবন দেখে থাকেন তবে আপনি জানেন যে এটি বড় এবং অন্ধকার এবং গাঢ় সবুজ। গাছগুলি লম্বা,ঝোপঝাড়গুলি ঘন এবং প্রচুর ছোট্ট ছোট্ট প্রাণী রয়েছে ।
আমি আমার পথচলা শুরু করলাম; পথটি বেশ সরু ছিল,এবং উভয় পাশের জঙ্গলও খুব ঘন এবং কণ্টকাকীর্ণ ছিল এবং পথটির উপরে এমনভাবে সব বিছিয়ে ছিল যে পুরো রাস্তাটাই বন্ধ হয়ে গেছে! যা আমাকে কিছুটা উদ্বিগ্ন করেছিল।
তবে আমি আমার বন্ধু টেক্কাকে ভালোবাসি, তাই আমি নিজেকে বলেছিলাম, নাসরেদ্দিন, আপনি একজন বোকা প্রাণী। টেক্কাকে দেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আপনি আপনার বিষয়ে মনোযোগ দিন কেবল জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কথা ভাবুন!" যাওয়া না যাওয়া নিয়ে আমি নিজের সাথে নিজে তর্ক করার চেষ্টা করেছিলাম, তবে এতে কোনও লাভ হয়নি। আমাকে যেতেই হবে।
তাই আমি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, এবং আমার চোখ অন্ধকারে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ায় পথটা আর এতটা খারাপ মনে হচ্ছিল না। আমি যখন মনের সুখে হাঁটছিলাম তখন পিছনে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম: "হাহহহ ... হাহহহ ... হালুম"। আমি আমার কাঁধের ওপর দিয়ে মাথাটা ঘুরিয়ে পেছন দিকে তাকালাম, এবং অবাক হয়ে দেখলাম, একটি বাঘ ও জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আমার পিছু পিছু হাঁটছিল!
"আহ," আমি নিজেকে বলেছিলাম,এই পরিস্থিতিতে আমি যা করতে পারি তা সবচেয়ে ভাল। তারপরে আমার একটা চিন্তা ছিল,যাহোক আমার ভেতরে একজন মোল্লা মৌলভী বা আধ্যাত্মিক কেউ একজন বাস করে সে আমাকে প্ররোচিত করল" আপনার সু-স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আপনি চাইলে এই মুহূর্তে খানিকটা জগিং করে ঘাম ঝড়িয়ে নিতে পারেন।
ঠিক আছে এই মুহূর্তে" আমি রাজি হয়েছি, এবং সাথে সাথে শুরু করেছিলাম। আমি ধীরে ধীরে জগিং করতে করতে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, আমার মনে হচ্ছিল আমার সুস্বাস্থ্যের জন্য এটা খুব ভাল একটা ব্যাপার ছিল।
ফের আমি আমার পিছনে একটি শব্দ শুনলাম: "হাহাহাহ ... হাহহহ ... আ হালুম"। আমি আমার কাঁধের ওপর দিয়ে পেছন ফিরে তাকালাম, এবং - আপনি কী জানেন! - বাঘও জগিং করছিল। যদিও আমার কাছে এটা বেশী বাড়াবাড়ি মনে হয়েছিল তবুও মেনে নিলাম। আমার কেন যেন মনে হোল পুষ্টির থেকে সেই বাঘটা অতিমাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতন হিল।
ব্যায়ামের উপকারী প্রভাবের কারণে, আমার মস্তিষ্ক আরও দক্ষতার সাথে কাজ করছিল। "আপনি যদি জগিং করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি দৌড়াতে পারবেন," আমি নিজেকে বলেছিলাম। "কেন আমি বিশ্ব রেকর্ডের জন্য চেষ্টা করব না?"
ভাবতে ভাবতেই আমি তৎক্ষণাৎ শুরু করেছিলাম স্থল গতির জন্য নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করতে পারি কিনা তা দেখতে। আমি সেই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এমনভাবে দৌড়ুচ্ছিলাম যেন পথটি একটি হাইওয়ে।
আমি নিশ্চিত যে একটি বিশ্ব রেকর্ড আমার দখলে ছিল,কেবল যদি স্টপ ওয়াচ হাতে বিচারক থাকতেন। দৌড়াতে দৌড়াতেই আমি আমার পিছনে একটি পরিচিত শব্দ শুনতে পেলাম, যা সম্ভবত "হাহহহহহহহহহহ" এর মতো উচ্চারণের মতো -ব্যাখ্যা করা দুরূহ! আমার ধারনা বাঘটাও আমার সাথে বিশ্বরেকর্ড করার জন্য মরিয়া !
দুই অ্যাথলেট জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বাতাসের মতো ছুটে চলেছেন! রোমাঞ্চকর ছিল! এটা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ! ভয়াবহ! আচমকা দেখলাম সামনে কোনও জঙ্গল নেই!
আসলে সামনে কোনও পথই ছিল না, কেবল নীল আকাশ ও একটি শিলাখন্ড, আর আমি, নাসরেদ্দিন, পড়ে যাচ্ছিলাম। আমি বলেছিলাম, "আউউফ !!" পতন ঠেকাতে গিতে পাহাড়ের খাড়ায় কোনমতে একটা লতা গুল্ম কিংবা একটা ঝোপ আকড়ে ধরলাম।
(আপনি কি কখনও খেয়াল করেছেন, প্রতিবার আমি যখন একটি পাহাড়ের উপর থেকে নীচে পড়ে যাই তখন সেখানে আমাকে বাঁচানোর জন্য ঝোঁপঝাড় বা কিছু একটা থাকে।)
তাই আমি এই ঝোঁপটি ধরলাম এবং প্রিয় জীবনটা বাঁচানোর জন্যই ঝুলে রইলাম। আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে এটিকে আঁকড়ে ছিলাম, যার প্রয়োজন আমার ছিল, কারণ উপর থেকে বাঘ আমার দিকে তাকিয়েছিল আর বলেছিল ‘’ হাঃ হাঃ হালুম হালুম " ~তুমি কি আর কোন কথা জানো না?"
আমি জিজ্ঞেস করলাম তাকে( স্পষ্টতই তা নয়) বাঘ বার বার একই কথা বলছি। আমি এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে উদ্ধারের মরিয়া হয়ে চারপাশে তাকাচ্ছিলাম।, কিন্তু কোন উপায় পেলাম না। উপরন্তু আমি লক্ষ্য করলাম ঝোপের শিকড়গুলি একের পর এক খুলে আসতে শুরু করেছে।
"নসরুদ্দীন," আমি নিজেকে বলেছিলাম, আমি যখন সমস্যায় পড়ি তখন দুই লাইনের একটা গান গাই, যা আজকাল প্রায়শই বেশি বেশি মনে হয়, "ওহে নাসরেদ্দিন, / তুমি একদিন কাউকে ভাল বেসেছিলে।‘’কি একটি দুর্দান্ত ছোট্ট রোমান্টিক গান,খুব সান্ত্বনার। গানটি অবশ্যই সেই মুহূর্তে আমাকে সহায়তা করেছিল।
গান গাইতে গাইতেই আমি আমার পিছনে এবং নীচে একটি শব্দ শুনতে পেলাম যা অদ্ভুতভাবে পরিচিত লাগছিল: "হাহাহাহ ..হালুম’!!
"অপেক্ষা করুন!" আমি নিজেকে বলেছিলাম, "আমি ভেবেছিলাম এই শব্দটি উপরে থাকা বাঘের কথার প্রতিশব্দ!" আমি নীচের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে খারাপের পরে সবসময় ভালই আসে। কেন এমন আপনার কি মনে হয়?
তবে ভালটি খুব বেশি ভাল ছিল না এবং বেশ ভাল বিষয় যে এখান থেকে পড়ে গেলে আমার বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না। খারাপ ব্যাপারটা ছিল ঠিক আমার পায়ের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য বাঘটি,সে আমার দিয়ে জুল জুল করে তাকিয়ে আছে!
আমি সেখানে ঝোপগুলো কোনমতে আঁকড়ে ধরে উপর ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলাম যার শিকড়গুলি উপড়ে যাচ্ছিল, আমার উপরে বাঘ এবং আমার নীচে একটি বাঘ ছিল। আমি আমার সেই ছোট্ট বিস্ময়কর গানের জন্য এটাকে ফের একটি ভাল মুহূর্ত বলে মনে করেছি, তাই আমি আবারও গাইলাম, ""ওহে নাসরেদ্দিন, / তুমি একদিন কাউকে ভাল বেসেছিলে। এটা 'এ' মেজর-টিউনে ছিল'।" এর প্রভাব ছিল - আমার মাথা পরিষ্কার ছিল এবং আমি আমার অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মরিয়া হয়ে ছিলাম।
আমি দু'পাশে তাকালাম, এবং ডানপাশে কিছু সবুজ ঝোপঝাঁড়ের ফাঁকে একটি লাল রঙের স্ট্রবেরি নজরে এল। এটি একটি বন্য স্ট্রবেরি ছিল!
আমার দর্শন সর্বদা আমি যেখানেই যেই অবস্থায় থাকি না কেন নিজেকে পুরোপুরি উপভোগ করা। তাই আমি আমার পায়ের আঙ্গুলগুলির সাথে পাহাড়ের খাড়িটা বেশ ভালভাবে আঁকড়ে ধরলাম, যা যথেষ্ট বিবেচ্য এবং আমি এক হাতে ঝোঁপটি ধরেছিলাম এবং একটু কসরত করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেলাম। পুরো ব্যাপারটাতে খানিকটা,ঝুঁকি ছিল কিন্তু সেই স্ট্রবেরিটা অবশেষে আমার হাতের মুঠোয় এলো।
আমি ওটা খেয়েছিলাম? ওহ, হ্যাঁ, আমার প্রিয় বন্ধুরা,সেই মুহূর্তে আমি ঝোপ আকরে একটা পাহাড়ের ঢালে কোনরকম পতন ঠেকাচ্ছিলাম- সে ঝোপগুলোর শেকড় আলগা হয়ে যাচ্ছিল। আমার উপরে একটি বাঘ এবং নীচে একটি বাঘ আছে, এবং আমি তখন একটি বন্য স্ট্রবেরি খুঁজে পেয়েছিলাম এবং এটি খেয়েছিলাম এবং বিশ্বাস করুন সেটা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু ও মধুরতম স্ট্রবেরি!
* *
কোথায় যাচ্ছেন অপেক্ষা করুন ... শেষমেশ বাঘ আর আমার কি হবে? সেই গল্পটা কি বলব? ঠিক আছে,সংক্ষেপে বলিঃ তারা বেশ সজ্জন ও ভদ্র সভ্য বাঘ ছিল~ তারা আমাকে খুব বেশী কাছ থেকে দেখে আমাকে খাবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভায়া, সে জন্যই সুদীর্ঘ হাজার বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই চরিত্রটাকে আমি বেছে নিয়েছি লেখালেখির জন্য। আমার ধারনা উইট ও সরস গল্প ও কৌতুকের জগতে নাসরেদ্দিনের সমতুল্য আর কেউ নেই- তাঁর ধারে কাছে আসার সম্ভাবনা নেই কারো।
ব্লগে ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারিনা- আপনাদের সাথে ইদানিং যোগাযোগের ভাটা পড়েছে। বরাবরের মত দারুনভাবে অনুপ্রানিত করার জন্য ধন্যবাদ।
সাথে থাকবেন ও কোন ভুল ভ্রান্তি দৃষ্টিগোচর হলে ধরিয়ে দিবেন নির্দ্বীধায়।
ভাল থাকুন।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৪
ইসিয়াক বলেছেন:
সাথে আছি, পরিশ্রম স্বার্থক হোক প্রিয় ব্লগার।
পোস্টে ভালো লাগা।
শুভকামনা রইলো।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিনবাদে আসলাম। আমার প্রিয় ব্লগার ভাইকে দেখে দারুন আপ্লুত হলাম। প্রথম লাইকটা আপনার পেয়েই আপ্লুত হয়েছিলাম।
বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
অফটপিকঃ অতি অল্প সময় ও ভীষন অনিয়মিতভাবে ব্লগে অনুপস্থিতির জন্য আপনাদের লেখা পড়া ও মন্তব্য করা হচ্ছে না বলে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি ( একটা খুব বেশী অনলাইনে পড়াশুনা আর লেখালাখির জন্য শারিরিক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি- সেগুলো রি কভার করছি) । সময় নিয়ে ফের নিয়মিত হব আশা রাখছি।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগে অনেকদিন পর ব্লগে এসে পরিচিত লেখা দেখতে, উপভোগ্য তো সব সময় ই।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: সেদিন আপনার লেখা পড়ে মন্তব্য করব ভেবে আর ব্লগে ফেরা হয়নি।
ফের চেষ্টা করছি নিয়মিত হবার। ধন্যবাদ সুলেখিকা ও সুপ্রিয় ব্লগার বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য।
সামনের পর্বগুলোতে আপনার সরব উপস্থিতি কাম্য করব। ভাল থাকুন বরাবরার মত
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন:
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার জন্ম তুরস্কে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে। নানা চরিত্রে ও পেশায় তাঁকে তাঁর কয়েক শ গল্পে হাজির হতে দেখা যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, হোজ্জা এখন আর তুরস্কের নন, সারা বিশ্বের। ইউনেসকো তাঁর গল্পগুলোকে বিশ্বসাহিত্যিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। হোজ্জা অবশ্য একেক অঞ্চলে একেক নামে অভিহিত। যেমন উজবেকিস্তান ও চীনে তিনি আফেন্দি বা এফেন্দি। তাঁর গল্প কখনো নির্মল হাস্যকৌতুকে, কখনো বুদ্ধির ঝলকে, কখনো বা নৈতিক শিক্ষার দ্যুতিতে উজ্জ্বল। কখনো নিজেকে নিজেই ব্যঙ্গ করেছেন।
সাধারণত অধিকাংশ সংস্কৃতিতে "হোজ্জা" এবং "মোল্লা" নামে পরিচিত। তিনি জনপ্রিয় দার্শনিক এবং বিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। তার হাস্যরসাত্মক গল্প এবং উক্তিগুলোই তাকে বিখ্যাত করে রেখেছে। চীনে তিনি "আফান্টি" নামে পরিচিত এবং চীনারা তাকে উইগুরের তুর্কী ব্যক্তি বলে মনে করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: ইতিহাসেতো আপনি গুরু!!
তাড়াহুড়ো করা মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি- তাই সংক্ষেপে উত্তর দিচ্ছি।
সামনের পর্বগুলোতে এক এক করে সব ইতিহাস কল্পকথা সত্য মিথ্যা ব্যক্তি নাসরেদ্দিন কৌতুক গল্প সব কিছু তুলে আনব এক এক করে- আমন প্রত্যাশা।
আপনি সাথে থাকবেন প্রিয় লেখক ব্লগার।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শুরুটা ভাইজান জোস ঐছে ।
হোজ্জার নাম এবং জন্মস্থান খুজতে খুজতে শুরুতেই পেরেশান,
পরে যে কি হবে ভেবে ভেবে হয়রান।
একটা কথা হোজ্জা জন্মস্থান নিয়ে সমস্যা থাকলেও সে যে জন্মাইছে ইডা একদম হাচা কতা তয় হে যে বংগদেশে আই পদ্মার ইলিশও খাই গেছে ইডা কেমন যেন মেন নিতে কষ্টের সাথে সাথে মজা ও লাগছে।
তবে আমার মনে হয় "হোজ্জা" বেডা ইউনেসকো হেরিটেজের অংশ হয়ে গেছে । আর তাই তার নামের লগে আমাগো বংগদেশের নাম জড়িয়ে আমাদেরকেও পরিচিতি করিয়ে দিয়েছে বিশ্ব দরবারে (যদিও আমরারে এমনিতেই সারা দুনিয়া চিনে)।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: কেবলতো শুরু ভ্রাতা- সামনেতো আউলা ঝাউলা হয়ে যাবে
এক সময় মনে হবে হোদজা মনে হয় সব দেশে সবখানে জন্মেছিল- ফের মনে হবে এই রকম চরিত্র আদৌ কেউ ছিল না।
তার ইলিশ খাওয়ার গল্প আমার নয় কিছু অতি বুদ্ধিমান বাঙ্গালী লেখকের আবিস্কার
সেটাকে আমি শুধু ঘষে মেজে দিয়েছি। এই পর্বের পুরো গল্পটাই কাল্পনিক ও ও বানোয়াট। মোল্লা নিজেই কনফিউজ তার জন্ম পরিচয় ও পদবী নিয়ে।
হ্যা সেটা অবশ্য চমৎকার বলেছঃ), এর সুবাদে তার নামের সাথে আমাদের দেশ ও জাতীয় মাছের নাম জড়িয়ে গেছে -সেটা মন্দ নয়
বরাবরের মত আপনার মজার ও ভীন্নধর্মী মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। মজাক পাইলাম- সাথে থাকবেন।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব ব্লগে আপনাকে দেখলে ভালো লাগে।
আপনি নিয়মিত লিখুন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালবাসা বরাবরের মত সাথে থেকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার জন্য।
নাসরেদ্দিনকে নিয়ে লেখা আপনার গল্পগুলো সহ ব্লগের সব গল্প আমি পড়েছি।
ভাল থাকুন- সাথে থাকুন।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
ঠিক বুঝতে পারছিনে, এই গল্পে একটি মন্তব্য করার জন্যেই কি ব্লগ খুলে বসেছি নাকি লুঙি (আর এক অর্থে "তপন" পরা বাঘের ("শের" দেখা পেয়ে চালাক থেকে বোকা হয়েছি বলেই মন্তব্য করার গল্পটা লিখতে বসেছি ? নাকি, হোদজা কিম্বা হোজ্জা নাম শুনেই স্মৃতির হাইওয়েতে একটু জগিং করতে নেমেছি ? আসলে মন্তব্যটা কিভাবে শুরু করা উচিৎ সেই খেই হারিয়ে ফেলেছি এতোটুকু পথ আসতেই।
দেশ এখন নাকি ইলিশে ছয়লাব। তা নসরুদ্দিন একটু কষ্ট করলেই চার টুকরোর বদলে ঐ পয়সাতেই মাওয়া ঘাট থেকে লাফানো ঝাপানো খাঁটি পদ্মার ইলিশ কিনতে পারতো। সেই ত্রয়োদশ শতাব্দীতে একবার বাংলাদেশে এসেছিলো নসরুদ্দিন তারপরে এইবার আসা , তাই মাওয়া ঘাটে বরফ দেয়া ইলিশ যে পদ্মা থেকে লাফ দিয়ে ঘাটে উঠতে পারে এতো কিছু তার জানার কথা নয়। আর তাকে জানাবোই বা কি করে ? আমার সাথে যোগাযোগ করে তো আর সে বঙ্গ ভ্রমনে আসেনি! সে তো এখন ঝুলে আছে খাদের কিনারায় লতা গাছ ধরে । এই পড়ো পড়ো অবস্থা।
তার মুখে এখন এই গানটা লাগিয়ে দিলেই হয় -
ইলিশ ভালোবেসে
কোন দোষেতে গেলাম আমি ইলিশ মাছের দেশে
বাপের দেয়া জানটা এবার যাবেই বুঝি শেষে ("সি" শার্পে গাইতে হবে)
তা মন্তব্য লেখার গল্পটা কি শুরু করতে পেরেছি নাকি এতোক্ষন ফ্যাঁদরা প্যাচাল পাড়লুম ? মন্তব্যটা তো গল্পের পরে আসবে!
( আপনার বর্ণনার ষ্টাইলটা দেখে সে ষ্টাইলে মন্তব্য করার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা। বুঝতেই পারছেন অনেক ভালো লাগা থেকে এই গান গাওয়া...... )
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: সি শার্পের ইলিশ নিয়ে একেবারে নতুন আঙ্গিকের লিরিক্সটা চমৎকার হয়েছে।
ভবিষ্যতে আমার লেখা নিবন্ধ 'ইলিশনামা'ইয় আপনার এই গানটা সংযোজিত করার ইচ্ছে রইল
মোল্লা নাসরেদ্দিন নিঃসন্দেহে বিশ্বের সর্বকালের মজার কৌতুকপূর্ন ও ব্যাঙ্গাত্মক চরিত্র। জনপ্রিয়তায় কেউ অদুর ভবিষ্যতে তার ধারে কাছে আসতে পারবে বলে মনে হয়না।
কিন্তু মোল্লার দুর্ভাগ্য ও সোউভাগ্য যে, যেমন অঞ্চল কাল ভেদে তাকে তাকে মজার, বুদ্ধিদীপ্ত দুর্দান্ত একজন মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে তেমনি কখনো কখনো বোকা, ধুর্ত, চরিত্রহীন, অতি দরিদ্র কিংবা চতুর মানুষ হিসেবেও উপাস্থাপন করা হয়েছে। যার প্রায় সিংহভাগ সর্বৈব মিথ্যা। এটা নিশ্চিত ব্যাক্তি নাসরেদ্দিন কস্মিনকালেও কখনো ভারতবর্ষে পা রাখেননি। কিন্তু এসদঞ্চলে তাকে নিয়ে অনেক গল্পগাথা ছড়িয়ে আছে। যার বেশিরভাগ আমাদের নিজেদের মত দরিদ্র ও হীন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
তার ইলিশ নিয়ে গল্পটা অনেকটা সে রকম। এই কৌতুকটা আমার চরম মঃকষ্টের কারন হয়েছিল। তাই সেই কৌতুকটাকে মনের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে নিজের মত করে এখানে উপস্থাপন করেছি। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ- সেটা ধরতে পেরেছেন।
আপনার রসবোধসম্পন্ন এমন দারুন মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আমিও ঘেমে গিয়েছি
আশা করি সামনের পর্বগুলোতে এমনভাবে আপনার সান্নিধ্য পাব। আপনার ভাল লাগা আমাকে চরমভাবে আপ্লুত ও অনুপ্রাণিত করল।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
পোষ্ট আসার সাথে সাথে পড়েছিলাম, মন্তব্য করিনি, করলে আপনার মন খারাপ হতো।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাপারটা আপনার স্বভাববিরুদ্ধ হলেও ভাল করেছেন। ভাল মন্দ গরুর রচনা যা-ই লিখি অনেক কষ্টে সময় সুযোগ করে প্রথমেই আমার সুপ্রিয় ব্লগারদের সাথে শেয়ার করি। সব লেখা সবার মনঃপুত হবে না সেটাই স্বাভাবিক। মন খারাপ হলে হয়তো ব্লগ থেকে নির্বাসনে যেতে পারি- সেটা নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না। ব্লগ আমার ভাল লাগার যায়গা- এখান থেকে উৎসাহ অনুপ্রেরনা পেলে হয়তো লেখার মান বাড়তে পারে- গঠন মুলক সমালোচনায় আপত্তি নেই, কিন্তু মন খারাপ করার মত কোন মন্তব্য না করলে কৃতার্থ হব।
ভাল থাকবেন-সুস্থ থাকুন সারাক্ষন।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬
জটিল ভাই বলেছেন:
তপন ভাই কেমন আছেন? অনেকদিন পর দেখা। নিয়মিত নই বলে আপনার এই সিরিজটাও হয়তো ইচ্ছে থাকলেও পড়া হবেনা। তবে টপিকটা ভাল লেগেছে। চালিয়ে যান। শেষ হলে সময় করে একবারে সবটা পড়তে চেষ্টা করব। জটিলবাদ জানবেন
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও অনিয়মিত- আপনাকেও নিয়মিত পাই না। আসলে প্রাত্যহিক দিনের ব্যস্ততা আমাদের সুন্দর সময়গুলো কেড়ে নিচ্ছে।
পরের পর্বগুলোতে আপনাকে মিস করব। সময় পেলে সাথে থাকবেন।
ভাল থাকুন- জটিল ভালবাসা ও আন্তরিক শুভকামনা রইল।
১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠান্ডা খাবার এর টেস্ট থাকে না। পুরানো পোস্ট গল্পটা পড়ে গেলাম; ভালো লেগেছে।++
কমেন্ট সেকশনে দেখলাম আপনি গরুর রচনা পড়ে কেউ কেউ পুলকিত। বিষয়টি বেশ উপভোগ্য বৈকি।
পোস্টে লাইক।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই আপনি কোথায় ছিলেন? আপনার 'তমোময়ী'তো হারিয়ে গেল জনারণ্যে!!!!
ইদানিং খুব বেশী অনিয়মিত হয়েছেন আপনি- আমিও
তা বটে এই গরুর রচনা পড়ে অনেকেই বেশ পুলকিত হয়েছে!
আপনাকে পেয়ে দারুন প্রীত হয়েছি। আপনিও ভাল থাকবেন-পরের পর্বগুলো পরার আমন্ত্রন রইল।
১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন: নাসিরউদ্দিন হোজ্জার সাথে আমাদের শৈশব কেটেছে অন্য রকম । ছোট বেলা থেকে আমি পড়ে এসেছি গোপাল ভাড় বীরবল আর নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্প ! ভারতীয় চ্যানেলের দরুন গোপাল ভাড় এখনও বেশ ভাল ভাবে টিকে আছে নতুন প্রজন্মের কাছে । তবে বীরবল আর নারিরউদ্দিন হোজ্জা হারিয়ে যাচ্ছে । এই তো খুব বেশি দিন আগের কথা না আমি আমার এক স্টুডেন্টকে জিজ্ঞেস করলাম নাসিরউদ্দিন হোজ্জার গল্প পড়েছে কিনা ! সে নামই শুনে নি । অ্থচ তাদের বয়সে আমাদের বলতে গেলে তাদের সেই গল্প পড়া শেষ হয়ে গেছে । অথচ এরা জানেই না । সামনে হয়তো আরও জানবে না।
যাত্রা চলতে থাকুক । দেখা যাক কতদুর যায় !
পোস্টে প্লাস রইলো ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা বড়ই পরিতাপের বিষয় বীরবল হোদজার মত আমাদের কিশোর বেলায় চরম আনন্দের খোরাক এইসব চরিত্র বর্তমান প্রজন্ম একদমই ভুলে গেছে।
অথচ এদের হাস্য রসের ব্যাঙ্গাত্মক গল্পগুলো থেকে কত কিছুই না শেখার আছে।
আমি চেষ্টা করছি আমার মত করে একটু অন্য ধারায় হোদজাকে চেনানোর। জানিনা কতটুকু সফলকাম হব তবে আপনাদের মত ঋদ্ধ ব্লগারের সাথে থেকে ভাল মন্দ ধরিয়ে দিলে ভাল কিছু বৈ মন্দ হবার কথা নয়।
অনেকদিন বাদে আপনার দেখা পেলাম এ পাড়ায়
ভাল থাকুন।
১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি হোজ্জাকে প্রথম চিনেছি চিনা গল্প পড়ে। ওরা তাকে বলতো আফান্দি। হোজ্জার গল্পের নতুন ধরণের উপস্থাপন চমৎকার হয়েছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আহা কতদিন বাদে বাদে দেখা পাই আপনার!! পুরোনো প্রিয় ব্লগারদের দেখা পেলে চরম আনন্দ হয়
পরের পর্ব দিয়েছি সুযোগ পেলে পড়বেন ভাই। ভাল থাকুন
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: যতটা উৎসাহ-আগ্রহ নিয়ে এই সিরিজটি লেখা শুরু করেছিলেন, প্রায় চার মাস পর আজ মনে হচ্ছে আপনার সেই উৎসাহ-আগ্রহে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে।
এটা যে আপনার নাসরেদ্দিন হোদজা সিরিজের প্রথম পর্ব, শিরোনাম দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। ২য় এবং ৩য় পর্বের মত এ পোস্টের শিরোনামের কোথাও নাসরেদ্দিন হোদজা (অথবা 'নাসিরুদ্দিন হোজ্জা' কথাটা জুড়ে দিলে ভালো হতো।
সত্য বলতে কি, শুরুর পর্বটা আমার কাছে একটু জটিলই মনে হয়েছে। প্রাজ্ঞ ব্লগার আহমেদ জী এস হয়তো গল্পটা ভালোভাবেই হৃদয়ঙ্গম করেছেন, তবে তার মন্তব্যটি পড়ে আমার মনে হলো, আমার বোঝায় কোথাও কিছু ঘাটতি রয়েছে। ঠিক গল্প বোঝায় নয়, গল্পের রস আত্মস্থ করতে।
৮ নং প্রতিমন্তব্যটি ভালো লেগেছে।
বেশি বেশি 'অনলাইনে' থাকায় যে কিছু শারীরিক সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল (২ নং প্রতিমন্তব্য), তা পুরোপুরি নিরসন হয়েছে কি?
০১ লা মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক ধরেছেন -শুধু এটা নয় এমন আরো অনেক সিরিজ শুরুতে কিংবা মাঝপথে এসে থেমে গেছে।
ব্যাস্ততার সাথে শারিরিক সমস্যাটা কমেনি বরং বেড়ে গেছে। তাই লেখালেখিটা একেবারেই থেমে গেছে বলা চলে- সেই সাথে ব্লগে বিচরন ও,
দেখি সামনে কি হয়? ফের শুরু করব হয়তো প্রবল বিক্রমে
আপনার মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করছি।
ভাল থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমার মনে হয় পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে এই নাসিরুদ্দিন হোৎজার গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আপনার পরিশ্রম স্বার্থক হইক।
++++++