নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় ঈশ্বর নেই - নাসরেদ্দিন হোদজা #২

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯


মার প্রিয় বন্ধুরা,আমি নাসরেদ্দিন হোদজা। ‘হোদজা’র অর্থ যে শিক্ষক সেটা আগেই বলেছিলাম। একাডেমিক শিক্ষার জন্য আমার টাইটেল ছিল মৌলভী- তবে ভালবেসে অনেকেই আমাকে মোল্লা বলে ডাকতেন। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে আমাকে শ্রদ্ধাভরে মোল্লা বলেই ডাকে। অনেকে আবার মোল্লা-টাকে ব্যাঙ্গ বা মজার ছলে ব্যাবহার করে। আপনারা যেমন বলেন কাঠ মোল্লা!
আমার জন্ম বা জন্মস্থান নিয়ে ৮ শতকের বেশী সময় নিয়ে টানাটানি হচ্ছে।
রানী বা পার্সিয়ানরা দাবী করে আমি তাদের লোক। সেই সুত্রে উজবেক জনগন দাবী করে আমি তাদের- আবার চীনের উইঘুরের বলে হোদজা আসলে তাদেরই। ওদিকে ঐতিহাসিকেরা অনেক তথ্য প্রমান ঘেটে বের করেছে আমার জন্ম তুর্কিতেই। ব্যাপারটা আমার জন্যে বেশ গর্বের! কেননা সবাই আন্তরিকভাবেই আমাকে তাদের লোক ভাবতে ভালবাসে।

আসুন প্রথমে ইরানীদের কাছে শুনি তারা আমাকে কোন যুক্তিতে তাদের নিজের লোক বলে মনে করে;

মোল্লা নাসরেদ্দিন হলেন এক পার্সিয়ান চরিত্র, যিনি হাজারো গল্পে উপস্থিত হন। সবসময় মজাদার, কখনও জ্ঞানী, এমনকি দার্শনিক, কখনও কখনও অন্যের উপর ব্যবহারিক রসিকতার প্ররোচনা এবং প্রায়ই বোকা বা কৌতুককর। মোল্লা নাসেরদ্দিন সম্পর্কিত গল্পগুলি সাধারণত হাস্যকর, তবে সূক্ষ্ম কৌতুকের ক্ষেত্রে সর্বদা একটি শিক্ষামুলক কথা বা পাঠ থাকে। মোল্লা নাসেরুদ্দিন হলেন একটি ব্যঙ্গাত্মক সুফি ব্যক্তিত্ব যিনি প্রায় ১৩ শ শতাব্দীর কাছাকাছি বাস করেছিলেন বলে মনে করা হয়। নাসরদ্দিন ছিলেন এক জ্ঞানী এবং তাঁর মজার গল্পের জন্য স্মরণীয়।
সুফিজম-একটি ইরানী ইসলামী সম্প্রদায়, যা বাহ্যিক ধর্মভিত্তির চেয়েও অভ্যন্তরীণ গুণকে মূল্য দেয়। বোখারার (পার্সিয়া/ইরানের অংশ যা এখন উজবেকিস্তানে রয়েছে) লোকেরা তাকে সেই শহরের আদিবাসী বলে দাবি করেছে।
~কিন্তু তুর্কিরা তাকে তুরস্কের নিজেদের মানুষ বানানোর চেষ্টা করেছে! তুর্কিরা সত্যই নির্লজ্জ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, তারা দাবি করেছে যে মহান পারস্যের কবি,জালাল আল-দীন রুমী (মোলভী) ছিলেন তুর্ক !!এতে কোনও সন্দেহ নেই যে রুমী পার্সিয়ান। তার সমস্ত রচনা ফার্সিতে রয়েছে,তাঁর সমস্ত পরিবার পার্সিয়ায় বাস করত,তবে তুর্কিরা বলে তার তুর্ক!~
কিছু ইরানিরা মজা করে বলেছেন: "যদি রুমি তুর্ক হত তবে শেক্সপিয়ারও তুর্ক ছিল’। মোল্লা (মোল্লা) নাসেরদ্দিনের বিষয়টাও রুমির মতো। দ্বাদশ থেকে ১৪ শতকের দিকে রুমি,সা’দী,ওবিদ প্রভৃতি মহান পার্সিয়ান কবি ও লেখকদের দুর্দান্ত বিদ্রূপাত্মক রচনাগুলি আমাদের নাসেরদীনের শেকড় বলে ধরতে পারি।
এখন মোল্লা নসরুদ্দীন একটি আন্তর্জাতিক চরিত্র এবং তাঁর গল্পগুলি বহু যুগ এবং বহু সংস্কৃতির। পার্সিয়ান, পার্সিয়ান উপগোষ্ঠী রয়েছে (কুর্দি, এবং পার্সিয়ার সমস্ত পূর্ববর্তী অংশ যেমন আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ইত্যাদি) তুর্কি, আলবেনীয়, আরবি, বসনিয়ান, বুলগেরিয়ান, চাইনিজ, গ্রীক, সার্বিয়ান ইত্যাদি নাসরুদ্দীন গল্পের উত্স।
তিনি নসরুদ্দিন, নাসরুদ্দিন,নাসিরুদ্দিন, নাসের, বা নাসের আল দিন, নাসের আল দায়ু, নস্রুদ্দিন এরকম ভিন্ন ভিন্ন নামে লোকে চেনে তাকে। আবার পদবিগুলোও বেশ পার্থক্য নজরে পরে- যদিও এর বেশীরভাগ বিভিন্ন ভাষার সম্মানসূচক পদবীঃ জোহা, হোজাস, জিহা, জুহা, খোদজা,হোদজা, হোজ্জা, মোল্লা,অপেন্দি,আফান্দি(একখানে ঋষি ও উল্লেখ আছে) ইত্যাদি নামে পরিচিত।
--------------------------------------------
পার্সিয়ানদের কথায় যুক্তি কম আবেগ আর ঝাঁঝ বেশী। যেহেতু ওরা আমার জন্ম বোখারায় হয়েছিল বলে মনে করে সেহেতু বোখারা এখন উজবেস্থানের অন্তর্গত হওয়ায় উজবেকদের দাবিটা ন্যায্য।

মার দেহগত মৃত্যুর বহু বছর বাদে ভারতবর্ষের সু বিখ্যাত সুফি কবি মির্জা আব্দুল্লাহ বেগ খানের জন্ম হয়েছিল। যাকে তোমরা ‘মির্জা গালিব’ নামে জান। তিনি আমাকে নিয়ে আলোচিত একটা উপাখ্যানের মুল তত্ত্ব অবলম্বন করে তার বিখ্যাত একটা শায়েরি করেছিলেন;

“গালিব(ঘালিব) শরাব পিনে দে মাসজিদ মে বৈঠ কার
ইয়া- ওহ জাগা বাতা জাহা খুদা নেহী হ্যায়”

-------------------------------------------------------
এবার আমার সেই মুল গল্পে আসি;

মি বহু বছর পরে আবার আমার বন্ধু টেক্কার গ্রামে ভ্রমণ করেছি।টেক্কার বাড়িতে আসতে গিয়ে কি হ্যাপাটাই না পোহাতে হয়েছে সেটা গত পর্বেই বলেছি। এবার টেক্কার এখানে এসে আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি দেখে যে, আমার সেই অতি চঞ্চল যাযাবর টাইপ বন্ধুটা খুব ধার্মিক হয়ে উঠেছে। বেশ জাঁকজমক করেই সে ধর্ম পালন করছে-কখনও কখনও কিছুটা আড়ম্বরপূর্ণ, কিন্তু তবুও আমি আমার বন্ধুকে আগের মতই ভালবাসি।
আমাকে দেখেই সে দারুন উৎফুল্ল হয়ে হোই হুল্লোড় করে কাছে টেনে নিল। এমনভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখল যে, ভেবেছিলাম বাহু থেকে আর মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
"নাসরুদ্দিন,আমার প্রিয় বন্ধু- আপনি চোখের আলো," টেক্কা বললেন,আপনি এখান থেকে আর কোথাও যাবেন না-আমরা দুই বন্ধু আমৃত্যু একসাথেই থাকব।"
আমি তাকে নিরাশ করিনি। পরে কি হবে দেখা যেবে, সে সময়ের জন্য আমি তার সদয় আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম।
রাতে দারুন এক ভোজ হোল। ভোজ শেষে দু বন্ধু গল্প করতে করতে রাত গভীর হয়ে গেল! পথে বাঘের সাথে দৌড় ঝাঁপ করে আমি বেশ ক্লান্ত ছিলাম!
তিনি আমাকে আমার শোবার ঘর,যার পূর্ব দিকে একটি জানালা লাগোয়া বিছানা দেখিয়ে বেশ গর্ব ও ভক্তির সাথে বললেন; "আমি আপনার ঘুমানোর ব্যবস্থা এমনভাবে করেছি যাতে আপনার মাথাটা মক্কার দিকে থাকে"। "আপনাকে অবশ্যই সর্বদা আল্লাহর ঘর মক্কার দিকে মাথা রেখে ঘুমাতে হবে। রাসূলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে-তার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।"
বন্ধু টেক্কার বাসায় আমার প্রথম রাত,ভীষণ ক্লান্তির কারনে আমি বিছানায় গিয়েই ঘুমিয়ে পড়েছি। দারুন একটা ঘুম হোল। পরদিন সকালে যখন টেক্কা আমাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তুলল,তখন তিনি খুব উত্তেজিত ছিলেন।
"নাসরুদ্দিন,আমি চরম হতাশ!" আমি নিজের মনে বললাম,"আমি প্রায়শই নিজেকে হতাশ করি,টেক্কা,আজকের সমস্যাটি কি বলে মনে হচ্ছে?"
"আপনি মক্কার দিকে পা দিয়ে শুয়ে ছিলেন ! এটি অত্যন্ত অসম্মানজনক!"
"আমার ক্ষমা চাইছি, টেক্কা। এটা অনিচ্ছাকৃত ছিল - ঘুমের ঘোরে কখন আমার পা ওদিকে ঘুরে গেছে আমি টেরই পাইনি।"
টেক্কা অবশেষে শান্ত হোল। কিন্তু জোর দিয়ে বলেছিল যে, পরের রাতে আমার আরো সাবধানে ঘুমানো উচিত। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
পরের রাতে- প্রথম রাতের সাদৃশ্য। আমি বেশ ভাল ঘুমিয়েছিলাম, তবে ঘুমের ঘোরে আমার পা মাদুরের শেষে আমার বালিশে এবং আমার মাথাটি মেঝেতে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য খুঁজে পেয়েছিল।“
আমি আমার দুর্দশা বুঝতে পারার সাথে সাথে টেক্কা দরজায় দাঁড়িয়ে চিন্তায় পড়ে গেল।
"এটি কখনই করবেন না, নাসরুদ্দিন। আপনি একজন ভাল নাগরিক এবং একজন ভাল মুসলমান। আপনাকে অবশ্যই মক্কা থেকে বিপরীত দিকে আপনার পা এবং আপনার মাথা মক্কার দিকে ইঙ্গিত করে নবীকে শ্রদ্ধা ও আল্লাহর প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করে ঘুমাতে হবে।"
"আমার বন্ধু,এ ধরনের জিদ করার কারণ কী?" আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম.
"আপনি অবশ্যই আপনার পা ঈশ্বরের দিকে ফেরাবেন না !" তিনি ফের বললেন,অবশ্যই নিজের মাথা ঈশ্বরের দিকে এবং পা তাঁর কাছ থেকে দূরে রাখতে হবে" "
দিনের বেলায় আমি ব্যাপারটা একরকম ভুলেই গেলাম। আমরা সারাটা দিন একসাথে কাটালাম এবং সেই রাতে টেক্কা বেশ জোরের সাথে খানিকটা হুমকির সুরে বলল"নাসরুদ্দিন,-আপনি যদি কাবার দিকে মাথা রেখে ঘুমাতে না পারেন, তবে আমাকে ভীষণ দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে আমি আপনাকে আমার বাড়িতে রাখতে পারব না। একজন পুরানো বন্ধুকে একথাটা বলতে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,তবে আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রদর্শনের জন্য এছাড়া উপায় কি বলুন?"
তৃতীয় রাত অনেকটা আগের দু-রাতের মতোই ছিল। তবে এরাতে আমি উল্টো দিকে উপুর হয়ে শুয়েছিলাম। পরদিন ভোরে ফের আমাকে এ অবস্থায় দেখে আমার প্রিয় বন্ধু টেক্কা কষ্ট ও রাগে-ক্ষোভে কাঁপছিল!

"আপনি কিছু বলার আগে আমার কথার উত্তর দিন টেক্কা," আমি উঠে বসলাম।
"আল্লাহ কি সব কিছুর উপর এমনকি মানুষের ভাগ্যকেও নির্ণয় করেন?"
"আপনি জানেন তিনি কি করেন," টেক্কা আশ্চর্য হয়ে বললেন।
"আল্লাহ কি তাঁর সৃষ্টির প্রতিটি অংশে আছেন?"
"অবশ্যই তিনি আছেন!"
আমি আকাশে উড়তে থাকা এক ঝাঁক পাখির দিকে জানালার দিয়ে ইশারা করলাম।
"সে কি বাতাসে পাখির সাথে আছেন" ?
"হ্যাঁ-টেক্কা বলল। "কেন আপনি এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন?"
-দয়া করে পুরানো বন্ধুর কিছু প্রশ্নের ধৈর্যের সাথে উত্তর দিন;
"আল্লাহ কি সর্বত্র, এমনকি মরুভূমি এবং পর্বতমালা, সাগরে, আকাশে সবখানে আছেন?"
অবশ্যই "আল্লাহই স্রষ্টা। আল্লাহ তার সব সৃষ্টিতে রয়েছেন এবং তিনিই সৃষ্টির মালিক।" ভীষণ উত্তেজিত টেক্কা।
"তাই,টেক্কা, বন্ধু আমার" আমি তার সামনে আমার পা জোড়া মেলে ধরে জিজ্ঞেস করলাম,
- ‘আপনি বলুন, কোথায় ঈশ্বর নেই – আমি সেখানে আমার পা-জোড়া রাখব?!"

( মোল্লা নাসরেদ্দিনকে নিয়ে এই গল্পটা পার্সিয়ান ভাষা থেকে অনুবাদকৃত। অনেকটা এমনই একটা গল্প শিখ ধর্মের শ্রদ্ধেয় গুরু নানক'কে নিয়ে আছে।)

আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

জ্যাকেল বলেছেন: এ তো মির্জা গালিবের সেই বিখ্যাত শের শায়েরি -

'শরাব পিনে দে
মসজিদ মে ব্যায়ঠ কার,
ইয়া ও জাগা বাতা
যাঁহা খুদা নেহি।'

তবে আপনার অনুবাদ পড়তে মজাই পাইতেছিলাম।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১০

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভায়া সেটা দিয়েই শুরু করেছি;
তবে দু'জনের বয়সের ব্যবধান ৬'শ বছরের অধিক :)

ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিঅ হলাম। সামনের পর্বগুলোতে আপনাকে সাথে পাব এই প্রত্যাশা রইল।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

সাসুম বলেছেন: ‘আপনি বলুন, কোথায় ঈশ্বর নেই – আমি সেখানে আমার পা-জোড়া রাখব?!"[/sb

কাফির, নাস্তেক, নাসারা আর মুশ্রিকের অন্তরে খোদা নেই , নাসির সাহেব সেখানে তার পা রাখতে পারেন।
:)

বিঃদ্রঃ গালিবের এই শরাব পান করা নিয়ে স্লোক গুলো বেশ মজার। তো গালিবের এই
শরাব পিনে দে মাসজিদ মে বৈঠ কার
ইয়া- ওহ জাগা বাতা জাহা খুদা নেহী হ্যায়


এই যুক্তির বিপরীতে অনেক অনেক দিন পর রিপ্লাই দিয়েছিলেন একজন-

আল্লামা ইকবাল। বহু বছর পর। তার শের দিয়ে। তখন মীর্জা আর বেঁচে নেই।
'ইয়া গালিব, মসজিদ খুদা কা ঘর হ্যায়
পিনে কি জাগা নেহি,
কাফির কে দিলমে যা
ওঁয়াহা খুদা নেহি।'

( কাফের মানে অবিশ্বাসী। তার অন্তরে খুদার জায়গা নাই। তাই গালিবকে সেখানে গিয়ে মদ্যপান করতে বলা হয়েছে৷ )

আহমদ ফারাজ নামের আরেকজন কবি এর প্রতিউত্তরে লিখলেন-
'কাফির কে দিল সে
আয়া হু দেখ কার
খুদা মওজুদ হ্যায় ওঁয়াহা
উসসে পাতা নেহি।'

(কাফিরের মনে উঁকি দিয়ে এসেছি দেখে
সেখানেও খুদা আছে, কিন্তু সে জানেই না।)

তার জবাবে কবি ওয়াসি লিখলেন-
'খুদা তো মওজুদ
দুনিয়া মে হার জাগা
তু জান্নাত মে যা
ওঁয়াহা পিনে সে মানা নেহি।'

(খুদা তো দুনিয়ার সবখানেই উপস্থিত আছে
তুমি জান্নাতে যাও, ওখানে মদ খেতে বাধা নেই)

এরপরে সাকি লিখলেন-
'পীতা হুঁ সাকি
গাম-এ-দুনিয়া ভুলানে কে লিয়ে
জান্নাত মে কৌন সা গাম হ্যায়,
ইস লিয়ে ওঁয়াহা মাজা নেহি।'


সাকি বলতে চাইছেন, জান্নাতে তো দুনিয়াবি দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। ওখানে কষ্ট ভোলার জন্য মদ গেলার সেই মজা পাওয়া যাবে কি?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: প্রত্যেকটা শের'ই চমৎকার!
এই সকল দুই চার লাইনের শের-এ অনেক প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে।

আপনাকে বেশ অনেকদিন পরে আমার ব্লগ বাড়িতে পেয়ে ভাল লাগল। বাকি পর্বগুলোতে সাথে থেকে ভুল ভ্রান্তি তুলে ধরে গঠনমুলক সমালোচনার অপেক্ষায় রইলাম...

* ব্লগার কলাবাগান১ এর পোষ্টে আমার করা মন্তব্যটা একটু দেখবেন?

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভাল লাগল, পুরোটা পড়লাম। শেষের গল্পটার লেখক কে জানা হল না!!!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আসলে বহু জনশ্রুত এইসব গল্পের কোন লেখকের নাম খুঁজে পাওয়া যায় না।
একই গল্প একেক দেশে একেকভাবে প্রচার লাভ করে।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। সামনের পর্বগুলোতে আপনাকে পাবার প্রত্যাশা রইল।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কৌতুক হিসাবে ভালো কিন্তু কিছু বিশ্বাসগত ত্রুটি আছে। মির্জা গালিবের শায়েরীও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ;

'আল্লাহ তার সব সৃষ্টিতে রয়েছেন' এটা একটা কুফরি বিশ্বাস। সৃষ্টি এবং স্রষ্টা কখনই এক না। সৃষ্টি ও স্রষ্টাকে এক মনে করার ধারনাকে সর্বেশ্বরবাদ বলে। যে কারণে সুফি মনসুর হাল্লাজ নিজেকে আল্লাহ বলে ফেলেছিলেন এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। সর্বেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতে হলে হিন্দুদের দেব-দেবীর মধ্যে ঈশ্বর আছে এটাও বিশ্বাস করতে হবে।

উইকিপিডিয়া অনুসারে সর্বেশ্বরবাদ (ইংরেজি: Pantheism) হল এমন একটি বিশ্বাস যাতে সম্পূর্ণ এ মহাবিশ্বকে তথা পরিবেশ প্রকৃতিকে ঈশ্বর-সম ব'লে গণ্য করা হয় , অথবা আমাদের আশেপাশে পরিবেষ্টিত সকল বস্তুর ভেতরেই ঈশ্বর অন্তর্নিহিত রয়েছেন ব'লে মনে করা হয় । সর্বেশ্বরবাদীরা তাই কোন পৃথক স্বতন্ত্র ব্যক্তি ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না । কিছু এশীয় ধর্মকে সর্বেশ্বরবাদের অনুগামী ব'লে মনে করা হয় । হিন্দুধর্ম, আলেভিবাদ ,শিন্তৌ ধর্ম, তাওবাদ এবং খ্রিস্টধর্ম ও ইহুদিধর্মের কিছু শাখায় সর্বেশ্বরবাদের উপস্থিতি রয়েছে। ইসলাম সর্বেশ্বরবাদকে সমর্থন করে না।

'কাবার দিকে পা দেয়া যাবে না' - এই ধারনাও ভুল। কাবার দিকে পা দেয়া যায়। কাবার দিকে পা দেয়া হারাম এরকম কোন নির্দেশনা কোরআন বা হাদিসে পাওয়া যায় না। বরং হাদিসে কোন বিশেষ কারণে কাবার দিকে পা দেয়ার কথা এসেছে। এ কারণে কাবার দিকে পা দেয়াকে হারাম ধরা হয় না। মক্কার মসজিদুল হারামে অনেক আরবি লোককে কাবার দিকে পা দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।

তবে নাসিরুদ্দিন হোজ্জা/মোল্লার কৌতুক আমার খুব প্রিয়। আপনি এই সিরিজ শুরু করে ভালো করেছেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: দেখেন কিছু বিষয়াদি হাদিস কোরানে না থাকলে সেগুলো আমাদের মজ্জাগত।
কিছু কুসংস্কার ও নির্দেশনা আমাদের সমাজ ও ধর্মের মধ্যে এমনভাবে ঢুকে গেছে যে, সেগুলোকে ফরজের থেকেও বেশী সিরিয়াসলি নেয়। কাবা'র দিকে পা দিয়ে ঘুমালে এখনো আমার মা রাগ করেন- তাঁকে কোনভাবেই বোঝাতে পারিনি এটা কোন অপরাধ নয়।
সর্বোপরি লেখাটা আমার নয়- অনুবাদ করে সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়েছি মাত্র।
খানিক দ্বীমত দ্বন্দ থাকলেও সিরিজটা আপনার ভাল লাগছে জেনে প্রীত হলাম।
সাথে থাকবেন।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার প্রিয় দুই ব্যক্তিত্ব নিয়ে কিছু এতো ছোট পরিসরে লেখা সম্ভব নয়, তবুও আপনার পোস্ট খুব ভালো হয়েছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী আমার লেখাটাও অনেক বড় ছিল এই পর্বে -কেটে ছেটে দিয়েছি।
মুল ইতিহাসে আসলে সমস্যায় পড়ে যাব- এ লেখা পড়ার মত মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার হবে।
মীর্জা সাহেব আমারও অতি প্রিয় ব্যক্তিত্ব। আর মোল্লা'কে ভালবাসি বলেই এত বড় লেখায় হাত দিয়েছি।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগলেও অতি সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে মন ভরেনি।
আগের পর্বের মত এই পর্বেও আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে। ভাল থাকুন

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

সাসুম বলেছেন: * ব্লগার কলাবাগান১ এর পোষ্টে আমার করা মন্তব্যটা একটু দেখবেন?[/sb
দেখেছি এবং পোস্ট করতে না পারার অপারগতা প্রকাশ করছি এবং সে জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

তবে একটা আলাপ করাই যায় আপনার এই পোস্টে হালকা করে - যদিও সে আলোচনা নেয়ার মত, উপলব্দি করার মত আর বুঝার এই মুহুর্তে সামু ব্লগে সচেতন ব্লগার এর সংখ্যা এক হাতের আংগুলে গুণে শেষ করে ফেলা যাবে।

তার চেয়ে বড় কথা, আমাদের মাঝে যে আপিল টু অথরিটি এবং আপিল টু বিলিভের ভয়ানক ফ্যালাসি উপস্থিত আছে, সেই ফ্যালাসির কারনে ৯৫% ব্লগার আমার কল্লা ফালাইতে আর তাদের পাকি জন্ম পরিচয় ফলাইতে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়বে হেনস্তা করতে এই লিখা লিখলে বিস্তারিত।

শুধু একটা কথাই বলি, আরবের লোকদের বর্বর বলার একটা প্রথা প্রচলিত আছে আমাদের সমাজে। আসলে তারা শুরু থেকে বর্বর ছিল না, বরং মেসোপ্টোমিয়া , সিরিয়া আর ব্যাবিলনের শাসক দের নির্মম অত্যাচারে তারা পালায়া আসছিল এই ধুধু মরুর প্রান্তরে। কেন পালায়া আসছিল, কেন নারীর প্রতি তাদের এত ভয় এসব আলোচনা না করে আমরা খালি তাদের নারীর প্রতি অত্যাচার টাই দেখি, বাট এই নারীকে দমিয়ে রাখার যে রুট কজ সেটা খুজি না।

এই যন্ত্রনা উপশম করতেই আজকের সেমেটিক রিলিজিয়ন গুলার উৎপত্তি এবং সেখান থেকে আজকের আব্রাহামিক রিলিজিয়ন। এই এক কালের শোষিত আরব জনগোষ্ঠী ই এক সময় জন্ম দিছে সকল এস্টাব্লিশড রিলিজিয়নের আর তারাই আবার ক্রুসেড এর নামে মারামারি করেছে নিজেদের মাঝে সেই একই লোকেরা।

এই যে আরবের ধুধু মরুভূমিতে পালায়া আসল তারা- পেছনে ফালায়া আসল শত শত বছর আর জেনারেশান এর পর জেনারেশন এর অত্যাচার, ঋণের বোঝা আর বংশ পরম্পরায় সেই ঋন শোধ করার অপমান ( ছেলে সন্তান কে দাস হিসেবে আর মেয়ে সন্তান কে প্রস্টিটিউট হিসেবে ইউজ করে ) , এরপর পেছনে ফেলে আসল সুদের কারবার এবং বাজার ব্যবস্থায় উপর রাস্ট্রের হস্তক্ষেপ কে পাপ বানায়া ফেল্লো।

এই যে ৩ টা মেইন স্টেপ- কৃষক দের সুদ ও ঋনের কারবার থেকে মুক্ত, মুক্ত বাজারের উপর রাস্টের হস্তক্ষেপ এর নিরোধ , এবং মেয়ে সন্তান কে বংশ পরম্পরায় প্রস্টিটুট বানানো থেকে মুক্তি - এই কাজ গুলোই কিন্তু ইসলামের শুরুর দিকের জয় জয় কারের অন্যতম কারন।

ঝামেলা বাধল- নারী নিয়া। সুদ , ঋন আর বাজার এর কাহিনী এখনো সেই আগের শুরুর দিকের ইস্লাম্মের মতই থাকল, বাট নারীতে আইসা তারা বেকায়দায় পড়ে গেল।

ঘটনাটা হইলো, নিজেদের ছাইড়া আসা যে সাম্রাজ্য- সেইটার সমস্ত শক্তির মুল উৎসই আছিলো এক অর্থে মানুষ ব্যবসা, সুদের কারবার আর নারীদেহের খুল্লম খুল্লা বানিজ্য। পাশাপাশি- এইসব উৎখাত হয়া যাওয়া মানুষেরাও সমস্ত অপমান কান্ধে কইরা মরুভূমিতে আসছেন- সেইসব অপমানের পুরোভাগ জুইড়া আছিলো তাগো স্ত্রীর, কন্যার , বইনের, মায়ের সেক্স স্লেভ হইয়া যাওয়া, নিজেদের ব্যর্থতা আর প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার বলি হয়া।

ফলে ইনারা যে সমাজ বানাইতে চেষ্টা করতেছেন- সেই সমাজ খুব স্বাভাবিকভাবেই নারীর এই পণ্যায়ন, সুদের এমন সর্বগ্রাসীতার রাস্তা বন্ধ করার কামটা করবে? এমনকি যেই কৃষির অনিশ্চয়তা এদেরকে এইভাবে হিউমিলিয়েট করতে করতে এ্যানহাইলিয়েট করতেছিলো লাগাতার- নতুন মরুভূমিতে আইসা সেই কৃষি এমনিও সম্ভব ছিলোনা- তার ওপর সেই উচ্ছেদের স্মৃতি- তারা খুব একটা কৃষিনির্ভর আর থাকলোওনা, মরুভূমির কারনে পারলোওনা। মার্কেন্টাইল একটা ইকোনমি বানাইতে ট্রাই করলো।

ঘাইটা দেখেন আরবের মরুভূমিতে ইসলামের মারাত্মক জনপ্রিয়তার মুলে এই মৌলিক জায়গাটা নিয়া নবী মোহাম্মদের ফ্রেইমওয়ার্কটা সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখসে। মুল যেই তিনটা আস্পেক্ট ইসলামেরে দাড়া করাইলো দারুণ জনপ্রিয়তার জায়গায়- সেইগুলি হইলো-কৃষিরে ফালায়া মার্কেন্টাইলিজমের ব্যাপারে সে একটা ভ্যানগার্ড হিসাবে হাজির হইলো- বাজারের ওপর এমনকি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপেরেও আনহোলি বানায়ে ফেলা হইলো, কনজিউমার লোনেরে হারাম বানায়ে ফেলা হইলো।

কন্যাসন্তান থাকার যন্ত্রণার স্মৃতি এইসব মরুবাসীর মধ্যে কী পরিমাণে ভয়াবহভাবে হাজির আছিলো, একেবারে সমস্ত মরুবাসীর মগজে বংশ পরম্পরায় কেমনে কইরা এই ভীতিটা জাগ্রত আছিলো- তার নমুনা হইল- এমনকি নবী মোহাম্মদের আমলেও ( শুরুর দিকে) - কন্যাসন্তানরে জ্যান্ত পুইত্তা ফেলার সামাজিক সম্মতি আছিলো ( সামাজিক সম্মতি, নট ধর্মীয় )। তাও যেন মরুভুমির এই অনিশ্চিত জীবনের পাকে চক্করে কোনোওভাবেই নিজের মাইয়ারে বেশ্যাখানায় দেখা না লাগে- ঘরপোড়া সকল মরুবাসীর এই বর্বরতারে অনুমোদন দিতে একটুও সময় লাগেনাই- কারণ উনারা আরও বড় বর্বরতা দেখসেন।

এখানে ঝামেলা লাগল, সেই হিউমিলিয়াশের কারনে আরবে পালায়া আসছিল এই বর্বর যাযাবর রা, সেই জাতি একটা শান্তির ধর্মের খোজ পাওয়ার অল্প দিন পরেই আবার তাদের উপর করা অত্যাচারিত শাসক দের নারীকে হিউমিলিয়াশানের পর্যায়ে নিয়ে গেল। এটা ইসলামও দুনিয়াজয়ের পরে নতুন যে মোল্লাগুষ্টি পাইলো- সে মোল্লাগুষ্টিও ইসলামি হুকুমতের এই নারীর প্রতি আবেদন , এই শানে নুজুলগুলি কোরানে হাদিসে তফসিরে কোথাও যেহেতু খুইজ্জা পায়নাই- সেহেতু এরাও চোখ বন্ধ কইরা দিনমানে নারীর চরিত্র, নারীর পোষাক, নারীর ইজ্জত নিয়াই পইড়া থাক্তেসে।

ব্যাপারটা সুদিং বইলা উপস্থিত পাঠককুলের, স্রোতাকুলেরও জিনিসটায় ভালোই আরাম লাগতেসে। আবার যেইসব অঞ্চলে জিওপলিটিক্সের সুবাদে এই মোল্লাগুষ্টি সত্যি সত্যিই ক্ষমতায় আইসা বসতেসে- তারাও সমানতালে নারীর ওপরেই নিজেদের সমস্ত চিন্তাচেতনা খরচ করতেসে।

নারীরে পাথর ছুইড়া মাইরা দুনিয়া উদ্ধার করতেসে, নারীর শইল্লের প্রদর্শনীর শক্তিমান সমালোচনা দিয়া তারা দিনমানে পূন্য কামাইতেসে , কল্লা কাইটা ফালাইতেসে সমানে।

এই যায়গাটা আমার কস্ট লাগে, একটা চরম অত্যাচারিত হিউমিলিয়েটেড সমাজ একটা শান্তির খোজ পাবার পরেও কি করে আবার অত্যাচারি যায়গায় ফিরে গেল। সব টিক্যা রইল, খালি নারীর কথাতে আসলেই তারা চইলা গেল সেই আদিম যুগে যেখানের অত্যচারের কারনেই পালাইয়া আসতে হয়েছিল তাদের।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: বিশাল অথচ ব্যাপক তাতপর্যপূর্ণ মন্তব্য।
এর উত্তর দেবার মগজ আমার নাই- আমার শুধু একতা জিনিষ মনে হয়। মানুষ আগুন আবিষ্কার না করলে- এর কোন কিছুই হইতো না।

আচ্ছা আপনি কি পুরুষ হবার নেতিবাচক দিক ও যন্ত্রনা উপলব্ধি করেন?

৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৩

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। পরের পর্বগুলোতে সাথে থাকার অনুরোধ রইল।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫১

সাসুম বলেছেন: আচ্ছা আপনি কি পুরুষ হবার নেতিবাচক দিক ও যন্ত্রনা উপলব্ধি করেন?


মোটেই না তপন ভাই। আমি পুরুষ হতে পেরে খুবই আনন্দিত। কিন্তু এর মানে এই বা আমি হিউমান পার্ট এর ভিন্ন জেন্ডার স্প্রেক্ট্রাম - নারী দের কস্ট পেতে দেখলে বা প্যাট্রিয়ার্কির কারনে সাফার করতে দেখলে কস্ট পাইনা। আমি যেহেতু ধর্ম বা সমাজের বেঁধে দেয়া প্যাট্রিয়ার্কিতে বিলিভ করিনা, সো আমার কাছে নারী আর পুরুষ জাস্ট সমান সমান। সন্তান নারী হোক পুরুষ হোক- একদম সমান সমান অধিকার আমার কাছে ।

আমি পুরুষ হিসেবে বেশ ভাল আচ্ছি কারন আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সুফল গুলো আমি নিতে পারছি। বাট এর সাথে আমি এটাও বুঝতে পারছি হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের এই নারী পার্ট কে অবদমিত করে রাখা হয়েছিল এবং তাদের কস্ট কিছুটা হলেও উপলব্দি করতে পারি । কোশ্চেন হচ্ছে কিভাবে উপলব্দি করতে পারি? উত্তরঃ এই মুহুর্তে আমাদের রাস্ট্রের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই আমরা অথরিটিয়ান শাসক এর আন্ডারে তার দয়াতে বেচে আছি। তার কথাই শেষ কথা, এবং তার আইন ই শেষ আইন। যদিও রাস্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী আমি আর একজন আওয়ামী এমপি সমান অধিকার ও সুযোগ পাওয়ার কথা রাস্ট্রের কাছ থেকে কিন্তু আমি দেখি মাফিয়া এম পি আমার মত লাখো কোটি মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে চুরি করে ডাকাতি করে শাসন করে চলেছে আমাকে এবং এর প্রতিবাদে আমি কিছুই করতে পারছি না।

এই যে কথা বলতে না পারার কস্ট ( যদিও পলিটিকাল ) এই ধরেন মাত্র কয়েক বছরের এটা নারীর দিক থেকে চিন্তা করুন। হাজার হাজার বছর ধরে পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষের চালিত নিয়মে সেক্স স্লেভ হয়ে বাচতে হয়েছে তাদের এবং এই গত শতাব্দীতেও তাদের কে মানুষ হিসেবে গন্য করত না, ইভেন এখনো অনেক ধার্মিক দেশে নারীদের কে স্রেফ সেক্স সিম্বল হিসেবে গন্য করা হয়।


আমি পুরুষ হিসেবে প্রিভিলেজড এন্ড আই এঞ্জয় ইট। বাট আমি যেহেতু বুঝি অপ্রেসড হয়ে বেচে থাকার কস্ট কি, সো আমি কখনো এমন কিচ্ছু করতে রাজি না কিংবা এমন কোন কাজ করতে রাজিনা যাতে করে আরেকজঙ্কে অপ্রেসড করে রাখা যায়।

মানবতা মানেই হল সকল মানুষের প্রতি সমান ভালোবাসা। সকল কে সমান সুযোগ দেয়া।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০০

শেরজা তপন বলেছেন: ভবিষ্যতে আমার একটা সিরিজ লেখা আসার সম্ভাবনা আছে ' পুরুষ হবার যন্ত্রনা' শিরোনামে।( অল্প কিছু কোড করে রেখেছি)
এমন হতে পারে সেটা পড়ে আপনি সেই যন্ত্রনা উপলব্ধি করতে পারেন :)

আপনার কথায় আমার কোন দ্বিমত নেই। ভাল থাকুন

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য এবং আপনার উত্তর গুলো পড়লাম। মন্তব্যে বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: তার মানে কি লেখাটা পড়েননি ভ্রাতা?
লেখা সন্মন্ধে ভাল মন্দ কিছু একটা বললে কৃতার্থ হতাম। ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

বিটপি বলেছেন: ছাগলের উৎপাতে এখন ব্লগে বেড়াতে আসাই কঠিন হয়ে এসেছে। তারপরেও মনে করছি আপনার এঈ ব্লগে কিছু ভুল ধারণা দেয়া আছে, সেটা ভাঙ্গানো দরকার।

ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান - এটা ইসলামের কোন ধারণা নয় এবং ইসলামী শরীয়াতের কোন উৎসে এরকম কোন স্টেটমেন্ট নেই। আল্লাহ থাকেন আরশে কুরসীতে - স্থান এবং কালের হিসেবে তার অবস্থান কোথায়, তা নিয়েও আমাদের ধারণা নেই। হিন্দুস্তানে যেসব মুসলিম নামধারী কবি সাহিত্যিক জন্মে ছিলেন, তাদের চিন্তা ও ভাবধারা অনেকটাই হিন্দুদের মত। কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গানে তার অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়।

ভগবান সর্বত্র বিরাজমান - এটা হিন্দু ধর্মীয় ধারণা এবং এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই তাদের মধ্যে পাথর পূজা, গাছ পূজা, প্রকৃতি পূজা - এসব চলে আসছে। সেরকম ধারণা ইসলাম ধর্মের উপর চাপিয়ে ধর্মকে মানুষের কাছে হাস্যকর করে তোলার কোন যুক্তি আমি অন্তত খুঁজে পাইনা।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: ভ্রাতা ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান অতি সামান্য। সেজন্য এসব নিয়ে প্রায় সকল তর্ক আমি বাধ্য হয়ে এড়িয়ে চলি।
আমার মনে হয় এ বিষয়ে এখানে ধর্মজ্ঞান সমৃদ্ধ অনেক ব্লগার আছে তারা আপনার সাথে এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
তবে কোরাআনের বাণী ও অর্থ জানা এখন আর তেমন কোন কষ্টকর কাজ নয়।
প্রথমত; লেখাটা আমার মৌলিক নয় এটা মোল্লা নাসরেদ্দিনকে নিয়ে পার্সিয়ান একটা গল্পের অনুবাদ! আমি মোল্লা নাসরেদ্দিনকে নিয়ে যে দীর্ঘ ধারাবাহিক সংকলিত করার চেষ্টা করছি তার একতা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।
এখানে যে কোন ভুল ত্রুটি ন্যে গঠনমুলক আলোচনা অবশ্যই গ্রহনযোগ্য। কে ভুল আপনি নাকি এই গল্পের মুল লেখক নাকি আমি? আমরা সবাই ধারনার উপর আছি। তবু ধরে নিই কোরআনের এই আয়াতের অংশটুকুর কথা;
ﻭَﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻜُﻢْ ﺃَﻳْﻦَ ﻣَﺎ ﻛُﻨْﺘُﻢْ ‏( ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। (সূরা হাদীদ, ৫৭: ৪ আয়াত)।
এর নিশ্চয়ই অন্যরকম ব্যাখ্যা আপনার কাছে আছে? কিংবা ধরুন;
২- ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ { ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟَﻚَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻱ ﻋَﻨِّﻲ ﻓَﺈِﻧِّﻲ ﻗَﺮِﻳﺐٌ ﺃُﺟِﻴﺐُ ﺩَﻋْﻮَﺓَ ﺍﻟﺪَّﺍﻉِ ﺇِﺫَﺍ ﺩَﻋَﺎﻥِ } Page: 11
আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। {সূরা বাকারা-১৮৬}
৩- ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ { ﻭَﻧَﺤﻦُ ﺃَﻗﺮَﺏُ ﺇِﻟَﻴﻪِ ﻣِﻦ ﺣَﺒﻞِ ﺍﻟﻮَﺭِﻳﺪِ } ‏[ ﻕ 16 ].
আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী। {সূরা কাফ-১৬}
৪- ﻓَﻠَﻮْﻻ ﺇِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﺖِ ﺍﻟْﺤُﻠْﻘُﻮﻡَ ‏( 83 &rlm ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﺣِﻴﻨَﺌِﺬٍ ﺗَﻨْﻈُﺮُﻭﻥَ
‏( 84 &rlm ﻭَﻧَﺤْﻦُ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﻻ ﺗُﺒْﺼِﺮُﻭﻥَ ‏( 85 )
অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা {সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫}
৫- { ﻭَﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏُ ﻓَﺄَﻳْﻨَﻤَﺎ ﺗُﻮَﻟُّﻮﺍْ ﻓَﺜَﻢَّ ﻭَﺟْﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺍﺳِﻊٌ ﻋَﻠِﻴﻢٌ } ‏[ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 115 – ]
পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও,সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত {সূরা বাকারা-১১৫}
৬- ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ { ﻭَﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻜُﻢْ ﺃَﻳْﻨَﻤَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ } ‏[ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ – 4 ]
তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন {সূরা হাদীদ-৪}
৭- ﻭﻗﺎﻝ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻦ ﻧﺒﻴﻪ : ‏( ﺇِﺫْ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻟِﺼَﺎﺣِﺒِﻪِ ﻻ ﺗَﺤْﺰَﻥْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣَﻌَﻨَﺎ ‏( ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ ﻣﻦ ﺍﻵﻳﺔ 40
যখন তিনি তার সাথীকে বললেন- ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন {সূরা হাদীদ-৪০}
৮- ﻗﻮﻟﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻣَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻣِﻦ ﻧَّﺠْﻮَﻯ ﺛَﻼﺛَﺔٍ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺭَﺍﺑِﻌُﻬُﻢْ ﻭَﻻ ﺧَﻤْﺴَﺔٍ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺳَﺎﺩِﺳُﻬُﻢْ ﻭَﻻ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﻣِﻦ ﺫَﻟِﻚَ ﻭَﻻ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﻣَﻌَﻬُﻢْ ﺃَﻳْﻦَ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺛُﻢَّ ﻳُﻨَﺒِّﺌُﻬُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺑِﻜُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻋَﻠِﻴﻢٌ ‏( ﺍﻟﻤﺠﺎﺩﻟﺔ – 7
.
কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন {সূরা মুজাদালা-৭}
---------------------------------
~আমি আরবি ভাষা পড়তে পারি কিন্তু এর শব্দার্থ জানিনা। আপনি সম্ভবত আমার থেকে অনেক ভালো জেনে থাকবেন। এই আয়াতগুলোর অর্থ পড়ে মনে হয় সর্বত্র বিরাজমান মানে সশরীরেই বিরাজমান থাকতে হবে তা কি? আমরা আমাদের অতি ক্ষুদ্র কল্পনাশক্তি দিয়ে কত বিশাল ব্যাপার নিয়েই না ভাবি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিটপির আকিদা সঠিক নয়।



‘আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নন’ এমন আকিদা কুফুরী আকিদা

সূরাঃ ৩৯ যুমার, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। তারা আল্লাহর যথাযথ সম্মান করে না। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আকাশ মন্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি, তারা যাকে শরীক করে তিনি তার উর্ধ্বে।

* পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলী মিলে মহাজগৎ থাকবে আল্লাহর হাতে।সুতরাং আল্লাহর হাত মহাজগতের থেকেও বড়।হাত ছাড়াও আল্লাহর আরো অঙ্গের কথা বলা আছে। সুতরাং আল্লাহ মহাজগতের থেকে বড় না হওয়ার সংগত কোন কারণ নেই। মোয়াজ্জিন একথাই প্রতিবেলা আজানে বলে যে, ‘আল্লাহু আকবার-আল্লাহ অধিকতর বড়’। তারমানে আল্লাহর থেকে বড় আর কিছু নেই। তারমানে আল্লাহ সবচেয়ে বড়।অসীম < সসীম। সুতরাং আল্লাহ অসীম।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

* সবকিছু সসীম বলে ফুরিয়ে গিয়ে বিলিন হয়। আল্লাহ অসীম বলে তিনি ফুরিয়ে না গিয়ে বাকী থাকেন। অসীম একাধিক হয় না। কারণ অসীমকে একাধিক করতে এর সীমা দিতে হবে। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সসীম হয়ে যায়। সুতরাং অসীম এক। সুতরাং আল্লাহ অসীম বিধায় সর্বত্র অসীম নয়, বরং সর্বত্র সসীম। সুতরাং আল্লাহ < সর্বত্র। সেজন্যই আল্লাহ বলেছেন সর্বত্র তাঁর হাতে থাকবে। আর আল্লাহ সর্বত্র থেকে বড় বিধায় আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান থেকে সর্বত্রের পরেও বিরাজমাণ আছেন। আল্লাহ আরশে আছেন, আল্লাহ উপরে আছেন, আল্লাহ আকাশে আছেন। এসব কিছু সর্বত্রের বাইরে নয়। সুতরাং এসব কিছুতে থাকার কারণে তাঁর সর্বত্রে থাকায় সমস্যা নেই। আল্লাহর সৃষ্টি পানি এমন বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে থাকে। পানি পর্বতে থাকে বরফ অবস্থায়, সাগরে থাকে পানি অবস্থায়, পৃথিবীর সকল স্থানে থাকে জলীয়বাস্প অবস্থায়।

সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং থেকে ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।

* রূহ পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করার পর মারিয়াম (আ.) তাঁকে দেখলেন। তার আগে তিনি তাঁকে দেখেননি।আল্লাহকে এখন কেউ দেখেন না, তিনি কোন আকার ধারণ করলে কেউ তাঁকে দেখবে।

সকল পানি একসঙ্গে বরফ হয় না। পানি একসঙ্গে কঠিন, তরল ও বায়বীয় অবস্থায় থাকে। তাহলে আল্লাহ একসঙ্গে আকার ও নিরাকার অবস্থায় থাকলে সমস্যা কি? সৃষ্টির পক্ষে যা সম্ভব স্রষ্টার পক্ষে তা’ কি অসম্ভব? সুতরাং আল্লাহকে দেখা যাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে তাঁকে কোন স্থানে সীমাবদ্ধ করে অসম্মান করা গুরুতর অপরাধ।তিনি যখন আরশে উপস্থিত থাকেন তখন তিনি সর্বত্র অনুপস্থিত থাকেন না। তিনি আরশে বসা অবস্থাতেও সর্বত্র বিরাজমান থাকেন। যেমন পর্বতে বরফ অবস্থায় বসে থেকেও পানি পৃথিবীর সর্বত্র জলীয়বাস্প অবস্থায় বিদ্যমাণ। বিভিন্ন পর্বতে বরফ অবস্থায় একসঙ্গে পানির কত কপি আছে? নিশ্চয়ই অনেক অনেক কপি। তো এক আল্লাহর এমন অনেক কপি থাকতে অসুবিধা কি? আল্লাহ তো বহু স্থানে নিজে ‘আমরা’ বলেছেন। তিনি নিজেকে ‘এক’ বলেছেন, আবার তিনিই নিজেকে ‘আমরা’ বলেছেন। সুতরাং আল্লাহকে আমাদের মত করে না বুঝে আল্লাহকে আল্লাহর মত করে বুঝা উচিৎ।

সূরাঃ ২ বাকারা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই এবং যে দিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন সেদিকেই আল্লাহর মুখ। নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াসি (সর্বব্যাপী), সর্বজ্ঞ।

# সূরাঃ ২ বাকারা, ১১৫ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
১১৫। ইমাম ইবনে জারির (র.) বলেছেন যে, এক দল তাফসির কারক বলেন, এ আয়াতটি কা’বা শরীফের দিকে মুখ করা ফরজ হওয়ার আগে নাযিল হযেছে। আল্লাহ তা’আলা নবি করিম (সা.) এবং সাহাবাদের একথা জানাবার জন্য নাযিল করেছেন যে, তাদের জন্য মাশরেক মাগরেব যে কোন দিকেই মুখ করার অনুমতি রয়েছে। তারা যে দিকেই মুখ করবেন সে দিকেই আল্লাহ আছেন।কেননা, মাশরেক মাগরেব সব দিকেরই মালিক আল্লাহ এবং এমন কোন স্থান নেই, যেখানে আল্লাহ নেই।

* আয়াত ও তাফসির অনুযায়ী আল্লাহ বিস্তৃত এবং এমন কোন স্থান নেই যেখানে আল্লাহ নেই।এটা আল্লাহর অসীমত্ব প্রকাশক। কারণ সকল স্থানেই যদি আল্লাহ থাকেন তবে তিনি আর সসীম হন কেমন করে? সুতরাং আল্লাহ অসীম। অসীম সর্বত্র বিরাজমাণ বলে আল্লাহ অবশ্যই সর্বত্র বিরাজমাণ।
আল্লাহর সৃষ্টি সর্বত্র বিরাজমাণ। যে সৃষ্টির মুখ যে দিকে সে দিকে আল্লাহর মুখ হলে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নন কেমন করে?

সূরাঃ ৩৯ যুমার, ৭৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৫। আর তুমি ফিরিশতাদেরকে দেখবে আরশের চার দিকে ঘিরে তাদের প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাসবিহ পাঠ করছে। আর তাদের বিচার করা হবে ন্যায়ের সাথে। বলা হবে সকল প্রশংসা জগৎসমূহের রব আল্লাহর।

* কিয়ামতে আরশ থাকবে পৃথিবিতে। পৃথিবী থাকবে আল্লাহর হাতের মুঠোয়। কাজেই আরশে আল্লাহর সত্ত্বার সবটা আবদ্ধ হয়ে থাকবে না। আল্লাহ তখন আরশেও থাকবেন আবার সর্বত্রও থাকবেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ চির বিদ্যমাণ মানে তিনি সময়ের শুরুতে শেষে সব সময় বিদ্যমাণ। তারমাণে তিনি সময়ের সর্বত্র বিদ্যমাণ বা বিরাজমান।

সূরাঃ ২৪ নূর, ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৫। আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর নূর। তাঁর নূরের দৃষ্টন্ত যেন একটি দীপদানি, যার মধ্যে আছে একটি প্রদীপ।প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত। কাঁচের আবরণ উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। এটা প্রজ্জ্বলিত হয পবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল দ্বারা।যা প্রাচ্যের নয় প্রতিচ্যেরও নয়। আগুন স্পর্শ না করলেও যেন এর তৈল আলো দেয়। নূরের উপর নূর।আল্লাহর যাকে ইচ্ছা তাঁর নূরের দিকে হেদায়াত প্রদান করেন। আল্লাহ মানুষের (বুঝার) জন্য দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন। আর আল্লাহ সব কিছু জানেন।

* উজ্জ্বল আলো, হাল্কা আলো এমন যোগসূত্রে আল্লাহ দেখা দিলে তাঁকে তেমন দেখা যাবে। তারমানে কেন্দ্র উজ্জ্বল থেকে নূর সর্বক্রমে হালকা হয়ে দীগন্তে মিশেগেলে আল্লাহকে তেমন দেখা যাবে। তো আল্লাহ যখন দেখা দিবেন তখন দেখা যাবে তাঁকে কেমন দেখা যায়? তারমনে তাঁকে দেখা গেলেও তিনি সীমাবদ্ধ হয়ে যাবেন না। তখনও তিনি অসীম থাকবেন। হাদিসে আছে তাঁকে চাঁদের ন্যায় দেখা যাবে। তো চাঁদের সবটা দেখা গেলেও এর আলোর সবটা দেখা যায় না। সুতরাং কেউ যেন আল্লাহর সবটা দেখার ইচ্ছা পোষণ না করে। কারণ অসীমের সবটা দেখা অসম্ভব।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* মহানবি (সা.) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে বলেছেন। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আকিদা হলো আল্লাহ নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান। সুতরাং যারা আল্লাহ নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান হওয়া বিশ্বাস করে না তারা সুস্পষ্ট পথভ্রষ্ট।

যে বলে আল্লাহ কোন স্থানে সীমাবদ্ধ, সে বলে আল্লাহ অসীম নয়, যে বলে আল্লাহ অসীম নয় সে বলে আল্লাহ বড় নয়। সুতরাং সে আল্লাহর বড়ত্বের অস্বীকারকারী কাফির। সুতরাং আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নন এমন আকিদা কুফুরী আকিদা। এসব লোক চিরস্থায়ী (দায়েমী)জাহান্নামী হবে। মদীনার কিছু লোক দিয়ে এমন বদ আকিদা প্রচার করে ইবলিশ মুসলিমদেরকে কুফুরীতে নিমজ্জিত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে এ বদ আকিদা থেকে হেফাজত করে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হওয়া থেকে রক্ষা করুন –আমিন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই এত কষ্ট করে গুছিয়ে ব্লগার @ বিটপির মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য।
ধারানা করছি তিনি এর যথাযথ প্রতি উত্তর দিবেন

১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৩

সোবুজ বলেছেন: লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।তার চেয়ে বেশি জানতে পারলাম আপনি সহ অনেকের আলোচনা পড়ে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক মন্তব্য প্রতি মন্তব্য অনেক সময়ে মুল আলোচনা থেকে গুরুত্বপূর্ন হয়ে ওঠে।
আপনি নন শুধু আমিও অনেক কিছু জানলাম।
সাথে থাকুন-ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটি আমি পড়েছি। যেভাবে আগে বাবনিক এঁর ধারাবাহিক গুলো পড়েছি।
আপনার পোষ্টে সেসব মন্তব্য এসেছে, তাদের চেয়ে আমি ভালো মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ
আপনার কি মনে হয় 'বাবনিকের বাকি পর্বগুলো লেখা উচিত? এখনো নিদেন পক্ষে ১০টি পর্ব বাকি আছে। আমি মুল আলোচনাতেই আসতে পারিনি। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছিল - এই সুদীর্ঘ ধারাবাহিকে পাঠকেরা হাঁপিয়ে উঠছে।
আপনি লেখা পড়েন সেটা জানি- কিন্তু মন্তব্যগুলো খুব বেশী সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগের পর্ব পড়েছি । এই পর্বও পড়েছি আপনি খুব ভালো লিখেন ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এমত প্রশংসা বরাবরের মত আমাকে অনুপ্রাণিত করল ভায়া।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪০

বিটপি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন - এই কথার মানে এই নয় যে আল্লাহ আমাদের সাথে লেগে আছেন, বা আমাদেরকে ধরে আছেন বা আমাদের সামনে বসে আছেন। আল্লাহ্‌র রহমত আমাদের সাথে আছে - এই কথাটা সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায় যে, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। যতগুলো আয়াতের রেফারেন্স দিলেন, সবগুলোর ব্যখ্যা এই একটিই।

সূরা বাকারার ১১৫ নম্বর আয়াতের শানে নুযূল হল সালাত আদায় করার সময়ে কোন দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন - এই বিষয়ক একটি বিতর্ক। সফরের সময়ে যদি কেবলা নির্ধারণ করতে না পারেন, তাহলে কোন দিকে মুখ করবেন - এরকম একটা সমস্যা তৈরি হয়। এর সমাধান হিসেবে আল্লাহ বলেছেন - যেদিকে তাকাবে, সব দিকের মালিকই আমি। তাই যে দিকে ফিরে সালাত আদায় করবে, তাতেই সালাত আদায় হয়ে যাবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: 'আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন - এই কথার মানে এই নয় যে আল্লাহ আমাদের সাথে লেগে আছেন, বা আমাদেরকে ধরে আছেন বা আমাদের সামনে বসে আছেন।'- আপনি কি মনে করেন আমি এ রকমটাই ভাবছি?
আপনি সম্ভবত আমার পুরো প্রতিমন্তব্যটা পড়েননি; সর্বত্রবিরাজমান মানে শারিরিকভাবে সবখানে থাকতে হবে তা নয় মোটেও। যিনি কায়া হীন তিনি শরির পাবেন কোথায়?
যেমন করেই হোক আপনি তাঁকে সীমার মধ্যে বাধতে চাচ্ছেন- সসীম বানিয়ে ফেলছেন। এই বিষয় নিয়ে আর আলোচনা দীর্ঘ না করাই উত্তম। ঈশ্বর নিয়ে ধারনা করার মত সামর্থ আমাদের নেই।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চলতে থাকুক ধারাবাহিক। হোজ্জার কাহিনী ব্লককে আলোকিত করুক। ++++

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ফুল-চন্দন পড়ুক। :)
অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় মাইদুল ভাই। ভাল থাকবেন সাথে থাকবেন।

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হোজ্জা বেডা আসলেই একখান জিনিষ (বিশেষ কিছু ) যারে সবাই নিজের বলে দাবী করে । অথচ আমরা চারপাশে দেখি সবাই সবাইকে এড়াতে পারলেই বাঁচে।

বেঁচে থাকু হোজ্জা বেডা যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে - রূপকথার ভীরে।

আর অবিরাম চলুক আপনার হোজ্জা কাহিনী।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: হ হ এইটাইতো কইতে চাচ্ছি
বিরাট কামেল লোক তিনি :)

সাথে থাকবেন ভ্রাতা- বরাবরের মত

১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লেখা !

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আছেন তবে হারিয়ে যাননি!!
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই প্রতি পোষ্টে কেন পাইনা??
মন্তব্য ছোট হতে হতে 'অনু মন্তব্যে' এসে ঠেকেছে- বেশ :)

১৯| ১৯ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: হোজ্জা কাহিনী ভালো যাচ্ছে, চলতে থাকুক।
মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলোও কয়েকটা চমৎকার হয়েছে, হচ্ছে- চলতে থাকুক।
১০ নং প্রতিমন্তব্যটা ভালো লেগেছে, এবং ১১ নং মন্তব্যটাও।
পোস্টে অষ্টম প্লাস। + +

২০ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আরো বেশী ধন্যবাদ বরাবরের মত মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়ে তাই নিয়ে আপনার ভাল লাগা প্রকাশ,
হোজ্জার অনেকগুলো পর্ব অর্ধেক করে রেখেছি- গোছানো হচ্ছে না, ঠিক যেমন বাবনিক, রাসপুতিন,জার্মান ব্যান্ড সহ অনেকগুলো লেখা মাঝ পথে থমকে গেছে। ইদানিং 'বিবর্তনবাদ'এর ভুতে ধরেছে। সারাক্ষন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে ওইগুলি- পাগল হবার দশা!
দোয়া রাখবেন- যা করি বালি লিখি ভাল কিছু যেন উপহার দিতে পারি।
বরাবরের মত অতি অন্তরিকভাবে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.