নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আমি নাসরেদ্দিন হোদজা- অনেকেই আমাকে মোল্লা নাসরেদ্দিন বলে ডাকে। ইদানিং এই গ্রামে এত বেশী মোল্লা বেড়ে গেছে যে,আমার কদর ভীষণভাবে কমে গেছে। আগের মত আর তেমন শ্রদ্ধা সম্মানও করে না। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব বা কাজে কেউ আর ডাকে না। বড়ই মর্মপীড়া ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে আছি।
একদিন অতি প্রত্যূষে আমি সামান্য কিছু পরিধেয় বস্ত্র ( আসলে আমার ছিলই দুটো কুর্তা আর পাতলুন) আর অতি দরকারি জিনিস নিয়ে আমার প্রিয় বুড়ো গাধার পিঠে চড়ে দূর দেশে ভ্রমণ ও অন্ন সংস্থানের উত্তম একটা ব্যবস্থা কর জন্য বের হলাম।
আমি এখন গাধার পিঠে সোজা হয়েই বসি। উল্টো দিকে বসলে বিচ্ছু পোলাপানেরা ঢিল ছোড়ে আর বড়রা পাগলা মোল্লা,পাগলা মোল্লা বলে ক্ষ্যাপায়। ওরা ভুলে গেছে আমাকে একসময় তারা এজন্যই সম্মান বা সমীহ করত। আহা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম রে!
আমার গাধাটাও হয়েছে তেমন। ইদানীং চোখে কম দেখে কানেও কম শোনে। দু’দুবার বিক্রি করার চেষ্টা করেছিলাম,কেন যেন দাম করাতো দুরের কথা কেউ এই গাধাটার দিকে ফিরেও তাকায়নি।
-তোমরা একটা শত সহস্র তালি আর তাপ্পি দেয়া জুতার গল্প জাননা? আরে ওই যে, নর্দমায় ফেলে দিলে নর্দমা আটকে গিয়ে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা, জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেললে কেউ ভয়ঙ্কর আহত হয়ে কাজীর কাছে বিচার দেয়। সবাই জানে এটা মোল্লা নাসরেদ্দিনের জুতা। যেভাবেই হোক না কেন আমি ধরা পড়ি। ... এখন মনে পড়েছে? এইতো- এটা ছিল তখনকার আমার দুরবস্থার চিত্র!
যাহোক, আমি গাধাকে ডাইনে বায়ে বা সোজা যাবার কোন নির্দেশ দেইনি। ও যাচ্ছে ওর ইচ্ছে মত। আমি অশ্রু সজল চোখে শেষবার আমার প্রিয় শহরটাকে দেখে নিলাম।
হায়রে কি দিন গেছে! প্রাচ্যের অতি এলেমদার দরবেশ সালতুক( যাকে নিয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের সময়ে রচিত হয়েছিল সালতুকনামা), সেলজুকের সুলতান, আর মহাপরাক্রমশীল খোঁড়া তৈমুর( টেমেরলিন/ তৈমুর লং) আমার সাথে গল্প গুজব করতে আসতেন আর আজ সে আমি ... আমার চোখ ভিজে উঠল জলে।
গাধাটা হেটেই যাচ্ছে,কোন দিকে যাচ্ছে সেও জানে না আমিও জানিনা। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত আমি। একবার এই পথ যাবার সময়ে আমি একটা তরমুজ চুরি করে খেয়েছিলাম। এ গল্পটাও তোমরা অনেকেই জানো- তারপরে ও বলি;
[আচমকা আমার নজরে এল বিশাল এক তরমুজের বাগান। তরমুজ আমার ভীষণ প্রিয়! ক্ষুধার্ত অবস্থায় হারাম হালালের বিষয় নিয়ে আমি ভাবতে পারছিলাম না। আশে পাশে কেউ না থাকায় আমি পাগড়িটা গাধার মাথায় দিয়ে বেশ বড়সড় একটা তরমুজ আমি চুরি করে ফেললাম! পথে একটা গাছের ছায়ায় থেমে তরমুজটা দুই ভাগ করলাম।
অর্ধেকটা খেয়েই পেট ভরে গেল- বাকি অর্ধেকটা সেই গাছের নীচে রেখে দিলাম। অনেকেই ভাববে; বেশ ধনবান একজন বনিক এই রাস্তা দিয়ে গেছে। সে খেতে পারেনি বলে অর্ধেক তরমুজ ফেলে রেখে গেছে।
কাজটা করে ভীষণ মজা পেলাম! মনে মনে কিট কিট করে আমি হাসছি। কিন্তু এই গরমে কয়েক ফার্লং যাবার পরেই আমার অনুশুচোনা হল- খিধেও লাগল খানিকটা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি ফের সেখানে ফিরে গেলাম। বাকি অর্ধেকটা পেট-পুরে খেয়ে খোসাগুলো ফেলে দিয়ে ফের রওনা হলাম।
আমি আবার দুলে দুলে মনে মনে হাসছি। লোকে ভাববে , সেই বণিকটার একটা চাকর ও ছিল। যে বাকি অর্ধেক তরমুজ খেয়েছে।
কিন্তু আমার সেই হাসি বেশীক্ষণ স্থায়ী হোলনা। রাস্তায় যেতে যেতে দুশ্চিন্তায় ঘিরে ধরল আমাকে। সামনে যদি আর খাবার না জোটে?
ভাবতে ভাবতে আবার আমি ফিরে আসলাম সেখানটায়। তরমুজের খোসাগুলো সযতনে আমার পোটলায় ভরে নিলাম। খুব বেশী ক্ষুধা লাগলে এগুলোতেই চলবে।
এবার আমার আরো হাসি পেল। গাধার পিঠে বসে দুলে দুলে ফুলে ফুলে হাসছিলাম! লোকেরা এখন ভাববে, সেই ধনী বণিকটার একটা উট ও ছিল যে, তরমুজের খোসাগুলো খেয়ে ফেলেছে!]
--------------------------------------
দু’দিন দু-রাত ক্লান্তি-হীনভাবে পথ চলার পরে চারিদিকে পাহাড় ঘেরা অপরিচিত মফস্বলে গিয়ে পৌছুলাম! অনেক খুঁজে একটি ছোট্ট শহরের বাইরে একটি পাহাড়ের উপরে একটি সুবিধাজনক জায়গা পেয়েছি। দৃশ্যটি ভাল ছিল এবং পাহাড়টি কাঁটাঝোপ ঘন জংগলে ঘেরা ছিল যেমন আমার শান্তি-প্রেমী আত্মা চায়।
আমি কিছুদিন এখানে একা থাকতে চাই- এছাড়া মনের মধ্যে নতুন একটা প্রজেক্ট ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটা ভেবে আমি ফের দুলে দুলে ফুলে ফুলে হাসছি।
কাঁটাঝোপ থাকায় খুব খুশি হয়েছিলাম, এ কারণে এখানে কেউ সহজে চাষাবাদ করতে আসবে না। প্রথম প্রথম কেউ আমাকে বিরক্ত করেনি। আমি জংগলের ফলমূল খেয়ে জীবনধারণ করছিলাম।
-----------------------------------------
বহু বছর আগে তেরশত শতাব্দীর মাঝামাঝি! তুর্কির সিভেরসিরে পণ্ডিত ও পীর হিসেবে আমার বেশ সুনাম ছিল। আমার প্রচুর মুরিদান আর ভক্ত জুটে গেল। আমি প্রায়শই শো-ডাউন করার জন্য সে বিশাল দল অনুগামীদের নিয়ে বাজারে হাঁটতাম। আমি যা-ই করতাম না কেন, আমার অনুসারীরা তৎক্ষণাৎ তার অনুকরণ করেন!
আমিও আমার কেরামতি দেখানোর জন্য; মাঝে মধ্যেই বাতাস ধরে শুঁকতাম। হাতে শুকনো মাটি নিয়ে বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে হু হু করে চেঁচিয়ে উঠতাম। আমি অশরীরী আত্মার সাথে কথা কইতাম।
আমার অনুসারীরাও থামত এবং তারাও ঠিক একই কাজ করত।
যারা আমার ঘনিষ্ঠ ও বন্ধু স্থানীয় ছিল তারা অনেক সময় চুপিসারে আমাকে ডেকে নিয়ে প্রশ্ন করত; আপনি কেন এমন করছেন- আর আপনার লোকেরাই কেন আপনাকে এমন অনুকরণ করছে?
‘আমি একজন সুফি শেখ হয়েছি’-তাদেরকে বলতাম।‘এগুলি আমার মুরিদ (আধ্যাত্মিক সন্ধানকারী);আমি তাদের আলোর পথে যেতে সাহায্য করছি’!
-তারা আলোর পথে পৌঁছলে কীভাবে জানবেন?
-সহজ ব্যাপার! প্রতিদিন সকালে আমি তাদের গণনা করি। যাঁরা চলে গেছেন, তাঁরা আলোর পথে গেছেন!
একদিন সবাই সেই আলোর পথে চলে গেল- শুধু পড়ে রইলাম আমি।
-------------------------------------------------
শেষ পর্যন্ত, আমার প্রিয় বন্ধুরা, দারুণ এক পরিবর্তন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে, শহরবাসীরা আমার ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তারা অবাক হয়ে ভাবছিল যে আমি সেই পাহাড়ের উপর একাকী কি করছিলাম? বহুদিন মাংসের স্বাদ পাইনা – তাই একবার ভেবেছিলাম সুবিধা-মত একটা কুক্কুটি সংহার করিয়া জঙ্গলের কাঠ দিয়ে উত্তমরূপে রাঁধিয়া ভক্ষণ করিব। কুক্কুটি-তো মিলিল কিন্তু অগ্নি পাইব কোথায়। সেই অগ্নি খুঁজিতে গিয়ে চরম হুজ্জোতি হোল। অনেকের জেরার মুখে পড়িলাম।
আমি খাঁটি মোল্লা নাসরেদ্দিন। আমার চতুরতার সাথে টেক্কা দিবে এমন আদম আছে কোথায়? শেষমেশ সবাই আমার কদমবুসি করিল। আমার মনোবাসনা কিছুটা সিদ্ধ হইল।
যাইহোক,এর পর থেকে লোকেরা কাঁটাঝোপ দিয়ে পাহাড়ের উপরে আসতে শুরু করেছিল, তাদের আসা-যাওয়ার জন্য কাঁটাঝোপ কেটে একটি পথ তৈরি করে নিল। এটি আমার পক্ষে শহরে নামা সহজতর করেছিল এবং সুবিধাজনক ছিল। তাদের পক্ষে আমার কাছে আসা সহজতর হয়েছিল।
সেই নগরের বাসিন্দারা আমার নীরবতা ও নির্জনতা জ্ঞানের চিহ্ন হিসাবে দেখেছিল। তারা ভাবল আমার মধ্যে কিছু অলৌকিকতা নিশ্চিতভাবে বিদ্যমান।
যখনই আমরা কোনও সুন্দর কিছুর প্রশংসা করি,আমরা সেটা অধিকার করতে চাই।এখানে ছোট একটা ঝর্ণা ছিল তার দুই পাশে বন্য ব্লু-বেরির বেশ ঘন ঝোপ ছিল। গাছে ফল আসলে অপার্থিব একটা দৃশ্যের সূচনা হোত। এই সৌন্দর্য কেউ কেউ নিজেদের অধিকারে নিতে চাইল। অর্থবান মানুষেরা সেই ঝোপঝাড় কেটে সুদৃশ্য বাড়ি নির্মাণ করল। তাদের বাড়ি সুদৃশ্য হইলেও আশে পাশের সব সৌন্দর্য হারিয়ে গেল! দু'দিনেই তাদের মোহ কেটে গেল অবশেষে সেখানে পড়ে রইলাম আমি আর কিছু পরিত্যক্ত বাড়ি।
আমার চারিদিকের সৌন্দর্য,পাখিদের কঞ্জন সবই হারাইলাম।
তবে সৌন্দর্য ও নীরবতা হারাইলেও আমার গোপন কামনা সিদ্ধ হইল। আমার মাথার উপরে একটা ছাদ পাইলাম। নিকটতম শহর বাসি হইতে দুরবর্তীতম লোকেরা নিয়মিত আমার আশ্রম দর্শনে আসিতে লাগিল। আসবার সময়ে তারা তাদের ফল মুল মুর্গি সহ উত্তম খাদ্য সামগ্রী আমাকে অতি শ্রদ্ধাভরে ভেট বা উপহার দেয়। অতএব খাবার নিয়ে আমার সমুদয় দুঃচিন্তা দূর হইল।
সমস্যা হইল তারা সময়ে অসময়ে তাদের বিভিন্ন পারিবারিক, অর্থনৈতিক, রোগ শোক স্বাস্থ্য মায় যে কোন এক্ট অব গড নিয়ে আমার কাছে আসে। সমস্যা সমাধান চাহিয়া আমার মুখপানে চেয়ে থাকে?
আমি সবসময় তাদের বলি ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করিবেন- ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন। ঈশ্বরের আদেশ ছাড়া একটা গাছের পাতা নড়ে না।
আমার কথা শুনে বেশীরভাগ সময়ে তারা আনন্দ-চিত্তে ফিরিয়া যাইত।
একবার একসঙ্গে বেশ কিছু গ্রামবাসী শোরগোল করিতে করিতে আমার কাছে উপস্থিত হইল। তাদের চেহারায় স্পষ্ট দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা আমি খানিকটা ভড়কে গেলাম!
গত রাত্রে নাকি তাদের সমুদয় মুরগি মারা গেছে! এখন তাদের ডিম ও মাংসের যোগান কোত্থেকে আসিবে? আর মোরগ না ডাকলে সকালে ঘুম ভাঙবে কিভাবে? আমরা বাঁচব কিভাবে?
পুরানো এই উক্তিটি জান যে, ঈশ্বরের ইচ্ছা ব্যতীত একটি পাতাও নড়ছে না।আমি তাদের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে রইলাম। অবশেষে কোন কুল কিনারা না পেয়ে তাদের বললাম, সব ঈশ্বরের ইচ্ছা- তিনি যা করেন ভালোর জন্য করেন।
তারা আমার কথা শুনে সন্তুষ্ট হোল না। তারা বলাবলি করতে লাগল, সবগুলো মুরগী মরে গিয়ে আমাদের কি লাভ হবে এইটাই বুঝতে পারছি না!!
তারা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট চিত্তে তাদের গ্রামে ফিরে গেল। তবে আমার শান্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তারা আবার একটি নতুন বিপর্যয় নিয়ে এসেছিল।
'আমাদের সমস্ত আগুন নিভে গেছে!' তারা কাঁদতে থাকল,'আমরা কি করবো?' প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তাদের সব কয়লা ও কাঠ ভিজে গেছে ও তাদের সংরক্ষিত আগুন নিভে গেছে। তারা রান্না, ঘরের আল জালানো, রাতে হিংস্র পশুদের থেকে রক্ষা করবে কিভাবে? এই বৃষ্টি কাদায় বহুদূরের অন্য গ্রাম থেকে আগুন নিয়ে আসাও সম্ভব নয়।
আমি তাদের বললাম, ঈশ্বর যা করেন ভালোর জন্য করেন, সব ঈশ্বরের ইচ্ছা।
তারা প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে বলল, আমরা ভেবেছিলাম যে, আপনি এইটাই বলবেন। তারা চরম বিচলিত হয়ে খুব বিরক্ত হয়ে গ্রামের পথে চলে যায়। তবে আমি যা ভেবেছিলাম তার চেয়েও কম সময়ে তারা আবার ফিরে এসেছিল।
'আমাদের সমস্ত কুকুর মারা গেছে!' তারা সবাই মিলে হাউমাউ করে কাঁদল. "আমাদের চেয়ে আরও দুর্ভাগা আর কোন শহরের লোক নেই? প্রথমে আমাদের মুর্গী,তারপরে আমাদের আগুন, এখন আমাদের কুকুর! কে বন্য পশুদের দূরে রাখবে,কে আমাদের চোরদের থেকে সতর্ক করবে?"
'সত্যিই কি এত চোর আছে?' আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তারা স্বীকার করেছে যে তাদের শহরে কখনও চুরি হয়নি।
‘আমার বলার একটি মাত্র কথা আছে এবং আমি জানি আপনারা সেই কথাটা আর শুনতে চান না, সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা। তিনি যা করেন ভালোর জন্য করে’।
তারা বলেছিল,আমরা আপনাকে কখনও পরামর্শ চাইব না,এবং খুব বিরক্ত ও হতাশ হয়ে তারা তাদের গ্রামে ফিরে গেল।
কিন্তু সেই রাতে,মধ্যরাতের দিকে,যখন চারিদিকের সবকিছু নিশ্চুপ-শান্ত ছিল; তখন আমি প্রচুর সংখ্যক সশস্ত্র লোকের কাছে আসার শব্দ শুনতে পেলাম। আরও ভাল দেখার জন্য আমি পাশের পাহাড়ের চূড়ায় উঠে পড়লাম। বেশ কিছু ঘোড়ায় চড়ে বর্শা, ধনুক, তীর আর তলোয়ার নিয়ে একদল লোক একখানে জটলা করে শলা পরামর্শ করছে। এত রাতে অস্ত্রশস্ত্র সহ গোপন বৈঠক করার কারণ বুঝতে আমার দেরি হোল না। তাদের যে সর্দার সে পাহাড়ের নিচে অন্ধকার নিস্তব্ধ গ্রামটার দিকে বেশ কিছুক্ষণ নিরীক্ষণ করে বললেন,
-কি ব্যাপার কোথাও কোন আলো নেই কেন? একটা কুকুরও-তো চিৎকার করছে না!!’
তারা আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল।পুব আকাশে প্রত্যুষের আলো দেখা পর্যন্ত। সেই সময়ে গ্রামের সব মোরগ একে একে ডেকে ওঠে। কিন্তু সেদিন কোন মোরগের কুক্কুর-কু ডাক শোনা গেল না।
তারা ভাবল যে, এটা একটা মৃত গ্রাম। অগত্যা ঘোড়া ছুটিয়ে তারা অন্য কোন গ্রাম লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে ছুটে গেল।
‘আপনি কি আমাদের সমস্যার সমাধানের কথা ভেবে দেখেছেন?না আপনি বার বার একই কথা বলবেন’ পরদিন ফের এসে আমায় জিজ্ঞেস করেছিল।
আমি গতরাতের কথা বিস্তারিত তাদের বয়ান করার পরে- তারা হাসাহাসি করল। তারা বিশ্বাস করেনি যে, ঈশ্বর যা করেন না কেন ভালোর জন্য করেন। তোমার সাথে যেটা ঘটেছে তার থেকে খারাপ কিছুও ঘটতে পারত।
কিন্তু এই মূর্খদের বোঝাবে কে? আজ অবধি,তারা আমাকে বিশ্বাস করে না।
*ফার্লং অর্থ এক মাইলের আটের একভাগ,৬৬০ ফিট বা ২২০ গজ
প্রথম পর্বের জন্য-পৃথিবীর সবচেয়ে মজাদার স্ট্রবেরিঃ Click This Link
আগের পর্বের জন্য-কোথায় ঈশ্বর নেইঃ Click This Link
ফুটনোটঃ সকালে ব্লগে পোষ্টটা দিয়ে বিশেষ একটা কারনে দ্রুত সরিয়ে নিয়েছিলাম। ব্লগার ইসিয়াক 'লাইক' দিয়েছিলেন। সম্ভবত কেউ একজন মন্তব্য করেছিলেন- আমি আর দেখতে পাইনি। যিনি মন্তব্য করেছেন ( পরে জেনেছি সুপ্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস ভাই সেই মন্তব্যটা করেছেন) তাঁর কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী আচমকা পোষ্টটি ড্রাফটে নেবার জন্য।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন; যুগ যুগ ধরে বুদ্ধিমান মানুষদের রচিত এইসব কাহিনীগুলো গভীর অর্থ বহন করে।
যদিও একই গল্প একই ধারার গল্প ভিন্ন ভিন্ন মানুষের বয়ানে মুল চরিত্র পাল্টে যায়।
চেষ্টা করেছিলাম লেখাটা ছোট আকারে দেবার জন্য- কিন্তু আমি নিরুপায়! তাও টেনে টুনে এতটুকি ছোট করেছি
আপনার কথাই ঠিক কোন ফুসরৎ নাই!
আমার জীবনেও এমন ঘটেছে। হয়তো সবারই এমন ঘটে কিন্তু সবাই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবেই না বা পাত্তা দেয় না বা খুব দ্রুত ভুলে যায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই বরাবরের মত অনুপ্রাণিত করার জন্য।প্লাস ও প্রথম মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সিরিজ ভালো লাগছে। চালিয়ে যাবেন আশা করি।
ছেলেপেলে ঢিল ছুড়লেও এবং পাগল বললেও নাসিরুদ্দিন হোদজা গাধার পিঠে উল্টো হয়ে বসলেই তাকে দেখতে ভালো লাগে। এই ভাস্কর্যটি কোন দেশে, কোথায় আছে এটা জানতে ইচ্ছে করছে।
ঈশ্বর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও গ্রামের মানুষ ঈশ্বরের ভালো ইচ্ছাকে বুঝতে পারলো না। এটাই বেশীর ভাগ মানুষের সমস্যা। আমরা সব কিছু নগদ নগদ চাই। ওষুধ তেঁতো হলেও ডাক্তার জোর করে রোগীকে খাওয়ায় কারণ এই কষ্টের মধ্যে মঙ্গল আছে। কিন্তু অদূরদর্শিতার কারণে আমরা প্রকৃত মঙ্গলকে বুঝতে পারি না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা সম্ভবত উজবেকস্থানের তাস্কেন্দে অ্থবা সমারকান্দে! তবে প্রাক্তন সোভিয়েতে সেটা নিশ্চিত। পুরো সোভিয়েতে তাঁর মোট
চারটা ভাস্কর্য আছে আমার জানামতে। ধীরে ধীরে সবগুলোই দিব।
সামনে দু তিনটে সিরিজ থাকবে শুধু তাঁর গাধার পিঠে উল্টো হয়ে বসা নিয়ে, বিভিন্ন গল্প, মিথ, হাস্যরস ও ইতিহাস।
নাসরেদ্দিনকে নিয়ে আমার এই সিরিজটা ব্যাপক বিশাল কলেবরে হবে হয়তো। শেষ পর্যন্ত কয়জনকে সাথে পাব আল্লাহ মালুম!!
কৌতুকের প্রতি আপনার দারুন টান সেটা আগেই টের পেয়েছি আপনি বেশ রসিক মানুষ সেটা বোঝা দুস্কর নয়।
জ্বী ঠিক বলেছেন~'অদূরদর্শিতার কারণে আমরা প্রকৃত মঙ্গলকে বুঝতে পারি না।'
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন- হোদজার সাথে থাকুন।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০১
জুন বলেছেন: এত্ত বড় লেখা পড়তে পড়তে আমার অবস্থা কাহিল শেরজা তপন নাসিরুদ্দিন হোজ্জার কৌতুকগুলোই পড়া হয়েছিল। আপনার কল্যানে নতুন কিছু জানা হলো
আসলেও সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছায় যারা গভীর ভাবে বিশ্বাসী তারা অনেক রকম স্ট্রেস মুক্ত থাকে। আমার শাশুড়ীকে দেখতাম যত বড় বিপদই আসুক না কেন একটুও ঘাবড়ে যেতেন না, বলতেন আল্লাহর হুকুম। আর আমরা হায় হায় করতে করতে মরি।
লেখায় অনেক ভালো লাগে রইলো।
+
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আপু- আকারে ব্যাফক বড় হয়ে গ্যাছে!!!
এত্তবড় লেখা রিভাইস করতে গিয়ে আমিই কাহিল -আর আপনাকে কি বলব।
আমি চেষ্টা করছি নাসরেদ্দিন হোদজাকে নিয়ে ব্যাপক বিস্তারিত তথ্যবহুল ইতিহাস জানানোর জন্য( কেন কি জন্য? জানিনা)
সবে ধরেন যে স্যুপ দিয়ে শুরু হোল, মেইন ডিস এখনো বাকি। মুল ইতিহাস বলার সময়ে আপনাকে পাশে পাব বলে আশা রাখছি।আমরা সবাই মুখেই শূধু বলি' আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন' কিন্তু কেউ আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করিনা। আপনার শ্বাশুড়ী সুখী মানুষ ছিলেন নিশ্চিত!
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। সপ্ন দেখি ব্লগটা ফের প্রানবন্ত হয়ে উঠবে।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটু পড়াশোনা করে আবার আসছি .....
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে পদাতিক ভাই- ফিরে আসুন সময় করে।
আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শেরজা তপন ভাই। আমি কর্মফলে বিশ্বাসী। যেমন কর্ম তেমন ফল। তারপরও ভাগ্য নিয়তি সময় বলে কিছু কথা থেকে যায়, যা ব্লগে লেখে সমালোচনার কারণ হওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। তবে হোজ্জার গল্পগুলো সর্বকালের জন্য স্বীকৃত।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: সেটাতো নিশ্চয়ই- কর্মঠ মানুষ ভাগ্য থেকে কর্মে বিশ্বাস করে।
নাসরেদ্দিন হোদজার বিশ্বাসের সাথে আমাদের মতের পার্থক্য থাকতে পারে, আমিওযে এমনটা বিশ্বাস করি তা নয়!
তাকে নিয়ে সুদীর্ঘ ধারাবাহিকে এমন অনেক গল্প আসবে নিশ্চিত যার সাথে আমাদের মত বা বিশ্বাসের মিল না থাকতেই পারে।
তবু তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া গল্পগুলো নির্মল হাস্যরসের পাশাপাশি চিন্তার খোরাক যোগায়!
আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ। পরের পর্বগুলোতে আপনার পদধুলিতে ধন্য হব সেই প্রত্যাশায় রইলাম।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২১
ইসিয়াক বলেছেন: ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বেশির ভাগ আপাতদৃষ্টিতে দূর্ভাগ্যের মধ্যে সৌভাগ্য লুকিয়ে থাকে। বৈচিত্র্য ছাড়া জীবন পানসে। পোস্ট ভালো লেগেছে।
পোস্টটি সকালে পড়তে পড়তে হারিয়ে গেল। ব্যস্ততার জন্য শেষ করতে পারি নি তখন। দুপুরে পোস্ট খুঁজেই পেলাম না। যাক পরবর্তীতে পেয়ে আহ্লাদী হলাম কিন্তু তখন সীমাহীন ব্যস্ততা অবশেষে এখন পুরোটা পড়লাম। চমৎকার।
ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: এক পোষ্টে দুইবার লাইক পাওয়া বিশাল সৌভাগ্যের ব্যাপার
পোষ্ট সরিয়ে নেবার কারনটা ব্যাখ্যা করলেও দু:খ প্রকাশ করে কোনমতে কর্তব্য সেরেছি।
উৎসাহ অনুপ্রেরণা দিয়ে বরাবরের মত সাথ থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
জ্বী হা তেমনটা মনে হয় মাঝে মধ্যে কিন্তু এর পরেও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি।
আপনি ভাল থাকুন নিরন্তর।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শেরজা তপন ভাই, আমি কর্মফলে বিশ্বাসী কথা সত্যি কিন্তু এই নয় যে ভাগ্য নিয়তি সময় বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি তবে বেশ কমপ্লেক্সের বিষয় আছে এখানে।
আপনার হোজ্জার প্রতিটি লেখা পড়বো। তবে অনুরোধ, পদধুলি বলবেন না। আমি জীবনে প্রচুর কষ্ট করেছি শুধু ১৯৭১ এর কষ্টই যদি ব্লগে লিখি এর ভার ব্লগ বহন করতে পারবে না। ব্লগে ঝামেলা বেধে যাবে। তাই ১৯৭১ নিয়ে খুব সম্ভব আর লিখবো না।
আমি যাদের লেখা পড়ি তাদের মধ্য আপনি একজন। আমাকে আপনি আপনার একজন ব্লগ সহযাত্রী বলতে পারেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি সুলেখক বিচক্ষণ , নানান বিষয়ে অভিজ্ঞ, বিজ্ঞ একজন ঋদ্ধ ব্লগার!
আমার ধারনা আপনার জীবনের বিবিধ অভিজ্ঞতা, ধ্যান ধারনা, ভাবনা,উপলব্ধি নিয়ে লিখলে যদিও সেটা আমাদের অন্ধের হস্তি দর্শনের মত হলেও বুঝে না বুঝে অল্প বিস্তর উপকৃত হব সেটা নিশ্চিত।
সন্মানিত ব্যক্তিতে সন্মান করতে অন্যকেউ কার্পন্যতা করলেও আমি চেষ্টা করি খানিকটা।
ভাই কে কি সমালোচনা করল সেটা মনে হয়না আপনি খুব বেশী গায়ে মাখেন। ব্লগ হয়তো আপনার লেখার ভার বহন করতে পারবে না কিন্তু ব্লগের এই দু:সময়ে আপনার মত ব্লগারের মতামত, সমালোচনা ধারাবাহিক লেখালেখির খুব প্রয়োজন।
হোদজার এই সিরিজটায় আমার পাশে থাকবেন জেনে আনন্দে মন ভরে গেল।
আপনি ভাল থাকুন - সুস্থ থাকুন।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
খুব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, এই পোস্টে আমার একটি কমেন্ট ছিলো, সম্ভবত ১ নম্বরে। সেটি দেখছিনে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আহারে ভাই আমার আমি আপনাকেই খুঁজছি । বিশেষ কারনে এই পোষ্টটা আমি ড্রাফটে নিয়েছিলাম ঠিক তখুনি আপনি মন্তব্যটা করেছিলেন।
ড্রাফটে শুধু দেখছিলাম একটা মন্তব্য কিন্তু কে করেছে, কি মন্তব্য করেছে সেটা উদ্ধার করতে পারিনি। লেখার শেষে সেটা আমি উল্লেখও করেছি।
অনিচ্ছাকৃত ব্যাপারটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
যদিও অনুরোধটা অশোভন তবুও আমি কি সেই মন্তব্যের কোন একটু অংশবিশেষ ফের পেতে পারি?
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: চমতকার, পড়লাম পুরোটাই। ঈশ্বর যা করেন না কেন ভালোর জন্য করেন কথাটার যথার্থ প্রতিফোলন ঘটেছে গল্পে!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ফের আমার ব্লগবাড়িতে পেয়ে ভাল লাগল।
বেশ বড় লেখা- আমারই অস্বস্তি লাগছিল ব্লগে দিতে। আপনি সহ আপনারা যে এই লেখায় স্বতঃস্ফুর্ত ভালবাসা ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা! ভাল থাকুন- পরের পর্বোগুলোর সাথে থাকুন।
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: বহু বছর আগে তেরশত শতাব্দীর মাঝামাঝি! তুর্কির সিভেরসিরে পণ্ডিত ও পীর হিসেবে আমার বেশ সুনাম ছিল। আমার প্রচুর মুরিদান আর ভক্ত জুটে গেল। আমি প্রায়শই শো-ডাউন করার জন্য সে বিশাল দল অনুগামীদের নিয়ে বাজারে হাঁটতাম। আমি যা-ই করতাম না কেন, আমার অনুসারীরা তৎক্ষণাৎ তার অনুকরণ করেন! --হা হা....এই পীরের মুরিদেরা এখনও এমনই রয়েছে...
ফার্লং এর হিসেবটা সহজ করে দিলে ভালো হতো....
চমৎকার হোজ্জা কাহিনি......যদিও বেশ আগেও মনে হয় পড়েছি.......ভালো লাগল....।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: (অফটপিকঃ গতকাল আপনার লেখাটা পড়ে শেষ করে মন্তব্য করতে গিয়ে কিছু একটা কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম- তার হোলনা আর
আসছি ফের)
ফার্লং এর হিসেবটা কি মুল লেখায় দেয়া উচিত ছিল? ( ফার্লং অর্থতো এক মাইলের আটের একভাগ,৬৬০ ফিট বা ২২০ গজ-ঠিক আছে? অবশ্য এটা অনেকে জানেনা- প্রথমে মনে হয় বহু দূর )
হদজার এই সিরিজটা মুলত একটা ফিউশান লেখা- অনেকগুলো কাহিনীকে এক সাথে জোড়া দিয়ে লেখা। আমাদের প্রজন্মের প্রায় সবারই হোদজার বেশীরভাগ কাহিনী, গল্প, উইট জানা আছে। তাই বার বার কমন পড়বে
অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা। ভাল থাকুন- হোদজার বাকি গল্পে আপনাকে সাথে পাবার প্রত্যাশা রাখি।
১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১১
জটিল ভাই বলেছেন:
এই পর্বটা বড্ড দেরি হলেও আগের চেয়ে সরস। তা, হোজ্জার বাহন নিয়ে আলাদা পোস্ট লিখার কথা মনে আছেতো প্রিয় ভাই?
তাছাড়া একখানা এক পর্বের সরস পোস্টের আর্জি করে গেলাম। জটিলবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: সেইটে ভুলি কেমনে - মনে আছে মনে আছে
তবে তার আগে কিছু ইতিহাস বলতে হবে। উলটো গাধার পিঠে চড়ার পুরো ইতিহাস না জানলে সেটা সহজপাচ্য হলেও নেহায়েত সাদামাটা হয়ে যাবে।
ওর আগে পরে অনেক গল্প আছে।
ফের আপনাকে প্রেয়ে প্রীত হলাম ভ্রাতা। জটিল ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দুই দফায় পোস্টটি পড়লাম, ভালো লেগেছে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: এক দফায় হাঁপিয়ে উঠেছিলেন নাকি?
এমন হবার কথা-ই, এত বড় লেখা আমাদের অভ্যাসের কারনে একবারে শেষ করে ওঠা কঠিন।
অনেক ধন্যবাদ রইল। ভাল থাকুন।
১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
বোঝা গেলো রহস্যটা!
যদ্দুর মনে পড়ে এমনটাই লিখেছিলুম ----
"মোল্লার মতো আপনিও আমাদের গাধার পিঠে চড়িয়ে অনেক পথ ঘুরিয়ে আনলেন। প্রথমে জুতো চুরি থেকে শুরু করে তরমুজ খাওয়ার গপ্পে নিয়ে গেলেন! এর পরে কাঁটাওয়ালা দূর্গম জায়গায় নিয়ে ঈশ্বরের মাজেজার কথা শোনালেন। শেষমেশ সেই গাধা নিয়ে মোল্লা তো আলোর পথে চলে গেলো, শুধু পড়ে রইলাম আমরা! "
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বরবরই ভিন্ন আঙ্গিকে একটু রহস্য থাকে।
আমি বারংবার দ্বীধায় থাকি- বিষয়টা পজেটিভ না নেগেটিভ এই ভেবে। তাই উত্তর দিতে গিয়ে বেশ ভাবনায় পড়ে যাই।
১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঘুম ঘুম চোখে মোবাইলে হোজ্জার কাহিনী পড়তে লোভ হলেও কিন্তু .......
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: তা তারপরে কি হোল- ঘুমিয়ে পড়লেন শেষমেষ?
ফের আসবেন নিশ্চয়ই। অপেক্ষায় রইলাম...
১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
সাসুম বলেছেন: বেশ উপাদেয় গল্প। বিশ্বাসীদের ভাল লাগবে আরো বেশি কারন নিজেদের সাথে রিলেট করতে পারবে।
কন্টিনিউ করুন। মজা পাচ্ছি
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১২
শেরজা তপন বলেছেন: কি করব ভাই বলেন একে তো 'হোদজা'( শিক্ষক মুলত ধর্ম শিক্ষক) তারপরে 'মোল্লা'। ধর্মের কথা ঘুরে ফিরে তার গল্পে আসবেই
এরপরে আছে ভদ্রলাককে নিয়ে শিয়া সুন্নীর বুদ্ধিবৃত্তিক ধর্মযুদ্ধ।
যে যার মত করে নিবে। হোজ্জার গল্প কট্টর নয়, একতরফা,একচোখা আর তালগাছটা আমার টাইপের কথাবার্তা নেই তেমন- সেইটেই ভাল লাগে।
ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। তাও ভাল স্টিকি করতে বলেননি
১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: এক দফায় হাঁপিয়ে উঠেছিলেন নাকি?
না, বিষয়টা হচ্ছে মাঝে জ্যোতি বাবু টুপ করে নাই হয়ে গেছিলেন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: জ্যোতিবাবুকে ছাড়াতো আমাদের সামুর অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করা যায় না
যাক ফের এসে কারনটা ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা।
১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩০
শায়মা বলেছেন: ছবিটা খুবই সুন্দর। এমন একটা ভাস্কর্য্য পেলে সোকেসে সাজিয়ে রাখতাম।
জুতা হারানো লোকটা নাসিরুদ্দীন হোজ্জা ছিলো নাকি? আমি জানতাম আবু কাশিম এর জুতা বা এমন কারো গল্প......
♦আবু কাশেমের চটি♦
বাগদাদ শহরে আবু কাশেম একজন বড় দোকানদার। তার অনেক টাকা। কিন্তু টাকা থাকলে কি হবে? সে এক পয়সাও কাউকে দেয় না। দারে ভিখিরী এল, দোরগোড়া থেকেই কাশেম তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। বিপদে পড়ে হয়ত কেউ কিছু চাইল। কোন কথা না বলে এক মস্ত বড় লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। লাঠির ভয়েই সে পালিয়ে যায়।
তারপর, কাশেম আবার কৃপণের কৃপণ। নিজের জন্য সহজে কিছু ব্যয় করে না। এক বেলার খাবার দুবেলা খায়। বছরে একবার মাত্র স্নান করে। কারণ, বাগদাদ শহরে বাড়ীতে স্নানের কোন ব্যবস্থা নেই। বাইরে হামামে অর্থাৎ সরকারী পুকুরে স্নান করতে হয়। সরকারী পুকুরে স্নান করতে গেলে পয়সা লাগে। স্নানের জন্য পয়সা.......
যাইহোক গল্পগুলো যত পড়ি ততই ভালো লাগে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: হইতে পারে এইটা কাশিম মামারও হইতে পারে। কেপ্পনের কেপ্পন
বয়সে কে বড় হোদজা না কাশিম? যে বড় এইটা তার গল্প! ভাল লাগা দিয়ে হইল কথা।
যুগে যুগে বিভিন্ন দেশ ঘুরে ভিন্ন ভিন্ন লোকের জবানিতে এই গল্পগুলোতে কিংবদন্তিদের নামে ছড়িয়েছে। অন্য কোন দেশে দেখবেন অন্য কারো নামে এ
গল্প আছে। তবে আপনারটা বেশী যুক্তিযুক্ত। সামনের গল্পগুলো আরো এমন ভুলভাল বা অসামঞ্জস্যতা পেলে জানাতে ভুলবেননা। বড় কৃতার্থ হব।
আপনার জন্য অমন একটা ভাস্কর্যের রেপ্লিকা পাওয়া যায় কিনা খোঁজ করছি।
১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া ওমন একটা রেপ্লিকার সাথে এইগুলাও খুঁজো। আমার সব চাই
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ এখন মনে হচ্ছে এগুলো আমার নিজেকেই বানিয়ে দিতে হবে
১৯| ১৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গাধার পিঠে উল্টো হয়ে বসা ছবিটা দারুণ চমকপ্রদ এবং কৌতুহলোদ্দীপক।
লম্বা হোক, আপনি লিখে যান। যাদের পড়ার আগ্রহ আছে, তারা লেখার কলেবর দেখে পিছপা হন না।
ড্রাফটের কারণে হারিয়ে যাওয়া মন্তব্যটিকে স্মৃতি হাতড়িয়ে পুনঃবিবৃত কয়ার জন্য ব্লগার আহমেদ জী এস কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
পোস্টে ১৯তম প্লাস। + +
২১ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী হ্যা
এই নিয়ে সত্য মিথ্যা অনেক গল্প আছে! সবচেয়ে ভাল যে গল্পখানা আছে সেটা হোল; উনি গাধার পিঠে বসে চলতে চলতে ছাত্রদের পড়াতেন। ছাত্ররা যাতে তার মুখোমুখি থাকে সেজন্য উনি উল্টো হয়ে বসতেন
একটার পর একটা নতুন বিষয় এসে ভীড় করে-একটা ছেড়ে আরেকটা ধরি। বড় বে কায়দায় আছি
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে- ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথমেই বলবো- পোস্টের দৈর্ঘ্য অস্বাভাবিক বড়ো হবার কারণ, পোস্টের বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ। এই পোস্ট ছোট করে লেখার কোনো ফুসরৎ নাই। সর্বপরি নাসিম উদ্দিন হোজ্জার কৌতুক সব সময়ই গভীর অর্থবহ এবং উপলব্ধির বিষয়ও বটে।
ঈশ্বর যা করেন না কেন ভালোর জন্য করেন। তোমার সাথে যেটা ঘটেছে তার থেকে খারাপ কিছুও ঘটতে পারত। - আমি তো সবসময়ই এটা বোধ করি। জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক ব্যপার অনেকবার আমার কাছে শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই আমি সবসময় সৃষ্টিকর্তার কাছে এই কৃতজ্ঞ থাকি এই ভেবে যে তিনি যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। কিম্বা যা হয়েছে তার চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারতো।
পোস্টে প্লাস।