নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক -শেষ খন্ড, প্রথম পর্ব

১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:১৪


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link

(এই লেখার মুল চরিত্রগুলো বাস্তবিকভাবে উক্রাইনের কৃষ্ণ-সাগর তীরের চমৎকার এক শহর অডেসা'তে থাকে! অদে(ড)সা এখন ধ্বংসপুরীতে পরিনত হয়েছে তাদের নিয়ে মুলত আমার 'বাবনিক' লেখা সাথে তাদের অনেকের সাথে আমার যোগাযোগ নেই প্রায় দেড় যুগ-।তবে হাল হকিকত সন্মন্ধে মাঝে মধ্যে খবর পেয়েছি। এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধের ডামাডোলে তাদের নিয়ে আমি ভীষন শঙ্কিত! চেষ্টা করেও কোন খবর পাইনি তার!!! আশা করছি তারা যেভাবেই থাকুক ভাল থাকুক।)

১৯৯৮ সাল। সৌম্য ঢাকা এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে অপেক্ষা করছে এরোফ্লোতে করে মস্কো যাবে বলে।
পড়াশুনা বা ব্যাবসায়িক কাজে নয় বন্ধুদের আমন্ত্রনে ভ্রমনে যাচ্ছে। আহা কতদিন বাদে রাশিয়া যাবে সে- যেন এখানে বসেই ওদেসার কৃষ্ণ সাগর থেকে ভেসে আসা নোনা হাওয়ার গন্ধ পাচ্ছে সে! উক্রাইনের ভিসা দক্ষিন এশীয়দের জন্য যে জটিল করেছে আর ভিসা ছাড়া আর এখন মন চাইলেই সেখানে যাওয়া যায় না সেটা সে জানে না।
লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে তখনো বাসে করে টারমাকে বিমানের সিড়ির কাছে যেতে হোত। সবখানে বাঙ্গালীরা হুড়োহুড়ি করে লাউঞ্জ থেকে বেরুতে গিয়ে, বাসে উঠতে গিয়ে, বিমানের পেটে চড়তে গিয়ে অযথাই তাড়াহুড়ো করে। ভাবখানা এমন যে আগে গেলে ভাল সিট পাবে কিংবা একটুখানি দেরি হলে তাঁকে রেখেই বিমান উড়ে যেতে পারে।
সৌম্য ধীরে সুস্থে লাউঞ্জ থেকে বেড়িয়ে দ্বিতীয় গাড়ি খানায় উঠল। আগেরটা ভীড়ে ঠাসা- এটাতে আরাম করে দাঁড়ানো যায়। গাড়ি থেকে সবার শেষে নেমে অতি শান্ত পদক্ষেপে এরোফ্লোতের সেই পুরনো বিমানের সিড়ির দিকে এগিয়ে গেল। ফ্লাশ ব্যাকে মনে পড়ে গেল বহু বছর আগে সেই প্রথমবার বিমানে চড়ার কথা। সিড়িতে কয়াক ধাপ উঠে একবার পেছন ফিরে তাকাল বহুদুরে এয়ারপোর্টের ডান দিকের সেই রেলিঙ ঘেরা খোলা জায়গাটার দিকে । বহুমানুষ সেখানে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছে কিন্তু তাঁর সেই কৈশোর উত্তৃর্ণ প্রথম যৌবনের বন্ধুরা নেই।
রূশীয় স্টুয়ার্ট রমণীদের পোশাক আগের মতই আছে। টক্টকে লাল লিপিস্টিক ঠোঁটে- কৃত্তিম একটা হাসি ঝুলিয়ে সৌম্যকে নড করে বলল, গুদ ইভেনিং!
সৌম্য হেসে রুশ ভাষায় উত্তর দিল।
মেয়েটার কৃত্তিম হাসি প্রাকৃতিক এ এসে চওড়া হোল। আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বোর্ডিং কার্ড দেখে পথ দেখাল।
ছোট্ট ট্রলি ব্যাগটা টেনে নিয়ে ভেতরে ঢুকেই খানিকটা হতাশ হলাম। পরিচ্ছন্ন তবে সেই আগের মত ঘিঞ্জি আর অপরিসর সিট। নিজের সিটখানা খুঁজে বসার তোড়জোড় করছি ঠিক তখনি সেই স্টুয়ার্ট মেয়েটি আমার কাছে এসে বলল, তুমি কি আমার সাথে একটু আসতে পারবে?
আমি অবাক হয়ে ‘কানিয়াশনা’( অবশ্যই) বলে ঘুরে দাড়াতেই সে বলল, লাগেজটা নিয়ে নিতে। এবার প্রশ্ন না করেই পারলাম না- পাচিমু( কেন)?
মেয়েটা বেশ রহস্যময় বিমল হাসি দিয়ে বলল, চলই না, বুজ্বেত সারপ্রিজ(সারপ্রাইজ)!
হেটে গিয়ে টয়লেট ছাড়িয়ে নীল রঙের একটা পর্দা সরিয়েবিজনেস ক্লাসের দিকে উঁকি দিয়ে মুচকি হেসে বলল, এখানে বসবে?
আবার জিগায়! ইকোনোমিকের টিকেট কেটে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ- এতো লটারি পাওয়া। হ্যা হ্যা বলে ধন্যবাদ দিতে দিতে আমি ভেতরে ঢুকে পড়লাম। পেছন ফিরে একবার ইকোনোমিক ক্লাসের যাত্রীদের দিয়ে তাকিয়ে আমার বড্ড করুনা হোল।
সামারে সেরিমোতভার( মস্কোর এয়ারপোর্ট) অন্য রূপ! দারুন খোশ মেজাজে বিমান থেকে টানেল দিয়ে সরাসরি এয়ারপোর্টে ঢুকলাম। চারিদিকে সবার মধ্যেই একটা ফুর্তি ভাব। মেরু শেয়াল যেমন সামারে লোম ঝরিয়ে ফেলে ঠিক তেমনই শরিরের ধড়াচূড়া ঝেড়ে সল্প বসনায় ছুটোছুটি করছে। ইমেগ্রেশনে সেই সেই মহা বিব্রত ভীতু ল্যাদা-প্যাদা ছেলে নই আমি। গটাগট রুশ ভাষায় কথা বলতেই অফিসার দু-চারখান প্রশ্ন করেই ছেড়ে দিলেন।
ববি শহিদ লিটন হায়দার সহ অনেক বন্ধুরা বাইরে অপেক্ষমাণ। ওদের পোশাক আর আচরণে বলে দেয় ওরা বেশ ধনবান এখন। উষ্ণ আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না মোটেই কিন্তু ওদের পোশাকি রূপের অহংকারের গন্ধ পেলাম খানিকটা।
বাইরে চমৎকার আবহাওয়া। পোর্চে গিয়ে দাড়াতেই খান তিনেক গাড়ি এসে ভিড়ল। আমি ববি’র ঝকঝকে দামী গাড়িতেই উঠলাম। খাঁটি রুশ শেফিওর(ড্রাইভার) অভিবাদন জানাল আমাকে। নিজেকে মনে হোল ইয়েলিৎসিনের রাজকীয় অতিথি।
সামারে যদিও মস্কোর একদম অচেনা ঝকঝকে রূপ! তবুও এই মস্কোকে চিনতে আমার কষ্ট হচ্ছিল। অনেক পাল্টে গেছে সেই শহরটা। চারিদিকে পুরনো আভিজাত্যে কামড় বসাচ্ছে নগ্ন আধুনিকতা। ববি বেশ অহংকারের সাথে বর্ণনা করছিল সে পরিবর্তনে গল্প! মনে হচ্ছিল এই সব কিছুর রুপকার যেন সে-ই!!!
আগে থেকেই নির্দিষ্ট ছিল হায়দারের ফ্লাটে থাকব। ওর ফ্লাটে ঢুকেই চমকে গেলাম। আধুনিক সাজে সজ্জিত দুই রুমের বড় ফ্লাট। সে একাই থাকে এখানে। ভাড়ার কথা জিজ্ঞেস না করে পারলাম না?
হায়দার একটু লাজুক অহংকারী হাসি হেসে বলল, এইতো ছয়’শ টাকার মত পরে।
ছয়শ টাকা মানে ছয়শ রুবল?
এবার সে জোরে হেসে ফেলল- বলল, দোস্ত বাঙ্গালীরা কেউ রুবলের (?) মারে না। ডলার ছাড়া ‘বেল’ নাই।
ভীষন অবাক হয়ে আমি ডলার আর টাকার হিসাব মেলাতে বসলাম।
ওদের দেমাগ ধেমাগ বুঝলাম পরদিন! ভে-দে-ন-খাঁর কসমস সেন্টার পুরোপুরি তখন বাংলাদেশীদের দখলে। রুশীয়তো বটেই পাকিস্থানি এমনকি ভারতীয়রা সেখানে ব্র্যাত্য।
কিছু পাকিস্থানী আর ভারতীয়রা সেখানে দালালি করে নেপালীরা গুরুশেক মানে ট্রলি ঠেলে। কিছু রাশীয়ান ড্রাইভার, কেউবা ম্যানেজারীয়, একাউন্টস মেইন্টেন বা করেস্পন্ডিং জব করে। চালকের আসনে তখন বাংলাদেশীরা।
পোশাক থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিক্স সব ব্যাবসায়ই প্রায় বাংলাদেশীদের দখলে। বাঙ্গালীরা জাপানিজ সনি, আকাই ফুনাই, ফুজিইতসু, কোরিয়ো স্যামসাং আর এল জির মুল ইম্পোর্টার ও ডিস্ট্রিবিউটর। এমনকি আই বি এম , ইন্টেলের সামগ্রীও তাদের হাত দিয়ে আসে।
কসমস সেন্টারে ঢুকে আমি তাজ্জব! এখানে এসে বোঝার উপায় নেই যে, আমি বাংলাদেশের বাইরে আছি। চারিদিকে গুঞ্জন, হই-চই হট্টগোল, অতি ব্যস্ততা চিরায়ত বাঙ্গালী চরিত্র উপস্থিত।
ভে দে এন খাঁ (আমরা বলতাম বেদেন খা সঠিক উচ্চারনটা একটু কঠিন , রুশ ভাষায় ভি,দ্যা,এন,(খ)হা উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা কয়েক'শ একরের বিশাল কম্পাউন্ড!
মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র থেকে শুরু করে মিউজিয়াম, বানিজ্য কেন্দ্র পার্ক সহ অনেক সরকারী গুরুত্বপূর্ন দফতর এখানে ছিল। কম্যিউনিজমের ভাঙনের পর এখন পার্কগুলো বাদে সবকিছুই বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া খাটছে। এখানটায় এখন গেলে হয়তো বোঝা যাবেনা কম্যিউনিজমের পতনের পর মুর্খ রুশ শাসকরা কিভাবে নিজেদের হাতে নিজেদের গৌরবজনক ইতিহাসকে ধ্বংস করেছে।

পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: বাবনিক এর শুরু থেকেই ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্ব শেষ করতে দীর্ঘ বিরতীতে গল্পের ঘটনা পরম্পরা মনে করতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে(হতে পারে এটা শুধু আমার একারই- বয়স জনিত কারণে)। যাই হোক, স্মৃতি আমাকে প্রতারণা করেনি- আমি গল্পে ফিরে আসতে পেরেছি।

একক গল্প, কবিতায় যেমন একবার পরেই একটা মন্তব্য করে ফেলা যায়- আপনার এই গল্পে সেটা সম্ভব নয়। কারণ, এই গল্পে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাস্ট্রীয় ব্যবস্থাপণা তথা আধুনিক পাশ্চাত্য সামাজিক ও রাজনৈতিক তত্ত্বের প্রভাব ব্যক্তি জীবনে উঠে এসেছে। এই গল্পে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শোষণ এবং ব্যক্তি জীবনে তার প্রভাব খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।

গল্পে বারবার দৃশ্যপট বদল হলেও মানুষের মন-মেজাজ বদল হয়নি। কষ্টের মাঝেও যে সুখ থাকে এবং পরিশুদ্ধ মানুষটিও যে আড়ালে থেকে ছোবল হানতে পারে তা আপনার এই লেখনিতে স্পষ্ট। কারণ, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, রাজনীতি, দর্শন ইত্যাদি কত প্রসঙ্গ-অনুসঙ্গ এসে ভিড় করেছে আপনার এই গল্পে, তবে তথ্যের জঞ্জালে গল্পকে আকীর্ণ করেন না মোটেও। গল্পের শরীর অবয়ব গঠনে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র ব্যবহার করেন বটে, কিন্তু তা কখনোই গল্পের ঘটনাপ্রবাহ বা চরিত্রাবলির স্বাভাবিক বিকাশকে ব্যাহত করে না। আর এটাই একজন পাঠককে আকড়ে রাখে - যার সবটুকু কৃতিত্ব আমাদের অকৃতিম বন্ধু স্বজন সুপ্রিয় ব্লগার লেখক শেরজা তপন ভাইয়ের।

শুভ কামনা। +

১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এমন বিশদ চমৎকার ও লেখককে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করার মত মন্তব্যের উত্তর দিয়ে গিয়ে আমার বেগ পেতে হচ্ছে!!

আপনার এত কিছু মনে আছে দেখে আমি চরম আশ্চর্য হচ্ছি। যেখানে আমাকেই নতুব পর্ব লিখতে হলে পুরনো পর্ব ঝালাই করতে হয় সেখানে!!! আপনার স্মরণশক্তি এখনো প্রখর আছে- বয়সের টেনশন মাথায় আনবেন না।

এখানে আরো কিছু বিষয় লেখার ইচ্ছে ছিল- কিন্তু যখন আমি ভাবি, এভাবে বিশদ লিখলে এই জনমে এই উপন্যাস আর শেষ হবার নয় তখন ক্ষান্ত দেই!

অনেক অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালবাসা রইল আপনার প্রতি ভাই।
এত দেরিতে পর্ব দিলে সবাই খেই হারিয়ে ফেলে - পাঠক এড়িয়ে যায় লেখা, কিন্তু আমি লেখি আমার জন্য, আপনাদের মত দু'চারজন অতি ভালবাসার মানুষদের জন্য।
ভাল থাকুন

২| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১১

শায়মা বলেছেন: কত্তদিন পর আরেকটা পর্ব দিলে ভাইয়া।

রুশীয় স্টুয়ার্ড রমনীরা কি এখনও ওমন সুন্দর আছে?

১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিওতো অনেকদিন পরে আমার ব্লগ বাড়িতে আসলেন আপু :)

একেবারে অধুনাকালের কথা জানিনা। তবে সে সময়ে বেশ সুন্দরী রমণীরা ছিল। আপনি কি জানেন এক সময় রুশীয় বিমানের স্টুয়ার্টদের থেকে বাস ড্রাইভার বেশী বেতন পেত! অনেক মেয়েকেই আমি দেখেছি সে জন্য বাস চালাতে

৩| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: এবার বই আকারে লেখাটা প্রকাশ করুণ। হাতে নিয়ে শুয়ে বসে আরাম করে পড়ি।

১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: এই লেখা শেষ হতে আর কতদিন লাগবে কে জানে- বই হিসেবে আদৌ বের হবে কিনা ,আর শুয়ে বসে আরাম করে পড়া হবে কি না কে জানে!!! ভাল থাকবেন

৪| ১১ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ++

১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: কোন মন্তব্য নেই যদিও তবুও দু দুটো প্লাস দেবার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ । ভাল থাকুন

৫| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গল্পের সব পর্ব পড়িনি তাই শুধু + দিয়েছি।

১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: :) তাই তো
সমস্যা নেই- সময় করে পড়ে নিবেন না হয়।

৬| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অফিশিয়ালি আপনি আজ এই গল্পের শেষ খন্ডের প্রথম পর্বের উল্লেখ করেছেন, তবে আমার মনে হয় সমগ্র সিরিজের শেষ আমরা আগের খন্ডের শেষ পর্বেই পেয়ে গেছি। তবে সে যাইহোক নতুন খন্ড চলতে থাকুক..
পোস্টে লাইক।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: মাত্র তো লিখলাম ৬ বছরের কাহিনী! এখনো দুই যুগের কথা বাকি আছে :)
এই উপন্যাসের মুল বিষয়বস্তুর ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছি এখন। এইটা সবচেয়ে ক্রিটিক্যল পার্ট! লিখতে গিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করতে হচ্ছে। রক্ত মাংসের মানুষগুলো এখনো বহাল তবিয়তে আমার চারপাশে বিচরন করছেন। বিষয়টা সিক্রেসির!
প্রেম যৌনতা ঈর্ষা আর বাবনিকগিরি শেষ। এখন চরম স্পর্শকাতর কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে- যার পুরোটাই সত্য ঘটন। মনে সম্ভবত ব্যতিক্রম কিছুর স্বাদ পাবেন।
হাতে একদম সময় নেই- সময় ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে। অনেক অনেক কিছু লেখার বাকি। এই দন্ডে এই লেখাটা শেষ না করলে আর হয়তো হবেনা। দুই যুগের কাহিনী আমি দশটা পর্বের মধ্যে বেঁধে ফেলতে চাচ্ছি। ফাস্ট ফরোয়ার্ড বলতে পারেন :)
দোয়া করবেন -সাথে থাকবেন। প্রেম যৌনতা আর প্রতারণা ভোগ বিলাস মাতলামী নিয়ে সম্ভবত এইটেই আমার শেষ লেখা।

৭| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০২

সোহানী বলেছেন: কিছু পড়েছি কিছু পড়িনি। সবগুলোর লিংক যদি এক লিখায় দিয়ে দেন তাহলে সুবিধা হয়।

হাঁ, খুব খারাপ থেকেও খারাপ ইউক্রেনের অবস্থা। মেয়ে এবং শিশুরা দেশ ছাড়তে পারলেও ছেলেদের অনুমতি নেই। তারপরও কারা সুযোগ পাবে বের হবার তাও চলে মোটামুটি টাকা আর ক্ষমতার উপর। চরম অরাজকতা চলছে, যা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে। আমার বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধব আছে। তাদের কাছ থেকে নিয়মিত খবর পাই।

সবাই গাছে তুলে মজা দেখছে এখন। ইউক্রেন রাশিয়াতো ভুগছেই, সাথে সারা বিশ্ব ভুগছে। কানাডার মতো জায়গায় তেলের দাম দ্বিগুন। বাকি জিনিসতো আছেই।

১২ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ বাবনিকে আসার জন্য- ছবিখানা পালটে যাওয়ায় চিনতে পারিনি :)
পরামর্শের জন্য ফের ধন্যবাদ। অনেকখানি খাটুনি হয়-সেজন্য এড়িয়ে চলি।

আহা সে কথা আর বলবেন না। দুটো দেশ আর দেশের মানুষের সাথে আমার বহু অনুভুতির সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। কি চমৎকার একটা দেশ বিশ্ব মোড়লদের ভুল কিছু পদক্ষেপে ধ্বংস হয়ে গেল। অঘোরে কত মহামুল্যবান প্রানগুলো শেষ হয়ে গেল!
যুদ্ধের কথা শুনলেই আমার সুমনের সেই গানের চরন মনে আসে;
ওরা এ দেশ ভাগ করেনি দেয়নি কোথাও খড়ির দাগ,
নেতারা সব ঝগড়া করে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ।

- আপনারা নাহয় কোনমতে টিকে থাকবেন- কিন্তু আমাদের কি হবে?? নেতাদের চাপাবাজিতে তো আর দেশ চলবে না!

৮| ১২ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:১৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার বর্ণনাশৈলী প্রকৃত পক্ষেই দারুণ।

১২ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে লেখককে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে!

আন্তরিক ধন্যবাদ-ভাল থাকুন।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




শেষ খণ্ডের প্রথম পর্ব প্রায় একমাস হতে চললো ।
বাকিটা কোথায় শেরজা ।
এতো গ্যাপ দিয়ে লিখলে হবে !

বাই দ্যা ওয়ে, এরকম একটা ঘটনা আমারও একবার হয়েছিলো ঢাকা থেকে সিডনি রিটার্নের সময় ।
একজন কেবিন ক্রু এসে ইকোনোমি চেক-ইন থেকে আমাকে নিয়ে গিয়ে বিজনেস ক্লাসে আপগ্রেড করে দিয়েছিলো ।
বিরল ঘটনা মনে হয় একবারই ঘটে :(




০৬ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঈদের আগে ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে ব্যাপক পেরেশানিতে আছি। করোনায় যে ধাক্কা দিয়ে গেছে সেটা ফের মেরামত করতে গিয়ে বেশ পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
এরপরে আমি আবার অস্থির চিত্তের মানুষ- প্রতিদিন নতুন নতু প্লট ঘোরে মাথায় -ফাঁক পেলে সেইটে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি :(
এই লেখা শেষ হওয়া নিয়ে আমি সন্দিহান!! আদৌ কি হবে জানিনা
আমার পোষ্টে এসে ফের স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সামনে আমার সহজাত ট্রাকের বাইরে বেশ বড় পরিসরের একটা গবেষণামুলক নিয়ে আসছি। সেটাও শেষ হবে কিনা আল্লা মালুম! আশা করি সাথে থাকবেন, পরামর্শ দিবেন। ভুল-চুক ধরিয়ে দিবেন।
এর আগে কিছু চটুল লেখা দিয়ে মাঠ গরম করব কি ভাবছি :)

ভাল থাকুন নিরন্তর।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা আমার মন্তব্য নেই কেনো ?
পড়েছি কিন্তু অনেক আগে ......
দিন না পোষ্ট করে এরপর কি হল পড়ে দেখি।

০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে ডিলিট করে দিয়েছি -নাকি?
আপনি যে আমার ব্লগে এখন মাসে দুমাসে এক আধবার মাত্র ঢুঁ মারেন এর প্রমান এটা।
একটা লেখা লিখতে গেলে আরো পাঁচটা এসে গাঁই-গুই করে। এরপে সব লেখা বন্ধ করে বিশ্রামে যাই :)
সময় পেলে ইচ্ছে আছে এই ঈদে শেষ করার। কিন্তু পুলাপান বায়না ধরেছে নানু বাড়ি যাবে- সেথায় গেলে লেখা চাঙ্গে উঠবে :(

দেখি কি হয়। অগ্রীম ঈদ মোবারক

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: বাবনিক কাহিনি তাহলে এখনো আছে? প্রথমটা পড়ে রাখলাম.... :D

পোশাক থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিক্স সব ব্যাবসায়ই প্রায় বাংলাদেশীদের দখলে। == এখন কী অবস্থা....ব্যবসা-ট্যাবসা কী আছে বাংলাদেশীদের সাথে?

আপনার এই বাবনিক ব্লগের ইতিহাসে একটি কালজয়ী লেখা হিসেবে চিহ্নিত হবে!

১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন বাদে আপনাকে পেলাম ভাই 'আখেনাটেন'! ব্লগে এত অনিয়মিত হলে সবাই ধীরে ধীরে ভুলে যাবে যে।
আপনার মত এমন উঁচু মাপের লেখক ব্লগার-কে অনেকেই খুব মিস করে।

~ এর পরের পর্বে এই ব্যাবসায়ীদের নিয়ে খানিকটা আছে লেখা। তবে এখন আর সেইন দিন নেই। তবে অনেকেই প্রচুর টাকা পয়সা কামাই করে অন্য দেশে ব্যাবসা করছে এখনো।
বাবনিক শুরুর সময়ই বলেছিলাম; এলেখা করে শেষ হবে কিংবা আদৌ শেষ হবে কি-না বলা মুশকিল। লেখার গতি নির্ভুলভাবে সে দিকেই এগুচ্ছে :)
~ এইটা কি বললেন!!! আরে না ভাই বেশী হয়ে গেল। এইটা নেহায়েত এলে-বেলে একটা লেখা মাত্র।

ভাল থাকুন নিরন্তর- ব্লগে একটু নিয়মিত হউন।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

আরাফআহনাফ বলেছেন: এলিনা যেখানেই থাকুক - ভালো থাকুক।

২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমারও সেই কামনা।

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: ল্যাপটপ ঠিক করে নিয়ে এসে প্রথম পর্বটি পড়ে শেষ করলাম । আজকে পুরোটা শেষ করতে পারবো আশা করি !

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: যাক ল্যাপটপ ঠিক হল অবশেষে- ওটা ছাড়া আপনি ভীষণ বেকায়দায় ছিলেন। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
অপেক্ষায় রইলাম...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.