নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
‘কসমস’সেন্টার। রুশ জাতির গর্ব করার মত অনন্য সাধারন মিউজিয়াম ছিল এটি। যা ছিল অন্য আর দশ-পাঁচটি মিউজিয়াম থেকে সম্পূর্ন ব্যাতিক্রম। মিউজিয়ামের বাইরে বিশাল ওই চত্বরে ঢুকলেই প্রথমে নজরে আসবে দুটো অত্যাধুনিক বিমান আপনাকে স্বাগত জানাতে পাখা মেলে দাড়িয়ে আছে । হয়তো ওর শেষ যাত্রী আপনিই আপনাকে পেটে পুরেই ও উড়াল দিবে অনির্দিষ্ট গন্তব্যে। কাছে গেলে অবাক হবেন সত্যিকারের বিমান দুটোর পেটে রেস্টুরেন্টের সাইন বোর্ড দেখে। বিমান দুটোর পিছনেই দাড়িয়ে আছে সুচালু অগ্রভাগ উর্ধ্বমুখে রেখে দু'দুটো রকেটকে পিঠে করে দুটো রকেট বুষ্টার।
মহাকাশ ভ্রমনে যাবেন? ঠিক এমনই একখানা রকেটে করে চাঁদে গিয়েছিলেন নীল আর্মষ্ট্রং ,ইউরি গ্যাগারিন, এডউইন অলড্রিন। বিস্বয় ভরা চোখে সেদিকে কিছক্ষন চেয়ে থেকে একটা দ্বীর্ঘশ্বাস বুকের ভিতর চেপে রেখে শুভ্র ফেনিল পানির ফোয়ারাটা পেরিয়ে এগিয়ে যান মুল মিউজিয়ামের দিকে - বিশাল উঁচু গেট গলে ভিতরে ঢুকতেই আপনি থমকে দাড়াবেন চমকে উঠবেন সন্দেহ নেই!
অনেক দুর থেকে মাইকেল গ্যাগারিনের বিশাল পোট্রেট আপনাকে হাসিমুখে সন্ভাষন জানিয়ে মৃদু হেসে বলবে, আসুন আমাদের গর্বের ও মহান কর্মের ভাগীদার আপনিও হোন।
কি ছিলনা সেখানে। বিশাল বিশাল মহাকাশ যান থেকে শুরু করে মায় প্রথম মহাকাশচারী প্রানী ‘লাইকা’র মমি পর্যন্ত।
আর এখন সেখানে ইলেকট্রনিক্সের পাইকারী বাজার থেকে শুরু করে বাংলাদেশী ভাতের রেস্টুরেন্ট। মিউজিয়ামের অমুল্য ডেকোরশন পিসের কতকগুলো প্রশাসন সরিয়ে নিয়ে গেছে কয়েকটা চুরি গেছে আর বাকিগুলি এখানে পরে পরে নস্ট হচ্ছে। চারিদিকে ভাঙনের আভাস। স্যাঁতসেতে মেঝেতে শত শত গর্ত! ছাদ আর দেয়ালের বর্ননা নাইবা করলাম।
ইউরি গ্যাগারিনের ধুলি মলিন ছবিটা এখনো ওভাবে পরে আছে। বিষন্ন নয়নে সে চেয়ে চেয়ে দেখছে মহান সৃস্টির দুর্ভগ্যজনক পরিনতি!-লেখার এই অংশটুকু আমার লেখা ‘কাগদা তো-ভ রাশিয়ার’ শেষ পর্ব থেকে নেয়া)
পেরেস্ত্রোইকার পরেই রাশিয়ার হাউস-হোল্ড ইলেকট্রনিক ও গার্মেন্টস ব্যাবসার বড় অংশ বাংলাদেশীদের দখলে চলে যায়। তবে দখল বললে ভুল হবে –তারা এই ব্যাবসান সর্বপ্রথম ওখানে শুরু করে ।
টেকনোটেক, মিয়া,ডারটল্যান্ড নামে তৎকালীন রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও বেশ কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশীদের হাত ধরে গড়ে ওঠে।
২৫শের কম বয়েসী এম গে উ( মস্কো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) এর এক স্টুডেন্ট চ্যাংড়া ছেলে তুহিনের গড়া ‘ডার্টল্যান্ড’ সর্বপ্রথ্ম রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে( তখনও বেসরকারি চ্যানেল আসেনি) একঘন্টার একটা অনুষ্ঠান স্পন্সর করত। এমনকি রাশিয়ার মেট্রোতে বিজ্ঞাপন প্রচারনার ধারনা তারাই দেয়- ছুটে চলা মেট্রো কোচে 'ডার্টল্যান্ডে'র বিজ্ঞাপন দেখে আমাদের বুকটা গর্বে ফুলে উঠত।
তবে অতি উচ্চভিলাষি পরিকল্পনা। কল্পনাতীত অর্থের আগমনে দিশেহারা হয়ে যাওয়া, নিজ দেশের বন্ধু ও ঘনিষ্ঠজনের বিশ্বাসঘাতকতা। বিশাল ব্যাবসা পরিচালনার জন্য লোকবলের অভাব কিংবা অযোগ্য লোক দ্বারা পরিচালনার অভাব সহ নারি মদ জুয়ায় চরম আসক্তি , অন্য দেশের কোর ব্যাবসায়ীদের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে খুব অল্পদিনের তারা তাদের অবস্থান হারিয়ে ফেলে। ধীরে ধীরে সবাই ভুলে যায় তাদের কথা।
আমি দ্বীতিয়বার যখন গেলাম রাস্তায় বিশাল বিশাল বিলবোর্ডে ঝুলছে টেলি কমিউনিকেশন, বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউস আর নামীদামী ইলেকট্রনিক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন! আলাদীনের চেরাগের ছোঁয়ায় অবিশ্বাস্যভাবে ফুলে ফেপে ওঠা বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীরা তখনো টিকে আছে কিন্তু ধীরে ধীরে কোনঠাসা হয়ে পড়ছে।
তখন কসমস কেন্দ্রিক ব্যাবসা-টাই বেশী জমজমাট।
ববির অফিসে ঢুকে দেখি হুলস্থুল অবস্থা! ওর তিন চারজন পার্টনার সহ বেশ কিছু রুশ-বাঙ্গালি কর্মচারি চরম ব্যাস্ত। অফিস সহকারি, একাউন্টেন্ড, ম্যানেজার সুবেশী, এডীকেটেড দুর্দান্ত রুপসী রুশীয় সুন্দরীরা অফিসটাকে যেন উদ্যান করে রেখেছে।
আমি ওদের দিকে লোভী দৃস্টিতে তাকিয়ে সাইফকে ইশারায় বললাম, কি রে কি অবস্থা??
ববি একটা ফিচেল হাসি দিয়ে দিয়ে চোখ টিপে আমাকে বুঝিয়ে দিল এটা নুস তো( অতি স্বাভাবিক ব্যাপার)।
ঠিক তখুনি ড্রাইভার ভারি মিষ্টির প্যাকেটগুলো অফিসে এনে রাখল।
আলাউদ্দিন তখনো বাংলাদেশের সবচাইতে স্বনামধন্য বাংলাদেশী মিষ্টির ব্রান্ড। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন যায়যায়দিনের শেষ পাতাজুড়ে তখনো 'আলাউদ্দিনের মিষ্টি অপূর্ব সৃষ্টি' শিরোনামে বিজ্ঞাপন চলে! কারো বাড়িতে বেড়াতে গেলে এই ব্রান্ডের মিষ্টি অতিথির ইজ্জত বাড়ায়! আমি আসার সময়ে সেখান থেকে দশ কেজি শুকনো মিষ্টি নিয়ে এসেছি।
কেন? কেননা দারুন একটা সুখবর পেয়েছিলাম আসবার আগে- ঠিক দিন সাতেক আগে ববি এলিনার ঘর আলো করে তাদের প্রথম কন্যাসন্তানের পৃথিবীতে আগমন!
ববি চেয়েছিল পুরো কসমস সেন্টারের সবাইকে খাঁটি বাংলাদেশি মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করবে। প্যাকেটে করে মিষ্টি আনা বেশ হুজ্জোতি। ইচ্ছে থাকলেও কেজি দশেকের বেশী মিষ্টি আনার রিস্ক নেইনি।
পরের পর্ব~৩ ও ৪ঃ Click This Link
প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: মুন্নু সাহেব একটা মেডিকেল কলেজ করেছেন। চমৎকার তার পরিবেশ এবং পড়াশুনার মান ও বেশ ভাল। তিনি মারা যাবার পরে তার কণ্যা( মাহমুদুর রহমানের সহধর্মিনী) চেষতা করছেন্সিরামিক ব্যাবসাটা টিকিয়ে রাখতে কিন্তু সার্বিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়।
আপনার মন্তব্য আমাকে সবসময়ই দারুনভাবে উদ্দীপ্ত করে।
ঠিক বলেছেন- মন খারাপ করার মত ব্যাপার। আমরা যেন তখন দুঃসপ্ন দেখছিলাম। ভাবতেই পারিনি আকটা গৌরবময় ইতিহাসের এমন করুন পরিণতি হবে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। সামনের দিনগুলোতে সাথে পাব জেনে আনন্দিত হলাম।
ভাল থাকুন
২| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন অর্থাৎ বর্তমানে ওখানে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা কেমন অবস্থানে আছে।
০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু ব্যাবসায়ী কালের গর্ভে হারিয়ে গেছেন- কিছু ব্যাবসায়ী প্রচুর টাকা পয়সা আয় করে অন্য দেশে এমনকি বাংলাদেশেও ইনভেষ্ট করেছেন। এর মধ্যে কিছু মাল্টি মিলিওনার এমনকি বিলিওনারও আছে।
তবে সব মিলিয়ে সার্বিক অবস্থা ভাল নয়। মস্কো এখন মাফিয়ার শহর। স্থানীয় ছাড়া ব্যাবসা করে টিকে থাকা দুরুহ।
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুব ঐতিহ্যময় গৌরবময় একটি সোনার দেশ ছিল সোভিয়েট ইউনিয়ন।
খুব ইচ্ছা ছিল অন্তত একবার মস্কো ভ্রমণের।
আপনার লেখাগুলো খুব মূল্যবান রাশিয়ান অভিজ্ঞতার আরকাইভ। আমি আপনার সবগুলো লেখা সেভ করে রাখবো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে লিখি! এখানে তথ্যগত ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে!
আপনার মন্তব্যে আমি বিমোহিত হলাম -বিস্মিত হলাম ভাই। তবে এত মুল্যবান নয় এটা মোটেও- আমার থেকে অনেক অনেক বেশী কিছু জানা বাঙ্গালীরা রাশীয়ায় বাঙ্গলাদেশীদের অতীত গৌরব নিয়ে চুপ করে আছে দেকে আমি কিছু বলার চেষ্টা করি।
নব্বুই ভাগ বাঙ্গালো বিশ্বাস ঘাতকতা করে( অথবা সেখানে করেছে)। না হলে আজো সেখানে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা দাপটের সাথে ব্যবসা করত বলে আমার বিশ্বাস,
অনে ধন্যবাদ ও ভালবাসা নিবেন।
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এই পর্বে মন্তব্য করতে এসে গল্পের ধারাবাহিকতা খুঁজতে পেছনের দুই পর্ব পড়তে হয়েছে- তবে আগের পর্বগুলো মনোমুগ্ধকর ছিল বলেই সহজে সব কিছু মনে করতে পেরেছি।
বাবনিকের 'মাল্টিন্যাশনাল চরিত্রগুলোর' নিজস্ব বয়ানের ভেতর দিয়ে উপন্যাস ইন্টারন্যাশনাল চরিত্র নিয়ে তার লক্ষ্যে পৌঁছে যাচ্ছে সাবলিল গতিতে। সেই সাথে নিঃসন্দেহে নতুন এক সৃষ্টির সাথে পরিচিত হচ্ছে আপনার পাঠককূল।
সামাজিক, রাজনৈতিক, সাহিত্য, ব্যবসা বানিজ্য এবং বিজ্ঞান নিয়ে অনেক চরিত্রের সমাবেশ থাকলেও পড়তে কখনোই মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি- এটাই আপনার লেখনী শক্তির অন্যতম আকর্ষণ! উপন্যাসে যখন প্রতিটি চরিত্র কথা বলবে, সেই কথায় আসলে তাদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ ফুটে উঠবে। এতে করে পাঠক শুধু গল্পের সাথে এগোবে না, বরং পাঠকের জন্য একটু সুযোগ রেখে দিয়েছেন যেখানে গল্পের সাথে পাঠকের নিজস্ব ভাবনাও এগোতে থাকবে, কারণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আসলে শুনে যেতে হবে প্রতিটি চরিত্রের নিজস্ব বয়ান!
চমতকার এবং অসাধারণ!!!
০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আগেও বলেছি। আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আমি একটু বেকায়দায় পড়ি।
এত চমৎকার মন্তব্যের উত্তর দু-চার কথায়তো দেয়া যায় না। বাবনিক লেখাটাকে আমার অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাচ্ছি। সেজন্য পরিণত বয়সে এসে লিখছি, আমি লেখায় দীর্ঘ বিরতি দিচ্ছি অন্যান্য কিছু বিষয়াদি ছাড়াও এটাকে নিয়ে আরো ভাবার জন্য, নিজেকে আরো বেশী পরিণত করার জন্য। চাইলে আমি পনের দিনে এ লেখা শেষ করতে পারি- প্লট তো আমার বুকে।
আমি জানি এভাবে লিখলে আগের পর্বগুলো সবাই ভুলে যাবে- নতুন পর্বো পড়তে উৎসাহ পাবে না, লাইক কমেন্ট অনেক কম আসবে। তবে যেমনই হোক আপনার মত দু-ইয়েকটা ঋদ্ধ ব্লগার ভালবেসে আমার পাশে থাকলেই চলবে।
এ লেখা শেষ করা অনেক কঠিন- এখন আমি এর সবচাইতে কঠিনতম পর্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। কি বোর্ডের সামনে বসে চিন্তা করি লেখা আর এগোয় না।
পরিশেষে, একটু বেশী ভালবেসে এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: শেষ খন্ড। দ্বিতীয় পর্ব, । প্রথম পর্ব। ইত্যাদি শিরোনাম গুলো জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: একটু আধটু জটিলতা সৃষ্টি হয় বটে। কিন্তু এর থেকে সহজ কোন পন্থা পাইনি।
বিষয়টা খোলাখুলি বলায় ভাল লেগেছে।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
সোভিয়েত ভেংগে যাবার ফলে, ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ কি লাভবান হয়েছিলো?
০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে উক্রাইন না ঘরকা না ঘাটকা। সুদীর্ঘ সময় সোভিয়েত উপনিবেশ( এটাই বলা যতার্থ) থাকার জন্য তাদের নিজেদের গড়ে তোলার মত কোন নেতৃত্ব গড়ে ওঠেনি! উক্রাইনের মাথা বা বুদ্ধিমান মানুষ( মুলত ইহুদী) মাইগ্রেট করায় ও তাদের জনসঙ্খ্যার বৃহত একটা অংশ রাশীয়ান বংশদ্ভুত থাকায় বিষয়টা আরো জটিল হয়েছিল।
সুভাষ বোস বলেছিলেন,দীর্ঘ সময় ভীনদেশী শাসকদের দ্বারা শাসিত হবার জন্য- ভারতবর্ষ কখনোই সুচারুরূপে নিজেদের দ্বারা শাসিত হতে পারবে না( এই টাইপ)।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি আসার সময়ে সেখান থেকে দশ কেজি শুকনো মিষ্টি নিয়ে এসেছি।
কি ছিলো সেগুলো ?
আলাউদ্দিন সুইটসের মাওয়া লাড্ডুটা মজা ।
০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০১
শেরজা তপন বলেছেন: সৌম্য আমাকে বলেনি
ওকে জিজ্ঞেস করে জানাব। হ্যা হ্যা ভুলে গিয়েছিলাম সেটার কথা। তখন মুখে স্বাদ ছিল- যা খাইতাম তাই মজা লাগত!
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা, আমিও ফ্রেন্ডসরা যা খেতে চায় তাই নিয়ে আসি ।
এক ফ্রেন্ড রসকদম লাইক করে ।
যদিও নাম রসকদম কিন্তু ওটা কদম ফুলের মতো দেখতে সন্দেশ ।
আরেক ফ্রেন্ড বলেছিলো পোড়াবাড়ীর চমচম খাবে ।
টাঙ্গাইল থেকে গিয়ে নিয়ে এসেছি ।
আরেকজন ফুলপিঠা আই মিন নকশী পিঠা পছন্দ করে ।
তারজন্য স্পেশাল অর্ডার করে বানিয়ে এনেছি ।
এগুলো আমাদের বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল খাবার ।
এখানে এসব কোথায় পাবে !
এগুলো বাংলাদেশি ফ্রেন্ডস যারা এখানে তাদের জন্য ।
আমি আবার আমার অজি ফ্রেন্ডসদেরও এগুলো খাওয়াই ।
ওরা বলে অনেক বেশী মিষ্টি । বলে কিন্তু তারপরও খাবে ।
আবার বলবে নেক্সট টাইম আনলেও যেন মনে করে দেই
০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১০
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ রস কদম্ব আসলেই মজার। প্যারা সন্দেশ ও ভাল লাগে। আমাদের এলাকার( রাজবাড়ি) চমচম দারুন, তবে আগে থেকে স্পেশাল অর্ডার দিয়ে রাখলে দাম বেশী নেয় কিন্তু তেমন স্বাদ! আমি মিষ্টি কম খাই তবে 'লবঙ্গ' মিস করি ভীষন।
খেয়েছেন কখনো?
গজার ময়ানে রুটি বেলে মাঝে দুধের খিসসা দিয়ে প্রোটার মতচার ভাজ করে একটা লবঙ্গ দিয়ে মুখ আটকে দেয়। তার পর ভেজে জাফরান মেশানো চিনির সিরায় ভিজিয়ে তুলে ফেলে( গজার মত)। আহ তেমন স্বাদের মিষ্টি। এখন আর কেউ করে না। রাজশাহিতে খেয়েছিলাম 'কমলাভোগ'। টেকের হাটের 'সন্দেশ' দানাদার, গুরের বাতাসা হারিয়ে গেছে সব।
দারুন মন্তব্যে মজা পেলাম বেশ।
৯| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছবি এবং পোস্ট দুইটাই সুন্দর।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল! ধন্যবাদ আপনাকে গোফরান ভাই-ভাল থাকুন।
১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর আসায় খেই হারিয়ে ফেলেছি ভায়া!
জুলভার্ন ভায়ার মতো ব্যাকএন্ডে ঘুরে আসতে হবে মনে হচ্ছে!
আচ্ছা- বাবনিক সিরিজনা একবার শেষ করেছিলেন? যতটুকু মনে আছে?
এটা কি সিকুয়াল? একই নামে? কনফিউজড
যাই হোক-
আপাতত ঈদ সামনে, তাই ঈদের শুভেচ্ছা
ঈদ মোবারক
০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: খেই হারানোর জন্যই এত গ্যাপ দিয়ে পর্বগুলো দিচ্ছি। যাতে পুরনো পর্বগুলো বার বার পড়েন।
যেটাকে আপনি শেষ বলে ভাবেছিলেন সেটা আসলে তৃতীয় খন্ডের শেষ পর্ব
আমি তখুনি বলেছিলাম- ভুলে গেছেন।
অনেকদিন বাদের আমার ব্লগ বাড়িতে আসলেন। খুব ভাল লাগল। আপনাকে মিস করি ভীষন
১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশ মন কেমন করে উঠলো, ইউরি গ্যাগারিন , লাইকা কত আপন আপন নাম। গ্যাগারিনের হাসি মাখা মুখের ছবি টা মনে এখন ও জীবন্ত। বাঙালীরা সব সময় " স্বাধীনতা অর্জনের চয়ে রক্ষা করি কঠিন " এই প্রবাদের সত্যতা প্রমাণে বেশি ব্যস্ত।
বাহ মন ভালো হয়ে গেলো ববি এলিনার মেয়ের জন্মের খবরে। অভিনন্দন জানিয়ে দিয়েন। আর সৌম্য কে বালতি বালতি সমবেদনা। আপনার সৌম্য আর মিশু সারাজীবন সাইড নায়ক হয়ে ই গল্পের সাইডে থাকলো।
১৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে সামনাসামনি এসব দেখে আমার কেমন লেগেছিল বলতে পারেন। এরপরে তখন নেহাতেৎ কচি বয়স- আবেগ অনেক বেশী ছিল।
হ্যা সেটা বেশ ভাল খবর বৈ কি! সে এখন 'বাবনিকে'র আরেকজন গুরুত্বপুর্ণ ক্যারেক্টার হয়ে গেল।
হেঃ হেঃ মিশু সৌম্যরা সব আমার মত- তবে আমি নই বলে রক্ষে
বরাবরের মতই আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল। আজকে একটু সময় পেয়েছি বলে ব্লগে বেশ খানিকটা সময় দিচ্ছি।
১২| ২০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
আরাফআহনাফ বলেছেন: বাংগালী ব্যাবসায়ীর খুব কম সময় পর্যন্তই তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে।
জুনাপুর সাথে একমত।
প্রদীপের শেষ আলোটুকু নিভু নিভু হয় - কেমন যেন তাই মনে হলো এ পর্বটি।
ভালো থাকুন প্রিয় সুহৃদ, শেরপাজী!
২০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: ~প্রদীপের শেষ আলোটুকু নিভু নিভু হয় - কেমন যেন তাই মনে হলো এ পর্বটি।
- মানে কি এই পর্বটা একটু ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে গেছে??
ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। পরের পর্বে আমন্ত্রন রইল - ভাল থাকুন নিরন্তর।
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কসমস সেন্টারের একাল ও সেকাল পড়ে অবাক হলাম। এত ঐতিহ্যশালী একটা জায়গা হঠাৎ করে এখন স্যাঁতস্যাতে আদ্র মার্কেট কমপ্লেক্সে পরিণত হবে তাও এতটা নোংরা, বিষয়টা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। তবে তা সে যা হওয়ার হয়ে গেছে তার মধ্যে টেকনোটেপ মিয়া ডটল্যান্ডের মত নামি প্রতিষ্ঠান যে বাংলাদেশীদের হাত ধরে গড়ে উঠেছে শুনে আনন্দ পেলাম। বর্তমানে তারা কিছুটা নিষ্প্রভ হলেও ববির এমন উত্থান বন্ধু হিসেবে ভালোলাগারই কথা। সঙ্গে এলিনা ও ববির সংসারের আলো করে আসা নবজাতক কন্যার জন্য শুভেচ্ছা রইল। সঙ্গে 'আলাউদ্দিনের মিষ্টি অপূর্ব সৃষ্টি'-জানিনা আলাউদ্দিন মিয়ার মিষ্টির সঙ্গে ইহু জীবনে কখনো পরিচয় ঘটবে কিনা।
পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: এবার আপনার মন্তব্য আপনার মত করে হয়েছে
কসমস সেন্টার নিয়ে অন্য লেখায় বিস্তারিত আছে। বিষয়টা অনেক কষ্টের।
হ্যা ওদের উত্থানে সেই সময়ে বাংলাদেশীদের ভাব ছিল আলাদা।
দেশের বাইরে ওদের বেশ কয়েকটা ব্রাঞ্চ আখনো টিকে আছে না। দেশে আর দেখিনা ওদের।
অনেক ধন্যবাদ সহ ভালবাসা ও শুভেচ্ছা আপনাকেও
১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: বাঙালীর জয়যাত্রার এমন নিম্নগামীতা দেখে মন খারাপ হলো.....টিকে থাকতে পারলে.... মস্কোতেও হয়ত লন্ডনের মতো বাঙ্গালীদের পদচারণা হত.....কিংবা তুর্কিরা যেভাবে জার্মানীতে ঘাঁটি গেড়েছে সেরকম কিছু.....।
দুর্দান্তভাবে এগুচ্ছে আপনার লেখা......
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: এতদুরে এসে আপনাকে দেখে দারুন পুলকিত হলাম!
ঠিক বলেছে -আফসোস হয়
১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: বাঙ্গালিরা সত্যিই ওখানে এমন অবস্থানে গিয়েছিলো সেটা আমি আপনার পোস্ট পড়েই কেবল জানলাম ! সত্যি বলতে কি রাশিয়া সম্পর্কে আপনার পোস্ট গুলো অনেক ইনফরমেটিভ ! আপনার লেখা বইটা আমার হাতে এসেছে । সেখান থেকেও রাশিয়াকে চিনছি !
২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা ফেসবুকে দেখলাম
চেষ্টা করি আমার চেনা দেখার রাশিয়াকে সবার সামনে তার স্বকীয় রূপে হাজির করতে। সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি হয়তো থাকে- এতগুলো বছর পেরিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক মনে থাকবার কথা নয়। সত্যিকার অর্থে পেরেস্ত্রোইকার পরের সেই রাশিয়াকে( ৯০এর শুরুতে) আমি প্রচন্ডভাবে ফিল করি।
আমি প্রথম যেদিন মস্কো গেলাম; আমার গাইড সেদিন আমাকে ম্যাগডোনাল্ডের বার্গার খাইয়েছিল। সেই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক চেইন ফুড রেষ্টুরেন্ট এর বার্গার খেলাম। এর পরে মাস তিনেক এত বিস্বাদ খাবার খেয়েছি যে সেই বার্গারের ঘ্রান লেগেছিল নাকে। আজও আমি যে কোন দেশে গেলে প্রথমে ঢুকি ম্যাগডোনাল্ডে। বার্গারের প্রথম কামড়ে আমি সেই রাশিয়াকে অনুভব করি!
১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: বার্গার খাওয়ার গল্প আমি বইতেই পড়েছি । মুগ্ধ হয়েছেন খেয়ে অন্য দিকে আমাদের দেশের অখাদ্য বার্গারের বর্ণনাও দিয়েছেন বেশ। যদিও ম্যাগডোনাল্ড এখনও দেশে আসে নি তবে দেশে বেশ চমৎকার বার্গার পাওয়া যায় ।
২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা একসময় 'উইম্পি' এসেছিল- টিকতে পারেনি। একটু মানসম্পন্ন বাজ্ঞার শুরু করে 'হেলভেশীয়া'। তারপরে কে এফসি। গুলশান
২ নম্বরে ' এমেরিকান বার্গার' বেশ স্বুসাদু ছিল! এখন চলছে বার্গার কিং। তবে দেশী অনেক ফাস্টফুড বিক্রেতারা বেশ ভালই বার্গার
করে তবে মান কেমন বলা মুস্কিল! এই লেখা ও আমার বই পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৬
জুন বলেছেন: বাংগালী ব্যাবসায়ীর খুব কম সময় পর্যন্তই তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারে । ধরেন মুন্নু সিরামিক সেই সিরামিকের জিনিসই বানিয়ে চলেছে তারা আর কোন দিকে নজর দিয়েছে কি না জানা নেই । দিলকুশায় আমাদের পরিচিত এক বিখ্যাত হোটেলে নাকি এখন ডাল ভাত রান্নার অবস্থাতেও নেই । আস্তে আস্তে সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে তাদের পরিবার ।
খুব মন খারাপ লাগলো গৌরবময় সোভিয়েত ইউনিয়নের এই পতনে । মহাকাশ গবেষনয়ায় তাদের কতই না অবদান । ইউরি গ্যাগারিন, ভ্যালেন্তিনা তেরেস্কোভা আর লাইকার সাথে প্রথম পরিচয় আমাদের শৈশবে , রুশদের দাতভাংগা নামের সাথে মহাকাশ অভিযানের কাহিনী ।
সাথে আছি বাবনিকের শেরজা তপন । তবে বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধর ফলে এই গৌরবময় সাথে বহু প্রাচীন ঐতিহ্য আর ঐতিহাসিক একটি দেশের পরিনতি বড্ড দুখঃজনক ।
+