নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসল তথ্য কি????

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৫


গতকালের পত্রিকার দুটো সংবাদ নিয়ে আমি ব্যাপক কনফিউজড। যদিও আমি এসব আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখি তবুও নিজেকে নিবৃত করতে পারলাম না;
দেশে মজুদ ও তেলের ঘাটতি নেই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পেট্রোল অকটেন রয়েছে। ডিজেল কিনতে হবে। কিন্তু আপনাকে পেট্রোল-অকটেন কিনতে হবে না। দেশে মজুদের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন যে মজুদ আছে তা দিয়ে আমরা তিন মাস, ছয় মাস, নয় মাসের খাদ্য কিনতে পারি।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি সেখান থেকে বাই প্রোডাক্ট (উপজাত) হিসেবে রিফাইন করা পেট্রোলও পাই, অকটেনও পাই। বরং যতটুকু চাহিদা তার থেকে অনেক বেশি পেট্রোল এবং অকটেন ? আমাদের আছে এগুলো অনেক সময় বাইরে বিক্রিও করি। -বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৮শে জুলাই( হুবুহু তুলে ধরা হল)
মন্তব্যঃ হে মোর মওলা এতদিন পরে এসে জানলাম বাংলাদেশ পেট্রোল/ অকটেন রপ্তানি করে!!! আমার এই দেশে থাকার কোন যোগ্যতা নেই।
--------------------------------------
ডিজেল চাহিদা মিটবে ৩২ দিনের : বিপিসি- বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৮শে জুলাই( হুবুহু তুলে ধরা হল)
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, যে পরিমাণ ডিজেল মজুদ আছে, তাতে সারা দেশের ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। একই সঙ্গে বর্তমানে পেট্রোলের মজুদ ১৫ দিনের, অকটেনের নয় দিনের, ফার্নেস অয়েল ৩২ দিনের, জেট ফুয়েল ৪৪ দিনের মজুদ আছে। গতকাল বিপিসির ঢাকা লিয়াজোঁ অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ একটি চক্রাকার প্রক্রিয়া। আজকে যে অকটেনের 'মজুদ নয় দিনের, দু-এক দিনের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেনবাহী একটি জাহাজ আসবে। সেটা আসার পর মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ দিনের।
জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত নয় বিপিসি। আগামী ছয় মাসের আমদানি পরিকল্পনা তৈরি করা আছে। এই সাইকেলে কোনো সমস্যা নেই। পেট্রোলের শতভাগ দেশেই উৎপাদন হয়। এর সঙ্গে মজুদের কোনো সম্পর্ক নেই । বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পেট্রোল পাম্পকে তেল কম বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যারা নিজ উদ্যোগে এমনটা করছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ছয় মাসের আমদানি পরিকল্পনা তৈরি করা আছে। এই সাইকেলে কোনো সমস্যা নেই। দেশে বর্তমানে ডিজেল ৪ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন, পেট্রোল ২১ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল ৬২ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন এবং ফার্নেস অয়েল ৮৫ হাজার ৪১ মেট্রিক টন মজুদ আছে। সারা দেশে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেলের চাহিদা রয়েছে।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা : বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া আগামী ছয় মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপলাইনে রয়েছে। জুলাই মাসে ১৪টি জাহাজে এসেছে জ্বালানি তেল, আগস্টে আসবে আরও ১০ জাহাজ।
----------------------------------------------
এখন একটুখানি আলোচনা করি তেল গ্যাস নিয়ে( আমি এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই- ভুল থাকলে শুধরে দিবেন দয়া করে)

প্রাকৃতিক গ্যাসঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহারের জন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস পরিবহনের পাশাপাশি, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) হিসেবে তৈরি করা বা গ্যাস-থেকে-তরল (GTL) প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসকে অন্যান্য তরল পণ্যে রূপান্তর করা যায়। GTL প্রযুক্তি প্রাকৃতিক গ্যাসকে তরল পণ্য যেমন পেট্রল, ডিজেল বা জেট ফুয়েলে রূপান্তর করতে পারে। Fischer–Tropsch (F-T), মিথানল থেকে গ্যাসোলিন (MTG), এবং সিন্থেসিস গ্যাস থেকে গ্যাসোলিন প্লাস (STG+) সহ বিভিন্ন GTL প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। F–T সিন্থেটিক ক্রুড তৈরি করে যা আরও উন্নততর পণ্যে পরিমার্জিত হতে পারে। অন্যদিকে MTG প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সিন্থেটিক পেট্রল তৈরি হতে পারে। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে একক-লুপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি গ্যাসোলিন, ডিজেল, জেট ফুয়েল এবং সুগন্ধি রাসায়নিক তৈরি করা সম্ভব।

তেলের খনিতে গ্যাস পাওয়া যায়। কয়লার খনিতেও গ্যাস পাওয়া যায়- আবার গ্যাসের খনিতেও তেল পাওয়া যায়।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ২ কোটি ৮০ লক্ষ ব্যারেল তেলের মজুত রয়েছে। যা বিশ্বের মজুত তেলের ০.০% । এই তেল পুরোটা উত্তোলন করলেও এক বছরের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়।
বিশ্বের মোট চাহিদার মাত্র ০.১ ভাগ বাংলাদেশ ব্যাবহার করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের কি আদৌ গ্যাসকে গ্যাসোলিন,ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনে এ রুপান্তর করার জন্য STG+ প্লান্ট আছে? গ্যাসকে যদি রুপান্তর করাই হয় তবে আমাদের দৈনন্দিন ব্যাবহার গ্যাস আসে কোত্থেকে?
এর শেষের উত্তরটুকু আছে এখানে- কিন্তু STG+ প্লান্টের মাধ্যমে উৎপাদিত পেট্রল ও অকটেন আসলেই কি আমাদের পুরো বছরের চাহিদা মেটাতে পারে?

STG+ প্লান্ট: চুল্লি ৪ থেকে মিশ্রণটি ঘনীভূত হয়ে পেট্রোলে/অকটেনে রুপান্তরিত হয় । নন-কনডেন্সড গ্যাস এবং পেট্রোল একটি প্রচলিত কনডেন্সার/সেপারেটরে আলাদা করা হয়। পণ্য বিভাজক থেকে বেশিরভাগ নন-কনডেন্সড গ্যাস পুনর্ব্যবহৃত গ্যাসে পরিণত হয় এবং ফিড স্ট্রীমে রিঅ্যাক্টর ১-এ ফেরত পাঠানো হয়।
-----------------------------------
পেট্রোলিয়ামঃ ভূগর্ভ থেকে যে তরল জ্বালানি তোলা হয় তাকে পেট্রোলিয়াম বলে। অপরিশোধিত তেলকে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য এর বিভিন্ন অংশকে আংশিক পাতন পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়। পেট্রোলিয়ামে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদানের স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন ভিন্ন হয়। স্ফুটনাংকের উপর ভিত্তি করে তেল পরিশোধনাগারে পৃথকীকৃত বিভিন্ন অংশের নাম পর্যায়ক্রমে পেট্রলিয়াম গ্যাস,পেট্রোল (গ্যাসোলিন),ন্যাপথা,কেরোসিন, ডিজেল তেল,লুব্রিকেটিং তেল ও বিটুমিন। মিথেন ও ন্যাপথেন এবং এ্যারোমেটিক ক্রমের তরল হাইড্রোকার্বনের রাসায়নিক মিশ্রণই হচ্ছে খনিজ তেল।

এবার নীচে পেট্রোলিয়াম শোধনাগারে প্রক্রিয়াকরনের চিত্রটা দেখি;
চিত্র-১

এখন ভাবছি; আমরা আসলে পেট্রোল বা অকটেন কোথা থেকে পাই? পেট্রোলিয়াম(ক্রুড ওয়েল/অপরিশোধিত তেল) নাকি গ্যাস থেকে???

ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর কথার কিছু সত্যতা মেলে ওইসি ওয়ার্ল্ড থেকে;
বাংলাদেশ প্রতি বছর ১৯.২ মিলিয়ন ডলারের পরিশোধনকৃত পেট্রোলিয়াম রপ্তানী করে( মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইউএ ই, ভারত ও বার্মার কাছে!!!) ফের ০.০% সারা বিশ্বের তেল রপ্তানী হিসেবে!
মন্তব্যঃ মারহাবা এইটা তো জানতাম না- এ দেখি তেল নিয়ে তেলেসমাতি কারবার!!!

কিন্তু ফের একি কথা শুনি( তথ্যঃ ওইসি ওয়ার্ল্ড)
বছরজুড়ে পরিশোধনকৃত পেট্রোলিয়াম আমদানি করে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের। আমদানী করা সেইসব দেশের তালিকায় ফের মালয়েশিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুর আছে!!! (ওরা তেল বেচে ফের কেনে কেন??)

পুরো বিষয়টা কাল থেকে আমার মাথায় খোচাচ্ছে! প্রধানমন্ত্রী কি ঠিক বলছেন নাকি বিপিসি নাকি ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য?
প্রধানমন্ত্রী সবকিছু জানবেন এটা মোটেই ভাবা উচিৎ নয়। কিন্তু তার পরামর্শক বা উপদেষ্টারা কি সঠিক তথ্য দিচ্ছেন তাকে? অন্য যে কারো বক্তব্য থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের গুরুত্ত্ব অনেক বেশী। তবে সঠিক তথ্যটা কি- আমরা কার উপর ভরসা করব?

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: গোজা মিলের সরকারে সবকিছুতেই গোজামিল!

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি ভাই সেভাবে ভাবতে চাচ্ছিনা। আপনি বা আপনাদের কাছ থেকে গঠনমুলক আলোচনা চাচ্ছি?

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: এতো কিছু কেন ভাববেন ! মনে রাখবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা বলবেন যেমন করে বলবেন সেটাই হচ্ছে ধ্রুব সত্য । এর উপরে কোন সন্দেহ প্রকাশ করা যাবে না ! অন্য সবার বক্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা যাবে ! ব্যাপারটা পরিস্কার ? :D

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক তা ঠিক :) একদম ওয়াসার পানির মত ক্লিয়ার!
কিন্তু মগজের ভিতরে যে কুট কুট করে কামড়ায়। সেই চুলকানি বন্ধ করি ক্যামনে???

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা তেলের ক্ষেত্রে আমরা মুলত আমদানি নির্ভর। গ্যাস ফিল্ড থেকে বাই প্রোডাক্ট হিসাবে সামান্য কিছু তেল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটার মান কেমন সেটাও একটা প্রশ্ন। সেটাকে পরিশোধন করার সামর্থ্য আমাদের আছে কি না এটাও একটা প্রশ্ন।

আর তেলের সরবরাহ চালু থাকলে মজুদ কমে গেলেও সমস্যা নেই যদি আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা থাকে।

আর পৃথিবীর অনেক দেশই এখন রিজার্ভ নিয়ে চাপে আছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো সেটাই জানি- কিন্তু উঁনাকে কে বা কাহারা বুঝিয়েছেন। আমরা গ্যাসের উপজাত থেকে পেট্রোল ও অকটেন উতপাদন করে
রপ্তানিও করছি। আসলে মুল জ্বালানিটা আসে ক্রুড ওয়েলের উপজাত থেকে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। অনেকদিনবাদে আপনাকে পেলাম আমার ব্লগে।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে ১টা মাত্র রিফাইনারী আছে; দেশ ক্রুড অয়েল ও রিফাইড গ্যাসোলিন কিনে, বছরে ২২/২৩ বিলিয়ন ডলারের। জেটফুয়েল মুয়েলের বড় অংশ সরাসরি কিনে, দেশে রিফাইন হয় কিনা, জানা নেই। সরকার তেলের উপর লাভ করে; ফলে, তেল কিনতে কোন অসুবিধা নেই।

দেশে গড়ে সোয়া লাখ ব্যারেল ক্রুডের সমপরিমাণ জ্বালানীর দরকার হয়।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: গ্যাস থেকে তেলের রিফাইনারি আছে সম্ভবত! জানতে হবে
হুম তথ্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:

আমার মন্তব্যে টাইপো:
দেশ ক্রুড অয়েল ও *রিফাইনড গ্যাসোলিন কিনে,

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



টাইপো:

দেশে *দিনে গড়ে সোয়া লাখ ব্যারেল ক্রুডের সমপরিমাণ জ্বালানীর দরকার হয়।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বুঝেছি- সব ঠিকঠাক করে একটা মন্তব্য করেন
বাকিগুলো মুছে দিই

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:২০

নিমো বলেছেন: তথ্য জানার অধিকার আমাদের সবার। আমার প্রশ্ন হল, দেশ ৪০ বিলিয়নের রেকর্ড করেছে বেশি দিন হয় নি। তারমানে আমরা বহুবছর ধরেই সংকটে ছিলাম, কিন্তু কুম্ভকর্ণের ঘুমটা ভেঙ্গেছে, লংকা বধের পর। অবশেষে সকল প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি তথ্য জানাতে উদগ্রীব হয়েছেন, এটার আশার কথা। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করতে পারলাম না। অপ্রয়োজনীয় মনে হলে মন্তব্যের ভার থেকে পোস্টাকে মুক্ত করে দিয়েন।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: আরে না ভাই বেশ ভাল মন্তব্য করেছেন -অপ্রয়োজনীয় হবে কেন
থাকুক। ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫১

নতুন বলেছেন: সমস্যা হয় চাটুকার নিয়ে।

এরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে সমস্যা ঢেকে রাখে, নিজেরাও ঠিক মতন কাজ করেনা। পরে সব কিছু লেজেগোবরে করে ফেলে।

আর দলীয় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেবার জন্য সমস্যা বাড়ানোর চেস্টা তো আছেই। :(

জনগন এবং দেশের জন্য কেউই ভাবেনা।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: কেউ কি বুঝার নেই??? তথ্য এখন হাতের নাগালে
দুই তিন যুগ আগে জনগণকে ভুজুং ভাজুং বোঝানো যেত , এখন ক্যাম্নে কি?

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৯

নতুন বলেছেন: জনগনের দৃস্টি সরানো কি কঠিন কিছু?

জনগন এখন হিরু আলম নিয়ে ব্যস্ত। কেন এই ভাবে গান গাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার সেটা নিয়ে জনগন খুবই ব্যস্ত। কিন্তু কেউই তার রবিন্দ্রসংগিত পুরা শুনে নাই। এবং শুনবে ভক্ত ও হবেনা।

এটা শেষ হলে আরো ইসু সামনে আসবে...

রাজনিতিকরা ভালোই জানে How to keep monkeys busy B-))

২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: ~রাজনিতিকরা ভালোই জানে How to keep monkeys busy :)

ঠিক ঠিক বলেছেন। খেলারাম খেলে যা... আমরা খালি চাইয়া চাইয়া দেহি :(

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ক্ষমতাসীনরা প্রশ্ন করা পছন্দ করেন না। যিনি যখন যাহা বলিবেন, অম্লানবদনে মানিয়া লইবেন। এটাই আম-জনতার স্ট্র্যাটেজি হওয়া উচিত। সব প্রশ্নের উত্তর না জানাই ভালো। বরং প্রশ্ন করা নিয়ে একটা কৌতুক শোনেন,

ছেলে: বাবা বাবা! একটা প্রশ্ন!!

বাবা: বলো বাপ, আবার কী জানতে চাও।

ছেলে: আচ্ছা বাবা- স্ত্রী, গৃহিণী, ঘরনী, গৃহবধূ, ওয়াইফ, পত্নী, বেটার হাফ, লাইফ পার্টনার, অর্ধাঙ্গিনী, ঘরওয়ালি- এসব নামের মধ্যে পার্থক্য কী?

বাবা: মুসিববত এক, কিন্তু নাম অনেক!

ছেলে: মানে?

বাবা: বাপজান শোনো তাইলে; পুরুষ মানুষরে বোকা বানানোর জন্য একই মুসিবতের হাজারটা নাম রাখা হইছে। এইগুলি তার কয়েকটা মাত্র! এহন চুপ থাকো- তোমার মায় এইদিকেই আইতেছে...

২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওয়াও এর আগে এ কৌতুকটা কেন শুনিনি???
দারুন উদাহরণ -হাসলাম মনখুলে!

ঠিক আছে বরাবরের মত আমি চুপ রইলাম- কোন আলোচনা নাই।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দারুণ তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ গোফরান ভাই মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে জালানি তেলের সংকট নেই।
সংকট বোঝার উপায় কি?
যখন দেখবেন পাম্পে দির্ঘ লাইন। পাকিস্তান বা শ্রিলংকার মত কমপক্ষে মাইলখানেক লম্বা লাইন হলে তখন বুঝবেন সংকট।
সবদেশে ৩ গুন দাম বাড়ানো হলেও বাংলাদেশে পেট্রলিয়ামের দাম ১ পয়শাও বাড়ানো হয় নি। ভর্তুকি দিচ্ছে।

তেল ও গ্যাসের দাম যে দিন দিন কমছে এই খবরটা বাংলাদেশের কোন পত্রিকায় বা টিভিতে পাবেন না।
এই খবর দিলে তো তাদের আতংক ব্যাবসা শেষ।
তেল গ্যাসের দাম প্রতিদিন অল্প অল্প,করে কমে অনেকটাই কমে গেছে। ১২৭ ডলারের ক্রুড এখন ৯৫
পেট্রল আগে ৫+ এ কিনতাম এখন ৩+
তেলের দাম কমাতে বাংলাদেশেও ১ দিন পেট্রল পাম্প বন্দের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে, তেল বিদ্যুতও চালু করা শুরু হয়েছে।


আমদানি রফতানির বৈপরিত্ব যা বলছেন সব সঠিক।
বাংলাদেশে ১টা মাত্র রিফাইনারী আছে।
বংলাদেশে সবচেয়ে বেশী চাহিদা ডিজেলের, রিফাইনারি থেকে পাওয়ার পরও আমদানি করতে হয়।
বাংলাদেশে পেট্রলের তেমন চাহিদা নেই, গাড়ী চলে গ্যাসে, শুধু মটরসাইকেলের জন্য সামান্য পেট্রল লাগে, বাকি পেট্রল রফতানি করে, রিফাইনারী থেকে বাই প্রডাক্ট প্রপেন, বিউটেন, ন্যাপথা। প্রপেন হচ্ছে এল্পিজি, দেশেই লাগে, আমদানিও লাগে।
বিউটেন(সিগারেট লাইটারে ভরে) ও ন্যাপথা রফতানি করা হয়। আবার বেসরকারি বেক্সিমকো ও ওমেরা কম্পানী প্রপেন তথা এল্পিজি আমদানি করে সিলিন্ডারে ভরে ত্রিপুরায় রপ্তানি করে।

জেট ফুয়েল আর কেরোসিন সেইম, শুধু রিফাইনারির থেকে নামানোর সময় একটি বাফার এজেন্ট কেরসিনের সাথে মিসাতে হয়, (বিমানের নিরাপত্তার জন্য) এতে কেরসিনে স্ট্যাটিক ইলেক্ট্রিসিটি জমতে পারে না। এই কেরোসিনই জেট ফুয়েল। চাহিদা বেড়ে গেলে জেট ফুয়েল আমদানি লাগে।
আর গাস ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত বিপুল কন্ডেনসেট রিফাইন করেও জেট ফুয়েল ও পেট্রল পাওয়া যায়।
৩০-৩৫ দিনের রিজার্ভ ইত্যাদি যা বলা হচ্ছে সেটাই সঠিক। কারন এরচেয়ে বড় রিজার্ভয়ার দেশে নেই। দরকারো নেই, বেশী থাকলে জাহাজেই থাকে, পরে নামায়।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: হাসান ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে, অল্প কথায় চমৎকার করে বুঝিয়েছেন!
মুল বিষয়টা হচ্ছে; প্রধান্মন্ত্রী বলেছেন গ্যাসের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে যে পেট্রোল ও অকটেন পাই সেটা দেশের প্রয়োজন মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানী করি।
তথ্যটা ভুল!
পেট্রোল এর চাহিদা কম থাকায় পেট্রোল হয়তো রপ্তানী করতে পারি কিন্তু অকটেনের চিত্রটা উল্টো হবে।
আর মোটেই আমরা গ্যাসের বাই প্রডাক্ট হিসেবে মোটেই আমরা প্রয়োজনের পুরোটা পাই না- এটা মুলত আসে ক্রুড অয়েল রিফাইন করে। সম্ভবত আমাদের 'এসটিজি প্লাস' রিফাইনারি নাই (আপনিও তেমন তথ্য দিলেন)।
একই দিনে একই পত্রিকায় ঠিক পাশাপাশি দুটো নিউজ দুই রকমের তথ্য দিলে বিভ্রান্ত হবই। বিশেষ করে তার একটা যদি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হয়!
আমাদের সবকিছু ঢাকঢোল পিটিয়ে বলা হয় কিন্তু পেট্রোল রপ্তানীর কথা কেন বলা হয় না?? সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছি বলে গলা ফাটাচ্ছে সেটা ফিকে হয়ে যাবে ভেবে কি?

ফের ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৯

এমজেডএফ বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটি পড়ার পর আমিও আসল তথ্য জানার জন্য উৎসাহ নিয়ে সামু ব্লগের মহারথী, সুশীল, দেশপ্রমিক ও 'সবজান্তা শমসের'দের মন্তব্যগুলো দেখলাম। কিন্তু সেই সস্তা গদবাঁধা রাজনৈতিক মন্তব্য দেখে হতাশ হলাম।

মন্তব্যকারীদের অনেকেই আপনার পোস্টের মূল বক্তব্য ও সায়েন্টিফিক বর্ণনা বুঝে নাই বা বুঝার চেষ্টাও করে নাই। দলকানা মনোভাবের কারণে পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর নাম দেখেই অনেকের মাথায় রক্ত উঠে গেছে X( !

সামু ব্লগের 'সবজান্তা শমসের' ওরফে সোনাগাজির মন্তব্যটি সেরাম হয়েছে :P
"সরকার তেলের উপর লাভ করে; ফলে, তেল কিনতে কোন অসুবিধা নেই।"

বাস্তবতা হচ্ছে, সরকার সবসময় জ্বালানী তেলের ওপর ভুর্তুকি দিয়ে আসছে। (ব্যতিক্রম: করোনাকালীন সময়ে তেলেরে দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় সরকারের কিছু লাভ হয়েছিল।) বিপিসির তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে তেলের চড়া দামের কারণে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী তেল আমদানী করতে প্রতিদিন ভুর্তুকি দিতে হয় ১০০ কোটি টাকা, এর ওপরে আছে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট। যার কারণে বর্তমানের এই লোড শেডিং।

বাংলাদেশ দেশ হিসাবে যত গরীব তার চেয়ে বেশি গরীব প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অস্ত্র "তেল ও গ্যাস"। তাই দেশের অর্থনীতিকে বুঝতে হলে দেশের তেল-গ্যাসের উৎস, ব্যবহার ও খরচ সম্পর্পে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। দেশের রাজনৈতিক ও আমলাদের কথায় শতভাগ বিশ্বাস করা যায় না!

আশা করি এ বিষয়ে সামু ব্লগের কোনো বিজ্ঞ ব্লগার (সোনাগাজী ও শূন্য সারমর্ম ব্যতীত) বিস্তারিত সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদের জানাবেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: এইতো খানিকটা পেলাম-তো! :)
রেগে মেগে যাই বলুন খানিকটা সত্য কথা বলে গেলেন আর কয়েক চিমটি টক ঝাল তথ্য দিলেন।

কিছু নাই তাই গ্যাস থেকে রিফাইনারি ছাড়া তেল বানিয়ে আমরা রপ্তানী করছি- থাকলে কি হইত? ভাবতেই আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করছে!!

প্রধানমন্ত্রীকে আমি সামান্যতম অসম্মান করি নাই। অতএব তাদের গোস্যা করার বিশেষ কারন আছে বলে মনে করি না।

আমিও অপেক্ষা করছি ভাল কিছু মন্তব্যের। নাম বলছি না তবে তাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় আছি?

তবে একটা প্রশ্ন আপনি কেন এত কম মন্তব্য করেন?

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪২

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আসল তথ্য কারও অজানা আছে কী?

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: নেই নেই করেও খানিকটা আছে :)
কেউ কেউ বলে যে, দুজনেই ঠিক। কিন্তু ক্যামনে? আমার গোবরে ভরা মাথায় ঢুকছে না

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



দেশে মজুদের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন যে মজুদ আছে তা দিয়ে আমরা তিন মাস, ছয় মাস, নয় মাসের খাদ্য কিনতে পারি।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ভার্চুয়ালি তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে গ্যাস উত্তোলন করি সেখান থেকে বাই প্রোডাক্ট (উপজাত) হিসেবে রিফাইন করা পেট্রোলও পাই, অকটেনও পাই। বরং যতটুকু চাহিদা তার থেকে অনেক বেশি পেট্রোল এবং অকটেন আমাদের আছে এগুলো অনেক সময় বাইরে বিক্রিও করি। -বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৮শে জুলাই


অবাক হওয়ার কিছু নেই প্রধানমন্ত্রী ১০০% সঠিক বলেছেন,
দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি পেট্রোল অকটেন রয়েছে।
পেট্রোল অকটেন সেইম জিনিষ।
পেট্রোল হচ্ছে ৮৪-৮৭% অকটেন, বাকিটা প্যারাফিন/কেরসিন ইত্যাদি।
আর পেট্রলে ৯৩% অকটেন থাকলেই সেটা '100 অকটেন' বলা হয়। আমেরিকায় বলে প্রিমিয়াম গ্রেড গ্যাস(গ্যাসোলিন)

ডিজেল বিদেশ থেকে কিনতে হয়। কিন্তু পেট্রোল-অকটেন বর্তমানে কেনা লাগে না।
২০০০ সালের পর গাড়িগুলো গ্যাসিফিকেশন হয়ে যাওয়াতে দেশে পেট্রোল-অকটেন চাহিদা একদম কমে যায়। সামান্য যা চলে মটর সাইকেলে বা কিছু দামী গাড়ীতে। বলতে গেলে ডিজেলের জন্যই ক্রুড আমাদানী করে রিফাইন করা হয়, ডিজেল ও প্রপেন(এলপিজি) বাদে পেট্রোল-অকটেন বিউটেন ন্যাপথা, ক্রুড লুব্রিকেন্ট ইত্যাদি সব রপ্তানী করা হয়। রপ্তানী করতে বাধ্য হয়, রাখার যায়গা নেই।

আবার সেই বিউটেন আবার ছোট ছোট বোতলে আমদানি করা হয় সিগারেট খোর দের জন্য,
ইঞ্জিন লুব্রিকেন্টও আমদানি করতে হয়।
আবার অল্প কিছু ' অকটেনও আমদানি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হাইলি পিওর '100 অকটেন ড্রামে করে আনা হয়। লাগে, বন্ধ গ্যাস টারবাইনকে স্টার্ট দিতে অল্প কিছু অকটেন স্প্রে করতে হয়। বা অন্য কিছুতে ব্যাবহার হয়।

আর গাস ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত বিপুল কন্ডেনসেট রিফাইন করেও জেট ফুয়েল ও পেট্রল অকটেন, বিউটেন ন্যাপথা সব পাওয়া যায়। তবে ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েল পাওয়া যায় না।
বর্তমানে এলএনজি আমদানি করে ব্যাবহার বৃদ্ধি পাওয়াতে টার্মিনাল থেকে পাইপে নেয়ার পর্যায়ে নেয়ার সময়ও বিপুল কন্ডেনসেট উপজাত হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে, রাখারও যায়গা নেই রিফাইন করে রপ্তানী হচ্ছে।
রিফাইনারিতে কন্ডেনসেট রিফাইন করা খুবই সহজ, অল্প তাপেই হয়।
আর কন্ডেনসেট রিফাইন নাকরেও গাড়ী মটরসাইকেলে সরাসরি ব্যাবহার করা যায়, আমি দেখেছি। কমিল্লা ও চট্টগ্রামে চোরাই কন্ডেনসেট ব্যাবহার করা হচ্ছে পেট্রলের সাথে ৫০-৫০ মিশিয়ে। দুর্নিতী সব যাগাতেই।


২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর তথ্যের পাশাপাশি এই তথ্যটা কিভাবে মেলাবেন;
~ডিজেল চাহিদা মিটবে ৩২ দিনের : বিপিসি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, যে পরিমাণ ডিজেল মজুদ আছে, তাতে সারা দেশের ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। একই সঙ্গে বর্তমানে পেট্রোলের মজুদ ১৫ দিনের, অকটেনের নয় দিনের, ফার্নেস অয়েল ৩২ দিনের, জেট ফুয়েল ৪৪ দিনের মজুদ আছে। গতকাল বিপিসির ঢাকা লিয়াজোঁ অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ একটি চক্রাকার প্রক্রিয়া। আজকে যে অকটেনের 'মজুদ নয় দিনের, দু-এক দিনের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেনবাহী একটি জাহাজ আসবে। সেটা আসার পর মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ দিনের।
তাহলে কার কথা ঠিক- কোন তথ্যের ভিত্তিতে বললেন সাধারন অকটেন(হাইলি পিওর বাদে) আমদানী করতে হয় না? ৫০ হাজার মেট্রিকটন অকটেনে আমাদের মাত্র ১৯ দিনের যোগান হয়( যদিও ডিজেলের পাঁচের এক ভাগ- তবুও কম নয়)। আপনার মনে হয় সঠিক ধারনা নেই কি পরিমান অকটেন আমাদের ব্যাবহৃত হয়। সেদিন তেজগাঁয়ে একটা পেট্রোল পাম্পে আমার এক ঘন্টার বেশী দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল গাড়িতে অকটেন নেবার জন্য। গাড়ির যান্ত্রিক সমস্যার জন্য এখন দেখবেন গ্যাসের লাইনে তেমন ভীড় নেই- গ্যাসের প্রতি সবার মোহ কেটে গেছে।

আপনি বলেছেন; আর গাস ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত বিপুল কন্ডেনসেট রিফাইন করেও জেট ফুয়েল ও পেট্রল অকটেন, বিউটেন ন্যাপথা সব পাওয়া যায়। তবে ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েল পাওয়া যায় না।
তাহলে কি আপনি নিশ্চিত দেশে 'এস্টিজি প্লাস' রিফাইনারি আছে- এবং তাদের এত ব্যাপক সক্ষমতা আছে যে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারে?
ভাল কিছু তথ্য যোগ করেছেন কিন্তু ঠিক আমার প্রশ্নের উত্তর পেলাম না।

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: যেটা চলতাছে সেইটা ডংকি ডিজিজ । এই ডিজিজে শ্রীলংকায় বেশ তোলপাড় হয়েছে । বিরোধী দল মঞ্চ মিডিয়া সাজায় ফালাইছে । বাজার একটু গরম হবে বৈকি ।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আজিজ ভাই মন্তব্যের জন্য।
মানে গর্ধভের রোগ? ম্যালা ভয়ঙ্কর রোগ মনে হচ্ছে :)
দেখা যাক পানি কতদুর গড়ায়

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
পেট্রোল-অকটেনের বক্তব্যের অংশটুকু ধুম করে আমি সম্ভবতো গাতকলে একটু শুনে ফেলেছিলাম টিভিতে।
তথ্যটা আমার কাছে আসলেই নতুন ছিলো!
এখন আপনার লেখা পড়েতো চিন্তা ভাবনা বিপাকে পড়ে গেলো!!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: এই নিয়ে কি কোন আলোচনা সমালোচনা হয়েছে?

হ্যা ভাই ভাবনা বিপাকেই পড়ে যাবার মত বিষয়। কেউ সঠিক তথ্যটা কি সেটা দিল না!! :)

১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তপন ভাই হাকাবৈ যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে বলেছে
দেশে রিজার্ভ ও তেলের ঘাটতি নাই, তাই মেনে নিলাম। কারন
আমার গাড়ি নাই ডলারও চাইনা। আমার প্তয়োজন সহজলভ্য
মোটা চাল ও ভোজ্য তেল! এটার কি ঘাটতি আছে?

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা নেয়- উনি তথ্য নির্ভর কিছু কথা বলেছেন।
খানিকটা একপেশে হলেও হাকাবৈ ভাইয়ের মন্তব্য ভাল লেগেছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার তথ্য বিভ্রাট রয়েই গেল!!!

সবকিছু পেট্রোলিয়াম দিয়ে হয়( মানে তাল মিল আছে) ঘাটতি পরতে কতক্ষন।

১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪২

বিটপি বলেছেন: খটকা খেলাম। তেল কিনতে দৈনিক ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া লাগে? তার মানে এক বছরে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের সমপরিমাণ ব্যয় তেল কিনতে ভর্তুকি বাবদ করা লাগে? তেল কাদের জন্য কেনে? ডিজেলের লিটার ৮০ টাকা, অকটেনের লিটার ৮৯ টাকা। অকটেন তো বর্তমানে বিলাস বহুল গাড়ি ছাড়া অন্য কোন চাকা ঘুরেতে কাগে লাগেনা। বড়লোকের গাড়ি চালানোর তেলে ভর্তুকি দেবার যৌক্তিকতা কি?

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা তাওতো- হিসাব করলেতো পাটুরিয়া দৌলতদিয়া সেতুটা হয়ে যায় অনায়াসে!!
মুল ভর্তুকি সম্ভবত ডিজেলে দেয়া হয়। ঘুরে ফিরে ক্রুড অয়েল হয়ে অকটেন পেট্রোল সব কটাতেই

ধন্যবাদ আপনাকে- অনেকদিনবাদে মন্তব্যের ঘরে দেখা হোল

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: এই প্যাঁচ জীবনেও খুলবে না। বেশি ঘাটাঘাটি না করাই ভালো। পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে ঘাটাঘাটি করে সাগর রুনি উধাও হয়ে গিয়েছিল। আরেকজন দশ বছর ধরে জেলে জামিন ছাড়া আছে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন আমি আর এই প্যাচালে বেশী নাই।
ভয় দেখায়ে দিলেনতো আলোচনার সমাপ্তি করে :(

অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য/

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


'এস্টিজি প্লাস' রিফাইনারি বসিয়ে গ্যাসকে তেল বানানো মহা মুর্খতা।
এত তাপ ব্যয় করে এত ব্যায়বহুল তেল বানানো কোন কারন দেখি না। কারন গ্যাস পেট্রলের চেয়ে এফিশিয়েন্ট জালানি।

কন্ডেনসেট রিফাইন করতেও 'এস্টিজি প্লাস' রিফাইনারি' লাগে না, সাধারন প্রচলিত রিফাইনারিতে সামান্য তাপ (50c) তাপে অল্প সময়েই অক্টেন ও পেট্রোল ও কেরসিন আলাদা হয়ে যায়।
চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পেট্রল অক্টেন রফতানি করা হয়।১০ বছর জাবত পেট্রল অক্টেন আমদানি করা লাগছে না।

এখানে কিছু সাপোর্টিং তথ্য পাবেন
view this link

৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তথ্য শেয়ারের জন্য। জানলাম কিছু অন্তত :)

তবে বিপিসির দেয়া তথ্য কি ভুল?
ওরা বলছে যে দু-এক দিনের মধ্যে ৫০ হাজার লিটার অকটেন নিয়ে জাহাজ আসছে!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.