নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক-৮ (শেষ খন্ড)

০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৩


( ~সুদীর্ঘ সময় ধরে দীর্ঘ ধারাবাহিক সত্য কাহিনী নির্ভর উপন্যাস 'বাবনিক' আমি লিখতে লিখতে ক্লান্ত আপনারা পড়তে পড়তে ক্লান্ত! তবে এটা শেষ না করে শান্তি মিলছে না। আর মাত্র তিনখানা পর্ব পরেই শেষ হয়ে যাবে এটা। সম্ভবত এটা আমার 'রাশিয়া ভিত্তিক' শেষ উপন্যাস। এই বিরক্তিকর কাজ আর করবনা মনে হয়। প্রিয় ব্লগার, যারা যারা মাঝখানে এসে মাথামুণ্ডু কিস্যু বুঝছেন না তাদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। ভাল থাকুন সবাই।)

রেমেনাকে কোলে নিতে ছোট বড় সবাই হুড়োহুড়ি করছিল। এমন পরির মত মেয়েকে কে-ই না আদর করতে চায় কিন্তু সবার নজর ঘুরে ফিরে যাচ্ছিল এলিনার দিকে। কারো কারো চোখে মুখে বিস্ময়- কেউবা খানিকটা ঘৃণাভরে তাকাচ্ছে ওর দিকে।
কি নিষ্ঠুর নির্মম পাষাণ মা। নিজের দুধের সন্তানকে ফেলে রেখে যাচ্ছি। লোভী স্বার্থপর সাদা চামড়ার বিদেশী- সামান্য ফ্লাটের লোভে নিজের সন্তানকে বিকিয়ে দিতে এরা দ্বিধা করে না। সে জন্যই সাদা চামড়ার বিদেশী মেমকে এরা বড্ড ঘেন্না করে!
এলিনার হৃদয়ে তখন কি ঝড় বয়ে যাচ্ছে সেটা কেউ জানে না-তেমন করে উপলব্ধিও করতে চায় নি।
ববির মা ও ছোট বোনের দায়িত্ব পড়ল মেয়েকে দেখ-ভাল করার। তারা সানন্দ-চিত্তে সেই গুরুভার কাঁধে নিল।কিন্তু রেমেনা এই পরিবেশে অভ্যস্ত নয়। সে মাকে ছাড়া থাকতে চায় না। কেঁদে কেটে রুশ ভাষায় আধো আধো বোলে কি বলে সেটা কেউ বুঝে না। ববিকে সারাক্ষণ আশেপাশে থাকতে হয়।

এলিনা সেবার তিনদিন ছিল বাংলাদেশে। সারাক্ষণ নিজেকে ঘর বন্দী করে রেখেছি। কারো সাথে কথাবার্তা-তো দুরের কথা চোখ তুলে চায়নি পর্যন্ত! কারো অনুরোধ আবদারেই সে মুখে খাবার তোলেনি-শুধু ববির মা ব্যতিক্রম। সে তার কণ্যার আদরে যত্ন করে তার চুল বেঁধে দিয়েছে-নিজের হাতে তুলে খাইয়ে দিয়েছে। কখনো গা সাপটে দিয়েছে- ওর পাংশুটে বিবর্ণ মুখখানা দুহাতে তুলে ধরে নিজ ভাষায় বিড়বিড় করে আফসোস করেছে।
মা চেনে তার সন্তানকে- তিনি সবকিছু না জানলেও আন্দাজ করতে পারেন। এ মেয়ে তেমন মেয়ে নয়।এ মেয়ে তার সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য সব ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত ছিল। তিনি ভেবে কোন কূলকিনারা পাননা কেন এমন হোল?
এলিনার ফিরে যাবার সময় হয়ে গেল! আর ঘণ্টা চারেক পরেই তার ফ্লাইট। সে চায়নি তবুও ববির মা শেষ মুহূর্তে মেয়েকে তার কাছে দিয়ে একান্তে কিছু সময় কাটানোর জন্য সেই রুমে দিয়ে দরজা আটকে দিল।
মা মেয়ের সেই শেষ বেলায় কি কথা হয়েছিল তা পৃথিবীর কেউ জানবে না কোনদিন। সে কথা জানার প্রয়োজনও নেই। শুধু আমরা অনুভব করতে পারি বা কল্পনায় এঁকে নিতে পারি সেদিনের সেদিনের সেই চরম বিয়োগান্তক বিচ্ছেদের গল্প।
বের হবার সময় হয়ে এসেছে। ববি ধীরে ধীরে দরজা নক করল। আলতো করে এলিনাকে ডেকে বলল যাবার সময় হয়ে এসেছে।
খানিক বাদে এলিনা মেয়েকে নিয়ে বের হোল। মেয়ে তার মাকে জড়িয়ে ধরে ভীষণভাবে আঁকড়ে ধরে আছে। সে কি জানে এই তার শেষ দেখা? আকস্মিক বা দুর্ঘটনায় এ বিচ্ছেদ নয়। এ বিচ্ছেদের আয়োজন ঠাণ্ডা মাথায় –দুপক্ষের চুক্তিতে।ববির মা হাপুস নয়নে কাঁদছে। চোখের কোন জল চিক চিক করছে সেখানকার প্রতিটা মানুষের। ববিও নিজেকে সংবরণ করতে পারেনি। তার দুচোখের কোল ভেজা।
শুধু নির্বিকার আবেগহীন পাংশুটে মুখে অনির্দিষ্ট গন্তব্যের পানে চেয়ে আছে এলিনা। পৃথিবীর কোন কষ্টই যেন তাকে স্পর্শ করছে না। মেয়ে মাকে ছাড়তে চাইছে না –এর পরেও খানিকটা জোড় করেই যেন তার কাঁধ ছাড়িয়ে নিঃশ্বংসের মত ববির মায়ের কোলে তুলে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে হনহন করে হেটে গেল দরজা অভিমুখে।
গাড়িতে উঠে অব্দি একবারও তাকায়নি মেয়েটার দিকে। অনেকে তাকে শেষবার দেখার জন্য অনুরোধ করলেও সে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকল।
ইমিগ্রেশনের গেট তক ববি পৌঁছে দিল। ওর সাথে ভ্রমণরত এক পরিচিত বাঙ্গালীকে অনুরোধ করল তার দিকে নজর রাখতে।
যাবার সময়ে ববির সাথে হাই হ্যালো বিদায় কিছুই বলল না সে।সৌম্য দাঁড়িয়ে ছিল অনতিদূরে। তার দিকে একবারের জন্য ফিরে তাকাল না পর্যন্ত।

পাত্থর বানা দিয়া মুঝে রোনে নেহি দিয়া
দামান নে তেরি গামনে ভিগোনে নেহি দিয়া *


বিমানের সিট বেল্ট বেঁধে নিয়েছে সবাই। টারমাক ধরে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ান এরোফ্লোত – প্রচণ্ড গতিতে খানিক পথ চলে সামনের চাকা উপরে উঠতেই উচ্চ শব্দে কানে খানিকটা জ্বালা ধরাল। এলিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের মাটি ছেড়ে শেষবার উড়ে যাচ্ছে বিমান। নতুন জীবনের রোমাঞ্চ আবেগ ভালবাসায় ভরপুর আনন্দ উদ্দীপনা সহ কত স্বপ্ন নিয়ে প্রথমবার এদেশে এসেছিল সে। ফিরে গিয়েছিল অনেক চাওয়া পাওয়া পূরণের স্বাদ নিয়ে। নিজের সংসার সাজিয়েছিল মনের মাধুরী মিশিয়ে। কিভাবে কত দ্রুত সবকিছু পালটে গেল। এবার শত স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনা নিয়ে নিজের আত্মার সাথে সব বন্ধন ছিন্ন করে শেষবার উড়ে যাচ্ছে পরিচিত গন্তব্যে কিন্তু অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে।
কেন এমন হোল?? কার অভিশাপে কিসের পাপে এভাবে সব কিছু নিঃশেষ হয়ে যৌবনের শুরুতেই সে জীবনের প্রান্তে এসে দাঁড়াল। তার নাড়ি ছেড়া ধনের সাথে কি আর এই জনমে দেখা হবে না? বিমান আকাশে উঠে চাকা গুটিয়ে ফেলছে। এলিনা জানালার ফাঁক দিয়ে মাথা উঁচু করে শেষবারের মত প্রাণপণে দেখে নিতে চাইল তার মেয়ের এই নতুন আবাসকে। সবকিছু ধীরে ধীরে ধোঁয়াশা হয়ে গেল! হারিয়ে ফেলল চিরতরে তার মেয়েকে;
পেট খামচে ধরে ভয়ঙ্কর বেদনায় আর্ত চিৎকার করে কেঁদে উঠল সে। সে কান্নার তোড়ে হৃদয় ছলকে যেন রক্ত বেরিয়ে আসতে চাইছে চোখ মুখ ঠিকরে। বিমানের সব যাত্রীরা বিস্ময়ে বিমুঢ় হয়ে হতবাক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল তার দিকে। কারো মুখে যেন সান্ত্বনার কোন ভাষা নেই।

*অনুপ জলোটা’র বিখ্যাত গজলের পংতি।


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবশেষে শেষ পর্ব এল !

০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: ওরে নারে ভাই- আর মাত্র তিনখানা পর্ব বাকি আছে!!

* আপনি মাঝখানে কোথায় হারাইলেন?

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক পর্ব পড়া হয়নি তাই বুঝতে পারলাম না, বাচ্চার সাথে মায়ের বিচ্ছেদ কেন হলো। অন্য পর্ব পড়ে নিব সময় করে ।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: এতগুলো পর্ব মিস করলে বোঝা আসলেই দুস্কর!
কষ্ট হলেও একটু সময় করে পড়ে নিলে কৃতার্থ হব।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এটা শেষ খন্ড হলে আমরা মজার সিরিজ পড়বো কি করে!? অন্য আর একটা সিরিজ লেখার অনুরোধ রইলো।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি প্রথম পর্বে ঢুঁ দিলেই বুঝবেন- এত লম্বা ধারাবাহিক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন সবাই।
এর থেকে বড় কথা - লিখতে গিয়ে এক সময় বিরক্তি ধরে যায় ক্লান্ত হয়ে পড়ি, অন্য লেখায় মনযোগ দিতে পারি না। সে এক মহা ফ্যাসাদ!!
ধন্যবাদ ভালবাসার জন্য।

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধারাবাহিকের এই একটা দোষ- আগেই শেষ পর্বের জন্যই উশখুশ করে!
আমি প্রায়শই গল্প উপন্যাসের শুরুতে কিছু পড়ে শেষটা পড়ে নেই-তাতে গল্প/উপন্যাসে গতি পরিস্থিতি বোঝা যায়।

যথারীতি এই পর্বও ভাল হয়েছে। +

০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: শেষটুকু পড়লেতো ধারাবাহিকের মজা শেষ।
আমিও অবশ্য করি মাঝে মধ্যে। তবে প্রায় সব ধারাবাহিক পড়তে গেলে কোন একসময় মনে হয়; এখানেই শেষ করে দিলে ভাল হয়। আবার কখনো মনে হয়; এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল!! আহা আরো দু চার পাতা হলে ভাল হোত :)

শেষটুকু আগেই জানিয়ে দিব নাকি??
এত কষ্ট করে এতদুর যখন আসলেন- আরতো মাত্র খান তিনেক পর্ব, কষ্ট করে সাথে থাকেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই ফের।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনার এই বিশাল সিরিজটা আমার সেই ভাবে পড়া হয়ে উঠে নাই।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আজাইর‍্যা বিষয়াদি নিয়ে লেখা- না পড়েই ভাল করেছেন। আপনি যেমন আছেন যা নিয়ে আছেন তাই নিয়ে থাকা উত্তম।
তবে মাঝে মধ্যে উঁকিঝুঁকি দিয়েন ভাই।

* আপনার আশ্রমের কথা শুনেই প্রেমে পড়ে গেছি।

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই ধারাবাহিক না পড়লেও এটাকে ''নজরে'' রেখেছি সবসময়ে। আপনার ঘোষণা পড়ে যারপরনাই আনন্দ পেলাম, অবশেষে এটা পড়া শুরু করতে পারবো ভেবে। আপনার তো নিশ্চয়ই জানা আছে যে, আমি ধারাবাহিক লেখাগুলো পড়ি না। যাই হোক, অনুরোধ থাকবে........পরবর্তীতে রাশিয়ার পটভূমিতে লেখা বন্ধ করবেন না।

সবচেয়ে ভালো হয়, বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে একক পোষ্ট দেয়া বা খুব বেশী হলে পাচ পর্বের মধ্যে শেষ করা। তবে, কোন বই বের করার প্ল্যান থাকলে আলাদা কথা।

কয়েকটা বুকডন দিয়ে আপনার এই উপন্যাস পড়ার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। তার প্রথম পদক্ষেপ হলো, এই ''না পড়া লাইক''!!! =p~

০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২১

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ চমৎকার মন্তব্যে চরম আপ্লুত হলাম।

আপনার নজরে রাখার কথা শুনে ~নজরে নজরে রাখিয়া আমারে নজরের বান মারিলা ঃ)
এই গানখানা মনে পড়ল।
না পড়ে লাইক অনেকেই দেয় তবে কেউ স্বীকার করে কেউ করেনা।
সেদিন প্রিয় ব্লগার অপু বলেছিল, আমার লেখা ভাল হবে ধারনা করেই সে লাইক দিয়েছে ঃ)

যাউগ্গা এবার চোখ বন্ধ করে পড়া শুরু করেন ভ্রাতা। মন্তব্যে গড়মিল হলে সমস্যা আর কি
ফাউ লাইকের জন্য খাঁটি ধন্যবাদ।

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
* আপনার আশ্রমের কথা শুনেই প্রেমে পড়ে গেছি।

আসলে গল্পে-ছবি আশ্রম যেমনটা মনে হচ্ছে তেমনটা নয়। গেলে হয়তো আশা ভঙ্গই হবে। তবুও বঙ্গে এলে দেখে যাওয়ার নিমন্ত্রণ রইলো।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এখন এ দেশ আকড়েই পড়ে আছি।

~আমার আর কোথাও যাবার নেই আর কিচ্ছু চাওয়ার নেই

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ~সুদীর্ঘ সময় ধরে দীর্ঘ ধারাবাহিক সত্য কাহিনী নির্ভর উপন্যাস 'বাবনিক' আমি লিখতে লিখতে ক্লান্ত আপনারা পড়তে পড়তে ক্লান্ত! তবে এটা শেষ না করে শান্তি মিলছে না। আর মাত্র তিনখানা পর্ব পরেই শেষ হয়ে যাবে এটা। সম্ভবত এটা আমার 'রাশিয়া ভিত্তিক' শেষ উপন্যাস। এই বিরক্তিকর কাজ আর করবনা মনে হয়। প্রিয় ব্লগার, যারা যারা মাঝখানে এসে মাথামুণ্ডু কিস্যু বুঝছেন না তাদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। ভাল থাকুন সবাই।)

আপনার ঘোষণা পত্র পড়ে মেলা শক খাইলাম। লিখতে লিখতে ক্লান্ত হতেই পারেন কারন আপনার সাথে স্মৃতি আছে। পড়তে পড়তে ক্লান্ত এমন কোন মন্তব্য কি এসছে? তবে শেষ না করে লেখক পাঠক কারো ই শান্তি মিলবে না সত্যি।

এমন কঠিন কথা বইলেন না, রাশিয়া ভিত্তিক আপনার সব কাহিনী ই শুনতে চাই।

বিরক্তিকর তো পাঠক হিসেবে কখনোই বুঝি নাই, অপেক্ষা করেছি সব সময়। আপনি এত লম্বা লেখা ? এই মন্তব্যের ভয় না করে আমাদের কে এক সাথে দুই পর্ব ও দিতে পারেন। যারা পড়ার লম্বা লেখা ও পড়ে।
মাথা মুণ্ডু না বুঝার দায়িত্ব কি লেখকের ? যাদের আগ্রহ আছে সেই পাঠক রা কিন্তু নিজ দায়িত্বে পড়ে আসবেন।

আর এই পর্ব নিয়ে মন্তব্য করার ভাষা আমার নেই, কী ভাবে যে আপনাকে কত সুচারু ভাবে যে আপনাকে শব্দ চয়ন করতে হয়েছে, সেটুকু ফীল করতে পারি। আহা এলিনা নিস্তব্ধ পাথর, পাথরের বুক ফেটে ঝর্না প্রবাহিত হল। কান্নায় কিছু টা হলেও হৃদয়ভার কম হবে। ববি' র মায়ে' র জন্য শ্রদ্ধা !

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ভাষাজ্ঞান এমনিতেই সীমিত! ঠিক ধরেছেন; লেখার এমন আবেগপূর্ণ অংশে এসে সঠিক ভাষা প্রয়োগ করতে গিয়ে ঘাম ছুটে যায় :) এরপরেও ভুল-ভ্রান্তি রয়ে যায়।
আপনাদের লেখা পড়ে হিংসে হয়, মনে হয় কেন ভাষাটা আরেকটু ভাল করে শিখলাম না।
মুলত আমার ইতিহাস আর বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ও লিখতে ভাল লাগে। সেইসব লিখে আমি মজা পাই। উপন্যাস লেখার কাজ আসলে জাত লেখকদের - আমাদের মত সৌখিন পাতি লেখকদের এইসব কাজে হাত দেয়া বোকামি।

আপনার মত এত ভাল পাঠক পেলে অবশ্য ভিন্ন কথা :)
যাক এই লেখাটা শেষ করে একটা শান্তির নিঃশ্বাস ফেলি আগে। এটা আমাকে বড্ড বেশী জ্বালাতন করছে!
দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

ইসলামিক_নলেজ বলেছেন: অসাধারন

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন- বাবনিকের পরের পর্বে আপনাকে আমন্ত্রন

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: এলিনা মনে হচ্ছে মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে নতুন কাল্ট ধর্মের প্রতি কিংবা ববির মানসিক নিপীড়নে অনেক আগেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে যা ববি জানতেই পারে নি।

দুর্দান্ত কাহিনি.......চালিয়ে যান শেরজা তপন ভাই.......

তবে লেখায় উত্তম পুরুষ ও প্রথম পুরুষের বর্ননার কিছুটা গন্ডগোল আছে মনে হচ্ছে.....

যাহোক এটি উপন্যাস হিসেবে মারাত্মক হবে.....সাথে আরো কিছু সামাজিক টানাপোড়েন, ভিন্ন সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি যোগে ফাটাফাটি হবে মনে হয়.....শুভকামনা....।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ দিকেই তো চলে আসলাম- আর কবে হবে ভাই :(
হ্যা শুধু সেগুলোই নয় আরো অনেক সমস্যা আছে। আমার সাধ্যমত আমি চেষ্টা করছি- ভাষা ও ব্যাকারণের দৌড় আমার সীমিত।
ভাল লেখকদের দেখে হিংসে হয় সময় থাকতে বাংলাটা ভাল করে শিখলাম না বলে।
আপনি ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন নিরন্তর।
সময় পেলে প্রথম খন্ডের প্রথম পর্ব থেকে পড়ে সব মিলিয়ে কেম হোল তেমন একখানা মন্তব্য করলে কৃতার্থ হব।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:




কেউবা খানিকটা ঘৃণাভরে তাকাচ্ছে ওর দিকে।

What a tragedy!
কোন অন্যায় না করেও সেই অপরাধী !
এ অবস্থায় তার দরকার এক্সট্রা কেয়ার, ভালোবাসা, কমফোর্ট ।
আর সেখানে সে পাচ্ছে ঘৃণা ।

যাক, ববির মা অন্তত একজন মানুষের মতো আচরণ করেছে ।

০৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: সময় নিয়ে ধীরে ধীরে এক পর্ব করে এগুচ্ছেন দেখে ভাল লাগল।

নিশ্চিতভাবে ববির মা একজন ভাল মানুষ। নির্ভেজাল -শ্বাশত বাংলার একজন মায়ের প্রতিরূপ!
এলিনার পুরো লাইফটাই একটা ভয়ঙ্কর ট্রমা ও ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে গেছে।

পরের পর্বে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায়...

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

আরাফআহনাফ বলেছেন: কী বেদনার্ত আর বিয়োগান্ত !!!

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: এখানে এসে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল ভাই- ভাল থাকুন। সামনের পথ চলায় দেখা হবে।

১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি নিদারুন পরিসমাপ্তি!!
দেখি পরের পর্বে কি আছে লেখা...

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দিতে একটু দেরি হল ভাই। পরের মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিতো আগে তাই এটাতে গাফিলতি ছিল!
কষ্টের অনুভুতির সাথে সুর মেলালাম। ভাল থাকুন

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: যখন গল্প পড়ি আমি সব সময় সেই চরিত্রের মনের ভাবটা বোঝার চেষ্টা করি । এলিনার মনের ভাবটা সাহস করেও কল্পনাতে আনতে পারছি না । তবুও মনের ভেতরে কী এক তীব্র বিষাদের ছাপ জমা হয়ে যাচ্ছে । মানব জীবন এতো কষ্টের কেন !!

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমে অনেকেই ভেবেছিল এটা একটা ত্রিভুজ প্রেমের লুচ্চামি পাগলামী আর শারিরিক গল্প ও কল্প কথায় ভরপুর একটা উপন্যাস হতে যাচ্ছে।
কেউ কেউ এসেছেন কিন্তু পড়েননি- কেউবা বিরক্ত হয়েছেন। তবুও আমিতো জানতাম শেষটা কি। যেহেতু লেখার মুল প্রতিপাদ্য লাম্পট্য সেখানে এইসব বিষয়াদি খোলামেলাভাবে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
এলিনার প্রতি আমার ভীঊষন একটা সিম্প্যথি কাজ করে। ওকে অর পরিবারকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। চমৎকার মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন কোমল হৃদয়ের একটা মেয়ে ছিল সে। কেন তার বেলায় এমন হোল ভেবে পাইনা। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.