নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক-৯ ও ১০ (শেষ খন্ড)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৬


ইভাবে যাবে দিনের পর দিন
বৎসরের পর বৎসর।
তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে
বা হয়ত জানা যাবে না,
যে তোমার সঙ্গে আমার
অথবা আমার সঙ্গে তোমার
আর দেখা হবে না।*
( সুদীর্ঘ ১৬ বছরের কাহিনী এই দুই খানা মাত্র পর্বে বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে!!)

~দীর্ঘ তিন বছর এলিনার খবর আর তেমন করে পাইনি। আমি আমার ব্যবসা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত! পরিবার থেকে বিয়ে-থার চাপ দিচ্ছে, খুব বেশী ব্যস্ততার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছি। ববির সাথে কথা হয় কালে ভদ্রে। কথা হলে ওর মেয়েকেই নিয়ে আলাপ হয় বেশী। এলিনার খবরাখবর জিজ্ঞেস করলে একবার বলেছিল, মস্কোর বাসা ভাড়া দিয়ে সে ওর মায়ের কাছে ওডেসায় চলে গেছে। সেখানেই নাকি এক কিন্ডারগার্ডেনে পড়াচ্ছে। ব্যাস এইটুকুই। ওর সাথে দেখা হয় না বহুদিন!
মাঝে মাঝে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। আসলেই কি? অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মানুষ নিজেকে হালকা করে। সৌম্যও এর ব্যতিক্রম নয়। ওদের বিয়ে-তো না ও হতে পারত। এভাবে-তো ববির সাথে কত-শত রুশীয় মেয়ে মিশেছে। তাদের প্রেমেও হাবুডুবু খেয়েছে বেশ। তবে গাঁটছড়া বাধেঁনিতো অন্য কারো সাথে। এমনটা-তো এলিনার ব্যাপারেও হতে পারত। আর ববি যে চরিত্রবান নয় সেটা এলিনার আগে থেকেই জানার কথা। ও একটু বেশী বেশী রিয়্যাক্ট করে ফেলেছে।
নিজের মনেই সান্ত্বনা নেয় সে। ভাবি আমি যদি বিয়ে করতাম তবে কি এমন হোত? হয়তো এমন নয় মোটেও অন্যরকম কিছু। তবে রেমেনা’র কথা মনে পড়লেই বুকের মধ্যে খামচে ধরে। ও তো আমার মেয়েও হতে পারত।
ববি’র মা আর বোন ওর মেয়েকে চরম মমতায় মানুষ করছে। ববি বছরের প্রায় পুরোটা সময় মস্কোতেই থাকে। কালে ভদ্রে আসে দেশে। মূলত মেয়ের টানেই আসে। মেয়ে ওকে ভাল করে চিনে না। কাছে আসতে দ্বিধা হয় লজ্জা পায়- শত আহ্বানেও দূরে দূরে থাকে। মেয়ের জন্য খরচের কমতি নেই- যা লাগে তার থেকে অনেক বেশী খরচ করে সে। বাইরে থেকে ফেরার সময় সুটকেস ভর্তি দামী দামী খেলনা পোশাক আর চকলেট থাকে।
পর পর দু’বার জন্মদিনে সে আসতে পারেনি। রেমেনা এবার স্কুলে ভর্তি হয়েছে। সে নাকি গড় গড় করে বাংলায় কথা বলে। মায়ের কথা, রুশ ভাষা আর আগের স্মৃতি সব সে ভুলে গেছে। চেহারার আদল ছাড়া বোঝার উপায় নেই সে বাঙ্গালী নয়।
ববি ওর মা বোন ভাইদের পীড়াপীড়িতে এবার জন্মদিনে আসতে বাধ্য হোল। বাসার ছাদে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আর বন্ধু পরিজনদের দাওয়াত দিয়েছে।
সীতাকুণ্ড থেকে সৌম্যের আসতে একটু দেরি হয়ে গেল! গেস্ট অনেকেই চলে গেছে ততোক্ষণে। কেক একটা কাটা হয়েছে। আরেকটা রাখা হয়েছে ওর অপেক্ষায়।
ওদের বাসার সবাই সৌম্যকে ভালভাবে চেনে ও বিশেষ সুবোধ ভদ্র ছেলে হিসেবেই জানে। সে ছাদে যেতেই আয়োজনে নতুন জোয়ার আসল। এর ওর সালাম আর কুশল বিনিময় করতেই বেশ খানিকটা সময় কেটে গেল। কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে ওর চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছিল রেমেনা’কে। অবশেষে চারিদিকে উজ্জ্বল আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে দারুণ ধবধবে সাদা জরি আর ফুলেল কাজ করা ফ্রক পরে পরির সাজে সে আসল।
কি আশ্চর্য! আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন এলিনার ডুপ্লিকেট দেখছি। একেবারে ছাঁচে ফেলে করা গড়ন রঙ আর চেহারা!!
ববি মেয়ের হাত ধরে আমার সামনে এনে বলল, এই যে তোমার সৌম্য চাচা!
যেন কত দিনের চেনা সে আমার। নরম তুলতুলে কচি হাত দিয়ে আমার আঙ্গুল ছুঁয়ে বলল, তুমি সোম্ম চাচা?
হ্যাঁ মা আমি উবু হয়ে তাকে কোলে তুলে নিতে নিতে বললাম। আমি তোমার সোম্ম চাচা। তোমার নামটা বলতো।
সে আমার দিকে তাকিয়ে খানিকটা লজ্জা পেয়ে ফিক করে হেসে বলল, -লেমেনা।‘ কি যে মিঠে করে বলল নামখানা তার। আমি আলতো করে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলাম।
সে বাসার প্রতিটা লোক তাকে এত বেশী কেয়ার করে ভালবাসে যা দেখে আমি আবেগে আপ্লুত হলাম। মনে হোল ওর মায়ের কাছেও এমন আদর পেত না। যদিও আমি বিলক্ষণ জানি- মায়ের কোন বিকল্প হয় না! তবুও নিজের অনুতাপের জ্বালা উপশমের জন্য এমন ঔষধ কার্যকরী।
আমরা বড্ড-বেশি অকারণে উৎসুক জাতি। দু-চারজন একটি একা আমাকে বাগে পেয়েই ফিস ফিস জিজ্ঞেস করল, ওর মায়ের খবর?
আমি কিছুই জানিনা বলে ঠোট বাঁকালাম!~ পর্ব ৮ শেষ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
৯ম পর্ব
র পর থেকেই রেমেনার সাথে মাঝে মধ্যেই সাক্ষাত হয়। ববি না থাকলেও ঢাকা আসলে ওর জন্য এটা ওটা নিয়ে আসি দেখা করার লোভে। আমার পারিবারিক অনুষ্ঠান বা ওদের কোন আয়োজনে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ হয়। আমি ধীরে ধীরে ওর বেড়ে ওঠা দেখি।
এর মাঝে আমি বিয়ে করে ফেললাম বা করতে বাধ্য হলাম বলা যায়। বিয়ে হোল মায়ের পছন্দেই। তার অনুরোধ বারংবার আমি আর ঠেলতে পারছিলাম না।
ববি আসল আমার বিয়েতে-রেমেনার বয়স তখন আট। দারুণ নাচল সে আমার গায়ে হলুদের পার্টিতে। ওর মিষ্টি সৌন্দর্য সবাইকে টানে। সবখানেই সে সবার মধ্যমণি।
আমার বিয়ের ক’দিন বাদেই ববির বোনের বিয়ে হয়ে গেল! মেয়েটা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ল। বয়স্ক মা একা আর তাকে সামলাতে পারে না। এছাড়া কিন্ডারগার্ডেনে অনেক পড়া- কারো একজনের গাইডেন্স জরুরি।
পরিবার থেকে চাপ আসল ববির বিয়ে করার জন্য। ববির ভাবখানা এমন যে, শুধু মেয়ের জন্যই বিয়ে করতে সে রাজী হচ্ছে। না হলে দেবদাস হয়েই এক জীবন কাটিয়ে দিত। তবে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে, মেয়েকে সে ভীষণ ভালবাসে।
কনে ঠিক হোল নারায়ণগঞ্জে! সম্ভবত একবার তার বিয়ে হয়েছিল। কানাঘুষা শুনলেও সবাই ব্যাপারটা একদম চেপে গিয়েছিল। এবার বিয়ে হোল খুব সাদামাটা ভাবে। আড়ম্বর বা আয়োজন নেই কোন।
রেমেনা এতদিন ববির বোনকেই মা বলে ডাকত। তার জীবনে তৃতীয় মা আসল এবার। দুজনকে দুজনার আপন করে নিতে একটু সমস্যা হোল বৈ কি! বিয়ের পরে অবশ্য ববি কিছুদিন তার বৌকে মস্কো ঘুড়িয়ে এনে ঠাট বাট দেখিয়ে আনল। তবে বউকে আধুনিকা করতে গিয়ে সে উল্টো ফাঁদে আটকে গেল! এ-তো রুশ রমণী নয়। দু’দিনেই সে বুঝে গেল ওখানকার হাল হকিকত। নিজের মনে দুঃখ কষ্ট বয়ে বেড়ানোর মানুষ সে নয়- চোখের জলে নাকের জল এক করে বাড়ি ঘর মাথায় তুলল।
যেমন ওল কচু তেমনি বাঘা তেঁতুল! এবার জমল খাপে খাপ! বউ নাকি তার টেলিফোনেও মদের ঘ্রাণ পায়- সব পার্টিতে উপস্থিত থাকে সে। কোন মেয়েকে তার ধারে কাছে ঘেষতে দেয় না। সবখানে গিয়ে সবার ব্যাঙ্গ তামাশা উপেক্ষা করে স্বামীর হাত ধরে বসে থাকে। বন্ধু আমার ব্যাপক চাপে পড়ল। পারলে টেলিফোনে ভেউ ভেউ করে কাঁদে!
এর মাঝেই ওর বউ হোল অন্তঃসত্ত্বা। লে ঠ্যালা! যদিও সে সুযোগ বুঝে পরিবারের সাহচর্য ও পরিচর্যার কথা বলে তাকে দেশে পাঠিয়ে একটু বে-এক্তেতার হতে চেয়েছিল-সেখানেও গরম ভাতে জল!
ওর বউ তাকে ছাড়া কোনমতেই দেশে আসবে না! শেষমেশ তাকে এনে ছাড়ল।
রেমেনা’র নতুন মায়ের সাথে এবার বেশ খাতির হোল। দু’জনের বেশ হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক জমে উঠল। ববি অবশ্য এতে দারুণ উৎফুল্ল।
যথা সময়ে কন্যা সন্তানের জন্ম হল এবার। রেমেনা তখন কিশোরী। মায়ের অবর্তমানে সে আর তার দাদী মিলে ছোট বোনকে সামলায়। অপটু হাতে সে তার ন্যাপি পাল্টে দেয় দুধ গরম করে খাইয়ে দেয়, বমি করলে পরম যত্নে মুছে দেয়। ববির বোনের বিয়ে হয়েছে আশে পাশেই। সুযোগ পেলেই সে রেমেনা’র টানে ছুটে আসে। রেমেনার দ্বিতীয় মায়ের সাথে একান্তে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর চলে গভীর রাত অব্দি। এমনিতে অবশ্য সে দাদীর কাছে ঘুমায় কিন্তু ফুপি আসলে কারোর আর পাত্তা নেই।
দারুণ সুখেই দিন কেটে যাচ্ছিল ওদের। এলিনা যেন এ পরিবারে ব্রাত্য। কেউ আর ওর কথা জিজ্ঞেস করে না। রেমেনা’ও জানতে চায়নি কোনদিন ওর আসল মা কে ছিল? সযত্নে সবাই মিলে এলিনার সব স্মৃতিগুলো মুছে ফেলেছে। এ নামে কোন মানবীর সাথে কোনদিন এদের সম্পর্ক ছিল বলে মনে হয় না।
ও লেভেল পাশ করতেই রেমেনা গায়ে গতরে তর তর করে বেড়ে উঠল। প্রথম দেখায় ওকে ষোড়শী কিশোরী বলে মনে হয় না। লম্বা দীঘল কালো চুল, টানা টানা গাঢ় ভ্রু, লম্বা চোখের পাপড়িতে দারুণ আকর্ষনীয়া সে- অনেক যুবকের আরাধ্য হয়ে উঠল তখন।
ববি স্থায়ীভাবে থিতু হবার চেষ্টা করছে দেশে এসে। এদেশে ব্যবসা করাতো এত সহজ নয়। তাই সে এখনো ভাব বুঝছে। কোন ব্যবসায় এখনো টাকা খাটায়-নি। মস্কোতে তার স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে বেশ থোক টাকা নিয়ে এসেছে, সাথে সেই ব্যবসায় নগদ লগ্নি-তো ছিলই। মস্কোতে বছর পাঁচেক আগে কেনা ২০ হাজার ডলারের ফ্লাট এখন দেড় লাখে বিকোয়। দুই রুমের ফ্লাট ভাড়া নাকি হাজার থেকে পনের'শ ডলার!! বলে কি! ওই আক্রার বাজারে সেখানে বসবাস করা ভীষণ দুরূহ হয়ে উঠেছে।
মেয়েকে নাকি সে প্রচুর সময় দেয় এখন। নিজেই গাড়িতে করে স্কুলে নিয়ে যায় নিয়ে আসে। মেয়ের নাকি এর মধ্যেই কয়েকখানা বিয়ের প্রপোজাল এসেছে। এতটুকুন মেয়ের ঘন ঘন বিয়ে আসায়- বাপ হিসেবে সে বেশ বিব্রত!
আমার সাথেও রেমেনার দেখা হোল প্রায় বছর দুয়েক বাদে। প্রথম দেখায় ওকে আমি চিনিতেই পারিনি। লম্বায় সে আমার মাথা ছাড়িয়ে গেছে। গোলগাল মিষ্টি মুখটা খানিকটা লম্বাকৃতি হয়ে গেছে! ওর বাবা অনুযোগ করল মেয়ের ডায়েট নিয়ে। ‘এই বয়সে আমরা লোহা লক্কড় খেয়ে ফেলছি আর ওরা যতটুকু গেলে তার থেকে ঠোট মুছে বেশী’।
এখনো সে তার সেই সারল্যে ভরা হাসি দিয়ে চাচা বলে ডাকে আমায়। আমার বড় মেয়ের বয়স সদ্য ‘তিন’। ওকে আনিনি বলে তার সে কি অভিমান। কথা দিলাম ফেরবার নিয়ে আসব।
সেই ফের বার আসতে আসতে দু’বছর হুশ করে চলে গেল। মস্কোর এক বড় ভায়ের আশীর্বাদে ববির ব্যবসা জমে উঠেছে ততদিনে। ধানমন্ডিতে একজোড়া ফ্লাট কিনে সেখানেই সপরিবারে উঠে গেছে। মোহাম্মদপুরের বাসা ডেভেলপারের দিয়েছে- সুউচ্চ ভবন হবে সেখানে। ঠাঁট বাট পোষাকে বোঝা যায় এখন সে বেশ ধনবান। বি এম ডাব্লিউ চালায়!
আমাকে বেশ করে দাওয়াত দিল তার মেয়ের ১৮তম জন্মদিনে! অবশ্যই যেন বউ বাচ্চা নিয়ে আসি আমি।
২০১৬ সাল আজ রেমেনার সেই আরাধ্য আঠার তম জন্ম বার্ষিকী। আমি একটু আগে ভাগেই বউ বাচ্চা নিয়ে হাজির হলাম।আমার মেয়েকে দেখে রেমেনা চরম আবেগে আপ্লুত। মেয়েটা কত্ত বড় হয়ে গেছে। এই বয়সের আশেপাশেই ওর মায়ের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল। ওকে দেখে এক ঝটকায় আমি দুই যুগ আগে চলে গেলাম!
যদিও আমি বিরলকেশী নই তবুও মাথা জুড়ে পাকা চুলের ছড়াছড়ি। অবশেষে উন্মত্ত যৌবনকাল অতিক্রম করে পৌঢ়ত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। রেমেনাকে দেখে মনে হয় আমাদের বয়স বেড়ে গেছে অনেকখানি।
গাজীপুরের এক প্রাইভেট রিসোর্ট কাম উদ্যানে বিশাল আয়োজন। কিডস জোন থেকে শুরু করে সুইমিংপুলে দাপাদাপি করার ও সুযোগ আছে! অফুরন্ত বাহারি খাবার আর চারদিকে বয় বেয়ারার ছড়াছড়ি। কোথাও গ্রিল বা কাবাব হচ্ছে, কোথাও-বা চটপটি, এককোণে দেখি ভাঁড়ের দুধ চা ও আছে। মেইন কোর্স-তো আছেই। ওর মেয়ের জন্য এতবড় আয়োজন দেখে আমার গর্ব হচ্ছে।
সন্ধ্যের আলো আধারিতে গজলের আয়োজন ছিল! এই প্রথম ওকে একাকী বাগে পেলাম।
-এলিনা ফোন করেছিল?
-হ্যাঁ কয়েকবার
-কি বলেছিস? ওর সাথে কি রেমেনা কথা বলেছে?
- নাঃ গতরাতে আমি রেমেনার সাথে কথা বলেছিলাম। ওকে বললাম তুমি মা এখন প্রাপ্ত বয়স্ক। তোমার অতীত নিয়ে অল্প বিস্তর তুমি জানো। তবুও তুমি তোমার অতীত নিয়ে, তোমার মা'কে নিয়ে কিছু জানতে চাও-আমি বলতে পারি।
সে আমার হাত ধরে বলল, না বাবা আমি কিছু আর জানতে চাই না। এটাই আমার সত্যিকারের সংসার। এখন যিনি আছেন তিনিই আমার আসল মা। আমি আমার অতীত নিয়ে কিস্যু জানতে চাই না।
বিশ্বাস কর সৌম্য ওর এ কথা শুনে ষোল বছর আমার বুকের মধ্যে চেপে বসা একটা পাথর নেমে গেল যেন।
আমি তখন বলেছিলাম- ওকি ওর মায়ের সাথে কথা বলতে চায়। সে চাইলে তার ছবিও দেখতে পারে।
মেয়ে খানিক্ষন চুপ করে থেকে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলেছে -না সে কিছুই চায় না।
- তা এলিনাকে কি বললি?
- ও একবার ওর সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। আমি বললাম, মেয়ে-তো কথা বলতে চায় না। সে বিশ্বাস করেনা। সে আমারে কোনদিন বিশ্বাস করে নাই- শেষের কথাগুলো সগতোক্তির মত করে নিচুস্বরে বলল। গলা খাঁকড়ি দিয়ে বলল, শেষমেশ ওর একখানা ছবি দেখতে চেয়েছিল। তাও দেই নাই। এমনিতেই নাকি অসুস্থ! শুধু শুধু কষ্ট বাড়ানোর দরকার কি।

আমি ববি’র কথা শূনে নির্বাক হয়ে গেলাম! কিছু বলার বা জানার আগ্রহ রইল-না আর আমার।

* কবিতাঃ তারাপদ রায়
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
পরের পর্বের জন্যঃ
প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: গল্প-উপন্যাস যখন পাঠক হৃদয় ছুঁয়ে যায় তখন আর সেটা গল্প-উপন্যাস থাকেনা, জীবনের গল্প হয়ে যায়! যে গল্পে মানুষের জীবনের সকল কথাই উঠে আসে তাই জীবনের গল্প। জীবনের মানে তো এটুকুই... এর বেশি কিছুই না। বাবনিক পাঠক হৃদয় জয় করেছে। পাঠকদের জীবনের গল্প হয়েছে।

শুভ কামনা। +

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০০

শেরজা তপন বলেছেন: এই যে বলেছিনা আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আমার ঘাম ছুটে যায় :)
একটুখানি ফুসরত পেয়ে মন্তব্যের উত্তর দিতে বসে- তাল হারিয়ে ফেলছি।
বাবনিক কখনোই সম্পুর্ন হোত না যদি আপনি ও আপনার মত কিছু অতি বড় মনের মানুষ বন্ধু ভাই আমার পাশে না থাকতেনত-উৎসাহ দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত না করতে।
সত্যিই আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ ও দায়বদ্ধ রয়ে গেলাম আপনাদের কাছে।

২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাবনিক নিয়মিত অনিয়মিত আমি পড়েছি তবে সময় ও ব্যস্ততার কারণে মন্তব্য করা হয়নি। বাবনিক বাস্তবতার রেখায় লিখে রাখা একটি ডায়েরী। বাদবাকি মতামতে লিখে জানাবো। আপনার বাবনিক লেখাটির একটি ছোট্ট পাঠ প্রতিক্রিয়া অথবা আমার মতামত হিসেবে একটি পোস্ট দিতে চাই। মতামতে নেগেটিভ পজেটিভ উভয় অংশ থাকবে বা থাকতে পারে। তবে কিছু ফাইল প্রয়োজনে বা বিশেষ কারণেই গোপন রাখা হবে। - আপনার মতামত আশা করছি।



০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ওরেব্বাস!!
এতো বিরাট সৌভাগ্য আমার সুপ্রিয় ঠাকুর মাহমুদের মত এমন ঋদ্ধ গুণী ব্লগার ামার লেখা মামুলি একটা উপন্যাসের পাঠ প্রতিক্রিয়া পোস্টের আকারে দিবেন!!! নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।
আমি দারুনভাবে প্রীত ও আপ্লুত! আপনি যা-ই লেখেন যেভাবে লিখেন আমার কোনই আপত্তি নাই।
মন্তব্যে নেগেটিভ পজেটিভ থাকলেই লেখায় উন্নতি হবে। আমি বরাবরই চাই পাঠকেরা সমালোচনা করুক। তবে গঠনমুলক না হয়ে শুধু নেতিবাচক মন্তব্য লেখককে নিরুৎসাহিত করে- লেখা বিমুখ করে দেয়।
আপনি বুদ্ধিমান মানুষ আপনার উপরে আমার শতভাগ ভরসা আছে। লিখবেন নিশ্চিত।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পড়লাম আর মন খারাপ হয়ে গেলো। না পড়লেই ভালো হতো।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন ব্রাদার আমি এত খাটুনি করে নাকের জন চোখের জল এক করে উপন্যাসখানা লিখলুম আর একটু মন খারাপের ভয়ে আপনি বললেন না পড়লেই ভাল হোত!!!
ব্লগে কত পুরনো আপনজন আপনি। আপনার উপস্থিতি বরাবরই আমাকে আনন্দ দেয় অনুপ্রাণিত করে।
পরের পর্বে মানে শেষ পর্বে আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়ার অপক্ষায় রইলাম?

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কাহিনি.........এরপরও ঘটনা আছে নিশ্চয়.......এলিনা এই পর্যন্ত মেয়েকে মনে রেখেছে.....

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আর মাত্র একখানা পর্ব আছে- তারপরেই শেষ!! বাবনিকের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি
আপনাকে পেয়ে বড় ভাল লাগল।
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৮

কামাল৮০ বলেছেন: আগের পর্বগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়িনি বলে ঠিক ঠাক বুঝতে পারছি না।এই পর্বটা পড়ে মনে হয়, আগে না পড়ে ভুলই করেছি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে এই পর্বটা প্রথমেই দেয়া উচিৎ ছিল :)
সময় তো চলে যায়নি কামাল ভাই। ফের একটু পড়ে দেখুন না
অপেক্ষায় রইলাম আপনার শেষ পর্বের মন্তব্যের জন্য-ভাল থাকুন

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সব পড়ি নি। এটি সহ ৪ টি এই সিরিজের পড়সি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা নেই সব শেষ বেলায় পড়ে নিয়েন।
এই পর্বের অনুভুতি কেমন?

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা জীবন
আহারে জীবন !
ভাবছি মেয়েটার হৃদয়ের শূন্যতা কি দিয়ে পূরণ হবে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: (অবশেষে আপনার দেখা পাওয়া গেল!!! আহ কি শান্তি
এইবার আমি শান্তিতে মরবার -না না শেষ পর্ব দিতে পারব )

পর্বটা অসম্ভব কষ্টের- লিখতে গিয়ে আমি বার বার থমকে গেছি। চোখ ভিজে এসেছে। তবে অন্তরের উপলব্ধিটা বয়ান করতে পারিনি সত্যিকারে।

ধন্যবাদ। দেখা হচ্ছে শেষ পর্বে।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জনাব তক্কে তক্কে থেকে এই পর্বের ও প্রথম পাঠক আমি ছিলাম, কপাল গুনে। সবিনয়ে জন্মাতে চায় এইসব পর্বে মন্তব্য করা আপনার পোষ্ট লেখার মতোই কঠিন :(

নিঃসন্দেহে কাহিনী ভীষণ আকর্ষণীয় এবং যারপরনাই বেদনার, কিন্তু আপনার লেখায় যে হাহাকার উঠে এসছে, বর্ণনায় যে কষ্টের নীলাভ দ্যুতি ফুটে উঠেছে! তাতেই লেখা হয়ে গেছে আমাদের খুব কাছের গল্প।

অপেক্ষায় রইলাম শেষ পর্বের।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি নিঃসন্দেহে আমার এই লেখার শূরুতে বেশ বিরক্ত ছিলেন।
উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, এটা আপনার টাইপ না-এরপরেও নেহায়েত আমাকে ভালবেসে সাথে আছেন।
আমি তখন বলেছিলাম, এর শেষ পর্যন্ত থাকুন,মুল যেই আলোচনাটা করতে চাই কিংবা যে এই লেখার মুল চরিত্র তাকে উপস্থাপনের পরে সমস্ত আবহ পালটে যাবে।
আশা করি আমি আমার কথা রাখতে পেরেছি।
পুরো লেখা শেষে এই উপন্যাসের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গীতে বিস্তারিত একটা মন্তব্য আমি দাবি করতেই পারি- নাকি?

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




সৌম্যতো আসলেই সুবোধ ভদ্র ছেলে :)

সযত্নে সবাই মিলে এলিনার সব স্মৃতিগুলো মুছে ফেলেছে। এ নামে কোন মানবীর সাথে কোনদিন এদের সম্পর্ক ছিল বলে মনে হয় না।

একজন প্রানবন্ত মানুষ, সকলের মধ্যমণি ।
অথচ সময়ের সাথে সবাই তাকে একসময় ভুলে যায় ।
মনে হয় তার অস্তিত্ব কখনও ছিলোনা ।
এটা মেনে নেয়া যায়না । খুব কষ্টদায়ক :(

মস্কোতে বছর পাঁচেক আগে কেনা ২০ হাজার ডলারের ফ্লাট এখন দেড় লাখে বিকোয়।

বলে কি !! মস্কোতে ২০ হাজার ডলারে ফ্ল্যাট পাওয়া যেতো ?
ওখানেতো তাহলে ভালো ইনভেস্টমেন্ট প্রপার্টি করা যায় ।

লম্বায় সে আমার মাথা ছাড়িয়ে গেছে।

মানে কি !! সৌম্যর হাইট কতো ?

শেষমেশ ওর একখানা ছবি দেখতে চেয়েছিল। তাও দেই নাই।

ববিটা একটা রুড, যাচ্ছে তাই X((
কি করে পারলো মেয়ের ছবি না দিতে !
এলিনা ১৮ বছর ধরে অপেক্ষায় ছিলো এই দিনটির জন্য ।
মেয়ে বড় হলে সব সত্যিটা জানবে, মাকে বুঝতে পারবে ।

ইউ নো হোয়াট ?
ববিই চায়না মেয়ে এলিনার সাথে কথা বলুক ।
মেয়ে কথা বলতে চায়না এটা মনে হয় ববি মিথ্যে বলেছে ।
তার কাছ থেকে এটা হতে পারে ।

এলিনার জন্য খারাপ লাগছে ।
কিছু মানুষ থাকে, সারাজীবন শুধু কষ্টই পেয়ে যায় ।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাপরে- আপনি পারেন বটে!
এতবড় মন্তব্যের উত্তর দিতে হলেতো আমাকে আরো এক পর্ব লিখতে হবে!!! আপাতত সংক্ষেপে যাচ্ছি;

* হ্যা তা তো খানিকটা আছেই। আমার হরিহর আত্মা যে :)

*৫ হাঃ ছিল ৯৬/৯৭ তে আর তখন ২০০১/২০০২ সাল।

* সৌম্য এর উচ্চতা পাঁচ ফুট আট নয় হবে। মেয়ে দশ ছাড়িয়ে গেছে!

* ইউ নো হোয়াট ?
ববিই চায়না মেয়ে এলিনার সাথে কথা বলুক ।
মেয়ে কথা বলতে চায়না এটা মনে হয় ববি মিথ্যে বলেছে ।
তার কাছ থেকে এটা হতে পারে ।~ এই সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে ওর মেয়ে ওকে অসম্ভব ভয় পায়!


এলিনার জন্য খারাপ লাগছে ।
কিছু মানুষ থাকে, সারাজীবন শুধু কষ্টই পেয়ে যায় ।~ ঠিক কিছু মানুষের জীবন এমনই হয়( জনম দুঃখী)



পরের পর্বে মানে শেষ আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম- আখেরি ধন্যবাদ দেবার জন্য

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই বিয়োগান্ত লাগল। এলিনার স্বদেশে প্রত্যাগমন থেকে বুঝেছিলাম এই উপন্যাসের মোড় কোন দিকে ঘুরতে চলেছে। বাকি দুটো পর্বতো তারই সংযোগস্বরুপ। মা পরিত্যক্ত রেমেনা যে ততদিনে বুদ্ধিমতী ও প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছে, শেষ সংলাপটুকু থেকে তারই নির্যাস বোঝা গেল। পরিবেশ পরিস্থিতি হয়তো আমাদেরকে মাঝে মাঝে খুব যান্ত্রিক করে তোলে।রেমেনা বা ববির পজিশন সেদিক থেকে হয়তো ঠিকই আছে। কিন্তু মানবিকতার খাতিরে হৃদয়ে যে অপূর্ণতা রয়ে গেল বা বলা ভালো পাঠক হিসাবে এলিনার অনুপস্থিতি মনে দাগ কেটে গেল...

খুব ভালো একটা উপন্যাস শেষ করেছেন। এবার সময় নিয়ে উপন্যাসের কয়েকটি পর্বে সামান্য যে ফাক ফোকর আছে ও কিছু স্থানে বানানগুলোকে একটু সংশোধন করে পরবর্তী বইমেলায় বার করে ফেলুন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যগুলো পড়ে আসলাম। এতটুকু দৈর্য ও সময় নিয়ে পুরো লেখাটা পরার জন্য আমার অন্তঃস্থল থেকে ভালবাসা রইল।
এত ভুল শোধরানো আমার কর্ম নয়। যদি কখনো বই হিসেবে বের-ই হয় তবে এটা প্রুফ রিডার এডিটরের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে
(ওদের তো কর্ম করে খেতে হবে- আমার মত এমন রাইটার না থাকলে উপরি দু'পয়সা কামাবে কেমনে!) যদিও সে সম্ভাবনা ক্ষীণ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। আপনার আন্তরিকতার তুলনা হয় না।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

জুন বলেছেন: অসাধারণ শেরজা তপন, এই পর্বটি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম। খুটিনাটি বিবরণ সব সবটাই। তবে রেমেনার জন্য কষ্ট লাগলো, এলিনার জন্য তো আছেই। এই ধরনের জীবন বড় এলোমেলো হয়ে যায় সবার জন্যই। অনেক ভালো লাগা রইলো।
+
সৌম্য সীতাকুণ্ডে কি করে? এটা জিজ্ঞেস করলাম কারণ সেখানে আমার জীবনের একটা লম্বা এবং সুখের সময় কেটেছে। নামটি শুনলেই নষ্টালজিক হয়ে যাই।

২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: সুদীর্ঘ ষোল বছরের এই সময়টুকু আরোও কয়েক পর্বে সাজাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি রেমেনাকে নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া করতে
চাইনি। তার জীবন সবে শুরু। উপন্যাসের স্থান ও পাত্র যথাসাধ্য চেষ্টা করে পাল্টেও মনে হচ্ছে ফাঁক থেকে গেল! আমি চাইনা এ উপন্যাসের কোন আঁচ তার গায়ে গিয়ে লাগুক।

সৌম্যের খানিকটা পরিচিতি দেয়া আছে একতা পর্বে।
তার বাবা 'শিপিং ব্রেক ইয়ার্ডে'র প্রথম দিককার ব্যাবসায়ী! এইটুকুই জেনে রাখেন- আর দরকার নাই। কেচো খুড়তে সাপ বের হবে শেষমেশ :)

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফের। ভাল থাকুন

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৯

জুন বলেছেন: আপনিই কি সৌম্য? একবার বলছেন সৌম্য আসলো আবার লিখেছেন আমি রেমেনার হাত ধরলাম। কাহিনী কিতা?

২৪ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: নিজেকে সৌম্য হিসেবে হাজির করেছি। উত্তম পুরুষের একটু ঝামেলা আছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.