নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেল নিয়ে তেলেসমাতি ~ সাথে ফাও একটি কৌতুক

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৩

~নাম না জানা কারো -কার্টুন চিত্র।ফেসবুক থেকে।
গুরুগম্ভীর বিষয়ে লেখার আগে একখানা কৌতুক দিয়ে শুরু করি। মনটা হালকা হবে। হয়তোবা এ কারনে লেখাটা পড়তে ভালো-ও লাগতে পারে। (ও একটা কথা ব্লগারদের অতি প্রিয় ব্লগার আহমেদ জী এস- এর আজকের একটা পোষ্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লেখাটা শেয়ার করছি।)
ভীর রাতে কোন এক মরুভূমিতে বন্ধ থাকা একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে দুই এলিয়েন নেমেছিল।
তারা একটি পাম্পের কাছে গেল। কম বয়েসী এলিয়েনটি ধারনা করল যে এটি এই গ্রহেরই কোন প্রাণী হবে। যুবক এলিয়েন এটিকে বাবু সম্বোধন করে বলল, 'হ্যালো, আমরা শান্তি স্থাপন করতে এখানে এসেছি। তুমি তোমার নেতার কাছে আমাদের নিয়ে যাও।'
স্বভাবতই 'পাম্প' কোন সাড়া দিল না ।
কোন উত্তর না পেয়ে যুবক এলিয়েনটা রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। বুড়ো এলিয়েন তাকে বুঝিয়ে বলল, -' ঠান্ডা হও বাছা-আমি যদি তুমি হতাম, তাহলে আমি আরো নরম হতাম।'
যুবক এলিয়েন তার সতর্কতা উপেক্ষা করে ভীষন রাগত কন্ঠে তার অভিবাদনের পুনরাবৃত্তি করল। আবার কোনো সাড়া পাওয়া গেলনা। পাম্পের উদ্ধত আচরণে হতবাক ও অপমানিত হয়ে সে তার ভয়ানক আস্ত্রখানা বের করে পাম্পের দিকে টার্গেট করে অধৈর্য হয়ে বলল, 'হ্যালো, পৃথিবীবাসী।আমরা শান্তির জন্য এসেছি। আমাদের এভাবে অবহেলা করবে না! আমাদের নেতার কাছে নিয়ে যাও, নইলে তোমাদের ধ্বংস করে দিব!'
বুড়ো এলিয়েন আবার তার সঙ্গীকে সতর্ক করে দিয়ে বলল, 'আমার মনে হয় না তোমার সেটা করা উচিৎ হবে। ওকে অযথাই ক্ষেপিয়ে দিও না।
'ননসেন্স', উদ্ধত, যুবক এলিয়েন উত্তর দিল। সে পাম্প লক্ষ্য করে গুলি চালাল। প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হল। একটি বিশাল অগ্নিগোলক তাদের দিকে ছুটে আসল এবং সেই আগুন আর বাতাসের ঝাপটায় যুবক এলিয়েনটিকে উড়িয়ে নিয়ে ফেলল প্রায় দুই’শ গজ দুয়ে এক এক ক্যাক্টাসের ঝোপের মধ্যে।
ধোঁয়ার চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল! আগুনে ঝলসে যাওয়া শরির আর কাঁটা ঝোপে ক্ষতবিক্ষত হয়ে তার তখন মরন দশা!
আধঘণ্টা কেটে গেল। অবশেষে যখন সে জ্ঞান ফিরে পেল, তখন সে তার তিনটি চোখের ফোকাস ঠিক করল, তার কুচকে যাওয়া জৈব অ্যান্টেনা কোনমতে টেনে টুনে সোজা করে দিল বয়স্ক বুদ্ধিমান এলিয়েন।
এর পরে তাকে কোন মতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল স্পেস শাটলে।
অবশেষে বড় এক শান্তির নিঃশ্বাস নিয়ে যুবক বলল 'কী ভয়ঙ্কর প্রাণী!', আরেকটু হলে তো অক্কা পেতাম। তা দাদু, তুমি কিভাবে জানলে যে সে এত বিপজ্জনক?'
বৃদ্ধ এলিয়েন আরো কাছে এসে তার দিকে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফিস ফিস করে উত্তর দিল,
'বহু আগে গ্যালাকটিক মহাকাশ ভ্রমণের সময় আমার পুর্বপুরুষদের কাছ থেকে জেনেছিলাম; কখনোই অচেনা গ্রহের এমন কোন প্রাণীর সাথে ঝামেলা করবে না যারা তাদের ‘পুরুষাঙ্গ’ কাঁধের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে এনে কানে ঢুকিয়ে রাখে।
বি.দ্র. মুল লেখার সাথে এই কৌতুকের কোন সম্পর্ক নেই।

কটু কি মনটা ভাল হোল? আসুন এবার এর পরে গত ৬ই আগষ্ট জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ও আমার নিজস্ব কিছু পরিসংখ্যান উপস্থাপন করতে চাচ্ছি। এই প্রশ্নগুলো অনেকের মাথায় ঘুরপাক খায় কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়; সঠিক কোন সদুত্তর মেলে না। আমরা কারো কাছে ব্যাখ্যা চাইয়ে পারিনা আর এর ব্যখ্যা দিতে গনপ্রজাতন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই সকল কর্মচারীরা রাজী নন।

৬ আগস্ট ২২ জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীঃ
নসরুল হামিদ বলেন, গত ফেব্রুয়ারি থেকে বিপিসি ৮ হাজার কোটি টাকার উপরে লস করেছে। ওই টাকা তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে চলে গেছে। এখন অনেকে বলেন, লাভের টাকা কি আপনারা ধরে রাখছেন? আমরা লাভের টাকা তো ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইনে খরচ করে ফেলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসতেছি, সেখানে খরচ করছি। ভবিষ্যতে আমরা রিফাইনারি করবো, সেই জায়গাতে আমরা কনসালটেন্সিতে খরচ করেছি প্রচুর টাকা। বিভিন্ন প্রজেক্টে খরচ করছি যেন নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহটা রাখা যায় কিন্তু তেলের দাম তো নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্ববাজার।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম মাস দুয়েক আগে ১৭০ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। তখন যদি দাম সমন্বয় করা হতো, তাহলে ডিজেলের দাম হতো ১৬০ টাকা। এখন কিছুটা কমে ১৩৯ ডলারে নেমেছে। আমরা চিন্তা করলাম, এখন যদি দাম সমন্বয় করি তাহলে তো আমার ১৬০ টাকা করতে হচ্ছে না। এখন বিপিসির আমদানি খরচ হচ্ছে প্রতি লিটারে ১২২ টাকা। সেখান থেকেও কমিয়ে ১১৪ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১১৪ টাকা করার পরও কিন্তু বিপিসির লস করতে হবে। যদি প্রতি ব্যারেলে ৭৯ ডলার থাকে, তাহলে বিপিসির লস হয় না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও কিন্তু দাম ১১৪ টাকা। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১২২ টাকা তেলের দাম, আমেরিকায় যেটা ৫৫ টাকা ছিল, এখন ১৫৫ টাকা। এটা অস্বাভাবিক একটি পরিস্থিতি। আমি মনে করি, এই সমন্বয়টা সবাইকে কষ্ট দেবে; এটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি কিন্তু উপায় কী?’
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এই সমন্বয়টা না করতাম তাহলে বিপিসির পক্ষে অসম্ভব ছিল তেল ইমপোর্ট করা। আরেক দিকে ডলারের দামও বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে, কারণ অকটেন খুব অল্প পরিমাণ ব্যবহার করা হয়। কিছুটা আমদানি করি, কিছুটা উৎপাদন করি। দুটি সমন্বয় করেই অকটেন সরবরাহ করা হয়। আগে অকটেন আমরা পুরোটাই উৎপাদন করতে পারতাম কিন্তু অকটেনের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর অকটেন ও পেট্রলের দামটা যদি বেশি পার্থক্য থাকে, তাহলে ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে আমরা এই পরিস্থিতিতে যেতে বাধ্য হয়েছি।
( গতকাল চ্যানেল ২৪ এর খবরঃ বিপিসির মোট লাভ ছিল; ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আজ প্রথম আলোতে লিখেছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রী বলেছেন কিছু টাকা ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছে। এখন বলছেন সব টাকা খরচ হয়ে গেছে!! চ্যানেল ২৪ এর প্রতিবেদনে উন্নয়ন ও লোকসান সহ বিপিসি হিসাব দিতে পেরেছে; ২৬ হাজার কোটি টাকার, আরো ২২ কোটি টাকা থাকার কথা। সেই টাকা কই গেল!! প্রতিমন্ত্রী একবার মনে হয় বলেছিলেন ব্যাঙ্কে কিছু টাকা গচ্ছিত আছে।)

এখন আমার নিজস্ব পরিসংখ্যান তেলের আমদানী মুল্য, পরিশোধনের ব্যয়, ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি, লাভ লস ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে। এখানে পাঠক বিশেষ ভাবে মনে রাখবেন যে, এতদ বিষয় আমি কোন বিশেষজ্ঞ নই। ভুল-ভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করে দিলে আনন্দিত হব।
ক্রুড অয়েল এর মুল্য ফেব্রুয়ারিতে ছিলঃ ৯০.৭৪ ডলার x ৮৬ টাকা/ প্রতি ডলারের মূল্যমান
মার্চ -১৩০ ডলার
এপ্রিল-১১৯ ডলার x ৮৬.৫ টাকা
মে তে সর্বোচ্চ ছিল -১২৩ ডলার x ৮৭.৯০ টাকা
জুন-১১৮ ডলার x ৮৯.০০ টাকা
মধ্য জুলা-তে নেমে আসে ১০০ ডলারে x ৯৪.০০
আগস্টের শুরুতে ছিল ১০৬.৮ x ৯৪.৮৯
৬ আগষ্ট-৯০.৭ মার্কিন ডলার x ৯৫ বাংলাদেশী টাকা= ৮৬১৬.০০
শুল্ক-৩১৮৮.০০
জাহাজ ভাড়া-৯৫ ডলার+ অন্যান্য ৪৭.৫ ডলার(হোল্ডিং চার্জ, ফিডার ভেসেল ভাড়া, হ্যন্ডেলিং চার্জ)= ১৪২.৫০
শিপিং চার্জ- আড়াই লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল এর একটা ট্যাংকার প্রতিদিনের জন্য অবস্থান কিংবা চলাচল এর জন্য ৪০ থেকে ৭০ হাজার ডলার খরচ লাগে। সেই হিসেবে সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে পরিবহনের জন্য ১ ডলার/ ব্যারেল এর কিছু কম বেশী লাগে। পোর্টে যেহেতু মাদার ভেসেল আসার পর্যাপ্ত নাব্যতা নেই সেহেতু বর্হিনোঙ্গর থেকে ফিডার ভেসেলে তেল পোর্ট পর্যন্ত আনতে হয় সেখানে হোল্ডিং চার্জ, ফিডার ভেসেল ভাড়া, হ্যন্ডেলিং চার্জ সহ ধরে নিচ্ছি .৫ ডলার লাগে( আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড ডাটা থেকে ব্যয় এর হিসাব নেয়া- সত্যিকারের হিসাব জ্বলানী মন্ত্রনালয় ও বিপিসি দিতে পারবে)
রিফাইনারি( সর্বোচ্চ)-১১৪০.০০( ব্যারেল প্রতি)
তেল উতপাদনে মোট খরচ( এভারেজ ব্যারেল প্রতি)-৯৮৯৮.৫০ এভারেজ লিটার প্রতি-৫৮.৬০ বাংলাদেশি মুদ্রায়

পরিবহন ও সরবরাহ খরচ-*২০০.০০( তথ্য পাওয়া যায়নি)
পাইকারি মুল্যে কমিশন-* ১০০০.০০( তথ্য পাওয়া যায়নি)
মোট মুল্য দাঁড়ায়-১১,০৯৮.০০/ প্রতি লিটার ৬৫.৭০ টাকা

ক্রুড অয়েলের মুল্য যদি- ১৩০ ডলার হয় তবে শুল্ক সহ ১৭৮ ডলার হবে। খরচ হবে ৯৮৯৮.৫+ ৫১০৬.০০=১৫,০০৪.০০~ এভারেজ প্রতি লিটার- ৮৮.৭৮
সরকার যদি শুল্ক মওকুফ করে তবে মুল্য আসতে পারে-১০,৪৪৪.০০/ লিটার ৬২ টাকা
৮ আগষ্ট -৮৯.১৯ ডলার /ব্যারেল
* সব হিসাব ব্যারেল প্রতি

এক ব্যরেল ক্রুড অয়েল থেকে আমরা কি কি পাই;
এক ব্যরেলে থাকে ১৫৯ লিটার
এক ব্যারেল অপরিশোধিত তেল/ ক্রুড অয়েল/ পেট্রোলিয়াম থেকে পাওয়া যায়;
• ৭৩ লিটার পেট্রোল বা অকটেন- +-১৩০=৯৪৯০.০০
• ৩৬ লিটার ডিজেল *১১৪=৪০১৪.০০
• ২০ লিটার জেট ফুয়েল বা হেভি ফুএল অয়েল *১৩০=২৬০০.০০
• ৬ লিটার প্রোপেন * ৩০=১৮০.০০
• ৩৪ লিটার বিটুমিন, আস্ফাল্ট, সালফার-৫৫.৫=১৮৭০.০০
মোট বিক্রি= +-১৭৪৬৯.০০

* সম্ভবত প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল থেকে ১০ লিটার বেশী উপজাত মেলে।(সংশোধন হতে পারে)
(এখানে কেরোসিন,মটর স্পিরিট,এইস এস ডি, মেরিন ফুয়েল, ফার্নেস ওয়েলের মুল্য ধরা হয়নি। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য জেট ফুয়েলের মুল্য ধরা হয়-১.২২ ডলার/লিটার=১১৫.০০( দেশেরটার দাম বেশী কেন বুঝলাম না ?)। কিছু কিছু বিশেষ তেল বা বিটুমিনের মুল্য মার্চ ২০২২ এর পরে সমন্বয় করা হয়নি)- সুত্র বিপিসি ও সংবাদপত্র
শুল্ক-৩৭ শতাংশ!

রিফাইনারি খরচ-১১৪০.০০
পরিশোধনের খরচঃ ভাল মানের রিফাইনারিতে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করতে ৩-৪ ডলার লাগে। এর সর্বোচ্চ খরচ( মান্ধাতা আমলের রিফাইনারিতে) ১০-১২ ডলার।(সংশোধন হতে পারে)
সরবরাহ খরচ-২০০.০০
পেট্রোল পাম্প মালিকদের ও বিক্রেতাদের কমিশন- +- ১০% হিসেবে( সঠিক তথ্য জানা নেই)
----------------------
প্রতিদিন আমাদের সবমিলিয়ে কত লিটার তেল( পেট্রোল,দিজেল,অকটেন, জেট ফুয়েল, ফার্নেস ফুয়েল সহ সব ধরনের পেট্রোলিয়াম ফুয়েল) লাগে? সম্ভবত কমবেশী তিন কোটি লিটার! ( বিপিসির কোন তথ্য পাইনি, ওয়ার্ল্ড ও মিটারের তথ্য বিশ্লেষন করে)
গড়ে প্রতি লিটার তেল ১০৩.৩৫ টাকা হিসেবে বিক্রি হয় ৩১০ কোটি টাকার কিছু বেশী।( হিসাবে গড়মিল থাকতে পারে)
তেলের মুল্য ১৩০ ডলার হিসেবে মোট খরচ পড়ে লিটার প্রতি-৮৮.৭৮ টাকা। এর সাথে পরিবহন, কমিশন, চুরি সহ অন্যান্য বাবদ ১২ টাকা= ৯০.৭৮
সেই হিসেবে মোট খরচ দৈনিক = ২৭৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।
তার মানে লাভ ৩৭ কোটি টাকা প্রতিদিন। এর পরে ১লক্ষ ৮৮ হাজার ব্যারেল তেলে শুল্ক পাচ্ছে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা( ব্যারেল প্রতি ১৩০ ডলার হিসেবে)
বিপিসির আয় সহ সরকারার কোষাগারে জমাহচ্ছে প্রতিদিন ১২৩ কোটি টাকা।( বিপিসি’র টাকা তো সরকারের টাকা না-কি?)
আর ক্রুড অয়েলের দাম যদি ৯০ ডলার হয়? সে হিসাবে না-ই বা গেলাম!

শুধু ক্রুড অয়েল থেকে যে পরিমান ডিজেল,ফার্নেস অয়েল সহ অন্য কিছু অতি প্রয়োজনীয় ও বেশি ব্যাবহৃত জ্বালানী পরিশোধন প্রক্রিয়ায় বের হয় সেটা প্রয়োজনের তুলনায় কম হবার কারনে কিছু আমদানী করতে হয়। সেই আমদানী ব্যয় স্বভাবতই বেশী।
এইসব অতিরিক্ত ব্যয়, আমার হিসেবের ভুল, অতিরিক্ত কিছু খরচ ২০% বাদ দিলেও শ’খানেক কোটি টাকার কাছে থাকে।
( এখানে ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর- এর দেয়া হিসাবগুলো যোগ করে দেয়া যায়।)
এর আগে বিশ্ব বাজারে( করোনাকালীন) তেলের দাম ছুঁয়েছিল প্রায় শুন্য ডলারে। বাংলাদেশ হয়তো শুন্য ডলারে তেল কিনতে পারেনি তবে বেশ কম দামেই কিনেছে তখন। কিন্তু সেই সময়ে তেলের দাম কমাতে বলা হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বলেছিলেন; ‘থাকনা এই দামে। বিপিসি এখন কিছু লাভ করলে ভবিষ্যতে তেলের দাম বাড়লে এখান থেকে ভর্তুকি দেয়া যাবে’। লসের বিষয়টা ঘটা করে বললেও বিপিসি লাভের বিষয়টা একদম চেপে গিয়েছিল। তবে সুত্রমতে, বিপিসি সেবার নাকি ৬০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছিল।

কিন্তু ক্যামনে কিভাবে প্রতিদিন শত কোটি টাকা করে আট হাজার কোটি টাকা লস করল বিপিসি? লাভের সেই ৬০ হাজার কোটি টাকা না হো্ক তবে ৪৮ হাজার(চ্যানেল ২৪) কিংবা ৪৩ (প্রথম আলো) হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল তা কি আমরা মানে ম্যাঙ্গো পিপল কোনদিন জানতে পারব?????????????

( আজাইর‍্যা তথ্য উপাত্তঃ ব্লুমবার্গ, ওয়ার্ল্ড ও মিটার,বিপিসি, প্রথম আলো, চ্যানেল ২৪ সহ বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে নেয়া হয়েছে। এর থেকে বেশী জানাতে পারব না)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যেসব ব্লগার মন্তব্যে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করছেন; আপডেটঃ ৮ আগষ্ট ১১ঃ০০

মন্তব্য ব্লগার @ জুলভার্ন এর-
~সরকার যদি সত্যি সত্যি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট দূর করতে চায়, তাহলে উচিত হবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে ‘দায়মুক্তি’ আইনটি বাতিল করা। এরপর এ খাতের সব অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভুল নীতি ও কৌশলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এটা খুবই স্বাভাবিক যে অপরাধ করেও যদি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয় না থাকে, তাহলে একই ধরনের অপরাধ বারবার ঘটতে থাকবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটিও জড়িত, সেখানে এ রকম দায়মুক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

ব্লগার জনাব @ সাড়ে চুয়াত্তুর-
~আপনি সম্ভবত প্ল্যান্ট মেশিনারির অবচয় (depreciation ) হিসাবে ধরেননি। এদের কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্ল্যান্ট মেশিনারি থাকার কথা। এগুলির অবচয় অনেক টাকা হওয়ার কথা।
আরেকটা হতে পারে যে এদের অনেক দেশী/ বিদেশী ঋণ থাকতে পারে। সেই ঋণের উপর সুদ কত কোটি টাকা আমরা জানি না।
এছাড়াও এদের প্ল্যান্ট এবং প্রশাসনিক অনেক ফিক্সড খরচ আছে। সেটাও কম হওয়ার কথা না।
ঋণ থাকলে এদেরকে অনেক বড় অংকের টাকা ঋণ শোধ করতে হতে পারে।

ব্লগার @তানভির জুমার-
~ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ১৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রেখেছে বিপিসি। চলতি বছরের ১২ জুন তৈরি বিপিসির একটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে মোট ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর ১৪ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ছিল মেয়াদি আমানত হিসাবে। দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি এসব আমানত থেকে বড় অংকের সুদ আয়ও পায় বিপিসি।
এনবিআর বিপিসিকে চিঠি দেয় ট্যাক্সের টাকা দিতে, কিন্তু বিপিসি ট্যাক্সের টাকা দিতে পারে না কেন? কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বিপিসি সবচেয়ে বেশী টাকারেখে ছিল আর এই ব্যাংকগুলোই এখন সবচেয়ে বেশী ঋন খেলাপী। প্রশ্ন হল ব্যাংকের টাকা কোথায় গেছে? উত্তর: লোটপাট হয়েছে।

ব্লগার @ হাসান কালবৈশাখী বলেছেনঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম দুর্নিতির আখড়া পেট্রলিয়াম সেক্টর।
আমদানি ক্রয় থেকেই দুর্নিতি শুরু। কিনে ওজনে, টন হিসেবে, ডিলারদের কাছে বিক্রি করে লিটারে।
জাহাজ থেকে খালাশ, ডিপোতে ঢুকানো ট্যাঙ্ক লরিতে লোড, খালাস ... ... প্রতিটি পর্বে পর্বে বিশাল বিশাল দুর্নিতি।
সরকারি কর্তারা কোন ভাবেই এই লোভলীয় সেক্টর হাতছাড়া করতে চায় না।

অন্যান্ন দেশে সরকারি ডিপো হোক বেসরকারি ডিপো হোক যার যার তেল নিজেরাই ইমপোর্ট করে, আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী প্রতিযোগিতামুলক মুল্যে বিক্রি করে, প্রাইস ডেইলি আপডেট হয়।
বেসরকারিদের হাতে দিলে দুর্নিতির নামে সিষ্টেম লস থাকবে না, দামও রিজনেবল থাকবে, সরকারকেও বেতন দিয়ে এত বিশাল মাথাভারি আপদ পালতে হয় না।

ব্লগার @ এমজেডএফ দুটো সমস্যা তুলে ধরে তার সমাধান দিয়েছেন;
আমাদের দেশের জন্য এতে সমস্যা হচ্ছে দুটি:
তখন দেখা যাবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে তেলের যেই দাম উন্নয়নশীল বাংলাদেশেও সেই দাম! এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অল্প আয়ের মানুষের সমস্যা হবে। দেশের শিল্পখাতে উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি পেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রপ্তানী কমে যেতে পারে।
সমাধান: আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম বেশি হলে সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাময়িকভাবে ভুর্তুকি দিতে পারে। যেমন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে জ্বালানী তেল কেনার সময় ক্রেতাকে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। করোনাকালীন সময়ে যখন তেলের দাম খুব কম ছিল তখন অনেক দেশে এই শুল্কের হার বাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন আবার তেলের দাম যখন খুব বেশি তাই শুল্কের হার আবার কমিয়ে দিয়েছে।

~সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সব ব্লগারদের যারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কিছু কিছু জিনিস আগে পড়েছি, কিছু কিছু নতুন।
হিসাবের গোজামিল লুকানো এখন কঠিন, সরকার সেটা বুঝে না।
হিসাব করে কোনো লাভ নাই, জনগন সেটা বুঝেও হিসাব করে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: মুল তথ্যগুলোতো সব অর্ন্তজাল থেকেই নেয়া তাই এই বিষয়গুলো আগে কিছু কিছু জানা থাকা অসম্ভব নয়।
চেষ্টা করেছি অপ্রপতুল তথ্য থেকে একটা পরিসংখ্যান দাড় করানোর- কোন তথ্য ভুল ত্রুটি থাকলে জানাবেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভ্রাতা।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫১

আরইউ বলেছেন:



সব হিসেব নিকেশ বাদ দিলাম, সবচেয়ে বড় সমসুা

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: পুরা কথা তো বুঝলাম না ভাইজান :(

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই কৌতুক পড়ার পর আর অন্যসব ভারী ভারী কথা কানে ঢুকিয়ে মনকে আরো ভারী করতে মন চাইলো না। শুধু শুধু মজার ফ্লেভারটা নষ্ট করে কি লাভ? কারন বকাউল্যা শুধু বকে যাবে, করাউল্যা করে যাবে। আর দিনশেষে জনগন তাদের ''পুরুষাঙ্গ'' কাধের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে এনে কানে গুজে রাখবে। :P =p~

এইসব পড়ে হুদাই সময় নষ্ট, কাজের কাজ কিছুই হবে না।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় ভাই এটা কি করলেন!! :(
এত কষ্ট করে দিন-রাত খেটে এমন একখানা হাইড্রোজেন বোমার লাহান পরিসংখ্যান দাড় করালাম আর আপনি- আপনি, আপনার মত ঋদ্ধ ব্লগার এড়িয়ে গ্যালেন!!!!!!!!!!

*আমি হলেও তাই করতাম :)

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৫

আরইউ বলেছেন:




সব হিসেব নিকেশ বাদ দিলাম, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ট্রান্সপারেন্সির অভাব। তেলে ভর্তুকী দেয়া অনেক আগেই বন্ধ করা উচিত ছিল, ধীরে ধীরে তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করাই হত বুদ্ধিমানের কাজ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: ও এখন বুঝলাম। বসে বসে একতা হিসাব কষলাম- তাই ভাবি শেয়ার করি।
আপনার মত আমিও জানি কোন কিছুতেই কিছু হবে না, তবুও কেউতো জানবে এখন আমরা বুঝি। আমার দায়িত্ব সামান্য হলেও আমি পালন করেছি- এই শান্তি নিয়ে থাকতে তো পারব।

ওরা আমাদের থেকে শত কোটিগুন বুদ্ধিমান।
ধন্যবাদ আপনাকে আর ইউ ভাই

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার তথ্য প্রমাণ এবং বিশ্লেষণ ভিত্তিক লেখা। আরও কিছু যোগ করা যেতো। যেমনঃ কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের নামে গত পাঁচ বছরে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই আওয়ামী লীগের নেতাদের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানির মালিকদের ক্যাপাসিটি চার্জ নামে ৫৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে(এই সংক্রান্ত একটা লেখা আজই প্রথম আলো পত্রিকায় ফারুক ওয়াসিফ লিখেছেন)

সরকার ইতিপূর্বে ডিজেলের দাম বাড়িয়েছিলো তাতে সরকারের লাভ হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। এবার দাম না বাড়িয়ে সেই লাভ থেকেই সমন্বয় করা উচিৎ ছিল কিম্বা জ্বালানি তেল আমদানি শুল্ক কমিয়ে জনগণের উপর বাড়তি বোঝা কমাতে পারতো- যদি সরকার আমজনতার স্বার্থের কথা বিবেচনা করতো।

সরকার যদি সত্যি সত্যি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট দূর করতে চায়, তাহলে উচিত হবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে ‘দায়মুক্তি’ আইনটি বাতিল করা। এরপর এ খাতের সব অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভুল নীতি ও কৌশলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এটা খুবই স্বাভাবিক যে অপরাধ করেও যদি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয় না থাকে, তাহলে একই ধরনের অপরাধ বারবার ঘটতে থাকবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটিও জড়িত, সেখানে এ রকম দায়মুক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই- আপনার মত বিজ্ঞ মানুষের পদধুলিতে ধন্য হলাম।

৬০ হাজার কোটি টাকার বিষয়টা এখানে তুলে ধরেছি;
~এর আগে বিশ্ব বাজারে( করোনাকালীন) তেলের দাম ছুঁয়েছিল প্রায় শুন্য ডলারে। বাংলাদেশ হয়তো শুন্য ডলারে তেল কিনতে পারেনি তবে বেশ কম দামেই কিনেছে তখন। কিন্তু সেই সময়ে তেলের দাম কমাতে বলা হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বলেছিলেন; ‘থাকনা এই দামে। বিপিসি এখন কিছু লাভ করলে ভবিষ্যতে তেলের দাম বাড়লে এখান থেকে ভর্তুকি দেয়া যাবে’। লসের বিষয়টা ঘটা করে বললেও বিপিসি লাভের বিষয়টা একদম চেপে গিয়েছিল। তবে সুত্রমতে, বিপিসি সেবার নাকি ৬০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছিল।''

সরকার যদি সত্যি সত্যি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট দূর করতে চায়, তাহলে উচিত হবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে ‘দায়মুক্তি’ আইনটি বাতিল করা।- একদম সহমত।

আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ আপনাকে নতুন কিছু তথ্য সন্নিবেশিত করার জন্য।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখিত! আমি ঋদ্ধ না ভুয়া ব্লগার। আমার গেয়ান খানিকটা কম!! :P

তবে আপনার এই ত্যাগ (সময় নষ্ট এবং টাইপিং এর কষ্ট) বৃথা যাবে না। অনেক জ্ঞানী-গুনী ব্লগার আছেন, যারা এই ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখতে পারবেন। তাছাড়া, অফিসে আছি। ভারী কোন বিষয় মনোযোগ দিয়ে পড়ে সঠিক মন্তব্য করা এই মুহুর্তে সম্ভব না।

আশাকরি, মনে কোন কষ্ট রাখবেন না। ;)

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০

শেরজা তপন বলেছেন: মনে ব্যাপক কষ্ট নিয়া যাই আডায় গিয়া একটু ... ঘুরে আসি।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সম্ভবত প্ল্যান্ট মেশিনারির অবচয় (depreciation ) হিসাবে ধরেননি। এদের কয়েক হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্ল্যান্ট মেশিনারি থাকার কথা। এগুলির অবচয় অনেক টাকা হওয়ার কথা।

আরেকটা হতে পারে যে এদের অনেক দেশী/ বিদেশী ঋণ থাকতে পারে। সেই ঋণের উপর সুদ কত কোটি টাকা আমরা জানি না।

এছাড়াও এদের প্ল্যান্ট এবং প্রশাসনিক অনেক ফিক্সড খরচ আছে। সেটাও কম হওয়ার কথা না।

ঋণ থাকলে এদেরকে অনেক বড় অংকের টাকা ঋণ শোধ করতে হতে পারে।

আসলে ওদের সকল ধরণের খরচ না জানা পর্যন্ত ওদের লাভ/ ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২০

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই চমৎকার কিছু তথ্য শেয়ার করার জন্য।
আমি সাকুল্যে সেজন্য ২০% বাদ দিয়েছি, সেখানথেকে হয়তো এই খরচগুলো বাদ দেয়া যেতে পারে। কোন উপায়ে যদি এই বিহশয়ে সঠিক তথ্য জানা যায় তবে আমি এই পোস্টে এগুলো সংযুক্ত করব।
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৫

আরইউ বলেছেন:



ধন্যবাদ, শেরজা। বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, কৌতুকটা বেশ স্বাদের হয়েছে।

অফ টপিকঃ ৫ নং মন্তব্যকারী পোস্ট পড়েননি সম্ভবত। উনি ভুয়ার ৩ নং মন্তব্য থেকে শেষ অংশটুকু কপি করেছেন সাথে ওনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও লিংক দিয়ে স্পামিং করছেন। সামান্য একটি মন্তব্য যে নিজে লিখতে পারেনা তার ভিডিও কেমন হবে বুঝতেই পারছেন!

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: সেদিন বিদেশি একতা ওয়েবসাইটে পড়েছিলাম- মজা পেয়েছি বলে ভাষান্তর করে দিলাম :)

যে যেভাবে চায় করুক না হয় ব্লগিং! ও বেচারা চাচ্ছে একটু নিজের প্রচার করতে প্রসার বাড়াতে। যদি সফল হয় হউক

আপনার ফিরে আসার জন্য ভালবাসার সাথে ফের ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,



চুলচেরা ভাল বিশ্লেষণ। তেলের ফোঁটা প্রতি মূল্য কষা্ও বাদ দেন নি। ধন্যবাদ এমন পরিশ্রমের জন্যে।
তবে কিছু কিছু খরচের হিসেব দিয়েছেন টাকার অংকে কিন্তু ইউনিটটি ( ব্যারেল/লিটার ) লেখেন নি। যেমন - রিফাইনারি খরচ - ১১৪০.০০। এখানে এই খরচ কি ব্যারেল প্রতি না লিটার প্রতি? আবার আছে - জাহাজ ভাড়া-৯৫+ অন্যান্য ৪৭.৫ । বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে।

কিন্তু হিসেব করে্ও লাভ কি? যা খা্ওয়ার তা খা্ওয়া শেষ। জ্বালানী খাত সহ সব খাতে এই লুটপাট ও অর্থ পাচারের ফলে সরকারের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই সম্ভবত । তাই পাবলিকের পকেট কাটার চেষ্টা ।
এখন্ও বাঁচার কিছুটা চান্স আছে যদি জুল ভার্ন এর মত বলি---
সরকার যদি সত্যি সত্যি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট দূর করতে চায়, তাহলে উচিত হবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে ‘দায়মুক্তি’ আইনটি বাতিল করা। এরপর এ খাতের সব অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভুল নীতি ও কৌশলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এটা খুবই স্বাভাবিক যে অপরাধ করেও যদি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয় না থাকে, তাহলে একই ধরনের অপরাধ বারবার ঘটতে থাকবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটিও জড়িত, সেখানে এ রকম দায়মুক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই আপনার আগমনে আমি দারুন আপ্লুত ও আনন্দিত।
আপাতত খানিকটা ঠিক করে দিলাম! ফের আসছি বাকি মন্তব্যের উত্তর নিয়ে।
সাথে থাকবেন

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




চুলচেরা ভালো বিশ্লেষণ। পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে করেছেন। ধন্যবাদ।

ফেব্রুয়ারি থেকে লোকসানের অর্থ বাদ দিলেও বিপিসির হাতে এখনো ৩৫ হাজার কোটি টাকা থাকার কথা।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: জুলভার্ন ভাই বলেছেনঃ সরকার যদি সত্যি সত্যি বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংকট দূর করতে চায়, তাহলে উচিত হবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ নামে ‘দায়মুক্তি’ আইনটি বাতিল করা। এরপর এ খাতের সব অনিয়ম, দুর্নীতি এবং ভুল নীতি ও কৌশলের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এটা খুবই স্বাভাবিক যে অপরাধ করেও যদি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয় না থাকে, তাহলে একই ধরনের অপরাধ বারবার ঘটতে থাকবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটিও জড়িত, সেখানে এ রকম দায়মুক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ~ এইটা কি আমাদের জীবদ্দশায় দেখে যাওয়া সম্ভব হবে???

পাইপলাইন- টাইপলাইন বাবদ ও বিভিন্ন উন্নয়ন বাবদ( চুরি টুরি সহ) আরো কয়েক হাজার কোটি টাকা গেছে নাকি!!
*মাল মুহিত সাহেব পাঁচ দশ হাজার কোটি টাকারে তখন টাকাই মনে করতেন না আর এখনতো টাকার মুল্য আরো কমে গেছে।- সব রাবিশ

সাথে থাকার জন্য মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৫

তানভির জুমার বলেছেন: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ১৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রেখেছে বিপিসি। চলতি বছরের ১২ জুন তৈরি বিপিসির একটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে মোট ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর ১৪ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ছিল মেয়াদি আমানত হিসাবে। দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি এসব আমানত থেকে বড় অংকের সুদ আয়ও পায় বিপিসি।

এনবিআর বিপিসিকে চিঠি দেয় ট্যাক্সের টাকা দিতে, কিন্তু বিপিসি ট্যাক্সের টাকা দিতে পারে না কেন? কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বিপিসি সবচেয়ে বেশী টাকারেখে ছিল আর এই ব্যাংকগুলোই এখন সবচেয়ে বেশী ঋন খেলাপী। প্রশ্ন হল ব্যাংকের টাকা কোথায় গেছে? উত্তর: লোটপাট হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ১৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রেখেছে বিপিসি। চলতি বছরের ১২ জুন তৈরি বিপিসির একটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে মোট ২৫ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা জমা ছিল। এর মধ্যে নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর ১৪ হাজার ১০৬ কোটি টাকা ছিল মেয়াদি আমানত হিসাবে। দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি এসব আমানত থেকে বড় অংকের সুদ আয়ও পায় বিপিসি।

এনবিআর বিপিসিকে চিঠি দেয় ট্যাক্সের টাকা দিতে, কিন্তু বিপিসি ট্যাক্সের টাকা দিতে পারে না কেন? কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বিপিসি সবচেয়ে বেশী টাকারেখে ছিল আর এই ব্যাংকগুলোই এখন সবচেয়ে বেশী ঋন খেলাপী। প্রশ্ন হল ব্যাংকের টাকা কোথায় গেছে? উত্তর: লোটপাট হয়েছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমার জানা মতে অল্প লোকবলে রাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী প্রতিষ্ঠান বিটি আর সি। এরা কোথায় টাকা রাখে জানিনা( হয়তোবা পুরো টাকা সরকারের কোষাগারে যায়?)
~আপনার দেয়া রেফারেন্স অনুযায়ী যে টাকা জমা রাখা আছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে তার জমার তারিখ ও সাল দেয়া নেই। অতএব বোঝার উপায় নেই এগুলো কি করোনাকালীন কিংবা করোনা পরবর্তী লাভের টাকা নাকি আগের।
লোপাটতো হবেই- লোপাটের জন্যই কিছু ব্যাঙ্কে টাকা রাখা হয়েছে। দেখুন ইবিএল, ব্যাঙ্ক এশিয়া, যমুনা, সিটি, ব্রাক ব্যাঙ্কের মত মোটামুটি ভাল মানের একটা ব্যাঙ্কেও টাকা জমা নেই। যেখানে জামানত সুরক্ষা থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী ছিল!

ধন্যবাদ তথ্য শেয়ারের জন্য। ভাল থাকুন।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিপিসি মানেতো
বাংলাদেশের পাবলিক কোম্পানী;
ভালোইতে পাবলিকের টাকা পাবলিকের
কোম্পানীতেই আছে! সুতরাং
নো চিন্তা ডু ফুর্তি!

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: ওহহো নুরু ভাই আগেতো জানতাম 'বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন' - নাম পাল্টাইলো কবে?? :)
দেখেন এই খবরটাও জানিনা - কি গাধা আমি :(

হ নাচ গানের সময় তো এইটাই। নো চিন্তা ডু ফুর্তি!!

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কঠিন তরল বায়বীয় সব হিসাব দিলে ও তেলের দামের নট নড়নচড়ন। যতক্ষণ না দুর্নীতি আর লুটপাটের সুরাহা হয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: বিদ্যুতের তেলেসমাতি আর তেল বাবদ আমার হত দরিদ্রের খরচ প্রতিদিন হাজার তিনেক বেড়েছে!
হিসেব চেয়ে বিব্রত করবেন না :)
সুরাহা হবে না আমরা সবাই জানি- তারপরেও আমার সাধ্যমত একটুখানি চেষ্টা করছি আর কি।


অফটপিকঃ বাবনিকে আপনার পদধুলি পেলেম না। শেষ পর্ব কি পড়তে চাচ্ছেন না?

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০০

জটিল ভাই বলেছেন:
অনেক আশা নিয়ে বহু প্রতীক্ষিত আপনার এক পর্বের লিখাটা পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু!!!
কিন্তু মাঝে এসে জটিল সব পরিসংখ্যান দেখে শ্রদ্ধেয় ভুয়া মফিজ ভাইয়ের মতোই বলতে হচ্ছে, "আপনার এই কৌতুক পড়ার পর আর অন্যসব ভারী ভারী কথা কানে ঢুকিয়ে মনকে আরো ভারী করতে মন চাইলো না। শুধু শুধু মজার ফ্লেভারটা নষ্ট করে কি লাভ? " :)
জটিলবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ পর্যন্ত আপনিও!!!!!!!!!!!!!!!
জটিল ভাই এখন দিন দিন সরল হয়ে যাচ্ছেন :)

যাউজ্ঞা আমি হইলেও হয়তো তা-ই করতাম! আপন মানুষগুলো এই রকমই করে :(

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৩

জটিল ভাই বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আপন মানুষগুলো এই রকমই করে :(

আপনার এই দুঃখে আমিও দুঃখিত। তাই আসুন দুজনে মিলে একটি দুঃখের গান শুনি..... :(

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: রিনকুর চমৎকার একখানা গান। বহুশ্রুত

যা হোক সমব্যাথী হবার জন্য আন্তরিক জটিলবাদ। ব্লগে আপনি ভীষন অনিয়মিত হয়ে গেছেন।

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিপিসি আসলে অনেকগুলির কোম্পানির সমষ্টি। ওদের পুরো লাভ/ ক্ষতি বুঝতে হলে ওদের সবগুলি কোম্পানির (৮ টা কোম্পানি) লাভ/ ক্ষতি যোগ করতে হবে।

উদাহরণ হিসাবে ওদের একটা কোম্পানি পদ্মা অয়েল কোম্পানির ফাইনানশিয়াল স্টেটমেন্ট দেখলাম। ২০১৮-১৯ সালে ওদের বিক্রি ছিল ১৭,৪১৮ কোটি টাকা। ব্যবসা থেকে লাভ ছিল ১৩৪ কোটি টাকা (বিক্রয় মূল্যের উপর মাত্র ০.৭৬% লাভ হয়)। প্রত্যক্ষ খরচ ছিল ১৭,১৩২ কোটি টাকা। এই প্রত্যক্ষ খরচের ৩ ভাগের এক ভাগও যদি ক্রয় খরচ হয় (পেট্রলিয়াম দ্রব্য) তাহলে পেট্রলিয়াম বাবদ ক্রয় খরচ আসে ৫৭১০ কোটি টাকা। ৫৭১০ কোটি টাকার পেট্রলিয়ামের দাম যদি যদি ১০% ও বৃদ্ধি পায় তাহলে বাড়তি খরচ হবে ৫৭১ কোটি টাকা। সেই ক্ষেত্রে এই কোম্পানি লাভের জায়গায় ৪৩৭ ( ৫৭১- ১৩৪) কোটি টাকা লস করবে যদি বিক্রয় মূল্য অপরিবর্তিত থাকে।

এদের অন্যান্য কোম্পানির ক্ষেত্রেও এইভাবে হিসাব করা যায়। তবে সবগুলির হিসাব নেটে পাওয়া যায় না। আমি শুধু একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। এখানে তথ্যের কিছু ঘাটতি ছিল। তাই হিসাব পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে। এদের অপারেটিং প্রফিট মারজিন খুব কম। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে গেলে এরা সমস্যায় পড়তে পারে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি একাউন্টেন্ট মানুষ- তুখোড় হিসেবী। আমিতো এলেবেলে মাত্র :(
আমার হিসেবটা মোটা দাগের! চুলচেরা বিশ্লেষন করতে গেলে বিশেষজ্ঞ হতে হবে।
ধন্যবাদ ফের এত চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য।

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি জাদিদ ভাইয়ের পোষ্টেও বলেছিলাম
বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম দুর্নিতির আখড়া পেট্রলিয়াম সেক্টর।
আমদানি ক্রয় থেকেই দুর্নিতি শুরু। কিনে ওজনে, টন হিসেবে, ডিলারদের কাছে বিক্রি করে লিটারে।
জাহাজ থেকে খালাশ, ডিপোতে ঢুকানো ট্যাঙ্ক লরিতে লোড, খালাস ... ... প্রতিটি পর্বে পর্বে বিশাল বিশাল দুর্নিতি।
সরকারি কর্তারা কোন ভাবেই এই লোভলীয় সেক্টর হাতছাড়া করতে চায় না।

অন্যান্ন দেশে সরকারি ডিপো হোক বেসরকারি ডিপো হোক যার যার তেল নিজেরাই ইমপোর্ট করে, আন্তর্জাতিক বাজারদর অনুযায়ী প্রতিযোগিতামুলক মুল্যে বিক্রি করে, প্রাইস ডেইলি আপডেট হয়।
বেসরকারিদের হাতে দিলে দুর্নিতির নামে সিষ্টেম লস থাকবে না, দামও রিজনেবল থাকবে, সরকারকেও বেতন দিয়ে এত বিশাল মাথাভারি আপদ পালতে হয় না।

সরকার অলরেডি এলপিজি সেক্টর বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছে, প্রেট্রল ডিজেলও ছেড়ে দেয়া উচিত,
সবটা একবারে ছাড়তে পারবেনা অবস্য, আপাতত প্যারালাল ব্যাবস্থা রেখে পর্যায়ক্রমে এক এক করে ছেড়ে দিতে হবে।

মটরসাইকেল ও দুরপাল্লার বাস ট্রাক বাদে বেশিরভাগ যানবাহন গ্যাসে চলে। তেল নিয়ে গবেষনা করে তেমন লাভ নেই।
৩০-৪০ বছর বা আরো আগে পৃথিবীর সব তেল গ্যাস কয়লা সব ফুরিয়ে যাবে।
আর ২০ বছর পর পৃথিবীর বেশিরভাগ যানবাহন ব্যাটারিচালিত হবে, লিথিয়াম আয়নের চেয়েও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি আসছে। আসছে ৫ম প্রজন্মের হাই পার্ফমেন্স সোলার বিদ্যুৎ চার্জিং।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষা করছিলাম!
পরে একটু সময় করে আসব- বিস্তারিত প্রতিউত্তরের জন্য।

আপাতত ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি

১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩০

কামাল৮০ বলেছেন: কৌতুকটাই বেশি ভাল লেগেছে তাই আর মুল বিষয় পড়া হয় নাই।সেই তো থোড় বড়ি খাড়া——।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: খুব ভাল করেছেন- কৌতুকেই আগ্রহ হয়ে কেউ কেউ আমার ব্লগে ঢু দিয়েছে, এই বা মন্দ কি :)

১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৯

এমজেডএফ বলেছেন: ব্লগে এখন যেদিকে তাকাই সেদিকেই তেল আর তেল! তেল নিয়ে দেওয়া অন্যান্য পোস্টে ঘুরে ফিরে যেসব কথা কমন: "সমাজের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাঠ, দেশে সুশাসনের অভাব, এদেশে কিছু হবে না" ইত্যাদি। বড়ই বিরক্তিকর X( ! জন্মের পর থেকেই এ দেশের চোর, ডাকাত, সৎ, অসৎ, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ঘুষকোর, রাগনীতিক সবার মুখেই এ কথা শুনে আসতেছি :)

আপনার পোস্টে যেটা ভালো লেগেছে তা হলো আপনি উল্লেখিত গদবাঁধা কথাগুলো বলেন নাই। তেল ও তেলের তেলেসমাতি নিয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট আলাপ করার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। যাই-হোক, শুনতে খারাপ লাগলেও এটা ঠিক যে, জ্বালানী তেলের ওপর ভুর্তুকি সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেওয়াই হচ্ছে তেলেসমাতির স্থায়ী সমাধান। যা ওপরের মন্তব্যে হাসান কালবৈশাখী কিছুটা উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা অন্যান্য দ্রব্যের মতো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বাজার মূল্যে তেল আমদানী করবে। সেখানে দাম বাড়লে দেশেও বাড়বে, দাম কমলে দেশেও কমবে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এটাই নিয়ম।

আমাদের দেশের জন্য এতে সমস্যা হচ্ছে দুটি:
তখন দেখা যাবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে তেলের যেই দাম উন্নয়নশীল বাংলাদেশেও সেই দাম! এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অল্প আয়ের মানুষের সমস্যা হবে। দেশের শিল্পখাতে উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি পেলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রপ্তানী কমে যেতে পারে।
সমাধান: আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম বেশি হলে সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাময়িকভাবে ভুর্তুকি দিতে পারে। যেমন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে জ্বালানী তেল কেনার সময় ক্রেতাকে আবগারি শুল্ক দিতে হয়। করোনাকালীন সময়ে যখন তেলের দাম খুব কম ছিল তখন অনেক দেশে এই শুল্কের হার বাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন আবার তেলের দাম যখন খুব বেশি তাই শুল্কের হার আবার কমিয়ে দিয়েছে।

দুদিন আগে বা পরে, বাংলাদেশের জ্বালানী খাতকে সম্পূর্ণ ভুর্তুকিমুক্ত করতেই হবে। যদি সেই উদ্দেশ্যে সরকার বর্তমান সিদ্বান্ত নিয়ে থাকে তবে সেটি এখন নেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ বর্তমান মূল্যস্ফীতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের উচ্চমূল্য এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য মোটেই অনুকূল নয়।

যাই-হোক, আমার মনে হয় বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের উচ্চমূল্যের কারণে মানুষের জন্য সাময়িক সমস্যা হলেও তেলের দাম কমে আসলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তাছাড়া বড় যে কোনো পরিবর্তনে প্রথমদিকে একটা ধাক্কা আসে সেটা পজিটিভও হতে পারে আবার নেগেটিভও হতে পারে। সেই ধাক্কা সামলাতে পারলে পরে আর সমস্যা হয় না। উদাহরণ: ৯০-এর দশকের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় সেখানের মানুষ এ ধরনের অনেক সমস্যাই পড়েছিল :)। একটা সময় পরে আবার সবকিছু স্বাভাবিকে ফিরেছিল।




০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় এমজেডএফ,
আপনার চমৎকার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
যত সামান্য হলেও আমার লেখায় নতুন কিছু খুজে পেয়েছেন জেনে কৃতার্থ হলাম। হ্যা সবখানেই এক কথা; এ বিষয়ে যে কোন পোস্টে সবচেয়ে বেশী যে কথাটা শোনা যায় তা হচ্ছে; এসব বলে লাভ নেই। কিছুই হবে না!!
~এ কথা বলেই সবাই খালাস।

আমার মনে হয় ডিজেল বাদে আর সব তেলের দাম বাড়ালে এত হাউ-কাউ হত না। একবারে ৪৫-৫২% দাম না বাড়িয়ে ধীরে সুস্থে দুই তিন দফায়- বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতি দেখে বাড়াতে বা কমাতে পারত।
তবে এই ফাকে বড় অংকের টাকা লোপাট হচ্ছে সেটা নিশ্চিত।

সমস্যা খুজে বের করে সমাধানের যে পথ বাৎলেছেন সেটা খারাপ নয়।

২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: যাক ব্লগার কালবৈশাখি দারুন সমাধান দিয়ে দিয়েছেন আর চিন্তা কি। তেল গ্যাস এমনিতেই আর কয়েক বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। তাই এসব নিয়ে নাকি কান্না করে কি লাভ !! লিথিয়াম আয়নের চেয়েও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি এবং হাই পার্ফমেন্স সোলার বিদ্যুৎ বাজারে আসার অপেক্ষায় থাকুন। এসব না আসা পর্যন্ত এখন কেবল হা্টুন , হাটুন এবং হাটুন যদি সেটা ঢাকা টু টেকনাফও হয় তাও সমাধান একটাই হন্টন !

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আমি সবার মন্তব্যকে সমানভাবে মুল্যায়ন করার চেষ্টা করি।
আমি যতটুকু বুঝি সেই পরিমান জ্ঞান গম্যি দিয়ে একটা পরিসংখ্যান করেছি। ব্লগারেরাও সবাই তাদের সাধ্যমত তথ্য ও পরামর্শ দিচ্ছেন। হাসান ভাই, এই সন্মন্ধে খানিকটা জ্ঞান রাখেন বলেই আমার ধারনা। হতে পারে তিনি কোন এক পক্ষ টানেন- কিন্তু তার কথা যুক্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়া ঠিক হবে কি?
আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন

২১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া কৌতুক দুটো সম্পর্কে কিছু বলা হোল না।

দুইটা কৌতুকের একটাও কমন পড়েনি। তাই বেশ খানিক্ষন হাসলাম কৌতুক দুটো পড়ে। তেলের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ কৌতুক ছিল বটে।

আর সরকার যে তেল নিয়ে তেলেসমাতি করছে এটা তো সবাই দেখতেই পাচ্ছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: দুইটা কৌতুক বলতে কি কার্টুন চিত্র সমেত নাকি অনুবাদকৃত কৌতুক আর প্রাক্টিক্যাল জোকস মিলিয়ে ধরেছেন?

না না কি বলেন ঐটা ফাও কোন কিছুর সাথে মিলে গেলে 'কাকতলীয়' ব্যাপার হবে বটে। :)

ঠিক তেমনটাই হচ্ছে।

২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার একটা রাফ হিসাবেই দেখেন কত কিছু বের হয়ে গেছে / কেবল যদি একটা প্রোপার অডিট করা হয় তাহলে কত গোমড় ফাঁস হবে সেটা একবার খেয়াল করেছেন !! এভাবেই লুটপাট চলছে আর জনগনের উপরে বাঁশ এসে পড়ছে । অন্য দিকে চাটুকারের দল এসে বলছে বিকল্প দেখান !!

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: পোস্টে আপনার লাইক আর মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ভ্রাতা।

কেবল যদি একটা প্রোপার অডিট করা হয় তাহলে কত গোমড় ফাঁস হবে সেটা একবার খেয়াল করেছেন !!
~ঠিক তাই আমি বা আমরা এমনটাই চাই। জবাবদিহিমুলক সরকার হবে আয় ব্যায়ে সচ্ছতা থাকবে। হবে নিশ্চয়ই হবে কোন দিন।

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: একেকজনের একেক হিসাবে আমি পুরাই অসুস্থ , মাথা টাল হয়ে গেছে শেরজা । অদ্ভুত একটা কাণ্ড যে একজন মুখপাত্র কথা বলেনা , একসাথে সবাই হাউ মাউ করে বলছে , কারটা আমলে নেব । মন্ত্রীদের ওপর প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রন নেই বোঝাই যাচ্ছে । চোরা আমলা দিয়ে দেশ চালানোর ফল আমরা হাতেনাতে পাব ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: বরগুনায় চলে যান -আপনার প্রিয় পাথরঘাটার ইলিশ খান, মাথা দিল দুটোই ঠান্ডা হবে :)

~ কারো উপর কারো নিয়ন্ত্রন নেই। 'অদ্ভুত উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ'।

২৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিপিসি'র এ যাবতকালের শুনানো লাভের গুড় কোন পিঁপড়ায় খেল, সেটাকে আগে খুঁজে বের করতে হবে। দায়মুক্তি আইন অবিলম্বে বাতিল করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার এবং তার অধীনস্থ কর্পোরেশনগুলোকে মিথ্যাবচনের গোজামিল বন্ধ করে প্রজাতন্ত্রের প্রজাদের আস্থা অর্জনে আন্তরিকভাবে প্রয়াসী হতে হবে।

আপনার কষ্ট করে বের করা পরিসংখ্যানগুলোর জন্য ধন্যবাদ। এই কষ্টের জন্য পোস্টে প্লাস। + +

২১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: নিজের সাধ্যে আর জ্ঞান বুদ্ধিতে যতটুকু কুলোয়- সেই দিয়ে চেষ্টা করেছি।
আমার ধারনা আমরা যা ভাবি বাস্তবিক অবস্থা তার থেকেও ভয়াবহ!
এ দেশের জনগনের যে কি হইল, চুনোপুঁটি থেকে রাঘব বোয়াল,সবাই হাজার হাজার কোটি টাকা কামাতে চায়। দু-চার কোটি
টাকায় কারো মন ভরেনা। লুট করব তো পুরোটাই!
খুব বেশি অল্প সময়ে আমরা খারাপ হয়ে গেলাম :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.