নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবনিক- অবশেষে শেষ পর্ব

২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩২


দেসা’র কৃষ্ণ সাগরের পারে তখনো সূর্য ডোবেনি। সূর্যস্নানে আগত স্থানীয় অধিবাসী আর পর্যটকেরা পাততাড়ি গুটিয়ে চলে গেছে। অল্প কিছু মানুষ এদিক ওদিকে বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে আছে সূর্যাস্ত দেখবে বলে। মুল সাগর পাড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে বলে এদিকটা খানিকটা নির্জন। শেষ বিকেলের রক্তিম রাগ বেলাভূমিতে প্রতিচ্ছবি আঁকছে। নীলাভ সাগরের পানি ধীরে ধীরে কালচে বর্ণ ধারণ করছে। লম্বা ধুসর একটা স্কার্ট আর দুধ ধবল ফতুয়া গায়ে খালি পায়ে উষ্কখুষ্ক চুল এলিয়ে দু’পায়ে ক্রস এঁকে নির্লিপ্ত নয়নে সেই অস্তগামী সূর্যের দিকে এক-ধ্যানে চেয়ে আছে এলিনা। দূর থেকে মানুষ কিংবা মূর্তি বোঝা দুষ্কর!
শুকনো ক্লিষ্ট দেহ –মাথার চুলে পাঁক ধরেছে কয়েক গোছায়। ও চুলে বহুদিন তেল শ্যাম্পু মাখে না কিংবা আঁটসাঁট করে পনিটেল বেঁধে বাহারি ব্যান্ড পরে না। ফ্যাকাসে নীলচে চোখ আর মুখাবয়বের খাঁজে খাঁজে বলি রেখার স্পষ্ট আভাস! বয়সের থেকে বুড়ো হয়ে গেছে সে বেশ খানিকটা। সঠিক পুষ্টির অভাবে শরীর প্রায় রক্ত শূন্য! মা মরে গেছে বহুদিন আগে। প্রিয় একমাত্র বোনটা স্বামী নিয়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছে কয়েক বছর হোল। আর হয়তো ফিরে আসবে না কখনো।

~এই ধরা-ভূমে আপনজন বলতে তার আর কেউ নেই। হৃৎস্পন্দন কমতে কমতে পঞ্চাশ এর ঘরে এসে ঠেকেছে। ডাক্তার বলেছে এভাবে চললে তাকে বাঁচানো মুশকিল হবে।
এলিনা ভাবছে; কেন সে এতদিন বেঁচে ছিল? কিসের আশায়- কার প্রতীক্ষায়? সপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচবে কি নিয়ে? তারও একটা স্বপ্ন ছিল- অতি ক্ষীণ একটা আশা ছিল। কোন একদিন মা মেয়ের কথা হবে। সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে সব মুখোশ খুলে ফেলে সে গল্পের ঝুড়ি খুলে বসবে। মেয়েকে বলবে, তার ভয়ঙ্কর একাকীত্বের নিঃসঙ্গের একেকটা বিনিদ্র রজনীর কথা!
নিজের পেটের মেয়ে বলে কথা। মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য সে দিন রাত এক করে ইংরেজি শিখেছে।
~শুধু এই দিনটার অপেক্ষায় ছিল সে। আঃ ষোলটি বছর- দীর্ঘ, সুদীর্ঘ ষোলটি বছর!! নিজের মনে নিজে কত গল্প করেছে, কতই স্বপ্ন না এঁকেছে। কল্পনায় মেয়েকে ছুঁয়েছে বহু শতবার। পেটের উপর হাত রেখে তার উষ্ণতা উপভোগ করেছে।
কেমন দেখতে হয়েছে সে- কতটুকু লম্বা হয়েছে? মায়ের আদল কি পেয়েছে সে/ কিভাবে সে তাকায়, কেমন করে হাটে কেমনে কথা বলে? শত সহস্র প্রশ্ন এসে ভিড় করেছে সারাক্ষণ!
সম্ভব নয় জেনেও তাকে জড়িয়ে ধরে, কোলের মধ্যে গুটিসুটি মেরে মেয়ে তার ঘুমাচ্ছে এই কল্পনায় কত রাত ভোর হয়ে গেছে! ঘুম আঃ ঘুম কতদিন সে মন ভরে ঘুমায় না।
~আজ এক নিমিষেই সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল! এখন আর সে কি নিয়ে বাঁচবে- কাকে নিয়ে ভাববে? কার উষ্ণতার জন্য আকুল হয়ে অপেক্ষা করবে?
কি দোষ ছিল তার? সময়ের থেকে সে হয়তো পিছিয়ে ছিল খানিকটা। অন্য সবাই যখন শরীরের খেলায় মেতেছে তখন সে বিপরীত স্রোতে ভালবাসার আবেগে মথিত হয়েছে। সে সবার মত গড্ডালিকায় গা ভাসায়-নি এটাই কি তার অপরাধ?
~সে চেয়েছিল মাত্র একজন প্রেমিক পুরুষ। নির্ভেজাল টক ঝাল মিষ্টি একটা ছোট্ট সংসার। অর্থ অলঙ্কার বিলাস ব্যসন সে কিছুই চায়নি। শুধু চেয়েছিল ভালবাসা। বিনিময়ে নিজের আত্মাকেও উৎসর্গ করতে রাজী ছিল যে।
যেন সে অপার নিয়ে বসে ছিল সর্বনাশের আশায়!
কেন সে এমন নির্মম প্রতারক প্রবঞ্চক কিছু মানুষের সংস্পর্শে এল? একজন দুজন নয় বহুজনের প্রতারণার শিকার সে। ঈশ্বর কেন তাকে এত বোকা নির্বোধ করে পাঠিয়েছেন- একের পর এক সেই মানুষগুলোর ভালোমানুষির অভিনয়ের ফাঁদে ধরা দিয়েছে। তারা কি অভিশপ্ত নয়? তবে যে পৃথিবীর সব সুখ শান্তি ওদের পদতলে আছড়ে পড়ে! কেন তাকে নিয়েই নিয়তি এমন নিষ্ঠুর লীলাখেলায় মেতে উঠেছে?
প্রকৃতি অভিশপ্ত,প্রতারক, প্রবঞ্চক, মিথ্যেবাদী মানুষকে কোন শাস্তি দেয়না। কেউ শাস্তি পেলে আমরা তার অতীত খুঁড়তে বসি। তার খারাপ কোন কর্মের ফল হিসেবে সে শাস্তি পেয়েছে সেই ভেবে আমরা সান্ত্বনা পাই। এলিনার মত স্বাভাবিক স্রোতের বিপরীতে সাতরে যাবার চেষ্টা-রত কিছু মানুষকে এভাবে ভয়ঙ্কর জীবন-যুদ্ধে লড়তে হয়! নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ করতে করতে সে আজ ক্লান্তির চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে।
বহু বছর বাদে ধীরে ধীরে দু’চোখ বেয়ে অশ্রুধারা নেমে এল তার। বুকের মধ্যে সেই কষ্টের যায়গা থেকে জমিয়ে রাখা নীল কষ্টগুলো ভীষণ দমকে বের হয়ে আসতে চাইছে। একসময় পৃথিবীর প্রতি ঈশ্বরের প্রতি প্রকৃতির প্রতি আক্রোশে- ঘৃণায় সে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে উঠল। অস্তাচল সূর্যটাও যেন কেঁপে উঠল তার চিৎকারে। তার আত্মা যেন উড়ে গেল দূর অসীম-পানে... সে আলতো করে লুটিয়ে পড়ল সেখানটায়।
সূর্য ডুবে গেছে বেশ খানিক্ষন আগে। কৃষ্ণ সাগরের কালচে বালুতে অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি ঠিকরে যাচ্ছে। জোয়ারের সময় হয়ে এসেছে। এলিনার চোখের কোনে তখনো নোনা জলধারা বইছে ধীরালয়ে। কৃষ্ণ সাগরের নোনা জল- ঢেউ এর ছন্দে এসে বার বার সেই অশ্রু যেন মুছে দিতে চাইছে।

~লাশ কাটা ঘরে যদি চেরা হয় তার বুক সংগোপনে
দেখবে সেখানে রাখা বিবর্ণ একমুঠো স্বপ্ন যতনে
যে স্বপ্ন কোন কিশোরের দেয়া উপহার গানের ভাষায়
যে স্বপ্ন প্রথাগত মিথ্যে কপট সংসারের আশায়.... নচিকেতা

~সমাপ্ত
~সৌম্য'র ডায়েরির পাতার ভাঁজে অযত্নে পড়েছিল তার একখানা মাত্র ছবি! বহু পুরনো এই ছবিতে 'এলিনা'কে চিনতে কষ্ট হয় বৈকি!

প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বিশাল এক সিরিজ শেষ করলেন।
আগামী সিরিজ প্রথম থেকে পড়ার ইচ্ছে রইলো।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: সম্ভবত রাশিয়ার কাহিনী নিয়ে এটাই আমার শেষ উপন্যাস! এলেখাটা আরেকটু কলেবরে বাড়ানোর ইচ্ছে ছিল- ধৈর্য আর
সময়ের তাল-মিল হোলনা। দীর্ঘ সময় বিরতি দিয়ে লিখতে গিয়ে আমিই অনেক সময় পেছনের কথাগুলো ভুলে গেছি।
ধন্যবাদ ভ্রাতা আপনার মন্তব্য ও অনুপ্রেরণার জন্য। বিশেষ ধন্যবাদ -একটানা না হোক মাঝে মধ্যে এসে নিজের উপস্থিতি জানান দেবার জন্য।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

জোবাইর বলেছেন: তপন ভাই, দেশ ও বিদেশের নায়ক-নায়িকা ও সাংস্কৃতিক টানাপোড়নে সমৃদ্ধ নিজের চোখে দেখা বাস্তব কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে রচিত বড় মাপের উপন্যাস বাবনিক-এর সফল সমাপ্তির জন্য আপনাকে অভিনন্দন! আমি নিজে ব্লগে অনিয়মিত, তাছাড়া খন্ড ও পর্ব নিয়ে বিভ্রান্ত এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রকাশিত হওয়ায় সবগুলো পর্ব পড়া সম্ভব হয় নাই। তাই উপন্যাস নিয়ে কোনো মন্তব্য এখন করলাম না।

পরে সময় করে আপনার উপন্যাস বাবনিক সম্পূর্ণ পড়ে এই পোস্টে মন্তব্য করবো। পড়ার সুবিধার্থে সবগুলো পর্বকে আপাতত এখানে সাজিয়ে রাখলাম।

বাবনিক - প্রথম খন্ড
বাবনিক- প্রথম পর্ব
বাবনিক- দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
বাবনিক- ৪র্থ পর্ব
বাবনিক -৫ম পর্ব
বাবনিক- পর্ব ৬
বাবনিক- সপ্তম পর্ব
বাবনিক- পর্ব ৮
বাবনিক -নবম ও দশম পর্ব
বাবনিক (প্রথম খন্ড শেষ পর্ব)

বাবনিক - দ্বিতীয় খন্ড
বাবনিক- দ্বিতীয় খন্ড, প্রথম পর্ব
বাবনিক- ২য় পর্ব (দ্বিতীয় খন্ড)
বাবনিক-৩য় পর্ব (দ্বিতীয় খন্ড)
বাবনিক-৪র্থ পর্ব (দ্বিতীয় খন্ড)
বাবনিক-৫ম পর্ব (দ্বিতীয় খন্ড)
বাবনিক-দ্বিতীয় খন্ড~ শেষ পর্ব

বাবনিক - তৃতীয় খন্ড
বাবনিক~১ম পর্ব (তৃতীয় খন্ড)
বাবনিক~২য় পর্ব (তৃতীয় খন্ড)
বাবনিক~৩য় পর্ব (তৃতীয় খন্ড)
বাবনিক~৪র্থ পর্ব (তৃতীয় খন্ড)

বাবনিক - শেষ খন্ড
বাবনিক -শেষ খন্ড, প্রথম পর্ব
বাবনিক -শেষ খন্ড, দ্বিতীয় পর্ব
বাবনিক-পর্বঃ ৩ ও ৪(শেষ খন্ড) বাবনিক- পর্বঃ ৫ (শেষ খন্ড)
বাবনিক-৬ (শেষ খন্ড)
বাবনিক-৭ (শেষ খন্ড)
বাবনিক-৮ (শেষ খন্ড)
বাবনিক-৯ ও ১০ (শেষ খন্ড)
বাবনিক- অবশেষে শেষ পর্ব

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওরে বাপরে করেছেন কি!!! এতটা সময় ব্যয় করেছেন আমার জন্য!
ব্লগে আমি আর আপনি প্রায় সমসাময়িক- সেই প্রথম থেকে আপনার মন্তব্য আর ভালবাসা পেয়ে আসছি কিন্তু আপনাকে এর
প্রতিদান দেইনি কখনো।
আমাকে ঋণী করলেন ভ্রাতা! সম্ভব হলে সময় নিয়ে পুরো উপন্যাসটা পড়ে ভাল মন্দ ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিবেন।
ভাল থাকুন- শুভেচ্ছা নিরন্তর!

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

জটিল ভাই বলেছেন:
বাবনিক নাম আর ছবিই এতোদিন তপন ভাইয়ের উপস্থিতির জানান দিতো। এবার কি তবে এ বাঁধন ছিন্ন হতে চলেছে?
তাহলে নতুন সংসার কাকে নিয়ে শুরু করতে যাচ্ছেন??? =p~

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা সেটা বোঝা যেত বটে -একটা 'লম্পট' আছে ব্লগে :)

প্রথমে 'পাড়' মাতালের সাথে পরে 'লম্পটে'র সাথে ঘর করা হোল- অন্য কারো খুঁজে পাবার আগেই স্বর্গে চলে এলাম!
হুর আর গেলমান নিয়ে মৌজ মাস্তি করি কিছুদিন- নাকি বলেন?

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৪

কামাল৮০ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা,পড়ে ভাল লাগলো।যদি সে অদৃষ্টবাদী হয় তবে বলবে,এসব আমার কপালে লেখা ছিল।বাস্তববাদী হলে ভাববে মানুষ চিনতে ভুল করেছিলাম।আবার নতুন করে শুরু করি।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: রাশিয়ানরা আসলে ধর্মটাকেই ভাল করে বুঝতনা। তবে 'ওহ আমার ঈশ্বর' 'হায় আমার ঈশ্বর' 'আমার কপাল' এইসব কথা বলে
হর-হামেশা! তবে বিশ্বাস করে বলে কিনা নিশ্চিত নই।
এলিনার বিষয়টা অন্যরকম হতে পারত মেয়েটা না হলে ও সে ধর্ষিত না হলে!

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কামাল ভাই সাথে থাকবার জন্য। ভাল থাকুন

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: বাবনিকের দীর্ঘ পদযাত্রা শেষ হলো, যা অনেক ধৈর্যের সঙ্গে সুনিপুণ ভাবে পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
জীবন হলো এমন একটি বর্ণময় যাত্রা যা একদিকে যেমন আনন্দ, হাসি, খুশি ও সুন্দর-সুন্দর মুহূর্তের সাথে ভরপুর থাকে তেমন অন্য দিকে জীবনে আমাদেরকে অনেক সময়ই বন্ধুর রাস্তার সম্মুখীন হতে হয়। তবে যাই হোক এই দুটি পরিস্থিতিই আমাদেরকে জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে যায় যা জীবনকে দেখার আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করে। জীবনের এই দুটি পরিস্থিতি আপনি নিবিড় ভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন বলেই অনেক চরিত্রের সমাহার বাবনিক উপন্যাসের প্রধান চরিত্র এলিনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন কথাশিল্পীর কথকতায়।

জীবন চলার পথে কিছু মানুষের দেখা পাবেন কদাচিৎ তারা দেহে জীর্ণ, মনে ক্লান্ত, দৃষ্টিতে সন্দিগ্ধ। আপনাকে দেখেও কথা বলবে না। সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে যাবে- এলিনার তেমনই একজন ভাগ্য বিড়ম্বিত নারী.....

খারাপ লাগছে, এলিনার জন্য খুব খারাপ লাগছে.....

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: এইরে ফের বিপদে ফেললেন!! আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আমি তাল-গোল পাকিয়ে ফেলি।
আপনার ভাষা জ্ঞানের কিছু পরিচয় পেয়ণীতে'আরব্য রজনী'তে!
আমার মত এত কম ভাষা জ্ঞান নিয়ে বড় উপন্যাস লেখার চেষ্টা ধৃষ্টতার সামিল।

~অনেক চরিত্রের সমাহার বাবনিক উপন্যাসের প্রধান চরিত্র এলিনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন কথাশিল্পীর কথকতায়।
- একথায় ব্যাপক লজ্জা পেলাম :``>>
বাবনিকের পথ চলার প্রায় শুরু থেকে দারুন আন্তরিকতার সাথে মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
আপনার মত অগ্রজ ও দু-চারজন অতি প্রিয় ব্লগাররের অনুপ্রেরণা না পেলে হয়তো বাবনিক কোনদিন-ই শেষ হোত না।

ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন- এভাবে আনাদের ভালবাসা্র বাঁধনে জড়িয়ে রাখার জন্য।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

পোড়া বেগুন বলেছেন:
বিশাল উপন্যাস, এত ধৈর্য কোথায় পান? আমারতো পড়তেই সাহস হচ্ছে না। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার উপন্যাসটি সামুতে শেয়ার করার জন্য।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: ধৈর্য আমার একেবারেই নাই। না হলে দুটো উপন্যাস শেষ করতে ১২/১৩ বছর সময় নেই।
যখন ভাবি হাতে-তো সময় কম! এই দন্ডে না লিখলে আর হয়তো হবে না( এতে কারো বিন্দুমাত্র ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না) তখন মনকে বোঝাই ধৈর্য ধারন কর। এমন সময় আপনারও হয়তো একদিন আসবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার বল্গে পথচলা মসৃন হউক। সুস্থ্য থাকুন ভাল থাকুন।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: অবশেষে শেষস হল বাবনিক ! আগের তিনটি খন্ড পড়ে শেষ করেছি । এই খন্ডটা শেষ হওয়ার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম । আজই পড়া শুরু করে দিতাম কিন্তু ল্যাপটপটা কাল থেকে চালু হচ্ছে না ! সামুতে ল্যাপটপ দিয়েই বেশির ভাগ সময়ে প্রবেশ ও লেখা পড়া হয় । অবশ্য ল্যাপটপ ঠিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো না । আজ থেকেই পড়া করে দিবো !

জোবাইর ভাইকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ লিংক এড করে দেওয়ার জন্য । আপনার কাছে যদি লেখা গুলোর ডক ফাইল থাকে তাহলে অনুরোধ করবো একটা পিডিএফ ফাইল তৈরি করে দিতে পারেন ! অবশ্য বই আকারে বের করতে চাইলে দরকার নেই ।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আহা আপনার ল্যাপটপ বন্ধ হবার আর সময় পেল না :(

@জোবাইর ভাইকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ এত কষ্ট করার জন্য। নির্ভেজাল ভালমানুষেরা পারে এমনটা করতে।

আপনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এত কষ্ট করে পুরনো লেখাগুলো পড়ার জন্য। পড়া শেষ করে চুড়ান্ত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৫৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এটা কি বই আকারে বের হবে? নাকি ব্লগেই থাকবে?

২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: ~ বই বের করা যায় কিন্তু;
কে বের করবে?
পড়বে কে?
-আর যদিওবা বই হিসেবে বের হয় তবে দু'চারজন বন্ধুর সাথে চিরতরে সম্পর্ক ছেদ হবার আশঙ্কা থাকে।

এখন কি করব বলেন ভাই?

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এক মহা গল্পের যবনিকা ঘটলো, নিশ্চয় অন্য মজাদার গল্প নিয়ে হাজির হবেন।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০২

শেরজা তপন বলেছেন: এটা যদি মহা গল্প হয় তবে মহাভারত কি? :)
আমার সৌভাগ্য যে, বাবনিকের পুরো পথ চলায় আপনাদের মত ব্লগার সাথে পেয়েছি।

অনেক ধন্যবাদ- লেখালেখিতো চলতেই থাকবে তবে মজাদার না চটকদার নাকি নীরস হবে তা বলা যাচ্ছে না।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা! এলিনার জন্য মায়া লাগছে। আহা বেচারে। জীবন এমনই- কেউ সব পায়, কেউ কিছুেই পায়না।+++

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: ওর জন্য আমারও প্রাণ কাঁদে। কাছ থেকে দেখেছি বহুবার।
ওর দুর্ভাগ্য অযিতভাবে কিছু বাঙ্গালী ছেলেদের সংস্পর্শে এসেছিল। না হলে হয়তো এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটত না- ঘটলেও আমরা এর প্রত্যক্ষদর্শী থাকতাম না।
অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালবাসা মাইনুল ভাই সাথে থাকার জন্য। ভাল থাকুন নিরন্তর।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: গতকাল সবগুলি পর্ব পড়লাম তবে সময়াভাবে মন্তব্য করতে পারিনি । তবে শেষ পর্ব পড়ে আশাহত হয়েছি। যদিও আমি আশায় ছিলাম যে শেষ পর্যন্ত এলিনা ফিরে পাবে তার সংসার-কন্যা-স্বামীকে । তার এরকম পরিণতি মেনে নিতে যদিও কষ্টকর তারপরেও মেনে নিচছি এ কারনে -

১। আমরা যা চাই সব সময় তা হয়না বা সেভাবে ঘটনা প্রবাহ ঘটেনা,আমাদের একজীবনে সব চাওয়া পূরণ হয়না ।
২। সব কিছুই আমাদের অজান্তে এবং আমাদের কল্যাণে অদৃশ্য একজন নিয়ন্ত্রণ করেন যেখানে আমাদের করণীয় কিছুই নেই বা থাকেনা।
৩। এ দুনিয়ায় যা কিছু হচছে বা ঘটছে তা সবই আমাদের কল্যাণে সেই হিসাবে।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: হায় আহ্য কি বলেন!! এক বসায় সবগুলো পর্ব পড়েছেন!! লেখায় ও পড়ায় আপনার ধৈর্য আছে বটে।
সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জানবেন।
এলিনার ভাগ্যে তেমনটা আর হয়নি- চাওয়ার সাথে পাও মেলেনা এমন করেই।

আমি আস্তিক তবে সবকিছু কল্যানের জন্য হয়, সেটা বিশ্বাস করার মত শক্ত কোন ভিত পাইনি এখনো।

ভাল থাকুন 'কামরুজজামান' সুস্থ্য থাকুন ।

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৯

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: অভিনন্দন।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা বেশ দীর্ঘ সময় ধরে বাবনিকের সাথে পথ চলার জন্য।
ভাল থাকুন সুপ্রিয় 'তাসনিম'।

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭

আরাফআহনাফ বলেছেন: শুধু এক দীর্ঘশ্বাস !! !
আহারে জীবন - কত অবহেলায় অপচয় করে ফেলে কতজন!! !

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: মাঝে মাঝে তব দেখা পাই- প্রিয় ভাই, সসময় কেন পাই না
ভাল আছেন আপনি? শেষ পর্বে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
ঠিক তাই এলিনার জন্য শুধু দীর্ঘশ্বাস আর হাহাকার। আমরা জেনে বুঝেই কিংবা ইচ্ছা অনিচ্ছায় অনেকের সাথেই এরকমটা করি- কিন্তু ভাবি না তার ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা।

ভাল থাকুন

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একটা কথা না বললেই নয়, এলিনার জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে। :( আমরা বাঙগালীরা কি এরমকই প্রবঞ্চক? একটা সহজ সরল মেয়েকে কিভাবে শেষ করে দিলো!!

২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাদের জন্য- দিব না দিব না করেও এলিনা'র ছবিখানা দিলাম!

মিষ্টি সেই মেয়েটাকে দেখে কষ্টটা বাড়বে বৈ কমবে না!
আমরা কেউ কেউ এর থেকেও খারাপ

১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এতো সুন্দর একটা মেয়েকে কিভাবে তিলে তিলে শেষ করে দিলো (আপনার বর্ণনা অনুসারে আমি যা বুঝলাম) প্রবঞ্চকেরা!! ভাবতে ভাবতে কষ্ট বহুগুনে বেড়ে যাচ্ছে। :(

২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: সুন্দর অ-সুন্দর মুখ্য বিষয় নয় - আবার তিলে তিলে শেষ করাও নয়।
আমি যতদুর চিনি সৌম্য ও ববি উভয়েই দারুন মানবিক! অল্প বয়সে ওরা জানে না বুঝে ভুল করেছে।
এখন প্রানপনে চাইছে সেই সৃতিগুলো ভুলে যেতে। বর্তমান ব্যাক্তি, দাম্পত্য বা সন্তান সন্তদির মাঝে এমন একজন মানুষের প্রত্যক্ষ্য
উপস্থিতি সবকিছু টালমাটাল করে দিতে পারে। আমি তাদের পক্ষে সাফাই গাইছি না- কিন্তু গড়পড়তা মরা সবাই স্বার্থপর! সবাই
বর্তমান আর ভবিষ্যতকে নিয়েই ভাবি। যারা অতীত নিয়ে ভাবে তারা কবি বা সাহিত্যিক হয়।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অতিরিক্ত রাগ/ আবেগের সময় নাকি চুপ থাকতে হয় ?

আচ্ছা চুপ রইলাম। অভিনন্দন আপনাকে আরও একটা সিরিরজের সফল সমাপ্তির জন্যে।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি আবেগের কথা না হয় বুঝলাম- রাগ হোল কেন?
শেষ পর্বের শেষ দিকে এসে খানিকটা কল্পনার মিশেল ছিল সে জন্য? ওর বুড়োটে হয়ে যাওয়া চেহারা, হার্টবিট ৫০ এর ঘরে নেমে
যাওয়া, এমনকি বীচ থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত এটুকু ঠিক আছে।

বলেন বলেন আপনার শেষ কথা শোনার অপেক্ষায় রইলাম...
আমি যদি সৌম্য হই তবে মিশু কে? নিজেকে নিজে কেউ অভিশাপ দেয়?

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যে-কোনো কিছুর শেষ বা বিদায়ে কেমন একটা অশ্রুমাখা সকরুণ বিষণ্ণতা থাকে। আমি এ পর্বটা এখনো পড়ি নি। কিন্তু পড়ার আগেই মনটা খারাপ হয়ে গেল - হায়, গল্পটা শেষ হয়ে গেল! আমি যে সবগুলো পড়তে পেরেছি তা না, কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এটা আলোড়োন তোলা সিরিজ ছিল এই ব্লগে এবং খুবই পাঠক-নন্দিত হয়েছিল। এটার কোনো পর্ব দেখামাত্র আপনার আনন্দমাখা হাসিমুখের ছবিটাও চোখে যেন ভেসে উঠতো। এতে শুধু মাত্র গল্পই বলে যান নি, আপনার সমৃদ্ধ রচনাশৈলীও এতে প্রকাশিত হয়েছে। সাহিত্যিক হিসাবে আপনার অবস্থান দিনে দিনে শক্তিশালী হয়েছে। আশা করি অন্য কোনো সিরিজ অতি শীঘ্রই শুরু করবেন ব্লগকে মাতিয়ে রাখার জন্য।

২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার অতিপ্রিয় সোনাবীজ ভাই,
বরাবর আপনার মন্তব্যে এমন কিছু থাকে যাতে আমি শুধু অনুপ্রাণিত হই না বিস্মিতও হই।
ব্যাকারণ, শব্দ বুনন, শব্দ চয়ন,বানানে শত সহস্র ভুল থাকার পরেও আপনার মত পরিশুদ্ধ একজন লেখক যেভাবে প্রশংসার ঝাঁপি
খুলে ধরেন তাতে আপনার অতি কোমল মনের বিশাল ব্যাপ্তির প্রকাশ পায়।
আমি আমার কোয়ালিটি বুঝি- ভাষা নিয়ে আমি সারাক্ষন লড়াই করি! মাঝে মাঝে ভেঙ্গে পড়ি- তবুও যুদ্ধ ছাড়িনা! বাংলা ভাষায়
আমার দখল এত কম দেখে আপনাদের প্রতি আমার ঈর্ষা হয়।

আমি এরকম প্রশংসার সামান্য যোগ্য নই- তবুও ভাল লাগে, চরম আনন্দিত উৎফুল্ল হই। আমিওতো মানুষ :)

১৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১০

জুন বলেছেন: এমন অনেক এলিনা প্রতারিত হয়েছে বাংলাদেশের সোনার ছেলেদের কাছে। শেষটা পড়ে আমার গাল বেয়েও নোনা জল গড়িয়ে পরলো। প্রথম থেকে এবার পড়া শুরু করবো শেরজা তপন। আপনাকে অভিনন্দন এমন একটা রুশী স্বাদের লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
আরেকটি কথা শৈশবের একটা বিশাল জায়গা জুড়ে ছিল রুশ সাহিত্য। সেই বিশাল সাগরের নোনা জলে সাতরে ফিরেছি দিনমান। আজ সেই রাশিয়ার অবস্থা দেখে বড্ড কষ্ট হয়। কষ্ট হয় সেই সব বিখ্যাত সাহিত্যিকদের কথা ভেবে যারা সেই রাশিয়া ইউক্রেন এর বিশাল প্রান্তরে অসাধারণ সব রচনা লিখে গিয়েছেন।
+

২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে যুগপৎ; আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত হলাম!
রুশ সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে আপনার অন্যরকম এক নস্টালজিয়া আছে।
আমার অনেক লেখায় বহুবার আপনি সেইসব সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের উদাহরন টেনেছে্ন। আমি আপনার রুশ সাহিত্যের দখল দেখে বিস্মিত হয়েছি। আপনার প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছি- আর নিজেকে ধিক্কার দিয়েছি তেমন কিছু না জেনে বুঝে এই পথে পা বাড়ানোর জন্য।
তবে প্রায় তিন যুগ ধরে বিচ্ছিন্নভাবে লেখা আমার ডায়েরি আর সল্প বিস্তর ব্যতিক্রমী বাস্তব অভিজ্ঞতাই আমাকে খানিকটা সাহস জুগিয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত 'বাবনিকের সাথে থাকার জন্য, উৎসাহিত করার জন্য অনুপ্রাণিত করার জন্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তাই নাকি আবেগের কথা না হয় বুঝলাম- রাগ হোল কেন?
শেষ পর্বের শেষ দিকে এসে খানিকটা কল্পনার মিশেল ছিল সে জন্য? ওর বুড়োটে হয়ে যাওয়া চেহারা, হার্টবিট ৫০ এর ঘরে নেমে
যাওয়া, এমনকি বীচ থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত এটুকু ঠিক আছে।

বলেন বলেন আপনার শেষ কথা শোনার অপেক্ষায় রইলাম...
আমি যদি সৌম্য হই তবে মিশু কে? নিজেকে নিজে কেউ অভিশাপ দেয়?


নো নো রাগ হলে ও যে চুপ থাকতে হয় সেটা আমি জানি সেটুকু বুঝিয়েছি আর কি, আর সত্যি ই এমন বিষাদ ছেয়ে আছে মনে যে এলিনা ববি আর ওদের মেয়ে নিয়ে কিছু বিস্তারে মন্তব্য সম্ভব না। লেখকের কল্পনা ই কিন্তু বাস্তবের গল্পগুলো হৃদয়গ্রাহী করে, একজন লেখক হয়ে কিভাবে আমি কল্পনার মিশেলে রাগ হতে পারি ভাবলেন ?

হাহাহাহ আপনি যদি সৌম্য হন তাহলে মিশু কে !!! হাহাহা খাড়ান হাইস্যা লই -
একজন লেখকের জবানী এবং একজন লেখকের সব লেখাই তার জীবনে ঘটে যাওয়া গল্প বলে বিশ্বাস করার মত ইম্যাচিউর পাঠক বলে মনে হয় আমাকে আপনার ?

শুভেচ্ছা সতত।

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: এইবার হইল- আসল কথা বুঝলাম! :)

আপনি এতদিনে এত ম্যাচিউরড হয়ে গেছেন ভাবিনি। এখনো মনে হয় আমার প্রথম দিককার 'আলকাশে' মন্তব্য করা সেই আপনি রয়ে গেছেন!!!

২০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অবশেষে ''শেষপর্ব'' দেখে একটা মিশ্র অনুভূতি হলো। হরিষে বিষাদ টাইপ। হরিষ.........কারন এটা পড়া শুরু করতে পারবো। বিষাদ..........আরো বড় হলে আরো বেশী পড়তে পারতাম। দেখলাম আপনি শেষের দিকে এসে আর ধৈর্য রাখতে না পেরে তাড়াহুড়া করেছেন। এটার বই যদি বের করেন, তাহলে সময় নিয়ে আরেকটু বিস্তারিতভাবে লিখে শেষ করবেন। মনের মধ্যে কোন অতৃপ্তি রাখা ঠিক না। আজ না হলেও কোন একদিন মনে হবে, শেষটা এমনভাবে না করে অমনভাবে করলে আরো ভালো হতো!!!

যাইহোক, লেখা নিয়ে কিছু বলতে পারলাম না। কোন এক শুভক্ষণে পড়া শুরু করি আগে! :)

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: শেষ পর্বে আপনার আগমনের প্রতীক্ষা করছিলাম।
তাড়াহুড় করেছি খানিকটা তবে আরো বেশী লিখতে গেলে এই জীবনে এই উপন্যাস আর শেষ হোত না!
অতৃপ্তিতেই উপন্যাসের প্রাপ্তি :)
এলিনার অন্তিম ভীষন কষ্টের অংশটুকু বেশী ডিটেলে আর লিখতে ইচ্ছা হয়নি। মেয়েটার সাথে বহুবার দেখা হয়েছে- ওর প্রতি মায়া পড়ে গেছে!

পুরো লেখা পড়া শেষে আপনার 'খাট্টা মিটঠা' মন্তব্যের প্রতীক্ষায় রইলাম...

২১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আহারে জীবন!

এলিনা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিলো।

ছবিটা নিশ্চয় পঞ্চাশ বছরের চুলে পাক ধরা এলিনার থেকে অনেক অনেক আলাদা। তবুও সেই দুখী এলিনাকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি ভাইয়া।

সমুদ্রের ধারে একা একা লুটিয়ে পড়া এলিনা। :(

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: ছবিটা নিশ্চয় পঞ্চাশ বছরের চুলে পাক ধরা এলিনার থেকে অনেক অনেক আলাদা ~ ওটা ৯৪/৯৫ সালের ছবি ২১/২২ বছরের তরুণী সে তখন!
এলিনা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিলো। - ছবির থেকে সে অনেক সুন্দর।

আমার ব্যর্থতা হয়তো সত্যকারে দুঃখিনী এলিনার আসল মনোজগতের ছবি আঁকতে পারিনি!
বরাবরের মর সাথে থাকার ও অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় আপু। ভাল থাকুন

২২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহারে! কি নির্মম পরিহাস ক্ষুদ্র এই জীবনের। একসময়ের কাঙ্ক্ষিত মানুষ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই হয়ে গেল নিতান্তই সাধারণ একজন। কত সহজেই বদলে যায় সম্পর্কের রসায়ন।

আপনার সঙ্গেও তাহলে আর কখনো এলিনার দেখা হয়নি?যদি কখনো দেখা হয় তাহলে এই উপন্যাসের খন্ডগুলো ওনার হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

এলিনার ভালোবাসা অপাত্রে সম্পাদন হয়েছে। সৌম্যকে বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে স্রেফ আবেগবশত হয়ে এলিনা ববির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় ও বিয়েতে রাজি হয়। কিন্তু সেই বিয়েতে ওর শরীর রাজি হলেও মনপ্রাণে রাজি ছিল না। আমার মনে হয়, আসলে ও সৌম্যকে একপ্রকার শাস্তি দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি এমন,দেখো তোমার ভালোবাসাকে তোমার সামনে অন্যের হাতে তুলে দিলাম।ফলতো তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়া স্বাভাবিক ছিল। হয়েছিলোও তাই।আর এই কারণে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তার অতৃপ্ত মন সাংসারিক জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বেছে নেয় চূড়ান্ত একাকিত্বের জীবনকে। মানুষ চূড়ান্ত আঘাত পেলে ভুলে যায় নিজের নিকট আত্মীয়দের।
অপরদিকে সৌম্য এলিনাকে পারেনি ভুলতে কখনও।ববির সঙ্গে সৌজন্য সদ্ব্যবহার বজায় রেখে তাই বারেবারে ছুটে গেছে এলিনার খোঁজে।এলিনার দুঃখে সে তার পোড়ানো হৃদয়কে পারেনি শেয়ার করতে কারো সাথে।ববির সাথে সাক্ষাতে সে কেবল আশায় থেকেছে অপর প্রান্ত থেকে যদি কোনভাবে এলিনার খোঁজ পাওয়া যায় কিনা। কিন্তু সবসময় সৌম্যের সে আশা পূরণ হয়নি। কয়েক বছর পর, মনের ক্ষতকে মনে ধারন করে আম্মুর বাধ্য সন্তান হয়ে ওনার পছন্দের কোনো পাত্রীকে বিয়ে করলেও সৌম্যের মন পড়েছিল কৃষ্ঞ সাগর বা ওডেসার সমুদ্রে তীরে। তাই বাংলাদেশের কাদামাটি মাখা কোনো প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকলেও সৌম্যের মনের এই হাহাকার আমৃত্যু তাকে হাজির করাবে ওডেসার সমুদ্রে তীরে।

অসংখ্য ধন্যবাদ তপন ভাই ব্লগে এমন জীবন্ত একটি উপন্যাস শেয়ার করার জন্য।++
পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে এলে এই উপন্যাসটি যে আগামীদিনে গোটা বাংলা সাহিত্যে ব্যপক জনপ্রিয়তা পাবে সেকথা আগেই জানিয়ে রাখলাম। ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।


২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: কি চমৎকার করে বললেন প্রথম দু-লাইনে!
আপনার সঙ্গেও তাহলে আর কখনো এলিনার দেখা হয়নি? ~ নাঃ শেষ বার ওর বিয়ের সময় দেখা হয়েছিল।
আর কখনো দেখা হবার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না!
এলিনার ভালোবাসা অপাত্রে সম্পাদন হয়েছে। সৌম্যকে বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে স্রেফ আবেগবশত হয়ে এলিনা ববির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় ও বিয়েতে রাজি হয়। কিন্তু সেই বিয়েতে ওর শরীর রাজি হলেও মনপ্রাণে রাজি ছিল না। আমার মনে হয়, আসলে ও সৌম্যকে একপ্রকার শাস্তি দিতে চেয়েছিল। বিষয়টি এমন,দেখো তোমার ভালোবাসাকে তোমার সামনে অন্যের হাতে তুলে দিলাম।ফলতো তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়া স্বাভাবিক ছিল। হয়েছিলোও তাই।আর এই কারণে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তার অতৃপ্ত মন সাংসারিক জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বেছে নেয় চূড়ান্ত একাকিত্বের জীবনকে। মানুষ চূড়ান্ত আঘাত পেলে ভুলে যায় নিজের নিকট আত্মীয়দের। ~ আমার বার বার মনে হয়েছে মেয়েকে ছাড়া ওর উচিত হয়নি। তার জন্য না হলেও মেয়ের জন্য বারবার সে ফিরে যেত এলিনার কাছে। হয়তো কোন একদিন ফের সম্পর্ক জোড়া লেগে যেত ফের।

~ সৌম্যকে নিয়ে আপনার শেষ কথাগুলো হয়তো সত্য। সৌম্যের ভেতরে আমি তেমন করে ঢুকতে পারিনি তবে ওর ভীষন অনুশোচনা বোধ আছে। নিজেকে অভিসম্পাত করে ধিক্কার দেয়।

আপনি বার বার অনুপ্রাণিত করেছেন উৎসাহিত করেছেন, কিছু ভুলভ্রান্তি ইগনোর করে প্রশংসায় মেতেছেন। অচেনা অজেনা আমাকে ভালবাসার স্নেহের মায়ার ডোরে বেঁধেছেন! আপনাদের মোট অতি সজ্জন কিছু বিদগ্ধ ব্লগার পাশে না থাকলে এ সিরিজটা হয়তো কোনদিন শেষ হোত না। লক্ষ পাঠকের জনপ্রিয়তার থেকে এটা কম পাওনা নয়।

~ আপনার জন্য রেমেনার জন্মের ঠিক ঘন্টা খানেক পরে তার বাবার কোলের ছবিটা শেয়ার করছি। ইচ্ছাকৃতভাবে ববির ফেস অফ করে দিলাম;

২৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫১

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: অসাধারণ লেখা আপনার। এরকম আরো অনেক অনেক লেখা চাই। শুভকামনা সবসময়।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে বরাবরই মিস করি। আপনাদের ভালবাসা আন্তরিকতা ও অনুপ্রেরণায় নিজের অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করি ব্লগের পাতায়।
নিজের যোগ্যতা ও ক্ষমতায় চেষ্টা করি যতুদুর ভাল লেখা যায় তার।
আপনার মত পুরনো ব্লগারের এমন মন্তব্যে মন ভরে যায় ভাল লাগায়।
ভাল থাকুন। বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্ট সময় নিয়ে পড়বো ।

আজ শেরজার একটা কমেন্ট পড়ে অনেক হাসলাম :)
এখন একটা জোকস শেয়ার করতে আসলাম ।

এক ভদ্রলোকের মাথায় তিনটা চুল ।
আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল আঁচড়ানোর সময় একটা চুল পড়ে গেলো ।
বেচারা মনে কষ্ট নিয়ে যেই আবার আঁচড়াতে গেলো, আরেকটা চুল পড়ে গেলো ।
তখন হাত দিয়ে সেই একটা চুল এলোমেলো করে বললো যাহ্, আর চুলই আঁচড়াবো না ।

সর্বসাকুল্যে একটা তিন লাইনের পোষ্ট একাউন্ট মুছে ফেলার কথা জানিয়ে ।
এই একাউন্ট থাকলেই কি আর মুছে ফেললেই বা কি, নট মাচ ডিফারেন্স ।
তারপরও যখন ইচ্ছা পোষণ করেছে, ব্লগ এডমিন নিশ্চয়ই হেল্প করবে তাকে ।
:)


২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক বিষয় নিয়েই প্রচন্ড রাগ হয় কিন্তু আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি রাগ সংবরণ করার।
কিন্তু আমার পরিবার, বন্ধু ও ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে অযাযিতভাবে কেউ বাজে মন্তব্য করলে আমার সেই ধৈর্য আর থাকেনা!
উঁনার ভাগ্য ভাল সেইসব ঘাউড়া,ঠোঁটকাটা মারকুটে ব্লগারেরা নাই- থাকলে সামুর ওয়েব এড্রেস ভুলে যেতেন।
~ সর্বসাকুল্যে একটা তিন লাইনের পোষ্ট একাউন্ট মুছে ফেলার কথা জানিয়ে ।
এই একাউন্ট থাকলেই কি আর মুছে ফেললেই বা কি, নট মাচ ডিফারেন্স- Exactly
*জোকসটা চমৎকার হয়েছে- উনাকে গিয়ে একটু বলে আসেন :) :)


লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা.....

২৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: বাবনিকের একেবারে প্রথম খন্ড পড়ে আমার সৌম্যের জন্য বুকের ভেতরে একটা কষ্ট এসে জড় হয়েছিলো । এই শেষ পর্বে এসে আমার তার থেকেও বেশি মন খারাপ লাগছে এলিনার জন্য !
আসলে সত্যি বোকারাই কেবল ভালোবাসে ! কেবল বোকারা ! আর কেউ ভাল বাসে না । অন্য সবাই হিসাব নিকেষ করে । কোনটা করলে ভাল হবে কোনটা করলে লাভ হবে ! বোকারাই কেবল বিশ্বাস করে বসে যে ভালোবেসে সব কিছু জয় করা যায় । ভালোবেসে আসলে বাস্তবিক পক্ষে কিছুই জয় করা যায় না । গল্প উপন্যাসে এই ভালোবাসার জয় দেখতে দেখতে মানুষ প্রায়ই বাস্তব আর গল্প মিলিয়ে ফেলে ! ফল স্বরূপ এলিনার মত নিঃসঙ্গ অপেক্ষার জীবন কাটায় !

এলিনার জন্য আমার মন অনেক দিন বিষন্ন হয়ে থাকবে । এলিনা হয়তো কোন দিন জানবেও না কোন এক অখ্যাত দেশের অখ্যাত যুবক তার কষ্টে মন খারাপ করে থাকবে অনেক গুলো দিন !

পুরো লেখা ব্যাপারে একটা কথা বলবো যে লেখায় নাম পুরুষ আর উত্তম পুরুষের একটা সংমিশ্রন ঘটেছে । যদি বই বের করেন তাহলে এই ব্যপারটার দিকে খেয়াল দিবেন অবশ্যই । এছাড়া যদি হাতে সময় থাকে তাহলে এই পোস্ট গুলোতে নাম পুরুষে বর্ণনাকৃত অংশ টুকু ইটালিক ফর্মে বদলে দিতে পারেন । যেহেতু গল্পের সিংহভাগই উত্তম পুরুষে বর্ণনা করা তাই সেটা নরমাল ফন্টেই থাকুক ! !

খুব বড় একটা আর দীর্ঘ একটা জার্নি শেষ হল । আপনার লেখা পড়েই রুশ কালচার নিয়ে আরও জানার আগ্রহ জন্মালো । আপনার জানা থাকলে কয়েকটা বইয়ের নাম বলতে পারেন যেখানে রুশ জাতির ইতিহাত কালচার সম্পর্কে জানা যাবে !

সব শেষে অসংখ্যা ধন্যবাদ এই চমৎকার লেখাটি উপহার দেওয়ার জন্য ।
ভাল থাকুন সব সময় !

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: যাক অবশেষে শেষ করেল উপন্যাসখানা। ব্লগে হয়তো আপনিই একজন মাত্র একটানা (প্রায়) লেখাটা পড়ে শেষ করলেন।
আপনার প্রতি রইল অশেষ অকৃত্রিম ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা!
বাকি মন্তব্যের উত্তর সময় করে দিচ্ছি। ভাল থাকুন শুভ রাত্রি।

২৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:১৪

জোবাইর বলেছেন: তপন ভাই, প্রায় দুই যুগের ঘটনা নিয়ে চার খন্ডের কাহিনীতে ৩১ পর্বে লেখা আপনার বিশাল ক্যানভাসের আলোচিত উপন্যাস 'বাবনিক' আজকে পড়ে শেষ করলাম। এত বড় উপন্যাসের ওপরে মন্তব্য লেখাও অনেক কঠিন ব্যাপার। তাই একটু সময় নিয়ে আবার এসে মন্তব্য রেখে যাবো। ভালো থাকুন।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন আনন্দময় দিন আমার।একই দিনে দু'দুজন পুরনো ও প্রিয় ব্লগার আমার মত অতি নগন্য ব্লগারের লেখা এত বড় পরিসরের উপন্যাস পড়ে শেষ করেছেন!!
ঠিক বলেছেন এত বড় একটা লেখা ব্লগের পাতায় পর্ব আকারে ধৈর্য ধরে পড়ে চুল চেরা বিশ্লেষন করা বেশ কঠিন কর্ম বৈ-কি।
অপেক্ষায় রইলাম আপনি সময় নিয়ে সমালোচনামুলক মন্তব্য করবেন বলে।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন- আপনার প্রতি রইল ভালবাসা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!

২৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: -ভাই -
ধর কলকি মারো টান অথবা দুনিয়া কাঁপানো জার্মান ব্যান্ড অথবা এই ধাঁচের কোন পোস্ট চাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: ওগুলো মেইন ডিশের সাথে সাইড ডিশের মত! মুল ধারার লেখালেখিও চলবে পাশাপাশি ওসবও চলবে।
সময় সুযোগ পেলে আমার লেখা ২০১২/১৩ সালের আগের লেখাগুলো পড়ে দেখবেন। বাস্তব জীবন ভিত্তিক প্রচুর রম্য ছোট ছোট
গল্প আছে। ধারাবাহিক লেখার ধৈর্য হবে সেটা ভাবিনি তখনো।এখন কোন কিছু লিখতে গেলেই লেখা বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত বাড়তে থাকে আর জটিল থেকে জটিলতর হয় :)
বয়স একটা ফ্যাক্টর রে ভাই!!!

২৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মুখবন্ধ - বাবনিক
প্রবাস জীবন নিয়ে লেখালেখি করার মতো সাহস সবার হয় না, অনেকে অনেক কিছু আড়াল করেন, আড়াল করতে হয়। আপনি বাবনিক লিখতে গিয়ে প্রবাস জীবনের অনেক ভালো - মন্দ, বিবেচনা - অবিবেচনা, প্রয়োজন - অপ্রয়োজন লিখেছেন। লিখেছেন হিসাবের ভুলগুলোও। মানুষের জীবনে ইউটার্ন নেই। অনেকেই মনে করেন - ইউটার্ন থাকলে অতীতে বদলে দিতে পারতেন! আমার মতামত: - ইউটার্ন থাকলেও কেউ অতীত বদলে দিতে পারতেন না। কারণ; কর্মফল বিশাল ব্যাপার, যা মানুষ ভোগ করবে। - এবং এটি আমি বিশ্বাস করি।

আমি সময় ও মানুষ দেখা মানুষ। আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি এতোটাই সময় দেখেছি যা গল্পকেও হার মানায়। প্রবাস জীবন আমার দেখা। আপনার লেখা বাবনিক প্রবাস জীবনের চিত্র আপনি যতোটুকু চেয়েছেন তার চাইতে বরং বেশী পরিস্কার চিত্র তুলে ধরতে পেরেছেন। “আপনার বাবনিক লেখা সার্থক”।

ধন্যবাদ।


ঠাকুরমাহমুদ
ঢাকা, বাংলাদেশ
তারিখ: আগস্ট ২৭, ২০২২ ইং


২৭ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। ধারনা করেছিলাম আরো বড় পরিসরে বিস্তারিত কিছু পাব।
তবে অল্প কয় লাইনে আপনি অনেক কিছু বলেছে। দুয়েকটা লাইন আমার কাছে সহস্র বাক্যের থেকে বেশী মুল্যবান।
সম্ভবত জেট-ল্যাকের জন্য একটু ক্লান্ত আছেন!
~আমি সময় ও মানুষ দেখা মানুষ। আমি গর্ব করে বলতে পারি, আমি এতোটাই সময় দেখেছি যা গল্পকেও হার মানায়। প্রবাস জীবন আমার দেখা।
আমি জানি আপনার কিছু বাধ্যবাধকতা আছে- যা আসলে মন থেকে চান তা প্রকাশ করতে পারেন না। তবে আপনার দুর্দান্ত কিছু অভিজ্ঞতার গল্প থেকে আমাদের বঞ্চিত করছেন সেটা নিশ্চিত। আপনি নিঃসন্দেহে একজন উঁচু মানের লেখক- তারপরে বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভরপুর একজন মানুষ। সব মিলিয়ে আপনার লেখাটা জরুরি। আপনার কাছ থেকে আমাদের এখনো অনেক অনেক কিছু শেখার বাকি আছে।

আপনি বলেছেন; আপনার লেখা বাবনিক প্রবাস জীবনের চিত্র আপনি যতোটুকু চেয়েছেন তার চাইতে বরং বেশী পরিস্কার চিত্র তুলে ধরতে পেরেছেন। ~ হয়তো বা। কিন্তু আমি লুকোছাপা করতে চাইনি। আমার অনেক বন্ধু আছে যাদের আমার থেকে ঢের বেশী অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু তারা কখনো লিখবে না কিংবা লিখতে চাইবে না- কেন, সেটা আপনি ভাল জানেন।
(আমার সবচেয়ে বড় সমস্যা - বাংলা ভাষায় আমার দখল কম। স্কুল-কলেজে আমি বাংলা সাব্জেক্টটাকেই ভয় পেতাম, যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতাম- হয়তো প্রোপার গাইড ছিল না বলে। আজ এসব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।)

আশির্বাদ করবেন মানুষের মনে রাখার মত যেন ভাল কিছু একটা করে যেতে পারি। ভাল থাকুন সুন্দর ও সুস্থ্য থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর!

২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৩

জোবাইর বলেছেন: তপন ভাই, আপনার নিজের চোখে দেখা সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা বাবনিক উপন্যাসটি পড়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য আমি দুঃখিত। আপনার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল ব্লগে প্রকাশিত বাবনিক সিরিজ নিয়ে রিভি্উ বা পূর্ণাঙ্গ সমালোচনা লেখার যোগ্যতা আমার নেই। শুধু মন্তব্য আকারে একজন ব্লগার ও পাঠক হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মতামতটুকু এখানে তুলে ধরলাম।

পুঁজিবাদী বিশ্ব ও ধর্মভিত্তিক দেশগুলোর সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রায় ৭০ বছর বিশ্ব রাজনীতিতে দোর্দন্ড প্রতাপে কমিউনিস্ট বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের পতন বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গূরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই ঐতিহাসিক ঘটনা ও ঘটনা পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভৌগলিক, রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে নাটকীয় পরিবর্তনগুলো হয়েছিল তা আপনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন। আর আমরা দূর থেকে পশ্চিমা মিডিয়ায় যা দেখিয়েছিল শুধু তাই জেনেছি।

১৯৯০ সালে আমি প্রথমবারের মতো ইউরোপের একটি পুঁজিবাদী দেশে সবেমাত্র পদার্পন করেছিলাম। রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে তখন হাজার হাজার মানুষ উন্নত জীবনের আশায় পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে আসতে শুরু করেছে। সেসময় এই মানুষগুলো সম্পর্কে কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তাই আপনার লেখা বাবনিক দেরিতে হলেও পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েছি।

যাই-হোক, "বাবনিক" উপন্যাসে নামের সার্থকতা বজায় রেখে তথাকথিত লম্পটদের লাম্পট্য জীবনের মৌজ-মাস্তির কাহিনী চমৎকারভাবে ফুটিয়া তুলেছেন। জিগরি দোস্তদের আড্ডার ভাষা ও ছোটো ছোটো হিউমারের সমন্বয়ে প্রেম, ভালোবাসা ও লাম্পট্য কর্মকান্ডের প্রাঞ্জল বর্ণনা উপন্যাসটিকে পাঠকের কাছে উপভোগ্য করে তুলেছে। আপনার এই রচনাশৈলী সবদিক দিয়েই স্বতন্ত্র এবং খ্যাত-অখ্যাত লেখকদের সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত। অভিনন্দন!

যেহেতু আপনার উদ্দেশ্য ছিল লাম্পট্য জীবন দিয়ে শুরু করা কিছু প্রবাসী বাঙালি যুবকের কাহিনী নিয়ে উপন্যাস রচনা করা, তাই রাশিয়া-ইউক্রেনের আর্থ-সামজিক বর্ণনা উপন্যাসে তেমন একটা আসেনি। তারপরেও প্রাসঙ্গিকভাবে কিছু কিছু বর্ণনা দিয়েছেন, যেমন:
'নব্বুই এর দশকে পেরেস্ত্রোইকার ধকল সামলাতে গিয়ে পুরো সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া দেশগুলোর জেরবার অবস্থা! সরকারি চাকুরির বাইরে কেমনে কামাই রোজগার করতে হয় ওরা জানে না। একের পর এক সরকারি কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- মুদ্রাস্ফীতি আকাশে গিয়ে ঠেকেছে। কোনমতে পেটে ভাত জোগার করতেই কারো কারো নাভিশ্বাস উঠছে।'
কিন্তু উপন্যাসে লম্পটদের লাইফস্টাইল ও যৌনজীবনের খোলামেলা আলোচনায় অনেক পাঠক বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এতই উচ্ছসিত হয়েছে যে উপন্যাসের অন্য কোনো বার্তা ভালোভাবে বুঝতে পারেনি বা বুঝার চেষ্টা করেনি।

পারিবারিকভাবে যৌন স্বাধীনতা এবং দীর্ঘদিন ধরে সীমিত ও পরিমিত ব্যবস্থায় বেড়ে উঠা রাশিয়া-ইউক্রেনের মেয়েগুলো হঠাৎ করে হাতের কাছে অভিজাত জীবনের আপ্যায়নের লোভ সামলাতে পারেনি। রুবেলের ধরাশায়ী দরপতনের সুযোগে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের ছেলেরা কয়েক হাজার ডলার পকেটে নিয়ে আরবের শেখদের মতো জীবনকে উপভোগ করতেও কার্পণ্য করেনি।

বাবনিক সিরিজের পর্বগুলোতে পাঠকের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়লে বুঝা যায় যে, বাবনিক উপন্যাসের ঘটনাগুলো পাঠকদের মনে দুইভাবে প্রতিক্রয়া করেছে। এক শ্রেণীর পাঠক বিশেষ করে যারা বয়সে প্রবীন, যাদের সমাজতান্ত্রিক রাশিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সাহিত্য নিয়ে ভালো একটি ধারণা ছিল, তারা বিক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছে। আরেক শ্রেণীর পাঠক বিশেষ করে যারা বয়সে তরুণ, যাদের সোভিয়েত ইউনিয়ন, পেরেস্ত্রোয়িকা ও গ্লাসনোস্ত সম্পর্কে ধারণা নেই, তাদের কাছে এটি সচরাচর একটি উপন্যাস এবং তারা উচ্ছৃঙ্খল ও লাগামহীন যৌনজীবনের খোলামেলা বর্ণনা পড়ে উচ্ছসিত ও আপ্লুত হয়েছে।

ব্লগে লেখা প্রকাশের মধ্যে একটি সুবিধা হচ্ছে লেখক ও পাঠকের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া। বাবনিক যেহেতু বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লেখা তাই পাঠকেরা বিভিন্ন তথ্য ও ঘটনার ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন। লেখকও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। কিছু কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে উত্তরগুলো উপন্যাসের মধ্যেই থাকা উচিত।

উপন্যাসে ববি ও এলিনার জীবন কাহিনীর শেষ অধ্যায় পর্যন্ত থাকলেও রনি ও রেনেতা সম্পর্কে আরো একটু বিস্তারিত থাকলে ভালো হতো। যেমন রনি ও রেনেতার দাম্পত্য জীবন টিকেছিল কিনা, টিকেলেও তা কতটুকু শান্তি বা অশান্তির মধ্যে ছিল -এ ব্যাপারে জানতে উৎসাহী পাঠক মন্তব্যে প্রশ্নও করেছে।

বাবনিক-৯ ও ১০ পর্ব (শেষ খন্ড) উল্লেখ করেছেন, ( সুদীর্ঘ ১৬ বছরের কাহিনী এই দুই খানা মাত্র পর্বে বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে!!)। মনে হয় উপন্যাস শেষ করার জন্য কিছুটা তাড়াহুড়ো ছিল। এখানে পাঠকের জন্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ১৬ বছরের ছোটোখাটো ঘটনা নিয়েও আরো কয়েকটি পর্ব বাড়ানো যেত। উপন্যাসের সব পর্বে যে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

ইতিহাস, ঐতিহ্য, আন্তর্জাতিক ঘটনা, আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন, ভিন্ন সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব-সংঘাত, সামাজিক টানাপোড়ন, লাগামহীন ভোগবিলাসী জীবনের মোহ, লাম্পট্য জীবন, সময় ও পরিস্থিতির কারণে সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনের আনন্দ-বেদনা, উত্থান-পতন ও প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়ে আপনার নিজস্ব রচনাশৈলিতে রচিত ব্লগ কাঁপানো উপন্যাস 'বাবনিক' সবদিক দিয়ে সফল।

ব্লগের পক্ষ থেকে আপনাকে অনুরোধ করবো সামান্য কিছু ঘসামাজা করে উপন্যাসটিকে প্রিন্ট গ্রন্থ হিসাবে প্রকাশ করার জন্য।

গ্রন্থ হিসাবে বাবনিক প্রকাশ করার সময় যেসব বিষয়ে কিছুটা সংযোজন ও পরিবর্তন করতে হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তা এখানে উল্লেখ করলাম:

♦ উপন্যাসের শুরুতে 'বাবনিক' শব্দটি নিয়ে যেভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ঠিক সেভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পূর্বাবস্থা ও পতনের তাৎক্ষণিক পরবর্তী সময়ের বিশৃঙ্খল অবস্থার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে পারেন। তাহলে ঘটনাগুলোকে পাঠক সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারবে।

♦ উপন্যসের শুরুর সময়কাল ১৯৯২ সাল এবং সমাপ্তি হয়েছে ২০১৬ সালের ঘটনা দিয়ে। এই ২৪ বছরে সময়ের বাঁকে বাঁকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের আর্থ-সামজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তনগুলোর কিছু কিছু তথ্য উপন্যাসের ঘটনার সাথে সমান্তরালভাবে সংযোজন করেছেন। এখানে আরো কিছু রাজনৈতিক ঘটনা যোগ করলে পাঠকের মনে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ২৪ বছরের টাইমলাইনটি আরো স্পষ্ট হবে।

♦ বাবনিক-৪র্থ পর্বে (দ্বিতীয় খন্ড) 'সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃএই পর্ব রোমান্সে ভরপুর! দুর্বল হৃদয়ের( চিত্তে’র নয়) ব্লগারেরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করিবেন।' সতর্কীকরন ঠিক আছে, কিন্তু এর কারণে কেউ হয়তো উপন্যাসটিকে ১৮+ ট্যাগ দিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া এ বর্ণনাগুলো অনেকের কাছে কিছুটা অস্বস্তিও ঠেকতে পারে। কাহিনীর প্রয়োজনে 'বাবনিক' নামক গ্রন্থে লাম্পট্যজীবনের যৌনাচার নিয়ে খোলামেলা আলোচনা থাকাটা যৌক্তিক। তবুও অর্থ ও ভাবকে একই রেখে শব্দ ও বাক্যের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এই ধরনের ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

♦ প্রতিটি পর্বের মন্তব্যে কিছু কিছু প্রশ্ন ও লেখকের উত্তর পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে উত্তরগুলো উপন্যাসের মধ্যেই থাকা উচিত। তাই এই উত্তরগুলো প্রসঙ্গিকভাবে উপন্যাসের যথাযত স্থানে যোগ করে দেওয়া যেতে পারে।

♦ লেখায় কোনো কোনো জায়গায় সৌম্যের ব্যাপারে বলতে গিয়ে নাম পুরুষ ও উত্তম পুরুষের সংমিশ্রণ হয়েছে। সম্পাদনার সময় এটি খেয়াল রাখতে হবে।

লেখকের শুভানুধ্যায়ী পাঠকগণ প্রত্যেকে নিজনিজ মতামত প্রকাশ করবে। তার মানে এই নয় যে, লেখককে সবার মতামত গ্রহণ করতে হবে। যে কোনো গ্রন্থের ব্যাপারে লেখকের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।

ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইলো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় জোবাইর ভাই,
আপনার মন্তব্য পড়ে আমি যুগপৎ মহা আনন্দিত ও বিস্মিত!
আপনিতো আমাকে ঋনের বেড়াজালে বেঁধে ফেলেছেন।
এমন মন্তব্যের উত্তর দিতে হলে হাতে সময় নিয়ে আসতে হবে- গতরাত থেকে সেটুকু সময় পাচ্ছি না :(
একটু সময় দেন ভাই-চেষ্টা করব কাল আপনার ও অপু ভাইয়ের মন্তব্যের যথাযথ উত্তর দেবার। ( আজ ও পারলাম না-তবে একটুখানি এগিয়ে রাখছি)
~উপন্যাসে ববি ও এলিনার জীবন কাহিনীর শেষ অধ্যায় পর্যন্ত থাকলেও রনি ও রেনেতা সম্পর্কে আরো একটু বিস্তারিত থাকলে ভালো হতো। যেমন রনি ও রেনেতার দাম্পত্য জীবন টিকেছিল কিনা, টিকেলেও তা কতটুকু শান্তি বা অশান্তির মধ্যে ছিল -এ ব্যাপারে জানতে উৎসাহী পাঠক মন্তব্যে প্রশ্নও করেছে।
উত্তরঃ ওদের বিয়ে হয়েছিল। শান্তিপূর্ন সংসার ধর্ম পালন করছে দু'জন। রেনেতা পুরো ধর্মের খোলসে বন্দী করে ফেলেছে নিজেকে। দুটো ছেলে আছে ওদের। উক্রাইনে ছিল্বিশ বছরের অধিককাল। এখন ইউরোপের একটা দেশে আছে।
~বাবনিক-৯ ও ১০ পর্ব (শেষ খন্ড) উল্লেখ করেছেন, ( সুদীর্ঘ ১৬ বছরের কাহিনী এই দুই খানা মাত্র পর্বে বাঁধার চেষ্টা করা হয়েছে!!)। মনে হয় উপন্যাস শেষ করার জন্য কিছুটা তাড়াহুড়ো ছিল। এখানে পাঠকের জন্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ১৬ বছরের ছোটোখাটো ঘটনা নিয়েও আরো কয়েকটি পর্ব বাড়ানো যেত। উপন্যাসের সব পর্বে যে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
উত্তরঃ আমি ওই মেয়েটাকে নিয়ে বেশী আলোচনায় যেতে চাইনি। যেহেতু সে এখন বাংলাদেশে আছে এবন ওর বাবা (ববি) বেশ পরিচিত মুখ সেহেতু একটু রাখ ঢাক করে অল্প কথায় পর্বগুলো সেরে ফেলতে চেয়েছি।
~ব্লগে লেখা প্রকাশের মধ্যে একটি সুবিধা হচ্ছে লেখক ও পাঠকের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া। বাবনিক যেহেতু বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে লেখা তাই পাঠকেরা বিভিন্ন তথ্য ও ঘটনার ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন। লেখকও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। কিছু কিছু প্রশ্ন ও উত্তর পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে উত্তরগুলো উপন্যাসের মধ্যেই থাকা উচিত।
উত্তরঃ কথাটা মাথায় থাকলো। পুরো উপন্যাস রি-রাইট করার সময়ে সেগুলোউপন্যাসের মধ্যে আনার চেষ্টা করব।

আজ এ পর্যন্ত থাক। ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন। শুভরাত্রি

৩০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




একটা হাসিখুশি প্রানবন্ত মানুষের এরকম করুণ পরিণতি কষ্টদায়ক ।

সত্যি একজন মানুষের সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য স্বপ্ন দরকার ।
স্বপ্নই পারে নতুন করে ভাবাতে, সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে ।

আসলেই এলিনার কোন দোষ ছিলোনা ।
বিনা অপরাধে মেয়েটি শাস্তি পেলো ।
এরকম অনেক এলিনা ছড়িয়ে আছে পৃথিবীতে ।
ভুল মানুষকে ভালোবেসে কষ্ট পায় একজীবন ।
অথবা মানুষরূপী পশুদের শিকার হয়ে ট্রমার মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে দেয় বাকিটা সময় ।
সকল এলিনার জন্য ভালোবাসা ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: শুনে বেশ শান্তি পেলাম!
আর আপনার আগমনে প্রশান্তি।
একটু কমবেশী হলেও এত বড় একটা সিরিজে আপনাকে সাথে পেয়ে আমিদারুনভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছি প্রতিনিয়ত!
আপনি ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন-সুস্থ্য থাকুন- এভাবে ব্লগের সাথে জড়িয়ে রাখুন নিরন্তর!
কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ভালবাসা রইল।

৩১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

অশুভ বলেছেন: অনেকদিন সামুতে লগইন করা হয় না। আজ হঠাৎ লগইন করে আপনার ব্লগে ঢুঁ মেরে দেখি অসংখ্য লেখা মিস করে ফেলেছি। বাবনিক শেষ খন্ডের প্রতিটা পর্ব শেষ করলাম। আপনার রুশীয় জীবনের প্রতিটা লেখাই আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লাগে। রাশিয়ার কাহিনী নিয়ে আর কিছু লিখবেন না জেনে খুব আফসোস হচ্ছে। আবার আপনার এতগুলো রুশীয় লেখায় আমার কোনো মন্তব্য নেই, সেজন্য নিজেকে অপরাধীও মনে হচ্ছে।

এলিনার এমন পরিণতি কিছুটা অনুমেয় ছিল। কিন্তু সে এরকম পরিণতি ডিজার্ব করে না। সেজন্য সৌম্যের উপর কিছুটা ক্ষোভ হচ্ছে। হয়তো সে এলিনাকে বেটার কিছু দিতে পারতো। এলিনার ছবিটা দেখে আরও বেশি মায়া হচ্ছে। কী আর করা, এটাই তো জীবন। কেউ সুখে থাকবে আর কারো নিসঙ্গতায় জীবন কাটবে।

আপনার লেখা সবসময়ই আমার খুব প্রিয়। রুশীয় না হোক হয়তো নতুন অন্য কোন সিরিজের দেখা পাবো সামনে। সেই প্রত্যাশায়। ভালো থাকুন প্রিয় লেখক।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আহা কতদিন বাদে ভায়া আপনার দেখা পেলাম!
ব্লগ থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছেন দেখছি। ফিরে আসুন আবার- অবশ্য বেশী ব্যস্ততা থাকলে কিংবা ব্লগ বিমুখ হলে ভিন্ন কথা।

রাশীয়া নিয়ে কিছু লিখব না সেকথা বলিনি, বলেছি আর কোন দীর্ঘ ধারাবাহিক বা উপন্যাস হয়তো লিখব না।
আমাকে চিনেছেন মুলত রাশীয়া বিষয়ক যাপিত জীবন দিয়ে। আপনার আবেগের বিষয়টা আমি বুঝতে পারছি।

আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন। অবশ্যই নতুন কোন সিরিজ পাবেন তবে নতুন কোন বিষয় আর নতুন আঙ্গিকে।

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২০

অশুভ বলেছেন: ঠিক ব্লগ বিমুখ না, মূলত ব্যস্ততার জন্যই নিয়মিত ব্লগে আসা হয় না। সময় পেলেই ব্লগে চোখ বুলানোর চেস্টা করি, ‍কিন্তু লগইন করা হয় না সচরাচর।
যাক বাঁচালেন। উপন্যাস না হোক রুশীয় জীবনের ছোট গল্প হলেও চলবে আমার। আপনার একেকটা রুশীয় সিরিজগুলো যে কতবার করে পড়া হয়েছে তার হিসেব নেই। শুধু রুশ লেখা না আপনার সব ধরণের লেখাই ভালো লাগে। তবে রুশীয় সিরিজগুলোর প্রতি আলাদা একটা টান আছে। :)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: দেরীতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
করোনার পরে অনেকেরই ব্যস্ততা বেড়ে গেছে ভীষন- অনেকে আবার বেকার হয়ে গেছেন।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে জীবন ও চিন্তা ভাবনা দুটোই জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যাচ্ছে।
যার ছাপ ইদানিং আমার লেখাতেও পড়ছে।
আমি দারুন আনন্দিত ও আপ্লুত হলাম যে যে, আপনি আমার সর রুশীয় সিরিজ ও লেখাগুলো একাধিকবার পড়েছেন জেনে ।
আপনাকে নিয়মত ব্লগে পাবার আশা করছি। ভাল থাকুন- লিখুন নিয়মিত।

৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩২

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: শেষ খণ্ডের আগ পর্যন্ত নিয়মিত ছিলাম বাবনিকের সাথে। শেষ খণ্ড পুরোটা একসাথে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত বিষন্নতা গ্রাস করলো সমগ্র মনকে। খুব করে চেয়েছিলাম একটা শুভসমাপ্তী ঘটুক। না পেতে পেতে নিঃস্ব এলিনা শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশ্রয় হিসেবে খড়কুটো হলেও কিছু একটা পাক। কিন্তু ভুল সিদ্ধান্ত, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাপ্রবাহ এবং সংশ্লিষ্ট মানুষের কপটতা তাকে কিছুই পেতে দেয় নি।
মানুষের মনের বেদনা, রাশিয়ার সমাজ, অর্থনীতি, পরিবর্তনশীল সংস্কৃতি এগুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন সমগ্র লেখায়।লেখাটি পাঠকের মনকে আর্দ্র করে দিয়েছে। রুশ সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ছাপিয়ে এলিনার জন্য সিক্ত হয়েছে পাঠকের হৃদয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: যাক শেষ পর্বে অবশেষে আপনাকে পেলাম!
ইদানিং ব্যস্ততার কারণেই সম্ভবত ব্লগে ভীষণ অনিয়মিত হয়ে গেছেন।

বাবনিকের শুরু থেকেই যাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় পুরো একটা উপন্যাস লেখার ভরসা ও সাহস পেয়েছিলাম তার মধ্যে আপনি ছিলেন অন্যতম।
আমি চেষ্টা করেছি আমার সাধ্যে যতটুকু কুলায় ততটুকু দিয়ে বাবনিকের চরিত্রগুলো অঙ্কন ও রাশিয়ার তৎকালীন আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতির দিকটা তুলে ধরতে(যতটুকু এর সাথে মানানসই)। বাকি ভাল মন্দ বিচার করার দায়িত্ব আপনাদের।
আপনি আপনাদের সহযোগীটা ও ভাল্বাসা আমাকে দারুণ মুগ্ধ করেছে। আপনি এতদিন পরে এসে চমৎকার এই মন্তব্যে আমাকে আরো ভাল ভিন্নধর্মী কিছু লেখার জন্য ফের অনুপ্রাণিত করলেন।
ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.