নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
কৌতুকটা আধুনিক আলাদীনের চেরাগের, তবে বিষয়বস্তু সেই গুহামানবের কালের। কাঠখোট্টা আলোচনা বাদ দিয়ে শুরুটা করি এটা দিয়ে বরং;
~একদিন রান্নাঘরের চিপায় আলাদীনের চেরাগ পাইয়া গেলাম। ঘষা দিতেই দৈত্য আইয়া হাজির।
দৈত্য: ওস্তাদ, দিনকাল খারাপ। একটা মাত্র চাওয়া পূরণ করতে পারুম। বুইঝা চাইয়েন কইলাম ।
আমি কইলাম: ঢাকা থেকে দুবাই গাড়ি চালাইয়া যামু। ফ্লাইওভার বানাইয়া দেও।
দৈত্য নাকে খানিকক্ষণ আঙ্গুল ঘইষা কইলো এইডা বেশী হইয়া যায়। ছোট কিছু কন?
আমি কইলাম: তাইলে বৌয়ের মনের ভাবডা বুঝার ক্ষমতা দেও, আর কিছু লাগবো না।
দৈত্য কিছুক্ষণ মাথা চুলকায়া কইলোঃ বস- ফ্লাইওভারটা কয় লেনের লাগবো???
ওদিকে বাঙ্গালী নায়িকারা শরীরে লেপটে যাওয়া শাড়িতে বৃষ্টিতে কাক-ভেজা হয়ে গাইছে;
মনের ওই ছোট্ট ঘরে আগুন লেগেছে হায়রে
পানিতে নেভে না যে করি কি উপায়? বেঁচে থাকা হল দায় সজনী গো...
~ দেহের আগুন নেভানোর বন্দোবস্ত না হয় করা যায় কিন্তু এই মনের আগুন ক্যামনে নিভাইতে হয় এই ভেবে পৃথিবীর পুরো পুরুষজাতি ভেবে হয়রাণ!!
আবার গায়;
আমার মনের মধ্যখানে মন যেখানে হৃদয় সেখানে~ লে হালুয়া মন খুঁজতে গেলে আরেক মনের মধ্যিখান দিয়ে এরপরে হৃদয়ের সাইড দিয়ে চিপাগলি ধরে- বহুত আন্ধার গলি আর বন্ধুর পথ বেয়ে যাইতে হবে!! ক্যামনে কি করি??
বিশ্বের তাবড় তাবড় পুরুষ সাহিত্যিক কবি শিল্পী দার্শনিক বিজ্ঞানীরা অদ্যাবধি যেই মনের ভাব বুঝতে না পেরে 'কাইত' হয়ে পড়ে গেছে- মহাবিশ্বের শেষ সীমা আবিষ্কারের মত সেই মনের ভাব বুঝে ফেলেছেন আমাদের দেশী এক ডাকতার সাহেব; ডাঃ এম এম জালাল উদ্দিন সাহেব। তিনি কিন্তু মানসিক রোগ, মাথা ব্যথা ও মৃগীরোগ বিশেষজ্ঞ(এইরকম টাইটেল আমি প্রথম দেখলাম, আপনারা কি দেখেছেন?) এই আবিষ্কার কিন্তু অতি গোপনীয়- সাবধানে হ্যান্ডেল করবেন। এই আবিষ্কারের কথা জানলে সারা বিশ্বের তাবৎ নারীদের মন ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে!! ( সুত্রঃ মেডিক্যাল বিডি)
আমরা জানি নারী মন মানেই এক বিশাল জগত। নারী মন বোঝা কোন সহজ কাজ নয়, নারীর মন মানেই ভিন্ন জগত এরকম আরো অনেক কিছু শুনে থাকি। কিন্তু আসলেই কি তাই? তো চলুন একজন নারীর মন বুঝতে যা যা করবেন তা আজকে জানবো। গবেষকরা কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষার মধ্য দিয়ে কিছু তথ্য বের করেছেন, যা পুরুষকে সহায়তা করতে পারে নারীকে খুশি করতে৷
সুন্দর মুখ কে না চায় তাই না…
আপনার বান্ধবী বা স্ত্রীর কি প্রায়শই মুখে ব্রণ বা একটা না একটা কিছু ওঠে তার সৌন্দর্য নষ্ট করে? যদি তাই হয় তাহলে তাকে কলিজা, মাছ এবং বিভিন্ন পনির খাওয়া থেকে দূরে থাকতে বলুন, আপনার মুখে একথা শুনে পছন্দ না করলেও কিন্তু মনে মনে সে খুশি হবে৷ এই খাবারগুলোতে যথেষ্ট ভিটামিন বি-১২ থাকলেও ত্বকের সংক্রমণ সারতে দেরি হয়৷ এই তথ্য পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কাছ থেকে৷
সঙ্গিনীর ওজন কমাতে
ব্রিটেনের লিভারপুলে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ওজন কমাতে যাঁরা ১২ সপ্তাহ নিয়মিত একবেলার প্রধান খাবার বাদ রেখে শুধু শুকনো আলুবোখারা খেয়েছেন তাদের ওজন কমেছে, কারণ এই ফল তাড়াতাড়ি পেট ভরায়৷ কাজেই যে পুরুষ তার সঙ্গিনীকে সরাসরি ওজন কমানোর কথা বলতে পারছেন না, তারা মাঝে মাঝেই শুকনো আলুবোখারা কিনে আনুন আর একটু হাসির ছলে তাকে কারণটি বলুন, দেখবেন কিছুদিন পরেই কাঙ্ক্ষিত ওজনে এসে গেছে আপনার প্রিয়া৷
পছন্দের রং জানবেন কিভাবে?
প্রিয়ার জন্য উপহার কিনবেন? ভালো কথা, কিন্তু তার প্রিয় রং কি জানেন? উপহার বা পোশাক কেনার আগেই কোনোভাবে তার পছন্দের রং অবশ্যই জেনে নিন৷ তা না হলে উপহার পেয়ে সে খুশির চেয়ে অখুশিই বেশি হবে৷ কারণ মেয়েদের কাছে কিন্তু রং-এর গুরুত্ব অনেক বেশি৷
পেট ভরে খাওয়ান! রোম্যান্টিক সঙ্গী যদি চান
আপনি যদি কোনো নারীকে রোম্যান্টিক মুডে পেতে চান তাকে রেস্টুরেন্টে আমন্ত্রণ জানান কিংবা তার জন্য নিজে মজার কিছু রান্না করুন৷ পেট ভরা থাকলে নাকি নারীদের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে এবং তারা ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়৷ ‘অ্যাপেটাইট’ নামের এক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত অ্যামেরিকায় করা এক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷
প্রথম নারী
যে কোনো পুরুষের জীবনে প্রথম নারী নিজের মা৷ আর মা’কে খুশি করতে ছেলের আসলে তেমন কিছুই করতে হয় না৷ তারপরও যদি ছেলে মা’কে ‘আমার মায়ের রান্নাই সবচেয়ে ভালো, তাঁর সর্ষে ইলিশের তুলনা হয় না’ বা এরকম কিছু বলে, তাহলে যতো আধুনিক মা’ই হোন না কেন ছেলের মুখে রান্নার প্রশংসায় পৃথিবীর সব নারীই খুশি হন৷ নারীদের নিয়ে করা এক সমীক্ষায় জানা গেছে এ তথ্য৷
গান গাওয়া
যে পুরুষ গান গাইতে জানেন তার কোনো অসুবিধা নেই, স্ত্রীর রাতে ঘুম আসতে অসুবিধা হলে গান গেয়ে সময়মত স্ত্রীকে ঘুম পাড়িয়ে খুশি করতে পারেন৷ যাদের ঘুমের সমস্যা ছিলো সেরকম ৭০ জন সুস্থ তরুণীকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডের গবেষকদের করা সমীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে এ তথ্য৷ যারা ঘুমের আগে বই পড়েছেন তাদের চেয়ে যারা গান শুনেছেন তারা আগে ঘুমিয়ে পড়েছেন৷
এইডা ক্যামনে নারীদের মন বুঝা হইল আল্লা মালুম! উনারে জিগাইতে হইবে?
ওদিকে বিখ্যাত লেখক এস এম জাকির হুসাইন ‘ নারীর মন’ নিয়ে গবেষণা করে প্রথম খণ্ড এর মধ্যে পাবলিশ করে ফেলেছেন, বিক্রিও হচ্ছে মার মার কাট কাট। এটা শেষ পর্যন্ত কয় খণ্ড যায় এবং তার জীবদ্দশায় পুরোটা লিখে যেতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে আমি ভীষন সন্দিহান!
তবে অতি জ্ঞানী শিক্ষিত আমাদের জাকির সাহেব তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষা-বিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও।~বাপুরে বাপু নারীদের মন বুঝতে হইলে এত শিক্ষা দীক্ষা থাকতে হয়!! তার জন্যইতো মূর্খ লোকেরা ‘মন’ বুঝতে না পেরে বৌ’রে পিটায়!
আমার সৌভাগ্য হয়নি এখনো সেই বইটা পড়ার তবে সামারি’তে যা বলা হয়ে তাই খানিকটা শেয়ার করি;
নারীর মন-প্রথম খণ্ড" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
নারী মনস্তত্ত্বের রহস্যময় দিকগুলি নিয়ে একটি ব্যতিক্রমধর্মী তত্ত্বীয় গ্রন্থ এটি। নারী মনের আমরা যা রহস্য মনে করি সেগুলো কি আসলেই রহস্যময় নাকি তার কারণসমূহ আমাদের সমাজব্যবস্থার মধ্যে প্রথিত আছে সেটা খুঁজতে হবে। আর তারপর নির্ণয় করতে হবে সেইসব রহস্যময় দিকের যৌক্তিক কারণ। নারীকে অবশ্যই মুক্তি পেতে হবে রহস্যময়তার অন্ধকার থেকে।–
দুর্দান্ত!! এতদিন নারীরা এই পুরুষবাদী সমাজ ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছে, এবার চাইবে মুক্তি তবে ‘মনের রহস্যময়তার অন্ধকার থেকে’।
বইয়ের এক পাঠক লিখেছে;
‘নারীর মন প্রথম খন্দ পড়েছি ২০১৪ সালে খুব ভালো লেগেছে। দুঃখের বিষয় হলো ২য় খণ্ড রংপরের কোন লাইব্রেরিতে পাই নাই। ২য় খণ্ড কি লিখেছেন? কোথায় পাওয়া যাবে???’
~অথচ দ্বিতীয় খণ্ড এখনো বের হয় নাই। ওই বেচারা বিরাট বেকায়দায় আছে। নারী মন বোঝার জন্য ‘প্রথম খণ্ডে’ কাম হয় নাই; অংপুরের নারীদের মন মনে হয় আরো জটিল! হায় বেচারা পুরুষ জাতি!
শুধু কি তিনি, নজীর আহমেদ আকাশ নামে আরেক সাহিত্যিক একই শিরোনামে আরেকখানা নিবন্ধ রচনা করেছেন। তবে তিনি অতি জটিল মন নিয়ে বিস্তর গবেষণা করার সময় পাননি, হয়তো ‘আটপৌরে’ নারী মন নিয়ে গবেষণা করেছেন শুধু;
‘নারীদের মন বোঝা পুরুষদের জন্য বেশ কঠিন একটি কাজ। আপনার নারী সঙ্গীটি কি কারণে হঠাৎ করে ক্ষেপে যাচ্ছে, অথবা কেন আপনার সাথে রাগ করছে তা যদি বুঝতেই পারতেন তাহলে তো সংসারে কিংবা সম্পর্কে এত সমস্যা থাকতো না। নারীর মন বোঝা কেন এত কঠিন? কিভাবে অল্পতেই বুঝবেন নারীর মন? নারীর মন. কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলো জানতে পারলে নারীদের মন বোঝা বেশ সহজ।‘
~বইটি ২০ ভাগ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে- চাইলে এখুনি খরিদ করতে পারেন।
বই পড়তে চাননা’ কোয়ী বাত নেহি’ বাংলা সিনেমা আছে ‘শাবনুর,রিয়াজ আর শাকিল(শাকিব নয়) খানের’ সেই ‘নারীর মন’ নামে। ছুটির দিনে বাড়িতে বৌ না থাকলে টুক করে দেখে ফেলুন; এরপরে নারীদের মন বোঝা পানির মত সহজ হয়ে যাবে।
‘নারীর মন’ শিরোনামে ফেসবুকেও একটা গ্রুপ আছে। সেটা অবশ্য নারীরাই পরিচালনা করে; সাবধান সেইখানে ঢুকলে আরো জটিল ধাঁধায় পড়ে যাবেন।
আপনি কি মধ্যবিত্ত নাকি উচ্চ বিত্ত নাকি নিম্নবিত্ত? মধ্যিখানে থাকলে ঠিক আছে বাকি দুই বিত্তের জন্য করুণা। দেখুন মধ্যবিত্ত নারীর মন নিয়ে কি চমৎকার কবিতা রচনা হয়েছে( আসলে কি কবিতা? আমি ভীষণ দ্বিধান্বিত);
মধ্যবিত্ত নারীর মন
মধ্যবিত্ত বেশির ভাগ নারীই ভেতরে ভেতরে
লালন করে দুঃখ ও নিঃসঙ্গতা, তার জীবন
থাকে অবশাদে ভরা। আসলে নারীর
প্রধান দুঃখ তার মনের, শরীরের নয়।
সে মনকে যেভাবে মেলে ধরতে চায় ঠিক
সেভাবে পারে না। জন্মের পর থেকেই একজন
মধ্যবিত্ত নারীর বেড়ে ওঠা বড় হওয়া এর মধ্যে
বেশ কয়েকটি পারিবারিক ধাপ তাকে অতিক্রম করতে হয়।
নারী একেকটি ধাপ অতিক্রম করে আর
তার মন আরো একবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়।~(এটা মধ্যবিত্তের মানসিকতার মতই ব্যাপক সেন্টিমেন্টাল) সেই মনটা সঙ্কুচিত হতে হতে একসময় ভীষণ রহস্যময় হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়- ঠিক ব্ল্যাক হোলের মত( আশে পাশের সবকিছু গিলে খায়। বোঝা যায় আছে কিন্তু দেখা যায় না।)
এদিকে অতি প্রজ্ঞাবান সাহিত্যিক ‘আবু সাইদ ওবায়দুল্লাহ’ ‘মুসলমান বাঙ্গালী নারীর মন’ নিয়ে ভীষণ জ্ঞানীগুণী(বুদ্ধিজীবী লেভেলের) ব্যক্তিদের জন্য আলোচনা করেছেন সারা বিশ্বের তাবৎ গুণী শিল্পী সাহিত্যিকদের বরাত দিয়ে বেশ খটমট শব্দ ব্যাবহার করে( এর ফলে নারীর মনকে বোঝা আরো বেশী কঠিনতর হয়ে গেছে)
‘বাঙালি মুসলমান নারীর মনকে ফ্রয়েডীয় এবং বিশেষ করে লাঁকান সাইকোএনালিসিসের ছায়ায় দেখলে আমরা দেখব তারা ঔপনিবেশিকতার কারণে পিতৃতান্ত্রিক পরিবেশে দীর্ঘদিন জীবন যাপন করার কারণে, এবং কালচারাল ও পলিটিক্যাল থিউরির মিথস্ক্রিয়ার ফলাফলে তাদের আনকনশাসে, ঐতিহাসিকভাবে ক্ষমতাহীনের ক্ষমতা লাভের হাহাকার জমা হইতে থাকে। তাদের এই ঘেরাটোপ হতে বের হয়ে যাওয়ার এই অভ্যন্তরীণ প্রসেসটাকে লাঁকার ভাষায় অজ্ঞান বা অভাব বলা যায়। এই অভাব পূরণের জন্য তারা লিবারেলিজমের পরাকাষ্ঠা ফেমিনিজমের ছায়াতলে আশ্রয় নেন ও তার ভাষায় কথা বলেন। বাঙালি মুসলমান নারীদের ক্রমশ মূল ইসলামের কাঠামো থেকে বার হয়ে নামমাত্র কালাচারাল ইসলামকে ধরে হাজির থাকা এবং তাদের সেক্যুলার সাইকো-বিকাশ ও নারীশক্তি হিসাবে প্রভাব-বিস্তার, তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি বা বুদ্ধির মুক্তির কারণ হইছে বইলা যারা মনে করেন—তারা ভুল করেন। এইটা হইছে তাদের ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই।‘
~ ইহা পড়িয়া আমারতো পাগল পাগল দশা! আপনাদের কি অবস্থা? এখন ভানু’র মত কইতে হয়’ ‘যাঃ শালা যুদ্ধেই যামু না’! মাফ কইর্যা দ্যান ভাই আমার আর নারীদের মন বোঝার দরকার নাই। এর থেকে সন্ন্যাসী হওয়া অতি সহজ সাধনা।
আমাদের পর-দাদা তার দাদা সহ ‘রবি ঠাকুর’ এর মত মহাজ্ঞানী কবি সাহিত্যিকেরা সহজ জিনিসটারে ঘুরায় প্যাঁচায় জটিল বানাইছে!
পৃথিবীর তাবৎ বিজ্ঞ/বুদ্ধিজীবী/ ব্যবসায়ী পুরুষেরা তাদের সাহিত্যিক/ শৈল্পিক/ ব্যবসায়িক -বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াইতে মেয়েদের মনকে অধরা অস্পৃশ্য আর চরম রহস্যময় হিসেবে উপস্থাপন করেছে। এখানে মেয়েদের তেমন কোন হাত নেই।
আড্ডায় এক বন্ধু আরেক বন্ধুরে কইল, দোস্ত তুমি বড় জটিল মাল।‘ এর পর থেকে সে জটিল হইতে থাকল- এক সময় জট পাকাইয়া গিট্টু লাইগা গেল!
কিংবা মা সবার কাছে প্রশংসা কইরা কয়, আমার ছেলে বেশ- জ্ঞানী খুব কম কথা বলে।‘ এর পর থেকে ছেলে কথা আরো কমায়ে দিল-ভাবা শুরু করল বেশী। একদিন সে বোবা-ভাবুক হয়ে গেল!
নারী মন ও এমন; পুরুষ বলল নারীকে, ‘তুমি বেশ জটিল- তোমাকে বোঝা ভার’ – নারীরা জ্ঞানে অজ্ঞানে আরেকটু মন নিয়ে ভীষণ ছলা-কলা করতে শুরু করল। পুরুষ বলে, তোমার,’মনের নাগাল মেলা ভার।‘ নারীরা তাদের মনকে তখুনী অন্য সৌরজগতে পাঠিয়ে দিল। এইভাবে সেই মনের ‘বোঝা ভার’ ‘মেলা ভার’ এই টাইপের বিভিন্ন ‘ভার’ বইতে বইতে পুরুষজাতি ‘কাইত’ হয়ে গেছে।
আমি বলি কি হে পৃথিবীর পুরুষগণ, নিজের মনের দরজা দিবা-নিশি হাট করে খোলা রাখলে, চোরের আর সিঁদ কেটে ঘরে ঢোকার কি প্রয়োজন? নারীদের পরী,দেবী, অপ্সরা, চাঁদ, তাঁরা, নদী, পশু,পাখি, লতা, পাতা, ফুল, ঝর্ণা, সমুদ্র সহ আল্লাহর এই মহাবিশ্বে এমন কোন ভাল জিনিস নাই যার সাথে তুলনা করেন নাই। তারাতো নিজেরা আসলে কি এই ভেবেই দিশেহারা! নিজেদের মনের দুয়ার খুলবে কখন?
পুরুষের যন্ত্রণার কি শেষ আছে... নিজের যন্ত্রণা নিজে সেধে নিলে ঠেকাবে কে?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আসল কথা হচ্ছে ভ্রাতা, যে কোন মানুষের মন বুঝতে পারা অতি কঠিনতম ব্যাপার। যেখানে নিজের মনকেই বুঝতে একজনমে
হিমশিম খায় মানুষ সেখানে অন্যের মন বুঝতে পারা বা চেষ্টা করাটা নেহায়েত বোকামি।
হ্যা সেটা ঠিক মাঝে মধ্যে ধন্দে পড়তে হয়- তবে সেটা অন্য ইস্যু! এটাতো বাইরের ব্যাপার
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
শুরুটা চমৎকার, শেষটাও ভালো, গড়গড় করে পড়ে গেলম।
বেশীরভাগ যায়গাতেই ফেল মারবো আমি।
আচ্ছা আলুবোখারা ছাড়া অন্য কোনো ফল খাওয়ালে ফল পাওয়া যাবে না? আলুবোখারা দাম মেলা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: মার্কটা দেবে কে? বিপরীত লিঙ্গ হলে সবসসময় ফেল মারবেন- এই জীবনে পাশ মার্ক আর পাবেন না।
মন বুঝতে আবার পয়সা খরচ করবেন?? যেই ব্যাটা বলছে ঐ ব্যাটা খাইতে থাকুক
আমরা আসেন আগে নিজেদের মন বুঝি।
আসেন নিজের মন বোঝার একটা পরিক্ষা নিই;
আপনি হিংসা, হানাহানি, মারামারি, খুন-খারাপি খুব ঘৃণা করেন। একদিন রাস্তা দিয়ে ফুরফুরা মনে হেটে যাচ্ছেন, আচমকা এক ব্যাটারি চালিত হুড়মুড় করে প্রায় আপনার গায়ের উপর উঠে পড়তে যাচ্ছিল কোন্মতে আপনি ত্বরিত সরে গিয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেলেন রিক্সা চালককে কিছু বলতে যাবেন ঠিক তখন লক্ষ্য করলেন সে আরো গতি বাড়িয়ে যেতে যেতে আপনার দিকে তাকিয়ে বিটকেল একটা হাসি দিল। তখন নিশ্চিতভাবে খুন চেপে যাবে আপনার মাথায়- ওকে হাতের কাছে পেলে কি করতেন বলা মুশকিল!- এর মানে আমরা নিজেদের যা ভাবি আসলে তা নই।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
অপ্সরা বলেছেন: নারীর মন নিয়ে এত ভাবলো কত শত কবি সাহিত্যিক গিয়ানি গুনীজন!!!
অথচ পুরুষের মন নিয়ে ভাবলো শুধু একজন!!
কাঙ্গলিনী সুফিয়া- পরানের বান্ধব রে ....... তবুও তোর মন পাইলাম নারে !!!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা সঠিক বলেছেন;
আহারে বহিন উল্টা কামাই-রোজকার করে খাওয়াইয়াও মন পাইল না!!
এই জন্যই কামাই রোজগার করা ঠিক না।
বেকার হইয়া বিন্দাস ঘুরে বেড়াইলে মন পাওয়া যায়- বুঝাও যায় কিঞ্চিৎ
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬
কামাল৮০ বলেছেন: নারীদের যদি একটা চেরাগের দৈত্য থাকে আর সে যদি পুরুষের মন জানতে পায়,তখন বিষয়টা কেম হবে।মন যেনে কাম কি,কাজে পরিচয়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো সেইটাই বলতে চাইছি কামাল ভাই।
উটার পেছনে এত চেষ্টা তদ্বির অযথা জীবন যৌবন ক্ষয় করার দরকার কি?
তবে যুবকেরা সে কথা শুনবে বলে মনে হয় না
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নারীর মন কি আসলেই জটিল? আমি তো নারীদের মন দেখতে পাই এই মন দেখতে পাই বলেই এক নারী বলেছিল - আমি হাঁটি ডালে ডালে, আর তুমি হাঁটো পাতায় পাতায়। থাকলাম না তোমার সনে। আমি তাকে থামিয়ে বললাম, থাকবা না ভালো কথা, কিন্তু আমাকে ছোটো কইরা অপমান করবা তা আমি মানবো কেন? কে কইছে আমি পাতায় পাতায় হাঁটি, আমি হাঁটি পাতার শিরায় শিরায় চান্দুনি আমার, যাও এলা আমার ক্ষমতারে যে ছোটো কইরা দেখে, আমার ভুবনে তার কোনো জায়গা নাইইইই
বিধারার জন্যও আমার করুণা হয় - কেন তিনি নিজেও নারীর মন বুঝতে পারেন না?
গান শুনে এক মেয়ে প্রেমে পড়েছিল। সেই প্রথম, সেই শেষ। আমার স্ত্রীও আমার গানে খুব মুগ্ধ ছিল। কিন্তু ইদানীং আমি গানের আসর, আই মিন, গানের কম্ম শুরু করা মাত্র তিনি ১০০ হাত নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে অবস্থান নেন। এই সমস্যা নিরসনে আমিও এক নবতর ব্যবস্থা করে ফেলেছি আমার রেকর্ডিং স্টুডিয়োর। সেটা বলা যাবে না সো, গান শুনে স্ত্রীরা ঘুমিয়ে যাবে, এ সমীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ রেজাল্টে কারচুপি আছে, বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
শেষ কথা বা সিরিয়াস কথা - অক্ষর বা অক্ষর পড়েছি শ্রমসাধ্য পোস্ট।
তবে, আপনি নিজে কতখানি নারীর মন বুঝে থাকেন, তার উপর একটু আলোকপাত করুন
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি হাঁটি পাতার শিরায় শিরায় চান্দুনি আমার, যাও এলা- চমৎকার ( কিশোরগঞ্জ/ নিকলী/ভৈরবের টান)
একথা শুনে বেশ কিছুক্ষন হাসলাম!! আপনি পারেন বটে।
বিধাতার কাম আর কি 'হও বলেই হয়'। বাকি সময় নারীদের মন বুঝতে সময় ব্যয় করেন ওইটা জটিল না করলে নিজেই ধরা!
ভাবির সাথে আপনার জম্পেশ প্রেম এখনো বিদ্যমান- শুনে ভাল লাগে।
আমার কথা আর কি বলব 'থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়'
আপনার মন্তব্য বরাবরই আমাকে দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করে ভাই মাইরি বলছি।
(তবে এটা দেশী পর্ব আরেকখানা বিদেশী পর্ব আসতে পারে।)
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
আরোগ্য বলেছেন: বাপরে! এ তো কোন মহাসাগর উদঘাটন। এ নিয়ে আবার বইও রচনা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মহিলার মাঝে কিছু মিল আছে যেমন, প্রশংসাপ্রিয়, সাজগোজ আর কেনাকাটায় সময় নষ্ট। মন ভালো মন্দ যে গতিতে থাকুক, উল্লেখিত দুইটার একটা পেলে মহাখুশি ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: এইতো আপনি বুঝে গেছেন- কেল্লা ফতে!
এখন আরেকখানা বই বের করতে হবে ; তিন লাইনে নারীর মন বোঝার সহজ উপায়!
আপনিতো ভাই সেই জিনিস- আসেন কোলাকুলি করি
ভাল থাকুন নিরন্তর!
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বলা হয়ে থাকে যে ব্রিটেনের নারীদের মন ব্রিটেনের আবহাওয়ার মতই আন প্রেডিকটেবল। বাঙ্গালী নারীর মন তারচেয়ে সহজ কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু মজার ব্যাপার হল নারীরা খুব সহজেই পুরুষের মন পড়ে ফেলে। এই গানটা শুনলেই বুঝতে পারবেন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ আপনিতো ভালই গান টান শোনেন। বেশ আছেন দু'জনে তালে মিলে
নারীরা পুরুষের মন পড়ে ফেলে না -পুরুষরাই পুরা বই খুলে দেয়- পড়তে না পারলে নিজেই রিডিং পড়ে শোনায়।
ধন্যবাদ ফের। মন্তব্য ও গানের জন্য( পরের মন্তব্যের উত্তর আগে দিয়েছি)
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বধুয়ার মন বোঝার চেষ্টা না করে জয় করার চেষ্টা করতে হবে। মনিষীরা এই জন্য বলেছেন পুরুষদের জন্য সহজ একটা বুদ্ধি হল বধুয়াকে বেশী বেশী ভালোবাসতে হবে আর কম কম বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বেশী বুঝতে গেলে এক সময় নিজেকে একটা আস্ত বেকুব মনে হবে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: পুরো বিষয়টা জটিল করার জন্য পুরুষ কবি সাহিত্যক শিল্পীদের ব্যাবসায়িক মনোবৃত্তি জড়িত!
আদপে সব মানুষের মনই বেশ সরল আবার ভীষন জটীল, এখানে নারী পুরুষের ভিন্নতা নেই। মেয়েরা ভিতরের কথা বলে কম- সেজন্যই তাদের বোঝা বেশ কঠিন বলে মনে হয়। এটাও পুরুষদের চাহিদার কারনে হয়েছে। ছেলেরা চায় মেয়েরা ছলা-কলা করুক, তাদের মন অস্পৃশ্য অধরা থাকুক।
ধন্যবাদ ভাই- ব্যাস্ততার জন্য দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নারীরা পুরুষের মন বুঝতে পারা নিয়ে কোনো বই লিখেনি?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: তা এক আধটু লেখে-লেখি হয়েছে বটে;
https://www.facebook.com/Pushpo2016/posts/1637260389617510/
এরকম দু'চারটে মেয়েদের প্যানপ্যানানি আছে- তবে সেটা নেহায়েত কম বৈ-কি
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: দীর্শ ১০ বছর নারীর মন নিয়ে গবেষণা এবং গোটা কয়েক প্রেম ভালোবাসা করার পরে আমি এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছি যে নীরার মন বুঝতে যাওয়ার মত অসম্ভব কাজ আর হয় না । ঐদিকে না যাওয়াই ভাল !
তবে এমএম জালালুদ্দিন সাহেবের সাথে একবার সাক্ষাত করার ইচ্ছে পোষণ করলাম !
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই উনার সাথে দেখা হইলে মার জন্য একটা এপোয়েনমেন্টের একটা ব্যাবস্থা কইরেন।
শুধু প্রেমিকার মন বুঝলে হবে না- বিয়ে করে নিজের বউ এর মন বুঝতে হবে তবেই আপনি হবেন 'আসল পুরুষ'।
আপনার মত এত ঘাটের জল খাও পুরুষরাই পারবে নারীদের বদ্ধ হৃদয় উন্মোচন করতে।
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, একজন পিএইচডি সুপারভাইজারের অধীনে থেকে এই গবেষণার পেপার ওয়ার্ক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হলে নারীর মন বিষয়ে আপনার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন কেউ ঠেকাতে পারতো না। এখনো সময় আছে- পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করার।
খুব, খুব সুন্দর করে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করে লিখেছেন। ধন্যবাদ। +
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আহা ভাই এইরকম একটা সার্টিফিকেট পাইলে মন্দ হইত না। আপনি একটু দেখবেন অন্তত উগান্ডার কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরকম একটা সার্টিফিকেট পাইলে গলায় ঝুলাইয়া ঘুইর্যা বেড়াইতাম
আপনার মন্তব্যও ডবল প্লাস +
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
হাড়ির মন থুক্কু নারীর মন নিয়ে তপনদার পোস্ট আমার কাছে রীতিমতো গবেষণাপত্র বলে মনে হলো, যদিও একটা পোস্ট এ ব্যাপারে যথেষ্ট নয়। অনন্ত কাল ধরে পোস্ট দিয়ে যেতেই হবে....যেতেই হবে........
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও ভাবতেছি বাকি জীবন এই একটা বিষয় নিয়ে লিখে গেলে কেমন হয়!!!
পাঠকের অভাব হবে না বোধ হয়
দুঃসহ যন্ত্রনায় কাতর পুরুষেরা এই লেখাগুলো পড়ে সান্ত্বনা খুঁজবে- ভাববে তারা একা নন। লক্ষ লক্ষ পুরুষ এমন এই পৃথিবীতে বিদ্যমান।
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: নারীর মন স্ব্যং ভগবান বোঝে নাই আপনি অকারনে বাঙ্গালী পুরুষদের দোষ দিচ্ছেন !
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: সোনাবীজ ভাইয়ের মন্তব্যের প্রতি উত্তরে বলেছি; বিধাতার কাম আর কি 'হও বলেই হয়'। বাকি সময় নারীদের মন বুঝতে সময় ব্যয় করেন ওইটা জটিল না করলে নিজেই ধরা!
এইটা শুধু ডোমেস্টিক না ইউনিভার্সাল সমস্যা
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লাস্ট পোস্ট পড়ে মনে হয়েছে যে মিস্টার সৌম্য মিসেস সৌম্যের সাথে একটা ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ।
আজকের পোস্টে কনফার্ম হলাম সৌম্য নির্ঘাত প্যারার মধ্যে আছে ।
পোস্টে উল্লেখিত এত উপায়ের মাঝে কোনোটাতেই কাজ হয়নি !!!
হাল ছেড়োনা বন্ধু, একটা মোক্ষম বুদ্ধি পেয়েই যাবে
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কি কইলেন!! সৌম্য ক্যাডা?
আপনি আড়ে ঠাড়ে আমার দিকেই আঙ্গুল তলছেন সেটা আমি বুঝি। সৌম্য হইল চাটগাঁইয়া সওদাগরের পোলা আর আমি 'গোয়ালন্দী জাহাজের মুরগীর ঝোল'!
আমার কি ধারনা জানেন বেশীরভাগ পুরুষ মেয়েদের মন টপ করে বুঝে ফেলে কিন্তু বুঝে ফেলেছি এটা জানলে মন খারাপ করবে এইটে ভেবেই কিংবা বাচ্চা কাচ্চা অবুঝ কিছু একটা ভেবে চুপ চাপ থাকে। কি বলেন?
১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: গায়ক ( কোন গায়ক সঠিক মনে নেই ) গেয়েছিলেন, -
"আমার চোখের দেখা ভুল হলো তোমার মনটা জানার পরে,
বাইরে থেকে যায়নি বুঝা বিষ আছে অন্তরে ''
আবার মুনি-ঋষিরা বলেছেন, - " নারীর মন বড়ই জটিল ,শত বর্ষের সাধনায়ও তা পুরোপুরি বুঝা যায়না"।
এই যে নারীর মন নিয়ে পুরুষের এত গবেষনা কিংবা জানার আগ্রহ , এর সবটাই কি সঠিক?
- নারী কি আসলেই এতটা দূর্গেয়-দূবোর্ধ্য ?
- নাকি, এ নারীকে নিয়ে উদ্ভট কল্পনায় ভোগা পুরুষের উর্বর মস্তিষ্কের আবেগিক মূল্যায়ন?
আবার , কেউ কেউ আরো একটু এগিয়ে গিয়ে বলেন, " নারীর মন স্বয়ং ভগবান ও বুঝেন নি পুরুষ ত কোন ছাড় " -
আমি জানিনা এসব হাচা কিনা ভাইজান।
" তবে আমি মনে করি নারী আসলে এতকিছু-মিছু নয় । তাকে শুধু একটু ভালবাসা, তার সাথে একটু মূল্যায়ণ-সহমর্মিতা ও সহযোগীতা " তাতেই নারী কাত ( খোলা বইয়ের মত উজার করে দিবে নিজেকে আপনজনের জন্য)।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: এই যে নারীর মন নিয়ে পুরুষের এত গবেষনা কিংবা জানার আগ্রহ , এর সবটাই কি সঠিক?
- নারী কি আসলেই এতটা দূর্গেয়-দূবোর্ধ্য ?
- নাকি, এ নারীকে নিয়ে উদ্ভট কল্পনায় ভোগা পুরুষের উর্বর মস্তিষ্কের আবেগিক মূল্যায়ন?
~ এইটেই হোল মুল তত্ত্ব!
পুরুষেরা যেমন নারীদের চাঁদ, তারা, দেবী অপ্সরা ভাবে ঠিক তেমনি তাদের সাধারণ মনটাকে পেঁচিয়ে জটিল বানায়। এটা আসলে পরোক্ষভাবে নারীদের অবমুল্যায়ন করা!
" তবে আমি মনে করি নারী আসলে এতকিছু-মিছু নয় । তাকে শুধু একটু ভালবাসা, তার সাথে একটু মূল্যায়ণ-সহমর্মিতা ও সহযোগীতা " তাতেই নারী কাত ( খোলা বইয়ের মত উজার করে দিবে নিজেকে আপনজনের জন্য)।
~ হক কথা। আর কাইত না হইলে আমাদের কাইত হবার অভ্যেস আছে তো
১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নারীরা কেন সিক্রেট ওপেন করেনা-পুরুষের মন বোঝা নিয়ে???
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: পুরুষেরাই তাদের আটকে রাখে হয়তো কিংবা নারীদের চক্ষশূল হবার ভয়ে। সামাজিকতা ধর্ম সহ আরো আনেক বেড়াজালে আটকে রেখে তাদের -পুরুষ নিজেরাই গিট্টু লেগে গেছে!!
১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নারীর মনতো সৃষ্টিকর্তাই বোঝেনা;
পুরুষ বুঝবে কী করে? তাদের মনে
কোন হরিণ ছিলো তাও তারা জানেনা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা কি পুরুষ?
যদি হয় তাইলে ঠিক আছে- না হইলে একখান কথা আছে!
অপ্সরা আপুনি'র হরিণ'কে এখানে টেনে আনলেন? তিনি মনে বনের হরিণ চাষ করছেন দুমাইয়া ...
১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
যেখা্নে স্বয়ং বিধাতাই নারীর মন খুঁজতে নাকানি চুবানি খাচ্ছেন সেখানে আপনি কোথাকার মনুষ্য সন্তান এসেছেন "নারীর মন" খুঁজতে ?
আসলে বিধাতা নারীর মন খুঁজে পাবেন কি করে - যখন হা্ওয়া বিবিকে বানিয়ে তার মাথার হার্ডডিস্কে "মন" নামের যে "এ্যাপস"খানা ইন্সটল করেছিলেন সেটাতেই ছিল গলদ, মেড ইন চায়না ? টিপলেই "এরর" দেখাচ্ছিল। তাই বিধাতা নারীর মন পড়তে পারেন নি এবং আদ্যাবধি পারছেন্ও না! আর আমি-আপনি তো কোন ছার!!!!!!!
তারচে' নারীর "নাড়ী" টিপে দেখুন ঠিকঠাক চলে কিনা। তালে তালে চললে, নারী ঠিক আছে। বেতালে চললে বুঝবেন ঠিক নাই!!!!! ভাইরাসে ধরেছে.............
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: হের আর কি -ওই এক ভুলেই আমাগো কেল্লাফতে!!
চায়না তাইলে ওখানেও আছে
তাইলে 'বোঝার চেষ্টা নারীর মন -আজ থেকে পুরা বন'
ওই তালে তালেই এখনো তাল মিল করে চলছি। বুড়া বয়সে কি হবে সেইটাই ভাবছিঃভাই
১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৯
অঙ্গনা বলেছেন: হালের গুগোল ও কিন্তু হ্যান্ডস আপ অবস্থায় আছে। হালের গুগোল ও কিন্তু হ্যান্ডস আপ অবস্থায় আছে শুনেছি কিন্তু আপনি এত ওয়ে কার কাছে শিখলেন ?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ। লাইক দেবার জন্য আরো খানিকটা নিন।
ভেবেছিলাম দুইজনের মান-অভিমান চলছে
আমারে কে আর শেখাবে? পুরুষ হইলে এমনি এমনিতেই শেখা যায়।
গুগল এমন উত্তর দেয় নাকি!!!
২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমার মাথার উপর দিয়ে গেল সব।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: উপ্রে দিয়ে যাওয়াই ভাল জীবনে এত প্যারা নিয়ে কি করবেন!!
২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
অঙ্গনা বলেছেন: নো ওয়ে ম্যান ।
কবে তুমি গেয়েছিলে
আঁখির পানে চেয়েছিলে
ভুলে গিয়েছি।
সো মান অভিমান ইজ নট একচুয়ালি মাই ফিল্ড অফ থিংকিং।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: খুব ভাল! জেনে ও শুনে আনন্দিত হলাম।
এগিয়ে চলুন সামনে দেখি...
২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। নারীর মন নিয়ে বিস্তর গবেষণাধর্মী পোস্ট। পুরুষের মন নিয়ে আর কজন ভাবে ?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০
শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিনবাদে আপনাকে আমার ব্লগবাড়িতে দেখে ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ- চাল থাকুন।
পুরুষের মন নিয়ে পুরুষেরাই ভাবে না- আর কে ভাববে
২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: নারী মন দেখা শেষ হইয়া গেছে ওস্তাদ। লুকস, মানি, স্ট্যাটাস, এই তিন জিনিস ছাড়া নারীরা পুরুষদের গোণে না। মেয়েরা মিথ্যা কথা বলে, পার্সোনালিটি খোজে, ভালো মানুষ খোজে, এগুলা সব ডাহা মিথ্যা কথা, ভালো সাজার জন্য বলে এগুলা। মেয়েদের মনের আসল রুপ যে একবার দেখছে, সে আর কোনদিন মেয়েদের পছন্দ করতে পারবে না।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: আরে বাপরে ভাই যে হ্যালির ধুমকেতু হয়ে গেছেন!!!
সেই এপ্রিলে 'অনেক কিছু ছেঁড়ার' খবর দেবার পরে আর কোন খবর নাই-ব্যাপক আনন্দিত হলাম আপনার মন্তব্যে।
আক সময় ব্লগের পাতায় কত কথা হোত!
আপনি জীবন নিয়ে কি বিশেষ বিরক্ত ভ্রাতা?? সবকিছুতে কেমন একটু তাচ্ছিল্য ও বিরক্তিভাব!বসে বসে পায়ের উপর পা তুলে রাজরানীর মত বিলাস বৈভবে থাকতে, ইচ্ছেমত কেনা-কাটা, সাজগোজ, অহমিকা আর কিট্টি পার্টি করতে অধিকাংশ নারীর মন চায়।
সেহেতু অর্থ বিত্ত-বৈভবে এগিয়ে থকা ক্ষমতাবান মানুষের পেছনে দৌড়াবে না তো কি ...
মাঝে মধ্যে আইসেন- লেখা টেখা দিলে বা পড়লে মনটা ভাল হবে। ব্লগে তুলনামুলক স্বার্থপর লোক কম।
২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একসময় আমি নিজেও নারী মন বুঝবার চেষ্টা করেছি আর কোন এক তরুণীর মন বুঝবার জন্য ঐ " নারীমন " বই পড়েছিলাম । পড়বার পর একটা প্রশ্ন মাথায় এল আর সেটা হলো , নারীর মন বলে আসলেই কিছু কী আছে ?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ একজন অন্তত স্বীকার করলেন যে, তিনি নারীর মন বোঝার জন্য 'নারীর মনটা' পড়েছেন।
এটা পড়ার পরে আমি নিশ্চিত যে, আপনি নারীর মন বুঝতে পারেন নি- এবং যার জন্য পড়েছিলেন তিনি অন্য পাঠকের কাছে গিয়েছেন তার মনটা পড়াতে
মানুষের মস্তিস্ক বড়ই জটিল আর কুটিল! এইসব আজাইর্যা ফ্যাসাদে মানুষকে জড়িয়ে রেখে বিশ্ব সংসারের মহা গুরুত্ত্বপূর্ন কাজ থেকে কৌশলে সরিয়ে রাখে!
আমার ব্লগ বাড়িতে স্বাগতম(আপনার নামটা নারী মনের মতই জটিল হয়ে গেছে-নিবর্হণ নির্ঘোষ)
২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @শেরজা তপন , আমার নামের কারণটা বোধহয় এটাই যে " মানুষের মস্তিস্ক বড়ই জটিল আর কুটিল! " বলে । হাহাহাহাহাহ !
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: এত জটিলতা নিয়ে ভাল থাকলেই ভাল! আমিতো মস্তিষ্ক থেকে জটিলতা দূর করতে চাচ্ছি- কিন্তু সেটা আরো জটিল কুটিল হয়ে যাচ্ছে!!!!!
২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৪
সোহানী বলেছেন: আগের পর্বটা পড়েই মনে হয়েছিল এক্ষুনি লিখা শুরু করি। এতো সহজ একটা কাজ অথচ সবাই মাথা খুঁড়ে মরছে ।
লিখতে পারি নাই তাই আপনি সুযোগে আরেকটা পর্ব চালান করে দিয়েছেন ।
যাহোক, বাঙ্গালী, অ-বাঙ্গালী, সাদা, কালো, ব্রাউন সবার মন বোঝার তড়িকা নিয়ে আসবো শীঘ্রই ।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: এমন একটা ব্যাপার হলে মন্দ হয় না!
কাউন্টার লেখা দারুণ জমবে বলে মনে হচ্ছে- তার উপরে যদি আপনি লিখেন।
তাড়াতাড়ি শুরু করেন -নাহলে আমি তৃতীয় পর্ব নিয়ে আসছি শীঘ্রই
২৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
রীতিমতো মজার ব্যাপার। ভাই বিয়ের আগে মন পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি।কি রহস্যময়ী নারী চরিত্র বাপরে!! কিন্তু বিয়ের পর আজ চৌদ্দ বছরে নিরন্তর চেষ্টা করেও মনের আগা মাথা কোনোটারই সন্ধান না পেয়ে বুঝতে পারছি সম্ভবত মনের মাঝ দরিয়াতে থেকে হাবুডুবু খাচ্ছি।তাই এখন নুতন করে আর মন খোঁজার বৃথা চেষ্টা না করতেই আবু সাঈদ ওবাইদুল্লাহের আগমনের আগেই ভেগে পড়ছি
১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই মজার ব্যাপার!
যেইটা আসলেই নাই সেইটা এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে খোঁজার দরকার নেই।
আসলেই পুরুষ মানুষ আকাইম্যা জাত।
দারুন মন্তব্য বিনোদন পেলাম
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যেখানে বর্তমানে কে নারী কে পুরুষ এটা আইডেন্টিফাই করা বড় জটিল হয়ে গেসে সেখানে মন বুঝতে যাওয়া বিলাসিতা।