নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবশেষে এ দেশ আমার হল!!!!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭


বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার জন্য; রেডিও টিভিতে জনস্বার্থে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
বাতি নিভিয়ে কিভাবে কাজকর্ম করবেন কিংবা ২৮ ডিগ্রী সে:এসি কেন চালানো উচিত- এই নিয়ে আবেগী আমন্ত্রণ! কেন এই আবেগময় আহ্বান???
কেননা এ দেশ আপনার আমার সেজন্যই এদেশের সম্পদ( যেমন; ফসিল ফুয়েল) ব্যবহারে আমাদের ভীষণ মিতব্যয়ী হতে হবে।
যাক অবশেষে দেশটা-তো ফিরে পেলাম! এখন বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে পারবা;
এই ব্যটা জানিস, সরকার কইছে,এই দেশ নাকি আমার।
-তবে এতদিন এ দেশ কার ছিল?
-এ দেশ ছিল বিশেষ কোন দলের কিংবা বিশেষ কোন নেতা নেত্রীর।
তাহাদের কথাঃ আমার বা আমাদের দল এই উন্নয়ন কিংবা হেন-তেন করেছে অথবা আমার নেতা বা নেত্রীর ভিশন-মিশন না থাকলে এইসব ছাই-পাশ কিছুই হইত না। আম জনতার এতে কোন কন্ট্রিবিউশন নাই। কেননা দেশ তো হেগো না। স্বাধীনতার জন্য দুই চাইরজন রক্ত যারা দিছে তারা হুজুগে দিছে বা দৌড়াইতে পালাইতে গিয়া মরছে!!
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে ইদানীং; ধর্ম টর্ম থেকে ভয়ঙ্কর তত্ত্ব হচ্ছে জাতীয়তাবাদী তত্ত্ব ! দেশ নামক একটা মুলা ঝুলিয়ে পৃথিবীর কোটি কোটি লোককে মৃত্যু মুখে কিংবা মৃত্যু থেকে ভয়ঙ্কর উদ্বাস্তুতার পথে ঠেলে দিচ্ছে।

~গত সপ্তাহে জাতীয় গ্রিড ফেল করল। ফলাফল প্রায় সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়! কেন কি জন্য এমন হোল; একেকজনের একেক উত্তর।
তবে পত্র পত্রিকার খবরে যেটা জানলাম সেটা হচ্ছে; জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের( প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া) মুল দুটো কারণ
একটা হল 'ওভার-লোড' আরেকটা হল 'আন্ডার-লোড'!
এখানে 'ওভার-লোড' হয়নি-হয়েছে 'আন্ডার-লোড'!!! কি ভয়ঙ্কর তথ্য। (তথ্যগত বিচ্যুতি থাকতে পারে)

ওদিকে আশুলিয়ার রপ্তানীমুখী ১৬০০ ছোট বড় মাঝারি কারখানা ধুঁকছে বিদ্যুৎ সঙ্কটে! বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন। প্রতিদিন সেই অঞ্চলে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। কারখানা মালিকেরা কোটি কোটি টাকার ডিজেল পুড়িয়ে ফ্যাক্টরি সচল রাখতে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে লসের হিসাব গুনছে!!

ঢাকা শহরে রাত দিন বিদ্যুতের উৎপাতে এক বে-দিশা অবস্থা!
আগে-তো বলেছিল বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বাড়ায়, তেলের দুষ্প্রাপ্যতা এবং তেল আমদানিতে বিশাল ভর্তুকি দেবার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাটছাঁট করা হচ্ছে।
তবে-তো ভাই তেলের দাম ও বাড়ালেন ফের বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম হোল তাহলে এখন কেন এ হাল???

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য ছাড়া নিচের এই আলোচনা;
*শুনলাম কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট সব বন্ধ- কেন?
~ ওরা পিডিবির কাছ থেকে তেলের টাকা অগ্রিম নিয়ে তেল কিনে তবে প্লান্ট চালায়> পিডিবির কাছে টাকা নাই। অতএব প্লান্ট সব বন্ধ!
~ সবগুলো পাওয়ার প্লান্টের নাকি ৬ মাস থেকে ১ বছরের পাওনা বাকি? পিডিবি টাকা চেয়েছে সরকারের কাছে। সরকার বলেছে; তুই ব্যাটা ক্যামনে চালাবি চালা, আমার তফিল খালি।
~বিপিসির কাছে লাভের হাজার হাজার কোটি টাকা। তারা কেন ধার দেয় না?
~ সারা দেশে প্রতিদিন কোটি কোটি লিটার ডিজেল পুড়ছে বিদ্যুৎ না থাকার জন্য। ডাবল ট্রিপল লাভ- যত লাভ তত চুরি। বিপিসির সবাই মিলে লালে লাল। সরকারের তেল দিলে টাকা বাকি- ফার্নেস ওয়েলের দাম বাড়েনি, তাই লাভ কম। এমনিতে বাকি তারপরে কম লাভ।
টাকা দিলে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে ডিজেল বিক্রি কমে যাবে।

# লাভের টাকার ভাগ সবার কাছেই কম বেশী যাচ্ছে! ওদিকে প্লান্ট সব বসিয়ে রেখে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট-এর মালিক-গন প্রতিদিন হিসাব কষে সরকারের কাছে পাওনা কত হইল!!
~ আর আমরা আম জনতা রাইত দুইটার সময় ভয়ঙ্কর ভ্যাপসা গরমে ঘুমহীন চোখে তাল পাখার বাতাস খাইতে খাইতে মুচকি হেসে ভাবি;
~আর যাই হোক আমার দেশটা-তো ফিরে পেলাম!!!

* তথ্যগত বিচ্যুতি থাকতে পারে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: "যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি।"
-প্রবাদটির নিহিতার্থ হচ্ছে- অপ্রয়োজনে জিনিস অপচয় করলে, প্রয়োজনে তার উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

প্রসংগটা আসছে অসহনীয় লোডশেডিং নিয়ে..... গতকাল ছিলো ছুটির দিন। আমাদের এলাকায় গতকাল লোডশেডিং এর অনির্ধারিত সময় সূচীঃ-
(১) সকাল ১০টা থেকে ১১টা= ১ ঘন্টা
(২) দুপুর ২টা থেকে ৩ টা= ১ ঘন্টা
(৩) বিকেল ৪ থেকে সাড়ে ৫ টা= দেড় ঘন্টা
(৪) সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৮ টা= ১ ঘন্টা
(৫) রাত ১২ টা থেকে ১টা= ১ ঘন্টা

অথচ উন্নয়নের গলাবাজি আর হ্যাডম দেখাতে টানা দুইবছর আলোকসজ্জা সহ কতো রকম ফুটানি.... এখন যার খেসারত দিতে হচ্ছে আমজনতাকে! এখন বেগুনির বদলি পেপেনি, কুমড়োনি, ২০০ টাকা লিটারের সায়াবিন তেলের বদলে ১০০০ টাকা দামের বাদাম তেল খাওয়ার উপদেশের পর এখন ভেন্নার তেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হবার নসিহত!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলব আর ভাই! সরকারী দলের তৃনমুল কর্মীরা যখন সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করবে তখন বুঝতে হবে আসলেই পরিস্থিতি বেশ নাজুক!
সরকার কেন অনুধাবন করতে পারছে না তারা ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে যাচ্ছে?

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশ আপনাদের। দেশের জন্য কিছু করবেন না। :) বেশী কিছু তো করতে বলা হয় নাই। মাত্র কয়েক ঘণ্টা লাইট, এসি, ফ্যান ইত্যাদি বন্ধ রাখবেন। মানুষ দেশের জন্য জীবন দিয়ে দেয় আর আপনারা এই সামান্য জিনিস পারবেন না!!! :) এটুকুই যদি না পারেন তাহলে দেশকে কি রকম ভালোবাসেন!!! :) দরকার হলে সরকার থেকে হাত পাখা বিনা মূল্যে দেয়া হবে। তবুও দেশটাকে নিজের মনে করে বিপিসিকে লাভ করতে দেন। বিপিসি তো আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান। নাকি মিসা কইলাম???!!! :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি জ্ঞানী মানুষ -মিছা কথা কইতে পারেন!!!! দেশ আমার দায়িত্ব আমার দেশ। আমার ত্যাগ আমাকেই করতে হবে -দেশ আমার স্যার আমাকে দিতে হবে! :)
সকাল থেকে আমার কর্মক্ষেত্রে মাত্র ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল!!
আহা কি চমৎকার অত্যাচার!!! বড় শান্তিতে আছি রে ভাই

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শুনতে পাই বিদ্যুৎতের দাম আবার বাড়ানো হবে!!
- সমনে মনে হচ্ছে মহা বিপদ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই পারবে না হলে আইনের ঋণ দেবে কেন?
বিদ্যুতের দাম বাড়বে তেলের দাম বাড়বে উৎপাদন খরচ বাড়বে। বহির্বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। এটাই তো ওরা চায়...

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনার দেওয়া তথ্যে নতুন কিছু আছে যেমন টাকা দেয়নি বলে সামিট কুইক রেন্টাল চালায়নি । বি এন পির টুকু বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সরকারকে নাড়া দিয়েছিল , নতুন প্ল্যান্ট আর পুরাতন প্ল্যান্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে মেলাতে না পেরে ট্রিপ করছে । বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায় কোন সরকারই আজতক সফলতা দেখাতে পারেনি । যাই হোক আমরা দিনে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ হীন থেকে সহনশীল হচ্ছি । আমাদের এলাকায় সাবেক সহ সচিবদের বসবাস বলেই ডেসকো কিছুটা নমনীয় । রাত ১১টা -১২ টায় বাড়ীওয়ালা জেনারেটর সাপোর্ট দিয়ে আমাদের ভাল রেখেছে । সামনের পরিস্থিতি ভাল হবে না শুধু এইটুকু বলতে পারি । মানুষ খাদ্য না বিদ্যুৎ কোনটার পিছনে ছুটবে ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আহা কি আরামে আছেন ভাই।
যাই হোক মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তদের মনের মধ্যে চরম ক্ষোভ দিন দিন দানা বাঁধছে। এর বিস্ফোরণ এক সময় হবেই-কিন্তু এমন বিস্ফোরণ আমরা চাই না!
দেশটা আবার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। যতটুক এগিয়েছিলাম তার থেকে অনেক বেশি পিছিয়ে যাবো আমরা।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ কনসেপ্ট আর ধর্মীয় কনসেপ্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চলেছে যে কে কার থেকে বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে !

আওয়ামীলীগের এই কবছরে যদি সব থেকে বড় সাফল্য ছিল তা ছিল বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে । এই কথা স্বীকার না করে উপায় নেই । অন্তত গত কয়েক বছরে আমরা সেই সুফল পেয়েছি । কিন্তু এই খাতে দুর্নীতি যে প্রবল ভাবে হয়েছে সেটা তো এক না এক সময়ে প্রকাশ পাবেই । ফল ভোগ করছি আমরা ! এতো এতো উন্নয়নের ফাকা বুলি দিনের পর দিন আমাদের শুনিয়ে গেছে, দেশ ইউরোপ আমেরিকা শেষে বেহেস্ত হয়ে গেছে, এখন সেই পা চাটা বুরবাগ গুলো আমাদের জাতীয়তাবাদের বুলি শোনাচ্ছে !

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: # বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ কনসেপ্ট আর ধর্মীয় কনসেপ্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চলেছে যে কে কার থেকে বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে !
~চমৎকার কথা বলেছেন।
তার সেই সাফল্যেই তো অনুপ্রাণিত হয়ে আইপিএস টাইপিএস সব ফেলে দিয়েছিলাম। অন্তত সারারাত বিছানায় সে স্বর্গ সুখ অনুভব করতাম।
কিন্তু কি হইল???
কবে ফিরে পাব আমার সেই স্বর্গ সুখ :(

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: দেশ ভয়ংকর এক পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যাচ্ছে! সীমাহীন দুর্নিতি আজ এই অবস্থার জন্য দায়ী!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: এ কথা এখন সারাদেশের আপামর জনসাধারণের মুখে মুখে।
ছেলে ভুলানো কথা আর কেউ ভুলছে না।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বিদ্যুৎ ভয়াবহ রকমের সমস্যা করছে। আমার শহরের জি ই সি লিভিং এবং বিজনেস এর জন্য খুবই স্বনামধন্য। সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। জানিনা সরকার কি ভাবছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আশুলিয়ার বিশাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জায়গায় মাত্র ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাপ্লাই হচ্ছে তাহলে বুঝেন আপনি এর অবস্থা!! (ওরা বলেছে)!
বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো থাকার সময়ও এখানে দিনে তিন-চার ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকতো না।
সকাল থেকে একটা পর্যন্ত মাত্র ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল ঠিক লাঞ্চের ছুটি হওয়ার পরে বিদ্যুৎ এসেছে -আবার চলে যাবে লাঞ্চের ছুটি শেষ হওয়ার পরে! ফ্যাক্টরি চালু হলেই বিদ্যুৎ নাই!!
কি মজারে ভাই :)

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিদিন এক ঘন্টা করে ৪/৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন রাত ২ টায় বিদ্যুত চলে যাচ্ছে। গতকাল বিদ্যুৎ গেল সাড়ে তিনটায়। ছোট কন্যা গুরম একেবারেইএ সহ্য করতে পারে না। টানা এক ঘন্টা তাকে বাতাস করলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যার স্বাভাবিক ভেবে বছর কয়েক আগে খুলে ফেলা আইপিএস এর লাগানো হয়নি।
এখন দেখছি সমস্যা সমাধান তো হচ্ছে না বরং পরিস্থিতি আরো ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে!!! :(

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আউ এম এফ এর থেকে নেয়া বিপুল পরিমান লোন দিয়ে কাভার করা যাচ্ছে না বোঝা যাচ্ছে। সামিট গ্রুপের মালিক সিঙ্গাপুরে প্রথম সারীর একজন ধনী ব্যক্তি হিসেবে সিঙ্গাপুরের পত্রিকায় নাম এসেছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মালিক চাইনিজ টাইকুনদের মাঝে এই ব্যক্তির নাম কিভাবে এল, খোজ নিলে কেচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে যেতে পারে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: সব বলতে কি আর যে সে সাপ!
কত পাইথন এনাকোন্ডা বের হয়ে আসবে আল্লা মালুম!!

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

নিমো বলেছেন: জনৈক বলগার কয়েকদিন আগে পরিবেশ বান্ধবতার কথা বলেছিলেন। সরকার আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত করছে। তোরাবোরা গুহায় থাকব, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটের কী দরকার? ইবাদাত-বন্দেগীতে জীবন পার।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: বুঝতে পেরেছি :) সেই মন্তব্যখানা আমিও পড়েছিলাম।

ওই গুহাতে এত মানুষ আটবে?? ব্যাপারটা মন্দ নয়

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০

কামাল৮০ বলেছেন: সাম্রাজ্য ছিল সামন্তাদী ব্যবস্থার ফসল।পূঁজির বিকাশের জন্য সাম্রাজ্য ভেঙ্গে জাতিরাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।মানুষ হয়ে যায় জাতিয়তাবাদী।জাতিয় বিকাশের এক পর্যায়ে কিছু কিছু রাষ্ট্র হয়েযায় উদ্র জাতিয়তাবাদী।এটা এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।তাই এখন নতুন ধারনা আন্তর্জাতিকতাবাদ।এর পথ দেখায় ইউরোপ।ইউরোপিয় ইউনিয়ন করে।আস্ত আস্তে এর প্রসার ঘটবে।বিষয়টা আপনি ঠিকই ধরেছেন।জাতিয়তাবাদ এক ভয়ংকর দানব।মার্ক্স অনেক আগেই বলেছেন,রাষ্ট্র শোষণের হাতিয়ার।রাষ্ট ক্ষমতা দখল করে ধনী গরিবকে শোষণ করে আবার এই রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেই গরিব ধনীকে শোষণ করে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: দারুন এই মন্তব্যে বিমোহিত হলাম ভাই।
একেবারে কোট-নোট করে মনের কথা বলেছেন। স্যালুট ভাই।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,



অবশেষে এ দেশ আমার হল!!!! ব্রুটালী সারকাষ্টিক!!!!!!!!!

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই 'নিষ্ঠুর ব্যঙ্গাত্মক' হলেও বাক্যটি বুকের ভিতরের জমে থাকা ব্যাথা আর হাহাকার মিশ্রিত!

মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:০৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: হতাশ হলে চলবে না।

এইটে হিসাব কইরেন না- কত ঘন্টা কারেন্ট নাই।
হিসাব করেন কত ঘন্টা কারেন্ট আসে।

মনে রাখবেন- ড্রাকুলার দেশে- অন্ধকার ই ভরসা।

১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: :)
অতি কষ্টে না হেসে পারলাম না!

~ড্রাকুলার দেশে- অন্ধকার ই ভরসা।
শেষের কথাটা তো ' বাণী চিরন্তনী'তে ঠাই পাবার যোগ্য!

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। পক্ষের লোকজন হয়তোবা আবার বলে বসবেন অপপ্রচার কিম্বা জাতীয়তাবাদ বিরোধী কথাবার্তা। তবে সে যাইহোক দেশ একদিন এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে...

১০ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা কবে না আবার 'দেশদ্রোহী'র খাতায় নাম উঠে যায়!!
সেই ভরসাতেই এখনো দেশ আঁকড়ে পড়ে আছি।

আপনাকে ফের ধন্যবাদ। ওখানেও আপনারা ভাল থাকবেন - এমন যন্ত্রনা যেন সহ্য করতে না হয়।

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অবশেষে ডুবন্ত তরী হাতে দিয়ে যদি কেউ বলেন - “এই তরী আপনার”! - ডুবন্ত তরী নিয়ে কিইবা আর করণীয় থাকে? শেরজা তপন ভাই আপনাকে উৎসর্গ করে সামান্য একটি লেখা পোস্ট করেছি। সময় সুযোগ হলে পড়বেন। ইরানী হিজাব ও ঈশপের গল্প




১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমাকে উৎসর্গকৃত আপনার লেখার লিঙ্কটা শেয়ার করার জন্য।
এই মন্তব্যটা দেখার আমি আগেই পড়েছি বলে সারপ্রাইজড :)
ভাল থাকুন

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২২

অশুভ বলেছেন: এই টপিকস নিয়ে কথা বলতে ভয় পাই। কে কখন কী ট্যাগ দেয়া শুরু করে, আল্লাহ মালুম। দেশটা যে আমার শেষ পর্যন্ত এটা স্বীকার করল। কিন্তু আমার দেশটা এখন ভালো নেই। :(

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: এটা নিশ্চিতভাবে এখন বিপদজনক টপিকস।
বেশ কিছুদিন ধরে মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। সেদিন সকালে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তাই ঘুম থেকে উঠে আগপিছু না ভেবে লিখে ফেললাম। আরো অনেক কথা আছে যেগুলো বলা যায় না।

দেশটা আমাদের কখনোই ছিল না কখনোই থাকবে না। আমরা শুধু মনে মনে মন কলা খাব। শুধু দুর্যোগেই দুঃস্ময়েই এই দেশ আমার হবে ক্ষনকালের জন্য। মেঘ কেটে গেলে আবার সব হারাব।
আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল-ভাল থাকুন।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
"কান চিলে নিয়া গেছে' শুইনা যে দৌঁড়াইতাছে চিলের পেছনে তার চেয়ে বেশি দৌঁড়াইতাছে স্বয়ং চিলে। উড়ন্ত চিল কেমনে দৌঁড়ে এইটা প্রশ্ন না। কান পাইয়্যা চিল বেচারা কী পরিমাণ হ্যাপি হইছে? হেইডা হইলো প্রশ্ন। আপনি এর উত্তর দিতে পারবেননি?

বঙ্গবন্ধু স্বয়ং নিজে বিদ্যুৎ অপচয় করে আসছেন। সেখানে জাতির পিতাকে অনুসরণ করা কি জাতির পুত্র/কন্যাদের বৈশিষ্ট্য হওয়া অপরাধের?

বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উনার খাতায় এটা লিখেছেন, যা উনার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের হাতে 'কারাগারের রোজনামচা' নামক গ্রন্থের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ভুমিকা অনেক হয়ে গেলো, কী কইছেন হেইডা কই! হুবহু কইতারি না, তয় মূল ভাব কইয়্যালাই, 'সকালে ঘুম থেকে জাগার পর রুম মেটকে বঙ্গবন্ধু বৈদ্যুতিক পাখা অফ করতে বললেন, কারণ ইদানীং ঠান্ডা পড়ছে'
আমরা অনেকেই ঠান্ডা আসার পরও বৈদ্যুতিক পাখা চালিয়ে ঘুমাই। অবার লেফ গায়ে দেওয়ারপ্ব ট্রাই করি। (এখনও অনেকে এটা করেন!) বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচার অনেক রিভিউ দেলহলাম, কোথায় কেউ প্রশ্ন উত্তাপন করেনি, শীত আসার পরও কেন রাত্রে উনি বৈদ্যুতিক পাখা চালু রাখলেন! এমন প্রশ্ন বিএনপি জামাতের কেউওও করে নাই! আমিও করি নাই, আমি ভাবতাছি, কারণ আমি বিএনপি জামাতের লোক না তাই!

মজার ব্যপার কী জানেন! বঙ্গবন্ধু উনার কারাগারের রোজনামচায় সিলেটের বন্যার ব্যাপারে খুব সুন্দর করে বলেছেন যে, সরকার চাইলেই বন্যা স্থায়ীভাবে দূর করতে পারে!
মজার ব্যপার হচ্ছে, জেল থেকে বেরুনোর পর, রাষ্ট্রীয় ভাবে ক্ষমতায় থাকার পর, উনি কিংবা উনার পরবর্তী বংশের বাতি শেখ হাসিনাও বন্যা দূরিকরণে কোন গ্রহণযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারেননি!

মাস কয়েক পূর্বে সিলেটের বন্যার দুরাবস্থা পৃথিবী বাসোর জানা। ব্লগারদের তো ভালোভাবেই জানা, কারণ বন্যার্তদের পাশে ব্লগারেরা যেভাবে দাঁড়িয়েছে স্বয়ং প্রধানম্নত্রীও এভাবে দাঁড়াননি! উনি তো প্লেনে করে ঘুরে আসলেন। তদুপরি উনার প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ।
যাই হোক, দিনশেষে জাতি নিজের দেশটা হাতে পেলো। বেচারা চিলের মতো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই কথার পরে আমার আর বলার কি থাকতে পারে- সৈয়দ সাহেব :)

এই কথা প্রকাশ্য বলে- ভয়ঙ্কর বিপদ দেকে আনতে পারেন।
বাদ দেন- দেশ তো ফেরত পাইলাম। দে তালি।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মনের মধ্যে যে উষ্মা ও ক্ষোভ ধিকিধিকি জ্বলছে, সেটা অগণিত মানুষের বুকের খাঁচায়ও জ্বলে বুক ছারখার করে দিচ্ছে। মৌনতা সবসময় সম্মতির লক্ষণ নয়। বজ্র বৃষ্টির আগে আগে আকাশটা অনেকক্ষণ ধরে কিছুটা থমকে থাকে।

বিদ্যুৎহীনতায় নাগরিকদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আগে দিনে তিন/চারবার যেত, এখন তিন ঘন্টা পর পর যাচ্ছে এক ঘণ্টা করে। অসহ্য অবস্থা, সেই আগের বিদ্যুৎবিহীন দিনগুলোর কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ অনেকদিন বাদে আমার ব্লগ বাড়িতে আসলেন।
সহমত ও ধন্যবাদ আপনাকে - ভাল থাকুন।

১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ কনসেপ্ট আর ধর্মীয় কনসেপ্ট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চলেছে যে কে কার থেকে বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে - বড় চমৎকার বলেছেন তিনি এ কথাটা!
কামাল৮০ এর মন্তব্যটাও চমৎকার লাগল।

২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: উনারা অনেক বিজ্ঞ ব্লগার- তাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.