নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
নিন্মোক্ত যে সতেরোটি কারণ নিয়ে আলোচনা করেছি যার মাধ্যমে আমরা ভাবতে বাধ্য হই যে, আমরা এই পৃথিবীতে বহিরাগত (আজকে দুটো কারন উল্লেখ করা হোল সাথে দুটো বিশেষ নিবন্ধ!)
১. সূর্য আমাদের চোখকে আঘাত করে বা দৃষ্টি ঝলসে দেয়।
আমার এই বইটি লেখার জন্য এই বিষয়টা একটা অন্যতম কারণ।
সূর্যালোকিত গ্রীষ্মের একটা দিন। আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম- কোণাকুণি একটা মোড় ঘুরতেই সূর্যের আলো সরাসরি এসে আমার মুখের উপর পড়ল। তাৎক্ষনিক-ভাবে আমার দৃষ্টি ঝলসে গেল- ঠিক অন্ধের মত আমি কোনকিছুই দেখতে পারছিলাম না। আমি কোনকিছুতে ঠোক্কর খেয়ে গুরুতর আঘাত না পাই সেজন্য বাধ্য হয়ে আমি চোখের উপর আমার হাতটা রাখলাম সূর্যের আলোকে আড়াল করার জন্য। যখন আমি ছায়ায় পৌঁছলাম - আমার দৃষ্টি ফিরে এল।
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম পাখিরা সব সুখে আকাশ-জুড়ে বিভিন্ন দিকে সাবলীলভাবে উড়ে বেড়াচ্ছে। সূর্যের আলো তাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে না- উড়ে যাবার পথে তারা কোন উঁচু দালান বা গাছের সাথে ঠোক্কর খাচ্ছে না! সূর্যের আলো নিয়ে তাদের কোন অনুযোগ নেই- অভিযোগ নেই।
তখন আমার মনে পড়ল, এক রাতে যখন আমি বনের গ্রামের রাস্তা ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম আচমকা একটি বড় খরগোশ বা ছোট হরিণজাতীয় কিছু একটা আমার চলার পথের মধ্যখানে এসে দাঁড়াল। আমি ব্রেক কষতেই সে অবাক দৃষ্টিতে বড় বড় চোখ মেলে আমার গাড়ির ফুল বিম হেডলাইটের দিকে তাকিয়ে রইল। কোন বিরক্তি বা কষ্ট ছিলনা তার অভিব্যক্তিতে। এরকম কোন হেডলাইটের আলো সরাসরি আমাদের চোখে পড়লে আমরা বিরক্ত হতাম- সে আলো কিছুক্ষণের জন্য হলেও আমাদের দৃষ্টিশক্তি ঝলসে দিত।
কিন্তু আমাদের ছোট খরগোশ/হরিণ বন্ধু সামান্যতম বিরক্ত করা হয়নি। কয়েক সেকেন্ড মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থেকে বেশ আকস্মিকভাবে পুরোপুরি আনন্দের সাথে তিড়িং-বিড়িং করে লাফাতে লাফাতে একটি মাঠের দিকে ছুটে গেল। সে কি তীব্র আলোয় ক্ষণিকের জন্য অন্ধ হয়ে গেল? মোটেই তা নয়।
এই প্রাণীগুলি পৃথিবীর আদিবাসী এবং পৃথিবীর পরিবেশ ও প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নিতে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তারা এখানে বাস করছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তারা পৃথিবীর সাথে মানিয়ে নেবার জন্য বিবর্তিত হয়েছে- তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, তারা এত ভালভাবে মানিয়ে নিতে পারছে।
তবে কি আশ্চর্য -আমরা মানুষ!! অনুমিতভাবে এই গ্রহের সবচেয়ে উন্নত প্রজাতি – এখনো পৃথিবীর প্রকৃতি পরিবেশ জলবায়ু আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে পারিনি।
কেন –তাহলে মুল সমস্যাটা কোথায়?
বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে আমরা এই জাতীয় প্রাণী থেকেই লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিবর্তিত হয়েছি(আজকের পাখি এবং ম্যামলস আমাদের পূর্বপুরুষ)। যেহেতু আমরা সবচেয়ে উন্নত ও বুদ্ধিমান প্রাণী সেহেতু লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর প্রকৃতির সাথে আমাদের আরো চমৎকারভাবে মানিয়ে নেয়া উচিত ছিল। আমাদের ‘মাদার নেচার’ তার সৃষ্ট সবচেয়ে বুদ্ধিমান এই প্রাণীটিকে তার সাথে মানিয়ে নেবার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করত। কিন্তু সেটা হয়নি। তাহলে নিশ্চিতভাবে বিবর্তনের এই পর্যায়ে চরম কিছু ভুল আছে( যেটা প্রায় অসম্ভব)। অথবা সম্ভবত বা নিশ্চিতভাবে আমরা এই গ্রহের বাসিন্দা নই। আমরা বাইরে থেকে এসে এখানে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করছি।
যদিও সূর্যের আলো দ্বারা চোখ ঝলসে যাবার পরে এই বিষয়টা নিয়ে আমি ভাবতে শুরু করলাম; কিন্তু প্রকৃতই সেটা শুরু ছিল মাত্র। আমার ভাবনার সাথে যোগ হোল এমন কিছু তথ্য ও প্রশ্ন যার কোন উত্তর সম্ভবত বিজ্ঞানের হাতে নেই।
• এই প্রশ্নগুলো যারা সৃষ্টি বা সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে ভাবে শুধু তাদেরই নয়- অতি সাধারন চিন্তাশীল মানুষের মাথায়ও এলোমেলোভাবে ঘুরপাক খায়। আমি আপনি সবাই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। বিজ্ঞান ও ধর্ম আমাদের সেই প্রশ্নের উত্তর গোঁজামিলে দেয় অথবা অতি সংক্ষেপে কিংবা সেই চিন্তাধারাকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করে।
সূর্যের আলো নিয়ে কিছু উদাহরণ - যার মধ্যে কয়েকটি আমি নীচে পরীক্ষা করেছি;
খরগোশের বৈদ্যুতিক আলো (বা যেকোনো কিছুর সাথে) মোকাবিলা করার আশ্চর্য ক্ষমতার কারণ কি? যদিও এটা আমাদের আবিষ্কার- কিন্তু বৈদ্যুতিক উজ্জ্বল আলো আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয় কিন্তু খরগোশের মত প্রাণীরা খুব সহজেই মানিয়ে নিয়ে পেরেছে- কেন?
সম্ভবত;এর মুল কারণ হচ্ছে এদের দ্রুত যৌবনপ্রাপ্তি নিয়মিত ও স্বল্প সময়ে বাচ্চা উৎপাদন! আমাদের যৌবন প্রাপ্তিতে অনেক সময় লাগে এবং এমন নিয়মিত ও দ্রুত আমরা সন্তান জন্মদানে সক্ষম নই। ধরে নিই বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের পরে আমরা মাত্র পাঁচটা প্রজন্ম পার করেছি কিন্তু এই সময়ের মধ্যে খরগোশজাতীয় প্রাণী পাঁচ শতাধিক প্রজন্ম পার করেছে। অতএব এখানে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, যে কোন জিনিস তারা আমাদের থেকে অনেক দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে( যেহেতু সূর্যের আলো সম্ভবত তাদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয় না সে কারণেই উজ্জ্বল আলোয় তারা আগে থেকেই অভ্যস্ত)।
২. সূর্য কার্যত আমাদের হত্যা করে।
সূর্য শুধু আমাদের দৃষ্টিশক্তি ঝলসেই দেয় না বরং আমরা যদি এই আলোর উৎসের দিকে তাকাই তবে দৃষ্টি শক্তি হারানোর পাশাপাশি অতি অল্প সময়ের আমরা দিক-হারা হয়ে গাছ, পাথর, অন্য কোন মানুষের সাথে ধাক্কা খেতে পারি- যার ফলশ্রুতিতে বড় ধরনের অঘটন ঘটা অসম্ভব নয়।
আমাদের শরীরে অন্য প্রাইমেটদের মত চুল বা প্রাকৃতিক পোশাক নেই -সে কারণেই সূর্যের আলোতে আমাদের তাৎক্ষনিক সান-বার্ণ হওয়া ও সুদূর ভবিষ্যতে ত্বকের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। যে কারনে খালি গায়ে সান-বাথ করার সময়ে আমাদের শরীরে সানস্ক্রিন মাখতে হয়।( *যদিও ত্বকে বেশী মেলালিনযুক্ত মানুষদের সেই সম্ভাবনা বেশ কম থাকে- আফ্রিকান লোকেরা অনেক বেশী সময়ে সূর্যালোকের নীচে থাকে। সংখ্যায় কম হলেও তাদেরও রোদে ত্বক পুড়ে যায় বা ত্বকের ক্যান্সার হয়)
কিন্তু কেন আমাদের এমনটা প্রয়োজন? নিশ্চয়ই আমরা বিকশিত হতে পারিনি এটার উপর নির্ভর করতে?
কুমির জাতীয় প্রাণী (যা আমরা মনে করি পাখি ও ম্যামেলস এর চেয়েও অনেক আগে থেকে বিবর্তিত হয়েছে) তারা যতক্ষণ চায় ততক্ষণ রোদে স্নান করতে পারে - এবং তাদের অনেকেই করে। কিন্তু আমরা যদি তাদের মত এত দীর্ঘ সময় ও দীর্ঘদিন কোন সুরক্ষা ছাড়া রোদ পোহাই তবে অবশ্যই অবশ্যই মারা যাব।
সৈকতে এক বা দুই সপ্তাহের জন্য সানস্ক্রিন গায়ে মেখে রৌদ্রস্নান করার সাথে এর পার্থক্য অনেক।
কিন্তু দিনের পর দিন রোদে – মরুভূমিতে প্রখর সূর্যালোকের নীচে আপাদমস্তক ঢিলে কাপড়ে নিজেকে না মুড়ে আপনি দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণ করতে পারবেন না। চেষ্টা করে দেখতে পারেন, সূর্যালোক আপনার ত্বক ঝলসে যাবে-শরিরের জলীয়বাষ্প অতিদ্রুত বেরিয়ে গিয়ে আপনি অল্পক্ষণেই মারা পড়বেন?
ত্বকের ক্যান্সার যাদের হয়েছে তারা জানে এটা কত সাংঘাতিক কষ্টদায়ক একটা রোগ। এর থেকে হাইওয়েতে চলন্ত বাসের নীচে ঝাঁপ দিন; আপনার মৃত্যু অনেক আনন্দদায়ক হবে!
সূর্যালোক থেকে সৃষ্ট ‘মেলানোমা’ ত্বকের ক্যান্সারের সবচেয়ে মারাত্মক রূপ।এটি মেলানোসাইট নামক ত্বকের কোষে উৎপন্ন হয় (কোষ যা রঙ্গক তৈরি করে ও ত্বক কালো বর্ণ ধারনকরে)।এটি চর্মরোগ থেকে মৃত্যুর প্রধান কারণ।
যদিও এটি কেবল ত্বকের ক্যান্সার নয়। সূর্যালোক আমাদের ত্বক শুকিয়ে ও কুঁচকে যায় এবং আমাদের সময়ের আগে বৃদ্ধ দেখায়। সূর্যালোকের অতিবেগুনী ক্যান্সার বাদেও আমাদের হাড়কে ভঙ্গুর ও পাতলা করে ফেলে -আমাদের ছানি দিয়ে আমাদের চোখ নষ্ট করে। অন্যান্য প্রাণী (যা পৃথিবীর স্থানীয় এবং তাই এখানে বসবাসের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে) সারাদিন বাইরের সূর্যালোকে থাকার কারণে চোখে ছানি পড়বে না গবাদি পশু, ভেড়া, শূকর, ঘোড়া বা ক্যাঙ্গারুর কথা ভাবুন। তাদের ত্বক কুঁচকে যায় না। তাদের ত্বকের ক্যান্সার হয় না (যদিও কিছু প্রাণী কানের গোড়াতে ক্যান্সার আক্রান্ত হয় যেখানটা সুরক্ষিত নয় পশম দ্বারা)।
যদি পশম বা আঁশ (কুমিরের ক্ষেত্রে) ত্বকের ক্যান্সার এড়ানোর জন্য অপরিহার্য তাহলে কেন আমাদের কোনটি নেই?
কেন আমরা চওড়া হুডের টুপি এবং সানগ্লাস পরতে হবে? সানস্ক্রিন গায়ে মাখতে হবে, অথবা সূর্য থেকে যতদূর সম্ভব গা বাঁচিয়ে চলতে হবে? এমন যদি হয় তবে, এটাই আমাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ?
সহজ উত্তর হল; পৃথিবী আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়।
ভূগর্ভে বা জলের নীচে বাস করা সূর্যের আলো এড়ানোর উপায় হিসেবে বিবেচনা করা যায় কিন্তু আমরা এই জিনিসগুলির একটিও করি না। কেন? কিছু স্পষ্ট ভুল এখানে আছে।
এই অধ্যায়ে আরো অনেক বিষয় ব্যাখ্যা করার ছিল, যেমন সূর্যালোক অ-সহিষ্ণুতা!!
-------------------------------- *বিশেষ নিবন্ধ-১*-----------------------------------
কিভাবে আপনার দৃষ্টিশক্তি UV রশ্মি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে?
আইরিস উজ্জ্বল আলোর বিরুদ্ধে আপনার চোখের প্রধান প্রতিরক্ষা হিসাবে কাজ করে। এটি আপনার চোখের রঙিন অংশ যা চক্ষুতারা ছোট থেকে ছোট করার জন্য দায়ী। যখন তীব্র আলোক রশ্মি আপনার চোখে পৌঁছায়, তখন আইরিস পিউপিল বা চক্ষুতারা’কে সংকুচিত করে রেটিনাকে রক্ষা করে এবং আগত ছবিকে আরও ভালোভাবে প্রক্রিয়া করতে সাহায্য করে। বিপরীতটি কম আলোতে ঘটে, যখন আইরিস যতটা সম্ভব আলো দেওয়ার জন্য চক্ষুতারাকে প্রসারিত করে।
উজ্জ্বল আলো আপনার দৃষ্টিশক্তি ক্ষতি করতে পারে?
সংক্ষেপে, হ্যাঁ, উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকানো আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারে। যখন রেটিনার আলোক সংবেদনশীল কোষগুলি উজ্জ্বল আলোর দ্বারা অতিরিক্ত উদ্দীপিত হয়, তখন তারা প্রচুর পরিমাণে সংকেতকারী রাসায়নিক নির্গত করে, যার ফলে চোখের পিছনে ক্ষতি হয়।
সূর্য এত তীব্রতার সাথে আলো ছড়ায় যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য সরাসরি তার দিকে তাকালে রেটিনার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। কয়েক সপ্তাহ, মাস বা বছর ধরে ইউভি রশ্মির দীর্ঘস্থায়ী এক্সপোজার ম্যাকুলা, কর্নিয়া এবং লেন্সের ক্ষতি করতে পারে। ম্যাকুলার ক্ষতি ম্যাকুলার অবক্ষয়ের দিকে পরিচালিত করে। একটি UV রশ্মি আক্রান্ত কর্নিয়া ঝাপসা দৃষ্টি এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে। একটি ক্ষতিগ্রস্ত লেন্স ছানি পড়া বা ঝাপসা হতে পারে, যা পরবর্তীতে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়।
আলো, এমনকি মাঝারি তীব্রতার স্তরেও, সময়ের সাথে ধীরে ধীরে রেটিনার ক্ষতি করতে পারে। উষ্ণ আলোর চেয়ে UV রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম, তাই এর শক্তি বেশি।
সূর্যের আলো হল UV রশ্মি র সবচেয়ে দৃশ্যমান উৎস, তবে অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছে ফ্লুরোসেন্ট লাইট, এলইডি, টেলিভিশন, কম্পিউটার মনিটর এবং স্মার্টফোনের স্ক্রিন।
উজ্জ্বল আলো দ্বারা সৃষ্ট চোখের সমস্যাগুলি কীভাবে চিকিত্সা এবং প্রতিরোধ করা যায়
নিম্নলিখিত টিপস দিয়ে আপনার দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করুন:
উজ্জ্বল আলো থেকে ঝলক কমাতে অ্যান্টি-রিফ্লেক্টিভ লেন্স সহ চশমা বেছে নিন।
আপনি যখন বাইরে যান গাঢ় সানগ্লাস এবং চোখে ছায়া দেয় এমন টুপি পরুন। অ্যান্টি-ইউভি পোলারাইজড সানগ্লাস আপনার চোখকে UV রশ্মি এবং ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
আপনার প্রতিদিনের স্ক্রীন টাইম কমান এবং আপনার চোখকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ঘন ঘন বিরতি নিন।
স্ক্রীন থেকে নির্গত UV রশ্মি র পরিমাণ কমাতে আপনার কম্পিউটারে নাইটলাইট বৈশিষ্ট্যটি সক্ষম করুন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার সময় চোখের চাপ কমাতে হলুদ লেন্স সহ UV রশ্মি ব্লকিং কম্পিউটার চশমা পরুন।
সিএফএল বাল্ব এবং এলইডি বেছে নিন যা ‘উষ্ণ’ আলো নির্গত করে।
আপনার যদি ছানি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়, তাহলে সানগ্লাসের মতোই আপনার রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখতে UV রশ্মি কে ব্লক করে এমন ইন্ট্রাওকুলার লেন্স (IOL) ইমপ্লান্টের সন্ধান করুন।
আপনি যদি উজ্জ্বল আলোর সংস্পর্শে আসার পরে দৃষ্টি সমস্যা বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে বিশেষজ্ঞের সাথে অতিসত্তর যোগাযোগ করেন।
-------------------------------- *বিশেষ নিবন্ধ-২*-----------------------------------
অন্যান্য প্রাণীদের কি সানবার্ণ হয়?
দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা সত্ত্বেও, রোদে পোড়া মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ গ্রীষ্মকালীন অসুস্থতা। কিন্তু প্রাণীদের কি ‘রোদে পোড়া’ বা সানবার্ণ হয়? যদি হয় তবে তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য কি করছে?
আমি স্মিথসোনিয়ানের জাতীয় চিড়িয়াখানার এলিফ্যান্ট হাউস এবং চিতা সংরক্ষণ স্টেশনের কিউরেটর টনি বার্থেলের কাছে এই প্রশ্নগুলি উত্থাপন করেছিলাম।
তিনি এখানে স্থলচর বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দৈনন্দিন যত্নের তত্ত্বাবধান করেন।
জীববিজ্ঞানী ব্যাখ্যা করেন, ‘অধিকাংশ প্রাণী যাদের ত্বক উন্মুক্ত হয় সুর্য রশ্মি তাদের জন্য সংবেদনশীল’।" যদিও পাখিরা পালক ও সরীসৃপ আঁশ দ্বারা দ্বারা সুরক্ষিত থাকে (যদি সরীসৃপ অতিরিক্ত গরম হয় তবে তারা ত্বক পুড়ে যাওয়ার আগেই মারা যাবে)।
হাতি এবং গন্ডারের মতো স্তন্যপায়ী প্রাণী, এমনকি সদ্য পশম কাটা ভেড়া, যেমনটা আপনি কল্পনা করতে পারেন,উন্মুক্ত ত্বকের প্রাণী কোন আবরণে ঢাকা প্রাণীদের থেকে বিশেষভাবে দুর্বল। কোন কোন সময় একটি লোমশ স্তন্যপায়ী প্রাণী প্রখর সূর্য রশ্মিতে ত্বক পুড়ে বা জ্বলে যেতে পারে। -এটি তাদের পশমের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।
উদাহরণ হিসেবে পিঠে মোটা চুল আছে এমন শূকর এর কথা উল্লেখ করা যায়। যদি তারা দীর্ঘ সময় বাইরে রোদে থাকে তবে তাদের ত্বক পুড়ে যাবে বা সানবার্ণ হবে।
মানুষ এবং ল্যাবরেটরি ইঁদুর ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীদের সানবার্ণ-এর অধ্যয়নের জন্য অতি সামান্য গবেষণা হয়েছে।
কিন্তু কিছু গবেষকরা যখন তিমির গায়ে ফোসকার মত কিছু একটা দেখতে পান তখন ইংল্যান্ড ও মেক্সিকো থেকে একদল বিজ্ঞানী বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত, তারা ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে নীল তিমি, ফিন তিমি এবং স্পার্ম হোয়েল থেকে উচ্চ-রেজোলিউশনের ফটোগ্রাফ ও ত্বকের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।
(গত নভেম্বরে, তারা প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় তাদের ফলাফল প্রকাশ করেছে।)
বায়োপসিগুলির পঁচানব্বই শতাংশে ‘সানবার্ন সেল’ বা অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষ রয়েছে।
সানবার্ণ হওয়ার জন্য একটি (অবদানকারী) ফ্যাক্টর অবশ্যই তিমিরা সমুদ্রের উপরিভাগে পিঠ উচিয়ে সময় কাটানোর জন্য হয়। স্পার্ম হোয়েল ডাইভের মাধ্যমে সাত থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত শ্বাস নেয়, যখন নীল তিমি ও ফিন বা পাখনা তিমি মাত্র দু-মিনিট সময় নেয়। স্পার্ম তিমিগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা সুমুদ্রের উপরিভাগে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে সামাজিক ক্রিয়াকর্ম করে বা তাদের অবসর সময় কাটায় –যে কারনেই এদের পৃষ্ঠদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে সানবার্ন হয় এবং ফোসকা পড়ে । বিজ্ঞানীদের দল আবিষ্কার করেছে যে এই সানবার্ণ হবার জন্য তাদের পিগমেন্টেশন আরও বড় ভূমিকা পালন করে।
খুব রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় বসবাসকারী প্রাণীদের অনন্য প্রাকৃতিক বা জৈবিক প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা রয়েছে।
যদি একটি জিরাফ তার জিহ্বা বের করে, প্রথম আট বা নয় ইঞ্চি কালো, এরপর একটি রেখা থাকে েকেবারে গোড়ার অংশোটি গোলাপি রঙের। কিছু্ গবেষক মনে করেন জিরাফদের কালো জিহ্বা আছে কারণ তারা দীর্ঘ সময় তাদের জীহ্বা মুখের বাইরে সুর্যালোকিত উন্মুক্ত স্থানে রাখে- জীহ্বাকে সানবার্ণ থেকে রক্ষা করার জন্য তার সামনের অংশটুকু কালো হয়।
জলহস্তীদের একটি আকর্ষণীয় বিস্ময়কর ব্যাপার রয়েছে। তাদের মুখমন্ডল বা তাদের কান বা ঘাড়ের পিছনে ফোঁটায় ফোঁটায় একধরনের রক্তলাল তরল নির্গত হয়।
একসময় সার্কাসে দর্শকদের এই বলে আকর্ষন করা হোত যে, আসো দেখো কি আজব কারবার। জলহস্তীদের রক্ত ঘাম হচ্ছে!! কিন্তু যখন জাপানি গবেষকরা টোকিওর উয়েনো জুলজিক্যাল গার্ডেনে বসবাসকারী দুটি জলহস্তীর সেই নিঃসরণ বিশ্লেষণ করেন, তখন তারা দেখতে পান যে এটি লাল ও কমলা রঙের রঞ্জক তরল যা আল্ট্রা ভায়োলেট আলো শোষণ করে। লাল রঙের সেই ঘাম ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকেও বাধা দেয়। প্রকৃতির মে ২০০৪ বিজ্ঞানীরা সবাই একমত হয়েছেন যে, ‘রক্ত লাল তরল’ বা ‘ঘাম’ আসলে একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক সানস্ক্রিন।
তবে বুদ্ধিমান প্রাণীদের বড় একটি অংশ তাদের পুর্বসূরীদের কাছ থেকে রপ্ত করা বিশেষ কৌশোলের মাধ্যমে নিজেদের রক্ষা করে। “হাতিরা রোদে পোড়া থেকে বাঁচতে ও পোকামাকড়ের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে তাদের পিঠে এবং মাথায় বালি বা কাদাযুক্ত পানি নিক্ষেপ করে। তারা তাদের বাচ্চাদের গায়েও বালি দিয়ে জল ছূড়ে দেয়। এবং এটি সম্ভবত শিক্ষণ প্রক্রিয়ার অংশ। -তারা শুধুমাত্র তাদের তরুণদের যত্ন নেয় না, কিন্তু তারা তাদের দেখায় যে ভবিষ্যতে কিভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।‘ প্রাপ্তবয়স্ক হাতিরাও বাচ্চাদের ঘুমানোর সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য ছায়া তৈরি করে যাতে বাচ্চাদের সানবার্ণ না হয়। গণ্ডার এবং শূকর নিজেদেরকে কাদা দিয়ে ঢেকে রাখে, যা তাদের রোদ থেকে রক্ষা করে এবং তাদের ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সেই চিড়িয়াখানার কিউরেটর বলেন, সানবার্ন হলে যাদের অনেক পশম তাদের পশম হালকা হতে থাকবে। ত্বক লাল বর্ণ ধারন করে। সবচেয়ে খারাপটা হল ত্বকে ফোস্কা পড়ে যাওয়া যদিও তিনি স্বীকার করেছেন যে, এমনটা ঘটতে পারে, তবে তিনি কখনও রোদে পোড়া চামড়ার প্রাণী দেখেননি!!!
চিড়িয়াখানার হাতির দেখভাল করার জন্য নিয়োজিত মারি গ্যালোওয়ের শুধুমাত্র এমন একটি ঘটনার কথা মনে করতে পারেন। প্রায় ২০ বছর আগে, চিড়িয়াখানায় বসবাসকারী শ্রীলঙ্কার একটি এশিয়ান হাতি শান্তি, তার পিঠে সানবার্ণের ফলে ফোসকা পড়েছিল। কারণ সে অন্যান্য হাতির মতো নিজেকে ধুলা বা কাদা দিয়ে দিয়ে ঢেকে রাখেনি কখনো এবন প্রখর রোদেও সে ছায়া খোঁজেনি।
। তবে বেশিরভাগ প্রাণীদের এই সাধারণ জ্ঞান আছে বলে মনে হয় এবং সেটা আমাদের চেয়ে বেশি বলে আমি মনে করি।
এই অংশের মুল সুত্রঃ মেগান গাম্বিনো
Smithsonian-Magazine
পরের পর্বেঃ ৩. SAD (মৌসুমী অনুভূতিমূলক ব্যাধি) ও ৪. মেরুদন্ডের ব্যাথা- নিয়ে ডক্টর এলিস সিলভার ভাবনা ও যুক্তি।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার থিউরি হবে কেন?
আসল থিউরিতো আপনি দিলেন! আমরা কতই না ভুল জানি; আমি জানতাম ঢাকার লোকেরা উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে।
যাক অজ্ঞকে এমন জ্ঞান দানের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩২
নতুন বলেছেন: আমিও সম্ভবত এই বইই ডাউনলোড করে রেখেছি
আমারও মনে হয়েছে প্রকৃতিতে মানিয়ে নিতে অন্য প্রানীর অনেক রকমের শারিরির বৈশিস্ট আছে যেটা মানুষের মাঝে দেখা যায় না।
মানুষ সেই জিনিসগুলি নিজের বুদ্ধির বলে তৌরি করেছে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আগের মন্তব্যে তেমনটা বলেছিলেন।
পড়ে ফেলুন না একটু কষ্ট করে; তাহলে আমার অনুবাদগত দুর্বলতা ধরতে পারবেন। কোথাও ভুল-ভাল হলে একটু ঠিক করে দিবেন।
মানুষ সেই জিনিসগুলি নিজের বুদ্ধির বলে তৌরি করেছে। অবশ্যই তারপরে ঠিক ঠাক মানিয়ে নেবার জন্য এই বুদ্ধি এখনো যথেষ্ঠ নয় বলে মনে হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০২
আরইউ বলেছেন:
ওনার প্রশ্নের জবাব কিন্তু বিবর্তনবাদ থেকে সহজেই পাওয়া যায়। হিউম্যান এবং অন্যান্য প্রানীর ইভ্যুলিউশন কিন্তু লিনিয়ার কোন প্রসেসে হয়নি -- যে ট্রেইটটা যে পারিপার্শিক পরিস্থিতিতে যে প্রানীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিয়েছে সেই প্রানী সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। মানুষের চোখের গঠন এমন যে সানগেজিং চোখকে আহত করে; অথচ মৌমাছির চলাফেরার জন্য সানগেজিং মাস্ট, নাহলে বেচারা পথ হারিয়ে ফেলবে।
মানুষের আদি পুরুষের শরীরে কিন্তু একসময় লোম/ চুল/ ফার ছিল। কিন্তু, মানুষের বিবর্তনে ফারের চেয়ে সম্ভবত বেশি প্রয়োজন ছিল অন্য ট্রেইটের। যদিও সায়েন্স এখনো ১০০ ভাগ নিশ্চিৎ নয় কেন আমাদের ফার নেই তবু ধারণা করা হয় সম্ভবত ফারহীন থাকায় দিনের বেলা প্রখর সূর্যের তাপেও শিকারের সময় আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতো।
আবার অনেকে বলেন আমাদের শরীর ফারহীন থাকায় আমরা সহজেই আমাদের দৈহিক ইমোশনাল রেসপন্সকে বুঝতে পারি (যেমন গাল লাল হয়ে যাওয়া) যা আমাদের সামাজিক ও সেক্সুয়াল লাইফের জন্য প্রয়োজনিয়। নেচার যখন দেখেছে শরীরে ফার থাকার চেয়ে না থাকা মানুষের জন্য বেশি সুবিধার তখন সেই না থাকাটাই হয়েছে ডমিনেন্ট ট্রেইট - নেচারাল সিলেকশন।
যাহোক, অনুবাদ ভালো হচ্ছে। পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায়!
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষের আদি পুরুষের শরীরে কিন্তু একসময় লোম/ চুল/ ফার ছিল। কিন্তু, মানুষের বিবর্তনে ফারের চেয়ে সম্ভবত বেশি প্রয়োজন ছিল অন্য ট্রেইটের। যদিও সায়েন্স এখনো ১০০ ভাগ নিশ্চিৎ নয় কেন আমাদের ফার নেই তবু ধারণা করা হয় সম্ভবত ফারহীন থাকায় দিনের বেলা প্রখর সূর্যের তাপেও শিকারের সময় আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতো।
~ এই বিষয় নিয়ে এলিস সিলভার বেশ বড় পরিসরে লিখেছেন। সেখানে বিজ্ঞান ও অনুমান দুটো বিষয় থাকবে। আমিও সাধ্যমত বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরেছি সেখানে। দু-পর্ব পরে সেখানে আসব। আপনাকে তখন পাব বলে আশা রাখছি।
এখানে দুটো নিবন্ধ আমার যোগ করা।
এই পর্ব থেকে। পক্ষে বিপক্ষের মতামত, যুক্তি তর্ক মুল লেখার সাথে সংযোজন করার ইচ্ছে পোষন করছি। আপনি কি বলেন?
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পড়া শুরু করেছি।চোখ দাঁড়িয়ে গেল (আজকের পাখি ও ম্যামালস আমাদের পূর্বপুরুষ)কথাটা দেখে। ডারউইনে বিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষের সৃষ্টির রহস্য আমরা এতদিন জেনে এসেছি। কিন্তু শুরুতেই এই কথাটির ব্যখ্যা না পাওয়া পর্যন্ত আমার এই গাবের মাথায় কোনো যুক্তি পাচ্ছিনা।
আসছি আবার পোস্টের পরবর্তী অংশে ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ডারউইনে বিবর্তনবাদ অনুযায়ী মানুষের সৃষ্টির রহস্য আমরা এতদিন জেনে এসেছি।
অবশ্যই সেই বিষয়ে যত কিঞ্চিৎ আলোচনা হবে এবং সেখানে ছোটখাট বিস্ফোরণ হতে পারে
ধীরে ধীরে আলোচনা গভীর থেকে গভীরে ঢুকবে।
আপনি আসুন ফিরে- মুক্ত মনে তথ্য ও যুক্তি দিয়ে সমালোচনা কাম্য।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: পড়েন- শেষ হলে কিছু মালপানি দিয়েন
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বই বের হইলে তো মালপানি দিয়া কিনতে হইবো।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: আর বই- এ লেখা পুরো পোষ্ট করে বোধকরি লেখালেখি শিকেয় তুলতে হবে
আপনার কাছ থেকে যুক্তি ও তথ্য সহ কিছু মন্তব্য কাম্য? সেইটাই আসল মালপানি।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৬
রানার ব্লগ বলেছেন: চিন্তার দুয়ার খোলার জন্য ধাক্কাধাক্কি করছে!!
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: এইবার মাথার উপ্রে দিয়ে না গেলে হয়
দুয়ারে ধাক্কাধাক্কি করতে করতে আবার দরজা না ভেঙ্গে ফেলে
ধাক্কাধাক্কি শেষ হবার পরে বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথমত আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী না, তবুও আউট অফ বক্স থিংকিং সবসময় আগ্রহ।
যুক্তি তথ্য সহ মন্তব্য করতে এসে দেখি চমৎকার সব মন্তব্য চলে এসছে। সুতরাং সেখানে সহমত ছাড়া আর কিছু লেখার থাকে না।
আর প্লিজ শেষ করে ফেলে না রেখে আলোর মুখ মানে কাগজের পাতায় আনার ব্যবস্থা করেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার @ নিমো ও @ সাসুমের দৃষ্টিতে এটা একটা আবর্জনা!
আর সোনাগাজী সাহেবের বক্তব্য বুঝতে কষ্ট হচ্ছে- উনি বাতাস পাবার জন্য ডাইনে বায়ে পাল ঘোরাচ্ছেন!
বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক বিষয়ক লেখায় নারীদের সতস্ফুর্ত অংশগরহন না থাকায় ব্লগে বরাবর আমি হতাশা বোধ করি।
আপনাদের মত সবার যুক্তি তর্কে অঙ্গশগ্রহন করা উচিৎ।
* আমার প্রকাশক দুই বছর এলোমেলো বইমেলা হওয়ায় এবার ভাল ব্যাবসার আশায় এত বেশী প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন যে, আমার ধারনা অধিকাংশ গুবলেট হয়ে যাবে!!!
এলিস সাহেবের মুল বইখানা ৭০ পৃষ্ঠার মত। আমার তথ্য সনযোজন করায় সেটা ২০০ পৃষ্ঠার মত হয়ে গেছে অলরেডি। ব্লগে পুরোটা দেবার পরে ৪০০ পৃষ্ঠা পারে
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শিরনামের সাথে লেখার সম্পর্কে খুব একটা নেই মনে হলো!! পরের পর্বে হয়তো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল করে খুঁজে দেখেন অবশ্যই পাবেন।
প্রথম সতেরটি বিষয় হচ্ছে-মানুষ পৃথিবী নামক এই গ্রহে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে যে সমস্যা অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে হচ্ছে না। আমার শেষের নিবন্ধটা পড়ে দেখবেন। টপিকটা আপনার পছন্দ হবে।
১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সিলভারের ভাবনা বিপরীতে কাউন্টার দিয়ে কেউউ বই লিখেনি?
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি এখনো পর্যন্ত পাইনি। আমাদের ব্লগারদের মতামত যুক্তি তথ্য দিয়েই এর কাউন্টার শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে
১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৫৩
কামাল৮০ বলেছেন: মানুষ ছাড়া সব প্রানী প্রকৃতির সাথে বাছে।মানুষ অনেকটা কৃত্রিম ভাভে বাছে।সূর্যের আলো থেকে রক্ষা পাবার জন্য সে কতো কিছু ব্যবহার করে।তাই তার চোখ কিছুটা নাজুক হয়ে গেছে।এটাও হয়েছে হাজার হাজার বছরের বিবর্তনে।
অন্যান্য প্রানীর মতো মানুষ সবসময় সূর্যের আলোয় থাকে না এটাও একটা কারণ।
পৃথিবীর প্রায় সব প্রানীর গায়ে লোম বা পালক আছে।মানুষে তা নেই।তাই সূর্যের আলোয় গা ঝলসেদেয় যায়,মাথা কিন্তু ঝলসে না।আমি তো আমার সাধারণ ধারনা থেকে হলছি,বিজ্ঞানীরা আরো নির্দিষ্ট করে কলতে পারবে।কিন্তু কিন্তু কেউ প্রয়োজন মনে করে নাই বলে এই বই নিয়ে আলোচনা করে নাই।এটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আলোচনার করার মতো কোন বই না।আপনি বিষয়টা তুলে আনছেন।ব্লগারদের মতামত জানতে পারবেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উল্লেখিত সবগুলো বিষয় নিয়ে সামনে যুক্তিযুক্ত ও তথ্য ভিত্তিক আলোচনা হবে।
মানুষ কেন প্রকৃতি থেকে দূরে সরে গিয়ে উলটো প্রকৃতির ধ্বংস লীলায় মেতে উঠেছে সেইটা একটা বড় প্রশ্ন,
টিকে থাকার জন্য আমাদের এত বুদ্ধিমত্ত্বা, ভাষা সহ আরো কিছু বিষয় আছে যার কোনই প্রয়োজন ছিল না বলে তিনি মনে করেন।
আমাদের গায়ের পোষাক কেন প্রকৃতি কেড়ে নিল এই নিয়ে বিজ্ঞান ও যেমন হাইপোথিসিস কথা বলছে তিনিও বলেছেন।
সন এপস -এমনকি নিয়েনডার্থালের( যারা যাদের পুরো সময়কাল-মেরু বা শীতপ্রধান অঞ্চলে কাটিয়েছে) চোখের উপরে শেডিং (ভ্রুর হাড়টা সামনের দিকে আগানো- সরাসরি সুর্যালোক থেকে চোখকে রক্ষা করার জন্য) ছিল- মানুষ যদি উত্তর আফ্রিকাতে বিবির্তিত হয়( যেখানে প্রায় সারা বছর প্রখর সূর্যালোক থাকে) তবে সেই শেডটা কেন হারাল?
১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১০
কামাল৮০ বলেছেন: বাঁচে হবে
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ অনেকটা কৃত্রিম ভাভে বাছে
আমি তো আমার সাধারণ ধারনা থেকে হলছি,বিজ্ঞানীরা আরো নির্দিষ্ট করে কলতে পারবে
এরকম আরো কিছু ছোটখাটো ভুল আছে। কোন সমস্যা নেই- আপনি আপনার মত বিন্দাস মন্তব্য করে যান। ভুল-ভাল নিয়ে এত চিন্তা কইরেন না।
১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১৭
কামাল৮০ বলেছেন: যুক্তি গুলো প্রখর না বলে অল্প কিছুটা পড়েছি।পরে বাকিটা পড়বো।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: নিবন্ধ দুটো অবশ্যই পড়বেন কেননা সে দুটো আমার সংগ্রহের। ভাল কিছু তথ্য আছে জানবার।
১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি গতকাল রাতে একটা মন্তব্য করেছিলাম দুইটা লিঙ্ক সহ। এটাতে কিছু পাল্টা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু যে কোন কারণে মন্তব্যটা যায় নাই। আবার নতুন করে চিন্তা করে লিখতে হবে। আজকে সন্ধ্যায় আবার লিখবো ইনশাল্লাহ।
আমি যা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হল। অনেক পাখী বেশী আলো সহ্য করতে পারে না। এমন কি রাতে বেশী আলো চোখে পড়লে এরা কয়েক সেকেন্ড চোখে কিছু দেখে না। আরেকটা হল পৃথিবীতে সূর্যের তাপ যদি আরেকটু কম মত তাহলে পৃথিবীতে মানুষ এবং অন্যান্য উদ্ভিদ এবং প্রাণী বাঁচতে পারতো না ঠাণ্ডার কারণে। মানুষ যে গ্রহ থেকেই আসুক সেই গ্রহও কোন না কোন নক্ষেত্রের আলোতে আলোকিত ছিল। ফলে আলো এবং তাপের ব্যাপারটার সাথে মানুষের অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা। পৃথিবীর চেয়ে কম আলো এবং তাপ ঐ গ্রহে থাকলে মানুষ ঠাণ্ডায় মারা যেত।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ যে গ্রহ থেকেই আসুক সেই গ্রহও কোন না কোন নক্ষেত্রের আলোতে আলোকিত ছিল। ফলে আলো এবং তাপের ব্যাপারটার সাথে মানুষের অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কথা। পৃথিবীর চেয়ে কম আলো এবং তাপ ঐ গ্রহে থাকলে মানুষ ঠাণ্ডায় মারা যেত
~ এলিস সিলভার অবশ্যই এইসব বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন ধীরে ধীরে। সম্ভাব্য অসম্ভাব্য সব আলোচনা তিনি করেছেন।
আমি যা বলতে চেয়েছিলাম সেটা হল। অনেক পাখী বেশী আলো সহ্য করতে পারে না। এমন কি রাতে বেশী আলো চোখে পড়লে এরা কয়েক সেকেন্ড চোখে কিছু দেখে না।
~ তারা ঠিক-ঠাক প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নিয়েছে। তারা দিনে লুকিয়ে থাকে রাতে বের হয়। সমস্যা হয় তাদের কৃত্রিম আলোতে।
সুমুদ্রের গভীরে বা মাটির অনেক গভীরে কিছু প্রাণী বাস করে যারা এক জনমে আলোর মুখ দেখেনা।
ডক্টর এলিসের রেফারেন্সকৃত সবগুলো সুত্রের লিঙ্ক দেয়া হবে লিখার শেষে।
যে তথ্যগুলো দিয়ে সাহায্য করেছিলেন সেগুলো হারিয়ে যাওয়ায় মন খারাপ হোল।
এলিস সিলভারের অনুমান ধোপে যদি না ও টিকে তবে এই লেখার মাধ্যমে বিবিধ সুত্র দ্বারা আমারা দারুনভাবে উপকৃত হব আশা রাখছি।
ধন্যবাদ ফের মন্তব্যে আসায়।
১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় শেরজা তপন ভাই,
আসলেই আপনি কঠিন একটা বিষয় নিয়ে লিখছেন! এতোই কঠিন যা আমার মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বোধগম্য সহজ নয়। মূলত যারা জীববিজ্ঞান, প্রাণীতত্ব, বিবর্তনবাদ নিয়ে আগ্রহী তাঁদের কাছে বিষয়টা অবশ্যই রোমাঞ্চকর।
তারপরও মধ্যযুগ ও রেনেসাঁ, ল্যামার্কের তত্ত্ব, আধুনিক সময়ের বিবর্তনীয় ধারণা বিয়য়ে যতসামান্য পড়াশুনা করে দেখতে পাচ্ছি, বিষয়টি প্রজাতির পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ধারণার প্রকাশের বাইরে যায়নি। নতুন যুগের আবির্ভাবের সাথেও এই একই ধারা অব্যাহত ছিল। তাই ফ্রান্সিস বেকন, রাজনীতিবিদ এবং দার্শনিক, পরামর্শ দিয়েছিলেন যে প্রজাতিগুলি পরিবর্তন হতে পারে, "প্রকৃতির ত্রুটিগুলি" জমা করে। এই থিসিসটি আবার, এম্পেডোক্লিসের ক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের নীতির প্রতিধ্বনি করে, তবে সাধারণ তত্ত্ব সম্পর্কে এখনও একটি শব্দ নেই।
জৈবিক বিবর্তনের আধুনিক তত্ত্ব এবং নিরপেক্ষ বিবর্তনের তত্ত্ব পৃথিবীতে জীবনের বিকাশে প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক করে না। নিরপেক্ষ বিবর্তনের তত্ত্ব প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্বের বিরোধিতা করে না, এটি কেবল সেলুলার, সুপারসেলুলার এবং অঙ্গ স্তরে সংঘটিত প্রক্রিয়াগুলিকে ব্যাখ্যা করে। ঠিক একই ভাবে প্রাণীকূলের চোখ এবং দৃষ্টিশক্তিরও বিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে এবং আরও হবে বলেই আমার ধারণা।
আপনার অনুবাদ সত্যিই প্রসংশনীয়। আপনার শব্দভাণ্ডার, ভাষাজ্ঞান অত্যন্ত রিচ। পোস্টে প্লাস।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: #আমি নিজেকে ভেঙ্গে গড়ার চেষ্টা করছি। অবসর সময়ের সবটুকু সময় দিচ্ছি নতুন করে জানার ও শেখার।
তবে আমার ভাষাজ্ঞান এখনো নবীশ পর্যায়ে আছে- আপনি যা বলেছেন, সেটা আমাকে প্রশ্রয় দিয়ে অতিরিক্ত ভালবেসে বলছেন।
পঞ্চাশের পরে শারিরিক কিছু সমস্যা টের পাচ্ছি। কতদিন সুস্থ্য সবল থাকি বলা মুশকিল- তাই নিজের কিছু ইচ্ছা ও সপ্নকে পুরণ করার চেষ্টায় মত্ত ইদানিং।
জৈবিক বিবর্তনের আধুনিক তত্ত্ব এবং নিরপেক্ষ বিবর্তনের তত্ত্ব পৃথিবীতে জীবনের বিকাশে প্রাকৃতিক নির্বাচনের নিষ্পত্তিমূলক ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক করে না। নিরপেক্ষ বিবর্তনের তত্ত্ব প্রাকৃতিক নির্বাচনের তত্ত্বের বিরোধিতা করে না, এটি কেবল সেলুলার, সুপারসেলুলার এবং অঙ্গ স্তরে সংঘটিত প্রক্রিয়াগুলিকে ব্যাখ্যা করে। ঠিক একই ভাবে প্রাণীকূলের চোখ এবং দৃষ্টিশক্তিরও বিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে এবং আরও হবে বলেই আমার ধারণা।
~ আপনার এই ধারনা আমার লেখার থেকে কঠিন হয়ে গেছে - আপনার ধারনার সাথে সহমত।
মূলত যারা জীববিজ্ঞান, প্রাণীতত্ব, বিবর্তনবাদ নিয়ে আগ্রহী তাঁদের কাছে বিষয়টা অবশ্যই রোমাঞ্চকর।
মুল লেখাটা মোটেই কঠিন নয়- সহজে সবার পাঠযোগ্য( নাহলে আমার মত অর্বাচীন বুঝবে কিভাবে)। আমিই মনে হয় স্পেশাল কিছু নিবন্ধ যোগ করে কঠিন করে ফেলছি।
আপনাকে বরাবরের মত সামনের পর্বগুলোতেও সাথে পাব বলে প্রত্যাশা।
১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৮
অপু তানভীর বলেছেন: ভদ্রলোক বড় অদ্ভুত সব যুক্তি দিলেন । তিনি আসলে প্রমান করতে চেয়েছেন যে মানুষ বাদ দিয়ে পৃথিবীর অন্য সব প্রাণী পৃথিবীর পরিবেশের সাথে কতই না চমৎকার ভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে । অথচ আপনি এক এলাকার প্রাণী অন্য এলাকায় নিয়ে যান দেখবে বেশির ভাগই টিকবে না । মানুষই এমন যে সে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই যাক না কেন, মরু ভূমির তপ্ত বালি থেকে এন্টার্কটিকা পর্যন্ত ঠিক ঠিক সারভাইভ করে যাবে ।
প্রতিটা প্রাণী টিকে থাকার তাগিদে নিজে বিবর্তিত হয়েছে । মানুষের টিকে থাকার সব থেকে বড় হাতিয়ার হচ্ছে তার মস্তিস্ক । যেমন ধরেন যে প্রাণীকে সব সময় সূর্যয়ের আলোর নিচে থাকতে হয় সে টিকে থাকার জন্য নিজেকে বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিয়েছে আস্তে আস্তে । অন্য দিকে মানুষ ব্যবহার করেছে নিজের মস্তিস্ক । যদি মানুষের মস্তিস্ক না থাকতো তাহলে সেও নিজের শরীর বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিতো টিকে থাকার জন্য । উট যেমন নিজের শরীরের ভেতরে পানি জমিয়ে রাখতে পারে অনেক দিন পর্যন্ত, কারণ মরুভূমিতে পানির কোন ব্যবস্থা নেই, এই প্রয়োজন থেকে সে এটা শিখে নিয়েছে । কিন্তু মানুষের তো শরীরে পানি জমিয়ে রাখার দরকার নেই । সে বোতল আবিস্কার করেছে যেখানে পানি রাখা যায় তার কেন দরকার পরবে পেটের ভেতরে পানি জমিয়ে রাখার ? দরকার নেই তাই শিখে নাই !
সানবার্নের যে কথাটা লেখক সাহেব বললেন, অনেক মানুষেরই আছে যাদের রোদের নিচে গেলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায় কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকদের দেখুন, তারা ছোট বেলা থেকেই সেই রোদের ভেতরেই মাঠে কাজ করে এসেছে, কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। এখানেও কিন্তু টিকে থাকার তাগিদ !
যদি ব্যাপারটা এমন হত যে মানুষের টিকে থাকার জন্য সূর্যের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকাটা অতি জরূরী তাহলে মানুষও ঠিক ঠিক সূর্যের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকা শিখে নিতো ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: যুক্তির পেছনে যুক্তি আছে তর্কের পেছনে তর্ক!
ড। এলিসের কথা কখনোই শেষ কথা হতে পারেনা। মানুষ বাদে অন্য কোন প্রাণী সানবার্নের স্বীকার হয় কি না সেটা আমি আরেকটা নিবন্ধে এনেছি।
সানবার্নের জন্য ত্বকের রঙ একটা ফ্যাক্টর বলে আমি জানি। আমাদের দেশের কৃষকদের সানবার্ণ হয়না এটা ভুল কথা- তাদের চামড়া নিশ্চিতভাবে পুড়ে যায়- তবে ত্বকে অধিক হারে মেলালিনের উপস্থিতির জন্য সম্ভবত হাড়ের ক্ষয় ও ক্যান্সার আক্রান্ত হয় কম।
তিনি সানবার্ণ থেকে ত্বকের ক্যান্সারের প্রাধান্য দিয়েছেন বেশী। ভদ্রলোক সাদা চামড়ার হবার কারনেই বোধ হয় নিজেদের সমস্যার অধিক গুরুত্ত্ব দিয়েছেন।
এভাবে টিকে থাকাকে তিনি টিকে থাকা বলতে চাননা। সামনের পর্বগুলোতে সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা আছে। বইটা খুব বেশী সহজ নয়। আমরা যত সহজভাবে তাঁর ভুল ধরার চেষ্টা করছি- আদপে সেটা তত সহজ হবে না। তিনি সবকিছু নিয়েই প্রচুর পড়াশুনা করেছেন।
মস্তিস্ককে তিনিও প্রাধান্য দিয়েছেন।
আপনার অপেক্ষায় ছিলাম ভ্রাতা। কোথায় হারিয়ে গেলেন বেশ কিছুদিন?
* এই যুক্তি তর্কের কিছু অংশ সময়মতো মুল লেখার সাথে যোগ করা হবে।
১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৬
নতুন বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: ভদ্রলোক বড় অদ্ভুত সব যুক্তি দিলেন । তিনি আসলে প্রমান করতে চেয়েছেন যে মানুষ বাদ দিয়ে পৃথিবীর অন্য সব প্রাণী পৃথিবীর পরিবেশের সাথে কতই না চমৎকার ভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে । অথচ আপনি এক এলাকার প্রাণী অন্য এলাকায় নিয়ে যান দেখবে বেশির ভাগই টিকবে না । মানুষই এমন যে সে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই যাক না কেন, মরু ভূমির তপ্ত বালি থেকে এন্টার্কটিকা পর্যন্ত ঠিক ঠিক সারভাইভ করে যাবে ।
আমার এই যুক্তিটা খুবই পছন্দ হয়েছে।
সব প্রানী work hard নীতি অনুসরন করে বেচে আছে তাদের বিবর্তন সেই অনুযায়ী হয়েছে।
মানুষ মস্তিস্ক খাটিয়ে work smart নীতি অনুসরন করেছে তার ফলে মানুষ কিন্তু প্রতিকুল আবহাওয়ায় শরীরের বিবর্তনের মধ্যদিয়ে যায় নি বরং নতুন জিনিস আবিস্কার করে মানুষ নিজের মতন বেচে আছে তার পছন্দের পরিবেশ তৌরি করে। তাই মানুষের শারিরিক বিবর্তন অন্য প্রানীর মতন হয়তো হয় নি।
কিন্তু একটা ভাবনায় মনে হয় যে মানুষ ভীন গ্রহ থেকে এসেছে তা হলো, মানুষই পৃথিবি ধংষ করে ফেলছে, মানুষ সরিয়ে নিলে আবার পৃথিবি ক্ষত সারিয়ে অন্য সকল প্রানী নিয়ে আরো ভালো থাকবে। অন্য কোন প্রানী পৃথিবিতে মানুষের মতন এতো গভীর ক্ষত/ আঘাত করছে না যেটা এই গ্রহের অস্থিস্তের জন্য হুমকি।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: অপু তানভীর পড়াশুনা করা বুদ্ধিমান মানুষ। তাঁর যুক্তিকে হেলে-ফেলা করার উপায় নেই।
মানুষের মস্তিস্ক ও স্মার্টনেসের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন মিঃ এলিস।
প্রথমে তিনি আলোচনা করছেন- মানুষ অন্যান্য প্রানীদের তুলনায় কি কি বিশেষ সমস্যার সম্মুখীন হছে পৃথিবীতে। এগুলো মোকাবিলা কেন মানুষকে করতে হচ্ছে যখন অন্য প্রাণীর নয়? কেন মানুষ মস্তিস্কের বিনিময়ে বাকি সব প্রাকৃতিক অস্ত্র হারিয়ে ফেলল?
আসুন আমরা সামনে এগোই। আলোচনা সমালোচনা করে একসময় আমরা দারুন একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব বলে আশা রাখছি। শিক্ষনীয় অনেক কিছুই খুঁজে পাব একসময়।
ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: অনেক ভালো লিখছেন । একটা ব্যাখ্যা নিয়ে সংশয় আছে। জিরাফের জিহ্বা কালো হবার একমাত্র কারণ কি কিসানবার্ন ? কোথায় যেন শুনেছি জিরাফের জিহ্বায় রক্তনালী কম থাকে এজন্য তাদের জিহ্বা কালচে নীল হয়।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: না না সানবার্ণ থেকে রক্ষা করার জন্য সামনের অংশটুকু কালো হয় গবেষনায় এমন উঠে এসেছে।
রক্তনালীর বিষয়টা মার জানা নেই।
অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।
আমরা এমন প্রশ্ন করে যদি বিজ্ঞানসম্মত উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি তবে কতই না ভাল হয়।
১৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩
জিকোব্লগ বলেছেন: মানুষ যদি অন্য গ্রহ থেকে এসে থাকে, এখন কেন অন্য গ্রহ থেকে মানুষ আসতেছে না ?
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এটার যথাসাধ্য ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা তিনি করেছেন। আমাদের মনে যতগুলো প্রশ্ন আসে তাঁর বেশীরভাগ, তাত্ত্বিক, হাইপোথেসিস না হয় বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা তিনি দেবার চেষ্টা করেছেন। শেষ দিকের ব্যাখ্যায় এগুলো পাবেন।
ধন্যবাদ- পরের পর্বগুলোতে সাথে থাকার আহ্বান রইল।
২০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২০
জিকোব্লগ বলেছেন:
এইভাবে চিন্তা করলে গাধা গরু ছাগল মুরগি ইত্যাদি সকল প্রাণীরাও উহাদের লিমিটেশন
নিয়ে চিন্তা করে বলবে, আমরাও এই গ্রহের প্রাণী না, আমাদেরকেও অন্য গ্রহ থেকে এই
গ্রহে জোড়ায় জোড়ায় আনা হয়েছে। উহাদের ব্লগ লেখার ক্ষমতা থাকলে উহারাও ব্লগে
এসে উহাদের আজগুবি চিন্তাভাবনা জানিয়ে যেত।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার উত্তরে সন্তুষ্ট হননি?
অবশ্যই এটা আজগুবি চিন্তা।
ডারউইনকেও একসময় বড় বড় চিন্তাবিদ দার্শনিক ও বিজ্ঞানী পাগল ঠাওরাতো। তাকে নিয়ে ফরাসীর সবচেয়ে নামকরা পত্রিকা
ভয়ানক ব্যাঙ্গাত্মক কোলাজ ক্যারিকেচার করেছিল!
গরু, মুরগী ওদের ব্লগ লিখার ক্ষমতা থাকলে হয়তো এমন কিছু বললেও বলতেও পারত
২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম বলে মানুষ স্বর্গিয়।
সাত আসমানের উপর স্বর্গে তৈরি। ঈশ্বর নিজ হাতে মাটি দিয়ে তৈরি করেছেন। স্বর্গে বাস করার জন্যই বিশেষভাবে তৈরি হয়েছিল। এরপর একটি দুর্ঘনটার পর ঈশ্বর রাগান্নিত হয়ে মানুষকে পৃথিবিতে নিক্ষেপ করেছেন। সেই ঘটনা না ঘটলে মানুষ স্বর্গেই থাকতো।
কিন্তু বিজ্ঞান বলে মানুষ স্বর্গিয় বা মাটির তৈরি নয়। এলিয়নও নয়।
মানুষ পৃথিবীর অন্যান্ন জীবব্জন্তুর মতই বিবর্তনের চক্রে উদ্ভব একটি প্রানী।
অন্যান্ন প্রানীর মতই কইলজা গুর্দা হার্ট লাং রিপ্রডাক্টিভ জীবন চক্র সব একই ধরনের।
মানব ইনসুলিন তৈরি করা হয় গরুর দেহে, শুকরের অংগ প্রত্যংগ মানব দেহে লাগছে
কোন ঔসধ বা টিকা আবিষ্কারের প্রয়জন হলে প্রথমে ইঁদুরের বা বাঁদরের উপর টেষ্ট করে দেখে এরপর মানুষ ব্যাবহার করে। মানুষ প্রানী না হয়ে এলিয়েন বা আসরাফুল মকলুকাত স্বর্গীয় প্রডাক্ট হয়ে থাকলে এসব কখনোই সম্ভবই হতো না।
একটি বই লিখে বিজ্ঞানী হওয়া যায় না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: তিনি সম্ভবত নিজেকে বিজ্ঞানী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেননি।
তিনি কিছু তত্ত্ব তথ্য যুক্তি আর অনুমান দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন মাত্র। আমার মনে হয়না নিজেকে তিনি বা নিজের মতবাদকে একেবারে শতভাগ বিশুদ্ধ বলেছেন। তিনি বারবার বিজ্ঞানকে এই বিষয়ে গবেষনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তাঁর যুক্তি মতবাদে ধর্মের সাথে বিশাল ফারাক আছে। আরো কিছু পর্ব পড়ার পরে সেটা ধীরে ধীরে উপলব্ধি হবে।
মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ডি এন এর মিল ও পার্থক্য নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাঁর যুক্তি হচ্ছে সমগ্র ইউনিভার্সে ছড়িয়ে থাকা সব প্রাণ এর ডি এন এর উৎস একই। ইউনিভার্সের অন্য কোথাও যদি কোন প্রাণের অস্তিত্ত্ব আবিস্কৃত হয় কখনো দেখা যাবে আমাদের ইদুর বিড়ালের ডি এন এর সাথে তাদের ডি এন এর মিল আছে।
মুল যুক্তিটা খারাপ মনে হয়নি আমার কাছে। আপনি কি বলেন?
২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান,
আমরা কোথা থেকে এলাম ?
এই প্রশ্নের জবাব জানার চেষ্টা আমার সেই শৈশব থেকে । আর এই জানার জন্য এ সম্পর্কিত যা পাই তাই পড়তে চেষ্টা করি।
তবে , এই পর্ব পড়ে আমার ** "শিরোনামের সাথে লেখার কিছুটা অমিল " - পরিলক্ষিত হয়েছে বলে মনে হয় ।
এই পর্বের প্রেক্ষাপটে শিরোনাম হয়ত হতে পারত** " অভিযোজন - আমরা কিভাবে পৃথিবীতে বেঁচে/টিকে আছি"
আবার , শিরোনাম অনুসারে শুধু মানুষকেই নির্দেশ করে তবে বিশদ আলোচনায় পৃথিবীর সব জীবন্ত প্রাণী নিয়ে। তবে যাই হোক না কেন, চিন্তাশীল মানুষের জন্য এ এক জরুরী প্রশ্ন - আমরা কোথা থেকে এলাম ? এবং এর জবাব খোজার চেষ্টা করা। (**লেখা সঠিক আছে, আমি শুধু আমার ধারনার কথা বললাম। এ নিয়ে আপনি কিছু মনে করবেন না ভাইজান )
অনুবাদকের নাম " শেরজা তপন " ।
এ নাম পূর্বে কোথায় যেন শুনেছি বলে মনে হয় তবে সঠিক মনে পড়ছেনা।
যদি আমার প্রিয় "বাবনিকে'র" লেখক শেরজা তপন ভাই হয়, তবে ত এক কপি সংগ্রহে রাখতেই হবে।
আপনি একটু নিশ্চিত করবেন , আপনিই তিনি কিনা?
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি এটা এখনো বই আকারে বের করার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা চালাইনি - তবে ইনি সম্ভবত তিনিই
মুল বই ইয়ের প্রচ্ছদ ব্যবহার করে একটুখানি এডিটিং করা।
মুল বই এর নাম' হিউম্যান আরে নট ফ্রম ওয়ার্ল্ড'। ওই শিরোনামটে আমিই দিয়েছি' আমরা কোথা থেকে এলাম'?
বারবার শিরোনাম পরিবর্তন করলে বে কায়দায় পড়ে যেতে পারি।
তবে আপনার পরামর্শটা মনে গেঁথে রাখলাম। আমাদের জলদস্যু ভাই ও সে কথা বলেছেন।
ঠিক আছে এটারই শিরোনাম পালটে দিই।
২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান সরি ,
আবার আসলাম , আপনার সাথে একটি বিষয় শেয়ারের লোভ সামলাতে না পেরে।
আপনার প্রশ্ন " আমরা কোথা থেকে এলাম " ---------------
আর আমার জিজ্ঞাসা,"পৃথিবীতে মানুষের শুরু কিভাবে হয়েছে? এ ব্যাপারে ধর্ম ও বিজ্ঞানেরই বা কি মত" -
এর প্রেক্ষিতে আমার একটু প্রয়াস ছিল তা আপনার সাথে শেয়ার করার লোভ সমালাতে না পারার অপরাধ মার্জনীয়। লিংক - Click This Link
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ব্লগ ঘুরে এসেছি
২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
জিকোব্লগ বলেছেন:
গাধা গুরু ছাগল অন্যান্য প্রাণীর অনেক রোগ হয় যা উহারা নিজেরা
ভালো করতে পারে না। তখন উহারাও বলবে উহারাও এমন গ্রহ থেকে
এসেছে যেখানে উহাদের কোনো রোগ-ই হত না। খাদ্য শৃঙ্খলার বিভিন্ন
স্তরের প্রাণীরা বলবে উহারাও এমন গ্রহ থেকে এসেছে যেখানে উহাদের
কেউ খেত না।
উত্তরে পাঠক সন্তুষ্ট অসন্তুষ্টর প্রশ্ন না , বিজ্ঞান নিয়ে কথা বললে আপনাকে
যুক্তিতে আসতে হবে। যুক্তি প্রমাণহীন কথাকে বিজ্ঞান ডাস্টবিনে ফেলে
দিয়েই সামনে এগোয়। এতে কেউ অসন্তুষ্ট হলেও কিছু করার নাই।
এলিস সিলভার লোকটা মানুষের অজানাকে আজব কাহিনীতে রূপান্তর
করে বই প্রকাশ করে বেশ কিছু টাকা কামিয়ে নেওয়ার ধান্ধা করছে।
এটাই ঐ লোকটার বইয়ের সারংশ।
ঐ লোকটার চামড়া সাদা, নাম ওয়েস্টার্ন ও লোকটা ওয়েস্টার্ন কালচারের
বলে কেউ কেউ উহার বই গোগ্রাসেও গিলছে। একই বই কালো আফ্রিকান বা
বাদামি এশিয়ান লেখলে কেউ এটা ছুঁয়েও দেখতো না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: যাউজ্ঞা মনে করেন কল্প কাহিনী পড়ছেন~ তাইলেই খাল্লাস
এই ফাঁকে ভাল মন্দ কিছু জ্ঞানার্জন হচ্ছে তো।
ঐ লোকটার চামড়া সাদা, নাম ওয়েস্টার্ন ও লোকটা ওয়েস্টার্ন কালচারের
বলে কেউ কেউ উহার বই গোগ্রাসেও গিলছে। একই বই কালো আফ্রিকান বা
বাদামি এশিয়ান লেখলে কেউ এটা ছুঁয়েও দেখতো না।
~এইটা খানিকটা ঠিক বলেছেন। সহমত না হয়ে উপায় কি? তবে সবাই সেটা গোগ্রাসে গিলেছে কিনা সেটা আমি নিশ্চিত নই।
২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার সাসুমের দৃষ্টিতে এটা একটা আবর্জনা!
সুপ্রিয় ও সুজন ব্লগার শেরজা তপন, আপ্নার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি আমার কোথাও আপনার এই টপিকের লিখাকে কখনোই আবর্জনা বলিনাই।
বরং, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছি এমন একটা চমৎকার ব্যাপার নিয়ে ব্লগ লিখার জন্য, অনুবাদ করার জন্য এবং সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার দরবারে আপনার আরো এরকম অনুবাদের তৌফিক দান করার জন্য দোয়া করেছি।
আমার প্রতি এ মিথ্যে অপবাদে মোনে কুব কস্ট পেয়েছি
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তাহলে মন্তব্যগুলোও পড়েছেন ব্রো
সব কথা কি মুখে বলতে হয়?
বরং, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছি এমন একটা চমৎকার ব্যাপার নিয়ে ব্লগ লিখার জন্য, অনুবাদ করার জন্য এবং সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার দরবারে আপনার আরো এরকম অনুবাদের তৌফিক দান করার জন্য দোয়া করেছি।
~আহা আপনার দোয়ায় যদি একটু চিপা/চুপা দিয়ে গুঁতা কান্নি খাইয়া স্বর্গের দ্বার অব্দি পৌছাইতে পারতাম!!!!
দয়া করে আপনি নিয়মিত এইভাবে দোয়া-নসিহত করে যান।
জাযাকাল্লাহ খায়রান!
২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৮
অশুভ বলেছেন: লেখক সাহেবের যুক্তিগুলো খুব খোঁড়া মনে হচ্ছে। আরইউ যুক্তিগুলো অনেকটা খন্ডন করে ফেলেছেন। অপু ভাইয়ের সাথে আমিও একমত। প্রকৃতি বলেন আর ঈশ্বর বলেন, তিনি মানুষকে সবচেয়ে বড় সম্পদ বুদ্ধি দিয়েছেন। যাতে করে যেকোন প্রতিকূল পরিবেশে আমরা টিকে থাকতে পারি। আমাদের বুদ্ধি দিয়ে পোষাক বানিয়ে সূর্যের প্রতিকূলতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। খরগোশ, কুমীর বা অন্য প্রাণীদের পোষাক বানানোর মত বুদ্ধি বা শারীরিক ক্ষমতা কোনোটাই নাই। হয়তো এজন্য তাদের প্রাকৃতিকভাবেই এসব শীল্ড/শেল্টার আছে।
ব্লগের পিসটা আঠার মতো লেগে আছে মনে হচ্ছে। শীতল বাস সার্ভিসের হেল্পার না হলে এই ইনফরমেশন পাওয়া দুরুহ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: যদি খোড়া যুক্তি হয় তবে আমাদের ব্লগারেরা সি সকল যুক্তির চ্যালেঞ্জ করার মত বুদ্ধি ধরেন।
আমিতো অনেক কিছুই জানি না বা একেবারেই জানতাম না। এই লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন সোর্স থেকে কত কিছু জানলাম।
এখন ব্লগারদের মারফৎ আরো অনেক অনেক কিছু জানছি।
হতে পারে শেষ মেষ এলিসের বইটা ভাগাড়ে ফেলে দিতে হবে!!!
কোন সমস্যা নেই- তাকে গুতা ধাক্কা সামলানোর ক্ষমতা আছে বলে আমি মনে করি।
মানুষের বুদ্ধি একটা বড় ফ্যাক্টর। সেখানেই এলিসের বড় প্রশ্ন। প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য কোন প্রাণীর কেন এত বুদ্ধিমত্তা দরকার? প্রকৃতির অস্ত্র পোষাক থাকলে আমাদের এত বুদ্ধি খরচ করতে হোত না।
যদি কোন বিজ্ঞানী বলেন, পাথরের ব্যবহার,আগুন আবিস্কার, লোহা আবিস্কার, ভাষা,সুর ,তাল, ছন্দ লয়, সব শিল্প,মানুষের সব আবিস্কার, নিজের তৈরি ফ্রান্সটাইনের হাতে নিজের ধ্বংস ডেকে আনা- এর পেছনে প্রকৃতির ব্যাপক একটা প্লানিং রয়েছে- তাহলে বিবর্তনবাদীরা সদলে হামলে পড়বে।
২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
বইটির প্রনেতা এপর্য্যন্ত যে সব যুক্তি দিয়েছেন তা ধোঁপে টেকার মতো নয়।
সূর্য্যের আলো বা তীব্র আলোর যুক্তি দিয়ে প্রানী সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তা মনে হয় শরীরবিদ্যাকে অগ্রাহ্য করেই। কারন যে চোখ দিয়ে মানুষ দেখে, তেমন চোখ অন্য প্রানীদের নেই। কোন প্রানী কিভাবে দৃশ্যকে ধারণ করে বা সোজা কথায় বললে , কিভাবে দেখে তা নির্ভর করে তাদের চোখের আকৃতি আর গঠন দিয়ে। এ গঠনের কারনেই মানুষের দৃষ্টি সীমানা আনুভূমিক ( হরাইজন্টাল) ১২০ ডিগ্রী আর উলম্বভাবে ১৫০ ডিগ্রী। সেখানে বেড়াল কুকুরের “ফিল্ড অব ভিশন” ২০০ ডিগ্রী। আবার টিকটিকি প্রজাতির ক্যামেলিয়ন তাদের চোখের গঠন এব্ং অবস্থান এমন যে তারা ৩৬০ ডিগ্রী পর্য্যন্ত দেখতে পারে। এছাড়া রয়েছে চোখের রেটিনা যেটিকে ক্যামেরার ‘ফিল্ম”এর সাথে তুলনা করা হয়। । রেটিনাতে থাকে “রড”ও “কোন” নামের দু’ধরনের স্নায়ু কোষ। “রড”গুলি স্বল্প আলোতে দৃশ্যকে ধারনে সক্ষম আর “কোন”গুলি বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘের আলোকে সনাক্ত করে এবং বিভিন্ন রঙিন দৃশ্য ধারনে সক্ষম। মানুষের চোখে আনুমানিক ১২০ মিলিয়ন “রড” এবং ৬ মিলিয়ন “কোন” রয়েছে। বিভিন্ন প্রানীদের চোখের রেটিনাতে এই কোষগুলির সংখ্যা তারতম্য ঘটে প্রচন্ড ভাবে। সেকারনেই কোন কোন প্রানী রাতে ভালো দেখতে পায় , কোন কোন প্রানী রাতে দেখতে পায়না। কেউ দৃশ্যকে রঙিন দেখে, কেউ দেখে ঝাপসা- সাদাকালো । যেমন কুকুর শুধু নীল আর হলুদ রঙ চিহ্নিত করতে পারে আর মানুষ পারে সব। কুকুর, বেড়ালের চোখে “রড” এর সংখ্যা মানুষের চেয়ে বেশি তাই কুকুর-বেড়াল রাতের বেলা্ও ভালো দেখতে পায়। এর পরে্ও চোখে রয়েছে “আইরিশ” নামের একটি কপাটিকা যা চোখে আলো প্রবেশের পরিমান নির্ধারণ করে। চোখে তীব্র আলো পড়লে আইরিশ সংকুচিত হয়ে আলো প্রবেশে বাঁধা দেয়। আবার অন্ধকারে প্রসারিত হয়ে যায়।
অক্ষিগোলকের ( আই বল) আকৃতির কারনে্ও কোন কোন প্রানী দূরের জিনিষ্ও দেখতে পায় আবার কোন কোন প্রানী দূরের জিনিষ দেখেনা। যেমন ঈগল দুই মাইল দূরের জিনিষ্ও দেখতে পায় যেখানে মানুষ পারে মাত্র কোয়ার্টার মাইল দূরের জিনিষ দেখতে । দৃষ্টির কথা আর তার তেলেসমাতি বুঝতে চোখের বিভিন্ন শারীরবৃত্তিয় জিনিষগুলিকে এড়িয়ে যা্ওয়ার সুযোগ নেই মোটে্ও। লেখক তার নিজের ধারনটাই তুলে যা বলেছেন তা সম্ভবত বিজ্ঞান সম্মত নয়। যেমন বলেছেন, দ্রুত যৌবনপ্রাপ্তির কারনেই বৈদ্যুতিক আলোতে্ও খরগোশ মানিয়ে নিতে পারে।
তাই আমি কম দেখি বা আলোতে আমার চোখ ঝলসে যায় বলেই আমি “পৃথিবীর কেউ নই” এই ধারনা ঠিক যুক্তিসম্মত মনে হচ্ছেনা।
সহ ব্লগার “আরইউ” , “সাড়ে চুয়াত্তর”, “অপু তানভীর” এরা বেশ জোরালো যুক্তি সহকারে লেখকের বক্তব্য খন্ডনের প্রয়াস করেছেন। হাসি উদ্রেকের মতো হলে্ও “জিকোব্লগ” এর কথা একেবারেই উড়িয়ে দেয়ার নয়।
যাই হোক, এই অসমাপ্ত লেখা পড়ে চুড়ান্ত মতামত দেয়া্ও যুক্তিযুক্ত যে নয়, তা্ও মাথায় রাখছি!
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১১
শেরজা তপন বলেছেন: দুর্ভাগ্য আমার এর আগে প্রউত্তরটা প্রায় শেষ করে ফেলেছিলাম সেই মূহুর্তে বৈদ্যুতিক গোলযোগে হারিয়ে ফেললাম সব
যাহোক আপনার চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত ও তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
আমি মিঃ এলিসকে ডিফেন্স করছি না তবে উনি বলতে চেয়েছেন; খরগোশরা দ্রুত যৌবনপ্রাপ্তি লাভের ফলে মানুষের এক প্রজমের ফারাকে তাদের পঞ্চাশ বা ততোধিক প্রজন্ম পার করে। সেই কারনেই মানুষের থেকে অনেক দ্রুত এরা প্রকৃতি ও পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে।
আপনি যদি প্রশ্ন করেন তবে হাতির ব্যাপারে কি হবে? ~ এর উত্তর হবে সিম্পলি আমি জানিনা।
নীচের ছবিটা একটু লক্ষ্য করুন(এডিটিং টা আমি করেছি);
এই ধরনের উঁচু আই শেড বা আই ব্রো সরাসরি সূর্যালোক থেকে চোখকে বাচানোর জন্য খুব প্রয়োজন ছিল-না আমাদের নিকটবর্তী পুর্বপুরুষদের ছিল। কিন্তু আমরা পুর্ব আফ্রিকায়( মুলত কেনিয়ায়- যেখানে দারুন প্রখর রৌদ্র কিরণ থাকে) বিবর্তিত হয়ে কেন সেটা হারালাম। যেখানে নিয়েনডার্থালেরা( যাদের সাথে আধুনিক মানুষের ক্রস বিডিং হয় বলে ধারণা করা হয়- একথা এলিস ও স্বীকার করেছে) মেরু ও শীত প্রধান অঞ্চলে লক্ষ বছর বাস করেও হারায়নি। এটা একটা বড় প্রশ্ন- যেটা পরে করা হবে।
এখানে নিবর্হণ নির্ঘোষ-এর মন্তব্যটা দেখতে পারেন।
আমাদের আলোচনা যুক্তি তর্ক তত্ত্ব ও অথেনটিক তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে দারুন একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। আমি দারুন উদ্দীপ্ত সবার সতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে।
আপনার আরো মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম
২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভিন্ন পশু সান বার্নের শিকার হয়। এই লিঙ্কটা দেখেন । উল্লেখযোগ্য অংশ আমি উদ্ধৃত করছি;
“Most any animal that has exposed skin is susceptible to sunburn,” says the biologist. Whereas birds are protected by feathers and reptiles by scales (if reptiles overheat, they will die before sunburn is a factor), mammals such as elephants and rhinos, even freshly shorn sheep, as you might imagine, are particularly vulnerable. Occasionally a furry mammal gets sunburned too. “It depends on how dense their fur is,” says Barthel. He mentions pigs that have coarse hair on their backs as an example. “If they are out in the sun a lot, they’ll burn,” he says.
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
এই বিষয়ে আমার দেয়া বিশেষ নিবন্ধ-২ তে কিছু উল্লেখ আছে। আপনি সেটা ফের একটু পড়বেন প্লিজ।
অন্য প্রাণিদের সানবার্ণের কথা এলিস সাহেবও অস্বীকার করেননি। তিনি এই বইটা পাবলিশ করেছেন ২০১৯ সালে ।
আমার ধারনা বিজ্ঞানের আধুনিক গবেষণা ও আবিস্কার সন্মন্ধে তিনি বেশ ওয়াকিবহাল!
তিনি মুলত বলতে চেয়েছেন, দীর্ঘসময় সানবার্ণের ফলে স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকির বিষয়ে! যেটা অন্যান্য প্রাণীদের বিরল।
২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কুকুর সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে কুকুরের চোখের ক্ষতি হতে পারে। এই সাইটটা একটা পেট কেয়ারিং সাইট। । এখানে লেখা আছে;
Dogs' eyes are sensitive just like peoples' eyes, and often, they're from the same causes. One of the biggest issues, as we've been discussing, is sensitivity to the sun. Dogs aren't likely to just blatantly stare at the sun (they have instincts, after all), but they also won't understand that staring at the sun causes eye damage. বিস্তারিত জানতে সাইটের লেখা পড়তে হবে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: এই আর্টিকেলটা আমি আগেই পড়েছিলাম। এটা কর্ণিয়ার এক কর্নারে হয়।
এটা বেশ বিরল একটা ব্যাপার। কিন্তু আপনি দেখুন প্রতিদিন কত লক্ষ লক্ষ লোকের চোখের ছানি অপারেশন করতে হচ্ছে- কত লক্ষ মানুষ গ্লুকোমায় (ক্যান্সার) আক্রান্ত হচ্ছে। সেই তুলনায় সেটা একেবারেই নগন্য।
৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সান এক্সপোজার থেকে প্রানিদের স্কিন ক্যানসার হতে পারে।
PET SKIN CANCER AND SUNBURN ।
উল্লেখ যোগ্য অংশ;
Sun exposure plays a role in certain skin cancers, especially if your pet has light skin and fur.
SKIN CANCER - CAN PETS GET IT TOO?উল্লেখযোগ্য অংশ;
If your pet loves to bask in the sun there is an easy way to help protect them from the suns harmful rays. Apply pet sunscreen - there are numerous sunscreens specifically formulated for pet skin.
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ত্বকের উপর ঘন ফার, আঁশ বা পালক না থাকলে যে কোন প্রাণীর ক্যান্সার হবার ঝুকি থেকে যায়। আমি একটা ছবি দিচ্ছি দেখেন।
বিরল রোগে ফারহীন এই শিম্পটা দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে;
হাতি, শুকুর, তিমি, জলহস্তি, গন্ডার যদি স্কিন প্রটেকশোনের কোন ব্যবস্থা না নেয় তবে তাদেরও এমনটা হতে পারে।
৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পড়লাম । অনেকটাই জানলাম । আর একটু একটু অনুধাবন করছি । তবে প্রশ্নও জাগছে মনে । বিবর্তনবাদ যদি মেনে নিই তবে তো বলতে হয় আমাদের পূর্বজাতিরাও রোদ ঝড় থেকে বাঁচতে পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন । তার প্রমাণ তো আমরা পাচ্ছিই বিভিন্ন গুহা থেকে তাদের ফসিল পাওয়ার কারণে । তারা কেন আচমকা এমন করে রোদ থেকে বেঁচে থাকতে চেয়েছে ? অণ্য প্রাণীদের এই ভাবনা না এসে কেবল মানুষের পূর্ব পুরুষদের কেন এই চিন্তা এলো ? তাদের অসুবিধা ছিল বলেই তো এসেছে তাই না ?
অভিযোজনের কোন প্রক্রিয়ায় না টিকে থাকতে পেরেই কী এরা রোদ থেকে বেঁচে ফিরতে চেয়েছে ? আর তাদের ক্ষমতা ছিল না বলেই কী এরা অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা হয়ে বেড়ে উঠেছে ? কিন্তু কেন সগোত্রীয়দের এমন পরিবর্তন হলো না ?
আর সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির কারণে আমাদের কৃষকদের যে কোন ক্ষতি হয় না এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না । কারণ আমরা তো সেই ডেটা সংগ্রহ করি নাই । গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেক রোগের মাহামারি আকার ধারণ না করলে প্রকাশ পায় না । তাই হচ্ছে না এটা নিশ্চিত না ।
প্রতিটা প্রাণীই বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে মানুষের যেহেতু অন্য প্রাণীর মত ক্ষমতা নেই তাই সে এত উদ্ভাবন করেছে কিন্তু কেন সমগোত্রীয় হয়ে মানুষের কেবল এত দুর্বলতা ?
সামনে হয়তো আমরা আরোও কিছু পাচ্ছি । অপেক্ষায় রইলাম । আল্লাহ চায় তো লেখা পাব ও পড়তে পারব !!
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিটা প্রাণীই বেঁচে থাকার সংগ্রাম করে মানুষের যেহেতু অন্য প্রাণীর মত ক্ষমতা নেই তাই সে এত উদ্ভাবন করেছে কিন্তু কেন সমগোত্রীয় হয়ে মানুষের কেবল এত দুর্বলতা ?
~ এ যুক্তিটা ফেলে দেবার মত নয়। তবে অপু তানভীরও খারাপ বলেননি।
আর সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির কারণে আমাদের কৃষকদের যে কোন ক্ষতি হয় না এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না । কারণ আমরা তো সেই ডেটা সংগ্রহ করি নাই । গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেক রোগের মাহামারি আকার ধারণ না করলে প্রকাশ পায় না । তাই হচ্ছে না এটা নিশ্চিত না ।
-সারা বিশ্বের কৃষকেরা রৌদ্রজ্জল দিনে মাথার উপরে বড় টুপি বা মাথালি দিয়ে কাজ করেন- যেটা মাথা তো বটেই কাধ ও শরিরের অনেক অংশে ছায়া ফেলে। আমাদের দেশে দরিদ্র কৃষকের কাধেও একটা গামছা থাকে। এছাড়া এদেশের কৃষকদের ত্বকে মেলালিনের উপস্থিতি বেশী থাকার জন্য স্কিন ক্যান্সারের ঝুকি কম। ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে খবর নিয়ে দেখেন এদের ত্বকে ক্যান্সার পাওয়া যায় কি না? আর বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এরা এরা খোস পাঁচড়া বলে পাত্তা দেয় না।
আপনার কথার ও যুক্তি আছে।
যুক্তি তর্ক এভাবে জমে উঠলে ভাল লাগে। অনেক ধন্যবাদ।
৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
৩৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি পশুপাখির চোখের ক্ষতি করতে পারে। এই লিঙ্কটা দেখুন;
Effect of ultraviolet radiation on vertebrate animals: update from ethological and medical perspectives
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার অনুমতি না নিয়ে দু'য়েকটা লিঙ্ক একের অধিকবার এসেছে দেখে ডিলিট করে দিয়েছি। স্যরি
এটা দারুন একটা তথ্য। ছোট্ট করে একটু অনুবাদ করে দিতে পারবেন- তবে আমি যুক্ত করে দিব মুল লেখার সাথে।
৩৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লিঙ্কগুলি দিতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। মুঝে দিয়ে ভালো করেছেন। আমি নিবন্ধটার সারসংক্ষেপটা অনুবাদের চেষ্টা করেছি। ভালো হয়নি হয়তো। আপনি দরকার হলে পরিবর্তন করে নিবেন। বাংলা অনুবাদ নীচে দিলাম।
‘ফটো কেমিক্যাল এবং ফটো বাইওলজিকাল বিজ্ঞান’ নামক সাময়িকীর ২০২০ সালের ৬ নং ইস্যুতে একটা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধটির নাম;
‘মেরুদণ্ডী প্রাণীর উপর অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরনের প্রভাবঃ নৈতিকতা এবং স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে হাল নাগাদ তথ্য’
নিবন্ধটির সারসংক্ষেপঃ
মানুষের দ্বারা পালিত অনেক প্রাণীকে ঘরের মধ্যে রাখা হয় যেন ঐ প্রাণীগুলি বন্য প্রাণীর দ্বারা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত না হয় অথবা তাদেরকে সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশের সুবিধা দেয়ার জন্য অথবা প্রাণীগুলির মালিকের জীবনাচরণের কারণে। যাইহোক, প্রাণীর দৃষ্টিশক্তি, ভিটামিন গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, আচরণ, মনস্তাত্ত্বিক ব্যাধি এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরনের প্রামাণ্য প্রভাব আছে। অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণকারী বাতি বাজারে পাওয়া যায় এবং ঘরে পালিত প্রাণীর উপর এই বাতির প্রভাব নিয়ে তথ্য প্রমাণাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। এই নিবন্ধে পশু চিকিৎসা এবং নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে মেরুদণ্ডী প্রাণীর উপর অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরনের প্রভাব সংক্রান্ত প্রকাশিত তথ্য এবং প্রাণিজগতে অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব পরিমাপের পদ্ধতির পর্যালোচনা করা হয়েছে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: কষ্ট করার জন্য কৃতজ্ঞতা! আমি একটু কাট ছাট করে সংযুক্ত করে দিব। কিন্তু সরাসরি সুর্যের আলোর অতিবেগুনী রশ্মির ইফেক্ট নিয়ে কোন গবেষণা হয়নি এখনো?
~মানুষের দ্বারা পালিত অনেক প্রাণীকে সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখার জন্য অথবা প্রাণীগুলির মালিকের জীবনাচরণের কারণে-সেই সকল প্রাণীর দৃষ্টিশক্তি, ভিটামিন গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, আচরণ, মনস্তাত্ত্বিক ব্যাধি এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরনের প্রামাণ্য প্রভাব আছে। অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণকারী বাতি বাজারে পাওয়া যায় এবং ঘরে পালিত প্রাণীর উপর এই বাতির প্রভাব নিয়ে তথ্য প্রমাণাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন।
৩৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩০
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: ধইরা নিলাম আমরা হাউকাউ-৪২০ গ্রহ থিকা আইছি। কথা হইতাছে আমাগো স্পেসশীপটা তো সেইরকম মেটালের হইবো, এত দুরের গ্রহ থিকা আইছি, কড়া মালের বানানি স্পেসশীপ হইবো। এখন এই স্পেসশীপ ভাঙারির দুকানে বেচলো কারা? আর বেইচা যে টেকা পাইছে ঐখানে আমার ভাগ কৈ? আমার ভাগের টেকা না পাওয়া পর্যন্ত আমি এই থিউরী মানমু না। আমারে আগে আমার ভাগের টেকা দিতে হইবো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই তো ওই যন্ত্রটা কোন ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি হইল???
তবে কি আগে ভাঙ্গারীর দোকান হইছে তারপরে মানুষ আইছে?? ব্যাফক চিন্তার বিষয়!!
তবে এলিস ভাই কইছেন- ওরা নাকি আমাগেরে শীপ থেকে লাত্থি দিয়া জঙ্গলে ফেলায় দিয়া চইল্যা গ্যাছে
তারপরেও ওই স্পেসশীপের উপর আমাগোরে দাবি ছারুম না।
৩৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৭
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
প্রথম পর্বের চেয়ে এই পর্বের আলোচনা যথেষ্ট দৃঢ়তার সাথে এগুচ্ছে। দেখা যাক সামনের আলোচনায় কোন বিষয়গুলো আসে। এই পর্যন্ত ড.এলিস সিলবার থেকে যা জানা গেলো তা মোটেও যথেষ্ট শক্তপোক্ত নয়। উপড়ের মন্তব্যগুলো তার স্পষ্ট প্রমাণ। যাই হোক, আগামী পর্ব দেখি কী হয়!
সূর্যের আলো যে অঞ্চলের মানুষের যেমন প্রয়োজন তারা তেমনই ব্যবহার করছে। সহজ কথা। আমার চেয়ে সুন্দর ভাবে খন্ডন করেছেন উপড়ের সবাই। সো এটা নিয়া আমি আর কী কমু! এখন পরবর্তী কথাগুলো শুনার অপেক্ষায়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: পুরোপুরি বা সরাসরি যুক্তি খন্ডোন করেছেন তা বপ্লা যায় না তবে অনেকাংশে করেছেন।
তর্ক করলে তর্ক চলতেই থাকবে< তবে বেশ বুদ্ধিমান, বিচক্ষন ও বিজ্ঞ ব্লগারেরা যে এখনো এই ব্লগে টিকে আছেন সেটা এই পোস্টে প্রমান হয়!!
ধন্যবাদ ভাই, ফের আসার জন্য। আশা করি আমার সাথে পুরো ভ্রমনে সঙ্গ দিবেন।
ভাল থাকুন।
৩৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার @ নিমো দৃষ্টিতে এটা একটা আবর্জনা!
এটাকে রসগোল্লা ভাবার মত কোন তথ্য, উপাত্ত, যুক্তি,প্রমাণ কোনটাই এখন পর্যন্ত আপনার লেখায় নেই। সেরকম কিছু ঘটলে এটাকে রসগোল্লা ভেবে গিলে ফেলব। সেই পর্যন্ত ...
৩৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: এই পর্বের যুক্তিগুলো খুব একটা সুবিধা মতন লাগলো না।
পরের পর্বে যাই।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা সুবিধে অসুবিধে কিংবা ভাল মন্দ অতবা অকাট্য সরল সব ধরনের যুক্তিই আছে।
পুরনো লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ফের।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি তো মনে করেছিলাম, আপনার থিওরী ১ পোষ্টে শেষ হয়ে গেছে। যাক, ঢাকার বেশীরভাগ লোকজন নারায়নগন্জ থেকে এসেছে, মনে হয়।