নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
৩. SAD (মৌসুমী অনুভূতিমূলক ব্যাধি)
সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি) হল এক ধরনের বিষণ্ণতা যা মৌসুমি প্যাটার্নে আসে এবং যায়। SAD কখনও কখনও ‘শীতকালীন বিষণ্ণতা’ হিসাবে পরিচিত কারণ শীতকালে লক্ষণগুলি সাধারণত আরও স্পষ্ট এবং আরও গুরুতর হয়। SAD এর লক্ষণগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
খিটখিটে মেজাজ
স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্মে আনন্দ না পাওয়া বা আগ্রহহীনতা
বিরক্তি, হতাশা, অপরাধ-বোধ এবং মূল্য-হীনতার অনুভূতি
অলস বোধ করা (শক্তির অভাব) এবং দিনের বেলা ঘুমানো
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমানো এবং সকালে উঠতে কষ্ট হওয়া
কার্বোহাইড্রেটের আকাঙ্ক্ষা এবং ওজন বৃদ্ধি
কিছু লোকের জন্য এই উপসর্গগুলি আরো গুরুতর হতে পারে এবং তাদের দৈনন্দিন কার্যকলাপের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।)*
অত্যধিক সূর্যালোকের বিপরীতে সূর্যালোক-হীন পৃথিবীর কথা ভাবুন। যদিও সবখানে সমান ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী নয় তবুও ভাবুন বরফ আর কুয়াশায় মোড়া আবছা আলোর স্যাঁতস্যাঁতে শীতকালের কথা?এখানে পৃথিবীতে এটাও একটা সমস্যা! কম আলোর মাত্রা সহ সেই দীর্ঘ শীতের মাস(শীত প্রধান দেশে*) আমাদের বিষণ্ণ এবং অলস করে ফেলে!
বিষণ্ণ অনুভূতির পাশাপাশি-এর অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে অসুস্থতা, অতিরিক্ত খাওয়া এবং ওজন বৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অতিরিক্ত ঘুম, শক্তির অভাব, মনোযোগ দিতে অসুবিধা, সামাজিক যোগাযোগ কমে যাওয়া, যৌন তাড়না কমে যাওয়ার ফলে অনেকেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মহননের পথ পর্যন্ত বেছে নেয়।
এর মানে আমরা স্পষ্টতই এমন পরিবেশেও থাকতে চাই না।
~আমাদের হোম গ্রহের আলো সামঞ্জস্যপূর্ণ- নিশ্চিতভাবে শরীর ও চোখের জন্য অনেক বেশী আরামদায়ক। সম্ভবত পৃথিবীর তুলনায় আরো সহনীয় ও নমনীয় গ্রীষ্মকাল সেখানে বিরাজমান। এবং সমগ্র গ্রহ-জুড়ে একইরকম আবহাওয়া সবসময় বিরাজ করে- ঋতুগত ভিন্নতা প্রায় নেই বললে চলে। আমাদের আদি গ্রহ সম্ভবত; তার অক্ষে ঘুরে আসার সময়ে পৃথিবীর মত একদিকে কাত হয়ে পড়ে না।
পৃথিবীর আদি উদ্ভিদ এবং প্রাণীরা এই ঋতু পরিবর্তনের সাথে দারুণভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
উদাহরণ, অনেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দীর্ঘ শীতের শুরুতে প্রতি বছর হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে উড়ে যায় তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, বাসস্থান, উষ্ণতা ও মেটিং এর জন্য। তাদের প্রয়োজন পূরণ হবার পরে তারা ফের নিজের এলাকায় ফিরে যায়। যেসব পাখি বা প্রাণীর উড়ার ক্ষমতা নেই তারা মানিয়ে নিয়েছে অন্য উপায়ে। কেউ কেউ হাইবারনেশনে( শীত নিদ্রায়) যায়। অন্যরা দীর্ঘ শীতের প্রস্তুতই তাদের কার্যকলাপ হ্রাস করে –তারা বিপরীত লিঙ্গের সাথে মিলিত হয় না। যার ফলে সেই প্রতিকুল পরিবেশে চরম খাদ্যাভাবের সময়ে নতুন অতিথির আগমন হয় না।
মানুষ এসব কিছু করে না। আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিকশিত হইনি- বা পৃথিবীর সাথে মানিয়ে নিতে পারিনি।
কারণটা- বেশ সহজ ;কারণ আমাদের হোম গ্রহে এর কোন প্রয়োজন ছিল না।
কিছু লোক যুক্তি দেয় যে ঋতু অনুভূতি-জনিত ব্যাধি (এসএডি) অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ‘হাইবারনেশনে’র বিবর্তনীয় প্রতিক্রিয়ার সমতুল্য!
-এটা কি যুক্তিসঙ্গত শোনাচ্ছে?
যথেষ্ট নয়। যতক্ষণ না আপনি বুঝতে পারেন যে, এই পরিবেশে ভাল নেই, প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছি না – এ ধরনের আবহাওয়া আমাদের অসুস্থ করে তোলে।
পৃথিবী প্রথম গঠিত হওয়ার পর থেকে (অথবা অন্তত চাঁদের জন্মের পর থেকে) লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনে, এবং অনুমিত-ভাবে সবচেয়ে উন্নত প্রজাতি হিসাবে এই গ্রহে আমরা ঋতু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছি- এটা মানা সত্যিই কষ্টের! এটা অর্থহীন বা গোঁজামিল দিয়ে বোঝানো বৈ কিছু নয়!
আবারও এটা স্পষ্ট যে, আমাদের আদি গ্রহে বেশ আলোকিত কিন্তু শরীরের সাথে মানিয়ে নেবার মত দারুণ সামঞ্জস্যপূর্ণ সূর্যালোক ছিল। পূর্ব আফ্রিকা; যেখানে আমরা অনুমিত-ভাবে বিবর্তিত। সম্ভবত যে কারণ ভীনগ্রহবাসীরা সেই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পূর্ব আফ্রিকাকে বেছে নিয়েছিল – কারণ সেখানকার আলোর মাত্রা বেশি যা আমাদের বাড়ির গ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
যাইহোক, আমাদের প্রাকৃতিক প্রবণতা হল আমাদের নেশা নতুন নতুন আবিষ্কার, ভ্রমণ বা অসম্ভবকে জয় করার বাসনা সারা গ্রহ-ব্যাপী উপনিবেশ স্থাপন করা।
যা আমরা পৃথিবীতে করেছি। বাস্তবতা যে আমরা কিছু প্রতিকুল পরিবেশ আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বিষন্নতার কারনে কিছু অবাঞ্ছিত ভয়ঙ্কর রোগ-ব্যধির কারণে আমাদের হোম-গ্রহের কাছাকাছি পরিবেশ, প্রকৃতি, খাদ্যের খোঁজে আমরা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছি।
এই বিষয়টাও প্রমাণ করে যে আমরা এই পৃথিবীর কেউ নই।
**************************************
৪. মেরুদন্ডের ব্যাথা।
পৃথিবীর গ্রাভিটিতে আমরা অভ্যস্ত নই।
পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ সম্ভবত আমাদের নিজেদের গ্রহের তুলনায় একটু কম। ফলস্বরূপ, আমরা প্রতিটি প্রজন্ম আগের প্রজন্ম থেকে একটু একটু করে লম্বা হচ্ছি এবং নিয়মিতভাবে পিঠের সমস্যার(ব্যাক পেইন) সাথে যুজতে হচ্ছে।
ব্যাক পেইন ও লোয়ার ব্যাক পেইন-জনিত সমস্যার কারনে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর দশ কোটি কর্ম-দিবস হারাচ্ছে!
তবুও পিছনের সমস্যা পৃথিবীর আদি প্রাণীদের (এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ঘাড়ের প্রাণী জিরাফের জন্যও নয়!) জন্য সমস্যা নয়।
এমন কোন প্রমাণ এখনো মেলেনি যে, পৃথিবীতে বাসকারী অন্য কোন মেরুদণ্ডী প্রাণী মানুষের মত ব্যাক পেইন জনিত সমস্যায় ভুগছে।
আরেকটি বিষয় আছে যা আমাদের সংক্ষিপ্তভাবে বিবেচনা করতে হবে এবং সেটি হল বায়ুমণ্ডল যা আমাদেরকে চেপে রেখেছে। যেহেতু আমরা এই বায়ুমণ্ডল থেকে পুরোপুরি শ্বাস নিতে পারি, ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারি তাই অনুমান করা যুক্তিসঙ্গত যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং আমাদের আদি গ্রহের বায়ুমণ্ডল মূলত একই রকম ও একই উপাদানদ্বারা গঠিত কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চাপ সামান্য কম।
~তবে যদি এর সমর্থনে প্রমাণ পাওয়া যায় তবে ভবিষ্যতের সংস্করণে এটি আমরা পুনরায় আলোচনা করতে পারি।
কেন আমরা অত্যধিক-ভাবে বেড়ে উঠছি তা নিয়ে দুটি প্রধান চিন্তাধারা রয়েছে;
কেন আমরা লম্বা ও স্থূল হচ্ছি এবং ও দীর্ঘ মেয়াদে পিঠের সমস্যায় ভুগছি।
প্রথমটি হল পৃথিবীর খাদ্য;
আমাদের বাড়ির গ্রহের তুলনায় আরও পুষ্টিকর এবং/অথবা প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান, যার ফলে প্রবৃদ্ধির অপ্রত্যাশিত স্তর যা আমরা মোকাবেলা করার জন্য বিকশিত নই। এটাও ক্রমবর্ধমান স্থূলতা সমস্যা, বড় শিশুর জন্মদান এবং অন্যান্য কারণগুলি যেগুলো আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব।
তাই প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান অধিকতর পুষ্টিকর খাবার (এগ্রিকালচারাল রেভ্যুলেশন ও একটা ফ্যাক্টর*)অত্যধিক জনসংখ্যার বৃদ্ধিতেও নিঃসন্দেহে অবদান রাখছে।
ক্রমবর্ধমান পিঠের সমস্যার পেছনে আরও একটি বিশেষ কারন চিহ্নিত করা গেছে। পুষ্টির উচ্চহার এর দরুন পরজীবী কৃমির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে মানুষের পিঠের সমস্যা সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
পরজীবী কৃমি বলতে বোঝানো হচ্ছে রাউন্ড-ওয়ার্ম এবং ফিতাকৃমি। যা পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশে স্থানীয় প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বাস করে। কীটগুলি ছোট, ক্ষতিকারক এবং সনাক্ত করা যায় না।
কিন্তু যখন তারা মানুষের অন্ত্রে প্রবেশ করে তখন তারা নিজেদেরকে এমন চমৎকার পরিবেশে দারুণ পুষ্টিকর খাবার খুঁজে পায় তখন অন্যান্য সমগোত্রীয় পরজীবীদের তুলনায় অনেক অনেক গুণ বড় হয়!
কখনও কখনও পুরো অন্ত্র ভরাট করে ফেলে এবং মানুষের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
পরজীবী এই কীটের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হোস্টের অপুষ্টি, মানসিক প্রতিবন্ধকতা, অন্ত্রের বাধা, এমনকি শেষমেশ মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। আর মানুষের মারা গেলে সেই কীটও মারা যায়। এটা এমন একটি পরিণতি যা মাদার নেচারের অবশ্যই কখনই উদ্দেশ্য ছিল না।
অবশ্যই যুক্তি আছে যে আমরা নিজেরাই আমাদের খাবার আরো সহজলভ্য করেছি এবং আরও পুষ্টিকর ও সুস্বাদু করেছি - এবং এটি নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রধান অবদানকারী ফ্যাক্টরও।
কিন্তু যেহেতু আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে সাধারণ যেখানে খাদ্যের অভাব এবং পুষ্টির হার বিশ্বের অন্যান্য অংশের তুলনায় কম সেখানকার অধিবাসীদেরও বড় আকারের পরজীবী কৃমির সমস্যা হয়, সেজন্য এটি একমাত্র কারণ হতে পারে না।
সরল সত্য হল যে, যখন একটি পরজীবী কীট নিজেকে একটি মানব হোস্টের ভিতরে খুঁজে পায় (ভাল পুষ্টি হোক না হোক) এটি টপসির মতো বৃদ্ধি পায় - এবং এটি অন্য কোনও পশুর অন্ত্রে কখনোই সে এভাবে বাড়তে পারে না তখন ওদের জন্য আমাদের অন্ত্র স্পষ্টতই একটি এলিয়েন পরিবেশ - ঠিক আমরা যেমন।
*গৃহপালিত কুকুর বা বিড়াল থেকে মানবদেহে প্রবেশ করে এই ধরনের ‘রাউন্ডওয়ার্ম’*
অন্য প্রধান চিন্তাধারা এবং আমি যাকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন করি - সেখানে ফিরে আসি;(মধ্যাকর্ষণ)
পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কিছুটা কম হলেও আমরা মোকাবেলা করতে পারি তার সঙ্গে। যে আমাদের প্রজন্ম ক্রমাগতভাবে লম্বা হচ্ছে দুর্ভাগ্যবশত আমরা এমন হারে বেড়ে উঠছি যে আমাদের মেরুদন্ড অস্থি এবং পেশীর এর সাথে তাল মিলিয়ে মানিয়ে নিতে পারছে না।
অন্যদিকে আরেকদল যুক্তি দিচ্ছে যে, পৃথিবীর গ্র্যাভিটি যদি আমাদের অভ্যস্ততার চেয়ে বেশি, সেজন্য এমন হতে পারে যে, আমরা নিম্নগামী চাপ মোকাবেলা করার জন্য লম্বা হচ্ছি।
এটি আমার কাছে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে, কেননা গ্রাভিটি বেশী থাকলে আমাদের এভাবে স্থূল হবার সম্ভাবনা কম। সম্ভবত আমাদের আদি গ্রহের গ্রাভিটি পৃথিবীর থেকে কিছুটা শক্তিশালী।
এটি একে অন্যের সাথে খাপ খায়।
সম্ভবত আমাদের নিজেদের গ্রহে দিন ২৫ ঘণ্টায়- আর পৃথিবীর একদিন ২৪ ঘণ্টায়( এ বিষয়ে আমি অন্য পর্বে আলোচনা করব)। সেহেতু আমরা ধারনা সে গ্রহের আকার পৃথিবীর তুলনায় বড়। স্বভাবতই সেখানকার মধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর তুলনায় একটু বেশী থাকবে।
বিশেষ নিবন্ধঃ
(সার্কেডিয়ান ছন্দের প্রাথমিক গবেষণায় জানা গেছে যে, বেশিরভাগ লোকেরা দিনের আলো এবং সময়ের মতো বাহ্যিক উদ্দীপনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ২৫ ঘণ্টার কাছাকাছি একটি দিন পছন্দ করে। যাইহোক, এই গবেষণাটি কিছুটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল কারণ এর অংশগ্রহণকারীদের কৃত্রিম আলো থেকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যদিও সময় সংকেত (যেমন ঘড়ি) এবং দিনের আলো থেকে তাদের দূরে রাখা হয়েছিল কিন্তু গবেষকরা অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক আলো পাল্টানোর প্রভাব সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। যখন তারা ঘুমাতে চেয়েছিল তখন এটি বন্ধ করা হয়েছিল। সন্ধ্যার বৈদ্যুতিক আলো তাদের ‘সার্কেডিয়ান ফেজ’ সম্ভবত বিলম্বিত করে।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি দ্বারা ১৯৯৯ সালে পরিচালিত আরও কঠোর গবেষণায় ধারনা করা হয়েছে যে, প্রাকৃতিক মানুষের স্বাভাবিক ছন্দ ২৪ ঘণ্টা ১১ মিনিটের কাছাকাছি: যা সৌর দিনের অনেক কাছাকাছি। এই গবেষণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সাম্প্রতিক ২০১০ সালের একটি গবেষণায় লিঙ্গ পার্থক্যও চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে পুরুষদের (২৪.১৯ ঘণ্টা) তুলনায় মহিলাদের সামান্য কম ‘সার্কেডিয়ান পিরিয়ড’ (২৪.০৯ঘন্টা) রয়েছে। এই সমীক্ষায়, মহিলারা পুরুষদের তুলনায় আগে ঘুম থেকে ওঠার প্রবণতা দেখায় এবং পুরুষদের তুলনায় সকালের কাজকর্ম তারা বেশি পছন্দ করে, যদিও এই পার্থক্যগুলির অন্তর্নিহিত ‘জৈবিক প্রক্রিয়াগুলি অজানা’।)
*যখন চোখ সূর্যের আলো পায়, তখন পাইনাল গ্রন্থি দ্বারা মেলাটোনিন উত্পাদন বাধাগ্রস্ত হয় এবং উৎপন্ন হরমোনগুলি মানুষকে জাগ্রত রাখে। যখন চোখ আলো পায় না, তখন পাইনাল গ্রন্থিতে মেলাটোনিন তৈরি হয় এবং মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
আমাদের আদি গ্রহের তুলনায় পৃথিবীর খাবার অনেক বেশী পুষ্টি-সমৃদ্ধি হওয়ায় নিন্মমানের খাবার গ্রহণ করার পরেও মানব শিশুরা তাদের দরিদ্র মায়েদের জরায়ুর মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বড় হয়ে ওঠে। প্রসবের সময়ে এদেরকে বের করা বেশ ভয়াবহ একটা ব্যাপার- যার জন্য ডাক্তার, ধাত্রী বা দাই-এর সহায়তা নিতে হয়। এরপরেও তাদের মধ্যে কিছু (মা এবং শিশু উভয়ই) মারা যায় অথবা জন্মের সময়ে অক্সিজেন স্বল্পতার জন্য বা জন্মগত আঘাত পাবার জন্য ‘সেরিব্রাল পালসি’র মত কঠিন অসুখে ভোগে বা মারা যায়।
পৃথিবীর অন্য কোন সত্যিকারের নেটিভ প্রজাতির এই সমস্যা কি আছে? (আমাদের অবশ্যই নির্দিষ্ট ধরণের প্রাণী বাদ দিতে হবে যাদের সংকর-প্রজননের মাধ্যমে ম্যানিপুলেট করা হয়েছে।*)
আবার কারণ হিসাবে চিন্তা দুটি পৃথক বিষয় আছে. প্রথম; আমাদের শিশুরা পৃথিবীর উন্নত পুষ্টির কারণে এত বড় হয় – নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর খাবার আমাদের আদি গ্রহের চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টি সম্পন্ন।
দ্বিতীয়টি; আমাদের মাথা আমাদের বাকি শরীরের অনুপাতে অনেক বড় হয়ে গেছে আমাদের অতি উন্নত উচ্চতর মস্তিষ্ক ধারণ করবার জন্য।( যদিও বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আবিস্কার করেছেন; মানুষের মগজ ধীরে ধীরে ছোট ও জটিলভাবে বিবর্তিত হচ্ছে*)
আমাদের দ্বিতীয় অনুমানের উপরে নির্ভর করে পৃথিবী কি আমাদের আদি গ্রহ সেটা জানার চেষ্টা করতে পারি।
আমাদের উৎস সম্পর্কে দ্বিতীয় অনুমানটার উপরে ভিত্তি করে আমরা প্রাথমিক আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি।
বি.দ্র. তারকা চিহ্ন ও বন্ধনীর অংশটুকু অনুবাদক কতৃক সংযোজিত।
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: কার কাটিয়ান না সার্কিডিয়ান ভুল আমি করলাম না আপনি করলেন বুঝতে পারছি না
আপনি কি এর আগে আমার ব্লক বাড়িতে এসেছেন বুঝতে পারছি না যদি এই প্রথমবার এসে থাকেন তাহলে আপনাকে স্বাগতম!
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম যে তথ্যটুকু দিয়েছেন সেটা জানা ছিল না ধন্যবাদ। আর চাঁদের ব্যাপারে মানে মানুষ এবং অন্য প্রাণীর উপরে চাঁদের প্রভাব সম্বন্ধে এই বইতে কিছু কথা আছে।
ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন পরের পর্বে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই ইন্টারেস্টিং সিরিজটা দেখেছি, প্রচন্ড ব্যস্ততার কারনে পড়ার সুযোগ করে উঠতে পারছি না। এটা যেহেতু গেয়ানী মানুষদের জন্য পোষ্ট, হাল্কা চালে পড়লে তো হবে না! গভীরভাবে পড়ে, অনুধাবন করতে হবে। তারপরে না ভালো-মন্দ কিছু বলতে পারবো!! তবে সেটা ভুয়া হয়ে যাওয়ার চান্সও আছে!!! এইটা কিন্তু একটা বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ!!!
না পড়েই একটা লাইক দিলাম। আশাকরি, মনে কিছু নিবেন না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত জাদরেল দুঁদে ঋদ্ধ ব্লগার একটা লেখা না পড়ে লাইক দেয়া যে লেখকের জন্য কত বড় ব্যাপার এইটা বুঝাতে পারতাম না।
কি কন এইটা জ্ঞানী মানুষের পোস্ট হয় কেমনে!!! আপনি একটু গাজী সাহেবরে জিগান না?
সময় সুযোগ নিয়ে যখন মন্তব্য করতে চান করেন- কিন্তু করবেন প্লিজ। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কথা। আপনি সেবা প্রকাশনীর দু'টা অনুবাদ (সম্ভবতঃ রকীব হাসানের) ''ভিন গ্রহের মানুষ - রহস্য'' আর ''ভিন গ্রহের মানুষ - প্রমাণ'' বইদু'টা পড়েছেন? না পড়লে পড়ে দেখতে পারেন। খুবই ইন্টারেস্টিং।
আপনার এই সিরিজটা আমার ফেইভ-লিস্টে থাকলো। সময়-সুযোগ মতো পড়ে ফেলবো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি এরকম দুইটা বই আছে যে তা তো আমি জানতামই না!!!ঠিক আছে যোগাড় করার চেষ্টা করছি।
উনি এত আগে প্রমাণ করে ফেলেছেন আর আমি সবই শুরু করেছি প্রমাণ নিয়ে টানাটানি
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে বই দুইটা রেফারেন্স দেওয়ার জন্য আপনি ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন।
মন্তব্যের অপেক্ষায় কিন্তু আছি ...এইটা ভুলুম না
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
পশ্চিমে "টেব্লোইড জাংকি" মনোভাবে লোকজন আছে; তারা সবকিছুর একটা বিকল্প দিক ও রূপকথা ধরণের ব্যাখ্যা পেতে চায়; এদের জন্য সৃষ্টি করা হয়ে থাকে FT, Big Foot, Sea Monster ধরণের কাহিনী। আপনি সেই ধরণের একটাকে 'সিরিয়াস' সায়েন্স ভেবে লেগে গেছেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিইবা এটাকে এত সিরিয়াসলি নিচ্ছেন কেন? কুল ম্যান!
আমি বাবনিক বা উপন্যাস লিখলে আপনার সমস্যা। রাশিয়া নিয়ে লিখলে আপনার সমস্যা! কমিউনিজম না লিখলে আপনার সমস্যা! ইতিহাস নিয়ে লিখলে আপনার সমস্যা! বিজ্ঞান নিয়ে লিখলে আপনার সমস্যা! আমার কোন যায়গায় সমস্যা নেই যদি একটু বলেন?
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
আরইউ বলেছেন:
পোস্ট পড়ছি।
আগেও বলেছি বিবর্তনবাদ দিয়ে সবকিছু ব্যাখ্যা করা যায়, ব্যখ্যা করা হয়েছে। যাহোক, আমি নতুন তত্ত্ব/তথ্য শুনতে আগ্রহী। এতে তো আর আমার ধর্মচ্যুতি ঘটছেনা।
একসময় "ইউএফও" তে বিশ্বাসীদেরও "টেব্লোইড জাংকি" বলা হতো। কিন্তু, নাসা, পেন্টাগন কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: বিজ্ঞানের বিজ্ঞানী গুরু টেসলা কিন্তু বলেছিলেন যে তিনি ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়েছেন।
এখনো যেহেতু ব্যর্থহীন ভাবে প্রমাণিত হয়নি এটাকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।
আপনার কথা ঠিক -আর ধর্মচ্যুতি যদি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা আগে হবে- আমার ভয়টা আমার বেশি
বরাবরের মতো অনুপ্রেরণিত করা ও সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সেহেতু আমরা ধারনা সে গ্রহের আকার পৃথিবীর তুলনায় বড়। স্বভাবতই সেখানকার মধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর তুলনায় একটু বেশী থাকবে।
মধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর তুলনায় বেশী সেটা জোড় দিয়ে বলা যাবে না। কমও হতে পারে। যদি আদি গ্রহের ঘনত্ব পৃথিবীর তুলনায় কম থাকে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০
শেরজা তপন বলেছেন: এগুলো তো হচ্ছে মোস্ট অফ হাইপোথিসিস।
হ্যাঁ ভালো একটা কথা বলেছেন এরকমটাও হতে পারে তবে তিনি এ বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন কোন গ্রহে মানুষ মানে আদি মানুষ থাকতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে।
সাথে আছেন পাশে আছেন সবগুলো পর্ব পড়ছেন এবং মন্তব্য করছেন- বুদ্ধিদীপ্ত চমৎকার সব মন্তব্য!
ধন্যবাদ আপনাকে
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আরইউ বলেছেন, "..একসময় "ইউএফও" তে বিশ্বাসীদেরও "টেব্লোইড জাংকি" বলা হতো। কিন্তু, নাসা, পেন্টাগন কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা। "
-নাসা, পেন্টাগন "ইউএফও"এর সাহায্য নিয়ে উল্কা "ডিমোরফোজ'কে ধাক্কা দিছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: তাঁর পেছনে নিশ্চিত আপনার হাত ছিল। নাসা পেন্টাগন আপনার সাথে আলোচনা না করে এমন কাজ করতেই পারে না
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
কামাল৮০ বলেছেন: মহাবিস্ফোরণের শুরুটা থেকে আজ পর্যন্ত বিকাশের যে ইতিহাস সে সবই বিজ্ঞানীরা ঠিক ঠিক জানতে পেরেছে।যেটা বৈজ্ঞানিক সত্য।মানুষ হয়তো মহা বিস্ফারণের আগের কোন মহাবিশ্ব থেকে এসেছে যেটা এই ভদ্রলোক জানতে পেরেছে আর কেউ জানতে পারে নাই।যারা সাইন্স ফিকশন পড়ে মজা পায় তাদের জন্য এই বই।সুন্দর লিখেছেন।চালিয়ে যান,সাথে আছি।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিকঠাক বলা উচিত হবে না মানুষ জানার চেষ্টা করছে অনেক কিছু হয়তো ভাবছে যে এটা সত্যি এরকমটা হওয়া উচিত।
মানুষ তার নিজের গ্রহেরই কয় ভাগ জেনেছে বলেন মানুষের অনেক কল্পনা আছে চেষ্টা আছে ইচ্ছা আছে অনেক কিছু ঠিকঠাক করে জানতে পারে সেটা সম্ভব কিন্তু মহাবিশ্ব সম্বন্ধে জানা এত সহজ বিষয় নয় এবং প্রাণের উৎপত্তি কিভাবে হলো এবং বিবর্তন কিভাবে হলো এটা তত্ত্বগতভাবে যতটা বলা সম্ভব এটা আদৌ এরকম নাও হতে পারে।
মানুষ সমগ্র মহাবিশ্বের রহস্যের লক্ষ মিলিয়ন ভগ্নাংশের ক্ষুদ্রতম অংশও জানতে পারেনি খুব সহজে জানতে পারবে বলেও মনে হয় না।
কতকিছু কত কত কিছু আমাদের জানার আছে বাকি! আমাদের প্রজন্ম হয়তো কিছু জেনে যাবে পরের প্রজন্ম আরো কিছু জানবে তারা ভাববে যে আমরা অনেক কিছু জেনে গেছি!! এভাবে হাজার হাজার হাজার প্রজন্মান্ত জানতেই থাকবে তবুও জানার কোন শেষ নাই বলে আমি মনে করি!
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টটা পড়লাম। আগেরগুলোতেই হাল্কা চোখ বুলালাম। এর ভিত্তিতেই এই মন্তব্যটা করছি।
জ্ঞান-বিজ্ঞান একটা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। আপনি গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আর তার বিবর্তন বাদ দিয়ে আজকের স্মার্ট ফোন হঠাৎ হাতে পাবেন না। যদি পেয়েই যান, তাহলে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, এটা আপনি কোথা থেকে পেলেন? খুবই বেসিক একটা প্রশ্ন। এটার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নাই।
মানব সভ্যতা বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু পেয়েছে, যা তাদের তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে যায় না। ফলে আউটার স্পেসের উন্নত সভ্যতার কথা আর তাদের জ্ঞান পৃথিবীতে আসার প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। উদাহরন হিসাবে পিরি রইসের ম্যাপের কথা বলা যায়। পিরামিডের টেকনোলজির কথা বলা যায় কিংবা বাগদাদ ব্যাটারীর কথা বলা যায়। এমন আরো অনেক আছে। এদের কোনটাই সেই সময়কার জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে একেবারেই সামন্জস্যপূর্ণ ছিল না। তাহলে সেই সময়কার প্রাচীন মানুষেরা এই প্রযুক্তি হঠাৎ করে কোত্থেকে পেলো?
কিছু মানুষ কোন কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না পেলে পাওয়ার চেষ্টা করে, আর কিছু মানুষ হাসি-ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষের পিছনে সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই।
আমেরিকান সরকার কোন সময়েই অফিসিয়ালী স্বীকার করে নাই ভিনগ্রহের উন্নত সভ্যতার অস্তিত্ব। এরাই আবার এর অনুসন্ধানের জন্য ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পেন্টাগনকে ২২ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে গোপন মিশন পরিচালনা করার জন্য। এমন আরো অনেক গোপন প্রোজেক্ট এদের আছে যেটা সময়ে সময়ে লিক হয়। কাজেই এই বিষয়টাকে কেউই গায়ের জোরে উড়িয়ে দেয় নাই। অনুসন্ধান চলমান আছে। সামনে কোন একদিন হয়তো সব রহস্যের জট খুলবে। কোন এক ভিনগ্রহের অধিবাসীর সাথে আমাদের কোন এক মর্তবাসীর হ্যান্ডশেকের ভিডিও আমরা হয়তো টিভিতে লাইভ দেখবো। কে বলতে পারে? আশায় থাকা দোষের না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ফের মন্তব্যের আসার জন্য বা মুল মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আপনি বলেছেন;
জ্ঞান-বিজ্ঞান একটা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। আপনি গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আর তার বিবর্তন বাদ দিয়ে আজকের স্মার্ট ফোন হঠাৎ হাতে পাবেন না। যদি পেয়েই যান, তাহলে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, এটা আপনি কোথা থেকে পেলেন? খুবই বেসিক একটা প্রশ্ন। এটার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নাই।
~ দারুন কথা বলেছেন- এ বিষয়ে দ্বীমত করার কোন অবকাশ নেই।
মানব সভ্যতা বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু পেয়েছে, যা তাদের তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে যায় না। ফলে আউটার স্পেসের উন্নত সভ্যতার কথা আর তাদের জ্ঞান পৃথিবীতে আসার প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। উদাহরন হিসাবে পিরি রইসের ম্যাপের কথা বলা যায়। পিরামিডের টেকনোলজির কথা বলা যায় কিংবা বাগদাদ ব্যাটারীর কথা বলা যায়। এমন আরো অনেক আছে। এদের কোনটাই সেই সময়কার জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে একেবারেই সামন্জস্যপূর্ণ ছিল না। তাহলে সেই সময়কার প্রাচীন মানুষেরা এই প্রযুক্তি হঠাৎ করে কোত্থেকে পেলো?
~লেখক বইটি প্রকাশ করেছে ২০১৯ সালে। উনি উনার লেখায় যে সকল রেফারেন্স দিয়েছেন তা মোটেও ফেলনা নয়। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে তাদের থিসিস বেশ সমাদৃত। এমন একজন মানুষ একটা জিনিষ হুট হাট লিখে দিয়ে বাজারে ছেড়ে দিতে পারেন না। তাঁর কথাগুলো শুনতে হবে- এখানে অনেক কিছু জানার আছে বোঝার আছে। জীবনভর অযথাই কত বুলশিট জিনিস কারনে অকারনে জানছি। পৃথিবীরে এমন শোত সহস্র বিষয় রয়েছে যার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। চলুক না গবেষ্ণা অন্যভাবে। আপই নাসার গোপন মিশনের ব্যাপারে যা বললেন- সেটাতো এমনই কোন একটা কিছু জানার বা বোঝার চেষ্টা। তাদের হাতে এমন কিছু ক্লু আছে বা এতদ বিষয়ে এমন কিছু তথ্য প্রমান আছে যার জন্য এর পেছনে বিলিয়ন বিলয়ন টাকা খরচ করছে।
কিছু মানুষ কোন কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না পেলে পাওয়ার চেষ্টা করে, আর কিছু মানুষ হাসি-ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষের পিছনে সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই।
~ ভাল বলেছেন- তবে দেক না সমস্যা কি, বুঝলে বুঝবে না বুঝলে না। আমারও টাকা পয়সা খোয়া যাচ্ছেনা তাঁর ও দু পয়সা আয় হচ্ছে না।
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
অপ্সরা বলেছেন: কোমরে ব্যথারও এমন কারণ আছে !!!
আবার লম্বা বেঁটে হওয়ারও !!!
আমার মাথায় তো তালগোল লেগে গেলো...
জানার কোনো শেষ নাই
জানার ইচ্ছা বৃথা তাই .......
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন আপু একদম খাঁটি কথা। এত জানাজানির দরকার কি যত জানবেন তত বেশি মাথার মধ্যে যট পাকাবে। আরো বেশি জট পাকালে গিট্টু লেগে যাবে, আবার গিট্টু লেগে গেলে সেটা খোলার অপারেশন ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই।
মাথাটা একদম খালি করে আসেন আমরা মনের ভিতরে বাঘ সিংহ হরিণ নিয়ে ঘুরে বেড়াই
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আপনার অনুবাদকৃত বইটির লেখকের ব্যাখ্যাগুলি ঠিক মনপূতঃ হচ্ছেনা। বইয়ের লেখক ধরেই নিয়েছেন যে, আমরা অন্য একটি গ্রহ থেকে এসেছি তাই পৃথিবী নামক গ্রহে আমরা মানিয়ে চলতে পারছিনে। অংকের ফলটিকে আগেই নিশ্চিত ভাবে ধরে নিয়ে অংক কষতে গেলে গোঁজামিল হবেই! উনি আগেই নিশ্চিতভাবে ধরে নিয়েছেন আমরা ভিন গ্রহবাসী ছিলুম আগে। (
৮ নম্বরে কামাল৮০ র মন্তব্য দ্রষ্টব্য)
উনি বলেছেন, শীতের হাত থেকে বাঁচতে এবং প্রয়োজনের খাতিরে পাখিরা হাযার মাইল পর্য্যন্ত উড়ে যায়। মানুষ এসব কিছুই করেনা। তাহলে আইসল্যান্ড, আন্টার্টিকা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ডের মতো জায়গার মানুষদেরও তীব্র শীতে হাযার মাইল পাড়ি দিয়ে সুমেরু অঞ্চলে চলে আসার কথা। তারা তা করেনা বলেই তারা ভিনগ্রহের অধিবাসী? হাসি উদ্রেক করার মত কথা। ওখানকার মানুষ তা করেনা কারন পাখিদের বেলায় যে প্রয়োজনগুলির কথা বলা হয়েছে তা এই মানুষেরা নিজেরাই সংগ্রহ করে নিতে পারে।
এর পরে উনি আন্ত্রিক ক্রিমির কথা বলেছেন । পশুর অন্ত্রে এরা নাকি ভালোভাবে বাড়তে পারেনা। কথাটি ঠিক নয়। গরুর " ফিতা ক্রিমি" কিন্তু গরুর অন্ত্রেই ভালোভাবে বিকাশমান। মানুষের দেহে এই সব ক্রিমিরা প্রবেশ করে তাদের জীবনচক্রের একটা অংশ হিসেবে মাত্র।
পিঠের ব্যথার জন্যে খাদ্য কোন ভূমিকা রাখেনা মনে হয়। মানুষের পিঠে ব্যথা হয় তার শারীরিক গঠনের কারনে। তার সমস্ত শরীরের ওজন মেরুদন্ডকে ভরকেন্দ্র করে দু'পায়ে ধরে রাখতে হয়। কারনটা এখানেই। তাছাড়া কাজের জন্যে মানুষকে নুয়ে কাজ করতে হয় যেমন ভারী বোঝা তোলা। চিকিৎসা শাস্ত্রে এসবই পিঠ ব্যথার কারন। মোটা হয়ে শরীরের ওজন বেড়ে গেলে এটা হতেও পারে। কিন্তু একমাত্র খাবারই মোটা হয়ে যা্ওয়ার কারন কখনই নয়। অনেক রোগে মানুষ মোটা হতে পারে।
এসব বিষয় উনি তুলেছেন, তার বিশ্বাসকে সত্যি ধরে নিয়েই অংকের ফল মেলানোর মতো করে।
আর মানুষ যে ভিনগ্রহবাসী কিনা এসব নিয়ে লেখা প্রচুর বই আছে। ফন দানিকেনের বইয়ের কথা আপনার আগের পোস্টে্ও বলে এসেছি। "ভুয়া মফিজ" তার দু'টি মন্তব্যে তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন। কিন্তু এসবই হাইপোথিসিস।
অমন হাইপোথিসিস চাইলে আপনি্ও করতে পারেন।
কিছু জানার জন্যে চলুক..............
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিন মন্তব্যের উত্তর নিয়ে ভাবতে হবে বেশ খানিকটা- আসছি ফিরে।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিজনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডার তো কুকুরেরও হয়। বিজ্ঞানীরা এখন এই রকম বলে থাকেন।
কুকুরেরও ব্যাক পেইন হতে পারে। আরও অনেক প্রাণীর হতে পারে।
লেবার পেইনের কারণে হায়নার মৃত্যু হয়। আরও অনেক প্রাণীর ক্ষেত্রে এই কথা সত্য।
এই কারণগুলি আসলে শুধু মানুষের ক্ষেত্রে না। তাহলে কি কুকুর, হায়না এবং অন্যান্য প্রাণীও ভিন গ্রহ থেকে এসেছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি কি আর এত কিছু জানি রে ভাই!!!
সিলভা সাহেব লিখেছেন যখন তখন নিশ্চয়ই অনেক তথ্য উপাত্তের সাহায্য নিয়েছেন - এই নিবন্ধ লিখার সময়ে তখন এসব গবেষনা কতদুর এগিয়েছিল জানা মুশকিল।
দেখুন কুকুর মানুষের সবচেয়ে প্রিয় গৃহপালিত পশু। মালিকের মানসিক বিষয় তাকে তাড়িত করা তাঁর মধ্যে সংক্রামিত হয়, যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে।
মানুষের যত রোগ শোক সেটা সব প্রাণীর হতে পারে। তবে মনে রাখবেন ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরণ নয়!
হায়নার ব্যাপারটা জানা ছিল না জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা।
আমি এলিস সিলভার এর এই হাইপোথিসিসকে স্টাবলিষ্ট করতে চাচ্ছি না- সেটা প্রথমেই বলেছি। এর মাধ্যমে আমরা অন্য অনেক কিছু শিখছি জানছি, অনুধাবন করতে পারছি- এটা একেবারে ফেলে দেয়া যায় না।
এসব বিষয়ে লেখকের সাথে সরাসরি যদি যোগাযোগ করা যেত তবে কত ভালই না হোত। তাঁর সব ভুলে দোষী হচ্ছি আমি
এত প্রশ্নের উত্তর আমি কেমনে দিতাম!! ব্যবসা বাণিজ্য-তো লাটে উঠবে
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেখুন, লেখক মানুষের কিছু স্পেশাল বৈশিষ্ট্য, সীমাবদ্ধতা ও সামর্থ্যর কথা বলে মানুষকে ভিনগ্রহী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। আমরা একই বিষয়ে যদি পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোন প্রাণী নিয়ে গবেষণা করি তাহলেও সে প্রাণীর মধ্যে আমরা এমন এমন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পাব যা আর অন্য কোন প্রাণীর মাঝে পাবো না। সেক্ষেত্রে উক্ত প্রাণীটিকে আমরা কি ভিনগ্রহী বলতে পারব? যেমন এক ধরনের প্রাণী আছে যারা হাজার বছরের বেশি বেঁচে থাকে অথবা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের পাশে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায় যারা সেখানের প্রতিকূল পরিবেশে সারভাইব করতে পারে। এখন এই বৈশিষ্ট্যের জন্য তাদেরকেও ভিনগ্রহী বলা যায়। এছাড়াও আমরা যদি ভিন্ন ভিন্ন মেরুদন্ড প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভালোভাবে এনালাইসিস করি তাহলে আমরা দেখতে পাবো তাদের বিশেষ সামর্থ্য কিংবা সীমাবদ্ধতা। এসব সামর্থ্য বা সীমাবদ্ধতার অনেকগুলি কারণ আমাদের জানা আবার অনেকগুলি জানা নেই। কিন্তু এর থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি না উক্ত প্রাণীরা এই গ্রহের বাসিন্দা নয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: তা তিনি করছেন -কেননা তিনি মোটামুটি নিশ্চিত যে, মানুষ ভীন গ্রহের প্রাণী। সেহেতু তাঁর সবকিছুই ঘুরে ফিরে সেদিক যাচ্ছে।
তা ঠিক তাদের নিয়ে আমাদের দীর্ঘ গবেষণা করলে আরো যুক্তিযুক্ত ব্যখ্যা দাড় করানো যেত।
ভুল ভ্রান্তি থেকেই মানুষ শেখে।
মানুষ তো যুক্তিহীনভাবে কত কিছুই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। তিনিও এভাবেই হয়তো বিশ্বাস করেছেন।
তবে ভাই। যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাঁর কিছু যুক্তি খন্ডন হচ্ছে, তাকে তুলোধুনা করা হচ্ছে। তবে দিনশেষে আমরা অনেকে কিছুই জানতে পারছি শিখতে পারছি।
বুদ্ধিমান ব্লগারেরা খুব বিরক্তি নিয়ে হলেও এখানে এসে এ লেখায় ভীষন আপত্তি জানিয়ে চমৎকার কিছু তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন
তেমন আপনিও -এটা আমার কম পাওনা নয়।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধার্মিক হিসাবে বিশ্বাস করি মানুষ পৃথিবীর বাইরে থেকে এসেছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এই বইয়ের লেখকের যুক্তিগুলো হাস্যকর মনে হচ্ছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: যুক্তিগুলো হয়তো অনেক বেশী পোক্ত নয়- তবে পুরোটা পড়লে অতবেশী হাস্যকার হবার কথা নয়।
তিনিও বেশ ভাল জানেন বোঝান বলে মনে হয়। একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি নিশ্চয়ই জেনে বুঝে নিজেকে হাস্যম্পদে পরিণিত করবেন না। আসুন চলতে থাকি দেখি এই বইয়ের শেষ মেষ কি হাল হয়??
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: কীসব ভয়ংকর বিষয়!
তবে ধর্ম বিশ্বাসীদের কাছে যুক্তি তর্কের গুরুত্ব নাই।
চমৎকার লিখেছেন। +
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কেউই বিশ্বাস করতে চাইছে না।
সিলভা সাহেব ভাল চিপার মধ্যে পড়েছেন। মাঝখানে আমার দম যায়
দুনিয়ায় ভাবনা চিন্তার শেষ নাই। পৃথিবীতে এসে অব্দি মানুষ যত কিছু ভেবেছে তাঁর কোটি ভাগের এক ভাগ ও আবিস্কার হয়নি।
দেখি এখন এলিস সাহেবের ভাবনায় কতটুকু ঝড় তোলে আত আমরা বিশেষ কি আবিস্কার করতে পারি?
বরাবর সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার অনুবাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। আপনি প্রাঞ্জল অনুবাদ করার জন্য অনেকে আলোচনায় অংশ নিতে পারছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: অনুপ্রাণিত করার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্যস্ততার কারণে লেখা পুরো পড়তে পারলামনা তবে মন্তব্যগুলো পড়ে ভালো লাগলো। পরিশ্রম করে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য ও অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: একসময় মনে হত আমিই খালি খটোমটো-কঠিন বিষয়ে লিখি যা আমার -
অপ্সরা বোনের ভাষায়, " ভাইয়া কি সব পোস্ট লেখো!!!!!!!! শিরোনাম পড়ে আমার চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায় । ভেতরে ঢুকে চক্ষু হয় দই বড়া। "
আর আপনার লেখা বাবনিক কতই না মজার ছিল ( যদিও শেষটা খবুই করুণ ছিল) । আর এখন এত কঠিন বিষয়ে গেনী গেনী কতা ঠিকমত হজম ( রস আস্বাদন) করতে পারছিনা। খালি কিমন কিমন লাগে। ( লেখার বিষয়ের বাইরেই পুরা মন্তব্য, অপরাধ মার্জনীয়)।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: সব বয়সের দোষরে ভাই- কি আর করার!
আগে চেষ্টা করে বড় লেখা লিখতে পারতাম না আর এখন লেখা শুধু দৈর্ঘ্যে বাড়ে ঠেকাইতে পারিনা
তারপরে যেমন জীবন কঠন থেকে কঠিনতর হচ্ছে তেমনি লেখার বিষয়বস্তুর অবস্থা!!!
বাবনিককে মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। তবে অনেকে নাক সিটকেছেন!!
খাপা কঠিন ভাল যাইই হোক সাথে থাইকেন।
১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা পোস্ট দিয়েছেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার লেখায় বেশ অনেকদিন বাদে আসলেন। ধন্যবাদ।
কেমন যেন ঝিমিয়ে গেলেন আপনি
২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানুষের জীবন নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কাহিনী আছে, আমি সবগুলো পড়ি। ভালো লাগে পড়তে। আপনার লেখা তিন পর্ব পড়েছি। অনেক চমৎকার একটি লেখা কষ্ট করে পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে+++
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
শেরজা তপন বলেছেন: সবগুলো পর্বে আপনার উপস্থিতিতে আমি ধন্য।
আপনার আনুপ্রেরণা আমাকে ভাল কিছু লিখতে উৎসাহিত করে।
ভাল থাকুন সুস্থ ও সুন্দর থাকুন। পরের পর্বগুলোতে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব...
২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকালও পোস্টে এসেছিলাম কিন্তু কনসেন্ট্রেট করতে পারেনি। এইসব গভীর বৈজ্ঞানিক কথাবার্তা মাথার উপর দিয়ে গেছে।আজকে আবার এলাম এবং কিছুটা বুঝলাম।মনে হয় আপনি বলতে চেয়েছেন, আমরা যে নিজেদের প্রয়োজনে বিকশিত হইনি পরিবেশের অভিযোজনের কারণে আমরা খাপ খাওয়াতে বাধ্য হয়েছি।তিন ও চার নম্বরে ঋতু পরিবর্তনের ফলে কিভাবে আমরা অভিযোজন করতে বাধ্য হই এবং চার নম্বরে মেরুদন্ডের ব্যাখ্যা বিশেষ করে ব্যাক পেইনের প্রসঙ্গটি যেভাবে উত্থাপন করেছেন তাতে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। ঠিক তো মানুষ বাদে অন্য কোন প্রাণীর ব্যাগ পেইনের সমস্যাটি নেই। যাইহোক আলোচনা চলতে থাকুক।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: এসব আর্টিকেলে পজিটিভ মন্তব্য করা বেশ জটিল! এর সপক্ষে মন্তব্য করা মানে আপনি এই মতবাদকে কিছুটা হলেও মেনে নিচ্ছেন। এটা মেনে নেয়া বাদে ধর্ম ও বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে দাড়াচ্ছেন! আর এখানেই ট্যাগ খেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ! সে কারণেই যৌক্তিকভাবে অনেক ব্লগার মতামত জানানো থেকে বিরত থাকেন।
আমিও তো কঠিন কঠিন কথা বুঝিনা- কিন্তু এগুলো কেমনে যান খানিকটা মাথায় ঢুকল! পোকা ঢুকেছে সেটাকে তাড়াচ্ছি- না হলে শান্তি নেই!!
ফের চমৎকার এই মন্তব্য ও অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল প্রিয় ভাই। ভাল থাকুন।
২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৭
নতুন বলেছেন: পই পই করে এই থিউরি প্রমান করা যাবেনা, মানুষের ইতিহাস অনেক পুরনো তাই একটা দুইটা থিউরিতে মানুষের সবকিছু ছকে ফেলা যাবেনা।
কিন্তু আমারো কেন জানি মনে হয়েছে যে অন্য প্রানীরা যেমন প্রাকৃতিক ভাবেই শারিরিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃতির সমস্যাগুলি মোকাবেলার হাতিয়ার পেয়েছে বা ব্যবহার করছে।
মানুষ সেই ভাবে সক্ষম না। বরং মানুষ তার বুদ্ধি দিয়ে এই পৃথিবিতে প্রতিকুল পরিবেশে বেচে আছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: যে যেভাবে যাই বলুক-না কেন এসব বিষয় বিশুদ্ধভাবে প্রমান করার মত জ্ঞান মানুষ এখনো অর্জন করেনি।
বিবর্তনবাদ একটি জটিল ও অপরিপক্ক থিউরি যার নিরঙ্কুশ প্রমান প্রায় অসম্ভব। বিজ্ঞানীরা ৩০ বছরের অধিককাল ধরে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গবেষনা করেছে যা মানব প্রজন্মের দেড় লক্ষ বা তারও বেশী সময়ের সমান ধরা হয়। পরিবর্তিত বা প্রতিকুল পরিবেশে অতি অল্প কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করেছে আবার এর অতি ক্ষুদ্র অংশ কোন এক সময় তারা এক কোষী থেকে দুই কোষী ক্ষুদ্র প্রাণীতে রুপন্তরিত হয়েছে।( সময়ের ব্যাপারে ভুলত্রুটি থাকতে পারে- স্মৃতি থেকে) সেই হিসেবে এমিবা থেকে মানুষ পর্যন্ত আসতে কয়েক হাজার কোটি বছরের বিবর্তন প্রয়োজন। আর যেখানে আপনার কোন শত্রু নেই সেখানে টিকে থাকার কোন সমস্যা নেই তাহলে বিবর্তনের কি প্রয়োজন ছিল? এমিবা একসময় নিজেই খাদক এবং নিজেই খাদ্য হয়েছে।
মাথার মধ্যে এমন অনেক কিছুই আসে। কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান ছাড়া বিবর্তনবাদ ভুয়া বলে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
বিজ্ঞানীরা সৃস্টি রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য কত নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করছেন- দিনরাত অমানুষিক পরিশ্রম করছেন কাদের স্বার্থে? পৃথিবীবাসীর মঙ্গলার্থে।
আলোচনা সমালোচনা তর্ক বিতর্ক তত্ত্ব হাইপোথিসিস চলবে চলতে থাকবে। কিন্তু বিজ্ঞান মানব কল্যানের জন্য তাঁর অভিষ্ঠ লক্ষ্য পুরণ করবেই।
আপনার মত অতি পুরনো ব্লগারদের ব্লগে পালে দারুনভেবে অনুপ্রাণিত হই।
ভাল থাকুন ভাই। পরের পর্বগুলোতে ফের আসবেন।
২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
নিমো বলেছেন: @ নতুন,
@ নতুন,
@ নতুন,
@ নতুন,
@ নতুন,
@ নতুন,
@ নতুন,
@ নতুন,
view this link
view this link
উপরের ছবি ও তথ্য ডুলো থেকে এটা সুস্পষ্ট যে আমরা সবাই এলিয়েনগো থেকে আইছি।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এলিস সিলভার বলতে চেয়েছেন যে, মহাবিশ্বের সব প্রান একই ফর্মের। জীনগতভাবে সবার সাথে সবার অল্প বিস্তর মিল আছেই।
জন্ম মৃত্যু সহ বংশগতির ক্রম ধারাবাহিকতা অনেকটা একই রকম।
শুধু বুদ্ধিমত্বা, শারিরিক গঠন ও টিকে থাকার পরিবেশের ভিন্নতা তাকে এলিয়েন( তিনি মোটেই আমাদের সেই কাল্পনিক এলিয়েন মিন করেননি- বলেছেন আমাদের মত অন্য গ্রহবাসী) হিসেবে উপস্থাপন করে। তাছাড়া তিনি জেনেটিক মিউটেশনের উদাহরণ ও টেনেছেন।
নিমো ভাই- ধন্যবাদ আপনার চমৎকার ইমেজভিত্তিক রেফারেন্সের জন্য।
যদিও ব্লগার নতুনকে ট্যাগ করেছেন তবুও আমি আমার পক্ষ থেকে উত্তরটা দিলাম।
এলিস সাহেবের বইটা বেড়িয়েছে ২০১৯ সালে। তিনি আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান সন্মন্ধে ভালই জানেন সম্ভবত।
২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: এলিস সিলভার বলতে চেয়েছেন যে, মহাবিশ্বের সব প্রান একই ফর্মের।
উনার এ কথা বলার ভিত্তি কী ? কার্বন ভিত্তিক না হয়ে সিলিকন,আর্গন বা অন্য কোন মৌল ভিত্তিক হলে সমস্যা কোথায় ? Loricifera নিয়ে সিলভার ভাইজানের মতামত কী ?
A living being usually has two elements: a set of instructions that tell the system how to sustain and reproduce itself, and a mechanism to carry out the instructions. In biology, these two parts are called genes and metabolism. But it is worth emphasising that there need be nothing biological about them. For example, a computer virus is a program that will make copies of itself in the memory of a computer, and will transfer itself to other computers. Thus it fits the definition of a living system, that I have given. Like a biological virus, it is a rather degenerate form, because it contains only instructions or genes, and doesn't have any metabolism of its own. Instead, it reprograms the metabolism of the host computer, or cell. Some people have questioned whether viruses should count as life, because they are parasites, and can not exist independently of their hosts. But then most forms of life, ourselves included, are parasites, in that they feed off and depend for their survival on other forms of life. I think computer viruses should count as life
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সিলভার ভাইজানের মতামতটাও একটু জানায়েন!
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: সিলভার ভাই ফোন টোন, মেইল সম্ভবত ব্যভার করেন না। সাথে নাকি একটা ক্যামেরাও নাই তাঁর।
ক্যামনে যোগাযোগ করব বলেন?
একটি জীবিত প্রাণী সাধারণত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত: একটি নির্দেশাবলীর একটি গোষ্ঠী বা দল যা সিস্টেমকে নির্দেশনা দেয় যে কীভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হবে ও পুনরুত্পাদন করতে হবে। সেই নির্দেশগুলি কার্যকর করার জন্য সে প্রক্রিয়া জীববিজ্ঞানে, এই দুটি অংশকে জিন এবং বিপাক বলা হয়।
~আমার কাছে কিন্তু এটা খুব ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। কত জ্ঞানী মানুষ তিনি জীবন'কে দুই লাইনে বুঝিয়ে ফেলেছেন!!!!!!!!
তবে এটি জোর দেওয়া উচিত যে, তাদের মধ্যে জৈবিক কিছু থাকা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি কম্পিউটার ভাইরাস এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি কম্পিউটারের মেমরিতে নিজেকে কপি করে এবং নিজেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করে।
সুতরাং, এটি আমার দেওয়া একটি জীবন ব্যবস্থার সংজ্ঞার সাথে খাপ খায়। একটি জৈবিক ভাইরাসের মতো, এটি একটি অবক্ষয়কারী ফর্ম কারণ এতে শুধুমাত্র নির্দেশাবলী বা জিন রয়েছে কিন্তু এর নিজস্ব কোনো বিপাক নেই। পরিবর্তে, এটি প্রধান কম্পিউটার বা কোষের বিপাককে পুনরায় অনুক্রম করে।
কিছু লোক ভাবছে যে ভাইরাসগুলিকে জীবন হিসাবে বিবেচনা করা উচিত কারণ তারা পরজীবী এবং তাদের নিমন্ত্রনকর্তা থেকে স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না। কিন্তু তারপরে আমরা নিজেদের সহ বেশিরভাগ জীবন রূপই পরজীবী কারণ তারা খাওয়ায় এবং তাদের বেঁচে থাকার জন্য অন্যান্য জীবন গঠনাবলীর উপর নির্ভর করে। আমি মনে করি কম্পিউটার ভাইরাসকে জীবন হিসেবে বিবেচনা করা উচিত;
~হাঃ হাঃ জীবন সংজ্ঞা নিজে তৈরি ,সেই সংজ্ঞার উপরে কম্পিউটার ভাইরাসকে জীব বানিয়ে চমৎকার তত্ত্ব প্রচার করেছেন। এলিস ভাই এর থেকে কম যান না ইনিও!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৭
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল, অনেক কিছু জানলাম, এই কার্কাডিয়ান বায়োলজিকাল ঘড়ির ব্যাপারে ধারনাই ছিলো না, তাই তো বলি, সকাল ৭ টা বাজলেই অটোমেটিক ঘুম ভাংগে। তাহলে আমাদের আদি গ্রহের আর এই গ্রহের দিন ও রাত এর সময়কাল প্রায় একই।
আপনার সব কিছুই মিলে যাবে যদি ধরেন, আমাদের আদি গ্রহ আর এই গ্রহের মধ্যে ৯৭% মিল রয়েছে। তবে এই মিলে যাওয়া টা পুরাই র্যান্ডোম প্রক্রিয়া যেটার সম্ভাবনা প্রায় ১.৩%।
আমাদের জীবন ব্যাবস্থার সাথে চাদের সম্পর্ক আছে? জোয়ার ভাটার সম্পর্ক আছে? চাদের সাথে পৃথিবীর গ্রাভিটির সম্পর্ক আছে??? তাহলে কি আদি গ্রহেও চাঁদ ছিলো???