নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের শরীরের চুলের অভাব(Humans are Not from Earth)~৫

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৪


নম্বরঃ ৭। আমাদের শরীরের চুলের অভাব

টি আমাদের পরিবেশের সাথে খারাপভাবে অভিযোজিত হওয়ার আরেকটি উদাহরণ। এমনকি পূর্ব আফ্রিকা যেখানে আমারা বিবর্তিত হয়েছে বলে ধারনা করা হয়, সেখানেও রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ে। এমন ঠান্ডায় হাইপোথার্মিয়া এবং মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের মত লোমহীন প্রাণীদের নিজেদের গুটিয়ে নিতে হবে,উষ্ণ আশ্রয় স্থল খুঁজতে হবে কিংবা নিজেকে উষ্ণ রাখার জন্য ঢাকতে হবে। ভাগ্যক্রমে আমরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান-সেজন্যই জানি যে আমাদের এটি করতে হবে। কিন্তু বড় প্রশ্ন কেন, আমরা আমাদের শরীরের বেশিরভাগ লোম হারিয়ে ফেলেছি?
(যদিও আধুনিক গবেষনায় বলে যে, মানুষের শরিরের লোমকুপের সংখ্যা আমাদের নিকটতম প্রাইমেটদের থেকে অনেক বেশী।*)
- ধরে নিচ্ছি আমরা পৃথিবীতেই বিবর্তনের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছি এবং আমাদের পূর্বপুরুষের চুল/লোম/পশম ছিল। তবে কেন আমরা প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় একটা অনুষঙ্গ হারালাম?
হতে পারে কি-সম্ভবত যখন আমরা জামাকাপড় পরা শুরু করেছি (পশুর চামড়া) তখন থেকেই ধীরে ধীরে চুলের প্রয়োজন হারিয়ে ফেলেছি? অবশ্য আমাদের শরিরে এখনো কিছু চুল অবশিষ্ট আছে, এটা ঠিক যে এর বেশিরভাগই এতই সংক্ষিপ্ত বা সামান্য যে, এর তেমন কোন ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে নেই। তাই আমরা মূলত নগ্ন।
(বিস্তারিত জানতে পড়ুন রেফারেন্স অধ্যায়#২ Ref# Scientific American: The Naked Truth – Why Humans Have No Fur.)



[পশম দিয়ে ঢাকা ত্বকের চেয়ে খালি মানুষের ত্বক শরীরের তাপ অপসারণে বেশি দক্ষ। এটি করার জন্য, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের তিন ধরণের গ্রন্থি রয়েছে: অ্যাপোক্রাইন, একক্রাইন এবং সেবেসিয়াস। বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে, ত্বকের বাইরের স্তর, যা এপিডার্মিস নামে পরিচিত, তাতে অনেকগুলি অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিগুলো চুলের ফলিকলের চারপাশে গুচ্ছ করে এবং তৈলাক্ত ঘাম দিয়ে পশম আবৃত করে। এই ঘামের বাষ্পীভবন, যা চামড়া থেকে তাপ সরিয়ে প্রাণীকে শীতল করে। কিন্তু একটি প্রাণী যত বেশি ঘামে, তাপ অপসারণে তার কার্যকারিতা তত কমে যায়, কারণ আবরণটি জট পাকিয়ে যায়, ঘামের বাষ্পীভূত করা আরও কঠিন করে তোলে। বিপরীতভাবে মানুষের বহিঃত্বকের একক্রাইন গ্রন্থিগুলি প্রাধান্য পায়। এই গ্রন্থিগুলি ত্বকের উপরিভাগে কাছে অবস্থিত এবং ক্ষুদ্র ছিদ্রগুলির মাধ্যমে সূক্ষ্ম জলযুক্ত ঘাম নিঃসরণ করে। ত্বকের পৃষ্ঠ থেকে সরাসরি বাষ্পীভূত হওয়ার পাশাপাশি, এই একক্রাইন(বহুকোষী গ্রন্থিগুলিকে বা যেগুলি তাদের নিঃসরণে সাইটোপ্লাজম হারায় না। বিশেষত ঘাম গ্রন্থি, যা শরিরের ত্বকে বিস্তৃত।) ঘাম অ্যাপোক্রাইন(বহুকোষী গ্রন্থিগুলিকে বা যেগুলি তাদের সাইটোপ্লাজমের অংশ নিঃসৃত করে, বিশেষ করে বগলে এবং পিউবিক অঞ্চলে লোমকূপের সাথে যুক্ত ঘাম গ্রন্থিগুলি।) ঘামের চেয়ে আরও সহজে বাষ্পীভূত হয়, যা বেশ শীতলতা প্রদান করে। সুত্রঃ scientific american]

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীরা শত শত বছর ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়িয়েছেন, কোনো বিশ্বাসযোগ্য উত্তর মেলেনি এখনো। শুধু এর কারন হিসেবে সম্ভাব্য কিছু উত্তর;
সুবিধা:
শরীরের কম উকুন এবং অন্যান্য বাহ্যিক পরজীবী।
যেহেতু আগুন আমাদের নিত্য অনুষঙ্গ এবং আমরা আগুনের কাছাকাছি থাকি তাই আগুন ধরার সম্ভাবনা কম।
ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপ হারানো সহজ, অতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে আমরা অতিদ্রুত তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমরা পোষাক বা অন্য কোন মাধ্যম বা উপকরণ যোগ করে বা বিয়োজন করে কিংবা আগুনের সংস্পর্শে নিজেরাই নিজেদের শরিরের তাপ নিয়ন্ত্রন করতে পারি।
এই যুক্তিগুলি খণ্ডন:
১. অন্যান্য প্রাইমেটরা পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে উকুন বা অন্যান্য পরজীবী ভালভাবে মোকাবেলা করে। এছাড়া কিছু প্রাণী লেজ জিহ্বা বা পেশী কম্পনের ( কিংবা বিশেষ ভঙ্গীতে শরীর ঝেড়ে- যেভাবে শরীরে আমরা ঝাড়া দিতে পারি না) মাধ্যমেও এদের মোকাবিলা করে।
২. অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, আমরা আগুন আবিষ্কারের বা আগুনের ব্যাবহার শেখার অনেক আগেই আমরা আমাদের শরীরের চুল হারিয়ে ফেলেছি। সম্ভবত লোম হারানোর পরেই আমরা আগুন বা তাপের প্রয়োজনীয়তা বেশি উপলব্ধি করেছি।
৩. অন্যান্য প্রাইমেটরা চুল থাকা সত্ত্বেও ঘামে, - আসলে তাদের চুল ঘামের জন্য ও অতিদ্রুত শরীর ঠাণ্ডা হবার জন্য আরও বেশী কার্যকরী। এগুলো হাজার হাজার উইক্স (কৈশিক ক্রিয়া দ্বারা শোষণ করা তরল) হিসাবে কাজ করে যা ঘাম বা তরল বহন করে তাদের ত্বক থেকে আর্দ্রতা দূরে করে এবং এটা দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে তাদের ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে।
আমাদের যৌনাঙ্গের চারপাশেও চুল থাকে। পুরুষদের অণ্ডকোষ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন এবং পিউবিক চুল এটি সাহায্য করে আর্দ্রতা দূর করে বাষ্পীভবনের হার বাড়িয়ে দিতে। *সেই সাথে দীর্ঘ সময় ধরে পোশাক পড়া ও আগুনের কারণে আমরা পিউবিক চুল কখনোই হারাই নি।
এর বিপক্ষে মুল উদাহরণ আমাদের মাথার চুল; যা আমাদের মাথাকে গরম বা ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে (*সেই সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত থেকেও। শরীরের পশম মানুষের স্পর্শ-কাতরতা বাড়িয়ে দেয়।)
প্রমাণিত হয়েছে (বাধা না করে) অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন বড় বিড়ালজাতীয়( বাঘ-সিংহ) তাদের শিকার করার সময় উল্লেখযোগ্য-ভাবে বেশি শরীরের তাপ উৎপন্ন করে-যেমন আমরা করি। চুল না থাকার কারণে যদি তারা সহজেই শরীরের তাপ হারাত এবং আরো বেশি সময় তাদের শিকারের পেছনে দৌড়াতে পারত তবে তারাও আমাদের মত চুল বিহীন হোত। কিন্তু তেমনটা হয়নি।অনেকে বলে থাকেন; অন্যান্য প্রানী দ্রুত হলেও খুব অল্প সময়ের জন্য তাদের শিকারের পেছনে দৌড়ায় কিন্তু মানুষের শরিরে চুল না থাকার কারনে প্রয়োজনে সুদীর্ঘ সময় শিকারের পেছনে ছুটতে পারে।
যুক্তি খন্ডনঃ
• ঘোড়ার শরির ঘন চুলে আচ্ছাদিত। তারা মানুষের চেয়েও দীর্ঘ সময় ধরে আরো দ্রুত গতিতে দৌড়াতে পারে।


অন্যান্য সম্ভাবনা:
আমাদের এখানে এমন একটি গ্রহ থেকে আনা হয়েছিল যেখানে আমাদের লোম থাকার কোন প্রয়োজন ছিল না। সম্ভবত দিনের বেলা এবং রাতের তাপমাত্রা অনেকটা একইরকম ছিল।
কিভাবে এমনটা হতে পারে; এর কারণগুলির মধ্যে ঘন মেঘের আচ্ছাদন তাপ প্রতিরোধ করতে পারে, স্থল দিনে তাপ শোষণ করে এবং রাতে বিকিরণ করে, বাইনারি (বা যমজ) সূর্য তাই গ্রহটিকে কখনই ঠাণ্ডা হতে দেয় না বা অন্ধকারে ঢেকে দেয় না বা পাতলা ভূত্বক এর কারনে গলিত কোর এর তাপ গ্রহের জমিকে উত্তপ্ত রাখে। পরে আরো বিস্তৃতভাবে আমি এর কিছু পরীক্ষা করব।
আরেকটি আকর্ষণীয় সম্ভাবনার কথা ভাবা যায়, যা ঘটতে পারে হয় পৃথিবীতে বা আমাদের হোম গ্রহে: এলিয়েনরা আমাদের ডিএনএ একসাথে সংযুক্ত করেছে একটি অত্যন্ত উঁচু বুদ্ধি সম্পন্ন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর সাথে(ডলফিন বা তিমি জাতীয়) – যারা প্রকৃতিগত-ভাবে চুল-হীন।
আমাদের ত্বক নিন্মস্থ পুরু স্তরের চর্বি, যা অন্য কোন স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় না কিন্তু বিভিন্ন সমুদ্রে বাস করা বিভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায়।
অনেকে মনে করেন যে জলের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সাথে এই ডিএনএ সংযুক্ত-করন হয়ত আদৌ ঘটেনি। তবে আমরা যে স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলি থেকে বিবর্তিত হয়েছিলাম তারা প্রায় ১০ মিলিয়ন বছর আগে সমুদ্রে ফিরে গিয়েছিল, ফের যখন ওরা ডাঙ্গায় ফিরে আসল তখন তারা ছিল মূলত চুল-হীন এবং সঙ্গে তাপ নিরোধক এর জন্য অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত স্তর।আমরা বিকশিত হয়েছি তাদের থেকে ভীনগ্রহবাসীর ডি এন এ -সংকরায়ন করে।
এটি সমর্থন করার প্রমাণ:
দ্বিপদবাদ, যা আমাদের জমিতে সোজা হয়ে চলতে বাধ্য করে। এটা আমাদের পিঠ বা পেছনভাগের জন্য কার্যত উপযোগী নয় যদিও আমরা প্রাকৃকিকভাবে সাতারু নই কিন্তু এমন গড়নের ফলে আমরা দক্ষ সাঁতারু হয়ে উঠতে পারি-*যা আমাদের নিকটতম প্রাইমেটরা পারে না।
~আঙ্গুল এবং পায়ের গোড়ালির মধ্যে ভেস্টিজিয়াল ওয়েবিং। ( যা মুলত সেইসব সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আছে এবং স্থলের প্রাণীদের মধ্যে শুধুমাত্র মানুষের এটি রয়েছে।) ত্বকের নিচের চর্বি বৃদ্ধি এবং শরিরের পশম বা চুলের হারানো, যা ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে।
~সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায় এমন একটি কিডনির গঠন (যেখানে এটি তাদের রক্ত থেকে অত্যন্ত বেশি লবণ অপসারণে দক্ষ) কিন্তু স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের এমনটা দেখা যায়নি – এমনকি আমাদের অনুমিতভাবে বংশধর এপস’দের পর্যন্ত এমন কিডনি নেই।
~ডাইভিং রিফ্লেক্স, যখন আমাদের মাথা পানির নিচে থাকে যা আমাদের হৃদস্পন্দনকে ধীর করে দেয়, স্বেচ্ছায় আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সহ।
~ভার্নিক্স - মোমের আবরণ যা শিশুদের জন্মের সময় আবৃত থাকে। এটা অন্য কোন স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায় না, তবে বেশ কয়েকটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়।
এটি খন্ডন করার প্রমাণ:
~আমাদের ত্বকের গঠন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা দীর্ঘ সময় ধরে পানির সংস্পর্শে থাকলে আমাদের ত্বক ভেজা স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ে এবং ত্বক ভেঙ্গে বা কুঁচকে যায় (দীর্ঘ সময় পানিতে হাত পা চুবিয়ে রেখে আপনি নিজেই পরিক্ষা করতে পারেন)



[জানুয়ারী ২০১৩ সালে বিজ্ঞানীরা একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা খুঁজে পেয়েছিলেন যে কেন আমরা স্নান করার সময় একজন ব্যক্তির আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুলের ত্বক শুকনো আলুবোখারার মতো কুঁচকে যায়। ল্যাব পরীক্ষা নিশ্চিত করেছে যে, কুঁচকে যাওয়া আঙ্গুলগুলি ভেজা বা নিমজ্জিত বস্তুর উপর সঞ্চালন উন্নত করে, সম্ভবত গাড়ির টায়ারে বৃষ্টির ট্র্যাকের মতো জলকে ঝাঁকুনি দিয়ে। আগে ভুল ধারনা ছিল যে, ত্বকের বাইরের স্তরের বলি রেখাতে পানি প্রবেশ করে। এই গবেষণায় আরো জানা যায় যে, পরিবর্তনটি শরীরের স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রের একটি অনিচ্ছাকৃত প্রতিক্রিয়া বা একটি সিস্টেম যা শ্বাস, হৃদস্পন্দন ও ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে। আসলে, ত্বকের নিচে রক্তনালী সংকুচিত হওয়ার কারণে ত্বক এভাবে কুঁচকে যায় হয়। সুত্রঃ aquatic-human-ancestor]

~বর্তমান সমস্ত লোমহীন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীরা কয়েক মিলিয়ন বছর আগে বিবর্তিত হয়েছিল, দশ মিলিয়ন বছর আগে নয়।
~আমাদের কিডনি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের মত খুব দক্ষতার সাথে লবণ অপসারণ করতে পারে না – রক্তে অতিরিক্ত লবণের উপস্থিতি আমাদের অসুস্থ করে ফেলে- তাই ডাক্তার আমাদের অনবরত লবণ খাওয়া কমাতে বলছেন। আমাদের কিডনির মাধ্যমে আমাদের শরীর সহজে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে না। আসলে ঘাম লবণ অপসারণের জন্য অনেক বেশি কার্যকর উপায়-এটা অন্যান্য স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীরা করে কি না তা বলার মত যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এমনকি অন্য কোন স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের স্বেচ্ছায় শ্বাস নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আছে কি-না সেটাও প্রমাণিত নয়( *হিপো হয়তো এর ব্যতিক্রম- তবে তারা জীবনের বেশীরভাগ সময় জলেই কাটায়। জলের না হলেও তারা স্থল স্তন্যপায়ী নয়।)
অবশ্যই এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় না কেন আমাদের মাথায় এবং পিউবিক অঞ্চলে চুল রয়েছে (এবং আমাদের সমস্ত শরীর জুড়ে সীমিত পরিমাণে)। ঠিক তেমনি কেন বনমানুষের পশম আছে এবং আমাদের নেই? এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা নেই। বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় প্রাইমেটরা প্রাথমিক হোমিনিডদের থেকে ৫ থেকে ৭ মিলিয়ন বছর আগে বিভক্ত হয়েছে বলে মনে করা হয়। সেহেতু তাদের বেশীরভাগ শারীরিক বৈশিষ্ঠগুলো অনেকটা একরকম থাকার কথা থাকলেও আসলে তা নেই।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই এখন বিতর্ক করছেন স্তন্যপায়ীদের সমুদ্রে এই অস্থায়ী প্রত্যাবর্তন আদৌ কখনও ঘটেছিল কি না।

অন্যান্য সম্ভাবনা:
কেউ কেউ যুক্তি দিচ্ছেন, বরফ যুগের একটি সময় আমরা ধীরে ধীরে আমাদের চুল হারিয়ে ফেলেছিলাম, কারণ জমিতে খাবারের অভাব ছিল এবং আমরা জলে শিকার করতে বাধ্য হয়েছিলাম।
~ এমনটা হলে এবং শারীরিক গঠন সাঁতারের উপযোগী হলেও আমরা প্রাকৃতিক-ভাবে দক্ষ সাঁতারু কেন হলাম না?*
যাদের চুল কম তারা যাদের বেশি চুল তাদের তুলনায় দ্রুত শুকিয়ে যায় (এবং তাই গরম হয়ে যায়- বেশী চুল যাদের তারা হাইপোথার্মিয়ায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল)।
অন্য দল বলছে যে স্থল স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন হাতি এবং জলহস্তী’র যে কারনে চুল নেই ঠিক একই কারণে আমাদের চুল নেই - তারা ঠাণ্ডা হতে পারে জল স্প্রে করে বা শরীর জলে ডুবিয়ে দিয়ে বা ঠাণ্ডা কাদায় গড়াগড়ি খেয়ে।
-যদিও প্রশ্ন থাকে আপনি শেষবার কবে কাদায় গড়াগড়ি দিয়েছিলেন?
কেন পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে টিকে থাকার জন্য মোটা কাপড় বা অতিরিক্ত স্তর পরতে হবে? কেন আমাদের শরীর ঘন লোম বা চুলে আচ্ছাদিত হচ্ছে না - ঠিক অন্যান্য স্থল স্তন্যপায়ীদের মতো?
এই অনুমানগুলির প্রতিটির পক্ষে ও বিপক্ষের যুক্তিগুলি ক্রমাগত উন্মাদনা ছড়াতে থাকে। তর্ক যুক্তি আর শেষ হবার নয়। এবং বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এসব নিয়ে দ্বীধা-বিভিক্ত হয়ে পড়েছেন এর মধ্যে।
স্পষ্টতই কোন স্পষ্ট উত্তর নেই!! অন্তত এখানে পৃথিবীতে। সম্ভবত আমরা নিজেদের যতটা জ্ঞানী ভাবি এখনো ততটা বিজ্ঞ হয়ে উঠিনি- আমাদের হোম গ্রহের পূর্বপুরুষেরা সেই তুলনায় অনেক বেশী জ্ঞানী। তাদের কাছে হয়তো এর উত্তর আছে।

আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: পুরা লেখা পড়ার পরেও মাথায় কত প্রশ্ন থেকে গেলো.....

দিলো না কেউ জবাব তার....

চুল কমে গেলো বলেই চুলের এত কদর হলো এটা অন্তত বুঝলাম ..

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: দুই চারটা প্রশ্ন করেন আপু- আমাদের ব্লগে এমন অনেক জ্ঞানী গুণী ব্লগার আছে তারা হয়তো এর উত্তর দিলেও দিতে পারেন
আপনার প্রশ্নের চক্করে আমরাও মুফতে কিছু জানতে পারব :)
হ্যাঁ ছেলেরা যেমন টাক পড়লে উপলব্ধি করে চুলের মাহাত্ম্য :(

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

আরইউ বলেছেন:



উনি এ পর্বের লেখায় সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করেছেন সেটা হচ্ছে এই বাক্যে "ভাগ্যক্রমে আমরা যথেষ্ট বুদ্ধিমান-সেজন্যই জানি যে আমাদের এটি করতে হবে।" আদি প্রাণের সৃষ্টি হয়ত কোন পরিকল্পনামাফিক ঘটনা ছিলনা -- হয়ত প্রথম প্রাণ-রাসায়নিক বিক্রিয়াটি একটা হঠাৎ ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা ছিল কিন্তু এরপর যা ঘটেছে তার সবই সায়েন্টিফিক প্রক্রিয়ায় ঘটেছে, ভাগ্যক্রমে নয়! যে সায়েন্টিফিক প্রক্রিয়ায় ঘটেছে সেটাইএডাপটেশন, সেটাই বিবর্তন, একটা ডমিনেট ট্রেইট এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই অন্য ট্রেইটকে সাপ্রেস করেছে, এটাই নেচারাল সিলেকেশন।

চুল/লোম/ফার নিয়ে ২য় পর্বে যা বলেছিলাম তা আবার এখানে উল্লেখ করছি-

মানুষের আদি পুরুষের শরীরে কিন্তু একসময় লোম/ চুল/ ফার ছিল। কিন্তু, মানুষের বিবর্তনে ফারের চেয়ে সম্ভবত বেশি প্রয়োজন ছিল অন্য ট্রেইটের। যদিও সায়েন্স এখনো ১০০ ভাগ নিশ্চিৎ নয় কেন আমাদের ফার নেই তবু ধারণা করা হয় সম্ভবত ফারহীন থাকায় দিনের বেলা প্রখর সূর্যের তাপেও শিকারের সময় আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতো।

আবার অনেকে বলেন আমাদের শরীর ফারহীন থাকায় আমরা সহজেই আমাদের দৈহিক ইমোশনাল রেসপন্সকে বুঝতে পারি (যেমন গাল লাল হয়ে যাওয়া) যা আমাদের সামাজিক ও সেক্সুয়াল লাইফের জন্য প্রয়োজনিয়। নেচার যখন দেখেছে শরীরে ফার থাকার চেয়ে না থাকা মানুষের জন্য বেশি সুবিধার তখন সেই না থাকাটাই হয়েছে ডমিনেন্ট ট্রেইট - নেচারাল সিলেকশন।

লেখা চলুক, শেরজা!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: ধীরে ধীরে মনে হয় উনি খানিকটা ভাল কিছু উপমা নিয়ে আসছে কি বলেন?
এই ব্যাপারে বিজ্ঞান এখনো দ্বিধান্বিত! এর উত্তর যতটা না প্রমাণগত তাঁর থেকে বেশী ধারনাগত।

আশা করি এর উত্তর আমরা একদিন পাব।

আপনি বলেছেন;
মানুষের আদি পুরুষের শরীরে কিন্তু একসময় লোম/ চুল/ ফার ছিল। কিন্তু, মানুষের বিবর্তনে ফারের চেয়ে সম্ভবত বেশি প্রয়োজন ছিল অন্য ট্রেইটের। যদিও সায়েন্স এখনো ১০০ ভাগ নিশ্চিৎ নয় কেন আমাদের ফার নেই তবু ধারণা করা হয় সম্ভবত ফারহীন থাকায় দিনের বেলা প্রখর সূর্যের তাপেও শিকারের সময় আমাদের দেহকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতো।
~ এ বিষয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। এই প্রথম তিনি পক্ষ বিপক্ষের যুক্তি তুলে ধরলেন।
আমি একটা নিবন্ধের রেফারেন্স দিয়েছি। সেই পর্বটা আলাদাভাবে দিব। ভেবে দেখলাম রেফারেন্স নিবন্ধের জন্য প্রতিটা পর্ব বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনার যুক্তিনির্ভর বক্তব্য তুলে ধরার জন্য।
কোন কোন বিষয়ে একটু হতাশ বা হতদ্যোম হলেও লেখাটা চালিয়ে যাব বলে মনস্থ করেছি। দেখি কি হয়/
ভাল থাকুন- পরের পর্বে মন্তব্যের অপেক্ষায়...

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পানির মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে আমাদের হাতের আঙ্গুল কুঁচকে যায় এর কারণ হচ্ছে আমাদের পূর্বপুরুষরা একসময় পানিতেই ছিল।এভাবে আঙ্গুল কুচকে যাওয়ার কারণে শিকার ধরতে সহজ হয়। আমাদের ডিএনএ আমাদের পূর্বপুরুষের সেই ব্লুপ্রিন্টটি এখনো রেখে দিয়েছে। এছাড়াও পশম থাকার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা আঁচ করতে পেরে পশম কিন্তু দাঁড়িয়ে যায়। আমাদের নিকটতম পূর্বপুরুষরা যখন বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে তখন বিভিন্ন কারণে ভীত হলে পশম দাঁড়িয়ে যেত। এখনো দেখবেন আমরা কোন কারণে ভীত হলে, উত্তেজিত হলে আমাদের পশম দাঁড়িয়ে যায়। এই ব্লু প্রিন্টটিও আমাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করে রেখেছে।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে দেখবেন যে আমাদের মাঝে অনেকেই দুই কান স্পর্শ না করে নাড়াতে পারে। আমাদের নিকটবর্তী ম্যামালসরা দেখবেন যে এভাবে কান নাড়াতে পারে। এই ব্লু প্রিন্টও আমাদের ডিএনএ সংরক্ষণ করে রেখেছে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার যুক্তিগুলো মুল্যবান।
তবে খুব প্রয়োজনীয় অথচ আমাদের গাছে গাছে অতি ক্ষিপ্রতার সাথে বিচরন করার ব্লুপ্রিন্ট হয়তো হারিয়ে গেছে।
সাতারের বিষয়টা বিবর্তনের সামনে অনেক প্রশ্ন রাখে- দীর্ঘ সময় পানির কাছাকাছি বসবাস করার পরেও কেন আমরা ন্যাচারাল সাতারু হলাম না। প্রতিবছর সাতার না জানার কারনে কত লক্ষ লোক মারা যায়। কেন আমাদের কষ্ট করে সাতার শিখতে হয়?

প্রশ্ন অনেক আসে মাথায়- সব উত্তর সহজ নয়, সহজ হবার কথাও নয়।
বরাবর সাথে থাকবার জন্য সবিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভালো লেখা । যদি আদল আ: কে প্রথম মানুষ ধরা হয় তাহলে কোন সন্দেহ নেই তিনি অন্যগ্রহ অর্থাৎ কুরআন ও বাইবেল অনুসারে জান্নাত থেকে এসেছেন । এবং এটাই সত্য । এর বাহিরে কোন তথ্যই ধামে টিকবে না ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১২

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
আপাতত ধর্মের মতবাদটা আমরা একপাশে রাখি না হয়। শেষ দিকে অল্প বিস্তর সব গুলো নিয়ে আলোচনা করব আশা রাখছি।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন:
- ধরে নিচ্ছি আমরা পৃথিবীতেই বিবর্তনের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়েছি এবং আমাদের পূর্বপুরুষের চুল/লোম/পশম ছিল। তবে কেন আমরা প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় একটা অনুষঙ্গ হারালাম?
হতে পারে কি-সম্ভবত যখন আমরা জামাকাপড় পরা শুরু করেছি (পশুর চামড়া) তখন থেকেই ধীরে ধীরে চুলের প্রয়োজন হারিয়ে ফেলেছি?

প্রথম প্রশ্ন আসলো- জামা কাপড় পরা শুরু করলাম কেনো আমরা?

কই আমাদের আশেপাশের পশুপাখি কুকুর বিড়াল গাধা গরুরা তো শীত লাগলেও কোনো কাপড়ের দোকানে গিয়ে টাকা না দিয়ে কিনতে পারুক চাইতেও পারে না। তবে আমরা কেনো পরা শুরু করলাম।

জামা কাপড় পরা শুরু করলাম বলেই চুল পড়ে গেলো! কেনো কেনো কেনো ?
অযথা চুল থাকতে জামা কাপড় পরার এই বোকা চিন্টা কেনো? নিশ্চয় সুন্দর সুন্দর শাড়ি কাপড় পরার জন্য মেয়েরাই এই চিন্তা মাথায় ঢুকিয়েছিলো।

তার থেকে তো আরেকটা কথাও মাথায় আসে। জামা কাপড় পরা শুরুই হলো কারণ চুল হারায় যেতে লাগলো মানুষের শীত লাগটে শুরু করলো তাই। তাহলে আবার কেনো চুল হারালো? উফফ পুরাই ডিম আগে না মুরগী আগে হয়ে গেলো তো.... :(




২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন আসলো- জামা কাপড় পরা শুরু করলাম কেনো আমরা?
~প্রথম প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। ধারনা করা হয় কাবারের খোঁজে অন্য কোন প্রতিকুলতার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন এলাকার তাপমাত্রা ও আভাওয়ার ব্যাপক তারতম্যের জন্য বাধ্য হয়ে পোশাক গায়ে চরাতে হয়েছে।

কই আমাদের আশেপাশের পশুপাখি কুকুর বিড়াল গাধা গরুরা তো শীত লাগলেও কোনো কাপড়ের দোকানে গিয়ে টাকা না দিয়ে কিনতে পারুক চাইতেও পারে না। তবে আমরা কেনো পরা শুরু করলাম।
~ মেরু অঞ্চলের শিয়াল, নেকড়ে সহ কিছু প্রাণী যারা হাইবারনেশোনে যায় না গরমে তাদের পশম ঝড়ে যায় এবং শীতে তাদের গা ভর্তি ভারি পশমের আচ্ছাদন প্রাকৃতিকভাবে হয়।
অতিরিক্ত শীত ও গরমে অনেক প্রাণী মারা যাচ্ছে প্রতি নিয়ত।
মানুষ তাদের গৃহিপালিত পশুপাখির ঘর বা শরির গরম ঠান্ডা রাখার জন্য বিভিন্ন পন্থে অবলমন করছে।
তাহলে বিড়াল কেন শীতের রাতে লেপের তলে ঢুকতে চায়?

আমিতো বলি মোরগের সাথে একটা মুরগি ও ছিল আগে :)

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০০

আরইউ বলেছেন:




ওনার যুক্তির সমস্যা হচ্ছে উনি ধরে নিয়েছেন মানুষ একটা পারফেক্ট স্পেসিমেন। কিন্তু আদতে তা নয়। মানুষ অন্যান্য প্রানীর মতই একটা প্রানী যে মিলিয়নস অব ইয়ারস ধরে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। বিবর্তনের ফলে মানুষ শরীরে লোম পায়নি কিন্তু পেয়েছে বড় একটা ফাংশনাল ব্রেন যা ফার না থাকা সহ অন্যান্য “ডিসএডাভানটেজকে” কাউন্টারএক্ট করতে পেরেছে।

মানুষ কোন পারফেক্ট স্পেসিমেন নয়, হলে যে সব না থাকার কারণে আজকের মানুষ “মানুষ” হয়েছে তা হতোনা। তাহলে হয়ত আমাদের ডানা থাকতো, বড় একটা মাথা থাকতো, শরীরে লোম থাকতো, জন্মের পরপরই আমরা হাটতে পারতাম, যখন প্রয়োজন সাতরাতে পারতাম...!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এখানে একমত পোষন করছি- উনি একটা জায়গায় গোঁ ধরে আছেন।
ঠিক তেমনি কিন্তু কিছু বিবর্তনবাদীরা কোনভাবেই অন্য তত্ত্ব মেনে নিতে পারেন না ওদিয়ে ধর্ম বিশ্বাসীরা আরেক কাঠি সরেস!

মানুষ কোন পারফেক্ট স্পেসিমেন নয়, হলে যে সব না থাকার কারণে আজকের মানুষ “মানুষ” হয়েছে তা হতোনা। তাহলে হয়ত আমাদের ডানা থাকতো, বড় একটা মাথা থাকতো, শরীরে লোম থাকতো, জন্মের পরপরই আমরা হাটতে পারতাম, যখন প্রয়োজন সাতরাতে পারতাম...!
~ সৃস্টির সেরাজীব পারফেক্ট না হইলে কেমনে হয়!!!
চমৎকার ও তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রাকৃতিক নিয়মগুলো আমি ধর্মবিশ্বাসের বাইরে চিন্তা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না.... তবে বিজ্ঞানের যুক্তি পড়তে ভালো লাগে। ভালো লাগে আপনার লেখা। +

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন সেই সীমাবদ্ধতা ও বিশ্বাস টলে যাবার শঙ্কাতো থাকে
তবুও নতুন কিছু জানার চেষ্টা করেইতো মানুষ এতদুর এসেছে। কিছু একটা লক্ষ্য উদ্দেশ্যতো আছেই।
অনেক ধন্যবাদ ফের আপনাকে।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন:
বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীরা শত শত বছর ধরে এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বেড়িয়েছেন, কোনো বিশ্বাসযোগ্য উত্তর মেলেনি এখনো। শুধু এর কারন হিসেবে সম্ভাব্য কিছু উত্তর;
সুবিধা:
শরীরের কম উকুন এবং অন্যান্য বাহ্যিক পরজীবী।
যেহেতু আগুন আমাদের নিত্য অনুষঙ্গ এবং আমরা আগুনের কাছাকাছি থাকি তাই আগুন ধরার সম্ভাবনা কম।
ঘামের মাধ্যমে শরীরের তাপ হারানো সহজ, অতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে আমরা অতিদ্রুত তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমরা পোষাক বা অন্য কোন মাধ্যম বা উপকরণ যোগ করে বা বিয়োজন করে কিংবা আগুনের সংস্পর্শে নিজেরাই নিজেদের শরিরের তাপ নিয়ন্ত্রন করতে পারি।
এই যুক্তিগুলি খণ্ডন:
১. অন্যান্য প্রাইমেটরা পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে উকুন বা অন্যান্য পরজীবী ভালভাবে মোকাবেলা করে। এছাড়া কিছু প্রাণী লেজ জিহ্বা বা পেশী কম্পনের ( কিংবা বিশেষ ভঙ্গীতে শরীর ঝেড়ে- যেভাবে শরীরে আমরা ঝাড়া দিতে পারি না) মাধ্যমেও এদের মোকাবিলা করে।

প্রশ্ন- তবে কি মানুষ নিজেরাই নিজেদের চুল ঝরিয়েছিলো? নাকি উকুনের জ্বালায় শরীরের লোম পুড়াই ফেলছিলো?

তাই যদি হয় তবে আবার এই কথা কেনো?

২. অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, আমরা আগুন আবিষ্কারের বা আগুনের ব্যাবহার শেখার অনেক আগেই আমরা আমাদের শরীরের চুল হারিয়ে ফেলেছি। সম্ভবত লোম হারানোর পরেই আমরা আগুন বা তাপের প্রয়োজনীয়তা বেশি উপলব্ধি করেছি।

হায় হায় কই যাই!



২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রশ্ন- তবে কি মানুষ নিজেরাই নিজেদের চুল ঝরিয়েছিলো? নাকি উকুনের জ্বালায় শরীরের লোম পুড়াই ফেলছিলো?
তাই যদি হয় তবে আবার এই কথা কেনো?

~ একেকজনের কথা একেকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

কিছু শায়মা আপুর আর কিছু শেরজা তপনের। তাইতে এত বিভক্তি :)

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের এই অনুবাদকর্ম আর কয়টা পর্বে শেষ হবে? এখনও ঠিকমতো পড়ছি না, জমিয়ে রাখছি। তবে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ভুয়া মফিজের একটা হাইপোথিসিস আছে। সময়ের অভাবে আর সবগুলো পর্ব হাতে না আসার কারনে পেশ করতে পারছি না। আপনার এই লেখা সমাপ্তির অপেক্ষায় আছি। সবগুলো পর্ব একসাথে পড়ে আমার হাইপোথিসিস বিস্তারিত আকারে পেশ করবো (অবশ্য এর মধ্যে, অর্থাৎ আমার হাইপোথিসিসে নতুনত্ব নাই কোন!!! :P )।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: জানিনা কোথায় গিয়ে থেমে যায়!!
তবে তিনের একভাগ শেষ হয়েছে। লেখার শেষে কিছু রেফারেন্স নিবন্ধ দেবার ইচ্ছে আছে।
আপনার সেই হাইপোথিসিস-টা একটু কানে কানে বলে রাখেন আগে ভাগে- জেনে একটু শান্তি পাই।
যেহেতু ভুয়া মফিজ ভাই এর তত্ত্ব সেহেতু এ ক্লাস হবে নিশ্চিতভাবে!
অপেক্ষায় রইলাম আমার শেষের আর আপনার শুরুর...

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: ওহ হো তিনি যে আগেই একখানা পোস্ট দিয়েছেন সেটা নজরে আসেনি।

বাহ আবার সেটা আমার লেখাকে ব্যাঙ্গ করে লেখা। চমৎকার- দেখি গিয়ে পড়ে আসি...
আমিতো ব্যাফক ভাগ্যবান! ব্লগ গুরু আমার নাম করেছেন :) :)

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চুল নিয়ে দেখা গেলো মেলা কেচাল আছে!!
- অন্যদিকে আমাদের গাজী সাহেব এই সব হাবিজাবি দেখে অন্যগ্রহে চলে যেতে চাইলেও বতর্মান মানব প্রযুক্তিতে সেটা সম্ভব হবে না, সেটা নতুন করে আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন। তবে তিনি এখনো ধরতে পারেননি বর্তমান মানব সভ্যতার প্রযুক্তির বিষয়টি এখানে আলোচনা হচ্ছে না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: (অফ টপিকঃ গাজী সাহেব মনে প্রথম পাতায় এক্সেস পেয়েছেন- একটুখানি টেস্ট ম্যাসেজ দিয়ে তুলে নিয়ে গেলেন :)
এখন উনার এদিকে মন নাই- উনি ব্লগারদের চমকে দিতে কঠিন কোন রচনায় হয়তো নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।)

হ্যাঁ এইখানে উনি মনে হয় একটু হালে পানি পেয়েছেন! দেখি উনি ব্লগারদের ঠ্যালায় চাপে টিকতে পারেন কি না?

১১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টের চেয়ে বেশী ভালো লেগেছে মন্তব্য গুলো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কাছ থেকে আরেকটু বিস্তারিত মন্তব্য আশা করেছিলাম।
কিছু ব্লগারের মন্তব্যের অপেক্ষা করি আমি- তাদের মন্তব্যে অনেক নতুন কিছু জানার থাকে। যদিও কিছু মন্তব্য আমার লেখার বিপরিতে যায় বলে খানিকটা মুষড়ে পড়ি।

ধন্যবাদ।

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আগেও দেখেছি আপনার এই পর্বের লেখা কিন্তু মন্তব্যে কোন ভাষা আমার ছিলনা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন্তব্যে আপনার উপস্থিতি জানিয়ে গেছেন - এই বা কম কি!
যে কোন ব্লগার আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসলে আমি চরম আনন্দিত হই।

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০৫

অপ্‌সরা বলেছেন: গুড গুড প্রথম প্রশ্নের উত্তর পেয়ে আমি খুশি।

যাই একটু শপিং করে আসি তারপর ৩ ৪ ৫ প্রশ্ম

কি দিবে আর উত্তর তার???

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২২

শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই আমার জ্ঞানের কুলাইলে অবশ্যই দিব।

আপনি কি জানেন মানুষ বাদে অদ্যবধি অন্য একটা প্রাণী মাত্র একখানই প্রশ্ন করেছিল সেটা কে??

আমার এই সিরিজে আপনিই তেমন একজন মাত্র নারী ব্লগার যিনি কিছু প্রশ্ন করেছেন- তাঁর উত্তর দিব না তা কি হয়।

১৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমরা যে এ গ্রহের বাসিন্দা ছিলাম না পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়ে এ ধারনা তাই আরো শক্ত-পোক্ত হলো। ধন্যবাদ আপনাকে পরিশ্রম করে ধারাবাহিক ভাবে পোস্টগুলো দেয়ার জন্য।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: দেখুন বিষয়টা আখনো হাইপোথিসিস পর্যায়ে আছে- যতক্ষন পর্যন্ত আসল সত্যটা উদ্ঘাটন না হবে ততক্ষন আমরা জোর তিয়ে কিছুই বলতে পারিনা।
তবে ডক্টর এলিসের কিছু যুক্তি অসাধারণ-একেবারে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার মত নয়।
আপনাকে ফের পেয়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ আন্তরিকভাবে উৎসাহিত করার জন্য।

১৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বিচিত্র কারণে আমার প্রায়ই মনে হয় আমরা ভিনগ্রহের অধিবাসী। এবং অঞ্চল ভেদে নানান গ্রহ থেকে এখানে এনে রেখে যাওয়া হয়েছে - হয়তো কোনো একটি এক্সপেরিমেন্ট চলছে। কে এই এক্সপেরিমেন্ট করেছে তা চিন্তার বিষয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যে ফের আসার জন্য ঠাকুরমাহমুদ -ভাই
আমার অনেক ছোটবেলা থেকেই মনে হোত (স্যরি টু সে) ঈশ্বর একজন এলিয়েন। আমারাও অন্য কোথাও থেকে এসেছি, আপনার মত ভাবনা। এর কোন যুক্তি ছিল না পেছনে কোন কারন ছিল না তবুও।
এই বইটা হাতে পেয়ে খানিকটা নির্ভার হলাম। এ ভাবনা আমি একাই ভাবিনা- ওনেক চিন্তাশীল জ্ঞানী লোকেরাও ভাবে।
যেমন আপনি ভাবছেন- ভাবনাটা মন্দ নয় !

১৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,




আপনার এই পর্বটি বেশ সহজেই বুঝতে পেরেছি, বেশি জটিল না হ্ওয়ার কারনে।
কিন্তু এটুকু বুঝিনি------
শুরুর "অন্যান্য সম্ভাবনা" অংশটিতে লেখক বলেছেন, যে গ্রহ থেকে আমাদের আনা হয়েছিলো সেখানে লোম থাকার প্রয়োজন ছিলোনা কারন সেই গ্রহ একটি বাইনারি ( বা যমজ) সূর্য্যের অধীন যেটা গ্রহটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা রাখে।
লেখক যখন এমন একটি বাইনারি বা যমজ সূর্য্যের খোঁজ পেয়েই গেছেন আর পেয়েছেন তার অধীনে থাকা সেই গ্রহটিকে্ও তাহলে সেটা কোন গ্যালাক্সি বা গ্যালাক্সি মন্ডল অথবা ইন্টারষ্টেলার স্পেসের কোথায় রয়েছে তা বলছেন না কেন? এই দু'টি তথ্য জানা থাকলে তো তিনি সরাসরিই বলতে পারেন আমরা "অমুক" বাইনারি সূর্য্য ব্যবস্থার "তমুক" গ্রহ থেকে এসেছি । দু'টি সংখ্যা জানা থাকলে তাদের যোগ-বিয়োগ-পুরন বা ভাগফল যেমন বের করা যায় তেমনি একটি বাইনারি সূর্য্য ব্যবস্থার অধীন একটি গ্রহকে পা্ওয়া গেলে তাদের অবস্থান্ও পা্ওয়ার কথা!
এটাই মনে হয় সঠিক হতো!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: এবার আমিও একটু সতর্ক হয়েছি। অযথা রেফারেন্স নিবন্ধ যোগ করে লেখাটা কঠিন করতে চাইনি। তাছাড়া এই বিষয়বস্তু একটু সহজ। পরবর্তীতে আরেকটা কঠিন বিষয় আসছে সামনে-যে ব্যাপারে প্রশ্ন আপনি করেছেন।

লেখক প্রথমে সমস্যার কথা বলেছেন- এরপরে সমাধান বা কেন ও কোথা থেকে আমরা এসেছি তাঁর সম্ভাব্য উত্তর দিবেন।
উণি নিশ্চিতভাবে এই ব্যাপারে অনেক কিছু লিখেছেন। ভুল ভাল থাকতে পারে তবে তাঁর চেষ্টার কমতি ছিল না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য- সবগুলো পর্বে যুক্তি তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্য করার জন্য।
ভাল থাকুন

১৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনিও নিজেও বাইনারী চাঁদ, সুর্য এক সময় দেখবেন, সেটা ঘটবে বয়স বাড়লে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দেখে এসবের চিত্র একে রাখবেন- আমরা আগে থেকেই জানতে পারব কি দেখব ভবিষ্যতে।
ততদিন যেন বেঁচে থাকি এই ভরসা দিয়েন।

১৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



শেরজা তপন ভাই, আমি ব্লগে কারো সাথে এই বিষয়ে বিতর্কে জড়াতে চাই না। এবং কেউ যদি কোনোভাবে বিতর্ক করতে চান তাকে অনুরোধ করবো আমার মন্তব্য নিতান্ত হালকাভাবে নিতে।

আমি মহাভারত পড়েছি বেশ কয়েকবার এবং মহাভারত বিশ্বাস করার মতো নানান কারণও খুঁজে পেয়েছি। পৃথিবীতে সকল পুরাতন ধর্মগ্রন্থ কোনো না কোনোভাবে ঈশ্বর প্রদত্ত তবে সময়ের আবর্তে মানুষ তাকে নিজেদের মতো নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করে নিয়েছে। রক্তের গ্রুপ নিয়ে খুবই আশ্চর্য হবার মতো আমি কিছু তথ্য দিতে পারি তবে ঐযে বলেছি আমি কারো সাথে বিতর্কে জড়াতে চাই না। ব্লগের সবাই যার যার মতো লেখালেখি করুক।

আপনার লেখা পোস্টগুলো পড়ছি ভালো লাগছে। +++

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: অযথা বিতর্কে জড়িয়েই বা কার লাভ হবে। শুধু মানসিক অশান্তি ছাড়া আর কোন ভাল ফল লাভ হবার সম্ভাবনা নেই।
আমিতো বেদ এর কিছু অংশ পড়ে মহা গোলকধাঁধায় পড়ে গেছি! কি উঁচু মানের আধ্যাত্মিক দর্শন!
বিধাতা প্রকৃতি আমাদের বুদ্ধি দিয়েছে ভাবনার জন্য- এত জটিল মস্তিস্ক অলস ভাবে ফেলে রাখার জন্য নয় মোটেইও।

আপনি আপনার মত আমি আমার মত লিখে যাই- নিজের ভাবনাগুলো শেয়ার করি মানসিক প্রশান্তির জন্য। অনেকেই ভুল বুঝবে- কিছু মানুষ চুপ থাকবে, কেউ কেউ তীর্যক মন্তব্য করবে। সব বাঁধা ডিঙ্গিয়েই সবার সামনে এগুতে হবে।
আমার প্রতি ব্লগারদের প্রতি ব্লগের প্রতি আপনার ভালবাসার ও আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
বরাবরের মতোই ব্যতিক্রমধর্মী সুন্দর পোস্ট। তবে আজকে আমি একটু অন্যভাবে শুরু করব-

শরীরের চুল কালের যাত্রায় হারিয়ে গেছে সে তো ভালোই হয়েছে।যদি না যেতো তাহলে আমরা গল্প কবিতায় নারীর বেলনার মতো হাত কিম্বা চাপা কলার মত আঙুল, পটল চেরা চোখ কিছুই খুঁজে পেতাম না। বা হাজার হাজার গল্প কবিতায় নারীর সৌন্দর্য নিয়ে তৈরি হওয়া সুধা রস আমাদেরকে অমৃত সন্ধান দিতে পারতো না।কি ভয়ঙ্কর অবস্থাই হতো তখন।

তবে আরেকটু ভালো হতো শরীরের চুল হাইজ্যাক করে যদি মাথায় ছাউনিটা ভরিয়ে দিতেন। ব্লগে আপনাকে কিম্বা বিদ্রোহী ভৃগু ভাইকে দেখে ঈর্ষা লাগে আপনাদের কেশ ভর্তি মাথা দেখে। ফলত আমাদের মাথার ভিতরে না দিয়েছেন সারমর্ম, উপরে না দিয়েছেন কেশ ভর্তি মাথা, পকেটে না দিয়েছেন টাকা ভর্তি পকেট, সব দিক দিয়ে শুধুই নেই নেই‌ আর নেই। কবিগুরুর কথায় বলতে হয়, আমি রব নিষ্ফলে হতাশার দলে :)


২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: শরিরের কেশ নিয়েও হয়তো আমরা অতি উচুমানের বহু শত কবিতা গান আর সাহিত্য পেতাম, যেমন মাথার কেশ,ভ্রু নিয়ে হয়! :)

~কবিতায় নারীর বেলনার মতো হাত কিম্বা চাপা কলার মত আঙুল, পটল চেরা চোখ কিছুই খুঁজে পেতাম না। বা হাজার হাজার গল্প কবিতায় নারীর সৌন্দর্য নিয়ে তৈরি হওয়া সুধা রস আমাদেরকে অমৃত সন্ধান দিতে পারতো না। কি ভয়ঙ্কর অবস্থাই হতো তখন।

সব ঠিক আছে কিন্তু আফসোস হয় কেশপূর্ণ শরির নিয়ে একখানা শিল্প সাহিত্য রচনা না হওয়ায় আমরা অনেক কিছু মিস করলাম। :(
চুল ছেটে এখন সুবোধ হয়েছি। আফসোসে কষ্ট বাড়ে- যা আছে তাই নিয়ে আমরা সুখে থাকার চেষ্টা করি। ভাল থাকবেন।

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জাগতিক যাতনায় পড়া হচ্ছে না । কয়েক পর্ব মনে হয় মিস করেছি । তবে হ্যাঁ পড়ব , যাতনার যামিনী শেষ হলেই পড়ব !!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: এই তো জীবন- সবার জীবনেই কিছু প্যারা আছে!
মিস করলে সমস্যা নেই। পুরোটা পড়বার জন্য আসবেন ফের জেনে আনন্দিত হলাম!
সব বাঁধা আর যাতনা পার করে আসুন - অপেক্ষায় রইলাম।

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩২

নিমো বলেছেন: আপনার সিলভার ভাইজানের যুক্তিগুলো বড়ই বিনোদনমূলক। উনার ভাষ্য মোতাবেক অমুক তমুক ব্যাপার মানুষের মধ্যে নাই কিংবা অমুক তমুক তারা সহ্য করতে পারে না, তাই তারা অমুক থেকে এসেছে। আবার উনি বলছেন মানুষের শরীরে এত শত জিন বেশি আছে যা অমুক তমুকদের নাই বা সংকরায়িত। তা সেটাই যদি হয়ে থাকে তবে শত জিন বা সংকরায়নএর উদ্দেশ্য কী ? যদি তা মানুষকে পৃথিবীর উপযোগী নাই করতে পারল। উপরন্তু মানুষ পৃথিবীর না, অথচ পৃথিবীর পানি-বাতাসে অক্সিজেন উপস্থিত, যা ছাড়া মানুষের বাঁচা মুশকিল। তাজ্জবের ব্যাপার।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ব্যাটায় আধা পাগলা। নাহলে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ায়!!

উনার মুল যুক্তিটা হচ্ছে- মহাবিশ্বে এমন কিছু গ্রহ আছে যার প্রকৃতি আবহাওয়া সবকিছুই প্রায় পৃথিবীর সাথে মিলে যায়।
এলিয়েনেরা আমাদের আদি গ্রহের সাথে প্রায় নব্বুইভাগ মিলে এমন একখানা গ্রহ খোজ করে সেখানে নতু উপনিবেশ গরেছে কিংবা তাদের পরীক্ষাগার বানিয়েছে কিংবা শাস্তি দেবার জন্য কারাগার গ্রহ হিসেবে সেটাকে নির্বাচন করেছে।
এইসব হাইপোথিসিস এক আধটু আধা পাগলা লোক ছাড়া হয় না।
আপনি সবগুলো পর্বে আপনার মুল্যবান মন্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন সেজন্য আমি কৃতার্থ। সাথে থাকবেন দয়া করে।

২২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৪

কামাল৮০ বলেছেন: সামাজিক পরিবর্তন যত দ্রত হয় প্রানী জগতের বা প্রকৃতির পরিবর্তন হতে সময় লাগে বহুগুণ বেশি।এই পরিবর্তন গুলি বুঝার একমাত্র পথ হলো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা।বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলো ঠিক কিনা সেটা জানার পথ আছে।যে কেই সেই নিয়মে পরীক্ষা করলে একই ফল আসে কিনা।যেটা বিজ্ঞানের ছাত্ররা অহরহ করছে।
বৈজ্ঞানিক যে কোন তত্ত্বেকে প্রমান সহ হাজির করলেই সেটা সত্য হয়ে যায় না।সেটা ভুল প্রমানের কিছু নিয়ম তাতে থাকতে হবে।এই এই পরীক্ষা গুলো করে এটাকে ভুল প্রমান করা যাবে।যেটাকে বলে,ফলসিফাইয়েবল।তার পরেও বলবো চিরন্তন সত্য বলে কিছু নাই।সব কিছুই শর্ত সাপেক্ষে শত্য।
মানুষের গায়ে কেনো লোম নাই এর যদি কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থেকে থাকে তবে সেটা সত্য।আর যদি না থেকে থাকে।তবে এই সত্য জানা জাবে।এই জন্য যে তথ্য উপাত্ত দরকার তা হয়তো মানুষের হাতে নাই।
বিজ্ঞানের উন্নতি সম্পর্কে আমরা কতো টুকুই বা জানি।অনেক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বৃহৎ শক্তি গুলির নিষেধ আছে।অনেক পরীক্ষিত বিষয় প্রকাশ করা নিষেধ।সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
এখন যদিএকজন বলে আমি প্রান সৃষ্টি করতে পারি,তবে চিন্তার জগতে যে পরিবর্তন ঘটবে সেটা সমাজ গ্রহন করতে পারবে না।সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।তাই এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ আছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: সামাজিক পরিবর্তন যত দ্রুত হয় প্রাণী জগতের বা প্রকৃতির পরিবর্তন হতে সময় লাগে বহুগুণ বেশি।এই পরিবর্তনগুলো বোঝার একমাত্র পথ হলো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো ঠিক কিনা সেটা জানার পথ আছে। যে কেউ সেই নিয়মে পরীক্ষা করলে একই ফল আসে কিনা। যেটা বিজ্ঞানের ছাত্ররা অহরহ করছে।
~ এলিস সিলভার তত্ত্ব নিয়ে একসময় যে পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে না তা তো বলা যায় না। এটা নেহায়েত আবর্জনা হলে বিজ্ঞান অবহেলাভরে ছুড়ে ফেলবে।

বৈজ্ঞানিক যে কোন তত্ত্বেকে প্রমান সহ হাজির করলেই সেটা সত্য হয়ে যায় না। সেটা ভুল প্রমানের কিছু নিয়ম তাতে থাকতে হবে।এই পরীক্ষা গুলো করে এটাকে ভুল প্রমান করা যাবে। যেটাকে বলে,ফলসিফাইয়েবল।তার পরেও বলবো চিরন্তন সত্য বলে কিছু নাই। সব কিছুই শর্ত সাপেক্ষে সত্য।
~ ভাল কিছু কথা বলেছেন শেষ লাইনে। ফলসিফাইয়েবল শব্দটা নতুন শুনলাম।

মানুষের গায়ে কেনো লোম নাই এর যদি কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থেকে থাকে তবে সেটা সত্য।আর যদি না থেকে থাকে।তবে এই সত্য জানা জাবে।এই জন্য যে তথ্য উপাত্ত দরকার তা হয়তো মানুষের হাতে নাই।
~যতক্ষন সেটা দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রমাণ না হবে ততদিন ডক্টর এলিসেরা হাইপোথিসিস দিয়ে যাবেন। এমনটা সবসময় হয়ে এসেছে।

এখন যদিএকজন বলে আমি প্রান সৃষ্টি করতে পারি,তবে চিন্তার জগতে যে পরিবর্তন ঘটবে সেটা সমাজ গ্রহন করতে পারবে না।সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।তাই এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ আছে।
~ হতে পারে এমনটা- অসম্ভব নয়!

বিজ্ঞানের উন্নতি সম্পর্কে আমরা কতো টুকুই বা জানি।অনেক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বৃহৎ শক্তি গুলির নিষেধ আছে।অনেক পরীক্ষিত বিষয় প্রকাশ করা নিষেধ।সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
~ কিছু ব্যাপার মানব্জাতির স্বার্থে, পৃথিবীর ভালোর স্বার্থে গোপন রাখাই উত্তম। তবে সবাই সম্ভবত নিজেদের স্বার্থে একাজ করছে।



২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার লেখাটা আস্তে আস্তে পড়বো। খোঁজ নিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞ ভাই। ছোট লেখা দেখতে সমস্যা হয় । তাই কম আসি বগ্লে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: এতদিন জানতাম না গতকাল আপনার একটা মন্তব্যে জানতে পারলাম যে আপনি বেশ অসুস্থ ছিলেন। এখনো অসুস্থ আছেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করছি ।লেখাটা আস্তে ধীরে যেভাবেই হোক পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনি আমার ব্লগ বাড়িতে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো

২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৬:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বইয়ের লেখক অনেক কম্পনাপ্রবন বলে মনে হচ্ছে। উনি অগ্রিম অনেক কিছু কল্পনা করে ফেলেছেন। এই ধরণের বই না লিখে কবিতা বা গল্পের বই লিখলে আরও ভালো করতেন বলে মনে হয়।

মানুষের চুল অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কম তাই মানুষ অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। এটাকে কোন ভালো যুক্তি আমার কাছে মনে হচ্ছে না।

তবে আপনার অনেক ধৈর্য। আপনি এত সমালোচনা সত্ত্বেও নিষ্ঠার সাথে অনুবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমালোচনা আসবেই। তাই আপনি থামবেন না। এই বইয়ের অনুবাদ থেকে আমরা নতুন কিছু আইডিয়া পাচ্ছি। লেখকের মত এইভাবে কোন দিন মানুষ সম্পর্কে চিন্তা করে দেখিনি। আপনার মাধ্যমে লেখকের এই আইডিয়াগুলি সম্পর্কে জানতে পারলাম।

অনেক আগে সেবা প্রকাশনীর ভিন গ্রহ নিয়ে দুইটা বই পড়েছিলাম। 'ভিন গ্রহের মানুষ রহস্য' এবং 'ভিন গ্রহের মানুষ - প্রমাণ'। তখন খুব আগ্রহ নিয়ে এগুলি পড়তাম। টিভিতে ইউএফও (UN-IDENTIFIED FLYING OBJECT) নামে একটা টিভি সিরিয়াল ছিল। সসার দেখাতো সেটাতে। ইউ এফ ও নিয়ে বিজ্ঞানীদের চেষ্টা সম্পর্কে গল্প কাহিনী দেখাতো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: উনি আসলে যেটা যেভাবে বলতে চেয়েছেন সেটা হল; মানুষ কেন তার চুল হারালো? যদিও পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য চুলের প্রয়োজন ছিল অপরিসীম এবং এই চুল হারানোর জন্য মানুষ কি কি সমস্যা মোকাবেলা করে সেগুলো উনি সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন।
আমি খুব বেশি ধৈর্যশীল লোক না এই লেখায় এসে কিভাবে এত ধৈর্য ধরে রাখলাম সেটা একটা বিশেষ বিষয় :)
আপনি যে দুটো বইয়ের উল্লেখ করেছেন সে দুটো আমার পড়া হয়নি এবং টিভির যে সিরিয়ালের কথা উল্লেখ করেছেন সেটাও আমার দেখা হয়নি।
সুযোগ পেলে বই দুটো পড়ে নেব অবশ্যই।
আপনার মন্তব্য ও অনুপ্রেরণার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্বে মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।

২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: শেরজা তপন ভাই, আপনি কি বিবর্তনে বিশ্বাসী?
বিবর্তনের যুক্তি গুলো আপনার কাছে কতুটুকু যোক্তিক মনে হয়?
১ থেকে ১০ এর মধ্যে রেটিং দিন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এই ব্যাপারে অবশ্যই আমার নিজস্ব কিছু বক্তব্য আছে। আমি একটু সময় নিয়ে উত্তর দিব -আবার ফিরে আসবো প্রতি মন্তব্যে। দয়া করে একটু অপেক্ষা করুন...

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: বিবর্তন শব্দটা এমনই যে, তাকে নিয়েই অস্পষ্টতা তৈরী হয়। জীববিজ্ঞানের ভাষায়: জীবের বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে জীনগত পরিবর্তনই বিবর্তন। কিন্তু এই শব্দটার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থ আছে, বিবর্তনের শাব্দিক অর্থ পরিবর্তন ধরে নিয়ে একে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়, যেমন: সামাজিক বিবর্তন to stellar এবং মহাজাগতিক বিবর্তন। এর সবকিছুই জীববিজ্ঞানের বিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত নয়।যদি জীববিজ্ঞানের বিবর্তনের মুল শর্তগুলোর সাথে অন্য বৈবর্তনিক প্রকৃয়ার সংঘ্র্ষ হয়, তখন ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে।যেমন অনেকেই মনে করে থাকেন বিবর্তনের সাথে abiogenesis অথবা Big Bang এর সম্পর্ক আছে। তাই তারা বিবর্তনের সাথে উক্ত বিষয়গুলোকে মিলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিবর্তন এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয় না।
প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে পপুলেশনে সংক্ষিপ্ত পরিবর্তন বিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যায়
সাধারণ ভাষায় বিবর্তন জীবের ধীর বা দ্রুততর উন্নয়ন বা সরল জীব থেকে জটিল জীবের যে উদ্ভব তাকে ব্যাখ্যা করে। বিবর্তনকে পিছনের দিকে চালিত করার পর সাদা চোখে দেখে মনে হয়, বিবর্তনের কোনো লক্ষ্য আছে, অথবা কারো নির্দেশে এটি পরিচালিত হচ্ছে, তবে এটা একটা ভুল ধারণা। বাস্তবতা হল বিবর্তনের কোনো লক্ষ্য থাকে না। বিবর্তন ঘটে জীবের এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে খুবই ধীরে ধীরে, যাতে করে নতুন প্রজন্ম পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারে। এভাবে করে সে সে যোগ্য হয়ে উঠে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে। তবে যেসব প্রজাতি পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না, সময়ের সাথে তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। জীববিজ্ঞানীরা কখনো মানুষের মত একটা প্রজাতিকেই বিবেচনা করে না, যে অনেক বেশি উন্নত এবং বিবর্তনের শেষ ধাপে অবস্থান করে। জীববিজ্ঞানিরা কখনো মানুষের মত একটাই প্রজাতি নিয়ে কাজ করে না,যে অন্য প্রজাতি থেকে উন্নত আর অনেক বেশি বিবর্তিত। নির্দিষ্ট কয়েকটি উৎস থেকে বস্তুনিষ্ঠতার পরিবর্তে মানবকেন্দ্রিকতা অনুসারে অমানব জীবসত্তারসমূহ মূল্যায়নের প্রবণতার কারণে অন্য বিষয়ের দিকে ইঙ্গিতের জন্য সমালোচনা করা হয়েছে।
বিবর্তনে এটা অপরিহার্য নয় জীব ক্রমশ জটিল হবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জীব জটিল হবে এমনটা প্রয়োজনীয় নয়,বরং প্রাকৃতিক নির্বাচনের ফলে সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে জীব জটিল হয় প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। এবং পরিস্থিতির সাথে সংগতি রেখে জীবের এই জটিলতা বাড়তে পারে, কমতেও পারে এবং অপরিবর্তিও থাকতে পারে এবং এই তিনও প্রবণতা বিবর্তন প্রকৃয়ায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
আবার অন্যখানে বলা হয়েছে; বিবর্তনের কোন সুনির্দিষ্ট্য লক্ষ্য নেই। 'বিপরীতমুখীন' কিংবা 'পশ্চাৎ বিবর্তন' (backward evolution or de-evolution) বলেও কোন জিনিস নেই; একইভাবে নেই 'সম্মুখ বিবর্তন'-এর মত কোন জিনিসও। অর্থাৎ বিবর্তন কোন নির্দিষ্ট দিকে চালিত হয় না। এমনকি প্রাকৃতিক নির্বাচনও সবসময় জীবজগতকে উন্নত করে না।
সৃজনবাদীরা বিজ্ঞান দিয়ে বিবর্তনের বিরোধিতা করার বদলে প্রচলিত যুক্তি দিয়েই বিবর্তন তত্ত্বের বিরোধিতা করে। এবং এসব যুক্তি দিয়েই অনেকে বিবর্তনকে খণ্ড বিখণ্ড করে ফেলে। যদিও জীববিজ্ঞানীরা এ নিয়ে কী বলছে তারা খুঁজে দেখে না।


~ এখন আপনি বলেন এই নিবন্ধটিকে কত নম্বর দেয়া উচিৎ?

২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বড় মন্তব্য কি দেবো?
কিছু বলতে গেলেই লেগে যাবে।
বোবা হয়ে থাকাই ভালো। বোবার শত্রু নাই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আপনার বক্তব্য আপনি দিয়ে যাবেন। যেভাবে মন্তব্য করতে চান সেভাবে মন্তব্য করবেন। কে কি বলল এই নিয়ে মনে হয় খুব বেশি মাথা ঘামানোর লোক আপনি না

২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: পড়লাম । পড়ে যা যা প্রশ্ন জেগেছে তা অনেকেই রেখেছে দেখলাম । আপনি নিজেও কিছূ রেখেছেন দেখলাম । আমার মাথায় যা এসেছিল তা খুব নিম্নমানের , নিজের এই নিয়ে জ্ঞান অনেক কম । আমার জ্ঞানস্বল্পতাকে আমি স্বীকার করছি । যাইহোক জ্ঞানের স্বল্পতার গল্প না ফেঁদে বলি , অপ্সরা যা যা প্রশ্ন করেছেন তাতে আমি সমর্থন করি । তবে আমার আপত্তি হলো আমরা কেন অন্য প্রাণীদের মত অভিযোজিত হলাম না ? কেন আমাদের তাপমাত্রার আধিক্যের কারণে পোশাক পড়তে হয় ?

আর সিলভার বদ্দা যে মনে করছেন মানুষ আলাদা এক প্রজাতি তার জন্য তিনি তাঁর সন্দেহ তো প্রকাশ করছেন । তার সন্দেহ করাটা আমি অপরাধ বলে মনে করছি না । তবে তার সন্দেহের অবসান না হোক এটাও আমি চাই না । এখানে বেশি যেটা পাচ্ছি প্রশ্ন আর সিলভার বদ্দার ওপর ঠোঁট ফুলানো কিছু অভিমান বাক্য ছুঁড়ে দেয়া তবে সন্দেহের অবসান হচ্ছে না । যাইহোক আশায় আছি দেখি কী হয় ।

আপনাকে ধন্যবাদ অনুবাদ করবার জন্য , অনুবাদ নিয়ে কিছুই বলার নেই । নিজে কয়েকবার চেষ্টা করেছি অনুবাদে এবং সসম্মানের সাথে ব্যর্থ হয়েছি তাই আপনার কাজকে সাধুবাদ জানাই !

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

শেরজা তপন বলেছেন: ~নিজে কয়েকবার চেষ্টা করেছি অনুবাদে এবং সসম্মানের সাথে ব্যর্থ হয়েছি তাই আপনার কাজকে সাধুবাদ জানাই!
ইতিহাস,উপন্যাস অনুবাদ করা খুব বেশী কঠিন কর্ম নয়। কিন্তু এধরনের নিবন্ধ যার অনেক প্রতিশব্দ বাংলা ভাষায় নেই, জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেকগুলো ধারা আপনাকে অল্প বিস্তর জানতেই হবে। মোদ্দা কথা একটা বই অনুবাদ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক বই ও আর্টিকেল, তত্ত্ব তথ্য পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। কাজটা আমার মত অল্পজানা ব্যক্তির জন্য কঠিন বৈকি!
ধন্যবাদ আপনাকে- ফের অনুবাদের চেষ্টা করেন। ব্লগে দিন- ভুল ত্রুটি ধীরে ধীরে শুধরে যাবে।

~আর সিলভার বদ্দা যে মনে করছেন মানুষ আলাদা এক প্রজাতি তার জন্য তিনি তাঁর সন্দেহ তো প্রকাশ করছেন । তার সন্দেহ করাটা আমি অপরাধ বলে মনে করছি না । তবে তার সন্দেহের অবসান না হোক এটাও আমি চাই না । এখানে বেশি যেটা পাচ্ছি প্রশ্ন আর সিলভার বদ্দার ওপর ঠোঁট ফুলানো কিছু অভিমান বাক্য ছুঁড়ে দেয়া তবে সন্দেহের অবসান হচ্ছে না । যাইহোক আশায় আছি দেখি কী হয়।

এটা ঠিক তাঁর অনেকগুলো যুক্তি সবাই এড়িয়ে গেছেন। যেমন মিসিং লিঙ্ক নিয়ে কেউ তেমন উচ্চবাচ্য করেন নি। আমি আশা করেছিলাম এখনে কেউ তথ্য নির্ভর যুক্তি তর্ক তুলে ধরবেন। এমনধারা আরো অনেক কিছু। তাকে পাগল ছাগল বললেও কেন তিনি পাগল এই নিয়ে বক্তা চুপ আছেন।

আপনি প্রশ্ন করুন তা যেমনই হোক। আমি চেষ্টা করব সাধ্যমত উত্তর দিতে।

২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপাতত আমার আর কোন প্রশ্ন নেই দেখি পরের পর্বে পাই কি না । পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দেখা যাক কী হয় আর কী মাথায় আসে !

২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: A primordial molecule was formed by chance and it started, as the seed of life, to regenerate by specific rules is itself not a coherent explanation. Then again the genesis of life is unlikely to be proved ever by any means.

২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: জীবনের উৎপত্তি কোনওভাবেই প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

~ আমারতো মনে হয় এই সম্ভাবনা নে-ই। কিভাবে হবে??

৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০০

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আমি কখনোই বিজ্ঞানকে উড়িয়ে দেই না। তবে কিছু ব্যাপার আমাকে ভাবায়।
বিজ্ঞানের ভাষায় আপনি বলছেন -বিবর্তন ঘটে জীবের এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে খুবই ধীরে ধীরে, যাতে করে নতুন প্রজন্ম পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারে। এভাবে করে সে সে যোগ্য হয়ে উঠে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে। তবে যেসব প্রজাতি পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না, সময়ের সাথে তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
-পৃথিবীতে এমন কি কোনো জীব আছে যা প্রকৃতি বা পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পরে না ?
-মৃত্যু কি বিবর্তনের অংশ ?
-মানুষ যদি জীবের উন্নত জাত হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের শেষ ধাপ কি মানুষ? তা যদি হয় তাহলে মানুষ থেকে আর কোনো পরিবর্তন পাওয়া সম্ভব নয় !!! এক্ষেত্রে বিজ্ঞান কি বলে ? অপর দিকে বিজ্ঞান বলছে - বিবর্তনের কোন সুনির্দিষ্ট্য লক্ষ্য নেই।
বিবর্তনের কোন সুনির্দিষ্ট্য লক্ষ্য যদি তাই হয় তাহলে মানুষেরও পরিবর্তন বা বিলুপ্তি সম্ভব কি সম্ভব ?
এ ব্যাপারে আপনি কি ভাবেন ?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: -পৃথিবীতে এমন কি কোনো জীব আছে যা প্রকৃতি বা পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পরে না ?
~যারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি তারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্ত হবার পথে। বিজ্ঞান তেমনই বলে।
-মৃত্যু কি বিবর্তনের অংশ ?
~ এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর কারো কাছে আছে বলে মনে হয় না। তবে সম্ভবত -হ্যাঁ।
-মানুষ যদি জীবের উন্নত জাত হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের শেষ ধাপ কি মানুষ? তা যদি হয় তাহলে মানুষ থেকে আর কোনো পরিবর্তন পাওয়া সম্ভব নয় !!! এক্ষেত্রে বিজ্ঞান কি বলে ? অপর দিকে বিজ্ঞান বলছে - বিবর্তনের কোন সুনির্দিষ্ট্য লক্ষ্য নেই।
~ বিবর্তন চলমান প্রক্রিয়া। এর যেমন কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নেই। তেমন শেষ নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নেই সেটা বিশ্বাস করি না।
বিবর্তনের কোন সুনির্দিষ্ট্য লক্ষ্য যদি তাই হয় তাহলে মানুষেরও পরিবর্তন বা বিলুপ্তি সম্ভব কি সম্ভব ?
~ অবশ্যই সম্ভব। আমরা প্রতিনিয়ত বিবর্তিত হচ্ছি।

জটিল বিবর্তন নিয়ে আমার বিশ্বাস ১০/৬, একমুখী ও সরল বিবর্তনে ১০/১০

৩১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যাঁ ব্যাটায় আধা পাগলা। নাহলে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ায়!!
আপনার এলিস সিলভার আদৌ কি অস্তিত্বশীল কেউ ? নাকি কোন তৃতীয় শ্রেণীর ধান্ধাবাজ এই নাম দিয়ে আবর্জনা লিখেছে, সেটাইতো পরিস্কার না। নৌকা, ফৌকাতো পরের ব্যাপার।

লেখক বলেছেন:উনার মুল যুক্তিটা হচ্ছে- মহাবিশ্বে এমন কিছু গ্রহ আছে যার প্রকৃতি আবহাওয়া সবকিছুই প্রায় পৃথিবীর সাথে মিলে যায়।
তো! সেইক্ষেত্রে পৃথিবীই আদি গ্রহ হতে সমস্যা কোথায় ? পৃথিবী থেকেই ওসব গ্রহে যেতেই বাধা কোথায় ? সিলভার দাবি করছেন মানুষ পৃথিবীর কেউ না, কিন্তু ঘুরেফিরে আদি গ্রহের আদর্শরূপ হিসেবে পৃথিবীকেই বিবেচনা করছেন। হা হা! হা হা! আসলেই অত্যন্ত শক্তিশালী যুক্তি!

লেখক বলেছেন:এলিয়েনেরা আমাদের আদি গ্রহের সাথে প্রায় নব্বুইভাগ মিলে এমন একখানা গ্রহ খোজ করে সেখানে নতু উপনিবেশ গরেছে কিংবা তাদের পরীক্ষাগার বানিয়েছে কিংবা শাস্তি দেবার জন্য কারাগার গ্রহ হিসেবে সেটাকে নির্বাচন করেছে।
এটার কারণটা যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন!

লেখক বলেছেন:এইসব হাইপোথিসিস এক আধটু আধা পাগলা লোক ছাড়া হয় না।
এটাও আদৌ কোন হাইপোথিসিস নয়, এসব আদি গ্রহ ফাদি গ্রহ সহ যা কিছু উনি দাবি করেছেন সবই আগে কেউ না কেউ, কোথাও না কোথা বলেছে। উনি রাজীব নূরের মত টুকিয়ে এনে একটু এদিক সেদিক করে ছাপিয়ে দিয়েছেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এলিস সিলভার আদৌ কি অস্তিত্বশীল কেউ ? নাকি কোন তৃতীয় শ্রেণীর ধান্ধাবাজ এই নাম দিয়ে আবর্জনা লিখেছে, সেটাইতো পরিস্কার না। নৌকা, ফৌকাতো পরের ব্যাপার।
~ এলিসতো আমার কেউ না, এই নামে আমার কোন আত্মীয়স্বজন ছিলও না কোন কালে। হতে পারে সেও এলিয়েন :)
লেখক বলেছেন:এলিয়েনেরা আমাদের আদি গ্রহের সাথে প্রায় নব্বুইভাগ মিলে এমন একখানা গ্রহ খোজ করে সেখানে নতু উপনিবেশ গরেছে কিংবা তাদের পরীক্ষাগার বানিয়েছে কিংবা শাস্তি দেবার জন্য কারাগার গ্রহ হিসেবে সেটাকে নির্বাচন করেছে।
এটার কারণটা যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন!

~ কিছু একটা ব্যাখ্যাতো আছেই। আগে সমস্যাগুলো জেনে নিই। পরে ওই আলোচনায় জুত মত ধইরেন।
লেখক বলেছেন:এইসব হাইপোথিসিস এক আধটু আধা পাগলা লোক ছাড়া হয় না।
এটাও আদৌ কোন হাইপোথিসিস নয়, এসব আদি গ্রহ ফাদি গ্রহ সহ যা কিছু উনি দাবি করেছেন সবই আগে কেউ না কেউ, কোথাও না কোথা বলেছে। উনি ***এর মত টুকিয়ে এনে একটু এদিক সেদিক করে ছাপিয়ে দিয়েছেন।
~ এখানেও দ্বীমত নেই। টুকাটুকি আমরা অনেকেই কম বেশী করছি।আমি তাঁর ভাবনায় খারাপ কিছু দেখছি না। আমরা অন্য গ্রহ থেকে আসলে বা পৃথিবীতেই বিবির্তিত হলেই বা কি সমস্যা নেই।

ফের মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:১২

সোহানী বলেছেন: অত শত বুঝি না, গভেষনা পইড়া/কইরা এইটা বলেন চুল পড়া থেইকা কেমনে বাচিঁ :((

চুল বৃত্তান্ত পড়লাম, কিছু বঝলাম আর বাকিগুলা বুঝার চেস্টা করলাম না :P .............

৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ভাতিজি একটা প্যাক লাগায় দিলে সেইদিন; ওমা এখন দেখি ক্রেন দিয়ে টানলেও চুল ওঠে না!! :)
চুল না ওঠার সবচেয়ে বড় ফর্মুলা ম্যাসেজ; যেভাবে গাঁয়ের মেয়েরা গোসলের পরে চুল উল্টিয়ে গামছা দিয়ে ভীষণ জোরে ঝাড়ে সেটা ফলো করলেই হবে। বেশী দিকদারির দরকার নাই। ছেলেদের ও চগোসলের পরে ফ্যেনের নীচে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে জোরে জোরে চুল ঝেড়ে নিলেই চলে- মোদ্দা কথা ভেজা চুল আচড়ানো যাবে না, ওটায় তখন পরজীবি আর খুসকির বাসা হয়।
এইটা আমার ৩০ বছরের প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা! আমার চার ভায়ের চুল অর্ধেক নাই- আমারগুলো টিকে আছে এখনো!!

না বুঝতে চাইলে আর কি করা :( এত কষ্ট করে অনুবাদ করলাম!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.