নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খড় জ্বর,হাঁপানি ও ডায়েট (Humans are Not from Earth)~৬

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯


৮। খড় জ্বর এবং হাঁপানি
খড় জ্বরঃ পরাগ বা ধূলিকণা দ্বারা সৃষ্ট একটি অ্যালার্জি যাতে চোখ ও নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি চুলকায় এবং স্ফীত হয়, যার ফলে সর্দি এবং চোখে পানি আসে।
পৃথিবীর পরিবেশ আমাদের জন্য উপযুক্ত না হওয়ার আরও কারণ এখানে রয়েছে। আপনি ভেবে দেখুন; এই লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের পরে আমরা এখনো এটির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছি- আপনি কি পেরেছেন?
ঠিক আছে, এখানে লক্ষ লক্ষ বছর সম্ভবত আমরা আছি – যেহেতু তেমন যুক্তিসঙ্গত প্রমান নেই সেহেতু আমরা ভাবতে পারি সম্ভবত কয়েক হাজার বছর পূর্বে এলিয়েনেরা বা ভিন গ্রহের প্রাণীরা কিংবা আমাদের আদি গ্রহের পূর্বপুরুষেরা আমাদের এখানে রেখে গিয়েছিল।
এই সময়টা দৃশ্যত যথেষ্ট নয় চারপাশে ভেসে থাকা সমস্ত পরাগ এবং অন্যান্য আণুবীক্ষণিক পোকা বা কীটদের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য। পৃথিবীর বাতাসে ভাসমান পরাগ রেনু নয়তো ভাসমান আণুবীক্ষণিক প্রাণীদের মল আমাদের বিশেষ কিছু এলার্জির জন্য দায়ী। সম্ভবত আমাদের হোম গ্রহতেও আণুবীক্ষনিক এমন কিছু আছে, কিন্তু তারা আলাদা, এবং আমরা তাদের সাথে অভ্যস্ত ছিলাম। সেখানে ঠিক যে পদ্ধতিতে পরাগায়ন হয়- অবশ্যই পৃথিবীতে এমন নয়। ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত আর গোলমেলে- এত সুদীর্ঘ বিবর্তনের পথ ধরে হেটে আসার পরেও বাতাসে থাকা ভয়ঙ্কর এই জিনিসগুলি আমাদের কাছে নতুন।


ধুলোতে থাকা আণুবীক্ষণিক পোকা (dust mites)যা মানব শরীরে বিশেষ কিছু এলার্জির সৃষ্টি করে।

যদি বিষয়গুলো যেমন আছে তেমন চলতে থাকে তাহলে আমরা এই জিনিস সহ্য করতে বিবর্তিত হচ্ছিনা কেন? আমাদের ওষুধ আছে যা এসব রোগ বা উপসর্গ নিরাময় করে (কিছু পরিমাণ)। কিছু মানুষ হাঁপানিতে মারা যায়, কিন্তু অতি স্বল্প সংখ্যক খুব বেশি নয়। আপনি কি কখনও খড় জ্বরে কেউ মারা যাওয়ার কথা শুনেছেন? তেমনটা হয় না ততক্ষণ পর্যন্ত যদি না তাদের ফুসফুস অন্য কোন প্রাণ সংহারী রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। অবশ্য খড় জ্বর বা হাঁপানি আক্রান্ত ব্যক্তিরা অন্য সুস্থ সবল মানুষদের চেয়ে কম আকর্ষণীয় নয়- তাই তাদের বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা কম নয়। যদি তারা তাদের রোগের বা উপসর্গের জন্য নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নেয় তাহলে তারাও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে তারা তাদের রোগ ছড়িয়ে দেয়( বেশীরভাগ ক্ষেত্রে) পরবর্তী বংশধরের দেহে। তবে বিবর্তন এই সমস্যার সমাধান করছে না- বিবর্তন তক্ষন পর্যন্ত সমাধান করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত বিবর্তনের দিকে সহায়তার হাত না বাড়িয়ে দিচ্ছি। জিন থেরাপি, অবশেষে একটি সমাধান হয়তো প্রদান করতে পারে। তারপরে আমাদের আশা করতে পারি যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করবে।
অবশ্যই প্রচুর লোক আছে যারা অভিযোগ করে যে, জেনেটিক বিষয়গুলো আসলে ‘ভগবানের লীলা’। কিন্তু ভীনগ্রহবাসীরা যখন আমাদের নিয়ে এসেছিল তখন কি এখানে ঠিক তাই হয়নি? এখানে এই গ্রহে জীবনকে সম্পূর্ণ সহনীয় করে তোলার একমাত্র উপায় হল ঈশ্বরের সেই খেলা আমাদের নিজেদেরই খেলতে হবে - এবং আমাদের এখনও একটি দীর্ঘ, সুদীর্ঘ পথ যেতে হবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
৯। ডায়েট
মি আগেই উল্লেখ করেছি, যদিও পৃথিবীর খাদ্যই ভোজ্য এবং উচ্চ (বা এমনকি অত্যধিক) পুষ্টিকর। আমাদের হোম গ্রহে আমরা যা ব্যবহার করছি তার তুলনায় এটি বেশ ভয়ঙ্কর। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম বাদে,মুল ব্যাপার হোল এখানে যা পাওয়া যায় তার স্বাদ, রঙ বা টেক্সচার আমরা পছন্দ করি না। তাই অনেক পথ পেরিয়ে এখন আমরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে হাইব্রিড খাদ্য উৎপাদন করে আমাদের পছন্দমাফিক সবকিছু বদলে নিচ্ছি।
উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর প্রাকৃতিক-ভাবে উৎপাদিত বন্য গাজর ছোট এবং বেগুনি এবং কাঠের স্বাদ। যেটা আমাদের পছন্দের নয়। তাই আমরা সেগুলিকে বড় এবং কমলা রঙ আর মিষ্টি স্বাদযুক্ত বানিয়েছি।

প্রথম ছবিঃ বন্য গাজর। দ্বীতিয় ছবিঃ ওয়াশিংটন রাজ্যে বন্য গাজরের বীজের বিস্তার রোধে প্রচারণার পোস্টার। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যে আমরা পৃথিবীতে যে খাবারটি সত্যিই পছন্দ করি সেগুলো সত্যিই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। নিশ্চয়ই আমরা সঠিক উপায়ে সেগুলোকে বিবর্তিত করতে পারিনি? যুক্তি বলে যে আমরা ভুল বিবর্তনের পথে হাঁটছি আমাদের স্বাদ আর শরীরের উপযোগী করতে যেই খাদ্যগুলো বিবর্তিত করেছি সেগুলো উলটো আমাদের শরীরের প্রতি হুমকিস্বরূপ হয়ে গেছে। যুক্তি বলে আমাদের জন্য সেরা জিনিসগুলিকে ভালবাসতে এবং এই জিনিসগুলি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিবর্তিত হওয়া উচিত ছিল না। তবুও উল্টোটাই সত্যি বলে মনে হয়। কেন?
এর একেবারে সহজতম ব্যাখ্যা হল –আমাদের আদিবাস এই গ্রহে নয়।
পৃথিবীতে আমাদের জন্য সেরা খাবারগুলি:
কাঁচা ফল এবং সবজি, বাদাম, বেরি, মাছ, সাদা মাংস।
পৃথিবীতে আমরা যে সব খাবার খাই:
কাঁচা ফল এবং সবজি, বাদাম, বেরি, মাছ, সাদা মাংস।

পৃথিবীতে যে খাবারগুলো আমাদের জন্য খারাপ:
চকোলেট, চিনি, লবণ, লাল মাংস, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়।
পৃথিবীতে আমরা যে খাবারগুলো সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি:
চকোলেট, চিনি, লবণ, লাল মাংস, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়।

এটা মোটামুটি বলা প্রয়োজন যে, হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য বিবর্তন এলোমেলো হয়ে গেছে কিংবা আমরা সম্ভবত এই গ্রহের প্রাণী নই।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকের (সম্ভাব্য প্রাণঘাতী) কিছু খাদ্যে অসহিষ্ণুতা( এলার্জী বা অন্য শারিরিক উপসর্গ) রয়েছে এখানে পাওয়া যায় এমন অনেক খাবারে: গম, গ্লুটেন, গরুর দুধ (ল্যাকটোজ), ডিম, ইস্ট(খামির), বাদাম এবং আরও অনেক কিছু।

তাই লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তনের পরও অনেকে আমরা এখনও এখানকার খাবার সহ্য করতে পারি না -কেন? ভাবতে গেলে মাথা কাজ করে না!!!
আমরা স্পষ্টতই এখানে এতদিন ছিলাম না এবং আমরা স্পষ্টতই ভিন্ন কিছুতে অভ্যস্ত।


আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
শুরু থেকে শুরু করলেঃ Click This Link
************************************
বিশেষ নিবন্ধঃ
খড় জ্বর হল শ্লেষ্মা ঝিল্লির সংক্রমণ দ্বারা নাকের এক ধরণের অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া যা নির্দিষ্ট ধরণের সংক্রমণের সাথে আক্রান্ত হয। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে যেমন কিছু গাছের পরাগায়নের সংবেদনশীলতা যেমন জলপাইয়ের সংবেদনশীলতা, যা পরাগযুক্ত বায়ু শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে সংক্রমণ হয়। ধূলিকণা, ছত্রাক এবং কিছু ধরণের পোকামাকড়ের অ্যালার্জির কারণে সংক্রমণ হতে পারে। কুকুর এবং বিড়ালের মতো প্রাণীদের কারণে অনেকে এই অ্যালার্জিতে ভোগেন।
খড় জ্বরর সংবেদনশীলতা একধরণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা দেয়, একবার শরীরে প্রবেশ করার পরে ব্যাকটিরিয়া দ্বারা অ্যান্টিবডি বা দেহের প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর এগুলি আক্রমণ করে। কাশি এবং হাঁচি এবং বিভিন্ন লক্ষণগুলি দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি একজনের থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে সংক্রামিত হয়।


খড় জ্বর এলার্জি কারণ:
১।ইমিউন সিস্টেম বাধাপ্রাপ্ত হয়।
২।জিনগত কারণে।
৩।হাঁপানির মতো কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ এর কারণে।
৪।অনুবিক্ষণিক পোকা ও পরাগের মতো অনুবিক্ষনিক উপাদানগুলির মাধ্যমে।
৫।তামাক ও ধূমপান খড় জ্বরতে ভূমিকা রাখে।
৬।অনুনাসিক মিউকাস ঝিল্লি প্রদাহ।

খড় জ্বর লক্ষণ:
১। নাক ও শরীরে চুলকানি।
২।ঘন ঘন কাশি এবং হাঁচি।
৩।চোখের লালভাব সৃষ্টি করে।
৪।শ্বাসকষ্টের সময় শ্বাসকষ্টের মতো শব্দ হয়।
৫।দেহে স্ট্রেস ও সাধারণ দুর্বলতার অনুভূতি।
৬।স্রাব বৃদ্ধি হয় ও কিছু ক্ষেত্রে গনোরিয়া সৃষ্টি করে।
৭।কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট।
৮।মাথার বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব করা।
৯।ব্ল্যাকহেডস ও চোখের পলকের ফোলাভাব।
১০।অনিদ্রা এবং ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৩

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: আপনার লেখা গুলো পড়ছি, বিশ্বাস করা না করা আমার নিজের ব্যাপার। কিন্তু পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ এই ভাবে বাক্সের বাইরে চিন্তা করার জন্যে।
আরো এরকম অনেক লেখা পাবার আশা রাখছি আপনার থেকে, ভালো থাকবেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: বিশ্বাস করা না করা আমার নিজের ব্যাপার। কিন্তু পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
অবশ্যই- একদম ঠিক। এই অনেক কিছু জানার জন্যই এই অনুবাদ ব্লগে পোস্ট করেছি।

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

এই লিখার শেষে আরেকটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আসার অচ্ছে আছে। সাথে থাকবেন।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

মোগল বলেছেন: মানুষের আদি নিবাস বেহেশতে। সেইখান থেকে বাবা আদম (আঃ) এবং মা হাওয়া (আঃ) কে পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। পৃথিবী একটা পরীক্ষা ক্ষেত্র।

কোন কোন রেফারেন্স বলে পৃথিবীতেই উঁচু একটা অংশ আদম (আঃ) এর বেহেশত ছিল। সেই হিসাবে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার পর হয়তো উনি সেই উঁচু অংশে বসবাস করতেন।

নুহ (আঃ) এর বন্যার সময় বাঘের নাক থেকে বিড়াল এবং শুকরের নাক থেকে ইদুর সৃষ্টি হওয়ার কথা জানা যায়। এইটা হয়তো এক ধরণের বিবর্তন ছিল। এই ধরণের বিবর্তন হয়তো আরও হয়েছে।

নূহ (আঃ) এর বন্যায় ডাইনোসর প্রজাতির বিলুপ্তি হয়ে থাকতে পারে।

যাই হোক, প্রচলিত বিবর্তনবাদ এক ধরণের গান্জাখুরি - এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এই জন্যই কয়েকদিন পরপর জোর করে মিসিং লিংক নামের নাটক স্টেজ করা হয়।

মানুষই পৃথিবীতে এলিয়েন হিসাবে আসছে। কারণ আর কোন প্রজাতি মানুষের মত এত ইমপ্যাক্ট তৈরী করতে পারে নাই। বিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভব হলে মানুষ ছাড়াও মানুষের কাছাকাছি বা মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তার আরও প্রাণি থাকত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: বিবর্তনবাদকে একেবারে গাঁজাখুরি বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

মানুষই পৃথিবীতে এলিয়েন হিসাবে আসছে। কারণ আর কোন প্রজাতি মানুষের মত এত ইমপ্যাক্ট তৈরী করতে পারে নাই। বিবর্তনের মাধ্যমে উদ্ভব হলে মানুষ ছাড়াও মানুষের কাছাকাছি বা মানুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তার আরও প্রাণি থাকত।
~ হত্র পারে এই মতবাদ ঠিক। সঠিক সত্যটা আবিস্কার হবার আগে অনেক হাইপোথিসিস আমাদের অনিচ্ছা স্বত্তেও মেনে নিতে হবে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য -ভাল থাকুন।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: খড় জ্বর বা Hay fever আমেরিকায় খুব হয় শুনেছি।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২০

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ আমাদের দেশেও ব্যাপকতা অনেক! আমরা পাত্তা দেই কম।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আজকের পর্বটি বেশ গোছানো হয়েছে, এবং কিছুটা সহজ হয়েছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২২

শেরজা তপন বলেছেন: যাক অবশেষে শান্তি পেলাম!
পোস্টের আগে এবার বেশ কয়েকবার রিভাইস করেছি। তারপরেও বাক্য বিন্যাসে একটু ঘাটতি আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ফের।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ অত্যন্ত প্রাঞ্জল লিখনি, চমৎকার লিখেছেন! +

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বরাবরের মত দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হলাম। ভাল থাকুন নিরন্তর।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:০১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খারাপ খাবারগুলোই আমরার পছন্দ বেশী হুহ

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: :) আমারও কম-বেশি পছন্দ! ভাল লাগলে আর কি করার বলুন

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

আরইউ বলেছেন:



হা হা হা! এ পর্বে ভদ্রলোকের যুক্তিগুলিকে বেশ ভালো মাত্রার ছেলেমানুষি মনে হচ্ছে। মানুষ পৃথিবীতে জাস্ট এনোদার ক্রিয়েচার। তার যেমন সবল দিক থাকবে তেমনিই থাকবে দূর্বলতাও। লেখক ভদ্রলোকের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে উনি ধরে নিচ্ছেন মানুষের কোন দূর্বলতা থাকতে পারবেনা।

ডাস্ট মাইট, হে ফিভার এগুলো যদি অনেক বড় কোন সমস্যা হয়ে থাকে তবে সামনের দিনের মানুষ অবশ্যই এগুলোকে কাউন্টার করার জন্য অভিযোজিত হবে। যাদের হে ফিভারের সমস্যা নেই তারা যাদের আছে তাদের থেকে বেশি সুবিধা পাবে। এভাবে মিলিয়ন বছর পরে হয়ত হে ফিভার আর কোন সমস্যাই থাকবেনা।

খবারের ক্ষেত্রেও তাই। অনেকে করলা খেতে পারেনা তেতো স্বাদের কারণে। আমার কাছে তেতো স্বাদটাই ভালো লাগে। তাই এটা বলা যাবেনা যে কোন খাবারের স্বাদ, টেক্সচার, ঘ্রান ইউনিভার্সালি ভালো বা মন্দ। ধরুন, যদি করলা এত সমস্যার হয় যে তা মানবজাতির টিকে থাকার জন্য একটা হুমকি তাহলে মানুষ সেভাবেই অভিযোজিত হবে। করলা না খেতে পারা লোক আস্তে আস্তে রেসে হেরে যাবে আর যারা করলা খেতে পারে তারা টিকে থাকবে - নেচারাল সিলেকশন।

অভিযোজনের পুরো প্রক্রিয়াটি ধীর অসরলরৈখিক এবং সর্বদা চলমান।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা সবাই কম-বেশী ছেলেমানুষ।
কেউ প্রশ্ন করি ছেলেমানুষের মত, কেউবা উত্তর দিই ছেলেমানুষের মত।
আমার ধারনা হে ফিভার একটা উদাহরণ মাত্র।
আসল বিষয় হচ্ছে পরাগ রেণু ও ডাস্ট মাইট এর বিষয়ে। অন্য কোন প্রাণী( হয়তো) এদের দ্বারা এতটা অত্যাচারিত হয় না।
স্বাদের ভিন্নতা অবশ্যই আছে।
একটা ভ্রমণ কাহিনী পড়লাম;
এস্কিমোরা সারা বছর সিল,তিমি,সিন্ধু ঘোটক, শিয়াল ভল্লুকের মাংস কাঁচা সিদ্ধ ঝলসানো সব খায়। একদিন পাখির মাংস খেতে গিয়ে সে কি বিশ্রী অবস্থা!!
ওয়াক থু ওয়াক থু করে সবাই বলে এর থেকে খড় চিবানো ভাল। :)
একটা জিনিস কিন্তু লক্ষ্য করার মত আমরা কখনোই কোন খাবারেই কিন্তু দীর্ঘসময় তৃপ্ত হইনা। আমরা অনবরত রুচি আর স্বাদ পাল্টাচ্ছি। অন্য প্রাণীরা কিন্তু এমন নয় মোটেও।

ধন্যবাদ চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্যের জন্য।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে ব্লগার আরইউয়ের সাথে একমত।

এই বইয়ের লেখক যে কি বলতে চাচ্ছেন আমার মাথায় ঢুকছে না। আমাদের খর জ্বর হয় এই কারণে আমরা ভিন গ্রহ থেকে এসেছি। এটা কেমন যুক্তি হল। এই পৃথিবীতে সকল প্রাণীই বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করছে। এটা থেকে কি এই বিষয়ে কোন উপসংহারে আসা যায়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: নাকে করা প্রতিমন্তব্যটা ফের রিপিট করছি;
আমার ধারনা হে ফিভার একটা উদাহরণ মাত্র।
আসল বিষয় হচ্ছে পরাগ রেণু ও ডাস্ট মাইট এর বিষয়ে। অন্য কোন প্রাণী( হয়তো) এদের দ্বারা এতটা অত্যাচারিত হয় না।
স্বাদের ভিন্নতা অবশ্যই আছে।

আমি ডক্টর এলিসের প্রতি সাফাই গাচ্ছি না। ছোট হোক গুরুতর হোক সমস্যাতো সমস্যাই। যতদিন পর্যন্ত অন্য প্রাণী পৃথিবীতে বসবাস করতে গিয়ে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে না জানছি ততদিন দ্ব্যার্থহীনভাবে অস্বীকার করার উপায় নেই।
নতুন অনেক তত্ত্বই আমাদের কাছে গোলমেলে মনে হয়-তার মধ্যে গোঁজামিলও থাকে বেশ। ধীরে ধীরে অনেক আলোচনা তথ্য উপাত্ত্ব গবেষণার মাধ্যমে কাটছাঁট হয়ে বিশ্বাসযোগ্য কিছু একটাতে দাঁড়ায়।

দেখি এলিস সাহেবের হাইপোথিসিস নিয়ে আমরা কতদুর এগুতে পারি!!

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পোষ্টের বিষয়গুলো আসলেই বিবেচনা যোগ্য। মানুষকে সত্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার আপনার প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি চেষতা করছি আমার সীমাবদ্ধ সামর্থ্যের মধ্যে। দেখি কতদুর এগোয়।
ফের মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

কামাল৮০ বলেছেন: কয় জনকে রেখে গিয়েছিল এমন কিছু কি বলেছে।একজনকে না একশ জনকে।নাকি ধপাস তত্ত্বের মতো এক জন পুরুষ ও এক জন নারীকে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: উনি ধারণা করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন; একাধিকবার এলিয়েনেরা এই চেষ্টা করেছে। কখনো বিফল হয়েছে, কখনো সেই হোমো সেপিয়েন্স (সম্ভবত) পৃথিবীতে বাস করার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
কখনো সভ্যতা ও জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেকদুর এগিয়ে অজানা কারনে তারা হারিয়ে গেছে বা আমাদের ভীনগ্রহবাসী পূর্বপুরুষ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছে। হয়তো তারা যে কারনে তাদের এখানে এনেছিল সেই লক্ষ্যপুরণ করতে পারেনি কিংবা যেই জেনেটিক মেমোরিগুলো মুছে দিয়েছিল সেটা আবার ফিরে এসেছিল।
না এটা ধপাস থিউরি নয় :) ধীরে ধীরে সব জানতে পারবেন। ধন্যবাদ সব পর্বে আপনার সরব উপস্থিতির জন্য।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: লেখকের সমস্যা হচ্ছে ভদ্রলোক কম্পর্মেশন বায়াসাড হয়ে সবগুলো যুক্তি দেখাচ্ছেন। উনি মানুষের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতাকে পফোকাস করে কনক্লশনে পৌঁছে যাচ্ছে। পৃথিবীতে হাজারো লক্ষ্য প্রজাতির প্রাণী আছে, তাদের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা আমাদের জানা নেই। তারা ছোটখাটো রোগ শোকে ভুগলেও ডাক্তারের কাছে আসেনা, তাদের রোগের কোন হিস্ট্রি লিপিবদ্ধ থাকে না। তাই তাদের সীমাবদ্ধতা মানুষের জানা নেই। তথাপি এখন আমরা অনেক প্রাণীর সীমাবদ্ধতা ও অন্যান্য প্রাণের চেয়ে বেশি সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। তাই বলে সে প্রাণীকে আমরা ভিনগ্রহী বলে দিতে পারি না।
অনুবাদ আগের চেয়ে প্রাঞ্জল হচ্ছে। ++

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে তিনি একটা ঘোর বা ট্রমার মধ্যে আছেন, সেজন্য এই ঘোরটোপ থেকে বের হতে পারছেন না!
পৃথিবীতে হাজারো লক্ষ্য প্রজাতির প্রাণী আছে, তাদের সামর্থ্য ও সীমাবদ্ধতা আমাদের জানা নেই। তারা ছোটখাটো রোগ শোকে ভুগলেও ডাক্তারের কাছে আসেনা, তাদের রোগের কোন হিস্ট্রি লিপিবদ্ধ থাকে না। তাই তাদের সীমাবদ্ধতা মানুষের জানা নেই। তথাপি এখন আমরা অনেক প্রাণীর সীমাবদ্ধতা ও অন্যান্য প্রাণের চেয়ে বেশি সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। তাই বলে সে প্রাণীকে আমরা ভিনগ্রহী বলে দিতে পারি না।
~ হতে পারে। আমরা আসলে এই মহাবিশ্বতো বটেই নিজের চেনাজানা পৃথিবীর এক ক্ষুদ্র ভগ্নাংশতম জানি। কোনদিন হয়তো অন্য কোন থিউরি আসবে। অন্য কোন এলিস ভিন্ন কোন হাইপোথিসিস নিয়ে পৃথিবী আলোড়িত করবে।
সঠিক সত্যটা যতিন পর্যন্ত জানতে পারব না ততদিন, এই গুঁতোগুঁতি চলবেই। হতাশ হবার কিছু নেই।

ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




কষ্টসাধ্য অনুবাদ করছেন সত্য কিন্তু সাড়ে চুয়াত্তর এর মতোই বলতে হচ্ছে - বইয়ের লেখক যে কি বলতে চাচ্ছেন মাথায় ঢুকছে না। যে সমস্ত খেলো যুক্তি লেখক দিচ্ছেন আমাদের ভীনগ্রহবাসী বানাতে তেমনি আমরা্ও তো বলতে পারি - মানুষ উড়তে জানেনা বা পারেনা তাই আরেকটি গ্রহ থেকে মানুষের উড়ে পৃথিবীতে আসার কোন্ও সম্ভাবনা নেই!
তাহলে মানুষ কিভাবে এসেছে পৃথিবীতে ?
লেখক হয়তো বলবেন, আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ যানে চড়ে। এখন কেউ যদি বলেন, ওরকমের মহাকাশ যান পৃথিবীর কোথা্ও পা্ওয়া যায়নি, কেউ দেখে্ও নি; তাই মানুষ ভীনগ্রহ থেকে এখানে আসেনি, এখানেই মানুষের উদ্ভব। লেখকের যুক্তি মতো এটা্ও তো মানতে হয়!!!!!!!

পৃথিবীর পরিবেশ নিত্যই পাল্টাচ্ছে আর মানুষ্ও অভিযোজিত হচ্ছে নিয়ত। এপ্রসঙ্গে আরইউ এর মন্তব্যে সহমত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: :) আমার ইদানিং লেখার রোগে ধরেছে। সাত বছর কলম বন্ধ ছিল দেখে একবারে সবখানে হাত বাড়াচ্ছি নাক গলাচ্ছি। যেইখানে হাত যায়না সেইখানে চুলকাচ্ছি :)
আপনাদের অম্ল মধুর বকা খেয়ে অনুবাদে আরেকটু মনযোগ দিয়েছি। এখন ব্লগে দেবার আগে রিভাইস করে নিচ্ছি।

লেখক হয়তো বলবেন, আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ যানে চড়ে। এখন কেউ যদি বলেন, ওরকমের মহাকাশ যান পৃথিবীর কোথা্ও পা্ওয়া যায়নি, কেউ দেখে্ও নি; তাই মানুষ ভীনগ্রহ থেকে এখানে আসেনি, এখানেই মানুষের উদ্ভব। লেখকের যুক্তি মতো এটা্ও তো মানতে হয়!!!!!!!
~ লেখক এমনটাই বলেছেন। তারাতো এসে ফিরে গেছে। যানটা থাকবে কোথায়? আর আমাদের সৃষতীর আগে যদি তারা এসে থাকে তাহলে আমরা দেখব ক্যামনে?

আমি আমার মত করে উত্তর দিচ্ছি। এলিস সাহেব কি বলতেন সেটা আমার জানা নেই।

আর ইউ বুদ্ধিমান মানুষ যুক্তি দিয়ে কথা বলেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিটা পোস্টে এসে দারুন সব মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:



বাহিরের গ্রহ থেকে আমাদের গ্রহে আসতে হলে, ১৬০ হাজার বছরের বেশী বাঁচতে হবে; আপনি যদি মনে করেন, আপনি ততদিন বাঁচবেন, নাসাকে বলে দেখতে পারেন, একটা প্রজেক্ট করার জন্য।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কয়েক পর্বে একটা রেকর্ড-ই বাজাচ্ছেন।
আমাদের সৃষ্টির আগেই ভিনগ্রহবাসীরা জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে এখনকার তুলনায় ও কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ বছর এগিয়ে ছিল। তাদের মহাকাশ যানের গতি নিশ্চয়ই এলন মাস্ক বা নাসার মহাকাশ যানের থেকে বহুগুন দ্রুততর ছিল( এলিস সাহেবের ভাষ্যমতে)। আলোর গতি বা তাঁর থেকে দ্রুততর ছোটার কোন উপায় আছে কিনা তা আমরা জানিনা। আপনি আমি বলতেইতো হবে না মানুষের জ্ঞান গম্যির বাইরেও শত কোটি অজানা লুকিয়ে আছে।
লেখার শেষ দিকে ফের এই প্রশ্ন করবেন। এখন দয়া করে অন্য কোন প্রশ্ন করুন।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২

আরইউ বলেছেন:



আমাদের সো কলড বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তমনের "ব্লগাররা" মৌলবাদীর মত আচরণ করেন কেন আমি সেটা বুঝিনা। বিজ্ঞান এখনো সব প্রশ্নের জবাব খুঁজে পায়নি। বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন নতুন ইনফো দিয়ে আপডেট করে। যদি নিজেকে আপডেট না করতো তাহলে সূর্য আজও পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকতো।

বিজ্ঞান কোন ধারণায় ১০০% নিশ্চিৎ হয়ে বসে থাকেনা। বিজ্ঞান নিজের জানা বিষয়কে চ্যালেন্জ করে, বিকল্প সম্ভাবনাকে -- তা যত হাস্যকরই শোনাক না কেন -- হেসে উড়িয়ে না দিয়ে যুক্তির মাধ্যমে প্রমান করে কেন বিকল্প সম্ভাবনা সত্য হবার সম্ভাবনা কম।

এই যে এলিয়েন নিয়ে আমাদের কিছু "বাঁকা লেজের ব্লগারদের" এত চুলকানী যারা এলিয়েন এক্সিসটেন্সকে একদম নিশ্চিতভাবে উড়িয়ে দেন তারা হয়ত নাসার বিজ্ঞানীদের চেয়ে, হকিং সাহেবের চেয়ে অনেক বেশি জানেন। "Do Aliens Exist?" এই প্রশ্নের জবাবে নাসার বিজ্ঞানীর জবাব 'We can't yet say for sure whether or not aliens exist. To quote Carl Sagan: “The universe is a pretty big place. If it's just us, it seems like an awful waste of space.” So, NASA will keep looking.'

এই এতবড় ইউনিভার্সের কোথাও, কোথাও কোন এক গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি আছে কী নেই তা আমরা নিশ্চিতভাবে জানিনা। যদি থাকে তারা আমাদের মত থ্রি-ডায়মেনশননাল না ফোর্থ, না আরো বেশি কিছু? কী সেই ফোর্থ ডায়মেনশন? টাইম? যদি আরেকটা ডায়মেনশনকে তারা বুঝতে পারে, নিয়ন্ত্রন করতে পারে তাহলে কি তারা সময়কে নিয়ন্ত্রন করতে পারে? তাদের কাছে কি বিলিয়নস আলোকবর্ষ মানে আমাদের কাছে যা এক সেকেন্ড? তারা কী স্পেস-টাইমকে বেন্ড করতে পারে, কানেক্ট করতে পারে লাইক আ ওয়ার্মহোল (যেমনঃ Einstein-Rosen bridge)!!

এই বিষয়গুলো হেসে উড়িয়ে দেয়া মানে থিউরিটিকাল ফিজিক্সকে হেসে উড়িয়ে দেয়া! এই বিষয়গুলো ঠাট্টা করা মানে নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকে, নিজের অজ্ঞতাকে সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যে কথা বলতে পারিনি আমার জ্ঞানের বা জানার সীমাবদ্ধতার কারণে কিংবা ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক অবনমনের আশঙ্কায়
সেটা আপনি সুন্দরভাবে উদাহরণ দিয়ে গুছিয়ে বলে দিয়েছেন।
কার পক্ষে বিপক্ষে গেল এইটে গুরুত্বপূর্ণ নয়- আপনার এই মন্তব্যটা ব্লগে সেরা কিছু মন্তব্যের একটা নিঃসন্দেহে!

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



৬ ট্রিলিয়ন মাইল চলার জন্য যেটুকু জ্বালানী যানে নেয়ার দরকার, তাতে যানের জ্বালানীর ট্যাংক যতো বড় দরকার, অতো বড় যান কখনো উড়তে পারবে না।

ড: এলিস লিখেছেন "টেবলয়েট জাংকিদের জন্য"; আপনি উহাকে ফেইসবুকে দি্তে পারেন; আপনি জানেন যে ব্লগে আমি আছি, আমি টেব্লয়েড জাংকি নই।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ভাই ওইখানেতো আমি আসব তখন না হয় এইসব শিশুতোষ মন্তব্য করবেন।

ওরে বাপুরে আমার খেয়াল-ই ছিল না সদ্য আপনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন :)
একথা মনে থাকলে কি আর আপনার মাথার উপ্রে দিয়ে যাবার মত পোস্ট দেই :(

আপনি আপনার সচিত্র পরিচয় দয়া করে ব্লগের প্রথম পাতায় সেঁটে দিবেন- তাহলে আমার মত ভুল আর কেউ করতে সাহস পাবে না।

১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৩৬

মামুinসামু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, আর comment এর reply :)

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ সামুর মামু :)

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। সুন্দর আলোচনা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ফের এসে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

পেঁংকু বঁগ বলেছেন: ব্লগারদের অনেকেই একটা নির্দিষ্ট ন্যারেটিভের বাইরে যেতে চায় না। চরমপন্থির মত কথা বলে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: সামু ব্লগে স্বাগতম!
কথার সুরে মনে হচ্ছে এই ব্লগে পদচারণা বহুদিনের।
আপনার কথায় আমি সহমত! বিশেষ একটা বিষয়ে বেশীরভাগ ব্লগার কথা বলেন। পুরো লেখাটেকে জাজমেন্ট করেন না।

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩০

নিমো বলেছেন: পেঁংকু বঁগ বলেছেন: ব্লগারদের অনেকেই একটা নির্দিষ্ট ন্যারেটিভের বাইরে যেতে চায় না। চরমপন্থির মত কথা বলে।
ভাইজান একটা চরম সত্য বলেছেন তাই ধন্যবাদ নিন। তাই বলে কোন কিছুকে বিজ্ঞান বলে চালাতে হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মধ্যে থাকতে হবে। ডারউইন, আইনস্টাইন, নাসার বিজ্ঞানী, হকিং সাহেব বলেছেন বলে মাথায় নিয়ে নাচতে হবে, এমন নয়। “Science doesn’t proceed or get better with established ideas. You have to challenge”। বিবর্তন ঘটছে এটা নিয়ে দ্বিমত নাই বা কম আছে, যা নিয়ে দ্বিমত আছে তা হল কোন প্রক্রিয়ায় ঘটছে। ডারউইন প্রাকৃতিক নির্বাচনের কথা বলেছেন কিন্তু সাম্প্রতিক সময় Extended Evolutionary Synthesis (EES) নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে। সিলভারের গাঁজা তত্ত্ব ছাড়াও ন্যারেটিভ হয়। হকিং সাহেবের ব্ল্যাকহোলেরও বিরুদ্ধবাদী আছে। এটাই বিজ্ঞানের সৌন্দর্য্য। ভালো থাকুন।

২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:৩৩

Naznin71 বলেছেন: এ ধরনের লেখা পড়তে চমৎকার লাগে, বেশ ভালো অনুবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.