নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
১০. অত্যধিক প্রজনন - অতিরিক্ত জনসংখ্যা
প্রাণী জগতে একটা প্রজাতির সংখ্যা কেন মাত্রাতিরিক্ত বাড়তে থাকে? বেশ সহজভাবে ,এর মুল কারন বলতে হলে প্রথমেই আসে খাদ্যের প্রাচুর্যতা (বা অতিরিক্ত প্রাচুর্য) এবং শিকারির অভাব( সেই খাবারের জন্য)। এখানে এই পৃথিবীতে, এই দুটি শর্তই পূরণ হয়েছে এবং অনুমিত-ভাবে আমাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, আমদের প্রয়োজন মেটাতে পৃথিবীর যে পরিমাণ সম্পদ আছে অনেক আগেই আমাদের জনসংখ্যা সেই বিন্দু অতিক্রম করেছে। এই লেখার সময়, আমরা দৃশ্যত প্রায় ২০০ কোটি মানুষ আগে এই পয়েন্টটি অতিক্রম করেছি - এবং আমরা এখনও বাড়ছি। এই গ্রহ আমাদের দ্বারা ভয়ানকভাবে আক্রান্ত!
বিজ্ঞানের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও এগ্রিকালচারে দারুণ উৎকর্ষ সাধন করেছে – আমরা এমন কিছু ফসল উৎপাদন করছি যা স্বাভাবিক প্রকৃতিতে উৎপন্ন ফসল থেকে বেশি ফলন দেয়। এসবের সম্ভবত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশী। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক সার ব্যাবহার করে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হচ্ছে। কিন্তু তবুও, জনসংখ্যা বৃদ্ধ পাশাপাশি এই উৎপাদন বৃদ্ধি কত দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবে কিংবা এর সীমা কতদূর প্রসারিত হবে সেটা একটা প্রশ্ন।
কিন্তু হোমো-সেপিয়েন্সদের টিকে থাকার জন্য শুধু খাদ্য-ই প্রয়োজন নয়। এর পাশাপাশি আমাদের খাবার পানি, আশ্রয়-স্থান, জ্বালানী সহ অনেক কিছু প্রয়োজন। এ সমস্ত ধরণের সম্পদ-এর পৃথিবীতে একটি সীমাবদ্ধ সরবরাহ রয়েছে। সেই সম্পদগুলো একসময় কোথা থেকে আসবে? এর একটাই উত্তর আছে: যে সম্পদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন হবে তা আমরা কল্পনাতীত দ্রুততাত সাথে ধ্বংস বা ক্ষয় করছি।
যদিও মানুষ বুদ্ধিমান এবং অত্যন্ত অভিযোজন-যোগ্য( যেকোনো পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার বা মানিয়ে নেবার সক্ষমতা আছে।)। যেমন একটি সম্পদ শেষ হয়ে গেলে যায় আরেকটি সম্ভবত আবিষ্কৃত বা উদ্ভাবিত হবে এবং মানুষ নতুন ধারণা নিয়ে আসবে । তবুও আমাদের জনসংখ্যা চিরকাল এভাবে বাড়তে পারে না।
আমাদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলে এটা আমাদের নিজেদের দোষ – আমদের আমাদের জল ইস্ট্রোজেন (জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণকারী মহিলাদের প্রস্রাব থেকে) দূষিত হচ্ছে ।কেউ মনে করে যে এটি এলিয়েনরা করতে পারে (বা ঈশ্বর, বা এমনকি পৃথিবী নিজেই) – আমরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবার আগে আমাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
(*এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে; মানুষের এক সন্তান হবার পরে আর সন্তান হচ্ছে না, শত সহস্র নারী পুরুষ নিঃসন্তান রয়ে যাচ্ছে।আগেও ছিল-তবে সংখ্যায় কম)। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে বিজ্ঞান; টেস্ট টিউব, সারোগেসি সহ যুগান্তকারী আবিষ্কার নিঃসন্তান মানুষকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি কোন কোন ক্ষেত্রে জন্মহার কমানোর জন্য বিজ্ঞানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।)
বিজ্ঞান ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মতো জিনিসগুলি বিকাশ করে এটিকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে (IVF – বা টেস্টটিউব বেবি), কিন্তু এটি একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া তবে এর সাফল্যের হার বেশ কম, বিভিন্ন দেশের সরকার এখন অতিরিক্ত জনসংখ্যার সমস্যাটি সম্পর্কে সজাগ হয়েছে এবং শুরু করছে অতিরিক্ত জনসংখ্যার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন। যদিও এখন পর্যন্ত শুধু চীন-ই আইন চালু করার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। দম্পতি-প্রতি এক-সন্তান জন্য যথেষ্ট ( পরে আইন পাল্টে গেছে ফের-২০২২)।
বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের সবকিছু দিনের পর দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভীনগ্রহবাসীরা(বা ঈশ্বর বা পৃথিবী বা অন্য কিছু) স্পষ্টতই এই পরিস্থিতিতে খুশি নন।
আমি বিশ্বাস করি আগামী কয়েক দশকে আমাদের নিজেদের সংখ্যা কমানোর জন্য আরও বিরতিহীন, বিধ্বংসী এবং ভয়ঙ্কর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি প্রকৃতি, ঈশ্বর বা এলিয়েনেরাও তাদের চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে ধারনা করা যায়। এ জন্য যে প্রক্রিয়া ভাল হতে পারে তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে – আমাদের গ্রহের মৌমাছি উদ্বেগজনক হারে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি পৃথিবীর অতি কাছ দিয়ে ছুটে গেছে ধ্বংসাত্মক গ্রহাণু- যেটা আমরা কাছে আসার আগে দেখতে পাইনি।
একটা মাত্র ছোট গ্রহাণুর আঘাত আমাদের জনসংখ্যার হার এই গ্রহে সৃষ্ট যেকোনো যুদ্ধ, ভূমিকম্প, সুনামি, দুর্ভিক্ষ, খরা বা রোগের চেয়ে কার্যকর-ভাবে (তবে আমরা সম্ভবত তাদের থেকে আরও বেশি আশা করতে পারি।) কিংবা উল্লেখজনকহারে কমিয়ে দিতে পারে।
ফিরে যাই আমাদের আদি গ্রহে; ব্যাপারগুলো সম্ভবত সেখানে অনেক আলাদা। সম্ভবত সেখানে খাবার এত পুষ্টিকর নয় এবং প্রাচুর্যতা নেই। সে কারনেই সম্ভবত সেখানে আমাদের শুক্রাণুর সংখ্যাও অনেক কম। সম্ভবত সেখানে আমাদের সংখ্যা কম রাখতে কার্যকর পদ্ধতি বা তেমন শিকারি আছে, এমনকি চতুর ও চরম বুদ্ধিমান হওয়া স্বত্বেও তাদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি না। সম্ভবত প্রাকৃতিক এমন কোন বিষয় আছে যা, আমাদের সংখ্যাকে বাড়তে দেয় না অথবা অন্ততপক্ষে কোন উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে আমাদের পুনরুৎপাদন করা থেকে বিরত রাখে।
পৃথিবীতে আমাদের দ্রুত বৃদ্ধির প্রধান মিত্র আমাদের বহু-বর্ধিত দীর্ঘায়ু এবং উল্লেখযোগ্য-ভাবে বেঁচে থাকার হার বৃদ্ধি। আমরা যখন প্রথম এই গ্রহে পৌঁছলাম, তখন মানুষ সম্ভবত ৩০ বছরে বার্ধক্যে পৌঁছে যেত। এবং অধিকাংশ মানুষ এর আগেই মারা যেত।
সম্ভবত আমাদের হোম গ্রহেও এমন হোত বা হয়। কিন্তু এখানে আমাদের জন্য প্রচুর খাদ্য আছে, কোন শিকারি আমাদের মোকাবেলা করতে পারে না, এবং কিছু রোগ যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আরো গুরুতর সমস্যা- অনেক দেশে অনেক বড় পরিবার থাকার প্রথা দীর্ঘদিনের। ধর্মীয় কারন ছাড়াও , উদাসীনতা, সোশ্যাল সিকিউরিটি অভাব-বোধ এবং ধারণা করা হয় যে বেশিরভাগই প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত বেঁচে থাকবে না।
কিন্তু আজকাল সুষম ও পুষ্টিকর খাবার ও ভ্যাকসিন ইত্যাদি দিয়ে বেশিরভাগ শিশু বেঁচে থাকে। তারপরও বড় পরিবারের ঐতিহ্য অব্যাহত রয়েছে। আমরা স্পষ্টতই বলতে পারি না যে, আমাদের বাড়ির গ্রহে অত্যধিক জনসংখ্যা ছিল কিনা, কিন্তু সম্ভাবনা আছে। যদি আমরা এখানে যথেষ্ট দীর্ঘ সময় থাকতাম- তাহলে প্রকৃতি সফলভাবে আমাদের মোকাবেলা করার অন্তত একটি উপায় খুঁজে পেত । যা এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে করতে ব্যর্থ হয়েছে (সম্ভবত কারণ আমরা সম্প্রতি এখানে এসেছি। বিবর্তনের ধারাবাহিকতার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন সেই সময় পৃথিবী পায়নি।)
****************************************
১১. প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতার অভাব
আমরা যদি সত্যিই পূর্ব আফ্রিকায় বিবর্তিত হতাম, যেমনটি সাধারণত অনুমিত হয়, শিকারি (বড় বিড়াল) আমাদের জন্য একটি বিশাল সমস্যা হবার কথা ছিল। (একটি চিড়িয়াখানায় যান এবং একটি সিংহকে বিরক্ত করুন- আপনি শীঘ্রই দেখতে পাবেন যে সিংহটি আপনাকে হত্যা করতে এবং খেতে কতটা আগ্রহী। দুজনের মাঝে স্টিলের বেড়া না থাকলে বাস্তবে পালানোর খুব কম সম্ভাবনাই আপনার কাছে থাকত)
ব্যাপারটি হল, আমরা এই বিপজ্জনক মোকাবেলা করার জন্য সামান্যতম সজ্জিত নই। শুধু বুদ্ধি দিয়ে ভয়ঙ্কর এসব প্রাণীদের আমরা মোকাবিলা করতে পারি না। আমরা চেষ্টা করলে গাছে আরোহণ করতে পারি, তবে তাদের বেশিরভাগই প্রকৃতিগত-ভাবে আমাদের থেকে ভালভাবে পারে। তারা আমাদের মতো দ্রুত সাঁতার কাটতে পারে। তাদের অধিকাংশই আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাদের শিকার করার মত এবং শিকার ছিঁড়ে খাবার মত শক্তিশালী চোয়াল ও ভয়ঙ্কর দাঁত এবং বড় আকৃতির ভীষণ ধারাল নখর আছে, অথচ আমাদের মোটেও কোন নখর নেই এবং আমাদের দাঁত আকৃতি এমন হয়েছে সর্বভুক বা সব ধরনের খাদ্য খাওয়ার জন্য, মোটেই আক্রমণের জন্য নয় বা নিজেদের রক্ষা করার জন্য নয়। এবং তারা সু-সমন্বিত হয়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দলবদ্ধ হয়ে শিকার করে।
আমাদের অরক্ষিত পা পাথরের উপর দিয়ে হাঁটার জন্য অনুপযুক্ত। অন্যান্য প্রাণীর সাথে তুলনা করলে আমাদের রাতের দৃষ্টি আতঙ্কজনক-ভাবে কম। আমাদের দারুণ দিনের দৃষ্টি আছে যা কিছুটা ঈগলের মত পাখির সাথে তুলনা করা যায়। তবুও আমরা দৃশ্যমান আলোর বাইরে বেগুনী রশ্মি থেকে শুরু করে অন্য কোন রশ্মি দেখতে পাই না, তবে অধিকাংশ পোকামাকড় বা কিছু প্রাণী তা দেখতে পারে। কুকুর বা শূকরের তুলনায় আমাদের ঘ্রাণশক্তি অনেক কম।
হ্যাঁ, আমরা আমাদের উচ্চতর মস্তিষ্কের শক্তি ব্যবহার করে এই জিনিসগুলির বেশিরভাগই কাটিয়ে উঠতে পারি -অস্ত্র, মেশিন, গ্যাজেট ইত্যাদি তৈরি করে। কিন্তু মা প্রকৃতি সম্ভবত ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনি ( বা পূর্বে কল্পনা করতে পারেনি) যে কখনো আমরা এই অস্ত্রগুলো উদ্ভাবন করব। একসময় এসব প্রাকৃতিক অস্ত্রগুলো আমাদের ছিল এবং প্রয়োজন মিটে যাবার সাথে সাথে যাওয়ার সাথে সাথে সেগুলি হারিয়েছি, এই যুক্তিটা গ্রহণযোগ্য কি? বিবর্তনের ধারায় প্রকৃতি তার সবচেয়ে এই বুদ্ধিমান ও উন্নত প্রাণীকে নিশ্চয়ই আরো উন্নততর অস্ত্রে সজ্জিত করত- আমাদের প্রকৃতির সেই অস্ত্রগুলো থাকলে কেন আমরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য বা শিকার করার জন্য নতুন অস্ত্র উদ্ভাবন করব? মোদ্দা কথা আমাদের কাছে সেগুলি প্রথম থেকেই ছিল না। তবে কোন ঢাল তলোয়ার ছাড়া এতসব বিপজ্জনক প্রাণীর বিরুদ্ধে লড়াই করে পূর্ব আফ্রিকায় আমরা কীভাবে টিকে থাকতে পারি ? সম্ভবত সত্য হল আমরা সেখানে মোটেই বিবর্তিত হইনি।
শুধুমাত্র তখনই আমরা পূর্ব আফ্রিকায় স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করতে পারি নিজেকে কিভাবে রক্ষা করতে হয় সেই জ্ঞান যখন অর্জন করেছি বা যখন আমরা আগুনের ব্যাবহার শিখেছি এবং সেই অস্ত্রগুলো তৈরি করেছি ( * হতে পারে সেগুলো কাঠ বা পাথরের তৈরি)
আমি বিশ্বাস করি এটা অনেক বেশি সম্ভব যে এলিয়েনরা আমাদের যে সমস্ত জায়গায় রেখেছে সেখানকার পরিবেশ ও প্রকৃতি আমাদের আদি গ্রহের সাথে মিলে যায়। কিভাবে নিজেদের আমরা রক্ষা করতে পারি সেরকম জ্ঞানার্জন করার পরে এবং কার্যকর অস্ত্র তৈরি করার পরই আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম পূর্ব আফ্রিকার মত জায়গায় বসবাসের জন্য।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা ঠিক এর বিপরীত যুক্তি দাড় করাচ্ছে।
কিন্তু আমার কাছে (এবং আরও অনেকের কাছেও) এটি সত্যের অনেক কাছাকাছি মনে হয় এবং বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত ফসিলের দ্বারা এই প্রমাণ এর সাথে আরো ই ঘনিষ্ঠভাবে খাপ খায়। আমরা যদি সত্যিই পূর্ব আফ্রিকায় বিকশিত হতাম (বা এমন হতে পারে প্রথমদিকে এলিয়েনেরা আমাদের সেখানে ফেলে গিয়েছিল), আমার মনে হয় বড় বিড়ালরা হয়তো দ্রুত আমাদের সুন্দর করে সাফ করে দিয়েছে। মনে রাখবেন, এখনকার তুলনায় তখন সেখানে অনেক বেশি বড় বিড়াল এবং সংখ্যায় অনেক বেশী ছিল ছিল।
এবং অবশ্যই তখন আমরা শতকোটি মানুষ এখানে ছিলাম না । সম্ভবত প্রাথমিকভাবে কয়েকশ বা কয়েক হাজার বা গুটিকতক মানুষ ছিল। (বা শুধুমাত্র দুটি- যদি আপনি আদম এবং ইভের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল বলে বিশ্বাস করেন। )
এই সমস্ত জিনিসগুলিকে বিবেচনায় নেওয়া (আমাদের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতার অভাব এবং পাশবিক শক্তি, এবং উপরে তালিকাভুক্ত অন্যান্য সমস্ত জিনিস) আরও একটি বিষয় প্রমাণ করে : আমরা বানরজাতীয় (বা ‘এপ’ থেকে বা তাদের অন্য কোন শাখা থেকে যারা পৃথিবীতে বিবর্তিত হয়েছে ) থেকে বিবর্তিত হইনি। এছাড়া অন্য কোন প্রাণী নেই পৃথিবীতে যেখান থেকে আমরা বিবর্তিত হতে পারতাম।
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ও তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা। ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন সুস্থ থাকুন সুপ্রিয় ব্লগার।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯
নতুন বলেছেন: মানুষের পরির্বতনের উপরে মানুষের মস্তিস্ক বিরাট ভুমিকা পালন করেছে।
অন্য প্রানী প্রকৃতির উপরে নির্ভর করে বিবর্তিত হয়েছে কিন্তু মানুষ তার বুদ্ধির মাধ্যমে প্রকৃতির বাধা ডিঙ্গিয়ে নিজের মতন করে জীবনকে এগিয়ে নিয়েছে। তাই অন্য প্রানীর বিবর্তনের সাথে মানুষের বিবর্তনে অনেক ফারাক থাকবে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ তা তো অবশ্যই ঠিক আপনার সাথে সহমত।
কিন্তু একটা কথা বলবেন যে পৃথিবীতে শুধু টিকে থাকার জন্য এত বুদ্ধিমত্তার কি প্রয়োজন ছিল?
প্রকৃতি আমাদের থেকে যদি সব সুরক্ষা অস্ত্রগুলো কেড়ে না নিতো তাহলে আমরা বনে বাজারে শিম্পাঞ্জির মত হুপ হুপ করে গাছের ডালে চড়ে চড়ে ঘুরে বেড়াতাম! ওরা যখন ঠিকই আছে আমরা টিকে থাকতাম না হয় হারিয়ে যেতাম- সমস্যা কি ছিল?
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্টে আমি মন্তব্য করতে গেলে অবধারিত ভাবে ধর্ম এসে যাবে। তখন কেউ কেউ বলবেন, আমি ধর্ম অবমাননা করছি। তাই মন্তব্যই করলাম না। সত্যটা গ্রহন করার মতো সাহস সবার থাকে না।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: ধর্মের পক্ষেই হোক আর বিপক্ষেই হোক যথাযথ যুক্তিসহকার আপনার বক্তব্য পেশ করলে তা নিয়ে বিশেষ বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করি। আপনি এখন আর সেই রাজিব নূর নেই যে রাজিব নূর কে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি আপনি এখন ব্লগিং করতে ভয় পান। মনে করেন সবাই আপনার পিছনে লেগে আছে -মনে হয় এটা ভুল!
সঠিক তথ্য উপাত্ত দিয়ে আপনার কথা লিখে যান সমস্যা হবে না আশা করি।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০০
বিটপি বলেছেন: আমার ধারণা, বানরেরা মানুষ থেকে এসেছে। মানুষের একটা আদি পুরুষ বিবর্তিত হয়ে বানরের রূপ নিয়েছে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: বিবর্তনের উল্টাই থিউরি খারাপ নয় ব্রো।
হয়তোবা ধীরে ধীরে মানুষ সহ বিশ্বের তাবৎ প্রানী আবার সেই এককোষী প্রাণের সেই আদি রূপে ফিরে যাবে
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮
আরইউ বলেছেন:
মনে হচ্ছে ভদ্রলোক এই বই লিখতে গিয়ে নিজেই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এ কথা বলার কারণ উনি নিজেই নিজেকে কনট্রাডিক্ট করছেন ওনার যুক্তিতে। একদিকে বলছেন জনসংখ্যা বেশি, অন্যদিকে বলছেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের কথা; একদিকে বলছেন নেচেরাল প্রিডেটর না থাকা আমাদের সংখ্যাধিক্যের একটি কারণ আবার বলছেন আমরা প্রিডেটরদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত নই।
মানুষের পূর্বপুরুষ ও আদিম মানুষ প্রিডেটরদের মোকাবিলা করেছে বুদ্ধি দিয়ে; শক্তিশালী দাঁত, ক্ল এসবের বিপক্ষে মানুষ অস্ত্র তৈরী করেছে। এবং বোঝাই যাচ্ছে আমাদের পূর্বপুরুষরা বেশ সফলতার সাথে প্রিডেটরদের মোকাবেলা করে এসেছে।
শুধুমাত্র পুরুষের সিমেন দিয়ে ফার্টিলিটির বিষয়টা নিয়ে কথা বলাটা বোকামী। হিউম্যান জেস্টেশনের ইকুয়েশনে সমান (ইফ নট মোর) ভূমিকা পালন করেন একজন নারী। মনে রাখতে হবে হিউম্যান জেস্টেশনাল পিরিয়ড (~৩০০ দিন; একদম এক্সাক্ট কত দিন মনে নেই) বেশ লম্বা (অন্য অনেক প্রানীর চেয়ে)। একজন নারী তার জীবদ্দশায় কয়টা সন্তান জন্ম দিতে পারবেন তাও কিন্তু খুব বেশি নয়। তার উপর আছে গর্ভকালীন জটিলতায় মৃত্য ইত্যাদি। আমাদের পূর্ব পুরুষদের এসকল চ্যালেন্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়েছে -- সুতরাং বলা যাবেনা যে মানুষ নিয়ন্ত্রহীনভাবে প্রপাগেট করেছে। এরপর আসলো একটা সময় যখন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখানেও আসলো নিয়ন্ত্রন, হিউম্যান ইন্টারভেনশন। তো বলা যায় আমাদের সংখ্যা পৃথিবীর জন্য একটা উপযুক্ত লেভেলেই ছিল এবং থাকবে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার যুক্তির সাথে পেরে উঠা আমার জন্য কষ্টকর ঢের!!
দেখি সময় করে আবার ফিরে আসবো প্রতি মন্তব্যে।
সবগুলো পর্বে আপনার যুক্তিযুক্ত মতামত পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমি চাচ্ছি যে পুরো লেখাটার শেষ পর্যন্ত আপনি থাকুন আপনার প্রজ্ঞা আপনার জ্ঞান এবং আপনার অধ্যবসায় দিয়ে আমাদেরকে নতুন কিছু শেখান।
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শুনেছি আমেরিকায় নাকি বাঘ কে ক্যাট বলে, কিন্তু আমরা তো বিড়াল বলতে চিনি যেটা ঘরের ভিতরে মিউ মিউ করে আর ছোট মাছের কাঁটা খায় সেটাকে। আপনি লেখার বেশ কয়েক জায়গায় বিড়াল শব্দটি ব্যবহার করেছেন, "বিড়াল" শব্দ গুলোকে "বাঘ" দ্বারা প্রতিস্থাপন করে দিলে মনে হয় মন্দ হতো না।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি বলার আগেই ব্লগার আর ইউ উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। আশা করি সন্তুষ্ট হয়েছেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন নিরন্তর!
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩
আরইউ বলেছেন:
@গেঁয়ো ভূতঃ সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ সম্ভবত "বিগ ক্যাট" বা "বড় বিড়াল" কারণ বাঘের সাথে সাথে এ দলে সিংহ, তুষার চিতা (স্নো লেপার্ড), জাগুয়ার, চিতা(বাঘ)-ও থাকবে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: গেঁয়ো ভূত-এর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে দারুণভাবে ব্যখ্যা সহ বুঝিয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে সাড়ে চুয়াত্তর ভাই এর মন্তব্যটা উদ্ধার করেছি;
১. ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৬০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রচুর খাদ্য আর সম্পদ থাকলেই জনসংখ্যা বাড়বে এটা বলা যায় না। ইউরোপের অনেক ধনী দেশে প্রচুর সম্পদ থাকা সত্ত্বেও জনসংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। জাপানের মত সমৃদ্ধশালী দেশে জনসংখ্যা কমছে। মানবজাতির ইতিহাসে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ব্যাধিতে কোটি কোটি লোক অল্প সময়ে মারা যাওয়ার নজির আছে। প্লেগ, গুটিবসন্ত, কলেরা কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। তাই শিকারি নেই একথা বলা যাবে না। অনুমান করা হচ্ছে যে ২১০০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হতে পারে প্রায় ১১ বিলিয়ন। তারপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ০%। অর্থাৎ তারপরে জনসংখ্যা কমতে থাকবে।
পৃথিবীর মোট পানির ৩% খাওয়ার যোগ্য। কিন্তু মানুষ এই মোট পানির মাত্র 0.014% এ নিয়ন্ত্রণ আছে। তারপরও এই নিয়ন্ত্রণে থাকার পানির মাত্র তিন ভাগের ১ ভাগ আমরা ব্যবহার করে থাকি। টেকনিক্যালি পৃথিবীতে খাবার পানির অভাব নাই। সমস্যা হল বিতরন ব্যবস্থায়। আমরা পৃথিবীর মোট সুপেয় পানির মাত্র ০.৪৭% এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখি। তাই পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পৃথিবীর বুকে আছে। সমস্যা হল এটাকে নাগালের মধ্যে আনা।
জ্বালানীর অভাবের কারণে মানবজাতি ধ্বংস হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ ফসিল ফুয়েল আবিষ্কারের আগেও মানবজাতি হাজার হাজার বছর টিকে ছিল এবং সামনেও থাকবে। খনিতে পাওয়া জ্বালানী বা কয়লা যখন ছিল না তখনও মানবজাতি টিকে ছিল। ভবিষ্যতে শেষ হয়ে গেলেও মানবজাতি ধ্বংস হবে না। হয়তো বড়জোর আবার আদিম যুগে ফিরে যেতে পারে। কারণ হাজার হাজার বছর আগে মানুষ প্রকৃতির দয়াতেই বেচে ছিল। অন্যান্য জীবন উপরকরনের ক্ষেত্রেও একই কথা। এগুলি শেষ হয়ে গেলে মানবজাতি বিপদে পড়লেও ধ্বংস হবে না।১. ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৬০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রচুর খাদ্য আর সম্পদ থাকলেই জনসংখ্যা বাড়বে এটা বলা যায় না। ইউরোপের অনেক ধনী দেশে প্রচুর সম্পদ থাকা সত্ত্বেও জনসংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। জাপানের মত সমৃদ্ধশালী দেশে জনসংখ্যা কমছে। মানবজাতির ইতিহাসে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ব্যাধিতে কোটি কোটি লোক অল্প সময়ে মারা যাওয়ার নজির আছে। প্লেগ, গুটিবসন্ত, কলেরা কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে। তাই শিকারি নেই একথা বলা যাবে না। অনুমান করা হচ্ছে যে ২১০০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা হতে পারে প্রায় ১১ বিলিয়ন। তারপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হবে ০%। অর্থাৎ তারপরে জনসংখ্যা কমতে থাকবে।
পৃথিবীর মোট পানির ৩% খাওয়ার যোগ্য। কিন্তু মানুষ এই মোট পানির মাত্র 0.014% এ নিয়ন্ত্রণ আছে। তারপরও এই নিয়ন্ত্রণে থাকার পানির মাত্র তিন ভাগের ১ ভাগ আমরা ব্যবহার করে থাকি। টেকনিক্যালি পৃথিবীতে খাবার পানির অভাব নাই। সমস্যা হল বিতরন ব্যবস্থায়। আমরা পৃথিবীর মোট সুপেয় পানির মাত্র ০.৪৭% এর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখি। তাই পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পৃথিবীর বুকে আছে। সমস্যা হল এটাকে নাগালের মধ্যে আনা।
জ্বালানীর অভাবের কারণে মানবজাতি ধ্বংস হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ ফসিল ফুয়েল আবিষ্কারের আগেও মানবজাতি হাজার হাজার বছর টিকে ছিল এবং সামনেও থাকবে। খনিতে পাওয়া জ্বালানী বা কয়লা যখন ছিল না তখনও মানবজাতি টিকে ছিল। ভবিষ্যতে শেষ হয়ে গেলেও মানবজাতি ধ্বংস হবে না। হয়তো বড়জোর আবার আদিম যুগে ফিরে যেতে পারে। কারণ হাজার হাজার বছর আগে মানুষ প্রকৃতির দয়াতেই বেচে ছিল। অন্যান্য জীবন উপরকরনের ক্ষেত্রেও একই কথা। এগুলি শেষ হয়ে গেলে মানবজাতি বিপদে পড়লেও ধ্বংস হবে না।
৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কষ্ট করে আমার মন্তব্য খুঁজে বের করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি কেবল বসেছিলাম আগের মন্তব্যটা নতুন করে লেখার চেষ্টা করার জন্য।
আপনি অনেক পরিশ্রম করে বইটার অনুবাদ করছেন। অনুবাদ করা অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। লেখকের লেখা থেকে মানব জাতিকে নিয়ে কিছু নতুন আইডিয়া পাচ্ছি। এগুলি আমাদের চিন্তার খোরাক জোগাচ্ছে। আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে নেট ঘাটাঘাটি করে কিছু জিনিস জানাও হচ্ছে। তাই লেখা চালিয়ে যান পূর্ণোদ্দমে।
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: লেখার প্রথম অংশ শেষ হলে এলিস সাহেবের বই নিয়ে আমার নিজস্ব রিভিউ ও অন্যান্য ব্লগারদের যুক্তি ও মতামতার ভিত্তিতে একটা বিশেষ পোস্ট দিব।
প্রবাদ আছে না 'পড়িয়া আছে ছাই- কুড়াইয়া দেখ তাই-'
এলিসের এই লেখাটাকে আমরতা ছাই হিসেবে নিয়ে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেও, আলোচনা, বিতর্ক, সমালোচনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারব- যা নেহায়েত আমাদের অজানা ছিল। আপনার কথা ঠিক।
আপনার মন্তব্য খুজে পেয়ে শান্তি লাগছে। ধন্যবাদ ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- খাদ্যচেনের সবার উপরে আছে মানুষ। এবং মানুষের প্রজনন মাশাল্লাহ। তো এখনই আমারা সংখ্যার সীমা পর করে ফেলেছি। একটা সময় এই সংখ্যা চরম আকার হবে। তখন প্রকৃতি একটি ঝাকি দেবে। এই ঝাকি যদি না আসে তাহলে আমাদেরকেই একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ উটাতে কেউ কম যায় না- যায় কি?
তবে আমি এক উপজাতির কথা জানি যারা ভীষন কালে-ভদ্রে সেক্স করে, তাও সবার সামনে কোন রাখঢাক নেই!!
প্রকৃতি প্রতিশোধ নিবেই- প্রকৃতিই হয়তো চায় মানুষ তাকে নাড়াচাড়া দিয়ে এলোমেলো করে দিক। মহাবিশ্বে মানুষ জাতীয় প্রাণী ব্যতিত অসম্ভব ন্যাচারালি এই পরিবর্তন।
১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জনসংখা অবশ্যই একটি ভাবনার বিষয়। অদূর ভবিষ্যতে ভয়ংকর কিছু না কিছু হলেও হতে পারে। অথবা করোনা লকডাউনের মতো জন্ম নিয়ন্ত্রণ বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। ভবিষ্যত ভয়ংকর সময় অপেক্ষা করছে।
০২ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২১
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ অনেকদিন বাদে আসলেন আপনি!
হ্যা তেমনটাই আশা করছে সবাই- তাই তো তাড়াহুড়ো করছে অন্যগ্রহে পাড়ি জমানোর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অর্থনীতির ভাষায়- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রধানত তিনটি কারনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় - জন্মহার, মৃত্যুহার ও পরিব্রাজন। আবার কোন অঞ্চলে জন্মহার, মৃত্যুহার কীরূপ হবে তা বেশ কয়েকটি কারনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এছাড়াও আছে- বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহ, বেকারত্ব ও দারিদ্রতা, বিনোদনের সুবিধা না থাকা, শিক্ষার অভাব, পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থার অভাব অর্থাত জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অজ্ঞতা, অশিক্ষা, ধর্মীয় গোড়ামি, সামাজিক কুসংস্কার, নিম্নমানের জীবনযাত্রা ও দারিদ্র্য প্রভৃতি। এই সমস্যাগুলো প্রাগঐতিহাসিক যুগেও ছিলো, মধ্যযুগেও ছিলো এবং এখনও আছে।