নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
১২. পরিবেশ ধ্বংস
আমরা পৃথিবীতে একমাত্র প্রজাতি যারা আমরা স্বাভাবিকভাবে যা করি তা করার মাধ্যমে এর পরিবেশ পরিবর্তন (এবং ধ্বংস) করছি। শুধু তাই নয়, আমরাই একমাত্র প্রজাতি যারা স্বীকার করি এবং বুঝতে পারি যে আমরা এখন পরিবেশকে ধ্বংস করছি এবং এর ফলশ্রুতিতে আমরা ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পরতে পারি কিন্তু তার পরেও আমরা তা করতে থাকি। অন্যান্য প্রজাতি তাদের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেয়। আমরা আমাদের উপযোগী করে পরিবেশকে আমাদের সাথে মানিয়ে নেবার চেষ্টা করাচ্ছি।
দ্রষ্টব্য: কিছু লোক দাবি করে বিবর(হালকা বাদামী রঙের ধারালো দাঁতওয়ালা একজাতীয় লোমশ উভচর প্রাণী যারা গাছ কেটে বাঁধ নির্মাণে পটু)
তার পরিবেশকে ধ্বংস করে গাছ কেটে, বাঁধ নির্মাণ এবং বন্যা সৃষ্টি করে। আমি তর্ক করব যে বীবর শুধুমাত্র তার পরিবেশ পরিবর্তন করে – তারা এটি ধ্বংস করে না, এবং আমরা যে স্কেলে করি তা অবশ্যই নয়। যদিও আমরা মেনে নিই যে বীবর করে এর পরিবেশ পরিবর্তন বা ধ্বংস করে,তবে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ প্রজাতির মধ্যে মাত্র একটা প্রাণী এই কাজ করছে অবশ্যই আমরা বাদে।
~এবং কে বলবে যে বিবর’রা হয়তোবাএখানে ছিল না -তাদেরকেও অন্য পৃথিবী থেকে আনা হয়েছে?
কিছু লোক দাবি করে যে হাতির মতো প্রাণী তাদের ক্ষতি করে গাছ কেটে পরিবেশ। কিন্তু আসলে ডালপালা ছেঁটে গাছ পাতলা করা প্রয়োজন, এবং পুরানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাছ যেভাবেই হোক কাটা দরকার, তাই তারা আসলে ক্ষতির চেয়ে ভালো করছে ।
যেখানে হাতিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে (যতদূর পর্যন্ত মানুষ উদ্বিগ্ন) যখন তারা কৃষি জমির চারপাশে বেড়া ছিঁড়ে ফেলে।এখানেই মানুষ তাদের ভূখণ্ড দখল করেছে। আমরা বিরক্ত হই যখন তারা এটা করে, কিন্তু আমাদের হওয়ার অধিকার নেই। আমরা অবশ্যই আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য তাদের দোষ দিতে পারি না। মাঝে মাঝে পঙ্গপাল বা কাঁটার মুকুট ঝাঁকের প্রাদুর্ভাবে–বা স্টার ফিশের মত প্রাণী দ্বারা ব্যাপক ক্ষতি হয় পরিবেশের, কিন্তু এটি সর্বদা অতিরিক্ত জনসংখ্যা এবং অতিরিক্ত খাদ্যের প্রাচুর্যের কারণে হয়।
মাদার নেচারের এগুলির প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করার জন্য একটি কার্যকর পরিকল্পনা রয়েছে তাদেরকে দ্রুত বা স্বল্প সময়ের মধ্যে মোকাবেলা করা হয়, পরিবেশ পুনরুদ্ধার হয়, এবং একসময় সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কিন্তু মা প্রকৃতির (এখনও) কোন এমন কোন কার্যকর পরিকল্পনা করতে পারেনি যা দিয়ে অব্যর্থভাবে আমাদের মোকাবেলা করা যাবে।
অন্যরা বলছেন যে গবাদি পশু পরিবেশের ক্ষতি করছে-প্রধানত তাদের দ্বারা গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।
*(বিশ্বের ১.৫ বিলিয়ন গরু এবং কোটি কোটি অন্যান্য চারণকারী প্রাণী প্রচুর মিথেন সহ কয়েক ডজন দূষণকারী গ্যাস নির্গত করে। সমস্ত অ্যামোনিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ আসে গরু থেকে। গরু ঢেকুর তোলার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে মিথেন নির্গত করে। গড় দুগ্ধজাত গাভী কতটা মিথেন বের করে দেয় সে সম্পর্কে পরিসংখ্যানে কিছুটা গড়মিল আছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে প্রতিদিন ১০০ লিটার থেকে ২০০ লিটার (বা প্রায় ২৬ গ্যালন থেকে প্রায় ৫৩ গ্যালন), অন্যরা বলে যে এটি দিনে ৫০০ লিটার (প্রায় ১৩২ গ্যালন) পর্যন্ত। যাই হোক না কেন, পরিমানটা বেশ উদ্বেগজনক। পরিমাণটা এক দিনে একটি গাড়ি দ্বারা উত্পাদিত দূষণের সাথে তুলনীয়। খবর -
নিউজিল্যান্ড তাদের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশী অবদান রাখে এই প্রাণীটিকে নিয়ে বেশ বিপদে আছে।)*
এক মিনিট অপেক্ষা করুন – কেন এত বেশী গবাদি পশু বিচরণ করে পৃথিবীজুড়ে? এদের-তো মানুষই পালে কিংবা এরা মানুষের ছত্রছায়ায় থাকে! আমাদের সাহায্য ছাড়া এদের বেশীরভাগই মারা পরবে , এর পরেও আপনি গবাদি পশুকে দোষ দিতে পারবেন না কেননা তারা যদি পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে থাকে তবে সেটা অবশ্যই সচেতনভাবে বা তাদের আরাম আয়েশের জন্য করছে না।
গৃহপালিত বিড়াল-এর ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে তারা বহু সংখ্যক বন্য পাখি হত্যা করে। এটা সত্য যে তারা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে। কিন্তু তারা কেবল তাই করছে যা তারা স্বাভাবিকভাবে করে; তাদের কোন সচেতনতা নেই তারা কোন ক্ষতি করছে। আমরা তাদের গৃহপালিত করতে পারি, কিন্তু আমরা তাদের বন্য শিকারের প্রবৃত্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে পরিচালিত করিনি - এবং যাইহোক আমাদের সম্ভবত বিড়ালের মত কোন গৃহপালিত প্রাণী রাখবার প্রয়োজন নেই। অপ্রয়োজনে শুধুমাত্র আমরা এই প্রাণীটাকে পছন্দ করি বলে কিংবা আমার একটা বিড়াল থাকতে হবে এমন জেদের বশে এদের সংখ্যাকে বাড়িয়ে দিচ্ছই। আমরা সচেতনভাবে নিজেরাই শুধু পরিবেশ ধ্বংস করছি না – অন্যান্য প্রাণীদেরকেও আমাদের-সাথে এনে পরিবেশ ধ্বংসে অবদান রাখছি।
এটা শুধুমাত্র নিছক তাদের কারণে যে কোন সংখ্যা প্রকৃত ক্ষতি সৃষ্ট হয়. তাই আবার এটা আমাদের নিজের দোষ. এবং অবশ্যই একই জিনিস অন্যান্য অনেক উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জন্য বলা যেতে পারে মানবজাতি তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এমন প্রজাতি -জাপানি knotweed( বিশেষ গাছ যা বনভূমির অন্যান্য গাছ প্রজাতির বৈচিত্র্য ধ্বংস করে পরিবেশের ক্ষতি ডেকে আনে*), harlequin ladybugs( নেটিভ বাগ-দের প্রতি হুমকিস্বরূপ, নতুন পরিবেশের ক্ষতি করছে) cane toads( ভিন্ন অঞ্চল থেকে মাইগ্রেটেট এক ধরনের বিষাক্ত বড় আকৃতির ব্যাঙ- অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ও বিশেষ কিছু অঞ্চলে যে সকল পাখি, গিরগিটি, উভচর ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরা যারা ব্যাঙ ও ব্যাঙ্গের ডিম খেয়ে থাকে তাদের বেশ বড় একটা অংশ এই ব্যাঙের বিষের সংস্পর্শে মারা যাচ্ছে*)।হতে পারে কীট ও প্রাণীদের এই মাইগ্রেশন সেই সময়ে ভাল উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের কীটপতঙ্গ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রয়োজনীয় ছিল এবং এই জিনিসগুলি মোকাবেলা করার একটি প্রাকৃতিক ( এবং নিরীহ) উপায় বলে মনে হয়েছিল।
তাদের আমরা সন্দেহ করিনি যে, একবার তারা তাদের স্বাভাবিকের ও তাদের নেটিভ পরিবেশের বাইরে নিয়ে গেলে নতুন পরিবেশ তারা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে এবং নিজেদের পরিবেশের ক্ষতি করবে। যদি আমরা যেখানে তারা ছিল সেখানেই রেখে দিতাম তাহলে তারা না থাকলে কোন সমস্যার সৃষ্টি হত না। তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি বিশ্বব্যাপী পরিবেশ ও প্রকৃতির যে ক্ষতি সাধন হচ্ছে তার সিংহভাগ আমাদের নিজেদের দোষেই!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে (মার্চ ২০০৫) একটি নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে: যখন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর প্রজাতি যেখানে তাদের অন্তর্গত নয় সেখানে চলে যায়, তারা বাস্তুতন্ত্র এবং অর্থনীতিতে আক্রমণ করতে পারে যার পরিণতি ভয়ানক হতে পারে। কিন্তু এই উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতি তাদের আদিবাস থেকে নতুন পরিবেশে স্থান্তরিত হতে পারে? এটা না যে আমারা মানুষরাই শুধু তাদের আবাস্থল পালটে দিচ্ছি- ঠিক এই বক্তব্য আমাদের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য।
আমরা এখানে কিভাবে এলাম? আমরা স্পষ্টতই বহিরাগত, আমরা কখনোই এখানে ছিলাম না। আমাদেরকে আমাদের আদি আবাস থেকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে- এবং আমরা অবশ্যই পৃথিবী ও এর তাবৎ উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের ভয়ানক পরিণতি ঘটাচ্ছি!!!
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার যুক্তিযুক্ত মন্তব্যের জন্য।
তবে একটা কথা মানতে হবে; মানুষ সেই আদিম কাল থেকে তাঁর সীমিত সামর্থের মধ্যে না জেনে না বুঝে হলেও প্রকৃতির সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধন করেছে। তখন এত কম পরিমান মানুষ এত অল্প ভুখন্ডে থাকত যে, সেটা সেজন্য নোটিশেবল ছিল না। প্রকৃতি সহজেই সে ঘাটতি পুরণ করেছে।
আমাদের এটা মানতেই হবে প্রকৃতির মুল ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় মানুষ আগুন আবিস্কারের পরে- আর লোহা আবিস্কারের পরেতো মচ্ছব শুরু হয়েছে। ফসিল ফুয়েল এসে সেটার গায়ে পরতে পরতে রঙ চড়িয়েছে
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকগুলো পর্ব চলে এসেছে। আগের দু একটা দেখে এলাম।
মানুষ তো আসলে এ পৃথিবীর প্রাণী না। কোথায় যে ছিল আগে সেখানে ফেরা যায় না?
পরিবেশ নিয়ে এত ভেবে কিছুই তো হচ্ছে না। ভোট হয়ে যায় পরিবেশবাদীরা একটা পদ হয় তো পায়। অথবা শূন্য ভোট এই রকম সচেতনতা।
মানুষ ধ্বংস করতে করতে শেষ পর্যন্ত যেটুকু থাকে তাই ভোগ করবে শেষের মানুষ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: পরিবেশ ধ্বংস করতে করতেই মানুষ একদিন নিজেরাই হয়ে যাবে।
প্রতিনিয়ত যে পরিমান ধ্বংসযজ্ঞ চালেচ্ছে সেটা পুরণ করার সাধ্য মানুষের নেই। নিজেদের লাভ ও লোভের জন্য সেটা সম্ভব ও নয়।
আপনি পরিবেশবাদী অতি সজ্জন মানুষ- পরিবেশ ধ্বংসের এই খেলা আপনাকে নিশ্চিত কাঁদায়।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
রবিন.হুড বলেছেন: এই বইয়ে মানুষকে ভিন গ্রহের প্রাণী বলায় একটা সত্য সামনে চলে আসে আর তা হলো মহান আল্লাহ তাওয়ালা মানুষ (প্রথম মানুষ আদম আঃ) সৃষ্টি করেছিলেন বেহেশত (ভিন গ্রহ) এর উপযোগী করে। পরবর্তীতে আদম (আঃ) কে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন এবং যাঁর মাধ্যমে সমগ্র মানব জাতির সৃষ্টি হয়।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ধর্ম বিষয়ক আলোচনা এখানে আমি আপাতত উহ্য রাখছি।
অনেক ধন্যবাদ। সবার মতবাদকে শ্রদ্ধা করে সত্যটা জানার চেষ্টা করা উচিৎ।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আচ্ছা বাস্তুসংস্থানে তো একটি খাদক তার খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশের কোন না কোন পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে । মানুষও তেমন করছে । কিন্তু মানুষ পরিবেশের যে ক্ষতি করছে তা আবার পূরণও করতে পারছে নিজেদের প্রচেষ্টায় যেটা অন্য প্রাণীরা পারছে না ! মানুষ যেভাবে ( মানে যে মাত্রায় ) ধ্বংস ও গড়ার কাজ করছে অন্য জীবেদের ক্ষেত্রে তা তেমন সত্য নয় । এটাও একটা ভাববার বিষয় । মানে ঘুরেফিরে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় , কেন কেবল মানুষ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এত উন্নত হলো ? তবে কী মানুষ অন্য জীবদের থেকে আলাদা ??
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যাটা হচ্ছে, মানুষ প্রকৃতি ধ্বংস করছে জানে বুঝে- এর পরিণতি যে ভয়ঙ্কর হবে সেটা বুঝেও আমরা অনবরত প্রকৃতির ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছি।
এই ধরুন; আমাজনের জঙ্গল,যাকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়, সেটাকে এমনিতে সাধারন মানুষ,চোরাকারবারি সহ অন্যরা ধ্বংসতো করছে উপরুন্ত ব্রাজিল সরকারকে বিশ্ব পরিবেশবাদীরা এত অনুরোধ উপরোধ করার পরেও তারা ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির ক্ষত যে সারানো উচিৎ নাহলে আমাদের সহ প্রায় তাবৎ প্রাণীকুল নিঃশেষ হয়ে যাবে সেটা বুঝেই খুব অল্পদিন হোল মানুষ একটু সচেতন হয়েছে। কিন্তু যে ক্ষতি হয়ে গেছে কিংবা প্রতিনিয়ত হচ্ছে এর বিপরিতে সেটা নেহায়েত তিল সম তালের কাছে।
মানে ঘুরেফিরে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় , কেন কেবল মানুষ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে এত উন্নত হলো ? তবে কী মানুষ অন্য জীবদের থেকে আলাদা ??
আমি আমার মত করে চেষ্টা করে যাব এমনধারা আরো শত প্রশ্ন রাখতে ও তাঁর উত্তর খোঁজার।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
মানুষ ভিন্ন গ্রহ থেকে এসেছে কিনা সেটা ভবষ্যত বলে দেবে। তবে আমি মনে করি- জীবনস্তর প্রবহমান। আমরা যদি মাতৃগহবর থেকে জন্ম নিতে পারি তাহলে সেই জীবন অন্য গ্রহহেও হতে পারে। আমরা যেখান থেকেই আসি- অন্য গ্রহহের অবস্থাও কিছু ক্ষয়মান। বিজ্ঞান বলছে- ইতোমধ্যেই অনেক গ্রহের নানাবিধ ক্ষয়ের কথা। মহাকাশে প্রচন্ড ধূলিঝড়, উল্কাপিন্ডের ক্ষয় ভাংগন পতন প্রত্যাহিক ঘটনা।
সভ্যতার সৃষ্টিই হয়েছে প্রাকৃতিক সৃষ্টি ধ্বংশের মাধ্যমে। শুরুটাই চিন্তা করা যাকঃ- সভ্যতার শুরুতেই আদিম মানুষ লজ্জা নিবারণ করে এবং সেজন্য গাছের ছালবাকল, পাতা, পশুর চামড়া ব্যবহার করতো। অর্থাৎ শুরুটাই প্রকাকৃতিক সম্পদ ধংশের মাধ্যমে।
সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- নগরায়ণ, শিল্পায়ন। এই দুটোই প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংশের অন্যতম কারণ। তার উপর আছে- গাছপালা ও ময়লা-আবর্জনা পোড়ানোর ফলে বায়ু দূষিত করা। কলকারখানা ও যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ার ফলে বায়ু দূষিত হওয়া। বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস ও ধূলিকণা বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত করা। যেখানে-সেখানে মলমূত্র ত্যাগের ফলে দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ুকে দূষিত করা। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হচ্ছে, কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব বৃষ্টির পানির সাথে বা বিভিন্নভাবে পুকুর, ডোবা, খাল, বিল নদীর পানিকে দূষিত করছে। কলকারখানার বর্জ্য, গৃহস্তালীতে ব্যবহূত আবর্জনা ইত্যাদির মাধ্যমেও পানি দূষিত হচ্ছে। কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহূত অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মাটিকে দূষিত করছে। ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালের বর্জ্যে, প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদির কারণে মাটি দূষিত হয়। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। সর্বপরি গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
পোস্টে বরাবরের মতোই প্লাস।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: বাব্বা আজকে দেখি বেশ সময় নিয়ে বড় সড় মন্তব্য করেছেন
আমরা মুলত পৃথিবীকে ওলট পালট করছি। নীচের আবর্জনাকে উপরে আনছি আর উপরের জঞ্জালকে নীচে পাঠাচ্ছি।
যে ভয়ঙ্কর এক ধ্বংস ধ্বংস খেলায় মেতেছি আমরা এর পরিণতি বড় করুণ ও ভয়াবহ হরে নিঃসন্দেহে!
~মানুষ ভিন্ন গ্রহ থেকে এসেছে কিনা সেটা ভবিষ্যত বলে দেবে। তবে আমি মনে করি- জীবনস্তর প্রবহমান। আমরা যদি মাতৃগহবর থেকে জন্ম নিতে পারি তাহলে সেই জীবন অন্য গ্রহহেও হতে পারে। আমরা যেখান থেকেই আসি- অন্য গ্রহহের অবস্থাও কিছু ক্ষয়মান। বিজ্ঞান বলছে- ইতোমধ্যেই অনেক গ্রহের নানাবিধ ক্ষয়ের কথা। মহাকাশে প্রচন্ড ধূলিঝড়, উল্কাপিন্ডের ক্ষয় ভাংগন পতন প্রত্যাহিক ঘটনা।
সহমত- সাথে থাকবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
আরিফুর রহমান শুভ বলেছেন: সঠিক
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: সামু ব্লগে স্বাগতম!
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাব্বা আজকে দেখি বেশ সময় নিয়ে বড় সড় মন্তব্য করেছেন
বিবিধ কারনে আমার মন্তব্যের পরিধি ছোট বড় হয়। যেমনঃ- সময়, পরিবেশ, স্থান এবং মানসিক অবস্থা। যখন সেল ফোন থেকে লিখি/পড়ি তখন অসংক্ষিপ্ত মন্তব্য করি। যে লেখা আমার মনোপুত হয়, অর্থাৎ লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার নূন্যতম ধারণা থাকে- সেই পোস্টে মন্তব্য করতে স্বাচ্ছন্ধ বোধ করি।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আগেই জানতাম এমনটাই হবে
এখন কনফার্ম হলাম।
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: বিষাক্ত ব্যাঙ সম্পর্কে একটু বলুন। কোনো একটা মুভিতে এটাকে শিকারির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে দেখেছি।
পর্বটা একটু ছোট মনে হলো। পরিবেশ ধ্বংসের সাথে রিভেঞ্জ অফ নেচার এর ব্যাপার টাও যোগ করলে মন্দ হতো না।
-শুভ কামনা
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ফের।
ওই ব্যাঙ বিস্তারিত এই লিঙ্কে জানতে পারবেন; Click This Link
ইচ্ছে করেই এইবারের পর্বটা একটু ছোট রাখলাম; পাঠকদের পড়ার সুবিধার জন্য
আপনার পরামর্শ মনে রাখলাম দেখি সামনের পর্বে যোগ করতে পারি কি না।
ধ
৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: - আমরা কোথায় ছিলাম বা কোথা থেকে এসেছি ?
সে কি মায়ের ডিম্বাশয়ে কিংবা শুক্রাশয়ে (অন্ডকোষে) , তাও যদি হয় যখন মাতা পিতার জন্ম হয়নি তখন কোথায় ছিলাম? এ এক জটিল/কঠিন প্রশ্ন।
-- ক্ষণস্থায়ী জীবন শেষে আমরা কোথায় যাব?
মরণের পর মাটিচাপা (কবর) কিংবা ছাইচাপা (পোড়ানো)র পরই কি জীবন শেষ?এর ফলে দেহ শেষ হয়ে গেল তবে দেহের নির্যাসে (আত্মা)'র কি হবে ? সে কোথায় যাবে? তার পরিনতিই বা কি হবে?
- এই দুনিয়াতে আমরা ছিলাম না - এটা ঠিক। ছিল না আমাদের বাবা কিংবা মায়েরাও। তাহলে আমরা আসলে ছিলাম টা কোথায়?
আসলেই কি ছিলাম ?
যদি ছিলামই তাহলে কিভাবে ছিলাম? শারিরীক আকৃতিতে কিংবা বায়বীয় অবয়বে?
আর দুনিয়াতে আসার পরে আমরা এ আমাদের বাসযোগ্য এ স্থানের (পৃথিবীর ) অনেক ক্ষতি করছি আমাদের প্রাত্যহিক নানা কাজের মাধ্যমে ইচছায় কিংবা অনিচছায়। এর শেষ পরিণতিই বা কি হবে?
আহা !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কত প্রশ্ন , জবাব কোতায়?
সমাধানই বা কি ?
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এমনধারার হাজারো লক্ষ প্রশ্ন ঘুরপাক খায় আমাদের মস্তিষ্কে প্রতি নিয়ত। আমাদের পূর্বসুরীরা এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে খুঁজে হয়রান হয়ে কিছু না জেনেই বা গোঁজামিল কিছু তথ্য তত্ত্ব জেনে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।
আমদেরও হয়তো একই পরিণতি হবে। কি আর করার
বরাবরের মত চমৎকার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ- আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: যেমনঃ- সময়, পরিবেশ, স্থান এবং মানসিক অবস্থা। যখন সেল ফোন থেকে লিখি/পড়ি তখন অসংক্ষিপ্ত মন্তব্য করি- টাইপো হয়েছে। সঠিক শব্দ- সংক্ষিপ্ত হবে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: এমনটা আমারও হয়। অনেক সময় দৌড়ের উপরে থাকলে ঝামেলা এড়াতে স্পিচ টু রাইট এ অল্পতে সেরে দিই
~ এমন টাইপো আমার কাছে কোন সমস্যাই মনে হয় না।
১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: অন্তত এই একটা ব্যাপারে তো কোন দ্বিমত নেই মানুষ এই পৃথিবীতে যা করে বেঁচে থাকার জন্য তার প্রায় সবই এই পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় । আমরা সকালের ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতের ঘুমানো পর্যন্ত যা যা করি এমন রাতে ঘুমানোর সময় যে এসি চালিয়ে রাখি তাও পরিবেশ তথা পৃথিবীর ক্ষতির কারণ ।
কিন্তু এখানেও দেখেন আবার এরেকটা প্যারাডক্স । যদি মানুষ পৃথিবী থেকে বিলিন হয়ে যায় তাহলেই কিন্তু বিপদ । মানুষ গায়েব হয়ে গেলে কিন্তু কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদ গায়েব হয়ে যাবে তখন কিন্তু গাছ আর খাদ্য উৎপাদ করতে পারবে না । গাছ মরবে ফলে বলা যায় পুরও পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ।
কী এক প্যারা দেখেন !
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেন-তো অন্য কথা! মানুষ না থাকলেই বরংচ পৃথিবীটা জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। অন্য সব ম্যামলস র্যাপিডলি এত বাড়বে যে, কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘাটতি হবে না।
আপনার কথা ঠিক আমাদের জন্মই হয়েছে ধ্বংস করার জন্য। কেন যেন মনে হয় বিশ্ব প্রকৃতি হয়তো এমনটাই চায়!!
প্রকৃতি হয়তো চায় প্রাকৃতিকভাবে ধ্বংস না হয়ে কৃত্রিম উপায়ে ধ্বংসের মজা নিতে
১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৪
নতুন বলেছেন: কিন্তু এখানেও দেখেন আবার এরেকটা প্যারাডক্স । যদি মানুষ পৃথিবী থেকে বিলিন হয়ে যায় তাহলেই কিন্তু বিপদ । মানুষ গায়েব হয়ে গেলে কিন্তু কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদ গায়েব হয়ে যাবে তখন কিন্তু গাছ আর খাদ্য উৎপাদ করতে পারবে না । গাছ মরবে ফলে বলা যায় পুরও পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ।
কী এক প্যারা দেখেন !
অপুভাই। মানুষ পৃথিবি থেকে বিলিন হয়ে গেছে পৃথিবি তার ক্ষত সারিয়ে আবার সুস্থ হয়ে উঠবে। মানুষ থাকলেই পৃথিবি দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে।
কার্বন সাইকেল সব অন্য সকল কিছুই একটা প্রাকৃতিক সাইক্যেল আছে শুধুই মানুষ পৃথিবির জন্র ক্ষতিকর। অন্য কোন প্রানী না।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: জ্ঞানীরাও মাঝে মধ্যে ভুল করে। উনি নিজে স্বীকার করেছেন সেটা ভুল ছিল
ঠিক বলেছেন মানব প্রজাতি ধ্বংস হলেই যেন পৃথিবী শ্বাস নিতে পারবে! আপনার কি মনে হয় বিবর্তনের ফলে এত বুদ্ধিমান একটা প্রাণী সৃষ্টি করে প্রকৃতি ভুল করেছে?
১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
আরইউ বলেছেন:
আমরা যদি পৃথিবীকে একটি লিভিং-ব্রিথিং লাইফ ফর্ম হিসেবে বিবেচনা করি তাহলে সব প্রানীই পৃথিবী "ক্ষতি" করে কারণ সবাই ন্যাচেরাল রিসোর্স ব্যবহার করে। পৃথিবীতে খাদ্য সইকেল চলতে থাকবে, খাদ্যচক্রে নিচে যে আছে সে উপরের জনের খাদ্য হবে। এভাবেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে। এই ভারসাম্য রক্ষার একটি উপাদান মানুষ। যখন এই ভারসাম্য নষ্ট হবে, পৃথিবী একদম একটা টিপিং পয়েন্টে চলে যাবে, সেদিন পৃথিবী আবার রিসেট হবে। গ্রেট এক্সটিংকশন কয়েকবার হয়েছে, প্রয়োজনে আবার হবে। যাহোক, মানুষ যেমন প্রকৃতির ক্ষতির কারণ তেমনি মানুষই একমাত্র প্রজাতি যে এই ক্ষতিকে কীভাবে রিভার্স করা যায় সেই পথ আবিষ্কার করতে সমর্থ। বিবর্তন সেই ক্ষমতা মানুষকে দিয়েছে।
@অপুঃ সব প্রানীই কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ করে। সুতরং মানুষ এক্সটিংক্ট হয়ে গেলেও উদ্ভিদের কার্বন ডাইঅক্সাইডের অভাব হবেনা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আরেকজনের মন্তব্যের উত্তরে বলেছি; প্রকৃতি হয়তো চাইছে তাঁর সৃষ্টির হাতে কিংবা কৃত্রিমভাবে একবার ধ্বংস হতে।
প্রকৃতিও বুদ্ধির ধার দিচ্ছে।
রিভার্স করতে পারে কিন্তু যে ভয়ঙ্কর গতিতে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে শেষে আর ফিরে আসার পথ পাওয়া যাবে না।
বরাবরের মত সাথে থেকে তথ্যবহুল সব মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
আপনি বুদ্ধিমান মানুষ। আপনার পোষ্ট এই জন্যই জ্ঞানী পোষ্ট।
ভালো থাকুন। লেখা অব্যহত থাকুক।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: বাব্বাহ এত বড় কমপ্লিমেন্ট!
সবগুলো পোষ্টে আপনার অনুপ্রাণিতমুলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
অপু তানভীর বলেছেন: আরে হ্যা অন্য প্রাণীর কথা তো আমি ভুলেই গেছিলাম। অন্য প্রাণীও তো কার্বন নিঃসরন করে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: এমনটা মাঝে মধ্যে হয়। জ্ঞানীরা ভুল করে সর্বাধিক- ভুল করে করেই মানুষ বিজ্ঞ হয়
১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
নতুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন মানব প্রজাতি ধ্বংস হলেই যেন পৃথিবী শ্বাস নিতে পারবে! আপনার কি মনে হয় বিবর্তনের ফলে এত বুদ্ধিমান একটা প্রাণী সৃষ্টি করে প্রকৃতি ভুল করেছে?
প্রকৃতি ভুল করেনা। আর আসলে ভুল বলে কিছু নাই। কারন কোন ফিক্সিড উত্তর নাই। বর্তমানে যেই পরিবর্তনই হউক না কেন সেটা ভবিষ্যতে হয়তো নতুন কোন ফলাফল নিয়ে আসবে।
মানুষ বুদ্ধিমত্তাই অন্য প্রানী থেকে মানুষকে আলাদা করেছে। শারিরিক ভাবে মানুষ পৃথিবিতে সারভাইবে অন্য প্রানীর চেয়ে অনেক পিছিয়ে । কিন্তু বুদ্ধিমত্তায় সব প্রতিকুল পরিবেশ জয় করেছে এবং ভবিষ্যতকে নিজের মতন করে তৌরি করে পাল্টে নিচ্ছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা বড় গোলক ধাঁধায় আছি। সবাই সবার মত করে ভাবিছি
মানুষ এখনো নিজের গ্রহটাকেই ভাল করে জানেনা। ভেতরে বাইরে মিলিয়ে ৫ ভাগ ও চিনেনি- এখনো কত ধরনের প্রাণ ও প্রাণী আবিস্কারও হয়নি। মানুষ মঙ্গলকে যতটুকু জানে নিজের কোর সন্মন্ধেও ধারনা তাঁর থেকে বেশী নয়- আর কিছু অতি উৎসাহী বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ দাবী করে তারা নাকি সৃষ্টি রহস্য উদঘাটন করে ফেলেছেন। বিজ্ঞান অনেকদুর এগিয়েছে অনেক কিছু আবিস্কার করেছে যা একসময় অসম্ভব বলে দাবি করা হোত। তবুও আমি মনে করি মুল পথ পরিক্রমার মাত্র ১ ভাগ এগিয়েছে মানুষ (নিজস্ব ধারণা)
আরো বহু বহু পথে যেতে বাকি।
১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: আমার ভুল মন্তব্যে কারণে আপনার এই পোস্টটা আরেকবার পড়ালাম তারপরে আরেকটা ব্যাপার মাথায় এল। বিশেষ করে মানুষের অস্তিত্বইকে যেভাবে পৃথিবীর জন্য ক্ষরিকর ধরা হচ্ছে কিন্তু আরও একটু ভাল করে চিন্তা করলে দেখুন অন্যান্য প্রানীর মত মানুষের অস্ত্বিত্ব কিন্তু পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর নয়! এমন কি যে প্রাকৃতিকবিপর্যয়ের দোষ দেওয়া হচ্ছে সেটা কিন্তু খুব বেশি সময় ধরে শুরু হয় নি। আরও ভাল করে বললে মানুষ যখন থেকে প্রকৃতির বিরুদ্ধে যাওয়া শুরু করেছে ঠিক তখন থেকে এই ধ্বংস শুরু হয়েছে।
এটা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখতে হবে। আলাদা একটা পোস্ট দেওয়া যায় কিনা দেখি।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: লেখকের মাথায় শুধু লেখার চিন্তা আসে- এইটা নিয়ে লিখতে গিয়ে রাশিয়ান বিষয়াদি নিয়ে লেখা ভুইলেন না।
কথা ঠিক (হয়তোবা)-আপনার পুরো লেখা পড়ে সলিড মন্তব্য করব। অপেক্ষায় রইলাম...
১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
পরিবেশ ধ্বংসে মানুষের ভুমিকা তো আছেই সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু এই পরিবেশ ধ্বংসের সাথে মানুষ জড়িত বলেই ভিন গ্রহ থেকে মানুষ পৃথিবীতে এসেছে, এমন সরলীকরণ কোন যুক্তিতেই পড়েনা।
আমার তো সন্দেহ হয়, বইটির লেখক নিজেই জানেন না যে , তিনি কি প্রমান করতে চেয়েছেন আসলে!
দেখা যাক শেষ পর্য্যন্ত তিনি কি বলেন!!!
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: পৃথিবীতে টিকে থাকার সংগ্রামের জন্য বড় আর কোন প্রতিবন্ধকতা হয়তো উনি খুঁজে পাননি
এর পরের আলোচনাগুলো বৈজ্ঞানিক কনটেন্ট ভিত্তিক তবে মুলত হাইপোথিসিস!
তিনি তাঁর মত করে ভেবেছেন এইসব- আমাদের বিতর্কের দ্বার উন্মুক্ত। আমরা এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে পারি।
আমিতো দেখেছি - আপনারাও দেখুন, বুঝুন।
ফের মন্তব্যে আসায় অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকুন
১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:কিছু অতি উৎসাহী বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ দাবী করে তারা নাকি সৃষ্টি রহস্য উদঘাটন করে ফেলেছেন।
কারা এরা ? সিলভারের জ্ঞাতি বলে মালুম হচ্ছে! কিসের ভিত্তিতে এমন দাবি যদি একটু জানাতেন ?
আহমেদ জী এস বলেছেন: কিন্তু এই পরিবেশ ধ্বংসের সাথে মানুষ জড়িত বলেই ভিন গ্রহ থেকে মানুষ পৃথিবীতে এসেছে, এমন সরলীকরণ কোন যুক্তিতেই পড়েনা।আমার তো সন্দেহ হয়, বইটির লেখক নিজেই জানেন না যে , তিনি কি প্রমান করতে চেয়েছেন আসলে!
হা-হা! হা-হা! মন্তব্য নিস্প্রয়োজন।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: এইরকম একটা প্রতিউত্তর না দিলে তো আপনি আসতেন না।
এলিস সিলভার কিছু কিছু যুক্তি দিয়ে আমাকে অভিভুত করেছেন। কিছু বুঝে না বুঝেই তাঁর চ্যালা হয়ে গেছি। সেই সুত্র ধরে দু-চারখান এমন বক্তব্য তো আসতেই পারে।
শেষের অংশটুকুর আর কি উত্তর দিব- আপনি ভাল থাকুন লেখার শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন।
২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দুঃখিত উপরের মন্তব্যটি অন্য একটি পোস্টে করতে গিয়ে ভুল করে এখানে করা হয়েছে।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: সমস্যা নেই এমনটা হতে পারে। গাজী সাহেবের পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে এখানে এসে গেছে
মুছে দিলাম
২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৩
সোহানী বলেছেন: ভালো তো ভালো না......... অন্য গ্রহ থেকে আসবো তারপর গ্রহের বারোটা বাজায়ে আরেক গ্রহে চলে যাবো .........
এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে শুধু এলেন মাস্ক আর তার কয়েক ডজন পোলাপান বেচেঁ বর্তে থাকবে।
আর আমরা!!! আদার বেপারী জাহাজের খোঁজ নিয়া কি করুম.................
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ ধন্যবাদ আপু আপনার মজার মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: কিছু বুঝে না বুঝেই তাঁর চ্যালা হয়ে গেছি।
এই লোক সাদা/পশ্চিমা না হলে কি হতেন ? মনে হয় না! জিকোর একটা কথার সাথে আমি একমত এটা কালো কেউ লিখলে আদৌ কল্কে পেত না। এক সোনাগাজী যিনি ইউরোপ, আমেরিকা তথা সাদা / পয়্চিমাদের কোন সমস্যাই দেখতে পান না (তাই বলে আমি আরব/পারস্য ভক্তও নই )। আপনাকে খানিকটা ব্যতিক্রম ভেবেছিলাম, কিন্তু...। সাজিদ আমাদের কলনোনিয়াল হ্যাংওভার নিয়ে একটা পোস্ট দিচ্ছিলেন যদিও তার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত নই, তবু লেখাটা তার চালিয়েও যাওয়া উচিত ছিল। যাই হোক মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আমরা এলিয়েন তো আমাদের আকৃতি-প্রকৃতিতে এত প্রভেদ কেন ? কেন কেউ সাদা /কালো, লম্বা / বেঁটে, রোগা / মোটা অমুক তমুক ? একই রকম হতে সমস্যা কোথায় ? এখন আবার বলে বসেন না যে এলিয়েন তাই। দানিকেন/ এলিস এসব বাদ দিয়ে আমাদের নিজেদেরই গুরু হওয়ার সময় হয়েছে অন্যের জ্ঞান ধার করে আর কত! বিল গেটস, জাকারবার্গ, ইলন মাস্কের গুনগান করাই কি আমাদের কাজ ?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমি মন্তব্যের উত্তরটা মজা করে দিয়েছিলাম -আপনি সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছেন বেশ!
ডক্টর এলিসের ৬০ ভাগ যুক্তি বা হাইপোথিসিসের সাথে আমার মতের অমিল আছে!
আমি কতটুকু বুঝি না বুঝি তার বক্তব্য যুক্তিতে কতটুকু অনুপ্রাণিত হয়েছে নাকি হতাশ হয়েছি এ কথা আমি বলব এই পর্বের শেষে।
অনুরোধ করবো আমার সম্বন্ধে আগেই কোন ধারণা উপনীত হবেন না।আশা করি এর শেষ দেখবেন এবং আমার মতামত জানবেন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: বেঁচে থাকলে সুস্থ থাকলে এই ব্লগ বাড়িতে আরো কত যুক্তি তর্ক আলোচনা মত পেশ মতামতের বৈপরীত্য মিল অমিল কত কিছুই হবে।
শেষ ভাবনা চিন্তা বলে কিছু নেই ভাবনা চিন্তার বিবর্তন আছে। অনেক কিছু জানছি শিখছি বুঝছি নতুনভাবে নিজের চিন্তা ভাবনা বিবর্তিত হচ্ছে। দয়া করে অপেক্ষা করুন হয়তো কোন একদিন কোনখানে মিলে যাবে আমাদের মত কিংবা পথ
।
২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ ভাল- আগের মত ধীরে ধীরে স্বমহিমায় জ্বলে উঠছেন। ভাল লাগল ফের আপনাকে দেখে।
২৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০১
স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: বীভার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য গাছ কাটেনা। অনেক ফেমাস ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন বীভাররা যেসব জায়গায় বাঁধ বানায় গাছ কেটে, তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তারা নিজেরাও সেই জায়গায় বানাতেন। আসলে কোন প্রাণীই সেইভাবে পরিবেশের ক্ষতি করেনা যতটা মানুষ করছে। দিন দিন যা অবস্থা হচ্ছে সামনে যে কি অপেক্ষা করছে সেটা চিন্তা করলেই ভয় লাগে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭
শেরজা তপন বলেছেন:
তাই নাকি বিষয়টা আমার একদম জানা ছিল না!! বিষয়টা নোট রাখলাম
আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে মানুষের ধারে কাছে অন্য কোন প্রাণীকে পাওয়া যায় না। মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীর দ্বারা পরিবেশের এত ক্ষতি সাধিত হয় না। কিন্তু পরিবেশ ধ্বংস করার এই সামর্থ্য মানুষের আগে বেশী ছিল না। গত কয়েকশো বছরে শিল্পায়নের কারণে মানুষ বেশী ক্ষতি করতে পারছে। আদিম যুগের মানুষের পরিবেশের এত ক্ষতি করার সামর্থ্য ছিল না। ভিন গ্রহ থেকে আসার কারণে মানুষ যদি এই ক্ষতি করে থাকে তাহলে এখন থেকে ৫০০০ বছর আগে কেন মানুষের দ্বারা প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হতো না।
তাছাড়া মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বোঝে। এই কারণে মানুষই পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করছে। পরিবেশ ধ্বংসে মানুষের ভুমিকার সাথে ভিন গ্রহ থেকে মানুষের পৃথিবীতে আসার কোন সম্পর্ক খুঁজে পেলাম। মনে হচ্ছে এই বইয়ের লেখক সম্ভবত মানব জাতির উপর কোন কারণে ক্ষিপ্ত।