নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
১৫. অসুখী এবং বিষণ্ণতা
কিছুক্ষণের জন্য আপনার জানালার বাইরে রাস্তার দিকে চোখ রাখুন এবং রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া লোকের মুখের দিকে তাকান– আপনি তাদের মধ্য থেকে এমন দশজন লোককে বেছে নিন যাদের আপনি চেনেন না বা জানেন না। লক্ষ্য করুন তাদের মুখের অভিব্যক্তি- আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন? (এই এক্সপেরিমেন্টটা ভিন্ন দেশে খানিকটা ভিন্ন রকম হতে পারে*)
আমি নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছি; এর মধ্যে চারজনকে সম্পূর্ণ অভিব্যক্তি-হীন লাগছিল; চারটি বিষণ্ণ ছিল-তারা মাথা একটু নুইয়ে হাঁটছিল এবং মনে হচ্ছিল তারা সত্যিই খারাপ জীবনযাপন করছে; একজনকে লক্ষ্য করলাম-তার চোখে জলের আভাস, অভিব্যক্তি বলে যে তিনি কান্নায় ফেটে পড়তে চলেছেন; এবং একজনের অভিব্যক্তি ছিল অদ্ভুভুতুড়ে। এখানে তেমন ঝলমলে প্রাণবন্ত সুখী ও আনন্দিত মানুষকে খুঁজে পাইনি। হয়তো তেমন আছে বা থাকবে কিন্তু আমার চোখে ধরা পড়েনি।. দশজনের মধ্যে দশজন (এবং সম্ভবত ছিল) অসন্তুষ্ট বা বিষণ্ণ ! প্রায় একই পরিস্থিতি যা আপনি সারা বিশ্বে দেখতে পাবেন।
সেখানে কিছু ব্যতিক্রম-তো অবশ্যই আছে। কিন্তু তাদের চেহারা থেকে আমি বলতে চাই ৯০ শতাংশ এর বেশি মানুষ ‘সাধারণত অসন্তুষ্ট’, তাদের একটি বড় আপসেট আছে ‘গুরুতরভাবে অসুখী’ বা ‘ক্লিনিক্যালি বিষণ্ণ’।
অনেকে বলে যে এটি আধুনিক জীবনযাপনের ফল। আমরা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত-ভাবে নিজেদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছি এমন কিছু বিষয় যা মূলত আমরা ঘৃণা করি কিংবা আদপে উপভোগ করি না। অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমাদের চাকরিতে যাতায়াত করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করি, আমরা পাই না পর্যাপ্ত ঘুম, আমরা জাঙ্ক ফুড খাই। আমরা বেশীরভাগ সময় আমাদের কাজগুলি ঘৃণা করি বা আমরা বিরক্ত হই। ফের যদি আমরা সেই অপছন্দের কাজটা হারিয়ে ফেলি তবে ভয়ানক হতাশায় নিমজ্জিত হই। এবং আমরা যেখানেই তাকাই চারপাশে বিষণ্ণ অভিব্যক্তির ফাঁকা সমুদ্র দেখতে পাই - যা আমাদেরকে উত্সাহিত করতে খুব কমই সাহায্য করবে।
কিন্তু যখন থেকে আমরা প্রথম এই গ্রহে এসেছি তখন থেকে কি সবসময় এইভাবেই হয় নি? এমন একটি সময় কি ছিল যখন আমাদের অধিকাংশই সত্যিই সুখী ছিলাম? ইতিহাসে এমন কোন নথি বা প্রমাণ নেই, যা থেকে আমরা এমনটা বলতে পারি। ধনী উচ্চ শ্রেণীর সবসময়ই নিজেরা উপভোগ করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের কি হবে? না তারা কখনোই জীবনটাকে সেভাবে উপভোগ করেনি।
আপনি পৃথিবীর অন্যান্য প্রজাতির (যা এই গ্রহের স্থানীয়) দিকে লক্ষ্য করুন; তারা আমাদের মত কোন সমস্যায় ভোগে না- কুকুরগুলি অধিকাংশ সময় খুশি থাকে (যদি না তারা অসুস্থ বা একা থাকে বা চরম খাদ্যাভাব না থাকে)।
পৃথিবীর সম্ভবত সবচেয়ে বুদ্ধিমান জল-জীব ডলফিনরা সবসময় মহা আনন্দ-চিত্তে ঘুরে বেড়ায়। ‘শূকরেরা গোবরে খুশি’ একটি জনপ্রিয় ব্রিটিশ প্রবাদ। তাকিয়ে দেখুন বরফের ঢালে পিছলে চলা সিল’দের - তারা অবশ্যই খুশি। হাতিরাও তি পিচ্ছিল কাদার ঢাল বেয়ে যখন নিচে নেমে যায় – তারাও সুখী। আকাশে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে ঝাঁক বেঁধে হাওয়ায় নিজেদের ভাসিয়ে দিয়ে আনন্দ-চিত্তে একজন আরেকজনে ডাকে!. এমনকি আমাদের বাচ্চারা বেশিরভাগই খুশি-যতক্ষণ না তারা প্রাপ্ত-বয়স্কতায় পৌঁছায়(বা জীবন তাদের আঘাত করে) বা কঠিনতম বাস্তবতার সম্মুখীন হয় । অবশ্যই কেউ কখনও তাদের বলে না, কিন্তু একরকম প্রত্যেকটা মানুষ একসময় অনেকটা একইরকম আচরণ করে- ধীরে ধীরে পাল্টে যায়। একসময় অভিব্যক্তিগুলো এমন ফ্যাকাসে আর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়, তাদের কাঁধ ঝুঁকে পরে এবং দুঃখজনক-ভাবে তারা তাদের বাকি জীবন এভাবেই ক্লান্ত শ্রান্ত বিদ্ধস্ত মন নিয়ে হেটে চলে।
কেন আমরা সবাই এত অসুখী?
সম্ভবত কারণ আমরা এই পরিবেশে থাকার উপযুক্ত নই-যে এলিয়েনরা আমাদের এখানে এনেছিল তারা ভেবেছিল আমরা এখানে মানিয়ে নিতে পারব। এটা আমাদের সঠিক পরিবেশ নয় আমরা এ গ্রহকে নিজেদের বলে ভাবতে পারিনা- নিজেদেরকে স্ট্রেঞ্জার বলে মনে হয়। যে মুহূর্তে আমরা এখানে এসে পৌঁছেছি এর পর থেকেই আমরা এমনটা অনুভব করছি। আমরা কখনই এখানে বাসের উপযোগী হব না এবং কোনদিনই পৃথিবী নামক এই গ্রহকে নিজেদের বাড়ি বলে ভাবতে পারব না। বলতে পারি, এখানে আমরা শুধু নেশায় বুঁদ হয়ে খানিকটা সুখী হতে পারি।
********
১৬. আত্ম-ধ্বংস
মানুষই পৃথিবীতে একমাত্র প্রজাতি (এবং সম্ভবত সমগ্র মহাবিশ্বে) যারা নিজেকে ধ্বংস করতে উদ্যত।এই প্রজাতি অবিরাম যুদ্ধে লিপ্ত - সম্ভবত অন্যান্য গ্রহেও যুদ্ধ আছে । প্যাকেটের গায়ে স্পষ্ট লেখা আছে যে ধূমপান মৃত্যুর কারন কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা সিগারেট খাই। আমরা অনেক বেশি অ্যালকোহল পান করি, যদিও আমরা সব জানি এর সীমা এবং নিয়মিত মদ্যপান আমাদের কি ক্ষতি হবে। আমরা জাঙ্ক ফুড খাই যাতে মোটা হয়ে অসুস্থ হয়ে যাই –তারপরও আমরা খেতে থাকি।
আমি বলেছি, পৃথিবীতে অন্য কোন প্রজাতি এটি করে না। আমি উপরে যে অসুখী ও হতাশার কথা বললাম এর সাথে অবশ্যই এর সম্পৃক্ততা আছে। শরীরের প্রতি আমরা যথেষ্ট যত্নবান নই এই কারনেই যে আমরা জীবন সম্পর্কে উদাসীন –শুধু আমাদের নিজেদের নয় অন্য কারো ব্যাপারেও।এই গ্রহে আমাদের অস্তিত্ব আমাদের কাছে সামান্য অর্থ বহন করে।
এখানে মানুষের আত্ম-ধ্বংসের দশটি পয়েন্ট রয়েছে (লাইভ সায়েন্স ডটকমের সৌজন্যে)
গসিপিং
জুয়া
মানসিক চাপ
শরীরের পরিবর্তন
বুলিং
খারাপ অভ্যাসকে আঁকড়ে থাকা (ধূমপান, মদ্যপান এবং অতিরিক্ত খাওয়া সহ, উপরে আলোচনা করা হয়েছে)
প্রতারণা
চুরি
সহিংসতার লোভ
মিথ্যা কথা
নেতৃস্থানীয় গবেষকরা মনে করেন সম্ভবত এসব কারনে আমারা বিলুপ্ত হয়ে যাব না, কিন্তু তারা সর্বসম্মতিক্রমে একমত যে আমরা কখনই আমাদের প্রকৃত সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারব না। এটা নিশ্চিত যে আমাদের এক্সপেরিমেট বা শাস্তি দিতে এখানে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টা পরিষ্কার, এখানে আমাদের থাকার কোন উদ্দেশ্যই নেই।
আত্ম-ধ্বংসের অন্য রূপ হল অনিশ্চিত সম্ভাবনার কারনে আত্ম ধ্বংস, এটা গ্লোবাল থার্মো-নিউক্লিয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত। উল্লেখযোগ্য-ভাবে কম সম্ভাবনা ফের শীতল যুদ্ধের অন্ধকার দিনগুলিতে ফিরে যাওয়া, কিন্তু আপনি কখনই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতে পারবেন না যে এটি কখনই ঘটবে না। এমন একটা কারনই যথেষ্ট আপনাকে বিষণ্ণ করার জন্য।
****
আমরা কোথা থেকে এসেছি
আমরা কিভাবে পৃথিবীতে বেঁচে/টিকে আছি
আমরা আমাদের প্রয়োজনে বিকশিত হইনি
মানব-বিজাতীয় সংকরায়ন ও মিসিং লিঙ্ক
আমাদের শরীরের চুলের অভাব
খড় জ্বর,হাঁপানি ও ডায়েট
অত্যধিক প্রজনন ও প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতার অভাব
আমরা পৃথিবীর প্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছি!
প্রযুক্তিগত উল্লম্ফন ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা!
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যগুলো অন্যরকম কিছু বার্তা দেয়- শিক্ষণীয় আছে অনেক।
ঠিক বলেছেন- এগুলো মুলত আধুনিকতা, সভ্যতা ও পুঁজিবাদের রোগ।
আন্তরিক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শুভকামনা রইল।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখা অনুযায়ী এখনও আমার আত্ম ধংশন বা ধ্বংস হয়নি। যাক বাঁচা গেলো।
আসলে এই সব লেখার মতো মানুষের জীবন না। জীবন একেবারে অন্য রকম, হাজার রকম।
ক্লাশে আমি ডান পাশে জানালার কাছে বসতাম। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতাম। মানুষ দেখতাম। গাড়ী দেখতাম। রাস্তার ঐ পাড়ে ছিলো একটা বিল্ডিং। সেটার গায়ে লেখা ছিলো ''কারিতাস। কারিতাস মানেই ভালোবাসা''। টিচার আমাকে বলতেন ক্লাশে তোমার মন নেই। আমার ক্লাসে তুমি থাকবে না। পুরো চল্লিশ মিনিট আমাকে বাইরে থাকতে হতো।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তাই- পৃথিবীতে সত্যিকার অর্থে অনেক সুখী মানুষ আছে- তারপরেও হয়তো কিছু কিছু ব্যাপারে দুঃখবোধ থেকে যায়।
চল্লিশ মিনিট বাইরে থাকা বেশ কষ্টের!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আমারতো উল্টোটাই মনে হয় । বেশিরভাগ মানুষকে হ্যাপি বলেই মনে হয় ।
কিছু মানুষ অবশ্যই বিষণ্ণ কিন্তু তাদের সংখ্যা কম ।
এটা সত্যি ডলফিনরা সবসময় মহা আনন্দ নিয়ে নেচে বেড়ায় এবং একা না, সবসময় দলবদ্ধভাবে বা একজন সঙ্গী নিয়ে ।
নিষদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশী থাকে ।
তাই বিধিনিষেধ তুলে সবকিছু সহজলব্ধ করে দিলে মানুষ তার এই অকারণ আকর্ষণ থেকে বের হয়ে আসবে
তবে সচেতনতার প্রচার চালিয়ে যেতে হবে, যেন উচিৎ অনুচিত বুঝতে শেখে ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: সুখের-ই সুখের-ই অভিনয় যতই আডালে ঢাকো আসলে কেউ সুখী নয়
আসলে সত্যিকারে সুখের সংজ্ঞা কি সেটাই আজ পর্যন্ত জানলাম না আসলে প্রকাশ করার ভঙ্গী বা ভাষা আছে বলেই আমরা সুখ অসুখের কথা বলতে পারি। অন্যপ্রাণীদের নেই কিংবা তাদের প্রকাশভঙ্গী ভিন্ন, সে কারনেই হয়তো আজো অব্দি জানিনা তারা আসলে কতটুকু সুখী।
শেষের কথার সাথে সহমত।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
টাইপো ছিলো **নিষিদ্ধ**
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: বুঝতে পাচ্চি- মন্তব্যে টাইপো বেশী হয় সবারই। এডিট করার অপশন থাকলে ভাল হৈত!
আরেকটা কথা; মানব ইতিহাস আমরা যতটুকু জানি তাতে মনে হয় শুরু থেকে আত্ম ধ্বংসের প্রবণতা ছিল। কি বলেন?
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
এটিএম ?
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা অটো টাইপো
আমি ঠিক লিখেছিলাম কিন্তু অভ্র বেশী মাতবারি ফলাইতে গিয়া ওইটাকে এটি এম বানিয়েছে।
আসলে হবে আত্ম- ধ্বংস
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: "হ্যাপিনেস ইজ আ চয়েজ," আমার মনে হয় মানুষের অসুখী হওয়ার মূল কারন ম্যাটিরিয়েলিজম।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: মনের সুখের সাথে শরিরের অসুখ বিসুখও জড়িত আছে।
সামগ্রীকভাবে আমরা সত্যিকার অর্থে সব সময়ের জন্য সুখী নই।
ম্যাটিরিয়েলিজম- একটা বিশেষ কারন তবে পুরোটা নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
এটা নিশ্চিত যে আমাদের এক্সপেরিমেট বা শাস্তি দিতে এখানে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টা পরিষ্কার, এখানে আমাদের থাকার কোন উদ্দেশ্যই নেই।
এই বক্তব্যটি ধর্মীয় বর্ণনার সাথে মিলে যায়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ এলিস সিলভার এর আগে উল্লেখ করেছিলেন পৃথিবীকে 'কারাগার' গ্রহ হিসেবে। যেহেতু এটা তত্ত্ব সেহেতু তিনি এমনটাও ভাবেন যে, অন্যগ্রহে মানুষ ভিন্ন একটা প্রজাতি ছিল বা ওদের মতই তবে অনেকটা নিয়েনডার্থালদের মত। হিংস্রতা সহ বিভিন্ন বদ স্বভাবের জন্য জেনেটিক মেমোরি মুছে দিয়ে তাদেরকে পৃথিবীতে নির্বাসিত করা হয়েছে,
কিছুটা ধর্ম কথার মত শোনা যায় সত্য কিন্তু এটা লেবু আর তেঁতুলের টকের মত পার্থক্য।
ফের মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
সামন্তবাদ ও ক্যাপিটেলিজম মানুষের জীবনকে কঠিন করে দেয়ায়, মানুষ অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হয়েছে; ইহা সমাজের অসুখের কারণ
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আপনি আমি ও আমাদের মত অনেকেই এমনটাই মনে করেন।
তবে ছোট বড় সামাজিক ব্যাধি সবসময় সব সমাজেই উপস্থিত ছিল। মানুষকে সমাজ ও রাস্ট্র নিয়ন্ত্রন করতে গিয়েই এসব ব্যধির উৎপত্তি।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২২
নাহল তরকারি বলেছেন: যে সমাজ ব্যাবস্থায় অনন্দ নাই, সেই সমাজ ব্যাবস্থা বিলুপ্ত করা উচিৎ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আমাদের বর্তমান সমাজ বিলুপ্ত করা উচিৎ?
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯
নাহল তরকারি বলেছেন: সমাজে যেই বিশৃঙ্গলা, সমাজ এমনেই ধ্বংস হয়েং যাবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: হুমমম হতে পারে।
*বানানের দিকে আরেকটু খেয়াল রাখুন।
১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো আছেন আশা করি। আমি দৌড়ের উপ্রে আছি। দোয়া রাইখেন!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: তাইতো আপনাকে দেখছি না কয়দিন ভাই- ফের কি সেই ওয়েলসে তাহার সাথে?
মিস করছি আপনাকে- অবশ্যই ফিরে আসবেন তাড়াতাড়ি দারুণ কি গল্প নিয়ে। ভাল থাকুন পায়ের যত্ন নিন
১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জ্যাঁক লাঁকা নাকি বলেছেন মানুষ বাদে আর অন্য কোন জীবদের সাবকনশাস নেই । কারণ মানুষের ভাষা আছে অন্য জীবদের তা নেই । মানুষ শব্দটার সাথে আমরা আমাদের ভাষাতেও " মানস " শব্দটার সাথে একটা আলাদা সম্পর্ক দেখতে পাই । আসলে মানসিকতা শব্দটার প্রয়োগ আমরা করে থাকি কেবলই মানুষের সাথে । আসলে আমরাই প্রমাণ করি মানুষ কোন না কোন দিক থেকে এই পুথিবীর সমস্ত জীবদের থেকে আলাদা । এই আলাদা করার ব্যাপারটা হতে পারে আমাদের বিবর্তিত হতে হতে আজকের পর্যায়ে আসবার ফলে বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমাদের আলাদা অহমিকা জন্মাবার কারণ । সে হতে পারে কিন্তু তবুও এই যে পৃথকীকরণ এর পেছনের কারণটা আমার মনে হয় না কেবল বর্তমান অবস্থাকে কেন্দ্র করে এর পেছনে আছে উৎসগত কোন এক কারণ ।
আমি নিজেও অনেক সময় রাস্তায় মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে কিছু সচল লাশকে দেখতে পাই । এদের সংখ্যা আসলে কিছূ নয় বরং বলা যায় এদের সংখ্যা অনেক । রাজ্যের সকল সমস্যা আমাদের কেন ? এই প্রশ্নটার উত্তর নেই । অন্তত আজও মানুষ জানতে পারেনি । তাই একটা আশংকা জন্মায়.............................
এটা নিশ্চিত যে আমাদের এপক্সপেরিমেন্ট কিংবা শাস্তি দিতে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে । এখানে থাকবার কোন উদ্দেশ্যই আমাদের নেই ।
কথাটা কেমন যেন ধর্মের সাথে মিলে গেল তাই না ! উনি কী ধর্মের এই বিষয়টির সাথে কিছুটা হলে একমত বা অনুপ্রাণিত ?
যাইহোক , সামনেই হয়তো আরও জানব । ততদিন পর্যন্ত আপনিও ভালো থাকুন আমরাও অপেক্ষায় থাকি !!!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আসলে আমরাই প্রমাণ করি মানুষ কোন না কোন দিক থেকে এই পুথিবীর সমস্ত জীবদের থেকে আলাদা । এই আলাদা করার ব্যাপারটা হতে পারে আমাদের বিবর্তিত হতে হতে আজকের পর্যায়ে আসবার ফলে বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমাদের আলাদা অহমিকা জন্মাবার কারণ ।সে হতে পারে কিন্তু তবুও এই যে পৃথকীকরণ এর পেছনের কারণটা আমার মনে হয় না কেবল বর্তমান অবস্থাকে কেন্দ্র করে এর পেছনে আছে উৎসগত কোন এক কারণ।
~এমন ধারার প্রশ্ন হাজার হাজার বছর ধরে বহুশত চিন্তাশীল মানুষের মনে উদয় হয়েছে। আসলে প্রশ্নটা যত কঠিন উত্তরটা বিলিয়নগুন কঠিনতর হবে। মানুষ এই প্রশ্নের সত্যিকারে উত্তর খোঁজার মত জ্ঞান টেকনোলোজিক্যাল উন্নতি করেনি। আমাদের আরো বহুপথ যেতে হবে- হয়তো আরো কয়েক জেনারেশন পরে এর কোন সঠিক উত্তর মিললেও মিলতে পারে।
ধর্মের সাথে মিলে যাওয়ার বিষয়টা আমি অন্য প্রশ্ন উত্তরে ব্যাখ্যা করেছি।
ফের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন
১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
দোয়া রাখতে বললো, আবার বললো দৌড়ের ওপর ।
আমাদের ভুম কি ম্যারাথন বা কোন দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: গোপন সুত্রের খবর তেমনই;
সামনের অলিম্পিকে বিশ্ব একজন বাদামী বৃটিশ দৌড়বিদকে দেখবে।
১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ মিডঃ সামনের অলিম্পিকে বিশ্ব একজন বাদামী বৃটিশ দৌড়বিদকে দেখবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: এটা জব্বর বলেছেন ভাইডি!! সেই প্রতীক্ষায় রইলুম ... ( কোন হাসির ইমো নয়- সিরিয়াস!!)
১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা……
১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সূখের, স্বপ্নের, কাম্যতার অনুপস্থিতি, অপ্রাপ্তি, শুন্যতাই আনে হতাশা
হতাশা আনে বিষন্নতা
বড্ড আপেক্ষিক এ অনুভব।
সেই রুনার গানে বহুমাত্রিকতার চেয়ে আরো বেশি বহুমাত্রিক।
জীবনদর্শন, বিশ্বাস, জ্ঞান এর রুপ পাল্টে দেয় দেশ দেশান্তরে, কাল কালান্তরে।
পোষ্টে ++++
২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: সেইটাতো বুঝলাম তা ভাই আপনি ব্লগের পথ ভুলে গেলেন কেন?
আপনাদের মত ঋদ্ধ ব্লগারদের পথ চেয়ে বসে থাকি। আপনাদের দেখা পেলে ব্লগ প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে ওঠে!
এই সিরিজে আপনার দেখা মিলল শুধু পূর্ণিমা না হয় আমাবস্যা তিথিতে
তবুও এসে আপনার চমৎকার মন্তব্যে আমার পোস্টটা অলংকৃত করলেন বলে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি আমাকে নিয়ে সন্তুষ্ট কারণ অনেক খারাপ অভ্যাস আমার নেই।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: তবুওতো শারিরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়লেন- এখন নিশ্চয়ই এই সমস্যাটা আপনার সুখের পথে অন্তরায়?
সরি ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্যান্য প্রাণীর চাহিদা সীমিত। আমাদের চাহিদা বেশী তাই দুঃখও বেশী এবং সুখও বেশী। সুখ দুঃখ ভালোভাবে অনুভব করার শক্তি প্রাণীদের নেই। জৈবিক চাহিদাটাই তাদের সব কিছু। মানুষের জৈবিক চাহিদার পাশাপাশি অনেক মানসিক চাহিদা আছে। মানুষের বেশীর ভাগ অপ্রাপ্তি মানসিক চাহিদা নিয়ে।
মানুষ তো আসলে বেহেশতে ছিল। এই কারণে পৃথিবীতে এসে মানুষের খারাপ লাগে। এই কারণে আবার বেহেশতে ফিরে যেতে চায়। তবে সবাই না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের চাহিদা শুধু বেশী নয় অসী্ম... তবে আমরা সবসময় দ্বীধান্বিত আসলে আমরা কি চাই ভেবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যে ফিরে আসার জন্য। গত পর্বে আপনার আলোচনা মিস করেছি।
বেহেশতে ফিরে যেতে পারলে মন্দ হইত না।
১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো আছেন আশা করি। আমি দৌড়ের উপ্রে আছি। দোয়া রাইখেন!!
-বৃটেন চালাচ্ছেন?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: উনাকে না দেখে আপনি বেশ 'পেরেশান' মনে হচ্ছে??
২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক তাই- পৃথিবীতে সত্যিকার অর্থে অনেক সুখী মানুষ আছে- তারপরেও হয়তো কিছু কিছু ব্যাপারে দুঃখবোধ থেকে যায়।
চল্লিশ মিনিট বাইরে থাকা বেশ কষ্টের!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন
চল্লিশ মিনিট আমার জন্য দারুন অপমানের ছিলো। কষ্টের ছিলো। পাশের ক্লাশ রুম থেকে ছেলেমেয়েরা উঁকিঝুঁকি মেরে দেখতো। দুই একটা স্যার ম্যাডাম খোঁচা দিয়ে কথা বলতেন। পিয়ন গুলো যাওয়া আসার মাঝে মজা করতো। আমি চেষ্টা করতাম সব কিছু ভুলে গিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। সামনে স্কুল মাঠ। বেশ বড় মাঠ। খালি মাঠ। সেখানে আমি দাঁড়িয়ে থেকে মনে মনে ফুটবল খেলতাম।
২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: হিউম্যানিজম শব্দটার সাথে আপনার পরিচয় আছে?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা অল্প বিস্তর তো আছেই। এ প্রশ্ন করলেন কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: মানব জীবনের সব চাইতে জটিল কিন্তু কমন একটা বিষয় নিয়ে অল্প কথায় চমতকার লিখেছেন! পোস্টে ভালোলাগা জানিয়ে বলতে চাই-
ব্যক্তিজীবনে কষ্ট হল এমনই এক অনুভূতি যা প্রতিটি মানুষের জীবনে অবধারিত। বিষন্নতার মূল কারণ- অতৃপ্তি, প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি না পাওয়ার বেদনা। বিষণ্নতাকে জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। মানসিক কোনো টানাপোড়েন আর ব্যক্তিত্বের গড়ন বিষণ্নতার জন্য দায়ী। তাই মানসিক চাপমুক্ত থেকে ব্যক্তিত্বের গড়নকে দৃঢ় করার লক্ষ্যে শিশু অবস্থা থেকেই সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। সামাজিক বৈষম্য, অস্থিরতা, বঞ্চনা আর দারিদ্র্য মনের ওপর বিশেষ চাপ তৈরি করে। এই চাপ থেকে কারও কারও মধ্যে বিষণ্নতা হতে পারে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বিষণ্নতাকে আমাদের গুরুত্ব দিতেই হবে।