নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
অবশেষে চলে গেলেন আমাদের ঘোর লাগা দুরন্ত কিশোর বেলায় ডুয়ার্সের চা বাগানের আবলুস কাঠের গড়নের দুর্দান্ত দেহবল্লভীর মদেশিয়া মেয়েদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া আর দুই বাংলার তাবৎ নারীদের সপ্নের চরিত্র ‘দীপাবলী’ সৃষ্টির নায়ক সমরেশ মজুমদার। দীপাবলী চা বাগান আর জঙ্গলের কত গল্প শুনেছি আপনার কাছে। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়ে কিংবা হবেওনা কোনদিন আপনার চোখে দেখেছি তা কৈশোর আর যৌবনে। আরো গোয়েন্দা কাহিনী আর কিশোর উপন্যাসে সপ্নের ঘোরে বুঁদ হয়ে থেকেছি আমরা। একে একে হারিয়ে ফেলছি বন্ধু প্রিয়জন আর সপ্নের সব মানুষদের। না সপ্নের মানুষ নয় সপ্ন দেখানো এই সব মানুষদের। ওপার বাংলার যে তিন মহারথী আমাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল; সুনীল,শির্ষেন্দু আর সমরেশ তাঁদের দু’জন আজ চির প্রয়াণে। সশ্রদ্ধা প্রিয় লেখক। আপনি চিরদিন আমাদের অন্তরে থাকবেন...।
***
(এক প্রগতিশীল সংস্কারমুক্ত নারী চরিত্রের নাম দীপাবলি। তিনিই সমরেশ মজুমদার রচিত সাতকাহন উপন্যাসের কালজয়ী চরিত্র। কি করুণ ট্র্যাজেডি থেকে উঠে এসে দীর্ঘকাল ধরে একাকিনী পাখির মতো সংগ্রাম করে যেতে হয়েছিল তাকে!)
প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে জিততে পারলেন না ‘কালপুরুষ’। সোমবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।
ফুসফুস ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। ২৫ এপ্রিল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। তবু চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন কখনও কখনও। রবিবার পরিবারের সূত্রে জানানোও হয়, কিছুটা ভালো আছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও শেষরক্ষা হল না।
গত দশ বছরের বেশি সময় ধরেই নাকি ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যা ছিল তাঁর। সেই সমস্যার চিকিৎসাও হত। কখনও কখনও বাড়াবাড়িও হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সমরেশ মজুমদারের মেয়ে দোয়েল সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার আগের দু’দিন কেবিনে রাখা হয়েছিল প্রখ্যাত সাহিত্যিককে। কিন্তু শনিবারই বিকেলে তাঁকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা পরের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলেছিলেন। তার মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন।
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকটি স্ট্রোক (multiple right-sided embolic infarcts) হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও বালবার পালসি (speech and swallowing impairment)-তে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এর কারণেই ফুসফুস বিকল হয়ে যায় তাঁর। দীর্ঘ দিন সিওপিডি, অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং myasthenia gravis-এর মতো সমস্যাও ছিল তাঁর। সব ক’টি সমস্যা একসঙ্গে এই কঠিন পরিস্থিতি ডেকে আনে।
সোমবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়।
৭৯ বছর বয়সি এই সাহিত্যিকের অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই বাংলার সাহিত্যিক মহলে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত উদ্বেগই ঠিক প্রমাণিত হল। ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’, ‘সূর্য ঢলে গেল’র শ্রষ্টা পাড়ি দিলেন অনন্তের পথে।
জি নিউজ থেকে জানা যায়, সমরেশ মজুমদারের ২০১২ সালেও একবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেসময়ও তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। এই মুহূর্তে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
১৯৪২ সালে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্ম এই বিখ্যাত লেখকেরা প্রাথমিক শিক্ষা জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। তাই হয়তো তাঁর লেখায় ঘুরে ফিরে এসেছে জলপাইগুড়ির কথা।
ষাটের দশকের গোড়ায় তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের বাংলা (সাম্মানিক) স্নাতক বিভাগে। এর পর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷
সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে সাতকাহন ( বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান নারীচরিত্র দীপাবলীর জন্ম হয় এখানেই), তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা, ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
তার ট্রিলজি 'উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁকে বিশেষ খ্যাতির অধিকারী করেছে সেই সাথে বাংলা সাহিত্যকে করেছে দারুনভাবে সমৃদ্ধ। এই 'কালবেলা' নিয়ে সিনেমা তৈরি করেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। সাহিত্যকৃতির জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার-স একাধিক সম্মান পেয়েছেন তিনি৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৮ সালে সমরেশ মজুমদারকে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি সাহিত্য অকাদেমি অ্যাওয়ার্ড, আনন্দ পুরস্কার বিএফজেএ পুরস্কারসহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।
***
সুত্রঃ হিন্দুস্থান টাইমস, কালের কন্ঠ, আজ তক বাংলা, উইকি সহ অন্যান্য মিডিয়া।
* তাড়াহুড়োয় কিছু ভুল ভ্রান্তি রয়ে গেল পরে এডিট করে দিব।
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: বাঙ্গালীর নষ্টামিটা পড়েছেন! বাঙ্গালীর ভন্ডামীর উপখ্যানে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
আপনার পছন্দ অপছন্দকে শ্রদ্ধা জানাই। কেউ সবার প্রিয় হয় না।
২| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিদায় সমরেশ! এই রেশ কাটবে না আজীবন।
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মডারেটরকে উনার নশ্বর আত্মাকে সশ্রদ্ধ বিদায় জানানোর জন্য ধন্যবা।
সহমত- আজীবন উনি আমাদের হৃদয়ে আর মগজে থাকবেন
৩| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:১৭
রানার ব্লগ বলেছেন: কতো বিকেল কতো সন্ধ্যা যে সমরেশে বুদ হয়ে থাকতাম তার হিসেব নাই
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আহা সে কথা আর বলতে। আমার সর্বশেষ প্রকাশিত বইতে জল্পাইগুরির পাশ দিয়ে যাবার সময় তাঁর পোর্শে মাছ আর ডুয়ার্সের চাবাগানের কথা আছে।
চিরিনিদ্রায় শায়িত এই কথাশিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধাসিক্ত ভালবাসা।
৪| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
হৃদয় ছুঁয়ে, ঘোর লাগিয়ে যাওয়া উপন্যাস আর গল্প আর আমরা নতুন করে পাবোনা, দুঃখ আর কষ্টটা এখানেই! তার শব্দের শক্তি এযাবৎ পাঠকদের মনের গভীর সমুদ্রে নিয়ত যে তুফান তুলে গেছে সে তুফান আর উঠবেনা কোনদিন।
তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।
এই লিংকে - সমরেশ মজুমদার’স বায়োগ্রাফি দেখলুম তার জন্ম আমাদের বরিশালে। এটা ঠিক কিনা জানিনে।
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: সমরেশ মজুমদার
জন্ম ১০ মার্চ ১৯৪২
গয়েরকাটা, জলপাইগুড়ি
ওখানে যিনি লিখেছেন তিনি উনার সন্মন্ধে কোন কিছু না জেনেই ভাসা ভাসা লিখেছেন;
সমরেশ মজুমদারের কর্মজীবন:
তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন জুড়ে, মজুমদার লেখক হিসেবে তার বহুমুখী প্রতিভা প্রদর্শন করে বিস্তৃত থিম এবং ঘরানার সন্ধান করেছেন।~ তিনি মুলত কি কাজ করেছেন তাঁর কোন উল্লেখ নেই।
সমরেশ মজুমদারের পুরস্কারের তালিকা:
অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের প্রাপক, মজুমদারের সাহিত্যিক কৃতিত্ব ভারতে এবং বিদেশে উভয়ই স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জন করেছিল। ~ এখানেও কোন পুরস্কারের উল্লেখ নাই।
বাংলা সাহিত্যে অবদানঃ
বাংলা সাহিত্যে মজুমদারের অবদানকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি “কালবেলা”, “উত্তরাধিকার”, “কালপুরুষ” এবং “সর্বজনীন” এর মতো উপন্যাস সহ 200 টিরও বেশি বই লিখেছেন। ~ “সর্বজনীন” নামে তাঁর কোন উপন্যাস আছে কি না আমার অন্তত জানা নেই।
কি অদ্ভুত আর ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি!!!!!!!!!!
শান্তিতে থাকুন তিনি চিরনিদ্রায়! দারুন মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৫| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: আমাদের ছোটবেলায় যাদের বই আমরা বেশি পড়তাম, তারা অনেকেই একে একে চলে যাচ্ছেন ...! .... হয়তো এভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম একসময় 'গত' হয়ে যায় ইতিহাসে। ....
মানুষ আসলে তার সৃষ্টির মাঝেই বেঁচে থাকে দীর্ঘকাল ! ..... সমরেশ মজুমদারও আমাদের স্মৃতির মধ্যে থেকে যাবেন তার অপরূপ অমর সৃষ্টি সাহিত্যকর্মের কারণেই। .....
০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় সুনীল সমুদ্র।
আপনাদের মত পুরনো ব্লগারের সান্নিধ্য পেলে মন ভাল হয়ে যায়। বাংলা সাহিত্যে আর এমন প্রতিভাধর কথা সাহিত্যিক আসবেন বলে মনে হয় না।
সুনীল, শীর্ষেন্দু আর সমরেশ ত্রয়ী বাংলা সাহিত্যকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
৬| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
মেহবুবা বলেছেন: সুনীল, শীর্ষেন্দু,সমরেশ এবং নিমাই আমাদের আটপৌরে জীবনে কত চরিত্র উপহার দিয়েছে! সেই সকল চরিত্র কখনো নিজের ভেতর লালন করা, কখনো অন্য চেনা জানা মানুষকে ধারন করতে দেখা সহজাত হয়ে গিয়েছে।
আমরা এখন পর্যন্ত সেই প্রজন্ম আছি যারা এই সব লেখকের লেখার কাছে বারবার ছুটে যাই সমীকরণ মেলানোর জন্য।
অপূর্ব সব কাজ এনাদের। আর কি কোনদিন হবে এমন লেখক ? নাকি সেসবে আগ্রহী হবার মত পাঠক পাওয়া যাবে?
কি বিশাল, কি গভীর অথচ কতোই না সাধারণ লেখা সব।
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় লেখকদের নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য।
লেখকদের মধ্যে সেই ধৈর্য আর অধ্যাবসয় নেই। শত শত পাঠকেরা আর মুখিয়ে থাকে না কোন পাক্ষিক বা মাসিক কিংবা বিশেষ দিনে প্রকশিত তাঁর প্রিয় লেখকের লেখা পাবার জন্য। ভ্রমণ এখন ডালভাত হয়েছে- কিন্তু আটকে গেছে সেলফি আর ক্যামেরায়; লেখায় আর কেউ প্রকৃতিকে আকতে চায় না।
মানুষ আর বড় বই খুলে পড়তে চায় না- ভীষণ এক অস্থিরতা ধীরে ধীরে গ্রাস করে ফেলছে আমাদের।
আমার ধারনা এমন লেখক আর কোনদিন কোন সাহিত্যেই আসবে না। তবে ঠিক আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে অন্যরকমভাবে অন্য কেউ আসবে- তাদেরকেও এভাবে স্মরণ করবে পরের কিংবা তাঁর পরের প্রজন্ম।
৭| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৯
মেহবুবা বলেছেন: আমার অবশ্য শংকরকেও মনে পড়ছে !
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: শংকর অতি উচুমাপের সাহিত্যিক নিশ্চিতভাবে তবে আটপোড়ে ঘরনার লেখক নন তিনি। এই ত্রয়ীর লেখায় এমন কিছু আকর্ষন ছিল যা সাধারণ পাঠকের মনন ও মগজে মিশে যেত।
৮| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ সব কালজয়ী উপন্যাসের ও চরিত্রের স্রষ্টা শমরেশ।তার বিদেহী আত্মার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ- লেখকের বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি।
অ। ট। আপনাকে ইদানিং খুব কম দেখছি ব্লগে। বহুদিন কোন পোষ্ট দেখিনা আপনার।
৯| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ১:০৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: খ্যাতিমান ব্যাক্তিটির প্রয়ানে শুকাহত সকল পাঠককূল। ওনার প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: লেখকের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার মাহমুদুর রহমান সুজন । আপনি ভাল থাকুন।
১০| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ১:২০
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: যাঁর হাত ধরে মোটা মোটা বই পড়তে শিখেছি তিনিই সমরেশ মজুমদার। আমার অসম্ভব প্রিয় একজন লেখক এবং প্রিয় লেখকের তালিকায় উনার অবস্থান ১ নম্বরে।
উনার লেখার মাঝে কি যেন একটা ম্যাজিক ছিল, পড়া শুরু করলে শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি ছিল না।
ওপারে ভালো থাকুক।
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: যদিও তিনি আমার প্রিয়ের তালিকায় তিন/চারে আছেন ( মুজতবা আলী ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে আমি ১-২ এ রেখেছি) তবুও তিনি আমার অন্যতম প্রিয় সাহিত্যিক।
তাঁর প্রয়াণের এই খবরে আমার আপনার মত লক্ষ বাঙ্গালী পাঠককুলকে নিশ্চিতভাবে শোকাহত করেছে।
ভাল থাকুন ওপারে প্রিয় লেখক।
১১| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ৩:০০
কামাল১৮ বলেছেন: পাঠ্যপুস্তকে যতটুকু ছিলো ততটুকু পড়েছি।এমনিতে তার কোন বই পড়া হয় নাই।সাহিত্যে আমি খুবই দুর্বল।
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: উনার কোন লেখা কি পাঠ্য পুস্তকে ছিল? আমার জানা নেই।
এটা কোন ব্যাপার নয়- আপনি ব্লগের সাথে নিয়মিত যে সম্পৃক্ত আছেন এটাই আমাদের বড় পাওনা।
১২| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ৩:০৩
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: মনটাই খারাপ হয়ে গেল। সমরেশ আমার চিন্তা-ধারা কে কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে হচ্ছে একান্তই আপনার কেউ চলে গেলেন।
০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ গত সপ্তাহে উনাকে যখন ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়েছে তখন থেকে আশঙ্কা করছিলাম- খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে সম্ভবত।
উঁনাকে হারিয়ে মনে হচ্ছে সত্যিই আপনজনকে হারিয়েছি।
১৩| ০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সমরেশের লেখা পড়ে সত্যি অবাক হতাম এত সুন্দর সাবলীল ভাবে কি করে লিখতেন উনি!
০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। লেখার মধ্যে খুব বেশী কাঠিন্যতা প্রকাশ পেত না- আর তাইতো তিনি সাধারণে মিশে যেতে পেরেছিলেন।
১৪| ০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩০
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের ছোট বেলা গুলো আমরা যে সব লেখকদের লেখা পড়ে বড় হয়েছি, যাদের লেখা আমাদের মুগ্ধ করে রেখেছে, এখনও রাখে তাদের প্রায় সবাই চলে গেছেন । হুয়ামূন সুনীল থেকে শুরু করে সমরেশ মজুমদার চলে গেছেন । এখন আর একজন কী দুইজন বাকি রয়েছে । তাদেরও কিন্তু প্রচুর বয়স এখন । তারা চলে গেলে বোধ করি আর কেউ থাকবে না ।
০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ঠিক ছোট বেলায় উনার লেখা পড়িনি। একটু বড় বেলাতেই পড়েছি- মানে কিশোর বেলার শেষদিকে।
তা ঠিক শীর্ষেন্দুর বয়স এখন ৮৭, শঙ্করের সম্ভবত নব্বুই এর উপরে। এরাই এখন বাংলা সাহিত্যের শেষ দীপ্যমান নক্ষত্র।
১৫| ০৯ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চলে গেলেন সমরেশ মজুমদার, রেখে গেলেন অমর সৃষ্ট্রি কালবেলা, কালপুরুষ, সাতকাহন, উত্তরাধিকার, গর্ভধারিনী।
০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: এর সবগুলো বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি। প্রিয় লেখকের শেষ বিদায়ে বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৬| ০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার পছন্দের লেখকদের একজন সমরেশ মজুমদার। বিদায়।
০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: হুম তা আপনার সদ্য পোষড় দেখে ভালভাবে ধারণা হোল।
তাঁর বিদেহী আত্মার চির প্রশান্তি কামনা করছি।
১৭| ০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: গর্ভধারনী দিয়ে সমরেশের বই পড়া শুরু করি। এরপর সাতকাহন। তারপর থেকে পড়া আরা থামাই নি।
সবাইকে মরতে হবে। আমি মরবো। আপনি মরবেন। শেখ হাসিনা মরবেন। বাইড্রেন মরবে। তাই মৃত্যু নিয়ে বেশি আফসোস করে লাভ নাই।
০৯ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: জীবন ও মৃত্যুকে যে যেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে সেইটাই সঠিক!
আপনি আমার মত ভাবলে আর আমি আমার মত ভাবলে তো আর দুনিয়া চলত না। আমি মরলে তো আর নিজেরে নিয়ে কান্নাকাটি আফসোস করতে পারবনা। তাই প্রিয় মানুষের প্রয়াণে হুলস্থুল করি।
১৮| ০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
ঝরে গেলো আরেকটি নক্ষত্র।
কতরাত নির্ঘুম কেটেছে সমরেশের বইয়ের সাথে।
পশ্চিম বাংলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক সমরেশ।
ভালো থাকুক ওপারে।
০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ বলেছে প্রিয় এই সাহিত্যককে নিয়ে।
এমন আপনার মত অনেকেরই অতি প্রিয় লেখক তিনি। উনার আত্মার প্রতি সশ্রদ্ধা!
১৯| ০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
কিরকুট বলেছেন: আমার মনে হয় এখনকার লেখকরা সমরেশ সুনীল হুমায়ূন বা বুদ্ধদেব কে পড়েন না । পড়লে লেখার এমন বিধিকিচ্ছিরি অবস্থা হয় না ।
০৯ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে- সবাই মিলে একযোগে ভাইরাল লেখক হতে গিয়ে এই অবস্থা!
ভাল লেখক হতে হলে প্রচুর পড়াশুনা আর ভ্রমনের বিকল্প নেই।
২০| ১০ ই মে, ২০২৩ ভোর ৬:০৬
সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন সংক্ষিপ্ত জীবনী।
হায়, কখনই জন্মাবে না এমন একজন লেখক। তাঁর উপন্যাস পড়েই জলপাইগুড়ি, চা-বাগানের প্রেমে পড়ে। সে ঘোরে ঠিকই হাজির হয়েছিলাম একদিন চা-বাগানে। নিজেকে পরিনত করেছি উনার লিখার পড়ে। এমন কোন উপন্যাস নেই মনে হয় আমি পড়িনি, আমি অন্ধভক্ত বলতে গেলে।
ভালো থাকুক নক্ষত্র ওপারে।
১০ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আরেব্বাস আপনিতো কঠিন ভক্ত উঁনার!
উনার লেখা পড়লে একটা সপ্নের ঘোরে চলে যেত পাঠক- মনে করত সেই গল্পের সে-ও একজন চরিত্র।
দারুণ মন্তব্যে তাঁর জন্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।
২১| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:২৬
ফারহানা শারমিন বলেছেন: গুছিয়ে লিখেছেন। পড়তে ভালো লাগছিলো। মনের ব্যথা কিছুটা হলেও কমেছিল। বিদায় সমরেশ।
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে পেলাম।
শেষ লেখাটা দিয়ে দীর্ঘ ডূব দিয়েছিলেন। আমিতো ভেবেছিলাম প্রতিউত্তর আর পাব না
ব্লগে নিয়মিত হবার অনুরোধ রইল।
২২| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১৪
আমি সাজিদ বলেছেন: বিদায় সমরেশ! মুগ্ধতা আজীবন থেকে যাবে।
২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: চিরবিদায় প্রিয় লেখক!!
২৩| ১২ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আমি সাজিদ বলেছেন: অন্য প্রসঙ্গে - আপনার পড়া সেরা পাঁচটি নন ফিকশন বইয়ের নাম বলুন।
২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৬
লিনডা বলেছেন: I'm grateful for the clarity and coherence of your writing, thank you. https://ocrenewables.org
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার সবচেয়ে অপছন্দের লেখক উনি !
যাকগে ওনার একটা চরিত্রই আমার ভালো লাগত আর তা হলো অর্জুন !