নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ফারি; সিকিম থেকে তিব্বতে যাবার পথে শুধু হিমালয় নয় তাবৎ বিশ্বের সুমদ্রপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে উচুতে অবস্থিত আদি তিব্বতিয়ান আদলের একটা শহর। লোক সংখ্যা এই হাল আমলেও দু’হাজারের কম! বিমল দে’র মহাতীর্থের শেষ যাত্রী’ নন ফিকশনাল বইটা পড়তে গিয়ে তিব্বতের দুর্গম পথে ফারি’র মত ছোট্ট ভীষণ অপরিচিত একটা শহরের গল্পে এসে চোখ আটকে গেল! কেন কি এর বিশেষত্ব? ভারতের বিখ্যাত বাঙ্গালী ভু পর্যটক বিমল দে’র দৃষ্টিতে ফারি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নোংড়া শহর। ফারি’কে তিব্বতি ভাষায় বলা হয় ফারগি আর চৈনিক ভাষায় বলা হয় ‘ফারগি লি’- যে দুটো শব্দের অর্থই ‘শুয়োর’। তাঁর মানে তিব্বতিয়ানরা জেনে বুঝেই একটা শহরের নাম দিয়েছে ‘শুয়োর’। তিব্বতিয়ানরা গোড়া বৌদ্ধ মতালম্বি হবার কারনে প্রাণী হত্যা করে না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তারা প্রাণীর মাংস খেয়ে থাকেন-তবে তারা নিজ হাতে সে প্রাণীকে জবেহ বা হত্যা করে না। তিব্বতে নাকি অল্প কিছু মুসলিম ছিল যারা মুলত কষাইয়ের কাজটা করত। যেখানে মুসলিম কসাই নেই সেখানে তিব্বতি লামা বাদে অন্য গোত্রের লোকেরা এই কষাইয়ের কাজ করে। মুসলমানরা যেহেতু শুয়োর নামক প্রাণীকে ভীষণ ঘৃনা করে এবং এর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ বলে মনে করে সেহেতু শুয়োর পালন ও মাংস ভক্ষন তিব্বতীদের মধ্যে প্রচলিত নয়। আমার ধারনা শুয়োরের সর্বোচ্চ নোংরামির গল্প সেই সাথে এই প্রাণীটির প্রতি ঘৃনা ও বিদ্বেষ ছড়িয়েছে মুসলিমদের মাধ্যমেই। তবে অমন উচ্চতায় আর চির তুষারের দেশে ইয়াক আর ভেড়া আর দীর্ঘ পশমাবৃত ঘোড়া ছাড়া অন্য কোন পশু পালন সম্ভবও নয় সম্ভবত।
~'ফারি' ১৯৩৮ সালের ছবি।
যাইহোক পৃথিবীর ছাদ মানে সব থেকে উঁচুতে অবস্থিত ‘শুয়োর’ নামক ভয়ঙ্কর নোংড়া এই শহরকে আরো বেশী করে জানতে আমি অন্তর্জালে ঢুঁ দিলাম! বহু খোঁজ খবর তত্ত্ব-তালাশ করে যেটুকু জানলাম- নেহায়েত অপ্রতুল! কিন্তু এই শহরের কেচ্ছা কাহিনীর ফাঁকে আমি খুঁজে পেলাম ভারত বর্ষের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া এক সুবিখ্যাত আরেক পণ্ডিত বাংগালী পর্যটককে!
না তিনি বিমল দে নন। বিমল দে’র থেক তিনি প্রায় সত্তুর বছর আগে সিকিম থেকে এই ফারির পথেই তিব্বতে ভ্রমণ করেছিলেন। তাও একবার নয় দু’দুবার!
জেমস বন্ড; সারা বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় এক গুপ্তচরকে নিয়ে লেখা কল্পিত সিরিজ। ভারত বর্ষে আজ অব্দি কই কেউ লিখেছেন গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে কোন মৌলিক কল্পিত সিরিজ আছে কি? ( মাসুদ রানা মৌলিক গল্প নয়। বিদেশী গল্পের ভাব ধারায় অনুবাদ, জোড়াতালি আর অল্প কিছু মৌলিকত্ব দিয়ে দেশী আদলে এদেশের প্রেক্ষাপটে সম্পুর্ন অবাস্তব এক কল্পকাহিণী।)
গুপ্তচরের ধরণ হয় ৪ প্রকারের।
স্থানীয় গুপ্তচরদের একটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা হয়। শত্রু কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অভ্যন্তরীণ গুপ্তচর নিয়োগ করা হয়। শত্রু গুপ্তচরদের থেকে বিপরীত গুপ্তচর নিয়োগ করা হয়। মৃত গুপ্তচর শত্রু গুপ্তচরদের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রেরণ করে।)
মিহির বোস নামে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ লেখক সাম্প্রতিককালে ‘দ্যা ইন্ডিয়ান স্পাই’ নামে দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ভগত রাম তালওয়ার নামে দুর্দান্ত ইন্দো ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাহিণী লিখে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন।
আধুনিককালের প্রথম স্বীকৃত গুপ্তচর হিসেবে স্যার পল ডিকিউসকে ধরা হয়। যার জন্মই হয়েছিল ১৮৮৯ সালে। কিন্তু তাঁর জন্মেরও এক যুগ আগে এক ব্রিটিশ গুপ্তচর সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল তাঁর কথা কি ইতিহাসে স্মরণ করে?
এমনিতেই গুপ্তচরের মত ভয়ঙ্কর থ্রিলিং পেশা তাঁর উপরে পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি – এমন বিশেষ একটা পেশায় দুর্দান্ত কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন যে বৃটিশ নিযুক্ত ভারতীয় গুপ্তচর তিনি আবার ট্যাগপ্রাপ্ত ঘরকুনো জাতি বলে স্বীকৃত বাঙ্গালী- তারপরে আবার পণ্ডিতও!!
[sb]বিস্ময়ের পর বিস্ময় যার পরতে পরতে বিস্ময়! এই গুপ্তচর পণ্ডিত আর পরিব্রাজকের জন্মস্থান কোথায় জানেন? আমাদের চাটগাঁ’র পটিয়ার আলমপুর গ্রামে।
৩। একজন গুপ্তচর কেন ও কিভাবে একজন বিশ্ববরেন্য ও ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত সন্মানিত ব্যাক্তি হলেন;
প্রথমেই আসে দার্জিলিং প্রসঙ্গ। ১৯ শতকের শেষভাগেও দার্জিলিং যাওয়া খুব সহজসাধ্য ছিলনা।
কলকাতা থেকে সাহেবগঞ্জ অবধি ট্রেন। তার পর স্টিমারে কারগোলা ঘাট পেরিয়ে বলদ-টানা গাড়িতে পূর্ণিয়া হয়ে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে কার্সিয়াং। অতঃপর জীবনে প্রথম ঘোড়ার পিঠে চাপলেন তিনি। এবং ঘোড়ায় চেপেই কার্সিয়াং থেকে দার্জিলিং পৌঁছেছেন ২৫ বছরের শরৎচন্দ্র দাস।
তবে কেন এত কষ্ট করে সেখানে গেলেন তিনি?
১৮৪৯ সালে তাঁর জন্ম। ছাত্র হিসাবে মেধাবী, উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে জ্যোতির্বিদ্যা, হরেক বিষয়েই তাঁর আগ্রহ। গ্রামের পাঠশালায় শরৎচন্দ্রের প্রথম শিক্ষাজীবনের শুরু। এরপর সুচক্রদণ্ডীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি মাধ্যমের চট্টগ্রাম হাইস্কুলে। ১৮৭১ সালে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৮৭৩ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এফএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে তখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হত।
বাদ সাধল পিলেজ্বর। ম্যালেরিয়াকে তখন বাঙালি ওই নামেই ডাকত। ১৮৭৪ সালে ফাইনাল পরীক্ষার সময় অসুস্থ হলেন শরৎচন্দ্র, সারা ক্ষণই ঠকঠকে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। বাঁচিয়ে দিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক সি বি ক্লার্ক। দার্জিলিঙের ডেপুটি কমিশনার স্যর জন এডগার তত দিনে সেখানকার শিশুদের লেখাপড়ার জন্য ভুটিয়া বোর্ডিং স্কুল তৈরি করেছেন। ক্লার্ক সেখানকার প্রধান শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দিলেন ছাত্রকে। শরৎচন্দ্র প্রথমে দোনোমোনো করছিলেন। তার পর ভেবেচিন্তে, পাহাড়ি জলহাওয়ায় স্বাস্থ্য উদ্ধার হবে ভেবে সায় দিলেন।
~দার্জিলিং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
১৮৭৪ সালে যখন তিনি ভুটিয়া বোর্ডিং স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন (পরে ১৮৯২ সালে দার্জিলিং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়)।
তিনি ছিলেন দার্জিলিং এর প্রথম স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক।
কলম্বাস, ম্যাগেলান, ক্যাপ্টেন কুক কিংবা ডেভিড লিভিংস্টোনের মতোই আবিষ্কারের নেশায় ছুটেছিলেন শরৎচন্দ্র। চট্টগ্রামের পটিয়ার আলমপুরের এই সন্তান এখনো বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের কৌতূহলের বিষয়। সিনেমার চরিত্রের মতোই তাঁর জীবন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ও সাময়িকীগুলোতে তাঁকে নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। নিয়মিতই ছাপা হচ্ছে প্রবন্ধ-নিবন্ধ। তবে বেশির ভাগ জায়গায় তাঁকে চিত্রিত করা হয়েছে ভারতীয় গুপ্তচর হিসেবে। আনন্দবাজার পত্রিকায় পর্জন্য সেনের লেখার শিরোনাম ছিল ‘পণ্ডিত গুপ্তচর’। নিউইয়র্ক টাইমস-এ সোমনাথ সুব্রামানিয়ানের লেখার শিরোনাম, ‘দা ইন্ডিয়ান স্পাই হু ফেল ফর টিবেট’।
লাসা ভিলা
দার্জিলিং শহর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে, NH 55 তেনজিং নোরগে রোডের ঠিক নীচে লাসা ভিলা নামে একটি মোটামুটি বড় গ্রাম। 'ভিলা' শব্দটি আপনাকে অবাক করে দিতে পারে যতক্ষণ না আপনি বুঝতে পারেন যে গ্রামটি আসলে একটি বাড়ির নাম গ্রহণ করেছে যা তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছেলেদের একজনকে আতিথেয়তা করেছিল। লাসা ভিলা ছিল সেই কুটিরের নাম যেখানে শরৎ চন্দ্র দাস-অন্বেষণকারী এবং বিশিষ্ট পণ্ডিত ছিলেন যিনি একসময় দার্জিলিং-এর সমার্থক ছিলেন।
~ দার্জিলিং-এর এক সময়ের গর্ব। বর্তমানের হতমান লাসা ভিলা।
লাসা ভ্রমণের এ রকমই সব বিবরণ লিখে গিয়েছেন এই পণ্ডিত গুপ্তচর। সে যাত্রা লাসা থেকে ফেরার পর আর তিব্বতে ঢোকার অনুমতি তিনি পাননি। কিন্তু হিমালয়ের গহনে সেই দুর্গম দেশটিকে কোনও দিনই ভুলতে পারেননি তিনি। বাড়ি করলেন দার্জিলিঙে, নাম রাখলেন ‘লাসা ভিলা।’ সেখানেই থাকত তিব্বতি পুঁথিপত্র ও মূর্তিসম্ভার। মাঝে মাঝে কলকাতায় মানিকতলার বাড়িতে স্ত্রী, পুত্রদের কাছে আসতেন। জাপান থেকে ফেরার পর ১৯১৭ সালে এই দার্জিলিঙের বাড়িতেই মারা যান শরৎচন্দ্র।
মানিকতলার সেই বাড়ি আর নেই। দার্জিলিঙে স্টেশনের কাছে ‘লাসা ভিলা’ বাড়িটি টিকে আছে হতমান অবস্থায়। শরৎচন্দ্রের উত্তরসূরিরা বাড়িটি বেঁচে দিয়েছেন। তার পিছনে বেখাপ্পা সব ইমারত। ভিলার বর্তমান মালিক সুদীপ তামাং পণ্ডিত গুপ্তচরের কাহিনি জানেন, তিনিই কোনও মতে ঐতিহাসিক বাড়িটিকে প্রোমোটারের আগ্রাসন থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
ভোলেননি স্থানীয় তিব্বতিরাও। বছর দুয়েক আগে নোরবু নামে তিব্বতি বংশোদ্ভূত স্থানীয় এক ভারতীয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দার্জিলিঙে তৈরি হয়েছে ‘হিমালয়ান টিবেট মিউজিয়াম।’ সেখানে আধুনিক তিব্বতচর্চার অন্যতম পথিকৃৎ হিসাবে শরৎচন্দ্র সসম্মানে উল্লিখিত।
মৃত্যুশতবর্ষেও বাঙ্গালীদের কাছে বিস্মৃত ছিলেন তিনি। বাঙ্গালীদের বরাবরের ঐতিহ্য অনুসারে।
ভগ্নপ্রায় লাসা ভিলা এখনো অনেক পর্যটকেরই চোখ টানে কিন্তু ওই পর্যন্তই। ওই বাড়ি যে ইতিহাসের মস্ত এক দলিল, সে খবর আমরা রেখে উঠতে পারিনি। বাড়িটি তৈরি করেছিলেন শরৎচন্দ্র দাস। এই শরৎচন্দ্র দাস বাঙালির ইতিহাসে খুব চর্চিত নাম নন, যদিও তাঁর কৃতিত্ব যথেষ্ট চর্চার দাবি রাখে।
শরৎচন্দ্র ছিলেন একজন অন্বেষণকারী, ভাষাবিদ, অভিধানবিদ, নৃতাত্ত্বিক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিব্বতবিদ।
***
অতীশ দীপঙ্করের পর তিনিই প্রথম বাঙালি, যিনি হিমালয়ের তুষারাচ্ছাদিত শৃঙ্গ পাড়ি দিয়ে তখনকার নিষিদ্ধ ও বিচ্ছিন্ন জনপদ তিব্বত গিয়েছিলেন। মোট দুবার তিনি তিব্বত ভ্রমণ করেছিলেন। পাশ্চাত্য দুনিয়ার কাছে তিনিই প্রথম তুলে ধরেছিলেন তিব্বতের সমাজ, সংস্কৃতি ও বৌদ্ধ দর্শনের নানা ইতিবৃত্ত। এ ছাড়া লিখেছিলেন ভ্রমণকাহিনি, তিব্বতি ভাষার অভিধান ও সেদেশের সংস্কৃতি নিয়ে একাধিক বই। কেবল অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান অর্জন নয়, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভূরাজনৈতিক দিক থেকে বিবেচনা করলে শরৎচন্দ্রের দুই দফা তিব্বত অভিযান বিশেষ গুরুত্ববাহী।
***
ব্রিটিশ সরকার শরৎচন্দ্রকে ‘রায়বাহাদুর’ খেতাব, ‘অর্ডার অব ইন্ডিয়ান এম্পায়ার’-এ ভূষিত করেছে তাঁর নিরলস কাজের জন্য। এই দুটো না হয় বোঝা গেল বৃটিশোদের তাবেদারি করার জন্য এমন সন্মানে ভূষিত হয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে বিশেষভেবে সম্মানিত করেছে লন্ডনের রয়্যাল জিয়োগ্রাফিক সোসাইটি। কেন?
কেন আবার হিমালয়ের খুঁটিনাটি অজানা ভৌগোলিক তথ্য আবিষ্কারের জন্য।(১৮৮৭ সালে ভৌগলিক গবেষণার জন্য রয়্যাল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি তাকে ব্যাক প্রিমিয়াম প্রদান করে।)
১৮৮৬ সালে তিনি ডাফরিনের মার্গুয়েস এবং আভা সিলভার মেডেল জিতেছিলেন।
***
প্রথম পর্ব শেষ
বাঙ্গালীর কৃর্তীগাঁথা নিয়ে বাকি পর্বগুলো;
*BOSE দের তিন পুরুষ
*দুই বিমলের কীর্তি!!!
*একজন মজুমদার ও তার দ্যা গেরিলা
*মাস্টারদা’র শিষ্য সুরেশ দে ও তার ‘শ্রীলেদার্স’
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১২
শেরজা তপন বলেছেন: শুধু লাইকাইলে তো হইবে না ভাই। আপনি ইদানিং ব্লগ ও ব্লগারদের বেশ ফাঁকি দিচ্ছে।
ফিরে আসুন পুরোটা পড়ে মন্তব্য করুন- আর নতুন মজার কিছু পোস্টান...
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাতে অনেক গুলো বিষয় এসেছে।
কি বলব? ভ্রমন কাহিনী? জীবনী? নাকি ইতিহাস?
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: চাল ডাল মাংস সবজী দিয়ে কোন এক টাইপের খিচুরি হয়েছে।
এটা আসলে সবগুলোর সমন্ব্য। এক পর্বে বেশী লম্বা হয়ে যায় দেখে দু পর্ব করেছি। ব্লগ এমনিতেই নিরুত্তাপ!
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কেমন করে বাঙালী এমন ইতিহাস ভুলে থাকতে পারলো! এ জন্যই ব্লগটাকে ভাললাগে সাথে আপনার মত ব্লগারদেরও। যাদের কল্যানে এমন অজানা ইতিহাস সহজে পড়ে ও জানতে পারি। বেঁচে থাকুন ভ্রাতা যুগ যুগ ধরে।+++
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:২০
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ এটা অবশ্য আশ্চর্যজনক ব্যাপার বটে। এমন একজন কীর্তিমান মানুষকে এত সহজে ভুলে যাওয়া সম্ভব হল কিভাবে?
এখানে একটা লাইন লেখা আছে; মৃত্যুশতবার্ষিকীতেও বাঙ্গালীর কাছে বিস্মৃত ছিলেন তিনি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য অনুসারে। যে জাতি বেগ্গুন মানুষ খাওয়া নাওয়া ঘুম ফেলে 'হিরো আলম' কি কইরছে সে নিয়া ফালাফালি করে তাদের ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। এত এত পণ্ডিত মানুষের কথা বললে বদহজম হতে পারে!
শেষের কথাগুলো শুনে মন ভরে গেল। ভাল থাকুন নিরন্তর।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
রবিন.হুড বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যবহুল লেখার জন্য।
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল। পরের পর্বে আরো অনেক তথ্য জানাতে পারব বলে আশা করছি। সাথে থাকুন।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তথ্যবহুল ১ম পর্ব ভালো লাগলো। দ্বিতীয় পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: বাদ্য কাব্য সুর নিয়ে আপনিতো এক অন্য ঘোরের মধ্যে থাকেন। সে ঘোর থেকে বের হয়ে এসে আমাদের লেখা পড়ে যেভাবে অনুপ্রাণিত করে সেজন্য কৃতজ্ঞতা। পরের পর্বে আপনারও মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব...
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: কোন কিছু জানা কে বর্তমানে জ্ঞান হিসাবে ধরা হয় না।যোগে যোগে সংজ্ঞা পাল্টায়।এখন সবথেকে বেশি জানে গুগোল।বর্তমানে জ্ঞানী নির্ধারন করা হয় অন্য ভাবে।
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে কি করতাম-যে কোন আলোচনায় গুগোলের লিঙ্ক দিব?
গুগোল যা জানে সে তথ্য মানুষের যোগান দেয়া। মানুষ যতটুকু জানবে গুগোল ও ততটুকুই জানবে।
জ্ঞান ও জ্ঞানীর সংজ্ঞা কি সেটা আগে জানতে হবে- শুধু জানা মানেই জ্ঞানী নয়। জ্ঞানী হল হাজার হাজার সত্য মিথ্যা গোঁজামিল ভরা তথ্য থেকে নিজের যোগ্যতায় সঠিক তথ্যের নির্যাসটুকু বের করে এনে উপস্থাপন করে।
*** আমি চ্যাট জিপিটিকে প্রশ্ন করেছিলাম;
জনাব চ্যাট জিপিটি,
সৈয়দ মুজতবা আলী সন্মন্ধে আপনি কি জানেন?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সৈয়দ মুজতবা আলী একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী সাহিত্যিক এবং সমাজতন্ত্র পরিচালক ছিলেন। তিনি সাধারণত বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস, গল্প এবং নাটক লেখা করেছিলেন। তাঁর কিছু প্রসিদ্ধ উপন্যাস হল 'রঙ্গালী বউ', 'আমার হৃদয়ে আজ কি খুশি নেই' এবং 'আকাশের আঁধার'। তিনি সমাজতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগ্রহ ও সম্পাদনার জন্য সংগ্রহ করা হাজার হাজার দস্তাবেজ সংরক্ষণ করেন।
(চমেতকার! কন দেখি কি অবস্থা!! মুজতবা আলীর সম্ভবত সব লেখা আমার কাছে সংগ্রহে আছে; রঙ্গালী বউ, 'আমার হৃদয়ে আজ কি খুশি নেই' ও আকাশে আঁধার’ এই উপন্যাসগুলি উঁনি কবে লিখলেন? আপনাদের জানা আছে?)
***
ধরুন আপনি একজন অন্যভাষী মানুষ এই তথ্য থেকে আপনি কি জানবেন? একগাদা ভুল তথ্য।
***
মানুষএর জ্ঞানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মত ক্ষমতা এখনো মেশিনের আসে নাই বড় ভাই। দেখা যাক ভবিষ্যতে কি হয়।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: টান টান উত্তেজনার কিছু পড়বো ভেবেছিলাম ,
তবে এখনও পর্যন্ত যা পড়লাম । তাতে আমার ভিরমি খাওয়া চলমান । আপনাকে ধন্যবাদ , এত দারুণভাবে লিখবার ও জানাবার জন্য ।
আচ্ছা কামাল সাহেব যেভাবে বললেন তাতে করে তো ডারুইন , কান্ট , স্পিনোজার , ডেভিড ঘিউম এদের কাউকেই আর জ্ঞানী বলা যায় না । কারণ যুগে যুগে সংজ্ঞা বদলায় তাই বর্তমানের সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা আর জ্ঞানী না এবং উনিও কিন্তু আর ব্লগার না বর্তমানের সংজ্ঞানুযায়ী ,
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: কেমন উত্তেজনা? আপনি ভেবেছিলেন চরম উত্তেজনায় ভরপুর স্পাই স্টোরিজ টাইপ কিছু?
পরের পর্বে আরো চমক ও কিছু করুণ অধ্যায় বাকি আছে। সাথে থাকবেন।
****
@ কামাল ভাই-এর যেন আজকে কি হৈসে!!
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: @ নি নি,আগে জ্ঞানীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন তারপর ঠিক করেন কে জ্ঞানী আর কে জ্ঞানী না।যেহেতু আমি ব্লগ লিখি না সেই অর্থে আমি ব্লগার না।আমি সুধু মন্তব্য করি।
৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: যে ব্লগে মন্তব্য করে সে যে ব্লগার না সে কথা আপনাকে কে বলেছে-গুগোল??
ও ভাই, জ্ঞানীর সংজ্ঞা কি সেটাও কি গুগোল থেকে জানতে হবে? আপনার মাথায় এই ভুত কে ঢুকাইলো?
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @কামাল১৮ , জ্ঞানীর সংজ্ঞা তো সবসময়ই এক । যে জ্ঞানানুসন্ধ্যান করে চলে ও জ্ঞানধারণ করে সমৃদ্ধ হয় এবং সেই জ্ঞান সবার মাঝে এমনভাবে বিলিয়ে দেয় যা থেকে নব্য জ্ঞানের দিশা পাওয়া যায় !!
তো এখন আপনার থেকে জানতে চাই আপনি কী জ্ঞানের নব্য উত্তরাধুনিক কোন সংজ্ঞা দেবেন ? দিলে দিন জেনে নিই , নাকি আবার গুগলের শরণাপন্ন হতে বলবেন !!
০১ লা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: থাউগ্গা বাদ দেন। উনি আসলে অন্য কিছু বোঝাতে চেয়ছিলেন সম্ভবত!
জ্ঞানীর সংজ্ঞা জ্ঞানীর মত হয়েছে
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
তুষারাবৃত্ত ইতিহাসের অতল থেকে তুলে নিয়ে এলেন এমন একজন মানুষের কথা যে মানুষটি জন্মে ছিলেন আমাদের "ভেতো বাঙ্গালী" সমাজেই। একেবারে খাস চাটগাঁয়ে।
হা...হা... "চ্যাট জিপিটি"র কথা বলেছেন ? ওটা হলো "প্রশ্নফাঁস জেনারেশন" এর উৎকৃষ্ট নমূনা। আপনার নাম "শেরজা তপন" নিয়ে সার্চ দিন, হয়তো দেখবেন আপনাকে এভারেষ্ট জয়ী একজন "শেরপা" হিসেবে চালিয়ে দেবে। আবার এটাও বলে বসতে পারে - ওনার জন্ম হয়েছে সুন্দরবনের ব্যাঘ্র সমাজে.... ( এরকম প্রমান তো আপনিই দিয়েছেন এখানে !)
লেখার জন্যে বেশ পরিশ্রম গেছে আপনার আর আমরা বিনা পরিশ্রমেই জেনে যাচ্ছি সব, আরামসেই । ধন্যবাদ.....
০১ লা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: একটু খাঁটাখাটুনি করে এধরনের লেখা লিখে আপনি ডঃ এম আলী ভাই সহ আরো কিছু ব্লগারের মন্তব্যে কষ্ট গলে জল হয়ে যায়!
আপনিও বেদম পরিশ্রম করেন। আমিতো মাঝে মধ্যেই আবজাব/জ্ঞানহীন পোষ্ট দেই। কিন্তু আপনার প্রতিটা পোষ্ট ব্লগের সম্পদ।
ভাল বলেছেন , চ্যাট জিপিটি'র সার্থক উদাহরণের জন্য আরেক চাঁটগাইয়ার কোট নোট করেছেন। বেশ তো। তবে ওই ভদ্রলোক আমার প্রতি চরম বিরাগ! তিনি চান, আমি যত দ্রুত ব্লগ থেকে হতাশ হয়ে নিস্ক্রান্ত হই। ইদানিং ঘন ঘন পোষ্ট দিয়ে আমিও হতাশ হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি- কিন্তু হতাশ হতে পারছি না বলে হতাশ হচ্ছি ।
১১| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: আমার কথাই বুঝতে পারেন নাই।অথবা আমি ঠিক মতো বলতে পারি নাই।জানা কোন জ্ঞানীর সংজ্ঞায় পড়ে না।জানলেই জ্ঞানী হলে গুগোল জ্ঞানী হতো।আমি এটা বলতে চেয়েছি।
জ্ঞানীর সংজ্ঞা অন্য কিছু।বর্তমানে অনেক সংজ্ঞা আছে।কোনটাই সর্বজন গ্রাহ্য না।অনেকের মতে, যে সঠিক বিশ্লষণ করতে পারে সে জ্ঞানী।সমস্যা হলো সঠিক নির্ধারণ করার মানদন্ড কি?এমন আরো অনেক সংজ্ঞা আছে।এবং তার অনেক ফাঁক ফোঁকর আছে।
বিজ্ঞানীরা অনেক জ্ঞানী এটা সবাই মানে।সেটাও একটা সময় পর্যন্ত।
০১ লা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: কোন সমস্যা নেই কামাল ভাই। আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কি বলতে চেয়েছিলেন।
একটু মজা লইলাম আর কি
১২| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অতি চমতকারভাবে চিত্তাকর্ষক ভাষায় অতি সংক্ষপে আমাদের অনেকের কাছে অপরিচিত তবে বিশ্ববিখ্যাত
এক বাঙ্গালী পন্ডিত, পরিব্রাজক ও গুপ্তচরের জীবন কাহিণীর চুম্বক দিকগুলি আমাদেরকে জানানোর জন্য
প্রথমেই জানাই ধন্যবাদ ।
জানা গেল পরনে লামার পোশাক, সঙ্গে কম্পাস সেটস্কোয়ার আর লেখার জন্য কাগজ কলম নিয়ে দুর্গম তিব্বতে
পারি দেয়া আমাদের চাটগায়ের এক কৃতিমান বঙ্গসন্তানের কথা । এই বঙ্গসন্তান গিরিপথ পেরিয়ে তিব্বত গিয়ে
নিয়ে এসেছেন পুরনো পুঁথি। তৈরি করছেন তিব্বতি-ইংরেজি অভিধান।
বঙ্গভাষী এই কৃতিমান মানুষটি চীলেন তিব্বতি ভাষাতেও সুদক্ষ, লামার মঠে খুঁজে পেয়েছেন তিব্বতি হরফে
দণ্ডীর কাব্যাদর্শ, কাশ্মীরি কবি ক্ষেমেন্দ্রের ‘অবদানকল্পলতা’ ও চান্দ্র ব্যাকরণের প্রাচীন পুঁথি। সেগুলি নকল
করে নীজ দেশ ভারতে নিয়ে এসেছেন।
তিব্বতি সংস্কৃতি ও জনজীবনে আগ্রহী এই পন্ডিত আর একটি কাজ করেছেন। চলার পথে প্রতিটি পাহাড়,
নদীনালা ও ভূপ্রকৃতির বৈশিষ্ট্য কাগজে লিখে নিয়েছেন, লাসায় আসার পথে লসভগোম উপত্যকা, ‘জলাধার’
জরিপ করেছেন। টুকে নিয়েছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এলাকার হরেক পাহাড় ও পথের পরিচয়। পরে সেগুলি ভারত
সরকারের দফতরে হয়তবা গোপনে হয়েছে বাক্সবন্দি । তার পরে লর্ড কার্জনের আমলে ব্রিটিশ সেনাপতিগন
তাঁর তথ্যের ওপর নির্ভর করেই তিব্বত দখলের প্রস্তুতিতে হয়তবা হয়েছিল ব্রতি ।
শরৎচন্দ্র দাসের পরিশ্রমী তথ্য থেকে ব্রিটিশরা এভাবেই নানা সাহায্য পেয়েছে। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘রায়বাহাদুর’
খেতাব, ‘অর্ডার অব ইন্ডিয়ান এম্পায়ার’-এ ভূষিত করেছে। হিমালয়ের খুঁটিনাটি অজানা আনেক ভৌগোলিক তথ্য
আবিষ্কারের জন্য সম্মানিত করেছে লন্ডনের রয়্যাল জিয়োগ্রাফিক সোসাইটি , এটি আমাদের জন্যও গৌরবের।
ব্রিটিশ সরকার শরৎচন্দ্রকে তাদের মতো ব্যবহার করছে, আবার শরৎচন্দ্র গুপ্তচরবৃত্তির ফাঁকে জেনে নিয়েছিলেন
বৌদ্ধ ধর্মের হরেক তথ্য, নিয়ে এসেছিলেন তিব্বতি ভাষায় লেখা বিভিন্ন সংস্কৃত পুঁথি। এই সব পুঁথিপত্র সংগ্রহ
নিশ্চয়ই ছিল তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফল যার সুফল পাচ্ছে এখানকার সাহিত্য ও সংস্কৃতি। ঠিকই বলেছেন
পন্ডিত অতিশ দিপংকরের পরই তিনিই দ্বিতিয় বঙ্গসন্তান যার পন্ডিত হিসাবে পরিচিতি ছড়িয়ে পরেছিল বিশ্বে,
তাকে নিয়ে এখনো লেখালেখি চলে ।
ঠিকই বলেছেন বাঙালির ঐতিহ্য অনুসারে মৃত্যুশতবর্ষেও বাঙালির কাছে বিস্মৃত তিনি।
তবে আপনার কল্যানে তিনি ফিরছেন আমাদের স্মৃতিতে।
মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পরিশ্রমি পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমার পোস্টের চুম্বক অংশগুলোর পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে আপনার জানা বিষয়গুলো চমতকারভাবে তুলে ধরার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
দু'দিন ধরে ভাবছিলাম এত দারুণ তথ্যসমৃদ্ধ একটা মন্তব্যের কি এবং কিভাবে উত্তর দিব!!
কোনভাবেই যুতসই উত্তর খুঁজে পেলাম না। তাই অল্পতেই ধন্যবাদ জানিয়ে গোঁজামিল দিয়ে মন্তব্য সেরে নিচ্ছি।
আপনি সম্ভবত এখন খানিকটা সুস্থ। নিয়মিত না হলেও অনিয়মিতভাবে মাঝেমধ্যেই আপনার সরব উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। আপনার দুর্দান্ত কোন একটা পোস্টের অপেক্ষায় আছি। আশা রাখছি খুব শীঘ্রই দেখতে পাব।
ভাল থাকুন।
১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ( মাসুদ রানা মৌলিক গল্প নয়। বিদেশী গল্পের ভাব ধারায় অনুবাদ, জোড়াতালি আর অল্প কিছু মৌলিকত্ব দিয়ে দেশী আদলে এদেশের প্রেক্ষাপটে সম্পুর্ন অবাস্তব এক কল্পকাহিণী।)
সম্ভবতো মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম গল্পটাই ছিলো শুধু মৌলিক।
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: তা হয়তো ঠিক বলেছেন। কিন্তু লেখায় শুধু মৌলিকঅত্ব থাকলেও এমন্ধারার স্পাই ক্যারেকটার কখনো এই দেশে ছিল বলে মনে হয় না।
যা হোক মন্তব্যে আসার জন্য জন্যবাদ। ইদানিং ব্লগে আপনার বিচরন কমে গেছে।
১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পণ্ডিত গুপ্তচর এর কথা এই প্রথম জানলাম।
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: জানাতে পেরে আমি আনন্ধিত। কয়েকমাস আগে আগে জানতাম না। এরমাঝে ভারত থেকে তাঁর বই ও যোগাড় করেছি।
১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর লাসা; শুধু দুর্গম পথ নয় ভাষার ও সমস্যা তিনি পার হয়েছিলেন। ভালো লাগলো তার সম্পর্কে জানতে। তবে কিছু জায়গায় বার বার পড়তে হয়েছে বোঝার জন্য, যেমন তাঁর বাড়ি লাসা ভিলার নাম অনুসারে দার্জিলিং শহরের থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গ্রামের নাম লাসা ভিলা। কিন্তু আবার দেখছি দার্জিলিং স্টেশনের কাছেই লাসা ভিলা বাড়ি...
তখন তো কোন যুদ্ধ হচ্ছিল না, তাই তাঁর গুপ্তচরবৃত্তির ধরনটা বুঝতে পারছি না। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: দার্জিলিং স্টেশন থেকে মুল শহর বেশ খানিকটা দূরে। সেটা দু'কিলোমিটার হবে সম্ভবত।
তখন তিনি গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিত হয়েছিলেন মুলত চলমান যুদ্ধের জন্য জন্য নয়; বৃটিশদের বড় একটা যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য। তাদের অভিপ্রায় ছিল পুরো তিব্বতটা জয় করার। কেননা চৈনিকরা তিব্বর দখল করে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের ঘুম হারাম করে দিয়েছিল। তাদের কব্জা থেকে তিব্বতের দখল নেয়াটা বৃটিশদের জন্য ভ্য রাজনৈতিকভাবে বিশেষ প্রয়োজনীয় ছিল।
পরের পর্বে বিস্তারিত আসবে এ ব্যাপারে।
অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ও ছোটখাট ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য।
১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভদ্রলোকের নাম শুনি নাই। আশা করি পরের পর্বগুলিতে ওনার গুপ্তচরবৃত্তি এবং অন্যান্য গুণাবলীর বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যাবে। ওনার বংশধরদের সম্পর্কে কিছু জানা যায় কি?
০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের এমন একজন গুণী মানুষকে চেনা দরকার ছিল। কিভাবে যেন উনি বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেলেন কে জানে।
আমি উনার বংশধর সন্মন্ধে তেমন কিছু জানতে পারিনি। উনি গুপ্তচর হবার জন্য সম্ভবত পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখতেন না। এমন কি উনি বিয়ে সাদী করেছিলেন কিনা তা ও জানা যায় না।
পরের পর্বে ফের আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম- সাথে থাকবেন ভ্রাতা।
১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ইদানিং ব্লগে আপনার বিচরন কমে গেছে।
- আর্থিক সংকটের কারণে মানুসিক ভাবে কিছুটা অস্থিরতার মধ্যে আছি। কোনো কিছুই সেই ভাবে মনযোগ দিতে পারতেছি না। তাই ব্লগে পোস্ট আর মন্তব্য কিছুটা কম। তবে হাজির আছি নিয়মিতোই।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: আশা করি সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে শীঘ্রই ব্লগে স্বমহিমায় ফিরে আসবেন।
এভাবে খোলাখুলিভাবে নিজের সমস্যার কথা জানানোর জন্য আন্তরিক টান অনুভব করছি। ভাল থাকুন
১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৪৩
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ, নতুন কিছু জানলাম ব্রো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ফের অনুপ্রাণিত হলাম। আন্তরিক ধন্যবাদ- ভাল থাকুন।
১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মাসুদ রানা আমার প্রিয় উপন্যাসের তালিকায় ছিলো। গোয়েন্দাজীবন নিয়ে গল্প উপন্যাস তেমন লেখা চোখে পড়েনি। অনেকে যারা লিখেন ঠিক পরিচ্ছন্ন ও সঠিক তথ্য নির্ভর লেখা না। এই বিষয়ে কেনো তেমন লেখা নেই তাঁর কারণ বিস্তারিত কোনো একদিন লিখবো।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বলেন শুধু লিখবেন- কিন্তু কবে লিখবেন?
সময় তো বহিয়া যায়...
২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: চাটগাঁর পটিয়ার আলমপুরে ১৮৪৯ সালে জন্ম নেয়া শরৎচন্দ্র দে'র কীর্তি ও অর্জন সম্বন্ধে এর আগে কিছুই জানতাম না। আপনার এই পোস্ট পড়ে সমৃদ্ধ হ'লাম। পরের পর্বটিও পড়বো।
"মৃত্যুশতবার্ষিকীতেও বাঙ্গালীর কাছে বিস্মৃত ছিলেন তিনি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য অনুসারে" - ভালো লিখেছেন এ কথাটা। বাঙালিদের "ঐতিহ্য" থেকে দ্রুত অপসারিত হোক!
৬ ও ৮ নং প্রতিমন্তব্যদুটো চমৎকার হয়েছে।
পোস্টে দ্বাদশ প্লাস। + +
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে বসা হচ্ছে কম- সব পোষ্ট পড়া হচ্ছে না, ইচ্ছেমত মন্তব্য করতে পারছি না, মন্তব্যরে উত্তরও ঠিকঠাক দিতে পারছি না। তবে বেশ সুস্থ্য আছি এখন। কাজের ব্যস্ততা হুট করে বেড়ে গেছে বেশ সে কারনেই আপাতত এই বিপত্তি!
টাইপোটা ঠিক করে দিয়েছি যদিও 'বাঙ্গালীদের' লিখেছি।
আমি আমি আ্নন্দিত ও আপ্লুত হলেও লেখাগুলো ঠিকঠাক গুছিয়ে লিখতে পারিনি বলে পুরোপুরি তৃপ্ত হইনি।
ধন্যবাদ।
২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: *বাঙালিদের "ঐতিহ্য" থেকে এটা দ্রুত অপসারিত হোক!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপাততঃ লাইকাইলাম। পরে আবার আসার অভিপ্রায় রাখি!!