নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু পুরুষেরা কেন এমন হয়?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯


একজন বিকৃত-কাম মানুষের গল্প ও একটা প্রশ্ন?
~একটা চাক্ষুষ বিষয়ের বর্ণনা করছি। যেহেতু সে আমার অতি পরিচিত কেউ একজন তাই নামটা গোপন রাখছি!
আমাদের বেশ বড়সড় এক আড্ডা গ্রুপের সেও একজন সদস্য।এক সময় বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল সেকারণেই স্বভাবত প্রগাঢ় ঘনিষ্ঠতা ছিল। কলেজ জীবনে দিনরাত একসাথে আড্ডা দিয়েছি।
বেশ গাট্টাগুট্টা স্বাস্থ্য গোঁয়ার আর ভীষণ কৃপণ টাইপের ছেলে। তার কৃপণতা নিয়ে উপহাস ঠাট্টা মশকরা সবই ছিল নিয়মিত। আড্ডার একটা অন্যতম গল্পের বিষয় ছিল নিপু’র কৃপণতা আর মানুষকে ঠগিয়ে তার জিতে আসার বীরত্ব নিয়ে!
এসব নিয়ে যে যতই মজা করুক বা কটূক্তি করুক সে ছিল ভাবলেশহীন! দিন দিন আরও বেশি সে কঞ্জুস হয়ে উঠছিল।
শরীরে শক্তি ছিল তার সাংঘাতিক! সবাই যখন বুট পড়ে ফুটবল মাঠে নামত সে খেলত খালি পায়ে। পায়ে তার এত জোড় ছিল যে বুট পরেও তার সামনে যেতে অন্যেরা ভয়ে কাঁপত!
কোনদিন সিগারেট গাঁজা মদ সে স্পর্শ করেনি। গাঁজা মদ-তো দুরের কথা;বহু চেষ্টা করে তাকে এক 'বুন্দ' বিয়ার পান করানো যায়নি।
***
মেয়েদের দিকে তার চাহনি খারাপ হলেও প্রেম-ট্রেমের ব্যাপারে খানিকটা উদাসীন ছিল। বিয়ের আগে সে প্রেম করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। পড়ালেখার পাশাপাশি অল্প বয়সেই সে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায় আহামরি কিছু না হলেও করছিল ভালই।
একবার তার একটা গল্প আমাদের খানিকটা নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়া আড্ডাটাকে বেশ একটা ঝাঁকুনি দিল।
তখন সে ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী! গ্রামের স্কুলে পড়ে- বাড়িতেই একঘরে রাত জেগে পড়াশুনা করে। তার আপন মামা সদ্য বিয়ে করেছে। তরুণী মামীর দিকে আড়চোখে দেখে, তার শরীরের খাঁজে ভাঁজে চোখ ঘুরে বেড়ায়।
সন্ধ্যের খানিক বাদেই মামা বাজার থেকে ফিরে খাওয়া দাওয়া সেরে মামীকে নিয়ে দরজায় খিল দেয়। রাত একটু গভীর হলেই শুরু হয় তাদের উন্মাতাল যৌন শীৎকার! সেটা এক পর্যায়ে যেন খুন খারাবির অবস্থায় চলে যায় – মামীর চরম গোঙ্গানি আর ভয়ানক চিৎকারে সারা বাড়ি কেঁপে ওঠে!
সেই বয়সে সব কিছুর আগ্রহ থাকে তুঙ্গে। স্বভাবতই সদ্য বিবাহিত দম্পতি দরজা আটকে ঘরের মধ্যে কি লীলায় মত্ত হয় সেটা জানার চরম কৌতূহল ছিল তার!
এমন ভয়ঙ্কর চিৎকার আর গোঙানির পরেও কেউ না উঠে আসায় সে বড় তাজ্জব হল!
সকালে মামীর দিকে তাকিয়েই সে চমকে ওঠে- একদম সহজ স্বাভাবিক! যেন কোন কিছুই হয়নি তার- এর মানে রাতে কি সে ভুল শুনেছে?
পরদিন রাতে যেন সেই শব্দটা আরও বেড়ে গেল- আগের রাতের থেকেও বীভৎস অবস্থা! একসময় তার মনে হল মামা মনে হয় সত্যি মামীকে আজ মেরে ফেলছে! হাতের বই ছুড়ে ফেলে দৌড়ে গেল মামার ঘরের দিকে। তারপর দরজায় দড়াম দড়াম করে লাথি আর অশ্রাব্য গালি শুরু করল মামার উদ্দেশ্যে। গোঙ্গানি আর চিৎকার থেমে গেল- খানিক বাদে মামা দরজা খুলে খিক করে হেসে বলল, কিরে ভয় পাইছিস? সে মামার কাঁধের উপর দিয়ে আধো অন্ধকার ঘরের মধ্যে তাকিয়ে দেখে মামী দ্রুত হাতে তার আলুথালু বসন সামলাতে ব্যস্ত!
গল্প শেষে মামার উদ্দেশ্যে একটা খিস্তি ঝাড়ল; শালা পারভার্ট!
***
ঘটনা ২। একদিন আড্ডায় ধর্ষণ নিয়ে কথা হচ্ছে- সবাইকে থামিয়ে সে তার এক চাক্ষুষ গল্প করল। এলাকার এক সুন্দরী মেয়েকে তুলে নিয়ে তিন চারজন ছেলে মিলে কিভাবে ধর্ষণ করে ছিল তার রাখ-ঢাক বর্ণনা। রাখ ঢাক এ জন্যই যে আড্ডার কয়েক জনের এসব জঘন্য কর্মকাণ্ডের সরস বর্ণনা শোনার ব্যাপারে তুমুল আপত্তি ছিল! সে ও না কি বাধ্য হয়ে তাদের সাথে ছিল- তবে কিরা কসম কেটে বলল, সে সাথে ছিল শুধু-কিছু নাকি করেনি।
তবে ঘটনাটা বলে সে কিঞ্চিৎ ভুল করল, বলা বাহুল্য যে – তার কথা কেউ বিশ্বাস করেনি। সেদিন থেকে মার্কিং এ রাখল- এবং তার অনুপস্থিতিতে তাকেও সবাই 'পারভার্ট' নামে ডাকা শুরু করল।
সেই বয়সে রাতে কারো বাসা খালি থাকলে হুলস্থূল শুরু হয়ে যায়! সব নিষিদ্ধ জিনিসগুলো একসাথে মন ছুতে চায়- সারাদিন ধরে গোপনে চলে যোগার যন্ত! পানীয়টা যোগাড় করা বেশ শক্ত, বহু রেফারেন্স আর হাত ঘুরে সেটা আসে।
ভাগে ভাগে বন্ধুরা পা টিপে টিপে সে বাসায় ঢোকা-ভিতরে ঢুকেই আঃ শান্তি! কারো প্যান্টের পেছনে বোতল লুকানো- লাইটের আলোতে লেবেল দেখে একেক জনের একেক মন্তব্য আর যে এনেছে সে বলে তার এটা যোগাড় করার রুদ্ধশ্বাস গল্প! কারো কোমরে তাস গোঁজা আর কারো বা নীল ছবির ক্যাসেট। একেক জনের আগ্রহ একেকটায়, একদল বসে তাসের আড্ডায়, ব্রিজ বা খুচরো পয়সায় তিন কার্ড, আর এক গ্রুপ দেখে মজা পায়। কেউ নীল ছবিতে বিভোর থাকে ,কেউ পানীয় আর সিগারেটেই তুষ্ট! তবে যারা এ তিন দোষে দুষ্ট নয় নীল ছবিতে তাদের আগ্রহটাই বেশি ছিল।
নিপু তেমনই একজন। সারা রাত বসে বসে সে একনাগাড়ে ছবি দেখে যেত – মাঝে মধ্যে বিড় বিড় করে যেন কি বলত? কখনো জোড়ে চিৎকার করে উঠত, 'গো গো ফাক ফাক' এর মত অশ্লীল শব্দের তুবড়ি ছুটিয়ে। আমরা হাসতাম, মজা পেতাম- সেই নিয়ে হত দীর্ঘ সরস আলোচনা!
যথা সময়ে সে বিয়ে করল। হুট করে বিয়ে ঠিক হওয়ায় অল্প কিছু বন্ধু সেখানে উপস্থিত ছিল। বিয়ে বলতে -ঘরোয়া ভাবে আকদ! আকদ শেষে ছল চাতুরী করে পাত্রী উঠিয়ে নিয়ে আসা। এত অল্প পয়সায় ঝামেলা-বিহীন বিয়ে করতে পেরে নিপু চরম উল্লসিত! মেয়ের পরিবার বেশ ধার্মিক- পর্দার আড়াল থেকে মা, বোনেরা আমাদের সামনে আসতেই চায়নি।
প্রথম সন্তান জন্মের দুই তিন বছরের মাথায় কোন এক শুক্রবারে জুমার নামাজের সময়ে সেই মেয়ে আত্মহত্যা করে। কেন কি জন্য কেউ জানে না! তবে পুলিশ এসে লাশ নামিয়েই নাকি সারা শরীর হাতড়ে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' করে বলেছে গলায় ফাঁস নেবার খানিক আগেই সহবাস হয়েছে।
মেয়ের পরিবার অতিশয় সজ্জন! তারা মেয়ের লাশ আর কাঁটা-ছেড়ায় যায়নি। ঘরের মাঝেই যে পদ্ধতিতে টেস্ট হয়েছে –তাতেই তাদের পিলে চমকে গেছে! মৃত কন্যা ফের ধর্ষিত হোক চায়নি তারা। পুলিশকে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করেছিল।
তবে নিপুকে আগাগোড়া চেনে তেমন দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা আমার বন্ধুদের নিশ্চিত বিশ্বাস ছিল পারভার্টের বিকৃত যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে!
***
রপর থেকে নিপুর সাথে দেখা সাক্ষাৎ কম হত- ইচ্ছে করেই খানিকটা এড়িয়ে চলতাম তাকে। তবে খবরাখবর রাখতাম। বছর-খানেক বাদে শুনলাম ফের বিয়ে করেছে সে।
সেই রমণীর আগে নাকি বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের বছর দুয়েক বাদে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
ধারনা করি যেহেতু আগে বিয়ে হয়েছিল- দু’বছর সংসার ও করেছে সেহেতু শারীরিক অভিজ্ঞতার ঘাটতি নেই তার। নিপুর সেই বউ এর সাথে আমাদের কারো দেখা হয়নি কখনো!
সে নারীও একদিন আত্মহত্যা করল। তেমনি এক জুমার দিন ফ্যানে ঝুলে! আমরা সবাই ভয়াবহ ধাক্কা খেলাম! সে কিভাবে বা কি উপায়ে ম্যানেজ করল আমাদের জানা নেই তবে এবারও মেয়ের পরিবার লাশ ময়না তদন্ত না করেই কবর দিল। আশ্চর্যভাবে কোন মামলাও করলেন না।
কিন্তু এবার আমাদের বন্ধুরা ক্ষেপে গেল! দু’চারজন প্রবাসী বন্ধু চাকরি আর পিএইচ ডি ছেড়ে দিয়ে তক্ষুনি যেন চলে আসে দেশে ওর বিরুদ্ধে আইনী লড়াই করবে বলে।
কিন্তু যাদের কন্যা তারা যদি সহযোগিতা না করে তবে এ নিয়ে দৌড় ঝাঁপ বৃথা!
***
আসল ঘটনা কি ঘটেছিল সে রহস্য কোনদিন উদঘাটিত হবে না তবে আমার প্রশ্ন অন্য খানে, এটা কি 'বিকৃত কাম মানসিকতা' না- কি জেনেটিক নাকি উভকামী, সমকামী কিংবা বিষমকামীদের মত প্রকৃতিগত?

যখন এটা নিয়ে আপনি ভাবছেন তখন এমন একটা তথ্য হাজির করব যেটা আপনাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিবে;
তার নিজের মা ও সৎ মা দু’জনেই আত্মহত্যা করেছিল!

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৪

নাহল তরকারি বলেছেন: মেয়েরা যাতে ছেলেদের কুদৃষ্টির শিকার না হয়, সেজন্য তাদের কে বোরকা পড়ে বাহিরে যেতে বলেছে। আর মেয়েদের পুরুষের আড়াল হতে বলেছে। এমন বাক্য ওয়াজ মাহফিলে শোনা যায়।

ইসলাম এটাও বলেছে “মেয়েদের দেখলে চোখ নিচে নামিয়ে নেও” এমন কথা ইসলামে থাকলেও হুজুররা তেমন বলে না।

কিছু কিছু ছেলেদের জন্য কাম চাহিদা নিয়ন্ত্রন করা কঠিন। তাই তাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে বলা হয়েছে। বিয়ে করার আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে রোযা রাখতে বলা হয়েছে।

এতকিছু হবার পরেও যদি কোন বিবাহিত ছেলে পরকীয়া/ধর্ষন করে, তাহলে তার শাস্তি মৃতুদন্ড। আর অবিবাহিত পুরুষ এই অপরাধ করলে মনে হয় ৮০ টি বেত্রাঘাত করতে বলা হয়েছে।

আমার মনে হয় শাস্তির ভয়ে কোন পুরুষ কোন নারীর দিকে কামদৃষ্টিতে তাকাবে না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: পোস্টের সাথে মন্তব্য সংগতিপূর্ণ নয়।
লেখা পড়ুন বুঝুন এর পরে লেখা সংশ্লিষ্ট মন্তব্য করুন।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে এই ক্ষেত্রে মেয়েদের ইচ্ছে অনিচ্ছার কোন মূল্য দেওয়া হয় না । এমন কি মেয়েরা এই কাজে সম্মত কিনা সেটাও ভাবা হয় না । স্বামীর ইচ্ছে হয়েছে তার মানে এটাই এখন করতে হবে। স্বামী যেমন করে যা ইচ্ছে নিজের বউয়ের সাথে করতে পারে । এবং যেহেতু বিয়ে করা বউ তার মানে এই ক্ষেত্রে এটা করা বৈধ । মেয়েরা বাধ্য হয়ে এসব সহ্য করে । সহ্য না হলে মরে।

তার মা সৎ মাও যেহেতু মরেছে হিসাব পরিস্কার । এটা খানিকটা জিনগত । পারিবারি ইতিহাস চেক করে দেখলে দেখা যাবে দাদা পারদাদাও তাদের স্ত্রীদের সাথে এমন কাজই করতেন !

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: মাথা খাতিয়ে মন্তব্যের উত্তর দবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার সাথে কিছুটা একমত আমি। তার পরিবারের পুর্বপুরুষগনের কোষ্ঠি বিচার করলে এটা যে জেনেটিক সেটা উপলব্ধি হয়।
তবে এমনটা হয়ে থাকলে তার দায় কতটুকু। আমরা এই খারাপ জিনকে কতটুকু কন্ট্রোল করতে পারি বলে আপনার মনে হয়?

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কোন ব্যক্তিগত বক্তব্য দিতে চাচ্ছি না তবে পুরো বিষয়টিই বেশ দুঃখজনক।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: নিশ্চিতভাবেই দুঃখজনক ভাই। ব্যক্তিগত মতামত দেয়া না দেয়াটা আপনার নাগরিক অধিকার।
তবে ইছে হলে কখনো জানিয়ে যাবেন।

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: এজন্যেই সে ধার্মিক দেখে মেয়ে বিয়ে করে যাতে তার কুকর্মের কথা বাইরে চাউর না হয়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে। কিন্তু পরের মেয়েটা সম্ভবত তেমন ধার্মিক ছিলনা সম্ভবত।
চাইলে কি না চাইলেই কি -সবাই তাকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে। এটা কম শাস্তি নয়।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিষয়টা বেশ রহস্যজনক। এটা ওই লোকের জেনেটিক রোগ হতে পারে কিন্তু রহস্য অন্য জায়গায় যৌন অত্যাচার সহ্য না করতে পারলে মেয়ে চলে যাবে বা ডিভোর্স দিবে আত্নহত্যা করবে কেন? আর একই ঘরে স্ত্রী আত্নহত্যার করলো কিন্তু স্বামী জানতেই পারলো না বিষয়টা তদন্ত হওয়া উচিৎ ছিলো। মেয়ে পক্ষের লোকজনই বা কেমন, আত্নহত্যা করলো কিন্তু কেন করলো এটার তদন্ত করবে না? আমার ধারণা ওই স্বামী'ই খুনি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো এই কথা এমন কি যৌন নিপিড়ন করল যে পর পর দুটো মেয়ে আত্মহত্যার মত কঠিন পথ বেছে নিল? অন্য অনেক বিকল্প পথ খোলা ছিল। নারী নির্যাতনের একটা কেস দিলে মামা দৌড়ের উপ্রে থাকত।
তবে শারিরিক না হলেও সে ভয়াবহ মানসিক অত্যাচার করত- সেগুলো সহ্য করা কঠিন। সেসব নিয়ে আর আলোচনা করতে চাচ্ছি না-বড্ড রুচিহীন।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লাস্ট লাইন পড়ে সত্যিই সবচাইতে বেশি ধাক্কা খেলাম। একই পরিবারে এতগুলো আত্মহত্যা, অথচ কোনোটারই তদন্ত ও মামলা হয় নি, এটাই বরং বেশি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। যে-ছেলে তার মামা-মামির শিৎকারের বিষয়টা বুঝতে পারলো না, এতই সরল, তার কাম-বিকৃতি ঘটাটাও মেলাতে পারছি না। কারো যৌন অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে পর পর দুই স্ত্রী আত্মহত্যা করবেন, এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। একজন স্ত্রীকে মাত্র একজন পুরুষ (স্বামী) আর কত যৌন অত্যাচার করতে পারবে? তবে, বিকৃতি ঘটলে তা অবশ্য আনলিমিটেড ও অসহ্য পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

পুরো বিষয়টি আসলেই রহস্যময়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু নয় ভীষন রহস্যময়। আর দুটো আত্মহত্যার সময়কাল প্রায় একই। জুমার নামাজের সময়।
নিপু নিয়মিত জুমার নাজ পড়ে। সে ওদিন নামাজে না গিয়ে থাকলে বিষয়টা তার বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীর নোটিশ করার কথা।
তার যে যৌন আচরন অস্বাভাবিক ছিল সেটা আমরা নিশ্চিত- তবে এর থেকেও ভয়াবহ ছিল তার মানসিক নিপিড়ন। সেটা দিনের পর দিন সহ্য করা কঠিন।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

নতুন বলেছেন: যখন এটা নিয়ে আপনি ভাবছেন তখন এমন একটা তথ্য হাজির করব যেটা আপনাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিবে;
তার নিজের মা ও সৎ মা দু’জনেই আত্মহত্যা করেছিল!


অনেক হত্যাকেও আত্নহত্যা বানিয়ে ম্যেনেজ করে ফেলে :(

আর একটা পরিবারে এতো আত্নহত্যার পেছনে অবশ্যই পরিবাবরের মানুষগুলির আচরন দায়ী।
কম কস্টে একজন মানুষ আত্নহত্যা করে না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

শেরজা তপন বলেছেন: সেটা ঠিক তার আপন মা পাঁচটা অবুঝ ছেলে মেয়ে রেখে কম কষ্টে আত্মহত্যা করেনি। তবে আরো রহস্যময় তার সত মায়ের আত্মহত্যার বিষয়টা। তার বাবার তিন নম্বর বউ নিয়ে আর কোন ঝামেলা হয়নি।
সেই বুড়া ৮০ বছর বয়সেও মেয়েদের দেখলে ছোঁক ছোঁক করত!! আমরা এসব নিয়ে অনেক হাসি ঠাট্রা করতাম।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর সুন্দর পোস্ট লিখুন।
সমাজের কালো দিক আর ভালো লাগে না। মানুষের জীবন হবে সহজ সরল সুন্দর।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: সুন্দর সুন্দর পোষ্টতো নিয়মিত আপনি লিখছেন। আমি ভাল মন্দ সব মিলিয়েই না হয় লিখলাম।
সমাজের কালোদিকগুলো না জেনে সহজ সরলভাবে শুধু ভাল বিষয়গুলো নিয়ে পড়ে থাকলে সামান্য ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাম গোপণ রাখবেন বলে তো নাম ফাস করে দিলেন। কামটা কি ঠিক করলেন মিয়াভাই!!! :-B

মানব-চরিত্রের কালো দিক নিয়া চিন্তা করলে কোন কূল-কিনারা পাইবেন না। তাই এইসব নিয়া মাথা না ঘামানোই ভালো। মাথায় এই ধরনের বিষয় নিয়া চিন্তা যতো কম আনা যায়, ততোই ভালো। আর হোরাসের চউক্ষের একটা তাবিজ কোমরে ধারন করেন। হোরাসের ইচ্ছায় এইসব বালা-মুসিবতের চিন্তা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। B-)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: কৈ নাম ফাঁস করলাম!! ওইটাতো ছদ্মনাম।
আহারে ভুইল্যাই গেছিলাম আাপনার সেই বিখ্যাত হোরাসের তাবিজের কথা :) আমিতো একটার অর্ডার দিছিলাম মনে হয়।
টাকা ক্যামনে পাঠামু কইয়েন।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই বন্ধু নিজেই সেই ধর্ষণে জড়িত ছিল। সে ধর্ষকামী মনে হয়। তার অণ্ডকোষ দুইটার মধ্যে একটা ফেলে দিলে ভালো হয়ে যেতে পারে। সেক্স পাওয়ার কিছু কমে গেলে তখন আর ধর্ষণ বা নিপীড়ন করতে ইচ্ছে করবে না। এইটা একটা টোটকা সমাধান দিলাম আর কি।

অনেক আগে নবম বা দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার এক বন্ধু গল্প করে বললে যে সে দেখেছে যে এক নববধূ রাতের বেলায় দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। আসে পাশের মানুষও হৈ হুল্লোড় শুনে উঠে পড়ে। পরে জানা যায় যে নতুন স্বামী নাকি মেয়েটার গোপন অঙ্গ কামড়ে দিয়েছিল। ভয়ে মেয়েটা ঘরের বাইরে চলে যায়। এটা গ্রামের ঘটনা।

আরেকটা ঘটনা শুনেছি বন্ধুদের কাছে। এটাও গ্রামের ঘটনা। বাসর রাতে বউ নাকি এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্বামীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন মেয়েটিকে ধরে পুকুর পাড়ে নিয়ে মাথায় পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরায়।

আরেকটা ঘটনা বলি। এটা আমার চাকরী জীবনের প্রথম দিকের ঘটনা। বাংলাদেশে যে কোম্পানিতে চাকরী করতাম সেটার মালিক ছিল পাকিস্তানি। সেখানে দুই জন পাকিস্তানি আধা ইঞ্জিনিয়ার ছিল প্রকল্পের কাজ দেখার জন্য। এদের মধ্যে সমকামি সম্পর্ক ছিল। গেস্ট হাউজে এক রুমে থাকতো। এমন কি গেস্ট হাউজের অল্প বয়সী কেয়ার টেকারকেও এই রাস্তায় আসার জন্য অনুরোধ করে দুই জনের মধ্যে যে বিবি ছিল (একজন মিয়া আর আরেকজন ছিল বিবি, এটাই আমরা জানতাম)। তবে সেই ছেলে রাজী হয় নাই। তো এই পাকিস্তানি মিয়া সাহেবের ইচ্ছে হয় বাংলাদেশেও একটা বিয়ে করার। তাকে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু দুই মাস পরে রাতের আঁধারে মেয়েটি পালিয়ে যায়। আমাদের ধারনা উলটাপালটা কিছু হয়তো করেছিল যেটা মেয়েটার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয় নাই।

একটা মেশিনের যেমন ষ্ট্যাণ্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজিউর থাকে বিছানার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই ধরণের এস ও পি থাকা উচিত।

আরেক ছেলে বিদেশে থাকে বিয়ে করেছে। কিন্তু তার নাকি পুরুষত্ব নাই। ফলে মেয়েটি বিয়ে ভেঙ্গে চলে আসে। আবার এমন হতে পারে ছেলেটি সমকামি ছিল। এই বিষয়ে একটা জোকস মনে পড়েছিল কিন্তু দিলাম না। কারণ একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। তাছাড়া এই জোকস শুনলে মিররডল বলবে যে এই জোকস তো আমি কবেই শুনেছি তাই হাসতে পারলাম না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: 'মাথায় মাল উঠা' বলে একটা বহুল আলোচিত কথা আছে। এই মাল ওঠা পুরুষেরা আতকা উতকা এমন কর্মকান্ড করে যে ( বিশেষ করে বাসর রাইতে-তারা সারা জীবনের জমিয়ে রাখা নোংরা ফ্যান্টাসিগুলো একবারেই হালাল করতে চায়) একেবারেই নবীশ রমণী ভয় পেয়ে কান্নাকাটি থেকে শুরু জ্ঞান হারাতে পারে।
সমকামই পুরুষেরাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নিবীর্য পুরুষের খেতাব পায়।
আপনার মন্তব্যে অনেক নতুন বিষয় উঠে আসে সবসময়। জানা যায় অজানা অনেককিছু।
পৃথিবীর ৯৮ভাগ কৌতুক বহুল চর্চিত। লেখা বা বলায় তারাই সেরা যারা মোক্ষম সময়ে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে আদি কৌতুকের খোল নলচে পালটে ফেলে পরিবেশন করে। আপনি যে কৌতুকই যেভাবেই বলেন না কেন- কেউ একজন বলবে 'আগেই শুনছি'।
তবে আমি আড্ডার সমাঝদার আডদাবাজদের দেখেছি একই কৌতুক বারংবার শুনেও একই রকম মজা পায়- পুরোটাই তারা গভীর মনযোগ দিয়ে শোনা- কোন বা হাত ঢুকায় না :)

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: টাকা ক্যামনে পাঠামু কইয়েন। দেহি, একটা বিকাশ নম্বর যোগাড় করতে পারি কিনা!!! :-B

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: লন্ডনে দেদারসে বিকাশে জনগন টাকা পাঠাইতেছে। আপনার একটাও লন্ডনী বিকাশ নাম্বার নাই শুনে হতাশ হইলাম। দেশে মনে হয় দান ধ্যান করেন না!!

১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তপন ভাই ,

জ্যাক স্মিথ যে সন্দেহ করছে যৌন নিপীড়ন সহ্য করতে না পারলে কেন মেয়ে আত্মহত্যা করবে ? এটা আসলে আমাদের জায়গা থেকে বলা সবচেয়ে অবুঝের মত বলা কথা । মেয়েদের কী যৌনবস্তু বাদে আর কিছু মনে করা হয় ? মেয়েরা এখনও এমনভাবে গণ্য যে তারা যেকোন যৌন আচরণ সহ্য করতে শারিরীকভাবে প্রস্তুত । কিছুদিন আগে এক মেয়ের কাছ থেকে জানলাম তার স্বামী তাকে মুখ-মৈথুন করতে বলে কিন্তু সে ঘেন্নায় করতে রাজি হয় না , সে এর জন্য মুরব্বি কাছের যাকেই বলে তারাই তাকে বলে যে এখন বিভিন্ন ফ্লেভারের কনডম পাওয়া যায় সেসব ব্যবহার করতে । কিন্তু এই কাজটা যে তার অপছন্দ এটাই কাউকে সে বোঝাতে পারছে না । সে প্রচণ্ড মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে । তো ওর পরিবার কী ওকে সাহায্য করেছে ? মেয়েদের একবার বিয়ে দিয়ে দিতে পারলে এই দেশে মনে করা হয় বোঝা নেমেছে । আর এই বোঝাকে কাঁধে তুলতে চায় না তারা । ফলাফল মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মৃত্যুকেই আপন করা ।

এবার আসি নিপুর কথায় , আচ্ছা ভাইজান কিছু মনে করবেন না । আমার এই অনুমানকে ক্ষমা করবেন , আপনার কী মনে হয় না নিপুর পরিবারের নারীরা পারিবারিক ধর্ষণের স্বীকার হতে পারে ? ধার্মিকা নারীদের প্রথম শিক্ষা দেয়া হয় স্বামীর সেবা । এই সেবা মানে যে স্বামীর যথেচ্ছা যৌন সেবা সেটা আর বলার বাকি থাকে না । তো তার কারণে নারীরা সদা প্রস্তুত থাকে স্বামীর সেবার জন্য । তার ওপর আবার গ্রামের মেয়ে , গ্রামের মেয়েরা যৌনজ্ঞানে শহরের মেয়েদের চাইতে কয়েকগুণ বেশি দক্ষ । কারণ অবস্থাশীল পরিবার ছাড়া প্রাইভেসি ব্যাপারটা গ্রামের পরিবারগুলোতে থাকেই না । তাই বলতে চাইছিলাম এখানে হয়তো আরও ভয়ানক কিছু ঘটেছে । এটা আমার অনুমান , আমি যে সঠিক তা বলছি না তবে আমার অনুমানকে আমি প্রাধান্য দিচ্ছি এই যা !

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উল্লেখিত প্রথম বিষয়টা তথাকথিত অনেক ভদ্রজনের স্ত্রীর বেলায়ই প্রযোজ্য। এমন বেকায়দায় বহু রমণী আছেন।
তবে এখন দিন পালটে যাচ্ছে। অভিভাবকেরা এখন তাদের কন্যা সন্তানদের অনেক বেশী মূল্যায়ন করেন। মেয়েরাও শিক্ষা দীক্ষা ব্যক্তি স্বাধীনতায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।
এটা গ্রামের ঘটনা নয়। ঘটনা খোদ ঢাকা শহররে। ওর বড় আরো তিন ভাই এর সাথে আমাদের বেশ আন্তরিকতা ছিল- তাদের সংসারে অদ্যাবধি কোন ঝামেলা শুনিনি। তবে ওর একটা বোন আছে যার চাহণী আচরণ দেখে আমার মনে হোত সেক্স ম্যানিয়াক!
বাবার স্পেশাল জিনটা মনে হয় সে পেয়েছিল।
ভয়ানক কিছু তো অবশ্যই ঘটেছে। কিন্তু রহস্যটার কোন সমাধান না হওয়ায় আমরা কাউকে তেমন ভাবে দোষারোপ করতে পারছি না।
মন্তব্যের উত্তর দেরিতে দেবার জন্য দুঃখিত।
সুদীর্ঘ চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরেকটা কথা বলি , ধর্ষণের প্রতক্ষ্যদর্শী যদি ধর্ষণ দেখেও স্বাভাবিক থাকে তবে বলতে হয় সে ঐসব ধর্ষকদের চাইতেও বড় ভয়ানক কেউ , হতে পারে তা সে লুকিয়ে রাখে অথবা সে এটা আরও ভয়াবহভাবে উগড়ে দেয় !!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে আপনার এই পর্যবেক্ষণটা সঠিক হবার সম্ভাবনা আছে।

১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

শাওন আহমাদ বলেছেন: জরিপ করলে দেখা যাবে এরকম বিকৃত যৌনাচার অনেক ঘরেই ঘটে যাচ্ছে রোজ। আমি নিজেও আমার আশেপাশে থেকে এমন অভিজ্ঞতা নিয়েছি। আচ্ছা নিপুই কি বিকৃত যৌণাচার করতে গিয়ে বৌ গুলোকে মেরে ফেলে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেয়নি তো আবার?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে আবার না ও পারে। যদিও বন্ধু নিপুকে যেভাবে চিনি তাতে আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও মোদ্দা কথা মানুষকে চেনা বড় দায়!
যেহেতু বিষয়টার সুরাহা হয়নি সেজন্য এটা রহস্যের তিমিরেই রয়ে যাবে। আসল ঘটনা হয়তো কোনদিন জানা যাবেনা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার মনে আছে নোয়াখালীর নুসরাত ও মাদ্রাসা শিক্ষক সিরাইজ্যার কথা। এরা পুরুষ হয়ে জন্মেছে ঠিক, কিন্তু মানুষ হতে পারেনি। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে আর কিছু করা হয় না। এরা সমাজে বসবাস করে আর দশটি মানুষের মতো, আসলে এরা মানুষ না, এরা নষ্ট নর্দমার কীট।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: সেই আলোচিত ঘটনা কিছুটা মনে আছে।
(আমি নিজেই মানুষ হতে পারলাম না আর বাকি হোমোসেপিয়েন্সদের কথা কি বলব। :( )
এমন খারাপ মানুষ কোন প্রাণ ও প্রাণীর সাথেই তুল্য নয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
নিপুর নিপুনা পড়ে রাগ হচ্ছে কিন্তু একদম শেষে ওর পরিবারের এতো গুলো হত্যা দেখে করুণাও হচ্ছে। নিঃসন্দেহে ট্রাজিডিক পরিবার। কিন্তু এমন ভাবে আরো কতো নিপুর বিভৎসতায় কতো প্রাণ অকালে ঝরে যাবে সেটাই বড় আশঙ্কার...

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ওরা যেন কেমন ছাড়া ছাড়া আগোছালো একটা পরিবার ছিল! ঘরের বাইরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত।
বাপকে সবাই ভয় পেলেও কারো মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ বা হৃদ্যতা তেমন ছিল না।
আপনার কথার সাথে নিঃসন্দেহ আমি একমত। এধরনের ট্রাজেডি মানুষের মানসিকতাকে আরো বেশী বিকৃত করে ফেলে।
তবে নি পু আর বিয়ে করেনি কিংবা করতে পারেনি। ছেলেকে সাথে নিয়েই তাঁর জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাই মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন

১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: হয়তো আপনার বন্ধুর বংশ পরম্পর বিকৃত যৌনাচারে অভস্ত্য। যা স্বাভাবিক মানুষের জন্য সহ্যকর নয়। বিকৃত রুচির যৌনাচারীরা অদ্ভুত সব ক্রিয়া কর্মে লিপ্ত থাকে। অনেকে যৌনাচারের সাথে প্রেত চর্চাও করে থাকে যৌনশক্তির বৃদ্ধির জন্য এবং সেই যৌনাচার মোটেও সুস্থ্য না। আপনার বন্ধুর পরিবারের অতীত ইতিহাস খোজা জরুরী। এটা অপরাধের সামিল।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আসলে এই ব্যাপারটা বাইরে থেকে জানা অসম্ভব। আমরাতো সবাই মুখোশ পরা মানুষ।
তবে কিছু ক্ষেত্রে ধারণা করা যায়।
তবে যৌন নিপীড়নের থেকে তাঁর মানসিক নিপিড়িন আরো ভয়াবহ ছিল।
এসব কথা বলতেও রুচিতে বাধে;
সবচেয়ে সাধারণ একটা অত্যাচারের কথা বলি;
* ধরুন যে, তাঁর গিন্নি এক সপ্তাহে দু'বার মোবাইলে ৫০ টাকা ফ্লেক্সিলোড করতে বলেছিল বলে সে তাঁর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়েছিল।

১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২

জটিল ভাই বলেছেন:
বিষয়টাকে আপনি স্বাভাবিক, ব্যক্তিস্বাধীনতা, আধুনিকতা ইত্যাদির মাঝে কোন ক্যাটাগরিতে স্থান দেবেন?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: নিশ্চিতভাবে এরকম ঘটনা ভীষন ভাবে অস্বাভাবিক! ব্যক্তিস্বাধীনতা-তো নয়ই অবশ্যই -আপনি কার ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলছেন?
আধুনিকতার কিছুটা ছোঁয়া থাকতে পারে- তবুও এটাকে বর্বর পুরুষতান্ত্রিক যুগের সাথে তুলনা করব।

১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

সোহানী বলেছেন: ১৭টা মন্তব্য হলেও কোন মেয়ে ব্লগার এখনো মন্তব্য করেনি। কারন কি?

কারন, যে বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আমরা মেয়েরা এখনো যে পর্যায়ে মানসিকভাবে তৈরী হয়নি যে তা নিয়ে কথা বলবো। এ ধরনের অত্যাচার খুব কমন বিষয়। আর আমাদের মেয়েরা যেহেতু এ বিষয় নিয়ে কথা বলে না তাই এর মাত্রাটা আরো বেড়ে গেছে।

এখন প্রশ্ন, কেন মেয়েরা কথা বলে না?

কারন,

মেয়েদেরকে জন্ম থেকে সেক্স এডুকেশান বলে কিছুই শেখানো হয় না। বিয়ের মাধ্যমেই শেখে, তারপর এর বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় এটাই তারা জানে না।

জন্ম মেয়েদেরকে শেখানো হয়, স্বামীর পায়ের নীচে বেহেস্ত। এর মন রক্ষা না হলে বেহস্ত শেষ। তাই মেয়েরা ভাবে, এ কুলতো গেল বেহেস্ততা অন্তত থাক। পর জনমে সেটা নিশ্চিত হোক।

.............. আর পশ্চিমা বিশ্বের দু'টো সুবিধা, এক, সেক্স এডুকেশান শেখানো হয়। পিউবার্টি থেকে মেয়েরা অনেক কিছুই জানে। দুই, এখানে ডিভোর্স খুব সাধারন বিষয়। মেয়েরাডিভোর্স দিয়ে বেচেঁ থাকে, আত্মহত্যা করতে যায় না।

এখন এর সমাধান কি?

আমি বলবো,
১) সেক্স এডুকেশান খুব প্রয়োজন।
২) ডিভোর্সকে কৃৎসিত চোখে দেখা বন্ধ করা।
৩) নারীর ক্ষমতায়ন: শিক্ষা, নিজের পায়ে দাঁড়ানো, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো.......................
৪) বাবা-মা সহ মেয়েদের পরিবারের মানসিকতার পরিবর্তন খুব জরুরী।

ধন্যবাদ, এমন স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে লিখার জন্য। যত লিখবেন, আলোচনায় আনবেন তত মানুষ জানবে ও সাবধান হবে। আর এ অসহায় মেয়েগুলো বেঁচে থাকবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও অধীর সাগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম একজন নারী ব্লগারের মতামতের, অন্তত ভেবেছিলাম আপনি না হয় মিরোর আপু কিছু বলবেন।
হতাশ হতে হতেও হলাম না।
আপনার খোলামেলা মন্তব্যে আমি দারুণভাবে প্রীত হইলাম।
আপনার উল্লেখিত সমাধানের চারটে বিষয়ই একেবারে সঠিক।
আমাদের দেশে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবারই সেক্স এডিকেশন অনেক বেশী জরুরি। তবে সুখের বিষয় যে ইদানিং মেয়েরা ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে
আমাদের সমাজে ট্যাবু করে রাখা এইসব বিষয়গুলো নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারছে।
তবে ইচ্ছে হলেই ডিভোর্সের ব্যাপারটায় আমি ঘোর বিরোধী। বিশেষ করে যাদের সন্তানাদি আছে। মানুষকে সুযোগ সময় দিলে পাশাপাশি থেকে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়- এজন্য দরকার কাউন্সিলিং। এছাড়া অনেক মেয়েরাই এই সুযোগে সবখানে অগ্রাধিকার পাবার জন্য পুরুষদেরকে মিথ্যে বলে ফাঁসিয়ে দেয়।

ফের কথা হবে এসব নিয়ে অনেক ধন্যবাদ।

২০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন:
আমি সোহানীর মন্তব্যে একটা লাইক দিয়েছি।আর কিছু বলার নাই।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনে ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ কামাল ভাই।

২১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

নীহার ইবসেন বলেছেন: বলিউডে কাবিল নামের একটা সিনেমা আছে। যেখানে নায়িকা অন্ধ থাকে । দ্বিতীয়বার ধর্ষণের শিকার হবার পর সে আত্মহত্যা করে।
বাড়িতে আপনার বন্ধু কিংবা তার বাবা ছাড়া অন্য কোন পুরুষের উপস্থিতি কি থাকে। এমন তো হতে পারে , তাদের পরিচিত কেউ ধর্ষণ করে ঝুলিয়ে রেখেছে। জুমার নামাজ সময়টা গুরুত্বপূর্ণ । এসময় বেশিরভাগ পুরুষ ঘরের বাইরে থাকে। অন্য কেউ তো সুযোগটা নিতে পারে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: কাবিলা ছবি আমি দেখেছি।
না তাঁর বাসায় সে তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে থাকত। তাঁর বাবার বিয়ে করা তৃতীয় স্ত্রীর সাথে তাদের সদ্ভাব ছিল না। ভাইয়েরা সব যার যার ফ্যামিলি নিয়ে থাকে।
আপনার কথা সত্য হতে পারে। তবে পুলিশ মৃত্যুর পূর্বে তাঁর শারীরিক সম্পর্কের আভাস পেলেও- ধস্তাধস্তির কিংবা ভাংচুরের কোন আলামত পায়নি।

আপনাকে মনে হয় প্রথমবার আমার ব্লগ বাড়িতে পেলাম। অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

২২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে ক মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে। দেখলাম এখনো অনেক গুলো মন্তব্যের উত্তর দেন নি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: ফের ধন্যবাদ। আগেই বলেছিলাম একটু চোখের সমস্যায় ভুগছি দেখে ব্লগে বিচরন কমে গেছে।
তাই ধীরে সুস্থে মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছি।

২৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: ভয়ংকর মানুষেরা তাদের বিকৃতিকে চরিতার্থ করার জন্য ধার্মিক পরিবার খুজে নেয়। যাদেরকে শেখানো হয় এর অন্যথা হলে তাদের পরকালে ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। কতটা অমানুষিক যন্ত্রণা ভিক্টিমের জন্য। ভাবা যায় না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে খুব কম দেখা যাচ্ছে আজকাল। সপ্তাহ দু'য়েক আগে একটা লেখা দেখেছিলাম। ইচ্ছে থাকলেও লেখাটা পড়া হয়নি। বলে দুঃখিত।
এটা কিছু ক্ষেত্রে ঠিক। তবে বিকৃত যৌনাচার শুধু পুরুষদের মধ্যে নয় নারীদের মধ্যেও আছে।
গোঁড়া ধর্মীয় পরিমণ্ডলে যেসব মেয়েরা বেড়ে ওঠে তাদের এমন বিষয়গুলো শারিরিকতো বটেই মানসিকভাবে মেনে নিতেই বেশী কষ্ট হয়।
তবে বেশীরভাগ মেয়েরা আত্মহত্যা মহাপাপ বলে আত্মহননের ইচ্ছেটা এড়িয়ে যেতে বাধ্য হয়। উভয় পক্ষকে সেক্স এডুকেশন দেয়া হলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হোত না বলে আমার মনে হয়।

২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




ঘটনাটা পড়ে অনেকগুলো প্রশ্ন বা সন্দেহ চলে আসে, কি হতে পারে?
Brutal sexual pervert or rape or murder?
তিনটাই পসিবল। অথবা একটার সাথে আরেকটা সম্পৃক্ত।



০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে মিস করছিলাম। অবশেষে এসেই বোম ফাটালেন!!
আপনার সন্দেহটা অমুলক নয় তবে বিয়ের পাঁচ সাত বছর পরে এমনটা হবার কথা নয়। সেক্সচুয়াল পার্ভাসান ছিল কিন্তু সে ছিল আরো বেশী মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ- মেয়েটা সম্ভবত দিনের পর দিন উভয় অত্যাচার সহ্য করতে পারেনি। আমি মুলত দায়ী করব মানসিক অত্যাচারের বিষয়টা।
আমি যেমন কিছুটা আভাস পেয়েছি; সেদিন মেয়েটার আত্মীয়ের কোন বিয়ের দাওয়াত ছিল, বহু অনুরোধ অনুনয় বিনয় করার পরেও সামর্থ্য থাকা সত্বেও তাঁকে একটা শাড়ি কিনে দেয়নি। সেই নিয়ে হয়ত সে অভিমান করে খায়নি দুদিন। তাঁর মান অভিমানের কোন মূল্যায়ন সম্ভবত নিপু বরাবরের মত সেদিনও করেনি। কিছু পুরুষের ধারনা মেয়েরা রাক করলে জোড় করে সেক্স ( একটু ব্রুটালি) করলে মান ভাঙ্গতে বাধ্য হয়( আমি এমন কিছু মানুষদের জানি)। তাঁর এহেন আচরনে সেদিন সে মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে। সম্ভবত সে আত্মহত্যাই করেছিল।

মেয়েটার বাবা খুব ধার্মিক ও ভদ্র মানুষ ছিলেন। ওরা চার বোন সম্ভবত; কোন ভাই নেই। সে বড় মেয়ে ছিল। তাদের বোনদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। নিপু সম্ভবত অন্য কোন বোনের প্রতি আসক্ত ছিল। মেয়ের কবরের জায়গাটাও বাবা কিনে দেয়।

তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর ব্যাপারে সবকিছু ধোঁয়াশে।

২৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এখানে একটা আশ্চর্যজনক বিষয় হলো । দুটো আত্মহত্যাই( খুন হলেও হতে পারে আপাতত এই শব্দ ব্যবহার করছি তবে নিশ্চিতভাবে নয় ) শুক্রবারে ঘটেছে । অন্য দুজন নারীর ব্যাপারটাও জানলে ভালো হত । আপনার বন্ধু কী আবার বিয়ে করেছে ?

আরেকটি কথা আমি প্রথম যে ঘটনার কথা বলেছি তা ভদ্রঘরের ঘটনা !!!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: না সে আর বিয়ে করে নি বলে ই জানি। বছর পাঁচেক আগে একবার দেখা হয়েছিল। যতদুর জানি সে তাঁর ছেলেকে নিয়েই থাকে।
ব্যাবসায় সুবিধা করতে না পেরে চাকুরিতে ঢুকেছে। ছেলের প্রতি সে নাকি প্রচন্ড দায়িত্বশীল।
বাইরে সবাই ভদ্রতার মুখোশ পরে থাকে। যৌন আচরণে সভ্য অসভ্যের পার্থক্য কম।

২৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




দুটো আত্মহত্যাই শুক্রবারে ঘটেছে।

That's why it could be pre-planned murder.

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারনা প্রথমটা মার্ডার নয় - তবে আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য সে দায়ী।
দ্বিতীয়টার ব্যাপারে আমি তেমন কিছুই জানি না। কোন খবর নেবার চেষ্টাও করিনি। দ্বিতীয় বিয়ের সময়ে আমরা কেউ উপস্থিত ছিলাম না। প্রথম স্ত্রী মারা বেশ আগে থেকেই সে আমাদের থেকে দূরে সরে গিয়েছিল- যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল।

২৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: That's why it could be pre-planned murder.


কেন আপা ? এভাবে দেখানোর জন্য যে শুক্রবারে কোন পুরুষ ঘরে থাকবে না আর তাই এরা আত্মহত্যা করেছে এমন মিথ্যা গল্প ফাঁদার জন্য ? কিন্তু খুনের পেছনে কারণ কী ?

খুন করলে নিপুর কী কোন লাভ হবে উল্টো তার পৈশাচিক চাহিদা মেটানোতে ভাটা পড়ে যাবে না ? এটা একবার ভেবে দেখো আপা ।

২৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




সবকিছুই অনুমান মাত্র কি কি হতে পারে, nothing concrete.

যদি আত্মহত্যা হয়, তাহলে দুজন ভিন্ন মানুষ একই দিন, একই সময় বেছে নিবে এটা স্বাভাবিক না।
দিন মিলতেই পারে, সময়ও মিলে যাবে??

As a sexual pervert and psychopath, he can do anything everything.

এভাবেই হয়তো খুন করা। মোটিভ অনেককিছু হতে পারে, বিকৃতি আনন্দ অথবা নতুন কাউকে আবার এবিউজ করার প্ল্যানিং।

এই যে ফিজিক্যালি পাশবিক অত্যাচার, এটা কাইন্ড অভ রেইপ। অনেক রেপিষ্ট ভিকটিমকে মেরে ফেলে, সেও হয়তো কিছুদিন একসাথে থাকে অত্যাচার করে, তারপর মেরে ফেলে।

আমার যে বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন কেনো দুটো আত্মহত্যার কারো পরিবার কোন ইনভেষ্টিগেশনে যায়নি, এটা কি সুইসাইড নাকি মার্ডার। This is a grey area.



২৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কত রকমের বিকৃত মনের পুরুষ যে আছে বলে শেষ করা যাবে না। আমার এক বোন (কাজিন) আছে। যার বড় ছেলের বয়স ২২ বছর হবে। একদিন আমার সেই বোন বাসার বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। হঠাৎ দেখে যে সামনের বাড়ির বারান্দায় একটা লোক প্যান্টের চেন খুলে তাঁর অঙ্গ দেখাচ্ছে আমার সেই কাজিনকে উদ্দেশ্য করে। আমার বোন ভিতরে চলে আসে। পরে তার বড় ছেলেকে ঘটনা খুলে বলে আর বলে যে তুই গিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়া তাহলে লোকটার লজ্জা হবে। আমার ভাগিনা তাই করে। পরে লোকটা ভিতরে চলে যায়। আমি শোনার পরে বলেছিলাম যে পাওয়ারফুল জুম লেন্সের ক্যামেরা দিয়ে লোকটার ঐ অবস্থার তুলে রাখা উচিত ছিল। তারপর ফেইসবুকে দিয়ে দেয়া উচিত ছিল। সেই বাসায় সেই রকম ক্যামেরা ছিল।

আমার স্ত্রীর কাছে শুনলাম তার এক ভাবি কাম বান্ধবী (বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার সুত্রে পরিচয়) বাচ্চা আনতে স্কুলে গেছে। একটা গাড়ির পাশে তিনি দাড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ দেখেন যে সেই গাড়ির ভিতরে ড্রাইভার তার মূল্যবান অঙ্গ বের করে ঐ মহিলাকে দেখিয়ে হস্তমৈথুন করা শুরু করেছে। এগুলি স্পষ্ট বিকৃতি এবং মানসিক রোগ। এগুলির চিকিৎসা হোল লোক জড়ো করা। কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েরা সামাজিক কারণে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করে না। তবে ইডেন কলেজের সামনে করলে খবর আছে। ধরে লবণ লাগিয়ে দেবে।

৩০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




To me, lovemaking is an art. This is the most spontaneous game in love relationship where both can contribute and enjoy their moment. Most interesting, this is the only game where one's victory means unsuccessful, where tie is a successful ending. যেখানে রোমান্স থাকবে, ফান থাকবে, both players must be happy.

সেরকম একটা সম্পর্কে যদি পাশবিক নির্যাতনের জন্য আত্মহত্যা করতে হয়, এর চেয়ে ট্র্যাজিক স্টোরি আর কি হতে পারে!!!!!!!!!!!!!


৩১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: দুঃখিত মোবাইল ভার্সনে থাকায় মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছি না! মিরোর আপুর শেষের মন্তব্যটা চমৎকার এই নিয়ে সম্পুর্ন একটা পোস্ট হতে পারে। প্রিয় মিরোর আপুকে অনুরোধ করছি আপনি এই বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট দেবেন।অপেক্ষায় রইলাম...

৩২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপা তদন্ত করবার একটি পদ্ধতি হলো একগাদা অনুমান করে বেশ কয়েকটা সম্ভাবনা তৈরী করে এগিয়ে যাওয়া । যেই সম্ভাবনাটা সবচেয়ে বেশি তথ্য প্রমাণভিত্তিক ও যৌক্তিক তাকেই আঁকড়ে ধরে এগোতে হয় । যদিও এই পদ্ধতি সবসময় সঠিক নাও হতে পারে । তাই সব অনুমানকেই বিচার করতে হবে । যদি তুমি সত্যটা জানতে চাও !!

একই সময় হবার পেছনে কারণ হতে পারে , হয়তো সেই সময় কোন পুরুষ বাসায় থাকে না এবং নারীরাও ব্যস্ত থাকে প্রায় । তাই সে সময়টাতে আত্মহত্যা একদম সহজ । আমি তো বলেছিই আর দুজন নারী যদি একই দিনে আত্মহত্যা করে তবে বলতে হয় এখানে আমাদের আরও গভীরে ভাবতে হবে ।


বিকৃত আনন্দ* হ্যাঁ এটা একটা কারণ হতে পারে । আবার এও হতে পারে যে তার হয়তো এভাবে খুন করবার মধ্যেও মানসিক আনন্দ আছে আমি এখানে ম্যাসোকিজমের কথা টানছি । এটা হতেই পারে । তবে আপা একটু বলি প্রথম লাশটার ক্ষেত্রে এভাবে মারধরের কোন চিহ্ন নেই । টু ফিঙ্গার টেস্টের ব্যাপারটা জানা গেছে কেবল । তাই ম্যাসোকিজমকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া যাচ্ছে না ।


এখানে সঠিক অনুমান (Infer) করবার জন্য যথেষ্ট তথ্য নেই । আর পরিবারগুলোর উচ্চবাচ্য নেই এখানেও একটা সমস্যা । আচ্ছা আপা আরেকটি বিষয় , তুমি কী খেয়াল করেছো শেরজা ভাই বলেছেন ওর বোনের চাহনি ভালো ছিলনা , আচরণও । তুমি কী এখানে একটা ইঙ্গিত পাচ্ছো না ?

৩৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: To me, lovemaking is an art. This is the most spontaneous game in love relationship where both can contribute and enjoy their moment. Most interesting, this is the only game where one's victory means unsuccessful, where tie is a successful ending. যেখানে রোমান্স থাকবে, ফান থাকবে, both players must be happy.

আমার এক বন্ধু লেখক একটা বই লিখেছিল । প্রকাশ হয়েছিল ২০২১ এ । বইটির নাম "ধর্ষণ: একটি দার্শনিক জিজ্ঞাসা" । তার সেখানে সে স্পষ্টভাবে একটা কথা বলেছিল । অধিকাংশ মানুষ যৌনসম্পর্কে যায় ইরোটিক্যালি নয় এক প্রকার তাড়াহুড়ো ও নিজেকে গুরুত্ব দিয়ে । পৃথিবীর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক মোটেও প্রেমের নয় পুরোপুরি পাশবিক কিংবা একপেশে । এমন অনেক কেস তুমি পাবে অনলাইনে । তার সেই বইতে সে একটা বিষয়কে প্রগাঢ়ভাবে তুলে ধরতে চেয়েছিল , যৌনতার সম্পর্কে ভুল ধারণা আমাদের সমাজে ধর্ষণ , তার মধ্যে একটি হলো যৌনতার সংজ্ঞা নিয়ে ভুল ধারণা । তুমি যা তুলে ধরলে এটা একটা মিথ আপা , রেগে যেও না আমি এটা বলছি কারণ এর অস্তিত্ব তুমি অনেক দম্পতির মাঝেই পাবে না , আনুমানিক ৯৬ শতাংশ দম্পতির মাঝে !!!

৩৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিরকুমার নিবর্হণ নির্ঘোষ ৯৬% দম্পতির বেড রুমের খবর কিভাবে জানলো?

৩৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: চিরকুমার নিবর্হণ নির্ঘোষ ৯৬% দম্পতির বেড রুমের খবর কিভাবে জানলো?

ওমা পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে চিরকুমার কোন বাধা নাকি ? তাছাড়া পরিসংখ্যান করে দেখে , ঠেকে না !! হেহেহেহেহ

৩৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা কথা বলবো কি না বুঝতে পাড়ছি না। একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি। তারপরও লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলে ফেলি।

আমি তখন নবম বা দশম শ্রেণীতে পড়ি। আমার বড় ভাইয়ের এক বন্ধু নীচের তলার ফ্লাটে একা ছিল কিছুদিনের জন্য। তার ভাইয়ের বাসা সম্ভবত। ভাই ভাবি সবাই কোথাও বেড়াতে গেছে। সেই বাসায় আমার বড় ভাই গিয়ে কয়েকদিন থাকলো কারণ তার বন্ধুর ভয় লাগে। একদিন আমি ঐ বাসায় গিয়ে একটা অমূল্য রতন পেলাম। একটা বই পেলাম যেটার নাম ছিল 'যৌন বিজ্ঞান - ১ম খণ্ড'। লিখেছেন সম্ভবত আবুল হাসনাত। আগে মনে হয় পুলিশের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। তারমানে আমার স্মরণ শক্তি বয়সের কারণে তেমন কমে নাই। এখন নেটে ঘেঁটে দেখি নাম এবং লেখক ঠিক আছে। রকমারি ডট কমে বেশ বিক্রি হচ্ছে। আমি সুযোগ পেয়ে একলা ঘরে সেই বই পুরোটা পড়ে ফেললাম দুই/ তিন দিনে ফাকে ফাকে। বইটা কিন্তু বেশ মোটা ছিল। আফসোস হতে লাগলো আহারে যদি দ্বিতীয় খণ্ড পাইতাম তবে কতই না ভালো হত। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হয় নাই। এই প্রথম খণ্ডের এক জায়গায় একজন বিদেশী মহিলা সাক্ষাতকারে বলেছেন যে প্রিয়জনের (স্বামী/ প্রেমিক) দ্বারা ধর্ষিত হতে নাকি খুব ভালো লাগে তার।

আপনি তো এই সব বিষয়ে অনেক কিছু জানেন। আপনার দেশ বিদেশের অভিজ্ঞতাও আছে। এই কথাটা কি সত্যি নাকি?

আমি, নারী বিরোধী এইসব উদ্ভট প্রশ্ন করার জন্য ব্লগ কর্তৃপক্ষ আবার আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কি না এটা নিয়ে আমি একটু চিন্তায় আছি। ব্লগের নীতিমালাটা আবার ভালো করে পড়তে হবে।

৩৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নিবর্হণ - চিরকুমারদের এই ধরণের পরিসংখ্যানে আগ্রহ থাকার কথা না।

৩৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: চিরকুমারদের এই ধরণের পরিসংখ্যানে আগ্রহ থাকার কথা না।

কাজের ক্ষেত্রে করতে হয় , আর লিখালিখি করতে গেলে তো করতে হয়ই । আপনি যৌনবিজ্ঞান নিয়ে যে বইয়ের কথা বললেন না ? কাজের জন্য আমাকে ওটাও পড়তে হয়েছে ।

৩৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল খুব ভালো মন্তব্য করেছে। যেটার কথা আপনি বলেছেন। আমার বিশ্বাস সে এই বিষয়ে সুন্দর একটা পোস্ট/ প্রবন্ধ লিখতে পারবে। শায়মা আপুর মত গরুর রচনা হবে না সেটা এটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি।

৪০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




শেরজা আমাকে পোষ্ট দিতে বললো!!!





০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: এভাবে ফাঁকি দিলে তো হবে না।
পোষ্ট দিতে বললে আপনি শুধু পিছলে যান- সমস্যা কি?

৪১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @মিরোরডডল

দিয়ে দাও আপা । দারুণ এক পোস্ট হবে । সোহানী আপার পোস্টের পর আর আগুনধরা পোস্ট এই ব্লগে আসেনি সাম্প্রতিক সময়ে ! তোমারটা হবে আমি নিশ্চিত !!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: ।একদম সঠিক- আপনার সাথে আমি সহমত।
এমন একটা আগুনধরা পোস্ট চাই ....

৪২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




হয় শেরজার ছাইয়ে ভেজাল আছে অথবা নেট ছেঁড়া, তা নাহলে বড়শিতে সঠিক আধার দিতে পারেনা।
সেকারণে মাছ শুধু পিছলে যায় :|

আমি কি ম্যাচের কাঠি, যে আগুন ধরাবো #:-S


০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: ছাই এ ভেজাল দেখে ভুষি মেলাতে হবে।
তবে বড়শি আধার ঠিকই আছে কিন্তু মাছে বড়শি না গিললে আমী কৈড়টাম- বোদ্দ বেসি চালাক মাছে। এড় আগে বড়শি গিলে ধরা খেয়েছে মনে হয়। :)

আপনি ম্যাচের কাঠি হতে যাবেন কেন- আপনিতো এটম বম্ব :)

৪৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:




কেনো আমি এই বিষয়ে লিখবো না, পরে বলবো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: সেই পরে টা কবে আসবে??

এক নেত্রীকে নিয়ে ট্রল হয়েছিল তিনি নাকি বলেছিছিলেন, ঈদের পরে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলব কিন কোন ঈদ সেটা পরে বলব।

৪৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: শেষে এসে ধাক্কা খেলাম ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ধাক্কাটা কেমনে খাইলেন বা কত জোরে খাইলেন সেটা বলে যাইতেন :)

৪৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কি বলব :(( বলার কিছু নাই। এ রকম নিপু ভাই হাজারে-লাখো-কোটি আমাদের আশে পাশে বিরাজমান।
গত কয়েক দিন শুধু বার বার পড়েই যাচছি সময়াভাবে মন্তব্য করছিনা । তারপরও আজ একটু সুযোগ পেয়ে কোনরকমে ----------------


আমার মনে হয়, স্বামী-স্ত্রী এবং সেক্স (পারস্পরিক বোঝাপড়ার যৌনতা) এই ৩ টি শব্দ সমার্থক। স্বামী-স্ত্রী'র সম্পর্কটা আপাতদৃষ্টিতে খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয় মনে হলেও তা খুব স্বাভাবিক বিষয় যেমন নয় আবার খুব অস্বাভাবিকও কোন বিষয় নয়। জগতে কোটি কোটি তথাকথিত স্বামী-স্ত্রী আছে তবে তারা যে দাম্পত্য জীবনে খুব সফল বা একে অন্যকে বুঝে এমনটা নাও হতে পারে শুধুমাত্র একে অন্যের মনের খবর না জানা তথা কে কোন সময় কোনটা চায় (স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই) তা না বুঝার কারনে। দাম্পত্য জীবনে সফল হবার জন্য একটু ত্যাগ-সমঝোতার সাথে সাথে একের প্রতি অন্যের সহানুভূতি সম্পন্ন মনোভাব উভয়কে উভয়ের কাছে নিয়ে আসতে পারে না চাইতেও।

আর যখন উভয়ে উভয়ের কাছে আসবে মন থেকে তখন তাতে যে জিনিষটার প্রতি উভয়ে সবচেয়ে বেশী প্রগাঢ় অনুভব করবে তা হবে শারিরীক আকর্ষণ/সংঘর্ষ তথা সেক্স কে। আগেই উভয়ে যেহেতু মনের দিক দিয়ে উভয়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে তখন পারস্পরিক সম্মতির কারনে যে কোন আসন কিংবা যতক্ষণ খুশি (উভয়ে উভয়ের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রাখা ও থাকার কারনে) খেলতে পারবে সাপের :P খেলা-সবচেয়ে মজার খেলা সাপলুডু । যাতে থাকবে থ্রিল-মজা- আনন্দ। যেখানে প্রতিমুহুর্তেই খেলার ধরন পরিবর্তন হতে পারে এবং থাকবে টানটান উত্তেজনা তবে কেউ হারবেনা। এটি হবে যে কোন দাম্পত্যে প্রেমের সম্পর্কের সবচেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত খেলা যেখানে উভয়েই অবদান রাখবে এবং প্রতিটা মুহূর্ত তারা উপভোগ করবে একসাথে মিলে। তবে খেলায় ফলাফল হবেনা , ম্যাচ হবে টাই ।

আর সব খেলায় জিত সবচেয়ে মজার-আনন্দের ব্যাপার হলেও , জগতে এটিই একমাত্র খেলা যেখানে একজনের জয় মানেই অন্যজনের ব্যর্থতার আগুনে পোড়া, আর তাই এই খেলাই টাই (কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমান সমান) একটি সফল সমাপ্তি। খেলার পুরোটা সময় ও মাঠ জুড়ে যেখানে থাকবে থাকবে রোমান্স , থাকবে ফান এবং উভয় খেলোয়াড়ই খুশি থাকবে ।

আর এসবই হতে পারে তখনই যখন একে অন্যকে জানতে-বুঝতে চাইবে এবং মনের দিক থেকে কাছাকাছি আসবে।সফল দাম্পত্যে সম্পর্কের জন্য যা অতি আবশ্যিক এক ইবাদতের মত। এতে সফল হলে সংসার জীবন সুখের কানায় কানায় ভরা থাকবে আর তা না হলে সংসার সং হার হয়ে যাবে।

আমাদের আলোচ্য নিপু ভাই নানা ভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে -

১। হতে পারে সে জেনেটিকেলি বাহক যেখানে তারা সব সময় অসীম কিংবা বিকৃত কাম ও মানষিকতার ধারক - বাহক।
২। হতে পারে কৈশোর বয়সে মামীর সেই শীৎকারে প্রভাব তার মনে ফেলা প্রভাব ।
৩। কিংবা সংগ দোষে লোহা ভাসার মতো কোন ঘটনা কিংবা
৪। অন্য আরো কিছু----------------

তবে ঘটনা যাই হোক , পুরো ব্যাপারটাই বেদনার এবং তার সাথে জড়িত দুটি মৃত্যর একটিও কাম্য ছিলনা।

আরো অনেক কিছুই বলার ছিল ভাইজান ।
তবে সময় -------- "ব্যাস্ততা আমাকে দেয় না ফুসরসত " ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: ও ভাই চমৎকার মন্তব্য
কিন্তু মন্তব্য যে কপি পেষ্টের দায়ে দুষ্ট !!!!

নীচে ছোট্ট করে লিখে দেন;মন্তব্যের কিছু অংশ সংগৃহীত বা মন্তব্যের বিশেষ অংশের রেফারেন্সঃ মিরোরডডল
এইরকম বেকায়দায়তো পড়ি নাই কোনদিন :(

৪৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:




জামান তার মন্তব্যে মাঝামাঝি এসে আমার একটা মন্তব্যের তর্জমা করে গেলো কিন্তু কোনরকম রেফারেন্স ছাড়া।
এটা কিন্তু একধরণের কপি পেস্ট হয়ে গেলো জামান X(


১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: কি দিন কাল আইল ইদানিং মন্তব্যও কপি পেস্ট হয় :( :(
কম্মে যাই...

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: যাতে থাকবে থ্রিল-মজা- আনন্দ। যেখানে প্রতিমুহুর্তেই খেলার ধরন পরিবর্তন হতে পারে এবং থাকবে টানটান উত্তেজনা তবে কেউ হারবেনা। এটি হবে যে কোন দাম্পত্যে প্রেমের সম্পর্কের সবচেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত খেলা যেখানে উভয়েই অবদান রাখবে এবং প্রতিটা মুহূর্ত তারা উপভোগ করবে একসাথে মিলে। তবে খেলায় ফলাফল হবেনা , ম্যাচ হবে টাই ।
~ এইটুকু কপি পেষ্ট। আপনি বলিলে মডুর কাছে আর্জি পেশ করিব...

৪৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




আর সব খেলায় জিত সবচেয়ে মজার-আনন্দের ব্যাপার হলেও , জগতে এটিই একমাত্র খেলা যেখানে একজনের জয় মানেই অন্যজনের ব্যর্থতার আগুনে পোড়া, আর তাই এই খেলাই টাই (কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমান সমান) একটি সফল সমাপ্তি। খেলার পুরোটা সময় ও মাঠ জুড়ে যেখানে থাকবে থাকবে রোমান্স , থাকবে ফান এবং উভয় খেলোয়াড়ই খুশি থাকবে ।

এটাও কপি। সামান্য চেঞ্জ করেছে।

নাহ রিপোর্ট করার দরকার নেই কিন্তু আমি সত্যি অবাক হলাম কাণ্ডটা দেখে !!!
জামানতো মজার মানুষ, সে বললেই পারতো যে আমি এটা অনুবাদ করে দিলাম।
তার নিশ্চয়ই মনে ধরেছে, কিন্তু এমনভাবে লিখলো এটা যেন তার কথা।

মন্তব্য কপি করা নতুন না, রাজীব বহুবার আমার মন্তব্য কপি করে তার পোষ্টের টেক্সটের ভেতর ব্যবহার করেছে।
কি বলবো আর শেরজা, ভাষা নেই কিছু বলার।


৪৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




এইরকম বেকায়দায়তো পড়ি নাই কোনদিন :(

হা হা হা হা .........
Don't worry my dear :)


৪৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আহাঃ মরি মরি , কি যে করি ।
সরি সরি সরি, বোন আয়না পুতুল।

আসলেই অনেকটাই মিলে গেছে আপনার করা আলোচ্য লেখায় ৩০ নং মন্তব্যের কিছু অংশের সাথে। তবে পুরো মন্তব্যের প্রটি সবিশেষ মনোযোগ দিয়ে দেখলে হয়ত তা কপি পেষ্ট বলে মনে হবেনা । এখন বোনের মন্তব্য যেভাবে পড়েছি আগে সেভাবে পড়িনি এবং পরার পর মনে হচছে বোনের লেখার রেফারেন্স উল্লেখ না করার অপরাধ আমি অপরাধী।


সেই অপরাধ তথা কপি পেষ্ট মন্তব্য হিসাবে আমার করা ৪৫ নং মন্তব্য মুছে দিবার জন্য আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো এবং আবারো বোনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী অনিচছাকৃত অপরাধের জন্য ।

৫০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি হাসতে হাসতে একটুর জন্য খুন হলাম না ।

জামান ভাইয়ের কপি দেখে একটা কথা মনে পড়ে গেল :

ফেসবুকে কিছু লিখলেই তা কপি করে অনেকেই কিন্তু ক্রেডিট দেয় না । তো আমার এক বড় ভাইয়ের ছোট গল্প মেরে দিল একজন এবং দাবী করলো যে লিখাটা তার নিজের । বড় ভাই অনেক বাক-বিতণ্ডা করলেন শেষে ঐ কপিবাজ বললেন , " হৈতেও তো পারে যে আপনি ঐখান থেকেই কপি মারছেন যেখান থেকে আমি কপি মারছি । আপনি যে আসল লেখক তার প্রমাণ কী ? "

তো মিরোরডডলও যে কপি করে নাই তার কী প্রমাণ আছে ?

ইয়ে মানে এইটুকুতে হবে নাকি আরও কিছু বলতে হবে একটা ক্যাঁচাল ক্রিয়েট করবার জন্য !! :P

৫১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২১

মিরোরডডল বলেছেন:




নাহ শেরজা মুছবে না জামানের মন্তব্য।

প্রথম অপরাধ কপি পেস্ট।
সেকেন্ড অপরাধ, এখনও বলছে মিলে গেছে সামহাউ, তার মানে সে না জেনে লিখেছে which is a lie.
তৃতীয় অপরাধ এখন বলছে মুছে ফেলতে, তুমি যদি নাই কপি করে থাকো চান্দু, তাহলে আবার মুছতে বলো কেনো?

আমি কিন্তু বলি নাই জামানের পুরো মন্তব্য কপি পেস্ট।
শুরু আর শেষ নিজের, মাঝখানে কপি যেন বোঝা না যায়, বেশি চালাক হলে যা হয়।

এনিওয়ে, এটা থাকবে তাহলে ইন ফিউচার আর এমন হবে না।
মুছে ফেললে আবার অন্যকখনও এমন হতে পারে।

Sorry Zaman, it's your punishment X(

জামানের বোন আয়না পুতুলের দয়ামায়া কম।
এক্সকিউজ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।


৫২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জামানের বোন আয়না পুতুলের দয়ামায়া কম।
এক্সকিউজ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।


উনি মনে হয় তোমার ভয়ে মঙ্গল গ্রহে চলে গেছে @মিরোরডডল :P

৫৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন:
তো মিরোরডডলও যে কপি করে নাই তার কী প্রমাণ আছে ?


মিরোরডডল কপি করেছে তার প্রমাণ আছে???
prove it.
if you can't, that's your answer.

ক্যাঁচাল করার সময় নেই নির্ব।


৫৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:




জামানের প্রথম কপি মন্তব্য দেখে বিরক্ত হয়েছি, আর লাষ্ট মন্তব্য পড়ে ব্রহ্মতালু জ্বলে উঠেছে X((
কি অবলীলায় মিথ্যা বলছে!!!!
এ কারণেই আমি চাই শেরজা মন্তব্যগুলো না মুছে এভাবেই রাখবে।
থ্যাংকস।


৫৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @মিরোরডডল ,

শান্ত হও আপা ফাজলামো করছিলাম । সিরিয়াসলি কিচ্ছু বলিনি । কী জ্বালা, রুমির ঘটনা লিখছি আর এসে দেখি এখানে কুরুক্ষেত্র বেঁধে গেছে !!!

৫৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

মিরোরডডল বলেছেন:
আমি জানি নির্ব ফান করেছে।
সময়ের সাথে শান্ত হয়ে যাবো।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ও আল্লা তলে তলে এত কিচ্ছু হই গ্যাছে!!!! এ-তো কুরুক্ষেত্র বই গ্যাছে...
ফাইনাল ডিসিসান নিছেন নি? মুইছতাম মুইছতাম না? আন্নেরা বেজ্ঞুন মিল্যা বই বই ডিসিসান লন আই যাই আড্ডাত্থন ঘুইর‍্যা আই।

৫৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




নো মোছামুছি।
কমেন্ট যেভাবে আছে সেইভাবে থাকবে।


৫৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৩

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাই আফার মাথা এহন ঠাণ্ডা আছে আর গরম কৈরেন না । কালকে যা করছে আপায় !!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ১৫ বছরের ব্লগিং জীবনে এই প্রথমবার ২৩খানা মন্তব্যের উত্তর আমি দেইনি বা দিতে পারিনি বা দেয়া সম্ভব হয়নি অথবা দেয়ার মত কোন কথা খুঁজে পাইনি কিংবা সেখানে অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দেখে আমার নাক গলানো উচিৎ মনে করিনি।
এই ব্লগে ৯০ভাগ ব্লগার যেন-তেন ৫ খনা মন্তব্য পাইলে আনন্দচিত্তে মাথা দোলায় আর আমার ২২ টা মন্তব্য অবহেলায় পড়ে আছে দেখে কষ্ট লাগছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.