নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কইয়েন না ভাই গ্যাসের উপ্রে ভাসতেছি!!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

বেশ কয়েক বছর আগের কথা মফস্বলে থাকা আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু হার্ট এটাক করে ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছে শুনে ভীষণ বিচলিত হলাম। মদ্যপান তো দুরের কথা জীবনে কোনদিন একটা সিগারেট খায়নি সে। ওদিকে এই এক ব্যক্তি দেখেছি মুরগী বাদে অন্য কোন মাংস খায়না সে আর মাছের মধ্যে শুধু ইলিশ আর ছোট মাছ – বাকি আলু আর মুরগীর ডিম। এর বাইরে খাদ্য তালিকায় অন্য কিছুই নেই। এই খেয়ে হাই LDL কোলেস্টেরল হবার কথা নয়। মফস্বলের জোতদারের ছেলে সে- চল্লিশে এসে হার্ট ব্লক কেমনে হয়!!
পরদিন জানা গেল হার্ট এটাক করেনি- গ্যাস্ট্রিকে ভয়ঙ্কর চাপ দিয়েছিল। এমন চাপ যে বুকের ভয়ঙ্কর ব্যথায় নিঃশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছিল।
হাসপাতালে নেবার পরে ডাক্তারও উপসর্গ দেখে ভেবেছিল তেমনটাই। প্রথমেই চিকিৎসা সেভাবেই শুরু করেছিল। পরে চেক টেক করে দেখে গ্যাসের সমস্যা।
***
মাত্র দু সপ্তাহের আগের কথা; আমাদের আড্ডায় দেলোয়ার ভাই নামে মধ্য বয়স্ক এক ভদ্রলোক মাঝে মধ্যে আসেন বসেন গল্প করেন। বয়স ষাট হবে। অল্প সময়ের মধ্যে রিটায়ার্ড করবেন। গায়ের রঙ বেশ চাপা- ছয় ফুটের মত লম্বা মানুষ, বয়সের জন্যই মনে হয় একটু নুয়ে হাঁটেন। বিরলকেশী মানুষ। ভয়াবহ কৃপণ মানুষ। কাউকে এযাবৎ এক কাপ চা খাইয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
তাঁর ধারনা তিনি খুব রস করে কথা বলেন কিন্তু আমাদের কাছে তাঁর কথাগুলো বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিরক্তিকর ও একঘেয়ে। ভাষা বরিশালের আঞ্চলিকতায় দুষ্ট। আমরা আড়ালে তাঁকে ছামা ভাই বলে ডাকি। 'ছামা' ভাই নামের আড়ালে তাঁর আসল নাম হারিয়ে গেছে। আড্ডার অর্ধেক সভ্য তাঁর আসল নামই জানে না। দু চারজন অবশ্য সরাসরিই তাঁকে ছামা ভাই বলে সন্মোধন করে। ভদ্রলোকের একটা গুন- কখনোই কোনভাবেই রাগ করেন না।
কথা বলতে বলতে লাইন ছেড়ে পাটক্ষেত দিয়ে ট্রেন চালান মাঝে মধ্যে। একবার এই নিয়ে আমার সাথে মৃদু তর্কাতর্কি হয়েছিল। তিনি একটু গোস্বা করেছিলেন। ঘটনা এমন; তাঁর মা নাকি ১১৬ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন। সেটা আট বছর আগের কথা। তিনি নাকি তাঁর ছোট ছেলে।
আমি যখন বললাম, আপনার মায়ের মৃত্যুর সময়ে আপনার বয়স ছিল ৫২ তাহলে আপনার জন্ম হয়েছিল মায়ের ৬৪ বছর বয়সে এইটা কেমনে সম্ভব???
যাই হোক মাঝে মধ্যে তাঁকে নিয়ে মজা করতাম বেশ। তাঁর এখানে একমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল আণবিক শক্তি কমিশনের মাল্টু ভাই( ছদ্ম নাম)। মূলত তাঁর কারণেই আমরা মাঝে মধ্যে বিরক্ত লাগলেও তাঁর কথা হাসি হাসি মুখে শুনতাম।
মাঝে মধ্যে অসুখ বিসুখের কথা ওঠে। তিনি বলেন, একটু ডায়াবেটিস, একটু কিডনির সমস্যা, প্রেশারটা একটু হাই। বুকে ব্যথা হয় মাঝে মধ্যে; আরে ভাই বুঝি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা- সার্জিল(গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ) মেরে দেই ঠিক। আর হাটা হাটা করি- ডায়াবেটিক মোটামুটি কন্ট্রোলে। বাসায় প্রেশারের মেশিন রাখছি- নিয়মিত মাপি। ওষুধ তো খাই- ঠিকই আছে।
ডায়াবেটিক, প্রেশার যখন আছে – বুকের ব্যথার জন্য ডাক্তারের কাছে যান না কেন?
আরে ধুর ডাক্তারের কাছে গেলেই দিন দুনিয়ার টেস্ট আর গাদা গাদা ঔষধ দেবে। ফাউ পয়সা খরচ করার দরকার কি। হায়াত মউত আল্লার হাতে- আল্লা যখন নিয়ে যাবার যাবে। যতই চেষ্টা করি আমি আপনি আটকায় রাখতে পারমু কন? হেইয়া… শুরু হোতো তাঁর মিনিট পাঁচেকের বয়ান।
বার দিন আগে রাত বারটায় বুকে ব্যথা শুরু। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ 'সার্জিল' খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা রাত দেড়টার দিকে ভয়াবহ বুকে ব্যথা সাথে নিশ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম দেখে ছেলেমেয়ে জরুরী ভিত্তিতে হার্ড ফাউন্ডেশনে নিয়ে গেল। আই সিউ'তে ভর্তি। পরদিন সন্ধ্যে পর্যন্ত এনজিওগ্রাম করতে পারছিল না, ডায়াবেটিক আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসছিল না বলে। মাল্টু ভাই। বিকালে তাঁর সাথে দেখা করে একসাথে বসে ভাত খেয়ে খোশ গল্প করে আসলেন।
রাত নয়টায় তিনি মারা গেলেন!!! অতি স্বাভাবিক মৃত্যু- কোন ঝামেলা নেই প্যাঁচ-ঘোচ নেই।
চারিদিকে শুধু, হার্ট ফেইলরের রুগী। হাসপাতালে যাবার সময় পাচ্ছেনা- রাস্তায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। হাজার হাজার কিডনির রোগী- কিডনির আক্রমণে দিশেহারা মানুষ।
ওদিকে আরেকটা নীরব ঘাতক ইদানীং ভয়ঙ্কর-ভাবে গ্রাস করছে দিনে দিনে; অন্ত্রের ক্যান্সার!
ভেজাল, ভাজা পোড়া আর অনিয়ন্ত্রিত খাবারের জন্য আমাদের ৯৮ ভাগ বাঙ্গালী কিশোর বয়স থেকে গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হই! সেই থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একে সঙ্গী করে ভয়ঙ্কর দুর্বিষহ এক জীবন কাটাই।
বুকে ব্যথা পেটে ব্যথা পিঠে চাপ ব্যথা , গলা জ্বললে বুক জ্বললে গ্যাস হলে বমি হলে কখনো পাউডার গুলে, কখনো লিকুইড গিলে, কখনো ট্যাবলেট চুষে আর ক্যাপস্যুল গলঃধকরন করে প্রশান্তি উপভোগ করি।
আমাদের গলা থেকে শুরু করে তলপেট পর্যন্ত কোন জ্বালা বিষ ব্যথা শুরু হলে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা মনে করে চিকিৎসা শুরু করি। এদেশে একেবারে অগম্য পল্লীর মুদী দোকান থেকে শুরু করে পাঁচতারা হোটেলে পর্যন্ত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ দেদারসে বিক্রি হয়। মানুষ কিনে খায় মুড়ি মুড়কির মত। আমি ও আমার চারপাশের মানুষ এর ব্যতিক্রম নয়।
আমরা টেস্টের ভয়ে- কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে আছি জেনে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ব এই ভয়ে। এদেশের ডাক্তাররা ফাউল- টেস্টের রেজাল্ট একটাও ঠিক আসেনা, আজাইর‍্যা গাদা গাদা টাকা খরচ। ভুল রোগ ধরা পড়লে জীবন শেষ- এইসব ভেবে আমরা গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেয়ে খুব সহজেই অন্য ভয়ঙ্কর কিছু রোগের শুরুটাকে অবহেলা করে বাড়তে দিচ্ছি। খবর পাচ্ছি ক্যান্সার,কিডনি ও হৃদরোগের একেবারে শেষ পর্যায়ে। যখন আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার রাস্তা থাকে না।
আমাদের এই গ্যাস্ট্রিক কি শুধুমাত্র ভেজাল খাবার, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত তেল চর্বি ভাজা পোড়া খাবারের জন্য?
মোটেও নয়।
আপনি কি জানেন এই ধরনের গ্যাস্ট্রিক সেটা থেকে পেপটিক আলসার ও শেষমেশ ক্যান্সারে রূপ নেয়ার জন্য দায়ী যে ব্যাকটেরিয়া তাঁকে বলা হয়
Helicobacter pylori (H. pylori)।

যার আক্রমণে দিশেহারা পৃথিবীর কমবেশি পঞ্চাশ-ভাগ মানুষ।
এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামনশীল মানে চুমুর মাধ্যমেও একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে যেতে পারে। আপনি যখন আপনার বাচ্চাকে ঠোটে চুমু খাচ্ছেন তখন যে মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া ট্রান্সফার করছেন তাঁর সাথে এই ‘হেলিকোবেকটর পাইলোরি’ নামে ভয়ঙ্কর এই ব্যাকটেরিয়াও চালান করে দিচ্ছেন। আমার ধারনা বাংলাদেশের ৯৫ভাগ মানুষ এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের স্বীকার। আসুন আগে আমরা এই ব্যাকটেরিয়া সন্মন্ধে কিছু জেনে নিই;
*****

(পুরো তথ্য অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা, এখানে আমার কোন জারিজুড়ি নেই। তথ্যগত ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পাররে- যার ভালভাবে জানার অনলাইন থেকে নিজ দ্বায়িত্বে জেনে নিবেন। আমি কোন চিকিৎসা বিজ্ঞান বা জীববিজ্ঞানের ছাত্র নই। বিজ্ঞানীরা এখনো এই ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছেন। পুরোপুরি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হয়নি। এ পর্যন্ত যতটুকু জানা গেছে তাঁর থেকে কিছু অংশ আমি তুলে আনার চেষ্টা করছি।)
***
ওভারভিউ
Helicobacter pylori (H. pylori) সংক্রমণ ঘটে যখন Helicobacter pylori (H. pylori) ব্যাকটেরিয়া আপনার পেটে সংক্রমিত হয়। এটি সাধারণত শৈশবকালে ঘটে। পাকস্থলীর আলসারের একটি সাধারণ কারণ (পেপটিক আলসার), H. pylori সংক্রমণ। বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের স্বীকার বলে ধারনা করা হয়।
বেশীরভাগ লোকই বুঝতে পারে না যে তাদের এইচ. পাইলোরি সংক্রমণ হয়েছে কারণ তারা কখনও এ ব্যাকটেরিয়া থেকে অসুস্থ হয় না।


**************Helicobacter pylori (H. pylori)**************
লক্ষণ
এইচ. পাইলোরি সংক্রমণে আক্রান্ত অধিকাংশ লোকের কখনই কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ থাকবে না। কেন কিছু মানুষের উপসর্গ বা লক্ষন প্রকাশ পায় এবং কেন কিছু মানুষের লক্ষন প্রকাশ পায় না তা স্পষ্ট নয়। সম্ভবত কিছু কিছু নির্দিষ্ট ডি এন এ ধারী মানুষ H. pylori- এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে বেশি প্রতিরোধ নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে।
যখন এইচ. পাইলোরি সংক্রমণের সাথে লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয় , তখন সেগুলি সাধারণত গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেপটিক আলসারের সাথে সম্পর্কিত এবং এতে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
আপনার পেটে (পেটে) ব্যথা বা জ্বলন্ত ব্যথা বা জ্বালা পোড়া
পেটে ব্যথা যা আপনার পেট খালি থাকলে আরও খারাপ হতে পারে
বমি বমি ভাব
বুকে পেটে পিঠে চাপ ব্যাথা( যা গ্যাসের চাপের ব্যাথা বলে আমরা ধরে নিই)
ক্ষুধামন্দা
ঘন ঘন চুকা দুর্গন্ধযুক্ত ঢেঁকুর
পেট ফোলা
অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস


**** এইচ পাইলোরির আক্রমনে গ্যাস্ট্রিক থেকে পেপটিক আলসার****

কখন ডাক্তার দেখাবেন
আপনি যদি গ্যাস্ট্রাইটিস বা পেপটিক আলসার হতে পারে এমন কোনো লক্ষণ এবং উপসর্গ লক্ষ্য করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন। আপনার যদি নিন্মের লক্ষণগুলো থাকে তবে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন:

১. গুরুতর বা চলমান পেট (পেটে ও বুকে) ব্যথা যা আপনাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে পারে
২. রক্তাক্ত বা কালো ট্যারি ( আলকাতরা) মল
৩. রক্তাক্ত বা কালো বমি বা বমি যা কফি গ্রাউন্ডের মতো দেখায়

এইচ. পাইলোরি সংক্রমণ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিত্সা করা হয়।


এইচ. পাইলোরি: পেটের ক্যান্সারের নীরব হুমকি
H. Pylori হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যা পেটে প্রদাহ সৃষ্টি করে। জীবাণু দ্বারা দূষিত খাবার খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামিত হতে পারে, যা এড়ানো কঠিন কারণ আমরা যে খাবার গ্রহণ করছি তার উপাদানগুলির উত্স আমরা কখনই জানি না।
H. Pylori ব্যাকটেরিয়া পেটে প্রদাহ সৃষ্টি করে যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী পেটে ব্যথা হয়। দীর্ঘায়িত এইচ. পাইলোরি সংক্রমণ পেটের আস্তরণের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে, যা "পেটের ক্যান্সার" হতে পারে।
হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি (HP) হল একটি গ্রাম নেগেটিভ, সর্পিল-আকৃতির ব্যাকটেরিয়া, যা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার পাকস্থলীকে সংক্রমিত করে। এটি বর্তমানে বিশেষত পাকস্থলী অঞ্চলে সংক্রমণ-সম্পর্কিত ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়
তবে লক্ষণগুলো নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পেটে ব্যথা বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে। তবুও, যদি ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যথার উন্নতি না হয়, ডাক্তারের পরামর্শ মত সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য রক্ত পরিক্ষা কিংবা এন্ড্রোস্কোপি অথবা ক্লোনোস্কোপি বা অন্যজাতীয় পরিক্ষা করা।
****
পরিশেষে আমার পরামর্শঃ
পেট পোড়া বুক পোড়া জ্বালা ব্যথা( বুক চিন চিন করছে হায় মন তোমায় কাছে চায় টাইপের) এইসব থাকলে আজাইর‍্যা গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ না খেয়ে ডাক্তার দেখান আর ভাল একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এই রক্ত পরীক্ষাটি করান;

***** তবুও বলছি; আইন আর চিকিৎসা নিজের হাতে তুলে নিবেন না****

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি পারতপক্ষে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খায় না।
এক মহিলা পেইন কিলার খেতে খেতে কিডনি ড্যামেজ করে ফেলেছিলো।
আইন আর চিকিৎসা নিজের হাতে তুলে নেওয়া মানে আত্মাহুতি দেওয়া।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

শেরজা তপন বলেছেন: আমরা কিছু হলেই জেনে না জেনে গ্যাস্ট্রিক আর ব্যাথার ঔষধ খেয়ে অন্য কত-শত রোগ বাঁধিয়ে ফেলছি তাঁর ইয়ত্বা নেই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার ইনফরমেটিভ পোস্ট।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় সাজিদ ভাই। চোখে একটু আরাম বোধ করছি দেখে ফের লেখালেখির ভুত চেপেছে!
বরাবরের জন্য অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা। সুস্থ থাকুন।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




***** তবুও বলছি; আইন আর চিকিৎসা নিজের হাতে তুলে নিবেন না****

সহমত


প্রথম লাইনে শব্দটা কথে না, কথা হবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক করেছি- আর কি কি ভুল আছে কইয়া যান মাষ্টারনী?

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:




এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রামনশীল মানে চুমুর মাধ্যমেও একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে যেতে পারে।

যাহ্ সালা!!!!!!!! এখনতো চুমুর উপর ট্যাক্স দিতে হবে :)


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ আগে কন কে কার উপরে বসাবে??
এক চুমুতে যে কত গোলমাল- এ কারনেই অন্য প্রাইমেটরা বেঁচে গেছে :)

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি লসেকটিল ৪০ খাই ডাক্তারের নির্দেশে । ব্যাথা হলে বোঝার চেষ্টা করি পেট না হার্ট বার্ন । ইসুবগুলের ভুসি বেশ কাজের । এটা ডাক্তারই বলেছে । তবুও অকারন গ্যাসের বড়ি খাওয়া উচিত না । খাদ্যে সমতা আনা দরকার ।


দরকারি পোস্ট ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই সময়ে এটা জানা খুবই জরুরী।
এই গ্যাস গ্যাস নিয়ে সারা দেশ জুড়ে মুর্খ থেকে শিক্ষিত সহ সবার চরম এক মাতম চলছে।
বুঝে না বুঝে সবাই গ্যাসের ঔষধ খেয়ে ভয়ঙ্কর সব রোগে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যাচ্ছে।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

শাহ আজিজ বলেছেন: রাতে খাবারের পর হাল্কা হাটা খুব উপকারী ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ কিন্তু আমরাতো খেয়েই ঘুমাতে যাই। সব কাম উলটা করি।
সকালে কম খাই, দুপুরে ভুরিভোজন, আর রাতে দেরি করে খেয়েই ঘুম। চমৎকার রুটিন আমাদের।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ডিওডেনাম আলসার। আসলে গ্যাস্ট্রিক মানে হল পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন কিছু। আর ডিওডেনাম মানে ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ। আলসার মানে ঘা। আমরা সাধারণভাবে বলে থাকি গ্যাস্ট্রিক হয়েছে বা আছে। আসলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার বা থাকার কোন ব্যাপার না। আলসার পাকস্থলীতে হলে সেটাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার বলে আর ক্ষুদ্রান্ত্রে হলে সেটাকে ডিওডেনাম আলসার বলে। আর ঘা না হওয়ার আগে পর্যন্ত সেটাকে আলসার বলা যায় না। মানুষের যে সমস্যাটা সাধারণত হয় সেটা মুলত এসিডিটি। অর্থাৎ পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিডের কারণে পাকস্থলীর বা ক্ষুদ্রান্ত্রের দেয়ালে জ্বালা পোড়ার সৃষ্টি করে। গ্যাস তৈরি হয়ে বুকে চাপ সৃষ্টি হয়। প্রায়ই মানুষ মনে করে হৃদপিণ্ডে ব্যথা হচ্ছে। বিপরীত ঘটনাও ঘটে। প্রকৃত হৃদরোগকে গ্যাসের ব্যথা বলে মানুষ ভুল করে।

আমার সাধারণ জ্ঞান থেকে বললাম। ব্লগের ডাক্তাররা আরও ভালো বলতে পারবে।

পোস্ট পুরোটা পড়ি নাই। পড়ার পরে আবার আসার ইচ্ছা আছে। আমার এসিডিটি সমস্যা নাই বললেই চলে। কদাচিৎ হয়। তবে গ্যাসের ব্যথা কখনও হয় না। হাল্কা শারীরিক ব্যায়াম করলে এই সমস্যা কমে যায় বা দূর হয় বলে আমার মনে হয়। যারা পেটুক প্রকৃতির তাদের মনে হয় বেশী। এটা আমার ধারণা। ধারণা ভুলও হতে পারে।

কয়েকদিন আগে আমার এক বয়স্ক কলিক অফিসে প্রায় অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা। বুকে ব্যথা। আমরা ভেবেছিলাম হার্ট অ্যাটাক। পরে হাসপাতালে নেয়ার পরে জানা গেল এটা গ্যাসের চাপের কারণে হয়েছে। গ্যাসের চাপের কারণে হলে সাধারণত পিঠের উপরের দিকে ব্যথা করে। ভদ্রলোক আগের দিন বেশী পরিমানে কাঁঠাল এবং ভাজা পোড়া খেয়েছিলেন। আমার ভাইকে একবার দ্রুত ইমারজেন্সিতে নিয়ে গিয়েছিলাম হার্ট অ্যাটাক সন্দেহ করে। পরে দেখা যায় এটাও গ্যাসের কারণে ব্যথা। একটা ইনজেকশন দেয়ার ১৫ মিনিট পরে ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, তেল ভাজা পোড়া বেশী খেলে এই সমস্যা বেশী হয়। ফাস্ট ফুডও এই ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।

আর পাকস্থলী বা অন্ত্রে ঘা না হওয়া পর্যন্ত আলসার বলে না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আলসারের কথা আমিওট তেমনই জানি- লিখেছিও সেভাবেই।
অতি সংক্ষেপে লিখেছি বলে ধরতে পারেননি।
ফিরে আসেন- পুরোটা পড়ে। বাকি মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সব বয়েসী, সব সাইজের মানুষের গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। হালকা পাতলা মানুষেরও বেদম গ্যাস্ট্রিক হয়।
আপনি ভাগ্যবান মানুষ। তাই বলে আপনি Helicobacter pylori (H. pylori)
ব্যাকটিরা দ্বারা সংক্রামিত হননি সেটা কিন্তু নিশ্চিত নয়।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বিক্রি হয়।

আমার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে। সমস্যা হলে আমি একটা ম্যাক্সপ্রো খেয়ে নিই খাওয়ার আগে। আর খাওয়ার পর এন্টারসিড একটা চুষে খেয়ে নিই। সমস্যা কেটে যায়। তবে শুনেছি এন্টারসিড হাড়ের জন্য ক্ষতিকর।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: পুরো লেখা পড়েছেন কি? এখন থেকে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খাবার আগে প্রয়োজনে ডাক্তার দেখিয়ে টেষ্টগুলো করিয়ে নিন। আপনি যে ধরনের হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার খান আপনার উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল থাকার কথা।
গ্যাস্ট্রিকের ঔষুধ বিক্রি করেই অনেক ফার্মা টিকে আছে।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বিরস আলোচনার আগে সরস ভূমিকাটা দারুণ লেগেছে !

পোস্ট পড়ে আমি এখন ভয়ের মধ্যে আছি । না জানি আমার মধ্যে এই এইচ.পাইলোরি শ্যালকের ছানা বসত করছে কিনা !!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি হয় এই পঞ্চাশ ভাগের দলে না হয় ওই পঞ্চাশ ভাগের দলে।
খুব বেশী টেনশনের কিছু নেই- সব অবস্থাতেই আপনার সাথে পৃথিবীর ৫০ভাগ মানুষ থাকবে :)
শুরুর দিকে থাকলে ছোট্ট একটা এন্টি বায়োটিকের কোর্সে ঝামেলা শেষ হয়ে যায় সম্ভবতঃ। সারাজীবন রোগ বয়ে আতকা মারা যাবার থেকে চিকিৎসা করা উচিৎ।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: হেলদি ফুডে বাঙ্গালীর বড়ই অরুচি। এই বাঙ্গালীর মধ্যে আমিও একজন। ;) আর তাই গ্যস্ট্রিক সমস্যাতো আছেই

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আরে এই না হলে বাঙ্গালী- স্পেস স্টেশনেও আমরা সিঙ্গারা সাথে একটু পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচ খুঁজব! আর মুড়ি চানাচুর পেয়াজু চপ সরিষার তেল দিয়ে ভর্তা হলে তো কথাই নেই। আমরাই একমাত্র জাতি সম্ভবত যাদের কৃষ্টি কালচার জলবায়ুর সাথে মিল রেখে কোন খাবার নেই ( যদিও একসময় ছিল)।

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: যাহ্ সালা!!!!!!!! এখনতো চুমুর উপর ট্যাক্স দিতে হবে :)


হাহাহাহাহাহা । আয়নাবিবির এই কথা পড়ে বেশ হাসি পাচ্ছে । আরও বেশি হাসি পাচ্ছে আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে ।

আয়নাবিবি হলেন বাংলার ওয়াজকারী হুজুরের মত ঐ যে যারা ওয়াজে বলে , " বাসর রাত , স্বামী-স্ত্রী বিছানায় বসে আছে । কী আছে ? বসে আছে ? হাজবেন্ড এন্ড ওয়াইফ আর সিটিং ওন দা বেড । সিটিইইইইইইইইইইঙ ওন দা বেএএএএএএএড । "

এরপর হুজুর আচমকা সালাদুনিয়া বলে শুরু করে দেন দুরুদ । তারপর থামে আবার বলতে শুরু করে স্বামী স্ত্রী বিছানায় বসে আছে বাসর রাত । আবার ইনিয়ে বিনিয়ে গাল পাড়ে । ওদিকে ওয়াজে সবাই বসে থাকে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রী বসা ছাড়া আর কী করেছে সেই বিষয়ে জানতে । কিন্তু জানা আর হয় না ।

আয়নাবিবিও ঐ হুজুরের মত । ইনিয়ে বিনিয়ে যায় কিন্তু আমাদের আর কিছূই জানা হয় না । :P

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: :P
এক মুর্খ বাঙ্গালী এক ইংরেজী ফিল্ম নাকি বিশবারের উপরে দেখেছিল।
তাঁর বন্ধু জিগাইল; -তুইতো ইংরেজির 'ই' ও বুঝিস না তা এতবার এই ছবিডা দেখলি ক্যান?
-দোস্ত এই ছবিতে চরম এক দৃশ্য আছে- নায়িকা রেল লাইনের পাশে দাঁড়ায় কাপড় খুলতেছে, কিন্ত যখনই কাপড় পুড়াডা খুলবে খুলবে ঠিক তখখনই ট্রেনডা চইলা আসে।
আমি খালি তক্কে তক্কে আছি' কবে ট্রেনডা লেট করব।
~ আমরাও তক্কে তক্কে আছি :)

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: তথ্যপূর্ণ এবং উপকারী পোষ্ট। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটি পরে উৎসাহপূর্ণ মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ব্লগার আফলাতুন হায়দার চৌধুরী।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




নির্ব আর শেরজার মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে আমিও মজা পেলাম।
কিন্তু এরা ভুলে যায় যে আমি স্বভাবে খুব লাজুক একজন মানুষ।
মাঝে মাঝে স্লিপ অভ দ্য টাং দুই একটা কথা চলে আসে #:-S
তারপর নিজেকে আবার সংযত করার চেষ্টা করি :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: এর প্রতি উত্তরে আমার আর কিচ্ছু বলার নেই। আমি নির্বাক হয়ে রইলাম...
স্বভাবে লাজুক এটা নিয়েও একটা কৌতুক জানা আছে - এই সিরিয়াস লেখায় সেটা থাক।
এটাকে 'স্লিপ অভ দ্যা টাং' বলে নাকি 'স্লিপ অভ দ্যা ফিঙ্গার' বলে? আমার ধারনা আপনি বড্ড বেশী দেশী ঘি খাচ্ছেন!!- এবার ঘি এর কৌতুক বলব নাকি- শেষটুকু বলি;

এক বাঙ্গালের কাছে ঘটি গল্প করছে;
'সেই যে দাদা ঠাকুর্দার আমলে ওপারের ঘি খেয়েছিলুম এখনো তুড়ি বাজাতে গেলে আঙ্গুল পিছলে যায় - এই দেখুন।'

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নির্ব আর শেরজার মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে আমিও মজা পেলাম।
কিন্তু এরা ভুলে যায় যে আমি স্বভাবে খুব লাজুক একজন মানুষ।
মাঝে মাঝে স্লিপ অভ দ্য টাং দুই একটা কথা চলে আসে #:-S
তারপর নিজেকে আবার সংযত করার চেষ্টা করি :)



আমরাও আসলে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি কবে তোমার লাজুকতাকে গোত্তা দিয়ে স্লিপ ওব টাং টুং হয়ে বিস্তারিত সব বেরিয়ে আছে । মানে আমরাও চণ্ডীদাসের মত তক্কে তক্কে আছি হেহেহেহেহেহহে

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: চন্ডীদাসের মত অতদিন বড়শী বাইতে গেলে যে অক্কা যাব নির্ঘোষ বাবু :(
ঠিকাছে আপনি যুবক মানুষ রক্ত গরম - যুদ্ধে আপনিই যান। আমি দোয়া রাখছি।

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি তো ভেবে বসতে যাচ্ছিলাম, আপনি পেশায় একজন ডাক্তারও। মাঝখানে আবার কী হাবিজাবি লিখলেন, তাতে মন ক্ষুণ্ণ হইয়া গেল।

যাজ্ঞে সে কথা, মূল কথায় আসি। 'ছামা' অর্থ কী? 'কামা' জাতীয় কিছু? জানি, আপনি উলটা জিজ্ঞাসা করবেন, 'কামা' আবার কী? আমি রহস্য ঝুলিয়ে না রেখে এখানেই বলে দিলাম, 'কামা' অর্থ আমিও জানি না। আপনি জানলে বলে দেবেন প্লিজ।

২০১৭ সালে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করানো। সেজন্য আমাকে হিউজ পরিমাণ মেডিসিন খেতে হয়। মেডিসিনের সাথে ডাক্তার গ্যাসের ওষুধও প্রেস্ক্রাইব করেছেন। গ্যাস নিয়ে রেগুলার কোনো সমস্যা নাই। তবে, দু-একবার সমস্যায় পড়েছি - পেটে গ্যাস আটকে থাকে, দুই মুখের কোনো মুখ দিয়াই বের হয় না :) ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর ডাক্তার গ্যাসের ওষুধ যেটা খাচ্ছিলাম, সেটা চেঞ্জ করে দিলেন। তারপর আর সমস্যা হয় নাই। তবে, অতীতে ঝাল, ভাজাপুরি জাতীয় কিছু খাইলে গলা জ্বলা শুরু হতো। কী যেন একটা মিষ্টি জাতীয় মজাদার সিরাপ খাইতাম (গ্যাস্টাইড কিনা, নাম ভুলে গেছি)। ওটার ডাক্তার আমি নিজে :) আমার স্ত্রীও নিজেই গ্যাসের ওষুধ বাছাই করেন। তার প্রিয় ওষুদের নাম লোসেকটিল। (আজ ডাক্তারের কাছে যেয়ে বললাম, লোসেক্টাইল দিন। ডাক্তার বললো, হ্যাঁ দিচ্ছি, ওটার নাম লোসেক্টিল :) )

তো, এত বড়ো কাহিনি লিখলাম আপনার পোস্টের লাস্ট লাইন পড়ে - বউ আর ওষুধ থেকে সাবধান। এখন থেকে ওষুধ নির্বাচনে অনেক সাবধান হতে হবে আমাকে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় এতদিনে এ কি ভাবলেন ভাই!!!!
আমাদের হইল মাড়োয়ারিদের মত ব্যাবসায়িক জিন- চৌদ্দগুষ্টিতে কোন ডাক্তার নাই। এইসব নিয়ে কারো কোন উচ্চাশাও নাই।
আপনার উপর দিয়ে ভয়ঙ্কর এক ঝড় গিয়েছে তাহলে। চরম বিধি নিষেধে থাকতে হয় আপনাকে- জীবন তো পুরা তেজপাতা!!!! :( :(
ইদানিং প্রচুর মজাদার সিরাপ বের হচ্ছে। দামও মাশাল্লাহ।! মানুষও গিলছে ঢক ঢক করে।
গ্যাস্ট্রিক আর ব্যাথার ঔষধ-এর ব্যাপারে বাড়ির গিন্নীরা চরম বিশেষজ্ঞ- তাদের ধারে কাছে কোন ডাক্তার নাই।
এদের থেকে সাবধান।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২০

শেরজা তপন বলেছেন: ওহ হো আপনি ওই কৌতুকখানা শোনেন নাই;
এহহেরে!! ছামার মধ্যে দিয়া ছামা বাইর হইছে আরেক ছামা আইছে খবর দিতে

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: প্রথম দিকে সামান্য পড়েছি সেখান থেকে বলি।আমরা যত ক্যালরি খাবো সেটা বার্ন না করলে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে।আমার বাসায় একজন আছে সে প্রচুর চর্বিযুক্ত মাংস খায়, জিমে দুই ঘন্টা থাকে,প্রতিদিন প্রচুর হাটে।বয়স ৫৫ দেখলে মনে হবে ২০/২২ বছরের যুবক।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যেটা খাচ্ছেন সেটা বার্ন না করলে বিপাকে পড়বেন নিশ্চিত তবে ব্যাড কোলেস্টেরল সবার জন্যই খারাপ!
জিম যারা করে তারা বাইরে থেকে টগবগে যুবক মনে হলেও করোনারি ইফেক্টের ব্যাপারটা ভিন্ন। বরং যারা সবসময় অসুস্থ থাকে মাঝে মধ্যেই ডাক্তারের কাছে যায় তাদের হার্ট এটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি কম কিন্তু বেশী কায়িক শ্রম করে তারা বুঝতেই পারেনা হার্ট এটাকের মৃদু উপসর্গগুলো। এক ধাক্কায় কাবার।

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলেছেন যে সব বয়সী এবং সব সাইজের মানুষের গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। আসলে গ্যাস্ট্রিক বলে কোন রোগ নাই। আমি এটাই বলতে চেয়েছি। গ্যাস্ট্রিক হল পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন কিছু। অন্ত্রের রোগকে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বলা যাবে না। অন্ত্রের রোগের কারণেও আলসার বা গ্যাস হতে পারে। সেটাকে ডিওডেনাল সমস্যা বলতে হবে (যেমন ডিওডেনাল আলসার)। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বলতে শুধুমাত্র পাকস্থলী সংক্রান্ত সমস্যাকে বুঝায়। গ্যাস্ট্রিক টার্মটা দিয়ে পেট সংক্রান্ত সকল গ্যাস বা আলসার জাতীয় সমস্যাকে বোঝানো যাবে না। গ্যাস্ট্রিক শব্দটার ব্যবহার নিয়ে আমি বলতে চেয়েছি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: ও সেটা ঠিক আছে আমি আমার মত বাঙ্গালীকে বাংলায় বোঝাতে চেয়েছি :)
আমি নিজেও খাঁজা বাঙ্গাল কিনা তাই এটাতেই ওটা বুঝি! আপনার টার্মটা সবাই বুঝলে ভাল।

১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হেলিকোবেকটর পাইলোরি

এইটা নিয়ে তো চিন্তায় ফেলে দিলেন।
হেলত ইন্সুরেন্স কোম্পানী গুলোও মনে হয় চিন্তিত হয়ে গেছে।
আপনার লেখাটা পড়ে মনে পড়ল গতবছর আমার ডাক্তার বলেছিল একটা স্টুল টেস্ট করাইতে হবে করবেন কিনা।
এখানে টেস্ট করাইতে ইন্সুরেন্স থাকলেও অনেক খরচ। ডাক্তার বলল খরচ লাগবে না খরচ দিবে ইন্সুরেন্স কোম্পানি।

এই স্টুল অন্যান্য টেস্টের মতো ল্যাবে দিতে হয়নি। ল্যাবকপ কোম্পানির ল্যাব থেকে বাসায় একটা বক্স আসে ফেডেক্সের মাধ্যমে। স্টুলসহ সেই বক্স ফেডেক্স এর অফিসে জমা দিয়ে আসতে হয়। সেখানে দেখলাম যে সেই বক্সের বিশাল স্তুপ, মনে হচ্ছে গণহারে অনেকেই করাচ্ছে।
আমার মনে হয় ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলা একটা সার্ভে করতেছে কাকে কতটুকু পু*কি মারা যায়,মানে প্রিমিয়াম ধার্য করা যায়।

ওইসব নিয়ে তখন কিছুই ভাবি নাই। এখন ভাবছি নেক্সট ডাক্তারের কাছে গেলে অবশ্যই এটা নিয়ে জিজ্ঞাসা করব।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আরে টেনশন কি ছোট্ট একটা ব্লাড টেষ্ট মাত্র। ক্লোনো ফ্লো্নো পরে।
হ্যাঁ মানুষ যত বেশী পেরেশানিতে পড়ছে নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে তত বেশী নন হেলদি খাবারের দিকে ঝুকছে। তারপর পার্টি ফার্টি হ্যাং আউট খুব বেশী হচ্ছে। অসুস্থও হচ্ছে দ্রুত।
টেনশোনের কিচ্ছু নেই- ক্যান্সার হওয়ার আগে কিউরেবল :)

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




চমৎকার তথ্য-সম্বলিত পোস্ট।

তাহলে বলছেন, উমম্মা খাওয়া বন্ধ করতে হবে ? :P তাহলে জেবনে রৈলো কি? :((

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: সব্বারইতো ওই একই টেনশন।!! :)
আমাদেরতো উম্মা টুম্মা খাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। বুঝুক পুলাপাইন :)

বরাবরের মর সাথে থেকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। ভাল থাকুনত-সুস্থ থাকুন

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: নির্ব ভাই কিসের যুদ্ধে যাচ্ছে?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: 'এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তারই শ্রেষ্ঠ সময়' !!!
যুবক মানুষ, চাইতে দেন- শেষে কপাল চাপড়াবেন :)

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একটা লেখায় পড়েছিলাম এদেশের মানুষই সবচেয়ে বেশি গ্যাসের ঔষধ খায়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: শতভাগ সত্য হবারই কথা। শুধু গ্যাসেরই নয় এদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশী ঔষধ খায়ও হবে :(

২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা আপনার পুরোটাই পড়েছি।
আমি ডাক্তার দেখাই না। ডাক্তার দেখাতে ভয় করে। সবচেয়ে মেজাজ খারাপ হয়- ডাক্তারের কাছে গেলেই অনেক গুলো টেস্ট দেয়। অনেক টাকা দিয়ে টেস্ট করার পর দেখা যায়- রিপোর্ট ঠিক আছে। তখন মেজাজ আরো বেশি খারাপ হয়।

ভাই সাহেব আপনি খুব শ্রীঘই একটা ফার্মেসী দিবো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: টাইপো কি?
ফার্মেসী কি আমি দিব না আপনি??
এই ভয় করেই 'ছামা' ভাই মারা গেলেন অকালে। অনেকেই মারা যাচ্ছেন নিয়মিত। দেশের ডাক্তারের উপরে আস্থা না থাকলে বাইরে যান তবুও রোগকে অবহেলা করবেন না। অঙ্কুরেই বিনষ্ঠ করতে হবে।

২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

জুন বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে আমার একটা ছোট্ট লেখা আছে, ল্যাপটপে বসলে লিংক দিবোনে। মোবাইলে লিংক দিতে পারি না :( তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সাথে লাখ খেছেন তার জন্য ভালো লাগা রইলো।
+

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১

শেরজা তপন বলেছেন: লিঙ্ক দিয়েন- পড়ুমনে।
মোবাইলে 'লিখে গেছেন' অটো কারেকশান হয়ে মনে হয় 'লাখ খেছেন' হই গ্যাছে! মাইন্ড করি নাই :)
ব্যাপক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "আর কইয়েন না ভাই,আমরা ও আমাদের দেশ গ্যাসের উপ্রে ভাসতেছি!!!" - ইরকম একটা কতা একসময় শোনা গিয়েছিল এবং এখনো এই কতা শোনা যায় নিজেদের গ্যাস নিয়ন্ত্রনের ফলে কমে যাওয়ায় তেমন সমস্যা না হওয়ার পরেও শুধু দেশের সীমাহীন গ্যাস কারো কাছে না বেঁচার মুচলেকার কারনে কেউ কেউ ক্ষমতা হারা হয়েছিল (লেখার বিষয় গ্যাস হওয়ায় এবং বিষয়ের বাইরে মন্তব্যের দোষে দোষী হওয়ায় আগাম দুঃখ প্রকাশ- মজা হিসাবে নিবার আশা রইলো।)

- পাট ক্ষেতে অনেক কিছুই :P চলে, তা জানতাম। তবে পাট খেতে ট্রেন চলে তা ইবারই প্রথম জানলাম।

- নানা কারনে আমরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করিনা এটা একদম সত্যি তবে ডাঃ এমন একটা পেশা যাকে সবাই নির্ভয়ে ও
নিঃসংকোচে বিশ্বাস করার কথা ছিল। অথচ তারাও এ জায়গা হারিয়ে ফেলেছে মানুষের মন থেকে বাণিজ্যের আড়ালে।

- আমাদের দেশেই মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী ডাঃ আছে এবং খুব সহজেই যে কেউ কোন ঔষধ কিনে নিতে পারে শুধু পকেটে পয়সা থাকলেই,নিজ নিজ বিবেচনায় । লেকা :P পড়া না জেনেও শুধু কোনভাবে ঔষদের নাম শুনে ও বলতে পারার কল্যানে।

- কন কি ভাই ?
বড়ই বিপদের কতা!!!!!!!!! চুমমা চাটি কি তাইলে ছাইড়ে দিতে ঐব?

-" বুক চিন চিন করলে আসলেই কাউকে কাছে পাইতে চায় "- গানের এ কতা একদম মিছা নয় ভাইজান। তখন আসলেই, " এ মন চায় যে মোর"।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ সেইরকম একটা কথা এক সময় ছিল। ভাসলেও লাভ ছিল না- আমাদের লোভের কাছে সেই গ্যাস নস্যি। এখনো কেউ কেউ বলে।

পাট ক্ষেতে আর কি কি চলে প্লিজ বলেন না.... :P

- নানা কারনে আমরা কেউ কাউকে বিশ্বাস করিনা এটা একদম সত্যি তবে ডাঃ এমন একটা পেশা যাকে সবাই নির্ভয়ে ও
নিঃসংকোচে বিশ্বাস করার কথা ছিল। অথচ তারাও এ জায়গা হারিয়ে ফেলেছে মানুষের মন থেকে বাণিজ্যের আড়ালে।

~ একেবারে খাঁটি কথা দ্বীমত করবার অবকাশ নেই।

আপনিও চুমা নিয়ে আছেন - তাজ্জিব বাত!!! যা হবার তো হয়েছেই- এখন আরামসে খান :)

পুরুষ মানুষের মনটাই এমন- আল্লা তীর ছাড়া দরিয়ার মত কইরা পাঠাইছে ;)

২৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: নির্ব ভাই কিসের যুদ্ধে যাচ্ছে?

হাহাহাহাহা । @আমি_সাজিদ ভাই এই ব্লগে আমি সবচেয়ে বেশি ভয়ে থাকি আপনাকে নিয়ে আপনি একেক সময় এমন সব কথা বলেন ভেবেই পাই না কী বলা যায় !!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি ব্লগে আর কারে কারে ভয় পান?

২৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

হেড লাইনটা সুপার্ব হয়েছে। তবে আমি খুব সমস্যায় পড়লে আলাদা কথা অন্যথায় হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে বদ হজম নিরাময় করি। এই মূহুর্তে ডেঙ্গু পজেটিভ হবার কারণে ছায়পাস অ্যালোপাথারি ঔষধ গিলতে হচ্ছে।এতো ঘুম বেড়েছে সে আর বলার না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: ওপারে ডেঙ্গুর প্রকোপ আছে বলে তেমন শুনিনি। আপনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন শুনে আতঙ্কিত হলাম।
এখন নিশ্চয়ই ভাল আছেন?
আহা ঘুমটাকে বেশ মিস করি। বরাবরই আমার ঘুম কম। কত মানুষ চাইলেই ঘুমাতে পারে- তাদের বড্ড হিংসে হয়।
গ্যাসকে অবহেলা নয়। আপনার অতিদ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভাল থাকবেন।

২৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

জুন বলেছেন: বুয়াদের জ্ঞ্যান গরিমা #:-S

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: লিঙ্ক দেখি নাই স্যরি। অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য।
এখন চোখের সমস্যা দেখিয়ে বিভিন্ন বাহানা দেখাচ্ছি কিন্তু :)

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

করুণাধারা বলেছেন: ভালো বিষয়ে অনেক কিছু লিখেছেন। দরকারে না লাগলেই বাঁচা যায়! B-)

এমনিতেই অনেক অসুখবিসুখ আছে, আর টেস্ট করতে ভালো লাগে না!

ইয়ে, শেষে যে বললেন ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট খানা করাতে, সেখানে কি রেফারেন্স হিসাবে আপনার নাম উল্লেখ করতে হবে? ;)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

শেরজা তপন বলেছেন:
হ আমার নাম কইতে পারেন; ডাঃ শেরজা তপন, ৮০% ডিসকাউন্ট পাক্কা :) তবে টেস্টের রেজাল্ট পাইবেন না।
আসলেই একটা বসসে গেলে আর এইসব ভাল লাগেনা :(
বরাবরের মত সাথে থকে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য ধন্যবাদ আপু- ভাল থাকবেন।
সুস্থ্য থাকুন- এইটাই সবচেয়ে বড় নিয়ামত।

২৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৩

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, দেশে ঘরে সবাই ডাক্তার, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ওষুধের দোকান তাই কিছু হইলেই ছুটে ওষুধ খাইতে। ওষুধতো দেশে সবাই আনন্দ নিয়ে খায়।

দেশে থাকতে মনে পড়ে ইয়া বড় একটা বক্স ছিল ওষুধের। সেখানে দুনিয়ার সব ওষুধ থাকতো। পেইন কিলার থেকে এ্যান্টিবায়োটিক সব। যেকোন কিছু হলেই সেখান থেকে মা ওষুধ বের করে খাইয়ে দিতেন। এরপর যখন পরিবারের এক জনের পর আরেজন ডাক্তার হওয়া শুরু করেছে তখনতো কেজি কেজি ফ্রি স্যাম্পল আসতো। মা সে সব আশে পাশে বস্তি আত্বীয়-স্বজন সবাইকে বিলি করে বেড়াতেন। শুধু কি তাই, নিজেই প্রেসক্রিপশান দিতেন। কিসের ডাক্তার.........।

একবার মনে পড়ে, বড়পা যখন ফুল ডাক্তার তখন একদিন আম্মুকে ধমক দিয়েছিল এরকম না জেনে ওষুধ দিচ্ছে বলে। তখন আম্মু উত্তর দিলো, তোদেরকে তোদের চাচা-মামা চৈাদ্দ গোষ্ঠিকে আমিই ওষুধ খাইয়ে বড় করেছি, কয়টা মরছে বল??

এরকম কঠিন যুক্তির পর আর কিছু বলা চলে না তাই বড়পা ক্ষ্যামা দিয়েছিল।

যাহোক, দেশে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন?? আমিতো বলা শুরু করলে দিশেহারা হয়ে যাই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য পড়েছিলাম আর উত্তর দেয়া হয়নি- দুঃখিত অনেক দেরিতে উত্তর দেবার জন্য।
বিভিন্ন ক্যাচার ট্যাচালে পড়ে একটু পিছিয়ে গেলাম :)
১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৬ কোটি ডাক্তার ! আর কইয়েন না- কেউ কেউ আবার ডাবল ডাক্তার- দুবেলা দু ধরনের তরিকা দেয়। কয় এইটায় কাম না হইলে ওইটা খাইবেন :)

এই নিয়েই আছি আমরা। চলছে গাড়ি- যাত্রাবাড়ি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.