নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
হায় হায় কতকিছু লেখার বাকি!! সারাদিন ভাবি; এইটা লেখা হয় নাই ওইটা লেখা হয় নাই। একটা লিখতে গিয়ে আরেকটা চলে আসে- আরেকটা লিখতে গিয়ে অন্যটা। আমার ছোট্ট অফিসে বেশ ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র আছে। তিনি সুবোধ কাজী। তাঁকে নিয়ে বহুদিন লিখব বলে ভেবেছি- বহুবার তাঁর ছোট ছোট ঘটনা তুলে রাখতে চেয়েছি কিন্তু লিখব লিখব করে ভুলে গিয়েছি। তবুও মাথায় যেটুকু জমানো আছে তাঁর থেকে কিছু ঘটনা ব্লগে তুলে ধরব ভাবছি। যদিও তাঁকে নিয়ে আস্ত একটা বই লেখা সম্ভব 'নসরুদ্দিন হোদজা' এর মত সরস প্রধান চরিত্রের রূপকার হিসেবে।
প্রথমে আসি কাশেম ভায়ের কথায়। আমার বন্ধু হাসান, এখন মাইক্রো ক্রেডিটে পিএইচ ডি করে দেশের বাইরে নামীদামী এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত। যদিও সে আমার থেকে বয়সে একটু ছোট তবে বন্ধু হিসেবে চরম পরমতম ঘনিষ্ঠ। তাঁকে নিয়ে যে, কত শত গল্প কৌতুক জমে আছে তাঁর ইয়ত্তা নেই। হাসানের বড় ভাই কাশেম। যদিও তিনি আমার সমবয়সী তবুও বন্ধুর বড়ভাই হবার সুবাদে ভাই বলে ডাকি, সজ্জন কাশেম ভাইও আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করেন। শিক্ষিত সজ্জন সুদর্শন এই মানুষটির ব্যবসায়িক সব গুণাবলী থাকার পরেও বেশী সৎ, মানুষের প্রতি অতিরিক্ত বিশ্বাস দয়া মায়া বেশী থাকার জন্য একের পর এক ব্যবসায় ধরা খেয়েছেন। আমার সাথেও তাঁর কিঞ্চিৎ ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। পরিবার ও পারিপার্শ্বিক চাপে অবশেষে মধ্য চল্লিশে তিনি সব রকমের ব্যবসায় চিরতরে ইস্তফা দিয়ে ভীষণ ভগ্ন হৃদয়ে চাকুরী জীবনে প্রবেশ করেন।
ব্যবসায় ইস্তফা দেবার সময়ে তিনি সুবোধ সাহেবকে একদিন আমার অফিসে এনে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তাঁকে একটা চাকুরী দেবার জন্য। ভদ্রলোকের তখন পঞ্চাশের কাছাকাছি বয়স হলেও কাঁচাপাকা দাড়ির এলোমেলো টাকের জন্য আরো বেশী বয়স্ক মনে হচ্ছিল। নিজের থেকে বয়স্ক মানুষকে আদেশ নির্দেশ দিতে বাধে বলে আমি সাধারণত বয়স্ক লোককে নিয়োগ দেই না। তবুও এই লোককে প্রথম দেখায় আমার পছন্দ হয়নি। চেহারায় গোবেচারা ভাব ফুটিয়ে তুললেও কেমন যেন ধূর্ত নয় তবে একটু ঝামেলা মনে হচ্ছিল। পরনে ক্যাটক্যাটা নীল ফুলহাতা পলেইষ্টারের শার্ট - টাইট জিনস আর বুট টাইপ জুতায়, কাঁচা পাকা দাড়ি, আধখানা দাড়ি আর বিরলকেশের, ভারি চশমা পড়া- বেশ মোটাসোটা নাকের, শ্যামলা গড়নের, ছোটখাটো মানুষটাকে কিম্ভুত লাগছিল।
কাশেম ভায়ের কথা ফেলতে পারলাম না। এতদিন ধরে বিশ্বস্ততার সাথে তিনি তাঁর একাউন্টস দেখেছেন- ইনি শুধু তাঁর এমপ্লয়ী নন দূরসম্পর্কের আত্মীয়ও বটে। ভদ্রলোক কম্পিউটারের এক্সেল-ফেক্সেল সহ অফিস ভালই জানে।
আমি অনিচ্ছা স্বত্বেও আমার অতি ছোট কোম্পানীতে চোট সাপের বড় ব্যাঙ গেলার মত করে তাঁকে চাকুরী দিলাম।
***
তবে প্রথম দিনই ভদ্রলোক আমাকে বড় ধাক্কা দিলেন। সেদিন ফ্যাক্টরি/ অফিসে ( ছোট্ট পরিসরে) ইফতার পার্টি ছিল- একেক জনকে একে কাজের দায়িত্ব দেয়া ছিল। বিকেলে দেখা গেল সব ফল আনা হয়েছে আপেল আনা হয়নি। হাতের কাছে সুবোধ সাহেবকে পেয়ে তাঁকে টাকা দিয়ে বললাম আপনি গিয়ে আপেল নিয়ে আসেন।
তিনি অতি সঙ্কোচে টাকাটা নিয়ে দেখি ভ্যাবাচ্যাকা মুখে দু'কদম অতি অনিচ্ছাসত্ত্বে এগিয়ে গিয়ে ফের দাঁড়িয়ে ঘুরে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল।
আমি জিগ্যেস করলাম সমস্যা কি? ফলের বাজার চেনেন না? এইতো এখান থেকে বের হয়ে ডান দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে।
তিনি ভীষণ ইতস্তত হয়ে মাথা চুলকে বললেন, -তা না বস। সমস্যা হচ্ছে। আর কাউরে পাঠানো যায়?
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, ক্যান?
- মানে, আমি কোনদিন আপেল কিনি নাই তো তাই। ভাল মন্দ কি না কি আনি।
এই হল আমাদের 'সুবোধ কাজী' সাহেব। পরে জানা গেল আপেল তো দুরের কথা কোনদিন কোন ফল কিনেন নাই তিনি। সব সময় 'কনফিউজ' থাকেন দেখে কেউ কিছু বাজারে তাঁকে কিনতে পাঠায় না। তিনি' ফুল অব কনফিউজড ম্যান'। নিজে সারাক্ষণ বিভ্রান্ত ও বিভ্রমের মধ্যে থাকেন- আপনাকেও পদে পদে বিভ্রান্ত করে ফেলবে!'
যে কোন ব্যাপারে তাঁর প্রথম কথা হবে, আমিতো জানিনা, আমিতো কখনো ওইখানে যাই নাই, আমি তো বস এই কাজ কখনো করি নাই। অপ্রয়োজনীয় কাজে ১০ বার ফোন দিবে কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজে কোন ফোন দিবে না। তিনি যেইখানে যাবেন সেইখানে ট্রাফিক থাকে, সেইখানে গ্যাঞ্জাম বাধে, ওইকাহ্নে নেটোয়ার্ক থাকেনা আরো কত কি ব্লা ব্লা ব্লা!!!
আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আতঙ্কিত থাকি প্রথম ফোনটা যেন তাঁর না আসে। জানি প্রথম ফোনটা সে-ই করবে। কত করে চাই ওয়েলকাম ছবির 'নানা পাটেকারে'র মত 'মজনু কন্ট্রোল' করব নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না। দিনের শুরুটা ভাল হয় না। মাঝে মধ্যে ম্যাসেজ পাঠাই কিন্তু তা তেও শান্তি নাই। টেক্সটের বিষ্যগুলো ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আর এক দফা মেজাজ খারাপ হয়। সবাই বলবে তবে কেন তাঁকে আমি চাকুরীতে রেখেছি? সে আর এক কাহিনী বস!
আজ দশ বছরের বেশী সময় তিনি আমার সাথে আছেন। বহুবার তিনি আমাকে ছেড়েছেন - বহুবার আমিও তাঁকে ছেড়েছি।
সুবোধ সাহেবের একটা গল্প দিয়ে আজকে শেষ করি;
খুব জরুরী একটা বিষয়ে আমি তাঁকে বাসা আসতে বলেছি। বাস থেকে নেমে আমার বাসা আসতে তাঁর বড়জোর পাঁচ মিনিট লাগবে। পাঁচ মিনিট যায় দশ মিনিট পনের মিনিট যায় সে আর আসে না । তাঁর ফোনের চার্জ ছিল না দেখে ফোন ও করতে পারছিলাম না। বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাঁর ফোনের চার্জ চলে যায়!
কোন সমস্যা হল কি না ভেবে আমি নীচে টেনশনে নেমে গেটের কাছে পায়চারি করছিলাম। প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে দেখি সোজা রাস্তা না দিয়ে এসে অন্য এক রাস্তা দিয়ে সে ঘেমে নেয়ে হন হন করে বাসার দিকে এগিয়ে আসছেন। আমি হাঁফ ছাড়লাম! বকা দিতে গিয়ে নিজেকে সামলালাম। তাড়াতাড়ি কাগজপত্রে সই সাবুদ করে তাঁর হাতে তুলে দিয়ে বললাম, দ্রুত যান। সে দেখি ফের -সেই উল্টো রাস্তা দিয়ে ফিরে গেল! খটকা লাগল কাহিনী কি?
পরদিন ধরলাম, দেরি হল কেন আর উল্টো রাস্তা দিয়ে আসল গেল কেন?
তিনি প্রথমে একটা লাজুক হাসি দিলেন তারপরে একটু কাঁচুমাচু ভঙ্গীতে হাতের উপরে হাত ঘষে বললেন,
-বস সত্যি কথা বলব। রাগ করবেন না তো?
- রাগ করবার মত কিছু না হলে রাগ করব কেন? বলেন আসল কাহিনী কি?
- আপনার বাসায় যাবার অনেকগুলা রাস্তা! প্রায় সবগুলা রাস্তাতেই 'চোরা স্পিড ব্রেকার' আছে। আমার চশ্মার কাঁচ প্রায় প্রায় ঘোলা হয়া যায়, চোখের একটু সমস্যা তো এগের থেকেই আছে - মাঝে মধ্যেই ওইগুলাতে উষ্টা (হোঁচট) খাই। আমার দাদী আবার কইছে কোন রাস্তায় উষ্টা খাইলে সেই রাস্তায় না হাঁটতে। আমরা আবার দাদীরে খুব মানি। তাই আমি সেইদিন ম্যলা ঘুইরা আপনার বাসায় ওই রাস্তা দিয়া গেছিলাম। ওই রাস্তা দিয়া এখনো উস্টা খাই নাই।
আমি তাঁর কথা শূনে তব্ধা ধরে গেলাম!!! মেলাক্ষন বাদে শুধু একটা প্রশ্ন করলাম; যদি ওই রাস্তাতেও উস্টা খান তাহলে কি আমার বাসা পাল্টাতে হবে?
***
অ.ট.
দুপুরে লেখাটা একবার পোষ্ট দিয়েছিলাম; কিন্তু প্রথম মন্তব্য পেয়েই মনে হল এলেখার মুল চরিত্রের সাথে ব্লগের বেশ পরিচিত একজনের নামের মিল আছে। অযথাই এটা নিয়ে একটা ক্যাচাল বেঁধে যেতে পারে তাই সুবোধ সাহেবের নামের পদবী পাল্টে দিলাম। তবে সেই মন্তব্যটি পরে সংযুক্ত করে দিব।। আশা করি আর কোন ক্যাচাল হবে না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভুতের গল্প পড়েছেন?
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
বেশী সৎ, মানুষের প্রতি অতিরিক্ত বিশ্বাস দয়া মায়া বেশী থাকার জন্য একের পর এক ব্যবসায় ধরা খেয়েছেন।
সৎ মানুষ, আবার সহজে মানুষকে বিশ্বাস করে।
সে বাঁশ খাবে না, তাই কি হয়?
যে কোন ব্যাপারে তাঁর প্রথম কথা হবে, আমিতো জানিনা, আমিতো কখনো ওইখানে যাই নাই, আমি তো বস এই কাজ কখনো করি নাই। অপ্রয়োজনীয় কাজে ১০ বার ফোন দিবে কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজে কোন ফোন দিবে না।
এক কথায় ট্রাবল মেকার।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: সত্যিই ট্রাবল মেকার। ভাল কথা মনে করেছেন।
কথাটা মনে আসছিল না
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যি ছেলের (সুবোধ কাজীর) অধ্যবসায়
বাহ্ ওনাকে দিয়ে হবেই , আপনাকে কুপোকাতের কথা বলছিলাম !!
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: উনাকে দিয়ে হওয়ার আর উঁনার বয়স নেই ভাই
তবে আমাকে বহুবার কাত করেছে- এখন অবশ্য আমি ওনাকে কাত করার টেকনিক শিখে গেছি
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন:
সত্যি কত কিসিমের মানুষ!
এই সামুতেই কত রকমের মানুষ।
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখি।
এই কিছিমের মধ্যে তুমি একজন
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ সেতো বটেই
আমি আপনি সবাই একেকজন একেক কিসিমের চিড়িয়া বটে!!
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাম যখন বদলাইলেনই, নামটা ''সুবোধ পাজী'' দিলে আরো ভালো হইতো। আকীকা যেহেতু দেওয়া লাগবে না, একটা সেকেন্ড থট দিলেও দিতে পারেন।
সুবোধ পাজী চোখের সমস্যার জন্য উস্টা খায় নাই, খাইছে খাইসলতের জন্য।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: আরেহ্ না তিনি আমার একজন মুরব্বী মানুষ চারুরি তো আর সখে করছে না- তবে এককালে খুব আরামে আয়েশে মানুষ হয়েছেন।
সেজন্য ভাওড়া টাইপের মানুষ।
সুবোধ পাজী চোখের সমস্যার জন্য উস্টা খায় নাই, খাইছে খাইসলতের জন্য।
হ্যাঁ হ্যাঁ তা-তো বটেই। ধীরে ধীরে তাঁর এসব খোলসা হবে।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন:
সত্যি কত কিসিমের মানুষ!
এই সামুতেই কত রকমের মানুষ।
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখি।
এই কিছিমের মধ্যে তুমি একজন
oui monsieur, আমরা কেউই এর বাইরে না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: এটা ফ্রেঞ্চ? ইয়েস স্যার, উনারে এই ভাষা শিখাইতেছেন নাকি??
ক্যামনে কি?
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
কামাল১৮ বলেছেন: বন্ধু হবার জন্য কোন বয়স লাগে না।আমার ছোট মেয়ে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।অনেক ছেলে বন্ধু আছে যাঁদের এখনো বিয়েই হয় নি।কিছু বন্ধু আছে যারা ৮০ +।যার সাথে বসে দুটু কথা বলা যায় সেইতো বন্ধু।আপনার সাথে দেখা হলে আপনি কি আমার বন্ধু হবেন না।
আমরা সবাই সবার বন্ধু কেউ কারো শত্রু না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই কামাল ভাই, এই ব্যাপারে আমার কোন দ্বীমত নাই। আমার আড্ডায় যেমন ৩৫ বছরের যুবক আছে তেমন আপনার ওই ৮০ বছরের যুবকও আছে।
কোন্ম সমস্যা হয় না আড্ডা দিতে।
আমরা শুধু বন্ধু নই এক পরিবারও। ক্যাচাল লাগলেও ঘর ছেড়ে যাই না
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: oui monsieur, আমরা কেউই এর বাইরে না।
Ναι ΔΕΣΠΟΙΝΙΣ , আমি আলাদা , আমি সব চাইতে সরল সোজা মানুষ
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি দেখি আবার গ্রীক ভাষা নিয়ে আইলেন!!
কি শুরু হৈল - ভাষা শিক্ষা ক্লাসে চইলা আইলাম নাকি!!!!
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এটা ফ্রেঞ্চ? ইয়েস স্যার, উনারে এই ভাষা শিখাইতেছেন নাকি??
ক্যামনে কি?
আরেহ না , ঠাট্টার জবাবে উনি এই ভাষা ব্যবহার করেন । আচ্ছা ফ্রেঞ্চভাষাকে কী প্রেমের ভাষা বলে নাকি ফারসি ভাষাকে বলে ??
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমি নাদান মানুষ ' মাদমোয়াজেল মিরোরডডল' ভাল বলতে পারিবেন
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাইজান ওনাকে ক্যামনে কাত করছেন আমাদের বলবেন !!
আর হ্যাঁ ভাইজান ওনারে নিয়া আর লিখা যায় না ? আমার পছন্দ হৈছে এই মানুষটাকে !!
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ লিখব তো অনেক কথা তারে নিয়া- আপনার মাথার নিউরনগুলা সব আলগা হয়ে যাবে তাঁর কথা শুনলে।
কাত করি ক্যামনে তাঁর একটা উদাহরণ দেই;
ধরেন সে একদিন একটু খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছে, আপনি মোলায়েম স্বরে জিজ্ঞেস করলেন, সুবোধ সাহেব আপনার হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে কি হয়েছে?
তাইলেই কম্মো সাবাড়।
~ এমন পায়ের ব্যাথার পেছনের কারণ তাঁর পেছনের কারণ তাঁর পেছনের কারণ বলা শুরু করবে এবং এরপরে সে কি কি করেছে আরো কি কি করা দরকার ছিল তাঁর সব বিস্তারিত বলতে থাকবে সব গুরুত্বপূর্ণ কাজের ফাঁকে ফাঁকে। যতক্ষন পর্যন্ত ধমক না দিবেন ইতিহাস বলা থামাবেন না।
আর যদি প্রথমেই ধমক দিয়ে বলেন, কি ব্যাপার কি সমস্যা। খোড়ায় খোড়ায় হাটতেছেন ক্যান। আপনার দেখি প্রতিদিনই একটা না একটা সমস্যা লেগেই থাকে।
তাহলে উত্তর হবে, মৃদু স্বরে কাঁচুমাচু ভঙ্গীতে,
না বস- এই একটু ব্যাথা পাইছি। সকালে গরম ছ্যাকা নিছি। এখন আল্লার রহমতে অনেক ভাল। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাব।
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
কামাল১৮ বলেছেন: বন্ধু হবার জন্য কোন বয়স লাগে না।আমার ছোট মেয়ে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।অনেক ছেলে বন্ধু আছে যাঁদের এখনো বিয়েই হয় নি।কিছু বন্ধু আছে যারা ৮০ +।যার সাথে বসে দুটু কথা বলা যায় সেইতো বন্ধু।আপনার সাথে দেখা হলে আপনি কি আমার বন্ধু হবেন না।
আমরা সবাই সবার বন্ধু কেউ কারো শত্রু না।
কামালের মন্তব্যে ১০০ তে ১০০।
আমি নিজেও তাই। পাঁচমিশেলি বন্ধু আছে আমার।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২২
শেরজা তপন বলেছেন: পাঁচমেশালি ভর্তা , পাঁচ ফোড়ন, পাঁচমেশালী গুড়া মাছ, পাঁচমেশালী সব্জি আর পাঁচমেশালী আড্ডা সবগুলোই মজার!!!
১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
সরল সোজা মানুষ???
πρέπει να το πούμε εμείς, όχι εσύ
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: মাঝে মধ্যে মনে হয় ব্যাপক সরল সোজা- একটা ভুল করে ঠিক টমের মত( টম এন্ড জেরিতে টম ভুল করে যেমন তাঁর মনিবের দিকে তাকায়) তাকায়।
তখন মায়া লাগে কিন্তু সেটা আসলে তাঁর একটা কৌশল মনে হয় কিংবা সরলতা বড় জটিল একটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
ধীরে ধীরে আলাপে বুঝবেন।
১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: πρέπει να το πούμε εμείς, όχι εσύ
Εγώ είμαι μαθητής του Σωκράτη. Κάνε λοιπόν τη δική σου φήμη!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: Вы действительно ученик Сократа!! Он имеет в виду, что ты знаменитый Платон??
১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: হাহা হা হাহা হা
আপনার এই সুবোধের প্রবোধ( ) শুনবার বেশ আগ্রহ জন্মেছে । একবার হলেও ওনাকে আমি দেখতে চাই !
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: না রে ভাই দেইখেন না। দেখলে গল্প করতে মন চাইবে- আর গল্প করলে মনে হবে, এই ভদ্রলোকেরে নিয়ে তপন ভাই এত আজেবাজে কথা কইছে।
এই মানুষটা এত খারাপ। দুনিয়ার সবাই খারাপ হোক আমি হইতে চাই না।
১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ক্যচাল লাগবে কেন? আপনিতো সুবোধ কাজির সরলতা নিয়ে লিখেছেন। কেউ যদি মিল খুজে পায় তাহলেতো খুশীই হবে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আরে না কাজীর নাম আরেকটা ছিল তাই!
আরে ভাই যে ক্যাচালের জন্য বাহানা খোঁজে তাঁর জন্য বাইরের সার হলেই হয় ভেতরের অংশের দরকার হয় না।
১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাই রে ভাই আমিতো এটা পড়তে গিয়ে শায়মা আপুর মতো হাসতে হাসতে শেষ!
সুবোধ কাজী, বেশ ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার। ভাল লেগেছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ তারে নিয়ে আমার একটা সিরিজ করার ইচ্ছে বেশ অনেক দিনের। কত লেখা জমে আছে কোনটা ছেড়ে কোনটা করি। যাপিত জীপনের এক ঝক্কির পাশাপাশি চোখটা বেশ ভাল ভুগিয়েছে কিছুদিন।
বরাবরের মত সাথে থেকে সঙ্গ দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভাল বাসা। শুভকামনা রইল ব্রাদার।
১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আর একটা কথা বলা হয়নি, প্রচ্ছদ টা কিন্তু দারুন হয়েছে!
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ওইসময়ে ছবিটা তুলে রেখেছিলাম- এখন কাজে লাগিয়ে দিলাম
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫০
দি এমপেরর বলেছেন: গাজী কাজীতে পরিণত হয়েছে কিন্তু আর সব তো ঠিকই আছে। এখন একজনের নাম আরেকজনের সাথে মিলে গেলেই কি কেউ ম্যাওঁপ্যাওঁ করার অধিকার রাখে?
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিলাম। উত্তর দিয়েই ভাবলাম- ভাল কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তাড়াহুড়ো করে লেখাটা ড্রাফটে নিয়েছি ক্যাচাল শুরু হবার আগে।
কিছু মনে নিয়েন না।
আপনি চাইলে ওই লেখাটা ফের পোষ্ট দিয়ে আপনার মন্তব্য ফিরিয়ে আনতে হবে- এছাড়া আর কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই।
নাহ্ আপনি ছাড়া ঐ গুপন কথা এখন আর কেউ জানেনা
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৩
দি এমপেরর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের উত্তর দিয়েছিলাম। উত্তর দিয়েই ভাবলাম- ভাল কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তাড়াহুড়ো করে লেখাটা ড্রাফটে নিয়েছি ক্যাচাল শুরু হবার আগে।
কিছু মনে নিয়েন না।
আপনি চাইলে ওই লেখাটা ফের পোষ্ট দিয়ে আপনার মন্তব্য ফিরিয়ে আনতে হবে- এছাড়া আর কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই।
নাহ্ আপনি ছাড়া ঐ গুপন কথা এখন আর কেউ জানেনা
নাহ, তার আর দরকার নেই। গাজী কাজীই থাকুক
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
কোন মন্তব্য এমনভাবে গায়েব হয়ে গেলে অনেকেই এত সহজভাবে নিতে পারেন না। ভাল থাকবেন।
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩১
জটিল ভাই বলেছেন:
ভাগ্যিস আপনার সুবোধ গাজী এই ব্লগে ব্লগিং করেন না। নয়তো উস্ঠা(ব্যান) খাইলে ব্লগাররা অনেক বিনুদন মিস করতো
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আসলেই মিয়া জটিল চিন্তা করেন- এইখানে গাজী পাইলেন কই। কাজীরে গাজী দেখেন???
আমারে ফাঁঁসানোর তালে আছেন!!
ওই লোকটার জন্য মাঝে মধ্যে মায়া লাগে -কিন্তু যখনই মায়া লাগে তখনই বিরাট একটা আকাম করে
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুবোধ কাজীকে তো ভালো লেগে গেল আমার। কর্মস্থলে হয়ত সে আপনাকে অনেক বিরক্ত করে, কাজ না পারায় অনেক বিড়ম্বনা হয়, কিন্তু কিছু মানুষ আছে, যাদের বিহেভিয়্যার খুবই পিকিউলিয়ার, কিন্তু কীভাবে যেন মানুষের ভালবাসা পেয়ে যায়। সুবোধ কাজী অবশ্য আপনার লেখার গুণেই এত জীবন্ত। প্রতি অফিসেই এমন কিছু ক্যারেক্টার পাওয়া যাবে, যারা নিজেরাই একেকটা 'সাত খণ্ডের হাসির বিশ্বকোষ'। আমার অফিসেও ছিল এমন এক স্টাফ। প্রচুর ভুল করে। ভুল করার পর আবার দুঃখ প্রকাশ করতে করতে পাগল হয়ে যায়। ইন্সট্যান্টলি তার উপর খুব রাগ হয়। পরে ওটা দমন করি। এবং দেখা গেল তাকে আমি অনেক পছন্দ করি তার সারল্য ও আনুগত্যের জন্য।
আপনার ভার্সেটাইল সাবজেক্টে স্বল্প সময়ে পোস্ট লেখার দক্ষতা সত্যিই মুগ্ধ করার মতো।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এই লোক ভাল্বাসা পাওয়ার মত মানুষ নয়। খুব মানুষ একে ভালবাসে কিংবা খুব কম মানুষের কাছ থেকে এরা ভালবাসা পায়।
পদে পদে এরা লাঞ্চিত হয় বঞ্চিত হয়। তবু বাধ্য হয়ে ফের তাঁর কাছে এদের যেতে হয় আবার সেই ভুল করে আবার সেইভাবে লাঞ্চিত হয়।
আল্লাহ এদের দারুণ ধৈর্যশক্তি দিয়ে পাঠিয়েছে।
২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: চোখের দেখায় লোকটাকে নিতে চাইলেন না। তারপর তার কাজের রূপ তেমনই বের হলো। আপনার সিক্স সেন্স তো সাংঘাতিক।
এতদিন কেমনে লেগে আছেন একে অপরের সাথে
এই মহা গুণটাও জানতে চাই
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি জানি এই দেশের আটানব্বুই মানুষকে বিশ্বাস করলে ঠগতে হবে তবুও আমি মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই- আর পদে পদে ঠগি!
এ নিয়ে আমার গিন্নীর দুঃখের অন্ত নেই। ধরুন যে কারো কাছ থেকে পেয়ারা কিনতে গেলাম - ১০০ টাকার পেয়ারা কিনব কি আর এত বেছে নিব ওকেই বললাম ভাই তুমি তোমার মত করে ভাল পেয়ারা গুলো বেছে দাও, তুমি আমার আস্থার মর্যাদা দেবে! আমার গিন্নী নিশ্চিত থাকে সে আমাকে ঠগাবে সে নিষেধ করে আমি নিবৃত করি তাঁকে, আমি মানুষকে বিশ্বাস করতে চাই। ঠিক বাসায় এসে দেখি প্রথম পেয়ারাটা পাকা না হয় পচা।
গিন্নী রাগে আর আমি মনে মনে হাসি মানুষ কত অল্প পয়সায় তার বিবেককে বিক্রি করে দেয়।
আমি বড় বিষয়ে মানুষ চেনার চেষ্টা করি এখন - যেখানে আমার বড় ধরনের স্বার্থ জড়িত। ছোট খাট ব্যাপারে একেবারেই ইগ্নোর করি। তবে ব্যাবসায়ীদের মানুষ চিনতে হয়। কিন্তু এত চেনার পরেও কিছুদিন আমার সবচেয়ে কাছের কিছু মানুষ এমন ব্যতিক্রমী কিছু প্রতারণা করেছে যা আমি ভাবতেও পারিনি কোন দিন।
২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: Вы действительно ученик Сократа!! Он имеет в виду, что ты знаменитый Платон??
Анаксагор был упорным учеником Сократа, я его!!
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: Уф!! Действительн
২৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৭
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: কদিন ধরে সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছি।
১.
নূন্যতম খরচ ১০ টাকা মাত্র। চলতি পথে ছোটখাটো জিনিস কেনা বা কোন সার্ভিস নিতে গিয়ে মূল্য পরিশোধের পর যদি আমার হাতে ১০ টাকা আসে তবে সে ১০ টাকা আমি নেব না। বরং বিক্রেতা বা সেবাদাতাকে আমি সেই ১০ টাকা দিয়ে দিব। বলব মামা এটা তোমার চা খাওয়ার টাকা।
তো,
/১০ টাকার বিনিময়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন? ইতিবাচক, প্রতিক্রিয়াহীন নাকি উল্টো নেতিবাচক (প্রবল আত্ম সম্মান সম্পূর্ণ মানুষের কাছে ১০ টাকা অপমানজনকও মনে হতে পারে)?
/কৃতজ্ঞতাবোধ নামক মূল্যবোধের উপর ১০ টাকার কোন এফেক্ট আছে কিনা?
/পারস্পরিক সম্পর্কের উপর এই ১০ টাকার ছোট্ট প্রণোদনার কোন প্রভাব আছে কিনা?
২.
বাইকে চড়লে,
ভাড়া ১০০+ হলে ১৫০
ভাড়া ১৫০+ হলে ২০০
ভাড়া ২০০+ হলে ২৫০ দিয়ে দেই। কারন বাইকাররা যেভাবে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে, দুষিত বাতাসে ফুসফুস নষ্ট করে এবং সর্বোপরি জীবনের ঝুকি নিয়ে যে সেবা দেয় তাতে আমি নিজে থেকেই অতিরিক্ত কিছু দিয়ে দেই।
৩.
রাস্তাঘাটের সবজি বা ফল বিক্রেতাকে সাফ বলে দেই বেছে দিতে আর ন্যায্য দাম নিতে। কারন দামাদামি করে সময় নষ্ট করতে আমার ভালো লাগে না। ও যদি আমাকে ঠকায় তবে এটা আমার ইহকালে ক্ষতি যা পূরনীয় কিন্তু একই সাথে বিক্রেতার পরকালের ক্ষতি, আমার হক নষ্ট করার কারনে। তবে ফেরত নেয়ার সময় এদেরও যখন ঐ অতিরিক্ত ১০ টাকা দেই চা খাওয়ার জন্য, তখন ওরা খুব অবাক নয়নে আমার পানে চেয়ে থাকে। যে হাসিটা তখন দেয়, তা সত্যিই অনন্য সাধারন। ধনী মানুষগুলোর প্লাস্টিক মার্কা হাসি নয়।
কি মনে হয়, খুব বেশি বোকামি হয়ে যাচ্ছে, তাই না?
//তপন ভাইয়ের ২২. মন্তব্যের উত্তরে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেয়ার করলাম।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: জেনে ভাল লাগল যে ব্লগে আমরা এমন ভাল মনের মানুষদের সান্নিধ্যে বাস করি।
আপনি ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
২৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮
জুন বলেছেন: গতকাল পড়েছি কিন্ত ঘরে এত সমস্যা যে মন্তব্য করার আর সময় পাই নি শেরজা। সুবোধ পাজীর কাহিনী পড়ে এত কষ্টের মধ্যেও হাসলাম। আমার ড্রাইভারটা এমন ছিল কিন্ত তাকে আমি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সোজা করেছি। যেমন কিনতে দিলে গড়িমসি। এখন ঠিক।
এত স্পীড ব্রেকার! বসুন্ধরা থাকেন্নাকি
+
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ড্রাইভারের গল্প শুনতে মন চাইতেছে??
আপনি লিখেন না ক্যান? ক্যামনে সোজা করলেন সেইটা বলেন- আমিও কিছু শিখি। আমার গিন্নীর সামনে কাজী সাহেব মোটামুটি সোজা থাকে ক্যামনে আমি জানিনা!!!
না না আমি অত্ত বড়লোকের পাড়ায় থাকি না। আড্ডাবাজ মানুষ আমি।
২৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
রবিন.হুড বলেছেন: চরিত্রটা সুন্দর কিন্তু কাল্পনিক না বাস্তবিক? বাস্তবের দেয়ালিকার সুবোধ কে?
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: একেবারে বাস্তব চরত্র। ভুলেও উনার সাথে পরিচিত হইতে চাইয়েন না- মাথার পোকা ফেলায় দিব।
২৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওয়াও! তপন ভাই আপনি এমন একজন রেয়ার কালেকশন পেয়ে গেছেন যে প্রতিদিনই একটা করে নুতন গল্প হবে।এই পিস সবার কাছে আসে না । দারুণ সব মজার কাহিনী আগামীতে আমরা পাবো নিশ্চিত। দেখলাম ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করেছেন। বাম্পারে হোঁচট খাওয়ার মতো ইউনিক ব্যাপার সাধারণত আমাদের মাথায় আসবে না।যাই এখন পরবর্তী পর্বে....
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: তাঁকে নিয়ে শুরু করলে এতদিনে হাজারতম পর্ব হত নিশ্চিত। কত যে নতুন নতুন গল্প বেড়িয়ে আসত। কত মজার কাহিনী ভুলে গেছি! আফসোস লাগে।
তারপরও যেটুকু মাথায় আসে লিখে যাই। ওই কানা মামার মত অবস্থা আর কি!
প্রথম কয়েক পর্ব পরিচয়ে যাবে। সাথে থাকবে- অনেক ইউনিক ব্যাপার আছে তাঁর। সত্যিই কত কিসিমের মানুষ যে হয়।
ভাল থাকবেন ভাই। দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে।
২৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সুবোধ সাহেবের অনেষ্টি আমার ভালো লেগেছে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে প্রীত ও অন্যপ্রাণীত হলাম সেইলর সাহিত্যিক!
আপনার বই প্রকাশের পরে ' মায়ের কথাটি খুব ভাল লেগেছিল, কাউরে বই মাগনা দিবি না... ছেলের শ্রমের মুল্য মায়ের কাছে অসীম।
২৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এতক্ষণে ধরতে পারলাম লেখার হালচাল।
দুনিয়া যে কত বিচিত্র আর তারচেয়ে বিচিত্র মানুষ, তবে এইসব বাইনারি কোড জিরো আর ওয়ান বুঝা মানুষের পাল্লায় যে পড়ে তার অনেক পাপ কাটা যায় শিউর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
সত্যি কত কিসিমের মানুষ!
এই সামুতেই কত রকমের মানুষ।
প্রতিদিন নতুন কিছু শিখি।
পোষ্ট পড়ে পরে আসবো।
এখন শিরোনাম পড়ে দীর্ঘশ্বাস রেখে গেলাম।