নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ব্লগ গরম গাজা নিয়ে। আমি অনেক আগে থেকেই 'হামাস' কতৃক এমন একটা উরাধুরা আক্রমনের সন্দেহ করছিলাম। এর অর্থ আমি বেজায় বুদ্ধিমান একজন মানুষ এমন নয় মোটেও। নামে কামে যাই হোক আমি একজন মুসলিম- সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাজকর্মের নুন্যতম খোঁজখবর রাখি। একদা ভীষন বুদ্ধিমান একটা জাতি দিনে দিনে কিভাবে বলদে পরিনত হচ্ছে – মগজ মাথা থেকে কিভাবে হাটুতে নেমে যাচ্ছে, বই পড়ে ইতিহাস ঘেটে আর নিজের চোখে দেখে সেটা আমি ভাল করেই অনুধাবন করছি আর মর্মপীড়ায় ভুগছি।
***
আমি আজ অব্দি একটা প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাই নাই। ইহুদীরা পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান, চতুর, ধুর্ত, ধণী,চরম ক্ষমতাধর, ব্যাবসায়ী জাতি হবার পরেও দুনিয়ার এত সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকতে কেন আধা-শুষ্ক, আধা-উর্বর , মরা সুমুদ্রের পাশের ওই ক্যাচাইল্যা জায়গাটা বেছে নিল তাদের পিতৃভুমির জন্য। এটা কি শুধুমাত্র ধর্মীয় কারন, নাকি জাতীয়তাবাদ/আবেগ নাকি অন্যকিছু? ওখানে কি এমন বিশেষ মধু আছে যে শত শত বছর ধরে সে মধুর জন্য ওরা জান দিতেই আছে আর নিতেই আছে? দয়া করে কেউ আমাকে ইতিহাস শিখাতে আসবেন না প্লিজ কারণ ইসরায়েলের ইতিহাস কমবেশি আমি জানি।
আর পৃথিবীবাসী যেই উত্তর পায় নাই অথচ ব্লগার ঢাবিয়ানের মত আমি বলদও পেয়ে গেছি সেইটা নিয়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল লেগে যাবার অবস্থা!
যেই মোসাদের কথা শুনলে সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় যুদ্ববাজ নেতাগো ঠ্যাং কাঁপে। সি আই এ, র- ফ যাগো গোনে। নিজেরা কোন কাম না পারলে যাদের ভাড়ায় আনে। দুনিয়ার সব হাইটেক যাদের হাতের মুঠোয়। আমরা দুইশ বছর পরে যেইটা কল্পনা করব যেটা তারা আরো আগেই উদ্ভাবন কইরা ফেলছে। পুরা গাজার এক ইঞ্চি জায়গা নাই যেটা তাদের নজরে নাই- মানুষ তো দুরের কথা একটা ইদুর বিড়াল ও এপার ওপার হইতে পারে না। সেই তাগোরে ভুলায় ভালায় তাপ্পি তুপ্পি দিয়া হামাস পাঁচ- দশ হাজার রকেট লাঞ্চার সেট কইরা দমাদম ফাটায় ফেলল এইটা আবাল মিশর বুঝল বোকাচোদা মোসাদ তো বটেই দুনিয়া জোড়া কোন গোয়ান্দাই আগের থেইকা বুজবার পারে নাই এইটা জানার পরে হাসতে হাসতে গিলা কইলজা ফাইট্যা যাবার অবস্থা!!! 'ভাইরে একবিংশ শতাব্দীর সবচাইতে বড় জোকস এইটা'।
****
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে! আমদের আড্ডাটা বসে বড় মসজিদের এক পাশে – নামাজ শেষে সব মুসল্লিদের সাথে দেখা সাক্ষাত হয় নিয়মিত। মসজিদের এক খাদেম আছে- যুবক ছেলে। বেশ তাগড়া চটপটে। আশেপাশ থেকে চাঁদা ওঠায়। তাকে দেখে একজন ডেকে, জিগায়। কিরে গাজায় যাবি নাকি?
কাছে এসে, হেসে জোশের সাথে বলল, হ যামু তো। টাকা দেন আইজ রাইতেই যামু।
- গাজার রাস্তা চিনিস কোন দিক দিয়ে ক্যামনে যাইতে হয়?
- সেটা চিনা নিমুনে। সমস্যা নাই।
এই হইল বাঙ্গালীর জোশ। একটা হ্যান্ড মাইক নিয়ে বায়তুল মোকাররমে দাড়ায়ে বলেন কে কে শহিদ হইতে গাজায় যাইবেন? ইমানী জোশে কয়েক মিনিটেই শোখানেক মানুষ খাড়ায় যাবে। ক্যামনে যাবে কোথায় যাবে কি হবে? সব আল্লা ভরসা।
গাজা স্টিপ কি?
একটা অবরুদ্ধ নগরী। পৃথিবীর সবচাইতে বড় উন্মুক্ত জেলখানা। যেখানে দুই মিলিয়নের উপরে মানুষ বাস করে।
আপনি কি জানেন। গাজায় কতগুলো শরনার্থী ক্যাম্প আছে? আমিও জানতাম না ক’দিন আগে।
গাজায় ইউ এন পরিচালিত মোট আটটি শরনার্থী ক্যাম্প আছে। যেখানে ছয় লাখের উপরে শরনার্থীর বাস। এর অর্থ এরা সবাই শতভাগ বসে বসে বসে খায় দায় আর গুলতানি মারে।
যাদের খাদ্য, পানীয় বাসস্থান, স্যানিটেশন থেকে শুরু করে সব ইউন দ্বারা সরাসরি পরিচালিত হয়।
এর মধ্যে;
গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির জাবালিয়া ক্যাম্প। এটি গাজা শহরের উত্তরে একই নামের গ্রামের কাছে অবস্থিত। ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর, শরণার্থীরা শিবিরে বসতি স্থাপন করেছিল, বেশিরভাগই দক্ষিণ ফিলিস্তিনের গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছিল ( ভাবা যায় এই শিবিরের বয়স ৭৫ বছর- কি আশ্চর্য মিল আমাদের বিহারি ক্যাম্পের সাথে!!!)। আজ, শিবিরটি মাত্র ১.৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং ১২০০০০ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর জনসংখ্যা UNRWA নিবন্ধিত। শিবিরটি এই গ্রহের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলির মধ্যে একটি।
~ নুসেইরাত রিফুইজি ক্যাম্প!
নোটঃ যদিও আমাদের রোহিঙ্গা শিবির কিংবা মানবেতর ও চরম ঘনবসতিপূর্ণ বিহারি শরনার্থী শিবিরের সাথে তুলনা করলে চলবে না। এরা কিন্তু নিজ দেশে পরবাসী। এরা অন্য কোন দেশে উব্দাস্তু নয়। এরা ওখানে বহুতল বাড়িতে বসবাস করে- এবং যাতায়াত অবাধ।
গাজার ৬৫ ভাগ মানুষের বয়স ২৪ বছরের নীচে।
যখন বয়সের গোষ্ঠীর কথা আসে, গাজা স্ট্রিপটি তরুণদের দিকে রয়েছে, যার গড় বয়স মাত্র ১৮ বছর। উপরন্তু, ২.০৫% জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সাথে- এটি স্পষ্ট যে অঞ্চলে জনসংখ্যার বিকাশ বেশ ভালভাবেই অব্যাহত রয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, গাজায় বিশ্বের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার রয়েছে। "অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় গাজাবাসীর মধ্যে প্রায় দুইজনের একজন বেকার..
এটা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে কাজের সুযোগ নেই সেখানে বেকারের হার সর্বোচ্চই হবেই। কাম কাজ না থাকলে মাথায় দিন দুনিয়ার উদ্ভট চিন্তা আসবেই। ১৮ থেকে ২৪ বছরের ২০ জন ছেলে একসাথে জড়ো হলে তারা নতুন কোন রেভ্যুলেশোনের সপ্ন দেখে। কর্মহীন এসব যুবকের রক্ত টগবগ করে ফোটে। এদের বিবেকের থেকে আবেগ কাজ করে বেশী। ধর্মো ও জাতীয়তাবেদের পোকা এই বয়সেই মাথায় একদম পোক্ত করে ঢোকানো যায়। জীবনের ব্যাপকতা সন্মন্ধে কোন ধারনা থাকেনা তখন- তুচ্ছ বিষয়ে জীবন দিতে দ্বীধা করে না এরা। আর এদেরকেই শতাব্দীর পর শতাব্দী টোপ হিসেবে ব্যাবহার করে আসছে রাজা মহারাজা, জাতীয়তাবাদী নেতা, ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে সব ক্ষমতালোভী, ক্ষমতালিপ্সু মানুষেরা। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়।
****
নোটঃ আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩.৭৭। পার্থক্য খুব বেশী নয়। কেননা ওদের পুরুষের একটা বড় অংশ দৌড়ের উপরে থাকে সারা বছর। হাজার হাজার পুরুষ ঘর ছাড়া, জেলবন্দী, আন্ডারগ্রাউন্ডে, নিখোঁজ।
ফিলিস্তিনিতে শিক্ষার হার -৯৭ ভাগ( ১৫ বছরের উপরে)
গাজা জুড়ে ২৭৮ টি UNRWA স্কুল রয়েছে। যার মধ্যে ৮০টি একক শিফটের ভিত্তিতে, ১৯৮টি ডাবল শিফটের ভিত্তিতে চলে। যেখানে কর্মরত আছেন শিক্ষক কর্মচারী সহ মোট ৯৪৪৩ জন।
গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আরবি: الجامعة الإسلامية بغزة), IUG এবং IU গাজা নামেও পরিচিত, গাজা শহরে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গাজা উপত্যকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশটি গবেষণা কেন্দ্র এবং ইনস্টিটিউট এবং অধিভুক্ত তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ছাড়াও বিএ, বিএসসি, এমএ, এমএসসি, এমডি, পিএইচডি, ডিপ্লোমা এবং উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করতে সক্ষম বিশ্ববিদ্যালয়ের এগারোটি অনুষদ রয়েছে।
১৯৭২ সাল পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব ছিল না।তার আগে, ফিলিস্তিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য, প্রধানত মিশরীয় এবং জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যেতেন। যাইহোক, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের পর ছাত্র আন্দোলনের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা, অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি এবং আরব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি ছাত্রদের ভর্তির উপর ক্রমবর্ধমান নিষেধাজ্ঞা এই পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে।এইভাবে, স্থানীয় প্রবীণদের নেতৃত্বে স্থানীয় উদ্যোগ এবং সামাজিক ও জাতীয়তাবাদী নেতারা অধিকৃত অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।
২০০৮-০৯ গাজা যুদ্ধ,২০১৪ ইসরাইল-গাজা দ্বন্দের সময় গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি একবার বড় অংশ বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
~ ইসরাইলের বোমার আঘাতে ধ্বংস গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি।
***
যেকোনো আগ্রাসী জাতির জন্য শিক্ষিত মানুষজন খুব বিপদজনক সে ক্ষেত্রে ইজরায়েলিয়েনদের জন্য শিক্ষিত ফিলিস্তিনি বিপদজনক বটেই।
তারা সব সময় এখানকার ছাত্রদের যে নজরদারির উপর রাখবে সেটা জানা কথাই। ইতিহাস সংস্কৃতি কিংবা কলা সাহিত্য নিয়ে যারা পড়াশোনা করছে তাদের নিয়ে সম্ভবত তেমন মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা তাদের নিয়ে যারা যারা বিজ্ঞান-টিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে বিশেষ করে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নবিদ্যা! এদের পেছনে ফেউ লেগে থাকে কারণটা অনুমেয়। তারপরে আছে যারা ইংরেজিতে পড়ালেখা করতে চায় আর সবচাইতে বেশি নজরদারিতে রাখা হয় যারা হিব্রু ভাষায় পড়তে যায়। সম্ভবত বেশ কয়েক বছর হল হিব্রু ভাষায় পড়াশোনাটা একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা ইসরাইলে যে ১৭ লক্ষ আরবীয় ইহুদি থাকে তাদের চেহারা সুরত গাঁজার আরবদের এদের সাথে একেবারেই মিলে যায়। গাজার আরো আরবীয়রা যদি হিব্রু ভাষাতে কথাবার্তা বলে তাহলে দু'জনের মধ্যে পার্থক্য করা বেশ কঠিন। হিব্রু ভাষা শিখে ইসরাইলের অভ্যন্তরে একদম খাসা ইহুদী হয়ে ঢুকে ২০১৮ সালে সম্ভবত গাজা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র এর আগে ব্যাপক আক্রমণ করেছিল।
যাই হোক শিক্ষা দীক্ষায় একটা জাতীয় উন্নত হলে সে জাতিকে দাবিয়ে রাখা খুব কঠিন। কিন্তু এমন একটা বিশ্ববিদ্যালয় তো যেন তেন ভাবে ধ্বংস করা যায় না। সারা বিশ্ব থেকে বেশ চাপের মুখে পড়ে যাবে ইসরাইল তাই একটা ছুতো বা বাহানা দরকার ছিল। হিউম্যান রাইটস, ও আই সি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কেউ যাতে কিছু বললে তার কোন পাত্তাই পাবে না এমন একটা ঘটনা ঘটার দরকার ছিল যাতে কাউকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা মতো দুরমুশ করে দিতে পারে সব কিছু সেটাই ঘটেছে। হামাস সুযোগ করে দিল ওদেরকে তাইতো আজ এই বিশ্ববিদ্যালয় একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়া একটা জাতির সব আশা ভরসাকে ফুৎকারে নিভিয়ে দিয়ে প্রায় ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
***
বিশাল ইটের বস্তির মাঝে একটুকরো স্বর্গ ছিল 'রিমাল'
রিমাল বা রেমাল (আরবি: حي الرمال, lit. 'sands' হল গাজা শহরের একটি পাড়া যা শহরের কেন্দ্র থেকে ৩ কিলোমিটার (১.৯ মাইল) দূরে অবস্থিত। উপকূলরেখা বরাবর অবস্থিত, এটি গাজার সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়।
রিমাল গাজার প্রাচীন বন্দর নগরী মায়উমাস নামে নির্মিত হয়েছিল। খ্রিস্টান গাজা এবং পৌত্তলিক মাইউমাসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা পুরো বাইজেন্টাইন যুগে অব্যাহত ছিল, এমনকি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে মাইওমাসের জনসংখ্যা খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত হওয়ার পরে এবং গাজার পোরফিরি দ্বারা পৌত্তলিক মন্দিরগুলি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরেও।
আজ গাজা শহরের বেশিরভাগ উপকূলরেখা এবং উপকূলরেখা এবং পুরাতন শহরের মধ্যবর্তী বেশিরভাগ এলাকা জুড়ে। বেশিরভাগ বিল্ডিং ইউরোপীয় শৈলীতে নির্মিত একক পরিবারের ঘর ছিল। জেলাটি নির্মাণের পর বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রটি পুরাতন শহর থেকে রিমালে চলে আসে।
~ বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত গাজার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী সুন্দরতম শহর 'রিমাল'
এখানকার অভিজাত দোকানগুলি্তে মুখের স্ক্রাব, ত্বককে সাদা করার সানস্ক্রিন, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার এবং কম চর্বিযুক্ত দই সহ উচ্চ-মানসম্পন্ন পণ্য বিক্রি হয়। এখানকার বাসিন্দারা সেন্ট্রাল এসির গাজা মলে কেনাকাটা করে এবং অভিজাত রুটস ক্লাব রেস্তোরাঁয় খাবার খায়।
রিমালে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ, গভর্নরের প্রাসাদ, গাজা মল, রুটস ক্লাব, জাতিসংঘ বিচ ক্লাব, ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস, প্রধান আল-শিফা হাসপাতাল, কাউন্সিল প্যালেস্টাইন আইনসভা এবং বেশ কয়েকটি বিদেশী সরকার রয়েছে। আরো আছে অনেকগুলো অফিস, চারটি হোটেল এবং বিখ্যাত সব রেস্টুরেন্ট। গাজা বন্দরটি রিমাল জেলার এবং ফিলিস্তিনি নৌ পুলিশের আবাসস্থল।
ইসরাইলের বহু দিনের টার্গেটে ছিল এ শহর এ শহর তেমন ঘিঞ্জি শহর নয় এখানে হামাস বা অন্য কোন চরমপন্থী সংগঠন ঘাঁটি গাড়তে পারে না। বেশ অর্থবান মানুষজনের বাস- তারা ক্যাচাল গ্যাঞ্জাম কম পছন্দ করে তাই এখানে ইচ্ছে করলেও ইসরাইল আক্রমণ করতে পারে না।
এবার মওকা মত সুযোগ পেয়ে গেল।
***
ফুটনোটঃ লক্ষ লক্ষ নারী শিশু সহ নিরপরাধ মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আপনি যেই বিপ্লব করেন সেই বিপ্লবের নিকুচি করি।
হোক সেটা ধর্মীয় বা জাতীয়তাবাদ হেন তেন যেটা।
***
আমার মত বোকা মানুষের বোকা বোকা কথা যদি ভাল লাগে তবে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসব নাইলে এইখানেই শেষ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত পৃথিবীর সব মানুষের মানসিকতা যদি এমন হত। আফসোস - বড়ই আসসোস!!!
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শরণার্থী শিবিরের যে জীবন, এটা কি সত্যিই জীবন!
এ জীবন কখনও কাম্য না, অথচ বছরের পর বছর এভাবে কেটে যাচ্ছে।
১৮ থেকে ২৪ বছরের যুবকদের কি করা উচিত আর কি করছে তারা ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: এইখানেই তো সমস্যা। এই যুবশক্তির দুর্দান্ত ক্রিয়েটিভিটি আর প্রোডাক্টিভিটির কি চরম অপচয়টাই না হচ্ছে।
চরম ভ্রান্ত ধর্মীয় আর জাতীয় মতবাদের বলির পাঠা এরা। এই চক্র থেকে অবশ্য এদের বের হবার পথ রুদ্ধ।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
ক্লোন রাফা বলেছেন: প্রথম পাতায় আসেনি
আমার দৃষ্টিতে...মন্তব্য ধরে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ, শে. তপন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি।
স্বাগতম আমার ব্লগে। এগিয়ে যান।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
বাউন্ডেলে বলেছেন: গাজায় মানবাধিকারের চুড়ান্ত মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যত পৃথীবির ইতিহাস মর্মান্তিক হতে পারে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: সবাই মানুষ- সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে, তবেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে।
কষ্ট হলেও, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলেও যদি সুযোগ থেকে এত হাজার মানুষের মৃত্যুর থেকে সমোঝোতার প্রয়োজন।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
রিদওয়ান খান বলেছেন: নিজে দেশে শরণার্থী কেনো? কেনো তাদের মাথায় আক্রমনাত্মক চিন্তাভাবনা ঢুকলো?
আর মসজিদের খাদেমের মত হাজারো যুবক যারা আবেগ নিয়ে চলে তাদেরকে দীক্ষা দিলে তাদেরও বিবেক জাগ্রত হবে।
কিন্তু বিবেকওয়ালা চাটুকারদের আপনি যতই আবেগ আর বিবেকের কথা বলবেন না কেন এদের কাজ হবেনা? কারণ
বিবেকবান পশ্চিমারা এদের পিছন মেরে দিয়েছে তাই এদের বিবেক উবে গেছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মনে করবেন না আমি একটু ব্যস্ততার কারণে আপনার মন্তব্যের উত্তরে পরে আসছি।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: অনেকে বিভিন্ন লেখা ও কমেন্টে বিষয়টিকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করছেন তা আমার কাছে অন্ধের হাতি দেখার মতোই মনে হচ্ছে। তারা বিষয়টিকে যেভাবে তুলে ধরছেন তাতে মনে হচ্ছে ঘটনাটি যেন গত শনিবার থেকেই আরম্ভ, এর আগে যেন অঞ্চলটিতে যেন স্বর্গীয় শান্তি বিরাজ করছিল। গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের সাথে যা হয়েছে তা যদি আমাদের ভূখণ্ডে আমাদের সাথে হতো তাহলে আমাদের কি রকম লাগতো? আমরা তখন কি করতাম? ফিলিস্তিনীদেরই বা কি করার ছিল? তাদের কি করার ছিল যা করলে তারা তাদের নিজ ভূমিতে স্বাধিকার ফিরে পেতো? কিম্বা তারা যেমন ছিল তার চাইতে ভাল থাকতে পারতো??
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তররটা আগে দিই গেঁয়োভুত!
নিজভূম বিষয়টা আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়! স্বাধীন সার্বভৌম দেশ থাকার পরেও এদেশ ছাড়ার হিড়িক কেমন দেখেছেন? বাইরে কত লক্ষ হাজার বাংলাদেশী অন্যদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে বেশ আয়েশে নিজভুমকে বুকে ধারন করে আছেন তাই না। তাদের সিঙ্ঘভাগ এদেশে এসেই হাক ছেড়ে গালি ছাড়েন' শালার এই দেশে মানুষ থাকে কেমনে' ?
আপনার কি ম্নে হয় ফিলিস্তিনি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হলে দেশ ছে পশ্চিমে বসতি গড়া কতভাগ ফিলিস্তিনি নিজভুমে ফিরে আসবে?
দেশভাগের পরে এইদেশ থেকে যত বাঙ্গালী ওপারে গেছে যাদের ওরা বাঙ্গাল বলে তারা এদেশের জন্য এখনো কাদে। গান কবি তা সাহিত্যে এদেশের প্রসংশায় ভাসিয়ে ফেলে। কিন্তু ওপার থেকে যে কত হাজার ঘটি এপারে এসেছে তারা আজ পর্যন্ত একটাও উপন্যাস লেখেনি ওপারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে, দুছত্র কবিতাও লেখেনি। এর কারন ওখানে এয়া ভাল ছিলনা। আর বাঙ্গালেরা এখানে আরামে আয়েশে যশে বশে ছিল।
আপনার আমার নিজভুম যে কোনটা সেটা আমরা সঠিকভাবেই জানিনা। নিজভুম শুধু একপুরুষকেই টানে। এটা ফালতু শুধু আবেগ। এই পুরো বিশ্ব আমাদের- আমাদের ভূমি।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: সবাই নড়েচড়ে বসছে।এবার একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পেতে পারে ফিলিস্তিনিরা।চীন রাশিয়া তুরস্ক ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলছে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: এমনটা হলে অবশ্যই ভালো। তবে কামাল ভাই এতদিনের অভিজ্ঞতা আর আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে বলছে তেমন কিছুই হবে না হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের মত এত ছোট এবং গরীব একটি দেশ যদি বছরের পর বছর ধরে ১০ লাখ রোহিঙ্গিদের আশ্রয় দিতে পারে তাহলে মুসলিমদের তীর্থ ভূমি মধ্যপ্রাচ্চ্যের দেশগুলো গাজাবাসীকে আশ্রয় দিচ্ছে না কেন?
আসলে মধ্যপ্রাচ্চ্যের মানুষ ভাল না এদের মন মরুভুমির মতন চরমাভাপন্ন, আমি বেশকিছু সৌদি প্রবাসীর কাছে শুনেছি, সৌদিয়ানরা অমানুষ, সৌদি হচ্ছে কাফেরর দেশ । একজন মুসলীম কতটা কষ্ট পেলে নবীর ভুমি সৌদিয়ানদের কাফের বলতে পারে বিষয়টা বুঝতে মোটেও বেগ পেতে হয় না, আসলে ওরা বাঙালীদের মানুষ মনে করে না প্রচুর অত্যাচার করে, বাঙালী নারীদের দাসি হিসেবে কিনে নিয়ে যায়।
গাজা- - গাজায় হামাসের অতর্কিত এই হামলায় আমাকে বেশ অবাক করেছে। আমাদের লোকাল রাজনীতি যদি হয় নোংরা রাজনীতি তাহলে আমি বলবো আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছে ভয়ঙ্কর একটি বিষয়। ইসরাইয়ের প্রতি আমেরিকার এমন নজিরবহীন সমর্থন, এত দ্রুত রেসপন্স, বিশ্বযুদ্ধের মত বড় রণতরী পাঠানো, মধ্যপ্রাচ্চ্যে আমেরিকার প্রভাব, বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার বর্তমান অবস্থান, আমেরিকার ঘরের রাজনীতির অবস্থা, ইসরাইলের অভন্তরীন রাজনীতি বিবিধ কারণেই হামাসকে আমার ইসরাইল-আমেরিকার পারপাস সার্ভ করছে বলে মনে হয়। যদিও কোন এক ঘটনায় কোন এক পক্ষ লাভবান হলেই উক্ত ঘটনা লাভবান পক্ষই ঘটিয়েছে যুক্তি প্রমাণ ছাড়া এমনটি ভাবা ঠিক নয়।
আল-কায়েদা আমেরিকার সৃষ্টি, লাদেন আমেরিকার সৃষ্টি, বোকা হারাম আমেরিকার সৃষ্টি, আএসআই আমেরিকার সৃষ্টি, সমস্ত ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠই আমেরিকার সৃষ্টি বলে একটা বদ্ধমূল ধারণা প্রচলিত রয়েছে আমাদের দেশে। এখন কথা হচ্ছে, তাহলে হামাস কেন আমেরিকার সৃষ্টি হতে পারবে না?
যতদূর জানি জেরুজালেম হচ্ছে তিনটি ধর্মেরই ঐতিহাসিক এবং পবিত্র একটি স্থান, আব্রাহামিক ধর্মের আতুর ঘর হচ্ছে জেরুজালেম, এ বিষয়ে আপনি অবশ্যই আমার চেয়ে ভালো জানেন। ইহুদিদের ভষ্য মতে- বর্তমানের ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের পুরো অঞ্চলই ছিলো ইহুদিদের আদি ভূমি, মুসলীমদের শক্তি বৃদ্ধির পর থেকে তারা ওই অঞ্চল থেকে ইহুদিদের, ঘরবাড়ি দখল করে, অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেয় ফলশ্রুতিতে তারা ইউরোপে গিয়ে বসতি স্থাপন করতে বাধ্য হয় এবং সেখানেও একসময় হিটলারের দ্বারা অত্যাচারের স্বীকার হয়। পরবর্তীতে বৃটেনের সহয়তায় ইহুদীরা আবার নিজ পিতৃভুমিতে (ইসরাইলে) ফিরে আসে, কিন্তু মুসলিমদের দ্বারা আবার অত্যাচারের, নিপীড়নের স্বীকার হয়। ইহুদি জাতির ইতিহাসে শুধু অত্যাচারীত হওয়ার প্রমাণই পাওয়া যায়, খ্রিস্টান এবং মুসলিম দুই জাতি দ্বারাই এরা নানা ভাবে, না না সময়ের অত্যাচার, নিপীরণের স্বাীকার হয়েছে। মুসলিম ধর্মেও ইহুদিদের প্রতি চরম ঘৃণার প্রকাশ হয়েছে, ইহুদিরা অভিসপ্ত জাতি এমন লেখা স্বয়ং সামহয়োরইন ব্লগেই পাবেন।
ধন্যবাদ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার জ্যাক স্মিথ, প্রথমেই এমন চমৎকার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় আরবীয়েদের নিয়ে আমি কিছু লিখব এরপরের পর্বে।
এমন কথা শুধু ওই প্রবাসীর নয় ওখানে বসবাসকারী লাখো প্রবাসীর মনের কথা!
আসলে হামাস কাদের সৃষ্টি সেটা একটা বড় প্রশ্ন রয়েই যায় এখনো পর্যন্ত কেন যেন কেউ বলছে না ওরা আমেরিকান কিংবা ইসরাইলের সৃষ্টি! গাঁজাতে হামাসের মত ছোট বড় যে হাজার দুয়েক সংগঠন আছে তার মধ্যে কমপক্ষে ২০০কে অর্থ বুদ্ধি আর অস্ত্র দিয়ে চালায় ইসরাইল এটা মোটামুটি আমি নিশ্চিত।
আর সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু ইহুদিদের নিয়ে কেন আমাদের মুসলিমদের আর কি- কেন এত বেশি চুলকানি এইটা আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না।
বাকি কথা পরে হবে সে ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ।
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
আমি সাজিদ বলেছেন: হামাস এটাক করেছে, নিশ্চয়ই ওদের একটা প্ল্যান বি আছে যেমন - ইসরায়েল কিভাবে রিএক্ট করতে পারে, রিএক্ট করে সিভিলিয়ানদের ক্ষতি করলে হামাসের দায়বদ্ধতা থেকে কি করবে, এমন। কিন্ত যতদূর দেখছি এটা হামাসের একটা ফলাফল ছাড়া আক্রমন, ইসরায়েলকে সুযোগ করে দিয়েছে গাজা ইনভেড করার। হামাসের ওই হামলা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। ওই হামলার ইনটেল মিশর আগেই ইসরায়েলকে জানিয়েছিল। ইসরায়েল গুরুত্ব দেয় নাই। এইখানে বেঞ্জামিনের চাল আছে কিনা বুঝার উপায় নাই, তবে লাভবান এখনও সেই-ই।
ইসরায়েলের আক্রমণ যেমন সিভিলিয়ানদের হত্যার জন্য দায়ী তেমনই পরিকল্পনা ছাড়া ফিলিস্তিনিদের এই যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া এবং এক্সিট প্ল্যান না থাকা হামাসও দায়ী।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: হামাস কিসের ব্যাক আপে আক্রমন করেছে- পালটা আক্রমন হবেই হবে , প্রতিহত করবে কিভাবে? বাকি মুসলিম বিশ্ব নিজেদের জান নিয়ে নাকাল! ওরা সেঁধে এখানে নাক গলিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবে না। বড় একটা আক্রমন করার আগে সব্দিক বিবেচনা করা উচিত। এটা কোন যুদ্ধের প্লান হতেই পারে না। কয়েকশ লোককে অতর্কিতে মেরে আমরা লুকিয়ে যাব তারপর হাজার হাজার নিরিহ লোক মারা পড়বে নিশ্চিতভাবে আর সারা বিশ্বের দিকে আমরা সাহায্যের জন্য তাকিয়ে থাকব। চমৎকার প্লানিং!!
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: গাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হামাসএর প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন ।
নানা তথ্য নিয়ে এই আলাপ ভাল লেগেছে পড়তে ।
আমার মনে হচ্ছে হামাস এক ধরনের আত্মাহুতি ভাবনায় ভুগছে না হলে তারা যা করেছে তাতে গাজা ধুলায় মিশে যাবে । হামাসের মিলিটারি প্রধান জেদ্দার কারাগারে ছিল বলেই জানি । আস্তে ধীরে আরও চমকপ্রদ কাহিনী বেরুবে । অপেক্ষায় ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আজিজ ভাই। আপনার কাছ থেকেও কিছু শোনার অপেক্ষায় আছি।
আপনার ঝুলি ভরা কত তথ্য - ছাড়ুন কিছু এ বেলা
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আসুন আমরাও একটু অন্যভাবে দেখি।
বলেছেন , লক্ষ লক্ষ নারী শিশু সহ নিরপরাধ মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আপনি যেই বিপ্লব করেন সেই বিপ্লবের নিকুচি করি।
আপনি কি কখনও ভেবেছেন, কেন লক্ষ লক্ষ নারী শিশু সহ নিরপরাধ মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে ?
এটা বোঝাতে হলে তো আবার ইতিহাস নিয়ে লুঙ্গি কাছা দিতে হয়, যা আবার আপনি শুনতে রাজী নন। যদিও ইতিহাস আপনি কম বেশী জানেন তাই ইতিহাসের ফাঁক ফোকরে অনুচ্চারিত কথাটি মহা বেকুবীয় কায়দায় একটু বলি---
৩ হাযার বছর আগের প্রাচীন ইতিহাসের গল্প ফেঁদে ইজরাইলীরা (ইহুদীরা) যদি দাবী করে ঐ ভূখন্ড তাদের তবে ঐ সূত্র ধরে বলতেই হয় সমস্ত আরব ভূখন্ডই তাদের কারন, ৩ হাযার বছর আগে না ছিলো খৃষ্টান, না ছিলো মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। সমস্ত আরব ভূখন্ডেই ছিলো তাদের আবাস। বস্তুত পুরো পৃথিবীটাই ছিলো মূলত তাদের কব্জায়। তাহলে এখন কেন তারা বলছেনা, "পৃথিবীতে কোনও খৃষ্টান, কোনও মুসলিম থাকতে পারবেনা ? আমাদের নবী "মুসা ( আঃ) আগে এসেছেন তাই পৃথিবীটাই আমাদের ?"
কেন তারা ইতিহাসের গল্প ফেঁদে শুধু ঐটুকু প্যালেষ্টাইনী ভূখন্ড দখলে নিতে চায় ? আপনিও জানতে চেয়েছেন , পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান, চতুর, ধুর্ত, ধণী,চরম ক্ষমতাধর, ব্যাবসায়ী জাতি হবার পরেও দুনিয়ার এত সুন্দর সুন্দর জায়গা থাকতে ইহুদিরা কেন আধা-শুষ্ক, আধা-উর্বর , মরা সুমুদ্রের পাশের ওই ক্যাচাইল্যা জায়গাটা বেছে নিল তাদের পিতৃভুমির জন্য। কেন বেছে নিয়েছে?
তারা বেছে নেয়নি, তাদের সামনে মুলো ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
যতো শয়তানীর হোতা হলো বৃটিশরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পক্ষে থাকায় ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন হলে তার বিভিন্ন অঞ্চলগুলো হাতবদল হতে শুরু করে। বৃটিশরা হস্তগত করে প্যালেষ্টাইন। ১৯১৭ সালের নভেম্বরে ইহুদীদের প্রতি সহানুভুতি জানিয়ে তদানীন্তন বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস বেলফুর , প্যালেষ্টাইনে ইহুদীদের পূনর্বাসন সহ একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষনা করে একটি চুক্তি করেন।
এটাই একটু অন্যভাবে দেখি ----
এটা করা হয়েছে , যাতে ইহুদীদের নিয়ে বৃটিশদের চুলকানী দূর করা যায় । ইহুদীদের জন্যে যদি বৃটিশদের সামান্যতম মমত্ব থাকতো বা তাদের সাথে সহবস্থান সম্ভব হতো তবে তারা তো ইওরোপের কোনও এলাকায় ইহুদীদের একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারতো। তা বৃটিশরা করেনি। ইওরোপে নিজেদের ঘাড়ের কাছে এই চুলকানী রেখে শুধু চুলকাবে আর মলম মাখবে সেটা তাদের পোষাবে না বলেই আরেক মহাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে তা। এটা হলো বৃটিশদের শয়তানী।
সেই শুরু। এর পরে হিটলার কৃত হলোকাষ্টের পরে সবাই মিলে বেঁচে যাওয়া ইহুদীদের প্যালেষ্টাইনে নিরাপদে ঘাঁটি গাড়ার প্রলোভন দিয়ে ইওরোপ-রাশিয়ার এলাকা ছাড়া করেছে। আর ইহুদীরা প্যালেষ্টাইনে এসে মূল প্যালেষ্টাইন বাসীদেরই এলাকা ছাড়া করতে শুরু করে।
শেষতক ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ প্যালেষ্টাইনকে ভেঙে দুইটি রাষ্ট্র করার প্রস্তাব পাশ করে এবং তাতে সংখ্যাগুরু ফিলিস্তিনীদের জন্যে ৪৫% এবং সংখ্যালঘু ইহুদীদের জন্যে ৫৫% প্যালেষ্টাইনী ভূমির বরাদ্দ রাখা হয় যার নাম হয় ইজরায়েল। ১৯৪৮ সালে ইহুদীরা ইজরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে ঘোষনা করে।
এটাকে কোন অন্যভাবে দেখবেন ?
যাই হোক আর বেশী ইতিহাস কপচানোতে কাজ নেই। প্যালেষ্টাইনে এই ইজরাইলী আধিপত্যবাদ, জবর দখলের কাহিনী না জানেন এমন লোক নেই। নিজেদের অবস্থাটা একবার অন্যভাবে ভাবলেই ফিলিস্তিনিদের অবস্থাটাও বুঝতে পারবেন। বহিরাগত রোহিঙ্গারা যদি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে বাইরে এসে লোকজনদের মেরে কেটে, সন্ত্রাস চালিয়ে কক্সবাজারের কিছু এলাকাও যদি দখল করে তবে আপনি কি রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতা দেখাবেন ? নাকি তাদের ঝাড়ে-বংশে উৎখাত করবেন ? নাকি যারা এই উৎখাতে অংশগ্রহন করবেন, তাদের নিকুচি করবেন ? রোহিঙ্গারা তো এখনও কক্সবাজার দখল করা শুরু করেনি কিন্তু যা করছে তাতেই আমাদের এবং আপনারও চাঁন্দি গরম হয়ে আছে। আর সত্তর বছর ধরে প্যালেষ্টাইনীরা নিজ ভূমিতে এমনটাই সহ্য করে এসেছে। আর কতো করবে ? ব্যাপারটা এভাবে ভাবা যায় না ?
এতো কথা বলার মানে এই নয় যে, আমি এই ম্যান-স্লটারকে সমর্থন করছি । বরং প্যালেষ্টাইনীদের নিজভূম থেকে বিতারিত করতে গিয়ে যা যা ঘটেছে এবং ঘটছে তার পরিনাম এই হামলা। নৃশংস, অমানবিক বটে কিন্তু ইজরাইল তাদের জন্যে এছাড়া আর কোনও রাস্তাই তো খোলা রাখেনি। রেখেছে কি ?
অবশ্য "নিজ ভূমি" নিয়েও আপনার অনেকটাই সমস্যা আছে। শেরজা, আপনার জন্মস্থানের বা পৈত্রিক বাড়ীখানার কি বারটো বাজিয়ে এসেছেন,
ওখানের সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে?
বলেছেন - "পুরো বিশ্ব আমাদের- আমাদের ভূমি।" এটাতো ইউটোপিয়ান ভাবনা হয়ে গেলো!
শেষ ভাবনাটা এই - প্যালেষ্টাইনে শান্তি ফিরে আসুক। উভয়পক্ষই নিজ নিজ স্বার্থে শান্তির প্রক্রিয়া নিয়ে এক টেবিলে বসুক। তাদের সুমতি ফিরুক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ভাবনা নিয়ে আমি কখনোই খুব বেশি সিরিয়াস নই -কেননা আমি অন্য সবার মতই শান্তি চাই। শান্তিটা কোন উপায় আসবে সেটাই আমি ভাবার চেষ্টা করি। দেশ জাতি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে সব কিছুর বিনিময় আপোষ করে আমি শান্তি চাই। এটাকে যদি আপনি ভীরুতা কাপুরুষতা বলেন তাহলে কিছু বলার নেই তাহলে আমি কাপুরুষ ভীরু। জীবন অনিন্দ্য সুন্দর- বেঁচে থাকার থেকে আসলে বড় কিছু নেই!
আপনি আমাকে 'ইউটোপিয়ান' বলেছেন সেটাতেই আমি আনন্দিত উদ্বেলিত। সমস্যা নেই।
আমার বাবা প্রথমে ব্রিটিশ ভারতীয় ছিলেন পরে পাকিস্তানী ছিলেন তারপরে বাংলাদেশে হয়েছেন। এক জীবনে তিনি তিনখানা জাতীয় সংগীত বুকে ধারণ করেছেন। বড়ই অদ্ভুত এই ভূ রাজনীতি! আমরা শুধু বলির পাঠা।
হোক আমার সাথে অমিল খানিকটা তবুও চমৎকার গঠনমূলক আলোচনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই পরে আসবো ফের সময় করে। আপনার মনোভাব আন্তরিকতা মহানুভবতার সম্মান করি আমি।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
নিমো বলেছেন: আপাতত অদৃশ্য দেখছি। এটা পরে দেখব
@ মডু, এই মন্তব্যটা আমি গ্রামীণফোনের থেকে করছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: অদৃশ্য দেখছে মানে বুঝলাম না?
*গ্রামীন থেকে মাঝে মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় থেকে আতকা আমাদের সামুর দর্শন মেলে
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই ভালো বলেছেন। অল্প কথায় আসল কথা বলে দিয়েছেন।
আরবদের অনেক দোষ আছে বা থাকতে পারে। তার সাথে ফিলিস্তিনকে মিলানোর কোন সুযোগ নাই। অন্যায়, অন্যায়ই। ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং এদের সাথে আরও যারা আছে তারা যে ভণ্ডামি করছে ৭৫ বছর ধরে এই কথাটা কেউ বলছে না।
ফিলিস্তিনের মায়েদের কষ্ট বোঝার মত অবস্থায় আমরা নাই। তাই যার যার মত করে লিখছি। সেই মায়েদের চোখে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে। তারা জানে তাদের সন্তানরা আজ না হয় কাল ইসরাইলিদের হাতে মারা যাবে। এটাই তাদের ভাগ্যে হয়তো লেখা আছে। আর সারা পৃথিবীর লোকেরা শুধু এই বিষয়ে ওয়াজ নসিহত করে যাবে বিভিন্ন স্টাইলে। মুসলমানরা একভাবে, অমুসলিমরা আরেকভাবে, নাস্তিকরা এক স্টাইলে আর মুনাফেকরা আরেক স্টাইলে।
আশা করি ইসরাইলের অতীত এবং বর্তমান জুলুম নিয়ে আরেকটা পোস্ট দিবেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: বিপরীত মত পথকে সম্মান করে অন্য ধর্ম অন্য জাতীকে সম্মান ও সমীহ করলে কেউ ছোট হয়ে যায় না- সবাই জানে তবুও কেউ বোঝে না। আর কত রক্ত চাই- আর কত হিংসে আর কত বিদ্বেষ???? আমি মুসলমান সে মুসলিম তাই বলে আমি তার পক্ষে - আমি ইহুদী হলে কথা বলব ইহুদীর পক্ষে! মানবতার মধ্যে ঢুকে পড়েছে রাজনীতি বহু আগেই।
সব কিছুর মুলে হল রাজনীতি আর ক্ষমতা। হারামীরা সব চুড়ায় বসে ঘুটি নাড়ে।
'আমরা এ পৃথিবী ভাগ করিনি দেইনি কোথাও খড়ির দাগ
নেতারা সব ঝগড়া করেন- জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ'
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন:
Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu holds a map of "The New Middle East" without Palestine to UN , September 22, 2023
১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তথ্য সমৃদ্ধ এই পোস্টের জন্য। ইজরাইলি খেল বিশ্বের সকলেরই বোঝা হয়ে গেছে। হামাস কয়েক হাজার দুরে থাক কয়েকশ রকেট ছুড়েছে কিনা সন্দেহ আছে। সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের জবাবই তারা দিচ্ছে না যেমন আয়রন ডোম কেন নিস্ক্রিয় ছিল, মোসাদ কেন কিছু টের পায়নি , হামাস যখন ফর্টিফাউড দেয়াল টপকিয়ে ইজরাইলে প্রবেশ করেছিল এবং কয়েকশত ইহুদি জিম্মিকে ধরে আনছিল তখন ইজরাইলি সৈন্য বাহিনী কোথায় ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে ওয়েস্টার্ন দেশগুলো ৬০০ + ইজরাইলি মৃত্যূর গাজাখুরি কাহিনী বুঝলেও এগুলো নিয়ে খুব বেশি নারাচড়া হতে দেবে না কারন তারা ইজরাইলের পাশে আছে। আর মুসলিম দেশ ? মধ্যপ্রাচ্যের বিলাস বেশনে অভ্যস্ত রাজা বাদশাহের দলের কাজ পশ্চিমা ও ইজরাইলের তাবেদারি করা , ফিলিস্তিন তাদের সমস্যা না। তবে ইজরাইলি গাঞ্জাখুরি কাহানী সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছে মুসলিম জনগনের । তাদ্রর কাছে হামাস হিরো। কয়েক শত বছর আগের অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রেক্ষাপটে বানানো তার্কিশ সিরিয়ালগুলো তাদের মগজে গেথে আছে, হামাসকে তারা সেই আসনে দেখতে পাচ্ছে! ফিলিস্তিনের অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীও হয়ত বুঝতে পারছে না ইজরাইলি ঘৃন্য চক্রান্ত।
রক্ত ঝড়ানো ফিলিস্তিনের পাশে তাই মুসলিম, অমুসলিম কেউ নাই। ঘৃন্য ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে যে এই জাতিকে পৃথীবি থেকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা চলছে তা যত দ্রুত খোদ ফিলিস্তনিরা বুঝতে পারবে ততই মঙ্গল তাদের জন্য।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: এই দুন্নিয়ায় আমি আর আপনি বুঝলাম এইডা কিন্তু মোসাদ, সি আই এ, র নাকি এখনো বুঝবার পারতেছে না।
মাইরা তামা তামা কইর্যা ফ্যালাইলো তার পরেও-
ইসরাইলী বেসামরিক নাগরিক নাকি এখনো মরার সংখ্যার দিক ফিলিস্তিনীদের থেইক্যা বেশী আছে।
৬০০/৮০০/১০০০/১২০০ ছাড়াইছে। সারাবিশ্বের মুসলমানেরা শুনে আর জ্ঞানশুন্য হইয়া লাফায়!!
১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পিসিতে বসার সময় পাচ্ছি না। কমেন্টগুলো পড়লাম। খুবই অল্প কথাটা বলে দিয়েছেন। খুবই অল্প কথায় গেঁয়ো ভূত আমার মনের কথাটা বলে দিয়েছেন। আহমেদ জী এস এবং ঢাবিয়ানের মন্তব্যও গঠনমূলক।
সারা দুনিয়া ইসরাইলের পক্ষে, এমনকি মুসলিমদের একটা বড়ো অংশও ইসরাইলের পক্ষে। আমাদের ব্লগের মুসলিম ভ্রাতাদেরও বড়ো একটা অংশ ইসরাইলের পক্ষে। একজনের পোস্টে দেখলাম ইনিয়ে বিনিয়ে ইসরাইলিরা কত উদার তার গল্প ফেঁদেছেন আর আমাদের অনেকে সেই পোস্ট পড়ে প্রচুর আরাম পেলেন। আরেকজন অমুসলিম চরম মৌলবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষীকে দেখলাম একগড়া সবাইকে ছাগু বানিয়ে দিচ্ছেন আর বেছে বেছে কাউকে মানুষ উপাধি দিচ্ছেন, আর মানুষ উপাধি পাওয়ার জন্য অনেকেই নিজেকে সেই লেভেলে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে চালিয়ে আসা ইসরাইলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে এদের বিবেক জাগ্রত হয় না। এরা একপচ
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: কেনরে ভাই এত ব্যস্ত কি নিয়া-দৌড়ের উপ্রে আছেন নাকি খুব?
তা মোবাইলে তো 'স্পিচ টু রাইটে' একটু ঠ্যালা গুতা দিয়া কাম করতে পারেন না কি?
সারাবিশ্বের ক্ষমতাশালী সব মিডিয়া আর মানুষগুলো যখন ইহুদীদের হাতে তখন তাদের পক্ষে গুন গাইবেই সেইটাই স্বাভাবিক- আর এইসব বাস্তবতা মেনেই আপনাকে এগুতে হবে। অন্য কেউ আপনাকে কেন সাপোর্ট করবে / কখন সাপোর্ট করবে- কি স্বার্থে সাপোর্ট করবে সেটা ভাবতে হবে?
এ পৃথিবীতে একলা চল নীতি অবলম্বন করার রাস্তা আর নাই। আবাগের কাম শেষ- ভাই।
আবেগ বিবেগ একপাশে রেখে বুদ্ধি দিয়ে আগানো ছাড়া আর কোন পথ নেই। ওদের পূর্বপুরুষেরা যে ভুল করে গেছে তার খেসারত তো দিতেই হবে- উপায় নেই।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মোবাইল থেকে লিখলাম অনেক সময় নিয়ে। কম্পলিট হওয়ার আগেই রঙ বস্টনে প্রেস হয়
১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০
আরোগ্য বলেছেন: ড. ইসরার আহমেদ এর বেশ পুরানো একটি ভিডিও
ব্লগে এতো দিন অতি বুদ্ধিমানদের এ সম্পর্কে লেখা পড়ে তৃপ্ত হতে পারিনি। বোকা মানুষের বোকা বোকা কথাই ভালো লাগলো। অবশ্যই পরের পর্ব লিখবেন। সময় করে ভিডিওটা অবশ্যই দেখবেন, এটা হয়তো বিশ বছর আগের, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কোন সূক্ষ্মভাবে ফুটে উঠেছে।
পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম। বেশ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: এ লেখা দেবার আগে ব্যাপক ভুয়ে ভয়ে ছিলাম- কোন দিক দিয়ে কোন আক্রমন আসে তাই ভেবে।
আমি লিখি আমার মত করে বোকা বোকা ভাবনা নিয়ে- সব কিছু সবার সাথে মিলবে না সেটাই স্বাভাবিক। কারো সাথে ধর্মীয়ভাবে কর্নফ্লিক্ট হবে কারো সাথে জাতীয়তাবাদে কিন্তু এসবের উর্ধ্বে আমি ভাবি শান্তি আর জীবন নিয়ে। আহা বেচে থাকাটা কতই না আনন্দের।
প্রচন্ড গরমে ঘেমে নেয়ে সারা হয়েও আমি ভাবি, এই গরম প্যাঁচপ্যাচে ঘামটাও অনেক বেশী আরামের যদি আমি বেঁচে থাকি।
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।
আপনার ভিডিও দেখে মন্তব্য করব।
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
বাউন্ডেলে বলেছেন: ১৯৪৭ সাল থেকে আজ অবধি ইসরায়েল কয়েক লক্ষ সাধারন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিরা কখনোই ইসরাইলের সাধারন নাগরিকদের উপড় আক্রমন করতে পারে নাই। আমরা ধরে নিতে পারি , তাদের সামর্থ ছিলো না। সাধারন ফিলিস্তিনিকে যখন মারা হয় তখন আপনারা কেউ জবাবদিহি চান না । এটা দুঃখজনক। হামাস ইসরাইলে হামলার সক্ষমতা অর্জন করেছে - এটা বিশ্ব জানতে পেরেছে এবং ইসরাইলিরাও। হামলা্য় ইসরাইলি সাধারন মানুষ মারা যাওয়া নতুন ঘটনা। এটা অবশ্যই যুদ্ধ আইন লংঘন। তবে ইসরাইলিদের তুলনায় এ ঘটনা খুবই নগন্য । বিচার দু-পক্ষের হলে- অনেক বেশী শাস্তি পাওয়ার হকদার হয়ে গেছে ইসরাইল । হামাস সামান্যই শাস্তি পাবে।
হ্যাঁ আরো একটি ব্যাপার আছে সেটা হলো হামাস যে ভুমিতে বা বসতিতে হামলা চালিয়েছে , সে জায়গাটি হামলাকারীদের পুর্বের বসতভিটা । তাদেরকে সেখান থেকে জোর পুর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে। সে কারণে বসতভিটা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা - অপরাধের মধ্যে পড়ে না।কারন তাদেরকে বার বার ফিলিস্তিনিরা তাদের বসতভুমি ছেড়ে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে এবং সেটেলাররা যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যেতে বলছে। এবং সেটেলারদের অবিলম্বে অন্যর বসতভিটা ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়া উচিৎ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: কে বলেছে জবাবদিহি চায় না?? সারা পৃথিবীজুড়ে সব হৃদয়বান মানবদরদী মানুষ জবাবদিহি চায়- আপনি নেট ঘেটে দেখুন, ফিলিস্তিনীদের নিয়ে কত হাজার লক্ষ আর্টিকেল। এত বেশী হৃদয়স্পর্শী আর্টিকেল আজ পর্যন্ত অন্য কোন যোদ্ধা জাতীকে নিয়ে হয়নি আমার ধারনা। সেখানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী শিশুদের আর্তনাতের ছবি।
যেখানে সারা বিশ্বের প্রথম সারির প্রায় সব মিডিয়া ইহুদীদের হাতের মুঠোয় সেখানে আপনি কি করে আশা করেন ওদের নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য হবে। তার পরেও কম হয়নি। এ বিশ্বজুড়ে খারাপ মানুষের পাশাপাশী ভাল মানুষ ও আছে। সারা বিশ্বজুড়ে শত শত ইহুদী আছে যারা ফিলিস্তিনীদের উপর হামলার প্রতিবাদ করে আসছে।
তবে বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে- ইচ্ছে করলেই আপনি নিধিরাম সর্ধার হতে পারেন না। এখন আবেগ নয় বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে- একটা বুদ্ধিমান ক্ষমতাবান জাতিকে বুদ্ধি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। আমি আপনি কি করতে পারব তাদের জন্য? শুধু লাফালাফিই সার। কোন আরব দেশও তেমন কিছুই করতে পারবে না। একজন রিফিউজিকে নেয়া মানে তার ভার ভার দিনের জন্য কাধে নেয়া, সে আর কোনদিনের জন্য ফেরত যাবে না। ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা মানে আমেরিকা আর ইউরোপের বিরাগভাজন হওয়া- কে রে ভাই সেধে এই ঝামেলা কাধে নেবে? ফালতু আবেগ দিয়ে নিজের পুরো জাতিকে কে আর বিপদে ফেলবে বলুন?
২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভালো লিখেছেন। গাজা অঞ্চলের অনেক তথ্য খুঁজে বের করেছেন, আপনার পোস্টে কমেন্ট করলে অনেক লম্বা হবে। তাই পরে করব বা নতুন একটা পোস্ট হয়ে যাবে।
কনসপিরেসি থিওরি বাংলাদেশে খুব কাজ করে।
ঢাবিয়ানরা বলতে চাচ্ছে ইহা একটি সাজানো ঘটনা।
গোয়েন্দারা কেন আগাম জানিতে পারল না ইত্যাদি।
টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনাও এদেশে একটি বড় সংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করে না, বলে সাজানো ঘটনা।
এদেশের সিংহভাগ লোক নাসার চন্দ্রাভিযান চাঁদে অবতরণ কে বিশ্বাস করে না। বলে সাজানো ঘটনা।
তবে সাঈদীর চন্দ্রগমণ কে বিশ্বাস করে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা ভাই- তাই করেন। পোস্ট দেন। সবাই মিলে পড়ে দেখুক।
আপনার অনেক কথা বলার আছে। আমাদের ও জানার আছে অনেক কিছু।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এই চির সত্যটি অনুধাবন করার জন্যে- জীবন অনিন্দ্য সুন্দর- বেঁচে থাকার চেয়ে আসলে বড় কিছু নেই!
বিশ্বের সকল নিপীড়িতরাও অনিন্দ্য সুন্দর একটা জীবনের জন্যে বেঁচেই থাকতে চায়। কোন উপায়ে এই বেঁচে থাকাটা হবে তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। সে সব নির্দ্ধারিত হয় যার যার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে। বেঁচে থাকাটা কি "অহিংস" পথে না কি "সহিংস" পথে হবে সেটা পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার অভিজ্ঞতাই বাৎলে দেয়।
শান্তি কে না চায় ? আপনিও চাইছেন আপনার মতো করে, এতে কাপুরুষতা বা বীরত্বের ভুমিকা নেই। আপনি একজন "মানুষ" বলেই শান্তি চাইছেন, এর চেয়ে সত্য আর কিছু নেই। শান্তিটা কোন উপায় আসবে সেটাও আপনি ভাবার চেষ্টা করেন, এটাই তো মানবতা। কেউ পশু হলে এসব নিয়ে ভাবতোই না!
কিন্তু আপনি্ই তো হতাশার সুরে বলেছেন - বড়ই অদ্ভুত এই ভূ রাজনীতি! আমরা শুধু বলির পাঠা। একারনেই তো শান্তির মা মারা যায়! মানবতা মুখ থুবড়ে পড়ে আর আপনার বলা - আমরা শুধু বলির পাঠা। বলেই আমরা দলে দলে মরি।
আমার আগের মন্তব্যে আমি এটাই বলতে চেয়েছি যে, প্যালেষ্টাইন নিয়ে আমরা একটু অন্যভাবে দেখি ।
তাতে যদি বিশ্ব মোড়লদের কিছু সম্বিত ফেরে, তারা যেন বাস্তবসন্মত নিরপেক্ষতার সাথে সমস্যার মূল খুঁজে পান এবং যাতে কিছুটা হলেও শান্তির বাতাস বইতে পারে আরবের মরুভূমিতে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: ফের মন্তব্যে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।
দেখুন সমঝোতা এভাবেই হয়। যেভাবে আপনার ও আমার মধ্যে হল। বন্ধুত্ব গড়ার জন্য ছাড় দিতে হয়। কিছু ব্যাপার মনে না চাইলেও ছাড় দিতে হয়।
আমার ধারনা ফিলিস্তিনীদের সুমস্যার সমাধান এক প্রকার অসম্ভব। গাজা সম্ভবত পুরোটাই ইসরাইল এখন না হোক একসময় দখল করে নিবে। থাকবে পশ্চিম তীর- ওটুকু হয়তো দর কষাকষি করে ওদের দিবে না।
পুরো আরব ভুমিতে সেভাবে শান্তি আর আর কোনদিন আসবে বলে মনে হয় না। তবুও আমি আশাবাদী। ভাল থাকুন আপনি- কথা হবে সামনে।
২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী, view this link
ইজরাইলি প্রেসিডেন্ট গত সেপ্টেম্বর মাসে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ম্যাপ দেখিয়েছে ইউনাইটেড নেশনকে যেখানে প্য্যলেস্টাইন ছিল না। কেন এই নতুন ম্যাপ তৈরী করেছে ইজরাইলি প্রেসিডেন্ট? এর দুই সপ্তাহ না যেতেই বর্তমানে কি দেখছি আমরা ? শোনেন কন্সপিরেসি থিউরি বানায় রাজনীতিবিদেরা। আর সাংবাদিকদের কাজ হল এর মাঝ থেকে সত্যকে খুরে বের করা। তবে সাংবাদিকদের চাইতেও এখন এক ধাপ এগিয়ে আছে সোস্যাল মিডিয়া। মানুষ এখন উপযুক্ত তথ্য, প্রমান ছাড়া কোণ কিছুই বিশ্বাস করে না। ইজরাইল বলল ৬০০+ ইজরাইলি মারা গেছে । তার প্রমান কই ? কনসার্ট ময়দানে শত শত লাশ পড়ে আছে দেখেছেন এমন কোন ভিডীও ? কিডন্যাপিং এর কিছু ভিডীও ছাড়া হয়েছে কিন্ত এর মাঝেই কয়েকটা রয়টার সহ টুইটার/ এক্সে ফেক বলে ধরা পড়েছে!! দ্রুত সেসব ভিডীও ডিলিট করা হয়েছে। হামাসের দশ হাজার রকেট ছোড়ারও কোন ভিডীও দেখেছেন? কেবল শত শত নারী পুরুষ কনসার্ট ময়দান ছেড়ে দৌড়ে পালানোর কয়েকটা ভিডীও দেখিছি । দশ হাজার রকেট হামলার কোণ ভিডীও মিস করে থাকলে আশা করব আপনি লিঙ্কটা এখানে দেবেন। গাজা ফর্টিফাইড দেয়াল দিয়ে ঘেরা। একটু কষ্ট করে গুগুল করে গাজা ইজরাইল সীমান্তের এই দেয়াল দেখে নিবেন। আর দেয়ালের বাইরে ইজরাইলি সৈন্যরা কিভাবে টহল দেয় সেটাও। যাক একটা ভিডীওতে দেখলাম সেই উচু দেয়াল টপকিয়ে স্বল্প কিছু অস্ত্রধারী লোক ইজরাইলে ঢুকেছে। কিন্ত ওপারে কোথাও দেখলাম না কোন ইজরাইলি সৈন্য!! দিনে দুপুরে হামাসের অস্ত্রধারীদের দেখা গেল মানুষ কিডন্যাপ করে আবার গাজায় ঢুকছে!!! কিভাবে সেটা সম্ভব হল সেটা নাহয় আপনিই বুঝিয়ে বলেন।
কিন্ত গাজার বিষয়ে মিডিয়ায় কি দেখছি আমরা ? মিজাইল ছুড়ে বহুতল ভবন ধসিয়ে দিয়ে নীরিহ মানুষকে জীবন্ত কবর দেয়ার ভয়াবহ দৃষ্য , শত শত ফিলিস্তনীদের লাশ, রক্তপাত , আর এখন খাদ্য ও পানি সাপ্লাই বন্ধ করে সেই মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় জেনসাইডের মহড়া!!
২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি এই রক্তাক্ত ময়দানে না দেখি ইসরাইল না দেখি গাজা ফিলিস্তিন, আমার চোখে শুধু পড়ছে শিশুর রক্তাক্ত মুখ আর শরীর। আমি আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা, আর দেখতে পাচ্ছি সারা দুনিয়াতে এই নিয়ে সবার মেধার ঝালাই, একটা চা দোকান থেকে শুরু করে বিশ্ব দরবারের সবার মেধার উর্ধোগমণ। সব শেষে কি হবে?
হবে এটা- জেহাদি ভাইরা প্রথম দিন বলছে হামাসের সাথে ফেরেস্তা যুদ্ধ করছে, এরপর ফিলিস্তিনিরা যখন মরে ভূত হয়ে যাবে তখন বলবে হামাস আর কেউনা, তারা নেতা নিয়াহুর শালা সমন্ধি।
ইতিহাস পাতিহাস ঘেটে ঘুটে আমরা বের করতে চেষ্টা করবো ডিম আগে নাকি মুরগি আগে, এরপর ক্লান্ত হয়ে সেই মুরগি ডিম দিয়ে পোলাও খেয়ে নাক ঢেকে ঘুম। এসবে কিছুই হবেনা। যতদিন আরব মুসলিম শিক্ষিত হবেনা এভােবই মার খেতে খেতে মরে যাবে।
গাজা একটা উম্মুক্ত গারদ। এই গারদে এক জীবন দুই জীবন পার করা মানুষ গুলো মাসনিক রুগী হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষের যখন কোন উপায় থাকেনা , যখন আশে পাশে মানুষ গুলো নজরে মানুষ হিসেবে স্থান পায়না তখন আত্মহত্যা করে প্রমান করে দেয় সে মানুষ ছিলো, যেমন কদম্বিনি মরিয়া প্রমান করিলো সে মরে নাই। ঠিক সেভাবেই হামাস ঐদিন যা করেছে তা আত্মহত্যা ছাড়া আর কিছুইনা।
আমার কাছে শিশুদের রক্তাক্ত মুখের চেয়ে দামি আর কিছুই নেই।হামাস মরলো নাকি ইসরাইল নাকি ফিলিস্তিনি আমার কোন মায়া কাজ করেনা, আমি শুধু শিশুদের দেখছি আর নিজের মধ্যে মরছি, এই নিয়ে কোন চর্চা বিবেচনা আলোচনা মেধার ঝালাই কিছুই করতে ইচ্ছে করছেনা। যারা এই শিশুদের হাসতে হাসতে দুনিয়াতে টেনে নামিয়েছে তাদের বোকামির দন্ড এদের কেন দিতে হবে।?
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। শিশুতো শিশুই- সে নিস্পাপ! তার কোন ধর্ম নেই, জাতীয়তা নেই, বর্ণ নেই- সে সমগ্র বিশ্বের সমগ্র মানবতার। তার হত্যার দায়বদ্ধতা সবাইকে নিতে হবে।
নতুন একটা মানুষ পৃথিবীতে আনার আগে শতবার ভাবতে হবে তাকে আমরা কতটুকু নিরাপদ বিশ্ব উপহার দিতে পারছি।
চমৎকার উপলব্ধি প্রিয় ব্লগার। শুভকামনা আপনাকে।
২৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: একটু অন্য রকম করে মন্তব্য করি- ইসরায়েলের শেকড় অনেক গভীরে। এমনকি মস্কোতে তাদের শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। তাই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধে নামতে সাহস পায় না। এমনকি আমেরিকাও না।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা অন্যরকম ভাবনা নয়। সারা বিশ্বে ইসরাইলের প্রভাব যে কত বিশাল সেটা বাচ্চা- কাচ্চা ও জানে!
২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: জ্যাক স্মিথ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই প্যালাইস্টাইন রিফুজি রয়েছে। বিশেষ করে লেবানন , জর্দান বা অন্য দেশ গুলিতে। জর্দান ওদেরকে পাশপোর্ট পর্যন্ত দিয়েছে বা ওদের অনেকেই জর্দানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১২
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা প্রথম প্রথম সব দেশ ওদের সহযোগীতা করেছে- মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু যখন দেখেছে, এদের ফিরিয়ে দেবার আর কোন পথ খোলা নেই, এরা পার্মানেন্ট বোঝা তখন থেকে ধীরে ধীরে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এরপরে গোপনে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই পালিয়ে যাচ্ছে এখনো।
২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ ঢাবিয়ান
ইসরাইলে যা যা হয়েছে, বেড়া ভেংগে প্রবেশ, গ্লাইডারে, জিপ নিয়ে রকেট সংখা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। হামাসও গর্বভরে বলেছে। উভয় পক্ষে্র বক্তবে বড় কোন ফারাক নেই।
দূর থেকে অনেকেই পরে কনসপিরেসি থিওরি তৈরি করবে, আরো করবে। এদের কাজই এসব।
কনসার্ট ময়দানে শত শত লাশ পড়ে আছে দেখেছেন এমন কোন ভিডীও?
কোন সভ্য দেশেই লাশের ছবি দেখানো হয় না, কোথাও না। ফ্রান্সের উম্মুক্ত রাস্তায় জঙ্গিদের নির্বিচার হত্যাকান্ড একটাও লাশের ছবি দেখাতে পারবেন?
ইসরাইল গাজার ঘনবসতি এলাকায় বিমান হামলার আগে ১০ মিনিট আগে স্থানীয় বেতারে নোটিস পাঠায় লোকজন সরে যাওয়ার জন্য, এমনকি বিল্ডিং সুপারভাইজারকে পর্যন্ত ফোন করা হয়। এরপরও সাবধানতার জন্য যে বিল্ডিয়ে মিসাইল বা বোমা মারবে সেটাতে আঘাতের ৪-৫ মিনিট আগে একটি ফ্লেয়ার মারা হয়, যাতে আগে সবাই সাবধান হয়ে সরে যায়। যে কারনে এই বিশাল বোমা ফেলার পরও প্রাণহানি খুবই সামান্য।
২০১০ থেকে এরকমই দেখছি।
২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের পড়াশুনা করা উচিত। জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় মন দেয়া উচিত। এই সব ফালতু দলীয় প্রপাগন্ডায় না জড়িয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা জন্য বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাড়াতে হবে আর তার এক মাত্র সহজ সরল রাস্তা হলো নিজেদের জাতি হিসাবে শিক্ষিত করে তোলা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: একখান বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেটাওতো শেষ করে দিল এই সুযোগে। উচ্চ শিক্ষা আর গ্রহন করবে কোথায়?
তবে পশ্চিমা বিশ্বে যাবা আছে তারা শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর হচ্ছে।
কে শুনে কার কথা। হাজার হাজার সংগঠন -কাউ কাউরে পাত্তা দেয় না। নিজেদের মধ্যেই সারাক্ষন গন্ডগোল লেগে থাকে।
২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪০
আমি নই বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসরাইল গাজার ঘনবসতি এলাকায় বিমান হামলার আগে ১০ মিনিট আগে স্থানীয় বেতারে নোটিস পাঠায় লোকজন সরে যাওয়ার জন্য, এমনকি বিল্ডিং সুপারভাইজারকে পর্যন্ত ফোন করা হয়। এরপরও সাবধানতার জন্য যে বিল্ডিয়ে মিসাইল বা বোমা মারবে সেটাতে আঘাতের ৪-৫ মিনিট আগে একটি ফ্লেয়ার মারা হয়, যাতে আগে সবাই সাবধান হয়ে সরে যায়। যে কারনে এই বিশাল বোমা ফেলার পরও প্রাণহানি খুবই সামান্য।
২০১০ থেকে এরকমই দেখছি।
আহা, ইসরাইলের মানবতা দেখে চোখে পানি চলে আসতেছে, এত্ত ভাল কেন ওরা??
অথচ বাস্তবতা হল উত্তর গাজা থেকে দক্ষিন গাজায় দৌরের উপর থাকা মানুষগুলোর উপরেও বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। হাসপাতাল, এ্যমবুল্যান্স কিছুই বাদ যাচ্ছেনা, গতকাল পর্যন্ত এমন ২০ টি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে যাদের আর কেউ বেচে নেই, অধিকাংশ পরিবার বাড়ীতে থাকা অবস্থাতেই হত্যার শিকার হয়েছেন।
আচ্ছা আপনারা নিজেদের এত জ্ঞানী মনে করার কারন কি?
ফ্রান্স, যারা কুমির শিকার করার জন্য কালো শিশুদের টোপ হিসেবে ব্যাবহার করত তারা ঠিক কোন বিবেচনায় সভ্য?
২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: @কালবৈশাখী , ইজরাইলে যা যা হয়েছে, বেড়া ভেংগে প্রবেশ, গ্লাইডারে, জিপ নিয়ে রকেট সংখা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। হামাসও গর্বভরে বলেছে। উভয় পক্ষে্র বক্তবে বড় কোন ফারাক নেই।
এইখানেইতো আসল বিতর্ক। হামাস বলেছে এবং ইজরাইল বলেছে !!! তাদের বলাটা কেন আমরা বিনাবাক্যব্যায়ে মেনে নেব? ভিডীওতে আমরা কি দেখেছি ?আমরা দেখেছি দিনে দুপুরে স্বল্প কিছু রকেট ইজরাইলের দিকে উড়ে গেছে , স্বল্প কিছু অস্ত্রধারী হামাস দেয়াল টপকে , কাটাতারের বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ইজরাইলে প্রবেশ করে সেখানকার গ্রামে ঢুকে মানুষজন কিডন্যাপ করে জিপে উঠিয়ে আবার গাজায় ফিরে গেছে। ভুলে গিয়ে থাকলে সিনিএস নিউজের এই ভিডীওটা আবার দেখুনhttps://www.youtube.com/watch?v=cn11wdfAjGg । এখন বলুন গাজা ইজরাইলের সীমান্তে ইজরাইলের আর্মি কোথায় ? ভিডিওর কোথাও কি ইজরাইলী সৈ্ন্য দেখা গেছে? ইজরাইলের মত দেশের এই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আর্মির কাজটা তাহলে কি ? সীমান্তে এমন একটা হামলার সময় অদৃষ্য হয়ে যাওয়া? মোসাদের ব্যর্থতার কাহিনী নাহয় ছেড়েই দিলাম।
এই যে বললেন কোন সভ্য দেশেই লাশের ছবি দেখানো হয় না, কোথাও না। শুনে কেবল হাসতেই আছি । এই বিশ্বের সকল টেরোরিস্ট এটাক, পলিটিকাল এসাসিনেশনের সচিত্র ভিডীও দিয়ে ইউটুব ভরা।
যাই হোক এবার দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=ZFTK9V_mEjI আলজাজিরার গাজা থেকে পাঠানো এই ভিডীও যেটা বিশ্বের প্রায় সকল নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। আপনি বলছেন এই এয়ারস্ট্রাইক এর আগে নাকি ইসরাইল গাজার ঘনবসতি এলাকায় বিমান হামলার আগে ১০ মিনিট আগে স্থানীয় বেতারে নোটিস পাঠায় লোকজন সরে যাওয়ার জন্য, এমনকি বিল্ডিং সুপারভাইজারকে পর্যন্ত ফোন করা হয়। এরপরও সাবধানতার জন্য যে বিল্ডিয়ে মিসাইল বা বোমা মারবে সেটাতে আঘাতের ৪-৫ মিনিট আগে একটি ফ্লেয়ার মারা হয়, যাতে আগে সবাই সাবধান হয়ে সরে যায়। যে কারনে এই বিশাল বোমা ফেলার পরও প্রাণহানি খুবই সামান্য। !!!! কিছু বলার ভাষা আর নাই। বাস্তবতা হচ্ছে At least 1,537 Palestinians – including 500 children and 276 women – have been killed and 6,612 wounded in Israeli air strikes on Gaza. সুত্র রয়টার view this link
৩০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইসরাইল গাজার ঘনবসতি এলাকায় বিমান হামলার আগে ১০ মিনিট আগে স্থানীয় বেতারে নোটিস পাঠায় লোকজন সরে যাওয়ার জন্য, এমনকি বিল্ডিং সুপারভাইজারকে পর্যন্ত ফোন করা হয়। এরপরও সাবধানতার জন্য যে বিল্ডিয়ে মিসাইল বা বোমা মারবে সেটাতে আঘাতের ৪-৫ মিনিট আগে একটি ফ্লেয়ার মারা হয়, যাতে আগে সবাই সাবধান হয়ে সরে যায়। যে কারনে এই বিশাল বোমা ফেলার পরও প্রাণহানি খুবই সামান্য। ২০১০ থেকে এরকমই দেখছি। এটাই হলো ইসরাইলের মানবতা-----হাকা বৈশাখী
৩১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
হামাস যত দিন থাকবে ততদিন স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র একটি অলীকক স্বপ্ন মাত্র।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: হামাস শুধু একা নয় এদের মত আরো ছোট বড় বহু সংগঠন আছে- একটা গেলে আরেকটা আসবে। বড় কঠিন অংক
৩২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭
নতুন বলেছেন: হামাসের এই হামলায় আমার কাছে হামাসের পেছনে ইসরাইলী মদদ আছে বলে মনে হয়।
ধরুন ফিলিস্তিনি জনগন অহিংষ আন্দলন করে যাচ্ছে এবং ইসরাইলী ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে তখন বিশ্বের চোখের সামনে ফিলিস্তিনিদের কতদিন দিবিয়ে রাখতে পারবে ইসরাইল?
হামাস খুবই ভালো করে জানে তারা এই রকমের হামলা চালীয়ে ফিলিস্তিন মুক্ত করতে পারবেন না। তবে তারা কেন ইসরাইলের উপরে কিছু দিন পর পর এমন হামলা করছে? <<< ইসরাইল তারাও দেখাতে পারছে যে ফিলিস্তিনিরা খারাপ।
দুনিয়ার কিছু বেকুফ ছাড়া অন্য কেউ বিশ্বাস করে না যে হামাসের মতন দলগুলি ইসরাইলী সেনাদের পরাজিত করে ফিলিস্তিন মুক্ত করবে।
সেই ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কোন দলের নাই। তবে তাদের কোন পথ বেছে নেওয়া উচিত??????
বিশ্ব মানুষের দরবারে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা তুলে ধরে তাদের জন্য স্বাধীন একটা ভুমি যেখানে কোন ইসরাইলী সেনা বা সাধারন মানুষ ঢুকতে পারবেনা। যেখানে ফিলিস্তিনিরা মানুষের মতন বেচে থাকাতে পারবে। সেটা সম্ভব।
কিন্তু হামাসের মতন কিছু দল কেন একত্র হয়ে রাজনিতিক সমাধানের জন্য আলোচনার পরিস্থিতি তৌরিতে সাহাজ্য করছে না?????
কারন তাতে ইসরাইলের ক্ষতি? বিশ্বের চাপে পড়লে তাদের কিছুটা ছাড়তো দিতেই হবে।
তাই ইসরাইলই চাইবে হামাসের মতন দল থাকুক এবং এমন হামলা করুক যাতে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের উপরে হামলা করে যেতে পারে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: শুধু ইসরাইল যেমন চায় হামাসের মত দল থাকুক ঠিক তেমনি আরব বিশ্বের কিছু সন্ত্রাসী সংগঠন চায় গাজা এভাবে অবরুদ্ধ থাকুক। তাদের এমন বেকার রক্ত গরম যুবকদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধের সংগ্রামের জন্য আত্মত্যাগের প্রয়োজনে দরকার।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বড় ভাই ,
গুপ্তচর সংস্থাদের এমন অনেক কাজ আছে যাতে তাদের বোকা বলেই সবাই মনে করে । কারণ এতে করে ভুল তথ্য সবার কাছে প্রেরণ করা যায় । এইরকম কাজ কেজিবি অনেক করেছে । সাপ অনেক সময় শিকার ধরবার জন্য মরার মত পড়ে থাকে । শিকার সাপ মরে গেছে ভেবে কাছাকাছি এলেই খপ করে ধরে ফেলে । তাই মোসাদকে ছোট করে দেখব না । আমার কেন যেন একটা সন্দেহ হচ্ছে , খারাপ কিছু একটা মোসাদ ঘটাবেই !!
১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: হুম সেই রকমই তো আমিও ভেবেছিলাম- কিন্তু ধীরে ধীরে অন্যরকম কিছু মনে হচ্ছে। বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন হচ্ছে। খেলোয়ার পাল্টাচ্ছে।
৩৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সম্মানিত ব্লগার ঢাবিয়ানের ১৫ নং মন্তব্যের সাথে আমি একমত !!
৩৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
আরোগ্য বলেছেন: যেহেতু শেষ পর্বে পূর্বের দুই পর্বের লিংক আছে তাই ওটাই সংরক্ষণ নিলাম। এটা রিমুভ করে দিলাম।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যেভাবে যেটা ভাল মনে করেন। জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
লক্ষ লক্ষ নারী শিশু সহ নিরপরাধ মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে আপনি যেই বিপ্লব করেন সেই বিপ্লবের নিকুচি করি।
সত্যি এর একটা শেষ দরকার।
এগুলো দেখতে আর ভালো লাগে না।
যারা মারা যাচ্ছে তারা খুব সাধারণ।
বড় বড় নেতাদের সহিংস মনোভাবের শিকার এই নিরীহ মানুষগুলো।