নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ \'গাজা\'~ আসেন একটু অন্যভাবে দেখি (শেষ পর্ব)

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৮


(ঘরের খেয়ে অনেক বনের মোষ তাড়ালাম। আর নয় এইবার ক্ষ্যামা দিচ্ছি!)
এবার আমরা চোখ ফেরাই একটু হামাসের দিকে।আসলে হামাসের শক্তিমত্তা কেমন?
মুসলিম বিশ্ব তো বটেই বিশ্বের প্রথম সারির মিডিয়াতেও এত বেশী প্রপাগান্ডা ছড়ানো আছে হামাসকে নিয়ে যে আসলে ওদের শক্তিমত্তা নিয়ে রয়ে গেছে অনেক ধোয়াশা!
খোদ ইসরাইল স্বীকার করে যে, তারা যা ধারনা করে হামাসের শক্তিমত্ত্বা সন্মন্ধে হামাস তার থেকেও বহুগুন শক্তিশালী। মুসলিম বিশ্ব দাবি করে তেমনি। কিন্তু সন্দেহবাদীদের( সিঙ্ঘভাগ) দাবি যে এটা নেহাতই একটা গুজব- আসলে এটা মুলত ইসরাইলের একটা চাল। ফিলিস্তিনির নিরীহ সাধারন মানুষের উপর নির্বিচারে আক্রমনের একটা জঘন্য কৌশল মাত্র।
আসলা আমাদের মত অতি সাধারন মানুষের ভরসা একমাত্র মিডিয়া- নিজেদের সরেজমিনে তদন্ত করার তো কোন উপায় নেই। তাই বিভিন্ন মিডিয়ার প্রকাশিত সংবাদ থেকে যতদুর যম্ভব নিরপেক্ষভাবে চেষ্টা করা হবে হামাসের শক্তিমত্ত্বা সন্মন্ধে ধারনা নেবার।
ইসরাইলি সরকারি দফতর কতৃক প্রকাশিত গাজা স্ট্রিপের একটা ম্যাপ! লাল অঙ্কিত দাগ গুলো টানেলের যা সনাক্ত করে ২০২১ সালে ইসরাইল বিশেষ বিমান হামলার মাধ্যমে ধ্বংস করে। এই টানেল ধ্বংস করার জন্য তারা অত্যাধুনিক বোমা ব্যাবহার করে। এর অর্থ নিশ্চিতভাবে গাজা স্ট্রিপের নীচে ব্যাপক টানেলের অস্তিত্ব ছিল।
* বিবিসির রিপোর্ট। ২০১৫ বিবিসির এক সাংবাদিক নিজে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন গাজা স্ট্রিপের সুরক্ষিত টানেলের অভ্যান্তরে। চাইলে নেট থেকে তার ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

হামাস দাবী করছে গাজা স্ট্রিপের নীচ দিয়ে তাদের পাঁচশ কিলোমিটার জুড়ে এরকম টানেল আছে - যা দিয়ে শুধু মানুষ নয় ভারি অস্ত্র থেকে শুরু করে দুরপাল্লার মিসাইল পর্যন্ত স্থানন্তর করা সম্ভব। ( হামাস বলেছে যে ইসরাইল এ পর্যন্ত মাত্র তাদের পাঁচভাগ টানেল সনাক্ত ও ধ্বংস করতে পেরেছে।)
~ ঈজিপশিয়ান বর্ডারের ওপাশে এরকম একটা টানেলের মুখ। অনেক বড় কিছু প্রবেশ করানো সম্ভব এপথ দিয়ে অনায়াসেই।
তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে এসব টানেল একটা আরেকটার সাথে কানেক্টেড নয়। কিছু সঙ্কেত ব্যাবহার করে বিভিন্ন টানেলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।
প্রতিটা টানেলের মুখ কোন বাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল নয় মসজিদের বেসমেন্টে। টানেলগুলো এমনভাবে করা হয়েছে যে, টানেল ভাঙতে হলে বাড়ি,মসজিদ, স্কুল, হাসপাতাল ভাঙতে হবে। আর সেগুলো ভাঙ্গার সমস্যা কোথায় জানেন? বোকা মানুষের বোকা বোকা কথা অনেকের ভাল লাগবে না শুনতে তারপরেও বলব- একেবারে পোস্টের শেষে।
*****
হামাসের রকেট

হামাসের কাছে ১৫ থেকে ১৬০ কিলো মিটার রেঞ্জের প্রায় ১০ হাজার রকেট এখনো মজুত আছে। যার দূর পাল্লার কিছু মিসাইল নাকি ইরান রাশিয়া এমন কি উত্তর কোরিয়া তেকে পাচারকৃত।
ইসরাইলী ডিফেন্সের বড় মাথাব্যাথার কারন এই রকেটের একটা বড় অংশ তাদের আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে নাকি সরাসরি ভু-খন্ডে আঘাত হানতে পারে। ( ইসরাইলী ডিফেন্স এখানে একটা গ্রাফ দিয়েছে, হামাসের কোন রকেট তাদের মুল ভুমির কোন পর্যন্ত আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে)



গাজা উপত্যকার অন্য প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠী হল প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ, যাদের কাছে একটি শক্তিশালী অস্ত্রের ভাণ্ডারও রয়েছে।
ধারনা করা হয় স্বউৎপাদিত পাচারকৃত ২০ কিলোমিটার থাকে দূরপাল্লার
(৮০কিলোমিটার) প্রায় ৫০০০ রকেট আছে।

এ ছাড়া গাজার অন্যান্য ছোট বড় সশস্ত্র সংগঠনের হাতে ১৫ কিলোমিটার থেকে ৪৫ কিলোমিটার রেঞ্জের প্রায় ১০ হাজার রকেট আছে।
( সুত্র ইসরাইলী ডিফেন্স ফোর্স)
স্বাভাবিকভাবেই ইসরাইল যখন গাজায় সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমন করবে তখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই সংগঠনের সবগুলো একসাথে কাধে কাধ মিলিয়ে নয়তো নয়তো বিচ্ছিন্নভাবে পাল্টা আক্রমন শুরু করবে।

~ ৯ অক্টোবর সকালে গাজা থেকে উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে একের পর এক রকেট ইসরাইল অভিমুখে।


দৃশ্যটি ইসরায়েলের অ্যাশকেলন শহরের; ৯ অক্টোবর, ২০২৩-এর। ইসরায়েলের আয়রন ডোম অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমগাজা উপত্যকা থেকে উৎক্ষেপণ করা রকেটকে বাধা দিচ্ছে। ~ ইসরাইলের গর্বের প্রতিক আয়রন ডোম। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। বহু রকেট সেই আয়রন ডোমের নিছিদ্র প্রতিরক্ষা সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে আগাত করেছে ইসরাইলের মুল ভুখন্ডে। ~ রকেটগুলোকি এভাবেই ছোড়া হয়েছিল? এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সহজে বহনযোগ্য লঞ্চপ্যাড ছাড়া ইসরাইলী ডিফেন্সের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনভাবেই এত এত রকেট ছোড়া সম্ভব নয়।

যাকে আসলে আমরা মিসাইল বা রকেট হামলা বলছি, অত্যাধুনিক রকেট বা মিসাইলের সাথের তার পার্থক্য কতটুকু-আসলে এর ধ্বংস্বাত্মক ক্ষমতা কতটুকু? এটা ইসরাইলের মাথাব্যাথার কারন কতটুকু? এটা কি সঠক যায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম? এটা কি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত? নাকি শুধু জুজু বুড়ির ভয়। এগুলো জানতে হলে আমাদের দরকার একটা নিরপেক্ষ মাধ্যমের খবর। আপাতর রাশিয়ার সনবাদ মাধ্যমকে আমি নিরপেক্ষ হিসেবে ধরে একটা নিবন্ধ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি;

মুল নিবন্ধ ( news.zerkalo Russia)

হামলা শুরুর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হামাস জঙ্গিরা ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেফ দাবি করেছেন ৫০০০ রকেট ছুড়েছেন- আর ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তারা ৪০০০ উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যাই হোক না কেন, এটি অনেক: বিভিন্ন অনুমান অনুসারে, একটি পূর্ণ-স্কেল আক্রমণের পুরো প্রথম বছরে, রাশিয়া ইউক্রেনে ২০০০ থেকে ৫০০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। রাশিয়ার মত শক্তিশালী পরাশক্তি এক বছরের যুদ্ধে যতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল সেই পরিমান ক্ষেপণাস্ত্র হামাসের মত ক্ষুদ্র একটা সতস্ত্র সংগঠন গাজা স্ট্রিপের মত অতই ঘনবসতপূর্ন ছোট্ট একটা এরিয়া থেকে কীভাবে নিক্ষেপ করল? আসুন এটা বের করা যাক।

হামাসের ক্ষেপনাস্ত্রের ধরন

আমরা যখন ইউক্রেনে নিক্ষেপ করা রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বলি, তখন আমরা প্রকৃত (প্রযুক্তিগত অর্থে) তাকে ক্ষেপণাস্ত্র (অস্ত্র) বলতে চাই - দূরপাল্লার ইস্কন্দার, ক্যালিবারস, কিনজালস, এক্স ২২/৩২, এস-৩০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র। এটি স্পষ্টতই গ্র্যাডের মতো একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম দ্বারা নিক্ষেপ করা অপেক্ষাকৃত ছোট প্রজেক্টাইলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে না - অন্যথায় সংখ্যার ক্রম সম্পূর্ণ ভিন্ন হবে। BM-২১ গ্র্যাড ডিভিশন হল ১৮টি গাড়ির সমন্ময়ে একটি সালভো। যা দিয়ে ৭২০ টি রকেট মাত্র ২০ সেকেন্ডে নিক্ষেপ করা যায়। এগুলো কে মুলত রকেট না বলে 'গ্র্যাড শেল' বলাই শ্রেয়।
একই সময়ে, গ্র্যাড শেলগুলি হ'ল হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রের অন্যতম বিস্তৃত ধরণ, যার সাথে স্বদেশে তৈরি কাসাম (কাসেম রকেট)
বা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে৷২০০০-এর দশকে বিখ্যাত ইসরায়েলি আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্র্যাডস এবং কাসামসের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য এটি তৈরি হয়ে ছিল।

ইসরায়েল মোটামুটি এই ধরনের পুরনো প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময় (জুলাই-আগস্ট ২০০৫), শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর জঙ্গিরা ইসরায়েলে প্রায় ৪ হাজার গ্র্যাড এবং কাসাদ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যার মধ্যে ১ হাজার জনবহুল এলাকায় আঘাত করেছিল। এবং ১০ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর, ২০১২ পর্যন্ত, ফিলিস্তিনিরা গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে ১৫০০ টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি

ধারনা করা হয় হামাস তার "পৃষ্ঠপোষক" ইরানের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পায়। ইরান গ্র্যাডের জন্য অনেকধরনের শেল তৈরি করে যার কিছু রাশিয়াতেও রপ্তানি করে। রাশিয়া এর কিছু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করেছে। যাইহোক, ইরান থেকে গাজা উপত্যকায় এসব রসদ সরবরাহ করা খুব একটা সহজ নয়। অতএব, এখানে (অবশ্যই, ইরানের সমর্থনে) - তবে খুব সস্তা কাসাম ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক উত্পাদন শুরু করেছিল।
প্রথম দিককার কাসাম রকেট তিন কিলোমিটারের বেশি উড়ত না এবং সর্বোচ্চ আধা কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করত। ২০০৮ সালে, ঘরে তৈরি ফিলিস্তিনি রকেটের আরও দুটো প্রজন্ম উপস্থিত হয়েছিল। "কাসাম-২" এর রেঞ্জ ছিল আট কিলোমিটার (৫-৭ কেজি ওয়ারহেড সহ) এবং "কাসাম-৩" ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গিয়ে এ আঘাত করার ক্ষমতা অর্জন করে ( ১০-২০ কেজি বিস্ফোরক বহন করে)। কাসামের দৈর্ঘ্য, পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে, ০.৭ থেকে ২.৩ মিটার পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। সর্বশেষ, চতুর্থ প্রজন্মের ঘরে তৈরি ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্রের নিজস্ব নাম "এল-কুদস-১০১" । এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আরো বেশী বিস্ফোরক নিয়ে ইতিমধ্যেই ১৬ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে।

পানির মোটা পাইপের টুকরো থেকে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি সাধারণত সন্ত্রাসীরা ঘরে তৈরি লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণ করে। তদনুসারে, তাদের লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত করা প্রায় অসম্ভব। ২০২১ সালের মে মাসে ইসরায়েলে হামলার তৃতীয় দিনে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা নিক্ষেপ করা ১০০০টিরও বেশি রকেটের মধ্যে প্রায় ২০০টি ইসরাইলের ভুমি পর্যন্ত পৌছুতে পেরেছে।

'গ্র্যাড শেল'গুলির উড়ে যাবার সক্ষমতা ৪০ কিলোমিটারে পৌঁছেছে এবং তবে ইরানীদের তৈরি রকেটগুলি - ৫৫কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। গাজা স্ট্রিপ থেকে তেল আবিবের দক্ষিণ শহরতলী বা জেরুজালেমের চরম পশ্চিম শহরতলিতে হামলা চালানোর জন্য এটি যথেষ্ট।

হামাসের কাছে আরও দূরপাল্লার ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যদিও সেগুলির বেশি নয়। M-৭৫, ৭৫ কিমি, ফজর -১০০ পর্যন্ত, R-১৬০ - ১২০ কি.মি. পর্যন্ত আঘাত করে। এছাড়াও ২০২১ সালে, প্রকাশ হয়েছিল যে হামাস প্রথমবারের মতো ঘোষিত ১২০-কিলোমিটার রেঞ্জের সাথে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, A120। ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘতম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে বেশ কয়েকটি সিরিয়ান M-302 ক্ষেপণাস্ত্র যার ফ্লাইট রেঞ্জ ২০০ কিমি পর্যন্ত। এটি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের প্রায় পুরো ভূখণ্ডকে "উড়িয়ে" দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

যদিও হামাস জঙ্গিদের ট্র্যাক করা ঘাঁটিতে ক্লাসিক মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম নেই, তারা স্থির স্থাপনাগুলি ব্যবহার করে যা কেবলমাত্র বিশাল রকেট হামলা চালানোর জন্য মাটিতে স্থাপন করা হয়। ২০২১ সালে, A120 ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য আট-ব্যারেল ইনস্টলেশনের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল।


আজ, ৭ অক্টোবর হামাস যে আক্রমন চালিয়েছে সেটা সেটা একবারে ৩১৫টি রকেট উৎক্ষেপণের একটি 'স্যলভো'। এই ধরনের "স্যালভো' দিয়ে, দিনে কয়েক হাজার ছোট ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা মোটেই কঠিন কাজ নয়।

তবে শুধু রকেট নয় হামাসের হাতে যেহেতু রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়া থেকে রকেট আসতে পেরেছে তাহলে এর থেকে ভয়ঙ্কর কোন অস্ত্র ও প্রযুক্তি যে তাদের হস্তগত হয়নি এর গ্যারান্টি কি?
** *
২০০৬ সালে অপহৃত ইসরাইলী সৈন্য গিলাদ শালিদকে মুক্ত করার জন্য১১ অক্টোবর ২০১১ সালে ইসরাইল ১০২৭ জন ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তি দেয়। যাদের মধ্যে অধিকাংশ ইসরাইলীদের দৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ছিল।
শালিত বিনিময় চুক্তিতে ইসরাইলীরা তাদের পক্ষে কি যুক্তি দেখায় তা একটু জেনে নিই। এর ফলে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে; কেন ইসরাইলী বাহিনী এখনো পর্যন্ত বারবার হুমকি দেবার পরেও স্থল আক্রমন করছে নার আর- হামাসের মুল শক্তিটা কোথায়?
চুক্তির পক্ষে যুক্তি;
‘ইসরায়েল তার নাগরিকদের মুক্ত করার জন্য যা কিছু করতে পারে তার একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটিও একটি জিউস নৈতিক বাধ্যবাধকতা; যেটা ‘পিডিয়ন শ্বুয়িম’ নামে পরিচিত। যেই নৈতিকতা বহু শতাব্দী ধরে ইহুদিদের জীবন বাঁচানোর জন্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।
শালিত সুদীর্ঘ ৫ বছর ধরে বন্দী রয়েছে এবং তার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। হামাস রেড ক্রসকে তার অবস্থা পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়নি এবং ২০০৯ সালে ইসরাইল তার বেচে থাকার শেষ চিহ্নটি পেয়েছিল। তিনি এখনও বেঁচে আছেন এই বিশ্বাস ও আশ্বাসের ভিত্তিতে, ইসরায়েলকে এখনই তাকে বাঁচাতে চাইবে কারণ এমনটা যদি তারা তা না করে তবে এটা আর কখনোই হয়তো সম্ভব হবে না।
~ হামাসের হাত থেকে মুক্ত হয়ে গিলাদ শাহিদ যেদিন ইসরাইলে ফিরে আসল।

শালিতের মতো তার বন্দী সৈন্যদের উদ্ধার করার জন্য ইসরায়েলকে তার যথাসাধ্য করতে হবে কারণ তা না হলে আইডিএফ সৈন্যরা ভবিষ্যতে হতো সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেবার পরিবর্তে যুদ্ধে পিছু হটতে পারে। সামরিক বাহিনীতে তার তরুণ নাগরিককে সাথে চুক্তি করার সময়ে ইস্রায়েলের সেই নতুন সৈন্যদের সাথে একটি সামাজিক চুক্তিতে সীলমোহর করতে হয়- ‘তারা দেশের জন্য উত্সর্গ করবে এবং আত্মত্যাগ করবে তবে অবশ্যই জানতে হবে যে দেশ তাদের জন্য একই কাজ করবে।
এইতো গেল সামরিক বাহিনীর কথা। ইসরাইলে বসসতি স্থাপনের জন্য যেই ইহুদীগুলো অন্যদেশের ভিটে মাটি ছেড়ে একবারের জন্য ইসরাইলে পাড়ি জমায় তাদের সাথেও এমন একটা চুক্তি থাকে ইসরাইলী কতৃপক্ষের। অবশ্যই তাদের জান ও মালের গুরুত্ব ও নিরাপত্তা সর্বাধিক থাকবে। যে কোন নাগরিকের জীবন হুমকির সম্মুখীন হলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাস্ট্র তার জীবন বাচানোর চেষ্টা করবে। এর অন্যথায় হলে সারা পৃথিবীর ইহুদীরা ক্ষেপে যাবে। ভবিষ্যতে তারা আর কোনভাবেই কোন প্রলোভনেই ইসরাইলে বসতি স্থাপন করতে চাইবে না।
শালিতকে মুক্ত করার সময় চুক্তির শেষদিকে বলা হয়েছে শালিতের পরিবারের কথা। যার বিষয়েও ইহুদীরা বেশ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
****
শেষ কথাঃ
আগ্রাসী ইসরাইলের বড় ভয়ঃ
দিও মুসলমানদের বুদ্ধি হাটুতে গিয়ে ঠেকেছে তবু একথা অস্বীকার করার যো নেই যে, পৃথিবীর ৫০ ভাগ মুসলিমদের সবচেয়ে বড় বিষয়টা হচ্ছে যুক্তিহীন আবেগ। আপনার শুনতে ভালো লাগুক বা না লাগুক এটা হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। হামাসের পক্ষে যে ৬৫ ভাগ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন আছে তাদের অন্তত অর্ধেক যেকোনো সময় জান দেবার জন্য প্রস্তুত। ইসরাইল যতই বলুক না কেন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে এর । ১৫/২০ ভাগ ভাগ মানুষ কখনোই তাদের বাড়িঘর ছেড়ে সরবে না। হাজার হাজার নারী তাদের শিশুদের বুকে আঁকড়ে মাটি কামড়ে সেখানেই পড়ে থাকবে মৃত্যুর প্রহর গুনবে তারা কিন্তু কোথাও যাবে না পালাবে না।
আপনার আমার কাছে যুক্তিহীন। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলে তারা শহীদ হবে। কিন্তু আমরা হাসবো তাদেরকে বোকা, মহা বেকুব বলব কিন্তু এসব কথা বলে ওদেরকে টলাতে পারবো না। ওদের পায়ের নিচে গর্তে কিংবা টানেলে বসে আছে ওদের স্বামী, সন্তান ভাই অস্ত্র হাতে। তারাও মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত প্রহর গুনছে- কাউকে নিয়ে মরবে তারা। ওদের কাছে হাতে বানানো রকেট, আর ছোট বড় অস্ত্র নয় শুধু অদের কাছে আছে প্রায় দুই'শ এর মত ইসরাইলি জিম্মি। যারা হাজার লক্ষ রকেটের থেকে শক্তিশালী। যাদের জীবনের মুল্য উপরে প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকে লক্ষ ফিলিস্তিনীদের থেকেও বহুগুন বেশী। ইসরাইল কোন কিছুর বিনিময়েই এদের হারাতে রাজী নয়। অবহেলা অসাবধানতায় একজন জিম্মির মৃত্যু পুরো ইসরাইলকে কাঁপিয়ে দিবে। এর জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে সরকার,গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাবাহিনী সহ দায়িত্বপূর্ণ সংস্থাকে। ভবিষ্যতে কোন সাধারন ইহুদী আর বিশ্বাস করবে না ইসরাইলী সরকারের আপ্তবাক্য- তারা ছুড়ে ফেলবে ওই পিডিয়ন শ্বুয়িম নামের চুক্তিপত্র!
ওদিকে টানেলে বসে থাকা ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা সহস্র মৃত্যু দেখে বড় হয়েছে। রক্তের হোলি খেলা ওদের কাছে কিছুই নয়- ধর্ম আর জাতীয়তাবাদের মন্ত্র ওদেরকে অন্ধ করে দিয়েছে ওদেরকে বধির করে দিয়েছে কারো কথাই ওদের কানে যাবে না আর। ওদের জন্মই হয়েছে যেন যুদ্ধ করে মরার জন্য। ওখানে শুধু মুসলিমদের নয় ওখানে আপনি ইহুদিদের বসান ওখানে খ্রিস্টানদের বসান ওখানে কখনো হিন্দু কিংবা জৈনদের বসানো সবাই একই মন্ত্রে দীক্ষিত হবে। ধর্ম আর জাতীয়তাবাদ যুগে যুগে মানুষকে এভাবেই অন্ধ বধির নিশ্বংস আর নিপীড়িত করে। কিছু মানুষকে আগ্রাসী করে আর কিছু মানুষ অকারনেই আগ্রাসনের শিকার হয়।


প্রসঙ্গ 'গাজা'~ আসেন একটু অন্যভাবে দেখি।১

প্রসঙ্গ 'গাজা'~ আসেন একটু অন্যভাবে দেখি। ২

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: চমৎকার লেখা । এই পোষ্টে নতুন “গারবেজ” লেখকদের কমেন্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার পুরো সিরিজে সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার পাশাপাশি এসব লেখার কনটেন্ট জোগাড় করা ও লেখালেখির কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য আপনাদের ব্লগপাঠ ও মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি। তবে আপনার লেখা পড়েছি।
আমার নিজের লেখা নিয়ে আমার খুব উচ্চ ধারণা নেই লিখে যাই নিজের মতো করে ব্লগে অনেক উঁচু মারে ব্লগার আছেন যারা কিছুই লিখতে চান না হয়তো আমরা জ্ঞানী হয়ে যাব সেই ভয়ে :) আমরা সেজন্যই লিখে যাই আবজাব। হয়তো বিরক্ত হয়ে তারা কোনদিন ভালকিছু লেখা শুরু করবেন।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে আপনি হামাস কে সন্ত্রাসী বলতে পারেন না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: : লেখার কিছু কিছু অংশ রাশিয়ার যে মিডিয়া থেকে আমি অনুবাদ কি করেছি সেখানে ওদেরকে কোথাও কোথাও সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয়েছে সেই অনুবাদের ওখানে ভুলে লিখে ফেলেছি-নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে আমি মোটেও হামাসকে সন্ত্রাস সংগঠন মনে করি না!
কয়েক জায়গায় আমি ঠিক করে দিয়েছি আরো কোথাও লেখা থাকলে জানাবেন ঠিক করে দেব। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত।
তবে পুরো লেখাটার ব্যাপারে আপনার সুচিন্তিত মতামত জানালে খুশি হব

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী জিহাদ এবং হামাসকে সন্ত্রাসী বলছেন কেন। এটা একতরফা দাবী। ফিলিস্তিনিদের কাছে ইসরাইল এবং তাদের দোসররা সন্ত্রাসী।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: এত খেটে খুটে কাজকর্ম ফেলে এত্ত বড় একটা লেখা লিখলাম আর কোথায় ভুলে সন্ত্রাসী একটা শব্দ লিখে ফেলছি - তাই নিয়েই লাগলেন ভাই। কষ্ট করে লেখাটা পড়ে একটু বলেন কেমন কি লিখলাম?
হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন লিখলে সেটা ভুলে লিখে ফেলেছি আমি মোটেও হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করি না বিশেষ করে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে থাকলে সেটা মুছে দিচ্ছি।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হামাসকে জঙ্গি উল্লেখ করা হয়েছে আরও অন্তত এক জায়গায়। সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

বিবিসি, সিএনএন, রয়টার ইত্যাদি মিডিয়া কখনও ফিলিস্তিনের প্রকৃত চিত্র দেবে না। এরা ইসরাইল এবং অ্যামেরিকার পক্ষে লিখে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। এরা অ্যামেরিকার সব যুদ্ধের সঙ্গী।

হামাস যে ইসরাইলের তুলনায় কিছুই না সেটার জন্য কোন গবেষণার দরকার পড়ে না। হামাসের শক্তি থাকলে তারা ইসরাইলকে দুর্বল করে দিত অনেক আগেই। শক্তির পার্থক্য যে আকাশ পাতাল সেটা একটা স্কুলের বাচ্চাও বুঝবে। এটার জন্য গবেষণার দরকার নাই। হামাস বা ফিলিস্তিনের শক্তি থাকলে ৭৫ বছর ধরে যুদ্ধ করতো না। এগুলি নিয়ে গবেষণার করার কিছু নাই।

যুদ্ধের সময় বহু মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়। আমরা আম পাবলিক সেগুলি বিশ্বাস করি।

মুসলমানদের বুদ্ধি হাঁটুতে ঠেকেছে বলতে আপনি কোন মুসলমানদেরকে বুঝাচ্ছেন। ফিলিস্তিনের মানুষ জীবন নিয়ে দৌড়াচ্ছে। তাদের বুদ্ধি কোন কাজে আসবে না। তাই তাদের বুদ্ধি হাঁটুতে না মাথায় সেটা হিসাব করে কোন লাভ নাই। আরব দেশের শাসকরা মুলত মুনাফেক। তাদের মুসলমান বলা যাবে না। আপনি কোন মুসলমানদের বুদ্ধি হাঁটুতে মিন করতে চাচ্ছেন? এই অসম যুদ্ধে বুদ্ধি দিয়ে কোন কাজ হবে না।

ফিলিস্তিনের আবেগ বুঝতে হলে আপনাকে ফিলিস্তিন যেতে হবে। তাই তাদের আবেগকে আপনার কাছে সস্তা আবেগ মনে হতে পারে।

ধর্ম আর জাতীয়তাবাদের মন্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে অন্ধ করেনি। তারা অন্ধ না। অন্ধ হলাম আমি আর আপনি। প্রজন্মের পরে প্রজন্মে যখন এই ধরণের জুলুম নির্যাতনের মধ্যে যায় তখন মানুষের এই রকম অবস্থাই হয়। তাদের আবেগকে আমাদের সম্মান করা উচিত। কিন্তু আপনার লেখায় সেটা ফুটে ওঠে নি।

আর আপনি বলছেন ধর্ম আর জাতীয়তাবাদ এই সঙ্কটের জন্য দায়ী। আমি একমত না। ফিলিস্তিন সমস্যার জন্য ধর্মের চেয়েও বেশী দায়ী পরাশক্তিগুলির অহংকার, ক্ষমতা প্রদর্শন, ভু- রাজনীতি আর আগ্রাসী মনোভাব। ধর্মকে এখানে ট্রাম্প কার্ড হিসাবে ব্যবহার করছে পশ্চিমারা। আমরা পশ্চিমা মিডিয়া থেকে জেনে সেটাকেই সত্য হিসাবে মেনে নিচ্ছি।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ভাই সময় নিয়ে কষ্ট করে এতবার একটা মন্তব্য করেছেন সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার।
আপনার অনেক বক্তব্যের সাথে একমত সেখানে দ্বিমত প্রকাশ করার উপায় নেই কিন্তু,
আপনার যদি সময় থাকে তাহলে লেখার প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অবধি আবার একটু পড়বেন আমার মুল শুরুটা সম্ভবত আপনি ধরতেই পারেননি সম্ভবত হয়তোবা এটা আমার ব্যর্থতা যে আমি ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হামাস একটি সন্ত্রাসী দল । এর বাইরে কোন ব্যাখ্যা হামাসের জন্য নেই ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: সেটা আপনি বলতে পারেন আপনার অধিকার রয়েছে কিন্তু নিরপেক্ষতার বিচারে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যায় না-তাহলে আগ্রাসী ইসরাইলকে সেই কাতারে আগে ফেলতে হবে!

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ৪ নং কমেন্ট....... ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর এর মতামত পড়ে আশ্চর্য হলাম। লেখার ডার্ক হিউমারের অংশটুকু বোঝা কি খুবই কঠিন?

চমৎকার লিখেছেন।

কোন কোন মন্তব্যে ইহুদি পাঠার গন্ধ পাচ্ছি!!! =p~

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: এতক্ষণে আপনি আমার বুকের পাথরটা নামাইলেন। এই ডার্ক হিউমার শব্দটা বুকে আসতে ছিল মুখে আসতে ছিল না।
আপনাকে পেয়ে বড় সোয়াস্তি হইলো। কই ছিলেন এতদিন?

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: হামাস সম্পর্কে যেই যা কিছু ছাপাক না কেন তা গালগপ্প ছাড়া আর কিছুই না। হামাসের প্রধান নেতারা সবাই ফিলিস্তিনের বাইরে। গাজার ভেতরে টানেল হয়ত কিছু আছে যেখানে কোন আক্রমন শুরু হলে আশ্রয় নেয় সাধারন মানুষ। কিন্ত টানেলের মাধ্যমে অস্ত্র হস্তান্তর একেবারেই অসম্ভব একটা ব্যপার। কোন দেশ থেকে পাঠাবে ? ামেরিকা বলছে ইরান। ইরানের সাথে গাজার দুরত্ব কত ? এত দীর্ঘ টানেল কি বানানো সম্ভব। একমাত্র মিশরের সাথেই কিছু টানেল বানানো সম্ভব। কিন্ত অল্প যা কিছু টানেল ছিল দুই দেশের মাঝে তা বহু আগেই মোসাদ ধংশ করে দিয়েছে।গাজার টানেল কাহিনী একটা রুপকথা ছাড়া আর কিছুই না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ভাই টানেল নিয়ে আপনার মনে হয় বোঝার একটু ভুল হয়েছে। আপনি ওই টানেলের ম্যাপটা একটু দেখেন ;মূলত টানেলগুলো গাজার মধ্যেই ঘুর প্যাঁচ খেয়েছে। ওই কয়েকটা মুখ শুধুমাত্র মিশরের বর্ডারের আশেপাশে বের হয়েছে আর কোন দেশে যায়নি ইরান তো বহু দূর কি বাত!
৫০০ কিলোমিটারের হিসাব শুধুমাত্র গাঁজার ভিতরেই। এটা একেবারে অসম্ভব ব্যাপার নয় প্রতি কিলোমিটার টানেল খুঁড়তে নাকি খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ ডলারের অল্প কমবেশি।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: ইরানের সাথে গাজার দুরত্ব কত ? এত দীর্ঘ টানেল কি বানানো সম্ভব...............এই মন্তব্য পইড়া আমার মাটিতে গড়াগড়ি দিয়া কান্তে ইচছা করতাছে! :-B

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই মিয়া, আপনার এত আর হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার দরকার নেই উনি ঠিক বুঝতে পারিনি সম্ভবত!

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: এবার ইসরাইলের রক্ষা নাই।তাদের বুড়িগঙ্গায় নিয়ে চুবাবে হামাস।হামাস মুসলিম বিশ্বকে রক্ষা করবে।আল্লার নিজের হাতে তৈরি হামাস।আইএসয়ের বড় ভাই।জঙ্গি ছাড়া মুসলমানদের রক্ষা নাই।এটোমবোম এর কাছে ফেল।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০১

শেরজা তপন বলেছেন: হামাসের উপ্রে খুব ক্ষেপে আছেন দেখা যাচ্ছে কামাল ভাই!
ইসরাইলের শক্তিমত্তা থেকে লক্ষগুন পিছিয়ে থাকা হামাস এ যাত্রায় ফের নিশ্চিতভাবে ঘায়েল হবে কিন্তু ওদের নাগরিকদের মনে বিশাল ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে সেটা সত্য। ওখানে বসবাসরত সাধারন ইহুদীরা এতদিন মনে করে আসছিল তারা বিশ্বের অন্যতম দুর্ভেদ্য শেলের মধ্যে আছে- তাদের সেই বিশ্বাসটা ভেঙ্গে গেছে। আর হামাসের হাতে বন্দী ২০০ ইসরাইলীদের নিয়ে অনেক নাটক বাকি আছে ভাই -দেখেন সামনে কি কি হয়।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন- কোন কোন মন্তব্যে ইহুদি পাঠার গন্ধ পাচ্ছি!!! =p~
চার বুইড়া খাটাস আছে এখানে, এরা নাকি সমাজতন্ত্র বিশ্বাস করে, অথচ এই গরুগুলো বুঝতে চায় না কোনটি সন্ত্রাসী আর কোনটি নিজেদের বেঁচে থাকার লড়াই।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০২

শেরজা তপন বলেছেন: এভাবে বলবেন না প্লিজ।
আমি সবার মুক্ত চিন্তা ও আলোচনা আশা করছি। কোন রেষারেষি দ্বেষ বিদ্বেষ নয়।

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার একটা গুণ হলো খাটাখাটনি করে লিখতে বসেন।
আপনার লেখায় তথ্য থাকে। ইতিহাস থাকে। ভেরি গুড। শুভ কামনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০০

শেরজা তপন বলেছেন: জেনে প্রীত ও আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

গতকাল দেখলাম ফিলিস্তিনীরা সাহায্য চাইছে বিশ্ব মুসলিমদের কাছে। এবার টাকা পয়সা পাঠাতে পারেন। শেখ হাসিনা তো এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষনা করেছেন। বি এন পি আর জামাত বেশ চিপায় পড়েছে;
আমেরিকা না ফিলিস্তিন কোন পক্ষে যাবে বুঝতে পারছে না।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৩:০৩

আমি নই বলেছেন: আজকের নিউজে দেখলাম সেটেলাররা ভয়ে নিজ দেশে চলে যেতে চাচ্ছে এবং যাচ্ছে। ৫ লাখের মত নাকি ফিরেও গেছে। হামাস মনে হয় এটাই চাইছিল, যেন সেটেলাররা ইসরাইলে আসতে ভয় পায়। এখন অবস্যই ওরা আসতে একটু হলেও ভয় পাবে কিন্তু এর জন্য মুল্যটা অনেক অনেক বেশি দিতে হচ্ছে গাজাকে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০২

শেরজা তপন বলেছেন: এমন ভয়াবহ একটা আক্রমনের পরে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
পৃথিবীর সব নিরীহ নিপীড়িত মানুষের প্রতি সমবেদনা রইল। এরা সবসময়ই ভিকটিম- আর শুধু সংখ্যা ...

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেক তথ্য তুলে নিয়ে এসেছেন; অনেক কিছুই জানার আছে এই পোস্টে। হামাসের আজকেই অবস্থার জন্য ইসরাইল এবং আমেরিকা পুরাই দায়ী কারণ ওদের পিঠ দেয়ালে ঠ্যাকেছে আর সে কারণেই আমি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলবোনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের সাথে থেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।
পৃথিবীতে বুদ্ধিমান ও ক্ষমতাবানেরা অনেক হাস্যকর কথা বলেন। নিজেরা যখন নিরীহদের হত্যা করেন তখন সেটা প্রয়োজনে- আর
সেই নিরীহ অত্যাচারীদের থেকে যখন প্রতিরোধের সম্মুখীন হন তখন সেটা সন্ত্রাস!!!

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যেহেতু আমি মুসলিম সেহেতু নৈতিকভাবেই আমি ফিলিস্তিনকে সমর্থন করি। হামাস আছে বলেই তো এখন প্রতিবাদ আছে। অভিশপ্ত ইহুদি চিরকাল মুসলিমদের শত্রু।

আপনার পোস্ট ভাল হয়েছে, অনেক তথ্য যোগার করেছেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু ধর্মের কারনে এভাবে সমর্থন আমি ঠিক বলে মনে করি না। মানবতা বলে একটা ব্যাপার তো আছে।
শত্রুতা করলেই বাড়তে থাকবে- বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করলে দোষ কি? কেন আমদের চির বৈরিতা থাকবে?

অনেক অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে ,পরিশ্রম করে বিশ্লেষণধর্মী লেখাটি (তিন পর্বের) আমাদের আমাদের জন্য লিখেছেন। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। সত্যিক কথা বলতে অনেক প্রশ্নের উত্তর কখনওই পাওয়া যাবেনা সুতরাং সেদিনা না হয় না ই গেলাম। হামাসের এই অতর্কিত হামলার কারন হিসেবে তাদের জবাব, "সারা দুনিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মেতে আছে, আমাদের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাই আমরা এটা করেছি।" এটা আমার বিশ্বাসযোগ্য কিংবা গ্রহনযোগ্য মনে হয় নি। অন্য দিকে গাযায় পাল্টা হামলা হিসেবে পরে হাসপাতালে ইসায়েলীদের বম্বিং, এবং চোখ বন্ধ করে ঋষি সোনাক আর জো বাইডেনের সমর্থন আমার কাছে জঘন্য ঠেকেছে।

এগুলো সব কথার পিঠে কথা। আসল কথা হল আপনি যে পরিমান গবেষণা করেছেন, পড়েছেন, কষ্ট এবং পরিশ্রম করে, নিজের ব্যক্তিগত সময় ব্যয় করে বিষয়গুলো লিখেছেন আমাদের জন্য। সম্মানিত হলাম, আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকবেন।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য দারুনভাবে আপ্লুত ও অনুপ্রাণিত হলাম।
এমন একটা মন্তব্য আরো বেশী জানার বোঝার ও লেখার আগ্রহ অনেকগুন বাড়িয়ে দেয়। আমি নিজেকে অনেক সম্মানিত বোধ করছি।
আপনার উল্লেখিত ওই দুজনের এমন খোলামেলা একচোখা সাপোর্ট পীড়াদায়ক। এটা সেই জাতির জন্য লজ্জাজনক। এ দায় পুরো জাতিকে সারা জীবন বইতে হয়।
আজো আমরা ভাবি আমারিকা আমাদের স্বাধীনতার বিপক্ষ শত্রু। অথচ ওদের সাধারন মানুষ কতভাবেই না আমাদের সাপোর্ট করার চেষ্টা করেছে। এধরনের জঘন্য পররাষ্ট্রনীতি অনেক জাতিকেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ভুগিয়েছে।

আমার লেখা নিশ্চিতভাবে এতটা প্রশংসার যোগ্য নয়- আপনি বেশ বাড়িয়ে বলেছেন। তবুও ভাললাগার আবেশে মন ভরে গেল।
শুভ কামনা রইল- ভাল থাকুন।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


হামাস কে আমি জঙ্গিই বলবো। ইসলামি জেহাদও জঙ্গি।
উভয়ই মিশর ও মিসরের সিনাই থেকে বিতারিত জঙ্গি দল, পরে লেবানন ও লিবিয়াতে না সুবিধা করতে পেরে গাজাতে আস্তানা গেড়েছে। হাসাসের সন্ত্রাসের ভয়ে সব ভোট হামাসের ঘরে যায়।

হামাসকে সম্পুর্ন নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত ইসরাইলি অভিযান বন্ধ করা ঠিক হবে না। এটাকে যুদ্ধ বলবো না, অভিযান, অসম যুদ্ধ।
নারী শিশুদের চিপায় নিরাপদ থেকে রকেট মারা খেলা সম্পুর্ন বন্ধ করতে হবে।
রকেট ছোড়া মানেই পালটা বিমান হামলার আমন্ত্রন, স্পষ্টই আমন্ত্রন। আর নারী শিশু মারা গেলেই অনুভুতির খেলা, আরো বেশী অর্থ সাহায্য, অর্থ দিয়ে বিলাশবহুল জীবন, দুবাইতে মৌজ করা।
গাজায় কোন উৎপাদন নেই রপ্তানী নেই অর্থনীতি নেই, কিন্তু সবার হাতে অফুরন্ত টাকা, বিশাল বিশাল বিলাস বহুল বহুতল বিল্ডিং রাস্তায় অজস্র চকচকে নতুন বিএমডাব্লু মার্সিডিস লেক্সাস। এত চাকচিক্য পার্শবর্তি মিসর বা জর্ডনে নেই।

সকল প্রতিবেশী আরব দেশকে সংগে নিয়ে গাজাকে সম্পুর্ন নিরস্ত্র করতে হবে। সকল ভুগর্ভস্ত টানেল ধ্বসিয়ে দিতে হবে। প্রয়য়জনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী নিয়োজিত করা লাগবে।
বন্ধ করতে হবে নারী শিশু মৃত্যুর অনুভুতির খেলা,

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: বিএমডাব্লু মার্সিডিস লেক্সাস- আরবভুমিতে এইগুলা কোন বিলাসবহুল গাড়ি হইল হাসান ভাই? এইটা আপনি কি বললেন!!! ওরা কি 'টয়োটা পাবলিকা' আর 'ভক্স ওয়াগান বিটল' চালাবে?
অনেক জঙ্গী গোষ্ঠীদেরকাছ থেকে শুধু নয় ওরা অনেক রাষ্টীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পায়- তাছাড়া বহুদেশে ছড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনি প্রবাসীদের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ আসে। কিছু মানুষ বরাবরই সে অর্থ নয় ছয় করে, এটা সব দেশ সব সমাজেই হয়। তবে আপনি যেভাবে বলছেন অতটা সেভাবে নয় কিন্তু।
ওরা যেভাবে নিজেদের স্বার্থে নারী ও শিশুদের ব্যাবহার করছে সেটা নিশ্চিতভাবে ঘৃন্য একটা কাজ- এখানে কোন দ্বীমত নেই। যেকোন আক্রমন করলেই পাল্টা আক্রমনে হাজার হাজার নারী শিশু নিহত আহত হবে এটা নিশ্চিত জেনেও ওরা সেটা করছে- এটা অবশ্যই অমার্জনীয় অপরাধ।

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
বিস্তারিত নিয়ে আবার আসছি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, ধন্যবাদ- অপেক্ষায় রইলাম...

১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

আরোগ্য বলেছেন:
২০১২ সালের ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের ছবি। উপরের দিকে লক্ষ্য করুন পাখাওয়ালা দুইজন, একজন স্পষ্টত নেতানিয়াহু আর আরেকজনের মাথায় লিখা হামাস। এবার নিচের ছবিতে লক্ষ্য করুন।
একই কায়দায় ইসরায়েলের ভিতর হামাসের ইউনিক এন্ট্রি। বাহ্ কি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা। ৫হাজার হউক কিংবা ৫০ হাজার রকেট হউক, লাভের লাভ কিন্তু জায়োনিস্ট মুভমেন্টের হচ্ছে। এখানে ফিলিস্তিনের শিশু ও নারীদের পশুর চেয়ে হেয় মনে করে হত্যা করা হচ্ছে ( বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা হত্যা নাকি হ্যালোইন উপলক্ষে বলিপ্রথা ) , অপরদিকে বন্দী ইসরাঈলীদের সসম্মানে আপ্যায়ন করে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। আমি জানি না বন্দীদের মুক্তি দেয়ার কোন চুক্তি করা হয়েছে নাকি মুক্তিপণ নেয়া হচ্ছে, যেটা শরীয়তে জি*হাদের নিয়ম। এই মুহূর্তে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা আর ভাইবোনদের জন্য দোআ করা ছাড়া আমাদের কিইবা করার আছে। মুসলিম দেশের শাসকরা ভাল অভিনয় করতে পারে। ধরি মাছ না ছুঁই পানি। সময়ের কালক্রমে সব রহস্য পরিস্কার হয়ে যাবে। থলের বিড়াল ঠিকই বের হবে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের মত আম আদমিদের অলক্ষ্যেরও আড়ালে ভয়ঙ্কর এক খেলা চলে যার হদিস কোনদিন আমরা পাব না। আমারা শুধু নাটাই-ঘুড়ি!

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

aquaticlawful বলেছেন: I had no idea this fascinating information existed until now. imaginative and varied construction concepts.তhorough examination and attentive listeners https://scratchgames.co

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: Thanks but I don't have any interest about computer games!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.