নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ডাক্তারের এপয়নমেন্ট টাইমের ৩০ মিনিট আগেই হাসপাতেলে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। আমি আরো পনের মিনিট আগেই গেলাম। ডাক্তারের চেম্বারে যাবার আগে বেশ কিছু নিয়মনীতি আছে। নতুন পেসেন্ট দেখে প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করে হাসপাতালের একখানা স্মার্ট কার্ড করতে হল। এরপরে অন্য ফ্লোরে গিয়ে বিপি, হাই্ অক্সিজেন সিচুরেশন, ওজন সহ বেশ কিছু টেস্ট! ওইখানে নার্স প্রথমে ডিজিটাল মেশিনে বিপি মেপে, হাতে ধরা স্লিপে চোখ বুলিয়ে কেঁপে উঠে বলল, ওরে বাবা- আপনি বসেন উঠবেন না। আমার তো স্ট্রোক করার অবস্থা! তার মানে বিপি সেই লেভেলে যে মেশিনে অঙ্ক মাপতে পারছে না!!!
ঘটনা অন্যখানে; নার্স আতকে উঠে বলল, আপনি তো অমুক স্যারের পেশেন্ট? স্যার যদি দেখেন যে আমি ডিজিটালে মেপেছি তো আমার চাকুরি শেষ। উনার রোগীরে এনালগে মাপতে হবে, বলতে বলতে সে সেই আদ্যিকালের বিপি মেশিন আর স্টেথিস্কোপ বের করল।
এত বড় হাসপাতাল অথচ স্যারের কথা শুনে দেখি সবাই কাঁপে! নাম শুনলেই বলে ওরে বাবা - আপনি উনার পেশেন্ট!
এপয়নমেন্টের দেড় ঘন্টা পরে আমার ডাক পড়ল। শনিবারে নাকি রোগী কম থাকে আর সকালে আরো কম- ডাক্তার এতক্ষন রাউন্ডে ছিলেন। অনেক্ষন বসে আছি দেখে নার্স আজ্যাইর্যা খাতির গিন্নীরে ভিতরে নিয়ে বসাইল। তিনি আমকে বার বার সতর্ক করেছিলেন, খবর্দার বেশি কথা কইও না। যা জিগাইবে শুধু তাই কইবা। ডাক্তার একদম বেশি কথা পছন্দ করে না।
আমি ভাবি শালার কি ফ্যাসাদে পড়লাম!
বিশাল চেম্বার। করোনার ফজিলতে ইনিও কাঁচের ওপাশে বসে আছেন! সত্তুরের মত বয়স। বেশ শক্তপোক্ত গড়ন। রাশভারি মানুষ। আমার কল্পনার ভবিষ্যতবাণীরে এক্কেবারে ১০০ ভাগ সত্যি প্রমাণিত করে প্রথম প্রশ্ন- সিগারেট খান?
ভীষন বিব্রত ভঙ্গীতে আমি আড় চোখে বউ এর দিকে তাকিয়ে দেখি বা ঠোটে এক চিলতে হাসি। সে হাসির মানে আমি বুঝি। সে এক ভয়াবহ অপমানজনক - গা জ্বালানো হাসি!
ফ্যাস ফ্যাসে কন্ঠে বললাম, খাই- খুব কম।
-কয়টা?
-দেড় থেকে দুই টা।
-একটাও খাওয়া চলবে না। এমনি কোন ধুমপায়ী ব্যক্তিদের পাশেও বসা চলবে না। আজ থেকে ধুমপান পুরো বন্ধ! আমার কথামত চলতে পারলে এরপরে এখানে আসবেন -না হলে আসবেন না। ওক্কে?
ভীষন হতাশ হয়ে আমি ফের আড়চোখে গিন্নীর দিকে তাকাইলাম। সে বেশ উৎফুল্ল- তার তাকানোর ভঙ্গীটা এমন যে, কেমন জব্দ হলে। আমি এতদিন কইলাম- আমারে পাত্তা দিলা না। এখন দেখ; হাউ ম্যানি প্যাডি টু হাউ ম্যানি রাইস!
আমি ডাক্তারকে বলতে চাইলাম; বস পয়ত্রিশ বছর ধরে যার সাথে সখ্যতা তারে এক মুহুর্তে একেবারে কেমনে ছেড়ে দিব? একটু সময় দেন। বলেন, আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। আপনি তো একবারও জিগাইলেন না আমি মদ গাজা, ইয়াবা, ডাইল, খৈনি, জর্দা, গুল, পান, তামাক খাই কিনা? আমি ভ্যাপ টানি কিনা? আমি আধুনিক আড্ডায় বসে হুক্কা টানি কিনা? মানুষের হাজারও রকমের নেশা আছে বদ অভ্যাস আছে যা দ্রত মৃত্যু বা ধ্বংসের দিকে - শুধু দোষ কি ওই এক সিগারেটের???
যেইখানে যাই ওই সিগারেটের বদনাম- তাকে নিয়েই সব আলোচনা সমালোচনা।
আমরা ধুমপান নিবারন করি ( আধুনিক) নামে সংগঠন আছে। কিন্তু আমরা ইয়াবা নিবারন করি বা মদ নিবারন করি কিংবা গাঁজা। অথবা ফেন্সিডিল নিবারন করি নামে কোন সংগঠন নেই এদেশে। লক্ষ লক্ষ ছেলে পেলে ড্রাগ নিয়ে শুধু নিজে নয় পরিবার সহ শেষ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার চুরি ডাকাতি, ছিনতাই খুন হচ্ছে ড্রাগের জন্য।
সিগারেট মোটেও শরিরের জন্য ভাল নয়।তামাকের ধোয়া শুধু ধুমপানকারীর জন্য নয় তার আশে পাশে যারা থাকে তাদের জন্যও ক্ষতিকর! কিন্তু আমরা প্রতিদিন ঢাকার যে ভয়ঙ্কর দুষিত বায়ু আর খাদ্য খাচ্ছি তার কি হবে বস????
* সেইদিন ডাক্তারের চেম্বারে বসে বসেই সিগারেট নিয়ে চমেতকার একটা কবিতা লিখেছিলাম। পরে দেখি সেই 'শার্ল বোদলেয়ারে'র খানিকটা অনুকরণ হয়ে গেছে - তাই আর এইখানে দিলাম না, এমনিতেই ব্লগে প্রথম পাতাইয় এই মূহুর্তে ১২ খান কবিতা ঝুলছে। ফেরামি একখানা দিলে- জাত কবিরা মাইন্ড খাইতে পারেন।
****
তেল চুরির আখড়া
আপনি কি বিরুলিয়া-আশুলিয়া বেড়িবাধ দিয়ে যাবার সময় এমন ত্রিপল দিয়ে ঘেরা জায়গা দেখেছেন? কিছুদুর পরপর দেখবেন এমন বাঁশের খুটিতে ছেড়া-ফাটা ত্রিপল ঘেরা জায়গা। ওপাশে লক্ষ্য করলে দেখবেন; একটা টং ঘর আছে। দিনের বেলা বেশীরভাগ সময় সেই টং ঘর বন্ধ থাকে। খোলা থাকলে দেখবেন সেখানে খোলা পেট্রোলিয়াম জাতীয় তেল বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই কিনছে। সিম্পল দৃশ্য! এভাবে ঢকার অনেক স্থানেই খোলা বাজারে পেট্রোলিয়াম তেল বিক্রি হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে; ১। এদের এই তেল আসে কোত্থেকে? ২। এদের দোকানের সামনে এমন ত্রিপল দিয়ে ঘেরা কেন?
উত্তর খোঁজার জন্য একটু গভীর রাতে এপথ দিয়ে আসলে - চোখ কান খোলা রাখলে আপনি ভিন্ন কিছু দৃশ্য দেখতে পাবেন। ওরা তখন সচল হয়। খুটিতে হারিকেন বাতি জালিয়ে সংকেত। লাল হলে সেটা বিজি আর হলিদ বা সবউজ হলে খালি। বেশীরভাগ সরকারি গাড়ি ও লরি ওদের টার্গেট। আগের থেকেই বেশীরভা কন্ট্রাক্ট করা থাকে। চলতি পথে গাড়ি সিগ্ন্যাল দিয়ে ত্রিপলের আড়ালে ঢুকে গেলেই আরোদুটো ত্রিপলের পর্দা দিয়ে সামনে পেছনে ঢেকে দেয়াতে কেউ গাড়ি ও নম্বর প্লেট নোট না করতে পারে। তার পর লাল বাতি জ্বালিয়ে তেল চুরি করে বিক্রি হয়। এই তেল যায় ঢাকার সব খোলা বাজারে। এখানে আপনার নিজস্ব গাড়ির বা অফিসের গাড়ির ড্রাইভারও অনেক সময় এইসব কাজে জড়িত থাকে।
***
প্রথম মেট্রোর কাজ শেষ। এমন বহু দামী কন্সট্রাকশনাল হেভী ইকুইপমেন্ট থেকে শুরু করে বহু মেশিনারিজ ও এক্সেসরিক একদম অলস পড়ে আসে। খুব দ্রুত যদি এমন কোন দানবীয় প্রজেক্টের কাজ শুরু না হয় তবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ এমনি পড়ে পড়ে নষ্ট হবে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত আমাদের ব্লগের প্রাগৈতিহাসিক ব্লগারেরা ফের একটিভ হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমরা ভোট নিবারণ করি দলও আছে দেশে
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: এটা সংক্ষেপে হবে 'আভোনিক' নাকি? নামটা খারাপ নয়- বিরোধী দলকে নামটা প্রপোজ করতে পারেন।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: মনে হচ্ছে কয়দিন পর রাষ্ট্র'টা চুরি হয়ে যাবে
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এত টেনশন নিয়েন না- হোক সব চুরি। ঠিক মত খান-দান ঘুমান ব্যায়াম করেন আর আড্ডা দেন!
মাঝে মধ্যে এদিক ওদিক চক্কর দিয়ে আসেন। আগে নিজে ডার্কনেস থেকে বের হয়ে আসুন, তারপরে দেখুমনে
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ১ লিটার ১ টাকা দরে তেল বিক্রি হয় এই দেশে। সরকারী জাহাজে সম্ভবত। সেদিন প্রথম আলো-তে এসেছিল...
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: কোথায় বিক্রি হয়- এড্রেসটা দেন? তেল কিনতে কিনতে ফকির হয়ে গেলাম
আহারে এক টাঙ্কি তেল যদি কিনতে পারতাম এই দামে!!!
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: বেরসিক ডাক্তারেরা খালি সিগারেটে খাইতে বারণ করে, যে ডাক্তার নিজে সিগারেট খায় সেও অন্যদের নিষেধ করে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: সেই কথা আর কইয়েন না। সিগারেট নিয়ে অনেক মজার গল্প জমা আছে আমার থলেতে।
হুদাই সিগারেটরে দুষায়!!!
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: এত লুকায়ে বিক্রির দরকার কি ? পুলিশতো নিশ্চই ম্যনেজ হয়েই আছে !
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: যে বিক্রি করে সে লুকায় কারন সে অফিসে বা মালিকের কাছে ধরা খাইতে পারে- যে কেনে সে লুকায় না। পুলিশ তো ক্রেতায় ম্যানেজ করে।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার এমন হম্বিতম্বী করা ডাক্তার ভালোই লাগে , এটলিস্ট নিজের কাজ টা ঠিক মত করে। চোর আর চুরি এখন রাষ্ট্রীয় ভাবে সমর্থন দেয়া হয়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: পুরুষ মানুষরে এমনে ধমকাইলে মহিলাদের সেই ডাক্তার ভাল লাগবেই।
কালকে আড্ডায় আলাপ হইল আম্রিকা, ইসরাইল, রাশীয়া উক্রাইনের যুদ্ধ একদিনে বন্ধ হইত যদি এই সকল দেশের হর্তাকর্তাদের ঘরের বউরা একটু শান্তি দিত। ঘরে ক্যাচাল কইরা সব বাইরে যুদ্ধ লাগায়
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: তিল চুরি, তেল চুরি, মানুষ চুরি, লাশ চুরি সব চুরি হইয়া যায় ...
সিগারেট ছাড়তে পাক্কা ছয বছর লাগসে, এখনো ক্রেভিং আসে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা ছয় বছরে কিভাবে ছাড়লেন? সিগারেট থেকে প্রেমিকা ছাড়া অনেক সহজ
মুজিবের সেই বিখ্যাত ডায়লগ তো ছিলই, 'দেশ স্বাধীন করে সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি' ( হুবুহু নয় হয়তো)
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: ভাইয়া প্লিজ আমাকে একটা ভালো ওয়েবসাইটের নাম বলবেন রাশিয়ান ভাষা শেখার জন্য, এটলিস্ট বি -১ পর্যন্ত কাভার করতে পারবো। ইউটিউবে তো আসলে অনেক কোনটা চুজ করবো বুঝতেছিনা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১
শেরজা তপন বলেছেন: এইতো আমাকে ব্যাপক বিপদে ফেললেন ভাই। আমার সময়ে তো এইসব ওয়েব সাইট ছিল না। আমিতো প্রথমে শুরুটা করেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষা ইন্সটিটিউটে তারপরে সরাসরি রাশিয়ার বিদ্যালয়ে 'পাদ্গাতাভিচেলনাম কুরসে'!
আমি সত্যিই এবিষয়ে কোন সহযোগীতা করতে পারব না। তবে অনলাইনে ভাষাশিক্ষা এখন অনেক সহজ। শুরু করে দিন একটা- শিখবেন তো কিছু না কিছু।
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এতো এতো টাকার মেশিনারিজ ইকুইপমেন্ট সব স্ক্র্যাপ হওয়ার সম্ভবনা। এইগুলো বিক্রয় করে দেওয়া খুব কঠিন কাজ না। কিন্তু সরকার ব্যবস্থাপণা এই ইকুইপমেন্ট একদিন হয়তো প্রায় কিলো দরে বিক্রয় করবে। কিছুই করার নেই। আমরা দর্শক মাত্র।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার মনে হয় পরের মেট্রো তৈরির কাজে এগুলো লাগবে। পরের কাজ খুব শিঘ্রই শুরু হবার কথা । সরকার পরিবর্তন হলে এগুলো সেরদরে বিক্রি হবে নিশ্চিত। না হলে এর ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর নয়।
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
-কয়টা?
-দেড় থেকে দুই টা।
দেড় টা করেতো আর সিগারেট খায়না, উত্তরটা আসলে ছিলো দেড় থেকে দুই প্যাকেট।
চেইনস্মোকার হিসেবে কমইতো খায় শেরজা।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: স্যরি ব্লগে ফের আসতে আসতে দেরি হয়ে গেল। তাই আপনার তাজা মন্তব্যের আগে উত্তর দিয়ে নিই।
আমি এই জনমে দেড়-দুই প্যাকেট সিগারেট এক দিনে খাই নাই।
এই ব্যাপারে আমার কিছু সিক্রেট আছে যেটা আমি ব্লগে বলতে চাচ্ছি না। আমি কোন কিছুই বেশী খাইতে পারি না- প্রকৃতি আমাকে বিবিধ উপসর্গ দিয়ে থামিয়ে দেয়।
সিগারেট আমার কাছে ভীষন শৌখিন একটা বিষয়। তা দিনে একটা সিগারেট হোক -সেটা একটা ফ্যাক্টর আমার কাছে। এর থেকে পরম বন্ধু আর নেই।
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আপনি তো একবারও জিগাইলেন না আমি মদ গাজা, ইয়াবা, ডাইল, খৈনি, জর্দা, গুল, পান, তামাক খাই কিনা? আমি ভ্যাপ টানি কিনা? আমি আধুনিক আড্ডায় বসে হুক্কা টানি কিনা? মানুষের হাজারও রকমের নেশা আছে বদ অভ্যাস আছে যা দ্রত মৃত্যু বা ধ্বংসের দিকে - শুধু দোষ কি ওই এক সিগারেটের???
বিষয়টা তা না।
সিগারেট খায় কিনা জিজ্ঞাসা করে জেনে নিতে হয়।
ডাইলখোর গাঁজাখোর দেখলেই চেনা যায়, তাই আর জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না।
ডক্টর শেরজাকে দেখে যে কি নোট করেছে সেটা কিন্তু অজানাই থেকে গেলো
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: এই ঘটনা ঘটেছিল একবার ভৈরবে।
বেড়াতে গিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর ওখানে। প্রচুর বন্ধুর বন্ধুদের সমাগম- সেইরকম আপ্যায়ন! আমার প্রচন্ড মাথাব্যাথা ছিল। সন্ধ্যায় বন্ধুকে বললাম, এখানে ডিসপেন্সারি কোথায় ঔষুধ কিনতে যাব- সে তার এক বন্ধুকে ডেকে বলল এই ওরে সাথে নিয়ে দোকানে যা ঔষধ কিনবে।
সেই পোলা আমারে বহুত ঘুরায় ঘারায় বন্ধ এক টং দোকানের কাছে নিয়ে দেখি টোকা দিয়ে খালারে ডাকে। আমি তারে জিগাই ভাই, এইখানে আইছেন ক্যান?
সে কয় ক্যান আপনি ঔষধ কিনবেন না?
-হ্যাঁ তো এইটা কি ডিসপেনসারি?
-মানে কি? আপনি ডাইল খাইবেন না?
-ডাইল? আপনারা ডাইলরে কি ঔষধ কন?
-হ ঢাকার থেকে সবাই তো এই ঔষধ খাবার আসে। আমি তো আপনারে সেই পার্টি ভাবছি। আপনার তো চেহারা দেইখাই মনে হইছিল আপনি সেই মাল।
ডক্টরের সাথে বাকি অনেক গল্প- এখনো সেই ঘানি টানছি ...
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আগের মন্তব্যটা আমি আপনার পড়ার পরে ডিলিট করে দিব। কারন আমি চাই না মানুষ আমাকে এতটা ভাল জানিক
কত ঢং দেখালে সখা, অম্লে দিয়েছো আদা!!!!
আগের মন্তব্য ডিলিট করতে হবে না, থাক।
শেরজা যে ভালো, চেইনস্মোকার না, সেটা লিপ্স দেখে বোঝা যায়।
এখন আবার জানতে চাইবে না কোথায় দেখেছি
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: সেদিনই বুঝেছি আপনি আমার ফেবু টেবু কোথাও চক্কর দিয়ে এসেছেন- যখন বললেন, এতবড় ছেলে আছে বোঝা যায়নি
কিন্তু সেইদিন এক সেনাবাহিনীর উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা আমাকে একটা ধুম্রশলাকা অফার করার পরে আমি বিনয় ভরে যখন প্রত্যাখান করলাম তখন ভীষন অবাক হয়ে বড় বড় চোখ করে বললেন, কিন্তু ভ্রাতা আপনাকে দেখে তো বেশ স্মোকার মনে হয় ( ভদ্রতা করে উনি' চেইন' টা বাদ দিয়েছিলেন)
আপনি পুরুষদের পা,ঠোট এইসব দেখে বেড়াচ্ছেন। এটা ভাল লক্ষন ন্য। এদ্দিন জানতাম এগুলো পুরুষেরা দেখে
১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
-মানে কি? আপনি ডাইল খাইবেন না?
হা হা হা হা
see, I knew
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা বেশী হয়ে গেল- এত ভাল মানুষ না আমি।
হুদাই নিজেরে এক্সপোজ করি।
১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ঠিক মত খান-দান ঘুমান ব্যায়াম করেন আর আড্ডা দেন!
মাঝে মধ্যে এদিক ওদিক চক্কর দিয়ে আসেন। আগে নিজে ডার্কনেস থেকে বের হয়ে আসুন, তারপরে দেখুমনে.
খাওয়া, দাওয়া আর টুকটাক বই পড়া ছাড়া আর কোন কাম নাই।
ডার্কনেস থেকে বের হতে কিছু সময় প্রয়োজন। সেই পর্যন্ত টিকে গেলে আর কথা নাই।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি সম্ভবত শারিরিকভাবে অসুস্থ! যাহোক আপনার মানসিক সুস্থতাতো বটেই সব ধরনের সুস্থতা কামনা।
আমরা ' অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি~৩' আপনাকে উৎস্বর্গ করার ইচ্ছে রইল। কেন সেটা পড়েলেই বুঝবেন। সে পর্যন্ত টিকে থাকার প্রত্যাশা রইল।
১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিষাদ সময় বলেছেন: সিগারেট হলো সব নেশার গেটওয়ে। সিগারেট খায়না বা খায়নি এমন নেশাখোর মনে হয় হাতে গোনা।
কোন এক গ্যাসের কোম্পানীতে গাড়ির চেয়ে ড্রাইভার বেশি। যে সব ড্রাইভারের গাড়ি নাই তারা টাকা নিয়া লাইন দেয় একটা গাড়ির জন্য। কোম্পানী থেকে একবার সব গাড়ি সিএনজি করার সিন্ধান্ত নেয়ায় ড্রাইভারদের আন্দোলনে কোম্পানী এক রকম অচল ছিল কিছুদিন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা অনেকাংশে ঠিক। বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ সিগারেট খায় ই না কিন্তু অন্য অনেক নেশায় জড়িত তারা।
সরকারী অনেক কোম্পানীর ড্রাইভারদের বড় একটা আয়ের উৎস হচ্ছে তেল চুরি।
১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি কোন কিছুই বেশী খাইতে পারি না- প্রকৃতি আমাকে বিবিধ উপসর্গ দিয়ে থামিয়ে দেয়।
are you sure? seriously!!!
আমিতো জানি .................. থাক ওইদিকে আর না যাই
লেখক বলেছেন: সেদিনই বুঝেছি আপনি আমার ফেবু টেবু কোথাও চক্কর দিয়ে এসেছেন- যখন বললেন, এতবড় ছেলে আছে বোঝা যায়নি
কি যে বলে!!! আমিতো ফেবুতে একটিভ না।
কর্মকর্তা আমাকে একটা ধুম্রশলাকা অফার করার পরে আমি বিনয় ভরে যখন প্রত্যাখান করলাম
কারণ সেই ধুম্রশলাকার ভেতরে সামান্য গঞ্জিকা মেশাতে হতো, তাহলে আর না বলতো না।
আপনি পুরুষদের পা,ঠোট এইসব দেখে বেড়াচ্ছেন। এটা ভাল লক্ষন ন্য। এদ্দিন জানতাম এগুলো পুরুষেরা দেখে
সৃষ্টিকর্তা একজোড়া সুন্দর চোখ দিয়েছে দেখার জন্য।
আমাদের উচিত সেটার সদ্ব্যবহার করা, নইলে সৃষ্টিকর্তা নারাজ হবে।
একজন নারী আমি, পুরুষদের দেখবো এটাইতো স্বাভাবিক, আমিতো লেসবো না
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: are you sure? seriously!!!
আমিতো জানি .................. থাক ওইদিকে আর না যাই
কথা ঠিক!
কি যেন উল্টাপাল্টা কথা আপনার মনে আসছে। থাক মনের কথা মনেই রাখেন। বেকায়দায় পড়ে যেতে পারি
কি যে বলে!!! আমিতো ফেবুতে একটিভ না।
আপনি একটিভ না থাকলে কি হবে- বিচরনে তো বাধা নেই!
কারণ সেই ধুম্রশলাকার ভেতরে সামান্য গঞ্জিকা মেশাতে হতো, তাহলে আর না বলতো না।
এইখানে আলোচনা হচ্ছে সিগারেট নিয়ে গঞ্জিকা নিয়ে নয়। আপনি আবার মাথাডা আউলায় দিচ্ছেন ক্যান। জানেন তো গাঁজার কথা শুনলে
একজন নারী আমি, পুরুষদের দেখবো এটাইতো স্বাভাবিক, আমিতো লেসবো না
আমি কেমনে কইতাম?? একলা থাকেন ভরা যৌবনে- কে জানে!!!
১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি নিজের উপর ভালো নিয়ন্ত্রণ আছে মনে হয়। তা না হলে এতো হিসাব করে সিগারেট খাওয়ার কথা না। যারা সিগারেট খায় সাধারণত দিনে বেশ কয়েকটা খায় কতক্ষন পর পর এবং প্রতিদিন খায়।
এই চোরাই তেল কারা কেনে বেশী?
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: সেটা খানিকটা ঠিক।
কিছু কিছু ব্যাপারে আমার নিয়ন্ত্রন দেখে আমার অনেক কাছের মানুষ অবাক হয়। এটা একদিনে তো হয়না- অনেক চেষ্টা সাধনা করতে হয়, তবে সফলতা এখনো সামান্যই বলতে হবে। অপেক্ষা ও ধৈর্য এ দুটোই জীবনের সবচাইতে কঠিনতম ব্যাপার!
এই চোরাই তেল আরেক দল চোর কেনে। স্কুটার, ট্রাক, মোটরসাইকেল, স্যালো সহ অনেক সরকারী বেসরকারি খাতেও যায়।
১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজার আজকের পোষ্টে পিচ্চুর কমেন্ট মিস করছি।
অকারণেই গাল ফুলিয়ে আছে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: কেন নির্বোর আবার কি হোল? দেখি নক করে ...
হুমম ... রিপ্লাই নাই
ঝামেলা কি ছিল???
২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ঝামেলা কিছুই না, শুধু একটা ভুল বোঝাবুঝি।
পিচ্চু আমার সাথে রাগ করেছে।
যাই হোক, একটু আগে আমি আমাদের জটিল ভেবে অন্য একটা জটিল নিকে কমেন্ট করে ফেলেছি
জটিল নামে যে একাধিক ব্লগার আছে, তাইতো জানতাম না!
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এইটা আবার কোন জটিল - আমার তো নজরে আসে নাই!!
নির্বো চুপ মেরে আছে- আসলেই মাইন্ড খেয়ে আছে। পোলাপাইন মানুষতো আবেগ বেশি
২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের রকারি কর্তারা কর্মচারীরা রাজার হালে।
অথচ উন্নত দেশে সরকারি কর্তাদের কোন গাড়ি দেওয়া হয় না, তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে আসেন অথবা নিজস্ব গাড়িতে আসেন, বাহিরে মিটিংয়ে গেলে ট্রান্সপোর্ট ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে গাড়ি দেওয়া হয় না। যত বড় সিইও হোক বা যত বড় ডাক্তার হোক বা যত বড় সরকারি কর্তা হোক তাদের কোন প্রাইভেট ড্রাইভার দেখিনি, নিজের গাড়ি নিজেই চালায়। পাম্প সেলফ সার্ভিস। নিজেই তেল ভরে। তাই তেল চুরিও হয় না।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: বৃটিশরা আমাদের এই রাজকীয় ভাব ধরায় দিয়ে নিজেরা পাল্টে গেছে!
একটা সরকারি অফিসার লেভেলের আজীবন বিন্দাস লাইফের গ্যারান্টি এই দেশে- আহা এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি!!!!
২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কোথায় যেন দেখলাম রাস্তা ঢালাই দিছে, লোকজন কোদাল দিয়ে তুলে পাতিলে করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। আমি বলি, সাবাশ। হুদাই তো চোরের খনি বলা হয়নি দেশটাকে। সুযোগ পেলে কে ছাড় দেয়!
১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি এতো দেখি আর এক তেলেসমাতি!! আল্লায় কি এক দেশে জন্ম দিল - কতই না আজব গজব চমৎকার ঘটনা সাক্ষী হচ্ছে আমরা!!!
২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: সিগারেটের ধোয়া আমার একেবারে সহ্য হয় না । কারো সাথে দেখা করতে গেলে যদি আমার সামনে জিজ্ঞেস না করেই সিগারেট ধরায় তাহলে পরে ইহজীবনেও তার সাথে নিজ থেকে আর দেখা করতে যাই না ।
সিগরেট ছাড়ুন দেখি একেবারে । তারপর চলুন একদিন পাহাড়ে ঘুরতে যাই ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ট্রিপিক্যাল বাঙ্গালী ঘরিনীদের মত অবস্থা!! আপনি কি করে জানলেন যে আমি সিগারেট খাই? আমার সাথে সারিদ ঘুরলে হয়তো আপনি বুঝবেনই না যে আমি সিগ্রেট খাই- যদি আমি চাই।
বেঁচে থাকলে যাব কোন একদিন।
২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
সিগারেট নিয়ে জোশ লিখেছেন। হাউ মেনি পেডি, হাউ মেনি রাইস!
ঠিকই বলেছেন - "আপনি তো একবারও জিগাইলেন না আমি মদ গাজা, ইয়াবা, ডাইল, খৈনি, জর্দা, গুল, পান, তামাক খাই কিনা? আমি ভ্যাপ টানি কিনা? আমি আধুনিক আড্ডায় বসে হুক্কা টানি কিনা? "
যতো দোষ, নন্দ ঘোষ ঐ সিগারেট।
সিগ্রেট হৈলো গিয়া বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দেওয়া - জীবনের ফুয়েল ( এই ফুয়েল- তৈল চুরি করা যায় না! ) ।
রাস্তার ধূলাবালি নাকে টানলে, ইয়াবা- ডাইল খাইলে নির্ঘাৎ মরন। সিগ্রেট খাইয়া মরছে কেডা, কবে ?
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: এতক্ষনে মনের মত একটা কথা কইছেন- কই ছিলেন আপনি। আসেন বুকের লগে মিলেন। তবে পাবলিক প্লেসে আর বদ্ধ ঘরে এটা সেবন না করাই উত্তম!
পৃথিবীতে সিগারেটের মত একটা নিরীহ ভেষজের উপরে সবচেয়ে বেশি ব্লেইম গেইম হয়েছে। কত্ত কিছি খেয়ে মানুষ খাড়ার উপ্রে মরতেছে সেইগুলা নিয়ে হুত চ্যাত নাই- সব দোষ সিগ্রেটের!!
২৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:১৪
শার্দূল ২২ বলেছেন: হায়রে সিগারেট!!!!
দুর্ভাগ্যবশত আমার ঠোটের রং একটু আলাদা। ক্লাশে আমাকে সবাই খেপাতো, তারা বলতো আমি নাকি ঠোটে লিপষ্টিক দিয়ে আসি, এমনিতে বয়স কম তার উপর লজ্জা জনক কথা বার্তা নিতে পারতামনা। বিশেষ করে মেয়েরা এই নিয়ে বেশি ফাজলামো করতো। কয়েকজন বন্ধুদের এই সমস্যা শেয়ার করলাম, তারা বলে দোস ইচ্ছে মত সিগারেট টানলে ঠোট কালো রং হয়ে যাবে। নিলাম সিগারেট কে জীবনের সাথে জড়িয়ে,সেই শুরু আর থামেনি আজকে পর্যন্ত। ফলাফল কিছুই হয়নি। এই সিগারেট খাওয়া নিয়ে কত শত ঘটনা দুর্ঘটনা তার হিসেব নেই। তবুও সিগারেট আমাকে ছাড়েনি বা আমি সিগারেটকে ছাড়িনি। জীবনে যদি সিগারেট না আসতো আমি আরো অনেক দুর যেতে পারতাম।
বাংলাদেশ বিমান দেখা হলো এক ক্রুএর সাথে, যাকে আমি কোন এক বিষয়ে অনেক বড় উপকার করেছিলাম, সে আমাকে হঠাৎ দেখে দরদ দেখিয়ে জানতে চাইলে কি করতে পারি আপনার জন্য, বললাম বিড়ি খাবো। বিমান তখন ৩৫ হাজার ফিট উপরে। বেচারার চেহারা দেখে বুঝলাম মোটেও সহজ কিছু চাইনি, তবুও বললো - ওকে আসেন। সেদিনেই প্রথম সিগারেটের আসল স্বাদ পেলাম ।
আমার ছোট মামা সাংঘাতিক বিড়ি খোর, আমাকে বলে শার্দুল তুই কি বিড়ি খাস, আকাশ থেকে পড়ার মত বললাম , আরে না কি বলো, এসব কি খাওয়ার জিনিশ। উনি আমাকে বললো ঐ রুমে আমার সিগারেট প্যাকেট আছে একটা সিগারেট নিয়ে আয়, প্যাকেট আনিসনা এই রুমে, আমি সিগারেট হাতের মুঠোয় করে আনলাম দেখে বললো তুই সিগারেট খাস প্রমাণীত। যারা সিগারেট খায়না তারা আঙ্গুলের ফাঁকে ধরে নিয়ে আসে, আর যারা খায় তারা হাতের মুঠোয় করে আনে। আর কি স্বীকার করলাম, শেষে বললো আমি যতদিন আছি আমার সাথে খাবি । আমি যখন ধরাবো তুইও ধরাবি, এর চেয়ে বেশি ধরাবিনা, সিগারেট বেশি খাওয়া ভালোনা, পরে দেখি ওনার প্রতিদিন লাগে দুই প্যাকেট আমার লাগে এক প্যাকেট। শেষে বললাম এবার মামা তুমি আমাকে ফলো করো, তোমাকে ফলো করলে আমাকে অল্প বয়সে পটল তুলতে হবে।
এক বন্ধু আছে সিগারেট খায় কিন্তু কিনে খায়না, আমাদের কাছ থেকে নিয়ে খায়, জানতে চাইলাম তুই এত নির্লজ্জ কবে হলিরে শালা কিপটা। তার সহজ সরল জাবাব- সিগারেট কিনে খেলে নিকোটিন, আর ফ্রি পেলে প্রোটিন, আমি নিকোটিন খেতে চাইনা। বললাম বেঁচে থাকো বাবা প্রোটিন খেয়ে।
আরেক পন্ডিৎ আমাকে বলে কিরে শার্দুল এখনো সিগারেট ছাড়িসনি? বললাম এটা কি ছাড়া এত সহজ, সে বললে আরে একদম সহজ ,এই জীবনে কতবার সিগারেট ছাড়লাম।
সিগারেট খাচ্ছি লুকিয়ে, তারপরও এক বড় ভাই সামনে চলে আসলো, দিলাম সিগারেট সহ হাত প্যান্টের পকেটে চালান করে, আঙ্গুল থেকে সিগারেট ছুটে গেলো এরপর যা হবার তাই হলো।
সে যাইহোক জীবনে কত কিছু এলো গেলো, শুধু সিগারেটটাই রয়ে গেলো , সিগারেটের সাথে সম্পকের এত টুকু ফাটল ধরেনি।
দেশের মানুষের দুর্নীতি নিয়ে বলতে গেলে এই ব্লগে জায়গা হবেনা। এই জীবনে যে কত কিছু স্বাক্ষী হয়ে আছি, আরেক আড্ডায় বলবো সেসব কোন একদিন।
শুভ কামনা প্রিয় ব্লগার।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: সেদিন অন্য এক ব্লগারের পোস্টে ( তার নাম বলতে গেলে দাঁত খুলে যায়) ছোট্ট করে আপনার এটিএম কাহিনী লিখেছিলেন। আমি পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়ে ছিলাম! আমরা কত অল্পতেই ক্তই না বাগারম্বড় করি আর আপনার কি রোমাঞ্চকর ঘটনাবহুল জীবন অথচ আপনি কখনোই নিজের সন্মন্ধে কিছুই বলেন না!!
প্রিয় ব্লগার, আপনার ব্লগ একেবারেই সাদা পাতা। অনেক অভিজ্ঞতা পরিপূর্ণ আপনার জীবন। এক জীবনে চরম উত্থান পতন ঘাত প্রতিঘাত দেখেছেন। আপনার এইসব গল্প আমরা শুনতে চাই। আশা করি ব্লগের পাতায় নিয়মিত আপনার আত্মজীবনীমূলক লেখা পাব। বানানো গল্প থেকে বাস্তব ঘেষা কাহিনী কতই না মাধুর্যপূর্ণ, রোমাঞ্চকর, প্রেমময়, সপ্নময় ও অপূর্ব - কখনোবা ভয়ঙ্কর নিশ্বংস অবিশ্বাস্য!
প্লিজ লিখুন। ব্লগে আপনাদের মত অভিজ্ঞ মানুষের ব্যতিক্রমী আত্মজীবনীমূলক কিছু লেখা থেকে যাক ইতিহাস হিসেবে।
আপনার প্রতিও শুভকামনা রইল। অপেক্ষায় রইলাম আপনার লেখার ....
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: টাইপো * এটিএম নয় আত্মজীবনমূলক হবে
২৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজধানী ঢাকা শহরের শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল- নামে একখানা হাসপাাল আছে। আমি আমার কোন এক ডাক্তার আত্নীয়ের পরামর্শে সেখানে রোগী হয়ে গেলাম।
অনেক হম্বি তম্বি করে পকেটের ১২ টা বাজিয়ে শ্যামলী গিয়ে হাজির হলাম। প্রথমেই নীচতলা স্মার্ট কার্ড নেয়ার পালা। তার আগে ফরম ফিলাপ করতে হলো। একেই তো রোগী মানুষ। দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়। তবু ঠেলাঠেলি করে ফরম ফিলাপ করে এক খানা স্মার্ট কার্ডের গর্বিত মালিক হয়ে গেলাম। এর পর ৪ তলায় না ৫ তলায় গেলাম সেটা মনে নেই। সেখানে সেই বিখ্যাত কবিরাজ আসবেন। সন্ধ্যা ৬ টায় উনার পদধুলি দেবার কথা বলা থাকলেও উনি চরণ ধুলি দিলেন রাত ৮টার পর । উনি শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো...... নামের এক হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক। তবে উনার সহযোগিতা যা পেলাম তার চেয়ে আমি দরবশে বাবার পানি পরা আর তাবিজ কবল গলায় ঝুলালেও একই উপকার পেতম।
রাত ১০টার পর আমার ডাক পড়লো। গিয়ে দেখি এলাহি কান্ড। এলাহি ভরসা। বিশাল এক রুম। উনি করোনা ভাইরাসের আতংকে মুখে মুখোশ লাগিয়ে আমার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
কিন্তু ঝামেলা হলো উনার আর আমার মাঝে দূরত্ব কম করে হলেও ২৫ ফুট। আমি দুর্বল মানুষ। খুব জোরে কথা বলতে পারি না। উনি আবার করোনার ভয়ে উনার টেবিলে পাশের চেয়ার রেখেছেন ২৫ ফুট দূরে।
সেই যাই হোক। ২ মিনিটেই আর চিকিৎসা শেষ। উনি এক গাদা টেস্ট লিখে দিলেন। আমিও বিশাল তালিকা হাতে পেয়ে মহাখূশী।
তবু শেষবার একটু কথা বলতে চেষ্টা করলামঃ স্যার, আমি একটা কথা বলতে চাই.......
আমার কথা শেষ না হতেই স্যার বললেনঃ বুঝেছি, আপনি টেস্টগুলোতে ডিসকাউন্ট চান। আমি লিখে দিচ্ছি। .....
পরের ঘটনা অতি সংক্ষিপ্ত। আমি ১৫০০ টাকা লস দিয়ে দারুণ আত্নতৃপ্তি পেয়েছি। পুনরায় আর ওই মুখো হইনি।
কবি কি আর সাধে বলেছেনঃ নেড়া বেল তলায় বাব বার যায় না।
বড়ই আচানক ঘটনা।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: ঢাকা শহরের নামী দামী ডাক্তারদের দেখাতে গিয়ে এমন বিপাকে রোগীরা প্রায়শই পড়ে। আমিতো এক ডাক্তারকে দেখাতে গিয়ে রাত আড়াইটা অব্দি বসে ছিলাম!!!
২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আধূনিক- এর শ্লোগান ছিলঃ
বিড়ি খাবি খা
মারা যাবি যা..!
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: কোন জিনিস খাইলে আপনি দীর্ঘজীবি হইবেন সিটা আগে বলেন??
মারা না যাবার কোন খাবার আছে গো ভাই?
২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশে কিছু কিছু জিনিস আছে যা চুরি করলে কোন পাপ হয় ন।
যেমন তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: সরকারে যারা থাকে তাদের কোন পাপ নাই। তাদের চাকর-বাকর রাও পাপ মুক্ত
২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা একটা অসভ্য দেশে বাস করি।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ গুলো ইতর শ্রেনীর। এই দেশের মানুষের কাছে আপনি ভালো কিছু আশা করলে বারবার আশাহত হবেন।
আমি একসময় ভাবতাম লিখে লিখে সমাজের দুষ্টলোকদের লাইনে আনা যাবে। কিন্তু না এরা বড়ই বদ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আমার এক ডজন পরিক্ষিত ভাল বন্ধু আছে। ওদের এনে দেশের সঠিক সেক্টরে বসালে দুর্নীতি দূর হবে গ্যারান্টি!
যোগ্য লোককে যোগ্য জায়গায় বসালেই দুষ্টুরা পালাবার পথ পাবে না।
সমাজ নষ্ট হয় সমাজের মাথায় গণ্ডগোল হলে।
৩০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে জবাবের জবাবে হিন্দিতে বলি- রোলায়গা কেয়া? হাহাহা বানান হয়েছে কিনা কে জানে।
যাইহোক- এটা সত্য যে শেরজা ভাই, বসে থাকিনি এক দন্ড। পাগলা ঘোড়ার মত এদিক সেদিক ছুটেছি, মানুষ বই পুস্তক ইতিহাস পাতিহাস নিয়ে খুব বিজি। আরেক জনের লেখা বা বলা অনুভুতি অভিজ্ঞতা জানতে চায়, আমি এমন না, আমার কথা হলো আমি নিজে দেখবো শুনবো অনূভব করবো। সেই ছোট কাল থেকে আমার অভ্যাস ছিলো বড়দের মাঝে গিয়ে তাদের কথা শোনা। এটার জন্য মানুষের বকা খেয়েছি অনেক, তারা বলতো মুরুব্বিদের মাঝে এসে আমি কি শুনি কেন শুনি, আমার কথা ছিলো এমন, আমার বয়সি মানুষের থেকে আমি কি শিখবো? আমার ফ্রেন্ড সার্কেল গুলো আমার মতই জানে। কিংবা একটু কম বেশি । বুড়ো মানুষের মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতাম আর তাদের অভিজ্ঞতা গিলতাম। যেখানেই যেতাম সেই জায়গা এবং মানুষের ভিতরে ঢুকে যেতাম, আর সুখের কথা হলো কেন জানি মানুষ আমার কাজে কর্মে কথায় এতুটুকু বিরক্ত হয়না।
আমি পোষ্ট দেইনা কারণ আমি ভেবে দেখলাম, যে যেই বিষয় পোষ্ট দিবে সেই বিষয়ের উপর আগ্রহী মানুষ গুলোই সেখানে ভিড় জমাবে এবং আমি সেই বিষয় জানা থাকলে সেখানে বলবো মানুষ পড়বে। ধরুন আমি একটা টপিকস এ একটা পোষ্ট দিলাম যা সবার জন্য না। যেমন আপনি সিগারেট আর দুর্নীতি নিয়ে পোষ্ট দিলেন এখন এখানে, যারা সিরিয়াস কথা বলবে তার মানে তাদের এই বিষয় আগ্রহ আছে জানার বা বলার সুতরাং আমার জানা গুলো আমি বলবো আর যারা বলবে তাদের থেকে জানবো।
শুধু মন্তব্যে থাকার আরেক সুবিধা হলো দায়িত্ব কম, একটা মন্তব্য করে চলে আসলাম যখন ফ্রি হবো আবার তখন যাবো, কোন দায়বদ্ধতা নেই। যেহেতু আমি দিনের সময়টা বেশি বিজি থাকি সেহেতু সবার মন্তব্যের জাবাব সঠিক সময় দিতে পারিনা।
আপনার এখানে বা অন্য পোষ্টে আমাদের দেশের ভেজাল কারবারিদের চিত্র তুলে ধরবো।মজা পাবেন আর অবাক হবেন আমাদের ভেজালের যোগ্যতা কত উপরে।
শুভ কামনা
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: স্যরি ব্যস্ততার জন্য উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল ভাই।
আপনার সাথে অনেক গল্প আর আড্ডা হবে সামনের দিনগলোতে! আপনার অভিজ্ঞতার গল্পগুলো অবশ্যই শুনতে হবে
৩১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
জুন বলেছেন: এমন তেল চুরির আখড়া অনেক জায়গায় আছে। বিশ্বরোডে খিদমাহ হাসপাতালের কাছেও একটা আছে।
একবার নিউমার্কেট এর সামনে পার্ক করা গাড়িতে উঠে বসছি শেরজা। কালো গ্লাস থাকায় বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল না। এমন সময় একটা লোক এসে ড্রাইভার এর জানালায় টোকা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো মোবিল বিক্রি করবে নাকি? ড্রাইভার এমন একটা আলগা ধমক দিল যাতে বুঝতে পারলাম তারা পুর্ব পরিচিত
যাউকগা কিছু আর কইলাম না। কারন সারাক্ষণ ড্রাইভার চৌকিদারি করা তো সম্ভব না
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় কন কি - ওই ব্যাটা মবিল( ইঞ্জিন ওয়েল) ও বেঁচে নাকি!!! তাইলে তো আপনার ইঞ্জিন নাই হয়ে যাবে
বিরাট চুরা ড্রাইভার। তাড়াতড়ি তাড়ান ওরে আর গাড়ি এল এন জি তে কনভার্ট করেন।
৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আপনাদের এত এলোমেলো তর্ক বিতর্কে বেহুদা প্যাচালে আজকে একটা মজার পোস্ট রেডি করে দিতে গিয়েও দিলাম না
সো স্যরি শেরজা
প্লীজ আজকে দিবে, আরলি দিবে যেনো সময় নিয়ে আড্ডা দিতে পারি
আমি জানি ব্লগে অনেকেই হয়তো বিরক্ত হয়ে যায় পোষ্টে এতো গল্পগুজব দেখে।
কিন্তু কি করবো! যে কয়দিন আছি এভাবেই জ্বালাবো।
চলে গেলে হয়তো এই গল্প, হৈ চৈ, মারামারি, রাগারাগি এ সবকিছুই স্মৃতি হয়ে থাকবে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগের দুয়েজনের উপরে একটু বিরক্ত আছি! এমন আড্ডা আলোচনায় কারো কারো গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে।
সারা জীবন দেখে আসলাম কিছু মানুষ আছে নিজেরাও আড্ডা দিতে পারে না আরেকজনের আড্ডাও পছন্দ করে না।এদিক ওদিক
নালিশ -ফালিশ করে। এরা ভীষন অসুখী নিশ্চিত! রাগ ও ক্ষোভের পাশাপাশি এদের জন্য করুনা হয়।
আমি আবার আড্ডা নিয়েই একটা ধারাবাহিকের শুরু করতে চেয়েছিলাম ; এখন দোটানায় আছি ...
৩৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি আবার আড্ডা নিয়েই একটা ধারাবাহিকের শুরু করতে চেয়েছিলাম ; এখন দোটানায় আছি ...
তাহলে আমরাই হারিয়ে যাবো না ?
এটা কী ঠিক হচ্ছে বড় ভাই ?
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আরে হারিয়ে যাওয়ার কথা আসছে কেন এত বারবার।
ব্লগ হচ্ছে জাদুর ভার্চুয়াল ফিল্ড, চাইলেও এখান থেকে হারিয়ে যাওয়া এতো সহজ নয়।
৩৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
বিজন রয় বলেছেন: প্রাগৈতিহাসিক ব্লগার!! বলেন কি? আমি তো মনে করি এইতো সেদিনের।
চেষ্টা করি আসার কিন্ত হয়ে ওঠে না।
এখানে কত রকমের বিচিত্র লেখা পাওয়া যায়।
ব্যাপারটি দারুন।
শুভকামনা রইল।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তো বললেন বিচিত্র লেখা - কতজনের মুখে শুনি একেবারে যা তা, সামুতে কোন আর বৈচিত্র নেই সব ম্যাড়ম্যাড়ে!
আপনার নিয়মিত লেখার অপেক্ষায় আছি
৩৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ব্লগের দুয়েজনের উপরে একটু বিরক্ত আছি! এমন আড্ডা আলোচনায় কারো কারো গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। সারা জীবন দেখে আসলাম কিছু মানুষ আছে নিজেরাও আড্ডা দিতে পারে না আরেকজনের আড্ডাও পছন্দ করে না।এদিক ওদিক
কি হয়েছে শেরজা, কে বা কারা কি বলেছে?
নালিশ -ফালিশ করে।
কে কার সম্পর্কে কা কে নালিশ করেছে?
জানলে ভালো হতো।
কিছুইতো জানি না কোথায় কি হচ্ছে।
আমি আবার আড্ডা নিয়েই একটা ধারাবাহিকের শুরু করতে চেয়েছিলাম ; এখন দোটানায় আছি ...
দোটানার কিছু নেই।
Go with your heart.
আড্ডা নিয়ে ধারাবাহিক দিলে ব্লগ জমে উঠবে।
Don't think of those so called few bloggers.
আমি শিওর ব্লগ মেতে উঠলে ওরাও সবাই পার্টিসিপেট করবে।
আজ ওয়েট করেছিলাম পোষ্টের জন্য, এনিওয়ে ।
৩৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা কি মাইন্ড খেয়েছে?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০২
শেরজা তপন বলেছেন: নাহ কেন?
৩৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
না বলা মানে সিরিয়াসলি মাইন্ড খেয়েছে।
আদারওয়াইজ মজা করে উত্তর দিতো।
সেই যে পোষ্ট সরিয়ে নিলো, সেটার কথা বললাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার শেষের মন্তব্য দেখা হয়নি। মনে হচ্ছিল ব্লগের কেউ এমন আলোচনায় অভ্যাস্ত নয়- হজমে গণ্ডগোল হচ্ছে।
আপনারা কেউ নাই- মজার পোস্টে কেমন কাঠখোট্টা মন্তব্য আসছিল। রাজীবের উপরে মেজাজ খাপ্পা ছিল। হায় উনি আমাকে রুচি শেখান!! আমিও বাইরে যাচ্ছিলাম- আর প্রচুর পোস্ট আসছিল দেখে ভাবলাম ড্রাফটে নেয়াই উত্তম পরে সুযোগ মত খাতির জমায় আলাপ করব।
৩৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি বলেছি এই বিষয়ের পোষ্ট আমায় উৎসর্গ করায় শেরজাকে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে একমাসের জন্য ব্ল্যাক লিস্টেড
সো, নেক্সট এটা নিয়ে পোষ্টে দিলে কিন্তু আর যাই হোক আমাকে উৎসর্গ না
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২
শেরজা তপন বলেছেন: তাহলেতো ফের করতে হয়- দাঁড়ান আর কিছু যোগ করে দিই
৩৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা কথায় কথায় মাইন্ড খায়না এবং সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে।
এটা একটা বিশেষ গুণ। থ্যাংকস শেরজা।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: দেখেন আমি মাঝে মধ্যে যেই টাইপের পোস্ট দেই তা নিয়ে প্রচুর বিরূপ মন্তব্য আসার কথা কিন্তু বেশীরভাগ ব্লগার চুপচাপ থাকে কিছু কয় না। আমি সর্বদা প্রস্তুত থাকি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলার। মাইন্ড খাইলে আমার লস
৪০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
না না প্লীজ, সিরিয়াসলি।
এই বিষয়ের পোষ্টে আমাকে উৎসর্গ না
শেরজা আমার মনের মতো ফান পোষ্ট আর দিতে পারলো না, তাই আজ আমিই পোষ্ট দিলাম
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আরে কই দিচ্ছেন নাকি- দেখা হয় নাই। সেলফোনে আছি তো। আসছি
৪১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: দুটি ভিন্ন বিষয় নিয়ে অল্প কথায় চমৎকার পরিবেশনা।
সিগারেট নিয়ে লেখা কবিতাটা দিয়ে দিলেই পারতেন। ব্লগে আমরা যারা কবিতাপ্রেমী আছি, তারা অকুণ্ঠচিত্তে আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পারতাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: অযোগ্যরা অন্যের ঘাড়ে দোষ দেয়।