নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন জ্যোতিষী-কবির গল্প!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৯


প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে-তে সাপ্তাহিক রাশিফল ‘আপনার রাশি’ দেখেছেন? এই রাশিফল যেই ভদ্রলোক লিখতেন তিনি কিন্তু প্রথাগত কোনো জ্যোতিষী ছিলেন না। নিজের লেখা রাশিফলের শুরুতেই তিনি লিখতেন, ‘নিজের ভাগ্য নিজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় শতকরা ৯০ থেকে ৯৬ ভাগ। বাকিটা ফেট বা নিয়তি।’ রাশিচক্রে ‘নিউমারলজি’ বা ‘সংখ্যা-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করতেন তিনি।
সৃজনশীল মানুষ হিসেবে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর রাশিফল শুধু ভাগ্যগণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। সংগীত, কবিতার লাইন, রম্য—নানা কিছু মিলিয়ে একেকটা রাশির কথায় থাকত সাহিত্যগুণ। ১৯৯৯ সালে ছুটির দিনে ক্রোড়পত্রে ‘আপনার রাশিফল’ প্রকাশের পরই পাঠক এটি লুফে নেন।

সর্বশেষ গত বছরের ১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় ‘দৃষ্টিতে কেমন যাবে ২০২২’ পর্যন্ত তাঁর রাশিফলের জনপ্রিয়তা শুধুই বেড়েছে। কোনো শনিবার ‘আপনার রাশিফল’ প্রকাশিত না হলে অসংখ্য পাঠকের ফোন, ই-মেইল, ফেসবুক পেজের মন্তব্যে একটাই প্রশ্ন, ‘আজ আপনার রাশিফল কেন প্রকাশিত হলো না?’


কেন হল না? কেন না তিনি চলে গেলেন এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে নিঃসীমের পানে। রেখে গেলেন তার অমর গানের বাণী; আমায় ডেকোনা ফেরানো যাবেনা, ফেরারি পাখিরা কুলায় ফেরে না কিংবা এই পুরনো গিটার ফেলে একদিন চলে যাব দূরে বহুদুরে …
কজন জ্যোতিষী যখন গান লেখেন তখন বিষয়টা বেশ আজব লাগে। জানেন তার মৃত্যুর পরে; ক্লিনিকে ছুটে আসা সংগীত পরিচালক ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘আমি জীবনে যে কটা গান গেয়েছি, সবই তাঁর লেখা। তাঁর মৃত্যু অপূরণীয় এক ক্ষতি।’ সংগীতায়োজক এজাজ খান স্বপন বলেন, ‘তিনি অনেক কালজয়ী গান লিখেছেন। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। কখনো পুরস্কারের পেছনে ছোটেননি।’
প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘ভাগ্য জানার উপায়’ বইটি লিখেছেন তিনি। এ ছাড়া ‘ঘুম কিনে খাই’ নামে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে।
এতক্ষনে বুঝতে পেরেছেন কে তিনি? তিনি আমাদের কাওসার আহমেদ চৌধুরী।
১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেটে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর জন্ম। তাঁর বাবা মোসাহেদ চৌধুরী। কাওসার আহমেদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। চারুকলায় পড়াশোনা করলেও সম্পন্ন করেননি। চলচ্চিত্রে নির্মাণে তাঁর আগ্রহ ছিল। পেশাজীবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চাকরি করেছেন। পরিবার পরিকল্পনার ওপর বাংলা ও ইংরেজিতে বিভিন্ন তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি। কিছু বিজ্ঞাপন নির্মাণেও কাজ করেন তিনি। বিটিভিতে একসময়ের প্রচারিত জনপ্রিয় হাসির নাটক ‘ত্রিরত্ন’র চিত্রনাট্য লেখেন তিনি।

জ্যোতিষী নিয়ে লেখার পেছনের গল্পঃ
আমি যে কীভাবে প্রথম আলোতে লিখতে শুরু করলাম, তার পেছনে কিছু মজার ইতিহাস আছে। শুনতে চাইলে বলতে পারি। যাগ্গে, ধরে নিচ্ছি আপনি শুনতে চান। তাহলে এবার বলি, ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম আলো আত্মপ্রকাশ করল। ১৯৯৯-এর কোনো এক সময়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান অর্থাৎ আমাদের মতি ভাই আমাকে ডেকে পাঠালেন। আপনি তো জ্যোতিষ চর্চা করেন; তাহলে আমাদের পত্রিকায় রাশিফল লিখতে শুরু করুন। আমি একটু ভয় পেলাম। মতি ভাই বললেন—কেন, আপত্তি আছে? আমি আমতা আমতা করে বললাম, আপনি তো বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ, আপনি কেন এসব বিশ্বাস করেন? তিনি বললেন, এটা একটা বিশ্বজনীন আগ্রহের বস্তুতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশের পত্রপত্রিকায় নিয়মিত রাশিফল ছাপানো হয় পাঠকের মানসিক চাহিদা পূরণের জন্য। তারপর তিনি একটু বিরক্ত কণ্ঠে বললেন, যা দেখতে পাচ্ছি, আপনি তো একজন একগুঁয়ে ধরনের লোক। আমি নিচু কণ্ঠে বললাম, আপনিও তো কম যান না। মতি ভাই ফাইল থেকে চোখ তুললেন, কী বললেন? আমি বললাম, না, কিছু না। এই তো মোটামুটি আমার রাশিফল লেখা শুরু হয়ে গেল। আমি ভাবলাম, রাশিফল যখন লিখতেই হবে, তাহলে এখানে অঙ্কের কিছু যুক্তি আনা যাক। একটি কিশোরকে নিয়ে সারা রাত জেগে প্রতিটি রাশির ভর বের করলাম। অর্থাৎ, গ্রহ–নক্ষত্রের অবস্থান দিয়ে যে রাশি, তার সঙ্গে পিথাগোরাসের নিউমারলোজি মিশিয়ে নিলাম। এর সঙ্গে মিশ্রণ ঘটালাম আমার সিক্সথ সেন্স বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের।
প্রথম দিকে তেমন ফিডব্যাক আসত না। আস্তে আস্তে লোকে আমার ট্যাং ফং নং বা টেলিফোন নম্বর জোগাড় করে আমাকে ফোন করতে লাগল, বিশেষ করে শনিবার সকালে। প্রথম দিকের একটা ঘটনা মনে পড়ল।
এক মহিলা শনিবার সকালে আমাকে ফোন করে বলতেন, আপনে এই সব কী লেখেন? আমার কিচ্ছু মেলে না, কেডা আপনাকে রাশিফল লেখায়? আমি আপনার সব ফাইজলামি বন্ধ করব। প্রথম আলোতে ফোন করব, যেন তারা আপনার এই সব আবোলতাবোল লেখা ইস্টপ করে। যে শনিবারে মহিলা আমাকে ফোন করতেন না, সেই শনিবারে আমি বুঝতাম তিনি আমার রাশিফলে মোটামুটি সন্তুষ্ট। তবে, আজ এই পনেরো বছর পরও ওই মহিলার কর্কশ কণ্ঠ আমি মিস করি।
একবার এক পাঠক আমাকে টেলিফোনে বললেন, আপনার রাং ফং (রাশিফল) অং বং চং কখনো স্লগ ওভারের ব্যাটিংয়ের মতো ছক্কা হয়ে উড়ে যায়, আবার কখনো উইকেটটা চলে যায় আপনার ধনু রাশির চালক গ্রহ বৃহস্পতির দিকে। এভাবে আর কত দিন চালাবেন? তখনি আমার মনে পড়ল মতি ভাইসহ অন্যদের মুখ। আমার একগাল দাড়িভর্তি মুখটাও মনে পড়ে গেল। আর মনের চক্ষু ক্যামেরার একটা প্যান শটে কল্পনা করলাম, লাখ লাখ পাঠকের বিরক্তি এবং একই সঙ্গে কৌতুকপূর্ণ চেহারা। আরে, এই সব কী লিখে যাচ্ছি আমি! তবু প্রথম আলো এবং ‘ছুটির দিনে’ যে পথে যায়, আমিও সেই পথেই যাই। পেছনে তাকিয়ে দেখি, কবে যেন একে একে পনেরোটি বছর চলে গেছে। আর দেখি, আমি কোনো নিঃস্ব মানুষ নই; যদিও আমার কথা ওয়ান ওয়ে চ্যানেলে অনেকের কাছে পৌঁছে যায় এবং নানাভাবে আমার কাছে ফিরে আসে।
পাঠক, জানিয়ে রাখি, আমার রাশিফলের কোথাও কোনো শাখা নেই। একমাত্র প্রথম আলোর ‘ছুটির দিনে’ই রাং ফং লিখি। অন্য কোথাও নয়, অন্য কোনো মাধ্যমেও নয়। যদি কেউ ভাবেন, আমি অন্যত্র রাশিফল লিখছি, তো সেই ভুল ধারণার দায়িত্ব আমি নেব না। নাই–বা হলো বিজ্ঞান, নাই–বা হলো কাজের কিছু। আমি রাশিশাস্ত্র তথা জ্যোতিষশাস্ত্রের মধ্য দিয়ে এক কিম্ভূত চরিত্রে পরিণত হলাম। ঠিক বললাম কি না জানি না। আমার ছোট্ট একটা বই আছে জ্যোতিষশাস্ত্র শেখার। বইয়ের এক জায়গায় আমি ছোট্ট কয়েক লাইন কবিতায় যুক্তি রেখেছি, কেন আমি কিশোর বয়স থেকে আজ অবধি জ্যোতিষচর্চা ছাড়তে পারলাম না। কবিতাটি এ রকম—
আমি শুধু এক দরিদ্র জ্যোতিষী
ধরে আছি গাঢ় অন্ধকারে
তোমার দক্ষিণ হাত
ভয় কি, তুমি পার হয়ে যাবে এই
তুফানি ঝড়ের রাত।


১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যান্ড ও সঙ্গীতশিল্পীর দারুণ শ্রোতাপ্রিয় কিছু গানের স্রষ্টা এই জনপ্রিয় রাশিফল লেখক। লাকী আখান্দ, এলআরবি, নগরবাউল, ফিডব্যাক, সুবীর নন্দী, সামিনা চৌধুরী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, শুভ্র দেবের কণ্ঠে গাওয়া বেশকিছু গানের গীতিকার তিনি। তবে শৈশব থেকেই কবি হওয়ার অনুরাগ যার, এসব শ্রোতাপ্রিয় গানের অনেক আগে থেকেই গান লিখে গেছেন তিনি। সিলেট বেতারে কাওসার আহমেদের লেখা প্রথম গান প্রচারিত হয়। তবে অনেক গান তারও পূর্বে লিখেছিলেন তিনি সেই গানটি প্রচারিত হওয়ার আগেই। কেবল বয়স কম হওয়ার কারণে সেসব প্রচারিত হতো বেনামে।
এরপর টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত হন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। তবে লাকী আখান্দের সাথে পরিচয় হওয়াটা ছিল তার জন্য বিশেষ এক পর্ব। ১৯৭২ সালের দিকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ঘটে এই সংযোগ, যার প্রতি ঋণী থাকতে পারে অগণিত সঙ্গীতপ্রেমী।
মাঝে একবার অভিনেতা হওয়ার ঝোঁক পেয়ে বসল। পরিচয় হয়েছিল ঋত্বিক ঘটকের সঙ্গে। ঋত্বিক ঘটকের শেষ ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’তে একটি চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তাব করেন কাওসার আহমেদকে। অভিনয়ের সুযোগ পেয়েও করা হয়ে ওঠেনি ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে। তবে এদেশের সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে কাওসার আহমেদ চৌধুরী হয়ে উঠেছিলেন এক অনবদ্য গীতিকার। যার গানের কথামালার কারণে ভক্তরা দীর্ঘ সময় মনে রাখবে এই মানুষটিকে।



এরপর গান লেখার প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায় কাওসার আহমেদের। প্রথম পরিচয়েই লাকী আখান্দ কিছু গান চেয়ে বসলেন তার কাছে। আর গানগুলোতে অসাধারণ সুরারোপ করলেন লাকী আখান্দ। ফলশ্রুতিতে, দুজনের মধ্যে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। জেমসের গাওয়া বিখ্যাত গান ‘লিখতে পারি না কোনো গান আজ তুমি ছাড়া’ লিখেছেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী; আর সুর দিয়েছেন লাকী আখান্দ। শোনা যায়, লাকী আখান্দ ছাড়া অনেক লম্বা সময় আর কাউকে গান দিতেন না তিনি। পরবর্তীতে কাওসার আহমেদের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র এসবের প্রতি ঝুঁকে পড়া মোটেও পছন্দ ছিল না লাকী আখন্দের। লাকীর কথা ছিল, কাওসার আহমেদের জন্মই হয়েছে গান লেখার জন্যে। লাকী আখান্দের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অটুট ছিল তাদের বন্ধুত্ব।
কাওসার আহমেদ কবি, লেখক, গীতিকার, চিত্রশিল্পী এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বয়স যখন ১১ বছর, তখন থেকেই কবিতা আর জ্যোতিশাস্ত্রের প্রতি অনুরাগ তৈরি হয় কাওসার আহমেদ চৌধুরীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ভর্তির পর স্বপ্ন দেখেন চিত্রশিল্পী হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন বেশিদিন স্থির হয়নি।

কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে ‘এই রুপালি গিটার ফেলে’, লাকী আখান্দের কণ্ঠে ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’, কুমার বিশ্বজিতের কণ্ঠে ‘যেখানে সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, সামিনা চৌধুরীর কণ্ঠে ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’ লাকী আকন্দের সুরে নন্দিত শিল্পী নিয়াজ মুহাম্মদ চৌধুরীর কণ্ঠে ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়’ বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্লাসিক্যাল গীতের খেতাব পাওয়া এই গানের কথাতো গেঁথে দিয়েছিলেন কাওসার আহমেদ চৌধুরীই।
ফিডব্যাকের মাকসুদের কণ্ঠে ‘মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত নাফিস কামালের কণ্ঠে ‘এই দেশে এক শহর ছিল’।
কবিবন্ধু নির্মলেন্দু গুণের অনুরোধে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’-এর প্রচ্ছদের নকশা করেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। এরপরে আরো অনেকগুলো বইয়ের প্রচ্ছদে কাজ করেন তিনি। বেশ কিছু টিভি নাটক রচনা ও পরিচালনাও করেছেন এই বহু গুণে গুণান্বিত মানুষ। শ্রীমঙ্গলের এক পাহাড়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর অতর্কীতে হাজারও জোনাকি পরিবেষ্টিত হয়ে ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’র মতো কালজয়ী গানের এই স্রষ্টা সীমান্ত পেরিয়ে বিদায় নিলেন বসন্তে, রাতের নির্জনে।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের ব্যান্ড মিউজিক ও আধুনিক গানে অন্যতম সফল ও কালজয়ী গীতিকার বললে অত্যুক্তি হবে না মোটেই। তার রচিত বহু গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। অতিক্রম করেছে কালের সীমানা।
আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না....’। এটি গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা কালজয়ী একটি গান। গানের কথার মতোই বাস্তবে অনেক ডাকলেও আর কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা যাবে না।

একসময় চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন তিনি। ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএর অর্থায়নে চলচ্চিত্রের ওপর প্রশিক্ষণের জন্যে বিদেশ যান। ভিডিও ফিল্ম তৈরি কীভাবে করতে হয় তা শেখার জন্য তিনি ফিলিপাইনে পাড়ি জমা্ন। বিশ্ববিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা পিটার কিংয়ের সংস্পর্ষে এসে চলচ্চিত্র তৈরির বিভিন্ন কৌশল শিখেছেন*। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সহ অন্য দেশে গিয়েছেন চলচ্চিত্র তৈরির উপর নিজের জ্ঞান বাড়ানোর জন্যে। শিখেছেন নিজের আনন্দের জন্য; এর থেকে অর্থ আয় করার কোন চিন্তা তার ছিল না।
(* সম্ভবত পিটার কিং নয় পিটার এডাম হবে।)


তার এই ঘটনাবহুল জীবনে অনেক বিখ্যাত মানুষের সংস্পর্ষ তিনি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন অসাধারণ সংগীত প্রতিভা, প্রখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম পরিচয় হয় আরেক বিখ্যাত সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খানের সঙ্গে। এই শেখ সাদী খানের বাসাতেই আবার দেখা হয় ছোটবেলায় সিলেটে একই স্কুলে পড়া সুজেয় শ্যামের সঙ্গে। সেই থেকে দীর্ঘদিন একসাথে গানবাজনা করেন। কাওসার আহমেদ লিখতেন, সুজেয় শ্যাম সুর করতেন আর তাদের আরেক বন্ধু মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন সেই সুরে কন্ঠ দিতেন। জমে উঠত গান নিয়ে আড্ডা, আলোচনা আর বিতর্ক। সেই আড্ডা-গানে যোগ দিতেন শিল্পী আসাদুজ্জামান নূর, কবি নির্মলেন্দু গুণসহ খ্যাতনামা আরো অনেকেই। গান লেখার পাশাপাশি চলতে থাকে ছবি আঁকাও।

দেশভাগের সময় বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে হয়েছিল বলে সেই ক্ষোভ আর দুঃখ কখনো ভুলতে পারেননি ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। তাই বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ছিল তার অন্যরকম টান। বাংলাদেশে এলেই কাওসার আহমেদের সাথে ঘুরে বেড়াতেন চেনা অচেনা অলি গলি গ্রাম আর মফঃসস্বল। ঘন্টার পর ঘন্টা চলত তাদের গল্প আর আড্ডা! অসাধারণ প্রতিভাধর, সৃজনশীল এবং জ্ঞানী মানুষটির কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছেন, শিখেছেন তিনি। তার কাছ থেকেই মূলত চিত্রনাট্য লেখার প্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি। একবার নিজের গাড়িতে করে প্রায় সাড়ে ৪০০ মাইল পেরিয়ে কলকাতায় পৌঁছে দিয়ে আসেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। তার একমাত্র কবিতার বই ‘ঘুম কিনে খাই’-তে একটি কবিতা ‘ঋত্বিকের সঙ্গে কলকাতা যাত্রা ১৯৭২’ এ সেই ভ্রমণের কথা উল্লেখ আছে।
চলচ্চিত্রে যুক্ত হতে না পারলেও সাহিত্যাঙ্গন থেকে কখনোই দূরে ছিলেন না তিনি। ছোটবেলা থেকেই কবিতা লিখতেন। তার কবিতা পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার জনপ্রিয় দেশ পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশিত হয়।

***
সুত্রঃ
কালের কন্ঠ
প্রথম আলো/ডেইলি স্টার
রোর মিডিয়া সহ আরো অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

নজসু বলেছেন:


হাজিরা দিয়ে গেলাম।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রাতা - অপেক্ষায় রইলাম লেখা পাঠ শেষে আপনার মন্তব্যের...

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই লিখাটি পড়ে শেষ করবার আগে, জানাই ছিল না এই ভদ্রলোকের প্রথম আলোতে রাশি-ফল বিষয়ক মজার লিখা ছাড়া এত এত গুনের কথা, একেবারেই অজ্ঞ ছিলাম!!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই গুণী মানুষের এত গুণের কথা আসলেই খুব কম মানুষ জানে।

যে কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখেন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের দশটা জনপ্রিয় গানের কথা; তার মধ্যে পাঁচখানা তার থাকবে এটা নিশ্চিত!
অথচ এই মানুষটাকে শুধু জ্যোতিষী হিসেবেই সবাই জেনে গেল তিনি যে কত বড় উঁচু মনের গীতিকার ছিলেন সেটা প্রায় কেউ জানে না এটা আপনার দোষ নয়।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




আমায় ডেকোনা ফেরানো যাবেনা, ফেরারি পাখিরা কুলায় ফেরে না কিংবা এই পুরনো গিটার ফেলে একদিন চলে যাব দূরে বহুদুরে …

কাওসার চৌধুরী আমার অনেক পছন্দের গীতিকার ছিলেন।
তার অসংখ্য গান প্রিয়তে, যার অনেকগুলোই পোষ্টে উল্লেখ হয়েছে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি এখনো জেগে আছেন নাকি ঘুমের অতল রাজ্যে হারিয়ে গেছেন গা?

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:




এটা একটা বিশ্বজনীন আগ্রহের বস্তুতে পরিণত হয়েছে।

সেটাই, বিশ্বাস করিনা তারপরও একটু আগ্রহ হয়, দেখিতো কি লিখেছে।
যদিও কোনদিনও কিছু মিলে না, আবার সব রাশির সাথেই কিছু না কিছু মিল পাওয়া যায়, রাশি বিষয়টাই ভুয়া :)
আই মিন আজ দিন কেমন যাবে এগুলোর কোন ভরসা নেই।

তবে ভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকার বৈশিষ্ট্য এটা অবশ্য মিল পাওয়া যায় মাঝে মাঝে :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমারও একসময় জ্যোতিষী বিদ্যা নিয়ে আগ্রহ ছিল ব্যাপক!
বিশ্বাস করি না করি তবে এইসব পড়ে বেশ মজা পেতাম! যেটা মিলতো সেই রাশির জাতক হিসেবে নিজেকে ধরে নিতাম :)

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ এক পোস্ট লিখেছেন কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো, কোনো এক সময় রাশিফল নামক বিরাট এক পুস্তক কিনেছিলাম, যেটার লেখক ছিলেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। তিনি যে একজন কবি, গীতিকার, ইত্যাদি জানা ছিল না। জানলাম ইউটিউব যুগে এসে, যখন আমি গান সংগ্রহ ও ভিডিও মেকিঙে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সম্ভবত লাকী আখন্দের সাথে তার যোগাযোগ হওয়ার পর থেকেই তার প্রতিভার খবর মানুষ জানতে শুরু করে। তার লেখা বিখ্যাত প্রায় সবগুলো গানই আমার সংগ্রহে আছে।

আমায় ডেকো না - লাকী আখন্দ

যেখানে সীমান্ত তোমার - কুমার বিশ্বজিৎ



কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে - সামিনা চৌধুরী

Rupali Guitar - AB

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে - নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: বরাবরের মতো আপনার মন্তব্যে দারুণ ভাল অনুপ্রাণিত হতাম।
লিরিক্স সুর মিউজিক নিয়ে আপনার ব্যাপক অভিজ্ঞতা- এ বিষয়ে কিছু লিখলে আপনার কাছ থেকে অনেক অনেক কিছু জানা যায়।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: রাশিফল পড়ে মেলাতাম, তেমন কিছু মিলতনা। যে গানগুলো লিখেছেন অসাধারণ, এমন সুন্দর ১০টা গাল লিখতে পারলেই যেন জীবন ধন্য, আর কী চাই

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন এমন দশখানা গান লিখে মরে যাওয়ার মধ্যে শান্তি আছে!

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

স্প্যানকড বলেছেন: যেখানে সীমান্ত তোমার। আমার প্রিয় গানের একটি। ওপারে ভালো থাকুন কায়সার চৌধুরী।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রায় সবগুলোই তার কালজয়ী গান কোনটা ফেলে কোনটা রাখি?
যেখানে সীমান্ত তোমার আমার বিশ্বজিতের গাওয়া সবচেয়ে সেরা গান নিঃসন্দেহে!
লাকি আকন্দ তো ঠিক বলেছিলেন উনার জন্যই হয়েছিল গান লেখার জন্য- অযথাই জ্যোতিষ বিদ্যায় সময় নষ্ট করেছেন

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো এতো ভালো গানের গীতিকার একজন বিখ্যাত জ্যোতিষী ছিলেন এবং জ্যোতিষী হিসাবেও বেশ সুনামের অধিকারী ছিলেন এটা জানাই ছিল না। পুরো পোস্ট পড়িনি। পরে আবার আসবো।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য ফের র করেন না করেন সময় পেলে অবশ্যই পড়বেন ভালো লাগবে তার বর্নাঢ্য জীবনের কথা।

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৮

করুণাধারা বলেছেন: কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সম্পর্কে কিছু কিছু জানা ছিল, আপনার পোস্ট পড়ে বিস্তারিত জানলাম।

প্রথম আলোর ছুটির দিনে তার রাশিচক্রের লেখাটা আমিও পড়তাম নিয়মিত। পড়তে পড়তে আমার মনে পড়তো, আমার পরিচিত একজন সাংবাদিক একবার বলেছিলেন যে পত্রিকা অফিসে রাশিফল লেখা হয় এক আনন্দমুখর পরিবেশে। মনের মাধুরী মিশিয়ে দিয়ে একেকজন একেকটা বাক্য বলেন রাশিফল লেখার জন্য, আর সেটা লেখা হতে থাকে...

আপনি তার আত্মকথনে তার রাশিফলের পাঠকের যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, সেটা পড়ে ঐ সাংবাদিকের বলা কথাটা মনে পড়লো। কারও কথায় দমে না গিয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন রাশিফল লিখেই গেছেন।

এই রাশিফল আর গান ছাড়াও আমি তার কিছু গদ্য পড়েছি, কিন্তু কী পড়েছি কোথায় পড়েছি মনে করতে পারছিনা।

উনি খুব ভালো একজন গীতিকার ছিলেন নিঃসন্দেহে। আপনি যেসব প্রখ্যাত শিল্পীদের উল্লেখ করেছেন, তাঁরা ছাড়াও শুভ্র দেবের কন্ঠেও তাঁর একাধিক গান রয়েছে বলে জানি, যদিও গানের কথা বলতে পারবোনা। শুভ্র দেব সুজয় শ্যামের ভাগ্নে, ঢাকায় মামাবাড়িতেই থাকা হতো।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: মিরপুরের এক সময়ের বিখ্যাত ডাক্তার রুমা (!) তাহলে সুজয় শ্যামের কি হন? শুভ্রদেব তো ওই বাসাতেই থেকে বড় হয়েছে।
আপনার মন্তব্যে তার রাশিফল লেখা নিয়ে দারুণ কিছু জানা হলো।
ধন্যবাদ আন্তরিকতা পূর্ণ চমৎকার মন্তব্যের জন্য ভালো থাকবেন।

১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আজ প্রথম শুনলাম উনার নাম । অথচ উনার কাজের সাথে কত পরিচয় আমাদের।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: অথচ উনার কাজের সাথে কত পরিচয় আমাদের
একদম মনের কথা বলেছেন।এরকম অনেক কাছের মানুষদেরকেই আমরা এক জীবনে চিনে যেতে পারি না।

১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: নিজের ভাগ্য নিজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়।তার এই কথাটাই সবথেকে বেশি ভালো লাগতো।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: একদম সত্যি কথা বলেছেন -তবে জ্যোতিষীদের মুখে এ কথা মানায় না

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫০

নিমচাঁদ বলেছেন: রমজান মাসের এক বিকেলে কাওসার সাহেবের কাছে হাত দেখাইতে গেলাম । কি আর হাত দেখানো , উনি শুরু করলেন মুক্তিযুদ্ধের ক্রাক প্লাটুনের গল্প । গল্পে গল্পে সন্ধ্যা হয়ে গেলো । বললেন ,আমিতো আসলে হাত দেখি কিছু বলিনা , আমি নিউমারোলজির লোক । জন্ম তারিখ বলেন । বললাম ।
উনি কাগজ পত্র কিসব হিসাব নিকাশ করলেন । মাথা উচিয়ে বললেন , নাহ ! আপনার তারিখে ভুল আছে । আমি বিস্মিত ! ৩৫ এর অধিক বয়স পার করে আসছি আমিতো জন্ম তারিখ এটাই জানি ।
উনি বললেন না, ভুল আছে । মাকে জিজ্ঞাসা করেন ।
আম্মাকে ফোন দিলাম , জন্মের সময় উনি বললেন রাত ১২৩০ মিনিট । অথচ আমি আগের দিনের হিসাব করি ।
কাওসার সাহেব সঠিক ছিলেন ।
পরে ১০ মিনিট আমার জীবনের খুব স্মরনীয় মূহুর্ত । উনি এমন সব কথা বললেন , যেটা উনার জানার কথা না ।
যা কারনে গেলাম সেটার কোন সলুশ্যন দিলেন না ।

৫০০ টাকা হাত বাড়িয়ে নিলেন , দরজা পর্যন্ত আগিয়ে দিলেন ।বললেন
৭১ সালে আমার মাথার ১ সেন্টিমিটার পাশ দিয়ে বুলেট উড়ে গেছে , তারপরেও তো বেচে আছি ।
সুতরাং জীবনের কোন ঘটনা নিয়ে ব্যাখ্যা খুজতে যাবেন না ,
জীবন উপভোগ করেন , কারণ আমরা খুব অসহায় প্রাণী ,আমাদের মেধা দেয়া হয়েছে প্রচুর কিন্ত আয়ু দেয়া হয়েছে খুব সীমিত ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে পেয়ে দারুনভাবে আপ্লুত হলাম নিমচাঁদ ভাই!
এমন একন গুণী মানুষের সাথে দারুন কিছু অন্তরঙ্গ মুহুর্তের কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তারঁ শেষ কথাগুলোতো একেবারে বুকে গেথে যায়! জ্যতিষবিদ্যা আমি বিশ্বাস করিনা তারপরে মানুষের জীবনের গোপন মুহুর্তের এমন কিছু কথা বলে যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বাস না করে উপায় থাকেনা। আসলে আমাদের ব্যাখ্যার অতীত অনেক কিছু ঘটছে পৃথিবীতে।
ব্লগের সাথে নিয়মিত থাকুন- আপনাদের মত পুরনো ব্লগারদের ব্লগে পদচারনা দেখলে অনেক ভরসা পাই। ভাল থাকবেন।

১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

প্রামানিক বলেছেন: অনেক অজানা কথা জানা হলো।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ব্লগে ফের নিয়মিত দেখে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও মন্তব্যে- ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আমি ওনার রাশিফল প্রতি সপ্তাহে পড়তাম। স্কুলে থাকতে এটা আমার জন্য অনেক মজার ছিল। তবে উনি এত জনপ্রিয় গান লিখেছেন জানতাম না।

ধন্যবাদ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও একসময় যখন প্রথম আলো নিয়মিত রাখতাম তখন পড়তাম- দারুন মজার লেখা ছিল!
প্রথাগত জ্যোতিষীদের থেকে একেবারে অন্যধারার ছিলেন তিনি। সবকিছু ছাপিয়ে এই গানগুলো তাকে অমর করে রাখবে যে সেটা নিশ্চিত। ভাল থাকবেন

*ব্লগার অপু দ্যা গ্রেট। অপু তানভীরের সাথে আপনাকে গুলিয়ে ফেলতাম আগে। ভেবেছিলাম আপনি তার বিকল্প আইডি :)

১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,




প্রথম আলোতে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর "আপনার রাশি" হঠাৎ হঠাৎই দেখতুম। তার সম্পর্কে ধারণা ঐটুকুই ছিলো। কিন্তু তিনি যে বর্ণাঢ্য সব বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন তা জানা ছিলোনা।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: হারিয়ে গিয়েও কিছু মানুষ হারায় না! অনলাইনের যুগ না থাকলে তিনি হয়তো একদম বিস্মৃত হয়ে যেতেন। ব্লগ ফেসবুক আছে বলেই এমন প্রায় হারিয়ে যাওয়া কীর্তিমানদের কথা আমাদের মর অর্বাচীনেরা বলতে পারে আর সারাবিশ্বের মানুষেরা ভুল-ভাল কিংবা অল্প করে হলেও জানতে পারে।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনাকে। ভাল থাকবেন- সুস্থ থাকুন। আপনার নাতির সাথে তারাদের গল্প জানতে চাই।

১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি কি এই শাস্ত্রে বিশ্বাস করেন?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: এক সময় করতাম এই শাস্ত্রে অনেক আগ্রহও ছিল। এখন আর করি না

১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই গানগুলির গীতিকার ইনি তা আমার জানা ছিলো না!!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: তার মৃত্যুর আগে আমি জানতাম এই গানগুলো কাউসার আহমেদ লিখেছেন কিন্তু ইনিই যে তিনি সেটা জানতাম না!

১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। কালজয়ী সব গানের স্রষ্টা তিনি। বিনম্র শ্রদ্ধা কাওসার চৌধুরী ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই। আপনি নিজে কবি তাই তার কাব্য প্রতিভা আমাদের থেকে ভাল অনুধাবন করবেন।
ভাল থাকবেন।

১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কাউসার আহমেদ চৌধুরী সাহেবের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই- ব্লগে ফের অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন, বেশী ব্যস্ত?

২০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওনার রাশিফল মাঝে মাঝেই পড়তাম। পড়তে ভাললাগতো। সাহিত্যিক ভাবনার বা কাব্যিক কিছু কথা থাকতো মূলত এটাই ছিল পাঠের কারণ। ওনার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ভাললাগলো। ধন্যবাদ ভ্রাতা।+++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনুপ্রাণিত হলাম। নিজে নতুন করে বা ভিন্ন ধর্মী যা জানি তা সবাইকে শেয়ার করতে ভাল লাগে।
আপনার কথা ঠিক- তাছাড়া তার রসবোধ ছিল দারুন, সেটাও পাঠক প্রিয়তার একটা কারন ছিল।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই- ভাল থাকবেন।

২১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

জুন বলেছেন: কাউসার আহমেদ চৌধুরীর বর্নময় জীবন সম্পর্কে জেনেছিলাম প্রথম আলো পত্রিকায়। আর নিয়মিত তার ব্যাতিক্রমধর্মী স্টাইলে লেখা রাশিফল পড়তাম। প্রথম আলো যেদিন ঘোষণা দিল আর রাশিফল ছাপা হবে না তখন জেনেছিলাম এই বহু গুনের অধিকারী ব্যাক্তিটি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।
ভালো লিখেছেন শেরজা
+

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনারা কত কিছু জানার পরেও এই গুণী মানুষদের নিয়ে লেখান না কিছুই :(
আমিও তার রাশিফলের ভক্ত ছিলাম একসময়- কিন্তু দুর্ভাগ্য যেতার মৃত্যুর আগে জানতে পারিনি গীতিকার কাউসার আহমেদ আর রাশিফলের কাউসার আহমেদ একই মানুষ! দুর্ভাগ্য
অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

*ইদানিং লেখালেখি কমিয়ে দিয়েছেন কিন্তু

২২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬

Barry Keith বলেছেন: একটি অদ্ভুত গল্পে অদ্ভুত ঘটনা, তবে এটি একটি রহস্য উপন্যাস নয় drift hunters

২৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পছন্দ হয়েছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্য ও লেখা পাঠের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তাঁর রাশিফল পড়তে খুব মজা লাগতো। মনে হতো যেন গল্প করছেন। তাঁর গীতিকার পরিচয়টা জানতাম। তাকে নিয়ে এত বিস্তারিত লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: কোন ফাঁকে এসে মন্তব্য করে চলে যান টেরও পাই না!
আমি তার রাশিফল পড়ে মজা পেলেও জানতাম তিনি গীতিকার- এবং এমন বিখ্যাত সব গান একজন জ্যোতিষী লিখতে পারেন তা ভাবনায় আসে নি।
ফের ব্লগে সক্রিয় হবেন আশা করি।

২৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

মোঃ জাহিদুল ইসলাম (মোল্লা) বলেছেন: আপনি কি আপনার লিখিত বই পাবলিশ করতে চান?

যদি কোন একটি বিষয়ের উপর আপনার বিশেষ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে।
যেমন, গল্প, উপন্যাস,প্রবন্ধ, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, মার্কেটিং, ইংলিশ, মানি ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি ।
আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে একটি বই লিখুন/লিখেছেন। তাহলে আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট এ আপনার বইটি পাবলিশ করতে পারেন।
আমরা তৈরি করেছি বই পাবলিশ করার সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে থাকবে আপনার লেখা বই।

বিঃ দ্রঃ
১. বই পাবলিশ করার জন্য কোন প্রকার টাকা দেয়ার প্রয়োজন নেই।
২. শুধুমাত্র প্রকৃত লেখকগন যোগাযোগ করবেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ
ইনফো টেক কম্পিউটার ইনন্সিটিউট
অফিস মহল্লা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, বরিশাল
মোবা- 01721-885144
Only WhatsApp 01304637535
ই-মেইল- [email protected]
ওয়েবসাইট- https://techwidely.com/shop/

২৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: মিরপুরের এক সময়ের বিখ্যাত ডাক্তার রুমা (!) তাহলে সুজয় শ্যামের কি হন?

আশ্চর্যবোধক চিহ্নটা বিখ্যাতর পরে বসালে ঠিক হতো মনে হয়। B-)

ডাক্তার রুমা সুজয় শ্যামের স্ত্রী ছিলেন। আগে নাম ছিল রুমা ঘোষ, খৃষ্টান।‌ সুজয় শ্যামকে পালিয়ে বিয়ে করেন। কী করে এসব জানলাম? উনার ফুফু ছিলেন আমার নানির বান্ধবী।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: রুমার পরে যে ঘোষ আছে সেটা মনে ছিল না। আমার আপারা এক সময়ে রুমা ঘোষের কাছে নিয়মিত যেতেন। তখন শুভ্র দেব ও এখানে ছিল।
যাক অনেক কিছু জানলাম আপনার কাছ থেকে। সুজেয় শ্যাম তো অর্থবান লোক ছিলেন তবে অসুস্থ হবার পরে কেন তার সরকারের সাহায্য নেবার প্রয়োজন হল?

২৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাইস্কুল বা কলেজে যখন পড়ি তখন ইত্তেফাকে মহাজাতকের প্রতিদিনের রাশিফল মজা করে পড়তাম। রোমান্স শুভ, যাত্রা শুভ ইত্যাদি। আমি নিজে সিংহ রাশির জাতক। পরে এই মহাজাতকের নাম জানলাম শহীদ আল বুখারি। বাংলাদেশে কোয়ান্টাম মেথডের প্রতিষ্ঠাতা। এই মহাজাতক নাকি প্রতারক। সত্যি কি না জানি না। তার কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েশন কোর্স আমি ১৯৯৬ সালে করেছি। প্রথম দিকের ব্যাচ। মেডিটেশনের অনেক মেথড আছে। সিলভা মেথড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটা মেথড এবং প্রথম দিকের একটা বৈজ্ঞানিক দাবী করা মেথড। কোয়ান্টাম মেথড তৈরি করা হয়েছে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে। এটার মধ্যে হিন্দু এবং ইসলাম ধর্মের কিছু ব্যাপার মিশ্রিত করা হয়েছে। প্রথম আলোতে রাশিফল পড়তাম না কারণ তত দিনে রাশিফল নিয়ে আগ্রহ কমে গেছে। তবে আপনার এই জ্যোতিষ কবির ছবিটা মনে পড়ছে, কারণ প্রথম আলো এক সময় নিয়মিত রাখা হতো। এছাড়া ব্যান্ডের অনেক গানে গীতিকার হিসাবে ওনার নাম এখন মনে পড়ছে। এক অর্থে ওনার মত সফল গীতিকার বাংলাদেশে কম আছে। যে গানগুলির উল্লেখ করেছেন সেগুলি আমার খুব প্রিয়। প্রিয় হওয়াই স্বাভাবিক কারণ ঐ যুগের বিখ্যাত গান ওগুলো। আসলে উনি শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় সফল ছিলেন। এটা আপনার লেখা থেকে জানলাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার বুকের মধ্যে কত কথা আর গল্প জমে আছে!
শহীদ আল বুখারী যে কোয়ান্টাম মেথডের প্রতিষ্ঠাতা সেটা আমার জানা ছিল না- আমার তো ওদের এই মেডিটেশন এর ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগে। ওদের কোরআন শরীফের অনুবাদটাও আমার কাছে অনেক আধুনিক মনে হয়েছে।
মন্তব্যে অনেক কিছু জানলাম আপনার কাছ থেকে অনেক ধন্যবাদ দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত ভালো থাকবেন।

২৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৬

সোহানী বলেছেন: উনার মৃত্যুর পর জেনেছি যে উনিই সেই গুনী গীতকার ছিলেন। উনার রাশি নিয়ে হিউমারাস লিখাগুলো অসাধারন। আগে প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকতাম উনার লিখা পড়ার জন্য।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকেই দেখছি তার জোত্যিষ শাস্ত্রের ভক্ত ছিল। এমন একজন গুনী গীতিকার তিনি সেটা আমি জেনেছি মৃত্যুর পরে- অথচ তার রচিত গান শুনে কত বিনিদ্র রাত যাপন করেছি!! এমন মজার কথার জোত্যিষি গীতিকার মেনে নিরবেই হারিয়ে গেলেন :(

২৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: এরপরে দেখা যাবে "পোস্টে অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্যকারী" তালিকায় আমার নাম এক নম্বরে উঠে গেছে। :(

কিন্তু সুজেয় শ্যাম তো অর্থবান লোক ছিলেন তবে অসুস্থ হবার পরে কেন তার সরকারের সাহায্য নেবার প্রয়োজন হল? এই প্রশ্নের উত্তর আমিও খুঁজছি তাই ফার্স্ট হয়ে যাবার রিস্ক নিয়েও এ সম্পর্কে লিখছি।‌

এদেশের সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতি জগতের কেউ অসুস্থ হলেই সাথে সাথে চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে বসেন, তার যতই টাকা পয়সা থাকুক না কেন। এর কোন অন্যথা দেখিনি। আপনি দেখেছেন? এদেশের লাখ লাখ মানুষ মারা যায় অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে, অথচ এনাদের চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়। সৈয়দ শামসুল হকের গুলশানে আলিশান বাড়ি, বিত্ত থাকা সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা দেয়া হয়েছিল। সুজয় শ্যাম হয়তো ভেবেছিলেন, টাকা পাওয়া তার অধিকার!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

শেরজা তপন বলেছেন: একুশে পদক পাবার পরেও তিনি খোলা গলায় আফসোস করতেন কেন স্বাধীনতা পদক তাকে দেয়া হল না!!!
এই চেয়ে নেয়া স্বভাবের মানুষ যতই গুনী হোন তাদের আমি একদম সাধারণের কাতারে ফেলব।
অসুস্থ হলে সব কবি শিল্পিরাই অসহায় বিত্তহীন হয়ে পড়ে। সরকারের সাহায্য ছাড়া তাদের যেন চিকিৎসাই হয় না। আশ্চর্য! সবাই কাঙ্গালিনী সুফিয়া হয়ে যায় :)

৩০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




করুণাধারা বলেছেন: এরপরে দেখা যাবে "পোস্টে অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্যকারী" তালিকায় আমার নাম এক নম্বরে উঠে গেছে। :(


ধারাপু, প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যের মধ্যে দিয়েই আমরা একে অপরকে জানবো, বিভিন্ন জানা অজানা বিষয় শেয়ার হবে, কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।

আমি যেমন শেরজা আর ধারাপুর কিছু কমেন্ট থেকে অজানা ইনফো জানতে পারলাম।

so, you're in the right track. keep it up.


১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আর আপনার কথা আর নাই-ই কইলাম! কত কিছু নিত্য শিখছি আর জানছি আপনার কাছ থেকে।

ব্লগে এমন ইন্টার‍্যাকশনের দরকার ভীষন। অনেকেই সেটা বোঝে না। অনেকের ভাব যে এইখানে আমরা কোন বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য জড়ো হয়েছি।।

৩১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

নীলসাধু বলেছেন: পোষ্টে আবার আসছি।
খুব ভালো করেছেন। লেখাটির দরকার ছিল।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল সাধু ভাই। ব্লগে এনাকে নিয়ে কখনো কেউ কিছু লেখেনি- তাই ভাবলাম কিছু লিখি, তার স্মৃতি ব্লগে থাকুক।
ফের অপেক্ষায় রইলাম আপনার ফেরার...

৩২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রোকসানা লেইস বলেছেন: উনি যেদিন মারা গেলেন সেদিন জানলাম প্রিয় সব বিখ্যাত গানের গীতিকার এবং রাশিফল লেখা ভদ্রলোক এক ব্যাক্তি।
খুব বৈচিত্রময় মনে হলো উনার জীবন । নানা রকম বিষয়ে আগ্রহ খুব কম মানুষের থাকে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: শুধু বৈচিত্র নয় জ্যোতিষী ও কাব্য চর্চা একেবারেই ব্যতিক্রমী বলে মনে হয়- এরপর চলচ্চিত্রের উপর যে আগ্রহ ও সাধনা ছিল সেটা শুধুই সখের বশে। উনি আসলে অর্থ কোন খাতে উপার্জন করতেন সেটা ভাবনার বিষয়।

৩৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




অনেকের ভাব যে এইখানে আমরা কোন বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্য জড়ো হয়েছি।।


হা হা হা

সামু একটা চার্চ, সেখানে আমরা ফিউনেরালে মিলিত হয়েছি :)

shh!!! Be quiet.


১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: বহু বছর ধরে গল্প শুনে আসছি মাওয়া ঘাটে ইলিশ খাওয়া- কালকে নিজেই গেলাম সত্যিকারে ইলিশ খাবার ফাঁকে আসল হুজুগের কারনটা জানতে। অভিজ্ঞতা খারাপ নয়- এবার দেশে আসলে যাবেন একবার। 'সখের হাড়ি' নামক রেস্তোরার ইলিশ খাবার অভিজ্ঞতাটা ব্যতিক্রমী।
হ্যাঁ ওই বিষয় নিয়ে আলাপ ঘুরিয়ে দিলাম :)

৩৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

নীলসাধু বলেছেন: কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা যত গান বিখ্যাত ও কালজয়ী হয়েছে আর কোন গীতিকারকের এমন সৌভাগ্য হবে বলে আমার মনে হয় না।

ভাবা যায় নিচের তালিকার সবগুলো গান এই একজন মানূষের লেখা!!

‘এই রূপালি গিটার ফেলে, একদিন চলে যাবো দূরে বহুদূরে’।

‘যেখানে সীমান্ত তোমার, সেখানে বসন্ত আমার’।

‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, মনে পড়ল তোমায়’।

‘আমায় ডেকো না, ফেরানো যাবে না’।

‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’।

‘মৌসুমি, কারে ভালোবাসো তুমি’।

‘এই নীল মণিহার’।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই গানগুলো বেঁচে রয়েছে, থাকবে আরো বহু বছর।
প্রতিভাবান একজন মানুষ ছিলেন তিনি। সাদা কালো ঢাকার মানুষ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: এর একটা গান লিখেই তিনি অমর হয়ে থাকতেন। আমি ভাবি এমন গান লেখা জন্য বাসতব জীবনের নানামুখী অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন। একজন কবি চাইলেই এমন কথা তার হৃদয় ফুঁড়ে বের হবার কথা নয়।
যে কাউকে ১০ খানা প্রিয় বাংলা গানের কথা বললে তার দু চারখানা থাকবেই।

৩৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:




নীল,

এই নীল মনিহার গানটার গীতিকার হচ্ছে প্রয়াত এস এম হেদায়েত।

এটা কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা না।

বাকিগুলো ঠিক আছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও ভাবছিলাম -ভুলটা আমার হল কি না!!!
ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.