নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব লেখকই অবশেষে খারাপ!!!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩২


(পুরো লেখার কোন রেফারেন্স নাই। আঁতকা মস্তিস্কের জমানো ডাটা থেকে নেয়া – তথ্যগত ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। কিন্তু মুল ম্যাসেজ পরিষ্কার।)
-দোস্ত ‘মুহিত রায়হানের’ লেখা পড়েছিস? হুমায়ুন আহমেদের পরে এত জনপ্রিয় লেখক আর আসেনি- এই লেখকও পাঠকের পালস্ ধরতে পেরেছে। যা লেখে তাই হিট।
-আরে রাখ ব্যাটা পড়ছি। আবজাব লেখা-আর পাঠকও শালার গরু ছাগল, ঘাস ,কাঠাল পাতা পাইলেই চিবায়।
-যাই কস না ক্যান দোস্ত তাঁর ‘একলব্য’ উপন্যাস কিন্তু দুর্দান্ত! কি গল্পের গাঁথুনি আর ধারালো স্যাটায়ার। এমন ফিকশান এ যুগে বিরল।
তা ঠিক 'একলব্য' উপন্যাস ভাল লিখছে কিন্তু ব্যাটার চরিত্রতো খারাপ!
-তুই ক্যামনে জানলি?
-আমার এক বন্ধু উত্তরা ক্লাবে দেখছে 'মাল খায়া কচি কচি ছেমড়িগো সাথে ঢলাঢলি করতেছে'!!!
***
-পৃথিবীর অন্যতম সেরা সাহিত্যিকের অন্যতম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কোন সন্দেহ আছে?
-তা ঠিক কিন্তু ব্যাটায়তো বৌদির সাথে পিরিত করত। ছিঃ কতবড় লুচ্চা দেখছিস। শোনা যায় বৌদিরে নাকি প্রেগ্নেন্ট করে ফেলছিল। এই শরমে নাকি বৌদি সুইসাইড করছিল। এর জন্যই উনার বাপে ব্যাপারটা ধামা চাপা দেয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছিল। লাশ পোস্ট মর্টেম করতে দেয় নাই। সুইসাইড নোট ও নাকি পোড়ায় ফেলছিল। এইটাতো শুরু সারা জিন্দেগীতে কয় হাজার প্রেম করছে আল্লা মালুম!

-তাহলে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল… আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে ও বলল, মামা হের কথা আর কইস না- সে তো সিফিলিস বাধায় ফেলছে। সেই সিফ্লিস মাথায় এট্যাক করছিল। খুব বাজে টাইপের সিফিলিস ছিল।

-তোরে তো হুমায়ুন আহমেদরেও পছন্দ হয় না।
-হবে ক্যাম্নে দেখ না এত বিখ্যাত একজন লেখক সম্মানিত ব্যাক্তি সে কিনা বুইড়া বয়সে মাইয়ার বয়সী একটা পিচ্চিরে বিয়া করল। তুই একটা কাম করলি? তোর পুলাপান তো আছেই- যারা তোরে ভক্ত তারাই লজ্জায় মুখ দেখাইতে পারে না। আর ওই গুলতেকিনরে নিয়া কত পিরিতের কথা লিখলি আগে। সব তো ফুটুস!! সবাই বুঝল তুমি মামু ভণ্ড!
**
-শরত বাবুতো মাগীপাড়ায় থাকত দিন রাইত।

আমি মরিয়া হয়ে বললাম; গুণী লেখক একটু শ্রদ্ধা-ভক্তি কইরা কথা ক' মাগী পাড়া এইটা কেমন কথা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর?
-হুম্ম ভাতিজা তুমি এখনো বাচ্চা আছ। সতিদাহ প্রথার বিরোধিতা, বিধবা বিয়া নিয়ে খুব ডায়লগবাজি করছে কিন্তু নিজের পুলার বউ ঘরের মধ্যে কিভাবে অত্যাচারিত হইত তাঁর খবর রাখ। বউ এর ভয়ে তিনি মুখে কুলুপ আঁটছিলেন।
-সুনীল শির্ষেন্দু সমরেশ।
সুনীলতো তাঁর বইতেই সব লিখে গেছে রাখ ঢাক কিচ্ছু করে নাই। এমনকি এমেরিকান কবি গিলসবার্গের সাথে নাকি সমকামও করছে। শির্ষেন্দু সমরেশের কিছু বইতো চটিও ফেল। মানুষ নিজে লুচ্চা না হইলে লুচ্চামীর গল্প লিখতে পারে না।
তুই দেখ দোস্ত, তসলিমার এক্স জামাই কি নাম যেন তাঁর?
রুদ্র…
রুদ্র মোহাম্মদ শহিদ্দুল্লাহ ওই ব্যাটা মরল সিফিলিসে। হাসান হাফিজ হাফ লেডিস, স্বাধীনতাত্তোর শামসুর রহমান থেকে শুরু করে নির্মলেন্দু গুন পর্যন্ত একটারে দেখা ছ্যাচারামি লুচ্চামি করে নাই?

-মাইকেলও কি লুচ্চা আছিল?
লুচ্চা না থাক মাতাল ছিল তো। মদ খাইতে খাইতে লিভার পচায় ফেলছিল।
-কিন্তু দোস্ত, এক পাঠকে লিখছিল মুজতবা আলী্রে, শিল্প সাহিত্য করলে নাকি একটু আধটু পান করতে হয়। এই জন্যই মাইকেলের মত বড় বড় সাহিত্যিক মদ পান করতে।
আলী সাহেব বলেছিলেন, আগে তাঁর মত একটা ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ লিখুন তাঁর পরে মদ খেয়ে লিভার পচিয়ে ফেলুন সমস্যা নেই।
-হাঃ হাঃ মুজতবা আলীর কোটেশান ঝাড়লি।
সে নাকি লুচ্চার গুরুকুল। শবনম বাদে তার নারী নিয়ে আর কোন আলোচনা নাই- কিন্তু শুনছি নাকি তাঁর হাজার হাজার সুন্দরী ফ্যান ছিল। তাঁর কতগুলার সাথে কেচ্ছা কাহিনী করছে কে জানে- এই ব্যাপারে জিগাইলে অন্য লেখকেরা মুখ টিপে হাসত। আর বিদেশে গিয়ে কি করছে তাঁর হদিস কেউ জানে না। ওদিকে জীবনটাই তো বরবাদ করল মদ খাইয়া। এমন পণ্ডিত একজন মানুষ কত তাঁর জানাশুনা উল্টাপালা জিনিস খাইয়া অকালে জীবনটা শেষ করে দিল- আর বঞ্চিত হইল বাংলা সাহিত্য আর পাঠক।
-তিনি মাইকেল মদ না খাইলে কি এতদিন বেঁচে থাকত বলে তোর মনে হয়?
-আমারে কি তোর ভুদাই মনে হয়? আর দশ বিশ বছরতো বাঁচত।
-সুকান্ত কি আকাম কুকাম করত- সে তো পচিশের আগেই অক্কা পেল?
-তাঁর তো যক্ষা হইছিল। অসুখ বিসুখতো ঈশ্বরের হাতে। তাছাড়া নকশাল কম্যুনিস্ট পুলাপান গাঞ্জা বিড়ি মুড়ির মত খাইত।
-তা বেশ তবে মাইকেল, মুজতবা এরাতো দশ বিশ বছর আগে অসুখে মারা যাইতে পারত? ধর যে সুকুমার রায়ের কথা- তারও তো অমিত সম্ভাবনা ছিল- শুধু বাংলা নয় বিশ্ব সাহিত্যে এমন প্রতিভা বিরল- সেও তো কোন আকাম কুকাম না করে নাই, তাঁরপরেও অল্প বয়সে মারা গেলেন- দোষ কার?
-তুমি দোস্তো এখনো দুধের শিশু। জমিদারের পুলা তারপরে শিক্ষিত সুদর্শন, বাপ দাদা সব বিখ্যাত মানুষ এর কোন চিপা চাপা দিয়া কোন কাম করে খবর পাইবা? ওর ছেলে সত্যজিতের দেখ না বুড়া বয়সে ফরেনার একটার সাথে কি দহরম মহরম ছিল।
-শেলি, কিটস এরা?
-অফ যা, বিদেশী রাইটারদের কথা আর বলিস না। ওদের জন্ম থেকেই লুচ্চামি চলে। ওরা অল্প বয়সে বেশী পেয়ে পরে হোমো হয়ে যায়।
-বুঝলাম দোস্ত, সব লেখক সাহিত্যিক লুচ্চা মাতাল গাঞ্জাখোর। কিন্তু তুমিতো একদম সৎ পুরুষ তুমি এই বয়স পর্যন্ত কি বাল ছিড়লা?
-হাঃ আমার প্রতিভা দোস্ত অন্য লেভেলের। এইসব আলগা ইমোশোনের কবিতা সাহিত্য আমারে দিয়া হয় না।
-ঠিক আছে, একজন কবি বা সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম কি দিয়া বিচার করবি, তাঁর লেখা নাকি চরিত্র দিয়া?
-দুইটাই লাগে। কবি সাহিত্যিকেরা লুচ্চামি করলে তাদের ভক্তরা কি ম্যাসেজ পাবে? লুচ্চাদের ভক্তকুল লুচ্চাই হবে। সমাজ রসাতলে যাবে।
-তাঁর মানে কি যারা রবি ঠাকুরের পছন্দ করে সবাই ভাবীর সাথে প্রেম করে? যদি হয়ও –রবি ঠাকুর কি ইতিহাসের প্রথম মানুষ যে, বৌদির সাথে প্রেম করছিল? আর তুই ক্যামনে জানলি যে, তাঁর বৌদি এ কারনে আত্মহত্যা করছিল।
-আরে কি কস এমনিতেই বিখ্যাত পরিবার তাঁর উপরে জমিদার অন্দরের খবর এমনিতেই বাতাসে ভাইস্যা বেড়ায়?
-ভারত উপমহাদেশে উনবিংশ শতাব্দীতে ওই বয়েসী কত গৃহিনী আত্মহত্যা করেছে তোর কাছে ডাটা আছে?
-সেইটা ক্যামনে থাকে- পাগলের মত কথা কস ক্যান?
-রবীন্দ্রনাথ তো তখন বিখ্যাত হয় নাই- তাঁর এত হাড়ির খবর লোক পাইল ক্যামনে?
***
-কবি সাহিত্যিকেরা কেন বিখ্যাত হয় বল দেখি?
-ভাল লেখা পাঠক প্রিয়তা পায়।
-ভাল লেখা বলতে কি বুঝিস তুই? ঠিক আছে তোর ভাল লেভেলের ক্যাটাগরি বুজছি, যার নাম জানস মাগার পার্সোনাল লাইফ সন্মন্ধে কিস্যু জানস না! বদরুদ্দিন উমরের একটা বই এর নাম বল দেখি?
-উম্মম- এই শালা মনে আসতেছে মুখে আসতেছে না। কি নাম যেন- দাড়া দাড়া, ধ্যাত শালা ব্রেনডা গ্যাছে!!
-এত ভাল লেখকের একটা বই এর নাম মনে করতে পারছিস না?
-তিনি ভাল লেখক সেটাতে সন্দেহ নাই কিন্তু মহা আঁতেল।
-আঁতেল সেইটাও একটা চারিত্রিক বদগুণ!!!! আজব এই দুনিয়া ...





মন্তব্য ৯০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: লেখকের ব্যক্তি স্বত্তা আর লেখক স্বত্তা একেবারে আলাদা, এই সহজ কথা আমাদের দেশের মানুষ বুঝে না। হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তি জীবন দিয়ে আমি কী করবো? আমার দরকার তার লেখা দিয়ে। তার লেখা আমার পছন্দ হলেই হল। আমি তো তার ব্যক্তি জীবন দিয়ে তার দিকে আকৃষ্ট হই নি।
আবার ধরেন একজন লেখক ব্যক্তি জীবনে একেবারে কলঙ্কমুক্ত অথচ তার লেখা আমার বিন্দু মাত্র ভাল লাগে না, সেই লেখা দিয়েই বা আমার কাজ কী?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: কথা তো এইটাই। পৃথিবীতে নিখুততম মানুষ একজনও নেই। প্রায় প্রত্যেকটা মানুষ ব্যক্তিমানুষের সাথে তাঁর লেখকস্বত্তাকে গুলিয়ে ফেলে সেটা একেবারেই শিশুসুলভ মানসিকতা কিছুক্ষেত্রে অসুস্থ মানসিকতারও বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ এসব বলেই মজা পায়।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লেখকের লেখা পছন্দ করি। তার চরিত্র খুঁজিনি কখনো। দুইন্যাইত লুইচ্চার অভাব নাই

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: সবার মধ্যেই এভিল বাস করে -ধর্ম পরিবেশ শিক্ষা ব্যক্তিত্ত্ব সহ বিবিধ কারনে সেটাকে মানুষ দমিয়ে রাকতে পারে। তারপরেও হাজার বছরের তপস্যা ভেঙ্গে যায় কোন এক উর্বশীর জন্য! কোন এক বিশেষ মুহুর্তে যে কোন মানুষ আমুল পাল্টে যেতে পারে। একেবারে ভদ্র সুবোধ মানুষও লুচ্চা হয়ে যেতে পারে!

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:



অনেক লেখকদের ব্যক্তিজীবন তাদের লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে। তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা সাহিত্যকেও প্রভাবিত করেছে। সেটা অস্বীকার করা যায় না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: তাতো অবশ্যই -কিন্তু তবুও মানুষ নিজে যা সেটা কখনো সম্পুর্নভাবে প্রকাশ করে না করতে পারে না, করার দরকার ও নেই। কেউ যদি না চায় তবে খুঁচিয়ে বের করার প্রয়োজনও নেই।
তোমার মনে বসত করে কয়জনা ও মন জান না- এই একেক মনের একেক ভাবনা। এক ভাবনার সাথে আরেক ভাবনা মেলে না। মানুষ নিজের মনের সাথেই নিয়ত নিজে যুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মানুষ নিজেকে বশ করতে পারে না। একদম চোস্ত পালিশ করা জীবন মুহুর্তের একটা ভুলে ওলট-পালট হয়ে যায়। যিনি বা যে অন্যকে নিয়ে বলে সেও হাজারটা ভুল করে বেমালুম ভুলে যায়!
দিনশেষে আমরা সবাই ভণ্ড!

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০

মিরোরডডল বলেছেন:




সকল মানুষের মাঝেই কম বেশি ভেজাল আছে।
ওরা কবি সাহিত্যিক, সৃষ্টিশীল সৃজনশীল কাজে মগ্ন।
যত পাগলামি তত লেখার রসদ আসে, ওদেরকে কাউন্ট করলে হবে! :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: ভেজাল বাদ দেন তা আপনার ভেতরে কি কি পাগলামী আছে যদি একটু কইতেন ? :)

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আবারও প্রমাণিত এই পৃথিবীতে নিঁখুত কেউই নাই...
তবে আমি তাঁদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে, তাঁদের উপন্যাসকে কখনও এক করিনি। তবে হুমায়ূন আহমেদ শাওনকে বিয়ে করার পর, উনার প্রত্যেকটা লেখাকেই কল্পনায় লেখা মনে করেছি। আগে যেরকম সিরিয়াস ভাবে পড়তাম, কল্পনা করতাম ওভাবে আর মন থেকে আসেনি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: উঁনার বিয়ের পরে প্রথম যখন সামনাসামনি আমি গুলতেকিনকে দেখলাম তখন খুব আপসেট হয়েছিলাম- বিশেষ করে নুহাশের জন্য!
তবে এটা সাময়িক। গুলতেকিনতো ফের করেছে তাই না? তাঁর বিয়ে নিয়েতো কেউ কিছু বলছে না- তিনিতো বেশ সুখেই আছেন। সবাই বলছে তিনি পরে করেছেন, বাধ্য হয়েছেন- কেন তিনি এমন একজন মানুষের জন্য নিজের জীবন নষ্ট করবেন এইসব!
ধরে নিই তাঁর ভাল্বাসার কোন ঘাটতি ছিল না হু.আহমেদের প্রতি তবুও তিনি আনন্দের সাথে সঙ্গম করছেন অন্য পুরুষের সাথে। তাঁর যে অন্য পুরুষের প্রতি আকর্ষন ছিল না সেটা আপনি আমি কেমনে বলব? মানুষের মনের গুঢ় কথা কে জানে- হুমায়ুন আহমেদ তাঁর ভেতরেরটা সর্বোচ্চ প্রকাশ করে ফেলেছেন বা বাধ্য হয়েছেন- এর জন্য তিনিও কম পোড়েননি কম ত্যাগ স্বীকার করেন নি। আমরা প্রাক্টিক্যালি জেনে ফেলেছি বলেই সে খারাপ!

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: তা আপনার ভেতরে কি কি পাগলামী আছে যদি একটু কইতেন ?

এইতো বিপদে ফেললো!
পুরোটাইতো পাগলামি, তার বাইরে কিছু আছে কিনা সেটা বের করে বলতে হবে :)


২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো তাইলে মহানের কাতারে চলে গেছেন ; তলস্তয়, পুশকিন মোপাসাঁ, শ/ম এরা আর ভাত পাইবে না আপনার কাছে। তবে পাগলামী কোন গ্রেডের মনে হয়?
এক মন্ত্রী গিয়েছে পাগলা গারদ পরিদর্শনে।
পাগলা গারদ ঘুরে ঘুরে দেখছে। হঠাত এক পাগল বেশ গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, কিরে কোন গ্রেডের পাগল তুই?
মন্ত্রী আরো গম্ভীর হয়ে বলল, আমি একজন মন্ত্রী, পাগলা গারদ পরিদর্শনে এসেছি। তোমাদের হাল হকিকত জানতে এসেছি।পাগল তখন হাসতে হাসতে কাহিল হইয়া কইল, সব পাগলই এইখানে আইসা এমন কথা কয়, আমিও কইছিলাম।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ব্যাপক ভাবে বিনোদিত হইলাম।
বড়ই মজাদার।
বড়ই বিনোদন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: বড়ই আচানক!!!

আফসোস!!!!! :)

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: লেখক-শিল্পীদের ভালো হওয়ার দরকারটা কি ? ওরাতো মেম্বার,চোরম্যান,এমপি,মন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি হতে চায় নাই কখনো মাতাল অবস্থাতেও। =p~

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: এইটাই কারে কে বোঝাবে, বাঙ্গালী হইল খোচাইন্যা জাতি। খোঁচাইতে খোঁচাইতে ঘা না করে ফেললে শান্তি নাই! যে কোন কীর্তিমান লোকের একটা বদগুণ বের করতেই হবে। তারপর সেইটা নিয়া লেবু কচলানি দিয়া তিতা করে ফেলবে। তখন তাঁর আসল গুণ সব চাপা পড়ে যাবে।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




তবে এটা সত্যি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরকীয়ার পথিকৃৎ।

তার গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, চলচ্চিত্র সবকিছুতেই পরকীয়াকে ওয়েল এস্টাব্লিশ করে দিয়ে গেছে :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আদি আমল থেকে বাংলা সাহিত্যের কোন কবি পরকিয়ার কবিতা সাহিত্য গীত রচনা করেনি বলুনতো?
লালনও রাই বিনোদিনীর নিয়ে অনেক গান রচনা করেছেন।
এমনকি ভোলাভালা জসিমউদ্দিনও কম যাননি; আমায় এত রাইতে কেন ডাক দিলি প্রাণ কোকিলা রে ... ভাল করে শুনে দেখেন কি ড্যাঞ্জারাস পরকিয়া সঙ্গীত! এমন শত শত আউল বাউল ভাটিয়ালী, পল্লীগিতি ছড়িয়ে আছে শত শত বছর ধরে যা পরকিয়াকে উতসাহিত করা হয়েছে। শুধু ধরা খাইলেন ঠাকুর সাহেব।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




I agree সবাই কমবেশি লিখেছে বা করেছে কিন্তু ঠাকুর খুব সুন্দর করে ইনফ্লুয়েন্স করেছে।
এমনভাবে কনভিন্স করেছে যে মনে হয় এটাই সঠিক, অনেক আকর্ষণীয় করে প্রেজেন্ট করেছে।

এর বেশি বলে আমি বাটে পড়বো নাকি #:-S


২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে বাটে ফেলে এমন কার সাধ্যি। ছাই দিয়া আপনারে ধরা যায় বা- বাইন মাছের থেকেও পিছলা :)
রবি ঠাকুর অনন্য- তাঁর সব কিছুতেই সুক্ষ্ণতম শিল্পের ছোঁয়া! পরকিয়াতো খারাপ নয় -যদি সেটা শুধু শুধুমাত্র স্থুল দৈহিক প্রয়োজনে হয় তবে অশ্লীল। আমরা সবকিছুকে গুলিয়ে ফেলি, রবীন্দ্রনাথের ধাত-জাত আলাদা। যদিও সব যৌনতাতেই স্থুলতা বিদ্যমান।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাসেম হুজুর যে বদ এটা কি সে জানে। তার সব বর্ণনার অর্ধেক ভুল তেলাওয়াত ভুল ফজরের নামাযে ইমামতিতেই নেই সম্প্রতি তিনি তাবলীগ বিশ্বের জিম্মাদার হযরত মাওলানা সাদ মুদ্দাজিল্লুহুল আলির বিষোদগার নিয়ে ব্যস্ত। বাথুলি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ডেকে এনে মাহফিল করেছেন মওলানা সাদ সাবের ইউটিউব লিঙ্ক থেকে বয়ানের ভুল অংশ খুজে বেড় করে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। অথচ তাদের মাহফিলের ওঠানো বৈধ অবৈধ টাকা নিয়ে তারা মাদ্রাসার কবরের এমনকি নিজের ধন দৌলতের বৃদ্ধি সমৃদ্ধি ঘটান। এখন কথা হলো মানুষ বলার সময় অনেক কথা অনিচ্ছ্ব কৃত ভুল হয়ে যায়। হাদিসের সঙ্গে ইজমা কিয়াস ও কিন্তু আছে।সেখান থেকে দোষ ধরা মূর্খতা । এবং মাহফিল ওয়ালাদের নিজের পায়ে কুড়াল মারার মত। কারণ সাদ সাবের বয়ানে যদি কিঞ্চিত ত্রুটি থাকে তাহলে অন্য ওলামাদের তো ভূড়ি ভূড়ি ভুল। তাদেরও ওয়াজ মাহফিল বাদ দেয়া দরকার। চিল্লায় গেলে বউ তালাক হয় কাফের হয় এধরণের ফতোয়াবাজরা কতটা ক্ষতিকর ভাবুন তো। আপনার সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাবেন দ্বীন শিক্ষা করার জন্য আর হুজুররা দাঙ্গার লাঠি হিসেবে এসব শিশুদের রাস্তায় দাড় করিয়ে দেবে শাপলা চত্ত্বরে পাঠিয়ে দেবে অনিশ্চিত জীবন উপহার দিবে। মাওলানাদের বিরুদ্ধে গেলে ধ্বংস অনিবার্য তাদের বিরুধিতা করা যাবে না। তবে মাওলানা সাদও একজন বড় আলেম তার বিরুদ্ধে লাগাও ধ্বংসের পথে চলার নামান্তর। এটা কি বাংলাদেশের মাওলানা সাদের কতিপয় বিরুধী ক্ষমতালোভী আলেম রা মানেন না ? অন্য দেশের আলেম রা কি আলেম নন?.......

বিশ্ব ইজতেমা সফল। তবলীগ মানুষের ইসলাহ ও হেদায়েতের মেহনত মুক্তির পথ ।

মানুষ ভুলের উর্দ্ধে নয় ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে চলতে হয় গন্তব্যে পৌছতে হয়।

আপনি এ পোস্টে অনেক কথা বললেন লেখকদের নিয়ে। লেখকরা সমাজের দর্পন। সমাজের কথা গুলোকে ছাপার অক্ষরে রূপ দেন । একটি যুগের সমাজের দেশের প্রতিনিধি হয়ে ওঠেন। কবিরা গল্প হয়ে ওঠেন । আ্রর গল্প লেখকরা কবিতা হয়ে ওঠেন। ভালোমন্দ মিলিয়ে মানুষ।

মাদ্রাসার ছাত্ররা এখন নাকি লাখ টাকা আয় করেন অনলাইন থেকে। তারা যেন মানুষদের বিভ্রান্ত না করে সেই কামনা থাকলো।

আপনার জন্য শুভকামনা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি কিন্তু লেখকদের নিয়ে খারাপ কথা লিখিনি। আমি লিখেছি দুই বন্ধুর কথপোকথন- আমাদের পাঠক সমাজের মুল চারিত্রিক দিকটা উন্মোচন করার চেষ্টা করেছি। কিভাবে মানুষ কবি লেখকদের কাব্য সাহিত্য গুনাগুণ চর্চা বাদ দিয়ে তাদের ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে লেগে থাকে এবং সেইসব ভুলত্রুটি ধরে নীচে নামায়। যদি বাই এনি চান্স আমি আপনি তেমন বিখ্যাত হয়ে যাই তবে আমাদের নিয়েও এমন কথা হবে -ব্যাক্তিগত আলোচনার ভীড়ে আমাদের সাহিত্য প্রতিভার (যেটু আছে বা যদি থাকে) কথা চাপা পড়ে যাবে।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১০

মিরোরডডল বলেছেন:




আর ওই গুলতেকিনরে নিয়া কত পিরিতের কথা লিখলি আগে।

তো???
সময় ও পরিস্থিতির কারণে মানুষের প্রতি মানুষের অনুভূতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়।
আজ যে প্রেম, সারাজীবন সে প্রেম হয়েই থাকবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

তাদের মাঝে এক্সাক্টলি কি হয়েছিলো, নো ওয়ান নোজ।
সম্পর্কের মাঝে তিক্ততা জন্মায়, সম্পর্ক বদলে যায়, ভালোবাসা বদলায়।


২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: তো ঠিক কি হয়েছে। একজনকেই ভালবাসতে হবে সারাজীবন এমন কোন বাধ্যবাধকতা আছে?
সামাজিকভাবে, ধর্মীয়ভাবে, রাস্ট্রীয়ভাবে কোনভাবেই বলা নেই আপনি কাউকে কখনো মন প্রাণ উজার করে ভাল বাসলে তাঁর সাথেই একটা জীবন কাটিয়ে দিতে হবে। আর বাধ্য বাধকতা থাকলেই কি। মানুষের ভালবাসা ও যৌনচেতনা সীমাহীন কার প্রতি কখন লোভ আগ্রহ টান মোহ ভালবাসা জন্মায় কোন বয়সে হয় কন সময়ে হয় সেটা কেউ অগ্রীম বলতে পারে না।
শুধু ঘাউ ঘাউ করে লাভ নাই। একজন হুমায়ুন বা রবীন্দ্রনাথ হলে তখন বোঝা যাবে নিজের চরিত্রের জোর।
রবীন্দ্রনাথ শুধু বাংলা সাহিত্য নয় বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম সুদর্শন ব্যাক্তিত্ববান সম্ভ্রান্ত বংশের মানুষ। কত শত সুন্দরতমা তিলোত্তমা তাঁকে ছুয়ে দেখতে পারলেই ধন্য হত, এমন একটা অবস্থানে থেকে নিজের চরিত্র আজীবন টাইট করে ধরে রেখে তবে বাৎচিত করলে ভাল হয় :)

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লেখকের লেখা পছন্দ করি। তার চরিত্র খুঁজিনি কখনো। দুইন্যাইত লুইচ্চার অভাব নাই

তাহলে কি মানুষের ব্যক্তিজীবন সুন্দর হওয়ার কোন দরকার নেই। ?!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: তাহলে কি মানুষের ব্যক্তিজীবন সুন্দর হওয়ার কোন দরকার নেই। ?!

অবশ্যই দরকার আছে কিন্তু ব্যক্তির সাথে তাঁর সৃষ্টি কর্মের তাল মিল না করাই ভাল। দেখুন আমি কবি সাহিত্যিকদের যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করেছি সেগুলো চরম মানের কোন খারাপ বিষয় নয়। আমাদের প্রায় সবার মধ্যেই এমন দোষত্রুটি খুঁজে পাওয়া যাবে। ধর্ষন,খুন, রাহাজানী বা টপ গ্রেডের ক্রাইম সেগুলো ভিন্নকথা। একটু প্রেম পরকিয়া, বিয়ে, মাতলামী এইসব নিয়ে মানুষ এতবেশী জলঘোলা করে- ভাল একজন লেখককে একেবারে নোংরা কাদায় মাখামাখি করে ফেলে।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমি কিছুটা জানি না। যেহেতু রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বই লিখেছি।
রবীন্দ্রনাথের সাথে তার বৌদির সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিলো। একদম মা ছেলের মতো। অথচ দেখুন কতিপয় নির্বোধ এই সুন্দর সম্পর্কটাকে নিয়ে কিসব বাজে কথা বলে!!!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: ভালকে ভাল বললে সমস্যা কি! রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অনেকের ভীষন রকমের চুলকানি আছে- শুনলেই গা জ্বালা করে :)

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩

স্প্যানকড বলেছেন: সবার ভেতর ভেজাল বাস করে। কেউতো আর খোদার ফেরেস্তা নয় মানুষ। মানুষ মাত্রই গুন দোষ। তাই এর বিচার হবে শাস্তি আছে। সাহিত্য কারে লইয়া পুরা কায়নাত লইয়া। প্রেম হতে পারে যে কারো সাথে কেউ প্রকাশ করে কেউ চুপচাপ থাকে। দুনিয়ার শুরু হইছে মানে মানুষের শুরুর দিকে প্রেম পিরীতি ঘর থাইকা চালু হইছে। সাহিত্যিকরা ব্যক্তিজীবনে অনেক কিছুই করে কেউ ইচ্ছে করে কেউ পাগলামির বশে। আর লেখকেরা পাগল এদের প্রেমের ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে তলিয়ে যেতে হবে। একদম রাখঢাক ছাড়া কইয়া ফালাইছেন। ভালো লাগছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের সবার মনের মধেয় শয়তান ও ফেরেস্তার পাশপাশি বসবাস!
আমি দুনিয়াজোড়া ভালবাসার কথা লিখব- নিত্য নতুন কচি ডবকা রূপবতী যৌবনবতী লাউডগার মত রমণীদের নিয়ে কাব্য সাহিত্য রচনা করব, আর আপনি সেইগুলা পড়ে পড়ে বালিশ আর বিছানা ভেজাবেন অথচ আমি তেমন কারো প্রেমে পড়লেই সাড়ে সর্ব্বোনাশ!! এইটা কেমন কথা আমার বুঝে আসে না
পাগল ছাড়া কবি সাহিত্যিক হয় কেমনে!! মিরোর আপু কইছেন , যত পাগলামি তত লেখার রসদ আসে :)

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দিলেন তো হাটে হাঁড়ি ভাইঙ্গা। আগে এদের ব্যাপারে বলতে গেলে কিছুই জানতাম না। এখন আপনার সৌজন্যে জানা হইল :)

তবে, ভালো লেখকের অবশ্যই চরিত্রগতভাবে ভালো হবার দায় আছে। যখন আমি কোনো বিখ্যাত লেখকের ব্যাপারে নেগেটিভ সাইডগুলো জানি, তখন তার প্রসবিত মহৎ বাণীগুলোকে আর 'মহৎ বাণী' মনে হয় না। তবে, আমরা কোনো বই পড়ার সময় লেখকের ব্যক্তিগত জীবনটা খুবই কমই জানি বলে তার চরিত্রের নেগেটিভ সাইডগুলোর কোনো ইফেক্ট আমাদের মনে পড়ে না।

সুন্দর পোস্ট যদিও।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি তো হাটে হাড়ি ভাঙ্গি নাই। ভাঙ্গা হাড়ির টুকরোগুলো এক জায়গায় করার চেষ্টা করেছি মাত্র!
ভাল লেখকদের নিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ কি ভাবে সেইটার সার সংক্ষেপ দিয়েছি মাত্র। আপনি যাদের কথা বলবেন তারা কুয়োতে আছে ওই সুমুদ্রে সাতার কাটতে পারেনি তাতেই ফালাইতে ফালাইতে অস্থির! এই অবস্থানে গেলে যে কি করত সে কল্পনা করা যায় না!
লেখকদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে যত কম জানা যায় ততই ভাল।
এজন্যই তো বলে; NEVER MEET YOUR HEROES!

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল মানুষ পচাইন্যা পোস্ট , :`> ওরে তরা কে আছস আমারে বাচা :P জল খসে গেলো :-B

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: কি কন মিয়া ভাই- এইখানে পচাইলাম কৈ! প্রেম পিরিতি ভাব ভালবাসা ইশক নেশা মতাল পাগলামী এগুলো না হলে কাব্য ও লেখার ভাব আসবে কোত্থেকে!!
লেখকদের সৃষ্টিটাই মুখ্য বিবেচ্য বিষয় থাকা উচিৎ- তাঁর সব অভিজ্ঞতায় যদি অভিজ্ঞ না হন তাহলে পাঠককে শেখাবেন কেমনে। পুড়ে পুড়েই তো খাঁটি অঙ্গার হতে হবে। মানুষ এইসব আজাইর‍্যা বিষয়গুলো মুখ্য হিসেবে সম্মুখে এনে সব কীর্তিতে জল ঢেলে দেয়।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হঠাৎ দৌড় দিতে হইলো। স্বাস্থ্য রক্ষা না, বৌ দৌড়ানী দিল!!! :P

একটা পোষ্ট দিলাম আর আপনেরে এডভান্স লাইক দিলাম। এইবার একটু দৌড়ায়ে আসি। ভালো কইরা পইড়া পরে আসুম নে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: কী ব্যাপার ভাবিসাব এতবেশী লৌড়ের উপ্রে রাখে ক্যান আপ্নেরে??? না গতিক সুবিধার মনে হইতেছে না B:-) ব্যাফক টেনশনের ব্যাপার!!

ঠিক আছে দৌড়ায় টৌড়ায় আসেন তারপরে গপ-সপ করুমনে। ওইদিকে হাসিনাপুরে যে পরামর্শ দেবার ধান্ধা করতেছেন তাই দেইখাতো আমার মাথা ঘুরতাছে। |-)

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: যে সব রাজা বাদশাহ নিয়া এরা আহা উহু করে তারা তো লুচ্চা কাতারে এক নম্বরে আছে । লেখকরা তো ভাবের পাগল । পাগলামী তার রক্তে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: হুমম নিজের লেঙ্গুরের দিকে কেউ তাকায় না! তাঁর ভুল ধরিয়ে দিলে বলবে; আমি তো সাধারন মানুষ ভুল-ভ্রান্তি করতে পারি, ওরাতো পাবলিক ফিগার ওরা করবে কেন? তাঁর মানে; পাবলিক ফিগাররা অন্য ধাতুতে গড়া! :)

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:তবে এটা সত্যি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরকীয়ার পথিকৃৎ।

তার গল্প, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, চলচ্চিত্র সবকিছুতেই পরকীয়াকে ওয়েল এস্টাব্লিশ করে দিয়ে গেছে



পরকিয়া বলে কিছুই নাই । সবি প্রেম , ভালোবাসা । বিবাহিতদের প্রেমে পরতে নাই এমন কোন আইন কেউ পাশ করে নাই । প্রেম শ্বাসত ও অবিনশ্বর ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: এমন কথা আমি অন্য এক মন্তব্যের উত্তরে বলেছি।

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর কবিকে পরীক্ষা করানো হয়। এর ফলাফল থেকে ড. হফ বলেন যে, কবি নিশ্চিতভাবে পিক্‌স ডিজিজ নামক একটি নিউরনঘটিত সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগে আক্রান্তদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল ও পার্শ্বীয় লোব সঙ্কুচিত হয়ে যায়।

উল্টা পালটা তথ্য দিলে আমরা বিভ্রান্ত হবো না কিন্তু নতুন জেনারেশান পুরাই আওলাইয়া যাবে । তারা ভাববে সত্যি সিফিলিস হয়েছিলো ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ভাই এইটাতো স্যাটায়ার! এই রকম হাজার মানুষ ভাবে -আমি তাদের কথাই বলছি। কিছু শিক্ষিত মানুষের মানসিকাতা ও ভাবনা কতটা নিচুমানের হতে পারে তাঁর উদাহরণ আমি তুলে ধরেছি।
আমার তো মনে হয় পুরানো জেনারেশন আওলাবে- নতুন জেনারেশন অনেক স্মার্ট।

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখালেখির প্রথম জীবনে লেখকদের সব ফেরেস্তা ভাবতাম।পরে ভুল ভেঙেছে।
লেখা আর লেখককে কখনই একই পাল্লায় মাপতে নেই সেটা অনেক পরে বুঝেছি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: দুরের নক্ষত্র দূরে থাকাই ভাল- অযথা টেনেটুনে কাছে এনে ব্যবচ্ছেদ করে চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধারের মানে হয় না!
অবশেষে আপনি যেটা বুঝেছেন ঠিক বুঝেছেন কিন্তু অনেক শুক্ষিত বুদ্ধিমান মানুষ সেটা বুঝতে চায় বা। আফসোস :(

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখাটা পইড়া মজা পাইলাম। :)

সেলেব্রেটিদেরকে মানুষ ভাবলেই আর সমস্যা থাকে না। মানুষ হিসাবে তাদের মধ্যে লুচ্চামী, বদমায়েশীসহ সব বদ অভ্যাসই থাকতে পারে। আমরা, ভক্তরাই তাদেরকে ফেরেশতা বানাই।

তবে এইটাও ঠিক যে, তাদের বোঝা উচিত, লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদেরকে ফলো করে। কাজেই সমাজে নৈতিকতা ঠিক রাখতে তাদের ভূমিকা পালন করতে হয়। তাদের দেখে একজনও যদি কোন অকাম করে, তার দায় কি তাদের ঘাড়ে বর্তায় না? এইজন্যই দেখবেন, পশ্চিমা বিশ্বে পাবলিক ফিগারের লুচ্চামী বা বদভ্যাসকে সিরিয়াসলী দেখা হয়। ''তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার'' বলে ইগনোর করা হয় না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: তারপরেও অনেক বড়সড় ব্যাপার তারা ইগ্নোর করে দেখেও না দেখার ভান করে। অনেক কিছুই তাদের সমাজে ডাল ভাত কিংবা বৈধ কিন্তু আমাদের সমাজে সেটা করলে একেবারে রে রে পড়ে যায়। মানুষের কিছু জৈবিক বা প্রাকৃতিক বিষয় আছে যা শত চেষ্টায় পাল্টানো কিংবা দমন করা সম্ভব নয়। মানুষে মানুষে ভিন্নতা থাকবে- সেজন্যই সাহিত্য কাব্য শিল্পে এত শত সৃষ্টির ভিন্নতা। সবাই যদি আমরা একরকম হতাম তাহলে সবার সৃষ্টি একইরকম একঘেয়ে হত।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। এধরনের স্যাটায়ার সবাই আবার হজম করতে পারে না। :)

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:




রানার ব্লগ বলেছেন:
পরকিয়া বলে কিছুই নাই । সবি প্রেম , ভালোবাসা । বিবাহিতদের প্রেমে পরতে নাই এমন কোন আইন কেউ পাশ করে নাই । প্রেম শ্বাসত ও অবিনশ্বর ।


রানার সাথে একমত। প্রেম শ্বাশত ও অবিনশ্বর।
শুধু সামান্য বলবো, প্রেম যে কারো যেকোন সময় হতে পারে, ইভেন বিবাহিত কিন্তু যখন একটা রিলেশনে থাকা অবস্থায় অন্য কাউকে ভালো লাগে বা সম্পর্কে জড়িয়ে যায়, একটা ওভার করে আরেকটা কনটিনিউ করা উচিত।
Not two at a time.
একজন মানুষ একশো বিয়ে করুক, একশো প্রেম করুক কিন্তু One after another.
একসাথে একাধিকজন থাকলে কারো একজনের সাথে সেটা প্রতারণা হয়, আর যখন একজন দাম্পত্য সম্পর্কে থেকে করে সেটাকেই পরকিয়া বলে।

বিবাহিত মানুষ অন্যের প্রেমে পড়তে পারে, প্রেম হয়ে যেতে পারে, then get rid of current relationship and continue new one.

Unless husband & wife both agree to continue open relationship.
শুনেছি আজকাল অনেকেই এমনটা করে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: কেউ পারলে এক সঙ্গে দুটো চারটে সম্পর্ক রাখায় আমার কাছে তেমন কোন অন্যায় বা অপরাধ বলে মনে হয় না। আমরা এটাকে অপরাধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছি, ভেবেছি কিংবা কল্পনা করেছি বলেই এটা অপরাধ! তবে এমনটা আমি করছি বলে এটা ভাবার কোন কারন নেই।মানুষ অযথাই মানুষকে পরাধীন করার জন্য হাজার হাজার বায়বীয় আইন করে রেখেছে- তাঁর কিছু মনকে বাঁধার জন্য কিছু শরিরকে, কিছু ভাবনা বা কল্পনাকে।

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৪

আরোগ্য বলেছেন: এহন বুঝতে পারসি, আমার কেন যক্ষ্মা হইসিলো তাও সাধারণ যক্ষ্মা না মিলিয়ারি। শেষ পর্যন্ত ব্লগিং আমার অসুখের কারণ হয়া প্রকাশ পাইলো। :((


শেলি তো ডুইবা মরে, কিটসের পুরা গুষ্টি এক রোগে মরে, ওইটা ও কি যক্ষ্মা আছিলো? মনে আইতাসে না। :||

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি এইটা জানলাম কঠিন যক্ষা! এখন উপশম হয়েছে? ব্লগিং এর কারনে মনে সর্ব প্রথম আপনি এমন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ব্লগিং এর ইতিহাসে আপনার নাম লাল অক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল :)
শেলি মনে হয় বেঈ খাইয়া টাল হইয়া ডুইবা মরছিল। কিটস এর পুরা পরিবার হয়তো গাঁজার পাইকারি খদ্দের ছিল!

২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: জাফর ষ্যাড় ভালা মানুষ। কুন চারত্রিক বদনাম নাই :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: সব লেখক যে খারাপ নন তাঁর একটা উদাহরণ অন্তত দিলেন একটা। আমার ওই বন্ধু গাণ্ডু কি বুঝবে!

২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৬

করুণাধারা বলেছেন: সব লেখকই অবশেষে খারাপ! নাহ্, কথা ঠিক না!

বিবাহিত অবস্থায় থেকে বিবাহ বহির্ভূত প্রেম করা অবশ্যই খারাপ কাজ, কিন্তু শুধু এজন্য একজন লেখককে খারাপ বলা যায় না বা তার বই পড়া বন্ধ করা যায় না।‌ খারাপ বলা যায় যখন লেখক ভন্ডামি করেন, যখন তার বইয়ে যেসব জিনিসকে তিনি ভালো বলছেন নিজের জীবনে তার উল্টোটাই করছেন! আবার ভন্ডামি না করলেও, কখনও লেখার বিষয়বস্তর মিথ্যা পেলে সেই লেখককেও খারাপ লেখকের তালিকায় ফেলে দেই। যেমন তসলিমা নাসরিন।

আপনার উল্লেখিত লেখকদের খারাপ অবশ্য বলবো না, কারণ তাঁরা কেউই পাঠকদের পরকিয়া করতে প্ররোচিত করতে যাননি। রবীন্দ্রনাথ ৭০ বছর বয়সে যখন বলেন, "ফুলের বনে যার পাশে যাই, তারেই লাগে ভালো", তখন বুড়োর ভীমরতি না বলে বরং বলি অকপটে কবি নিজেকে প্রকাশ করেছেন।

লেখকের ব্যক্তিগত জীবন বিচার না করে তিনি লেখার মাধ্যমে কী বার্তা দিচ্ছেন সেটাই বিবেচনা করতে হবে, এটা প্রথম বুঝেছিলাম ১৮/১৯ বছর বয়সে। শৈশবে আমার প্রিয় লেখক ছিলেন অস্কার ওয়াইল্ড, হিংসুটে দৈত্য গল্প। বড় হয়ে যখন জানলাম তিনি সমকামী, তখন ভীষণ খারাপ লেগেছিল। তারপর ভাবলাম, তার লেখা গল্প গুলো মাথা থেকে বের করে দেয়া সম্ভব না। তাই তিনি আমার প্রিয় লেখকই রইলেন!

লেখকের জীবন আর তার বই আলাদা করে দেখাই ভালো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ওই শিক্কিত পড়ুয়া বিরাট জ্ঞানীর ভাব ধরা বন্ধুরে কানের নীচে ঠাডায়া দুটা চটকানা দিতে মনে চাচ্ছিল- ব্যাটায় আসলে জ্ঞান পাপী। শুধহু সে নয় বাংলাদেশের কিছু আধামূর্খ লোকতো বটেই এমন পড়ু জ্ঞানীগুণী লোকজনও এমনটাই ভাবে, তাদের সাথেয়াপনি তর্কে পারবেন না। যে কারো কথাই বলবেন( মহান বিখ্যাত কিংবা মনীষী) একটা নেতিবাচক দিক তুলে ধরবেই তাঁর। এরপর একেবারে আসমান থেকে মাটিতে টেনে এনে ফেলে বিমল আনন্দ উপভোগ করবে।
অথচ নিজেরা ব্যাটারা দুনিয়ার লুচ্চামী ফাতরামী বাদরামি করবে তাতে দোষ নেই। কিছু বললে বলে আমরাতো সাধারন মানুষ, সেলিব্রেটিরা এমন করবে কেন। ওরাতো পাবলিক ফিগার পাবলিগ ফিগারের এসব মানায় না। সমাজের উপরে বিরূপ প্রভাব পরে, ওদের কাছ থেকে ওদের ভক্তরা পরের জেনারেশোন কি শিখবে? এইসব ডায়লগবাজী করে অফ করিয়ে দেয়।
আসলে লেখকসত্ত্বা আর তাঁর চারিত্রিক বিষুয়গুলোকে এক করে মিলিয়ে ফেলার কোন মানে হয় না। তাঁর সৃষ্টি পরো ভিন্ন কিছু সেটা কেউ মানতে চায় না। আফসোস।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আপু।

২৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরে ভুয়া মফিজ ভাইয়ের কথার একটা অংশের সারমর্ম হল যে পাবলিক ফিগারদের কিছু সামাজিক দায় দায়িত্ব থাকে। এই ব্যাপারে একমত। এই কারণেই লেখকদেরও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তবে মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। ছোট খাট ভুল ক্ষমা করা যেতে পারে।

করুনাধারা আপার মন্তব্যটাও ভালো লেগেছে। লেখকের মধ্যে যেন ভণ্ডামি না থাকে। অর্থাৎ লেখায় লেখক কোন বাণী দিতে চাচ্ছে কিন্তু নিজের জীবন তার বিপরীত। এগুলি ভণ্ডামি। তবে শুধু যদি মনে করেন যে আমি একটা বই পড়ছি স্রেফ এনটারটেইনমেনটের জন্য সেই ক্ষেত্রে লেখকের চরিত্র মুখ্য না। আর যদি লেখক তার দর্শন বা জীবনাদর্শের কথা তার লেখায় বলার চেষ্টা করে সেই ক্ষেত্রে আগে নিজে মানতে হবে। অবৈধ প্রেম বা যৌন সুড়সুড়ি বাড়িয়ে দেয় এমন লেখার ক্ষেত্রে লেখকের এই বিষয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতা থাকলে বেশী সংখ্যক পাঠককে আকৃষ্ট করতে পারে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি মনে করি পৃথিবীতে কেউ কোন দায়বদ্ধতা নিয়ে আসেনা। আমরাই এমনসব মানুষের ঘাড়ে দায়িত্ব বর্ত্সব- এরা তো রাজনীতিবিদ ও নয় দেশ সেবক ও নয়। যেসব কবি সাহিত্যিক শিল্পী অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এসে দুর্দান্ত শিল্প সৃষ্টি করে কোন জনপ্রিয়তা না পেয়ে ওপারে চলে গেছে তাদের ব্যাপারে কি বলবেন?
সবকিছু নির্ভর করে জনপ্রিয়তার উপরে- এখানে শিল্পী বা সাহিত্যিকের কোন হাত নেই। জনপ্রিয় হলেই তাঁর উপর বাই ডিফল্ট আমরা কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা চাপিয়ে দেই। তিনি কোন প্রতিশ্রুতিতো দেন না, সে মানবে না মানবে সেটা আমরা বুঝতে চাইনা জানতে চাইনা আমরা পরিপূর্ণ আশা নিয়ে থাক্‌ ভাবী যে তিনি মানবেন,তিনি এভাবেই চলবেন। বিষয়টা ভেবে দেখুন, আজব না???

২৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


হুমায়ূন আহমেদের ব্যাপারটি আসলে অন্যদের সাথে ঠিক ওই ভাবে মিলে না ।
কেননা হুমায়ূন আহমেদের এই ব্যাপারটি ছিল এক জন অসম বয়সের এবং যেটা আসলেই পারিবারিকভাবে হোক সামাজিকভাবেই হোক কোনোভাবে ঠিক মানানো যায় না।
তারপর তিনি যে কাজটি করেছেন সেটা হচ্ছে তিনি তার প্রথম স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে এক বাক্যে অস্বীকার করে তালাক দিয়ে দিয়েছেন ।
অনেক পাঠক এটাকে সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি।

উনার হুমায়ূন আহমেদ হয়ে ওঠার পেছনে যে গুলতেকিন খাঁন এর যে ভূমিকা আছে সেটা ওনার প্রথম দিকের বইগুলো পড়লেই বোঝা যায়।

তাই উনার এই ঘটনাকে একেবারে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর 'ডুব' দেখেছেন?
সময় সুযোগ পেলে দেখবেন। অনেকটা সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। এখানে হুমায়ুন আহমেদ নুহাশ আর গুলতেকিনের বিচ্ছেদ ও মানসিক টানাপোড়েনের একটা সত্যিকারের ছবি পাবেন। সাথে নুহাশের সাথে বাবার সম্পর্কের ব্যাপারটা! আশা করি আপনার ভুল কিছুটা ভাঙবে।
হুমায়ুন আহমেদ অনেক স্পর্শকাতর ব্যাক্তিত্ববান বুদ্ধিমান বিজ্ঞ একজন মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের থেকে তাঁর ক্যারিয়ার জীবন ব্যাক্তিগত সম্পর্ক ভবিষ্যত পাঠক সমাজ নিয়ে কম ভাবতেন না। জীবনে সবকিছু খুব বেশী সহজ সরল ভাবে হয় না।

৩০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৭

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: কবি-সাহিত্যিকদের মত লেখতে না পারা অক্ষমতা থেকে তাদের সমন্ধে এসব কথা আমজনতা বলে থাকে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথাও কিছু ক্ষেত্রে ঠিক। কিছু অক্ষমতা মানুষকে ইর্ষাকাতর কিংবা হিংসুক বানায়!

৩১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: আসলে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অত ঘাটাঘাটি না করে তার সৃষ্টি নিয়ে ঘাটা ঘাঁটি করা ভালো।ব্যক্তিগত বিষয় যদি বড়রকমের সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি না করে তবে আলোচনা না করাই ভালো।দোষে গুনেই মানুষ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: এটাই তো কথা- এমনটাই তো ঘুরে ফিরে আমি বলতে চেয়েছি। আমি বলতে ওই যাত্রার 'বিবেক' বলতে চেয়েছে; লেখায় তাঁকে খুঁজে নিন :)

৩২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




তা এতোজনরে নিয়াই যখন কইলেন তখন " বাবনিক" এর লেখক শেরজা তপন এর নামটা বাদ দেলেন ক্যা? আৎকা মস্তিষ্কের ডাটা ক্যাঠায় হ্যাক করছিলো ? এইডা ল্যাহার কারনে সোনাগাজী সাহেব তো আকারে ওকারে বুঝাইছিলেন যে , শেরজা তপন একটা লুইচ্চা লোক। :P কিন্তু আমরা তো জানি, হ্যায় কত্তো বড়ো একজন সাচ্চা ভদ্রলোক। ;) কতো কতো ভালো ভালো ল্যাহা হ্যায় ল্যাকছে হের পরে হেরেও হুদা "বাবনিক" ল্যাহার লৈগ্গা সব লেখকই অবশেষে খারাপ!!! এই ট্যাগ দেওয়া উচিৎ না । চিল্লাইয়া কন , ঠিক কিনা!!!!!!! =p~

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো লুইচ্চ্যার লুইচ্চ্যা গাছ লুইচ্চ্যা নাইলে ক্যামনে বাবনিকের মত লুচ্চা কাহিনী লিখলাম !! :)
লেখকের পরিচয় কিছুটা হলেও তাঁর লেখায় প্রকাশ পায়।

কোন এক অভিনেতা সত্যিকারে মাতালের অভিনয়ের জন্য পরিচালকের কাছে একটু মদ চেয়েছিল। পরিচালক বলেছিল দিতে পারি এক শর্তে 'শেষ দৃশ্যে মারা যাবার অভিনয়টাও রিয়েল করতে হবে- রাজী কি না কও?
যাই হোক অভিজ্ঞতা না থাকলে মানুষ কোনদিনও জীবন্ত অনুভুতি ফুটিয়ে তুলতে পারে না। মানুষ যতই মৃত্যু যন্ত্রনার কথা বলুক না কেন মৃত্যু ব্যাতিত সে যন্ত্র উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। তেমন মাদকতা শিহরণ যৌনতা সব অনুভুতি প্রকাশের জন্য প্রাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতার দরকার আছে। চিল্লায় কন ঠিক কি না?

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কারো অপকর্ম যদি অন্য কারো ব্যক্তি জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু রবি ঠাকুর তো দেখছি যা করেছে আরেকজনকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে! সে ক্ষেত্রে তার শিল্পকর্ম যতই উচ্চমান সম্পন্ন হোক না কেনো সেগুলির মূল্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আমাদের ওয়াজিনরা তো অনেক সুন্দর সুন্দর শিল্প-কর্ম রচনা করেন। বই লিখেন সেগুলি ভালো বিক্রিও হয় কিন্তু তাদের ব্যক্তি জীবন যদি সুন্দর না হয় এক নিমিষেই তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে যাবে। আগের সময় তাদের অপকর্ম প্রচার খুব বেশি হতো না বলে মানুষ এগুলি জানতো না এখন দেখুন একজন লেখক যত ভালই লেখক হোক তার সামান্য স্ক্যাম বের হয়ে পড়লে মানুষ তার সাহিত্যকর্ম যত উঁচু মানেরই হোক গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি একজন শিল্পী সমাজের মানুষকে তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে যে মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করে সেটা তার ব্যক্তি জীবনে যদি তিনি না পালন করেন, তাহলে এটাকে হিপোক্রেসি বলবো।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: না হে ভাই সে কাউকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেননি। এটা সম্পুর্ণভাবে রটনা- তাঁর বিরুদ্ধে এক শ্রেণীর মানুষ মিথ্যে গল্প রটিয়েছে।
আমরা সবাই কম বেশী হিপোক্রেট। চোখ বন্ধ করে ভাল করে নিজেকে নিজে কল্পনা করে দেখুন আপনি সত্যিকারে কতটুকু নিজেকে মানুষের সামনে প্রকাশ করছেন আর কতটুকু আড়ালে রাখছেন?

৩৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৭

নিমো বলেছেন: মানুষ মাত্রই বহুগামী, তাই এটা নিয়ে এত হৈ হৈ করার কিছু নাই। এমন কি যে ধর্মে এত বাধা-নিষেধ, এদের প্রবর্তকরা বরং আরও এক কাঠি সরেস! আইনস্টাইন নোবেলের লোভে নিজের অবৈধ মেয়েকে বিসর্জন দিয়েছিলেন, তো এজন্য কি উনার বিজ্ঞানের অবদান আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলবেন ? তাহলেতো ধর্মের প্রবর্তকদের লেজুড় হওয়া আগে বন্ধ হওয়া দরকার।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন বাদে আমার ব্লগ বাড়িতে আপনেকে পেলাম- দেখে ভাল লাগছে সুপ্রিয় ব্লগার!
এখানে কিন্তু দুটো চরিত্রকে আমি আঁকার চেষ্টা করেছি- একটা শিক্ষিত অন্যের খুত খুঁজে বেড়ানো কান নিয়ে গেল চিলে টাইপের বাঙ্গালী আরেকজন সত্যিকারে বোদ্ধা টাইপের। এখন কার কথাকে আপনি কিভাবে মুল্যায়ন করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
আপনি যেভাবে বলেছেন যা বলেছেন, আসলে সেটা সেভাবেই হওয়া উচিৎ- কিন্তু সেভাবে সবসময় হয় না, আমরা সবসময় অন্যভাবে ভাবতেই ভালবাসি। বাস্তবিক জীবনে সিংহভাগ বাঙ্গালী মনন ও মানসিকতায় এতটা উদার এখনো হতে পারেনি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫

আরইউ বলেছেন:



ঠাকুর বাবুর সাথে তার বৌদির সম্পর্ক মা-ছেলের ছিল এমন কথা যে বলে সে মোটামুটি রবি ঠাকুর আর কাদম্বরী দেবীর সম্পর্ক বিষয়ে শিশুতোষ ধারণা পোষণ করে। ওনাদের সম্পর্কটা আসলে কী ছিল তা আমরা কখনোই শতভাগ নিশ্চিৎ হয়ে বলতে পারবোনা। বিলেত থেকে ভাবীকে লেখা ওনার চিঠিগুলো আর যাই হোক মা-ছেলের মাঝে কারেসপনডেন্স জাতিয় নিশ্চই ছিলনা। থাকলে ওনার পরিবার কেন সেগুলোর মাঝে যৌনতার গন্ধ খুঁজে পাবে। ওনাদের সম্পর্ক ছিল হয়ত ঐশ্বরিক ভালোবাসার, আস্থার, বন্ধুত্বের... ওনাদের ভালোবাসা হয়ত ছিল পবিত্র কিন্তু তা সম্ভবত মা-ছেলের ভালোবাসার মত পবিত্র ছিলনা।

তাই কেউ যদি ঠাকুর-দেবীর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলে যারা তাদের নির্বোধ বলে তবে ধরে নেয়া যায় তার ঠাকুর বিষয়ে ধরণা শুন্যের কাছাকাছি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ অনেকদিন বাদে আপনাকে পেলাম আর ইউ। ব্লগের পথ তো ভুলেই গেছেন দেখি!
চমৎকার মন্তব্য করেছেন, এমন মন্তব্যের পরে আর কিছুই বলার থাকে না।

মাঝেমধ্যে এসে নিজের অস্তিত্বটা জানান দিয়ে যাইয়েন :)

৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:




জি এসের মন্তব্যের সুত্র ধরে বলি,
বাবনিক পড়েই আমি শেরজাকে চিনেছিলাম, তাও শুরু থেকে পড়িনি।
শেষের কিছু পর্ব।
এই ছেলে কে? এতো সুন্দর লেখে!

জানি না এটা কেমন শোনাবে but the fact is, I like the foreplay part most.
খুব কম লেখক এভাবে লিখতে পারে, সেদিক থেকে শেরজাকে সাধুবাদ জানাই।

অন্য একটা কমেন্ট নিয়ে দ্বিমত আছে, ওটা নিয়ে পরে আসবো।
এখন যেতে হবে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন হায় হায় এত দেরিতে আমাকে চিনেছেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :(( :((
আমাকেতো বেশীরভাগ ব্লগার ব্লগে আদিরসের গুরু হিসেবে 'আলকাশ' থেকেই চেনে :``>>
ব্যক্তিগতভাবে আমি কিন্তু বাবনিক থেকে আলকাশ সিরিজকে অনেক বেশী এগিয়ে রাখব।

আপনিতো সাধুবাদ জানান কিন্তু দেখলেনতো আহমেদ জী এস ভাই এর মত গোঁড়া ভদ্দরনোক কি বলে গেলেন!! তবে চাঁদ চাচুরা কি ভাবছেন???
তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন- কি নিয়ে দ্বিমত বলে যান?

৩৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল করেছেন- মন্তব্যের সংখ্যা আরেকখানা বাড়ল। :)

৩৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
এইরে! এসব কী শুনছি? নাকি চোখে ভুল দেখছি?
রবীন্দ্রনাথের সম্মন্ধে কথাটা খুবই খারাপ লেগেছে। ওনার সবকিছুই মধ্যে একটা গুরুদেবশুলব আবেদন আছে। আপনি স্পোটিংলি নেবেন। সেটাকে দেখার বা চিন্তার নিম্ন রুচির জন্য একটা শ্রেণী বারে বারে কালিমা লেপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু হাজার বছরে আর রবীন্দ্রনাথ বাঙলা সাহিত্যে জন্মাবে বলে মনে হয় না। যাইহোক চিন্তা নিম্ন মানের হলে সেটা তাদের চিন্তা ভাবনার সমস্যা কবিগুরুর নয়। শুরুতেই বলেছি আপনি এসবের বাইরে থাকবেন।

শাওনকে বিয়ে করে হুমায়ূন আহমেদের সম্পর্কে অনেকেই এরকম অভিযোগ করেন। কিন্তু নিজেকে নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা সবার আছে।সেই যুক্তিতে ওনার পরের বিবাহকে আমি খারাপ কিছু দেখিনা।
কবি শামসুর রাহমানের সঙ্গে তসলিমা নাসরিন ময়মনসিংহে নৌকা বিহার করা কালীন কবি নাসরিনের পিঠের দিকে হাত দিয়ে ব্লাউজের স্ট্রীপে স্পর্শ করেছিলেন। নিষিদ্ধ কলামে যে কথা নাসরিন উল্লেখ করেছেন।‌
আবার কবি হাসমত জালান রুনু গুহঠাকুরতা সঙ্গে শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে পা ঘষাঘষি করেছেন সেটা রুনুর রুমমেট হিসেবে ঘুমের ভান করে থাকা নাসরিন পর্যবেক্ষণ করে লেখালেখি করেন।যার পরিপ্রেক্ষিতে হাসমত কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মোকদ্দমা করেন।যদিও সেই কেসের ফলোয়ার্প জানা আর সম্ভব হয়নি।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এরকম ভক্তদের কম সম্পর্ক যে হয়নি তা নয়। ওঁনার স্ত্রী স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেছিলেন ,
- সুনীল ভালো লেখে।ওর সুনামে অনেকেই ওর পাশে ঘেষে নাম পেতে চান। এখন বিনিময়ে সুনীল যদি কারোর কাছে সুবিধা নেয় তার মধ্যে অন্যায় দেখি।
সত্যি কথা বলতে কী কবি সাহিত্যিকদের লেখনীর যাদুতে এরকম যদি কেউ আটকে যায় তাহলে সেটার মধ্যে আমিও কোনো অন্যায় দেখিনা। আসলে একজন কবি যতো বেশি হৃদয়ের সঙ্গে পরিচিত হবেন তত বেশি সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস।

এবার আসি নিজের কথায়। সাম্প্রতিক সময়ে আমিও এরকম একটা চটকদার লেখায় হাত দিয়েছি। লেখকের চরিত্র নিয়ে কাটাছেড়া হবাটা স্বাভাবিক। কিন্তু লেখালেখির মধ্যে যেটা করি না কেন বাস্তবে যদি তার কনামাত্র প্রয়োগ করি তাহলে পাড়ার সব বাসার ঝ্যাটাগুলো লেখক জায়ার কল্যানে যে বুকে পিঠে পড়বে তা শতভাগ নিশ্চিত।তাই বলি কি লেখকের লেখা নিয়ে লেখকের চরিত্র না মেপে মাপামাপি কেবল লেখালেখির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুক।যদিও পাঠকের স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাসী।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: ইস্‌সিরে ভাই আপনিও আমারে গাট্টা দিলেন!!! :(

রবি ঠাকুরকে নিয়ে আমিও আপনার মত উচ্চ ধারনা পোষন করি। তাঁর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা আপনার থেকে বিন্দুমাত্র আমার কম নে। আমি বাতাসে ছড়িয়ে থাকা আর আমার আশে পাশের শিক্ষিত বোদ্ধা দুর্মুখ ঈর্ষাকাতর অপরের খুঁত খুঁজে বেড়ানো গুণী মানুষকে খাটো করার চেষ্টায় রত কিছু মানুষের কথোপকথন তুলে ধরেছি মাত্র।
যৌন আকাঙ্খা মোহ উন্মাদনা ফ্যান্টাসী সবার মধ্যে থাকাই স্বাভাবিক! লোভ লালসা রাগ ক্ষোভ অর্থলিপ্সা হিংসা বিদ্বেষ এগুলো থাকাওতো অস্বাভাবিক নয়। কবি সাহিত্যিক এর উর্দ্ধে নয়!
আমার ভেতরে অনেক কিছুই ঘটে, অনেক আকাঙ্খাই আমি নিত্যদিন দমিয়ে রাখি। কখনো সুযোগ পাই না কিংবা কখনো সুযোগ পেলেও চেপে যাই, হয়তো কোন একদিন ভুল করেও ফেলতে পারি। কে জানে সেইটেই জীবনের সব হিসাব কিতাব উল্টে পাল্টে দিবে।
আপনি বুদ্ধিমান মানুষ , হয়তো আবেগকে বশে আনতে পারেন আপনি যেভাবে মেপেঝোকে চলেন সবাইতো আর পারে না।

৩৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমরা দূর থেকে অনেককেই দরবেশ এবং হাফেজ ভাবি আসলে বাস্তবে নিখুঁত দরবেশ নেই! তবে আমি লেখকের ব্যক্তিগত জীবন দিয়ে কখনো বিচার করিনি, লেখকের বড় পরিচয় তার লেখা।

তবে কোন কোন লেখকের ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে, যেমন সত্যজিৎ রায় এবং আইজ্যাক এসিমোভের ইন্টারর্ভিউ আমি দেখেছি ইউটিউবে, সত্যি বলতে সত্যজিৎ রায়ের-মত এমন ব্যক্তিত্বসম্পূর্ন্য মানুষ কম দেখেছি জীবনে, যেমন সুদর্শন, স্মার্ট তেমনি প্রখর বুদ্ধিসমৃদ্ধ মানুষ ছিলেন। আইজাক এসিমোভও যেমন ভাল লিখেন তেমনি জ্ঞানীও, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন, প্রখর জ্ঞানী মানুষ মনে হয়েছিল ইন্টারর্ভিউ দেখে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যের সাথে আমি একেবারেই একমত। শুধু সত্যজিৎ রায় নয় তার প্রত্যেকটা মানুষই যেমন প্রতিভাবান ছিলেন তেমন ছিলেন ব্যক্তিত্ববান।
আইজ্যাক এসিমোভ সম্বন্ধে আসলে আমার তেমন জানাশোনা নেই আমি তার ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারব না।
দারুন মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রীত হলাম ভালো থাকবেন সুন্দর থাকবেন।

৪০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:





লেখক বলেছেন: কি বলেন হায় হায় এত দেরিতে আমাকে চিনেছেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :(( :((

আমি করোনার সময় ২০২০এ একটিভ হলাম, ব্লগারদের একটু একটু করে চিনতে শুরু করেছি। তার আগে সেইভাবে আসা হয়নি, পড়া হয়নি, চেনাও হয়নি।

আমাকেতো বেশীরভাগ ব্লগার ব্লগে আদিরসের গুরু হিসেবে 'আলকাশ' থেকেই চেনে :``<<
ব্যক্তিগতভাবে আমি কিন্তু বাবনিক থেকে আলকাশ সিরিজকে অনেক বেশী এগিয়ে রাখব।


এটা পড়িনি, সেইসময় ছিলাম না হয়তো, সময় হলে কখনও হয়তো পড়বো। সিরিজ পড়ার ধৈর্য হয়না।

আপনিতো সাধুবাদ জানান কিন্তু দেখলেনতো আহমেদ জী এস ভাই এর মত গোঁড়া ভদ্দরনোক কি বলে গেলেন!! তবে চাঁদ চাচুরা কি ভাবছেন???

ও কিছু না, আঙ্গুর ফল টক।

তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন- কি নিয়ে দ্বিমত বলে যান?

নাহ এখন না, শেরজার কাছ থেকে শিখেছি, অল্প কথায় লেখা যাবে না, অনেক কিছু বলার আছে, তাই সময় নিয়ে পরে মন্তব্য করবো :)

তারপর সেই পর আর কোনদিন আসবে না =p~





৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আজ সময় পাইনি- একটু দেরিতে এসে বসলাম। ভাবলাম কয়েকটা লেখা পড়ে টপাটপ মন্তব্য করে, আপনাদের মন্তব্যগুলোর উত্তর দিয়ে ঘুমোতে যাব। কিন্তু কিয়ের কি! হাই তুলছি আর চোখে জল ভরে যাচ্ছে- মনিটরের সব লেখা ঝাপসা দেখছি!!!!

আপনার শেষের দুই লাইন আজকের মত ফের তোলা রইল- কিস্যু করার নাই ... ঘুম সুইট ঘুম

৪১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৪

ক্রেটোস বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের সম্মন্ধে কথাটা খুবই খারাপ লেগেছে। ওনার সবকিছুই মধ্যে একটা গুরুদেবশুলব আবেদন আছে। আপনি স্পোটিংলি নেবেন। সেটাকে দেখার বা চিন্তার নিম্ন রুচির জন্য একটা শ্রেণী বারে বারে কালিমা লেপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু হাজার বছরে আর রবীন্দ্রনাথ বাঙলা সাহিত্যে জন্মাবে বলে মনে হয় না। যাইহোক চিন্তা নিম্ন মানের হলে সেটা তাদের চিন্তা ভাবনার সমস্যা কবিগুরুর নয়।

হাহাহাহা, চৌধুরী মশাই। কবির সাথে তার ভাইঝি ইন্দিরার সম্পর্কেরও খবর পাওয়া যায়। এই ইন্দিরার সাথে যে এত এত চিটিপত্র আদান প্রদান হয়েছে যে তা হিসাব করবার মতো নয়। জানি এই বলবেন যে কাকা-ভাইঝির মধ্যে চিঠি আদান-প্রদানে এইসব প্রেম টেনে আনাটা একেবারেই রুচিহীন কাজ। কিন্তু চিঠিতে এমনসব বিষয় লিখা ছিল যার একটু যদি কোন অখ্যাত লেখক লিখে থাকতেন তো তার বিরুদ্ধে কত কী যে রটনা রটতো তা ভাবতে বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। কী অদ্ভুত তাই না? আমরা বিখ্যাত লোকদের পাপকে পাপ হিসেবে দেখি না। আবার এদিকে তাদের ডিফেন্ড করতে মাঝে মাঝে বলে বেরাই ওরাও তো মানুষ।

কবিকে আপনারা এত বেশি বড় করে দেখেছেন যে অন্যের ক্ষেত্রে যা চরিত্রহীনতার কাজ ওনার ক্ষেত্রে তা মহামান্যের কর্ম। কী আর বলবো......................

আর শেরজা তপন আমিও বলতে চাই, একজন লেখক কিন্তু কেবলই লেখক নন তিনি জনসাধারণের কাছে খুবই সম্মানিত একজন। যারা ভুরি ভুরি নীতির কথা বিলিয়ে বেরায় যারা গল্পে তুলে ধরে সমাজের অসংগতি তারাই যদি হয় এমন নিম্নচরিত্রের তবে তো বলতেই হয় তারা আসলে ব্যবসায় করছে সাহিত্যকে পণ্য করে। তবে তো তারা ব্যবসায়ী কেন তাদের বুদ্ধিজীবীদের কাতারে ফেলতে যাবো? কবি-সাহিত্যিকরা পাগল ধাঁচের হয় তাই বলে কেবল চারিত্রিক স্খলনের ক্ষেত

আরেকটি কথা, পরকীয়া ব্যাপারটা কোনকালেই ভালো কিছু বয়ে আনেনি। এই দেশে এই পরকীয়ার কারণে মায়ের হাতে শিশু খুন হয়েছে এমন ঘটনাও অনেক আছে। যে বিষয়টি কেবল অশুভ বিষয়কেই টেনে আনে সেই বিষয়টিকে একদম স্বাভাবিক কিংবা একদম গ্রহণযোগ্য বলে মনে করাটাও অপরাধকে প্রশ্রয় দেবার সামিল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় ক্রেটোস। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বেশ বড় ও যৌক্তিক মন্তব্য করেছেন।
এ পৃথিবীতে প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী ও ভিন্ন মতামত আছে। সবাই একটু আধটু ব্যতিক্রম না হলে এত বহুমুখী সৃজনশীল কিংবা ভোঁতা ও বেখাপ্পা সৃষ্টি হতই না। সৃষ্টি মতবাদ ও মতৈক্য মদভেদ এসবের মাধ্যমেই মানব জাতি এগিয়ে যাচ্ছে।
সব ধরনের মানুষেরই প্রয়োজন আছে। যে যেভাবে যা-ই ভাবুক না কেন। কাউকে উপহাস করার কিছু নেই।
ভাল মন্দ আমরাই সৃষ্টি করি। ভাল মন্দের পাঁকে কিংবা প্যাঁচে আমরাই পড়ি। নিজেরটা ভুলে আরেকজনের দিকে আঙ্গুল উঁচাই- সৃষ্টিশীলতা আর চরিত্রকে একসাথে গুলিয়ে ফেলি। এটাই মানুষের মুল চরিত্র। এর বাইরে যারা আছেন তারা কিছুটা ব্যাতিক্রম- মহৎ বা মহান কিংবা ভন্ড।
ভাল থাকবেন। সামনের দিনগুলোতে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকব।

৪২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭

ক্রেটোস বলেছেন: কবি-সাহিত্যিকরা পাগল ধাঁচের হয় তাই বলে কেবল চারিত্রিক স্খলনের ক্ষেত

দুঃখিত এই বাক্যটি অসম্পূর্ণ, তাই পূর্ণ করে দিলাম।

কবি-সাহিত্যিকরা পাগল ধাঁচের হয় তাই বলে কেবল চারিত্রিক স্খলনের ক্ষেত্রেই তাদের পাগলামি দেখা যাবে আর কোন ক্ষেত্রে নয়?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেরিতে দেবার জন্য দুঃখিত। সমস্যা নেই। বুঝে নিলাম। ফের আসার জন্য ধন্যবাদ।

৪৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

ক্রেটোস বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন সুন্দর জবাবের জন্য।

দেখুন সৃষ্টিশীলতা আর ব্যক্তিচরিত্র এক না হলেও সৃজনের অনেক কিছু কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক। যেমন ধরুন আপনি যদি রোমান্টিসিজমে বিশ্বাসী না হোন তবে আপনি তো রোমান্টিক কোন সাহিত্যই লিখতে পারবেন না। লেখার মধ্যে আপনি যা উপস্থাপন করবেন তা আগে নিজের মধ্যেই ভালোভাবে গুছিয়ে নিতে হয়। না হলে উপস্থাপন সুন্দর হয় না। রবীন্দ্রনাথ যে ভালো লেখক নন এটা বলা যাবেই না। বরঞ্চ বলতেই হয় বাংলায় ব্রিটিশ পরবর্তী যতজন লেখক বেশ নাম কুড়িয়েছেন তাঁদের প্রায় সবাই রবীন্দ্রনাথ ও শরৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ঋণী! এই দুজনের সৃষ্টি করা থিম নিয়েই লিখে গেছেন পরবর্তী লেখকেরা তাই বলতেই হয় এই দুজন লেখক সত্যিই প্রশংসিত দুজন লেখক।

এই দুজনের অবশ্যই সুন্দর সৃষ্টি কিন্তু ঐ যে কথায় আছে না "দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য" , লর্ড হ্যালিফক্সের এই উক্তিটি তো আমাদের মাঝে অনেক বেশি প্রচলিত। এই উক্তিটি কী এই দুজনের ক্ষেত্রে খাটে না? সুন্দরের চর্চায় এক চিমটি অসুন্দর যে পুরো সৌন্দর্যকে বিকৃত করে দেয়! এই ব্যাপারটিকে কী করে অস্বীকার করা যায় বলুন?

৪৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

জুন বলেছেন: শেরজা আপনি কি লেখা ড্রাফটে নেয়ার জন্য লগ হয়েছেন নাকি! আপনার আগের পোস্টটা নাই। আশাকরি ইমম্যাচিউরড কোন ডিসিশন নিবেন না। আপনাকে আমি অনেক পরিপক্ক ভাবি। আর অতি পছন্দের ব্লগার তা বলাই বাহুল্য। লেখাটা ড্রাফটে নিয়ে থাকলে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন সাথে আপনিও অবশ্য অবশ্য।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো লেখা ড্রাফটে নিই নাই- এটা ব্লগ টিমের কাণ্ড! দেখেন বাধ্য হয়ে সেটা নিয়ে আজকে পোস্ট দিয়েছি।

৪৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটাই (ছবিসহ) এ পোস্টে পাঠক টেনে আনার জন্য যথেষ্ট।
কবি-সাহিত্যিক-লেখকদের লেখার সাথে কোন কোন পাঠক একাত্ম বোধ করতে করতে এক সময় তার ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি সম্বন্ধে খোঁজ নেয়া শুরু করেন। কল্পনা ও বাস্তবের যখন মিল দেখতে পান না, তখন তাদের মতিভ্রমের অবসান ঘটে এবং তাদেরই প্রিয় কবি-সাহিত্যিক-লেখকগণ তাদের কাছে 'খারাপ' হয়ে যায়।

৪৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার চমৎকার সব মন্তব্য এসেছে আপনার এ পোস্টে। আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও অধিকাংশ চমৎকার হয়েছে।
আপনার সর্বশেষ পোস্টটিতে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি সেটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘণ্টা কয়েক আগেও পোস্টটা বিদ্যমান ছিল।

আপনার এ পোস্ট পড়ে আমার মনে যে ভাবনাটির উদয় হলোঃ খ্যাতি অর্জন কষ্টসাধ্য; সুখ্যাতি দুর্মূল্য। একবার বিখ্যাত হয়ে গেলে সেটাকে অটুট ধরে রাখা দুঃসাধ্য।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আগের পোস্টটি মডারেটরের আদেশে তুলে নিয়েছি। তবে কেন তিনি এমন আদেশ দিলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।
অযথা তিনি কোন বিব্রতকর অবস্থায় পড়ুন- সেটা আমি চাইনি বলে কথা আর বাড়াইনি।
আপনার এ পোস্ট পড়ে আমার মনে যে ভাবনাটির উদয় হলোঃ খ্যাতি অর্জন কষ্টসাধ্য; সুখ্যাতি দুর্মূল্য। একবার বিখ্যাত হয়ে গেলে সেটাকে অটুট ধরে রাখা দুঃসাধ্য।
শুধু দুঃসাধ্য নয়- দুঃসাধ্য, সেজন্যই একান্ত রুটিরুজির বিষয় না হলে শুধু মোহে বিখ্যাত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো উন্মুক্ত করা উচিৎ নয়। নিজেকে যথাসম্ভব আড়ালে আবডালে রাখতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.