নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে শুরু করে রাস্তার কুকুরের হাল হকিকত নিয়েও অনেকে বেশ সিরিয়াস দেখা যায় কিন্তু রাজনৈতিক আলোচনা শুরু করতে চাইলেই বলেন ‘ভাই প্লিজ নো পলিটিক্স’ যে কোন পার্টিতে এইটা সবচেয়ে বড় নো-নো বিষয়। তবুও, নৈমিত্তিক আলোচনার সময় এমন একটি গুরুত্বহীন বিষয় হওয়া সত্ত্বেও, এটি কিন্তু তামাশার জন্য এক নম্বর খোরাক। রাজনৈতিক বিদ্রুপ এই শ্লেষাত্মক কৌতুকগুলো আড্ডায় বা আলোচনায় অন্যরকম এক মশলা দেয়।কৌতুকের ব্যঙ্গাত্মক অংশটুকু কাউকে (এই ক্ষেত্রে একজন রাজনীতিবিদ) বা কিছু (রাজনৈতিক ঘটনা) শ্রোতাদের চরম হাসির খোরাক জোগায়- এবং অনেকেই তাঁর সমর্থনকারী নেতা ও পার্টি নিয়ে বিব্রতবোধ করেন যা অপরিপক্কের জন্য বেশ আনন্দদায়ক হয়।
আপনি এটা সত্য বলে মেনে নিতে পারেন কিংবা নাও পারেন, কিন্তু প্রথম রাজনৈতিক শ্লেষাত্মক কৌতুক নিয়ে যতদুর জানা যায় জারদের শাসনামলের পরে ফের স্তালিনের নৃশ্বংস একনায়কত্বের অধীনে সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘ইতিহাসের রাজনৈতিক রসিকতা’ হিসাবে ফিরে আসে। যতদুর জানা যায় ‘বরিস ওরম্যান’ নামে একজন ব্যক্তি যিনি একটি বেকারিতে কাজ করতেন। ১৯৩৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি তাঁর বেকারির ক্যাফেটেরিয়াতে একজন সহকর্মীর সাথে রাজনৈতিক কৌতুক শেয়ার করেছিলেন।কৌতুকটি তিনি নাকি বেশ উচ্চস্বরে বলেছিলেন এবং এই নিয়ে দুজনে বেশ হাসাহাসি করেছিলেন। এই কারনেই তাকে ইতিহাসে প্রথমবারের মত রাজনৈতিক কৌতুক বলার অপরাধে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। যাইহোক, পরবর্তীতে সোভিয়েত জীবনে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা হলেও নানা উপায়ে রাজনৈতিক শ্লেষাত্মক জোকস কোন না কোন উপায়ে সারা দেশময় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পারিবারিক গল্পের টেবিলের চারপাশে নিচুস্বরে সেই কৌতুক মানুষকে দিয়েছিল বদ্ধঘরে মুক্তির স্বাদ নেবার অপার শান্তি!
১৯৮০-এর দশকে, এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানও পুরনো সোভিয়েত রাজনৈতিক রসিকতাকে হোয়াইট হাউস থেকে দূরে রাখতে পারেন নি। তিনি এসব এত পছন্দ করতেন যে, জানা যায় ওভাল অফিসে একটি কক্ষে গোপন দেরাজে লুকিয়ে রাখা বিশেষ কোডে লেখা সোভিয়েত রাজনৈতিক কৌতুকের সংগ্রহ ছিল।
*************
ক জজ এজলাস থেকে বেরিয়ে খাস কামরায় এসে হাসির দমকে ফেটে পড়লেন। পাশের কামরা থেকে তাঁর এক সহকর্মী তাকে এভাবে হাসতে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, কি ব্যাপার তুমি এমন করে হাসছ কেন?
জজের হাসতে চোখের পানি বের হয়ে গেছে। পেট চেপে ধরে তিনি কোন রকমে বললেন, এইমাত্র আদালত থেকে আমি দুর্দান্ত একটা জোকস শুনে আসলাম। কোন মতেই হাসি ঠেকিয়ে রাখতে পারছি না।
সহকর্মী জজ উদগ্রীব হয়ে বললেন, কি এমন জোকস শুনলে ভায়া আমাকে বল না?
- তোমার কি মাথা খারাপ। কিছুক্ষন আগেই এই জোকস বলার দায়ে আসামীকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে আসলাম।
***

যারা আপনার সাথে তাদের ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আলোচনা করতে চায় তারা প্রায় কখনই চায় না যে আপনি তাদের সাথে আপনার নিজস্ব মতামত শেয়ার করেন।
***
গরম বাতাসের বেলুনে থাকা একজন মহিলা দিক্ হারিয়ে ফেলেছেন, তাই সে নীচের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একজন পুরুষকে চিৎকার করে বললেন, "মাফ করবেন। আমি একজন বন্ধুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমি তার সাথে দেখা করব, কিন্তু আমি জানি না আমি কোথায় আছি।
"আপনি ৩১ ডিগ্রি, ১৪.৫৭ মিনিট উত্তর অক্ষাংশে এবং ১০০ ডিগ্রি, ৪৯.৯ মিনিট পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে আছেন," ভদ্রলোক উত্তর দিলেন।
"আপনি অবশ্যই ডেমোক্র্যাট?"
"জ্বী। তা আপনি কিভাবে জানলেন?"
“কারণ আপনি আমাকে যা বলেছেন তা প্রযুক্তিগতভাবে সঠিক, কিন্তু তথ্যটি অকেজো আমি এখনও আমার সঠিক অবস্থান বুঝতে পারছি না। সত্যি বলতে, আপনি আমাকে খুব বেশি সাহায্য করেননি।
"আপনাকে অবশ্যই রিপাবলিকান?"
"হ্যাঁ আপনি জানলেন কি করে?"
বেশি গরম বাতাসের জন্য আপনি অনেক উপরে উঠে গেছেন।আপনি এমন একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যা এ অবস্থাতে রাখতে পারবেন না তারপরেও আপনি আশা করেন আমি এ অবস্থাতে আপনাকে সাহায্য করব। আপনি এখনো ঠিক সেই এই অবস্থানেই আছেন যেটা আমার সাথে আলোচনার আগেও ছিলেন। তারপরেও দোষটা আমার ঘাড়েই চাপাচ্ছেন।
আমেরিকা এমন একটি দেশ যা এমন নাগরিক তৈরি করে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে সাগর পাড়ি দেবে কিন্তু ভোট দেওয়ার জন্য রাস্তা পার হবে না।
***
রাজনৈতিক কৌতুক করার কি কারণ হতে পারে?
আমরা ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত না এমন কারো বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণে জমে থাকা তিক্ততা প্রকাশ করা। রাজনীতিবিদদের রসিকতা তাদের সিদ্ধান্ত এবং বক্তৃতার সাথে আমাদের মতানৈক্য দেখানোর একটি মজার উপায়।আমরা চাই রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আমাদের কাতারে থাকুক, তারা আমাদের মত অনাড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন করুক। কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগই ঘটে উল্টোটা! আমাদের ক্ষোভটা তখন উগড়ে যায় শ্লেষাত্মক কৌতুক হিসেবে – এটাই এক ধরনের অক্ষম নাগরিকদের অস্ত্র হয় তখন।

***
ছেলেঃ বাবা, আমি বড় হয়ে রাজনীতিবীদ হতে চাই।
বাবাঃ তুমি কি পাগল? তুমি কি বোকা? তুমি কি অপদার্থ??
ছেলেঃ থাক বাদ দাও। রাজনীতিবিদ হবার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন মনে হচ্ছে!!
***
রাজনীতি হল; সমস্যাগুলি সন্ধান করা, তাদের খুঁজে বের করা, তাদের ভুল নির্ণয় করা এবং তারপরে ভুল প্রতিকার (চিকিৎসা) প্রয়োগ করা।

যে রাজনীতিবিদ সুদীর্ঘ সময় ধরে এমনটা চলমান রাখতে পারবেন তিনিই হবেন ইতিহাসের মহান নেতা।

***
"ওসামা এখনও বেঁচে আছে কিনা আমরা জানি না" এমন অসংখ্য আলোচনার পরে ওসামা বিন লাদেন নিজেই টেড কেনেডিকে তার নিজের হাতে লেখা একটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন যাতে তিনি জানান যে, তিনি এখনও খেলায় আছেন।
কেনেডি চিঠিটি খুললেন যেটিতে কোডেড বার্তার একটি মাত্র লাইন, 370HSSV-0773H মাত্র লেখা আছে। কেনেডি চরম বিস্মিত হয়েছিলেন।
কোডের মাথামুণ্ডু কিছু বুঝতে না পেরে তিনি হাতে ধরে ছবি তুলে এটি জন কেরিকে ই-মেইল করেছিলেন।
কেরি এবং তার সহযোগীরাও কোনো ক্লু খুঁজে পাচ্ছিল না, তাই তারা এটি এফবিআই-এর কাছে পাঠিয়ে দিল। এফবিআই-তে কেউ এটি সমাধান করতে পারেনি, তাই এটি সিআইএ, তারপর এনএসএ-তে গেল। এর অর্থ সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায়, এফবিআই অবশেষে মেরিন কর্পস ইন্টেলিজেন্সকে সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করল।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে 'মেরিন কর্পস' এই উত্তর দিয়ে ফেরত পাঠাল, "কেনেডিকে বলুন তিনি বার্তাটি উল্টো ধরে রেখেছেন।"

রাজনীতিবিদরা এমন লোক যারা সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখতে পেলেই আরো কিছু সুরঙ্গ খোড়ার পরিকল্পনা শুরু করে দেয়!

***
রাজনৈতিক বিষয়ক আলোচনাটা কি বিরক্তিকর আর একঘেয়ে ছিল? তাহলে শেষমেশ আসেন একটা রাশিয়ান কৌতুক শুনি;

একজন লোক পরপর চারটে বিয়ে করেন- কিন্তু রহস্যজনকভাবে সবার মৃত্য হয় । অফিসের এক সহকর্মী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনার প্রথম স্ত্রী মারা গেলেন কিভাবে?
"মাশরুমের বিষক্রিয়ায়।"
"আর দ্বিতীয় স্ত্রী?"
"মাশরুমের বিষক্রিয়ায়।"
"আর তৃতীয়টি?"
"মাশরুমের বিষক্রিয়ায়।"
"আর চতুর্থ?"
"মাথায় আঘাত পেয়ে।"
"???"
"মাশরুম খেতে চায়নি।"

***শুভরাত্রি***

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩১

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া জোকগুলো পড়ে হাসছিলাম কিন্তু মাশরুমের বিষক্রিয়ায় মানুষ মরে নাকি এইটা পড়ে তো হাসি থেমে গেলো। আমি অনেক মাশরুম খাই! :(

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা কি কইলেন আপু; এই দেখেন আপনার মত সুন্দরী মাশরুম (জব্বর বিষে ভরা)

এর এক টুকরা খাইলেই -পরপারের টিকিট কনফার্ম!!
মাশরুম আমিও খাই। ধন্যবাদ অনেকদিন বাদে মন্তব্য করার জন্য।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: Hello Asshole কমন পড়ে গেছে :) শেষের ছিল অবিস্মরণীয় :)

রাজনীতির উপর একটা বিখ্যাত কৈতুক লিখেছিলাম :) রাজনীতি

ঐ কৈতুকটা বলুন তো, আমরা কি আর বুঝি না তুমি এর দ্বারা কোন দেশের কথা বুঝাইছ?

বুঝতে পারছেন নি, কোনটার কথা বললাম? :)

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: জোকসতো কিছু না কিছু কমন কারো না কারো পড়বেই :)
আপনারটা চিরসত্য তবে মৌলিক কৌতুক- পড়ে এসেছি।

আপনি যেই কৌতুকটার কথা বলছেন আমি বুঝতে পারিনি :( আপনিই বলে দেন না ....

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৫

স্প্যানকড বলেছেন: দেশের লোকদের রাজনৈতিক আলাপ দিয়ে বেশী ব্যস্ত রাখা যায় অথচ এই বেশী বুঝতে পারা লোকগুলি অসুর দের পিছনে ঘুরে ঘুরে জীবন শেষ করে শুধু কিছু একটা পাবার মোহে । ভালো লেগেছে । সবচেয়ে ভালো লাগলো “ Asshole " এই কোড । ভালো থাকবেন সব সময় :)

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: কঠিন কঠিন পড়া লেখা আর কাজে ভাল লাগছিল না -তাই একটু কঠিন বিনোদনের ব্যাবস্থা :)

একদম সত্য কথন ব্রাদার।

অনেক ধন্যবাদ-ভাল থাকবেন আপনিও।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



বাংলাকে রাজনৈতিক জোকস বলে বলে সোনার বাংলা বানানো দরকার।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০১

শেরজা তপন বলেছেন: এদের আর কোন কিছু বলে থামানো যাবে না। এরা সব কিছু শোনার আর বোঝার উর্ধ্বে চলে গেছে !!!! :(

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের প্রথম কাজ ছিলো খাদ্য সংগ্রহ করা দ্বিতীয় কাজ ছিলো সেই খাদ্য নিজেদের অধিকারে রাখার জন্য রাজনীতি করা।ভালো চালাক খারাপ চালাক রাজনীতিবিদরাই দেশ চালায়।রাজনৈতিক কারনেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।তারা হেমিলনের বাশিওয়ালা।হাজার হাজার লোককে তাদের পিছনে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে।
শেষের কৌতুকটা ভালো লাগলো।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: দাসপ্রথা, সামন্তবাদ, ফাঁকা বুলি মিথ্যে আশ্বাস জাতীয়তাবাদ, দেশের জন্য জান দিয়ে শহীদ হওয়ার সার্টিফিকেট এই সব রাজনীতিবীদদের হাত ধরেই এসেছে।

রাজনীতিই স্বাধীন মানুষকে পরাধীনতার শেকলে বেঁধে ফেলেছে।

অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ব্লগেও যারা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আলোচনা করতে চায় তারা প্রায় কখনই চায় না যে আপনি তাদের সাথে আপনার নিজস্ব মতামত দিবেন। তারা শুধু চায় প্রচার।

মতামত দিলেই অকথ্য গালাগালি।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও দেখে মর্মাহত হই মাঝেমধ্যে। বিরোধী মত থাকতেই পারে- সবাই সবরকম বুঝবে আমন কোন কথা নেই। সবার মতামত( মোটামুটি ভদ্রতাসম্পন্ন) গ্রহন করার মত মানসিকতা না থাকলে ওপেন ফোরামে লেখার আর কোন দরকার নাই।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আলোচনা করতে চায় তারা প্রায় কখনই চায় না যে আপনি তাদের সাথে আপনার নিজস্ব মতামত শেয়ার করবেন......................।

হাহাহাহাহা এর উপর কোন সত্য নাই। :P

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই তেনারা এত বেশী বোঝেন- খালি চান সবাই হা করে শুনবে তাদের কথা, তারা ঈশ্বরের পর্যায়ে পৌছে গেছেন!

ধন্যবাদ আপু।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমি চুপচাপ পড়ে গেলাম। কিছু বলি নাই। ;)

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: কেন কিছু না বলেই চলে গেলেন?
কিছু বলে গেলে ভাল লাগত- অবশ্য রাজনীতিবিদেরা কিছু শুনতে চায় না, আম পাবলিকদের চুপচাপ থাকাই শ্রেয়!

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: পলিটিক্যাল জোকস বা মজাচ্ছলে সমালোচনা দরকার বলেই মনে করি। কিন্তু এখন দুই পক্ষই বেশ অসহিষ্ণু।
এক, যারা সমালোচনা করে, তাদের সমালোচনার ভাষা ভালো নয়৷ সরাসরি ব্যক্তি আক্রমণ বা বাজে শব্দ ব্যবহারের দিকে চলে যায়৷

দুই, যাদের সমালোচনা করা হয়, তারা খুব সাধারণ মতানৈক্যও স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারে না।

সবাই খুব এগ্রেসিভ।

রস+আলো তার আগে আলপিনের রাজনৈতিক স্যাটায়ারগুলো ভালো লাগত। এখন তো আর নাই।

কোন পত্রিকায় যেন রাশান জোকস দিত, নিয়মিত পড়তাম। অত হাসি না পেলেও, ভালো লাগত।

ওসামার জোকসটা ভালো লাগছে।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: পলিটিক্যাল ফিগারদের ব্যাপারে যা বলেছেন শতভাগ ঠিক!


হ্যাঁ রস আলোর কথা মনে আর। যায় যায় দিনেও সম্ভবত বেশ পলিটিক্যাল জোকস দিত।
কোন পত্রিকায় রাশিয়ান জোকস দিত নাকি? আমার জানা নেই।


ভাল থাকবেন- মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন।
যদিও আজ ১৮ রমজান। যাইহোক, বিশ্বে সবচেয়ে রসিক জাতি হচ্ছে আমেরিকা। আর সিরিয়াস জাতি হচ্ছে- মিশরীয়রা।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: শুভ রমজান।
মুজতবা আলী পড়ে দেখবেন- মিশরীয়রা খুবই রসিক আর আড্ডাবাজ জাতি। আমেরিকান তো বারোভাজা জাতি।
পেশোয়ারিরা খুবই রসিক জাতি বলে জানি। রসবোধ পৃথিবীর একেক জাতির একেক রকম- আমাদের সেই ধরনটার সাথে পরিচয় নেই। রাশীয়ানরা খুবই রসিক জাতি বলে আমার মনে হয়েছে। সোভিয়েত যুগের এমন দুর্দান্ত সব কমেডি সিনেমা অন্য কেউ করতে পারেনি বলে আমার বিশ্বাস। আর রাশিয়ান জোকস তো বিশ্ব সেরা।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্টের সবগুলো জোকস আমার কাছে নতুন, কিন্তু সবচেয়ে বেশি মজার হয়েছে এটা......


"মাশরুম খেতে চায়নি।"

:)

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: বহুদিন বাদে আপনার দেখা পেলাম আমার ব্লগবাড়িতে
ওই জোকসখানা আপনার উদ্দেশ্যেই :)

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




আমার উদ্দেশ্যেই? তাই?
কিন্তু আমি আবার কবে কাউকে মাশরুমের বিষক্রিয়ায় মারলাম!!! B:-)

অবশ্য দুই একটা এরকম মারতে পারলে খারাপ হতো না :)

কেমন আছে শেরজা? বহুদিন পর দেখছি।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উদ্দেশ্য মানে আপনার পছন্দের উদ্দেশ্যে :)

কেন কাকে আবার মারতে চাইছেন? এমন কিছু মনের মধ্যে ছিল তাহলে হাঃ হাঃ

আমি বেকায়দা ব্যাস্ততা আর মানসিক (কর্ম বিষয়ক) যন্ত্রনার মধ্যে আছি। তারপরেও ভালই আছি বলতে হয়।
আপনি এখন কেমন?

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ এবং তাদের সমর্থকেরা তাদের ও তাদের দল নিয়ে কৌতুক বলা পছন্দ করেন না । তবে সেই এমন কি আমি আওয়ামীলীগ বিএনপি যে একপক্ষকে নিয়ে কৌতুক করি তাহলে যাদের নিয়ে করবো তারা সেটা মোটেই নিতে পারবে না । কিন্তু বিপক্ষ দল আবার ঠিকই সেটা পছন্দ করবে । আবার যদি সেই বিপক্ষ দল নিয়ে কৌতুক করি তাহলে সেটা সেই বিপক্ষ দল পছন্দ করবে না অথচ তারা নিজেরাই কিন্তু একটা আগে প্রতিপক্ষকে নিয়ে কৌতুক পছন্দ করেছে ।
এই দেশে সব থেকে বষ সমস্যা হচ্ছে পছন্দ করা কেবল পছন্দ করার ভেতরে সীমাবব্ধ থাকে না । জেল জরিমানা পর্যন্ত নিয়ে যায় !

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: চশুধু আমাদের দেশ নয় কোন দেশের রাজনীতিবিদেরাই নিজেদের দল নিয়ে কৌতুক পছন্দ করে না।
তবুও এত রক্তচক্ষু, জেল জরিমানা, গুম খুন অত্যাচারের ভয় উপেক্ষা করে রাশিয়াতে সোভিয়েত আমলে সহস্রাব্দের সেরা জোকসগুলো তৈরি হয়েছে।
খুব আরামে থাকা মানুষগুলো রাজনীতি নিয়ে কৌতুক বলে না-মানুষের যখন কন্ঠরোধ করা হয়, দেয়ালে পিঠ থেকে যায়, রাজনীতিবিদদের দাপটে সবাই অসহায় হয়ে পরে তখুনি কোতুক হয়ে ওঠএ অসহায় মানুষের বড় একটা হাতিয়ার।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রাজ নীতি হইল রাজার নীতি। আমাদের দেশে রাজনীতির নামে যা চলে তা হলো আসলে কৌতুক।

পারিবারিক অবক্ষয় ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের চমৎকার ডিসপ্লে |


দেখতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: দেখলাম ওদের সর্বোচ্চ দেবার চেষ্টা করেছে- প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে গ্লোবাল ব্যাবসার সাথে যতটুকু রাজনীতির কনটেন্টের সাথে এর যোগসুত্র খুব বেশি কি আছে?

লিংকের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




আপনি এখন কেমন?

আমিতো সবসময় বিন্দাস!!!
no complain about life.

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ফেসবুকীয় স্টাইল :-B

এমনি করে সব সময় চিল ও বিন্দাস থাকেন এই তো কামনা করি।

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেষেরটা চরম হয়েছে!!! =p~

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া জোকগুলো পড়ে হাসছিলাম কিন্তু মাশরুমের বিষক্রিয়ায় মানুষ মরে নাকি এইটা পড়ে তো হাসি থেমে গেলো। আমি অনেক মাশরুম খাই! :( কেনা মাশরুমে সমস্যা নাই। জঙ্গলে গিয়ে কুড়িয়ে না খেলেই হলো। অবশ্য কাকে কি বলি............তুমি তো রাজকন্যা, টোকাই না। :P

২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: যাক কিছু একটা তো ভাল লেগেছে :)

এভাবে আপনি তাঁহার ঘাড়ে সওয়ার হলেন কেন?

১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার কল্যাণে বেশ ভালো কিছু রাজনৈতিক জোকস পড়া হলো। স্কুল কলেজে পড়ার সময় এই ধরনের অতি উত্তম রাশিয়ান রাজনৈতিক এবং মিলিটারি জোকস বেশ শোনা যেত। এখন কোন কারণে সেগুলো আর তেমন শোনা যায় না।

৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ একসময় রাশিয়ান জোকসের দিন ছিল! সবার আগ্রহ ছিল সোভিয়েত আমলের কৌতুকে- কি দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্ত্বার সাথেই না সেইসব কৌতুকগুলো রচিত হয়েছে। যেমন ব্যাঙ্গাত্মক, তির্যক, গভীর তাৎপর্যমূলক ও দম ফাটানো হাসির। কোন ভাড়ামী ও কাতুকুতুর ব্যাপার ছিল না।
এখন আর সেইরকম কৌতুকের জন্ম হয় না। আফসোস!!

১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রাশিয়ান জোকটা ছিল বাক্‌স্বাধীনতার উপর। পুরোপুরি মুখস্থ নাই। অনেকটা এরকম।

দুই পথচারী পরস্পর আলাপ করতে করতে যাচ্ছিল।

আমাদের প্রেসিডেন্ট হলো সর্বকালের নিকৃষ্ট জীব, চরম মিথ্যাবাদী, প্রতিটা কথায় মিথ্যা বলাই যেন তার উপাসনা। সে একটা ডাইনি।

হঠাৎ কেজিবি সদস্যরা তাদের দুজনকে ঘিরে ধরলো। বললো, 'তোমাদের অ্যারেস্ট করা হলো। তোমরা আমাদের প্রেসিডেন্টকে চরম মিথ্যাবাদী বলেছ, ডাইনি বলেছ।'

পথচারী দুজন থতমত খেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললো, 'না, আমরা তো আমাদের রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের কথা বলি নাই, বলেছি পুগান্ডার প্রেসিডেন্টের কথা।'

'চুপ, এক্কেবারে চুপ', কেজিবি সদস্যরা ধমকে উঠে বললো, 'কোন দেশের প্রেসিডেন্ট চরম মিথ্যাবাদী আর ডাইনি, তোমরা কি মনে করছো আমরা তা জানি না?'

:) :)


যারা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আলোচনা করতে চায় তারা প্রায় কখনই চায় না যে আপনি তাদের সাথে আপনার নিজস্ব মতামত শেয়ার করবেন।


আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যারা রাজনৈতিক বা ধর্মীয় আলোচনা করেন, তারা চান সবাই যেন কোনোরূপ 'দ্বিমত' ব্যতিরেকেই তাদের মতামতকে গ্রহণ করেন, তাদের মতামতকে আদর্শ মেনে নেন, সত্য ও শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকৃতি দেন। তাদের মতামতকে নাকচ করে দিলে, কিংবা দ্বিমত পোষণ করলেই শুরু হয় দ্বন্দ্ব, যার পরিণতি হতে পারে অনেক তিক্ত ও ভয়াবহ।


৩১ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: এরকমই একটা কেমন যেন অন্যধারার কৌতুক শুনেছিলাম- ভুলে গেছি :)
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ কট্টর মৌলবাদ্র, একগুঁয়ে নাস্তিক আর রাজনীতিবিদেরা খুব অসহিষ্ণু আর গোঁড়া হয়- এরা অন্য কারো মতামত গ্রহন করতেই পারে না। নিজেরটাকেই শ্রেষ্ট বাণী বলে ধারনা পোষণ করে।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রখর রসবোধের কারণে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রীগানকে আমার ভালো লাগতো। তার মুখে (কোন একটা ভাষণে) গর্বাচভকে নিয়ে একটি জোক শুনেছিলাম।
ছোট বেলায় রীডার্স ডাইজেস্ট হাতে পেলে প্রথমেই সরাসরি চলে যেতাম ’লাফটার ইজ দ্য বেস্ট মেডিসিন’ এর পাতায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.