নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার আদি সংস্কৃতি ও ধর্মান্তরিত মুসলিম!

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪


(প্রথমেই বলে নিচ্ছি এটা কোন ধর্মীয় পোস্ট নয় এটা ইতিহাসের আলোচনা)
গতকাল ঢাবিয়ানের একটা পোস্টে ব্লগার @ ব্লগার ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন,
বিষয় হলো ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন আজকের বাংলাদেশের মানচিত্রের ভেতরে থাকা বেশীরভাগ মানুষই এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিলো। এই কথা তেমন কাউকেই বলতে শুনি না, কিন্তু জাত-পাত আর অন্যায় অত্যাচারের কারনে আমাদের পূর্ব-পুরুষরাই একসময় সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
ও আলাদা ভাবে ধর্ম উল্লেখ না করলেও অনেকটা একইভাবে ব্লগার ঊণকৌটী বলেছেন,
সবই ভারতের থেকে আলাদা হয়েছে তার মধ্যে ৯০% কনভার্ট এখন যদি ভারতীয় সাংস্কৃতিক লিঙ্ক অস্বীকার করেন তবে আপনারা কে?
মি এনাদের দোষ দেই না- যেখানে বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রিচার্ড ম্যাক্সওয়েল ইটন, আহমদ শরিফ, মুহাম্মদ মোহর আলী ও যদুনাথ সরকার একমত পোষণ করেন যে, ইসলাম ধর্মপ্রচারক দ্বারা নিম্ন বর্ণের হিন্দু থেকে অধিক সংখ্যায় বাঙালি মানুষ ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে।
***
প্রাক-ইসলামী ইতিহাস (ইতিহাস থেকে)
খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে বাংলায় ধান চাষকারী সম্প্রদায়ের বসবাস। এই অঞ্চলটি একটি বৃহৎ কৃষিজীবী জনসংখ্যার আবাসস্থল ছিল, যাদের উপর ভারতীয় ধর্মের সামান্য প্রভাব ছিল। প্রথম সহস্রাব্দে অঞ্চলটিতে বৌদ্ধধর্ম প্রভাব বিস্তার করে। বাংলা ভাষা অপভ্রংশ এবং মাগধী প্রাকৃত থেকে সপ্তম থেকে দশম শতাব্দীর মধ্যে বিকাশ লাভ করে।

বিন্দুসারের মৃত্যুর পরে অশোকার সিংহাসন গ্রহনের মধ্য দিয়ে খৃষ্টপূর্ব ২৭২ সাল সময়কাল থেকে বৌদ্ধধর্মের যে উত্থান শুরু হয় সেটা পাল সম্রাজ্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পেয়েছিল ৮ম শতাব্দীতে এসে।

বাঙালি বৌদ্ধ পাল সাম্রাজ্যটি ৮ম শতাব্দীতে উত্থিত হয়েছিল। ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে বৌদ্ধ নেতা প্রথম গোপাল সার্কায় নির্বাচন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্য ধ্রুপদী এশিয়ার বৃহত্তম সাম্রাজ্য শক্তিগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত হয়। পালগণ মহাযান ও তান্ত্রিক বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেছিলেন। তারা অনেক অসামান্য মন্দির, মঠ এবং শিল্পকর্ম তৈরির পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। আব্বাসীয় খিলাফত, তিব্বতীয় সাম্রাজ্য এবং শ্রীভিজায়া সাম্রাজ্যের সাথে পালরা দৃঢ় বন্ধুত্বের সম্পর্ক উপভোগ করেছিল। ধর্মপাল এবং দেবপালের অধীনে সাম্রাজ্য শীর্ষে পৌঁছেছিল। পুনরুত্থানকারী হিন্দু সেন রাজবংশ দ্বারা প্রতিস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত তারা চার শতাব্দী ধরে রাজত্ব করেছিলেন। ব্রাহ্মণ নিপীড়ন ভারতে বৌদ্ধধর্মের পতনের মূল ভূমিকা পালন করেছিল; পরবর্তীকালে মুসলিমদের বিজয় ঘটে।

১২০৪ সালে ইখতিয়ার আল-দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির (তুর্কি বংশোদ্ভূত কুতুব উদ্দিন আইবকের একজন সামরিক জেনারেল) আগমনের সাথে শুরু করে ১৭৫৭ সালে বাংলার শেষ নবাবকে পরাজিত করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখল নেওয়া পর্যন্ত মুসলমানরা সাড়ে পাঁচ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বাংলা শাসন করেছে। *( রেফারেন্সঃ সিরাজ-উদ-দৌলা সিদ্দিক ও হাবিব, ২০১৭)

গত দুই হাজার বছরের অধিক সময়ের বাঙ্গালীর ও বাংলার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় সত্যিকারে হিন্দুরা এই অঞ্চল শাসন করেছে সাকুল্যে একশত বছর মাত্র। হাজার বছরের অধিক সময়ে এখানে বৌদ্ধদের প্রভাব ছিল বেশী। আজও অব্দি বাংলায় মাটির নীচ থেকে আদি কালের যত পূরাকীর্তি বেরিয়ে আসে তাঁর অধিকাংশই বৌদ্ধবিহার বা মঠের।

বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি আমাদের বরিশাল হতে উদ্ভব বৈষ্ণব ধর্মেরও দুর্দান্ত প্রভাব ছিল এই অঞ্চলে। বৈষ্ণব ধর্মকে মোটেও হিন্দু বা সনাতন ধর্মের ছাঁচে ফেলা যায় না।

এবার আসি ধর্মান্তরিত বিষয়টা নিয়ে।
আরব, ফার্সি, তুর্কি, মালয়েশিয়ান এবং অনেক ভারতীয় হিন্দু এবং এশিয়ান বৌদ্ধ জাতির মিশ্রণে জন্ম হয়েছিল বহু জাতিগত বাঙালি সম্প্রদায়। বাঙালি জাতির জন্মের সময় থেকেই বাঙালিদের মধ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানরা উপস্থিত ছিল বলে মনে করা হয়। পরে অনান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীদের আগমনের পর বাঙালি মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ে। কটি বুদ্ধধর্মী এবং হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনেকে জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ-এর মতন ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।

প্রাথমিক ইসলামি সাম্রাজ্য
বাংলা সালতানাত
বাংলায় হিন্দুদের আগমনের প্রায় একশ বছর পরেই বাংলায় ইসলামের বিস্তার ঘটে। বাংলা যখন হিন্দু সেন সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল, পরবর্তী মুসলিম বিজয়, সমগ্র অঞ্চলে ইসলাম প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বখতিয়ার খলজি, একজন তুর্কি মুসলিম সেনাপতি, ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করেন ও বাংলার বিশাল অংশ দিল্লি সালতানাতের সাথে যুক্ত করেন। খলজি তিব্বতও অভিযান চালান। এই প্রাথমিক বিজয়ের পর বাংলায় ধর্মপ্রচারকদের আগমন ঘটে এবং অনেক বাঙালি ইসলামকে তাদের জীবনধারা হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করে। সুলতান বলখী এবং শাহ মখদুম রূপস উত্তরবঙ্গের বর্তমান রাজশাহী বিভাগে বসতি স্থাপন করেছিলেন ও সেখানকার মানুষের মাঝে ইসলাম প্রচার করেছিলেন। উত্তর-পূর্বের শহর উত্তর-পূর্বের শহর শ্রীহট্টে (সিলেট) বুরহানউদ্দিনের ছত্রছায়ায় ১৩টি মুসলিম পরিবারের একটি সম্প্রদায় বাস করত, তদের দাবি অনুযায়ী তাদের বংশধররা চট্টগ্রাম থেকে এসেছিল।১৩০৩ সাল নাগাদ, শাহ জালালের নেতৃত্বে শত শত সূফী প্রচারক বাংলার মুসলিম শাসকদের সিলেট জয় করতে সাহায্য করেন, যা ধর্মীয় কার্যকলাপের জন্য শহরটিকে জালালের সদরদপ্তরে পরিণত করে। বিজয়ের পর, জালাল ইসলাম প্রচারের জন্য তার অনুসারীদের বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেন এবং বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে একটি সুপরিচিত নাম হয়ে ওঠেন।

এই অঞ্চলে ইসলামের আবির্ভাবের কয়েক শতাব্দী আগে, বাংলায় বৌদ্ধ ধর্মের একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল। ১১৭০-এর দশকে হিন্দু সেন সাম্রাজ্যের পতন এবং পরবর্তীতে বিজয়ের আগ পর্যন্ত এলাকাটি কয়েক শতাব্দী ধরে বৌদ্ধ পাল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। এটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ বৌদ্ধ-ব্রাহ্মণ ধর্মীয় সংঘাতের একটি যুগ কারণ তারা ধর্মীয় ঐতিহ্যের বিপরীত শিবিরের প্রতিনিধিত্ব করত এবং বৌদ্ধ ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি সাম্যের প্রতি ব্রাহ্মণ জাতি-ভিত্তিক ক্ষমতা কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলে।
বিজয়ের কয়েক দশক পরে, বখতিয়ার খলজি এই অঞ্চলটিকে সুফি ধর্মপ্রচারকদের একটি বৃহত্তর আগমনের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। এই আলোচনা ব্যাখ্যা করে কেন ইসলাম পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে পূর্ব বাংলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মূলত, পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় পূর্ববঙ্গে প্রচুর বৌদ্ধ জনসংখ্যা ছিল। হিন্দু সাম্রাজ্যের দ্বারা এলাকা জয়ের ফলে এই অঞ্চলে বৌদ্ধদের অধীনতা দেখা দেয়। তুর্কিদের বিজয়ের সাথে সাথে সুফি ধর্মপ্রচারকদের আগমন ঘটে যারা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তর হিন্দু অঞ্চল বনাম বৃহত্তরভাবে অসন্তুষ্ট বৌদ্ধ পূর্ব বাংলাকে রূপান্তর করতে আরও সফল হয়েছিল।

বনাম বৃহত্তরভাবে অসন্তুষ্ট বৌদ্ধ পূর্ব বাংলাকে রূপান্তর করতে আরও সফল হয়েছিল।
কয়েক শতাব্দী পরে মুঘল সাম্রাজ্যের কৃষি সংস্কার সুফি মিশনকে কেন্দ্র করে কৃষি গ্রামগুলির একটি ব্যবস্থা তৈরি করে সমগ্র বাংলাদেশে রূপান্তর এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছিল। উর্বর গঙ্গা সমভূমির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য মুঘলরা এই উদ্যোশ্যে আশেপাশে ভূমিহীন কৃষকদের জমি দেয়। সুফি ধর্মপ্রচারকদের ইসলাম প্রচারের আরও সুযোগ সহ এলাকার লোকেদের বৃহত্তর ঘনত্বের দিকে পরিচালিত করে। ইতিহাসবিদ রিচার্ড এম. ইটনের মতে, ইসলাম বাংলা বদ্বীপে লাঙ্গলের ধর্ম হয়ে ওঠে। এই অঞ্চলে ইসলামের আবির্ভাব ঘনিষ্ঠভাবে কৃষির সাথে জড়িত ছিল। বদ্বীপটি ছিল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে উর্বর অঞ্চল। মুঘল উন্নয়ন প্রকল্পগুলি বন পরিষ্কার করেছে এবং হাজার হাজার সুফি-নেতৃত্বাধীন গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছে, যা শিল্পোন্নত কৃষিকাজ এবং কারিগর সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে। ব-দ্বীপের সবচেয়ে উর্বর অংশ পূর্ববঙ্গের ভাটি অঞ্চলে প্রকল্পগুলো সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট ছিল।

প্রসঙ্গ ধর্মান্তর; চারিদিকে যেভাবে গল্প ছড়িয়ে আছে, একজন বুজুর্গ বসরা থেকে ফরাসে চেপে, বাঘের পিঠে চড়ে, কিংবা কুমিরের পিঠে চেপে চলে এলেন ফরিদপুরের দুর্গম জংলা অঞ্চলে। ধরুনঃ সেখানকার লোকদের পানির ভীষন সমস্যা; কোয়ী বাত নেহী, একরাতে তিনি জ্বীনের বাদশারে ঘাড় ধরে এনে বিশাল এক দীঘি খনন করে দিলেন। তার এমন কেরামতি আর অলৌকিকতায় শত শত ভুখা নাঙ্গা উচ্চবর্নের ব্রাহ্মণ আর ক্ষত্রিয়দের দ্বারা ভীষন নিষ্পেষিত দলিত হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে শ্যাম যদু মদু নাম বাদ দিয়ে সৈয়দ শামসু, মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন,যুনাইদ সিদ্দিক হয়ে গেল!!!

ভেবে দেখুন; ধর্মান্তরিত করা আর হওয়া এতই কি সহজ? হোক সে দলিত নিস্পেষিত নিপিড়িত। ইতিহাস ঘেটে দেখুন; সমাজের সবচেয়ে অসহায় মানুষেরা সবসময় ধর্মের প্রতি সত্যিকারে বেশী দুর্বল থাকে।ঈশ্বরকে তারা সবচেয়ে বেশী আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়।
আর যেই লোকটি আসলে আকাশে উড়ে কিংবা পানিতে হেটে আসলেন তিনি আসলেই মরুভূমি শুকনোর দেশ ছেড়ে এই নদী জংলা খাল বিলের দেশে এত বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে একাকী কেমনে আসলেন? তিনি এত দ্রুত নেটিভদের সাথে কি ভাষায় কথা বললেন? কি ভাষায় ধর্ম প্রচার করলেন? তাদেরকে কোরান হাদিস সহ ধর্মের বেসিক ব্যাপারগুলো কিভাবে বোঝালেন বা শেখালেন?
একটা মানুষ যখন ধর্ম ত্যাগ করে সে শুধু ধর্ম নয় তাঁর পরিবার, সমাজ এমনকি তাঁর এলাকা ত্যাগ করতেও চিরতরে বাধ্য হয়। একজন ধর্ম প্রচারককে নিশ্চয়ই বিশাল ও শক্তিশালী দল নিয়ে আসতে হবে। না হলে সমাজপতি, আর্যসমাজ,জমিদার ও ক্ষমতাবানেরা তাঁকে একমূহুর্তের জন্য টিকতে দিবেন না- যে ধর্মান্তরিত হবে, তাঁকে পুরোপুরি শেল্টার দেবার মত ক্ষমতা তাঁর থাকতে হবে।

***পৃথিবীর কোন দেশ কারো নিজের নয়। আমরা আসলেই সবাই উড়ে এসে জুড়ে বসেছি। নৃতত্ত্ববিদেরা বলে আমাদের সবার আদিবাস আসলে আফ্রিকা।
আমার প্রশ্ন তিনটেঃ
কোন দেশে আসলে বংশপরম্পরায় কত বছর থাকলে সেটা নিজের দেশ হয়?
একটা ভাষায় কত বছর কথা বললে সেটা নিজের ভাষা হয়?
আর একটা সংস্কৃতি কত বছর চর্চা করলে নিজস্ব সংস্কৃতি হয়?


ফের ব্লগার ঊণকৌটী’র মন্তব্য নিয়ে আসছি;
তিনি বলেছেন: এই অঞ্চলের মুসলিম রা তো আর আরব বা তুরস্কের থেকে আসেনি সবই ভারতের থেকে আলাদা হয়েছে তার মধ্যে। ৯০% কনভার্ট এখন যদি ভারতীয় সাংস্কৃতিক লিঙ্ক অস্বীকার করেন তবে আপনারা কে? মনে রাখবেন যেকোন জাতি তার পুরোনো অতীত গৌরব যদি ভুলে যায় তবে সে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার পৃথিবীর ৫৩ মুসলিম দেশের মাত্র দুটো দেশ তার অতীত অস্বীকার করে সে কে? অন্ধকারে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার পরিচয় ১ পাকিস্তান আর দ্বিতীয় আপনারা।
( সেই অতীত কোন অতীত প্রিয় ব্লগার সেইটা আগে জানুন?)

২২০০ বছরে মাত্র ১০০ বছর এ দেশ শাসন করে যদি হিন্দুরা মনে করে তাদের এ দেশ –এ দেশ, দেশের ভাষা, দেশের সাংস্কৃতির ধারক বাহক তারা, তবে ৫৫০ বছরের অধিককাল শাসন করা মুসলমানেরা (এরা তুর্কী, আফগানী, আরবীয় আর হাবশি মুসলিম ছিল) আর হাজার বছর শাসন করা বৌদ্ধ আর জৈন ধর্মালম্বীরা কি বলবে?
***
আর একটা কথা না বললেই নয় শতবর্ষ ধরে দুই বাংলার উচ্চবর্ণের হিন্দুরা মুসলমানদের দেখিয়ে বেশ নাক সিটকিয়ে বলছে, 'ওই মুচলমান ন্যাড়ারা এয়েচে তো অচ্যুত হিন্দুদের থেকে।' এই বলে তারা নিজেদের বড় উঁচু জাত মনে করে আত্মপ্রসাদ অনুভব করে।

মুসলমান শাসকেরা যদি বিদেশী হয়ে থাকে এবং তারা হাজার বছরের পরিক্রমায় তাদের সংস্কৃতি যদি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি না পায় তবে আর্য ব্রাহ্মন ক্ষত্রিয়রাও তো বিদেশী তাদের অনুপ্রবেশ করানো রথ বলি হোলি ডোলি ( আমি ঠিক জানি না আসলে কোনগুলো, এটা উদাহরণ মাত্র তবে ধারনা করি বর্তমান আমরা যেসব পালন করি তাঁর নব্বুইভাগ বাইরে থেকে অনুপ্রবেশ করা হয়েছে) সহ বাঙ্গালী হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে মিশে যাওয়া বহু কালচারাল একটিভিটিস কেন আমাদের সংস্কৃতি হবে?
(মুসলমান শাসকেরা যে একেবারে ধোঁয়া তুলসীপাতা তা মোটেও নন। পৃথিবীর প্রায় সব শাসকেরাই হিংস্র নিষ্ঠুর অমানবিক নারী লোলুপ ভোগী ছিলেন। এরা জোর করে যে কিছু মানুষকে ধর্মান্তরিত করেনি তা মোটেও নয়। আর কিছু কলচর এটা নিজেদের মনমতো করেছেন, যখন যেমন যা চেয়েছেন। একসময়সেটাকেই আঁকড়ে ধরে আমরা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ করে জান কুরবান করে ফেলেছি)

* গতকাল ব্লগার ঢাবিয়ানের পোস্টে আমি বাংলায় গত কয়েকশ বছরে বিদেশী রক্ত আর ধর্মান্তরিত মুসলিমদের অনুপাতের আদমশুমারীর একটা চিত্র আমি দিয়েছি।
লিঙ্কঃ স্বদেশী বোধ জাগ্রত করুন

***তথ্যগত ভুল থাকতে পারে। বিষয়টা নিয়ে যুক্তিতর্ক গঠনমূলক আলোচনা হতে পারে কিন্তু কুতর্ক, ধর্ম নিয়ে ব্যাঙ্গ তামাশা, কিংবা
উগ্র মৌলবাদী আচরন গ্রহণযোগ্য হবে না।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২

নিমো বলেছেন: আপনার তিনটা প্রশ্নই অত্যন্ত যৌক্তিক। বাংলার সত্যিকারের আদিবাসীদের আমরা কলম্বাসের মত করেই উৎপাটিত করেছি। কিছুদিন আগেই একটি বই পড়ছিলাম, যেখানে লেখক দেখিয়েছেন আফ্রিকা তার অতীত সময় থেকেই জনসংখ্যায় খুব বেশি তারতম্য হয় নাই, কিন্তু প্রাচ্য-প্রতীচ্য জনসংখ্যাভারে পর্যুদস্তু। বাংলা ভাষা নিয়ে আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে। এথনোসেন্ট্রিজম, জেনোফোবিয়া, ফ্যানাটিসিজম, ফান্ডামেন্টালিজম,ফ্যাসিজম দিয়ে যা বুঝানো যায়, তা মৌলবাদ বা ধর্মান্ধর মত শব্দ দিয়ে যায় না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিছু নিয়ে আলোচনা করতে গেলেই ধর্ম আর উটকো জাতীয়তাবাদের গোঁড়ামি দিয়ে আলোচনা থামিয়ে দেয়।
মানুষ না জেনেই ইতিহাস নিয়ে সিরিয়াস আলোচনা করে। এদেশ নিয়ে আমাদের এখনো অনেক কিছু জানার বাকী আছে -অতীত ইতিহাস, জনজাতিক, ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। সবাই আবছা জেনে গুরুগম্ভীর আলোচনায় ব্যস্ত আছি।
চারিদিকে শুধু ভুলে ভরা ইতিহাস আর যার যার হ্যাডামের গপ্পো!!

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: একই প্রশ্ন আমি নিজেকে করি এবং পাকিদের করে হটিয়ে দিয়েছি ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: :) আমাদের অতীত গৌরব বলতে আসলে কোন গৌরব সেইটা আগে জানতে হবে? সেটা কি হিন্দু রাজা নন্ন আমলের গৌরব নাকি বৌদ্ধ পাল আমলের গৌরব নাকি মুসলিম সুলতান আমলের গৌরব?
এইটা তিনি খোলসা করেননি।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১০

নতুন বলেছেন: আমারও ধারনা ছিলো যে নিন্মবর্ণের হিন্দুের অনেকেই ধমান্তরিত হয়েছে।

তবে আপনার প্রশ্নগুলি যৌক্তিক।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: এই ধারনাটা নিয়ে আমিও বড় হয়েছি। এখন ধীরে ধীরে জানছি- এটা কত বড় ভুল।
হিন্দু আর্য ইতিহাসবিদেরা এইটে বলেই আমাদের মগজ ধোলাই করে একেবারে পার্মানেন্ট মাথায় গেঁথে দিয়েছেন।
হ্যাঁ কিছু নিন্ম বর্ণের হিন্দু ধর্মান্তরিত হয়েছেতো বটেই তবে তা বৌদ্ধ ও জৈন বৈষ্ণব ধর্ম থেকেও প্রচুর হয়েছে। এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ৯০ ভাগে নিয়ে পুরো মুসলিমদেরকে নিন্মবর্ণের হিন্দুদের কাতারে ফেলে একটা ফায়দা লোটার চেষ্টা করা হয়েছে।

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ২২০০ বছরে মাত্র ১০০ বছর এ দেশ শাসন করে যদি হিন্দুরা মনে করে তাদের এ দেশ –এ দেশ, দেশের ভাষা, দেশের সাংস্কৃতির ধারক বাহক তারা, তবে ৫৫০ বছরের অধিককাল শাসন করা মুসলমানেরা (এরা তুর্কী, আফগানী, আরবীয় আর হাবশি মুসলিম ছিল) আর হাজার বছর শাসন করা বৌদ্ধ আর জৈন ধর্মালম্বীরা কি বলবে?
***

খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: এখানে আমি কিন্তু কোন ধর্মকে টার্গেট করিনি বিষয়টা মাথায় রাইখেন ভাই।
বিষয়টা নিয়ে কেউ কেউ একটু বেশি সিরিয়াস হয়ে যায় মনে করে তাদের থেকে আমরা অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছি সেই জন্যই বললাম।

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

ঊণকৌটী বলেছেন: গতকাল আমার বক্তব্য ছিলো মূলতঃ ভারতীয় সভ্যতার প্রসঙ্গে মোটামোটি আমরা সবাই জানি যে সিন্ধু নদ
উপত্যকা থেকেই যা এখন পাকিস্তানের অংশ এই সভ্যতার সৃষ্টি  হিন্দুস্থান এই নামের আক্ষরিক অর্থ "সিন্ধু নদের দেশ"। অর্থাৎ এই অঞ্চলের সকলেই হিন্দুস্থানীয় সভ্যতার অন্তর্ভুক্ত লক্ষ্য করেন আমি কিন্তু কোনো ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করছি না কারণ এই অঞ্চলে শক ,হুন ,শৈব,মৌর্য সাম্রাজ্য, বৌদ্ধ ,ব্রাহ্মণ্যবাদ তারপর মুসলিম শাসকদের রাজত্ব সর্বশেষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ভারতীয় প্রজাতন্ত্র  মজার কথা হিন্দুস্থান বা ভারতীয় সভ্যতার নামটি কিন্তু কখনোই পাল্টায় নি  যুগে যুগে বিভিন্ন শাসক গোষ্ঠী শাসন এই অঞ্চল আগামীতেও কেউ না কেউ আসবে কিন্তু সভ্যতা টা একই থাকবে কারণ সভ্যতার কোনো ধর্ম হয়না,  আর হিন্দু তাদেরকেই বলে যারা এই অঞ্চলের অধিবাসী, সনাতন ধর্ম আর হিন্দু  কিন্তু এক না I

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চমৎকার ভাবে আলোচনা আসার জন্য।
আপনার এই গঠনমূলক মন্তব্য অবশ্যই পোষ্টের মান বাড়িয়ে দিবে।
এখন যে কথাগুলো বলেছেন সেটা আগের থেকে অনেক বেশি যৌক্তিক।
দেখুন অনেক হিন্দুদের হিন্দু বললে মন খারাপ করে তারা নিজেদের সনাতন ধর্মলম্বী হিসেবে নিজেদেরকে দাবি করে- কিন্তু আবার যখন ঝামেলায় পড়ে তখন বলে যে সনাতন ধর্মাবলম্বী আর হিন্দু এক নয়।
আপনার কথা অবশ্যই ঠিক সভ্যতার কোন ধর্ম হয় না কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা সব ভুলতে পারিনি তাই ধর্ম নিয়ে খুব বেশি কচলাকচলি করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন। সময় সুযোগ করে আরও কথা হবে।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেখাটা আমার বেশ মনে ধরেছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মনের মত লেখা পছন্দ তো হবেই :)

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



আপনার প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর বের করার জন্য তেমন কেউ মাথা খাটানোর কথা নয়,কারণ এগুলো কন্টিনিউয়াস প্রসেস।

বৌদ্ধ,হিন্দু,মুসলিম শাসকদের পর বৃটিশরা ২০০ বছরে ধর্মটাকে কিছু করতে চেয়েছে? বা পেরেছে?

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: ব্রিটিশরা আমার ধারনা প্রথমে যার যার মত তাদেরকে থাকতে দিতে চেয়েছে তারপরে সবার ভিতরে ক্যাচাল লাগিয়ে একটা বড় ধরনের ঝামেলা পাকিয়ে গিয়েছে। যেটা ক্যাচাল আর হাজার বছরের মিটবে না।
যার মধ্যে একটা এই মুহূর্তে আমরা করছি।

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আফসোস।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ভীষণ আফসোসের ব্যাপার!!! :)

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বৃটিশরা খৃষ্টানধর্ম চাপিয়ে দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি; তবে তৎকালাীন প্রচলিত ধর্মগুলো মডিফাই করেছে, নিজেদের সুবিধার্থে.

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

শেরজা তপন বলেছেন: ওরা মূলত ব্যবসায়ী জাত ওদের মূল ধান্দায় ছিল ব্যবসা করা ধর্ম নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায় নি ওরা তবে যেসব খ্রিস্টান যাজকরা এসেছিল তারা চেষ্টা করেছে অনেক মানুষকে ধর্মান্তরিত করার জন্য। কিছু ক্ষেত্রে বেশ সফল ও হয়েছিল তারা।

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেখাটা আমার নিরপেক্ষ বলেই মনে হয়েছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যথাসম্ভব নিরপেক্ষ লেখার চেষ্টা করেছি -তবে যদি কোন ভাবে কারো পক্ষে যেয়ে থাকে সে যেন দুঃখ প্রকাশ করছি।

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩

নাহল তরকারি বলেছেন: দেশ, জাতি, সংস্কৃতি, ধর্ম। খুব সেনসেটিভ বিষয়। সুন্দর করে উপস্থাপন করতে না পারলে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লেগে যায়। আপনার এই ব্লগটি “ভারতের পন্য বয়কট” এরে রেশ ধরে এসেছে আমি বুঝেছি। আমিও একটি ব্লগ লিখেছিলাম যেটার মূল উদ্দেশ্য ছিলো যে সব পন্য দেশে উৎপাদিত হয় সে সব পন্য ভারত থেকে না আমদানী না করলেও চলে। যে গুলো ভারত থেকে আমদানী করাই লাগে সেগুলো আমদানী করেন। সমস্যা নাই। সমস্যা হচ্ছে যে সব পন্য দেশে উৎপাদিত হয় সেগুলো আমদানী করবেন কেন? দরকার হলে ৫ কেজির জায়গায় তিন কেজি আটা খামু, তারপরেও কোন দেশ থেকে আমদানী করমু না।

এই ব্লগটি লেখার পর অনে মনে করিয়াছিলো যে আমি হিন্দু, ভারত এদের বিপক্ষে কথা বলেছি। যা সম্পন্ন ভুল। আমি শুধু বলেছিলাম যে সব পন্য দেশে উৎপাদিত হয় সেগুলো আমদানী না করাই ভালো। যেমন ফ্রেশ, তীর, বসুন্ধরার আটা। কুল সেভিং ক্রিম এগুলো দেশে উৎপাদিক পন্য। এগুলোর বিদেশী পন্য আমি জীবনেও কিনবো না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তুর সাথে আপনার মন্তব্য খুব বেশী সাদৃশ্যপূর্ন নয়।
ভারতের বিপক্ষে কথা বললে আপনাকে কেন হিন্দু মনে করবে সেটা বুঝলাম না?

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ভাল ইতিহাস তুলে ধরেছেন । একটা ভুল ধারনা এই অঞ্চলে সবসময় প্রচলিত যে, ভারতবর্ষে মোঘলরা জোড়পুর্বক হিন্দুদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছে নাহয় অবহেলা বঞ্চনার শিকার হয়ে নিম্ন বর্নের হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মানুষকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এটা ঠিক। এই ঘটনাটা শুধু মুসলিম সুলতানদের আমলেই ঘটেনি, সর্বকালেই সব রাজা সম্রাট আগ্রাসনকারী কিংবা ক্ষমতাবানদের আমলেই দুর্বলদের উপরে সবল ও আর্যদের অত্যাচারের বড় একটা মাধ্যম ছিল ধর্ম।
তবে ইতিহাস বলেঃ জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ হিন্দু রাজা রাজা গণেশের পুত্র যদু হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ধর্মান্তরিত মুসলমান হিসেবে বাংলার অধিকাংশ শাসন করেন। জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ বাংলার হিন্দুদের ইসলামে দীক্ষিত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।বাঙালি জাতির জন্মের সময় থেকেই বাঙালিদের মধ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানরা উপস্থিত ছিল বলে মনে করা হয়। পরে অনান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীদের আগমনের পর বাঙালি মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ে। তবে কিছু বুদ্ধধর্মী এবং হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনেকে জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ-এর মতন ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। তবে এটা নেহায়েত ৫-১০% শতাংশের বেশী নয়।
এটা ১৪১৭ খৃষ্টাব্দের পরের ঘটনা।

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটা মোটামুটি কৌতুহলোদ্দীপক। তবে কতগুলো প্রশ্ন করা যেতে পারে বলে মনে করি।

শাসকের সংস্কৃতি আর শোষিতের সংস্কৃতি কী এক? বাবরনামা (সম্রাট বাবরের আত্নজীবনী, এই ক্ষুদ্র পুস্তকটি সৈয়দ মুজতবা আলী খুব প্রসংসা করেছেন) তে একটা ঘটনার বর্ননা আছে। বাবর তার সৈন্যদের আদেশ করলেন রসদ সংগ্রহ করে নিয়ে আসার জন্য। সৈন্যরা গেল নিকটবর্তী গ্রামে ডাকাতি করতে। ডাকাতির কাজ শেষে সৈন্যরা রসদের সাথে সাথে কতগুলো ছিন্ন মস্তিষ্ক নিয়ে ফিরে আসলো। গ্রামের যেসব গরীব চাষা ডাকাতির কাজে বাধা দিয়েছিলো, মাথাগুলো তাদের। তো, এই হলো মোটের উপর আপনার মুসলিম শাসকদের পরিচয়।

মুসলমান কৃষকের সংস্কৃতির আমার মতে যতনা তখনকার নিম্মবর্নের হিন্দু সমাজের সংস্কৃতির সাথে মেলে, মুসলমান শাসকের সংস্কৃতির সাথে মেলে না।

ধর্মান্তর যে ঘটেছিলো এটাতো সত্যি? নিম্মবর্নের হিন্দু ধর্ম থেকে নয়, বৌদ্ধ ধর্ম থেকে ধর্মান্তর হয়েছিলো এই ধরনের আলোচনা আগে পড়েছি- এবং এটা হতে পারে। যদিও এটা প্রমাণে খুব বেশি তথ্য প্রমাণ দেখিনি। তবে এটা বোধহয় সত্যি যে বৌদ্ধদেরকে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে বিতাড়িত করা হয়েছে। বাংলাদেশে বৌদ্ধ বিহারগুলোর সাল-তারিখ দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

আর হ্যা, ন্যাড়া গালিটা কিন্তু আসলে অরিজিনালি উচ্চবর্ণের হিন্দুরা বৌদ্ধদেরকে দিতো। কারন বৌদ্ধ সাধুরা মাথা নেড়ে করে ফেলতো। মুসলিমরা তো আর মাথা কামাতো না, তাই না? তাদের ন্যাড়া বলার কারণ নেই। কোনভাবে শরৎচন্দ্র এই ন্যাড়া গালিটাকে মুসলিমদের জন্য ব্যাবহার করে বিখ্যাত করে ফেলেছেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ প্রানবন্ত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ফিরে আসছি সময় করে - আলোচনা হবে। সাথে থাকবেন।

১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০১

বিষাদ সময় বলেছেন: সাধারণ ভাবে পড়া এবং শোনা জ্ঞান নিয়েই এ হয়বরল আলোচনা । কাজেই আমার কথায় ভুল ক্রটি থাকতেই পারে। প্রথম যাদের মন্তব্য নিয়ে কথা বলেছেন তাদের সম্পর্কে বলতে হয় যে তারা সব সময় এ ধররণের একপেশে মন্তব্যই করেন। তাদের এ মন্তব্যের একটা মূল সুর হলো আসলে উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের নির্যাতনের ফলেই নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে। এ কথা একেবারে মিথ্যে তা নয়। তবে তাদের মন্তব্য বা আপনার পোস্টে হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে এমন শব্দও কোথাও নাই।

প্রথম দিকের সুফি দরবেশরা এ দেশে আগমনের পর তাদের প্রভাবে বা উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের অত্যাচারে অনেক হিন্দু স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে । তবে সেসব সুফি দরবেশদের ইসলাম আর বর্তমান প্রভাব বিস্তারকারী ইসলাম একেবারে ভিন্ন। সে সময়কার ইসলামে উদারতা যতটা ছিল এখনকার ইসলামের সংকিণতা ততটাই বেশি ।

যাহোক ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটে মোঘল শাসকরা ক্ষমতায় আসার পর এবং সে সময়ই ধর্মান্তরিতের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছিল। তার প্রধান কারণ ছিল নির্য়াতন বা লোভ। সে সময়কার ইতিহাস পড়ে হিন্দুদের প্রতি অবমাননা এবং নির্যাতন এর ইতিহাস কেন চোখে পড়লো না ঠিক বুঝলাম না।

আর মাত্র ১০০ বছর হিন্দুদের শাসন বললে মনে হয় ভুল হবে। কারণ পুরো বাংলা হয়তো হিন্দু রাজা শাসিত ছিল না কিন্তু আঞ্চলিক ভাবে হিন্দু রাজা বা জমিদাররা দীর্ঘদিন এ অঞ্চল শাসন করেছে।


'ওই মুচলমান ন্যাড়ারা এয়েচে তো অচ্যুত হিন্দুদের থেকে।'
এ কথা বললেন অথচ এক সময় স্বয়ং মুসলমানদের মধ্যেই যে আশারাফ , আতরাফ নিয়ে নাক সিটকানো ছিলো তা তো এক বারও উল্লেখ করলেন না।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এখন সূফি দরবেশদের ইসলাম বিলুপ্ত, আকবরের ইসলাম বিলুপ্ত, এখন এসেছে একেবারে ভিন্ন এক ইসলাম। তাই মনে হয় কবি আনেক আগেই আক্ষেপ করে বলেছেন,

"গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম....."
এখন সে গান গাওয়ায় নিষিদ্ধ হওয়ার পথে। প্রতিবাদটা এখনে হওয়ায় জরুরি। ধন্যবাদ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ গঠনমূলক আলোচনা। সময় করে আসছি ভায়া। কথা হবে- দেরি হলে নিরাশ হবেন না।

১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১০

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: চিন্তা উদ্রেককারী একটি লেখা, যথাসম্ভব নির্মোহ দৃষ্টিতে লিখেছেন, সংক্ষেপে যথেষ্ট তথ্য ও যুক্তি রয়েছে, ভালো লেগেছে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি যথেষ্ঠ নিরপেক্ষ থেকে লেখার জন্য। কিন্তু মন , মনন ও জন্মসুত্রে একজন মুসলিম ধর্মীয় হবার জন্য সবক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারিনি। তবে ইতিহাস যেভাবে লেখা হয়েছে তাঁর আলোকে আমি লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র। ইতিহাসে যদি ভুল থেকে থাকে তবে সেখানে আমার দায় বর্তায় না।
আমাদের আদি ভুমি ভাষা সংস্কৃতি ধর্ম জাতি নিয়ে সম্ভবত সঠিকভাবে ইতিহাস লেখা হয়নি। অনেক গোঁজামিল ও ভুলভ্রান্তি আছে বলে মনে হয়। সত্যিকারে আদি বাঙ্গালী কারা ও তাদের আদপে মুল সংস্কৃতি কি ছিল সেইটেতেই কেউ ঠিকঠাক ধারনা করতে পারেনি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই নিয়ে গোলমাল চলতেই থাকবে- কোন সুরাহা হবে না মনে হয়।

১৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৯

সত্যপীরবাবা বলেছেন: ধর্মান্তরিত মুসলিম কই বাংলাদেশে? যারেই জিজ্ঞেস করবেন তারই পূর্বপুরুষ নাকি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসছে !!!! তাও গরিবী হালতে না বা জীবিকার তাগিদে না বা এক এলাকা থেকে উচ্ছেদ হয়ে ভাসমান হিসেবেও না --- আপনি যে রকম বলেছেন --- একেবারে ফেরেশতার ডানায় বা নিদেনপক্ষে বাঘের কাঁধে চড়ে পুরা ফ্যামিলি শুদ্ধ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি না পেলেও আমি কিছু খুঁজে পাই - আমার নিজেরই সন্দেহ হয় পুর্বপুরুষ নিয়ে।
এই কলকাতার বাঙ্গালরা যেমন বলে নাকি সবার পূর্বপুরুষ নাকি একসময় এদেশের জমিদার ছিল- এরাও তেমনি বলে :)
যে যেভাবেই আসুক সবাই এসেছে ক্ষমতা অর্থ আর সওয়াব হাসিলের লোভে। কেউ ব্যাবসায়ী সেজে এসেছে কেউ ধার্মিকের বেশে বিশাল কাফেলা নিয়ে কেউ যোদ্ধা নিয়ে দেশ দখল করতে।

১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলমান এবং ইংরেজরা শাসন করলেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত ছিলো হিন্দুরাই।এখনো ভারতে হিন্দুরাই প্রতিষ্ঠিত।৪৭ য়ে যখন দেশ ভাগ হয় তখনো সমাজে হিন্দুরাই প্রতিষ্ঠিত।তখনকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বেশির ভার হিন্দুদের দ্বারা প্রতুষ্ঠিত।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আদি বাংলার সংস্কৃতি ও ধর্মান্তরিত মুসলমানদের নিয়ে আলোচনা করছি। ইদানিং কালের বিষয়টাকে উহ্য রেখেছি। আর পুরো ভারত নিয়ে এখানে আলোচনা হয় নাই। শুধু বাংলা ও বাঙালী নিয়ে কথা হচ্ছে।

১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৭

কথামৃত বলেছেন: আপাতত লাইক দিলাম। পরে মন্তব্য করবো

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে আপনার গঠনমূলক সমালোচনা ও মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ...

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বৃহত্তর আদী ভারতীয়রা কখনোই বিদেশে ডাকাতি করতে দখল যায়নি। খাদ্যভাবে মরুভুমির ডাকাতদের মত বিদেশে দখল লুট করতে যায়নি।
শুধু হিন্দু বলা হলে সমস্য। স্থানীয় ধর্ম বললে ভাল। কারন ভারতে শতাধিক ধর্ম হাজারো উপধর্ম ছিল এখনো আছে।
বাঙালি ভারতীয় না, সত্য। কিন্তু এককালে বাংলা বৃহত্তর ভারতের সাথেই ছিল ভৌগলিক কারনে।
আদিম কাল থেকেই বাংলা তথা ভারত উপমহাদেশ সুজলা সুফলা স্বনির্ভর সম্পদে সমৃদ্ধ একটি দেশ ছিল।
ভারত উপমহাদেশ তথা বাংগালীরা ও ভারতীয়রা কখনোই বিদেশে ডাকাতি করতে দখল যায়নি। খাদ্যভাবে বিদেশে দখল লুট করতে যায়নি। ভারত নিজেই সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু সতর্ক না থাকায় বারবার বিদেশী জলদস্যু বা মরুভুমির ক্ষুধার্ত তষ্কর ডাকাতদল দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। অশ্বারহী বাহিনী ছিলনা,

বিদেশী জলদস্যুরা মরুভূমির তস্কররা বকতিয়ার ডাকাতরা, চেঙ্গিশ হালাকু খুনেরা এসে ভারতের সর্বনাস করে গেছে। যত লাইব্রেরি আর তক্ষশিলা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংশ করেছে
জাপান এশিয়ার অন্যতম দেশ যারা কখনো বিদেশি তস্কর দ্বারা আক্রান্ত হয়নি, সমুদ্র বাধার কারনে বিদেশিরা দখল করতে পারেনি। তাই নিজেরা ধিরে ধিরে ভালোভাবে উন্নতি করতে পেরেছে।
এইসব বকতিয়ার ডাকাতরা আমাদের দেশে ইসলাম প্রচার করতে আসে নি। এদেশে ইসলাম এসেছিল সুফি পির দরবেশ দের মাধ্যমে। অবস্য জামাতিরা বর্তমানে এইসব সুফিবাদি পির বাদিদের মুসলিম মনে করে না। ধর্ম ব্যাবসার ভাগ দিতে চায় না আরকি।

প্রাচীন আমলে ডাকাত তস্কর ঠেকাতে চীনারা দেওয়াল নির্মাণ করেছিল। ভারতের ছিল প্রাকৃতিক দেয়াল। উচু হিমালয় কাঞ্চঞ্জঙ্ঘা হিন্দুকুশ, কারাকোরাম তোরাবোরা পাহাড় ঘিরে ছিল আর ছিলো গভীর শিন্ধু নদের বাধা। পুর্বেও পদ্মা যমুনা মেঘনার কাদা মাটির দুর্গম বাধা। সহজে বহিরাগত ডাকাতরা অনুপ্রবেশ করতে পারত না।

ভারত ছিল ইউরোপিয়ানদের কাছে একটি সমৃদ্ধ ড্রিমল্যান্ড।
কলম্বাস লুটপাটের উদ্দেশ্বে সম্পদে সমৃদ্ধ ভারত আবিষ্কার করতে পথভুলে আমেরিকা মহাদেশে চলে গেছিল। পরে ভাস্কোডাগামা কালিকটে আসতে সক্ষম হয়েছিল সুদুর আফ্রিকা উত্তমাশা অন্তরিপ ঘুরে।
ভারত যখন অন্যান্ন এলাকা থেকে অঙ্কশাস্ত্র জ্ঞ্যানেবিজ্ঞানে উন্নত, পুর্ব ভারতে যখন তক্ষশীলা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তখন ব্রিটিষ পশ্চিম ইউরোপবাসিরা তখন সম্পুর্ন নিরক্ষর। জংলি, দিগম্বর বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াতো। অনেক পরে শিক্ষিত হয়েছে।
ভারতীয়রা যদি চীনের মতো প্রাচীর দিয়ে পর্বত এর ফাঁক ফোকোর গুলো বন্ধ তরে চেংগিশ হালাকু বকতিয়ার ডাকাতদের রুখতে পারতো। তাহলে ভারত- বাংলাই জাপানের মত পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ থাকতো।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আগে বলেন আদি ভারতীয় বলতে আপনি কাদের বোঝাচ্ছেন?

২০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




চমৎকার জ্ঞানগর্ভ আর অনুসন্ধিৎসা উদ্রেককারী একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। বিষয়ের গভীরতা ইতিহাসের সত্যাসত্যের উপর নির্ভরশীল তাই দীর্ঘ
আলোচনার সুযোগ আছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, বিজয়ীরাই ইতিহাস লেখে। বিজিতরাও যে লেখেনা তাও কিন্তু নয়। এদের সত্যাসত্য এখন নির্ণয় করবে কে ?
মহাবেকুবের মতো বলি - পৃথিবীতে "আদম-হাওয়া" এসেছিলেন প্রথম। সুতরা্ং সারা পৃথিবীটাই তাদের বংশধরদের। আর কারো নয়.... :P B:-/

সত্যাসত্য যা-ই হোক, আপনার করা প্রশ্ন তিনটির উত্তর সঠিক ভাবে জানা গেলে, ইতিহাসের সত্যসত্যও অনেকাংশে উন্মোচিত হবে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন বাদে পাইলাম। আগে বলেন, এমনি করে হারায় গ্যালেন ক্যান?
কতদিন আপনার লেখা পড়ি না!!

বিজয়ীরা ইতিহাস লেখে ঠিক কিন্তু আমাদের মত গো-মূর্খ মহা মুর্খ কিংবা কিছু জ্ঞানপাপীরা সেই ইতিহাসকে ফের নিজেদের মত করে ফের নতুন ঢঙ্গে রঙ চং লাগিয়ে সাজিয়ে লেখে। ইতিহাস যত পুরনো হয় তত বেশী ভ্যাজাল মেশে। একসময় আসল ইতিহাসের যেটুকু সলিড ছিল তাও হারিয়ে যায়।
মহাবেকুবের মতো বলি - পৃথিবীতে "আদম-হাওয়া" এসেছিলেন প্রথম। সুতরা্ং সারা পৃথিবীটাই তাদের বংশধরদের। আর কারো নয়.... :P B:-/

এইটাই যদি সবাই ঠিকঠাক বুঝত তাহলে এত জাত পাত ধর্ম জাতীয়তবাদ এর ঝামেলাই ছিল না। :)
সবাই আমরা আজাইর‍্যা ক্যাচাল নিয়ে মেতে আছি।

২১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন:
আপনি দেখি কাছা ধরে টান দিয়েছেন। এভাবে কখনো ভেবে দেখিনি। আমি বড়জোর তিন পুরুষ পর্যন্ত জানি কিন্তু তার আগে ?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি পাঁচ ছয় পুরুষ পর্যন্ত জানি- তিনি বেজায় কৃষ্ণ গাত্রবর্নের মানুষ ছিলেন বলে শুনেছি, তাই তাঁর নাম ছিল কালাই শেখ। যদিও ইতিহাস বলে ইথিওপিয়ান বা হাবসিরা এই বঙ্গভূমি আট বছরের অধিককাল শাসন করেছে। এমনও হতে পারে তাদের বংশধর তিনি :)

২২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

দুচোখ জুড়ে ব্যাথ্যার শ্রাবণ বলেছেন: দুক্ষিত ভাইটি। নিকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের নাম মিছে মিছে লাগানোই মিজাজ হারাইয়া ফেলছিলাম। কইবেন কুনু প্রমাণ আছেনি এডি ঢাবির নয়। একজনের পোষ্ট ও মন্তব্যের ধরণ কইয়া দিবে ঐডি কোন পুরকুরের মাছ। কেলাস এইটের বাচ্চাডিও জানে সম্রাট আওরঙ্গজেব মূগুল শাষণ আমলে হিন্দুগো উপর জিজিয়া কর চাপাইয়া দেয়।ফলে বহুত হিন্দু ধর্মান্তরিত হইয়া মুসলমান হয় সে অন্যায্য কর থেইকা বাঁচতে।যাহারা ধর্মান্তরিত হৈয়াছিলেন তাগো কর মাফ কইরা দিছলেন সম্রাট। ইহা কি জোর কইরা ধর্মান্তরিত নয়? সুন্দর আলোচনা হইতেছিল।উহারে বহুদিন ধৈরা নজরে রাখছি। ঐডিরে কাল্পনিক সাহেব পোষ্টে মন্তব্যে ভুলভাল তথ্য সস্তা ধর্ম টাইনা আনায় গতকল্য তিরস্কার করেছিলেন । ও হ্যাঁ, বলদ ব্লগের রথীমহারথীদেরগো বহুল বেহহৃত একখানা শব্দ। ওগো থিইকা শিখছিলাম। অন্য যাহারা এই শব্দ প্রয়োগ করিয়া থাকেন উহারা কখনো আপনারে মর্মাহত করেছিলেন?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: ভারতে ইসলামী শাসকরা ১১ শতক থেকে শুরু করে অমুসলিমদের উপর জিজিয়া আরোপ করেছিল। কর ব্যবস্থার মধ্যে জিজিয়া ও খারাজ কর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মুসলিম দরবারের ইতিহাসবিদ জিয়াউদ্দিন বারানী লিপিবদ্ধ করেছেন যে বায়ানার কাজী মুগিসুদ্দিন আলা আল-দীনকে উপদেশ দিয়েছিলেন যে ইসলামে হিন্দুদের উপর জিজিয়া আরোপ করা, অবমাননা দেখানো এবং হিন্দুদের অপমান করা প্রয়োজন এবং জিজিয়া আরোপ করা সুলতানের একটি ধর্মীয় কর্তব্য।
১৪ শতকের শেষের দিকে, তুঘলক রাজবংশের সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের স্মৃতিচারণে উল্লেখ করা হয়েছে, তার পূর্বসূরি সমস্ত হিন্দুদের উপর কর আরোপ করেছিলেন। তবে ব্রাহ্মণদের জিজিয়া কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন এবং ফিরোজ শাহ কম হারে ব্রাহ্মণদের কাছে কর গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো ঘোষণা করেন যে যে কোন হিন্দু যারা ইসলাম গ্রহণ করবে তারা কর ও জিজিয়া থেকে অব্যাহতি পাবে এবং সেইসাথে তার কাছ থেকে উপহার পাবে। যারা হিন্দু থাকার সিদ্ধান্ত নেন, তিনি জিজিয়া করের হার বাড়িয়ে দেন।
কাশ্মীরে, সিকান্দার বুটশিকান তার নব্য ধর্মান্তরিত মন্ত্রী সুহাভট্টের নির্দেশে বংশানুক্রমিক বর্ণের বিলুপ্তিতে আপত্তিকারীদের উপর জিজিয়া ধার্য করেছিলেন।গুজরাটের একজন শাসক আহমদ শাহ (১৪১১-১৪৪২), ১৪১৪ সালে জিজিয়া প্রবর্তন করেন এবং এত কঠোরতার সাথে এটি সংগ্রহ করেন যে অনেক লোক তা এড়াতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে ১৫৭৯ সালে তৃতীয় মুঘল সম্রাট আকবর কর্তৃক জিজিয়া বাতিল করা হয়।যাইহোক, ১৬৭৯ সালে আওরঙ্গজেব সামরিক চাকরির পরিবর্তে অমুসলিম প্রজাদের উপর পুনরায় জিজিয়া আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেন, এমন একটি পদক্ষেপ যা অনেক হিন্দু শাসক এবং মুঘল আদালতের কর্মকর্তাদের দ্বারা তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছিল।
একটি বিষয়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে পরিবর্তিত নির্দিষ্ট পরিমাণ এবং কর-সংগ্রহ প্রায়ই দুর্যোগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের জন্য মওকুফ করা হয়; এছাড়াও, সন্ন্যাসী, মুস্তামিন, মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, বেকার, অসুস্থ এবং উন্মাদ সকলকে চিরতরে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।কর সংগ্রাহকদের মুসলমান হতে বাধ্য করা হয়েছিল।
কিছু কিছু এলাকায় বিদ্রোহ পর্যায়ক্রমিক স্থগিতের দিকে পরিচালিত করে যেমন ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব কর্তৃক ভারতের দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে জিজিয়া স্থগিত করা হয়।
~ সুত্র উইকি ( এটা আপনাকে শেখানোর জন্য নয় দেখানোর জন্য)
এটা যদি সত্য ইতিহাস হয়ে থাকে তবে এখানে এককভাবে আওরঙ্গজেব- এর দোষারোপ করার কোন কারন নেই। আর পুরো এই ইতিহাসে বঙ্গভুমির কোন আলোচনাই নথিভুক্ত হয়নি। বাংলায় কখনো জিজিয়া কর আরোপ করা হয়েছিল কিনা এই নিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ আমি অন্তত পাইনি। আপনার কাছে থাকলে জানাবেন। শুধু কর দেবার ভয়ে যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে তাদের ধর্মবোধ কতটা প্রবল ছিল বা আর্থিক ভাবে নয় শুধু মানসিকভাবে কতটা দরিদ্র ছিল সেটা একটা ভাবনার বিষয়।
এখানে আমরা শুধু বঙ্গভুমির ধর্মান্তরিত মুসলিম ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করলে অনেক জটিলতা দূর হয়ে যায়। পুরো ভারতবর্ষ নিয়ে আলোচনা এত সল্প পরিসরে সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আপনার উপলব্ধিবোধের জন্য।

২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার বিষয়ে লেখার জন্য। আমি মনে করি আপনার এই লেখায় যদি যথাযথ রেফারেন্স ব্যবহার করা হতো, তাহলে পোস্টটি আরো সমৃদ্ধ হতো। পোস্টের আলোচনায় ব্লগার হিসাবে যুক্ত হবার ইচ্ছে থাকলেও সঞ্চালক না ব্লগার টাইপ অনভিপ্রেত জটিলতার কারণে এড়িয়ে যাচ্ছি। আপনাকে এবং আলোচনায় অংশ নেয়া সকল ব্লগারদের ধন্যবাদ।

দ্বিতীয়ত, পোস্টের বিষয়ের বাইরে মন্তব্য করার জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি।
দুচোখ জুড়ে ব্যাথ্যার শ্রাবণ নামক একজন ব্লগার তার মন্তব্যের একটি অংশে বলেছেন, এই ব্লগে এনের মতন বলদ খুব কম আছে। নামের সাথে ঢাবি লাগালেই যে কোন বলদ ঢাবির ছাত্র হয়ে যায়না উহা বুইজ্জা লইবার লাইগা ঢাবিয়ানের (মন্তব্য কইয়া দিতাছে ভুয়া ঢাবিয়ান) না জেনে বলা যে - মোগলরা জোরপূর্বক হিন্দুগো ধর্মান্তরিত করে নাই।

মন্তব্যের এই অংশ নিয়ে মডারেশনের প্রেক্ষাপট থেকে একটু আলোচনা করতে চাই।
অনেক সময় অনেক শব্দ অনেক যৌক্তিক সমালোচনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে - এতে সমালোচনার ফোকাস নষ্ট হয়। সমালোচিত ব্যক্তি বুঝতে পারেন না তাঁকে কোথায় উন্নতি করতে হবে। সমালোচনাকারী মনে করেন - এই শব্দটি ছাড়া উপযুক্ত সমালোচনা সম্ভব নয় অন্যদিকে সমালোচিত ব্যক্তি মনে করেন - এতে তাঁকে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়েছে।

একটা সময় অবশ্যই ব্লগে এই ধরনের শব্দ প্রয়োগকে খুব একটা দোষনীয় মনে করা হতো না মডারেশন প্যানেল পোস্টের বা কমেন্টের মেরিট অনুসারে বিষয়টিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করত বা এড়িয়ে যেত। সেই ধারা এখন কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। একটা সময় ব্লগে এই ধরনের কমেন্ট খুব স্বাভাবিক ভাবে দেখা হলেও বা পুরানো ব্লগাররা অনেকেই এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ করলেও বর্তমান সময়ে ব্লগারদের অধিকাংশই এই ধরনের মন্তব্য পছন্দ করে না। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ব্লগার পুরানো ধারার ব্লগিং এ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তাই মডারেশন প্যানেল এই বিষয়টি গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করছে।

আমরা আশা করব - কারো নেতিবাচক সমালোচনার ক্ষেত্রে সকলেই আরো বেশি যৌক্তিক হবেন। যাতে যার সমালোচনা করা হচ্ছে তিনি তাঁর দুর্বলতা, অজ্ঞতা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিশেষে নিজেকে সংশোধন করতে পারেন।

আপনার পোস্টে বিষয়বহির্ভূত মন্তব্য করার জন্য আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি আমার পোস্টে যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আপনার আলোচনা সবসময়ই চমৎকার, হৃদয়গ্রাহী ও গঠনমূলক হয়।
আপনার আলোচনায় অনেকে গোস্যা করলেও আমার অন্তত অনেক কিছু শেখার থাকে জানার থাকে।

* আমি কেন রেফারেন্স ব্যাবহার করিনি,; এর কারন এত বেশি ভিন্ন ভিন্ন সুত্র থেকে বিভিন্ন সময়ে এই তথ্যগুলো নিয়েছি যে আমি তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। সময় করে চেষ্টা করব, রেফারেন্সগুলো দেবার। এটা একটা ভুল সেটা দ্ব্যার্থহীনভাবে স্বীকার করছি।

২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এই অঞ্চলের বর্তমান অহংকারী ও গর্বিত মুমিন মুসলমানরা যে এক সময় হিন্দু ছিল এটা বলাই বাহুল্য ।
এবং সব চেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে - তারা ছিল সমাজের অত্যন্ত নিম্ন বর্ণের অবহেলিত হিন্দু।
আফসোস!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: পুরো লেখা পড়েছেন তো সাজ্জাত ভাই?

২৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর গবেষণা। বাংলাদেশের যে-সব মুসলমান নিজেদেরকে হেয় করে নিজেদের ইতিহাসকে বিস্মৃত হতে চান, এটা তাদের জন্য একটা ভালো জবাব। ব্লগে বিভিন্ন পোস্টে একটা গ্রুপ উঠে পড়ে লেগেছে এটা প্রমাণ করতে ও প্রচার করতেয এ, এ বঙ্গের মুসলমানরা আগে সবাই হিন্দু ছিল এবং তাও যেনতেন হিন্দু না, একেবারে নিম্নবর্ণের হিন্দু। তারা আসলে ইতিহাস কখনো পড়েন নি, বা পড়লেও বোঝেন নি। মুসলমানরা নিশ্চয়ই আগে থেকেই মুসলমান ছিল না, ধর্মান্তরিত হয়েছে। তবে, সেই ধর্মান্তকরণের নানা কারণ, নানা স্তর ও শ্রেণিবিন্যাস ছিল, যা আপনি এ পোস্টে তুলে ধরেছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা ইতিহাস থেকে মুসলমানদের অবস্থিতি ও অবদান নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছেন। হিন্দুদের গৌরবগাথা প্রচার করছেন। যে-কোনো গোত্রের জন্য এটাই স্বাভাবিক। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশের কিছু মুসলমানও ইতিহাস থেকে মুসলমানদের গৌরবগাথা, কীর্তি মুছে ফেলতে চাইছেন এবং মুসলমান শাসকদেরকে 'বহিরাগত' হিসাবে চিহ্নিত করছেন।

এক অর্থে, ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত এ বঙ্গভূমি কখনোই স্বাধীন ছিল না - মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন, মোঘল, ইস্ট-ইন্ডিয়া, পাকিস্তান - ইত্যাদি বিভিন্ন রাজ্য ও দেশের শাসকগণ এ বাংলাকে শাসন করেছেন। তারা কেউ এ ভূ-খণ্ডের ছিলেন না। শুধু গর্বের সাথে এটাই বলতে পারেন, এ বঙ্গভূমির প্রথম স্বাধীন শাসক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তবে, ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে এ বাংলার স্বাধীন রাজাদের নাম উল্লেখ আছে, যেমন শশাঙ্ক সেনকে বলা হয় বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা। কিন্তু তিনিও এ বঙ্গভূমির সন্তান ছিলেন না এবং কোথায় তার জন্মস্থান ছিল, তাও সঠিকভাবে জানা যায় না (মগধে জন্মেছিলেন বলা হয়, যে ভেগ)।

কারা যে এ বঙ্গের আদিবাসী, তা কোনোদিনই গবেষণা করে বের করা সম্ভব না। অতীতে যেতে যেতে একটা ধারণা পাওয়া যাবে মাত্র। পৃথিবীর প্রথম মানব সন্তান বা মানবগোষ্ঠী - ধর্মীয় দৃষ্টিতে আদম-হাওয়া বা এডাম ও ঈভ - এ অঞ্চলে জন্মান নি; আবার বৈজ্ঞানিকভাবেও এ অঞ্চলে প্রথম মানব জাতির আবির্ভাবের তথ্য নেই - আফ্রিকা-ইথিওপিয়ায় হতে পারে। তাহলে, আমরা এখন যারা এখানে বসবাস করি - এরা সবাই বহিরাগত। ইতিহাস ঘাঁটলে আপনি নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয়, ইত্যাদি অনার্য এবং পরে আর্য গোষ্ঠীর নাম পাবেন। তারা সবাই বহিরাগত। এরপর চিন, ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, মরক্কো, মিশর থেকে যারা এসেছেন, তারা আগের বহিরাগতদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়েছেন মাত্র। তাদের সংমিশ্রণে উদ্ভূত মানব গোষ্ঠীই হলাম আমরা। এ প্যারায় যে কথাগুলো বললাম, তা মোটামুটি বিগত ৪০ হাজার বছরের কথা। ইতিহাসবিদগণ এ পর্যন্তই জানতে পেরেছেন। আপনি কাউকে বহিরাগত বলার আগে একটা টাইমলাইন বলতে হবে - কোন সময় থেকে সেটা ধরতে হবে সেই টাইমলাইন। আগামী ৪০ হাজার বছর পরে আমাদের কী বলা হতে পারে, সেটাও ভেবে দেখতে পারেন।

আমরা বাংলাদেশের মুসলমানগণ নিজেদেরকে এত 'হীন' ভাবতে কেন ভালোবাসি তা জানি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনি লক্ষ করবেন, একটা গোষ্ঠী কীর্তিমান মুসলমান ব্যক্তিদের ইতিহাস কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা করছেন, তাদের বিপরীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিদের খ্যাতি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা কেন এটা করছেন, তা বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়। তারা কোনো একটা গোত্র বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন, যার পেছনে রয়েছে স্বার্থসিদ্ধি ও অন্য কোনো ধান্ধা।

নিজের দেশ, নিজের গোত্র - যারা অসম্মান, অপমান করেন, তাদের পরিচয় কী, নির্ণয় ন জানি। নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে, ইতিহাস মুছে ফেলে, অন্যের সেবাদাস হয়ে বেঁচে থাকায় কী সুখ, নির্ণয় ন জানি।

নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে, নিজের গোত্রের প্রতিও ভালোবাসা থাকতে হবে। সবকিছু নিয়েই হবে একটা একতাবদ্ধ শক্তি।




০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ঐতিহাসিক তথ্যসমৃদ্ধ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
ঈদের আগে শেষ মূহুর্তের ব্যাস্ততার জন্য মন্তব্যের যথাযথ উত্তর দেবার সময় করে উঠতে পারছি না বলে দুঃখিত। অবশ্যই ফিরে আসছি সময় করে। দেরি হলে মন খারাপ করবেন না।

২৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রীয়তে রাখলাম !! আরাম করে বসে পড়তে হবে !!!

০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: পড়া শেষ হলে কলমের (কি-বোর্ডের) দুই খোঁচা দিয়ে জানাইয়েন ...

২৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আদি ভারতীয় বলতে ভারত বাসি যারা ছিল।
ভারত ছিল অধরা। সারা পৃথিবীর মানুষ ভারত কে চিনতো, কিন্তু পৌছানো কঠিন ছিল।
হিন্দু বললে ভুল হবে, ভারতে হাজারো ধর্ম উপধর্ম। ভারত বাসি বলা যায়। কারন ভারতীরা ভারতেই ছিল। অন্যদেশ ডাকাতি করতে যায় নি
আপনি বললেন হিন্দুরা ১০০ বছর মুসলিমরা ২০০ এটাও বিভ্রান্তিকর। হিন্দু ধর্ম ৬০০০ বছরের পুরোনো ধর্ম। বৌধ্য ৩০০০ ইসলাম ১৪০০ বছরের।
প্রাচিন ৫ হাজার বছর আগে থেকেই ভারত অঙ্কশাস্ত্র জ্ঞ্যানেবিজ্ঞানে উন্নত,
বহিরাগত লুন্ঠনকারিরা কখনোই আমাদের উপকার করতে আসে নি। দেশ অখন্ডতা বজায় রাখতেও আসে নি। ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেও আসে নি। শ্রেফ ডাকাতি করতেই এসেছিল।
এদেশে ইসলাম এসেছে পায়ে হেটে আসা কিছু মহান সুফি দরবেশ এর মাধ্যমে।
মরুভুমি থেকে আগত বহিরাগত ডাকাতরা কেউ থেকে যায় নি, লুটের অর্থসম্পদ স্থানীয় ভাষা পর্যন্ত শিখার চেষ্টা করে নি। বা দেশের অবকাঠামো বা শিক্ষদিক্ষা উন্নতি করে নি ।
কেউ ভারতবর্ষে থেকেও যায় নি, তবে বিনা বেতনে কিছু গোলাম রেখে গেছে বন্দনা করার জন্য।


০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের বাংলায় হিন্দু ধর্ম কত পুরনো ধর্ম হিসেবে প্রচলিত ছিল আর এর আদি চেহারা আসলে কি ছিল তাঁর কোন নির্দিষ্ট প্রমান নেই। আপনি একটা জিনিস গুলিয়ে ফেলছেন; আমি পুরো ভারতবর্ষ নিয়ে আলোচনা করিনি, আমি শুধু আমাদের বাংলা নিয়ে আলোচনা সীমিত রেখেছি।
কে ডাকাতি বা চুরি করতে এসেছিল সেই নিয়েও আলোচনা হয়নি। আমাদের আলোচনার বিষয়টা অন্যকিছু।
এটা শুধু আমাদের বাঙ্গালীর আদি সংস্কৃতি আর ধর্মান্তরিত মুসলিমদের নিয়ে। আশা করি এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোকপাত করবেন।

২৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

Meghna বলেছেন: ধর্মের টিকি দাড়ি সরিয়ে যদি আপনি সাদা চোখে দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন মুসলমান বাঙালি দৈহিক গঠন গায়ের রং চোখ নাক কান মুখমণ্ডল হিন্দু বাঙ্গালীর কাছাকাছি। বাঙালিরা হিন্দু-মুসলমান পরে হয়েছে আগে বাঙালি হয়েছে। ফলে এটা স্বাভাবিক মুসলমান বাঙালিরা হিন্দু বৌদ্ধ জৈন বা অন্য কোন ভারতীয় ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়েছে।
অনেক মুসলমান বাঙালি যারা নিজেদের আরবি তুর্কি বা আফগানদের বংশধর প্রমাণের চেষ্টা করে তাদের জন্য করুণা হয়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: দেরিতে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত প্রিয় ব্লগার।
আপনি যা বলেছেন তাঁর উল্টোটাও হয়। পুরো বাঙ্গালী জাতটাই শঙ্কর জাত- বহু জাতির সংমিশ্রনে এই জাতি আজকের চেহারায় দাড়িয়েছে; নীচে স্ক্রল করে ব্লগার সোনাবীজ ভাইয়ের মন্তব্যে তাঁর কিছু রেফারেন্স পাবেন। যদিও আপনি এসব আগে থেকেই জানেন বলে আমার বিশ্বাস। এই কারনেই সবার সাথে সবার চেহারায় মিল অমিল বা একটা ছাপ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।

আরবী তুর্কি হাবসি আফগান থেকে যে অনেক বাঙ্গালী বংশধর আছে সেটা প্রমাণিত সত্য এখানে করুণা করার কিছু নেই।

২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৫

নিমো বলেছেন: এদেশ নিয়ে আমাদের এখনো অনেক কিছু জানার বাকী আছে -অতীত ইতিহাস, জনজাতিক, ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে হবে।
খাঁটি কথা। সেই সূত্রে আমার কিছু সম্পূরক প্রশ্ন আছে। যেমন: আপনি শাসকবর্গের কথা কেন শেষ মুহুর্তে টেনে নিয়ে এলেন ? শাসকবর্গের তুলনায় শাসিত বা শোষিতরা থাকে সংখ্যায় প্রবল, তাহলে তারা কেন বিবেচনায় এলোনা ?

ইতিহাসে দেখা যায় কোন একক শাসকবর্গ হয় না। যেমনটা মন্তব্যে শ্রাবণধারা বা বিষাদ সময় বলেছেন। এমনকি মুঘলরাও রাজপুতদের সাহায্য নিয়েই শাসন কাজ চালিয়েছে। তাহলে আপনার একক শাসকবর্গের ভিত্তি কোথায় ? আর শাসকদের জাতিগত পরিচয়ের চেয়ে, তাদের ধর্মীয় পরিচয়টাই বা মূখ্য হলো কেন ?

এবার আসি অন্য কিছু ব্যাপারে। বাংলা মাসের নাম গুলো, সপ্তাহের দিনগুলো, ঋতুর নামগুলো, বাংলাদেশের জেলা, উপজেলা, গ্রাম আর নদীর নামগুলোর কোন সংস্কৃতির ছাপ আছে বলে মনে করেন ?

আর শেষ প্রশ্ন ধর্মান্তরিত মুসলিমরা কি আগে বাঙালি ছিল নাকি পরে হয়েছে ?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: আর শেষ প্রশ্ন ধর্মান্তরিত মুসলিমরা কি আগে বাঙালি ছিল নাকি পরে হয়েছে ?
আপনার শেষের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে পুরো একটা পর্ব লিখতে হবে।

আমার প্রশ্ন আপনি বাঙ্গালী কাদের বলবেন? বাংলাদেশ হবার পরে বাঙ্গালী দুভাগ হয়েছে। একটা শুধু বাঙ্গালী আরেকটা বাংলাদেশী। আমি নীচে ১৩৫২-থেকে ১৫৭৬ সালের বাংলা ডাইনেস্টির যেই মানচিত্র দিচ্ছি সেখানে বাসকরা সবাইকে কি আপনি বাঙালি বলবেন? যদি আপনি সেখানে বাস করা সব মানুষকে বাঙ্গালী বলেন তবে বলতে হবে সেসময়ে ওখানকার সম্ভবত ৭০ ভাগ লোক বাংলায় কথা বলত না, তাদের ভাষা ছিল ভিন্ন।
এখনো ধরুন চাকমা, মুরং, মারমা এরা আদিবাসী হলে আদৌ এরা কি বাঙ্গালী? এদের ভাষা সংস্কৃতি চেহারা জাত সব দিকে থেকেই ভিন্নতা।


৭৫০ খৃষ্টাব্দ থেকে ১২০০ শতক পর্যন্ত শাসন করা পাল ডাইনেস্টির ভাষা ছিল সংস্কৃতি, প্রাকৃত ও পালি।
এরপরে আসে হিন্দু সেন রাজবংশ যারা প্রায় ১০০শত বছর রাজত্ব করে। এদের সময় নাকি সংস্কৃতির পাশাপাশি বাংলা ভাষায় বেশ চর্চা শুরু হয়- চলুন সেই বাংলায় চর্চার নমুনা দেখে আসি;
The Sena dynasty made significant contributions to the development of Bengali literature.
The Sena rulers were also avid supporters of literature. Bengali experienced significant growth during the Pala and Sena dynasties.
Some Bengali authors believe that Jayadeva, the famous Sanskrit poet and author of Gita Govinda, was one of Lakshmana Sena's Pancharatnas (five gems).
Lakshmana Sena was a literary enthusiast who wrote a number of Sanskrit poems. He finished Adbhuta Sagara, a book left unfinished by his father.
As his court poets, he gathered some of the most important figures in contemporary Sanskrit literature, including Jayadeva, Dhoyin, and Sharan.
Sridharadasa, Halayudh Mishra, and Umapati Dhar were among his other courtiers who wrote important treatises and works of literature.

তারপর আসি সুলতানী আমলঃ তাদের দাপ্তরিক ভাসা ফার্সী বা আরবি ছিল সেটা সবাই জানে এমন কি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলা বাংলা ভাষা পর্যন্ত জানতেন না।
বৃটিশরা এসে ফার্সি ভাষাকে হটিয়ে ভারতবর্ষের সব আঞ্চলিক ভাষাকে বিশেষ মর্যাদা না দিলে বাংলা ভাষার টিকি-টি খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত। এটা এখনো শুধু ইতরজনের ভাষা হয়ে থাকত মনে হয়।

এখন আপনি কি বলবেন, বঙ্গভুমিতে বাস করা সকল হিন্দুরা কি আগে বাঙ্গালী ছিল?

৩০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাঙ্গালী কাদের বলবেন?
খুব সহজ, বাংলা ভাষায় কথা বলে যারা। সুদূর ইউরোপে থাকা জানা, পশ্চিমবঙ্গের পদাতিক, কিংবা এদেশের আমি সবাইই বাঙালি।

লেখক বলেছেন:একটা শুধু বাঙ্গালী আরেকটা বাংলাদেশী।
একটা জাতি, অন্যটা জাতীয়তা। দুটো এক নয়। আর তাই বাংলাদেশে বাস না করেও কেবল বাংলা ভাষা বলেই বাঙালি হওয়া যায় কিন্তু পাসপোর্ট ছাড়া বাংলাদেশি হওয়া যায় না।

লেখক বলেছেন:বৃটিশরা এসে ফার্সি ভাষাকে হটিয়ে ভারতবর্ষের সব আঞ্চলিক ভাষাকে বিশেষ মর্যাদা না দিলে বাংলা ভাষার টিকি-টি খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত।
হাসালেন। বাংলার অস্তিত্ব সব সময়ই ছিল, আগামীতেও থাকবে যতদিন আপনার বলা একজন ইতরজনও বাংলা ভাষায় কথা বলবে। বিকাশটা কতটা গতিশীল হবে, তা হয়তো সমাজের পালাবদলের উপর নির্ভর করবে।

লেখক বলেছেন:এখন আপনি কি বলবেন, বঙ্গভুমিতে বাস করা সকল হিন্দুরা কি আগে বাঙ্গালী ছিল?
আপনি কোন অজানা কারণে স্থান এবং ধর্মের মধ্যে আটকে গেছেন। যে সকল হিন্দুরা বাংলা ভাষায় কথা বলতেন, তারা নিশ্চয়ই বাঙালিই ছিল। আশা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ @ নিমো ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
আমার উত্তরটা সম্ভবত আপনি ঠিক ধরতে পারেননি তাই এমন গম্ভীর যুক্তিযুক্ত একটা আলোচনায় আপনার হাসি পেয়েছে।
আপনার উত্তরগুলো খুব বেশী সহজ সরল সাধারণ হয়ে গেছে। এই বিষয়ে আমি পুরো আলোচনা সমালোচনা করতে গেলে বিশাল আকারের রচনা লিখতে লিখতে হবে; অতীব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, এই মূহুর্তে বিশেষ ব্যস্ততার কারনে আমি তা করে উঠতে পারছি না- তবে এর কিছু উত্তর আশা করি ' ঋদ্ধ ব্লগার সোনাবীজ' ভাইয়ের মন্তব্যে পেয়ে গেছেন । তবে এটা স্পষ্ট এখানে আমি বিশেষ স্থানের সংস্কৃতি আর ধর্মের মধ্যেই আটকে থাকতে চেয়েছি যার প্রমাণ আমার লেখার শিরোনাম।
সময় সুযোগ পেলে আশা করি ভবিষ্যতে কথা হবে। আমরা আশা করবে দেশ কাল ধর্ম সংস্কৃতি সহ এইসকল ঐতিহাসিক বিষয়ে আপনার নিকট হতে দারুন কিছু নিবন্ধ পে্লে চমৎকার কিছু জানতে ও শিখতে পারব। তেমন কিছুর জন্য অপেক্ষায় রইলাম...

৩১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে পোস্ট ও মন্তব্য, প্রতিমন্তব্যগুলো পড়লাম। জানার আছে অনেক কিছু। আমি আমার সপ্তম পূর্ব পুরুষ কুতুবউদ্দিন মিয়ার নাম জেনেছি আমাদের পারিবারিক বংশলতিকা থেকে তার আগের পূর্ব পুরুষদের ব্যপারে তেমন জানি না। উনার পাঁচ ভাই ছিল। নামগুলো বেশ মিল করে রাখা যেমন কুতুব, রেকাব,ওকাব আর দুটো নাম মনে করতে পারছি না। উনারা চিনির ব্যবসায়ী ছিলেন। পরবতীতে গাতিদারী ও কলকাতা কেন্দ্রীক ব্যবসা বানিজ্য করতেন। তবে যতদুর জানি ওনারা স্থানীয় ছিলেন।
এবং ধর্মান্তরিত মুসলিম। পরবর্তীতে দশগ্রামের লোকজন খাইয়ে মিয়া নামে পরিচিত হলেও পদবী "বিশ্বাস' অটুট ছিল । এদিকে নমশূদ্রদের মধ্যেও বিশ্বাস পদবী আছে। তবে আমার পূর্ব পুরুষরা অনেক অত্যাচারী ছিলেন। এলাকায় অনেক বদনাম আছে।
আসলে অনেক কিছু জানার আছে। বয়স্ক গুরুজনেরা বিগত হয়েছেন। তথ্য পাওয়া মুশকিল। আপনার পোস্ট আমার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলো।

ভালো থাকবেন।
পোস্ট ভালো লাগলো।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্‌ আপনি তো অনেক পুর্বপুরুষের খবর জানেন দেখছি।
তবে যে স্থানীয় বলছেন, তারা কি হিন্ধু ধর্মীয় ছিল না জৈন না বৌদ্ধ? আমার ধারনা ঐসময়ে হিন্দু হবার সম্ভাবনাই বেশী- কেননা পনের শতকের পরে এদেশে বৌদ্ধ আর জৈন ধর্মের মানুষ তেমন আর ছিল না।
আপনার আগ্রহ বেড়ে গেল যেহেতু সেহেতু ভাল কিছু ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা পাবার প্রত্যাশায় রইলাম ...
ভাল থাকবেন।
চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঈদের আগে শেষ মূহুর্তের ব্যাস্ততার জন্য মন্তব্যের যথাযথ উত্তর দেবার সময় করে উঠতে পারছি না বলে দুঃখিত। অবশ্যই ফিরে আসছি সময় করে। দেরি হলে মন খারাপ করবেন না।

ইদের আনন্দে আপনার সময়টা ভালো কাটুক। পোস্টে আলোচনা বেশ ভালোই হচ্ছিল, আপনি উপস্থিত থাকলে জমতো ভালো :)

যাই হোক, আরেকটু হাইলাইট করি।

যারা বাংলায় কথা বলেন, সাধারণ ভাবে তারাই বাঙালি। কিন্তু এই ডেফিনিশন খুবই সরলীকৃত। বঙ্গবন্ধু 'বাঙালি' বলতে বাংলাদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে ইন্ডিকেট করতেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীরা নিজেদের 'বাঙালি' হিসাবে মেনে নেন নি। তারা নিজেদের চাকমা, মারমা, ইত্যাদি বলেই প্রকাশ করতে চান। জিয়াউর রহমান এ কনফ্লিক্ট নিউট্রালাইজ করার জন্য 'বাঙালি' জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে 'বাংলাদেশী' জাতীয়তাবাদের সূচনা করেন।

এম আর আখতারসহ বিভিন্ন লেখক 'বাঙালি' জাতির ইতিহাস নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন। আদিমকাল থেকে 'বাঙালায়' বা 'বাংলা'য় বা 'বঙ্গে' বসবাসকারী অধিবাসীগণকে 'বাঙালি' বলা হয়, যাদের ভাষা সর্বত্রই 'বাংলা' ছিল না। উইকিপিডিয়া থেকে উদ্ধৃত করছি, যদিও এটা রেফারেন্স হিসাবে ধর্তব্য নয়, তবে এর নীচে কিছু লিংক দেয়া আছে, সেগুলো গণ্য করা যেতে পারে।

বাঙালি" শব্দটি এমন একজন ব্যক্তি বর্ণনা করে, যার ভাষাগত, বংশগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় মূলত বাংলার মাটি থেকে উদ্ভূত এবং এ ইন্দো-আর্য বাঙালি জাতিটি বঙ্গের অন্যান্য অনার্য জাতি থেকে আলাদা। বাঙালি এবং বাংলা উভয় শব্দের উৎপত্তি হচ্ছে বাঙ্গালা শব্দ থেকে, যা ছিল ফার্সী ভাষায় এই অঞ্চলের আদি নাম। মুসলমানদের প্রসারের আগে বাঙ্গালা বা বাংলা নামে কোনো অঞ্চলের অস্তিত্বই ছিল না, কারণ এই অঞ্চলটি তখন অসংখ্য ভূ-রাজনৈতিক উপরাজ্যে বিভক্ত ছিল। যেমন: দক্ষিণাঞ্চল বঙ্গ ( যার নাম থেকেই বাঙ্গালা শব্দ এসেছে বলে সাধারণত ধারণা করা হয় ), পশ্চিমাঞ্চল রাঢ়, উত্তরাঞ্চল পুণ্ড্রবর্ধন ও বরেন্দ্র ও পূর্বাঞ্চল সমতট ও হরিকেল উপরাজ্যে বিভক্ত ছিল। প্রাচীন কালে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা এসকল বিভক্ত নাম দিয়ে তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় দিতেন। যেমন: মহাভারতের মতো বৈদিক গ্রন্থগুলিতে পুণ্ড্র নামের একটি জাতির উল্লেখ আছে।

ইব্রাহিমীয় ও ভারতীয় ধর্মগুলির ইতিহাসবিদেরা মনে করেন, প্রাচীন বঙ্গরাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে বঙ্গ নামক এক ব্যাক্তি, যিনি এই অঞ্চলে প্রথম বসবাস করা শুরু করেন। ইব্রাহিমীয় বংশবিজ্ঞানীরা ধারণা করতেন যে, বঙ্গ ছিল নূহের ছেলে হামের নাতি। ধারণা করা হয়, 'ঐতরেয় আরণ্যক' গ্রন্থে প্রথম 'বঙ্গ' শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপুর্ব ৩০০ সালে।

মোঘল সম্রাট আকবরের সভাসদ আবুল ফজল ইবনে মুবারক নিজের আইন - ই-আকবরী গ্রন্থে দেশবাচক বাঙ্গালা (বাংলা) শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি বাঙ্গালা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে দেখান যে, প্রাচীন নাম বঙ্গের সাথে বাধ বা জমির সীমানাসূচক শব্দ 'আল/আইল' প্রত্যয়যোগে বাঙ্গালা শব্দ গঠিত হয়। এছাড়া ভারতীয় ইতিহাসবিদ গোলাম হোসেন সেলিমের বই রিয়াজুস সালাতিনেও এই উৎপত্তির বর্ণনা আছে।

১৩৫২ সালে হাজী শামসুদ্দীন ইলিয়াস নামে একজন মুসলিম অভিজাত শাসক শাহী বাঙ্গালা নামে একটি সালতানাত প্রতিষ্ঠা করে এই বিভক্ত অঞ্চলকে প্রথম একত্র করেন। ইলিয়াস শাহে বাঙালিয়ান উপাধী গ্রহণ করে নিজেকে অখণ্ড বাংলার শাসক ঘোষণা করেন। এই যুগেই বাংলা ভাষা প্রথম রাষ্ট্রীয় সমর্থন পেয়ে সাহিত্যিক উন্নয়ন প্রতিপাদন করে। এভাবেই ইলিয়াস শাহ "বাঙালি" নামে এই অঞ্চলের মানুষদের সামাজিক এবং ভাষাগত পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে রূপান্তরিত করেন।


সূত্র : উইকিপিডিয়া - বাঙালি জাতি

কয়েক বছর আগে 'বাঙালি', নাকি 'বাংলাদেশী' - এ বিষয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এম আর আখতারের কিছু ধারাবাহিক কলাম ছিল, যদ্দূর মনে পড়ে 'প্রথম আলোতে'। স্মৃতি থেকে বলছি, তার আলোচনার সাথে উইকিপিডিয়ার বর্ণনার অনেক মিল আছে।

আমাদের একটা বহুল প্রচলিত কতা আছে - বাঙালি একটা শংকর জাতি। ইতিহাসে তা সুস্পষ্ট। বাংলাপিডিয়ায় সিরাজুল ইসলামের প্রবন্ধ থেকে জানা যায় :

বাঙালি জাতি সম্পর্কে নৃবিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি একটি মিশ্রিত জাতি এবং এ অঞ্চলে বসবাসকারী আদিতম মানবগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর বহু জাতি বাংলায় অনুপ্রবেশ করেছে, অনেকে আবার বেরিয়েও গেছে, তবে পেছনে রেখে গেছে তাদের আগমনের অকাট্য প্রমাণ। বৃহত্তর বাঙালির রক্তে মিশ্রিত আছে বহু এবং বিচিত্র সব নরগোষ্ঠীর অস্তিত্ব। দীর্ঘকাল বিভিন্ন জন ও কোমে বিভক্ত হয়ে এ আদি মানুষেরা বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেছে, এবং একে অপরের সঙ্গে মিশ্রিত হয়েছে শতকের পর শতকব্যাপী। জাতিতাত্ত্বিক নৃবিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর চারটি প্রধান নরগোষ্ঠীর প্রতিটির কোনো না কোনো শাখার আগমন ঘটেছে বাংলায়। নরগোষ্ঠীগুলি হলো নিগ্রীয়, মঙ্গোলীয়, ককেশীয় ও অষ্ট্রেলীয়। মনে করা হয় যে, বাংলার প্রাচীন জনগুলির মধ্যে অষ্ট্রিক ভাষীরাই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের সাঁওতাল, বাঁশফোড়, রাজবংশী প্রভৃতি আদি অষ্ট্রেলীয়দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই আদি জনগোষ্ঠীগুলি দ্বারা নির্মিত সমাজ ও সামাজিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে আর্যদের আগমনের পর। বাংলাদেশের জনপ্রবাহে মঙ্গোলীয় রক্তেরও পরিচয় পাওয়া যায়। বাঙালির রক্তে নতুন করে মিশ্রন ঘটল পারস্য-তুর্কিস্তানের শক জাতির আগমনের ফলে। বাঙালি রক্তে বিদেশি মিশ্রন প্রক্রিয়া ঐতিহাসিককালেও সুস্পষ্ট। ঐতিহাসিকযুগে আমরা দেখি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এবং ভারতের বাহির থেকে আসা বিভিন্ন অভিযাত্রী নরগোষ্ঠী বাঙালি জাতি নির্মাণে অবদান রাখতে। গুপ্ত, সেন, বর্মণ, কম্বেজাখ্য, খড়গ, তুর্কি, আফগান, মুগল, পুর্তুগিজ, ইংরেজ, আর্মেনীয় প্রভৃতি বহিরাগত জাতি শাসন করেছে বঙ্গ অঞ্চল এবং রেখে গেছে তাদের রক্তের ধারা। এমনকি পাকিস্তান যুগেও আমরা দেখি রক্ত মিশ্রণে চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে এ শংকরত্ব আরো বেগবান হচ্ছে। এক কথায় বাঙালি একটি শংকর জাতি।

বাকি অংশ পড়তে চাইলে দেখুন : বাংলাপিডিয়া - বাঙালি জাতি - সিরাজুল ইসলাম

আমাদের পূর্বপুরুষ নিম্নবর্ণের হিন্দু ছিল, চোর ছিল, লুচ্চা, বদমাইশ ছিল - এগুলো বলার আগে আমাদের সবারই শেকড়ের সন্ধান করা উচিত। কারো কারো পূর্বপুরুষ চোর-ডাকাত হয়ত ছিল, তবে, অনেকেরই গৌরবময় বংশলতিকা থাকা সম্ভব। আপনার অহংকার করার মতোও অতীত থাকতে পারে, এতখানি আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন আছে। গুপ্ত, সেন, বর্মণ, কম্বেজাখ্য, খড়গ, তুর্কি, আফগান, মুগল, পুর্তুগিজ, ইংরেজ, আর্মেনীয় প্রভৃতি বহিরাগত জাতি শাসন করেছে বঙ্গ অঞ্চল এবং রেখে গেছে তাদের রক্তের ধারা। এমনকি পাকিস্তান যুগেও আমরা দেখি রক্ত মিশ্রণে চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে এ শংকরত্ব আরো বেগবান হচ্ছে। এক কথায় বাঙালি একটি শংকর জাতি।
আপনার পূর্বপুরুষ নেগ্রিটো, নাকি অস্ট্রিক, নাকি আফগান, আরব, আর্মেনীয় - তা খুঁজতে গেলে কোনো কূলকিনারা পাবেন না, আর পেলেও দেখবেন, আমরা সবাই আসলে 'বহিরাগত'ই।

ইদের অগ্রিম শুভেচ্ছা দিলাম আজই :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: আহা আগের মন্তব্যের উত্তর দিতে অপারগ হবার পরেও কত কষ্টই না করেছেন ভাই
কি দারুণ খাটুনি করে তথ্য যোগাড় করে কত সহজে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আপনার এই মন্তব্যটুকু দিয়ে আস্ত একটা পোস্ট হয়।
এই ঈদের আগে এতো বেশী পেরেশানিতে থাকি যে ইচ্ছে থাকলেও শান্তিতে ব্লগে সময় দিতে পারি না। আমারই ভুল হয়েছে এই
সময়ে এই পোস্টখানা দেয়া।
আপনার কথা ঠিক; আমি ব্লগে নিয়মিত থাকলে আলোচনা নিশ্চিতভাবে আরো জমত। কত ব্লগারের আলোচনায় কতকিছু আরো জানা যেত, মিস হয়ে গেল :(
যাই হোক আপনি ভাল থাকবে। আগামীকাল ঢাকার বাইরে যাচ্ছি- ঠিকঠাক ব্লগিং হবে না কয়েকদিন। ভাল থাকবেন ঈদ মোবারক।

৩৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাবছিলাম একটা মন্তব্য করব। কিন্তু রচনা সাইজের মন্তব্য দেখে আর সাহস পেলামনা। আমার ১/২ লাইনের এত বড় সাহিত্যের আড়ালে হারায় যাবে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার যা বলার আপনি বলুন; সমস্যা কোথায়? এক দুই লাইনের মন্তব্যের ভার অনেক সময় পুরো রচনার থেকেও বেশী থাকে।

৩৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

নিমো বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:যারা বাংলায় কথা বলেন, সাধারণ ভাবে তারাই বাঙালি। কিন্তু এই ডেফিনিশন খুবই সরলীকৃত।
আপনার প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বলি, আমার এই সামান্য বক্তব্যকে সরলীকৃত বলতেও কিন্তু আপনার বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করতে হয়েছে। হা-হা! তারজন্য উচ্চ বা নিম্ন বর্ণ, গৌরবময় বংশলতিকা,অহংকার করার মতো অতীত কিংবা রক্তধারা, মাটি থেকে উদ্ভূত সাংস্কৃতিক পরিচয়, কোথায় বসবাস, বহিরাগত,অন্তর্গত, এমন কি শংকর জাতি কোন কিছুর দরকার নেই। হয়তো ইন্টারনেট লেগেছে। ভালো থাকুন।

৩৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমারও ধারণা এটাই ছিল যে, যারা বাংলায় কথা বলেন, তারাই বাঙালি। কিন্তু আমার কথায় তো আর ডেফিনিশন সর্বজনীন হবে না। যারা এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন ও ইতিহাস লিখে গেছেন, আমি তাদের কথাগুলো তুলে ধরেছি। তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, লিংকগুলো সময় করে পড়তে পারেন। এ সম্পর্কে অনলাইনেও অনেক লেখালেখি আছে। বহিরাগত, শংকর - এসব শব্দ তো আমার না :)

আমার এই সামান্য বক্তব্যকে সরলীকৃত বলতেও কিন্তু আপনার বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করতে হয়েছে। হাহাহা। কথাটা আপনার ওজনের তুলনায় খুবই হালকা হয়ে গেছে। আমরা তো বাংলায়ই লিখছি, তাই না? ইংরেজিতেও কি লেখার স্কিল আমাদের ছিল না? লিখলে তো আমার আর আপনার একই বক্তব্যই হতো, তাই না?

যাই হোক, ইদ আনন্দে কাটুক। শুভেচ্ছা।

@নিমো ভাই।

৩৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:১৬

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ @ নিমো ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
আমার উত্তরটা সম্ভবত আপনি ঠিক ধরতে পারেননি তাই এমন গম্ভীর যুক্তিযুক্ত একটা আলোচনায় আপনার হাসি পেয়েছে।

আপনাকেও ধন্যবাদ। এমন গম্ভীর যুক্তিযুক্ত একটা আলোচনায় আমার হাসির জন্য আমি দুঃখিত। একগাদা ডা্ম্প করা তথ্যে উত্তরটা সম্ভবত ঠিক ধরতে না পারার জন্যও দুঃখিত।

লেখক বলেছেনআপনার উত্তরগুলো খুব বেশী সহজ সরল সাধারণ হয়ে গেছে।
সময় থাকলে দেশ বিভাগ থেকে ভাষা আন্দোলন হয়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এদেশ প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করলেই আমার উত্তরগুলোর খুব বেশী সহজ সরল সাধারণ হওয়ার কারণটা সম্ভবত ঠিক ধরতে পারবেন।

লেখক বলেছেনএই বিষয়ে আমি পুরো আলোচনা সমালোচনা করতে গেলে বিশাল আকারের রচনা লিখতে লিখতে হবে; অতীব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, এই মূহুর্তে বিশেষ ব্যস্ততার কারনে আমি তা করে উঠতে পারছি না- তবে এর কিছু উত্তর আশা করি ' ঋদ্ধ ব্লগার সোনাবীজ' ভাইয়ের মন্তব্যে পেয়ে গেছেন
আপনি পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দের সাথে ঈদ পালন করুন। আমার মত নাদানের উত্তর না দিলেও চলবে। পুরো পিডিয়া কপি-পেস্ট আর জিয়ার সমতল থেকে মানুষ নিয়ে পাহাড়ে চারাগাছের মত রোপন করে স্থায়ী ক্যাচালের জন্ম দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দার ব্যাখ্যাদাতা যদি হয় ঋদ্ধ ব্লগার ! তাহলে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন

লেখক বলেছেনসময় সুযোগ পেলে আশা করি ভবিষ্যতে কথা হবে। আমরা আশা করবে দেশ কাল ধর্ম সংস্কৃতি সহ এইসকল ঐতিহাসিক বিষয়ে আপনার নিকট হতে দারুন কিছু নিবন্ধ পে্লে চমৎকার কিছু জানতে ও শিখতে পারব। তেমন কিছুর জন্য অপেক্ষায় রইলাম...
না হলেই ভালো হবে। আমি আবার পিঠ চাপড়ানো কথা বলে অভ্যস্ত নই। আমার ঐ সব নিবন্ধও খুব বেশী সহজ সরল হবার সম্ভাবনা প্রবল, তাই অপেক্ষায় নাই বা রইলেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে এই ঈদের ছুটিতে কিছু পড়াশুনা করে পোস্ট রেডি করছি সময় হলে কিছু উত্তর পাবেন।
আপনি আর অর্ক বাবু মিলে মনে হয় আমাকে মহামূর্খ থেকে অর্ধশিক্ষিত করে ছাড়বেন :)

৩৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

করুণাধারা বলেছেন: আমি তো সারা জীবন ধরেই জেনে এসেছি আমরা, এই পূর্ব বঙ্গের (বাংলাদেশ হবার আগে এই নামই ছিল) বাঙালিরা সব নিম্ন বর্ণের হিন্দু থেকে কনভার্ট হয়ে মুসলমান হয়েছি, আর পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা সব বর্ণের!! বলাই বাহুল্য, মনের মধ্যে হীনমন্যতা ছিলই এ নিয়ে...

আপনার পোস্টটা ভালো ভাবে পড়লাম, আর এখন হীনমন্যতা অনেকটাই কেটে গেল।

তবে একটা কারণে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা হিন্দু থেকে কনভার্ট হয়েছি, কারণ আমি দেখেছি আমার পূর্ববর্তী নারীদের মধ্যে অনেক সংস্কার যা হিন্দু নারীদের মধ্যে থাকে। যেমন বিধবা হলে পুরো সাদা কাপড় পড়া, কোন সাজসজ্জা না করা, আবার চুড়িবিহীন হাতে সন্তানকে ভাত বেড়ে খাওয়ালে সন্তানের অমঙ্গল হবে তাই হাতে তামার চুড়ি পরা, চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় অন্তঃসত্ত্ব নারীদের সাবধানে থাকা, এইসব সংস্কার। মুসলমান পুরুষদের মধ্যে এমন সংস্কার দেখিনি। দেখে শুনে আমার সিদ্ধান্ত ছিল পুরুষেরা কনভার্ট হয়েছেন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জেনে বুঝে, কিন্তু অন্তঃপুরবাসিনী নারীরা কিছু না জেনেই হয়েছেন। ফলে বংশানুক্রমে নারীরা এইসব সংস্কার পালন করেছেন যা ইসলাম ধর্মে নেই।

এখন আবার নতুন করে ভাববো কোথা থেকে নারীদের মনে এই সংস্কার ঢুকলো।

আরেকটা প্রশ্ন মনে অনেক দিন ধরে ছিল, বলা হয় সিলেটে হযরত শাহজালালের দ্বারা ইসলাম প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু উনি এসেছিলেন সুলতানের অনুরোধে, মুসলমান বুরহান উদ্দিনের উপর করা নির্যাতনের প্রতিবিধানে সুলতানের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে। তার অর্থ এই, শাহজালালের আগমনের আগেই সিলেটে বুরহান উদ্দিন ছিলেন, আরো মুসলমানেরা ছিলেন, অর্থাৎ শাহজালাল দ্বারা এই অঞ্চলে হিন্দু জনগোষ্ঠীতে মুসলিম করণ শুরু করা হয়নি। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম হাজার বছর আগেও এখানে মুসলমান জনগোষ্ঠী ছিল।

আপনার দেয়া প্রশ্নগুলো খুব কঠিন হয়ে গেল, তবু উত্তর দেবার চেষ্টা করছি।

১) কোন দেশে আসলে বংশ পরম্পরায় কত বছর থাকলে সেটা নিজেই দেশ হয়, এটা এই বিশ্বায়নের যুগে বলা খুব কঠিন। আমি তো দেখছি এখন মানুষ কেবলই পশ্চিমের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য,এবং সেখানে এক প্রজন্ম পার হলেই দ্বিতীয় প্রজন্ম সেই দেশটাকে নিজের দেশ বলে মনে করছে। অর্থাৎ কেবল দুই প্রজন্ম এক দেশে বসবাস করার সূত্রেই সেটাকে নিজের দেশ বলে দাবি করছে।

২) একটা ভাষায় কত বছর কথা বললে সেটা নিজের ভাষা হয়? খুব ভাবনার কথা, এটার উত্তর জানিনা।

৩) একটা সংস্কৃতি কত বছর চর্চা করলে নিজস্ব সংস্কৃতি হয়? এটার উত্তর ও দিতে পারছিনা। আমি তো দেখছি, বিদেশ পাড়ি দেওয়া মানুষগুলোর সন্তানেরা সেই সব দেশের ভাষা সংস্কৃতি সবকিছু আত্মস্থ করে নিয়েছে এবং সেটা কি নিজেদের বলে মনে করছে।

সবশেষে একটা কথা বলি, আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু ভালো ছিল, অন্য সময় হলে আরেকটু ভালো আলোচনা করতে পারতাম। কিন্তু আমার তো আবার কাজের বুয়ার জীবন, রমজান মাসে একেবারেই সময় পাইনা... অনেক কষ্ট করে এটুকু লিখতে পারলাম। :(

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: সেলফোনে এত বড় মন্তব্যের উত্তর দেয় একটু কষ্টকর তাই সময় করে উত্তর দিব।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ঈদ মোবারক বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো আপাতত...

৩৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৪৯

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আপনার লিখাটি দেখেছি অনেক আগেই, সময় নিয়ে পড়বো তাই রেখে দিয়েছিলাম, আজ মন্তব্য সহ পড়ে মন্তব্য করছি। এ বাংলায় মানে ভাটি বাংলায় ধর্মে ব্যাপক বৈচিত্র্য ছিলো। বেশি ছিলো বৌদ্ধ, তারপর বৈষ্ণব এবং সাধারণ জীবনধারী। পেশা ও জীবনযাত্রা খেয়াল করলে বোঝা যায়। কোল,মুন্ডা,ধূপা,জেলে,কৃষক, ঢোম,চামার,মুচি, গোয়ালা,মিন্তি, মতুয়া, হরাইজন,মাঝি, মালি, ঢুকি,ঢুলি, কথক ; আশ্চর্য এক সমন্বয় ছিলো এদের। এবং বিতাড়িত সম্প্রদায়ও ছিলো অনেক। যেমন পিরালি পরিবার সব ভাটি বাংলায় নির্বাসিত হয়।
আমার মাস্টার্সে একটা কোর্স গবেষণা ছিলো বাংলার নৃতাত্ত্বিক ভাষা,বিস্তার এবং বিকাশ নিয়ে। এটি কাজ করতে গিয়ে আশ্চর্য রকম তথ্য বের হয়ে আসে। তা হলো আসলে এ মাটির আদি সন্তান কখনোই হিন্দু নয়। আপনি জেনে অবাক হবেন নৃত্তত্বে একটি বিষয় আছে জাতির মনঃস্বত্ব বিচার ; জাতির অনুসন্ধানে একটি বড় ব্যাপার। সেই মনঃস্তাত্ত্বেও আমরা হিন্দু থেকে নয় বরং অন্য কোন নরম মানসিকতার চর্চা থেকে আমরা বিকশিত।
অসাধারণ বিশ্লেষণ, আপনার। আমার লিখাটিও সময় করে দেবো ব্লগে। আপনার লিখাটি আপনার নাম দিয়ে ফেসবুকে দিতে হবে। সবাই একটু জানুক।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এমন মন্তব্য পড়লে মনটা কি দারুণ আনন্দে ভরে যায়। যতটুকু কষ্ট করেছি - পাবার পাল্লাটা তাঁর থেকে বেশী ভারি মনে হয় তখন।
আপনি এই বিষয় নিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে একাডেমিক জ্ঞানার্জন করেছেন জেনে বড় ভাল লাগল। একজন অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ মানুষ যখন আলোচনা করে ভাল-মন্দ নিয়ে তখন কঠিন সমালোচনাও হজম করতে কষ্ট হয় না।
আমিও নিশ্চিত এ মাটির আদি সন্তানেরা কখনোই হিন্দু ছিল না। হিন্দু ধর্ম, সংস্কৃতি ভাষা আর কিছু ভালর ভয়ঙ্কর কিছু অপ-সংস্কৃতি বিষের মত বাংলার রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিয়েছে আর্যরা। এই বাংলাভুমি, বাংলার মানুষ, বাংলার সংস্কৃতি কিংবা ভাষা কিছুই সে আর্যদের নয়। তারা পর্তুগীজ, মগ, আরবীয়, তুর্কী, মুঘল, বৃটিশদের মত দখলদার আগ্রাসী মাত্র।

আপনার চমৎকার তথ্যবহুল মন্তব্য আমার পরের পর্ব লেখার জন্য দারুনভাবে অনুপ্রাণীত করল। ভাল থাকুন- শেয়ার করার সময়ে কোথা

৩৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:০০

আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: আরেকটা মন্তব্য রেখে দিয়েছি ভুলে। আবার লিখালাম, আপনার জানার স্বার্থে। এখানে বৈষ্ণব ধর্মও হিন্দুরা আত্মীয়করণ করতে চেয়েছে বা জাত-পাত প্রবেশ করাতে সফল হয়েছিলো। দুইটার একটা হবে। এরপর শ্রী চৈতন্যের হাত ধরে আবার একটি মানবিক রূপ পায়।
-----" মেরেছিস কলসীর কানা? তাই বলে কি প্রেম দেবো না?
----------+চৈতন্য।
এ সহনশীলতা হিঁদুতে বা বৈষ্ণবে আসে সুফিবাদের ব্যাপক প্রভাবেই।
চর্যাপদ ও তার ভেতরের সমাজ বাস্তবতাও আপনার লিখার সপক্ষে সুস্পষ্ট যুক্তি তৈরি করে।
----- উচা উচা পবত তাহি
বসই সবরিএ বালি
গলায় গুঞ্জর মালা
গুঞ্জর মালা বৌদ্ধ নারীদের বসন হিন্দুদের নয়।
আবার
বহুরা নিদ গেলএ
সুসুরা জাগই
কানেট চুরএ নিলএ কাগই মাগই
বৌদ্ধদের জ্বালানো সম্প্রদায়টি হিন্দু এবং শক্তি প্রদর্শন কারী সম্প্রদায়।
যখনই ইসলাম আসে এরা তার ছায়াতলে যায়।

৪০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বৌদ্ধ রাজা গোপাল ছিলেন বাংলার প্রথম সম্রাট কিন্তু এর আগে কারা ছিল এটা কি জানা যায় ?

১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: এই বিষয়ে কোন তথ্য জানতে পারলে আপনাকে জানাব।

৪১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: শশাঙ্ক প্রথম বাঙালি সম্রাট ও প্রথম স্বাধীন বাঙালি নৃপতি। তিনি মোটামুটি ভাবে ৫৯০ থেকে ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন বলে ধারণা করা হয়। তাঁর ৮ম ও ১০ম রাজ্যাংকে প্রকাশিত দুটি লিপি পাওয়া গেছে মেদিনীপুর থেকে এবং তারিখবিহীন অপর একটি লিপি খড়গপুরের নিকট এগ্‌রা হতে আবিষ্কৃত হয়েছে।

সুত্র : উইকিপিডিয়া।

৪২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

রানার ব্লগ বলেছেন: শশাঙ্ক বা শশাঙ্কদেব নামটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যা চাঁদের আরেকটি নাম। শশাঙ্কদেব নামটি তাই চন্দ্র দেবতাকে প্রকাশ করে। হিন্দু দেবতা শিবও 'শশাঙ্ক শেখর' নামে পরিচিত কারণ তিনি তার মাথায় চাঁদ ধারণ করে থাকেন।

চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং-এর লেখায় তাকে শে-শাং-কিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে শশাঙ্ক নরেন্দ্রগুপ্তও বলা হয়, যা প্রাথমিকভাবে দাবি করে যে তিনি পরবর্তী গুপ্তদের বংশধর ছিলেন।[৬] মগধের সিনহার রাজবংশীয় ইতিহাসে, 'শশাঙ্ক' এবং 'সোম' নামগুলো পরস্পর পরিবর্তনযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

শশাঙ্কের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে অতি অল্প তথ্য জানা যায়। কথিত আছে তিনি একজন শৈব ব্রাহ্মণ ছিলেন।[৭] নগেন্দ্রনাথ বসু যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শশাঙ্ক ছিলেন রাজা কর্ণদেবের পুত্র/বংশ, যিনি কর্ণসুবর্ণ শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৮]
৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্য বেশ কয়েকজন দুর্বল রাজা সিংহাসন আরোহণ করেন। অন্য দিকে, প্রায় ৪৮০ খ্রিস্টাব্দে আলচন হুন সেনারা পতনশীল গুপ্ত সাম্রাজ্যকে একাধিক দিক থেকে আক্রমণ করতে শুরু করে। বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিরক্ষা ব্যয় রাজকীয় কোষাগারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যদিও প্রাথমিকভাবে হুনদের বিতাড়িত করা হয়, তবে হুনদের দীর্ঘস্থায়ী আক্রমণগুলো গুপ্ত রাজাদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। উল্লেখ্য যে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ শঙ্কর শর্মা যুক্তি দিয়েছেন যে, ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে একটি বিশাল বন্যার ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।[৯]

ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষের দিকে, সাম্রাজ্যটি পরবর্তী গুপ্ত রাজবংশের একজন দুর্বল শাসক, মহাসেনগুপ্ত (আরসি ৫৬২-৬০১ খ্রিষ্টাব্দ) দ্বারা শাসিত হয়েছিল।[১০] গুপ্ত রাজাদের পতনের ফলে সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলার দেখা দেয়। যশোধর্মনের মতো অসংখ্য স্থানীয় সামন্ত রাজা ও শাসক আবির্ভূত হন এবং প্রাক্তন সাম্রাজ্যের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। শশাঙ্ক এই স্থানীয় শাসকদের মধ্যে একজন হিসেবে আবির্ভূত হন, যার লক্ষ্য ছিল গৌড় এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করা।

শশাঙ্কের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মগধ রাজ্যের রোহতাস নামক ছোট্ট শহর রোহতাসগড়ে ৭ম শতকের পাহাড়ি দুর্গে। সীলমোহরে খোদাই করে লেখা আছে, "মহাসামন্ত শশাঙ্কদেব।"

কতিপয় ইতিহাসবিদ ধারণা করেন, শশাঙ্ক, পরবর্তী গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজা মহাসেনগুপ্তের অধীনে মহাসামন্ত হিসেবে রাজ্য শাসন করেন।[১১] কর্ণসুবর্ণের গৌড় রাজা ছিলেন সম্ভবত মৌখরী বংশের প্রতিনিধি। কর্ণসুবর্ণের অপর একজন রাজা জয়নাগ শশাঙ্কের সমসাময়িক বলে প্রতীয়মান হয়। বস্তুত কর্ণসুবর্ণ ছিল শশাঙ্কের রাজধানী এবং এ বিখ্যাত নগরী অবস্থিত ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গার (রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি) সন্নিকটে চিরুটি রেল স্টেশনের কাছে।

লিপিমালা এবং সাহিত্যিক সূত্রে শশাঙ্ক গৌড়ের শাসক হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন। সংকীর্ণ অর্থে পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলই গৌড়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এক বিস্তৃত এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত হয়। শক্তিসঙ্গম তন্ত্র গ্রন্থের ৭ম পটল ‘সটপঞ্চষদ্দেশবিভাগ’-এ বলা হয়েছে যে, গৌড়ের সীমানা বঙ্গদেশ হতে ভুবনেশ (উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এটি অসম্ভব নয় যে, লেখক শশাঙ্কের রাজ্যসীমা, যা উড়িষ্যার একটি অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করেছিল, চিন্তা করেই গৌড় দেশের বিস্তৃতির বর্ণনা দিয়েছেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির সঙ্গে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ধ্বংস ও পতন আকস্মিক যুগপৎ সংঘটন। অনেক অপরিচিত এলাকা, যেগুলো সম্ভবত গোত্র প্রধানগণ শাসন করতেন এবং যেখানে জনবসতি ছিল হালকা, ঐতিহাসিক খ্যাতি অর্জন করে। এ এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর উড়িষ্যা এবং মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকার (ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ দ্বারা গঠিত) লালমাটি অঞ্চল, যেখানে চাষাবাদ ও বসবাস করা বেশ কষ্টসাধ্য।

এ পরিপ্রেক্ষিতে শশাঙ্ক ভারতের বিভিন্ন অংশে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল মৌখরীদের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ থেকে মগধ মুক্ত করা। শশাঙ্ক তাঁর মিত্র মালবের রাজা দেবগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্যভূতি রাজা প্রভাকরবর্ধনের জামাতা মৌখরী রাজা গ্রহবর্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন। গ্রহবর্মা, দেবগুপ্তের হাতে নিহত হন। এরপর প্রভাকরবর্ধনের জ্যেষ্ঠ পুত্র বৌদ্ধ ধর্মমতাবলম্বী থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্ধন দেবগুপ্তের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন এবং দেবগুপ্তকে পরাজিত ও নিহত করেন। কিন্তু দেবগুপ্তের মিত্র শশাঙ্কের সঙ্গে এক সংঘর্ষে রাজ্যবর্ধন নিহত হন।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর তার সন্তান মানব আট মাস ধরে গৌড় রাজ্য শাসন করেন। অবশ্য গৌড় শীঘ্রই হর্ষবর্ধন ও কামরূপের ভাস্করবর্মনের অধীনস্থ হয়। এমনকি ভাস্করবর্মন সফলভাবে কর্ণসুবর্ণও দখল করেন।

শশাঙ্ক বা শশাঙ্কদেব নামটি সংস্কৃত থেকে এসেছে, যা চাঁদের আরেকটি নাম। শশাঙ্কদেব নামটি তাই চন্দ্র দেবতাকে প্রকাশ করে। হিন্দু দেবতা শিবও 'শশাঙ্ক শেখর' নামে পরিচিত কারণ তিনি তার মাথায় চাঁদ ধারণ করে থাকেন।

চীনা সন্ন্যাসী জুয়ানজাং-এর লেখায় তাকে শে-শাং-কিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে শশাঙ্ক নরেন্দ্রগুপ্তও বলা হয়, যা প্রাথমিকভাবে দাবি করে যে তিনি পরবর্তী গুপ্তদের বংশধর ছিলেন।[৬] মগধের সিনহার রাজবংশীয় ইতিহাসে, 'শশাঙ্ক' এবং 'সোম' নামগুলো পরস্পর পরিবর্তনযোগ্যভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

শশাঙ্কের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে অতি অল্প তথ্য জানা যায়। কথিত আছে তিনি একজন শৈব ব্রাহ্মণ ছিলেন।[৭] নগেন্দ্রনাথ বসু যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শশাঙ্ক ছিলেন রাজা কর্ণদেবের পুত্র/বংশ, যিনি কর্ণসুবর্ণ শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[৮]
৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্য বেশ কয়েকজন দুর্বল রাজা সিংহাসন আরোহণ করেন। অন্য দিকে, প্রায় ৪৮০ খ্রিস্টাব্দে আলচন হুন সেনারা পতনশীল গুপ্ত সাম্রাজ্যকে একাধিক দিক থেকে আক্রমণ করতে শুরু করে। বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিরক্ষা ব্যয় রাজকীয় কোষাগারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যদিও প্রাথমিকভাবে হুনদের বিতাড়িত করা হয়, তবে হুনদের দীর্ঘস্থায়ী আক্রমণগুলো গুপ্ত রাজাদের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল। উল্লেখ্য যে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ শঙ্কর শর্মা যুক্তি দিয়েছেন যে, ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে একটি বিশাল বন্যার ফলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।[৯]

ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষের দিকে, সাম্রাজ্যটি পরবর্তী গুপ্ত রাজবংশের একজন দুর্বল শাসক, মহাসেনগুপ্ত (আরসি ৫৬২-৬০১ খ্রিষ্টাব্দ) দ্বারা শাসিত হয়েছিল।[১০] গুপ্ত রাজাদের পতনের ফলে সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলার দেখা দেয়। যশোধর্মনের মতো অসংখ্য স্থানীয় সামন্ত রাজা ও শাসক আবির্ভূত হন এবং প্রাক্তন সাম্রাজ্যের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। শশাঙ্ক এই স্থানীয় শাসকদের মধ্যে একজন হিসেবে আবির্ভূত হন, যার লক্ষ্য ছিল গৌড় এবং এর আশেপাশের অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ করা।

শশাঙ্কের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মগধ রাজ্যের রোহতাস নামক ছোট্ট শহর রোহতাসগড়ে ৭ম শতকের পাহাড়ি দুর্গে। সীলমোহরে খোদাই করে লেখা আছে, "মহাসামন্ত শশাঙ্কদেব।"

কতিপয় ইতিহাসবিদ ধারণা করেন, শশাঙ্ক, পরবর্তী গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজা মহাসেনগুপ্তের অধীনে মহাসামন্ত হিসেবে রাজ্য শাসন করেন।[১১] কর্ণসুবর্ণের গৌড় রাজা ছিলেন সম্ভবত মৌখরী বংশের প্রতিনিধি। কর্ণসুবর্ণের অপর একজন রাজা জয়নাগ শশাঙ্কের সমসাময়িক বলে প্রতীয়মান হয়। বস্তুত কর্ণসুবর্ণ ছিল শশাঙ্কের রাজধানী এবং এ বিখ্যাত নগরী অবস্থিত ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজবাড়িডাঙ্গার (রক্তমৃত্তিকা মহাবিহারের প্রত্নস্থল অথবা আধুনিক রাঙ্গামাটি) সন্নিকটে চিরুটি রেল স্টেশনের কাছে।

লিপিমালা এবং সাহিত্যিক সূত্রে শশাঙ্ক গৌড়ের শাসক হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন। সংকীর্ণ অর্থে পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলই গৌড়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এক বিস্তৃত এলাকা এর অন্তর্ভুক্ত হয়। শক্তিসঙ্গম তন্ত্র গ্রন্থের ৭ম পটল ‘সটপঞ্চষদ্দেশবিভাগ’-এ বলা হয়েছে যে, গৌড়ের সীমানা বঙ্গদেশ হতে ভুবনেশ (উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর) পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এটি অসম্ভব নয় যে, লেখক শশাঙ্কের রাজ্যসীমা, যা উড়িষ্যার একটি অংশকেও অন্তর্ভুক্ত করেছিল, চিন্তা করেই গৌড় দেশের বিস্তৃতির বর্ণনা দিয়েছেন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির সঙ্গে গুপ্ত সাম্রাজ্যের ধ্বংস ও পতন আকস্মিক যুগপৎ সংঘটন। অনেক অপরিচিত এলাকা, যেগুলো সম্ভবত গোত্র প্রধানগণ শাসন করতেন এবং যেখানে জনবসতি ছিল হালকা, ঐতিহাসিক খ্যাতি অর্জন করে। এ এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর উড়িষ্যা এবং মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকার (ছোটনাগপুর মালভূমির অংশ দ্বারা গঠিত) লালমাটি অঞ্চল, যেখানে চাষাবাদ ও বসবাস করা বেশ কষ্টসাধ্য।

এ পরিপ্রেক্ষিতে শশাঙ্ক ভারতের বিভিন্ন অংশে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম কাজ ছিল মৌখরীদের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ থেকে মগধ মুক্ত করা। শশাঙ্ক তাঁর মিত্র মালবের রাজা দেবগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে পুষ্যভূতি রাজা প্রভাকরবর্ধনের জামাতা মৌখরী রাজা গ্রহবর্মার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন। গ্রহবর্মা, দেবগুপ্তের হাতে নিহত হন। এরপর প্রভাকরবর্ধনের জ্যেষ্ঠ পুত্র বৌদ্ধ ধর্মমতাবলম্বী থানেশ্বর রাজ রাজ্যবর্ধন দেবগুপ্তের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন এবং দেবগুপ্তকে পরাজিত ও নিহত করেন। কিন্তু দেবগুপ্তের মিত্র শশাঙ্কের সঙ্গে এক সংঘর্ষে রাজ্যবর্ধন নিহত হন।

শশাঙ্কের মৃত্যুর পর তার সন্তান মানব আট মাস ধরে গৌড় রাজ্য শাসন করেন। অবশ্য গৌড় শীঘ্রই হর্ষবর্ধন ও কামরূপের ভাস্করবর্মনের অধীনস্থ হয়। এমনকি ভাস্করবর্মন সফলভাবে কর্ণসুবর্ণও দখল করেন।




গৌড়ের রাজা শঙ্ক-দেবের মুদ্রা, প্রায় 593-638। ষাঁড়ের উপর মুখ করে উপবিষ্ট শিব বামে উপবিষ্ট / লক্ষ্মী পদ্মের উপর মুখ করে উপবিষ্ট; উভয় পাশে ছোট হাতি দ্বারা জল ছড়াচ্ছে।[১৪]


সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলায় কিছু অংশ বেশ কিছু সময় হিন্দু শাসন ছিল এই বিষয়টা আমার জানা ছিল না।
ধন্যবাদ জানানোর জন্য- এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

৪৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাংলায় কিছু অংশ বেশ কিছু সময় হিন্দু শাসন ছিল এই বিষয়টা আমার জানা ছিল না।
ধন্যবাদ জানানোর জন্য- এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।



আপনি তো জানেন না, এবং তা স্বিকার করলেন কিন্তু অনেক ইতিহাসবিদরা জানেন কিন্তু স্বিকার করেন না, কেউ যদি এসে মনে করিয়েও দেয় সাথে সাথে এরা তাকে ইনিয়ে বিনিয়ে ইসলামের শত্রু ঘোষণা করে। ভাব খানা এমন এরা বৌদ্ধ ধর্ম থেকে কনভার্ট হতে রাজী কিন্তু হিন্দু হলেই সমস্যা । অথচ হিন্দু ধর্মের পেট থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি ।

২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা মানছি- তবে সেটা কি 'লৌকিক হিন্দুধর্ম' নাকি 'বৈদিক হিন্দুধর্ম' থেকে এসেছে সেটা একটু পরিষ্কার করবেন?

৪৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান পেলাম, পোস্টে ও মন্তব্যে। + +
ঈদের ওসিলায় আপনি অনেক মন্তব্যের উত্তর পেন্ডিং রেখেছিলেন। এখন ধীরে ধীরে সেগুলোতে ফিরে আসুন।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, করুণাধারা, ইসিয়াক, আরেফিন৩৩৬ -- প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমার লেখা পড়ে অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞতা দিয়ে একটা ব্যাপার আপনার বুঝতে পারার কথা যে, আমি মানসিক ভাবে খুব চঞ্চল। খুব সহজেই ধৈর্য ও লক্ষ্যচ্যুতি ঘটে। সেজন্যই যখন যা মাথায় আসে ভুল-ভাল হলেও তখুনি তা শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যাই।

ব্যাস্ততা বা অন্য কোন কারনে কোন বিশেষ পোস্টের মন্তব্যের উত্তর একবার না দেয়া হলে পরে সেই মন্তব্যের উত্তর দেবার আর কোন কথা খুঁজে পাই না।~ এই সমস্যাটা আসলে কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়। আশা করি আপনি কিছুটা অনুধাবন করতে পারবেন।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৪৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

আরাফআহনাফ বলেছেন: কত অজানারে....
সবিশেষ ধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল পোস্ট করার জন্য।
কত কিছু জানা হয়, শুধুমাত্র আপনার মেধা,শ্রম আর সময়ের বিনিময়ে !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.