নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী জুড়ে এরা সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আমি কোনদিনও কোন মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীকে অর্থাভাবে পড়তে দেখিনি। এরা যেমন ধূর্ত ব্যবসায়ী তেমন কঞ্জুস ও ধার্মিক।
আমাদের দেশেও এমন একটা ব্যবসায়িক সম্প্রদায় আছে তারা ঠিক মারওয়াড়ি সম্প্রদায়ের মতো নয় কিন্তু অনেকটা কাছাকাছি; তাদের বসবাস বৃহত্তর বিক্রমপুর অঞ্চলে। এখন দিন পাল্টে গেলেও একসময় এরাও পরিযায়ী ব্যবসায়ী ছিল -বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক ব্যস্ত অঞ্চলগুলো তো বটেই এমনকি ভারতের কলিকাতা আসাম বিহার মণিপুর (কেউ বলে দিল্লি-করাচি) পর্যন্ত এদের ব্যবসার গণ্ডি ছড়িয়েছিল!
এদের ব্যবসায়িক ধ্যান ধারণা আমাদের ব্যবসায়িক ধ্যান ধারণার একেবারে বাহিরে - ব্যাবসা করতে গিয়ে কিভাবে যে সাধারণ মানুষের সাথে স্থানীয় মানুষের সাথে একেবারে মিশে যেত সেটা একটা বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল।
(দুর্ভাগ্যজনকভাবে সোনারগাঁও রাজধানী পত্তনের আগে সেন শাসনামলে বিজয় সেনের সময়ে বাংলার এতদ্ অঞ্চলেরে রাজধানী ছিল বিক্রমপুর, চন্দ্রযুগে ছিল প্রসাশনিক রাজধানী। খিলজি বাংলা জয় করে লক্ষণ সেনকে পরাজিত করলে তাঁর দুই ছেলে এই বিক্রমপুরে এসেই আশ্রয় নেয়। সম্ভবত তাঁর উত্তরসুরী বল্লাল সেনের নদীবিধৌত বাংলা পছন্দ না হওয়ায় তিনি রাজধানী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় স্থানন্তর করেন। এবং ধারনা করা হয় সেন বংশের পতনের মুল কারন ছিল এটা -বিক্রমপুরের মত খাল বিল নদী বিধৌত এলাকায় তারা থাকলে তুর্কী খিলজী এত সহজে তাদের পরাজিত করতে পারত না।)
যাই হোক 'অতীশ দীপঙ্করে'র বিক্রমপুর এখন বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়েই গেছে- তাঁর স্থান দখল করেছে দখল মুন্সীগঞ্জ নামক এক জেলা। আদি মাতৃভান্ডারের রস মালাই আর মিষ্টি না থাকলে মানুষ হয়তো বিক্রমপুরের কথা বিস্মৃতই হয়ে যেত।
আমি এখানে ইতিহাস বলতে আসি নাই। বলতে এসেছি অন্য একটা গল্প;
আমাদের বিখ্যাত ঘাট এলাকায় বেশ কিছু এমন আদি বিক্রম পুরের ব্যাবসায়ী পরিবার ছিল। এদের অনেকেই খাঁটি ব্যাবসায়ী ছিল, কেউবা ভাগ্যন্বেষনে এসেছিল একসময়। এদের পেশা খুব উঁচুমানের ছিল তা নয় কিন্তু সেটাকে এমন পরিপাটি করে পরিবেশন করত যে মনে হত মানুষ তাদের শ্রদ্ধা করতে বাধ্য হত। তাদের ভাষা সংস্কৃতি খাবার সবকিছুতে ছিল ভিন্নতা। বাইরের মানুষদের সাথে নিজেদের পরিবারকে খুব সযতনে একটু দুরে রাখতেন। অশিক্ষিত মানুষদের সাথে, বাজে পরিবেশে মিশতে দিতেন না- পোশাক আশাকে থাকত সর্বদা পরিপাটি।আত্মীয়-স্বজন আর বিশাল পরিবার নিয়ে বাড়ির মধ্যে সবসময় একটা হুলস্থুল লেগেই থাকত। বাইরের মানুষের সেই নিয়ে ছিল চরম কৌতুহল! শুধু অল্প কিছু মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল অন্দরমহলে। এলাকার সংস্কৃতিঙ্গনে তাদের ছেলেমেয়েদের ছিল সরব উপস্থিতি।
আমাদের ওখানে যিনি দর্জীর কাজ করতেন তাঁকে সবাই সম্মান করে বলত খলিফা! মফস্বলে শুধু কাপড়ের দোকান আর দর্জীর কাজ করে দশ মেয়ে আত্মীয়স্বজনের বিশাল সংসার নিয়ে হুলস্থুল জীবন যাপন করত তাঁর পরিবার। আরেকজনের ছিল জুতার ব্যাবসা- একনামে সবাই জুতাওয়ালা বলে চিনত। এরপরেও সে-কি দাপট তাঁর। ছেলে মেয়েরা সবচেয়ে আধুনিক পোশাক পড়ত- ভাষা কথায় চলনে বলে ছিল শহুরে কেতা। এলাকার সাধারণ লোকেরা সমীহ করে চলত।
আমার যে বাল্যবন্ধু ও সহপাঠী রিন্টু তাঁর বাবা ছিল উত্তরাধিকার সুত্রে পাশ না করা শুধু অভিজ্ঞতায় মুলধনে বেশ নামী ডাক্তার। সে এটা পেয়েছিল শ্বশুরের সুত্রে। রিন্টুরা পাঁচ ভাই চার বোনের বেশ বড় এক পরিবার -সে যদিও পরিবারের প্রথম সন্তান নয় তবুও, এ পাশায় তাঁর ঝোঁক ছিল ছেলেবেলাতেই। হাঁফ প্যান্ট পড়ার সময় থেকেই সে বাপের সাথে সেঁটে থেকে শিশিতে কাগজ কেটে ডোজের মার্কিং করা, ট্যাব্লেট গুড়ো করে পুরিয়া বানানো সহ বেশ কিছু কাজ শিখে ফেলেছিল। এই কাজের প্রতি তাঁর ভয়ানক আগ্রহ একসময় নেশায় পরিনত হয়। তবে প্রথাগত কিছু বিদ্যা তাঁর থাকলে ডাক্তারি বিদ্যা তাঁর ছিল না। তাঁর বাবা ছিল মুলত গরিবদের ডাক্তার- অল্প পয়সার রোগীরা সব তাঁর কাছে এসে ভীড় করত।রোগীর অভাব তাঁর কোনদিন হয়নি। বাবা মারা যাবার পরে ধারাটা তেমনি বজায় ছিল। কিন্তু দোকানের চেহারাটা আগে খানিকটা ফিটিফাট থাকলেও রোগী বাড়ার সাথে সাথে দিনে রূগ্ন বিবর্ন রা জরাজীর্ন হতে থাকল। চায়ারের হাতল খসে পড়ে, দেয়ালে মাকড়াসার জাল ঝোলে, আলমিরার দরজা একদিকে হেলে পড়ে; কখনো দেখা যায় দু চারখানা কাঁচই উধাও। কেচির এক ডান্ডি ভাঙ্গা, স্টেথিস্কোপের নল দুমড়ে মুচড়ে আছে, প্রেসার মাপার যন্ত্রের পাম্পে চাপ দিলে আঠার মত লেগে থাকে। চারিদিকে ধুলা বালি, ঔষুধের খোসা- বাক্স, কাগজের টুকরো ছড়ানো, যেন এক ভাগারের অবস্থা নিল এক সময়। । মাথার উপরে ফ্যান কোন মতে পিন পিন করে ঘোরে কি ঘোরে না। সল্প পাওয়ারের বাতিতে একটু অন্ধকারে ভাল করে কিছুই ঠাহর হয় না। এর মধ্যের সে দিব্যি ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। একবার গিয়ে দেখি তাঁর চশমার এক ডান্ডি ভাঙ্গা- সেটাই কোনমতে মাথা কাত করে বিশেষ ভঙ্গীতে কাজ চালাচ্ছে। আমি বললাম, পাওয়ার কত?
সে চশমা খুলে তাঁর সামনে লাগানো একটা স্টিকার দেখে বলল - একশ পঁচিশ।
-এই মাল কত দিয়ে কিনছ?
সে হেসে বল, ৮০ টাকা।
-তা ডান্ডি ভাঙ্গার পরে আরেকটা কিনতে পারলা না?
সে এবার আরেকটা হাসি দিতে বলল,-এইটাই তো চলে যাচ্ছে সমস্যা হয় না।
তাঁর ওখানে বসার মত অবস্থা নেই, তবুও আমি বসি- আমি কেন অনেকেই এসে বসে। ধুলো বালি ঝেড়ে ঝুড়ে গ্যাট হয়ে খানিক বসে ওর কর্মকাণ্ড দেখি। বহুবছর আগে দেশের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবার তাঁকে দোকানের এই পরিবেশ পাল্টাতে অনুরোধ করতাম। সে আমাকে চমৎকার আশ্বাস দিত; তুমি নিশ্চিত থাক পরেরবার এসে দেখবে সব ফিটফাট। সেই সাথে আমার কাছ থেকে কিছু মুফতে পরামর্শও নিত
পরের বার গিয়ে আরো হতাশ হয়ে লক্ষ্য করতাম অবস্থার ভয়াবহ অবনতি হয়েছে।
আগের থার্মোমিটার ভেঙ্গে গেছে- রোগীর জ্বর মাপতে হলে পাশের দোকান থেকে থার্মোমিটার ধার করে আনতে হচ্ছে- কিংবা প্রেশার মাপার মেশিনের সেই পাম্পের যন্ত্রটা পাইপ থেকে খুলে গেছে , সে দুহাত দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে যতবার পাম্প করছে ততবারই বেশীরভাগ হাওয়া আশপাশ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। ভুলভাল প্রেশার মাপা হচ্ছে সবার। সবকিছু চলছে আন্দাজে।
এখনো সে কিছু ওষুধ গুড়ো করে পুরিয়া বানায়। যে পাথর খন্ডের উপরে ট্যাবলেট গুড়ো করে সেটা তাঁর বাবার সময়েই এককোনা ভাঙ্গা দেখেছি। সেই ভাঙ্গা পাথরটা এখন ভাঙতে ভাঙতে দুই আড়াই ইঞ্চি অবশিষ্ঠ আছে- তাঁর উপরেই সে অসামান্য দক্ষতায় এখনো ট্যাবলেট গুড়ো করে যায়।
***
গত ত্রিশ বছরের অধিককাল ধরে আমরা সবাই বলতে বলতে ক্লান্ত! তাঁর আশেপাশের সব ঔষধের দোকানে যখন আধুনিক সাজসজ্জা হচ্ছে তখন সে সেদিকে তাকিয়ে কোন মোটেই হতাশ না হয়ে আরো যেন উজ্জীবিত হচ্ছে - কদিন আগে দেয়ালে ভাঙ্গা কাঁচের একটা ঘড়ি দেখেছিলাম টিক টিক করে চলছে এবার দেখি সেটারও দম বন্ধ!
বসতে সংকোচ হয় গা ঘিন ঘিন করে তবুও দেশের বাড়িতে বেড়াতে গেলে বন্ধুদের সাথে ওখানে বসেই আড্ডা দেই।মাছ বেপারি, ঘাটের দালাল, রিক্সা চালক, স্থানীয় বিখ্যাত সুনীল পাগল থেকে শুরু করে মেয়র, এমনকি মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পর্যন্ত সেই ধুলো পড়া বেঞ্চি চেয়ারে মাঝে মধ্যে দু'য়েক মিনিট বসে গল্প করে যায়।
রিন্টু বিয়ে করেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর চার বোনের মধ্যে তিন বোন অকালে বিধবা হয়ে সন্তান সমেত তাঁর ঘাড়ে সওয়ার। বড় ভাইতো বটে ছোট ভাইয়েরাও বিয়ে -থা করে সংসার করছে। মা এখনো জীবিত। বিশাল এক পরিবারের দায়িত্ব তাঁর ঘাড়ে। এই ভাঙ্গা-চোড়া দোকান থেকে কিভাবে আয় রোজগার করে তাঁর সংসার চালায় সেই ভেবেই সবাই ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়!
অথচ জানলাম, এই ঈদে তাঁর বড়িতে সব মিলিয়ে ৩২জন খোরাকি। একটা খাসি জবেহ করেছে, দশ হাজার করে ভাগে গরুর মাংস নিয়েছে। মাছ, ফল সব মিলিয়ে ঈদের তিন দিনে পঞ্চাশ হাজার নেমে যাবে! কিভাবে সম্ভব??
রিন্টু জাত ব্যাবসায়ী- সে জানে কেমনে টাকা কামাইতে হয়। অনেক ভেবে আমি বের করেছু এর গোপন রহস্য; এই ধুলি ধূসরিত ভাঙ্গা দোকানটাই তাঁর মুল পুঁজি। সবার টার্গেট থাকে পয়সাওয়ালা রোগী- ধনবান রোগীরা সাফ-সুরোত জায়গা খোঁজে, ভাল ডাক্তার চায়, ঔষধ নিয়ে বহুত কেচ্ছা কাহিনী করে। মফস্বলের ডাক্তারদের পাত্তা দেয় না- একটু এদিক ওদিক হলেই হাইকোর্ট দেখায়।
আর গবিব রোগীরা চায়, একটু কমফোর্ট জোন, সিমপ্যাথি, তাদের কথা শোনার মত ডাক্তার, তাদের অর্থ সামর্থের মধ্যে ঔষধ। তাদের মাথায় বিল্ট ইন থাকে ভদ্রস্থ পরিবেশ মানে তাদের জন্য নন কম্ফোর্ট এরিয়া, বেশী পয়সা খরচ।
রিন্টুর এখানে কারা আসে; চড়ের মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত থেকে অতি গরিব, পতিতা এমন কি ফকির মিসকিন পর্যন্ত। সবাই তাঁর কাছে সম সমাদর পায়। কাউকে সে দাড় করিয়ে রাখে না। তাঁর পাশের চেয়ারটা সবার বসার জন্য উন্মুক্ত। কখনোই রোগীর সে স্টাটাস দেখে না-কাউকে সে অবমুল্যায়ন করে না। রোগী দেখেই সে বুঝে ফেলে তাঁর ক্ষমতা কতদুর- আমি ওখানে বসে দেখিনি যে একটা রোগী টাকা দিতে না পেরে ঔষন না নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সে পথ্য দেবার আগেই জিজ্ঞেস করে নেয়; এত টাকার ঔষধ দেই- দিব, নাকি কম দিব? আপনি চাইলে তিন দিনের নিতে পারেন, চাইলে আজকেরটা নিয়ে যান- বাকিটা পরে নিয়েন। এত টাকা নাই? দেখি কত আছে দেন- ওর মধ্যেই সাইর্যা দেই।
আর নারী রোগীদের ব্যাপারে সে স্পেশাল কেয়ার নেয়; পেছনের ঘরের পর্দা নেই। স্টেথিস্কোপ, থার্মোমিটার নিজের হাতে কখনো দেয় না; রোগিণীকে বলে দেয় কোথায় সেট করতে হবে। কিশোরি থেকে মহিলা তাঁর এখানে চরম কম্ফোর্ট ফিল করে। বিয়ের ব্যাপারটা সে সযতনে গোপন করে। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলে, দুই বাচ্চার বাপ সে।
ওর ওখানে বসে অনেক কিছু দেখার আছে; তবে আমি ভীত আতঙ্কিত হই এই দেখে যে, মানুষ ইদানিং ভয়ানক অসুস্থ হচ্ছে আর মুড়ি মুড়কীর মত ঔষধ খাচ্ছে।
****
ময়লা সবুজ শাড়ি পড়া মাথাভর্তি পাকা চুল- একটু স্থুলদেহী গাঢ় শ্যামবর্নের মুখভর্তি বয়সের বলিরেখা। হাতে একটা বাঁকানো লাঠি। খালিপায়ে ভিক্ষা করতে করতে বয়স্ক মহিলাটি রিন্টুর দোকানের সামনে এসে ভিক্ষা না চেয়ে সেই লাঠিতে ভর করেই মুখ চোখ বিকৃত করে বেশ কষ্ট করে এক ধাপ নেমে রিন্টুর দোকানের ভেতরে আসতেই, রিন্টু বলল, আপনি আসার আর সময় পাইলেন না। এখন যে রোগীর ভীড়। ঠিক আছে আসছেন যখন বসেন।
মহিলা তাঁর সামনের বেঞ্চিতে বসল।
রিন্টু সামনে উবু হয়ে জিজ্ঞেস করল, -আবার কি সমস্যা?
মহিলা ঘ্যাড় ঘ্যাড়ে ভাঙ্গা অথচ তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলল, -ভাইরে কিচ্ছু ভাল্লাগে না। পরানের ভিতরে খালি অস্থির লাগে।
রিন্টু তাঁকে আস্বস্ত করে বলল,-সব ঠিক হয়ে যাবেনে। ফের ঔষধ দিতেছি।
-ঔষধ তো দিছিলা- কাম তো হয় না। পরাণের ভিত্রে খালি অস্থির ঠ্যাহে।
রিন্টু খুব স্বাভাবিক কন্ঠে বলল, -সব অস্থিরতা-মস্থিরতা কাইট্যা যাবে। কিস্যু থাকবে না । অপেক্ষা করেন- মইর্যা গেলে সব ফিনিস।
(সে কথাটা এমনভাবে বলল, আমি হেসে ফেললাম।)
-মরি তো নারে ভাই। তুমি দোয়া কর য্যান তাড়াতাড়ি মইর্যা যাই। আল্লাতো নেয় ও না। তিন তিন্ড্যা জোয়ান ছাওয়ালরে মাটির নিচে শোয়ায় রাখলাম- আল্লা আমার মরন দিল না। ক্যান দিল না? কত মইরব্যার চাই, মরি তো না।
রিন্টু তখন কথা ঘোরাল, -কয় টাকা আনছেন দেখি?
মহিলা মুঠো থেকে কিছু কুঁচকানো খুচরো টাকা বের করে তাঁর হাতে দিল।
-এই টাকায় তো হবে না। পঞ্চাশ টাকার নোট গুলা কই? দেখি আঁচলের খুতি খোলেন।
আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম ঠিকই আচলের খুতি খুলে মহিলা দুটো পঞ্চাশ টাকার নোট তাঁর হাতে দিল।
-উঁহু এতেও কাম হবে না। ঔষধের দাম হবে, দুই'শ চল্লিশ- আপনি দিচ্ছেন একশ চল্লিশ! বাকি একশ টাকার কি ব্যাবস্থা হবে?
-দেরে ভাই আল্লাহ তোর ভাল করবে।
রিন্টু হাসল। আল্লা আমার আর কি ভাল করবে? আপনি কি এমন আকাম করছিলেন যে, আল্লায় আপনারে দিয়া ভিক্ষা করাচ্ছে? ঠিক আছে - পরে মনে থাকলে দিয়েন।
তখন আমি বললাম, বাকি টাকাটা আমি দিই?
রিন্টু আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল। না থাক এইটা আমিই দিছি। সে আর পয়সা কড়ি দিবে না। তুমি যদি দিতে চাও তো ভাল কিছু ঔষধ দিব তারে। এইগুলা মন ভুলানো ঔষধ। খুব একটা কামে লাগবে না।
***
যাবার সময়ে মহিলা আমার মাথায় হাত বোলাতে চাইলে আমি হাতটা এগিয়ে দিলাম। তাঁর অশক্ত জীর্ন হাতখানা আমার হাত ধরে বললেন, বাবারে তোমার জন্য দোয়া করি আল্লায় তোমারে হায়াতদারাজ করুক। আর তুমি আমার জন্য দোয়া কইরো 'আল্লায় য্যান আমারে তাড়াতাড়ি পরপারে নিয়ে যায়, এ জীবন আর সহ্য হয় না রে ভাই।'
বলতে বলতে তাঁর দু'চোখ বেয়ে দু-ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল ...
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আহা অতি উদার হয়ে আমাকে স্নেহ করে যদিও বেশি আস্কারা দিয়ে ফেলেছেন তবুও সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তু আপনি কেন চুপ মেরে গেলেন- ওদেশে কি আর কোন গল্প তৈরি হচ্ছে না, জীবনটা কি ঘোরটোপে বন্দী হয়ে গেল??
আপনি ইদানিং ব্লগারদের বেশ ফাঁকি দিচ্ছেন ভাই।
এমন মন্তব্যে মন ভরে যায় আর কিছু বলার থাকে না। ভাল থাকুন নিরন্তর।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৫
বিষাদ সময় বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
চমৎকার....চমৎকার......চমৎকার!
গল্পের মতো মনে হলো। বর্ননার ঢংয়ে চোখের সামনে ছবির মতো দেখতে পেলুম সব। একেই বলে "লেখক"।
জীবনটা এমনিই - " আহারে..." বলে বলে পার করতে হয়!
এরপর তেমন কিছু আর বলার থাকেনা তবে সামান্য ক`টি শব্দ যোগ না করলে যেন কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায় -অসাধারণ আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আহমেদ জী এস- ভাই এর স্নেহ ও আস্কারার সাথে আপনার যোগ করা শব্দাবলীর ভার বহন করা বেশ কষ্টসাধ্য।
যদিও এমন মন্তব্যে দারুণ আনন্দিত ও প্রীত হওয়াটাই আমাদের মত অতি সাধারণ ব্লগারদের জন্য স্বাভাবিক -আমি কিভাবে এর ব্যতিক্রম হই।
ব্লগের এই দুঃসময়ে লেখা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১
ইসিয়াক বলেছেন: রিন্টু৷ যত৷ না ডাক্তার ( যদিও হাতুড়ে) তার চাইতে চৌকস ব্যবসায়ী।কোথাও কোথাও গ্রামের মানুষ এখনও অতিমাত্রায় সহজসরল। এরা যার প্রতি একবার বিশ্বাস করে তাকে মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করে।রিন্টুর ব্যবসার মূলধন এইসব সহজসরল মানুষ । যখন আমি সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করতাম তখন লোকজন আমাকে কি পরিমাণ যে বিশ্বাস করতো তা বলে বোঝানো যাবে না।
পোস্টে বর্ণিত ভদ্রমহিলার মত বয়স্ক ভদ্রমহিলার সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। ইনারা লেখা পড়া না জানলেও আচরণ ব্যবহারে অতি উত্তম। উনার মঙ্গল হোক।
পোস্ট ভালো লাগলো।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: রিন্টু জাত ব্যাবসায়ী সেটা ঠিক কিন্তু গ্রামের মানুষ আর আগের মত সহজ-সরল নেই।
পুরো দেশের মানুষ জটিল কুটিল হয়ে গেছে। তবে কিছু মানুষ এখনো সরল নয় বোকা রয়ে গেছে-তারা নিজ পরিবারের কাছেও ব্রাত্য।
এই মহিলা জীবনযুদ্ধে পরাজিত- অসহায় ক্লান্ত বিদ্ধস্ত! তাঁর কোন সপ্ন নেই, ভবিষ্যত নেই, আশা আকাঙ্খা প্রেম আশ্রয় কিচ্ছু নেই।পৃথিবীতে বেঁচে থাকার একটা কোন কারন আছে বলে আমার মনে হয় নেই। এমন জীবন বড় অভিশপ্ত অনাকাঙ্খিত! এমন জীবন কারো কাম্য নয়।
ভাল থাকুন।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের বাড়ী এবং রাজীবদের বাড়ী বিক্রমপুর।ব্লগে হয়তো আরো অনেকের বাড়ী বিক্রমপুর।আব্বা চাকরি করতো বৃটিশের আর্মিতে।দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধে বার্মার যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলো।জাপানিদের কাছে বৃটিশ আর্মি বার্মায় পরাজিত হলে আব্বা পালিয়ে গ্রামেচলে আসে।পুলিশ খুঁজ করছিলো আর্মিতে যোগদেয়ার জন্য।আব্বা কলকাতা চলেযায়।পরে আম্মাকে নিয়ে যায়।পরবর্তিতে আমাদের পুরোগ্রাম পদ্মায় বিলিন হয়ে যায়।গ্রামের বেশির ভাগ লোক যশোর চলে যায়।আমরা কলকাতা থেকে যশোর চলে আসি।নানির বাড়ী বিক্রমপুর।গ্রামের বাড়ী যশোর হলেও আমার বেড়ে উঠা বিক্রমপুর।৭১এর পর ঢাকায় স্থায়ী।ধান ভানতে শিবের গীত।
এক সময় খলিফার কাজ(কাপড় সেলাই) ও সিলভারের হাড়িপাতিলের ব্যবসা বিক্রমপুরের লোকদের একচেটিয়া ছিলো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: তথ্যবহুল মন্তব্য- বেশ অনেক কিছু জানা গেল আপনার মারফত।
আপনার বাবারওতো বেশ ঘটনাবহুল রোমাঞ্চকর জীবন ছিল। বিক্রমপুরের নব্বুইভাগ অঞ্চল নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে- সেখানকার মানুষ অন্য অঞ্চলে বাস পরিবর্তন ও জীবিকা অর্জনের জন্য বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগী হয়েছিল।
আমি খলিফার বিষয়টা জানলেও সিলভার হাড়ি পাতিলের ব্যাপারটা জানতাম না।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
প্রতি-উত্তরের জন্যে ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টে আমার মন্তব্যের ঘরে আপনি প্রায়ই জানতে চান, আমি চুপ মেরে আছি কেন! উত্তরটা আপনিই দিয়েছেন - জীবনটা কি ঘোরটোপে বন্দী হয়ে গেল??
অনেকটা তাই। "ইনহাস্ত ওয়াতনম" বলে একটা কথা আছে। খুব মিস করি আমার দেশটাকে। জীবনের শিশুকাল-কৈশোর- যৌবন- বুড়োকালের অনেকটা যে কোলাহল আর নিত্য বৈচিত্রে কাটিয়ে এসেছি এখানে তার দেখা মেলা ভার। যে হৈ-চৈ, প্রানের ঢল আর মানুষের জটলা-আড্ডার আমেজ রক্তে মিশে আছে সেই রক্তে ঝড় তোলার মতো তেমন কিছু নেই এখানে। হ্যা ...শপিং মলগুলোতে সুন্দরী সুন্দরী মেয়েদের দেখা মেলে বটে তবে তা চোখের প্রশান্তি, মনের খোরাক নয়।
হয় কি; স্ত্রী কাজে চলে যান, সাথে থাকা নাতিটি তার য়্যুনিভার্সিটির লেখাপড়া নিয়ে ঘরে বা ক্যাম্পাসে ব্যস্ত। আমার কিছু করার থাকেনা। আমি একা ঘর পাহারা দেই। ঘর গোছাই, রান্নাবান্না করি, বাগান পরিচর্যা করি, স্ত্রী ঘরে ফিরলে তার ঘরকন্নার কাজে হাত লাগাই। অর্থাৎ " হাউজ হাজব্যান্ড" হয়ে আছি। এছাড়া সময় কাটানোর জন্যে আর কি করতে পারি ?
আর ফাঁকে ফাকে দেশের খবরা খবর জানতে ইউটিউবে ইউটিউবারদের কথামালা দেখি আর মনে মনে গজরাতে থাকি এটা ভেবে যে, দেশের হলোটা কি !পাশাপাশি সিনেমা-নাটক দেখি, তাসের সলিটেয়ার খেলি। হঠাৎ হঠাৎ ব্লগে ঢুকে আঙুল গোনা মন্তব্যও করি। ব্লগের পোস্ট পড়ি বটে তবে ক্যাচাল লাগবেনা এমন মন্তব্য করার মতো তেমন পোস্ট চোখে পড়েনা। ব্লগে আমার চুপ থাকার এটাও একটা কারন। মাঝে মাঝে নিজের ব্লগে ঢুকে নিজের লেখাগুলিই আবার পড়ি।
সব মিলিয়ে আগের মতো ব্লগীয় উচ্ছাসটা ধরে রাখতে পারছিনে ঠিকঠাক। কিছু কিছু লেখার কোশেশ করছি অবশ্য কিন্তু শেষ করতেই যতো অনীহা। আর এদেশে তৈরী হওয়া গল্পের খোঁজে সামাজিক স্তরে প্রবেশ করার সুযোগ অনেকটাই নেই। সবাই ব্যস্ত যার যার কাজে। তারপরে ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন সমাজ। চোখের দেখা বিষয় নিয়ে হয়তো নিজে বানিয়ে বানিয়ে গল্প লেখা যায় মাত্র!
এই যে এতো কিছু বললুম তার উদ্দেশ্যটা হলো ব্লগের সবার কাছে আমার নিরবতার কারনটুকু তুলে ধরা যাতে কেউ মনে না করেন যে, আমি হারিয়ে গেছি একেবারেই।
শুভেচ্ছান্তে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: এইতো আপনার একটা পুরোদস্তুর ব্লগ হয়ে গেছে।
এমন অখণ্ড আনন্দময় ভাবনাহীন অবসর ক'জনের ভাগ্যে মেলে বলুনতো? এখনইতো সময় জীবনের সেরাটা দেবার।
একটু ভাল করে ভেবে দেখুন; জীবনের কত কিছু নিয়েই না লেখা বাকি রয়ে গেছে। আমারতো মনে হয় তিন জীবনে এক জীবনের গল্প লেলখা শেষ হবে না ... হাঃ হাঃ ( তেমন আহামরি কিছু নেই যদিও)
অত বেশী ভাববেন না- মনে যা আসে তাই নিয়ে লিখবেন, আমি নিশ্চিত আপনার অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞতা একসাথে যদি কলমে প্রকাশ পায় তাহলে দারুন কিছু হবে। সময়কে আর অবহেলা করবেন না প্লিজ।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বড় লেখা সাধারণত পড়ি না, কিন্তু লেখাটাই আমাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেল। রাজস্থান থেকে ভিখারিনী-বেশ হয়েছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০০
শেরজা তপন বলেছেন: যাক আমার বড় লেখা আপনাকে যে মহাজাগতিক সব ধ্যান ধারনা থেকে মাটির সাধারণ গল্পে টেনে এনেছে এতে আমি প্রীত হলাম।
ভাল থাকবেন।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেকদিন পর চমৎকার একটি গল্প পড়লাম; গল্পতো নয় যেন মনে হচ্ছে আমি নিজেই রিন্টুর পাশে বসে আছি আর এটাই হলো গল্পের সার্থকতা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও অনেকদিনবাদে পেলাম মনে হচ্ছে সুপ্রিয় এস এম আর।
মন্তব্য ও পাঠে দারুন প্রীত হলাম। ব্লগে আরেকটু সময় দিবেন আশা করি।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনি হয়তো ভাববেন আমি বাড়িয়ে বলছি। আসলে মোটেই না। আপনার এই গল্পটা মানিক-তারাশঙ্কর লেভেলের হয়েছে। বর্ণনাভঙ্গি অসাধারণ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়েতো আমি আমি বাতাসে ভেসে ভেসে আকাশে উড়েই যাচ্ছি। তবে যাই হোক ভায়া এটা বাড়াবাড়ি রকমের তুলনা। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল আপনার প্রতি।
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন:
মাড়োয়ারি কথা মনে উঠলে সেই কুখ্যাত অপারেশন খরচাখাতার কথা মনে ওঠে। কতটা নির্দয় হলে মানুষকে এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে মারে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৩ জুন, বিহারী ও রাজাকার ইজাহার আহমেদ, বিহারী নেতা কাইয়ুম খান ও বিপুলসংখ্যক বিহারী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী সৈন্যরা মিলে মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের হিন্দু লোকদেরকে ট্রেনে করে নিরাপদে ভারতে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ৪৩৭ জন নিরীহ মানুষকে নীলফামারীর, গোলাহাট নামক স্থানে কচুকাটা করেছিল। যেটি কুখ্যাত অপারেশন খরচাখাতা নামে পরিচিত। কুখ্যাত অপারেশন খরচাখাতা নিয়ে একটা ব্লগ ইতিমধ্যে ড্রাফটে আছে। সেখানে বিস্তারিত লিখবো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১০
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ঘটনাটা শেয়ার করার জন্য ব্লগার ইএম সেলিম আহমেদ
ঘটনাটা আমার ভাসা ভাসা জানা ছিল। বড় মর্মান্তিক ব্যাপার! ব্যাবসায়ী হিসেবে সুনামের সারা ভারতবর্ষ দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য
অনেকেরই ক্ষোভ ছিল মারোয়াড়ি সম্প্রদায়ের উপর।
এভাবেই নিরীহদের উপর জাতীয়তাবাদ ধর্ম বর্ণের নামে বরাবরই অত্যাচার করেছে কিছু লোভী ক্ষমতাধর মানুষ- অবশেষ লাভ বিশেষ হয়নি। কিন্তু ইতিহাস থেকে শিক্ষা কেউ নেয় না- এভাবে অত্যাচার চলতেই থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: ওহ্ বলা হয়নি- আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম ...
( স্বাগতম আমার ব্লগে)
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
রানার ব্লগ বলেছেন: বাহ !!!! বেশ লেগেছে !!!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ও সুপ্রিয় ব্লগার- ব্লগটার হার্ট সচল রেখেছেন আপনারা ক'জনে মিলে।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
তপন ভাই লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছেঃ
তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি কেবল শুনি।
বরাবরের মতো আপনি নিজেকে চিনিয়েছেন। পুরোটা পড়লাম । একদম চোখের সামনে নিমাই ডাক্তারের হোমিওপ্যাথির চেম্বারের ছবি ভেসে উঠেছে বার বার। রোগি, পুরিয়া, দাগ সব একদম দেখতে পাচ্ছিলাম।
শুভ কামনা নিরন্তর
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: হুম একটু ভুল শুধরে দিই ; এ লেখা পড়ে আপনার মত অনেকের ধারনা হতে পারে রিন্টু হয়তো হোমিও ডাক্তার।
কিন্তু তা নয় সে পুরোদস্তুর এলোপ্যাথিক ডাক্তার। একসময় এলোপ্যাথিক ডাক্তার কাচের বোতলে সিরাপ এমন কাগজে দাগ কেটে দিত, সিরাপের মধ্যে আবার ক্যাপ্সুল খুলে ক্যাপসুলের ঔষধ ঢেলে দিত। কয়েক প্রকার ট্যাবলেট একসাথে গুড়ো পুরিয়া করে দিত, সেগুলো পানিতে গুলে খেতে হোত। তখন মফঃস্বল বা গ্রামে খুব কম ডাক্তার কোম্পানীর ঔষধ সরাসরি পেস্ক্রাইব করত। তারা নিজেদের মত এলোপ্যাথিক আর আয়ুর্বেদিক মিশিয়ে ভিন্ন একধরনের চিকিৎসা করত।
আপনার স্মরণে যা আছে তাও ঠিক এটার সাথে মিলে যায়, তবে হোমিও ডাক্তারেরা আগে স্টেথিস্কোপ, থার্মোমিটার আর প্রেসার মাপার যন্ত্র ব্যাবহার করত কদাচিৎ।
ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল প্রিয় ভ্রাতা ও সুপ্রিয় ব্লগার বরাবরের মত অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২০
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ও সুপ্রিয় ব্লগার- ব্লগটার হার্ট সচল রেখেছেন আপনারা ক'জনে মিলে।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল।
আহা !! কবি বলে ডাকলেন , শুনেই মনে প্রজাপতি উরলো । একটু লজ্জাও লেগেছে
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আহা কবিদের কবি বললে তারা কত খুশী হয় কিন্তু সাহিত্যকদের আলাদা করে কোন নাম নেই যা তাদের তেমন করে খুশী করতে পারে এক কথায় আফসোস!!
আপনার মনে আনন্দের প্রজাপতি উড়া্তে পেরে আমি মহা আনন্দিত।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: সহজ সাধারন জীবনের অসাধারন উপস্থাপনা । খুব ভাল লাগল পড়ে। কিছু স্মৃতিও মনে পড়ে গেল। এই যেমন খলিফা । সব মফস্বল শহড়েই মনে হয় দর্জিদের খলিফা বলত। ঢাকা শহড়ে সব সময় দর্জিদের টেইলর বলতেই দেখে এসেছি। মনে পড়ে ঈদের সময় দাদাবাড়ীতে গেলে বড় চাচা সবার জন্য জামা বানাতে দিতেন খলিফাকে। একই গজ কাপড়ে বাড়ীর ছোট মেয়েদের জন্য ফ্রক আর বড় মেয়েদের জন্য সালোয়ার কামিজ। আর ছেলেদের ছোট বড় সবার জন্য ঘিয়া কালারের পাঞ্জাবী। ছোটরা যাই পেত তাতেই খুশী। কিন্ত বড়রা দেখতাম রাগে গজগজ করত। খলিফার চৌদ্দ গুষ্টী উদ্ধার করত কোন ডিজাইন নাই , কিছু নাই ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: 'খলিফা' নামটা বেশ ওজনদার ছিল- দর্জি'তে নেমে সেটা অনেক হালকা হয়ে গেছে! সে সময়ের খলিফারা বেশ ভাব গম্ভীর থাকত-ধুতি ছাড়া সব কিছু সেলাইয়ের প্রয়োজনে খলিফার প্রয়োজন পড়তই। আমি যখন প্রথম শার্ট আর ফুলপ্যান্ট বানালাম -সে কি ভাব ছিল তাঁর, এখনো সে ছবিখানা আছে।
ধন্যবাদ আপনার পুরনো দিনের স্মৃতি শেয়ার করার জন্য। ভাল থাকুন -শুভ কামনা রইল।
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুব সুন্দর। আমার জন্মস্থান যশোর শহরে একসময় অনেক মাড়োয়ারী পরিবার ছিলো। এখনো বেশ কিছু আছে। আর মাড়োয়ারী মন্দির তো বিখ্যাত যায়গা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ একে তো উন্নত শহর তারপরে ভারতের কাছাকাছি ব্যাবসাঞ্চল বলে যশোর অঞ্চলে প্রচুর মাড়োয়ারীর বাস। আশির দশকে আমার বেশ কিছু সময়ে যশোরে কেটেছে। আমার বড় খালা আর মেঝ ফুপু যশোরে থাকতেন।
১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
জুন বলেছেন: সব ধরনের লেখায় আপনার সহজাত দক্ষতায় মুগ্ধ একজন পাঠকের ভালোলাগা নিবেন শেরজা। রিন্টু নামে আমারও পরিচিত একজন ডাক্তার আছে সে ঢাকায় কোন হসপিটালে আছে তবে গ্রামেও গরীব মানুষদের ফ্রী চিকিৎসা করে। আপনার লেখা পড়ে চমকে উঠেছিলাম।
ভালোলাগা নম্বর ১২
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি রিন্টু নামে আপনারও একজন পরিচিত ডাক্তার আছে? বেশ - নামে কামে খানিকটা মিলে গেল
তা ওদেশ কেমন লাগছে, ঠান্ডায় নাকি কাহিল হয়ে যাচ্ছেন?
তা ওখানে কি কাঠাল পাতা আছে? না থাকলে কি চিবিয়ে এত বড় লেখাটা পড়ে শেষ করলেন শুনি?
ভাল থাকবেন-আপনার ভ্রমন সার্থক ও আরামদায়ক হউক।
১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৪৯
স্প্যানকড বলেছেন: জীবন সত্যি কখন যে কি উপহার দেয় বলা মুশকিল ! মন খারাপ হয়ে গেল ভদ্র মহিলার জন্য ।আহ : ! জীবন । ভালো থাকবেন সব সময়
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: দীর্ঘ সময় পরে মন্তব্যে আসার জন্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ মন খারাপ হবার মতনই ব্যাপার।
আপনি কবি মানুষ স্পর্শকাতর মন আপনার- এ ব্যাপারে সহজেই মন কাঁদা স্বাভাবিক। ভাল থাকবেন ...
১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আহা অতি উদার হয়ে আমাকে স্নেহ করে যদিও বেশি আস্কারা দিয়ে ফেলেছেন
ভালোয় ভালোয় আস্কারা মাথায় তুলে নিন। নইলে আস্কারা দেয়ার মতো মানুষ পরবর্তিতে অনুবীক্ষন যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাবেন না।
২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা কথা খারাপ বলেন নি- তবুও এমন দুর্দিন বাঙলা ব্লগের আসবে বলে মনে হয় না।
১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৮
শায়মা বলেছেন: সবাই তো এই জীবনের গল্প পড়ে প্রশংসা করতে করতে শেষ ভাইয়া!!!
আসলেও এই জীবনের গল্প যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম। বুড়িমানুষটিকে তো ছবি না দেখলেই ঠিকই দেখে নেওয়া যেত মনের চোখ দিয়ে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: রিন্টু যেমন বলেছিল সব ঠিক হয়ে যাবে, মইর্যা গেলে সব ফিনিস।
তখন অনেক কষ্টের মধ্যেও ওর বলার স্টাইলে আমার যেমন হাসি পেয়েছিল ঠিক তেমনি আপনার মন্তব্যের স্টাইলে আমার হাসি পেল।
সময়টা ছিল ভর দুপুর-আমি এমন একটা এঙ্গেলে বসেছিলাম যে, খুব সহজে তাঁর অলক্ষ্যে ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাই তুলেছি। তখন ভাবিনি যে, তাঁকে নিয়ে ব্লগে লিখব- প্রতিদিন তাঁর এখানে যে কত কিসিমের মানুষ আসে আর কত তাদের গল্প!! সে এক অন্য দুনিয়া। আর রিন্টু যেন এক ম্যাজিসিয়ান- কিভাবে যে সে মানুষের পকেটের খবর জানে আর কয়েকজন রোগীকে একই সাথে সামাল দেয় সেটা না দেখলে বোঝার উপায় নাই। রোগী থাকলে সে নিজের বাপরেও চেনে না-তার সামনে দুই ঘন্টা বসে থাকলে সে ফিরেও তাকাবে না
আপনার রোজার ইফতারির আইটেম দেখে আমি বেকায়দা রকম পেরেশানীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম
১৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনি আসলেই জাত লেখক! লেখাটা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে! বেশ ভাল লেগেছে, প্রশংসা না করে উপায় ছিলনা বলেই প্রশংসা করতে হল, বাকিটুকু বুইজা লইয়েন ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কই হারাইলেন?
কোন খবর-খোঁজ কিস্যু নাই!!! অনেকদিন পরে মনে হয় আপনার মন্তব্য পাইলাম - না কি?
মানুষ ইদানিং উপায় থাকে না বলে প্রশংসা করতে বাধ্য হয় - বেশ, অনেক কিছু দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে! গ্লোবাল ( হিউম্যান) ওয়ার্মিং
আমিতো মনে হয় একটু বেশীই বুঝে নিলাম
২০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১১
শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া আমার আইটেম এত হেল্দি ছিলো আমি নিজে অসুস্থ হলাম না আর তুমি দেখেই অস্থির!!!!!!!!!!!! বুঝেছি তোমাকে চোখের ডক্টর দেখাতে হবে।
রোজার পরে ঈদের পোস্ট তো দিলামই না। ঈদের ডেজার্ট টেবিলও সাজিয়েছিলাম মনের মাধুরী মিশিয়ে। আসলে এসব আমি খেলাছলে সাজাতে সাজতে একদিন দেখলাম বড় পরিসরে স্বীকৃতি পেয়ে গেছি। এমন করেও মানুষ খেলাধুলা হাসিগান নিয়েও পরিচিতি পেতে পারে, পুরষ্কৃত হতে পারে জীবনেও জানতাম না নিজেকে না দেখলে.......
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আর বইলেন না ইতিহাসে এই প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে চারদিন পান্তাভাত খেয়েছি- রিচ্ ফুড দেখেই গা গোলাচ্ছিল, শ্বাশুড়ি কত আহ্লাদ করে চিতই পিঠা করেছিল- আমার মুখে রুচেনি। ভাল খাবার থেকে মনে হয় রুজি উঠে গেছে
আসলে এসব আমি খেলাছলে সাজাতে সাজতে একদিন দেখলাম বড় পরিসরে স্বীকৃতি পেয়ে গেছি।
~ এই গল্পটা একটু বলেন -শুনি ...
২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
শায়মা বলেছেন: আসলে এসব আমি খেলাছলে সাজাতে সাজতে একদিন দেখলাম বড় পরিসরে স্বীকৃতি পেয়ে গেছি।
~ এই গল্পটা একটু বলেন -শুনি ...
এই গল্প বলিবার নহে। ইহা যিহা আবিষ্কার করেন তিহাদের জন্যই। জানোনা আমি লুইজ্জাবতী লতা!!!!!!!
আই মিন ইন্ট্রোভার্ট মানুষ কিন্তু কেহক বিশ্বাস করেন লাহে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কথাতো ফাঁস করে দিল ডল' আপু। আপনি আবার কবে থেকে এতো লজ্জাবতী হইলেন
তারপরে আবার ইন্ট্রোভার্ট!!! মাইরি কিছু শব্দের অর্থ খুব শিঘ্রী পাল্টাইতে হবে
২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আর তুমি আমার জন্য দোয়া কইরো 'আল্লায় য্যান আমারে তাড়াতাড়ি পরপারে নিয়ে যায়, এ জীবন আর সহ্য হয় না রে ভাই।'
কত কষ্টে একজন মানুষ এ কথা বলে!!!
কিছুদিন আগে আমি একজন তরুণ বয়সীর কাছ থেকে ঠিক এমন কথা শুনলাম। জীবন দিন দিন এতো কঠিন হয়ে যাচ্ছে, এই জীবন আর টানা যাচ্ছে না, মরে গেলে মুক্তি।
এরকম অনেক মানুষ আছে যাদের সবার কষ্ট আমরা জানি না।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:২১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ কিছু মানুষের কাছে জীবনটা ভয়ঙ্কর এক বোঝা স্বরূপ- তারা না পারে টানতে না পারে নিজেকে শেষ করে দিতে।
ভেবে দেখুন; এমন একজন মানুষের একেকটা রাত কিভাবে কাটে? আমিতো ভাবতে গেলেই দম আটকে আসে
এর থেকে বনে বাদারে আমাদের প্রাইমেটদের মত হুপ হাপ করে জীবনটা কাটিয়ে দিলেই ভাল ছিল ...
২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
যাবার সময়ে মহিলা আমার মাথায় হাত বোলাতে চাইলে আমি হাতটা এগিয়ে দিলাম।
মাথায় হাত বোলাতে চাইলো, আর শেরজা হাত এগিয়ে দিলো
তাঁর অশক্ত জীর্ন হাতখানা আমার হাত ধরে বললেন, বাবারে তোমার জন্য দোয়া করি আল্লায় তোমারে হায়াতদারাজ করুক।
এই কথায় এক গল্প মনে পড়লো।
একবার আমি আর আমার এক বন্ধু কোথাও যাবার পথে মিষ্টির দোকানে থেমেছি মিষ্টি কিনবো।
এমন সময় এরকম এক ভদ্রমহিলা এসে সাহায্য চাইলো। যেহেতু অনেক বয়স্ক বৃদ্ধা, আমি ওনাকে কিছু টাকা দিলাম।
উনি মহা খুশি, দোয়া করতে শুরু করলেন। কিন্তু ওনার দোয়া শুনে আমি আর আমার বন্ধু খুব হাসলাম।
আমরা কাপল না, জাস্ট বন্ধু অথচ উনি দোয়া করেছেন .........
আল্লাহ যেন আমাদের খুব ভালো রাখেন, আমাদের সংসার যেন সুখের হয়।
আমাদেরকে যেনো ঘর ভরা বাচ্চাকাচ্চা দেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: কারো বেশী ভক্তি উচ্ছাস উন্মাদনা আমাকে নিয়ে আমার বিশেষ টানে না। আমি একটু বিব্রতবোধ করি।
কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া মানুষ কাউকে স্পেশাল কিছু দেয় না -তাই না?
আপনার ওই দোয়া এখনো সফল হবার সম্ভাবনা আছে- সময় শেষ হয়ে যায় নি
২৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আসলে এসব আমি খেলাছলে সাজাতে সাজতে একদিন দেখলাম বড় পরিসরে স্বীকৃতি পেয়ে গেছি।
~ এই গল্পটা একটু বলেন -শুনি ...
আমার লজ্জাবতী লতা আপুতো বলবে না, আমি বলছি।
আপু এতো সুন্দর করে বাসা সাজিয়েছে যে বেশ কিছু চ্যানেলে এই নিয়ে প্রোগ্রাম হয়েছে।
আমি সবগুলো দেখেছি, ভীষণ সুন্দর!
শায়মাপু, আমি কি শেরজাকে লিংক দিবো?
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও কিছু কিছু শুনেছিলাম- দেখেছিও মনে হয়। আপুর ইউটিউব একটা চ্যানেলও আছে সম্ভবত
আপনার এই মন্তব্যের উত্তর দেবার আগেই দেখি শায়মা আপু মন্তব্য করেছেন; ঠিক আছে দেখি আমি খুঁজে বের করতে পারি কি না?
শুধু চ্যানেলের নাম আর দিন ক্ষনটা বলেন আপনি
২৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
শায়মা বলেছেন: না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! দেবে না মিররমনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
নিজে খুঁজে বের করুক!!!!!!!!!!!!!!!!
আসলেও আমি লজ্জাবতী লতা!!!!!!!!!!!!!! এই কথা কেনো যে কেউ বিশ্বাস করে না!!!!!!!
আমি ইন্ট্রোভার্টও ( আমার মতে) এটাও কেউ বিশ্বাস করে না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মিররমনি আর তুমি আরও কিছু দেখোনি ...... বাসা সাজুগুজু বাদে আর কিছু কিছু!!!!
আবিষ্কার কের ফেললে তাপ্পল বব্বো!!!!
২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: লজ্জা নারীর ভূষন- সেই হিসেবে ঠিক আছে-কিন্তু লতা পাতা হয়ে আবার জড়ালেন কেন?
লজ্জাবতি তো স্পর্শে নুয়ে পড়ে।
আমরা যদি ভাস্কোদা গামার মত কেরালা আবিস্কার করেই ফেলি তবে বাংলায় আসা ঠেকাবেন কেমনে?
২৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪
শায়মা বলেছেন: হা হা আবিষ্কাল কলো না আমি লুইজ্জা পাই তো!!!
এইবার বুঝলে লজ্জাবতীর লতা পাতা কোনগুলা??? এই যে করো এর জায়গায় কলো আবিষ্কারের জায়গায় আবিষ্কাল....
নিন্দুকেরা অবশ্য বলে ঢং আর শত্রুরা বলে নেকামী......
আসলে আমি লুইজ্জাবতী লতা পাতা শাক সব্জী ফল মূল ডাল পালা .....
২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশেও এক সময় আদি ও অকৃত্রিম প্রচুর মারোয়ারির বাস ছিল। আমি ছোটবেলা থেকেই তাদের দেখেছি।
সেই ছোটবেলা থেকে এটাও দেখেছি যে আমার জেলা লালমনিরহাট এর ব্যবসা বাণিজ্যের প্রায় সবই নিয়ন্ত্রণ করছে বিক্রমপুরের লোকেরা। বিশেষ করে কাপড়ের আর এ্যালুমুনিয়ামের তৈজসপত্রের দোকান। একবার একজন সেখানে আসতে পারলে সে কালক্রমে তার ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতি সবাইকেই নিয়ে আসে। তবে একথা বলতে আমার মোটেই দ্বিধা নেই যে ওরা অত্যন্ত দক্ষ ব্যবসায়ী। আমার মনে হয় ব্যবসায়ের গোপন দীক্ষা ওরা প্রজন্মান্তরে পূর্ব-পুরুষদের নিকট থেকে পেয়ে এসেছে।
আমাদের গ্রামেও দর্জিদেরকে খলিফা নামে ডাকা হয়।
পোস্টের উচ্চমান সম্পর্কে প্রায় সবাই প্রশংসা করে গেছেন, আমি আর কী বলবো? এক কথায় বলতে পারি, অসাধারণ! রিন্টু এবং ভিখারিণীর চরিত্র দুটো অত্যন্ত নিখুঁতভাবে চিত্রিত করেছেন। এমন পোস্টে প্লাস দেয়ার কথা আবার কেউ ভোলে নাকি? ++
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনারা মার থেকে নিশ্চিতভাবে অনেক বেশী কিছু দেখেছেন ও জানেন।
আমাদের এলাকায় হিন্দুদের প্রভাব প্রতিপত্তি অনেক বেশী ছিল। বিশেষ করে মাড়োয়ারিদের। এলাকায় সবচেয়ে জাকজমকপুর্ন পূজামণ্ডপ হত মাড়োয়ারিদের অর্থায়নে।
বিক্রমপুরের ব্যাবসায়ীদের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক।
আপনার চমৎকার আন্তরিক ও অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
চমৎকার....চমৎকার......চমৎকার!
গল্পের মতো মনে হলো। বর্ননার ঢংয়ে চোখের সামনে ছবির মতো দেখতে পেলুম সব। একেই বলে "লেখক"।
জীবনটা এমনিই - " আহারে..." বলে বলে পার করতে হয়!