নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য দিন দিন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আলোচনাটা বেশ অনেক দিনের নতুন নয়। সরকার কোন মতেই দ্রব্যমুল্যের রাশ টেনে ধরতে পারছে না। জনগনের অভি্যোগ জানানোর কোন জায়গা নেই, নামে গনতান্ত্রিক সরকার হলেও জবাবদিহির প্রশ্নই আসে না।
ঢাকায় পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করে ছোট একটা ফ্লাট ভাড়া করে চারজনের সংসার চালানো বেজায় কষ্টকর! আমরা যা ভাবার শহরের মানুষদের নিয়ে ভাবি- গ্রামের মানুষদের নিয়ে ভাবার সময়ই নেই।
ভেবেছিলাম; খোদ ঢাকা শহরের যদি এমন অবস্থা হয় তবে গ্রাম বা মফস্বলের পরিস্থিতি আরো অনেক বেশী নাজুক হবার কথা। কিন্তু এবার ঈদে ও বৈশাখে আমাদ ধারনা আমুল পাল্টে গেল! আমি অদ্ভুত কিছু ঘটনার সাক্ষী হলাম। এমনটা শুধু আমি নই- আমার পাশাপাশি যাদের গ্রাম বা মফস্বলের সাথে এখনো নাড়ির বন্ধন টিকে আছে তাদের সবার অভিজ্ঞতা প্রায় একই।
বাজারে ঈদের চাঁদ রাত দুটো পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের ঢল- মশলা, মুদি, দর্জী, কাপড় আর জুতার দোকানে মানুষ গিজ গিজ করছে। ভীড় সামলাতে দোকানীরা কাহিল হয়ে গেছে। শুধু কি তাই ইলেক্ট্রনিকের দোকান, মাংসের দোকান আর মিষ্টির দোকানও খোলা তখন, ক্রেতার অভাব নেই।
আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে যেই আধা শহরে একটা গরু কেটে কসাই হত্যে দিয়ে বসে থাকত, সেখানে নাকি আজকে দশটা কসাই হাঁপিয়ে গেছে! মাংস আজ আর দাম জিজ্ঞেস করে কেউ কিনছে না। ৮৫০ টাকে কেজি তারা আজ মাংস বিক্রি করছে। এলাকার রিক্সা চালকও ভিড় ঠেলে কাড়াকাড়ি করে পাঁচ কেজি মাংস নিয়ে যাচ্ছে।
ওদিকে ২৭শে রমজানে আমাদের এলাকায় আমি নিজের মত বেছে বেছে মাংশ কিনেছি ৭৫০ টাকা করে, তবুও দাম বেশি মনে হয়েছে।
ওখানে আমার এক আত্মীয় সরকারী চাকুরি করেন। সৎ মানুষ। তিনি মাংসের দাম জিজ্ঞেস করেছিলেন; কসাই একটুখানি তাঁর দিকে চেয়ে বলেছিল, দরদাম করলে আর মাংস পাইবেন না কাকা- কয় কেজি নিবেন কন?
আমি পরদিন থেকে রিন্টুর দোকানে বসে দেখেছি; পরনে মলিন লুঙ্গী, গায়ে ছেড়া পকেটের শার্ট, বহু পুরনো ময়লা গামছা কাঁধে অতি দরিদ্র বেশভুষার মানুষ আসছে 'বমি ডায়রিয়া' নিয়ে। রোগের কারন কি? এক বেলায় দেড় দুই কেজি কেজি গরুর মাংস রান্না করে খেয়েছে, তেল চর্বি সমেত ঝোলে হাত ডুবিয়ে। রিন্টু ওদের ঔষধ দিচ্ছে গাদা গাদা। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করছি, গটাগট ৫০০ একহাজার টাকার নোট বের করে দিচ্ছে সবাই। অসুখ বিসুখের মা বাপ নাই, ঔষধ খাচ্ছে সবাই মুড়ির মত। এন্টাসিড জাতীয় ঔষধ একবার ট্যাবলেট একবার লিকুইড ফের পানিতে গুলিয়ে দমাদম মারছে; ঢেকুর, গ্যাস, বুকজ্বলা কমলেই ফের খেতে বসছে। কি ভীষন এক রোগে পেয়ে বসেছে এই জাতিকে।
***
পহেলা বৈশাখের আগের দিনে বাজারে দেখলাম কয়েক ট্রাক তরমুজ আসল। আমি দেখে মনে মনে হাসলাম। ঢাকায় তরমুজ বয়কট চলছে; কোথাও কোথাও ২৫/৩০ টাকা কেজিও কেউ কিনছে না। কত শত পচা তরমুজ ডোবা নালা ভাগাড়ে ফেলে দিচ্ছে। উপায় না দেখে মনে হয় এখন মফস্বলে একটু সস্তাতে বেচার ধান্দা করছে। তবে এই কয় ট্রাক তরমুজ মাগনা দিলেও পুরা এলাকায় বিলোতে পারবে না আমি নিশ্চিত। পরদিন রিন্টু দেখি বিশাল দুই তরমুজ দোকানে নিয়ে হাজির।
-কি ব্যাপার খুব সস্তায় পাইলা মনে হয়।
রিন্টু হেসে কয়, সস্তা আর কই। ষাট টাকা কেজি নিল। দুইটা নিল 'এগার'শ ষাট(১১৬০)।
আমি শুনে ঢোক গিললাম।
খানিক বাদে বাজারে চক্কর দিয়ে দেখি পুরা বাজার ফকফকা - দুই চারটা পচা ধ্বচা ত্যাড়া ব্যাকা তরমুজ এদিক ওদিক গড়াগড়ি খাচ্ছে!!!
***
ঢাকায় আসার আগের দিন নদীর মাছের লোভে বাজারে একটু ঢু দিলাম।
চকচকে কাজলী (বাঁশ পাবদা বা বাঁশ পাতা) মাছ দেখে মনে হল এখুনি কাঁচা দু চারটে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। কদিন আগে একটু থেবড়ে যাওয়া কিছুটা বাসি 'কাজলী' সুপার সপ সপ্ন থেকে ১২০০ কেজি দরে কিনেছিলাম।
এখানে ভেবেছিলাম আরেকটু সস্তা হবে নিশ্চিত- তাই হয় বরাবর। তবে দাম শুনে আমি বেকুব বনে গেলাম! পাক্কা দুই হাজার। আমার এজন্মের ইতিহাসে দুইহাজার দরের ছোট মাছ দেখি নাই কখনো।
ওখান থেকে পিছলে গিয়ে পাশের মাছ বিক্রেতার ডালিতে বড় বড় 'গুলশা ট্যাংড়া' (স্থানভেদে 'গুলাইয়া' ‘গুইল্লা টেংরা’ বা ‘লাইট্ট টেংরা’ও বলে।) দেখে আর লোভ সামলানো গেল না- 'কাজলী' যখন কপালে জুটল না তবে এটাতেই সই।
-কিহে মিয়া দাম কত?
-কত্তা আপনারা নিজেগের লোক। এট্টু আগে ঠেকায় (ডাকে) কিনছি, ওই মুন্সী সাক্ষী- এরে মুন্সী ক না কত্তা রে?
এবার মুন্সী এগিয়ে এসে আধখানা সালাম দিয়ে বলল, -সার, দুই কেজির উপ্রে মাছ হবে। ও বত্রিশ্শো দিয়ে কিনছে। আপনি সাড়ে তিন দিয়ে দিয়েন যান।
ও বক বক করে যায় আর আমি মনে মনে ভাবি 'কত্তার গুষ্টি কিলাই- ইয়া আল্লা আমি এ কোন খানে আসলাম'!
***
ছবি স্বত্বঃ সাটারস্টক ( কারুকাজঃ লেখক স্বয়ং)
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ত গরম আর কষ্টের মাঝে একটু হাসেন! যদিও আপনি মহা আনন্দে আছেন; নবীজী'কে সপ্নে দেখেছেন, এর উপরে একটুকরো বেহেস্তও দুনিয়ায় থেকে দেখে ফেলেছেন- দুনিয়াবির কষ্ট আপনার কাছে এখন অতি তুচ্ছ।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা কি রম্য নাকি সত্যি ঘটনা বুঝলাম না।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ইয়া আল্লা- আমিতো ভীষন সিরিয়াস লেখা লিখলাম! রম্য হয়ে গেছে নাকি??
আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন- এটা সত্য ঘটনা! এই দেশে এখন বহুত তেলেসমাতি কাণ্ড ঘটতেছে রে ভাই, বাইরে থেকে ঠাহর হয় না- চাপাবাজি মনে হয়!
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাইলে কিছু কথা আছে। এখন অফিসে একটা জরুরী কামে ব্যাস্ত। পরে ডিটেইলস এ আসতেছি।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমার এখন ঘুমের সময় -আর আপনার জরুরী কাম ঠিক আছে আসেন ( ভোঁতা দা দিয়ে কোপাইয়েন না)
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দুনিয়াবির কষ্ট আপনার কাছে এখন অতি তুচ্ছ। - আলহামদুলিল্লাহ, কষ্ট জাতীয় কিছু অনুভব করছি বলে মনে হয় না। মেয়েরা ফেবুতে পোষ্ট দিয়ে বলছে, তারা তাদের আয়ু থেকে তাদের বাবাকে একটা অংশ দিয়ে দিতে চায়। তাদের মা বলল, দেখ বাবাকে আয়ু দিতে চায় মাকে আয়ু দিতে চায় না। আমি মেয়েদেরকে বললাম কোন বাবাই মেয়েদের আয়ু নিয়ে বেঁচে থাকতে চাইবে না।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: থাক যার তার হায়াৎ নিয়ে থাকুন। আপনি অনেক ভাগ্যবান মানুষ-এমন কন্যা পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার!
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দেশে দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতি , এর ফলে অনেকের দুর্গতি
আবার অনেকের পকেট স্ফীতির সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছেন।
এ বিষয়ে সরকারকে যতই চাপাচাপি করা হোক না কেন তাতে
তাদের তরে কোন কাপাকাপিই হবেনা , দ্রব্যমুল্য তাদেরে পায়না ।
যাদেরে পায় তারা দ্রব্যের পিছনে না ছোটে, চলে টাকার পানে ।
বস্তা ভরে ঘরে টাকা এনে তা দিয়ে মাত্র মুঠি ভরে চাল ডাল কিনে
আর ভোগে সকল পরিবার পরিজনে ।
প্রথম কথা ,পরিবারের বয়স্ক সকলকে আয় উপার্জনমুলক কাজ করতে হবে ।
ডিপেন্ডেন্ট রেসিও কমাতে হবে । দ্বিতীয় কথা, টাকার পিছনে না ছুটে
দ্রব্য বা পণ্যের পানে ছুটতে হবে, যে ভাবেই হোক পণ্য ও সেবার উৎপাদন
বাড়াতে হবে। কলম পিশার চেয়ে বেশী করে হাতুরী শাবল কোদাল চালাতে হবে।
রাজনীতি পেশার লাগাম টেনে ধরতে হবে ।
সরকারের অবশ্য করনীয় অনেক কিছুই আছে। তবে ডুবন্ত নৌকার ছিদ্রপথের পানি
যেমন নৌকার ফোটুয় চাবলা মেরে ঠেকানো যায়না , তেমনিভাবে দিনের বেলায়
নিন্ম আয়ের কিছু মানূষকে রোদের মাঝে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে টিসিবির মাধ্যমে
কমদামে জিনিষ বেচে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি ঠেকানোর চেষ্টা গুলি রাতের আঁধারে
সিন্ডিবাজের কালো হাতের ছোবলে একেবারেই ভেস্তে যাচ্ছে । দ্রব্যমুল্য
কমানোতে সরকারী স্বল্পমেয়াদী সকল উদ্যোগ ও কর্মসুচীই নিশ্ফল হচ্ছে।
শহড় ও গ্রামাঞ্চচলের মানুষের জন্য মঙ্গলদায়ক স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা
ও কর্মসুচী নিয়ে বছর দুয়েক আগে সামুতে একটি বেশ বড় আকারের পোষ্ট দিয়েছিলাম।
সেটি সম্ভবত আপনার দেখা হয়ে উঠেনি। এখন ইচ্ছে করলে নীচে দেয়া লিংক ফলো
করে দেখে আসতে পারেন । এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে শহড়াঞ্চল ও গ্রামের সকলের
জন্য মঙ্গলদায়ক হবে বলে বিশ্বাস করি ।
গ্রামীণ এলাকায় হরাইজনটাল এবং ভার্টিকেল গৃহ নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সৃজনের লক্ষ্যে একটি রূপকল্প
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: বাহ্ দারুণ দ্রব্যমুল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন সামাজিক স্তরে এর ইফেক্ট, রাজনীতিবিদদের গড়িমসি, সরকারের ব্যর্থ ও নিষ্ফল উদ্যোগ নিয়ে একখান কবিতা লিখে ফেলেছেন তো ভাই!
সময় করে আপনার লেখাটা অবশ্যই পড়ব।
লিঙ্ক দেবার জন্য ধন্যবাদ। আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন। ভাল থাকুন।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও ঈদ গ্রামে করেছি এবার। গরুর মাংসের সরবরাহের চেয়ে ক্রেতা অনেক বেশী। ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। বাংলাদেশের গ্রামের বহু পরিবারের আপনজন বিদেশে থাকে। টাকার সাথে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের আয় কিছুটা বেড়েছে। আপনাদের এলাকায় প্রবাসীর সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশী। মাদারিপুরে বেশী। তরমুজের কেজি সম্ভবত ৮০০ টাকা উঠেছিল। এই ধরণের পণ্যের বাজার মূল্যের ওঠা নামার সাথে শেয়ার বাজারের মনে হয় মিল আছে।
লঞ্চে করে বরিশাল গিয়েছিলাম। ফিরেছিও লঞ্চে। অনেক দিন পরে লঞ্চে চললাম। একেকটা লঞ্চ ছোট জাহাজের মত প্রায়। সদরঘাটের পানির কালো রঙ দেখে কষ্ট লাগলো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে লঞ্চগুলি বেশ ফাঁকা। লঞ্চের লোকদের দেমাগও মনে হয় কিছুটা কমেছে। তবে ঈদের সময় ২ জন মারা গেল ঘাটে দুই লঞ্চের ঠেলাঠেলিতে। পেপারে এই খবর পড়েছিলাম।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা কিছুটা ঠিক যাদের পরিবারের মানুষ বিদেশ থাকে তারা ঘরে বসে বসে অনেক বেশি পয়সা খরচ করে কামাই রোজগার নিজেদের করতে হয় না বলে পয়সা খরচ করতে কষ্ট হয় না।
কিন্তু এছাড়াও প্রান্তিক জনগণের হাতেও ইদানিং পয়সা আসছে কেন আসছে কি কারনে আসছে এর কিছু ব্যাপার আমি ফাইন্ড আউট করার চেষ্টা করছি। হঠাৎ হাতে আসা অতিরিক্ত কাঁচা-পয়সা নিয়ে তারা একটু বেদিশা টাল মাতাল হয়ে গেছে!
সবাই শহরে মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে।
পদ্মা ব্রিজ হবার পরে কিছু মানুষের ভাগ্য খুলে গেলেও কিছু ব্যবসায় মহা বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বরিশালের লঞ্চের সদরঘাটের ব্যাপারে আপনার উপলব্ধি ঠিক।
কিন্তু ঘটনা হলো এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন? আপনাকে মনে মনে অনেক খুঁজছিলাম -হারিয়ে গেলেন কেন?
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: যখন এক টাকায় আটমন ধান পাওয়া যেতো তখনো মানুষ অভাবে ছিলো।লোকে ঠিক মতো খেতে পারতো না।সারা গ্রামে দুই চার জনের ঘরে এক টাকা ছিলো।যখন আট টাকা মন ধান ছিলো তখনো মানুষের অভাবের শেষ ছিলো না।
আয়ের একটা সমতা বিধান করতে হবে।যেটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব না।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: কথা ঠিক ভাই- একদম খাঁটি কথা! এই দেশের মানুষের অভাব মনে হয় কোনদিন যাবে না!
আপনার হাল ছেড়ে দিয়ে বিদেশে খুঁটি করে বসে আছেন -জীবনটা তো শেষ করে দিলেন কিছুই করতে পারলেন না আর কে করবে?কোন যোগ্য প্রজন্মের হাতে দেশ ছেড়ে দিয়ে গেছেন?
৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: বিস্তারিত পড়ে বোঝলাম,মানুষের হাতে পয়সা আছে প্রচুর।এই পয়সা কোথা থেকে আসছে বোঝা গেলো না।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০
শেরজা তপন বলেছেন: কার হাতে পয়সা আছে আর কার হাতে পয়সা নাই এটা বোঝা বড় মুশকিল বাইরে থেকে। পোশাক-আশাক ঠাট-বাটে আর বোঝা যাচ্ছে না এখন আগের মত।
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: এমনটা মনে হওয়া স্বাভাবিক । আপনি গ্রামের কথা বললেন ঢাকাতেই কখনও কোন কসাই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি হয় নি, পচে গেছে এমনটা দেখেছেন কখনও? ঢাকার নিউমার্কেট কিংবা বসুন্ধরা সিটিতে শুক্রবারে আমি ভয়েই যাই না সেখানে এতো ভীড় ! কাচ্চি দোকান গুলোতে কখনও এমন হয় না যে কাচ্চি রান্না করেছে কিন্তু বিক্রি হয় নি। বিশ হাজার টাকা কেজি সোনার জিলাপিও কিন্তু আউট অব স্টক হয়ে যায় ! ঢাকায় চার কোটি লোকের বাস । সেখান থেকে যদি কেবল ১০ হাজার লোক একসাথে বসুন্ধরাতে গিয়ে হাজির হয় আপনি ভাবতে পারেন কী অবস্থা হবে? আপনার চোখে সেটা মনে হবে এতো মানুষ ! অথচ দেখুন ৪ কোটির কাছে ১০ হাজার কত ক্ষুদ্র !
বাংলাদেশে সব স্থানেই এই চিত্র । কিছু মানুষের কাছে আসলেই টাকা আছে ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঢাকায় বসবাসতো তিনযুগের উপর হয়ে গেল। অনেক কিছুই দেখা হল- কত কিছু আমুল পাল্টে যেতে দেখলাম।
এখন আমার ফ্যাক্টরিতে দেতে তিনটে রুট ব্যাবহার করি; একটা সাভার হয়ে বিশ মাইল দিয়ে, আরেকটা বিরুলিয়া খাগান দিয়ে, আর শেষটে ঢৌড় হয়ে আশুলিয়ে জিরাবোর বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে। প্রতিদিন চোখের সামনে অসংখ্য বাজার ঘাট ব্যাবসাকেন্দ্র আর হাজার কিসিমের মানুষ নজরে আসে। কতকিছু গড়ে উঠতে আর রাতারাতি উধাও হয়ে যেতে দেখলাম।
আমরা শুধু ঢাকার অবস্থা নিয়ে ভাবি- কিন্তু মূলত; অর্থনৈতিক মুল্যায়নে ঢাকায় বসবাস সবচেয়ে কঠিন। ঢাকায় ধনী গরিবের ব্যাবধান চরম মাত্রায় বেশী।
গ্রাম মফস্বলের অনেক মানুষ এখন ঢাকায় বসবাসকারী মধ্যবিত্ত্ব উচ্চ মধ্যবিত্ত্বদের আর পাত্তা দেয় না! তারা অনেকেই এদের থেকে ভাল মানের জীবন যাপন করে। এমনটা খুব দ্রুত পাল্টে গেছে।
১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮
ধুলো মেঘ বলেছেন: মানুষের ইনকাম তো অবশ্যই বেড়েছে - এ কথা স্বীকার করতেই হবে। ২০২০ সালের দিকেও ২ টাকা ভিক্ষা নিতে কেউ আপত্তি করেনি। এখন ৫ টাকার কম কেউ নেয়না।
২০২০ সালে সর্বনিম্ন রিকশা ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখন ১০ টাকার জন্য কেউ যাত্রী তুলবেনা।
২০২০ সালে সর্বনিম্ন বাস ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন ১০ টাকা দিলেও মুখ ব্যাকা করে।
তাহলে কি দাঁড়াল? ২০২০ সালের তুলনায় নিম্নবিত্ত মানুষের ইনকামই দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। আর গরুর মাংস? ২০২০ সালে ছিল ৬৫০ টাকা - এখন ১০০ টাকা বেড়ে সাড়ে সাতশ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: ভিখেরিরা ৫ টাকাও বেশ মন খারাপ করে নেয়। আমাদের এখানে এক পঙ্গু ভিখেরি আছে যার স্ত্রী গার্মেন্টে চাকুরি করে আর ছেলে প্রবাসী। সে হুইল চেয়ারে ছেড়া কাথার নীচে দামী ফোন রাখে- ফাঁক বুঝে ছেলেকে ভিডিও কলে ফোন দেয়। এমন শত শত ভিখেরি আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। রাস্তার মোরের কিছু চটপটি বিক্রেতা যে পয়সা আয় করে প্রতিদিন অনেক ভাল হোটেলে সে পরিমান বিক্রিও হয় না। একজন অটো রিক্সা চালক যে কোন সাধারণ মানের রিপ্রেজেন্টেটিভ, গার্মেন্টস কর্মী, কেরানী, কেয়ার টেকার এমনকি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রবেশনাল অফিসার থেকে ভাল আয় করে।
নিন্মবিত্তদের আয় বেড়েছে- তিনবেলা খাবার দিয়ে, এখাজার টাকা মুজুরীতেও একজন ধান কাটার কামলা পাওয়া যায় না। জীবনের মুল্য আর আয় কমেছে মধ্যবিত্তদের।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই চরম গরমে মানুষ মনে হয় আপাতত সব কিছু ভুলে গেছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঈদের সময়ে গরমের এত উত্তাপ ছিল না। এখন ঈদ হলে এমন গরু খেয়ে কয়েক হাজার সাফ হয়ে যেত
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮
রানার ব্লগ বলেছেন: গ্রামের মানুষের হাতে অর্থ এসেছে । এরা সারা বছর শহরে আয় করে ঈদ পার্বনে খরচ করার জন্য । এটা ভালো লক্ষন সাথে সাথে খারাপ লক্ষন ও । আগে গ্রামে গেলে যে স্নহের যে পরশ পেতাম এখন বাড়ি গেলে স্নহের বদলে সন্দেহের চোখে তাকায় সাথে তাচ্ছিল্যের একটা ভাইব থাকে ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। তাদের কথা ভাব ও অহঙ্কার বেড়েছে। বলে ঢাকায় থেকে এত বছর কি করলা?
ওই দেখ ও চল্লিশ লাখ দিয়ে ঘর উঠাইছে। বাজারে দোকান কিনছে দেড় কোটি দিয়ে। ছেলের মোসলমানিতে লোক খাওয়াইছে আড়াই হাজার।
আমাদের বাজারে এক লোক জুতা বেচে, এখনো ফ্লোরে চটের উপরে বসে। ধুলায় ধুসারিত পুরো দোকান- একটা জুতা দেখতে চাইলে - ঝাড়া দিলে এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। ওই ব্যাটার ভাই আর বোন জামাই আমেরিকা থাকে। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা। এদের লেবাস দেখে অর্থ মাপা সম্ভব নয়।
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
আরাফআহনাফ বলেছেন: কেমন যেন অস্থিরতা সবকিছুতেই - নিত্য পণ্য থেকে শুরু করে প্রকৃতি কিংবা মানুষের ব্যবহার পর্যন্ত।
কোথাও স্বস্তি নেই।
মাঝে মাঝে দমটাই বন্ধ হয়ে আসে যেন!!
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: চারিদিকে প্রতারকে ভরে গেছে- মনে হচ্ছে ভয়াবহ এক গজব নাজিল হওয়া ছাড়া এই জাতিকে আর সামলানো যাবেনা। যে যেভাবে পারপছে যার যতটুকি সামর্থে কুলাচ্ছে প্রতারনা করছে। রোজ কেয়ামত সামনে -যত দ্রুত টাকা ইনকাম করে ভোগ দখল করে যেতে হবে, এই নিয়তে আছে সবাই।
আপনার থেকে আমার অবস্থা ভাল নয় ভাই।
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২
মায়াস্পর্শ বলেছেন: "" ইবলিশ শয়তানে দিলো দাম বাড়াইয়া ""
কাজলের প্যারোডি গানটা মনে পড়লো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ গানটা শুনেছিলাম মনে হয়। কাজল কি হারিয়ে গেল? বেঁচে আছেন কি?
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
করুণাধারা বলেছেন: দুই হাজার টাকা কেজির ছোট মাছ আমিও চোখে দেখি নাই জীবনে!
ভালো লাগলো সমৃদ্ধির কাহিনী।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত আমার একই অবস্থা!!! ভাবেন এই হাল
আমার এক বড় ভাই নাকি আলফাডাঙ্গায় গিয়ে গুলশা ট্যাংড়া কিনেছে তিন হাজার টাকা কেজি দরে! শুনে আমার মাইল্ড স্ট্রক করার দশা!!
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে অন্য এক বুন্ধু এসে একইরকম গল্প শোনায়। সিরাজগঞ্জের টাও ভিন্ন নয়। শুধু চরাঞ্চল আর রিমোট কিছু এরিয়া বাদে পুরোদেশের হাল এমনই।
১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
মধ্যবিত্ত জীবনের এই করুণ বাস্তব কাহিনী পড়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া সত্যি কিছু বলার নেই!!!
৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন -আমার হতচ্ছাড়া মধ্যবিত্তের এই জীবন কাহিনী পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর গতি কি বলুন?
১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের দেশে কিছু গ্রাম আছে যেই গ্রামের প্রতিটা পরিবারেরই এক বা একাধিক সদস্য প্রবাসী। এসব প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা বসে বসে খাওয়া ছাড়া আর কিছুই করে না। এই ধরনের কোন একটা এলাকা সম্ভবতঃ উঠে এসেছে আপনার লেখায়। বাংলাদেশে মোট গ্রামের শতকরা হিসাবে এটা কতো ভাগ? অংকের ভাষায় এটাকে বলে ''নেগলিজেবল এমাউন্ট''। আর এই নেগলিজেবল এমাউন্টের উপর ভিত্তি করে আপনি এমন একটা জেনারালাইজড শিরোনাম, অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!! দিতে পারেন? আপনার লেখায় মনে হচ্ছে এটা সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। আপনি শিরোনামে একটা নির্দিষ্ট এলাকার কথা বললে যুক্তিযুক্ত হতো, নয় কি? স্যরি টু সে, পোষ্টটা ব্লগার কালবৈশাখী টাইপ পোষ্ট হয়ে গিয়েছে।
পোষ্টে আপনার শ্যালো অবজার্ভেশান থেকে অতি আবেগী কিছু কথাও উঠে এসেছে। পরনে মলিন লুঙ্গী, গায়ে ছেড়া পকেটের শার্ট, বহু পুরনো ময়লা গামছা কাঁধে অতি দরিদ্র বেশভুষার মানুষ আসছে 'বমি ডায়রিয়া' নিয়ে। এমন একজন মানুষ এক বসায় ১,৫০০ টাকার গরুর মাংস উড়িয়ে দিয়ে অষুধ নিতে এসেছে। শরীর ঠিক হয়ে গেলে আবার খাবে? যার লুঙ্গি, শার্ট......ইভেন গামছা কেনার সামর্থ্য নাই সে গটাগট ৫০০/১০০০ টাকার নোট বের করে দিচ্ছে? আর ইউ সিরিয়াস? তরমুজ কিংবা মাছের ব্যাপারেও আমি কিছু কথা বলতাম, তবে সেটা না বলে একটা রিপোর্টের কথা বলি।
জাতিসংঘের Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR) এর বাংলাদেশের extreme poverty and human rights এর উপরে করা। মে, ২০২৩ এর, বলা যায় লেটেস্ট রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, By 2022, 20.5% Bangladeshis living in rural areas were in poverty. However, general indicators do not tell the whole story.
First, income inequality is rising. The Government of Bangladesh recognises the need to reduce inequality in the Eighth five-year plan (2020-2025).
Second, a category of "new poor" is emerging: these are households which are just above the poverty line, have little to no savings, and are therefore highly vulnerable to becoming poor after a shock.
রিপোর্টের যেই কথাগুলো কোট করলাম, এর মধ্যে বিরাট কিছু সমস্যার ইঙ্গিত আছে। মনে হয় আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে না। আপনি চাইলে সম্পূর্ণ রিপোর্টটা দিতে পারি। ইন্সট্যান্টলি লিঙ্ক দিতে চেষ্টা করলাম। বিরাট লিঙ্ক, কেন জানি সামু নিচ্ছে না। অন্যভাবে দিতে হবে।
আলোচনা আর দীর্ঘায়িত না করি। আশাকরি, আমার বক্তব্য পরিস্কার করতে পেরেছি। তারপরেও কোন ঘাটতি থাকলে জানাবেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আরো ব্যাখ্যা করতে।
০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের উত্তর দিতে হলে পুরো আরেকটা পোস্ট লিখতে হয়; এত সুদীর্ঘ সময় ও ধৈর্য নিয়ে মন্তব্যের উত্তর দেবার ফুসরত আমি পাচ্ছিনা। চাইলে অল্প কথায় সারতে পারি; কিন্তু সেটা বেশী চাছাছোলা উত্তর হয়ে যাবে যেটা আমার মোটামুটি চরিত্র বিরুদ্ধ।
তারপরেও যেহেতু অল্প বিস্তর আমার লেখা নিয়মিত আপনি পড়েন সেহেতু আমাকে নিয়ে আপনার ধারনা আছে যে, শহর গ্রাম মফস্বলের সাথে যোগসুত্র আমার নিয়মিত থাকে। একেকজনের দেখার দৃষ্টি, পরিবেশ পরিস্থিতি, এলাকা, অবস্থান ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে- সেটা স্বাভাবিক। আমার লেখার সুত্র ধরে তবে এটা নিশ্চয়ই আপনি জেনে গেছেন যে, এখনো আমি নিয়মিত ব্যাস্ত এক আবাসিক এলাকার গলির মোড়ে বেশ বড়সড় আড্ডায় সময় কাটাই। সেখানে আমার সমবয়সী বন্ধু থেকে শুরু করে আমার থেকে ১৫ বছর কম বয়সী তরুন আর কখনো আশি বছরের বৃদ্ধরাও আড্ডা দেয়। সুদীর্ঘ ছত্রিশ বছরের এই আড্ডায় ( কিছু স্থান পাল্টেছে) বাংলাদেশে তো বটেই সারা পৃথিবীতে যেখানে যত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বন্ধু বান্ধবেরা আছে তারা এই এলাকায় আসলে দু'একবার আড্ডায় বসে মনের আর্গল মেলে ধরতে না পারলে পেটের ভাত হজম হয় না।
আমাদের আড্ডা যখন শেষ হয় তখন আর এক গ্রুপ আসে- তাদের টাইম সাড়ে দশটা থেকে রাত বারোটা। উঠে আসার সময়ে এই দুই গ্রুপের সাথে কিছুক্ষুন বাৎচিত চলে।
আড্ডার প্রায় প্রত্যেকেই গ্রামের সাথে নিয়মিত কানেক্টেড থাকে। একজন নিয়মিত আলফাডাঙা- অন্যজন কাশিয়ানি, একজন যায় বোয়ালমারি, একজন সিরাজগঞ্জ, বগুড়ার একজন আরেকজন নিয়মিত যায় কাশীয়ানি, বন্ধু বিপ্লব গতকাল দীর্ঘ পনেরদিন বাদে নোয়াখালি থকে আসল ( ওর বক্তব্য ঠিক আমার মতই ছিল)। এরা মাসে দু'একবার যাতায়াত করে - বাকি ৭০ ভাগ মেম্বার বছরে এক আধবার নিশ্চিত যায়।
এখন উপকুলীয় অঞ্চল বা চরাঞ্চল যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে পভার্টি বেশী সেখানে যদি কেউ না থাকে সেটা দোষ নয়।
আপ্নি যদি মনে করেন আপনি ব্রিটেনে বসে কিছু লোকের সাথে কথা বলে কিছু ভিডিও দেখে আর এইসব OHCHR বা অন্য সংস্থার রিপোর্ট পড়ে আমার থেকে অনেক বেশী জেনে বসে আছেন তবে সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার। আমাকে হাসান কালবৈশাখী কেন নাহল তরকারির সাথে তুলনা করতে পারেন কোন সমস্যা নেই।
আমি পুরো দেশের খবর রাখার চেষ্টা করি আমার মত করে আপনি করেন আপনার মত করে- আপনার কাছে আপনারটা সহি আমার কাছে আমারটা সহি। দুইজনেই পরিপক্ক কিংবা সুপার ম্যাচিয়্যুরড- কাউকে অন্তত এই ব্যাপারে বোঝানোর কিছু নাই।
১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
পাইকার বলেছেন: ভাউজানের উপর থাইকা চাপ কইমা গেচে দেখতাচি। এইরাম করলে আগের মতো অবস্তা হইতারে। সাধু ( নীলসাধু নয়) সাবধান।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি আমাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেছেন?আসলে আপনার মন্তব্যগুলো মাথার উপরে দিয়ে গেছে, আমার এন্টেনায় ধরতে পারেনি- আফসোস!!
১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পাইকার বলেছেন: দেখি আপুদা এরপর কি করে। আপ্নের পুস্টে কমেন্টাইলে খপর দিবেন।
২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
পাইকার বলেছেন: কিন্তু
২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩
পাইকার বলেছেন: সরি অপুদা ভুলে বানান ভুল হইচে। মাপ কইরা দ্যান।
২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। আপনার প্রত্যক্ষ বয়ানে বিষয়গুলো উঠে এসেছে বলে পুরো লেখাটায় একটা বেশ হাত-ডুবিয়ে পেটপুরে ভোজনের আনন্দ আছে।
দেশে মজুরি বা চাকরিজীবী মানুষের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতা প্রকট হয়ে উঠলেও বহু মানুষের আয় বেড়েছে এতে সন্দেহ নেই।
যে মূল্যস্ফীতি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য দুর্যোগ, সেটা কিন্তু আবার এক শ্রেণির মানুষের জন্য আশির্বাদ। আপনি তরমুজের মূল্য বৃদ্ধির যে উদাহরণটা দিয়েছেন একে সরলীকরণ করে জিডিপিতে রূপান্তর করি তাহলে আগে যেটা ২০০ টাকা ছিলো মোট দেশজ উৎপাদনের মূল্য সেটা এখন বেড়ে ১১৬০ টাকা হয়েছে । আগে যখন জিডিপির ২২০ টাকা বন্টন হতো মজুরি, ভাড়া, সুদ এবং লাভ হিসেবে তখন কৃষকের লাভ, ভ্যান-ওয়ালার ভাড় ছিল কম এখন ১১৬০ টাকা হওয়ায় তাদের সকলের আয় বেড়েছে।
টাকায় আটমন ধান পাওয়া যাওয়াটা অর্থনীতির বিবেচনায় আসলে খুবই খারাপ একটা নির্দেশক। মোটামুটি ভাবে এটা ধরে নেওয়া যায় যে একটা উন্নত এবং সমতা-ভিত্তিক এবং সাম্যভাবাপন্ন দেশে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি হবে, যেটা আপনি উচ্চ মজুরি আয় করে আপনার জীবনধারনে সমতা বিধান করবেন।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: দেশজ উৎপাদন মুজুরি জিডিপি মুজুরি বন্টন নিয়ে যে ডাটা দিয়েছেন সেটা কিছু ক্ষেত্রে ঠিক আছে। আমার মনে হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাতে যে কোন উপায়ে হোক না কেন আগের থেকে বেশী টাকা যাচ্ছে এবং তারা সে টাকা না জমিয়ে শহুরে মানুষের সাথে টেক্কা দিতে গিয়ে ফুটানি দেখাচ্ছে।
অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্যি যে, আমার শ্বশুর বাড়ির কাজের বুয়া তাঁর সতের বছরের ছেলেকে তিন লক্ষ টাকা দিতে মোটর সাইকেল আর আশি হাজার টাকা দিয়ে সেলফোন কিনে দিয়েছে!!
অনেক মফস্বলের বাজারের জমির দাম ঢাকার জমির দামের প্রায় সমান!
অনেক কিছু অতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে ভোজবাজির মত -এর পেছনের কারন খোঁজার চেষ্টা করছি।
২৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩২
শায়মা বলেছেন: এত মানুষ চারিদিকে এত কিছু কিনছে এই কারনেই তো দাম বাড়লেও কোনোই সমস্যা হচ্ছে না।
আমি তো আজকাল শুধু খানা পিনা না বৈশাখ ঈদ পালা পার্বনে খুব স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝেও উৎসবের আনন্দ দেখি। ধনী গরীব নির্বিশেষে সবাই নানা রঙ্গের মানে বিভিন্ন উৎসবের থিম মিলিয়ে পোশাক পরছে, ঘুরছে আনন্দ করছে। মনে হয় কারো কোন অভাব নেই। এত এত জামা কাপড়ের দোকান, খাবারের দোকান বাড়ছে কারন এত দাম বাড়ার পরেও তো সকলেই আসছে, কিনছে।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনিতো সবসময়ই একটা জোশে থাকেন
আল্লায় আপনারে বিন্দাস একটা লাইফ দিসে।
তবে আপনার কথা কিন্তু বেঠিক নয়। আমার সেই মফঃস্বল এলাকায়। গত দু বছর আগেও একতা গ্রিল নান রুটির দোকান শুরু করার পরে খদ্দেরের অভাবে ছমাস ও টেকে নি। কিন্তু এবার দেখি অনলাইনে ফাস্ট ফুডের অর্ডার নিচ্ছে কয়েকটা ফুড শপ। একটাতে অর্ডার দিয়ে ক্ষদ্দেরের চাপে চারঘন্টা পরে ডেলিভারি পেলাম। তাও ডেলিভারি দিয়ে গেল তিনটে মোটর সাইকেলে করে ছয়টা উঠতি বয়সী ছেলে- বুঝুন ভাব!!
২৪| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬
জোবাইর বলেছেন:
আমার অভিজ্ঞতাও আপনার মতোই এবং আপনার সাথে শতভাগ একমত।
আমাদের গ্রামে আজ থেকে ২০ বছর আগে কাঁচা রাস্তা ছিল কোনো রকমে রিকশা যেতো, এখন পাকা রাস্তা প্রতিটি বাড়িতে গাড়ি যায়। ৮০ ভাগ ছিল কৃষক পরিবার যারা সম্পূর্ণ কৃষির আয়ের ওপর নির্ভরশীল। এখন প্রায় প্রতিটি পরিবারে এক বা একাধিক জন প্রবাসী, কেউ চাকুরিজীবী, কেউ ব্যবসায়ী। সারা গ্রামে মোটর সাইকেল ছিল একজনের, এখন ১০ থেকে ১৫ পরিবারের আছে নিজস্ব গাড়ি। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যাওয়ার কারণে শহরের উচ্চবিত্ত পরিবারের মতো বিনোদন ও বিলাসিতার প্রায় সব উপকরণ আছে বেশিরভাগ পরিবারে। আমাদের গ্রামের বাজারে তখন একজন টিভি/রেডিও মেকানিকও ছিল না, এখন টিভি-মোবাইল ফোনের শো রুম আছে।
দলকানা অনেকে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করার জন্য এগুলো দেখেও না দেখার ভান করে। উল্লেখ্য, মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়নের সব খ্যাতি আওয়ামী লীগের একার নয়। উন্নত যোগাযাগ ব্যবস্থা, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রতিযোগিতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে মানুষের আয় বাড়ছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি কোন দলের পক্ষে বা উন্নয়নের পক্ষে কথা বলতে চাই না। বিষয়টা একেবারেই অন্যরকম!
আমার ধারনা মানুষের অর্থনৈতিক ও মানসিক অবস্থা পাল্টে যাবার কারন ভিন্ন কিছু।
তবে আপনার আমার কথায় অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। প্রান্তিক জনগোষ্টীর হাতে পয়সা আসছে সেটা কেউ মানতে চায় না। এখন পার্বত্য চট্রগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরাও জেনে গেছে কিভাবে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা কামাইতে হয়। জুম দিয়ে শুধু তাদের আর সংসার চলে না। এখন তারা হাইব্রিড আদা, লেবু, হলুদ, কলা, আনারস আর আম চাষে ঝুকে গেছে। ওদের হাতেও এখন প্রচুর টাকা। এসব কথা কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।
অনেকেরই ধারনা শুধু প্রবাসীদের টাকা দিয়ে কিছু মানুষ ফুর্তি করে এদেশে কিন্তু এটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল।
অনেক দিন বাদে আপনাকে পেলাম ভাই। কথা হবে আগামীতে। ভাল থাকবেন।
২৫| ০২ রা মে, ২০২৪ ভোর ৬:৫৪
সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে তাই নাকি!!! দেশতো তাইলে দৈাড়াইতেছেরে ভাই।
দেশ ভালো থাকলে আমরা ও ভালো থাকি।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: ক্যান এমনে আচমকা দৌড়ানো শুরু করল সেইটা ঠিক বুঝবার পারতেছি না আপা। কিছু একটা ঝামেলা আছে। ফাইন্ড আউট করার চেষ্টা করতেছি। মানুষের আবেগ বিবেকও সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একসাথে পুরো নষ্ট এক জাতিতে পরিনত হচ্ছি দিন দিন। এটা কিন্তু উন্নয়নের লক্ষন নয়।
২৬| ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চেইতা গেছেন বোঝাই যাইতেছে। আসলে গেয়ান কম থাকায় কি কইতে কি কইলাম, নিজেই বুঝলাম না, এখন মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করতাছে!!!
আসলে ঠিকই কইছেন.................আপ্নি যদি মনে করেন আপনি ব্রিটেনে বসে কিছু লোকের সাথে কথা বলে কিছু ভিডিও দেখে আর এইসব OHCHR বা অন্য সংস্থার রিপোর্ট পড়ে আমার থেকে অনেক বেশী জেনে বসে আছেন তবে সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার।
আপনে থাকেন দেশে, এক্কেরে কোর হার্টে! আর আমি বৈদেশে। আপনে আমার থিকা বেশী জানবেন, এইটাই স্বাভাবিক। আমিও একটা বেকুব, এই সহজ কথাটা আগে বুঝি নাই। অন্যায় হইছে। ভুয়া মনে কইরা মাফ কইরা দিয়েন!!!
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: এইবার তো আপনি বেশী মাইন্ড খেয়ে ফেললেন
২৭| ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের সময় ক্ষমতায় থাকা ফ্রান্সের সম্রাট ষোড়শ লুইয়ের মহাপ্রতাপশালী স্ত্রী-সম্রাজ্ঞী ছিলেন এই মারি আঁত্তিওনেত। ফরাসি বিপ্লবের কিছুকাল আগে থেকেই ফ্রান্সে চলছিল প্রচণ্ড খাদ্যাভাব। ইউরোপের বহু দেশের মতো সাধারণ ফরাসিদেরও প্রধান খাদ্য ছিল আলু। খাদ্যাভাবের দুর্যোগে তাঁরা আলু পাচ্ছিলেন না। সে পরিপ্রেক্ষিতেই মারি আঁত্তিওনেত নাকি বলেছিলেন, ‘আলু পাচ্ছে না তো কী হয়েছে? ওরা তো কেক খেলেই পারে।’
বিটিভির স্ক্রীপ্ট ( কার্টিসি করুনাধারা আপু) ও শায়মা আপুর কমেন্ট পড়ে কেন যেন উপড়ের গল্পটা মনে পড়ে গেল।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: যাক তাইলে আমারে উদ্দেশ্য কইরা কিছু কন নাই- বাঁচা গেল!!
২৮| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যুগের চাহিদায় যুগ বদলে যায়। যেমনটা দেখতে দেখা যায় তা যে শতভাগ ঠিক নয়। কতো মানুষ আছে বহুদিন থেকে কাজলী মাছ ঘরে নিতে পারেনি। অধুনা স্বপ্নই রয়ে গেছে বাবা যে ছোট কালে বাজার থেকে এনে খাইছিল সে স্বাদ এখনো মূখে রয়েছে। ইচ্ছে হয় কিন্তু সাধ্যর মধ্যে না থাকায় দর দাম করতেও সাহস পায়না। তবে এ সত্য মানুষ সে আগের মতো সুখে নেই; নিজেরাই নিজের সুখটাকে বিসর্জণ দিয়েছে।
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো সবার কথা বলি নাই ভাই- সবাই এমন নয় জানি। এর আগের পোস্টে এক বৃদ্ধা ভিক্ষুকের গল্প বলেছিলাম- তাঁর সাধ্যও নেই, কোনমতে থাকলে হয়তো এমন মাছ খাবার কোন ইচ্ছে বা রুচী নেই। আর এমন দামে আমি নিজেই ভয়ে সে মাছ কিনিনি।
কিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু সুখটা তো অন্য বিষয়। আমরা তো টাকা দিয়ে সুখ কিনতে পারব না- তবে আফসোস কিনতে পারি।
অনেক দিন বাদে ভ্রাতা আপনাকে পেলাম। ভাল থাকুন নিরন্তর।
২৯| ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২১
বিষাদ সময় বলেছেন: অধিকাংশ মানুষের হাতে টাকা আছে এটা সত্য । তবে এই অসুস্থ ক্রয় প্রতিযোগিতা কি শুধু অপ্রত্যাশিত অর্থ প্রাপ্তির কারণে না ভোগ বিলাসে মত্ত্বতা এবং শো অফ এর কারণে তা বলা মুশকিল।
মানুষের হাতে নৈতিক বা অনৈতিক ভাবে আশার চাইতে অধিক অর্থ আসছে। ক্ষমতাবানদের দূর্নীতির উচ্ছিষ্টভোগী একটা শ্রেণী তৈরী হয়েছে। মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা কমে গেছে, রাষ্ট্র এবং কর্পোরেট পৃষ্ঠপোষকতায় জনসাধারণকে ভোগের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, সাথে যোগ হয়েছে কিস্তি এবং কনজ্যুমার ক্রেডিট স্কিম। এর পিছনে এগুলোকেই আমার কারণ বলে মনে হয়।
০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ও গঠনমূলক মন্তব্য ।
এই পোস্টের অন্যতম সেরা মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।আপনার কথাগুলো এর পরের কোন এক পর্বে যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ তুলে ধরার ইচ্ছে রইল।
৩০| ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ২০০২ সাল থেকে প্রতি বছর একবার গ্রামে যাই। তার আগে নিয়মিত যেতাম না। গত বাইশ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে
আমাদের গ্রামের এবং আশেপাশের অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে ক্রমাগত। যদিও গতি বেশী না। তবে এই উন্নতির অর্থ আসছে মুলত বড় শহর বা বিদেশ থেকে। গ্রামগুলিতে পুরুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কারণ তারা জীবিকার জন্য বড় শহরগুলিতে চলে যাচ্ছে অথবা বিদেশে যাচ্ছে। তবে গ্রামেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই মাছ চাষ, পশু পাখির খামার ইত্যাদি করছে। গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। গ্রামের ছোট দোকান বা বাজারেও অনেক অনেক পণ্যের সমাহার দেখা যায় এবং সেগুলি কেনার মানুষও বাড়ছে। গ্রামে ইন্টারনেট লাইন আছে অনেক জায়গাতে। অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা অনেকেই মোবাইল ডেটা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে গ্রামগুলিতে পুরুষ কমে যাওয়ার কারণে বড় শহরগুলি জনবহুল হয়ে যাচ্ছে।
ফলে সার্বিক বিবেচনায় আমাদের জাতীয় উন্নয়নে ভারসাম্যের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গ্রাম নির্ভর হলে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মুলত বড় শহর কেন্দ্রিক। ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ছাড়া আর কোন জেলা শহরে হোয়াইট কলার জব নেই বললেই চলে।
০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ধীরে ধীরে কি হচ্ছে না? মাছের খামার, মুরগীর খামার- হ্যাচারী থেকে শুরু করে মিল ফ্যাক্টরিগুলো কি ধীরে ধীরে গ্রামমূখী হচ্ছে না?
শুধু কাচামালের যোগান যোগাযোগ ব্যাবস্থা আর দক্ষ কর্মীর অভাবে শহর থেকে অনেকেই শহর থেকে সরতে চায় না। কিন্তু এখন কর্পোরেট কোম্পানীগুলোর ভোগ্য পণ্যের বেশীরভাগ ফ্যাক্টরিগুলো যেসব এলাকায় কাঁচামাল সহজলভ্য ও উতপন্ন বেশী হচ্ছে সেখানে স্থাপন করছে। আপনি দেখুন যত জুস চিপস মসলা ফ্যাক্টরি আছে একটাও মুল শহরে অবস্থিত নয়। মুল সমস্যা হচ্ছে বেশীরভাগ মালিকদের অবস্থান শহরে এবং তাদের সন্তান সন্তদির পড়াশুনা ও স্ট্যাটাসগত কারনে ইচ্ছে থাকলে ঢাকার বাইরে বাস করতে পারেনা। মালিক নিয়মিত ফ্যাক্টরিতে থাকতে না পারলে ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি ফ্যাক্টরি চালানো মুশকিল।
৩১| ১৩ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিগত পঁচিশ বছরে বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে, বিশেষ করে বড় বড় শহরের নিকটবর্তী গ্রামগুলোতে অবকাঠামোগত অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটেছে। এর ফলে গ্রামের মানুষের আয় রোজগারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শহরের ফটকাবাজী ব্যবসা গ্রামেও ছড়িয়েছে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বেড়েছে, ফলে অনেক পরিবারের চাকচিক্যও বেড়েছে। তা জানার পরেও, দুই হাজার টাকা কেজির বাতাসী মাছ এবং মোট সাড়ে তিন হাজার টাকা দামে দুই কেজি'র কিছু বেশি গুলশা ট্যাংরা মাছের দাম শুনে আমিও তো রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম!
১৭ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো এখনো বিশ্বাস হয় না। যাকে বলি সে-ই অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকায়, ভাবে যে গুল ঝাড়ছি।আজকে শুনলাম আমাদের এলাকার গ্রামের অবস্থা নাকি এবার আরো ভাল। পেঁয়াজ রশুন ভুট্টার দারুণ উৎপাদন হয়েছে ও কৃষকেরা অনেক উচ্চমুল্যে এসব বিক্রি করতে পেরেছে। এবার কোরবানীতে উৎসব জমে উঠেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শেষ কথায় একটু হাসতে হলো।