নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ, নৌ আর বিমান ঘাঁটি নষ্ট করে ফেলা; সমস্ত ধরনের যুদ্ধজাহাজ আর যুদ্ধবিমান খুলে ফেলা; বাধ্যতামূলক সামরিক বৃত্তি তুলে দেবার এবং ট্রেনিংয়ের জন্যে রিজার্ভিস্টদের সমাবেশ করানো নিষিদ্ধ করে আইন জারি করা; যুদ্ধোপকরণ উৎপাদনের কারখানাগুলোকে ব্যবহার করার পক্ষে অকেজো করে ফেলা এবং সামরিক উদ্দেশ্যে সমস্ত রকমের ব্যয়বরাদ্দ বন্ধ করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

***এমন কি কখনো সম্ভব?? পৃথিবীর কোন পরাশক্তি কখনোই কোনকালে এমন কোন প্রস্তাব নিয়ে লীগ অব নেশন্‌স এ আনবে বলে কল্পনা করা যায়? আর সেটা যদি হয় আমেরিকা কিংবা রাশিয়ার মত কোন পরাশক্তি!!
আপনি যদি না জানেন তবে ধারনা করতে পারবেন না আজ থেকে প্রায় ৯৩ বছর আগে এই রাশিয়া নয় আরও বহুগুণ শক্তিধর প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন নিরস্ত্রীকরণ-সংক্রান্ত আপস-আলোচনায় ঐ সময়ে খুবই সক্রিয় অংশ নিচ্ছিল। লীগ অভ্ নেশন্‌স-এর পরিষদের যে-নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন বসাবার কথা ছিল তার প্রস্তুতি কমিশনের কাজে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম বার অংশগ্রহণ করেছিল ১৯২৭ সালে ৩০এ নভেম্বর। সোভিয়েত প্রতিনিধিদলের নেতা ছিলেন মাক্সিম লিৎভিনভ; সোভিয়েত সরকারের তরফে তিনি সর্বাত্মক এবং ষোল-আনা নিরস্ত্রীকরণের একটা সংক্ষিপ্ত আর মূর্ত-নির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন। এই প্রস্তাবের মধ্যে ছিল উপরোল্লেখিত দফাগুলি:
এই প্রস্তাব তোলার সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েত প্রতিনিধিদল ঘোষণা করেছিল যে, মূর্ত-নির্দিষ্ট প্রস্তাবের সঙ্গে অন্য যে কোন নিরস্ত্রীকরণ পরিকল্পনা থাকলে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করতেও তারা প্রস্তুত। সোভিয়েত ইউনিয়নের পেশ করা খসড়া-প্রস্তাবটা ছিল অত্যন্ত সহজ-সরল আর অকপট। এতে ছিল মাত্র দুটো দফা: (১) প্রস্তাব করা হয়েছিল যে, সোভিয়েত প্রস্তাবের ভিত্তিতে সর্বাত্মক এবং ষোল-আনা নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার একটা সম্মেলন ডাকার বিস্তৃত পরিকল্পনা রচনার জন্যে প্রস্তুতি কমিশন অবিলম্বে কাজ শুরু করুক; এবং (২) সোভিয়েত প্রস্তাবের ভিত্তিতে রচিত সম্মেলনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা এবং সেটাকে অনুমোদন করার জন্যে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন বসানো হোক ১৯২৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। সোভিয়েত খসড়া-প্রস্তাবটির প্রবল ছাপ পড়েছিল, সেটা বহু পশ্চিমা পত্র-পত্রিকায়ও স্বীকৃত হয়েছিল।
কিন্তু, প্রধান পুঁজিতান্ত্রিক দেশগুলি অনুসরণ করছিল সামরিকীকরণের কর্মনীতি, তাদের প্রতিনিধিরা কার্যত কোন আলোচনা ছাড়াই সোভিয়েত প্রস্তাবটিকে উপেক্ষা করে গিয়েছিল।

এইভাবে চতুর্থ দশকের প্রারম্ভ নাগাতই সম্মিলিত সোভিয়েত-বিরোধী ফ্রন্ট গড়ার অপচেষ্টা একেবারে ভেস্তে গিয়েছিল ১৯২৯ সালে পুঁজিতান্ত্রিক দুনিয়া পড়ে গিয়েছিল একটা অর্থনীতিক সংকটের আবর্তে, তার ফলে সমগ্র পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিহিত যাবতীয় দ্বন্দ্ব-বিরোধ প্রকোপিত হয়ে উঠেছিল। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত বেশি মাত্রায় উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছিল। প্রাচ্যে জাপান নেমে পড়েছিল সামরিক কার্য- কলাপে, উদ্বেগজনক সব সংবাদ আসছিল জার্মানি থেকে - সেখানে ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার জন্যে সচেষ্ট হয়ে উঠেছিল।

১৯৩১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাপানী ফৌজ অনধিকার প্রবেশ করেছিল উত্তর-পূর্ব চীনে। ১৯৩৩ সালের বসন্তকাল নাগাদ জাপান চীনের চারটে প্রদেশ দখল করে নিয়েছিল। জাপান সরকার ২৭এ মার্চ লীগ অভ্ নেশন্‌স থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজ আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ একেবারে অবাধে সম্প্রসারিত করে চালাবার ব্যবস্থা করে নিয়েছিল। এইভাবে দূর প্রাচ্যে সৃষ্টি হল যুদ্ধ প্রসারের কেন্দ্র।

ততদিনে ইউরোপে পরিস্থিতিও অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। বৈদেশিক ঋণের সাহায্যে জার্মানির শাসক মহলগুলি ১৯২৯ সাল নাগাত দেশের যুদ্ধ-শিল্পের বেশির ভাগটাকে আগেকার মাত্রায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল। চার বছর পরে, অর্থনীতিক মন্দা এবং শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলনের লক্ষণীয় বৃদ্ধির মধ্যে জার্মান বুর্জোয়ারা ক্ষমতা তুলে দিল ফাসিস্টদের হাতে, ফাসিস্টরা পৃথিবীর মানচিত্রটাকে নতুন করে প্রস্তুত করার লক্ষ্য গোপন করল না একটুও।
****
আসুন একটু দেখে নিই সোভিয়েত ইউনিয়নের মুল সেই প্রস্তাবে আসলে কি ছিল?

সোভিয়েত প্রতিনিধিদল তার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত
সমস্ত স্থল, সমুদ্র এবং আকাশের সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ বিলুপ্তির ইএসএসআর সরকার এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলির অনুমোদন দেবার জন্য অনুরোধ করছে:
(ক) সমস্ত স্থল, সমুদ্র ও বিমান বাহিনীর বিলুপ্তি এবং
কোন গোপন নামে বা আকারে তাদের অস্তিত্ব থাকবে বা তা সে যে প্রয়োজনেই হোক না কেন।
(খ) সমস্ত অস্ত্র, সামরিক সরবরাহ ধ্বংস,
রাসায়নিক যুদ্ধ এবং অন্যান্য সমস্ত ধরণের অস্ত্রের জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ।
(গ) সমস্ত যুদ্ধজাহাজ এবং সামরিক বিমানবাহী জাহাজ বাতিল করা;
(ঘ) সামরিক বাহিনীর জন্য নাগরিকদের ডাকা বন্ধ করা সেনাবাহিনীদের পাবলিক পরিসেবার জন্য প্রশিক্ষণ বন্ধ করা;
(ঙ) সামরিক পরিষেবা বিলোপের জন্য আইন, হয় বাধ্যতামূলক, স্বেচ্ছায় বা নিয়োগপ্রাপ্ত; তাদের বিকল্প চাকুরীর ব্যবস্থা;
(চ) প্রশিক্ষিত রিজার্ভ কল আপ নিষিদ্ধ আইন;
(ছ) দুর্গ এবং নৌ ও বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করা;
(জ) মিলিটারি প্ল্যান্ট এবং কারখানা স্ক্র্যাপিং এবং যুদ্ধ শিল্প সরঞ্জাম উৎপাদন বন্ধ করে; সাধারণ শিল্প কাজে ব্যাবহার করা;
(ঝ) সামরিক বাহিনীর জন্য তহবিল বরাদ্দ বন্ধ করা রাষ্ট্রীয় বাজেট এবং সরকারী সংস্থাগুলির উভয়ের উদ্দেশ্য;
(ঞ) সামরিক, নৌ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের বিলুপ্তি, জেনারেল স্টাফ এবং সামরিক প্রশাসন সহ সব ধরনের বিভাগ এবং প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তি;
(ট) সামরিক প্রচারের আইনি নিষেধাজ্ঞা, সামরিক বাহিনীর সামরিক প্রশিক্ষণ রাষ্ট্র এবং সরকারী সংস্থা উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষা নিষিদ্ধ করা;
(ঠ) সকলের পেটেন্টের আইনি নিষেধাজ্ঞা অস্ত্রশস্ত্র এবং ধ্বংসের উপায়, উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা অপসারণের দৃশ্য
(ঢ) আইন লঙ্ঘন করে যে কোন উপরোক্ত শর্তাবলী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে প্রতীয়মান হবে;
(ণ) সকলের প্রত্যাহার বা সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই আইন প্রণয়ন, উপরোক্ত শর্তাবলী লঙ্ঘন করে।

~ মাক্সিম লিৎভিনভ এঁর সন্মন্ধে আরো জানতে আপনি Litvinov Protocol পড়তে পারেন।

সোভিয়েত প্রতিনিধিদলের নেতা মাক্সিম লিৎভিনভ লীগ অব নেশন্স ~ এ তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে দারুণ একটা স্পিস দিয়েছিলেন। তাঁর সামান্য অংশ নীচে তুলে ধরছি।
আমরা এমন এক সময়ে বাস করি যখন নতুন যুদ্ধের প্রাদুর্ভাব অতি সহজ তাত্ত্বিক বিপদ। এটা শুধু আমাদের মতামত নয়...
পুঁজিবাদী দেশে অনেক দায়িত্বশীল রাষ্ট্রনায়ক আছে সম্প্রতি একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। যুদ্ধ আসন্নতা
সর্বত্র অনুভূত হয়। আমরা যদি চিরদিনের জন্য এটি এড়াতে চাই, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধযুদ্ধ খেলা-মুক্ত একটা পৃথিবী দিতে যাই তবে কিছু একটা করতে হবে। আমাদের মতে, সেরা সব মানুষ এবং সব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে
অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ প্রয়োজন। এর সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত অবিলম্বে মুখোমুখি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করা।


~ পৃথিবীতে ভুলে হোক ভয়ে কিংবা দুর্বল সময়েই হোক না কেন মহা শক্তিধর দেশের মহা শক্তিমান দেশ নায়কেরা ভাল কিছু কাজ করতে চেয়েও পারেন নি, তাঁর একটি উদাহরণ সোভিয়েত ইউনিয়নের এই নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব। ভাবুনতো একবার সে সময়ে যদি এই প্রস্তাবটা সবাই মিলে মেনে নিত- তাহলে পৃথিবী আজ কেমন হত?

সুত্রঃ
USSR Proposes Disarmament (১৯২০-১৯৮০)
সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের ইতিহাস

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

উন্মুক্ত তলোয়ারের নিচেই শান্তি।
যেভাবেই আপনি ভাবেন না কেন অস্ত্র ছাড়া কখনো কোন দেশে কোন সমাজে কোন গোত্রে শান্তি বজায় রাখা অসম্ভব।

বিশ্বে এখন যে যুদ্ধ হচ্ছে তা হলো নিজের মোড়লগীরি দেখানোর জন্য আর কিছু নয়। আমেরিকা ও রাশিয়া চাইলে পুরো পৃথিবী শান্তি নিয়ে বসবাস করবে কিছু ঝামেলা থাকবে তা অত বড় হয়ে উঠবে না।

২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে যে যেভাবে ভাবে। আমরা আবহমানকাল ধরে যুদ্ধ দেখতে দেখতে অভ্যস্ত বলে যুদ্ধহীন পৃথিবীর কথা ভাবতেই পারি না।
যদিও দুষ্টের দমন এত সহজে সম্ভব নয়। ক্ষমতালোভ, হিংস্রতা বর্বরতা, প্রভুত্ব বা কতৃত্বের ইচ্ছা, প্রভূত অর্থ বিত্তের অধিকারী হবার লোভ মানুষের জিনের মধ্যে প্রোথিত। এর থেকে বেরিয়ে আসা সহজ কর্ম নয়।
আমার মতে নিরস্ত্রীকরণের পরে সারা বিশ্বের সব দেশ মিলে 'লীগ অব্‌ নেশনের' তত্ত্বাবধানে একটা যৌথ বাহিনী গঠন হলে খুব একটা খারাপ হত না। যদিও তারা একসময় বড় দেশের তাবেদার হত :(

২| ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: যুদ্ধ দুই প্রকার।ন্যায় যুদ্ধ ও অন্যায় যুদ্ধ।ন্যায় যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যায় যুদ্ধকে পরাজিত করতে হবে।
যত দিন বিশ্বে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকবে ততদিন যুদ্ধ বন্ধ হবে না।প্রাচীন সাম্যবাদী সমাজে যুদ্ধ ছিলো না।সেই সমাজে কি ফিরে যাওয়া সম্ভব।এই আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় সেই রকম সমাজ গঠন করা সম্ভব।সেটাই মার্কস দেখিয়েছেন তার সমস্ত লেখায়।এই জন্য কয়েকটা স্তর পার হতে হবে।
রাষ্ট্র যতদিন থাকবে যুদ্ধ বন্ধ হবে না।রাষ্ট্র কি ভাবে বিলুপ্ত হবে সেটাও মার্কস দেখিয়েছে তার লেখায়।

২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: যুদ্ধ যেই প্রকারই হোক সব যুদ্ধেই রক্ত ঝড়ে মানুষ মরে।
ন্যায়-অন্যায় শেখায় নেতা, সিদ্ধ পুরুষ, সাধুরা। খাদ্য ব্যতীত মানুষের কোন সম্পদের প্রয়োজন নেই। পুঁজিবাদ সম্পদের প্রয়োজন ও কুক্ষিগত করতে শিখিয়েছে- আর তাঁর থেকেই শুরু সম্পদের জন্য যুদ্ধ। নেতারা শিখিয়েছে জাতীয়তাবাদ- আর তাই নিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ। আরেকদল করে ধর্ম যুদ্ধ। এই তিনটে বাদে আর কি উপলক্ষ্য আছে যুদ্ধের বলুন?

মার্ক্স ঠিক বলেছেন - এক দেশ এক ভাষা এক জাতি ও এক ধর্ম হলেই তবে না হয় যুদ্ধ বিলুপ্ত হবে বিশ্ব থেকে - না হলে নয়।

৩| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: দিন দিন বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।যে গতিতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে , কয়েক হাজার না,কয়েক শত বছরের মধ্যেই এক দেশ এক জাতিতে পরিনত হবে বিশ্ব,ধর্ম চীরতরে লোপ পাবে।

২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: ইচ্ছে ছিল এমন পৃথিবী দেখার- তা হবে না নিশ্চিত, তবে ভবিষ্যত প্রজন্মের ভাগ্যে অন্তত তেমন বিশ্ব জুটুক।

৪| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৫

বিষাদ সময় বলেছেন: অট- আমার কম্পু থেকে আপনার পোস্টে ইউনিজয় এবং বিজয় ঠিক মত কাজ করছে না

প্রথমেই ধন্যবাদ আমাকে নতুন একটি বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। বিশ্বে যে এ ধরণের কোন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তা জানা ছিল না। কিছুদিন আগে মনে হয় পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রিকরণ একটা কার্যক্রম কিছুদূর এগিয়েছিল। তখন আশবাদী হয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেই লাউ সেই কদুই রয়ে গেল। এ রকম যদি একটা পৃথিবী থাকতো তবে হয়তো মনে হয় ভালো হতো। কিন্তু এমন পৃথিবী ভাবনার মধ্যেই সুন্দর এর মনে হয় বাস্তবতা নেই। বিশেষ করে মানুষের মধ্যে যতদিন লোভ, লালসা, হিংসা বিদ্বেষ পরশ্রীকাতরতা থাকবে ততদিন এর বাস্তবায়ন কঠিনই থাকবে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় সীমা রেখা এবং রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বৈষম্য থাকা অবস্থায় এটা বাস্তবায়ন অসম্ভব। কারণ এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে মেধা নয় পেশি শক্তি হয়ে পড়বে আধিপত্যবাদের মূল হাতিয়ার, যে দেশ যত সম্পদশালী সে দেশ হয়ে পড়বে তত বেশী অরক্ষিত। হয়তো সোমালিয়ার দস্যুরা দখল করে নিবে আমেরিকা বা ইসরাইল।

কোন দেশের সমরাস্ত্রে সে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উপদানগুলো যোগ হয় দেখে সাধারণত যে দেশ জ্ঞান বিজ্ঞানে যত উন্নত সে দেশের অস্ত্রও তত উন্নত হয় অর্থাৎ অনেক সময় সমরাস্ত্র আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার এক ধরণের সেফগার্ড হয়ে থাকে।

অবশ্য বিশ্ব এখন সমরাস্ত্র মজুদ এবং সমরাস্ত্র তৈরীর বাজেটে যে ভয়াবহ অবস্থায় পৌছেছে সেখান থেকে পেছাতে না পারলে পৃথিবীতে যে কোন সময় মহাবিপর্যয় নেমে আসতে বাধ্য। ধন্যাবাদ।




২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: মস্কোর প্রগতি থেকে প্রকাশিত বিষ্ণু মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদে 'সোভিয়েত সমাজের ইতিহাসে' এ বিষয়ে পড়ে ভেবে রেখেছিলাম কোন একদিন কিছু একটা লিখব। এখন সার্চ ইঞ্জিনে টোকা দিলে অনেক তথ্য মিলে যায় সহজেই।
কিন্তু আমি ভীষন অবাক হলাম 'লীগ অব নেশন্‌স' এর আর্কাইভে ১৯২৭ সালের সেপ্টেম্বরের পরে কোন তথ্য নেই। সোভিয়েত এতদ্‌ বিষয়ে আলচনার লেশমাত্র নেই, ওরা সরাসরি ১৯২৮ সালে চলে গেছে!!!

আপনার নীচের কথাগুলো একদম নিরেট সত্য;
কোন দেশের সমরাস্ত্রে সে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উপদানগুলো যোগ হয় দেখে সাধারণত যে দেশ জ্ঞান বিজ্ঞানে যত উন্নত সে দেশের অস্ত্রও তত উন্নত হয় অর্থাৎ অনেক সময় সমরাস্ত্র আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার এক ধরণের সেফগার্ড হয়ে থাকে।
অবশ্য বিশ্ব এখন সমরাস্ত্র মজুদ এবং সমরাস্ত্র তৈরীর বাজেটে যে ভয়াবহ অবস্থায় পৌছেছে সেখান থেকে পেছাতে না পারলে পৃথিবীতে যে কোন সময় মহাবিপর্যয় নেমে আসতে বাধ্য।


চমৎকার আলোচনা ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পৃথিবীতে ভুলে হোক ভয়ে কিংবা দুর্বল সময়েই হোক না কেন মহা শক্তিধর দেশের মহা শক্তিমান দেশ নায়কেরা ভাল কিছু কাজ করতে চেয়েও পারেন নি, তাঁর একটি উদাহরণ সোভিয়েত ইউনিয়নের এই নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব।

২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উপস্থিতি জানানো ও আলোচনায় একাত্মতা ঘোষনা করার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

৬| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: গাঞ্জা মাঞ্জা খাইছেন্নি বস ? কেমুন উল্টা পাল্টা লাগতাছে ?

২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: না আইজক্যা খাই নাই গুরু - এহন মাল্টি (ককটেল) খাইমু চিন্তা করতেছি :)

৭| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর আসলে পৃথিবীতে যুদ্ধ আর হয়নি।
পরপর দুটি যুদ্ধে অভিজ্ঞতা আর যুদ্ধের ভয়াবহতা সবাই জানে।

১৯৪৫ সালের পর যে সকল যুদ্ধ হয়েছে সেগুলোকে যুদ্ধ বলা চলে না। একতরফাভাবে মাইর দেওয়া বা শায়েস্তা করা বলা চলে। যেমন সাদ্দামকে ভিয়েতনাম কে শায়েস্তা করছিল এরপর পরাজিত হয়ে ফিরে গেছে, কিন্তু আমেরিকা সর্বশক্তি ব্যবহার করেনি নিউক্লিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করেনি।
গাজাতেও কোন যুদ্ধ হচ্ছে না, হচ্ছে শায়েস্তা একতরফাভাবে।

১৯৭১এ মুক্তিযুদ্ধে বলতে গেলে কোন যুদ্ধ হয়নি।
১৯৭১ এর মার্চ মাস থেকে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধ করেনি, যা করেছে একতরফাভাবে গণহত্যা করেছে হিন্দু হত্যা করেছে আর আল বদর বাহিনী বেছে বেছে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল।
ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা এবং মিত্র বাহিনী সম্মিলিতভাবে বড় হামলা শুরু করে, তখনও কোন যুদ্ধ হয়নি,
যেটা হয়েছে পলায়ন ঢাকার দিকে পলায়ন। মাইরের চোটে সব ফ্রন্টৈর সেনারা অস্ত্র ফেলে ঢাকার দিকে ছুটছিল সারেন্ডার করে জীবন বাঁচানোর জন্য।

২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: এই ছোট ছোট যুদ্ধগুলোই মানবজাতিকে ধ্বংসের শেষপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
আমরা প্রতিমূহুর্তে এই যুদ্ধের ভয়াবতা টের পাচ্ছি-হাজার হাজার মেইল দুরে যুদ্ধ হলে এর আঁচ এসে লাগছে সবার গায়ে।

আপনি আপনার মত করে বলেছেন। আপনার ভাবনায় কিছু উল্টা-পাল্টা ব্যাপার স্যাপার আছে।

৮| ২৬ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১

নতুন বলেছেন: মানুষের চাহিদার শেষ নাই। তাদের আরো বেশি চাই।

এই বৈশিস্টের কারনেই সভ্যতা এগিয়ে এবং সকল ঝামেলার শুরুও এই চাহিদা থেকে। :(

আমেরিকার স্রমাজ্য টিকিয়ে রাখতেই বর্তমানের এতো যুদ্ধ, জংগী, দখল, বয়কট....

চাইনিজরা কি আমেরিকার সম্রাজ্য থেকে হটিয়ে নতুন সম্রাট হতে পারবে?

বিশ্ব কি কড়াই থেকে অনুনে ঝাপিয়ে পড়বে? না কি সামনে ঝামেলা কমবে?

২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: চাইনিজরা কি আমেরিকার সম্রাজ্য থেকে হটিয়ে নতুন সম্রাট হতে পারবে?
আসলে এতবড় ভবিষ্যৎবাণী করার মত ক্ষমতা আমাদের নেই!

নিজের মৃত্যু কেমনে হবে এই নিয়ে ব্যাপক ভাবিত- ফিলিস্তিনীদের মত না হইলেই হয় :(

৯| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল একটা বাঘের বাচ্চা। আমাদের ক্রিকেট টিমের মতো না, আমার মতো (আমার প্রোপিক দেখলেই আমার কথার সত্যতা পাইবেন)। ছোটবেলায় প্রচুর প্রগতি প্রকাশনের বই পড়তাম। তখন থেকেই দেশটা দেখার শখ ছিল। তবে ঘোরার মধ্যে শুধু তিনদিন মস্কো ঘুরেছি, আমার শালার বিয়ে উপলক্ষ্যে। সে বহু কাল আগের কথা।

নতুন একটা বিষয় জানলাম। ধনতান্ত্রিক দেশগুলো সব সময়েই যুদ্ধবাজ ছিল। এরা এই প্রস্তাব মানবে না, বলাই বাহুল্য!!!

হাকা ভাইসাবের মন্তব্য দেখলেই আমার সেই কুমীরের খাজকাটা........খাজকাটা.........খাজকাটা গল্পের কথা মনে পড়ে!!! :P

২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশে চমৎকার কিছু বাঘের মূর্তি আছে- তাঁর একখান সোনারগাঁও হোটেলের সামনে ছিল! ( তবে রিউমার; এর সবগুলা নাকি অন্ধ ভাস্করদের হাতে তৈরি :) ) তবে আপনারটা সিরাম!!
তিনমাসেও সত্যিকার অর্থে মস্কো দেখা হয় না। মেট্রোতে ঘুরে ঘুরে সব স্টেশনের কারুকার্য আর ওদের মাটির নীচের লাইফ দেখতেই তো সপ্তাখানেক লাগে!!
আমার ধারনা রুশ নেতারাও এই প্রস্তাবে হেসেছিল। বেচারা মাক্সিম লিৎভিনভ- এর পিঠ চাপড়ে বলেছিল যাও দেখ চেষ্টা করে কি হয়? এটা হবে না - আর হবার সম্ভাবনাও নেই!!
হাকা ভাইকে আর বোঝানো গেল না। অনেকেই তাঁকে বেশ কুৎসিত ভাবে অপমান করে দেখে খারাপ লাগে।

১০| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমার ভাবনা আমার মন্তব্য বেশিরভাগ মানুষ একমত হয় না।
আপনি একমত হন নি আমি অবাক হয়নি। আমার আত্মীয়-স্বজন এমনকি ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব রাও আমার কথার সাথে একমত হয় না।
প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে যেতে চায় না।

আমি আবার খাঁটি বাংলায় বলছি -
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে পরাশক্তিগুলো এবং বড় প্রধান দেশগুলো কখনোই পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। অর্থাৎ সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। আর হবেও না।
2019-20 সালের দিকে চীন ও ভারত মুখোমুখি অবস্থান হয়ে গেছিল উভয়পক্ষে প্রায় শতাধিক সৈনিক নিহত হয়েছিল। প্রচুর সেনা সমরাস্ত্র সমাবেশ হয়েছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে সবাই ভুল বুঝতে পেরে একটা মৌখিক জেন্টলম্যান এগ্রিমেন্ট এ উভয়পক্ষ সকল সেনাপ্রদ্ধার করে নিয়েছিলাম বিনা চুক্তিতে।

২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা ভিন্ন কথা- এই কথায় আমিও একমত। তবে আগের বিষয় ছিল আলাদা। আপনি মাঝে মধ্যে ভাল কথা তো বলেন।
কিন্তু মাঝে মধ্যে বিগড়ে যান।

১১| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: আহা এমন যদি হতো। মানুষ কত সুখে বাঁচত।
কিন্তু তা হবে না তা হবে না-
যুদ্ধ লেগেই থাকবে
অস্ত্র একটা বিশাল অর্থনৈতিক বাজার নিয়ন্ত্রন করেবিশ্বে।
ঠিক কবে থেকে মানুষ মারামারি যুদ্ধ শুরু করেছিল পৃথিবীতে?

২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: ধর্মে বলে আদমের দুই সন্তান- এক নারী নিয়ে যুদ্ধ শুরু করে ( হাবিল আর কাবিল)
মূলত; সব পশুরাই খাদ্য নিয়ে যুদ্ধ করে- কিছু পশু পাখী যুদ্ধ করে নারী নিয়ে। মানুষের প্রথম যুদ্ধটাও সম্ভবত খাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছিল; আপনার কি মনে হয়? আর মানুষের দ্বিতীয় যুদ্ধ শুরু হয় সম্ভবত নারীর অধিকার নিয়ে -ঠিক পশুদের মতই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু, অনেকদিন বাদে আপনাকে পেলাম আমার ব্লগে।

১২| ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বলেন কি!
যুদ্ধ বন্ধ হলেও বাংলাদেশের মানুষ তা শুরু করবে।

২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক মানুষের খাইচলত এমন - কেউ না কেউ ফের শুরু করবেই। আপনি কই হারাইলেন ভাই???


*অনেকদিন বাদে আপনাকে পাইলাম- শরিরটা ভাল তো?

১৩| ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু দেশ নিজের স্বার্থে এই প্রস্তাব মেনে নিবেনা, তাই বাস্তবতার মুখ দেখেনি আলোচনা।

২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: শান্তিকামী দুর্বল আর অসহায় দেশ ছাড়া আর কারো মেনে নেয়ার সম্ভাবনা কম ছিল! তবে শুধু আমেরিকা এর পক্ষে থাকলেই দৃশ্য অন্যরকম হতে পারত- কিংবা প্রস্তাবটা আমেরিকা থেকে আসলে চলত।

১৪| ২৭ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

বাউন্ডেলে বলেছেন: যুদ্ধ একটি পশুসুলভ আচরন। মানুষকে এটা মানায় না। মানব সমাজে অবস্থানরত মানব সদৃশ্য প্রানীকুলে পশুসুলভ বৈশিষ্ট্য যাদের জিনে এখনো বিদ্যমান তারাই যুদ্ধবাজ।

২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিটা মানুষের ভাবনা এমন মানবিক হলে পৃথিবীটা কতই না সুন্দর হোত। কেন মানুষ এমন করে ভাবতে পারে না??

১৫| ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




লীগ অফ নেশান এ দেয়া মাক্সিম লিৎভিনভ এর মুল্যবান
ভাষনটি সত্যিই প্রনিধান যোগ্য ।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে লিউ টলস্টয়ের বিশ্ব বিখ্যাত উপন্যাস
যুদ্ধ ও শান্তির ( War and Peace) এর কথা, যেখানে
যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং শান্তির জন্য মানুষের সংগ্রাম
এর ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছিল নিখুতভাবে ।
পৃথিবীর বুক হতে চিরতরে বন্ধ হোক যুদ্ধ
এ কামনাই করি ।

মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মুল্যবান সময় দিয়ে দারুণ মন্তব্যে পোস্টকে সমৃদ্ধ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
লিয়েভ তলস্তয়ের মত মানুষ হাজার বছরে একজন আসেন কিংবা আদৌ আসেন না। এমন মানুষ মানুব জাতির উপহারসরূপ।

ভাল থাকবেন আপনি সুস্থ থাকবেন।

১৬| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আইডিয়াটা তো ভালো, কিন্তু এটাকে বাস্তবায়ন করতে হলে ব্যাপক যুদ্ধের প্রয়োজন। LOL

২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: একটু ভেবে দেখুন; তৎকালীন সোভিয়েত প্রধান স্টালিনের স্থানে যদি মাক্সিম লিৎভিনভ থাকতেন তাহলে কেমন হত- আজকের পৃথিবীটা সামান্য হলেও বদলে যেত নিশ্চিত। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় কিছু মানুষ আসে।

১৭| ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: এরকম যারা ভাবে, তারাই প্রকৃত ভালো মানুষ। আর যারা ভাবে না, তাদের থাকে ক্ষমতার লোভ, দেশ দখলের চিন্তা ইত্যাদি ইত্যাদি সব চিন্তা...
এমন হলে ভালোই হতো, পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা নামক অভিযান থেকে পৃথিবী রক্ষা পেতো...

২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার। আমরা মনে হয় ৯৯ভাগ মানুষ এমনই- ক্ষমতায় গেলে সবাই এমন হয়ে যাব। আসলে ক্ষমতায় যারা যায় তারা এমনই থাকে। যারা যায় না তারা আসলে কোন ক্ষমতাই চায় না, তাদের মধ্যেই কিছু ভাল মানুষ অবশিষ্ঠ থাকে।


**ইদানিং আপনার পোস্ট আর দেখছি না তেমন!!

১৮| ০১ লা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে জানা ছিল না। রাশিয়া এতো উদারতা দেখালো কেন এটা ভেবে কিছুটা বিস্মিত। সত্যিই যদি বিশ্বে এই ধরণের একতা আসতো তাহলে বিশ্বে অনেকটা শান্তি নেমে আসতো।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
~ মাক্সিম লিৎভিনভ-কে মনে হয় পার্টির উচুস্তরের কিছু মানুষ খুব ভালোবাসতো। তাঁকে একটা সুযোগ দিয়েছিল মনে হয়। তারাও জানত এটা শুধু সময়ের অপচয় কোন কাজই হবে না।

১৯| ০৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চিন্তাও করা যায় না, তাহলে পৃথিবীটা আজ কেমন হতো (পোস্টের শেষ বাক্যটি প্রসঙ্গে)! এত চমৎকার একটি প্রস্তাবনা একেবারে অঙ্কুরেই বিনাশ হয়ে গেল!
"মার্ক্স ঠিক বলেছেন - এক দেশ এক ভাষা এক জাতি ও এক ধর্ম হলেই তবে না হয় যুদ্ধ বিলুপ্ত হবে বিশ্ব থেকে - না হলে নয়" - এটা হওয়াও তো বোধকরি সম্ভব নয়। সৃষ্টিতেই বিভিন্নতা, অভিন্ন হবে কিভাবে?

০৭ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: এটা শুধু সু-চিন্তক ও ভাল কিছু মানুষের ভাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে- সফল হবে না কোন্দিন।
জেনিটিক্যালি আমরা নিষ্ঠুর ও রক্তপিপাসু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.